Tag: bangla news

bangla news

  • Assam: “সরকারি কর্মসূচিতে নিরামিষ খাবার”, ভিআইপি সংস্কৃতির অবসানে বিরাট ঘোষণা হিমন্তর

    Assam: “সরকারি কর্মসূচিতে নিরামিষ খাবার”, ভিআইপি সংস্কৃতির অবসানে বিরাট ঘোষণা হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান নিয়ে বিরাট ঘোষণা করলেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি সোমবার একটি প্রশাসনিক বৈঠকে বলেছেন, “আমাদের সরকার ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান ঘটাবে। সরকারি কর্মসূচিতে শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা হবে।” একই ভাবে মুখ্যমন্ত্রী কনভয়ের গাড়ি সংখ্যা কমিয়ে এবার থেকে ১০ করা হবে বলেও জানিয়েছেন। তাঁর এই ঘোষণা অসমের জন্য যুগান্তরকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

    ঠিক কী বলেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Assam)?

    অসমের (Assam) দিসপুরে সোমাবার জেলা শাসকদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) । তিনি বলেন, “আমি সরকারি অনুষ্ঠানগুলিতে অতিরিক্ত খাবার ব্যবস্থা সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। তাই আমরা কড়া অবস্থান নিয়ে নিয়ন্ত্রণ করব। আমাদের সরকার ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান ঘটাবে। এখন থেকে কেবল মাত্র নিরামিষ এবং সাত্ত্বিক আহার পরিবেশন করা হবে সব অনুষ্ঠানে। সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের কাছে আমার স্পষ্ট বার্তা যে কোনও সরকারি কাজের জন্য অপ্রয়োজনীয় খরচ কমাতে হবে। কোনও মন্ত্রী বা পদাধিকারী জেলা বা মহকুমায় গেলে তাঁদেরকে নিজের খরচে হোটেল খাবার খেতে হবে। আমি সম্প্রতি ডিব্রুগড়ে গিয়েছিলাম, সেখানে নিজের খরচে একটি ধাবায় খাবার খেয়েছিলেম। সরকারি অনুষ্ঠানে এবার থেকে সকলের জন্য নিরামিষ খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে অন্যরাজ্য বা বিদেশি অতিথিদের জন্য আমিষ আহারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।”

    আরও পড়ুনঃ পাইন গাছের বর্জ্য ব্যবহার করেই জীবিকা অর্জনের সুযোগ, পথ দেখাচ্ছেন দুই বোন

    ভিআইপি কালচার নিয়ে কী বলেন

    মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Assam) নিজের এক্স হ্যান্ডলে ভিআইপি সংস্কৃতি নিয়ে একটি পোস্টে বলেছেন, “আমাদের সরকার ভিআইপি কালচারকে শেষ করবে। মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যারিকেডের সংখ্যা কমিয়ে দেব। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের গাড়ির সংখ্যা কম করতে হবে। মোট ১০টি গাড়ির বেশি যেন না রাখা হয়। একই ভাবে অন্য মন্ত্রী এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জন্য গাড়ির সংখ্যায় সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। তাঁদের কনভয়ে থাকবে একটি করে গাড়ি।”

    তিনি আরও বলেন, “দেশের জিডিপিতে অংশ নেওয়া আমাদের রাজ্যের জেলাগুলির উপর বিশেষ নজর রাখতে হবে। রাজ্যের রিপোর্টের সঙ্গে এবার থেকে জেলার রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ করে নতুন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ করাতে হবে। একই ভাবে বন্যা কবলিত এলাকায় ১২ অগাস্টের মধ্যে পুনর্বাসন অনুদান পৌঁছে দিতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dark Oxygen: সমুদ্রের ১৩ হাজার ফুট নীচে সূর্যের আলো ছাড়াই তৈরি হচ্ছে ‘ডার্ক অক্সিজেন’

    Dark Oxygen: সমুদ্রের ১৩ হাজার ফুট নীচে সূর্যের আলো ছাড়াই তৈরি হচ্ছে ‘ডার্ক অক্সিজেন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের বইতে আমরা প্রত্যেকেই পড়েছি যে সূর্যালোকের (Sunlight) উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবুজ উদ্ভিদ অক্সিজেন তৈরি করে এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে। তবে এমন ধারণা যে অকাট্য নয়, তা সম্প্রতি প্রমাণ করেছেন বিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ, সূর্যালোকের উপস্থিতি অক্সিজেন উৎপাদনের (Dark Oxygen) ক্ষেত্রে অপরিহার্য ফ্যাক্টর নয়। অতল সমুদ্র গহ্বরে সূর্যালোকের অভাবেই তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন। সম্প্রতি এমনটাই আবিষ্কার করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে প্রশান্ত মহাসাগরের একেবারে তলদেশে প্রায় ১৩ হাজার ফুট নীচে, যেখানে সূর্যালোক পৌঁছানোর কোনও সম্ভাবনা নেই, সালোকসংশ্লেষও অসম্ভব, সেখানেই প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন (Dark Oxygen) তৈরি হচ্ছে।

    কীভাবে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন?

    সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাসায়নিক ধাতব বিক্রিয়ার মাধ্যমেই তৈরি হচ্ছে এই অক্সিজেন। বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন, ‘ডার্ক অক্সিজেন’ বা ‘অন্ধকার অক্সিজেন’। এ নিয়ে নেচার জিও সায়েন্স জার্নালে এক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণাপত্রে দাবি করা হচ্ছে, সালোকসংশ্লেষ ছাড়াও অক্সিজেন (Dark Oxygen) তৈরি হয় এই পৃথিবীতে। আন্তর্জাতিক গবেষকদের দলটি আবিষ্কার করতে পেরেছেন যে এই অক্সিজেনই টিকিয়ে রেখেছে গভীর সমুদ্রের জীবনকে যা সম্পূর্ণ অন্ধকারে বেঁচে রয়েছে।

    একই দাবি করেছিলেন বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু সুইটম্যান

    আজ থেকে ১১ বছর আগে ২০১৩ সালেই প্রশান্ত মহাসাগরে ফিল্ডওয়ার্কে গিয়েছিলেন স্কটিশ অ্যাসোসিয়েশন ফর মেরিন সায়েন্সের বিজ্ঞানী, অ্যান্ড্রু সুইটম্যান। সেসময়, সুইটম্যান এবং তাঁর সহযোগী অন্যান্য বিজ্ঞানীরা ক্লারিওন-ক্লিপারটন জোনে সমুদ্র-তলের ইকোসিস্টেমগুলি (Sunlight) নিয়ে গবেষণা করেন। ওই গবেষণার সময়ই তাঁরা সেখানে ‘অন্ধকার অক্সিজেন’-এর (Dark Oxygen) সন্ধান পেয়েছিলেন বলে জানা যায়। এনিয়ে সুইটম্যান বলেন, “এখন আমরা জানি, গভীর সমুদ্রেও অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। যেখানে কোনও আলো নেই। আমি মনে করি, বায়বীয় জীবন কোথায় শুরু হতে পারে, আমাদের এই প্রশ্নগুলো পুনরালোচনা করা দরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Eyelash Extensions: চোখের পাতা আকর্ষণীয় করতে আই ল্যাশ এক্সটেনশন! হতে পারে নানা ক্ষতিও

    Eyelash Extensions: চোখের পাতা আকর্ষণীয় করতে আই ল্যাশ এক্সটেনশন! হতে পারে নানা ক্ষতিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখের পাতা সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে এখন অনেকেই ‘আই ল্যাশ এক্সটেনশন’ (Eyelash Extensions) করান। চোখের সাজ নিয়ে এখন রূপটানশিল্পীরা নানা রকম পরীক্ষা-নীরিক্ষাও করছেন। যার মধ্যে ‘আই ল্যাশ এক্সটেনশন’ এখন বহুল জনপ্রিয়। পুজোর আগে অনেকেই চোখের পাতা ঘন করতে চাইছেন। দক্ষ এবং বিশেষজ্ঞ দ্বারা ‘আই ল্যাশ এক্সটেনশন’ করালে অনেক সময় চোখে মেক-আপেরও প্রয়োজন হয় না। তবে আবার ঠিকঠাক না হলে এর থেকে চোখে নানারকম সংক্রমণও (Risk Of Eye Infections) হতে পারে।

    কী বলছে গবেষণা

    সম্প্রতি জার্নাল অফ রয়্যাল সোসাইটি-র (Journal of the Royal Society Interface) একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে অত্যন্ত লম্বা এবং ঘন চোখের পাতা ফ্যাশনেবল হলেও এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। প্রাকৃতিক চোখের পাতা চোখকে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং বায়ুবাহিত কণা থেকে রক্ষা করে। সিল্ক, মিঙ্ক বা নাইলনের মতো উপকরণ দিয়ে তৈরি এক্সটেনশনগুলি প্রতিটি পাতার সঙ্গে আঠা দিয়ে লাগানো হয়, যা থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। এক্ষেত্রে দক্ষতার প্রয়োজন। কারণ ‘আই ল্যাশ এক্সটেনশন’ (Eyelash Extensions) এর সময় আঠা দিয়ে চোখের পাতা একসঙ্গে লেগে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। চোখের পৃষ্ঠে আঠা কখনওই লাগানো উচিত নয় কারণ এটি ক্ষতিকর হতে পারে।

