Tag: bangla news

bangla news

  • Bangladesh Update: দুর্গাপুজোয় ৩ দিন ছুটির সওয়াল করায় স্বরাষ্ট্র-উপদেষ্টাকে সরালেন ইউনূস

    Bangladesh Update: দুর্গাপুজোয় ৩ দিন ছুটির সওয়াল করায় স্বরাষ্ট্র-উপদেষ্টাকে সরালেন ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হচ্ছিল বাংলাদেশের (Bangladesh Update) পরিস্থিতি। কিন্তু এরই মধ্যে এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র-উপদেষ্টার পদ থেকে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেনকে সরিয়ে দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাঁর বদলে যুক্ত করা হয়েছে আরও চার উপদেষ্টাকে। জানা গিয়েছে, সাখওয়াতকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গির আলম চৌধুরীকে।

    দুর্গাপুজোর সময় তিনদিন ছুটির প্রস্তাব (Holiday In Durga Puja) 

    এর আগে, হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর সময় তিনদিন ছুটি দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন সাখাওয়াত। তিনি জানিয়েছিলেন, আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামি লিগকে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি। সে সময় সাখাওয়াতকে আওয়ামি লিগপন্থী বলে অভিযোগ তুলতে থাকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সদস্যরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ‘আওয়ামি লিগপন্থী মন্তব্যের’ জেরেই বদলি হতে হয়েছে সাখাওয়াতকে। এই আবহে সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে সরিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাত্র ৯ দিন আগেই বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশের (Bangladesh Update) অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আর এরই মধ্যে উপদেষ্টামণ্ডলীতে এত বড় রদবদল হওয়ায় হতবাক অনেকেই। 

    আরও পড়ুন: বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ! লালবাজারে তলব পাওয়া ২ চিকিৎসককে নিয়ে মিছিল ডাক্তারদের

    বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর  ছুটি নিয়ে সংশয় 

    উল্লেখ্য, হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থেকেই বাংলাদেশের (Bangladesh Update) সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলি তাদের অধিকার রক্ষার জন্য একটি সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন চালু করার দাবি করছে। জানা গিয়েছে, ইউনূসের কাছে তুলে ধরার জন্য আট দফা দাবির একটি তালিকা তৈরি করেছিল একটি হিন্দু ছাত্র সংগঠন। এই দাবিগুলির মধ্যে একটি ছিল দুর্গাপুজোর সময় ৫ দিনের ছুটি। সে সময় সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছিলেন, তাঁরা দুর্গাপুজোর সময়ে ছুটির (Holiday In Durga Puja) বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন। কিন্তু এরপরই তাঁর বদলির অর্ডার আসে। সুতরাং এর ফলে এবার বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর ছুটি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলির মধ্যে। 
      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Triple Talaq: ‘তিন তালাক বিপজ্জনক’, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র

    Triple Talaq: ‘তিন তালাক বিপজ্জনক’, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘তিন তালাক (Triple Talaq) প্রথা বিবাহ নামক সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বিপজ্জনক। এটা মুসলমান মহিলাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।’ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা জমা দিয়ে একথা জানাল কেন্দ্র।

    সুপ্রিম-শুনানিতে কী বলল কেন্দ্র? (Triple Talaq)

    শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, যাঁরা তিন তালাকের শিকার হন, তাঁদের পুলিশের কাছে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় থাকে না। কিন্তু আইনে শাস্তিমূলক ধারা না থাকলে পুলিশকর্মীরা নিরুপায় বোধ করতেন। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারত না। তাই বেআইনি হলেও, অবাধে চলছিল এই প্রথা। যা কোনওভাবেই কাম্য নয়। এটা বন্ধ করতেই দ্রুত কঠোর আইনি ব্যবস্থার প্রয়োজন ছিল।

