Tag: bangla news

bangla news

  • Daily Horoscope 28 October 2025: পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 28 October 2025: পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) স্ত্রীর কথায় বিশেষ ভাবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

    ২) খেলাধুলায় নাম করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) ভ্রমণের সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) নিজের অজান্তেই কোনও কাজের সুবাদে সকলের প্রীতিলাভ করবেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মিথুন

    ১) কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন।

    ২) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের জন্য অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) অশান্তি থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় কাজের দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ২) ব্যবসায় সমস্যা বাড়তে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) দাম্পত্য জীবনে অশান্তির সময়।

    ২) ব্যবসায় চাপ বাড়তে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) অর্শের যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) ব্যবসায় অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) শারীরিক সমস্যার জন্য ব্যবসায় সময় দিতে পারবেন না।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির সময়।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) চিকিৎসার জন্য খরচ বৃদ্ধি।

    ২) কোনও বন্ধুর সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 492: “কি আশ্চর্য, মহাপুরুষ, ইনিও প্রাকৃত লোকের ন্যায় নিদ্রায় অভিভুত হইয়া শুইয়া আছেন”

    Ramakrishna 492: “কি আশ্চর্য, মহাপুরুষ, ইনিও প্রাকৃত লোকের ন্যায় নিদ্রায় অভিভুত হইয়া শুইয়া আছেন”

    ৪৫ শ্রীরামকৃষ্ণের কলিকাতায় ভক্তমন্দিরে আগমন —
    শ্রীযুক্ত গিরিশ ঘোষের বাটীতে উৎসব

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ২৪শে এপ্রিল
    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরামের বাটীতে অন্তরঙ্গসঙ্গে

    নরেন্দ্র, মাস্টার, যোগীন, বাবুরাম, রাম, ভবনাথ, বলরাম, চুনি 

    শুক্রবার (১২ই বৈশাখ, ১২৯২) বৈশাখের শুক্লা দশমী, ২৪শে এপ্রিল, ১৮৮৫ খ্রীষ্টাব্দ। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) আজ কলিকাতায় আসিয়াছেন। মাস্টার আন্দাজ বেলা একটার সময় বলরামের বৈঠকখানায় গিয়া দেখেন, ঠাকুর নিদ্রিত। দু-একটি ভক্ত কাছে বিশ্রাম করিতেছেন।

    মাস্টার একপার্শ্বে বসিয়া সেই সুপ্ত বালক-মূর্তি দেখিতেছেন। ভাবিতেছেন, কি আশ্চর্য, এই মহাপুরুষ, ইনিও প্রাকৃত লোকের ন্যায় নিদ্রায় অভিভুত হইয়া শুইয়া আছেন। ইনিও জীবের ধর্ম স্বীকার করিয়াছেন।

    মাস্টার আস্তে আস্তে একখানি পাখা লইয়া হাওয়া করিতেছেন। কিছুক্ষণ পরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নিদ্রাভঙ্গ হইল। এলোথেলো হইয়া তিনি উঠিয়া বসিলেন। মাস্টার ভূমিষ্ঠ হইয়া তাঁহাকে প্রণাম ও তাঁহার পদধূলি গ্রহণ করিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম অসুখের সঞ্চার—এপ্রিল ১৮৮৫

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি সস্নেহে)—ভাল আছ? কে জানে বাপু! আমার গলায় বিচি হয়েছে। শেষ রাত্রে বড় কষ্ট হয়। কিসে ভাল হয় বাপু? (চিন্তিত হইয়া)—আমের অম্বল করেছিল, সব একটু একটু খেলুম। (মাস্টারের প্রতি)—তোমার পরিবার কেমন আছে? সেদিন কাহিল দেখলুম; ঠাণ্ডা একটু একটু দেবে।

    মাস্টার—আজ্ঞা, ডাব-টাব?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—হাঁ, মিছরির সরবৎ খাওয়া ভাল।

    মাস্টার—আমি রবিবার বাড়ি গিয়েছি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—বেশ করেছ। বাড়িতে থাকা তোমার সুবিধে। বাপ-টাপ সকলে আছে, তোমায় সংসার তত দেখতে হবে না।

    কথা কহিতে কহিতে ঠাকুরের মুখ শুকাইতে লাগিল। তখন বালকের ন্যায় জিজ্ঞাসা করিতেছেন, (মাস্টারের প্রতি)—আমার মুখ শুকুচ্চে। সবাই-এর কি মুখ শুকুচ্চে?

    মাস্টার — যোগীনবাবু, তোমার কি মুখ শুকুচ্চে?

    যোগীনদ্র — না; বোধ হয়, ওঁর গরম হয়েছে।

    এঁড়েদার যোগীন ঠাকুরের অন্তরঙ্গ; একজন ত্যাগী ভক্ত।

    ঠাকুর এলোথেলো হয়ে বসে আছেন। ভক্তেরা কেহ কেহ হাসিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যেন মাই দিতে বসেছি। (সকরের হাস্য) আচ্ছা, মুখ শুকুচ্চে, তা ন্যাশপাতি খাব? কি জামরুল?

    বাবুরাম—তাই বরং আনি গে—জামরুল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তোর আর রৌদ্রে গিয়ে কাজ নাই।

    মাস্টার পাখা করিতেছিলেন (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—থাক, তুমি অনেকক্ষণ—

    মাস্টার—আজ্ঞা, কষ্ট হচ্চে না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সস্নেহে)—হচ্চে না?