    আরও পড়ুন: পাইন গাছের বর্জ্য ব্যবহার করেই জীবিকা অর্জনের সুযোগ, পথ দেখাচ্ছেন দুই বোন

    কী কী হতে পারে

    একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, ৬০ শতাংশেরও বেশি মহিলা চোখের পাতায় আঠা ব্যবহারের পর কেরাটোকনজাঙ্কটিভাইটিসে (Risk Of Eye Infections) আক্রান্ত হয়েছেন, এবং ৪০ শতাংশ অ্যালার্জিতে ভুগেছেন। কিছু আঠায় ফরমালডিহাইড থাকে, সেই আঠা ‘আই ল্যাশ এক্সটেনশন’-এর (Eyelash Extensions) সময় ব্যবহার করলে ক্যান্সার হতে পারে। সাধারণ জটিলতার মধ্যে রয়েছে ব্লেফারাইটিস, স্টাই, এবং দুর্বল স্বাস্থ্যের জন্য চোখের পাতায় সংক্রমণ। চোখের পাতার সিরাম, বিশেষ করে প্রস্টাগ্ল্যান্ডিন ধারণকারী সিরাম, আই ল্যাশ এক্সটেনশন করলে এতেও সমস্যা তৈরি হতে পারে। সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ২০২০ সালে চোখের পাতা এক্সটেনশনের বাজার মূল্য ছিল ১.৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৮ সালের মধ্যে তা ২.৩১ বিলিয়নে পৌঁছতে পারে বলে পূর্বাভাস। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paris Olympics 2024: প্যারিসে ইতিহাস মনিকা বাত্রার, এমন কী কীর্তি করলেন এই ভারতীয় প্যাডলার?

    Paris Olympics 2024: প্যারিসে ইতিহাস মনিকা বাত্রার, এমন কী কীর্তি করলেন এই ভারতীয় প্যাডলার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024) আরেকটি পদক জয়য়ের আশা দেখছে ভারত। দেশের প্রাক্তন এক নম্বর টেবিল টেনিস তারকা মনিকা বাত্রা (Manika Batra) পৌঁছেছেন সিঙ্গেলসের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে। রাউন্ড অফ ৩২ ম্যাচে তিনি হারিয়েছেন ফ্রান্সের ভারতীয় বংশোদ্ভুত খেলোয়াড় পৃথিকা পাভাদেকে। ভারতের প্রথম মহিলা টেবিল টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে মনিকা জায়গা করে নিলেন শেষ ১৬য়। খেলার ফলাফল মনিকার পক্ষে দাঁড়ায় ৪-০।

    মনিকার বক্তব্য (Paris Olympics 2024)

    ম্যাচ প্রসঙ্গে মনিকা (Manika Batra) বলেন, “আমি কোচের সঙ্গে আলোচনা করে ফোরহ্যান্ডে খেলার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু আমি ব্যাকহ্যান্ডে পয়েন্ট পাচ্ছিলাম। তাই আমি কৌশল পরিবর্তন করিনি। আমি ফোরহ্যান্ডেও কয়েকটি শট খেলেছি। আমি চাইনি সে ভাবুক যে আমি কেবল ব্যাকহ্যান্ডে খেলছি। এটি একটি কঠিন ম্যাচ ছিল। সামনের ম্যাচেও আমি আমার সেরাটা দেব।”

    খেলার ফলাফল (Manika Batra)

    মনিকা এদিন জয় ছিনিয়ে নেন ৩৭ মিনিটে। ১৯ বছরের কৃতিকাকে তিনি হারান ১১-৯, ১১-৬, ১১-৯, ১১-৭ গেমে। শেষ আটে ওঠার লড়াইয়ে মনিকার (Manika Batra) প্রতিপক্ষ হবেন হংকংয়ের ঝু চেংজু ও জাপানের মিউ হিরানোর মধ্যে দ্বৈরথে বিজয়ী। ইতিহাসে এই প্রথম কোনও ভারতীয় মহিলা খেলোয়াড় অলিম্পিক্সের (Paris Olympics 2024) কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন। মনিকার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ভারতের জন্য আরও একটি পদকের আশা জাগিয়েছে।

