Tag: bangla news

bangla news

  • Bankura: ১০ বছরেও মেলেনি মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পাট্টার জমি! তৃণমূলের ওপর চটে লাল ভূমিহীন পরিবার

    Bankura: ১০ বছরেও মেলেনি মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পাট্টার জমি! তৃণমূলের ওপর চটে লাল ভূমিহীন পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পাট্টার কাগজ নেওয়ার পর এই হাল হবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি বাঁকুড়ার (Bankura) বেলিয়াতোড়ের বহু ভূমিহীন পরিবার। গত ১০ বছরেও তাঁরা হাতে জমি না পাওয়ায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আর অসহায় এই ভূমিহীনদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Bankura)

    জানা গিয়েছে, সালটা ছিল ২০১৩ এবং ২০১৬। সেই সময় বাঁকুড়া জেলায় পৃথক দু’টি সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে ঘটা করে বেলিয়াতোড়ের (Bankura) মোট ১৮ জন ভূমিহীনের হাতে সরকারি পাট্টার জমির নথিপত্র তুলে দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমির এই পাট্টা তুলে দেওয়ার আগে সরেজমিনে কয়েকদফা সমীক্ষা করা হয়। ভূমিহীন উপভোক্তাদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি ঠিক কোন এলাকায় জমি দেওয়া হবে তা চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াও সেরে ফেলা হয়। এরপর ভূমিহীনদের হাতে পাট্টার নথি হিসাবে যে বন্দোবস্তপত্র তুলে দেওয়া হয় তাতে স্পষ্ট উল্লেখ থাকে মৌজার নাম, জে এল নম্বর, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর ও জমির পরিমাণ। যে ১৮ জন ভূমিহীন পরিবারের হাতে পাট্টার নথি তুলে দেওয়া হয়েছিল তাতেও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু, সমস্যা তৈরি হয় পাট্টা প্রাপকরা ওই জমির দখল নিতে গেলে। অভিযোগ, যে সরকারি জমির পাট্টার নথি তাঁদের দেওয়া হয়েছিল, সেই জমি আগে থেকেই জবর দখল হয়ে যায়। বাস্তবে জমির দখল নিতে পারেননি পাট্টা প্রাপকরা। এক পাট্টা প্রাপক বলেন, “২০১৩ সালে পাট্টা পেয়েছিলাম। এখনও চোখে দেখিনি জমি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। জেলা প্রশাসনের কর্তারা সব জানেন। তবে, এখনও জমি পাইনি। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থেকে পাট্টা নেওয়ার পর এভাবে প্রতারিত হব তা ভাবিনি। আদৌ জমি পাব কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।”

    আরও পড়ুন: ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ভূমিহীনদের এই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে পথে নেমেছে বিজেপি (BJP)। বিজেপি (BJP) নেতা সোমনাথ কর বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতি দেন। কাজের কাজ কিছুই করছেন না। তিনি শুধু ভাতা দেওয়ার রাজনীতি করেন। অপরদিকে, বড়জোড়ার তৃণমূল বিধায়ক  অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যাঁদের পাট্টা দিয়েছেন তাঁরা সকলে জমি পেয়েছেন। তবে এটা ব্যতিক্রম। আমি খতিয়ে দেখব বিষয়টি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Women Asia Cup: বাংলাদেশকে হারিয়ে নবম বার মহিলাদের এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত

    Women Asia Cup: বাংলাদেশকে হারিয়ে নবম বার মহিলাদের এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রফি থেকে এক কদম দূরে ভারতের মেয়েরা। বাংলাদেশকে হারিয়ে নবম বার মহিলাদের এশিয়া কাপের ফাইনালে (Women Asia Cup) উঠল ভারত। এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রত্যেক বার ফাইনাল খেলেছে ভারতের মহিলা দল (Team India Women)। সেই ধারা বজায় রাখলেন হরমনপ্রীত কৌরেরা। শুক্রবার সেমিফাইনালে তারা বাংলাদেশকে হারাল ১০ উইকেটে। ভারতের মেয়েদের দুরন্ত পারফরম্যান্সকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ।

    শুরু থেকেই বেকায়দায় বাংলাদেশ (Women Asia Cup)

    এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা। ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই আউট হন দিলারা আকতার। নতুন বলে নজর কাড়েন রেণুকা সিং। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে ৩ উইকেট নেন তিনি। দিলারার পরে ইশিমা তানজিম ও মুর্শিদা খাতুনকেও ফেরান তিনি। রেণুকার সুইং বুঝতে হিমশিম খাচ্ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটারেরা। অধিনায়ক নিগার এক দিকে টিকে থাকলেও অন্য দিকে নিয়মিত উইকেট পড়ছিল। দলকে কোনও রকমে টেনে নিয়ে যান নিগার। ৫১ বলে ৩২ রান করেন তিনি। স্পিনে ভারতের হয়ে ভেলকি দেখান রাধা যাদব। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান করে বাংলাদেশ। 

    আগ্রাসী স্মৃতি (Women Asia Cup)

    পাল্টা ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় দল (Team India Women) মাত্র ১১ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়েই ৮৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয়। অর্থাৎ, ৫৪ বল বাকি থাকতে বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ভারত। শেফালি বর্মা ২৮ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন। তিনি ২টি চার মারেন। ৩৯ বলে ৫৫ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন স্মৃতি মন্ধনা। তিনি ৯টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচের সেরা হন রেনুকা সিং ঠাকুর। ২০১৮ সালের মহিলা এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হেরে রানার্স হতে হয়েছিল ভারতকে। এবার সেমিফাইনালে আর কোনও ভুল করেননি স্মৃতি মান্ধানা, হরমনপ্রীতরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paris Olympics 2024: অলিম্পিক্সের উদ্বোধনের আগের রাতে একাধিক ট্রেনে আগুন! নাশকতা?

    Paris Olympics 2024: অলিম্পিক্সের উদ্বোধনের আগের রাতে একাধিক ট্রেনে আগুন! নাশকতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিক্স (Paris Olympics 2024) উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে প্যারিস। কিন্তু এরই মধ্যে উদ্বোধনের কয়েক ঘণ্টা আগে ঘটে গেল বিপত্তি৷ দুষ্কৃতী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ফ্রান্সের ট্রেন পরিষেবা (France train lines) ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, অলিম্পিক্সের আগের রাতে বেশ কয়েক জায়গায় ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ফ্রান্সের রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতি সামলে স্বাভাবিক পরিষেবা শুরু করতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এমন ঘটনায় উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না নাশকতার আশঙ্কাও।

    কী জানিয়েছে ফরাসি রেল কর্তৃপক্ষ? (Paris Olympics 2024) 

    এ ঘটনায় ফরাসি রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ধ্বংসের চেষ্টা চালানো হয়েছে গোটা রেল পরিষেবায়। একাধিক জায়গায় আগুন লাগিয়ে নষ্ট করা হয়েছে রেলের সম্পত্তি। আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ফলে দ্রুতগতির ট্রেন পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে৷ ফলে প্রায় আট লক্ষ মানুষ সমস্যায় পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিপদ এড়াতে সাধারণ মানুষকে আগামী কয়েক দিন ট্রেন পথ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, একই সময়ে একাধিক এলাকায় তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। ফ্রান্স রেলের অ্যাটলান্টিক, নর্দার্ন এবং ইস্টার্ন শাখা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এই হামলার (France train lines) পিছনে কারা রয়েছে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফরাসি পুলিশ। অন্তর্ঘাতের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে অলিম্পিকের উদ্বোধনের ঠিক আগে এই ঘটনা বাড়িয়েছে উদ্বেগ ও আতঙ্ক।

    আরও পড়ুন: অবশেষে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ঠাঁই পেল ‘অসমের পিরামিড’ মৈদাম 

