Tag: bangla news

bangla news

  • Ramakrishna 496: “মৌমাছি ভনভন কতক্ষণ করে? যতক্ষণ না ফুলে বসে, মধুপানের সময় ভনভনানি চলে যায়”

    ৪৮ শ্রীরামকৃষ্ণ কাপ্তেন, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুন
    ঠাকুরের গলার অসুখের সূত্রপাত

    অবতার বা নরলীলার গুহ্য অর্থ—দ্বিজ ও পূর্বসংস্কার 

    কাপ্তেনের চরিত্র ও শ্রীরামকৃষ্ণ—পুরুষ-প্রকৃতি যোগ 

    কাপ্তেন ও পাণ্ডিত্য — কাপ্তেন ও ঠাকুরের অবস্থা 

    “আমি কাপ্তেনকে বকতে লাগলাম; বললাম, তুমি পড়েই সব খারাপ করেছ। আর পোড়ো না!

    “আমার অবস্থা কাপ্তেন বললে, উড্ডীয়মান ভাব। জীবাত্মা আর পরমাত্মা; জীবাত্মা যেন একটা পাখি, আর পরমাত্মা যেন আকাশ—চিদাকাশ। কাপ্তেন বললে, ‘তোমার জীবাত্মা চিদাকাশে উড়ে যায়—তাই সমাধি’; (সহাস্যে) কাপ্তেন বাঙালীদের নিন্দা করলে। বললে, বাঙালীরা নির্বোধ! কাছে মাণিক রয়েছে চিনলে না!”

    গৃহস্থভক্ত ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ — কর্ম কত দিন 

    “কাপ্তেনের বাপ খুব ভক্ত ছিল। ইংরেজের ফৌজে সুবাদারের কাজ করত। যুদ্ধক্ষেত্রে পূজার সময়ে পূজা করত,—একহাতে শিবপূজা, একহাতে তরবার-বন্দুক!

    (মাস্টারের প্রতি) “তবে কি জানো, রাতদিন বিষয়কর্ম! মাগছেলে ঘিরে রয়েছে, যখনই যাই দেখি! আবার লোকজন হিসাবের খাতা মাঝে মাঝে আনে। এক-একবার ঈশ্বরেও মন যায়। যেমন বিকারের রোগী; বিকারের ঘোর লেগেই আছে, এক-একবার চটকা ভাঙে! তখন ‘জল খাব’ ‘জল খাব’ বলে চেঁচিয়ে উঠে; আবার জল দিতে দিতে অজ্ঞান হয়ে খায়, — কোন হুঁশ থাকে না! আমি তাই ওকে বললাম,—তুমি কর্মী। কাপ্তেন বললে, ‘আজ্ঞা, আমার পূজা এই সব করতে আনন্দ হয়—জীবের কর্ম বই আর উপায় নাই।

    “আমি বললাম (Kathamrita), কিন্তু কর্ম কি চিরকাল করতে হবে? মৌমাছি ভনভন কতক্ষণ করে? যতক্ষণ না ফুলে বসে। মধুপানের সময় ভনভনানি চলে যায়। কাপ্তেন বললে, ‘আপনার মতো আমরা কি পূজা আর আর কর্ম ত্যাগ করতে পারি?’ তার কিন্তু কথার ঠিক নাই, — কখনও বলে, ‘এ-সব জড়।’ কখনও বলে, ‘এ-সব চৈতন্য (Ramakrishna)।’ আমি বলি, জড় আবার কি? সবই চৈতন্য!”

    পূর্ণ ও মাস্টার—জোর করে বিবাহ ও শ্রীরামকৃষ্ণ 

    পূর্ণর কথা ঠাকুর মাস্টারকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—পূর্ণকে আর-একবার দেখলে আমার ব্যাকুলতা একটু কম পড়বে!—কি চতুর!-আমার উপর খুব টান; সে বলে, আমারও বুক কেমন করে আপনাকে দেখবার জন্য। (মাস্টারের প্রতি) তোমার স্কুল থেকে ওকে ছাড়িয়ে নিয়েছে, তাতে তোমার কি কিছু ক্ষতি হবে?

    মাস্টার — যদি তাঁরা (বিদ্যাসাগর)—বলেন, তোমার জন্য ওকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিলে,— তাহলে আমার জবাব দিবার পথ আছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—কি বলবে?

    মাস্টার—এই কথা বলব, সাধুসঙ্গে ঈশ্বরচিন্তা হয়, সে আর মন্দ কাজ নয়; আর আপনারা যে বই পড়াতে দিয়েছেন, তাতেই আছে—ঈশ্বরকে প্রাণের সহিত ভালবাসবে।

    ঠাকুর হাসিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কাপ্তেনের বাড়িতে ছোট নরেনকে ডাকলুম। বললাম, তোর বাড়িটা কোথায়? চল যাই।—সে বললে, ‘আসুন’। কিন্তু ভয়ে ভয়ে চলতে লাগল সঙ্গে—পাছে বাপ জানতে পারে! (সকলের হাস্য)

    (অখিলবাবুর প্রতিবেশীকে)—“হ্যাঁগা, তুমি অনেক কাল আস নাই। সাত-আট মাস হবে।”

    প্রতিবেশী—আজ্ঞা, একবৎসর হবে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তোমার সঙ্গে আর-একটি আসতেন।

    প্রতিবেশী—আজ্ঞা হাঁ, নীলমণিবাবু।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Kathamrita)—তিনি কেন আসেন না?—একবার তাঁকে আসতে বলো, তাঁর সঙ্গে দেখা করিয়ে দিও। (প্রতিবেশীর সঙ্গী বালক দৃষ্টে)—এ-ছেলেটি কে?

    প্রতিবেশী—এ-ছেলেটির বাড়ি আসামে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—আসাম কোথা? কোন্‌ দিকে?