    সামনে কঠিন প্রতিপক্ষ

    টানা দুটি সেট হারার পর ফরাসি খেলোয়াড় ফিরে আসার চেষ্টা করেন এবং মনিকার (Manika Batra) বিরুদ্ধে চতুর্থ গেমে পয়েন্ট বাঁচান। মনিকা বিরতি নেন এবং তারপর সেট জিতে আবার ফিরে আসেন। পুরো ম্যাচে মনিকার আক্রমণাত্মক খেলার জবাব দিতে পারেননি প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় পৃথিকা পাভাদে। মনিকা এর আগে কমনওয়েলথ এবং এশিয়ান গেমসে পদক জিতেছেন এবং এবার অলিম্পিক্সে তাঁর পদকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। মনিকা পদক জিতবেনই, এমনই আশা করছে ভারতবাসী।

    আরও পড়ুন: প্রথম রাউন্ডের জয় বাতিল, অলিম্পিক্সে লড়াই কঠিন হল লক্ষ্য সেনের

    তবে পদক জিততে হলে তাঁকে এখনও (Paris Olympics 2024) অনেকটা পথ যেতে হবে এবং সেই পথ খুব একটা সহজ হবে না তা বলাই বাহুল্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Adult Vaccination: টিকাতেই কমবে রোগ? কোন ভোগান্তি কমাবে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ?

    Adult Vaccination: টিকাতেই কমবে রোগ? কোন ভোগান্তি কমাবে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শিশুর শরীরে একাধিক সংক্রমণের ঝুঁকি কমায় টিকা (Adult Vaccination)। তবে শিশুর পাশপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের একাধিক সংক্রমণ মোকাবিলায় সাহায্য করে টিকা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, বার্ধক্যের একাধিক রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে টিকাকরণ। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা নিয়ে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাই ভোগান্তি বাড়ছে।

    টিকা কোন রোগের সহজে মোকাবিলা করে? (Adult Vaccination)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগের ভোগান্তি বাড়ছে। দেশজুড়ে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়স বাড়লে অধিকাংশ মানুষ ফুসফুসের সমস্যায় ভোগেন Old Age Suffering। অনেকেই শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক ফুসফুসের অসুখে‌ আক্রান্ত। বায়ুদূষণ কিংবা ধুমপান, এমন নানান কারণে ফুসফুসের অসুখ দেশ জুড়ে বাড়ছে। ফুসফুস দুর্বল থাকার জেরে সহজেই ফুসফুসে জল জমার মতো জটিল রোগ দেখা দিচ্ছে। ফলে নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপটে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। কিন্তু নিউমোনিয়ার ঝুঁকি কমায় নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন। এই টিকা দেওয়া থাকলে ফুসফুসের অসুখ হলেও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ কমে। ফলে বড় বিপদ এড়ানো যায়।

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে দেওয়া হয়েছে। দেশজুড়ে শিশুদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শিশুদের পাশপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের বিশেষত ষাটোর্ধ্বদের এই ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি। কারণ, অধিকাংশ বয়স্কদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের ঝুঁকি রয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো এই ভ্যাকসিন নিলে বিপদ কিছুটা কমবে।

    নিউমোনিয়া রুখতে ভ্যাকসিন নেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকাকরণ (Adult Vaccination)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মেনে শিশুদের ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা দেওয়া হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, শিশুদের পাশপাশি বয়স্কদেরও এই টিকাকরণ জরুরি। প্রত্যেক বছর ঋতু পরিবর্তনের সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের দাপট বাড়ে। আর তার জেরেই সর্দি-কাশি, জ্বরের ভোগান্তি বাড়ে। বয়স্কদের আরও নানান শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা শরীরকে দুর্বল করে দেয়। ফলে বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ‌ শক্তি আরও কমে যায়। এর জেরে নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ আরও বেড়ে যায়। তাই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের টিকা নেওয়া থাকলে এই ভোগান্তি কমবে।

    কাদের জন্য এই টিকা আবশ্যিক? (Adult Vaccination)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, চল্লিশোর্ধ যে কেউ এই টিকাকরণ করলে ভোগান্তি কমবে। নানান জটিল অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ও কমাবে। কিন্তু হাঁপানি ,ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মতো সমস্যায় আক্রান্তদের অবশ্যই এই দুটি টিকা নেওয়া উচিত বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের। তাঁরা জানাচ্ছেন, হাঁপানি, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগে আক্রান্তদের শরীরে যে কোনও রোগ সহজেই কাবু করে। যে কোনও ভাইরাসের দাপটও বেশি প্রভাব ফেলে। তাই তাঁদের রোগ‌ মোকাবিলা Old Age Suffering কঠিন হয়ে যায়। তাই জরুরি টিকাকরণ। এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • ED: ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজারের ভাইয়ের ডেরায় হানা দিল ইডি, কী তথ্য মিলল?

