Tag: bangla news

bangla news

  • TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় ভয়ানক এক জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন। তিন মাস পার হয়ে গেলেও সেই হামলার রেশ এখনও রয়ে গেছে। ওই ঘটনায় দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)। এবার সেই সংগঠনটিকে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত করল আমেরিকা। আমেরিকার এই বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং তিনি বলেছেন যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের নীতিই হল জিরো টলারেন্স এবং অপারেশন সিঁদুর।

    মার্কিন বিদেশ সচিবের বিবৃতি

    বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও বলেন, “আজ থেকে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)-কে ‘ফরেন টেররিস্ট অর্গানাইজেশন’ (FTO) এবং ‘স্পেশালি ডিজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট’ (SDGT) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।” ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, পহেলগাঁও হামলাকে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর ভারতে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হওয়া অন্যতম ভয়াবহ জঙ্গি হামলা বলে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’, যা ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামেও পরিচিত, পহেলগাঁওয়ের হামলার দায় শুরুতে স্বীকার করলেও, কয়েক দিনের মধ্যেই তারা সেই বিবৃতি প্রত্যাহার করে নেয় এবং ২২ এপ্রিল হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে।

    সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকাকে সমর্থন

    মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “TRF-এর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ কেবল জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই নয়, বরং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতিকেও বাস্তবে রূপ দিচ্ছে।” এছাড়াও, ভারতের সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক সফরের সময় সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায় আমেরিকা। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকেও জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়।

    কারা এই ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’?

    হাফিজ সঈদের নেতৃত্বাধীন জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার অধীনে কাজ করা একটি শাখা সংগঠন হল ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। ২০১৯ সাল থেকে সংগঠনটি সক্রিয়। জম্মু-কাশ্মীরে পরিযায়ী শ্রমিক, কাশ্মীরি পণ্ডিত ও সাধারণ মানুষের উপর একাধিক হামলার অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে জম্মুতে ভারতীয় বায়ুসেনার একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানোর দায়ও TRF-এর উপর বর্তেছে। এমনকি পুলওয়ামা হামলার সঙ্গেও তাদের যোগ ছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ২০২৩ সালেই এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

  • South Syria violence: দক্ষিণ সিরিয়াতে ভয়ঙ্কর হিংসা, প্রায় ৬০০ জন নিহত, বলছে রিপোর্ট

    South Syria violence: দক্ষিণ সিরিয়াতে ভয়ঙ্কর হিংসা, প্রায় ৬০০ জন নিহত, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিরিয়ায় ভয়ঙ্কর হিংসা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ সিরিয়ায় সাম্প্রতিক হিংসায় ৫৯৪ জন নিহত হয়েছেন—এমন খবর সামনে আসতেই চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে (South Syria violence)। ব্রিটেনের সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে, এবং বিগত রবিবার থেকে সিরিয়ার সুয়েইদা প্রদেশে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তাতে ভয়ঙ্কর বর্বরতার ছবি সামনে এসেছে।

    ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের ৩০০ জন নিহত হয়েছেন

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই (South Syria violence) এই সংস্থা জানিয়েছে, সিরিয়ার ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের ৩০০ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৪৬ জন ছিল যোদ্ধা এবং ১৫৪ জন অসামরিক নাগরিক। এদের মধ্যে ৮৩ জনকে সে দেশের সরকার মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে। বেদুইন এবং দ্রুজ সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধের কারণে এই লড়াই শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা।

    ইজরায়েলের বিমান হামলায় সিরিয়ার ১৫ জন নিহত হয়েছেন (South Syria)

    এর পাশাপাশি ইজরায়েলের বিমান হামলায় সিরিয়ার ১৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে ইজরায়েল বলেছে যে দ্রুজদের রক্ষা করা তাদের কর্তব্য এবং এই কারণেই তাদের এই অভিযান। ব্রিটেনের ওই সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস আরও জানিয়েছে যে, তারা যে পরিসংখ্যান তুলে দিচ্ছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করা সম্ভব নয়। তবে পাশাপাশি সূত্র মারফত যে খবরগুলি মিলছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে মৃতের সংখ্যা ৩০০। সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, তাদের কাছে খবর রয়েছে ১৫৯ জন অসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবারই সুয়েইদা প্রদেশ থেকে সিরিয়ার বাহিনীর প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে সেখানকার হিংসার সামগ্রিক চিত্র (South Syria)

    কী বলছেন দ্রুজ জনগোষ্ঠীর নেতা (South Syria violence)

