Tag: bangla news

bangla news

  • Non Veg Milk: ভারতে ‘আমিষ দুধ’ পাঠাতে চান ট্রাম্প, না মোদি সরকারের! তাই কি থমকে বাণিজ্যচুক্তি?

    Non Veg Milk: ভারতে ‘আমিষ দুধ’ পাঠাতে চান ট্রাম্প, না মোদি সরকারের! তাই কি থমকে বাণিজ্যচুক্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তির অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘নন-ভেজ দুধ’ (Non Veg Milk)। দুধ আবার আমিষ! মহাদেবের অভিষেক থেকে শুরু করে নানা পুজোয় দুধ লাগে। হোমে আহুতি দিতে অত্যাবশ্যক ঘি। তা-ও যদি আমিষ হয় তাহলে তা হবে ভারতীয় তথা হিন্দু সংস্কৃতির উপর আঘাত। বেশি দুধ উৎপাদনের জন্য গরুকে মাংস বা প্রাণীর চর্বি খাওয়ানোর রেওয়াজ রয়েছে আমেরিকায়। এই দুধকেই বলা হচ্ছে নন-ভেজ মিল্ক। যা নিয়ে আপত্তি ভারতের। তাই আমেরিকার “নন-ভেজ দুধ”-এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মোদি সরকার। আর তাতেই চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    কী এই ‘নন-ভেজ দুধ’?

    বেশি দুধ উৎপাদনের জন্য গরুকে মাংস বা প্রাণীর চর্বি খাওয়ানো হয় অনেক দেশেই। সেই সব গরু যে দুধ দেয় তাকেই বলা হয় নন ভেজ দুধ। ২০০৪ সালে সেটল পোস্ট ইন্টালিজেন্সর (Seattle Post-Intelligencer)-এর একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মার্কিন গরুর খাদ্যে ব্যবহৃত হয় মৃত পশুর রক্ত, চর্বি ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। এই প্রথা এখনও যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ, বিশেষত প্রাণিসম্পদ দ্রুত মোটা করার জন্য। ভারতীয় নিয়ম অনুযায়ী, গরুদের শুধুমাত্র উদ্ভিজ্জ খাদ্য দেওয়া হয়। পশুজাত খাদ্য গ্রহণ করা গরুর দুধ হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে অশুচি ও অগ্রহণযোগ্য। এ-দেশে বহু নিরামিষভোজী মানুষ দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার খান। আবার কখনও পুজোআচ্চাতেও দুধ ব্যবহার করা হয়। তাই দুধ আমিষ হলে খাদ্য-সংস্কৃতিই বিপন্ন হবে। ঠিক এই গেরোতেই আটকে আছে ভারত-মার্কিন বাণিজ্যচুক্তি।

    সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংবেদনশীলতা

    ভারতের একটি বিরাট অংশের মানুষ নিরামিষ খান। ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস ২০২৩ (World Atlas 2023) অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৩৮ শতাংশ মানুষ নিরামিষভোজী। তাঁদের কাছে দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য নিরামিষ হিসেবেই বিবেচিত। কিন্তু গোরুকে যদি আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয়, তা হলে সেটি নিরামিষ থাকবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। হিন্দু ধর্মে গোরুকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মানা হয়। দিল্লির গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক কর্তা অজয় শ্রীবাস্তব সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, ‘একবার ভেবে দেখুন তো, এমন একটি গোরুর দুধ থেকে তৈরি মাখন খাচ্ছেন যাকে অন্য কোনও প্রাণীর মাংস বা আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয়েছে। ভারতবাসী কখনওই এটা অনুমোদন করবে না।’

    অর্থনৈতিক প্রভাব

    ভারত বিশ্বের বৃহত্তম দুধ উৎপাদক ও ভোক্তা হিসেবে পরিচিত। দেশের ৮ কোটিরও বেশি মানুষ এই জীবিকার উপরে নির্ভরশীল। অধিকাংশই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৩৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন দুধ উৎপন্ন হয়েছে ভারতে। যার বাজার মূল্য ₹৭.৫ থেকে ₹৯ লাখ কোটি। অন্য দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রধান দুধ রফতানিকারক দেশ। ভারতের দাবি, এই চুক্তি ভারতের বাজারের ক্ষতি করতে পারে। এর ফলে দুধের দাম কমে যেতে পারে অন্তত ১৫%, এমনটাই বলছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (State Bank of India) এক বিশ্লেষণ। এতে কৃষকদের বছরে ₹১.০৩ লাখ কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে। ভারতের দুগ্ধশিল্প গ্রামীণ অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত। তাই কৃষকদের জীবনধারা সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়। ভারত বর্তমানে পনিরের উপরে ৩০%, মাখনের উপরে ৪০% এবং গুঁড়ো দুধের উপরে ৬০% শুল্ক আরোপ করে।