    ED: ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজারের ভাইয়ের ডেরায় হানা দিল ইডি, কী তথ্য মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একাধিক জায়গায় মঙ্গলবার সাত সকালে ইডি (ED) হানা দেয়। সেই জের মিটতে না মিটতেই এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড়ে এদিন ইডি হানা দেয়। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের ভাই জাহাঙ্গির আলম পাপ্পুর ডেরাতে অভিযান চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    ভাঙড়ের রাইস মিলেও তৃণমূল নেতার ভাইয়ের নাম জড়াল (ED)

    জানা গিয়েছে, ভাঙড়ের তৃণমূল নেতার ভাই জাহাঙ্গিরের পিজি অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেড নামে রাইস মিলেও এদিন হানা দেয় ইডি। ইডি (ED) আধিকারিকদের জাহাঙ্গির আলম ওরফে পাপ্পু বলেন, “২০১৬ সালে আব্দুল বারিক বিশ্বাস ও বলরাম সরকার এই রাইস মিল কিনছিলেন। তাতে ১০ শতাংশ শেয়ার ছিল আমার। তবে ২০২১ সালের পর তিনজনই পিজি রাইস মিল বিক্রি করে দেন দেন মুকুলকে।” জানা গিয়েছে, এই মুকুল হচ্ছে দেগঙ্গার তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভাই। পাপ্পু আরও বলেন,” তিন বছর আগে আমার ওই রাইস মিলে শেয়ার ছিল। এখন নেই। যখন শেয়ার ছিল, তখন মাঝে মধ্যে যেতাম। এখন আর যাই না। কেন আমার নাম জড়ানো হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। ইডি আধিকারিকদের তদন্তে সবরকম আমরা সহযোগিতা করেছি।”

    আরও পড়ুন: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    দুই ২৪ পরগনায় চলছে ইডি হানা

    এদিন সকাল থেকে দুই ২৪ পরগনায় চলছে ইডির (ED) তল্লাশি অভিযান। একযোগে তল্লাশি চলছে ভাঙড় (South 24 Parganas), বসিরহাটে আব্দুল বারিক বিশ্বাসের বাড়ি, রাইস মিল, নিউটাউনে বারিকের ফ্ল্যাট এবং বেড়াচাপায় তৃণমূলের দেগঙ্গা ব্লকের সভাপতি আনিসুরের বাড়ির পাশের রাইসমিলে। এদিন ৪০ জন আধিকারিক কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে একাধিক জায়গায় অভিযান চালান। দেগঙ্গায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতির গ্যারাজে লাইন দিয়ে দামী দামী গাড়়ি হদিশ পান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে কী কী মিলল তা খোলসা করেননি ইডি আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • LinkedIn: ‘৯টা-৫টা’র চাকরি ২০৩৪ সালের মধ্যেই শেষ হবে! ভবিষ্যদ্বাণী লিঙ্কডইনের সহ প্রতিষ্ঠাতার

    LinkedIn: ‘৯টা-৫টা’র চাকরি ২০৩৪ সালের মধ্যেই শেষ হবে! ভবিষ্যদ্বাণী লিঙ্কডইনের সহ প্রতিষ্ঠাতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিঙ্কডইনের (LinkedIn) সহ প্রতিষ্ঠাতা রিড হফম্যান (Reid Hoffman) সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে,  ২০৩৪ সালের মধ্যেই শেষ হবে ‘৯টা-৫টা’র চাকরি। তাঁর এই সাক্ষাৎকারের ভিডিও ক্লিপটি যথেষ্ট ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে এবং এই ভিডিও ক্লিপেই হফম্যান তাঁর নিজের বলা এই মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।

    কেন থাকবে না ‘৯টা-৫টা’র চাকরি (LinkedIn) 

    তিনি (LinkedIn) জানিয়েছেন, বর্তমান দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কর্মক্ষেত্রগুলোকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করছে এবং চিরাচরিত চাকরি ব্যবস্থার ওপরেও প্রভাব ফেলছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এর পাশাপাশি, তিনি মনে করেন ভবিষ্যতে যে কোনও সংস্থার জন্য কেউ স্থায়ী কর্মী হিসেবে নিযুক্ত হবেন না অর্থাৎ একই ব্যক্তি একাধিক সেক্টরে বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন। এর পাশাপাশি তাঁরা গিগ অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ করবেন বলেও মনে করেন লিঙ্কডইনের সহ প্রতিষ্ঠাতা (Reid Hoffman)। প্রসঙ্গত, গিগ অর্থনীতি মানে ফ্রিল্যান্সভিত্তিক অর্থনীতি।

    আরও পড়ুন: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    জনৈক ভারতীয় বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা কী বলছেন এ ব্যাপারে?