    তিন তালাক বন্ধ করতে দরকার শাস্তির বিধান

    কেন্দ্র আরও জানায়, দেশের শীর্ষ আদালত বারবার বলেছে আইন তৈরি করার কাজ আদালতের নয়, সংসদের। তাই আইন কী হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংসদ, আদালত নয়। দেশবাসীর জন্য কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ তা নির্ধারণ করেই আইন তৈরি করে সংসদ। অপরাধের ক্ষেত্রে তার উপযুক্ত শাস্তি নির্ধারণ করাই সরকারের প্রধান কাজ। কেন্দ্রের তরফে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, সায়রা বানুর ঘটনার পর তিন তালাক (Triple Talaq) অবৈধ ঘোষণা হলেও, সমাজে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। কারণ এখানে শাস্তির বিধান ছিল না।

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানের ডাক, ফের ঝান্ডাহীন আন্দোলনের পক্ষে সওয়াল শুভেন্দুর

    কীসের ভিত্তিতে মামলা চলছে?

    ২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাক প্রথাকে অসাংবিধানিক আখ্যা  দেয়। ২০১৯ সালে সংসদে পাশ হয় মুসলিম মহিলা (বিবাহের নিরাপত্তা অধিকার) আইন। এই প্রথাকে শাস্তিযোগ্যঠ অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। যার জেরে কেউ তিন তালাক দিলে তাঁর তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেরলের জমাইতুল উলেমা নামে একটি সংগঠন। শীর্ষ আদালতে দায়ের করা মামলায় বলা হয়, ২০১৯ সালে সংসদে পাশ হওয়া আইন অসাংবিধানিক। তাই বাতিল করা হোক। এই (Supreme Court) আইন মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। ধর্মের ভিত্তিতে তিন তালাককে (Triple Talaq) অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যায় না। সেই মামলার শুনানিতেই কেন্দ্র নিজের অবস্থান ও মনোভাব স্পষ্ট করল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনকারী ডাক্তারদের ‘হাত মুচড়ে’ দেওয়ার নিদান তৃণমূল সাংসদের!

    Bankura: আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনকারী ডাক্তারদের ‘হাত মুচড়ে’ দেওয়ার নিদান তৃণমূল সাংসদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর গায়ে কালি লাগানোর চেষ্টা হলে হাত মুচড়ে দেওয়ার নিদান দিলেন বাঁকুড়ার (Bankura) তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী। বিরোধীদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল পুলিশের একাংশকেও। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের জনরোষের মুখে পড়ার সম্ভাবনার কথা শোনা গেল সাংসদের মুখে। তাঁর এই বক্তব্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে দলের নেতা-মন্ত্রীরা আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। দোষীদের শাস্তি দাবি করছেন। সেখানে নেত্রীর ‘গুড বুকে’ থাকার জন্য আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল সাংসদ? (Bankura)

    আরজি করের ঘটনায় সাধারণ মানুষের আন্দোলনে উত্তাল সারা দেশ। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিকভাবে বেশ বেকায়দায় পড়ে একই দাবি তুলে পথে নেমেছে তৃণমূল। দলীয় নির্দেশে রবিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার (Bankura) হিন্দু হাইস্কুল ময়দান থেকে মাচানতলা পর্যন্ত মূলত মহিলাদের নিয়ে মিছিল করে তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা নেতৃত্ব। মিছিল শেষে মাচানতলায় আকাশ মুক্ত মঞ্চ সভা হয়। সভামঞ্চ থেকে সাংসদ বলেন, ‘‘মণিপুরে যখন মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয় তখন সিপিআইএম কোথায় ছিল? আজ মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে নাইট শো-র সিনেমা দেখার মতো করে মহিলাদের রাস্তায় নামানো হচ্ছে। এভাবে মুখ্যমন্ত্রীর গায়ে কালি লাগানোর চেষ্টা হলে তৃণমূল কর্মীরা আপনাদের হাত মুচড়ে দেবে।’’ বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে আন্দোলনকারী জুনিয়ার চিকিৎসকদের সতর্ক করে সাংসদ বলেন, ‘‘কর্মবিরতির নামে অনেক জুনিয়র চিকিৎসক বেড়াতে যাচ্ছেন। অনেকে বাড়ি যাচ্ছেন। আপনারা ডাক্তারি করতে এসেছেন, রাজনীতি করতে নয়। তাই আপনারা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখুন। হাসপাতালে রোগী মারা যেতে শুরু করলে গ্রাম-গঞ্জ থেকে দলে দলে লোক হাসপাতালে ছুটে আসবে। জনরোষ তৈরি হবে। তখন আমরা সামলাতে পারব না।’’ সভামঞ্চ থেকে পুলিশের একাংশকেও হুঁশিয়ারি দেন সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের একাংশ সাপের মুখেও চুমু খাচ্ছেন, আবার ব্যাঙের মুখেও চুমু খাচ্ছেন। মিটিং মিছিল করতে দিয়ে বিরোধীদের মদত দিচ্ছেন। আমাদের কর্মীরা সব নজর রাখছে। মনে রাখবেন আপনাদের রাজ্য সরকারের অধীনে কাজ করতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে হাইকোর্টে মিছিল আইনজীবীদের, কী দাবি উঠল?