    প্রসঙ্গত, এই প্রদেশ সিরিয়ায় দ্রুজ জনগোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠ (South Syria violence)। সেখানে ভয়ঙ্কর রকমের ক্ষয়ক্ষতি এবং লুটপাটের দৃশ্য দেখা গিয়েছে। এর পাশাপাশি রাস্তায় প্রচুর মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে। দ্রুজ এবং বেদুইনদের মধ্যে এই সংঘর্ষের পরে সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সিরিয়ার ইসলামিক সরকার দখল নিচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। প্রসঙ্গতই, দ্রুজ জনগোষ্ঠী মনে করে যে তাদের ধর্ম হল শিয়া ইসলামের একটি শাখা, এবং নিজস্বভাবে স্বতন্ত্র পরিচয় ও বিশ্বাস বজায় রেখেই তারা চলে। একজন বিশিষ্ট দ্রুজ নেতা শেখ হিকমাত আল-হাজারি বলেন, “আমাদের প্রদেশকে দুষ্কৃতিমুক্ত না করা পর্যন্ত এ লড়াই চলবে।”

    ইজরায়েল এয়ার স্ট্রাইক করে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সদর দফতরে

    অন্যদিকে, বুধবার ইজরায়েল এয়ার স্ট্রাইক করে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সদর দফতর দামেস্কে। এই হামলার পরেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্রপতি। সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্রপতি আহমেদ আল-সারাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে জানিয়েছেন যে, দেশকে অস্থির করার প্রচেষ্টা করছে ইসরায়েল।

  • India Fishermen in Bangladesh: বাংলাদেশে জেল হেফাজতে ৩৪ ভারতীয় মৎস্যজীবী! কৃটনৈতিক স্তরে আলোচনা, দ্রুত মুক্তির দাবি

    India Fishermen in Bangladesh: বাংলাদেশে জেল হেফাজতে ৩৪ ভারতীয় মৎস্যজীবী! কৃটনৈতিক স্তরে আলোচনা, দ্রুত মুক্তির দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আন্তর্জাতিক জনসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের (India Fishermen in Bangladesh) আটক করেছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ৩৪ জন মৎস্যজীবীকে আটক করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ অঞ্চল থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়েন ওই ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। এর জেরেই তাঁদের আটক করেছে বাংলাদেশের নৌবাহিনী। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁদের ব্যবহৃত দু’টি ট্রলার ‘এফবি ঝড়’ ও ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’। এই ঘটনা ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

    খারাপ আবহাওয়ার কারণে ভুল

    পশ্চিমবঙ্গের (India Fishermen in Bangladesh) দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থেকে এই মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। খারাপ আবহাওয়া এবং ন্যাভিগেশন সমস্যার কারণে তাঁরা ভুলবশত বাংলাদেশি জলসীমায় ঢুকে পড়েন বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সময় বাংলাদেশের একটি টহল জাহাজ তাঁদের আটক করে মংলা বন্দরে নিয়ে যায়। পরে, ৩৪ জন মৎস্যজীবীকে স্থানীয় আদালতে তোলা হয়। এখনও পর্যন্ত তাঁদের মুক্তি নিয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি। ভারতীয় কূটনৈতিক মহল ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দ্রুত মুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

    কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা

    সুন্দরবন মেরিটাইম ফিশারম্যান ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের প্রতিনিধি সতীনাথ পাত্র জানিয়েছেন, “এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। এর স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।” তিনি আরও জানান, গত বছরের অক্টোবরে একই ধরনের ঘটনায় প্রায় ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে তিন মাস পর মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশে (India Fishermen in Bangladesh) সম্প্রতি ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার কারণে দিল্লি-ঢাকা সম্পর্ক ইতিমধ্যেই চাপে রয়েছে। এই ধরনের গ্রেফতারের ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা অক্ষুণ্ণ রেখেই কূটনৈতিক স্তরে সমস্যার সমাধানে কাজ চলছে। ঘটনাটি আবারও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত ও সামুদ্রিক সমন্বয় সংক্রান্ত সমস্যাগুলোকে সামনে নিয়ে এসেছে। খারাপ আবহাওয়া ও অনিশ্চিত যন্ত্রপাতির কারণে এই ধরনের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। তাই দুই দেশের মধ্যে একটি মানবিক ও স্পষ্ট সমুদ্রনীতি তৈরি প্রয়োজন। তা না হলে, উপকূলবর্তী অসংখ্য পরিবারের জীবন-জীবিকা ভবিষ্যতেও অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে।

  • Modi In Bengal: বাংলার উন্নতিতে ৫,৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ! গুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে আজ দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Modi In Bengal: বাংলার উন্নতিতে ৫,৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ! গুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে আজ দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় তৃণমূলের অপশাসন রুখতে বঙ্গবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। আজ, শুক্রবার বঙ্গে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। দুর্গাপুরে জোড়া সভা তাঁর। বাংলার উন্নতিতে, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের হাল ফেরাতে ৫৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রাকৃতিক গ্যাস, রেল ও বিদ্যুৎ শিল্পে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন খাতে এই টাকা ব্যয় করা হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্গাপুরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিনিয়োগের কথা জানান রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

