Tag: bangla news

bangla news

  • Pahalgam Attack: পকেটে পাক ভোটার কার্ড, চকোলেট! কীভাবে পহেলগাঁওয়ে প্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা, জানাল কেন্দ্র

    Pahalgam Attack: পকেটে পাক ভোটার কার্ড, চকোলেট! কীভাবে পহেলগাঁওয়ে প্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের দাচিগামে ‘অপারেশন মহাদেব’-এর (Operation Mahadev) সময়ে নিহত তিন জঙ্গিই পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Attack) জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। অভিযানের পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ এবং সেনা যে তথ্য পেয়েছে, তা থেকে প্রমাণিত যে ওই তিন জন পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের কাছ থেকে পাকিস্তানের ভোটার পরিচয়পত্র, করাচিতে তৈরি চকোলেট এবং একটি মেমারি কার্ড মিলেছে, যাতে তাদের আঙুলের বায়োমেট্রিক ছাপ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে আগেই জানিয়েছিলেন, ‘অপারেশন মহাদেবে’ নিকেশ হওয়া তিন জঙ্গির থেকে পাকিস্তানি ভোটার কার্ড মিলেছে। এবার গোয়েন্দা সংস্থাগুলির প্রকাশ করা রিপোর্টেও উঠে এল সেই তথ্য। শুধু তাই নয়, কবে কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকল তিন জঙ্গি, সেই নিয়েও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

    তিন জঙ্গির কবে -কীভাবে ভারতে প্রবেশ

    ‘অপারেশন মহাদেব’-এ (Operation Mahadev)  নিহত হয় তিন জঙ্গি। তারা হল সুলেমান শাহ ওরফে ফয়জল জাট, আবু হামজা ওরফে আফগান এবং ইয়াসির ওরফে জিবরান। সুলেমান লস্করের এক জন এ প্লাস প্লাস কমান্ডার ছিল। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সুলেমানই পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রী। হামলার অন্যতম প্রধান বন্দুকবাজও ছিল। হামজা এবং ইয়াসির এ-গ্রেড লস্কর কমান্ডার ছিল। পহেলগাঁওয়ের হামলায় হামজা দ্বিতীয় এবং ইয়াসির তৃতীয় বন্দুকবাজ ছিল। গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের মে মাসে গুরেজ সেক্টর থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল এই তিন জঙ্গি। হামলার আগের দিন বৈসরন থেকে ২ কিমি দূরত্বে একটি কুঠুরিতে আশ্রয় নেয় তারা। হামলার দিন সকালে ট্রেকিং করে বৈসরনে যায় তিনজন। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া শেল কেসিং মিলে গিয়েছে ‘অপারেশন মহাদেবে’র পর উদ্ধার হওয়া একে-১০৩ রাইফেলের সঙ্গে। জঙ্গিদের স্যাটেলাইট ফোন থেকে মিলেছে একটি মাইক্রো এসডি কার্ড-ও। জঙ্গিদের পকেটে ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরবাদে তৈরি চকলেটের মোড়কও।

    তিন জঙ্গিই পাকিস্তানের বাসিন্দা

    এএনআইয়ের তরফে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ভুল জঙ্গিদের স্কেচ প্রকাশ করেছিল কাশ্মীর পুলিশ। তবে শেষ পর্যন্ত ২৮ জুলাই পহেলগাঁও হামলার জঙ্গিদের নিকেশ করা হয় ‘অপারেশন মহাদেবে’র (Operation Mahadev) মাধ্যমে। তাদের থেকে পাকিস্তানি ভোটার কার্ড, চকলেট এবং বায়োমেট্রিক ডেটাবোঝাই মাইক্রো এসডি চিপ মিলেছে। সুলেমান এবং আফগানের পকেট থেকে পাওয়া ল্যামিনেট করা ভোটার কার্ডে লেখা রয়েছে, তারা যথাক্রমে লাহোর এবং গুজরানওয়ালার বাসিন্দা। জঙ্গিদের স্যাটেলাইট ফোন থেকে একটি মেমরি কার্ড মিলেছে। ফোনটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ওই মেমরি কার্ডে রয়েছে এনএডিআরএ-র (ন্যাশনাল ডেটাবেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অথরিটি) তথ্য। তা থেকে তিন জঙ্গির বায়োমেট্রিক তথ্যও মিলেছে। কী রয়েছে সেখানে? জঙ্গিদের আঙুলের ছাপ, মুখের অবয়ব, পরিবারের বিষয়ে তথ্য, যা থেকে স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে যে, তিন জনেই পাকিস্তানের বাসিন্দা। দু’টি ঠিকানাও মিলেছে সেই মেমারি কার্ড থেকে। একটি ঠিকানা কাসুর জেলার চাঙ্গা মাঙ্গার, দ্বিতীয়টি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটের কোইয়ান গ্রামের। এছাড়াও এসডি চিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও তিন জঙ্গির পাক নাগরিকত্ব প্রমাণ হয়েছে। তারা সকলেই লস্কর-এর সদস্য, তার প্রমাণও মিলেছে। এতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পিছনে পাকিস্তানেরই হাত ছিল। তিনজনের কেউই স্থানীয় কাশ্মিরি জঙ্গি নয়।

  • Shibu Soren: প্রয়াত শিবু সোরেন, গভীর শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির

    Shibu Soren: প্রয়াত শিবু সোরেন, গভীর শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮১ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেন (Shibu Soren)। ‘দিশম গুরুজি’র মৃত্যুতে অবসান হল ঝাড়ণ্ডের রাজনীতির এক অধ্যায়ের।

    অসুস্থ শিবু সোরেন (Shibu Soren)

    দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন কিডনির অসুখে। মাসখানেক ধরে ভেন্টিলেশনে ছিলেন দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে। সোমবার সকাল ৮টা ৫৬ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। বর্তমানে ঝাড়খণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে রয়েছেন শিবুর ছেলে হেমন্ত সোরেন। বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “শ্রদ্ধেয় ‘দিশম গুরুজি’ আমাদের সকলকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আজ আমি রিক্ত হয়ে গেলাম।” আদিবাসী সম্প্রদায়ের শিবু জন্মেছিলেন বিহারের রামগড় জেলায়। ১৯৭২ সালে তিনি তৈরি করেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। পৃথক রাজ্যের দাবিতে সোচ্চার হয় এই দল। শেষমেশ ২০০০ সালে রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ঝাড়খণ্ড। এর যাবতীয় ক্রেডিট ঝাড়খণ্ডবাসী দেন শিবুকে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। তাঁরাই তাঁকে ভালোবেসে ডাকতেন ‘দিশম গুরুজি’ বলে। কেবল রাজনৈতিক নেতা নয়, জনজাতি স্বত্বাধিকারের অন্যতম পুরোধাও ছিলেন শিবু।

    প্রধানমন্ত্রীর শোক

    ১৯৮০ সালে দুমকা আসনে জিতে প্রথমবার লোকসভায় পা রাখেন শিবু। তারপর আরও সাতবার তিনি হয়েছিলেন লোকসভার সদস্য। রাজ্যসভার সদস্যও হয়েছিলেন দু’বার (Shibu Soren)। ২০০৫ সালে প্রথম ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হন। যদিও আস্থা ভোটে হেরে গিয়ে পদ খোয়াতে হয় মাত্র ৯ দিনেই। পরে ফের হন মুখ্যমন্ত্রী। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দুমকা কেন্দ্রে হেরে যান বিজেপি প্রার্থী নলীন সোরেনের কাছে। শিবুর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, “শ্রী শিবু সোরেনজি ছিলেন একজন প্রকৃত তৃণমূল স্তরের নেতা, যিনি মানুষের প্রতি অকুণ্ঠ নিষ্ঠা নিয়ে জনজীবনের বিভিন্ন ধাপ পেরিয়েছেন। তিনি জনজাতি সম্প্রদায়, দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষদের ক্ষমতায়নের বিষয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। এমন নেতার প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী হেমন্ত সোরেনজির সঙ্গে কথা হল, তাঁকে সমবেদনা জানিয়েছি। ওম শান্তি।”

    শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, শ্রী শিবু সোরেনজির (Shibu Soren) মৃত্যু সামাজিক ন্যায়ের ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি উপজাতিদের অধিকারের জন্য লড়াই করেছিলেন এবং তৈরি করেছিলেন ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) রাজ্য।”

  • Supreme court: ভারতীয় ভূখণ্ড চিনের দখলে! বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত রাহুল গান্ধী

    Supreme court: ভারতীয় ভূখণ্ড চিনের দখলে! বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০০ কিলোমিটারেরও বেশি ভারতীয় ভূখণ্ড নাকি চিন দখল করে রেখেছে—এমন দাবি করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে ভর্ৎসিত হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শীর্ষ আদালত রাহুল গান্ধীকে তিরস্কার করে তাঁকে জানিয়েছে, প্রকৃত ভারতীয় হয়ে কখনও এই ধরনের মন্তব্য করবেন না। প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীর এমন মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা রুজু করার দাবি জানানো হয়েছিল। তবে সে দাবি অবশ্য খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court)।

    ভারত জোড়ো যাত্রা করার সময় এমন মন্তব্য করেছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)

    ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হয় লোকসভা ভোট। ঠিক তার দু’বছর আগে—২০২২ সালে ভারত জোড়ো যাত্রার ডাক দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সেই সময় তিনি বিভিন্ন সভায় দাবি করেছিলেন, চিন ২০০০ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে এবং চিনা সৈন্যরা অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সৈন্যদের মারধর করছে। এ নিয়েই পরবর্তীকালে দায়ের হয় মামলা। এই মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court) রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে জানতে চায়, “আপনি কীভাবে জানলেন যে ২০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা চিনা দখলে রয়েছে?” এর পরে শীর্ষ আদালত (Supreme court) রাহুল গান্ধীকে তিরস্কার করে বলে, “আপনি যদি একজন প্রকৃত ভারতীয় হতেন, তাহলে এমন কথা বলতেন না।”

    মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহ-র বেঞ্চে

    প্রসঙ্গত, এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহ-র বেঞ্চে। সেখানেই লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে তীব্র ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত আরও বলে, “আপনি বিরোধী দলের নেতা হয়ে কেন এই ধরনের কথাগুলো বলবেন?” প্রসঙ্গত, এ-সংক্রান্ত মামলাটি প্রথম উঠে এলাহাবাদ হাই কোর্টে। সেখানে রাহুল গান্ধীর আবেদন খারিজ হয়। এরপরেই রাহুল গান্ধী সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) দ্বারস্থ হন এবং তিনি জানান যে, তাঁর বিরুদ্ধে এমন মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।

    রাহুলের দাবি মিথ্যা গল্প, বললেন কিরেন রিজিজু

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) রাহুল গান্ধী সম্পর্কে এমন মন্তব্যের পরেই অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট শেয়ার করেন এবং সেখানেই বিজেপি নেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে “মিথ্যা গল্প” বলে অভিহিত করেন এবং তিনি দাবি করেন, চিন অরুণাচল প্রদেশের এক ইঞ্চি জমিও দখল করেনি।প্রসঙ্গত, রাহুলের এই মন্তব্যের পরেই সেসময় তাঁর নিন্দা করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। বিদেশমন্ত্রী রাহুলের বিরুদ্ধে ‘ভুল তথ্য’ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি সেসময় জানান, ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের সময় ভারত চিনের কাছে যে জায়গা খুইয়েছিল, তাকে সাম্প্রতিক ক্ষয়ক্ষতি হিসাবে দেখাতে চাইছেন রাহুল।