    RG Kar Incident: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে হাইকোর্টে মিছিল আইনজীবীদের, কী দাবি উঠল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar Incident) পড়ুয়া চিকিৎসক নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় সোমবার দুপুরে পথে নামলেন আইনজীবারা। সেই মিছিলের প্রথম সারিতেই দেখা গেল রাজ্যের একাধিক প্রাক্তন অ্যাডভোক্যাট জেনারেল (এজি)-কে। এদিন মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বহু বর্ষীয়ান আইনজীবী (Calcutta High Court)। প্রথম সারিতেই ছিলেন রাজ্য সরকারের প্রাক্তন এজি অনিন্দ্য মিত্র, প্রাক্তন এজি জয়ন্ত মিত্র। ছিলেন আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, যিনিও এজি পদ থেকে সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন।

    প্রতিবাদে আইনজীবীরা

    সোমবার সকালে কালো রোব পরে হাতে পোস্টার নিয়ে মিছিল শুরু করেন হাইকোর্টের আইনজীবীরা (Calcutta High Court)। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ (RG Kar Incident)। সোমবার দুপুরেই বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে একটি বৈঠকে ডাকা হয়। সেই বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে স্থির হয়, আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হবে। একই সঙ্গে আইনজীবীদের ওই সংগঠনের তরফে অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তি দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। এই মিছিলে ছিলেন জিপি অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি রাজ্য সরকারের হয়ে একাধিক মামলা লড়েছেন। এদিন তিনি বলেন, ‘‘বিবেকের কাছে আমি দায়বদ্ধ। ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদ করতেই হবে। এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা নন্দীগ্রামের সময়ও লড়েছি।’’ প্রাক্তন এজি অনিন্দ্য মিত্র বলেন, ‘‘নাগরিক সুরক্ষা সব মানুষের অধিকার। এই আন্দোলন শুধুমাত্র ডাক্তারদের জন্য নয়।’’ আইনজীবীদের দাবি, সঠিক তদন্ত হচ্ছে না। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। নির্যাতিতার পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে রাজ্য সরকার বিষয়টি লঘু করতে চাইছে।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল যুবভারতী, সমর্থকদের গ্রেফতারি আটকে ‘নায়ক’ কল্যাণ চৌবে

    আন্দোলনে অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকেরা

    অন্যদিকে, আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়ালেন অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকরাও। প্রবীণ চিকিৎসকদের একাংশ সোমবার বেলায় আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছন। সেখানে অবস্থানে বসা পড়ুয়াদের সঙ্গে বসে পড়েন তাঁরাও। জানান, উত্তরসূরিদের আন্দোলনে সংহতি জানাতেই তাঁদের সেখানে যাওয়া। অবসরপ্রাপ্ত এক চিকিৎসক বলেন, “আমাদের সময় আরজি কর হাসপাতাল এমন ছিল না। আর এখন কী সব খবর আসছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ! লালবাজারে তলব পাওয়া ২ চিকিৎসককে নিয়ে মিছিল ডাক্তারদের