    মোদির আহ্বান

    বাংলার মাটিতে পা রাখার আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশে তোপ দেগে তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করলেন নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। শুক্রবার দুর্গাপুরে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর পাশের মঞ্চেই রাজনৈতিক সভা করবেন তিনি। সে-কথা জানিয়েই করেছেন পোস্ট। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের অপশাসনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বঙ্গের মানুষ অনেক আশা নিয়ে এবার বিজেপির দিকে তাকিয়ে আছেন এবং তাঁরা নিশ্চিত যে একমাত্র বিজেপি-ই পারবে উন্নয়ন করতে। এই বলে মানুষকে তাঁর সভায় যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে পৌঁছতে তিনি উদগ্রীব । দুর্গাপুরে তিনি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, রেল এবং সড়ক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। মোট ৫০০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    উন্নতি চায় কেন্দ্র

    শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদির (Modi In Bengal) সভার আগে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজ্য সরকার সবসময় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলে। কিন্তু রাজ্যের স্বার্থে কেন্দ্রের ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রমাণ করে দেয়, মোদি সরকার কখনও বিমাতৃসুলভ আচরণে বিশ্বাসী নয়। সমস্ত রাজ্যের উন্নয়ন করতে চায়। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানান, এই বিনিয়োগে বিপুল কর্মসংস্থান হবে।

    কোন কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার মোট পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। বৃহস্পতিবার রাতভর জোরকদমে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলেছে দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামে। এখান থেকেই জনসভার পাশাপাশি একাধিক সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তাই স্টেডিয়ামে দু’টি পৃথক মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।

    বাড়ি বাড়ি প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ: বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় বাণিজ্যিক ও বাড়ি বাড়ি প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করবে ভারত পেট্রোলিয়াম সংস্থা। পাশাপাশি চালু করবে সিএনজি আউটলেট। ১৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে এই প্রকল্প।

    উর্জা গঙ্গা প্রকল্প: ‘প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা’ প্রকল্পের অধীনে ১১৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগে দুর্গাপুর থেকে হলদিয়া ১৩২ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এর ফলে পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলায় কয়েক লক্ষ বাড়িতে পাইপলাইনে পৌঁছে যাবে রান্নার গ্যাস। এ ছাড়া জগদীশপুর থেকে হলদিয়া ও বোকারো থেকে ধর্মা পর্যন্ত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের পাইপ লাইন করা হবে।

    দূষণ নিয়ন্ত্রণ: পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বাঁকুড়ার মেজিয়াতে ডিভিসির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে একাধিক বার। দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালে ডিভিসির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে এই তিনটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ফুয়েল গ্যাস ডেসুলফিউরাইজ়েশন পদ্ধতির সূচনা হবে। এর ফলে দূষণ কমবে। এই প্রকল্পে খরচ হবে ১৪৫৭ কোটি টাকা।

    রেল পরিষেবা উন্নত: রাজ্যে রেল পরিষেবা উন্নত করতে ৩৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরুলিয়া থাকে কোটশিলা পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার ডাবল লাইন করা হবে। কাজটি সম্পন্ন হলে জামশেদপুর, বোকারো, ধানবাদ, রাঁচি ও কলকাতার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে ও পণ্য পরিবহণে সুবিধা হবে। এছাড়া পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর ও জামুড়িয়ার তপসি স্টেশন সংলগ্ন রেলগেটে দু’টি ওভারব্রিজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ‘সেতু ভারতম’ প্রকল্পের আওতায় ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওভারব্রিজ দু’টি তৈরি হওয়ায় দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে এলাকাবাসীর।

    কখন কোথায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী

    আজ, ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর দু’টি অনুষ্ঠান দুর্গাপুরে। সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও জনসভা। দু’টিই নেহরু স্টেডিয়ামে। দুর্গাপুরের গান্ধীমোড় থেকে জনসভাস্থল নেহরু স্টেডিয়াম পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার ‘অঘোষিত’ রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহার থেকে অণ্ডাল বিমানবন্দরে নেমে তিনি সড়কপথেই গান্ধীমোড় আসবেন। তার পর শুরু হবে রোড শো। রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে বিজেপি কর্মীরা দাঁড়িয়ে ফুল ছুড়ে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রীকে। রোড শোয়ের পর নেহরু স্টেডিয়ামে এসে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।

  • Shravan Maas: শুরু হল শ্রাবণ, শিবভক্তদের পবিত্র মাস, পুজো-উপবাসের জন্য পাবেন চারটি সোমবার