    মাস্টার নিকটবর্তী একটি স্কুলে অধ্যাপনা কার্য করেন। তিনি একটার সময় পড়ান হইতে কিঞ্চিৎ অবসর পাইয়া আসিয়াছিলেন। এইবার স্কুলে আবার যাইবার জন্য গাত্রোত্থান করিলেন ও ঠাকুরের পাদবন্দনা করিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—এক্ষণই যাবে?

    একজন ভক্ত—স্কুলে এখনও ছুটি হয় নাই। উনি মাঝে একবার এসেছিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাসিতে হাসিতে)—যেমন গিন্নি—সাত-আটটি ছেলে বিয়েন—সংসারে রাতদিন কাজ—আবার ওর মধ্যে এক-একবার এসে স্বামীর সেবা (Kathamrita) করে যায়। (সকলের হাস্য)

  • SIR: “পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার দায়বদ্ধতার কথা জানে, পালনও করবে”, বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    SIR: “পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার দায়বদ্ধতার কথা জানে, পালনও করবে”, বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে এসআইআর (SIR)। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ তথা তৃণমূলের আপত্তি নিয়ে এদিন কমিশনের (Election Commission) সাংবাদিক বৈঠকেই প্রশ্ন উঠেছিল। তবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এখনই কোনও চাপানউতোর বা বিতর্কে ঢুকতে চাননি। শুধু আইনের একটি ধারার কথা মনে করিয়ে দেন।

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য (SIR)

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ব্যাপারে প্রশ্ন নিয়ে একটা কথাই বলতে চাই – ভারতের সংবিধানের ৩২৪ (৬) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি বা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্যপাল নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী নির্বাচন কমিশনারের কাছে সরবরাহ করতে বাধ্য। এই কর্মীরা নির্বাচন পরিচালনা, ভোটার তালিকা প্রস্তুত ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত থাকেন। আবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার দায়িত্ব রয়েছে রাজ্য সরকারের। আমি মনে করি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই দায়বদ্ধতার কথা জানে, এবং তা পালন করবে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এসআইআর প্রক্রিয়া বাংলায় শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। এ ব্যাপারে নীতিগতভাবে আপত্তি জানাচ্ছে বাংলায় শাসক দল তৃণমূল। জোড়াফুলের সাংসদদের একাংশ এবং তৃণমূলের কিছু নেতাও এসআইআর নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “নির্বাচন কমিশনের অরাজনৈতিক নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা উচিত। বিজেপির প্রভাবে কোনওভাবে প্রভাবিত হয়ে যদি কোনও বৈধ ভোটারকে বাদ দিতে চান, তখন সাংবিধানিকভাবে তার প্রতিবাদ হবে।”

    কুণালের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে (SIR) বিজেপির মুখপাত্র জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল এখন যে কথা বলছে, তাতে একটা কথাই বলতে পারি, এসআইআর নিয়েও পাল্টি খেল তৃণমূল। গতকাল পর্যন্ত তৃণমূলের অবস্থান ছিল, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর করতে দেব না। আর আজ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের ঘোষণার পর তৃণমূল বলছে, এসআইআর নিয়ে বিজেপির প্ররোচনায় পা দেবেন না। তার মানে আইন মেনে এসআইআরে অংশ নিচ্ছে। বিজেপি কোনওদিন এসআইআর নিয়ে প্ররোচনা দেয়নি (Election Commission)। বিজেপি বলেছে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, অবৈধ ভোটারের নাম বাদ দিতে হবে (SIR)।”

  • ECI: মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে শুরু এসআইআর, জানুন কীভাবে সম্পন্ন হবে এই প্রক্রিয়া

    ECI: মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে শুরু এসআইআর, জানুন কীভাবে সম্পন্ন হবে এই প্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে যাচ্ছে বিশেষ নিবিড় সংশোধন, সংক্ষেপে এসআইআর-এর (SIR) কাজ। আগেই জানা গিয়েছিল, সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এসআইআরের সময়সূচি ঘোষণা করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। প্রথম পর্যায়ে তারা ঘোষণা করেছিল বিহারে এসআইআরের কাজের নির্ঘণ্ট। তার কারণ, নভেম্বরেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে সে রাজ্যে।

    কোন কোন রাজ্যে এসআইআর (ECI)

    এদিন দ্বিতীয় দফায় ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআরের দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। যে সব রাজ্যে আগামী বছরেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, সেই সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর হবে আগে। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হওয়ার কথা মার্চের শেষাশেষি, তাই মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে শুরু হয়ে যাবে এসআইআর প্রক্রিয়া। এই তালিকায় রয়েছে তামিলনাড়ু, কেরল, অসম এবং পুদুচেরির নামও। এদিন বিকেল ৪টে ১৫মিনিট নাগাদ দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, সফল হয়েছে প্রথম দফার এসআইআর। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরু হবে মঙ্গলবার থেকে।

    এসআইআরের মূল উদ্দেশ্য

    এসআইআরের মূল উদ্দেশ্যগুলির একটি হল (ECI), অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত ও অপসারণ করা। এজন্য ভোটারদের জন্মস্থান যাচাই করার কাজেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে যেসব অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ভারতে ঢুকেছে, তাদের বিরুদ্ধেই তৎপরতা চালানো হচ্ছে (SIR)। এদিনের বৈঠকে কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জানুয়ারি মাসের মধ্যেই এই এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে এই দফায় এসআইআর প্রক্রিয়া চালু হতে চলেছে। তবে অসমে এই পর্বে এসআইআর হচ্ছে না। সেখানে এসআইআর হবে আলাদা করে।