    RG Kar: বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ! লালবাজারে তলব পাওয়া ২ চিকিৎসককে নিয়ে মিছিল ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar) নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসকের পরিচয় ফাঁস এবং গুজব ছড়ানোর অভিযোগে রাজ্যের দুই সিনিয়র চিকিৎসক কুণাল সরকার এবং সুবর্ণ গোস্বামীকে সোমবার তলব করে লালবাজার (Lalbazar)। যদিও গুজব ছড়ানোর বিষয়ে পুলিশ মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে চিকিৎসক মহলের বড় অংশকে। এরই প্রতিবাদে দুই ডাক্তারকে নিয়ে এদিন মিছিল করে লালবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন চিকিৎসকরা। পাল্টা চিকিৎসকদের রুখতে রীতিমতো ব্যারিকেড করল পুলিশ। সাম্প্রতিক ইতিহাসে রাজ্যে এমন ঘটনা বেনজির বলেই মনে করছে ওয়াকিহবহল মহল। আন্দোলন যে বর্তমানে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে, এই ঘটনাই তার প্রমাণ, এমনটা বলছেন কেউ কেউ।

    ফিয়ার্স লেনে চিকিৎসকদের মিছিল আটকায় পুলিশ (RG Kar)

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৫ নম্বর ধারায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তলব করা হয় দুই চিকিৎসককে। এরই প্রতিবাদে সরব হন শহরের বাকি ডাক্তাররাও। ব্যারিকেড (RG Kar) করে ফিয়ার্স লেনে চিকিৎসকদের মিছিল আটকায় পুলিশ। সেখান থেকেই দুই চিকিৎসক কুণাল সরকার এবং সুবর্ণ গোস্বামীকে নিয়ে লালবাজারের দিকে নিয়ে যায় কলকাতা পুলিশ। দুই চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁদের আইনজীবীরাও ছিলেন। লালবাজারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এদিন জড়ো হন চিকিৎসকরা। সেখানেই বক্তব্য রাখতে দেখা যায় কুণাল সরকার ও সুবর্ণ গোস্বামীকে।

    ৯ অগাস্টের ঘটনাটি প্রথম থেকেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে 

    সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘সবাই জানেন এ রাজ্যে যে ঘৃণ্য অপরাধ ঘটেছে, সেই অন্যায়কে ধামাচাপা, দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা চলছে। তার বিরুদ্ধেই আমাদের প্রতিবাদ। আমরা চাইলে এর বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারতাম। কিন্তু আমরা মুখোমুখি লড়াই করতে চেয়েছিলাম। সবশেষে বলি, চোখ যত রাঙাবে, মিছিল তত বাড়বে।’’ সুবর্ণ গোস্বামী আরও বলেন, ‘‘আরজি করে (RG Kar) এই ঘটনার আগে থেকেই আমরা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বিভিন্ন অব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবাদ করে এসেছি। ৯ অগাস্টের ঘটনাটি প্রথম থেকেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা কোনও ভুল তথ্য ছড়ায়নি। আমাদের তরফে কোথাও নির্যাতিতার নাম সামনে আসেনি, যা আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ করেছিলেন।’’

    দেশের বিভিন্ন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি 

    সুবর্ণ গোস্বামী আরও বলেন, ‘‘যে অটোপসি রিপোর্ট নিয়ে আমরা কথা বলেছি, তা নির্যাতিতার বাবার তরফে বলা হয়েছিল। আমরা সাতটি সংগঠনের তরফে যখন তাঁদের বাড়িতে যাই, সেই সময় বলা হয় যে, এটা নিয়ে আপনারা সরব হন। তার ওপর ভিত্তি করেই দেশের বিভিন্ন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলি। সেটাই সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেছি।’’ চিকিৎসক কুণাল সরকার বলেন, ‘‘জীবনে কত পরীক্ষা দিয়েছি, আজকে পুলিশ আমাদের প্রশ্ন করতে চায়। আজকে পুলিশ (Lalbazar) আমার বিবেক, বুদ্ধি, সমাজ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর চায়, সব প্রশ্নের উত্তর দেব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা ৩১ বছরের একজন সতীর্থকে চিরতরে হারিয়েছি। এই গ্লানি রয়ে গিয়েছে। মনে রাখতে হবে সমাজের প্রতি আমাদের একটা দায়িত্ব রয়েছে। রাজ্যের মানুষের কাছে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। এখন ডাক্তারদের একসঙ্গে আসতে হবে। পারস্পরিক আলোচনা করতে হবে। একতরফা বলে যাওয়ার সময় এটা নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি কর ইস্যুতে প্রতিবাদ মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি নেতা