    পরিস্থিতি সামাল দিতে হাজির ভারতের আধাসামরিক বাহিনী 

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভারতীয় সময় রাত ১১টা থেকে শুরু হবে অলিম্পিক্সের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। সে কারনেই সেজে উঠেছে গোটা প্যারিস। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কিন্তু, অলিম্পিক্সের (Paris Olympics 2024) উদ্বোধনের আগেই ফ্রান্সের রেল পরিষেবার এই হামলার ঘটনায় বিচলিত হয়ে পড়েছেন আয়োজকরা। যদিও প্যারিস অলিম্পিক্সে নাশকতামূলক ঘটনার আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। সে জন্য কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল অলিম্পিক্সের শহরকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রোখা গেল না এই অতর্কিত হামলা। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তার জন্য প্যারিসে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ভারতের আধাসামরিক বাহিনীর একটি বিশেষ দলও। প্যারিসে স্যেন নদীর তীরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন তারাও।  
    এ প্রসঙ্গে ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী অ্যামিলি কাস্তেরা বলেছেন, ”এই ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করা হবে। দেশে যখন অলিম্পিক্স, তখন এমন ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে, তাদের দেশ বিরোধী বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি যত দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, সেই চেষ্টা আমরা চালাচ্ছি। অলিম্পিক্স (Paris Olympics 2024) দেখতে যাঁরা আসছেন, যে অ্যাথলিটরা অংশগ্রহণ করছেন, তাঁদের যাতে কোনও রকম অসুবিধে না হয়, সেই কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি।”
      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে বিরাট স্বস্তি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র, পুলিশকে মামলা খারিজের নির্দেশ

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে বিরাট স্বস্তি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র, পুলিশকে মামলা খারিজের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan) অবশেষে ‘স্বস্তি’ পেলেন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বাঁকুড়ার সোনামুখী থানায় দায়ের করা একটি পুরনো মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চ, দায়ের করা এই মামালকে খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিজেপি অবশ্য একাধিকবার দাবি করেছে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল পুলিশকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক-বিধায়ক-সাংসদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করছে।

    মামলা দায়ের হয়েছিল ২০২৩ সালে (Calcutta High Court)

    জানা গিয়েছে, গত বছর ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার অন্তর্গত মানিক বাজার এলাকায় এক বিক্ষোভ আন্দোলেন ভাষণ দিয়েছিলেন সৌমিত্র (Soumitra Khan)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, এই সভা থেকে থানার সেই সময়ের ওসির বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। এরপর এই বিষ্ণুপুর সাংসদের বিরুদ্ধে হিংসা ছাড়ানো, মারধর এবং শ্লীতাহানির অভিযোগে এফএইআর দায়ের করেছিল থানার পুলিশ। সৌমিত্র যেহেতু একজন জনপ্রতিনিধি তাই তাঁর মামলা এতদিন শুনানি চলছিল বিধাননগর সাংসদ-বিধায়ক আদালতে। এই মামলায় একাধিকবার হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। গত ৯ জুলাই ছিল হাজিরার নির্দেশ। কিন্তু হাজিরা না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল পুলিশ। নিম্ন আদালতের নির্দেশের পর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃস্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, থানায় অভিযোগ হতেই তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, শোরগোল

    আগেও মামলা দায়ের হয়েছিল

    এই প্রসঙ্গে বলা যায় ২০১৯ সালে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র এবং বিষ্ণুপুর থানায় সৌমিত্রের বিরুদ্ধে আগেও মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আবার আদালত (Calcutta High Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময় পুলিশ বেআইনি অস্ত্র মামলা এবং বালি পাচার মামলা রুজু হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এই মামলার কারণে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোটের প্রচারে যেতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে লোকসভা ভোটে জয়ী হয়ে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি পেয়ছিলেন। তবে সৌমিত্র পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একই ভাবে শাসক দল তৃণমূলকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kargil Vijay Diwas: ‘সেনার স্বার্থে অগ্নিপথ খুব গুরুত্বপূর্ণ’, কার্গিল দিবসে বিরোধীদের জবাব মোদির

    Kargil Vijay Diwas: ‘সেনার স্বার্থে অগ্নিপথ খুব গুরুত্বপূর্ণ’, কার্গিল দিবসে বিরোধীদের জবাব মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থে কিছু মানুষ জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে রাজনীতি করছে। সেনার স্বার্থে অগ্নিপথ খুব গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার, বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুক্রবার দ্রাসে কার্গিল বিজয় দিবসের (Kargil Vijay Diwas) অনুষ্ঠানে এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

    গড় বয়স কমানোই লক্ষ্য

    বিজয় দিবসের ২৫ (Kargil Vijay Diwas) বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে কার্গিলে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জওয়ানদের সামনেই প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘সেনার জন্য অগ্নিপথ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার। কয়েক দশক ধরে এটা নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। বহু কমিটি তৈরি হয়েছে। সেই সব কমিটি সেনার উন্নয়নের স্বার্থে এই ধরনের সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিল। ভারতীয় জওয়ানদের গড় বয়স বিশ্বের অন্য সব দেশের থেকে বেশি হওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হচ্ছিল অনেক দিন ধরেই। কিন্তু সদিচ্ছার অভাবে এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি আগের সরকারগুলি।’ 