    দ্বিজ আশুর কথা বলিতেছেন। আশুর বাবা তার বিবাহ দিবেন। আশুর ইচ্ছা নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—দেখ দেখ, তার ইচ্ছা নাই, জোর করে বিবাহ দিচ্ছে।

    ঠাকুর একটি ভক্তকে জ্যেষ্ঠভ্রাতাকে ভক্তি করিতে বলিতেছেন,—“জ্যেষ্ঠ-ভাই, পিতা সম, খুব মানবি।”

  • Dattatreya Hosabale: “মণিপুরে আরএসএসের কর্মীরাও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন”, বললেন হোসাবলে

    Dattatreya Hosabale: “মণিপুরে আরএসএসের কর্মীরাও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন”, বললেন হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মণিপুরের পরিস্থিতির আগেও অবনতি হয়েছিল। তবে এখন সেখানে শান্তি ফিরে আসছে এবং মানুষ নতুন আশায় উজ্জীবিত। স্বয়ংসেবক সংঘের কর্মীরাও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। একই রাজ্যের দু’টি সম্প্রদায়ের একে অপরের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোটা উচিত নয়। পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হচ্ছে এবং সমাজ ও সরকার দু’পক্ষই সম্পূর্ণ স্বাভাবিকতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।”

    আরএসএসের অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল (Dattatreya Hosabale) 

    আরএসএসের (RSS) অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল বৈঠকের শেষ দিনে সাংবাদিক সম্মেলনে কথাগুলি বললেন সংগঠনের সহসরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale)। এই বৈঠকে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের বিজয়া দশমীর ভাষণে উত্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে নাগপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কয়েকটি বিদেশি দেশের প্রতিনিধিদলও এই উদযাপনে অংশ নেয়। দালাই লামাও এই উপলক্ষে সংঘকে শুভেচ্ছা জানান।২০২৫ সালের ২ অক্টোবর ১০০ বছর পূর্ণ করে আরএসএস। হোসাবলে ধর্ম, বাণিজ্য, শিল্প-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সেই সব ব্যক্তিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যাঁরা সংঘকে শতবর্ষে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    কী বললেন হোসাবলে

    নাগপুরে আয়োজিত ‘পথ সঞ্চালনে’ মোট ১৪ হাজার ১০১ জন স্বয়ংসেবক অংশ নেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায়ও একইভাবে এই অনুষ্ঠান হয়। হোসাবলে স্বয়ংসেবকদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান (Dattatreya Hosabale)। হোসাবলে জানান, শতবর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় যে অনুষ্ঠানগুলি হয়েছে, তা সংঘের কাজের বিস্তৃত সম্প্রসারণেরই প্রতিফলন। বর্তমানে দেশে সংঘের মোট ৫৯ হাজার ৩৪৩টি মণ্ডল রয়েছে। এর মধ্যে ৫০ হাজার ৯৬টি মণ্ডলে অনুষ্ঠান হয়েছে। ৩৭ হাজার ২৫০টি মণ্ডলে ব্যাপক জনসমাগম হয়েছে।

    মহানগর ও নগর এলাকায় মোট ৪০ হাজার ৬৮৬টি বস্তি রয়েছে। তার মধ্যে ৪০ হাজার ২২০টিতেই অনুষ্ঠান হয়েছে। এছাড়াও আরও ৬ হাজার ৭০০টি আলাদা করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তিনি জানান, লাদাখ থেকে শুরু করে পাহাড়ি, উপকূলবর্তী ও উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল – দেশের সর্বত্রই সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এতে (RSS) অংশগ্রহণ করেছেন। হোসাবলে বলেন, “পথ সঞ্চালনে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগেরই বয়স চল্লিশ বছরের নীচে। এ থেকে প্রমাণ হয়, দিন দিন তরুণ প্রজন্ম আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এই আয়োজনে কোনও সম্প্রদায়কেই বাদ দেওয়া হয়নি (Dattatreya Hosabale)।”

  • China: উঠে গেল স্থগিতাদেশ, ভারতে ভারী রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানি শুরু করল চিন

    China: উঠে গেল স্থগিতাদেশ, ভারতে ভারী রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানি শুরু করল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছ’মাসের স্থগিতাদেশের পর ফের ভারতে (India) ভারী রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানি শুরু করেছে চিন (China)। এতে বৈদ্যুতিক যানবাহন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স খাতে কর্মরত ভারতীয় নির্মাতারা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। কারণ এসব গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের ওপর তাঁদের ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হয়। তবে রফতানি আবারও শুরু হলেও কিছু শর্তও যুক্ত হয়েছে।

    চিনের বক্তব্য (China)

    বেজিং সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই ম্যাগনেটগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফের রফতানি করা যাবে না, ব্যবহার করা যাবে না সামরিক কাজেও। চিন-ভারত সম্পর্কের এই ঝলক এমন একটা সময়ে প্রকাশ্যে এল, যখন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৈঠকে বসে বাণিজ্য উত্তেজনা কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, হিতাচি, কন্টিনেন্টাল, জে উশিন এবং ডি ই ডায়মন্ডস এই চারটি ভারতীয় কোম্পানি চিনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ম্যাগনেট আমদানির অনুমোদন পেয়েছে। এক প্রবীণ শিল্প আধিকারিক বলেন, “সরবরাহের (ম্যাগনেট) ক্ষেত্রে কিছুটা স্বস্তি দেখা যাচ্ছে। চারটি কোম্পানি রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট আমদানির অনুমোদন পেয়েছে।” এদিকে, কলকাতা ও গুয়াংঝুর মধ্যে সরাসরি উড়ানও ফের চালু হয়েছে, যার জেরে আরও অনায়াস হবে ভারত-চিন বাণিজ্য।

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়া

    ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও জানান, এই আমদানির জন্য লাইসেন্স দিয়েছে চিন। তিনি বলেন, “আমাদের দেখতে হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র–চিন আলোচনার প্রভাব আমাদের ওপর কীভাবে পড়ে (China)।” প্রসঙ্গত, বিশ্বের মোট রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট উৎপাদনের প্রায় ৯০ শতাংশেরই নিয়ন্ত্রণকারী চিন। গত ৪ এপ্রিল জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা বলে, মার্কিন শুল্ক হারের প্রতিক্রিয়ায় নতুন রফতানি নিষেধাজ্ঞা জারি করে চিন। এই পদক্ষেপের ফলে রফতানিকারীদের বিশেষ লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়।

    ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে ভারত (India) ৮৭০ টন রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট আমদানি করেছে। এর মূল্য ছিল ৩০৬ কোটি টাকা। এর আগে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ক্রিটিক্যাল রেয়ার আর্থ উপকরণ সরবরাহের জন্য চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক বছরের একটি চুক্তির কথা ঘোষণা করেছিলেন (China)।

  • JNUSU: জেএনইউতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আগে বন্দেমাতরম ধ্বনিতে বিশাল মিছিল এবিভিপির

    JNUSU: জেএনইউতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আগে বন্দেমাতরম ধ্বনিতে বিশাল মিছিল এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNUSU) ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে ঘিরে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ ক্যাম্পাসে বিরাট মশাল মিছিলের আয়োজন করেছে। ক্যাম্পাসে বিদ্যার্থী পরিষদ কতটা শক্তিশালী তাকেই প্রদর্শিত করেছে এই মিছিলে। ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন অভাব-অভিযোগের কথা তুলে ধরে সরব হতে দেখাও গিয়েছে। একই ভাবে জাতীয়তাবাদী স্লোগান ‘বন্দে মাতরম’ এবং ‘ভারত মাতা জয়ধ্বনি’-তে ক্যাম্পাস বিরাট ভাবে আলোড়িত হয়।

    কয়েকশত ছাত্রের মিছিল (JNUSU)

    ৩১ অক্টোবর রাতে জেএনইউতে মশালের লাল আগুনের মহামিছিল ক্যাম্পাসকে দারুণ ভাবে শিহরিত করে তুলেছিল। ক্যাম্পাসের গঙ্গা ধাবা থেকে মিছিল শুরু হয় এবং বরাক হস্টেল পর্যন্ত পদযাত্রা করে শেষ করা হয়। মিছিলে অংশগ্রহণ করেন এবিভিপির রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. বীরেন্দ্র সোলাঙ্কি। এই মশাল যাত্রা ছিল বাম-নকশালদের লাল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যাত্রা। কয়েক’শ ছাত্র, অধ্যাপক, গবেষক এবং অশিক্ষক কর্মচারী যোগদান করেন। তবে আগামী ছাত্র সংসদের নির্বচানে এবিভিপি বিশেষ ভাবে আশাবাদী। এই মশাল মিছিলে যোগদান করে নেতৃত্ব দেন এবিভিপির কেন্দ্রীয় প্যানেলের প্রার্থীরা। সভাপতি পদপ্রার্থী দাঁড়িয়েছেন বিকাশ প্যাটেল, সহসভাপতি পদে প্রার্থী তানিয়া কুমারী, সাধারণ সম্পাদক পদে পদপ্রার্থী রাজেশ্বর কাণ্ডদুবে আর যুগ্ম সম্পাদক অনুজ।

    বামপন্থীরা ক্যাম্পাসের বাতাবরণকে বিষিয়ে দিয়েছে

    এবিভিপির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী প্রচার প্রধান অরুণ শ্রীবাস্তব বলেন, “আজ আমরা ক্যাম্পাসে একটি বড় মশাল মিছিল করেছি। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বামপন্থীরা ক্যাম্পাসের বাতাবরণকে বিষিয়ে দিয়েছে। নৈরাজ্য এবং বিশৃঙ্খলা থেকে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা মুক্তি চায়। এই বছর ক্যাম্পাসের সকল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ এবং উদ্দীপনা চরম তুঙ্গে। প্রত্যকে পদে এবিভিপি জয়ী হবে।” উল্লেখ্য গত বছর এবিভিপির তরফে যুগ্ম সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছিল।

    উল্লেখ্য ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বামপন্থী ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ আফজল গুরু, ইয়াকুব মেমনরে মতো জঙ্গির মৃত্যুদিন পালন করে ভারতকে ভাগ করার স্লোগান তুলেছিল। এই ঘটনার পর দেশজুড়ে বিরাট ঝড় উঠেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত লজ্জার এবং ভারতের জন্য অত্যন্ত খারাপ বলে রাজনীতির একাংশের মানুষ মন্তব্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। সাধারণ মানুষের মনেও ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল।

  • ICC Women’s World Cup: নয়া চ্যাম্পিয়নের অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব! ফাইনালে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা কঠিন লড়াই

    ICC Women’s World Cup: নয়া চ্যাম্পিয়নের অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব! ফাইনালে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা কঠিন লড়াই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাপ আর ঠোঁটের মধ্যে রয়েছে একটু ফারাক। অপেক্ষা আর কয়েক ঘণ্টার। সেমিফাইনালে কঠিন প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa)। ফাইনালে (ICC Women’s World Cup) যে দলই জিতুক মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপে এবার দেখা যাবে নতুন চ্যাম্পিয়ন। মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে রবিবার নবি মুম্বইয়ের ডিওয়াই পটেল স্টেডিয়ামের বাইশ গজ পরীক্ষা নেবে দু’দলের। প্রথম বার ফাইনালে উঠেছেন লরা উলভার্টেরা। প্রথম বার ট্রফি জয়ে মরিয়া হরমনপ্রীত কৌরেরাও। শক্তির বিচারে তুল্যমূল্য লড়াই হতে পারে দু’দলের।

    ঘরের মাঠে এগিয়ে ভারত

    ভারতের বিশ্বকাপ অভিযান মোটেই মধুর ছিল না। দারুণ শুরু করেও পরপর ৩টি ম্যাচ হেরে গিয়েছিল ভারত। তবে সেই দুর্দশা কাটিয়ে পারফরম্যান্সের উপর ভর করেই সেমিফাইনালে ওঠে ভারত। সেখানে তাদের মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া। আর সেই ম্যাচ রুদ্ধশ্বাসভাবে জিতে নেয় ভারতের মেয়েরা। সেমিফাইনালে জেমাইমা দারুণ পারফর্ম করেন। তিনি ১২৭ রানে ছিলেন অপরাজিত। তার ব্যাটের উপর ভর করেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতে ভারত। পৌঁছে যায় ফাইনালে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ফাইনালে এগিয়ে রয়েছে ভারত। কারণ, প্রথমত দেশের মাটিতে হচ্ছে খেলা। ফলে দর্শকরা সাপোর্টে থাকবে। পিচও চেনা। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে হরমনপ্রীত ব্রিগেড। তার ফলে আত্মবিশ্বাস থাকবে বেশি। সেটাও ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    অতীত রেকর্ডে কে এগিয়ে