    ভারতের অনড় অবস্থান ও আন্তর্জাতিক চাপ

    ভারত আমদানি করা দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্যের মান কঠোর ভাবে বজায় রাখতে চায়। সে ক্ষেত্রে অন্য কোনও দেশ থেকে ভারতে দুগ্ধজাত দ্রব্য আমদানি করার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক পশু চিকিৎসার সার্টিফিকেশন। ভারতের নিয়ম অনুযায়ী, পণ্যের লেবেলে নিরামিষ (সবুজ চিহ্ন) এবং আমিষ (বাদামী চিহ্ন) স্পষ্ট ভাবে চিহ্নিত করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ‘নন-ভেজ দুধ’ বাজারে এলে এই ব্যবস্থা জটিল হয়ে পড়বে। এমনকী, ভোক্তাদের মধ্যেও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে। ভারত তার সিদ্ধান্তে অনড়। অন্য দিকে, পিছপা হতে রাজি নয় আমেরিকাও। সে দেশের তরফে ভারতের এই যুক্তির তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। এমনকী, এই বিষয়গুলিকে অপ্রয়োজনীয় বাণিজ্য বাধা বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যে সব দেশে গরুকে আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয়, তাদের সঙ্গে কোনও রকম চুক্তি করতে চায় না ভারত, এমনটাই সূত্রের খবর। এ দেশের বেশির ভাগ মানুষ গরুকে ভগবান হিসেবে পুজো করেন। সেই কারণেই বিষয়টি ভারতের কাছে অত্যন্ত সংবেদনশীল। ভারতের কাছে বিষয়টি নিছক একটি বাণিজ্যিক চুক্তি নয়। বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং বহু মানুষের রুটি-রুজির বিষয়। সেই কারণে ভারত এই আলোচনাকে ‘রেড লাইন’ (Red Line on US Dairy Product) হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

  • BJP Murder: অভিজিৎ সরকার হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন ওসি সহ দুই পুলিশ কর্মীর জেল! ‘রক্ষকই ভক্ষক’, বলল আদালত

    BJP Murder: অভিজিৎ সরকার হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন ওসি সহ দুই পুলিশ কর্মীর জেল! ‘রক্ষকই ভক্ষক’, বলল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের ভোট-পরবর্তী হিংসায় কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের হত্যা মামলায় (BJP Murder) কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সহকারী কমিশনার (তৎকালীন নারকেলডাঙা থানার ওসি) শুভজিৎ সেন এবং অভিযুক্ত সহযোগী সুজাতা দে-র জামিনের আবেদন শুক্রবার খারিজ করেছে আদালত। বিচারক তাঁদের ৩১ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। একই দিনে মামলার আরও দুই অভিযুক্ত—তৎকালীন সাব-ইন্সপেক্টর রত্না সরকার ও হোমগার্ড দীপঙ্কর দেবনাথকেও জেল হেফাজতে পাঠানো হয় (Abhijit Sarkar Case)।

    রক্ষকই যদি ভক্ষক হয়ে যায়, তখন সমাজ কোথায় দাঁড়াবে

    শুনানির সময় বিচারক মন্তব্য করেন, ‘‘যখন রক্ষকই ভক্ষক হয়ে যায়, তখন সমাজ কোথায় দাঁড়াবে?’’ পাশাপাশি, তদন্তকারী অফিসারকে না জানিয়ে কেন শুভজিৎ নিহত অভিজিতের (BJP Murder) মায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রাজ্যের বিভিন্ন অংশে হিংসার ঘটনা ঘটে। তার মধ্যেই কাঁকুড়গাছিতে অভিজিৎ সরকারের মৃত্যু ঘটে (BJP Murder)। পরিবার সূত্রে অভিযোগ, ফল ঘোষণার ঠিক পরেই গলায় দড়ি পেঁচিয়ে এবং বেধড়ক মারধর করে তাঁকে হত্যা করা হয়। প্রাথমিকভাবে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ তদন্তে থাকলেও পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই দায়িত্ব সিবিআই-এর হাতে যায়।

    চার্জশিটে নাম বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়কের (Abhijit Sarkar Case)

    এই মামলায় প্রথমে পুলিশ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। পরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সিবিআই প্রথম অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে, যেখানে অভিযুক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ২০ জনে। এর মধ্যে ১৫ জন আগে থেকেই পুলিশের চার্জশিটে ছিল। চলতি বছরের ২ জুলাই সিবিআই দ্বিতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয়। সেই নথিতে অভিযুক্তদের (BJP Murder) তালিকায় উঠে এসেছে বেলেঘাটা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষের নাম। এ ছাড়াও শুভজিৎ সেন, রত্না সরকারদের নামও সেখানে রয়েছে।

  • AK-203 in Indian Army: মেক ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য, চলতি বছরেই সম্পূর্ণভাবে দেশেই তৈরি হবে এ কে-২০৩

    AK-203 in Indian Army: মেক ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য, চলতি বছরেই সম্পূর্ণভাবে দেশেই তৈরি হবে এ কে-২০৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনায় ইনসাসের (INSAS rifle replaced by AK 203) জায়গা নিয়েছে এ কে ২০৩ রাইফেল অর্থাৎ অটোমেটিক কালাশনিকভ। রাশিয়ার টেকনোলজিতে তৈরি বিখ্যাত এ কে সিরিজের অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার এই অ্যাসল্ট রাইফেল। এবার থেকে সম্পূর্ণ রূপে দেশেই তৈরি হবে এই রাইফেল, এমনই জানিয়েছেন ইন্দো রাশিয়ান রাইফেলস প্রাইভেট লিমিটেড (IRRPL)-এর সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল এস কে শর্মা।