    নীল তাপারিয়া নামের এক মার্কিন নিবাসী ভারতীয় বংশোদ্ভূত হফম্যানের ওই ভিডিওটি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে থেকে শেয়ার করেছেন এবং ওই পোস্টে হফম্যানের (LinkedIn) ভবিষ্যদ্বাণীতেই সিলমোহর দিয়েছেন তাপারিয়া। তার কারণ হিসেবে তিনি বেশ কতগুলি উদাহরণও দিয়েছেন যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলি হফম্যান আগে করেছিলেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, হফম্যান ১৯৯৭ সালেই সোশ্যাল মিডিয়া বিপ্লবের কথা জানিয়েছিলেন এবং তা পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাপারিয়া আরও উল্লেখ করেছেন যে ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সাররা স্থায়ী কর্মচারীদের তুলনায় যথেষ্ট বেশি পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue Fever: বর্ষার মরশুমে ডেঙ্গি‌ বাড়াচ্ছে উদ্বেগ! কোন জেলার পরিস্থিতি বিপজ্জনক?

    Dengue Fever: বর্ষার মরশুমে ডেঙ্গি‌ বাড়াচ্ছে উদ্বেগ! কোন জেলার পরিস্থিতি বিপজ্জনক?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুমে এ বছরেও চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গি (Dengue Fever) সংক্রমণ উদ্বেগজনক। যদিও কলকাতা পুরসভার তরফে বারবার বলা হচ্ছে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত বছরের মতোই এবছরেও রাজ্যবাসীর ভোগান্তির কারণ হবে ডেঙ্গি। পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য কর্তারা।

    কোন জেলা চিন্তা বাড়াচ্ছে? (Dengue Fever)

    স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছে, চলতি বছরে ডেঙ্গি নিয়ে সব চেয়ে বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতা। তাঁরা জানাচ্ছেন, বছরভর কলকাতায় ডেঙ্গি সংক্রমণ হচ্ছিল। কিন্তু জুন মাস থেকে সংক্রমণ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। কলকাতায় চলতি মাসে শতাধিক মানুষ নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতার পাশপাশি উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং হুগলি নিয়েও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসন। ২০২৩ সালে নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ছিল ভয়ানক। এই দুই জেলার প্রায় পনেরো হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন। চলতি বছরেও সংক্রমণ যথেষ্ট ছিল। তবে গত দেড় মাসে এই দুই জেলায় সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক‌ভাবে‌ বেড়েছে।

    বাড়তি দুশ্চিন্তা ম্যালেরিয়া?

    স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, ডেঙ্গি (Dengue Fever) নিয়ে নাজেহাল রাজ্য প্রশাসন। প্রত্যেক বছরেই সংক্রমণ, আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যায়। এবছরে তার সঙ্গে বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ ম্যালেরিয়া। কারণ, বর্ষার মরশুম (Rainy Season) শুরু হওয়ার আগেই কলকাতা ও তার আশপাশের জেলায় ম্যালেরিয়ার দাপট জারি ছিল। প্রত্যেক মাসে শতাধিক মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্ষার মরশুমে সেই সংক্রমণ কয়েক গুণ বেড়েছে। 
    একদিকে ডেঙ্গি, আরেক দিকে ম্যালেরিয়া, মশাবাহিত এই দুই জোড়া সংক্রমণ রুখতে আরও সক্রিয়তা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রত্যেক এলাকা পরিষ্কারের দিকে এই সময়ে বাড়তি নজর দিতে হবে। স্কুল, কলেজ, পার্ক এই সব জায়গায় যাতে জল জমে না থাকে, আগাছা না জন্মায় সেটা দেখা জরুরি। বাড়িতে গিয়ে পরিদর্শন আরও বাড়াতে হবে। মশার আঁতুরঘর ভাঙতে পারলেই রাজ্যবাসীর ভোগান্তি কমবে। তবে সাধারণ মানুষকেও‌ সচেতন হতে হবে। প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।

    পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করবেন? (Dengue Fever)