    রাজস্থানে এমন দাবি করেছিলেন রাহুল

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় রাহুল গান্ধী রাজস্থানে এমন মন্তব্য করেন। রাজস্থানের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন যে, ২০০০ বর্গ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে চিন এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চিনের আগ্রাসনের পরেও কেন নীরব রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার—এ নিয়ে বিজেপির সমালোচনা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেদিন তিনি আরও বলেছিলেন, “আমাদেরকে প্রশ্ন করা হয় ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে—এখানে, সেখানে, সর্বত্র অশোক গেহলট, শচীন পাইলট ইত্যাদি বিষয়ে আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয়। কিন্তু তারা কখনও চিন নিয়ে প্রশ্ন করে না। কেন ২০০০ বর্গ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করল চিন—এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় না। ২০ জন ভারতীয় সৈন্যকে হত্যা করল চিন—এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় না। অরুণাচল প্রদেশে আমাদের সৈন্যদের পিটিয়ে হত্যা করল কেন চিন—এই নিয়েও প্রশ্ন করা হয় না। আবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমও এ নিয়ে কোনও কিছু উত্থাপন করে না। তবে এগুলো কি সত্য নয়? দেশ সবটাই দেখছে। কোনও কিছু ভান করে কিছু হবে না। মানুষ সবটাই জানে।”

    জম্মু-কাশ্মীরে গিয়েও একই দাবি করেন রাহুল

    শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে জম্মু-কাশ্মীরে একই দাবি করতে দেখা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেশের একমাত্র ব্যক্তি, যিনি মনে করেন যে, চিনারা ভারতের কাছ থেকে কোনও জমি দখল করেনি। “আমি সম্প্রতি কিছু প্রাক্তন সেনার সঙ্গে দেখা করেছি এবং লাদাখের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও দেখা করেছি। তাঁরা আমাকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন যে, আমাদের ভারতীয় ভূখণ্ডের ২০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা চিন দখল করে রেখেছে।” রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে জম্মু-কাশ্মীরে এমন দাবি করতে শোনা যায় সে সময় রাহুল গান্ধীকে।

    অনেক টহল পয়েন্টও বর্তমানে পুরোপুরি চিনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এমনই দাবি রাহুলের

    প্রসঙ্গত, ওই আবহে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আরও দাবি করেছিলেন যে, প্রাক্তন সেনা কর্মীরা তাঁকে বলেছেন—ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে থাকা অনেক টহল পয়েন্টও বর্তমানে পুরোপুরি চিনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাহুল গান্ধীর এই সমস্ত বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য উত্তরপ্রদেশে একটি মানহানির মামলা দায়ের করা হয় এবং সেখানেই তাঁকে সমন জারি করা হয়েছিল। এর পরে তিনি এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন এবং স্বপক্ষে মামলাটি বাতিল করার আবেদন জানান।

  • Mamata Banerjee: ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাঙালি নয়’, মমতার দাবি নস্যাৎ করে সাফ জানাল বিজেপি

    Mamata Banerjee: ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাঙালি নয়’, মমতার দাবি নস্যাৎ করে সাফ জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সমূলে উৎপাটিত করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। এই অনুপ্রবেশকারীরাই (Bangladeshi Immigrants) জাল আধার কার্ড, রেশন কার্ড মায় ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে মিশে গিয়েছে ভারতের বিরাট জনারণ্যে। তাদের ধরতেই যখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে, তখন একমাত্র প্রতিবাদ করছেন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটব্যাংকের স্বার্থেই অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের ‘ত্রাতা’ হয়ে উঠেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি কেবল অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নয়, এটি একটি যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা একটি ভুয়ো এবং জাল পরিচয়পত্র তৈরির চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান।

    মমতার বাঙালি সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি! (Mamata Banerjee)

    গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মমতা অন্যান্য রাজ্যে শুরু হওয়া বাংলাদেশি মুসলিম ও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলছেন। তিনি কৌশলে এই ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন যে অন্য রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের নিশানা করা হচ্ছে। তিনি যে আদতে মিথ্যে একটি খবর বাঙালিদের ‘খাইয়ে’ দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তা বুঝে গিয়েছেন বাংলার শিক্ষিত সমাজ। কারণ যে অভিযান চালানো হচ্ছে, তার নিশানায় বাঙালিরা নন, অবৈধ বাংলাদেশি মুসলমান এবং রোহিঙ্গারা বিশেষত যারা ভিড় করেছে ওড়িশা, অসম, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লি এবং ছত্তিশগড়ে, অথচ ভারতে বসবাস করার যাদের কোনও নৈতিক অধিকারই নেই।

    শাসক দলের মদতেই চলছে অনুপ্রবেশের কারবার!

    বাংলাদেশের পাশেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এর একটা বিরাট অংশে কাঁটাতারের বেড়া নেই। কেন্দ্রের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের অসহযোগিতায়ই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এই অংশে বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। দালাল ধরে সেই ফোকর গলেই পশ্চিমবাংলায় ঢুকে পড়ছে অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গারা। তার পর এ রাজ্যেরই শাসক দলের কোনও নেতাকে দিয়ে বানিয়ে নিচ্ছে জাল পরিচয়পত্র। এদের অনেকেই জাল পাসপোর্টও জোগাড় করে ফেলেছে। পশ্চিমবঙ্গে কিনে ফেলেছে জমি-জিরেতও। যেহেতু শাসক দলের নেতাদের মদতেই দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই কারবার, তাই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ এরাই বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় নাগরিক সেজে শাসক দলকে জিতিয়ে চলেছে। তাই শাসক দলও নিশ্চিন্তে ভাতঘুম দিচ্ছে। এই অনুপ্রবেশকারীরা যে ভারতীয়দের পেটের ভাতে ভাগ বসাচ্ছে, তা দেখেও না দেখার ভান করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই কারণেই শুরু হয়েছে ঝাড়াই-বাছাই অভিযান, যে অভিযানে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না এতদিন ধরে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে যেসব কার্ড (রেশন, ভোটার, আধার ইত্যাদি) দাখিল করা হয়েছে, সেগুলিকে। কারণ এসব কাগজপত্র আসলে নাগরিকত্বের বৈধ প্রমাণ নয়, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে। এখানকার বিভিন্ন পরিচয়পত্র হরবখত জোগাড় করা হয় জালিয়াত চক্রের কাছ থেকে। কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয়, অন্যান্য রাজ্যেও এগুলিকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশি (Bangladeshi Immigrants) মুসলমান এবং রোহিঙ্গারা যেসব প্রমাণপত্র দাখিল করছে, তা জাল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে (Mamata Banerjee)।