    এ কে ২০৩ কতটা কার্যকর

    এ কে ২০৩, ৮০০ মিটার (800 metre range) পর্যন্ত নির্ভুল আঘাত করতে পারে। একটি ম্যাগাজিনে ৩০ টি করে ৭.৬২ ক্যালিবারের বুলেট থাকে। এই রাইফেলের সুবিধা প্রথম এক বছর কোনও মেনটেনেন্স চার্জ লাগে না। সেনাদের জন্য ব্যবহার করা একেবারে সহজ পদ্ধতি। সিঙ্গল এবং বার্স্ট মোডে অসাধারণ নির্ভুল লক্ষ্যএই রাইফেলের। নাইট ভিশন মোডেও দারুন কার্যকরী এ কে ২০৩। পাকিস্তান এবং চিন সীমান্তে কার্যকরী ভূমিকা নেয় এ কে ২০৩। সীমান্তে পাক জঙ্গি দমনেও সক্রিয় এই আধুনিক অস্ত্র। ভারতীয় সেনার ব্যবহৃত এই এ কে-২০৩ (AK-203) অ্যাসল্ট রাইফেল আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ রূপে দেশে তৈরি হবে। মেজর জেনারেল এস কে শর্মা জানান, এই রাইফেল তৈরির কাজের প্রায় ৫০ শতাংশ ইতিমধ্যেই ভারতীয়করণ হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এটি ১০০ ভাগ দেশীয়করণে পৌঁছবে। এর ফলে উৎপাদনের হার অনেক গুণ বেড়ে যাবে এবং দ্রুত সরবরাহ সম্ভব হবে।

    দ্রুত সরবরাহের সম্ভাবনা

    মেজর জেনারেল শর্মা বলেন, “একজন সৈনিকের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বন্ধু তার অ্যাসল্ট রাইফেল। ভবিষ্যতে এ কে-২০৩ হবে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অস্ত্র।” তিনি আরও জানান, ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য ছয় লক্ষেরও বেশি এ কে-২০৩ রাইফেলের অর্ডার এসেছে। এ পর্যন্ত ৪৮,০০০ রাইফেল সরবরাহ করা হয়েছে এবং চলতি বছরের শেষে মোট ৭০,০০০ রাইফেল সরবরাহ করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী এই রাইফেলগুলোর সম্পূর্ণ ডেলিভারি হওয়ার কথা ২০৩২ সালে হলেও, আইআরআরপিএল-এর পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যেই সমস্ত রাইফেল সরবরাহ শেষ হবে, যা চুক্তির নির্ধারিত সময়ের দুই বছর আগেই সম্পন্ন হবে। এর ফলে সীমান্ত আরও সুরক্ষিত হবে। শক্তিশালী হবে ভারতীয় সেনার হাত।

  • Ramakrishna 414: ভেতর বোঁদে, মানে যার মন অতল, ডুবুরি নামালেও তল পাওয়া যাবে না

    Ramakrishna 414: ভেতর বোঁদে, মানে যার মন অতল, ডুবুরি নামালেও তল পাওয়া যাবে না

    শ্রী রামকৃষ্ণ- এই মনের গোচর নন বটে, কিন্তু শুদ্ধ মনের গোচর। এটা বুদ্ধির দ্বারা ধরা যায় না, কিন্তু শুদ্ধ বুদ্ধির দ্বারা ধরা যায়। কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি গেলেই মন ও বুদ্ধি শুদ্ধ হয়। তখন শুদ্ধ মন ও শুদ্ধ বুদ্ধি একত্রে—সেই শুদ্ধ মনের গোচরে তিনি ধরা দেন।”

    ঋষি-মুনিরা কি তাঁকে দেখেননি? তাঁর চৈতন্যের দ্বারা তাঁকে চৈতন্যরূপেই সাক্ষাৎ করেছেন।

    গিরিশ (সহাস্যে) “নরেন্দ্র তর্কে আমার কাছে হেরেছে!”

    শ্রী রামকৃষ্ণ- না আমায় বলেছে, গিরিশ ঘোষ মানুষের অবতার, এটা তুমি বিশ্বাস করো।” এখন আমি আর কী বলব! আমার বিশ্বাসের উপর কিছু বলার নেই।

    গিরিশ (সহাস্যে), “সে মহাশয়! আমরা সব হল-ঘরে কথা বলছি, কিন্তু মাস্টার ঠোঁট চেপে বসে আছেন। কেমন বলেন, মহাশয়?”