    RG Kar Incident: আরজি কর ইস্যুতে প্রতিবাদ মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) কাণ্ডে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। এবার সারা দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপি (BJP) নেতা স্বপন দাশগুপ্ত। সেই মতো তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এরকম ঘটনার জন্য প্রতিবাদ মিছিল করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা? (RG Kar Incident)

    জানা গিয়েছে, আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদে মৌলালি থেকে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রোসিং পর্যন্ত বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপি নেতা স্বপনবাবু। দিনকয়েক আগেই আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-ছাত্রীর নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই পথেই মিছিল করেছিলেন। ফলে, আপত্তি হবে না জেনেই পুলিশের কাছে বিজেপি নেতা আবেদন করেছিলেন। কিন্তু,পুলিশ অনুমতি দেয়নি। তাই, মিছিলের অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। সোমবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের কাছে মামলা করার অনুমতি চান মামলাকারীর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। তাঁর আবেদন, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতার মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হোক। পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আবেদন জানিয়েও অনুমতি মিলছে না বলে দাবি করেন তিনি। বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

    আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) উত্তাল গোটা দেশ। দিকে দিকে চলছে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, ধর্না, মিছিল। সকলের একটাই দাবি, ‘বিচার চাই’। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ তো বটেই রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতিতে জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারকারাও আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন। প্রায়ই কলকাতার রাস্তায় মিছিল বার করছেন প্রতিবাদীরা। একাধিক ক্ষেত্রে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। প্রতিবাদে পথে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলিও। বিরোধীরা আরজি কর-কাণ্ডে বাংলার শাসক দল তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলছে। আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে প্রায় সর্বস্তরের মানুষ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গত সপ্তাহে ওই স্থানে ঠিক ওই রাস্তাতেই মিছিল করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মিছিল করতে পারলে, কেন অনুমতি দেওয়া হবে না, সেই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mpox Emergency: ‘এমপক্স’-এর বাড়বাড়ন্তে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক! সতর্ক করল ‘হু’, নজরদারি বৃদ্ধি ভারতে

    Mpox Emergency: ‘এমপক্স’-এর বাড়বাড়ন্তে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক! সতর্ক করল ‘হু’, নজরদারি বৃদ্ধি ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা মহামারির পর এবার আরও এক উদ্বেগ ‘এমপক্স’ (মাঙ্কিপক্স)। সম্প্রতি এমপক্স (Mpox Emergency) সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ১১৬টি দেশে এই রোগের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ভারতে (India) এখনও এই রোগের একটিও কেস রিপোর্ট হয়নি। তবে, আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্র। দেশে ঢোকার এন্ট্রি-পয়েন্টগুলিতে নজরদারি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার।

    সংক্রমণ থেকে বাঁচতে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে কেন্দ্র 

    এমতাবস্থায়, প্রধানমন্ত্রী মোদি মন্ত্রিসভার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পিকে মিশ্র এমপক্স (Mpox Emergency) প্রাদুর্ভাবের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করার জন্য একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেন। একইসঙ্গে ভাইরাস সংক্রমণের তাৎক্ষণিক সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানোর জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। বৈঠকের সময়, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ভারতে কোনও নতুন এমপক্স কেস সনাক্ত হয়নি। তবে এমপক্স (Mpox Emergency) সংক্রমণ ঠেকাতে ভারত কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছে।

    একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ কেন্দ্রের

    ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (NCDC) এমপক্স নিয়ে ভারতের (India) ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে গত ১২ অগাস্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করে। সেখানেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিকে স্বাস্থ্য পরিক্ষার ক্ষেত্রে সতর্কতা দেওয়া হয়। এর পরই, (১৯ অগাস্ট) সোমবার, নির্দেশিকা জারি করা হয় কেন্দ্রের তরফে। সেখানে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত বিমানবন্দর এবং কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সীমান্তের স্থলবন্দরগুলিতে আগত যাত্রীদের এমপক্সের কোনও লক্ষণ আছে কি না, সে বিষয়ে কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, এমপক্সে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল, সফদারজং হাসপাতাল এবং লেডি হার্ডিঞ্জ হাসপাতালকে ‘নোডাল সেন্টার’ হিসাবে বাছা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল মহিলা-বিরোধী, যুব-বিরোধী, গণতন্ত্র-বিরোধী”, রাজ্যকে তোপ নাড্ডার 

    এমপক্সের উপসর্গ (Mpox Emergency) 

    এমপক্স হল মাঙ্কিপক্স ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। ১৯৫৮ সালে প্রথম বাঁদরের দেহে এই রোগের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এই কারণে রোগের নামকরণ হয়েছে মাঙ্কি পক্স। এটি মূলত প্রাণীর থেকে মানুষের দেহে সংক্রামিত হয়। ভারতে (India) এই রোগের সংক্রমণ প্রথম ধরা পড়ে ২০২২ সালে। কেরলের ৩৫ বছরের এক যুবক মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হন। এমপক্সে স্মলপক্সের মতোই উপসর্গ দেখা যায়। যেমন— জ্বর, মাথাব্যথা, পেশীতে ব্যথা, র‌্যাশ (যা প্রথমে মুখে দেখা যায়। তারপর তা সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে)। এই উপসর্গ দেখা যায় দুই থেকে চার সপ্তাহের তফাতে। কারও কারও ক্ষেত্রে এই রোগের মৃদু উপসর্গ থাকে। কারও ক্ষেত্রে তা প্রকট হয়। সংক্রামিত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং দীর্ঘস্থায়ী যোগাযোগের মাধ্যমেও এই রোগের সংক্রমণ হয়।  
    তবে বর্তমানে গোটা বিশ্বে বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলিতে এমপক্সের ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত আফ্রিকার একাধিক দেশে মাঙ্কিপক্সে (Mpox Emergency) মোট ১৪ হাজার জন আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৫২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gaganyaan Mission: ডিসেম্বরেই মানবহীন গগনযান-এর মহাকাশ যাত্রা! জানেন ইসরোর পরিকল্পনা?

    Gaganyaan Mission: ডিসেম্বরেই মানবহীন গগনযান-এর মহাকাশ যাত্রা! জানেন ইসরোর পরিকল্পনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ডিসেম্বরেই গগনযান প্রকল্পের প্রথম মিশন (Gaganyaan Mission) মহাকাশে পাড়ি দিতে পারে বলে আশা ইসরোর। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ISRO) চেয়ারম্যান এস সোমনাথ (S Somanath) সম্প্রতি জানান, গগনযানের মানববিহীন প্রথম মিশন (জি১)-এর শেষপর্যায়ের কাজ চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই এর উৎক্ষেপণ করার কথা ভাবা হচ্ছে।

    গগনযান-এর কাজ কোন পর্যায়

    গগনযান (Gaganyaan Mission) প্রথম মিশন মহাকাশে পাঠানোর তোড়জোড় চলছে। একাধিক আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ এগিয়ে চলেছে। চেষ্টা চলছে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম মিশনটি শুরু করে দেওয়ার। সম্প্রতি ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, ‘‘বর্তমানে মহাকাশাভিযান কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত রকেট ও হার্ডওয়ার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে পৌঁছেছে এবং ক্রু মডিউলের সংযোজন প্রক্রিয়া তিরুবনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এই মুহূর্তে আমরা গগনযানের মানববিহীন প্রথম মিশন (জি১)-এর শেষপর্যায়ের কাজ করছি। আমরা পুরো তারের ওয়ারিং এবং টেস্টিং-এর কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছি। আশা করছি, নভেম্বরের মধ্যেই পুরো সিস্টেম উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। ফলে খুব সহজেই আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হব।’’

    আরও পড়ুন: রাখি পূর্ণিমায় রাতের আকাশে সুপার-ব্লু মুন! ভারতে কখন দেখা যাবে?