    স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের সমস্ত বিভাগের মধ্যে সমন্বয় না বাড়ালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। পুরসভা, পঞ্চায়েত, পুর্ত দফতর সবাইকেই একযোগে কাজ করতে হবে। এক স্বাস্থ্য কর্তার কথায়, “ডেঙ্গি কিংবা ম্যালেরিয়া কীভাবে নিয়ন্ত্রত করতে হয়, এটা এখন সকলেই জানেন। শুধু সক্রিয়তা বাড়াতে হবে। পুরসভা আর পঞ্চায়েতকে আরও সক্রিয় হতে হবে। আর স্বাস্থ্য দফতরেও ঠিকমতো রিপোর্ট পাঠাতে হবে। নিজেদের মতো যা খুশি করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ মুশকিল (Rainy Season)।”

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Pirul Handicrafts: পাইন গাছের বর্জ্য ব্যবহার করেই জীবিকা অর্জনের সুযোগ, পথ দেখাচ্ছেন দুই বোন

    Pirul Handicrafts: পাইন গাছের বর্জ্য ব্যবহার করেই জীবিকা অর্জনের সুযোগ, পথ দেখাচ্ছেন দুই বোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাইন বর্জ্য ব্যবহারের (Pirul Handicrafts) মাধ্যমে গ্রামীণ মহিলাদের জন্য জীবিকা নির্বাহের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন দিল্লির বাসিন্দা দুই বোন নূপুর এবং শর্বরী পোহারকর। ২০২১ সালে ‘পিরুল হ্যান্ডিক্রাফ্টস’ নামে একটি স্টার্টআপ তৈরি করেন তাঁরা। গ্রামের অন্তত ১০০ জন মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে ২০,০০০ কেজি পাইন বর্জ্যকে ব্যবহারযোগ্য পণ্যে পরিণত করতে সক্ষম হয় এই সংস্থা।

    কবে থেকে, কীভাবে শুরু

    নেপাল সীমান্তে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝেমাঝেই দাবানল দেখা যায়। দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে পাইন গাছের বর্জ্য (Pirul Handicrafts) থাকায়। উত্তরাখণ্ডের ৭১ শতাংশ জমি বনাঞ্চল। পাইন গাছগুলি রাজ্যের প্রায় ১৬ শতাংশ বনাঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে। গরম কালে পাইন গাছের সূঁচ বা কাঁটা জমা হওয়া অঞ্চলে অনেক সময় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যের বন বিভাগ এটি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে। পিরুল জমা করার কথাও বলা হয়েছে। সালটা ২০২০। দিল্লির তরুণী নূপুর পোহারকর পশু চিকিৎসক হিসেবে উত্তরাখণ্ডে কাজ করতে যান। তখনই পাইন বর্জ্যের কারণে হওয়া একটি অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হন তিনি। এরপরই তিনি ভাবতে থাকেন এর থেকে পরিত্রাণের উপায়। 

    পাইন বর্জ্য থেকে হস্তশিল্প 

    ২০২১ সালে, নূপুর ইউটিউবে একটি ভিডিও দেখেন যেখানে পাইন সূঁচ থেকে হস্তশিল্প তৈরি করা হয়। এটি একটি খুব সাধারণ হস্তশিল্প নয়। শুধুমাত্র কয়েকটি গ্রাম হিমাচল প্রদেশে সক্রিয়ভাবে এই পাইন বর্জ্য থেকে এই পণ্যগুলি তৈরি করে। এটা নূপুরের খুব ভালো লাগে। তাঁর ডিজাইনার বোন শর্বরীর সঙ্গে আলোচনা করার পরে, নূপুর পাইন বর্জ্য থেকে হস্তশিল্প তৈরিতে মনোনিবেশ করেন। শুরু হয় দুই বোনের স্টার্টআপ ‘পিরুল হ্যান্ডিক্রাফ্টস’। নূপুর এবং শর্বরী গ্রামের লোকজনকে কাছাকাছি বন থেকে পাইন বর্জ্য সংগ্রহ করতে উদ্দীপিত করেন।

    আরও পড়ুন: ছুটির অভাবে ঘুরতে যেতে পারছেন না? অগাস্টেই আসতে পারে সেই সুযোগ!