    ওডিআইতে এর আগে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা ৩৪ বার মুখোমুখি হয়েছে। তাতে ভারতের মেয়েরা জিতেছে ২০ বার। আর প্রোটিয়াদের জয় ১৩ বার। এক ম্যাচ অমীমাংসিত। এ বার দেখার রবি-রাতে কোন দল করে বাজিমাত। বিশ্বকাপে যে টিমই জিতবে, সেটি তাদের প্রথম খেতাব। ওডিআই ফর্ম্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এগিয়ে থাকলেও, এবারের ওডিআই বিশ্বকাপে লিগ পর্যায়ের ম্যাচে হেরে গিয়েছে ভারতীয় দল। বিশাখাপত্তনমে (Visakhapatnam) সেই ম্যাচে তিন উইকেটে জয় পায় প্রোটিয়ারা। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৯.৫ ওভারে ২৫১ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতীয় দল। ৪৮.৫ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান তুলে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচে ৭৭ বলে ৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন রিচা ঘোষ (Richa Ghosh)। রবিবারও তিনি ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে ভারতীয় দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে তৈরি।

    ভারতের মূল শক্তি ব্যাটিং

    হরমনপ্রীতের দলের মূল শক্তি ব্যাটিং। মহিলাদের এক দিনের ক্রিকেটে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার স্মৃতি মন্ধানা। বিশ্বকাপে ফর্মে আছেন ওপেনার। আটটি ম্যাচে করেছেন ৩৮৯ রান। একটি শতরান এবং দু’টি অর্ধশতরান করেছেন। তাঁর সঙ্গে ইনিংস শুরু করবেন শেফালি বর্মা। এক বছর পর এক দিনের ক্রিকেটে সুযোগ পেয়েছেন। ছন্দে রয়েছেন। অনুশীলনে বড় শট নিচ্ছেন আত্মবিশ্বাসী শেফালি। মন্ধানা-শেফালি ওপেনিং জুটি জমে গেলে পাওয়ার প্লে-তেই ম্যাচের রাশ নিয়ে নিতে পারে ভারত। শুধু ওপেনিং নয়, ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারও বিশ্বের অন্যতম সেরা। জেমাইমা, হরমনপ্রীত ফর্মে ফিরেছেন। দীপ্তি শর্মা, রিচা ঘোষের মতো আগ্রাসী ব্যাটার নামেন পাঁচ থেকে সাত নম্বরের মধ্যে। রয়েছেন আমনজ্যোৎ কৌরের মতো ব্যাটিং অলরাউন্ডার। হরলিন দেওলের মতো ব্যাটারকে সেমিফাইনালে খেলায়নি ভারত। মুম্বইয়ের চেনা পিচে এই ব্যাটিং লাইন আপের পক্ষে বড় রান তোলা অসম্ভব নয়। এ বারের বিশ্বকাপেই তিনটি ম্যাচে ভারত ৩৩০ বা তার বেশি রান তুলেছে। ব্যাটিং নিঃসন্দেহে ভারতীয় দলের প্রধান শক্তি।

    দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংও বেশ শক্তিশালী

    ভারতীয় দলের আর এক শক্তির জায়গা স্পিন বোলিং। রাধা যাদব, দীপ্তি, স্নেহ রানা এবং শ্রী চরণির মতো স্পিনার রয়েছেন। বিশ্বকাপে ভাল ফর্মে রয়েছেন তিন জনই। দীপ্তি ১৭ উইকেট নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় যুগ্ম সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। চরণি ১৩টি উইকেট নিয়েছেন। চার স্পিনার মিলে আট ম্যাচে নিয়েছেন ৪১টি উইকেট। ভারতীয় বোলারেরা নিয়েছেন ৬৯টি উইকেট। অর্থাৎ, ৫৯.৪২ শতাংশ উইকেট নিয়েছেন স্পিনারেরাই। মুম্বইয়ের ২২ গজে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট নেওয়া তাঁদের পক্ষে কঠিন নয়। বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের পারফরম্যান্স অনেকটাই নির্ভর করবে স্পিনারদের উপর। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংও বেশ শক্তিশালী। উলভার্টদের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হল, প্রথম থেকেই দ্রুতগতিতে রান তুলতে পারেন প্রোটিয়া ব্যাটারেরা। জন্টি রোডসের দেশের মহিলা দলের ফিল্ডিংও বেশ ভাল। দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তির আর একটি জায়গা হল জোরে বোলিং।

    ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের খুঁটিনাটি

    ম্যাচটি কখন শুরু হবে: ভারতীয় সময় অনুসারে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৩টে নাগাদ। ম্যাচের আগে ২.৩০মিনিটে টস হবে।

    কোথায় দেখা যাবে: ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটির লাইভ টেলিকাস্ট দেখা যাবে টিভিতে স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্কে। এখানে ইংরেজি, হিন্দি এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় খেলা দেখতে পারবেন। মোবাইলে এই ম্যাচের লাইভ স্ট্রিমিং দেখা যাবে জিওহটস্টার অ্যাপ্লিকেশনে। পাশাপাশি জিও হটস্টার ওয়েবসাইটে।

  • BJP: “কংগ্রেস সভাপতি পিএফআই, মুসলিম লিগ ও জামিয়ত উলেমার ভাষায় কথা বলছেন”, তোপ বিজেপির