    মহাকাশে মানুষ পাঠানোই লক্ষ্য

    চন্দ্রযান-৩ প্রকল্পে সাফল্যের পর গগনযান প্রকল্প সফল করতে জোরদার প্রস্তুতি শুরু করে ইসরো (ISRO)। প্রথমে পৃথিবীর অক্ষে এই মানববিহীন যান প্রদক্ষিণ করবে। মহাকাশযানে করে মানুষের পরিবর্তে পাঠানো হবে মানবীয় (মানুষের মতো দেখতে) রোবট ‘ব্যোমিত্র’-কে। পরবর্তীতে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। ইতিমধ্যেই রকেটের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ছাড়াও মানববাহী মহাকাশযানের যন্ত্রাংশ মহাকাশযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র সতীশ ধবন স্পেস সেন্টারে আনার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এবং বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারেও শুরু হয়েছে মহাকাশ গবেষণার নানান পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ। ইসরো আগে এই ধরনের অভিযান (Gaganyaan Mission) করেনি ফলে এটা সর্বাত্মক ভাবে সফল করা ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার কাছে একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হতে পারে, আশঙ্কা করত মেয়ে’, দাবি নির্যাতিতার মায়ের

    RG Kar: ‘পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হতে পারে, আশঙ্কা করত মেয়ে’, দাবি নির্যাতিতার মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়ের মৃত্যুর জন্য আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের চেস্ট ডিপার্টমেন্টকেও দায়ী করেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। রীতিমতো ক্ষোভের সুরে তাঁরা জানিয়েছেন, নির্যাতিতাকে সব সময় চাপে রাখা হত। জ্বরের সময় নির্যাতিতাকে কাজ করানোরও অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার (RG Kar) বাবার কথায়, ‘‘মেয়ের ভিপি চাপে রাখত। জ্বর হলেও ছুটি দিত না। এক বার একটি বাইক ওকে ধাক্কা দেয়। আঘাত লাগে। তার পরেও ছুটি দেয়নি।’’ নির্যাতিতার মায়ের (RG Kar Victims Mother) দাবি, পড়াশোনাতে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সে কারণে, এ সব বিষয়ে নজর দিতেন না চিকিৎসক। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ে সব কিছু এড়িয়ে যেত। এ সবে নজর দিলে পড়াশোনায় ক্ষতি হবে বলে এড়িয়ে যেত। আপনারা বুঝতে পারছেন, আরজি করে কী হত?’’ নিহত তরুণী চিকিৎসকের মা আরও জানিয়েছেন, পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হতে পারে, এমন আশঙ্কাও ছিল তাঁদের মেয়ের। তাঁর কথায়, ‘‘ভয় ছিল। চাপ ছিল, ওপরমহলের।’’

    ভরসা সিবিআইয়ে (RG Kar) 

    হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। নির্যাতিতার বাবা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে সিবিআইয়ের ওপর ‘আস্থা রাখতে হবে’ তাঁদের। নিজেদের বেশ কিছু সন্দেহের কথাও সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রকাশ করেছেন নির্যাতিতার বাবা এবং মা। নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘সন্দেহ হচ্ছে, অন্যত্র কোথাও খুন হয়েছে। যত ক্ষণ না জানতে পারছি, সুনিশ্চিত হতে পারছি না।’’ নিহতের (RG Kar) মা বলেন, ‘‘জানতে পেরেছি, মেয়ের দেহ যে ভাবে আমাদের দেখানো হয়েছে, সে ভাবে ছিল না। দেহে জামাকাপড় ছিল না, এটা আমরা জানতে পেরেছি। সিবিআইকে সব বলব। আমাদের মনে হচ্ছে, আমাদের আড়াল করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছে।’’