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “এসআইআরের দায়িত্ব বৈধদের রাখা, অবৈধদের বাদ দেওয়া। আর যে কোনও নির্বাচনের আগে এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিহারে এসআইআর সফল হয়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ বা আবেদন আসেনি।” এসআইআরের সময় প্রথমে এনুমারেশন ফর্ম প্রিন্ট করা হবে। যে রাজ্যে এসআইআর হবে, সেখানকার ভোটারদের সূচি সোমবার রাত ১২টায় ফ্রিজ করে দেওয়া হবে। সেই সূচিতে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের ওই ফর্ম দেওয়া হবে। বিহারের মতো আধার কার্ডকেও পরিচয়পত্র হিসেবে মান্যতা দেওয়া হবে। যদিও আধার কখনওই নাগরিকত্ব ও জন্ম তারিখের প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে না (SIR)।

    মঙ্গলবার শুরু প্রশিক্ষণের কাজ

    মঙ্গলবার থেকে (ECI) শুরু হবে প্রশিক্ষণের কাজ। চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। তার পরের দিন থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া ও জমা নেওয়ার কাজ চলবে। ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। ২০২৬ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নেওয়া হবে অভিযোগ। এই পর্বেই শুরু হয়ে যাবে বাড়ি বাড়ি ভেরিফিকেশনের কাজ। যা চলবে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। জানা গিয়েছে, আগামী ১ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে যাবেন বুথ লেভেল অফিসার, সংক্ষেপে বিএলওরা। এই ফর্মের সফট কপি ইআরও পোর্টালে আগেই তুলে দেবে কমিশন। পরে সেগুলি যাবে ছাপার জন্য। একজন ভোটারের জন্য দু’টো করে এনুমারেশন ফর্ম ছাপানো হবে।

    এনুমারেশন ফর্ম

    বর্তমানে বাংলায় ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৬৫ লাখ। এনুমারেশন ফর্মগুলি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবেন বিএলওরা। এই ফর্মে ভোটারের নাম, এপিক নম্বর, ঠিকানা, জন্মতারিখ-সহ বেশিরভাগ তথ্য ছাপা থাকবে। ফর্মের বাকি অংশ পূরণ করে উপযুক্ত নথি-সহ জমা দিতে হবে। দু’টি ফর্মের মধ্যে একটি থাকবে সংশ্লিষ্ট ভোটারের কাছে, অন্যটি নিয়ে যাবেন বিএলওরা। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, বিহারের মতোই এ রাজ্যেও বর্তমানে ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা সবাই এনুমারেশন ফর্ম পাবেন (ECI)। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সালে, বাম জমানায়। সেবারের সংশোধিত তালিকার (SIR) সঙ্গে রাজ্যের ভোটার তালিকার ম্যাপিংয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এসআইআর করে সব ভোটারের নাম নতুনভাবে নথিভুক্ত করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন এসআইআর করতেই পারে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে রাজ্য তথা দেশের ভোটার তালিকায় কোনও ভুয়ো ভোটার বা ভুতুড়ে ভোটার বা একই নামের ভোটার দু’জায়গায় রয়েছেন কিনা কিংবা তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে কেউ মারা গিয়েছেন কিনা – এসবই সংশোধন করার এক বিশেষ প্রক্রিয়া হল এসআইআর।

    এসআইআর হলে বিপাকে পড়বে তৃণমূল!

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হলে বিপাকে পড়বে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ শাসক দলের নেতাদের একাংশকে হাত করে বিভিন্ন আইডি প্রুফ সংগ্রহ করে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছে বহু বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গা। বাম আমলে ২০০২ সালের পরে দলে দলে এদের পশ্চিমবঙ্গে ঠাঁই দেওয়া হলেও, সময় যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা। বিরোধীদের মতে, এদের ভোটেই পুষ্ট হয়েছে শাসক দল। তাই এসআইআরের মাধ্যমে এদের ছাঁটাই করতে পারলেই কেল্লাফতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই একই ভয় পাচ্ছে রাজ্যের শাসক দলও। গদি খোয়াবার ভয়ে তারা সোচ্চার হয়েছে এসআইআরের বিরুদ্ধে। এসআইআর নিয়ে অপপ্রচারও চালানো (SIR) হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    এখন দেখার, এ রাজ্যে এসআইআর নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় কিনা (ECI)!

  • Bangladesh: বাংলাদেশের ম্যাপে ভারতের উত্তরপূর্বের অংশ! পাক সেনাকর্তার সামনে ফের আগুনে ঘি ইউনূসের! কোনও চক্রান্ত?

    Bangladesh: বাংলাদেশের ম্যাপে ভারতের উত্তরপূর্বের অংশ! পাক সেনাকর্তার সামনে ফের আগুনে ঘি ইউনূসের! কোনও চক্রান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল নিয়ে কূটনৈতিক স্তরে ফের উত্তেজনা উস্কে দিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিতারিত করে বারবার পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা বৃদ্ধিতে তৎপর হয়েছেন এই শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস (Muhammad Yunus)। ভারতের শত্রু রাষ্ট্র পাকিস্তানের জেনারেলকে তিনি দিয়েছেন একটি বিতর্কিত ম্যাপ। এই ম্যাপে উত্তরপূর্বের অসম এবং আরও অন্যান্য রাজ্যকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। উল্লেখ্য বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ অস্থির রাজনীতির কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টারা ভারতবিরোধী মন্তব্য করে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে তালানিতে ঠেকিয়েছিলেন। ওই দেশে চলছে নির্বিচারে সংখ্যালঘু হত্যা। দ্রব্যমূল্য এবং নিরাপত্তা নেই বললেই চলে। এবার বিতর্কিত ম্যাপ পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়ে আগুনে ঘি ঢেলেছেন ইউনূস। এই নতুন বিতর্কের সূত্রপাত  ভারতের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তির।

    কেন বিতর্কিত ম্যাপ (Bangladesh)?