    ঝুলি থেকে বেরল বেড়াল

    এতেই বেরিয়ে এসেছে ঝুলি থেকে বেড়াল। অনেক নথিপত্রই পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যারা আদতে ভারতীয়ই নন, অনুপ্রবেশকারী। মধ্যপ্রদেশের পলাশের কথাই ধরা যাক। সে নিজেকে পলাশ অধিকারি বলে পরিচয় দিয়েছিল। প্রমাণস্বরূপ দাখিল করেছিল প্যান, আধার মায় ভোটার আইডিও। বাংলাদেশি সন্দেহে তাকে আটক করে পুলিশ। টানা পুলিশি জেরায় শেষমেশ সে কবুল করে, সে পলাশ নয়, বাংলাদেশের শেখ মঈনউদ্দিন। খুলনার আহমদপুর এলাকার বাসিন্দা সে। তাহলে কীভাবে অনুপ্রবেশকারী শেখ মঈনুদ্দিন হয়ে উঠল ভারতীয় পলাশ অধিকারী? জানা গিয়েছে, শাসক দলের নেতা ও সরকারি কর্তাদের একাংশের যোগসাজশে জাল নথি তৈরি করে তাকে একজন প্রকৃত ভারতীয় হিন্দু কৃষকের সন্তান হিসেবে মিথ্যা পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছিল (Mamata Banerjee)।

    লাখ লাখ বাংলাদেশি মুসলমান

    রাজনৈতিক মহলের মতে, এটি একটি উদাহরণ মাত্র। পশ্চিমবঙ্গে লাখ লাখ বাংলাদেশি মুসলমান রয়েছে, যারা তৃণমূল এবং তার আগে বাম সরকারের আমলে নেতা এবং এক শ্রেণির অসাধু সরকারি কর্মীদের সাহায্যে জাল নথি বানিয়ে নিয়েছিল। বিএসএফের অবসরপ্রাপ্ত এক পদস্থ আধিকারিক বলেন,  “বাংলাদেশিরা এলোমেলোভাবে ভারতে প্রবেশ করে না। তারা প্রায়ই কাঁটাতারের বেড়া না থাকা এলাকায় কিংবা বিএসএফের টহল এড়িয়ে দুই দেশের পাচারকারীদের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে প্রবেশ করানো হয় (Bangladeshi Immigrants)। ভারতে প্রবেশের পর তাদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির সেফ হাউসে। এই প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।” এর পরেই শুরু হয়ে যায় জাল নথিপত্র তৈরির কাজ। বছর কয়েক আগে কয়েকজন বিএসএফ কর্তা একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন, সেখানে বিস্তারিতভাবে দেখানো হয়েছিল কীভাবে বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে এবং নাগরিকত্ব জোগাড় করে (Mamata Banerjee)।

    সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার আগে কমিউনিস্ট দলগুলি এই অবৈধ অনুপ্রবেশকে উৎসাহিত করেছে এবং জাল নথি দিয়ে তাদের নাগরিকত্বের ছদ্মাবরণ দিয়েছে কেবলমাত্র একটি বিশ্বস্ত ভোটব্যাংক গড়ে তুলতে।” তিনি জানান, এই কারণেই ভোটার আইডি, আধার, প্যান কার্ড বা পাসপোর্টের মতো নথিকেও ভারতীয় নাগরিকত্বের নির্ভুল প্রমাণ হিসেবে ধরা উচিত নয়।

    মমতার মিথ্যে অভিযোগ

    প্রত্যাশিতভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের এই সব পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালিদের অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা চান না এই জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসুক। কারণ এদের চিহ্নিত করা হলে এবং দেশ থেকে বের করে দেওয়া হলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পড়ে যাবে বিশবাঁও জলে। তাই মিথ্যে অভিযোগ তুলে অযথা গলা ফাটাচ্ছেন তিনি (Bangladeshi Immigrants)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই জালিয়াতি কারবারে সাহায্যকারী রাজনীতিবিদ, পুরসভা-কর্মী এবং সরকারি কর্মচারীদেরও চিহ্নিত এবং আইনের আওতায় আনা উচিত। তাঁদেরও চিহ্নিত করে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হোক বিচারের। দিতে হবে কঠোর শাস্তিও (Mamata Banerjee)।

    বাংলাদেশি মুসলমান ও বাঙালি মুসলমান এক নয়

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি মুসলমান ও বাঙালি মুসলমান এক নয়। অনুপ্রবেশকারীরা এমন উপভাষায় কথা বলেন, যা পশ্চিমবঙ্গের বাংলার থেকে অনেকটাই আলাদা। পার্থক্য রয়েছে সাংস্কৃতিক দিক থেকেও। ভোটব্যাংকের স্বার্থে এই পার্থক্যকেই ঝাপসা করে দিয়ে বাংলাদেশি মুসলমানদের ‘বাঙালি’ হিসেবে চালানোর নিরন্তর চেষ্টা করছেন মমতা। ভারতীয় বাঙালিরা এই ফারাক সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। তাই ভারতের অন্যান্য রাজ্যে বসবাসকারী বাঙালিরাই বাংলাদেশি মুসলমানদের শনাক্ত করতে প্রশাসনকে সাহায্য করছেন। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “আপনি বাংলাদেশের একটা বই এনে পড়ুন। আর পশ্চিমবঙ্গের একটা বই এনে পড়ুন। নিজেই বুঝতে পারবেন, কোনটা সুবোধ সরকার লিখেছেন, আর কোনটা বাংলাদেশের সফিকুল ইসলাম লিখেছেন। ওই ভাষাটা পড়লেই বোঝা যায়। সুতরাং, বাংলা ভাষায় কথা বললেই যে (Bangladeshi Immigrants) কেউ ভারতবাসী হয়ে যাবে, বাংলা ভাষায় কথা বললেই যে তার নামটা ভোটার লিস্টে রেখে দিতে হবে, এটা হতে পারে না। পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন জায়গায় নকল আধার কার্ড বানিয়ে এখন ওরা বঙ্গভবনের মধ্যেও ঢুকে পড়ছে (Mamata Banerjee)।”