    গিরিশ — মহাশয়, শ্লোকটি কী বললেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ — এই ক’টি লোকের থেকে সাবধান হবে।
    প্রথম — মুখে হোলসা, হল হল করে কথা বলে।
    দ্বিতীয় — ভেতর বোঁদে, মানে যার মন অতল, ডুবুরি নামালেও তল পাওয়া যাবে না।
    তৃতীয় — কান তুলসে, মানে কানে তুলসী দেয় ভক্তি দেখাবার জন্য।

    এরপর দীঘল ঘোমটা — লম্বা ঘোমটা দেখলেই লোকে ভাবে ভারী সতি, আসলে তা নয়। আর “পানা পুকুরে জল না থাকলে সান্নিপাতিক হয়” —

    অর্থাৎ বাইরে থেকে পবিত্রতা দেখালেও ভেতরে যদি কিছু না থাকে, তাহলে শুধু ভণ্ডামি।

    চুনিলাল — এঁর (মাস্টার) ছোট নরেন, বাবুরাম, ও পরে নারায়ণ, পল্টু, তেজো, চন্দ্র — এরা সব ওঁর কাছে পড়তে আসে। কথা উঠেছে যে উনি (চুনিলাল) তাদের এখানে এনেছেন, আর তাদের পড়াশোনা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মাস্টারের নামে দোষ দিচ্ছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ — তাদের কথা কে বিশ্বাস করবে?

    এই সকল কথাবার্তা হচ্ছিল, এমন সময় নারায়ণ এসে ঠাকুরকে প্রণাম করল।
    নারায়ণ গৌরবর্ণ, বয়স ১৭-১৮ বছর, স্কুলে পড়ে।
    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাকে খুব ভালোবাসেন — তাকে দেখার জন্য, তাকে খাওয়ানোর জন্য ব্যাকুল থাকেন।
    তার জন্য দক্ষিণেশ্বরে বসে বসে কাঁদেন।
    নারায়ণকে তিনি সাক্ষাৎ নারায়ণ (ভগবান) বলে মনে করেন।

  • Daily Horoscope 19 July 2025: প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 19 July 2025: প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) শেয়ার বাজারে লগ্নি নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    মিথুন

    ১) সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) কোনও কারণে মনে সংশয় বা ভয় কাজ করবে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেখা দেবে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় সমস্যা ও খরচ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) চক্ষুরোগ দেখা দিতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কপালে অপমান জুটতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • PM Modi: “মা, মাটি, মানুষের দলের দ্বারা নারীদের প্রতি দুর্ব্যবহার আমায় ব্যথিত করে,” দুর্গাপুরে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “মা, মাটি, মানুষের দলের দ্বারা নারীদের প্রতি দুর্ব্যবহার আমায় ব্যথিত করে,” দুর্গাপুরে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী কলকাত্তাওয়ালি। এ কথা মাথায় রেখেই দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামের বিশাল জনসভায় ‘জয় মা কালী’ বলে বক্তৃতা শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২১ জুলাই ধর্মতলায় সভা রয়েছে তৃণমূলের। তার আগে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) দিয়ে সভা করিয়ে ঘাসফুল শিবিরকে মাত দিল বিজেপি।

    বিকশিত বাংলা (PM Modi)

    এদিন বক্তৃতার শুরুতেই বিকশিত বাংলার প্রসঙ্গ (TMC) টানেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “বিজেপি বিকশিত বাংলা চায়। বাংলার এই মাটি প্রেরণায় পূর্ণ। এই মাটি দেশের প্রথম শিল্পমন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটি। দেশের প্রথম শিল্পনীতি দিয়েছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ বিধানচন্দ্র রায়ের মত দূরদর্শী নেতার মাটি। যিনি দুর্গাপুরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন। এই মাটি রবি ঠাকুরের মাটি। এরকম মহান ব্যক্তিত্বরা পশ্চিমবঙ্গকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর তাই পশ্চিমবঙ্গ ভারতের বিকাশের কেন্দ্র ছিল।” তিনি বলেন, “এক সময় বাংলা সমৃদ্ধই ছিল। বিকাশের কেন্দ্রে ছিল। কিন্তু এখন আর তা নেই। আমরা এই অবস্থাই বদলাতে চাইছি। বিজেপি সমৃদ্ধ পশ্চিমবঙ্গ তৈরি করতে চায়। এখন এখানে কাজের জন্য বাইরে যেতে হয় বাংলার মানুষকে। বাংলাকে এই অবস্থা থেকে বের করতে হবে। বাংলা পরিবর্তন চায়, বাংলা উন্নয়ন চায়।”

    বিজেপি ক্ষমতায় এলে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলেই বাংলা দেশের অন্যতম শিল্পসমৃদ্ধ রাজ্য হয়ে উঠবে। এটা আমার বিশ্বাস। তৃণমূল বাংলাকে শিল্পোন্নত হতে দিচ্ছে না। তাই তৃণমূলকে বাংলা থেকে সরাতে হবে। পশ্চিমবঙ্গকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে এখানে নতুন বিনিয়োগ আসে। কর্মসংস্থান তৈরি হয়। কিন্তু যতদিন তৃণমূল থাকবে, ততদিন এসব হবে না।” তিনি বলেন, “তৃণমূল সরকার বাংলার বিকাশের পথে অন্তরায়। যেদিন তৃণমূল সরকারের পতন হবে সেদিন থেকে বাংলা নতুন গতিতে দৌড়বে। তৃণমূল সরকার গেলে তবেই আসল পরিবর্তন হবে।”

    আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে

    প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে প্রত্যাশিতভাবেই উঠে আসে মুর্শিদাবাদের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “মুর্শিদাবাদের মতো ঘটনা ঘটলে পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করে। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। তৃণমূলের গুন্ডাগিরির জন্যই এখানে উদ্যোগপতিরা আসেন না। তাই তৃণমূলকে সরাতেই হবে। বিনিয়োগকারীরা সিন্ডিকেটরাজ দেখেই পালিয়ে যান। তৃণমূলের জমানায় রসাতলে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা – সব।” প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে আরজিকর এবং কসবাকাণ্ডও। তিনি বলেন, “বাংলার হাসপাতালও (TMC) মেয়েদের জন্য সুরক্ষিত নয়। তখনও দেখা গিয়েছে, কীভাবে অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। এর পর কলেজেও একটা মেয়ের ওপর কীভাবে অত্যাচার চালানো হল, সেখানে সেখানে দেখা গেল তৃণমূলের লোকেরা জড়িত (PM Modi)।” তিনি বলেন, “যে দল মা, মাটি, মানুষ-এর আদর্শ নিয়ে কথা বলে, তাদের দ্বারা নারীদের প্রতি এমন দুর্ব্যবহার আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করে তোলে। ভারতের প্রথম পাশ্চাত্য-শিক্ষিত মহিলা চিকিৎসক কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের এই পবিত্র ভূমিতে এমন ঘটনা ঘটতে দেখা অত্যন্ত দুঃখজনক। পশ্চিমবঙ্গে নারীদের ওপর ঘটে চলা নৃশংসতা আমাদের কষ্ট দেয়, রাগে ভরিয়ে তোলে।”

    অনুপ্রবেশকারী প্রসঙ্গ

    অনুপ্রবেশকারীদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনুপ্রবেশকারীদের হয়ে সরাসরি মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল। কান খুলে শুনে রাখুন, অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সংবিধান অনুযায়ীই পদক্ষেপ করা হবে।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “তৃণমূলের (TMC) দুঃশাসনের কারণে ভুগছে পশ্চিমবঙ্গ। মানুষ বিজেপির দিকে আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। তারা বিশ্বাস করে, উন্নয়ন শুধু এনে দিতে পারে বিজেপিই। আগামিকাল দুর্গাপুরে বিজেপির এক জনসভায় অংশ নেব। সবাই যোগ দিন।”

    তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির কারণে বেকার শিক্ষকরা

    এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হাজার হাজার শিক্ষক তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির কারণে বেকার। আদালতও বলেছে, এটি একটি পদ্ধতিগত প্রতারণা।” মমতা সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেন, “এই সরকার মিথ্যে, আইনশৃঙ্খলাহীন এবং লুটেরাদের সরকার।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপির পক্ষ থেকে আমি আপনাদের অনুরোধ করছি বিজেপিকে একবার সুযোগ দিন। একটি পরিশ্রমী, সৎ ও শক্তিশালী সরকার বেছে নিন (PM Modi)।”

    কী বললেন মিঠুন

    প্রধানমন্ত্রীর আগে ভাষণ দেন অভিনেতা কাম বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “এবার আমাদের জীবন-মরণের লড়াই। আমাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশীর্বাদ রয়েছে। আমি থাকব। আপনারা থাকবেন। সকলে মিলে লড়ব। যেভাবেই হোক এই ইলেকশন (ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন) আমাদের জিততেই হবে। এছাড়া আর কী নিয়ে কথা বলব?” তিনি বলেন, “দুর্নীতি? দুর্নীতি তো ভরে রয়েছে রাজ্যটায় (TMC)। একটা ফাঁকও নেই। মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে কথা বলব? সেখানেও কথা বলার উপায় নেই। আমি পশ্চিমবঙ্গের ছেলে। এ রাজ্যের মা-বোন আমার মা-বোন।” মিঠুন বলেন, “আমি রাজনীতি করি না। মানুষ-নীতি করি। সেই জন্যই বারবার আমি পশ্চিমবঙ্গে ছুটে আসি।” এই অভিনেতা-রাজনীতিক বলেন, “এবার মাঠে নেমেছি একেবারে তৈরি হয়ে। ২৩-২৪ তারিখ থেকে পুরো মাঠে নামব। আপনাদের সঙ্গে থাকব। আপনাদের প্রবলেম জানব। মাঠে নেমে এক সঙ্গে লড়াই করব। এই লড়াই বহুদিন মনে রাখবে পশ্চিমবঙ্গ।” তিনি বলেন, “বিজেপি হেরে যাওয়ার পাত্র নয়। শুধু পুলিশকে একটু নিরপেক্ষ হওয়ার কথা বলুন। তারপর দেখুন, বিজেপি কী করতে পারে (PM Modi)।”