    Shravan Maas: শুরু হল শ্রাবণ, শিবভক্তদের পবিত্র মাস, পুজো-উপবাসের জন্য পাবেন চারটি সোমবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু শাস্ত্রে শ্রাবণ মাসের (Shravan Maas) গুরুত্ব অপরিসীম। শ্রাবণকে বলা হয় দেবাদিদেব শিবের (Lord Shiva) মাস। মহাদেব পুজিত হন এই মাসে। ভগবান শিবের উপাসনা করার শ্রেষ্ঠ সময় কাল-প্রদোষ বলে মনে করা হয়। পুণ্যার্থীরা শ্রাবণের প্রতি সোমবার, শিবের জন্যে ব্রত পালন করেন। সাধারণত মাসভর চলে নানা ধর্মীয় রীতি পালন। শ্রাবণ মাস শুরু হল আজ শুক্রবার ১৮ জুলাই থেকে।

    মোট চারটি সোমবার (Shravan Maas)

    চলতি বছরের শ্রাবণে শিবভক্তরা মোট চারটে সোমবার পাবেন।

    প্রথম সোমবারের উপবাস: ২১ জুলাই।

    দ্বিতীয় সোমবারের উপবাস: ২৮ জুলাই।

    তৃতীয় সোমবারের উপবাস: ৪ অগাস্ট।

    শেষ সোমবারের উপবাস: ১১ অগাস্ট।

    শিব মন্দির ছাড়াও, বাড়িতে বাড়িতেও (Shravan Maas) পুজো হয় মহাদেবের। ‘হর হর মহাদেব’ উচ্চারণ করে দেশের ভিন্ন প্রান্তে ভোলেবাবার মাথায় জল ঢালতে ভক্তদের সমাগম হয়। শিবের পুজোয় গঙ্গাজল দিয়ে শিবকে অভিষেককে ‘রুদ্রাভিষেক’ বলে। একেই শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচনা করা হয়। শাস্ত্রে বলা হয়েছে জলাভিষেক করলে পুজোর সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়।

    শ্রাবণ মাস শিবের অত্যন্ত প্রিয়

    মনে করা হয়, শ্রাবণ মাস (Shravan Maas) শিবের অত্যন্ত প্রিয় মাস। তাই তাঁকে সন্তুষ্ট করে ভক্তরা কোনও ত্রুটি রাখেন না। উপবাস করে শিবের মাথায় গঙ্গার জল বা দুধ ঢালেন শিবভক্তরা। বিশ্বাস করা হয়, এই মাসে ভক্তি মনে মহাদেবকে ডাকলে তিনি তুষ্ট হন ও মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, পবিত্র এই মাসে শিবের আরাধনায় সকল সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। শিবের কৃপা পেতে মেনে চলতে হবে বিশেষ নিয়ম। শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন এই নিয়ম মেনে শিব পুজো করতে হবে। তাতে জীবনের সকল দুর্ভোগ কেটে যাবে, তেমনই সর্ব ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটবে।

    শ্রাবণ মাসে শিব পুজোর পদ্ধতি-

    শ্রাবণ মাসে বিশেষ নিয়ম মেনে শিবের আরাধনা করুন। প্রতিদিন, বিশেষ করে সোমবারে সকালে তাড়াতাড়ি উঠে স্বচ্ছ পোশাক পরে নিন। বাড়ির মন্দিরে প্রদীপ জ্বালান। শিবের আরতি করুন এবং ভোগ নিবেদন করুন। মনে রাখবেন যে শুধুমাত্র সাত্ত্বিক জিনিস ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করা হয়। ডান হাতে জল নিয়ে শ্রাবণ মাসের সোমবারের ব্রতর সংকল্প করুন। এর পর সমস্ত দেবতাদের ওপর গঙ্গাজল অর্পণ করুন। ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করে শিব শঙ্করের অভিষেক করুন।

    শ্রাবণের সোমবার ব্রতকথা অবশ্যই পাঠ করা উচিত

    ভোলানাথকে সাদা ফুল, সাদা চন্দন, ভাঙ, ধুতুরা, গরুর দুধ, পঞ্চামৃত, সুপুরি, বিল্ব পত্র (বেলপাতা) ও জল অর্পণ করুন। পুজো সামগ্রী অর্পণ করার সময় ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করতে ভুলবেন না। শ্রাবণ সোমবারের পুজোয় সোমবার ব্রতকথা অবশ্যই পাঠ করা উচিত। শেষে আরতি করতে ভুলবেন না। প্রসাদ হিসেবে শিবকে ঘি ও চিনির ভোগ অর্পণ করুন। তার পর সেই প্রসাদ বিতরণ করুন ও নিজেও তা গ্রহণ করুন।

    যে কোনও সোমবার পুজো করলে মহাদেব তুষ্ট হন

    শাস্ত্র মতে, বিল্বের মূলে স্বয়ং শিব বসবাস করে। এই নিয়ম মেনে পুজো করতে সকল জটিলতা থেকে মুক্তি মিলবে। শ্রাবণ মাসে এই নিয়ম মেনে পুজো করুন। সকল দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে। সারা বছরই অনেকে শিব পুজো করে থাকেন। সোমবার করে দেবাদিদেব মহাদেবের বিশেষ পুজো করা হয়। শাস্ত্র মতে, যে কোনও সোমবার পুজো করলে মহাদেব তুষ্ট হন।

    কী কী নিবেদন করলে মিলবে সুফল?