    গত সপ্তাহের শেষে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারপার্সন জেনারেল শাহির শামসাদ মির্জা গিয়েছিলেন ঢাকায়। তিনি ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন। আর সেই সময় ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যের একটি বিতর্কিত ম্যাপ তুলে দেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে ভাগ করে আজকের বাংলাদেশের (Bangladesh) জন্ম দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। উর্দুভাষী পশ্চিম পাকিস্তানের পাকহানাদারের অত্যাচার, শোষণ এবং নিপীড়ন থেকে পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশিদের উদ্ধার করেছিল ভারতীয় সেনা। তারপর স্বাধীন জয় বাংলা হিসেবে আজকের বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক ছিল না। হতো না যোগাযোগ, ছিল না বাণিজ্যিক সম্পর্কও। কিন্তু গত ৫ অগাস্ট ২০২৪ সালে হাসিনাকে কোটা আন্দোলনের নামে বিতারিত করে সরকারে বসেন মহম্মদ ইউনূস। এরপর প্রকাশ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে শুরু হয় খোলামেলা আলোচনা। শুরু হয় বিনা ভিসায় যাতায়াত এবং বিমান পরিষেবা। করাচি থেকে সোজা জাহাজ আসছে চট্টগ্রাম বন্দরে। তবে এই সবটার পিছনে রয়েছে ভারতকে অস্থির করার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। ইউনূস (Muhammad Yunus) বাংলাদেশের চেয়ারে বসলেও আসলে তাঁর হালে পানি যোগাচ্ছেন শত্রু রাষ্ট্র পাকিস্তান এবং আইএসআই। উত্তরপূর্ব ভারতকে অস্থির করার গভীর ষড়যন্ত্র করেছে না তো এই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র?

    উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্য বাংলাদেশের অংশ!

    মহম্মদ ইউনূস পাকিস্তান জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক্স হ্যান্ডলে একটি ছবি বিনিময় করেন। ইউনূস নিজে ‘আর্ট অফ ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন। বইয়ের কভারে বাংলাদেশের (Bangladesh) একটা ম্যাপ দেখা যাচ্ছে। ম্যাপে উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্য বাংলাদেশের অংশ দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশের উগ্রমুসলিম সংগঠনগুলি গ্রেটার বাংলাদেশের (Muhammad Yunus) তত্ত্বে যা যা করে থাকে, ইউনূস পাকিস্তানের কাছে সেই তত্ত্বকেই তুলে ধরেছেন। যদিও এই বিতর্কিত ম্যাপ নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রক এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।

    চিন সফরেও উত্তরপূর্ব প্রসঙ্গ ছিল

    উল্লেখ্য বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা এই প্রথম উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কথা উল্লেখ করেননি। গত কয়েক মাসে শান্তিতে নোবেল জয়ী এই রাজনৈতিক নেতা একাধিকবার ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। গত এপ্রিল মাসে চিন সফরে গিয়েছিলেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। সেখানে গিয়ে ভারতের অসম সহ উত্তরপূর্ব রাজ্যকে স্থলবেষ্টিত বলে দাবি করে বলেছিলেন, “এই রাজ্যগুলি একমাত্র আমাদের সঙ্গে যুক্ত। আলাদা কোনও সমুদ্রপথ নেই। আমরাই তাদের অভিভাবক। তাই আমাদের উপেক্ষা করে কিছু করা সম্ভব নয়। তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর অন্যকোন রাস্তা নেই। এই বিরাট ভূ-মণ্ডলে চিনা অর্থনীতির সম্প্রসারণ ব্যাপক ভাবে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

    ভারত আক্রমণ করতে চায় ইউনূস?

    ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদুল ইসলাম সামাজিক মাধ্যমে এমন একটি বিতর্কিত মানচিত্র শেয়ার করেছিলেন। যেখানে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরার কিছু অংশকে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছিল। পরে অবশ্য নিজে চাপে পড়ে মুছতে বাধ্য হন। আবার গত মে মাসে ইউনূসের আরও এক ঘনিষ্ঠ অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “ভারত যদি পাকিস্তানকে আক্রমণ করে, তাহলে বাংলাদেশকে চীনের সঙ্গে মিলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দখল করা উচিত।” এই মন্তব্যগুলি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কতটা ভারত বিরোধী এবং  পাকিস্তান প্রেমী তাও আরও একবার প্রমাণিত হয়।

  • Calcutta High Court: “রাজ্যে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে?” পশ্চিমবঙ্গের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “রাজ্যে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে?” পশ্চিমবঙ্গের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কাছে মুখ পুড়ল রাজ্যের! রাজ্যের সব আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের। রাজ্যের উচ্চ ও নিম্ন আদালতগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন খাতে পর্যাপ্ত অর্থের বরাদ্দ নিয়ে আরও একবার আদালতের ক্ষোভের মুখে পড়ল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার (West Bengal Govt)। এর আগেও মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ভর্ৎসনা করেছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।

    অর্থ চেয়েও না মেলায় ক্ষোভ আদালতের (Calcutta High Court)

    পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ প্রয়োজনীয় নানা কাজে অর্থ চেয়ে রাজ্যের দ্বারস্থ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসন। অর্থের জন্য হন্যে হলেও, অর্থ তো মেলেইনি, বরং এ সংক্রান্ত অন্তত ৫৩টি ফাইল আটকে রয়েছে। এর সমাধান হওয়া তো দূর অস্ত, পেপারলেস অবস্থায় চলছে আদালতের কাজকর্ম। হাইকোর্ট এবং জেলা আদালতগুলিতে প্রয়োজনীয় কর্মী নেই। লাখ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে যে  সংস্থা আদালতে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়েছে, তাদের। এনিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। তার পরেও পরিস্থিতি যথা পূর্বং, তথা পরং। পুজোর ছুটির মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যের অর্থ দফতরের সচিবের বৈঠকে সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আদালতের তরফে। তাতেও সুরাহা হয়নি। এদিকে সোমবার রাজ্যের পক্ষে ফের সময় চাওয়া হয়। এর পরেই ক্ষোভ উগরে দেন দেবাংশু বসাক এবং মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।

    কী বলছে আদালত

    বিচারপতি বসাক বলেন, “বিএসএনএলের তিন বছরের বিল বাবদ বাকি ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। হাইকোর্টের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিলে কী হবে? আজ সরকারি ছুটি মানেই তো আর ইন্টারনেট হলি-ডে নয়! রাজ্য কি কনসলিডেলেট ফান্ড রিজার্ভ ব্যাঙ্কে রাখে? তাহলে তার অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন। অ্যাটাচ করে দেব। সব লেনদেন বন্ধ রাখুন তাহলে! আরবিআইকে বলছি লেনদেন বন্ধ করতে।” তিনি বলেন, “রাজ্যের প্রশাসনিক (Calcutta High Court) মাথা, মুখ্যসচিব, অর্থসচিব – তাঁরা এক মাসেও কিছু করতে পারলেন না। রাজ্যের ভূমিকায় আমরা বাকরুদ্ধ। আমরা এগুলি রাজ্যের নজরে আনছি।” এই মামলায় এর আগে দু’বার (West Bengal Govt) ভার্চুয়াল হাজিরা দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি বসাক বলেন, “উনি (মুখ্যসচিব) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার পরেও কেন টাকা দেওয়া হল না?” এর পরেই তিনি বলেন, “রাজ্যে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে? আপনারা তো প্রথম লাইনেই মিথ্যে কথা বলছেন!” প্রসঙ্গত, বছর তিনেক ধরে বকেয়া থাকায় ৩৬টি প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে। মেটানো হয়নি বিএসএনের প্রাপ্য বকেয়া বিলও।

    রাজ্য সরকার মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছে!

    বেঞ্চের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “হাইকোর্টের কাজে অর্থ বরাদ্দ করা কি প্রশাসনিক কাজের মধ্যে পড়ে না? গত তিন বছর যথেষ্ট সময়। বিল দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি? দেখে তো মনে হচ্ছে শামুক আর কচ্ছপের দৌড় প্রতিযোগিতা হচ্ছে।” বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, “এই যদি হাইকোর্টের অবস্থা হয়, তাহলে নিম্ন আদালতগুলির কী অবস্থা!” এদিন রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানান, ৬০ লাখ টাকা মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ৩০ তারিখের মধ্যে (West Bengal Govt) বাকি টাকা দেওয়া হবে। অর্থ দফতরের আধিকারিক বলেন, “আমরা দু’দিনের মধ্যে অর্ধেক টাকা মিটিয়ে দিচ্ছি।” বিচারপতি (Calcutta High Court) বসাকের ফের প্রশ্ন, “কেন দু’দিন সময় লাগবে? এখন তো সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাঠানো যায়!” রাজ্যের তরফে জানানো হয় রাজ্য সরকারের ছুটি রয়েছে। এর পরেই বেঞ্চ বলে, “এখন তো অনলাইনেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া যায়। ছুটি বলে তো আর ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ নয়! আদালত মনে করে, রাজ্য সরকার এই বিষয়ে মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছে।”

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন

    এদিন শুনানির সময় আদালতে হাজির ছিলেন রাজ্যের অর্থ দফতরের এক আধিকারিক। বেঞ্চ তাঁর কাছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর জানতে চাইলে তিনি জানান, আরবিআইয়ের অ্যাকাউন্ট নম্বর জানা নেই তাঁর। এর পরেই আদালত (Calcutta High Court) বলে, “আমরা বসে আছি। এখনই মুখ্যসচিবকে ফোন করে অ্যাকাউন্ট নম্বর জেনে জানান।” এদিন রাজ্যের তরফে উপস্থিত আইনজীবী বলেন, “দয়া করে একটু সময় দেওয়া হোক। বিলের ২.৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।” বেঞ্চের প্রশ্ন, “কিন্তু সেই টাকা কি আদৌ আদালতের হাতে এসেছে?”