    BJP: “কংগ্রেস সভাপতি পিএফআই, মুসলিম লিগ ও জামিয়ত উলেমার ভাষায় কথা বলছেন”, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে পিএফআই, মুসলিম লিগ ও জামিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের ভাষায় কথা বলছেন।” খাড়গের আরএসএস সংক্রান্ত মন্তব্যের নিন্দে করতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করল বিজেপি (BJP)। শুক্রবার খাড়গে বলেন, “আমার ব্যক্তিগত মত অনুযায়ী, আরএসএসের (RSS) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত। কারণ দেশের অধিকাংশ আইনশৃঙ্খলা সমস্যা বিজেপি-আরএসএসের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে।” তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারি কর্মচারীদের সংঘের সঙ্গে যুক্ত হতে দিয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের উত্তরাধিকারের অপমান করেছেন।

    খাড়গের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির প্রতিক্রিয়া (BJP)

    খাড়গের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি সাংসদ তথা জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, “আমরা খাড়গের আরএসএস সম্পর্কে মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি। আজ তিনি আরএসএসের বিরুদ্ধে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, মুসলিম লিগ এবং জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দের ভাষার মতো।” তাঁর মতে, এমন আপত্তিকর মন্তব্য করার আগে আরএসএস এবং দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানা উচিত ছিল কংগ্রেস সভাপতির। তিনি বলেন, “মহাত্মা গান্ধী, বিআর আম্বেডকর, জওহরলাল নেহরু এবং ইন্দিরা গান্ধী সংঘ সম্পর্কে কী বলেছেন, খাড়গের তা জানা ও বোঝা উচিত ছিল।” সম্বিত বলেন, “১৯৩৪ সালে ওয়ার্ধায় সংঘের একটি শিবির পরিদর্শন করার পর মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন যে সংগঠনে শৃঙ্খলা এবং অস্পৃশ্যতার অনুপস্থিতি দেখে তিনি অত্যন্ত বিস্মিত হয়েছিলেন। ১৯৩৯ সালে পুনেতে সংঘের একটি শিবির পরিদর্শনের পর আম্বেডকর বলেছিলেন যে সংগঠনে উচ্চবর্ণ ও নিম্নবর্ণের মধ্যে সম্পূর্ণ সমতার পরিবেশ দেখে তিনি সন্তুষ্ট হয়েছেন।”

    গান্ধী-নেহরু-ইন্দিরা-প্রণবের আসএসএস প্রশস্তি

    তিনি (BJP) বলেন, “১৯৬২ সালের ভারত–চিন যুদ্ধের পর জওহরলাল নেহরু ১৯৬৩ সালের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সংঘকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং সংঘ অংশগ্রহণ করেছিল। এসব নথিভুক্ত ইতিহাস।” বিজেপির এই নেতা বলেন, “মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে কাপূর কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে আরএসএসের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক ছিল না এবং এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ও সর্বসাধারণের ডোমেইনে রয়েছে।” তিনি বলেন, “মহাত্মা গান্ধী ও নেহরু থেকে শুরু করে ইন্দিরা গান্ধী ও প্রণব মুখোপাধ্যায় – সকলেই সংঘের প্রশংসা করেছেন। মল্লিকার্জুন খাড়গের উচিত আরএসএসের (RSS) ইতিহাস এবং দেশের ইতিহাস পড়া। সংঘ সম্পর্কে কংগ্রেসের বহু নেতার কী মন্তব্য ছিল, সেটাও তাঁর জানা ও বোঝা উচিত (BJP)।”

  • Ford in India: ট্রাম্পের কথাকে গুরুত্বই দিল না মার্কিন সংস্থা! ভারতে ৩২৫০ কোটি টাকা লগ্নির ঘোষণা ফোর্ডের

    Ford in India: ট্রাম্পের কথাকে গুরুত্বই দিল না মার্কিন সংস্থা! ভারতে ৩২৫০ কোটি টাকা লগ্নির ঘোষণা ফোর্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুগল, অ্যাপলের পর এবার ফোর্ড (Ford Cars)! প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) কথা উপেক্ষা করে ভারতেই বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করল আরও এক মার্কিন সংস্থা। তামিলনাড়ুর প্ল্যান্টে ফের লগ্নির কথা জানিয়েছে আমেরিকান গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ফোর্ড মোটর্স কোম্পানি। ভারতে গাড়ির অত্যাধুনিক ইঞ্জিন তৈরির জন্য প্রাথমিক ভাবে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার লগ্নি করবে মার্কিন অটোমেকার সংস্থা। বিশ্ব বাণিজ্যের দোলাচল পরিস্থিতি, সেই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রমাগত ‘হুমকি’র মধ্যেই এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে ফোর্ড।

    ট্রাম্পের কথা না শুনেই বিনিয়োগ

    তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের কাছে অবস্থিত মারাইমালাই নগরে ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট রয়েছে ফোর্ড মোটর্সের। কিন্তু গত চার বছর ধরেই এই প্ল্যান্ট রয়েছে বন্ধ। এক বছর আগে এই প্ল্যান্ট খোলার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছিল ফোর্ড। কিন্তু এর মধ্যেই বিশ্ববাণিজ্যে জটিলতা তৈরি হয়। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন মার্কিন সংস্থাকে আমেরিকার মাটিতে উৎপাদনের জন্য চাপ দিতে শুরু করে। ভারতে বিনিয়োগ নিয়ে সরাসরি অসন্তোষও প্রকাশ করেছিলেন। তার পরেই ফোর্ডের বিনিয়োগের বিষয়টি থমকে ছিল। শুক্রবার ট্রাম্পের আপত্তিতে কর্ণপাত না করে ভারতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগের ঘোষণা করল বিশ্বের প্রথম সারির অটোমেকার সংস্থা।