    নির্যাতিতার ডায়েরির ‘ছেঁড়া পাতা’র ছবি রয়েছে বাবার কাছে

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদেরও শাস্তির দাবিও তুলেছেন তাঁরা। নির্যাতিতার মা (RG Kar Victims Mother) বলেন, ‘‘ওই ক্ষতবিক্ষত দেহ, যে দেহে জামা কাপড় নেই, তা দেখে এক জন বলছেন, আপনার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এটা হতে পারে না। আড়াল করার চেষ্টা না হলে এ রকম হতে পারে না। আত্মহত্যা বলা হয়েছে, এটাও অপরাধ। পুলিশ আধিকারিকদের শাস্তি চাইছি প্রথম থেকে।’’ আরজি কর হাসপাতালে নির্যাতিতা চিকিৎসকের ডায়েরি থেকে ‘ছেঁড়া পাতা’-র ছবি তাঁর কাছে রয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে এদিন জানিয়েছেন নির্যাতিতার (RG Kar) বাবা। তাঁর আরও দাবি, সিবিআই চাইলে তিনি তা দিতে প্রস্তুত। কী লেখা রয়েছে সেই ডায়েরির ‘ছেঁড়া পাতা’-য়? এই নিয়ে তদন্তের স্বার্থে তিনি কিছু বলতে চাননি। তবে যা লেখা ছিল, তার সারমর্ম হল, মৃত চিকিৎসক ‘সুখে’ থাকতে চেয়েছিলেন, এমনটাই জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নবান্ন অভিযানের ডাক, ফের ঝান্ডাহীন আন্দোলনের পক্ষে সওয়াল শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: নবান্ন অভিযানের ডাক, ফের ঝান্ডাহীন আন্দোলনের পক্ষে সওয়াল শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Case) ফের একবার ঝান্ডাহীন আন্দোলনের পক্ষে সওয়াল করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আরজি করকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরেও একাধিকবার তিনি এই ঝান্ডাহীন আন্দোলনের কথা বলেছেন। আবারও বললেন। এবং এই ডাক দিতে অনুরোধ করলেন নির্যাতিতার বাবাকে।

    শুধু একবার ডাক দিন (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “নির্যাতিতার বাবাকে মিছিলে হাঁটতে হবে না। তিনি শুধু একবার ডাক দিন, যে নবান্ন অভিযান হবে। তারপর বাকিটা আমরা করে নেব।” সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেছেন, “ওঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের) ওপর এক সময় পুরোপুরি বিশ্বাস ছিল। এখন আর বিশ্বাসটাই নেই।” নির্যাতিতার মা আবার পুলিশ দ্রুত তদন্ত বন্ধ করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন। নির্যাতিতার পরিবারের আক্রমণের ঝাঁঝ কমে যাওয়ার আগেই ফের তৃণমূলের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করলেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু

    সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “রাজ্য সরকার বলছে, রাত মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়। এ লজ্জা রাখার কোনও জায়গা আছে? যেখানে সংসদে, বিধানসভায় মহিলাদের আসন সংরক্ষণ বিল পাশ হচ্ছে, নারী সশক্তিকরণের কথা বলা হচ্ছে। রাজ্যগুলিতে কেন্দ্র নানা জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি নিচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় মহিলাদের বাড়ির মালিকানা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে এই রাজ্য সরকার বলছে মহিলাদের রাতে ডিউটি করার প্রয়োজন নেই! রাতে যে মহিলাদের নিরাপত্তা নেই, সেটা সরকার নিজেই বলছে নবান্ন থেকে? এর পরে হয়তো বলবে দিনের বেলাতেও মহিলারা বাড়ি থেকে বেরোবেন না!”

    আরও পড়ুন: “মমতার ওপর থেকে বিশ্বাসটাই হারিয়ে গিয়েছে”, বলছেন নির্যাতিতার বাবা

    পশ্চিমবঙ্গে নারী স্বাধীনতা, নারী সুরক্ষা, নারীর অধিকার, নারীর নিরাপত্তা – সবই বিপন্ন বলেও তোপ দাগেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। এবং এই পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বিজেপি, সিপিএম ইত্যাদি প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই কিছু রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই আমরা পদক্ষেপ করতে পারছি না। নির্যাতিতার বাবা একবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিন, সবাই বেরোবে। তাঁকে বেরোতে হবে না। জাতীয় পতাকা নিয়ে শুধু একবার (RG Kar Case) ডাকটা দিন। বাকিটা আমরা করে দেব জাতীয় পতাকা নিয়ে (Suvendu Adhikari)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share