  • Jamaluddin: ছাঙ্গুরবাবার ডেরায় মিলল ‘লাল ডায়েরি’, ঘনাচ্ছে রহস্য

    Jamaluddin: ছাঙ্গুরবাবার ডেরায় মিলল ‘লাল ডায়েরি’, ঘনাচ্ছে রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাঙ্গুরবাবা (Chhangur Baba) ওরফে জামালউদ্দিনকে (Jamaluddin) ঘিরে ক্রমেই ঘনাচ্ছে রহস্য। এর আগে তদন্তকারীরা জেনেছিলেন ধর্মান্তরণ চক্রের মূলচক্রী হিসেবে সে বিদেশ থেকে অনুদান বাবদ পেয়েছিল ১০৬ কোটি টাকা। এবার তদন্তে উঠে এল একটি লাল ডায়েরি। উত্তরপ্রদেশ অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াডের এক অভিযানে উদ্ধার হওয়া এই ডায়েরিতে লেখা রয়েছে, ২০২২ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের সময় ছাঙ্গুরবাবার পক্ষ থেকে কোন কোন রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন কর্তা অর্থ সাহায্য নিয়েছিলেন। এই লাল ডায়েরিকে কেন্দ্র করে আলাদা আলাদাভাবে তদন্তে নেমেছে এটিএস, এটিএফ এবং ইডি। তদন্তকারীদের ধারণা, এই ডায়েরি থেকে ছাঙ্গুরবাবার ১০৬ কোটি টাকার বিদেশি অর্থায়নে গঠিত সম্রাজ্যের সঙ্গে রাজনীতির কারবারিদের যোগসূত্রের প্রমাণ মিলতে পারে।

    জামালউদ্দিন ভেক ধরেছিল ছাঙ্গুরবাবার (Jamaluddin)

    উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর জেলার রেহরা মাফি গ্রামের বাসিন্দা জামালউদ্দিন ভেক ধরেছিল ছাঙ্গুরবাবার। তবে এলাকায় সে পীরবাবা নামেই বেশি পরিচিত। প্রথম জীবনে সে সাইকেলে চড়ে আংটি ও তাবিজ বিক্রি করে বেড়াত। পরে ধর্মান্তরণের ফাঁদ পেতে এক দশকের মধ্যেই সে গড়ে তোলে বহু কোটি টাকার ব্যবসা। জানা গিয়েছে, ছাঙ্গুরবাবার আর্থিক উত্থানের পেছনে ছিল মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া বিপুল পরিমাণ অনুদান। সরকারি হিসেবে, তার নামে ৪০টিরও বেশি সক্রিয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যার মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে প্রায় ১০৬ কোটি টাকা। ছাঙ্গুরবাবার দুটি সম্পত্তির সন্ধানও মিলেছে। একটি বলরামপুরে, অন্যটি মহারাষ্ট্রের লোনাভালায়। এই দুই সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য ১৮ কোটি টাকারও বেশি। লোনাভালার সম্পত্তিটি ২০২৩ সালের অগাস্টে কেনা হয় এবং এটি তার ও তার এক সহযোগীর নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। ইডির তদন্তকারীদের মতে, মহম্মদ আহমেদ খান নামে এক ব্যক্তি লোনাভালার জমি বিক্রি করেছিল ছাঙ্গুরবাবাকে। ওই একই নামের এক ব্যক্তি ছাঙ্গুরবাবার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোয় তদন্তকারীদের সন্দেহ গাঢ় হয়েছে।

    নজরে ‘লাল ডায়েরি’

    তদন্তকারীদের নজর এখন ছাঙ্গুরবাবার লাল ডায়েরির দিকে। তার ওই ডায়েরিতে প্রায় ছ’জন রাজনীতিকের নাম রয়েছে, যাঁরা তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের নগদ অর্থ নিয়েছেন (Jamaluddin)। ডায়েরির (Chhangur Baba) একটি জায়গায় লেখা হয়েছে, ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য উত্তরৌলা কেন্দ্রের এক প্রাক্তন প্রার্থীকে ৯০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রার্থী নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন। ডায়েরিতে লেখা, ছাঙ্গুরবাবা ২০২৭ সালের নির্বাচনে ওই একই আসনে এক প্রাক্তন আইপিএস অফিসারকে সমর্থন করার পরিকল্পনা করছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, বছরের পর বছর ধরে ছাঙ্গুরবাবা বালরামপুর ও পার্শ্ববর্তী বিধানসভা কেন্দ্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রচারে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সম্পদ ঢেলেছে। সূত্রের খবর, সে শুধু প্রার্থীদের অর্থায়নই করেনি, তার অনুসারীদের সংগঠিত করে ভোট দেওয়ায়ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

    ছাঙ্গুরবাবার সঙ্গে নিহত গ্যাংস্টারের ছবি

    প্রসঙ্গত, ছাঙ্গুরবাবার সঙ্গে ২০২৩ সালে নিহত গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া আতিক আহমেদের কয়েক ছবি আগেই ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় (Jamaluddin)। গত ৫ জুলাই লখনউয়ের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় ছাঙ্গুরবাবাকে। তার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল নীতু ওরফে নাসরিনকে। ছাঙ্গুরবাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে বিধবা, দিনমজুর এবং তফসিলি জাতিভুক্ত আর্থিকভাবে দুর্বল মহিলাদের টার্গেট করে অর্থ, প্রলোভন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি মায় জোরজবরদস্তি করে বেআইনিভাবে ধর্মান্তর ঘটানোর ষড়যন্ত্র করেছিল (Chhangur Baba)। ছাঙ্গুরবাবাকে গ্রেফতার করার পরেই প্রথমে বলরামপুরে এসটিএফ একটি মামলা দায়ের করে। পরে ৯ জুলাই প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের অধীনে ইডি নিজস্ব তদন্ত শুরু করে। এই অর্থ শেল কোম্পানি বা তৃতীয় পক্ষের সংস্থার মাধ্যমে লেনদেন করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। এই শেল কোম্পানিগুলির কয়েকটির বিরুদ্ধে বৈদেশিক অনুদান আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে চলছে তদন্ত।