    ভারতে লগ্নি, খুশি মার্কিন সংস্থা

    ফোর্ড মোটর্স কোম্পানির আন্তর্জাতিক মার্কেটের প্রেসিডেন্ট জেফ ম্যারেনটিক বলেছেন, ‘ফোর্ডের ম্যানুফ্যাকচারিং নেটওয়ার্কে চেন্নাইয়ের প্ল্যান্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই প্ল্যান্টকে কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরে আমরা খুশি।’ ফোর্ড তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। কোম্পানি জানিয়েছে, প্রাথমিক বিনিয়োগ ৬০০ টিরও বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। এই বছরের শেষ নাগাদ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। সম্পূর্ণরূপে সম্পন্ন হলে, এই প্ল্যান্টটি প্রতি বছর ২,৩৫,০০০ ইঞ্জিন উৎপাদনের ক্ষমতা রাখবে। অনুমান করা হচ্ছে যে ২০২৯ সালের মধ্যে এই প্ল্যান্টটি সম্পূর্ণরূপে চালু হবে। চেন্নাইয়ের প্ল্যান্টে মূলত গাড়ির ইঞ্জিন তৈরি করবে ফোর্ড। সেই প্ল্যান্টে থাকবে ইঞ্জিন তৈরির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং আধুনিক মানের গাড়ির ইঞ্জিন তৈরি করা হবে চেন্নাইয়ের প্ল্যান্টে। সেই সমস্ত ইঞ্জিন রফতানি করা হবে আন্তর্জাতিক বাজারে। তবে ভারতে তৈরি ইঞ্জিন আমেরিকায় পাঠাবে না ফোর্ড।

    মেক-ইন-ইন্ডিয়া স্বপ্ন সফলে এক ধাপ

    ট্রাম্পের নীতি আমেরিকান কোম্পানিগুলিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসে সেখানে উৎপাদন করতে চাপ দিচ্ছে। তা সত্ত্বেও ফোর্ডের মতো কোম্পানিগুলি ছাড়াও অ্যাপল ও গুগল এখন ভারতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করছে। এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আমেরিকান কোম্পানিগুলি এখনও ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল বাজারকে উচ্চ ব্যয় ও কঠোর বাণিজ্য নীতির একটি ভাল বিকল্প হিসেবে দেখছে। ফোর্ড শুক্রবার চেন্নাইতে উৎপাদন পুনরায় শুরু করার কথা জানিয়েছে। ২০২১ সালে ভারতীয় বাজারে কোম্পানির কাজ বন্ধ করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে চেন্নাইয়ের ওই প্ল্যান্টে সরাসরি শতাধিক কাজের সুযোগ তৈরি হবে। এর পাশাপাশি ওই প্ল্যান্টকে কেন্দ্র করে ইনডিরেক্ট এমপ্লয়মেন্টের বড় সম্ভাবনা তৈরি হবে। যা মেক-ইন-ইন্ডিয়া স্বপ্নকে আরও একধাপ এগিয়ে দেওয়ায় সহায়ক হবে।

  • Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার ডেপুটি বিরোধী দলনেতা গৌরব গগৈ (Gaurav Gogoi) পাকিস্তানের এজেন্ট।” অন্তত এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গৌরব গগৈ একজন পাকিস্তানি এজেন্ট। তিনি সম্পূর্ণরূপে পাকিস্তানের এজেন্ট। তাঁর সাহস থাকলে আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করুন। গৌরব গগৈ পাকিস্তান ও আইএসআইয়ের নিযুক্ত চর। হ্যাঁ, আমি এ কথা বলছি একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই।”

    অভিযোগের প্রমাণও রয়েছে (Himanta Biswa Sarma)

    তিনি জানান, তাঁর কাছে এই অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণও রয়েছে। এটি যে কোনও নির্বাচনী ইস্যু নয়, তাও জানিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার মন্তব্যের পক্ষে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। যেদিন আমি তা প্রকাশ করব, সেদিন মানুষ বুঝতে পারবেন যে তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট। বিদেশি শক্তি তাঁকে ভারতে নিয়োগ করেছে। আমি সব কথা প্রমাণ-সহই বলছি।” হিমন্ত বলেন, “২০২৬ সালে নির্বাচন রয়েছে। তা না হলে আমি কঠোর ব্যবস্থা নিতাম। কিন্তু এখন এমন ব্যবস্থা নিলে বিরোধীরা বলবেন, এটি নির্বাচনী ইস্যু। নইলে ওই সব প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি এখন জেলেই থাকতেন।”

    রিপোর্ট জমা দিয়েছে

    প্রসঙ্গত, (Himanta Biswa Sarma) কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ ও তাঁর ব্রিটিশ স্ত্রী এলিজাবেথ কোলবার্নের সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই-ঘনিষ্ঠ এক নাগরিকের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে যে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছিল অসম সরকার, তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সিটের রিপোর্টে পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য উন্মোচন করা হয়েছে। তিনি (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি অসম মন্ত্রিসভা পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ তদন্তের জন্য সিট গঠন করেছিল (Gaurav Gogoi)। এই তদন্তেই সিট এমন চমকপ্রদ তথ্য উদ্ঘাটন করেছে, যা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে।”

  • Australian Report: পাকিস্তানের মাথায় ঝুলছে মৃত্যুর খাঁড়া, হাতল রয়েছে ভারতের হাতে!

    Australian Report: পাকিস্তানের মাথায় ঝুলছে মৃত্যুর খাঁড়া, হাতল রয়েছে ভারতের হাতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুম ছুটেছে পাকিস্তানের! ভারতের সঙ্গে বৈরিতার ফল যে ভালো হবে না, উল্টে পরিণতি যে হবে ভয়ঙ্কর, ইতিমধ্যেই তা টের পেয়ে গিয়েছেন পাক সেনকর্তারা। অস্ট্রেলিয়ার (Australian Report) সিডনি থেকে প্রকাশিত নয়া এক রিপোর্টে প্রকাশিত একটি তথ্য থেকে (India) তামাম বিশ্ব জেনে গিয়েছে, বর্তমানে পাকিস্তানের টিকে থাকাটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে ভারতের দয়ার ওপর।

    ‘ইকোলজিক্যাল থ্রেট রিপোর্ট ২০২৫’ (Australian Report)