  • West Bengal Trade: ৬,৬৮৮টি সংস্থার রাজ্যছাড়া! বাণিজ্যে বেহাল বাংলা, রাজ্যে শাসনব্যবস্থার কী বার্তা দেয় এই ট্রেন্ড?

    West Bengal Trade: ৬,৬৮৮টি সংস্থার রাজ্যছাড়া! বাণিজ্যে বেহাল বাংলা, রাজ্যে শাসনব্যবস্থার কী বার্তা দেয় এই ট্রেন্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় শিল্প ও উদ্যোগের ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগামী রাজ্য (West Bengal Trade) ছিল পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু গত এক দশকে রাজ্য থেকে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলির ধারাবাহিক প্রস্থান (Companies exit from Bengal) এখন এক গভীর সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত দশ বছরে ৬,৬৮৮টি সংস্থা তাদের রেজিস্টার্ড অফিস পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়েছে। চুপচাপ বড় বড় সংস্থা নিজেদের অফিস সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় কোনও প্রতিবাদও হয়নি তৃণমূল-শাসিত বাংলায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংস্থাগুলি নিজেদের অফিস সরে নিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে। উদ্যোগপতিদের কথায়, ওই রাজ্যগুলিতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ এবং নীতির স্থিতিশীলতা স্পষ্ট।

    ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো

    রাজ্যে (West Bengal Trade) পালা বদলের পর ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রহ সরকারের ক্ষমতায় আসার সময় থেকে শুরু হয় শিল্পপতির ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি। কিন্তু ২০১৫–১৬ থেকে ২০১৭–১৮ পর্যন্ত সময়টা হল সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। এই তিন বছরে ২,৮১৪টি কোম্পানি রাজ্য ছেড়েছে। যা রাজ্য ত্যাগের মোট সংস্থার প্রায় ৪২ শতাংশ। ২০১৭–১৮ সালে সর্বাধিক ১,০২৭টি কোম্পানি রাজ্যছাড়া হয়, যা ছিল ইঙ্গিতবহ। সবচেয়ে আশঙ্কাজনক দিক হল, ১০০-রও বেশি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, যারা স্টক এক্সচেঞ্জে লিস্টেড, তারাও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়ে। এরা কেবলমাত্র আর্থিক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বহু মানুষের চাকরি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার সঙ্গে জড়িত। এই সরে যাওয়া দেশের বিনিয়োগ-বাজারে পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তোলে।

    বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিই ‘প্রেফার্ড ডেস্টিনেশন’

    পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে যে সব সংস্থা (Companies exit from Bengal) চলে গিয়েছে, দেখা যায় তাদের সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিই। মহারাষ্ট্র (১,৩০৮টি), দিল্লি (১,২৯৭টি) ও উত্তরপ্রদেশে(৮৭৯টি) সরে যায় সংস্থাগুলি। মোট ৩,৪৮৪টি কোম্পানি, প্রায় ৫২ শতাংশ, এই তিন রাজ্যেই সরে গিয়েছে। ছত্তিশগড়, গুজরাট, রাজস্থান, অসমের মতো রাজ্যগুলিও তালিকায় রয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে শিল্পনীতির মধ্যে স্পষ্টতা, স্থায়িত্ব এবং বাস্তবায়নের ইচ্ছা রয়েছে। বিপরীতে, কংগ্রেস বা তৃণমূল-শাসিত রাজ্যগুলি বিনিয়োগের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ, বলেই মনে করছেন উদ্যোগপতিরা।

    প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তবতা

    বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি আসে। কিন্তু রিপোর্ট বলছে, যেখানে পশ্চিমবঙ্গ ₹৩৯,১৩৩ কোটির বিনিয়োগে চতুর্থ স্থানে ছিল (IEM Part A), সেখানে বাস্তবায়িত বিনিয়োগে (IEM Part B) মাত্র ₹৩,৭৩৫ কোটি টাকা রাজ্যে এসেছে। এক বছরে আরও কমেছে—২০২৩ সালে যা ছিল ₹৪,৯৩০ কোটি। এই ব্যাপক ফারাক বিনিয়োগকারীদের (Companies exit from Bengal) আস্থাহীনতার স্পষ্ট প্রতিফলন। কথা আর কাজে বিরাট ব্যবধান শিল্পপতিদের দ্বিধাগ্রস্ত করছে।

    শিল্পোন্নয়ন-পরিকাঠামোয় পিছিয়ে পড়া রাজ্য

    পশ্চিমবঙ্গ এখনও ইন্ডিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল ল্যান্ড ব্যাঙ্কের (India Industrial Land Bank) অংশ নয়, যেখানে দেশের ২,৮৮৪টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের তথ্য রয়েছে। এটা রাজ্যের প্রশাসনিক অনীহা ও স্বচ্ছতার অভাবকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। এমনকি এফডিআই (বিদেশি বিনিয়োগ) ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গ ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রাজ্য হয়েও ১১তম স্থানে রয়েছে, যা এক অদ্ভুত বৈপরীত্য তুলে ধরে।