    বিশেষভাবে শিবলিঙ্গে রৌপ্য বা পিতলের পদ্ম দিয়ে দুধ নিবেদন করা উচিত। এ ছাড়া জল, বিল্ব পাতা , আকন্দ ফুল, ধুতুরা যা শিবের প্রিয় ফুল, চন্দন, মধু, ছাই নিবেদন করুন (Shravan Maas)। এছাড়া শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন— চিনি, জাফরান, গব্য ঘি।

  • Daily Horoscope 18 July 2025: পারিবারিক ভ্রমণে আনন্দ লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 18 July 2025: পারিবারিক ভ্রমণে আনন্দ লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আপনার কর্মদক্ষতার কারণে জীবিকার স্থানে শত্রু বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বদনাম থেকে সবাই খুব সতর্ক থাকুন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।

    ২) শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) সন্তানের ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ২) শরীরে কোথাও আঘাত লাগার আশঙ্কা রয়েছে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) ব্যবসা বা অন্য কোনও কাজে বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) ব্যবসা গতানুগতিক ভাবেই চলবে।

    ২) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভালো সাহায্য পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) উচ্চশিক্ষার্থীদের সামনে ভালো যোগ রয়েছে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে আনন্দ লাভ।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

    ২) কোনও অসৎ লোকের জন্য আপনার বদনাম হতে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর পেতে পারেন।

    ২) কাউকে টাকা ধার দিলে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) সংসারে শান্তি বজায় থাকবে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) আপনার রূঢ় আচরণে বাড়িতে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) ব্যবসায় বিশেষ লাভের শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 413: কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি গেলেই মন ও বুদ্ধি শুদ্ধ হয়

    Ramakrishna 413: কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি গেলেই মন ও বুদ্ধি শুদ্ধ হয়

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি): “ঈশ্বরের সব ধারণা কে করতে পারে? তাঁর বড় ভাবটাও পারে না, আবার ছোট ভাবটাও পারে না। আর সব ধারণা করা কি দরকার? তাঁকে প্রত্যক্ষ করতে পারলেই হলো। তাঁর অবতারকে দেখলেই তাঁকে দেখা হলো। যদি কেউ গঙ্গার কাছে গিয়ে গঙ্গাজল স্পর্শ করে, সে বলে—’গঙ্গা দর্শন, স্পর্শ করে এলুম।’ সব গঙ্গাটা হরিদ্বার থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত হাত দিয়ে ছুঁতে হয় না। তোমার পা-টা যদি ছুঁই, তোমায় ছোঁয়া হলো। যদি সাগরের কাছে গিয়ে একটু জল স্পর্শ করো, তাহলে সাগর স্পর্শ করাই হল। অগ্নিতত্ত্ব সব জায়গায় আছে, তবে কাঠে বেশি।”

    গিরিশ (হাসিতে হাসিতে): “যেখানে আগুন পাব, সেইখানেই আমার দরকার।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাসিতে হাসিতে): “অগ্নিতত্ত্ব কাঠে বেশি, ঈশ্বরতত্ত্ব খোঁজো—মানুষে খুঁজবে, মানুষের মধ্যেই তিনি বেশি প্রকাশ হন। যে মানুষকে দেখলে ভক্তি উথলে পড়ে ঈশ্বরের জন্য, তিনি অবতীর্ণ হয়েছেন।”

    প্রেমে ভক্তি উথলে পড়ছে ঈশ্বরের জন্য; তার প্রেমে মাতোয়ারা হলে, সেই মানুষে যেন নিশ্চিতভাবে ঈশ্বর অবতীর্ণ হয়েছেন।
    “মাস্টার” (শ্রী রামকৃষ্ণ) তো আছেনই, তবে তাঁর শক্তির প্রকাশ কোথাও কম, কোথাও বেশি। অবতারে তাঁর শক্তি বেশি প্রকাশ পায়। কখনো কখনো সেই শক্তি পূর্ণভাবে প্রকাশিত হয়—তখন তা শক্তিরই অবতার।

    শ্রী রামকৃষ্ণ- এই মনের গোচর নন বটে, কিন্তু শুদ্ধ মনের গোচর।
    এটা বুদ্ধির দ্বারা ধরা যায় না, কিন্তু শুদ্ধ বুদ্ধির দ্বারা ধরা যায়। কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি গেলেই মন ও বুদ্ধি শুদ্ধ হয়।
    তখন শুদ্ধ মন ও শুদ্ধ বুদ্ধি একত্রে—সেই শুদ্ধ মনের গোচরে তিনি ধরা দেন।”

    ঋষি-মুনিরা কি তাঁকে দেখেননি?
    তাঁর চৈতন্যের দ্বারা তাঁকে চৈতন্যরূপেই সাক্ষাৎ করেছেন।

    গিরিশ (সহাস্যে) “নরেন্দ্র তর্কে আমার কাছে হেরেছে!”