    আদালতের নির্দেশ

    এর পরেও রাজ্যের তরফে এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১০ নভেম্বর। বেঞ্চের নির্দেশ, তার আগে ২৯ অক্টোবর এবং ৬ নভেম্বর বিষয়টি (West Bengal Govt) নিয়ে ফের বৈঠকে বসতে হবে রাজ্য এবং হাইকোর্ট (Calcutta High Court) প্রশাসনকে। মুখ্যসচিবের পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে হবে অর্থসচিবকেও।

  • West Bengal: এক বছরে রাজ্যে ভর্তি শূন্য স্কুলের সংখ্যা ৪ হাজার! কেন্দ্রের রিপোর্টে দেশে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ

    West Bengal: এক বছরে রাজ্যে ভর্তি শূন্য স্কুলের সংখ্যা ৪ হাজার! কেন্দ্রের রিপোর্টে দেশে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে শিক্ষক (Education Crisis) রয়েছেন প্রায় ১৮ হাজার। অপর দিকে এক বছরে ভর্তি শূন্য! ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে দেশের প্রায় ৪ হাজার স্কুলে কোনও রকম ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়নি। কেন্দ্রীয় রিপোর্টের এই চাঞ্চল্যকর তথ্যে রাজ্যের তৃণমূল সরকার এখন চরম অস্বস্তিতে। এদিকে মমতা (West Bengal) সরকার এগিয়ে বাংলা বলে ঢাকঢোল পেটালেও এই রাজ্যের শিক্ষাঙ্গণের এই তথ্যে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে কতটা বেহাল দশা রাজ্যের। দিল্লির রিপোর্টে তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, এই রাজ্যে ৩ হাজার ৮১২টি স্কুলে গত এক বছরে নতুন করে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি। বাংলার পরেই এই তালিকা রয়েছে তেলঙ্গানা ও মধ্যপ্রদেশে।

    শূন্য স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা (West Bengal)

    সারা দেশে ৭ হাজার ৯৯৩টি স্কুলে (Education Crisis) গত এক বছরে কেউ ভর্তি হয়নি। অবশ্য ভারতবর্ষ জুড়ে এখন এই পরিসংখ্যানের পরিমাণ অনেকটাই কমে গিয়েছে। গত বছর দেশজুড়ে এই রকম স্কুলের সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৯৫৪টি। যা চলতি বছর ৫ হাজার কমে এসে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৯৯৩-তে। তবে স্কুল ছুটের তালিকায় একেবারে শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তেলঙ্গানা, এই রাজ্যে এক বছরে ভর্তিশূন্য দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৪৫টি স্কুল। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। এখানে ভর্তি শূন্য দাঁড়িয়েছে ৪৬৩টি স্কুলে। তবে ছাত্রছাত্রী ভর্তি না হলেও একাধিক শিক্ষক স্কুলে নিযুক্ত ছিলেন। বাংলার ক্ষেত্রে এই ভর্তি শূন্য স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৯৬৫ জন। তেলঙ্গানায় রয়েছে ১ হাজার ১৬ জন এবং মধ্যপ্রদেশের ক্ষেত্রে ২২৩ জন। আবার যোগীর উত্তরপ্রদেশে ভর্তি শূন্য স্কুলের সংখ্যা হল ৮১টি।

    ১ লক্ষ এমন স্কুলে ১ জন করে শিক্ষক

    কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান বলছে, দেশে ১ লক্ষ এমন স্কুল আছে, যেখানে শিক্ষক বা শিক্ষিকার সংখ্যা মাত্র ১ জন। এসব স্কুলে মোট পড়ুয়াদের সংখ্যা প্রায় ৩৩ লক্ষ। তবে এমন স্কুলের সংখ্যা অন্ধ্রপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি। এরপর তালিকায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, লাক্ষাদ্বীপ। তবে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা বিশিষ্ট স্কুলগুলিতেই অধিক পরিমাণে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির হিসেব সামনে উঠে এসেছে। ঠিক তারপরেই রয়েছে তালিকায় ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal), মধ্যপ্রদেশ রাজ্য। এবারের রিপোর্টে একজন শিক্ষিক-শিক্ষিকা বিশিষ্ট স্কুলের সংখ্যাও কমেছে। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এমন স্কুলের (Education Crisis) সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ১৮ হাজার ১৯০। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে তা কমে হয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার ৯৭১। প্রায় ৬ শতাংশের পার্থক্য।

    প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুণ

    সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতরের (Education Crisis) এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “স্কুলশিক্ষা রাজ্যের দায়িত্ব। রাজ্য সরকারগুলিকে আমরা পরামর্শ দেব কেন এইভাবে ছাত্রছাত্রীর অভাবে স্কুলগুলি লাগাতার বন্ধ হচ্ছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুণ।” রিপোর্টে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেশ কিছু রাজ্যে এমন ভর্তিশূন্য স্কুলের পরিসংখ্যানও পাওয়া যায়নি। এই রাজ্যগুলির মধ্যে হল— হারিয়ানা, মহারাষ্ট্র, গোয়া, অসম, হিমাচল প্রদেশ, ছত্তিশগঢ়, নাগাল্যান্ড, সিকিম এবং ত্রিপুরা। একই ভাবেই কোনও কেন্দ্র শাসিত রাজ্যে দিল্লি, পুদুচেরি, লাক্ষাদ্বীপ, দাদরা ও নগর হাভেলী, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, চণ্ডীগড়, দমন ও দিউয়ের মতো রাজ্যে একই রকম কোনও স্কুলের সন্ধান মেলেনি।

    পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষায় অনীহা

    রাজ্যে (West Bengal) স্কুলের পরীক্ষার ফলাফল দেরিতে বের হওয়া, স্কুলে ভর্তিতে অনিশ্চয়তা, ওবিসি সংরক্ষণ জটিলতা, প্রাইভেট স্কুল-কলেজে ভর্তির রমরমা, এসএসসিতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল, মিড ডে মিলে দুর্নীতি-সহ একাধিক বিষয়ে তৃণমূল সরকারের অপকর্ম পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের জীবনকে অস্থির করে তুলেছে। শিক্ষা এবং শিক্ষার (Education Crisis) ভিত্তিতে কাজের সুযোগ নেই বলেই এই রাজ্যে পড়াশুনার প্রতি সামাজিক অনীহা তৈরি হয়েছে। মমতা সরকারের আমলে সবচেয়ে পরিমাণে শিক্ষকে অবহেলা করা হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

  • World Bank Report: পাকিস্তানে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান নিম্নগামী, বলছে বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট

    World Bank Report: পাকিস্তানে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান নিম্নগামী, বলছে বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতদৃষ্টিতে এক ঝলক দেখলে মনে হবে সব ঠিক আছে। কারণ শেয়ার বাজার ঊর্ধ্বমুখী, সরকার আইএমএফ সমর্থিত সংস্কারের ঢাক পেটাচ্ছে (World Bank Report)। পাকিস্তানের এই ঝাঁ চকচকে ছবিটাই ধূলিমলিন হয়ে গেল বিশ্বব্যাঙ্কের সর্বশেষ মূল্যায়নের রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, শাহবাজ শরিফের দেশে নিত্য বাড়ছে দারিদ্র ও বৈষম্য, যা প্রভাবিত করছে লাখ লাখ পরিবারকে।

    দারিদ্র্য ও স্থিতিস্থাপকতা বিষয়ক রিপোর্ট (World Bank Report)

    বিশ্বব্যাঙ্কের দারিদ্র্য ও স্থিতিস্থাপকতা বিষয়ক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ম্যাক্রো ইকোনোমিক স্থিতিশীলতা থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান নিম্নগামী হয়েছে। দারিদ্র্যের হার, যা ২০০১ সালে ৬০ শতাংশের বেশি থেকে ২০১৮ সালে প্রায় ২১ শতাংশে নেমে এসেছিল, তা ফের ২০২৩–২৪ সালের মধ্যে বেড়ে হয়েছে ২৭ শতাংশেরও বেশি। নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মানদণ্ডে বিচার করলে দেখা যায়, বর্তমানে পাকিস্তানের প্রায় অর্ধেক জনগণ দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করছে। রিপোর্টটি আঞ্চলিক বৈষম্যের দিকেও আলোকপাত করেছে। পাকিস্তানের গ্রামীণ এলাকাগুলি, বিশেষত বালুচিস্তান ও সিন্ধ প্রদেশ, ইসলামাবাদ ও লাহোরের মতো শহরের তুলনায় নিদারুণভাবে বঞ্চনার শিকার। অপুষ্টি ছড়িয়ে রয়েছে কমবেশি সর্বত্র। পাঁচ বছরের নীচে প্রায় ৪০ শতাংশ শিশুই খর্বাকৃতির সমস্যায় ভুগছে। শিক্ষা ব্যবস্থার হাল করুণ হওয়ায় অসংখ্য তরুণ-তরুণী উৎপাদনশীল কর্মসংস্থানের জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুত নয় (World Bank Report)।

    পাকিস্তানের শ্রমবাজার

    পাকিস্তানের শ্রমবাজারও পরিকাঠামোগত দুর্বলতাকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। দেশটির প্রায় ৮৫ শতাংশ শ্রমিক কাজ করেন ইনফর্মাল খাতে। এখানে কোনও চুক্তি, সুযোগ-সুবিধা বা সামাজিক সুরক্ষা নেই। মহিলা শ্রমিকরা এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। সামান্য আয় কমে যাওয়াও স্থবির মজুরি ও মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে লাখ লাখ মানুষকে আরও গভীর দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে।আইএমএফ-সমর্থিত সংস্কারগুলি ম্যাক্রো ইকনোমিক স্থিতিশীলতা এনেছে বটে, কিন্তু এই উন্নতির বাস্তব সুফল এখনও পৌঁছয়নি সাধারণ মানুষের কাছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও সতর্ক রয়েছেন। কারণ দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল। প্রশাসনিক অদক্ষতার কারণেও অনেকেই তাঁদের কার্যকলাপ সীমিত করে ফেলেছেন।

    এদিকে, বিশ্বব্যাঙ্ক চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ২০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৬.৫ শতাংশ করেছে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ভারতের শক্তিশালী ভোগব্যয় বৃদ্ধি এবং বিশ্বের দ্রুততম প্রবৃদ্ধিসম্পন্ন প্রধান অর্থনীতি হিসেবে ভারতের অবস্থান। এই রিপোর্টই দুই প্রতিবেশী দেশের অর্থনৈতিক গতিপথের পার্থক্যকে স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে (World Bank Report)।

  • Shreyas Iyer: ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোট, পাঁজরের ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ, আইসিইউতে ভর্তি শ্রেয়স

    Shreyas Iyer: ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোট, পাঁজরের ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ, আইসিইউতে ভর্তি শ্রেয়স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিডনিতে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ক্যারের ক্যাচ ধরতে গিয়ে পাঁজরে গুরুতর চোট পান শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। ক্যাচ ধরলেও ভুল ল্যান্ডিংয়ের ফলে তাঁর বাঁদিকে পাঁজরে চোট লাগে। ব্যথায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ফিজিও এসে তাঁকে মাঠ থেকে তুলে নেন। এর পর তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে চেকআপের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি করা হয় সেখানকার একটি হাসপাতালে। বোর্ড সূত্রে খবর, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষণের জন্য ভারতীয় ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ককে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। আপাতত দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত শ্রেয়সকে আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