    নীতির অস্পষ্টতা মূল সমস্যা

    শিল্পোন্নয়ন ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান উদাহরণ হল সিঙ্গুর আন্দোলনের উত্তরাধিকার। টাটার ন্যানো কারখানা আটকে যাওয়ার পরে, তৃণমূল সরকার ‘হ্যান্ডস-অফ’ ভূমি নীতি গ্রহণ করে। ফলে রাজ্য (West Bengal Trade) শিল্পের জন্য জমি দিতে অস্বীকার করে এবং কোম্পানিগুলিকে হাজার হাজার জমির মালিকের সঙ্গে নিজেরা চুক্তি করতে হয়—যা বড় শিল্পপ্রকল্পের ক্ষেত্রে অসম্ভব হয়ে ওঠে। সম্প্রতি, ২০২৫ সালের এপ্রিলে, রাজ্য সরকার হঠাৎ করেই ১৯৯৩ সাল থেকে চালু থাকা আটটি শিল্প ভর্তুকি প্রকল্প বন্ধ করে দেয়। ডালমিয়া ভারত ও বিরলা কর্পোরেশনের মতো কোম্পানি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৪৩০ কোটি টাকার বেশি দাবি আটকে গেছে।

    রাজনৈতিক ভাষণ দিয়ে উন্নয়ন হয় না

    রাজ্যজুড়ে কর্মসংস্থানের (Companies exit from Bengal) ঘাটতি বাড়ছে। দক্ষ পেশাজীবীরা রাজ্য ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের জিএসডিপি (GSDP)-তে জাতীয় জিডিপি (GDP)-র অংশীদারিত্ব ১৯৬০–৬১ সালের ১০.৫% থেকে কমে ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। এই পতন কেবলমাত্র পরিসংখ্যান নয়, একটি বড় আঞ্চলিক অসাম্যের চিত্র। ৬,৬৮৮টি কোম্পানির রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। আজকের বিশ্বে শুধুমাত্র রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা দিয়ে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। বিনিয়োগের জন্য চাই স্থিতিশীল নীতি, জমির স্বচ্ছতা, এবং প্রশাসনিক সদিচ্ছা। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal Trade) অবস্থা থেকে বোঝা যায়, শাসনব্যবস্থা উন্নয়নবান্ধব না হলে, শিল্প আসবে না, কর্মসংস্থান হবে না, আর রাজ্য দীর্ঘমেয়াদে কেন্দ্রনির্ভর হয়ে পড়বে।

  • PCOD: ভারতে প্রকোপ বাড়ছে পিসিওডি-র, মোকাবিলায় কোন খাবারে বাড়তি জোর চিকিৎসক মহলের?

    PCOD: ভারতে প্রকোপ বাড়ছে পিসিওডি-র, মোকাবিলায় কোন খাবারে বাড়তি জোর চিকিৎসক মহলের?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    জলখাবারেই রয়েছে ‘দাওয়াই’! দেশ জুড়ে বাড়ছে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ বা পিসিওডি (PCOD)! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এটা একধরনের ‘লাইফস্টাইল’ ডিজিজ (Lifestyle Dieases)। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে, কিংবা রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে মহিলাদের জরায়ুতে একাধিক সিস্ট তৈরি হয়। এই সমস্যাকেই পিসিওডি বলা হয়। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা মেয়েদের এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। অনেক সময়েই এই সমস্যা আজীবন থাকে। এই সমস্যা আরও জটিল রোগ তৈরি করে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। প্রতি দশ জন মহিলার মধ্যে একজন পিসিওডি সমস্যায় ভুগছেন। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, প্রথম থেকেই জীবন যাপনের ধরন এবং খাদ্যাভাস ঠিকমতো রাখলেই এই রোগের প্রকোপ আটকানো সহজ‌ হবে।

    কেন পিসিওডি বাড়তি দুশ্চিন্তা তৈরি করছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিসিওডি একটি জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ। ঠিকমতো পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এই রোগ মোকাবিলা করতে পারবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিসিওডি-তে আক্রান্ত হলে ওভারিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। এর ফলে, স্বাভাবিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে না। নিয়মিত ঋতুস্রাব হয় না। এর জেরে শারীরিক বিকাশেও সমস্যা হতে পারে। বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা‌ও দেখা দিতে পারে। পিসিওডি-র মতো সমস্যায় স্বাভাবিক জীবন যাপনে নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সমস্যা বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে।

    কীভাবে জলখাবারে রয়েছে পিসিওডি (PCOD) মোকাবিলার চাবিকাঠি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকার চাবিকাঠি রয়েছে জলখাবারের মধ্যে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালের খাবার শরীরে বাড়তি পুষ্টি জোগায়। দিনের প্রথম খাবার, তাই শরীরে তার প্রভাব ও বাড়তি পড়ে। তাই জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ রুখতে সকালের জলখাবার খুবই জরুরি। কারণ এই খাবারেই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে বাড়তি সাহায্য করে‌। ফলে, পিসিওডি-র মতো রোগ মোকাবিলাও সহজ হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবারে পরিমিত প্রোটিন এবং নূন্যতম কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেলে পিসিওডি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত জলখাবারে এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে, যাতে শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কার্বোহাইড্রেট বাড়তি না পৌঁছয়। তবেই পিসিওডি-র মতো রোগের প্রকোপ কমবে।

    কাঠবাদাম এবং ওটস

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সকালে কাঠবাদাম এবং ওটসের মতো‌ খাবার পিসিওডি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঠবাদামে রয়েছে প্রোটিন। তবে শুধু প্রোটিন নয়। বরং, তার পাশপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়ামের মতো নানান খনিজ পদার্থ। এর ফলে শরীরে বাড়তি এনার্জির জোগান হয়। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ, ওটস এবং কাঠবাদামে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ পর্যাপ্ত থাকলেও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুব কম থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