    শ্রী রামকৃষ্ণ- না আমায় বলেছে, গিরিশ ঘোষ মানুষের অবতার, এটা তুমি বিশ্বাস করো।”
    এখন আমি আর কী বলব! আমার বিশ্বাসের উপর কিছু বলার নেই।

    গিরিশ (সহাস্যে), “সে মহাশয়! আমরা সব হল-ঘরে কথা বলছি, কিন্তু মাস্টার ঠোঁট চেপে বসে আছেন। কেমন বলেন, মহাশয়?”

  • WBSSC Recruitment: এসএসসির শিক্ষক নিয়োগ, ৩৫ হাজার পদে এখনও পর্যন্ত আবেদন পার সাড়ে পাঁচ লাখ

    WBSSC Recruitment: এসএসসির শিক্ষক নিয়োগ, ৩৫ হাজার পদে এখনও পর্যন্ত আবেদন পার সাড়ে পাঁচ লাখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে ৩৫৭২৬টি সহকারী শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করেছেন সাড়ে পাঁচ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী (WBSSC Recruitment)। এই তথ্য জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুন অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া চালু করেছে এসএসসি। মূল সময়সীমা ১৪ জুলাই থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ২১ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১৩ জুলাই পর্যন্ত সাড়ে চার লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল। তিন দিনের মধ্যে সংখ্যা আরও ১ লক্ষ বেড়ে গিয়েছে (WBSSC Recruitment Drive)।

    ৯ জুলাই হাইকোর্ট ভর্ৎসনা করে মমতা সরকারকে

    এসএসসির কর্মকর্তাদের মতে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আবেদনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই কলকাতা হাইকোর্ট ভর্ৎসনা করে রাজ্য সরকারকে এবং সাফ জানিয়ে দেয় যে চিহ্নিত অযোগ্যদের কোনওভাবেই নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। এই বাতিলের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের রায়কে বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। এক্ষেত্রে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে (WBSSC Recruitment) সম্পূর্ণভাবে বাতিল বলে ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত (WBSSC Recruitment Drive)।

    কী বলছেন চাকরি হারা শিক্ষিকা?

    নতুন এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষার্থী (WBSSC Recruitment) নিবেদিতা গিন, যাঁর চাকরি গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে, তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমি আবেদন করেছি, কিন্তু ফলাফল কী হবে তা আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না। শেষবার যখন আমি পরীক্ষা দিয়েছিলাম, তারপর অনেকগুলো বছর কেটে গিয়েছে। যেহেতু আবার আদালত আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছে, তাই আমি আবেদন করেছি।”

    অযোগ্যদের জন্য বারবার সওয়াল মমতা সরকারের

    প্রসঙ্গত, গত ৩০ মে আদালতের নির্দেশ অনুসারে এসএসসি নবম-দশম শ্রেণির জন্য ২৩,৩১২টি এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ১২,৫১৪টি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এরপরই অযোগ্যদের (WBSSC Recruitment Drive) পক্ষে বারবার সওয়াল করতে দেখা যায় মমতা সরকারকে (WBSSC Recruitment)। এখানে প্রশ্ন উঠতে থাকে—কেন চিহ্নিত অযোগ্যদের বারবার ঢাল বানাতে চাইছে সরকার? শেষমেষ, হাইকোর্টের নির্দেশে চিহ্নিত অযোগ্যদের আবেদন বাতিল করা হয়।

  • Assam Eviction Drive: অসমে অবৈধ বাংলাদেশিদের হাতে আক্রান্ত পুলিশ, অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে সওয়াল রাহুল গান্ধীর

    Assam Eviction Drive: অসমে অবৈধ বাংলাদেশিদের হাতে আক্রান্ত পুলিশ, অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে সওয়াল রাহুল গান্ধীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ জুলাই অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে এক অভিযান চালায় অসম সরকার। বুধবারের এই অভিযানের সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও মল্লিকার্জুন খাড়গে (Assam Eviction Drive)। এখানেই উঠছে প্রশ্ন—বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দেশে ফেরত পাঠানোর এমন অভিযানের বিরোধিতা কেন করছেন কংগ্রেস নেতারা?