    কীভাবে চলে কাজ

    প্রথমে ১৫ জন মহিলা মিলে কাজ শুরু হয় এখন ৭টি গ্রামের মোট ১০০ জন মহিলা এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। চম্পাওয়াত অঞ্চলের খেতিখান, ত্যরসুন, পাটন, চাঁনমারি, পান্ডা, পাটি, এবং ঝুলাঘাট গ্রামের মেয়েরা এই কাজে হাত লাগিয়েছেন। তাঁরা প্রথমে এই পাইন (Pirul Handicrafts) সূঁচগুলি সংগ্রহ করে, এরপর এগুলি পরিষ্কার করে এবং কিছু সময়ের জন্য জলে ভিজিয়ে রাখে। তারপর, কোলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজ পণ্য তৈরি করা হয়। দলটি বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে যেমন চা কোস্টার, কানের দুল, সংরক্ষণ বাক্স, হ্যান্ডব্যাগ, পরিবেশন ট্রে, টেবিল ম্যাট, এবং প্ল্যান্টার। এই কাজ করে গ্রামের মহিলারা প্রতি মাসে প্রায় ৫ হাজার টাকা রোজগার করেন। এখনও পর্যন্ত, এই গ্রামীণ মহিলারা প্রায় ১২,০০০ পণ্য বিক্রি করেছেন। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ শুধু নয়, আমেরিকাতেও  উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) এই পণ্যের চাহিদা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • ED: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    ED: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলায় ফের সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)। মঙ্গলবার সাত সকালে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) একাধিক জায়গায় একযোগে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। প্রায় ৪০ জন অফিসারের একটি টিম নিয়ে তল্লাশি চলছে। সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। টিমে রয়েছেন মহিলা অফিসারও। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির গ্যারাজে হানা দেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজে ৬টি এসইউভি গাড়ি (ED)

    এদিন সকালে দেগঙ্গা ব্লকের বেড়াচাপায় পিজি হাইটেক রাইস মিলে  হানা দেয় ইডি (ED)। রাইসমিলের বাইরে এবং ভিতর ঘিরে ফেলে সিআরপিএফ। রাইস মিলের সঙ্গেই রয়েছে রাইস মিলের মালিকের সাদা রঙের বিলাসবহুল বাড়ি। সেই বাড়ির গায়েই আবার দেগঙ্গা-১ তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইডি আধিকারিকদের কাছে বিদেশ ও মুকুল নামে দু’জনের নাম উঠে আসছে। এলাকার লোকজন বলছেন, তাঁরা দুই ভাই। বিদেশের ভালো নাম আনিসুর রহমান। তিনিই দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। এছাড়াও তাঁদের আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তাঁরা বাকিবুর রহমানের মামাতুতো ভাই। বিলাসবহুল বাড়ির নিচে রয়েছে বিশাল গ্যারাজ। তার ভিতরে ৬টি এসইউভি গাড়ি রয়েছে। হুন্ডাই আলকাজ়ার, টয়োটা ফরচুনার, মিৎসুবিশি পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি সুজুকি জেন লাইন দিয়ে সাজানো রয়েছে। কোটি টাকার ওপর গাড়ির সম্ভার এই গ্যারাজে। সবথেকে বড় চমক হল, টয়োটা ফরচুনার গাড়িতে নেমপ্লেট তৃণমূলের ব্লক সভাপতিরই। পিজি হাইটেক রাইসমিলের মালিক আলিফ নূর মুকুল ও আনিসুর রহমানের গ্যারাজে রাখা গাড়ি সার্চ করে ইডি। গ্যারাজের এত গাড়ি কার কার নামে রয়েছে? গাড়ি কেনার উৎস কী? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ইডি আধিকারিকরা।

    খাদ্য দফতরের ট্রাক রয়েছে রাইস মিলে!

    এদিন ইডি (ED) আধিকারিকরা তল্লাশি চালানোর সময় তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভাইয়ের রাইস মিলে একাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। তাতে লেখা ‘অন ডিউটি গভর্নমেন্ট অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ফুড সাপ্লায়ার্স’। ফলে, রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের সঙ্গে এই রাইস মিলের যোগের একটা সম্ভাবনা এখন আরও জোরাল হচ্ছে। রাইস মিলের কর্মীদের জেরা করে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, এই রাইস মিল থেকে চাল যায় সরকারি গোডাউনে। ফলে, এই রাইস মিল থেকে আরও তথ্য মিলতে পারে বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন।

    বসিরহাটে ইডি

    বসিরহাটের (North 24 Parganas) সংগ্রামপুরে আব্দুল বারিক বিশ্বাসের বাড়ি। গরু ও কয়লা পাচার মামলায় একাধিকবার নাম জড়ায় তাঁর। সোনা পাচার মামলায় ১০ বছর আগে আব্দুল বারিক বিশ্বাস গ্রেফতার হয়েছিলেন। সূত্রের খবর, প্রাসাদোপম তাঁর বাড়িতে একাধিক সিসি ক্যামেরা রয়েছে। পুরো বাড়ি চতুর্দিক ঘিরে ফেলেছে বিএসএফ। ঠিক ভোর ৫টায় তাঁর বাড়িতে ঢোকে ইডি। বাড়ির পাশেই সংগ্রামপুর অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি রাইস মিল রয়েছে। সেখানেও তল্লাশি শুরু করেছে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share