    দানাশস্যের তৈরি রুটি

    এছাড়াও বাজরা, জোয়ার, মিলেট, রাগি জাতীয় দানাশস্যের তৈরি রুটির সঙ্গে সবুজ সব্জি খেলে পিসিওডি (PCOD) রুখতে সাহায্য হয়। কারণ, সবুজ সব্জিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ। আর দানাশস্যে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। এই খনিজ পদার্থ, ভিটামিন ও ফাইবার সকালে শরীরে পৌঁছলে একদিকে শরীরে এনার্জির জোগান‌ বজায় থাকবে। হজম ঠিকমতো হবে। আবার স্থূলতার সমস্যা ও সহজেই আটকানো সম্ভব। তাই দানাশস্যে তৈরি রুটি এবং রঙিন সব্জি অর্থাৎ, গাজর, পালং শাক, রাঙা আলু, বিনসের মতো নানান রঙের মতো সব্জি দিয়ে তৈরি তরকারি খেলে পিসিওডি-র মতো রোগ নিয়ন্ত্রণ সহজ।

    ডালের চিল্লা

    যে কোনও ডালের চিল্লা বানিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মুগ কিংবা মুসুর ডালে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং প্রোটিন। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। তাই সকালের জলখাবারের মেনুতে কড়াইয়ে সামান্য পরিমাণ বাটার দিয়ে তাতে মুগ কিংবা মুসুর ডালের পেস্ট ছড়িয়ে দিতে হবে। তার উপরে সামান্য পনির কুচি, পিঁয়াজ কিংবা শশা কুচি মিশিয়ে তৈরি করলেই অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার তৈরি হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অত্যন্ত কম। আবার পর্যাপ্ত ভিটামিন, প্রোটিন শরীর সহজেই পাবে। তাই এই ধরনের খাবার সহজেই শরীরকে পুষ্টি দেয়।

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিসিওডি-র‌ মতো রোগ প্রতিরোধ করতে শরীরের ওজন নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ওজন নিয়ন্ত্রণে করতে পারলে এই রোগ (PCOD) মোকাবিলা সহজ হবে। তাই খাওয়ার সময় প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ খাবার পর্যাপ্ত খাওয়া জরুরি। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। কারণ ওজন বাড়লেই এই ধরনের রোগ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বাড়বে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Bihar: জেলার মোট ভোটারের ১১ শতাংশ নামই বাদ গেল মুসলিম অধ্যুষিত কিষাণগঞ্জে, সংখ্যায় ১ লাখ ৪৫ হাজার

    Bihar: জেলার মোট ভোটারের ১১ শতাংশ নামই বাদ গেল মুসলিম অধ্যুষিত কিষাণগঞ্জে, সংখ্যায় ১ লাখ ৪৫ হাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের (Bihar) নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নিবিড় সমীক্ষায় বাদ পড়েছে ৬৫ লাখ অবৈধ নাম। বিহারের কিষাণগঞ্জ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাম বাদ পড়েছে। কিষাণগঞ্জ সম্পূর্ণভাবেই মুসলিম অধ্যুষিত একটি জেলা এবং এখান থেকেই বিপুল পরিমাণে নাম বাদ গেছে। কিষাণগঞ্জ জেলার (Kishanganj) মোট ভোটারের ১১.৮% নাম বাদ পড়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই ১১.৮% ভোটারকে কিষাণগঞ্জে খুঁজে পাওয়া যায় না, অথচ তাদের নাম ছিল ভোটার তালিকায়।

    বাদ পড়েছে ১,৪৫,৬৬৮টি নাম (Bihar)

    কিষাণগঞ্জ এমন একটি জেলা, যা পশ্চিমবঙ্গের সীমানা সংলগ্ন এবং প্রায় সম্পূর্ণটাই মুসলিম অধ্যুষিত। জনবিন্যাসের ভারসাম্যহীনতা ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে কিষাণগঞ্জ দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে। প্রসঙ্গত, বিহারে SIR (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২৪ জুন। তখন এই জেলায় মোট ভোটার ছিলেন ১২,৩১,৯১০ জন। সংশোধনের পর এখান থেকেই বাদ পড়েছে ১,৪৫,৬৬৮টি নাম, যা মোট ভোটারের (Bihar) ১১%–এরও বেশি। SIR প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই কিষাণগঞ্জ থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ‘স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট’-এর আবেদন জমা পড়তে থাকে। এই হঠাৎ আবেদনের কারণে সন্দেহ জাগে প্রশাসনের (Kishanganj)। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী সম্প্রতি কিষাণগঞ্জের এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ‘স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট’-এর আবেদন গড়ে প্রতিমাসে ২৬ হাজার থেকে ২৮ হাজার জমা পড়েছে। আবার জুলাই মাসের প্রথম ছয় দিনের মধ্যেই এই সার্টিফিকেটের জন্য ১.২৮ লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

    স্বাধীনতার সময় কিষাণগঞ্জ ছিল হিন্দু অধ্যুষিত

    বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, প্যান কার্ড, আধার কার্ড এবং পাসপোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এখন ব্যাপকভাবে যাচাই করা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, স্বাধীনতার সময় কিষাণগঞ্জ একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা ছিল। কিন্তু পরবর্তী দশকগুলিতে এর জনবিন্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এর কারণ হিসেবে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকে দায়ী করছেন। সম্প্রতি কিষাণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় চারজন বাংলাদেশিকে ধরা হয়েছে, যারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের আশায় এখানে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে (Bihar)।

  • PIB Fact Check: ট্যারিফ-কাণ্ডের জেরে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত! ‘ভুয়ো খবর’ বলল পিআইবি

    PIB Fact Check: ট্যারিফ-কাণ্ডের জেরে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত! ‘ভুয়ো খবর’ বলল পিআইবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনার আবহে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভুয়ো খবরকে খণ্ডন করল ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)। ওই খবরে বলা হয়েছিল, ভারত সরকার নাকি আমেরিকার (India-US Tariff) সঙ্গে থাকা দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলি পর্যালোচনা বা স্থগিত করার পরিকল্পনা করছে। এ প্রসঙ্গে পিআইবি-র (PIB Fact Check) ফ্যাক্ট চেক ইউনিট এক স্পষ্ট বিবৃতিতে জানায়, “বিদেশ মন্ত্রক এমন কোনও বিবৃতি দেয়নি। বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে সতর্ক থাকুন এবং সরকারের বিশ্বাসযোগ্য সূত্র ছাড়া কোনও খবর শেয়ার করবেন না।”