    অভিযান চালানো হয় গোয়ালপাড়ার পাইকান রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায়

    প্রসঙ্গত, অসম সরকারের এই অভিযান চালানো হয় গোয়ালপাড়ার পাইকান রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায়। ওই বনাঞ্চলে দীর্ঘদিন (Assam Eviction Drive) ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। অভিযান চলাকালীন ব্যাপক অশান্তি ও সংঘর্ষ বাধে। সরকারি আধিকারিকদের উপর অনুপ্রবেশকারীরা পাথর ও বাঁশের লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। তাদের কাছে ধারালো অস্ত্রও ছিল (Assam Eviction Drive)।

    দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছিল অনুপ্রবেশকারীরা

    পুলিশ প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয় (Assam Eviction Drive)। পরে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়, একজন গুরুতর জখম হন এবং কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক আহত হন। উল্লেখযোগ্য, ১৩ জুলাই থেকেই এই বনাঞ্চল দখলমুক্ত করার অভিযান চালাচ্ছে অসমের হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকার। ১৪৪ একরের ওই বনভূমিতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছিল অনুপ্রবেশকারীরা। বুধবারের ঘটনায় বহু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, পুরুষ ও মহিলারা হাতে বাঁশ ও লাঠি নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের তাড়া করছে ও পাথর ছুঁড়ছে।

    ‘তোষণের রাজনীতি’র অংশ? এমন প্রশ্ন উঠছে

    এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “হঠাৎই অতর্কিতে তারা আমাদের ওপর আক্রমণ করে। চারদিক থেকে পাথর ছুঁড়তে থাকে। আমাদের গুলি চালাতে হয়েছে আত্মরক্ষার (Assam Eviction Drive) জন্য, কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়।” এখন প্রশ্ন উঠছে, অবৈধ বাংলাদেশিদের দ্বারা সংঘটিত এই সহিংসতার পরেও কংগ্রেস কেন তাঁদের পক্ষ নিচ্ছে? এটি কি ‘তোষণের রাজনীতি’র অংশ?

  • Chhangur Baba Conversion Racket: ধর্মান্তরণে অভিযুক্ত ছাঙ্গুর বাবার ডেরায় ইডি, বিদেশি ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকার লেনদেন

    Chhangur Baba Conversion Racket: ধর্মান্তরণে অভিযুক্ত ছাঙ্গুর বাবার ডেরায় ইডি, বিদেশি ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকার লেনদেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনিভাবে ধর্মান্তকরণে অভিযুক্ত জালালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুর বাবার একাধিক সম্পত্তিতে বড়সড় অভিযান চালাল ইডি। বৃহস্পতিবার ভোরে উত্তরপ্রদেশে সাতটি দল বলরামপুর জেলার উত্তরোলা এবং মুম্বইয়ের দুটি স্থানে অভিযান চালিয়েছিল। দলগুলি ছাঙ্গুর বাবার অধীনে কাজ করা বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর আগে গত ৫ জুলাই এটিএস ছাঙ্গুর বাবা এবং তার সহযোগী নীতু ওরফে নাসরিনকে গ্রেফতার করেছিল। সেই সময় জানা যায়, এক বছরে ১০০ কোটি টাকার লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত এই ছাঙ্গুর বাবা। তিন দিন পর দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে ইডি।

    আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্মান্তরণ

    ইডি সূত্রে খবর, বলরামপুর পুলিশ ও প্রশাসনের পাশাপাশি এটিএসের কাছ থেকে অনেক তথ্য সংগ্রহের পর এদিন অভিযান চালানো হয়। উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের মোট ১৪টি স্থানে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে ইডি। বলরামপুর জেলার অন্তত ১২টি স্পর্শকাতর এলাকায় অভিযান চালানো হয়, যেখানে চঙ্গুর বাবা বহুদিন ধরেই ধর্মীয় চিকিৎসা, অর্থনৈতিক সহায়তা ও মুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে গরিব ও অনগ্রসর মানুষদের ধর্মান্তরিত করে চলেছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁর নামে থাকা আশ্রমগুলি আদতে একটি বড় মাপের হাওলা ও মানসিক চাপে ধর্মান্তরণ করার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

    ২ কোটি টাকার হাওলা লেনদেন

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ কোটি টাকার একটি সন্দেহজনক লেনদেন নজরে এসেছে। এটি ছাঙ্গুর বাবার ঘনিষ্ঠ নাভীন রোহরা ওরফে জামালউদ্দিনের অ্যাকাউন্ট থেকে মুম্বইয়ের শেহজাদ শেখের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল। এই টাকা আসলে সম্পত্তি কেনার উদ্দেশ্যে পাঠানো হলেও পরে তা একাধিক অ্যাকাউন্ট ঘুরিয়ে মূল উৎস গোপন করার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। ইডির মতে, এই লেনদেন একটি বৃহৎ হাওলা নেটওয়ার্কের আংশিক দৃষ্টান্ত মাত্র। বলরামপুরের উত্রৌলা, মধুপুর ও রেহরামাফি গ্রামে চালানো অভিযানে ইডি বিপুল পরিমাণে নগদ অর্থ, বিদেশি রেমিট্যান্সের রেকর্ড, এবং সম্পত্তির নথিপত্র উদ্ধার করেছে। ডিজিটাল ফরেনসিক টিম এনক্রিপ্টেড বার্তা ও আর্থিক তথ্য খতিয়ে দেখছে।

    বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেন

    ইডির হাতে এসেছে ছাঙ্গুর বাবার কমপক্ষে পাঁচটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য। অ্যাকাউন্টগুলি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শারজা, দুবাই সহ নানা জায়গায় অবস্থিত। যে ব্যাঙ্কগুলিতে অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেগুলি হল অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক (শারজা ও দুবাই), এইচডিএফসি (UAE), এমিরেটস এনবিডি ব্যাঙ্ক, ফেডারেল ব্যাঙ্ক (ভসট্রো অ্যাকাউন্ট)। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রবাহিত টাকার উৎস ও ব্যবহার এখন তদন্তাধীন। ধারণা করা হচ্ছে, এই অর্থ বিদেশি দাতব্য সংস্থার নামে এলেও, মূলত ভারতীয় মাটিতে ধর্মান্তরণ, সম্পত্তি কেনা ও এনজিওর আড়ালে অস্থিরতা ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয়েছে।

    ভুয়ো আশ্রমের আড়ালে ধর্মান্তরণ চক্র

    তদন্তকারীদের মতে, ছাঙ্গুর বাবা শুধুমাত্র একজন স্বঘোষিত ধর্মগুরু নন, বরং একটি সুপরিকল্পিত ধর্মান্তরণ চক্রের মাথা। যে চক্রের মূল লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক ও জনসংখ্যাগত ভারসাম্যে প্রভাব ফেলা। বিভিন্ন রাজ্যে তাঁর চক্র বিস্তৃত, বিদেশি অর্থায়নের মাধ্যমে তিনি গ্রামীণ এলাকায় ধর্মান্তরণ, সম্পত্তি কেনা এবং প্রভাব বিস্তারে লিপ্ত ছিলেন। ছাঙ্গুর বাবার সংশ্লিষ্ট একাধিক এনজিও এবং আশ্রম ইতিমধ্যেই তদন্তের আওতায় এসেছে, যেগুলি এফসিআরএ (FCRA) এবং পিএমএলএ (PMLA) আইন অনুযায়ী বিদেশি অনুদানের অপব্যবহারের জন্য চিহ্নিত হয়েছে। সূত্র বলছে, এই সংগঠনগুলির একটি বড় অংশ শিক্ষা ও সমাজসেবার নামে বিদেশি অর্থ এনে ধর্মীয় রূপান্তরণে ব্যবহার করেছে।

    কীভাবে কোটিপতি ছাঙ্গুর বাবা

    উত্তরপ্রদেশে ধর্মান্তরণ চক্র চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে জালালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুর বাবা। বলরামপুর জেলার বাসিন্দা ছাঙ্গুর বাবা এক সময়ে সাইকেলে করে আংটি এবং তাবিজ বিক্রি করত। বর্তমানে তার ৪০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০৬ কোটি টাকা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত ৫ জুলাই লখনউয়ে এক হোটেল থেকে ছাঙ্গুর বাবা ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নীতু ওরফে নাসরিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরেই জালালউদ্দিনের বিপুল সম্পত্তির হদিশ মেলে। মূলত পশ্চিম এশিয়া থেকে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকত বলে দাবি করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন স্কোয়াড (এটিএস) তদন্ত করে দেখছে যে, ছাঙ্গুর বাবার সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগসূত্র আছে কিনা। ইউপি স্পেশাল টাস্ক ফোর্সও এই মামলার তদন্ত করছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলরামপুরের স্থানীয় পুলিশ।

    আয়-ব্যয়ের হিসেবে বহু গরমিল

    এছাড়া এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও ছাঙ্গুর বাবার আয়-ব্যয়ের হিসেব বের করার জন্য একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ধর্মান্তরণের জন্য দরিদ্র, অসহায় শ্রমিক, দুর্বল শ্রেণির এবং বিধবা মহিলাদের প্রলোভন, আর্থিক সাহায্য, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলুব্ধ করা হত। অনেক সময় ভয় দেখিয়ে ও ধর্মান্তরণে বাধ্য করা হত। এই আবহে কে কে ছাঙ্গুর বাবাকে টাকা পাঠিয়েছিল, কত টাকা পাঠিয়েছিল এবং কী কারণে পাঠিয়েছিল, সমস্ত দিক তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। চলছে তার ঘনিষ্ঠদের খুঁজে বের করার কাজ। তদন্ত জোরালো হওয়ায় উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের একাধিক শহরে এই চক্রের অস্তিত্ব রয়েছে, বলে অনুমান। এই ঘটনা দেশের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় সাম্যতায় একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা।

LinkedIn
Share