    ইডির অভিযান

    প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই ইডি একযোগে দেশের ১৪টি জায়গায় অভিযান চালায়। এর মধ্যে ১২টি উত্তরৌলায় এবং ২টি মুম্বইয়ে। একই সময়ে স্থানীয় প্রশাসন ছাঙ্গুরবাবার পৈতৃক গ্রামের প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে মধুপুর গ্রামে অবৈধভাবে নির্মিত একটি কমপ্লেক্সের কিছু অংশও ভেঙে ফেলে। সরকারি নথিপত্রে প্রকাশ, এই জমিটি সরকারি মালিকানাধীন। ভবনটি বহুদিন ধরেই সন্দেহের তালিকায় ছিল (Jamaluddin)। সেখানে ১৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। প্রহরায় রাখা হয়েছিল দুটি কুকুরও। অভিযোগ, এই বাড়ি থেকেই ধর্মান্তরণের কারবার চালাচ্ছিল ছাঙ্গুরবাবা। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় কিংবা শিখ মহিলাদের ধর্মান্তর করতে পারলে মিলত মোটা অঙ্কের ইনাম। মহিলারা লোয়ার কাস্টের হলে পুরস্কার বাবদ মিলত ৮-১০ লাখ টাকা। এজন্য ছাঙ্গুরবাবা কয়েকজন এজেন্টও ছেড়ে রেখেছিল বলে অভিযোগ (Chhangur Baba)।

  • Russia Recruits Indian Workers: ভারতের উপর ভরসা, ১০ লক্ষ ভারতীয়কে মোটা মাইনের চাকরি দেবে রাশিয়া

    Russia Recruits Indian Workers: ভারতের উপর ভরসা, ১০ লক্ষ ভারতীয়কে মোটা মাইনের চাকরি দেবে রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল সংখ্যায় ভারতীয়দের চাকরি বা রোজগারের ব্যবস্থা করতে চলেছে নয়াদিল্লির ঘনিষ্ঠ ‘বন্ধু’। এক-দু’জন নন, মনে করা হচ্ছে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে কাজ পাবেন প্রায় ১০ লক্ষ ভারতীয়। চলতি বছরের শেষ থেকে যাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এতে দুই দেশের সম্পর্ক যে আরও মজবুত হবে, তা বলাই বাহুল্য। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। মূলত নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে তাঁদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে পুতিন প্রশাসনের।

    নয়াদিল্লির সঙ্গে মস্কোর চুক্তি

    ব্যাপারে ‘উরাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’-এর প্রধান আন্দ্রেই বেসেদিন বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে নয়াদিল্লির সঙ্গে মস্কোর একটা চুক্তি হয়েছে। ভারতীয় সহকর্মীদের থেকে বিষয়টা জানতে পারি আমি। চলতি বছরের শেষ দিকে ওই দেশের মোট ১০ লক্ষ মানুষকে সভেরদলোভস্ক এলাকায় নিয়ে আসা হবে। শ্রমিক ছাড়া সেই দলে থাকবেন বিশেষজ্ঞেরাও।’’ বেসেদিনের দাবি, ভারতীয় শ্রমিকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সভেরদলোভস্কের রাজধানী ইয়েকাটেরিনবার্গে নতুন একটি দূতাবাস খোলার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের। এ ব্যাপারে মস্কোর সঙ্গে কথাবার্তা বেশ কিছু দূর এগিয়েছে। গত সাড়ে তিন বছর ধরে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ লড়ছে রাশিয়া। এর ফলে দেশের মধ্যে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সঙ্কট। সেই ঘাটতি পূরণ করতে ভারতীয়দের কাজে লাগাতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।

    ভারতীয় দক্ষ শ্রমিকে আস্থা

    চলতি বছরে ভারত সফরে আসার কথা রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের। সেখানেই এই বিষয় নিয়ে কথা হতে পারে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। এ দেশ থেকে প্রতি বছর উচ্চশিক্ষা, চাকরি এবং ব্যবসার জন্য বহু তরুণ-তরুণী চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়াশিংটনের সিলিকন ভ্যালির মূল চালিকাশক্তি হিসাবে এ দেশের প্রতিভাবান তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদেরই গণ্য করা হয়। সেই অভিমুখ এবার রাশিয়ার দিকে ঘুরতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী থেকে নির্মাণ শ্রমিক বা স্বাস্থ্যকর্মী, কাজের বাজারে দুনিয়া জুড়ে রয়েছে ভারতীয়দের চাহিদা। আমেরিকার পাশাপাশি ব্রিটেন ও ফ্রান্স-সহ ইউরোপের নানা দেশে ছড়িয়ে রয়েছেন এ দেশের কর্মদক্ষ নাগরিকেরা। পশ্চিম এশিয়ার সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে মূলত রিয়্যাল এস্টেট, বস্ত্র, হোটেল এবং অন্যান্য শিল্পে কাজ করেন তাঁরা। এবার পালা রাশিয়ার।