    ভুয়ো খবর থেকে সাবধান

    ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য নিয়ে গুজব (PIB Fact Check) ছড়িয়ে পড়েছিল একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। যেখানে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য নিয়ে বিদেশ মন্ত্রক উদ্বিগ্ন বলে প্রচার করা হয়। এতে বলা হয়, ভারতের বিরুদ্ধে আমেরিকার ‘চড়া শুল্ক, নয়া অর্থনৈতিক নীতি’র প্রতিক্রিয়ায় দিল্লি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করতে চলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৩০ জুলাই ঘোষণা করেন যে ভারতের রফতানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, যা ১ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। মূলত ভারতীয় বস্ত্র, রত্ন ও গয়না, ইলেকট্রনিক্স ও পোশাক খাত এই শুল্কের আওতায় পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ভারত “অন্যায্য বাণিজ্যনীতি” অনুসরণ করছে এবং রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি চুক্তি বজায় রাখার ফলেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

    ভারতীয় ব্যবসায়ী মহলে উদ্বেগ

    এই শুল্কবৃদ্ধির ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ী (India-US Tariff) মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষত ভারতীয় দ্রব্য রফতানি ও আমেরিকায় চাকরির ওপর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে জল্পনা চলছে। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, “ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বিষয়ে আলোচনা চলছে। কোনও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি পর্যালোচনা বা স্থগিত করার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা একটি সুষম বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে চলেছি।” সাউথ ব্লক সূত্রে খবর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চান, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৃষি এবং দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার খুলে দিক নয়াদিল্লি। কিন্তু, কেন্দ্রের মোদি সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, এ দেশের কৃষক এবং দুগ্ধশিল্পের সঙ্গে জড়িতদের লোকসান করে কোনও সমঝোতা সম্ভব নয়। তাই বিকল্প পথের সন্ধানেই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।

  • Daily Horoscope 04 August 2025: আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 04 August 2025: আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

     

     

    মিথুন

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কর্কট

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভাল সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) সতর্ক থাকতে হবে।

    সিংহ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    কন্যা

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ধনু

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    মকর

    ১) দূর দেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা সফল হতে পারে।

    ২) বিদ্যার্থীদের জন্য নতুন কোনও পথ খুলতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কুম্ভ

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) সমাজে খ্যাতি বাড়বে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 429: চৈতন্য না লাভ করলে চৈতন্যকে জানা যায় না

    Ramakrishna 429: চৈতন্য না লাভ করলে চৈতন্যকে জানা যায় না

    জীবজগৎ বিশিষ্ট ব্রহ্ম। সব জড়িয়ে একটি বেল—খোলা আলাদা, বিচি আলাদা আর শাঁস আলাদা। একজন করেছিল। বেলটি কতজনের জানবার দরকার হয়েছিল?

    এখন শুধু শাঁস ওজন করলে কি বেলের ওজন পাওয়া যায়? খোলা, বিচি সব একসঙ্গে ওজন করতে হবে। প্রথমে খোলা নয়, বিচি নয়—সার পদার্থ বলে বোধ হয়। তারপর বিচার করে দেখা যায় সেই বস্তুর। সেই বস্তুর খোলা, বিচি করে যেতে হয়। জীবনীতি, জগৎনীতি—এরও বিচার করতে হয়। বস্তু আর সব অবস্তু। তারপর অনুভব হয়, যার শাঁস তারই খোলা, বিচি। যা থেকে ব্রহ্ম বলছো, তাই থেকে জীবজগৎ। যারই নিত্য, তারই লীলা। তাই রামানুজ বলতেন— জীবজগৎ বিশিষ্ট ব্রহ্ম। এরই নাম বিশিষ্ট দ্বৈতবাদ।

    ঈশ্বর দর্শন, অবতার প্রত্যক্ষসিদ্ধ

    শ্রী রামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি)- তাই দেখছি, সাক্ষাৎ। আর কী বিচার করব? আমি দেখছি, তিনি এইসব হয়েছেন। তিনি জীব ও জগৎ হয়েছেন। তবে চৈতন্য না লাভ করলে চৈতন্যকে জানা যায় না। বিচার কতক্ষণ? যতক্ষণ না তাঁকে লাভ করা যায়। শুধু মুখে বললে হবে না। এই আমি দেখছি, তিনিই সব হয়েছেন। তাঁর কৃপায় চৈতন্য লাভ করা চাই। চৈতন্য লাভ করলে সমাধি হয়, মাঝে মাঝে দেহ ভুলে যায়। কামিনী-কাঞ্চনের উপর আসক্তি থাকে না। ঈশ্বর ও তাঁর কথা ছাড়া কিছু ভালো লাগে না। বিষয়ের কথা শুনলে কষ্ট হয়।

    প্রত্যক্ষ নরেন্দ্রকে শিক্ষা কালীই ব্রহ্ম

    চৈতন্য লাভ করলে তবে চৈতন্যকে জানতে পারা যায়। বিচারান্তে ঠাকুর মাস্টারকে বলিতেছেন, “দেখেছি, বিচার করে একরকম জানা যায় তাঁকে, ধ্যান করে একরকম জানা যায়। আবার তিনি যখন দেখিয়ে দেবেন—এর নাম অবতার। তিনি যদি তাঁর মানব-লীলা দেখিয়ে দেন, তাহলে আর বিচার করতে হয় না, কাউকে বুঝিয়ে দিতে হয় না। কীরকম জানো? যেমন অন্ধকারের ভিতর দেশলাই ঘষতে ঘষতে দপ করে আলো হয়, সেইরকম দপ করে আলো যদি তিনি দেন, তাহলে সব সন্দেহ মিটে যায়। এরূপ বিচার করে কি তাঁকে জানা যায়?”

LinkedIn
Share