    এবার ফেরা যাক মূল খবরে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যা পিস তার ‘ইকোলজিক্যাল থ্রেট রিপোর্ট ২০২৫’-এ একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। তার পরেই ঘুম ছুটে গিয়েছে পাকিস্তানের। ওই রিপোর্টে পাকিস্তান সম্পর্কে যে বক্তব্যটি এসেছে, তাতে বলা হয়েছে, ভারত এখন এমন প্রযুক্তি তৈরি করেছে, যার সাহায্যে সিন্ধু নদের প্রবাহ বদলে দেওয়া সম্ভব, এবং এটি ঠেকানোর ক্ষমতা পাকিস্তানের নেই। উল্লেখ্য যে, অস্ট্রেলিয়ার ওই প্রতিষ্ঠান বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলির একটি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি আর পাঁচটি সাধারণ অ্যাকাডেমিক কোনও গবেষণা রিপোর্ট নয়। এটি পাকিস্তানের মাথার ওপর ঝুলে থাকা মৃত্যুদণ্ডের খাঁড়া, যার হাতল ধরা রয়েছে ভারতের হাতে। ইসলামাবাদের এই সঙ্কটটি এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন পরিস্থিতি এর চেয়ে খারাপ হতে পারে না। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলায় খুন হন ২৬ জন হিন্দু ভারতীয়। তার পরেই পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। এর পাশাপাশি ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের জলসম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করত যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি, তাও স্থগিত করে দেয় নয়াদিল্লি।

    সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত

    সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় প্রমাদ গোণে পাকিস্তান। কারণ পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিজমি সম্পূর্ণভাবে সিন্ধু নদ থেকে সরবরাহ করা জলের ওপর নির্ভরশীল (Australian Report)। এই জল প্রবাহিত হয় ভারতের দিক থেকেই। পাকিস্তানের ঘনবসতিপূর্ণ সমতলভূমি, যেখানে কোটি কোটি মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভর করে বেঁচে রয়েছেন (India), তা পুরোপুরি এমন নদীগুলির জলের ওপর নির্ভরশীল, যেগুলি কোনও চুক্তি ভঙ্গ না করেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ভারত। যদিও জঙ্গিদের মদত দেওয়ায় এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কোনও পদক্ষেপ না করায় জলচুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিসের রিপোর্টে প্রকাশ্যে চলে এসেছে পাকিস্তানের দুর্বলতা। জানা গিয়েছে, ভারতের এই প্রতিবেশী শত্রু দেশটির কাছে মাত্র ৩০ দিনের জল সংরক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে। এই পর্বে নদীর প্রবাহে কোনও বাধা সৃষ্টি হলে ভয়ঙ্কর জলসঙ্কটে পড়বে পাকিস্তান। যার জেরে পাকিস্তান মুখোমুখি হতে পারে

    ভালভ ঘুরিয়ে দিলেই কেল্লাফতে

    দুর্ভিক্ষ এবং অর্থনৈতিক অধঃপতনের (Australian Report)। স্থানীয় লোকজনও এলাকা ছেড়ে ভিড় করতে পারেন শহরে গিয়ে। যা বিশ্বের যে কোনও দেশের পক্ষেই হতে পারে বিপর্যয়ের একটি বড় কারণ। পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে গিয়ে ভারতকে খুব বেশি ‘নীচে’ নামতে হবে না। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু গ্রীষ্মকাল বা কৃষি মরশুমের মতো সঙ্কটপূর্ণ সময়ে বাঁধ পরিচালনায় সামান্য পরিবর্তন আনলেই বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে পাকিস্তানের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে গেলে দেশটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার প্রয়োজন নেই ভারতের। প্রয়োজন নেই মিসাইল খরচেরও। সীমান্তে সেনা পাঠিয়ে অকারণে উত্তেজনা বাড়ানোরও প্রয়োজন নেই। পাকিস্তানের (India) অর্থনীতির কোমর ভেঙে দিতে প্রয়োজন শুধু চাষের সময় স্রেফ বাঁধের কয়েকটি ভালভ ঘুরিয়ে দেওয়া (Australian Report)।

    ‘রান-অফ-দ্য-রিভার’

    রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, এই পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারত যখন সিন্ধু জল-বণ্টন চুক্তি স্থগিত করে, তখন তারা পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও পরামর্শ ছাড়াই চেনাব নদীর জল ছেড়ে দেয়। শুরুতে নদীর কিছু অংশ পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়েছিল। পরে যখন ভারত হঠাৎ করে লকগেট খুলে দেয়, তখন কাদামাটি-মেশানো তীব্র স্রোত ধেয়ে আসে পাকিস্তানের দিকে। অসহায়ভাবে তা দেখতে হয় পাকিস্তানের নাগরিকদের। অস্ট্রেলিয়ার ওই সংস্থার রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলির ওপর যেসব বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলি কোনও বিশাল জলাধার নয়। আদতে সেগুলি ‘রান-অফ-দ্য-রিভার’ প্রকল্প, যা স্থায়ীভাবে আটকে রাখতে পারে না জলপ্রবাহ। পাকিস্তানের চিন্তার কারণ হল, জল ছাড়ার জন্য লকগেট কখন খোলা হবে, বন্ধই বা করা হবে কখন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার রশি রয়েছে ভারতের হাতে। জল কখন ছাড়বে, কতক্ষণ ধরে জলপ্রবাহ বইবে, এসবই ঠিক করে ভারত। কারণ জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি রয়েছে নয়াদিল্লির হাতেই। প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালের জলচুক্তি অনুযায়ী, ভারত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে সিন্ধু, ঝিলম এবং চেনাব – পশ্চিমাঞ্চলীয় এই তিন নদীর জল পাকিস্তানের সঙ্গে ভাগ করে নেবে (India)। আর ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকবে পূর্বের তিন নদী-বিয়াস, রাভি ও শতদ্রু। চুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ভারতের আর সেই বাধ্যবাধকতা নেই। শীতের মরশুমে যার চড়া মাশুল গুণতে হতে পারে পাকিস্তানকে (Australian Report)।

    পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা

    এমনিতেই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয়। শাসকরা সুখে রইলেও, আম-পাকিস্তানবাসীর অবস্থা করুণ। এই দিক থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সন্ত্রাসবাদকে। জঙ্গিদের নিয়মিত রসদ এবং মদত জুগিয়ে মজিয়ে রেখেছে পাকস্তানের যুব সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশকে। সেই কারণেই পাকিস্তানের বাজেটে জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তার চেয়ে ঢের বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয় প্রতিরক্ষা খাতে। তাই প্রতিরক্ষা খাতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত লোকজন সুখে থাকলেও, পেটে ভিজে গামছা দিয়ে দিন গুজরান করেন পাকিস্তানের একটা বড় অংশের মানুষ। তার পরেও ইসলামাবাদের (পাকিস্তানের রাজধানী) ধারণা ছিল যে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ও জেহাদি প্রক্সিগুলির কারণে তারাই কৌশলগত দিক থেকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে। পাকিস্তানের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা ভাবতেই পারেননি যে, হাতে না মেরেও ভারত পাকিস্তানকে মারতে পারে আক্ষরিক অর্থেই ভাতে। জলসম্পদ ও পরিকাঠামো উন্নয়নে ভারত যে দীর্ঘমেয়াদি লগ্নি করে চলেছে, তা বুঝতেই পারেনি (Australian Report) পাকিস্তান।

    সবচেয়ে শক্তিশালী অ–সামরিক অস্ত্র

    ভারত বাঁধ তৈরি করেছে। গড়েছে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ভারত এমন প্রযুক্তি তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে নদীর জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব। সন্ত্রাসের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা পাকিস্তান বুঝতেই পারেনি যে ভারতের হাতে সে তুলে দিয়েছে সবচেয়ে শক্তিশালী অ–সামরিক অস্ত্রটি। এখন, অপারেশন সিঁদুর ও সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে ভয়ঙ্কর বাস্তবতার। এই বাস্তবতাটি হল ভারত একটিও গুলি না ছুড়ে ভেঙে ফেলতে পারে পাকিস্তানের নড়বড়ে (India) অর্থনীতির মেরুদণ্ড। চোখের সামনে সব কিছু ঘটতে দেখলেও, হাত গুটিয়েই বসে থাকতে হবে ইসলামাবাদকে (Australian Report)।

  • Financial Rule Change: ব্যাঙ্ক থেকে আধার, জিএসটি থেকে পেনশন, ১ নভেম্বর থেকে বদলে গেল এই নিয়মগুলি

    Financial Rule Change: ব্যাঙ্ক থেকে আধার, জিএসটি থেকে পেনশন, ১ নভেম্বর থেকে বদলে গেল এই নিয়মগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার, ১ নভেম্বর থেকে বদলে গেল ব্যাঙ্কিং (Bank News) ও টাকা সংক্রান্ত নিয়ম (Financial Rule Change)। গ্রাহক হিসেবে আপনার জীবনেও পড়তে পারে একাধিক প্রভাব। পরিষেবা পেতে কি আরও বেশি খরচ হবে? ব্যাঙ্কিং নিয়ম থেকে আধার একাধিক ক্ষেত্রে বদলে যাচ্ছে ৫টি নিয়ম। আসুন দেখে নিই কোন কোন নিয়ম বদলে যাচ্ছে।

    এসবিআইতে অতিরিক্ত চার্জ (Financial Rule Change)

    ১ নভেম্বর থেকে স্টেট ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড (Financial Rule Change) ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট লেনদেনের ওপর অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। ক্রেড বা মোবিকুইক-এর মতো তৃতীয় পক্ষের অ্যাপের মাধ্যমে করা শিক্ষা-সম্পর্কিত পেমেন্ট যেমন স্কুল বা কলেজের ফিতে ১ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। আবার যদি ১০০০ টাকার বেশি এসবিআই কার্ডের (Bank News) সঙ্গে একটি ডিজিটাল ওয়ালেট লোড অর্থাৎ পেটিএম বা ফোন-পে করেন তাহলে ১ শতাংশ ফি করে চার্জ দিতে হবে।

    আধার আপডেট

    শিশুদের জন্য আধার কার্ড আপডেটের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে ইউআইডিএআই। শিশুদের জন্য বায়োমেট্রিক আপডেট এখন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়া হবে। তবে আধার কার্ডে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ বা মোবাইল নম্বর আপডেটের জন্য খরচ হবে ৭৫ টাকা। আঙুলের ছাপ বা চোখের স্ক্যান খরচ হবে ১২৫ টাকা। তবে কোনও প্রকার নথি ডাউনলোড না করেই মৌলিক বিবরণ- যেমন নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা—আপডেট করতে করতে পারবেন।

    জিএসটিসিতে সুবিধা

    ১ নভেম্বর থেকে জিএসটি কাঠামোতে বড় পরিবর্তন হয়েছে। আগের চারটি স্ল্যাব ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ, ২৮ শতাংশ–কে আরও সরলীকরণ করা হয়েছে। ১২ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ স্ল্যাব বাদ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত, বিলাসবহুল এবং ক্ষতিকারক পণ্যের উপর এখন ৪০ শতাংশ পর্যন্ত জিএসটি হারে প্রযোজ্য হবে। সাধারণ মানুষকে সুবিধা দিতেই এই সরলীকরণ করা হয়েছে।

    লকারে মনোনয়ন সুবিধা

    ১ নভেম্বর থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের (Bank News) জন্য মনোনয়ন নিয়ন্ত্রণকারী নিয়মগুলিকে (Financial Rule Change) সংশোধন করা হয়েছে। এখন একটি সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট, লকার, নিরাপদ করতে সর্বাধিক চারজন মনোনীত করা যেতে পারে। মনোনীত ব্যক্তির নাম সংযোজন করবে। ফলে আপদকালীন পরিস্থিতিতে এই তহবিল থেকে সব এক্সেসকে সহজ করা হবে।

    পেনশনে সুবিধা

    তবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুখবর বার্তা রয়েছে। জাতীয় পেনশন ব্যবস্থায় ইউনিফায়েড পেনশন স্কিমকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই পরিষেবায় যে সব গ্রাহকরা সুবিধা পেতে চান, দ্রুত আবেদন করতে পারবেন। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত সময়ে কর্মীরা নিজেদের বিকল্পগুলিকে পর্যালোচনা করে পরিকল্পনা করার বিশেষ সুযোগ পাবেন।

LinkedIn
Share