  • Bangladesh: ইউনূস জমানায় ভালো নেই বাংলাদেশ, গোপালগঞ্জ হিংসায় মৃত বেড়ে ৫

    Bangladesh: ইউনূস জমানায় ভালো নেই বাংলাদেশ, গোপালগঞ্জ হিংসায় মৃত বেড়ে ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে (Bangladesh) ইউনূস সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে আওয়ামি লীগ সমর্থকদের মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়, সেখানে আরও একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বাংলাদেশের ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক মাকসুদ আলম জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার থানাপাড়া এলাকার রমজান মুন্সি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। তাঁর বাবার নাম আকবর মুন্সি বলে জানিয়েছে ঢাকার পুলিশ। জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গভীর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন রমজান এবং তার মরদেহ পরবর্তীকালে মর্গে পাঠানো হয়।

    রিকশাচালক রমজান হিংসার কবলে (Bangladesh)

    রমজানের ভাই হীরা মুন্সি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন গোপালগঞ্জ (Gopalganj Violence) সদর এলাকার সিনেমা হলের কাছে তার ভাই একজন যাত্রীকে রিকশা থেকে নামায়। এরপর ফেরার সময় হিংসার কবলে পড়ে যায়, সেখানেই সে গুলিবিদ্ধ হয়। প্রথমে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়, পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু কোথাও চিকিৎসায় তিনি সাড়া দেননি। পরবর্তীকালে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের মধ্যবর্তী রাতে তিনি মারা যান।

    বুধবারই ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোপালগঞ্জ (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, বুধবারই ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোপালগঞ্জ। সেখানে জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশকে কেন্দ্র করে এই হিংসা ছড়ায়। তারা মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এর পরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা (Gopalganj Violence), তখনই সংঘর্ষ শুরু হয়।

    ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন (Bangladesh)

    পরবর্তীকালে সেনাবাহিনী এসে এনসিপি পার্টির নেতাদের সভা পরিচালনা করতে সাহায্য করেন। কিন্তু তারপরও ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। ঐ রাতেই চারজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগে যাদের মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল, তাঁদের নাম হল সোহেল মোল্লা, দীপ্ত সাহা, ইমন তালুকদার এবং রমজান কাজী। গোপালগঞ্জে হিংসার পরে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। স্থানীয় প্রশাসন প্রথমে সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছটা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত এবং পরে দুপুর ২টা পর্যন্ত কারফিউ কার্যকর করা হয়। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে এ কথা বলা হয়।

  • Assam CM: অসমে অবৈধ বাংলাদেশিদের উস্কানি দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী, তোপ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    Assam CM: অসমে অবৈধ বাংলাদেশিদের উস্কানি দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী, তোপ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়নে অভিযান চালায় হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার (Assam CM)। সেই অভিযানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন অনুপ্রবেশকারীরা সরকারি আধিকারিকদের উপর হামলা চালায়। এমনকি, এক পর্যায়ে কিছু অভিযুক্ত বাঁশ নিয়ে দৌড়ে পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীদের উপর আক্রমণও করে। এই পরিস্থিতির মধ্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে সওয়াল করেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান এবং বলেন, রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ইচ্ছাকৃতভাবে উস্কানি দিচ্ছেন অনুপ্রবেশকারীদের। তাঁর মন্তব্যের কারণেই গোলপাড়ায় হিংসা ছড়ায় এবং পুলিশের গুলিতে একজন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিহত হয়।

    খোলাখুলি ভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উৎসাহ দিচ্ছেন রাহুল

    হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Assam CM) আরও বলেন, রাহুল গান্ধী অসমে এসে খোলাখুলি ভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উৎসাহ দিচ্ছেন যাতে তারা জবরদখল করা জমি ছাড়তে না চায়। এই উস্কানিমূলক মন্তব্যই উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢালে। তিনি জানান, ওই অঞ্চলে উত্তেজিত জনতা পুলিশ ও বন দপ্তরের কর্মীদের উপর আক্রমণ চালায়, যা সম্পূর্ণভাবে রাহুলের বক্তব্য দ্বারা প্রভাবিত।

    রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে

    প্রসঙ্গত, অসম সফরের (Assam CM) সময় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। এই দুই নেতা গুয়াহাটিতে কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠকের পর ছয়গাঁও শহরে (গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৪০ কিমি দূরে) এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন রাহুল গান্ধী। সেই সভায়ই তিনি অনুপ্রবেশকারীদের উদ্দেশে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Assam CM)। তিনি সামাজিক মাধ্যমে এবং বিভিন্ন বিবৃতিতে বারবার রাহুল গান্ধীকেই পুরো ঘটনার জন্য দায়ী করেন (Rahul Gandhi)।প্রসঙ্গত, গোলপাড়ায় ১৪৪ একরের ওই বনভূমিতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছিল অনুপ্রবেশকারীরা। বুধবারের ঘটনায় বহু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, পুরুষ ও মহিলারা হাতে বাঁশ ও লাঠি নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের তাড়া করছে ও পাথর ছুঁড়ছে।

LinkedIn
Share