    দুই থেকে সাতদিন পর্যবেক্ষণে শ্রেয়স

    বোর্ড সূত্রে খবর, ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরলেও শ্রেয়স ফেরেননি। তাঁকে চিকিৎসার জন্য সিডনিতেই রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। শ্রেয়স (Shreyas Iyer) গত কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে রয়েছেন। রিপোর্টে এসেছে, তাঁর অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁকে দুই থেকে সাতদিন ধরে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। চেষ্টা করা হচ্ছে রক্তক্ষণের ফলে যাতে ওর ইনফেকশন না হয়। বোর্ড এবং মেডিক্যাল টিম কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।

    দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে অনিশ্চিত শ্রেয়স

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শ্রেয়সের (Shreyas Iyer) পাঁজরে কোনও ফ্র্যাকচার না থাকলেও সম্পূর্ণ সেরে উঠতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। ফলে সিডনির হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ভারতে ফিরবেন না। তাঁর এই ইনজুরির কারণে অন্তত ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে বলে চিকিৎসকদের অনুমান। চিকিৎসকদের কথায়, ‘আপাতত দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত শ্রেয়সকে আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তাঁর সেরে ওঠার গতি অনুযায়ী এই সময়কাল নির্ধারণ করা হবে। রক্তক্ষরণের ফলে কোনওভাবেই যাতে সংক্রমণ না ঘটে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।’ ফলে তাঁর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে অংশগ্রহণ এখন কার্যত অনিশ্চিত। অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে এরই মধ্যে বিরাট কোহলি লন্ডনে ফিরে গিয়েছেন, রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল দেশে ফিরেছেন।

  • S Jaishankar: ভারত-আমেরিকা শুল্ক-যুদ্ধের আবহেই মালয়েশিয়ায় জয়শঙ্কর-রুবিও বৈঠক, কী নিয়ে আলোচনা হল?

    S Jaishankar: ভারত-আমেরিকা শুল্ক-যুদ্ধের আবহেই মালয়েশিয়ায় জয়শঙ্কর-রুবিও বৈঠক, কী নিয়ে আলোচনা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের (ASEAN Summit) ফাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মালয়েশিয়ায় আয়োজিত এই সম্মেলনে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে যে বাণিজ্য আলোচনা চলছে, তার প্রেক্ষিতেই হয় এই বৈঠক। এক্স হ্যান্ডেল একটি পোস্টে জয়শঙ্কর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক-সহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলি নিয়ে হওয়া আলোচনার প্রশংসা করেন।

    কোয়াত্রার বক্তব্য (S Jaishankar)

    এদিকে, রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় মোহন কোয়াত্রা মার্কিন সেনেটের বিদেশ সম্পর্ক কমিটির র‍্যাঙ্কিং সদস্য জিন শাহিনের সঙ্গে বৈঠকে পারস্পরিকভাবে লাভজনক বাণিজ্য চুক্তি, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং তেল ও গ্যাস বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোয়াত্রা লিখেছেন, “এসএফআরসিডেমস-এর সেনেট বিদেশ সম্পর্ক কমিটির র‌্যাঙ্কিং সদস্য সেনেটর শাহিনের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। আমাদের আলোচনা মূলত পারস্পরিকভাবে লাভজনক বাণিজ্য চুক্তি প্রতিষ্ঠা, ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তেল ও গ্যাস বাণিজ্য বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং আমাদের অঞ্চলের অভিন্ন ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়েই কেন্দ্রীভূত ছিল।”

    নরেন্দ্র মোদির অবস্থান

    ভারতের রাষ্ট্রদূত রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অবস্থানও তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় এমন একটা সময়, যখন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীয়ূষ গোয়েল সাফ জানিয়ে দেন, ভারত কোনও বাণিজ্য চুক্তিতে তাড়াহুড়ো করে স্বাক্ষর করবে না এবং এমন কোনও শর্ত মেনে নেবে না যা অংশীদার দেশগুলি ভারতের বাণিজ্যিক স্বাধীনতাকে সীমিত করে। তিনি এও বলেন, “বাণিজ্য চুক্তি শুধুমাত্র শুল্ক বা কর সম্পর্কিত নয়, বরং এটি পারস্পরিক আস্থা গঠন, দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক স্থাপন এবং বৈশ্বিক ব্যবসায়িক সহযোগিতার জন্য একটি মজবুত কাঠামো তৈরির ব্যাপারেও গুরুত্বপূর্ণ (S Jaishankar)।”

    ওয়াশিংটনের সঙ্গে যে বাণিজ্য আলোচনা চলছে, তার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, “অতি স্বল্পমেয়াদি প্রেক্ষাপটে বিষয়টি আগামী ছ’মাসের মধ্যে কী ঘটবে তা নিয়ে নয়। এটি কেবল আমেরিকায় ইস্পাত বিক্রি করার ক্ষমতা নিয়েও নয়।” অন্যদিকে, বাণিজ্য সচিব রাজেশ আগরওয়াল জানান, ভারতের সঙ্গে (ASEAN Summit) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা ভালোভাবেই এগোচ্ছে। উভয় পক্ষই অধিকাংশ বিষয়ে একমত হওয়ার পথে। এ থেকে স্পষ্ট, শীঘ্রই একটি পারস্পরিকভাবে লাভজনক চুক্তি হতে যাচ্ছে (S Jaishankar)।

LinkedIn
Share