    মিথ্যার রাজনীতি (Kargil Vijay Diwas) 

    মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যবশত, জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়কে কিছু মানুষ রাজনীতির বিষয় বানিয়েছেন। সেনাবাহিনীর এই সংস্কার নিয়েও কেউ কেউ তাঁদের ব্যক্তিগত স্বার্থে মিথ্যার রাজনীতি করছেন।’’ ভারতীয় সেনার গড় বয়স কমানোর লক্ষ্যেই তাঁর সরকারের এই পদক্ষেপ বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সভায় ব্যয়সঙ্কোচের উদ্দেশে অগ্নিপথ প্রকল্প চালু করার অভিযোগ খারিজ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘কিছু লোক এমন ভুল ধারণাও ছড়াচ্ছেন যে সরকার পেনশনের টাকা বাঁচাতে এই স্কিম নিয়ে এসেছে। আমি এমন লোকদের জিজ্ঞাসা করতে চাই, আজকের নিয়োগকারীদের জন্য পেনশনের প্রশ্ন ৩০ বছর পরে উঠবে। সরকার কেন এখনই সিদ্ধান্ত নেবে?’’

    আরও পড়ুন: ‘‘ইতিহাস থেকে শেখেনি…’’, কার্গিল বিজয় দিবসে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    অগ্নিপথ প্রকল্প কী

    সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণের স্বার্থে ২০২২ সালের জুন মাসে অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। ওই প্রকল্পে সাড়ে ১৭ থেকে ২৩ বছরের তরুণ-তরুণীরা চার বছরের জন্য চুক্তির ভিত্তিতে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখায় (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) যোগ দিতে পারবেন। তাঁদের বলা হবে ‘অগ্নিবীর’। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, মাসে ৩০-৪৫ হাজার টাকা করে পান অগ্নিবীরেরা। সেনায় শূন্যপদ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চতুর্থ বছরের শেষে সেই ব্যাচের সর্বাধিক ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাকিদের  অবসরকালীন ভাতা হিসেবে ১১-১২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Siliguri: স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, থানায় অভিযোগ হতেই তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, শোরগোল

    Siliguri: স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, থানায় অভিযোগ হতেই তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ির (Siliguri) খড়িবাড়ি এলাকায়। শুক্রবার সকালে খড়িবাড়ির চক্করমারি শ্মশানঘাট এলাকায় অভিযুক্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জগদীশ রায় (৬৫)। তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং বিশিষ্ট লোকশিল্পী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

     ঠিক কী হয়েছিল? (Siliguri)

    জানা গিয়েছে, এলাকার নবম শ্রেনির এক ছাত্রীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এরমধ্যে ওই ছাত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার বেশ কিছু পরিবর্তন ও জটিলতা দেখা দেওয়ায় অভিভাবকরা তাকে চেপে ধরতেই ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারেন। তারপর ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা খড়িবাড়ি থানায় (Siliguri) অভিযোগ দায়ের করেন। তৃণমূল নেতার নাম দিয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়। মূলত, ওই তৃণমূল নেতা লোকশিল্পী ছিলেন। সেই সূত্র ধরে ওই ছাত্রীকে তিনি গান শেখাতেন। সেখানেই ওই ছাত্রীকে চাকরির টোপ দিয়ে তিনি ধর্ষণ করেন। পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুক্রবার  সকালে অভিযুক্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায়। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন

     স্থানীয় বাসিন্দারা কী বলছে?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মাস চারেক আগে ওই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা এই অপকর্ম করেন। এতদিন পর জানাজানি হতেই অভিযোগ থানা (Siliguri) পর্যন্ত গড়ায়। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না ভেবেই ওই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা চরম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam Moidam: অবশেষে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ঠাঁই পেল ‘অসমের পিরামিড’ মৈদাম

    Assam Moidam: অবশেষে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ঠাঁই পেল ‘অসমের পিরামিড’ মৈদাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল অসমের অহম রাজবংশের কবরের ঢিবি ‘মৈদাম’ (Assam Moidam)৷ ফলে ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র’-এর  (UNESCO World Heritage Site) তালিকায় এ বার ঠাঁই পেল উত্তর-পূর্ব ভারত। প্রসঙ্গত, মৈদাম সমাধিক্ষেত্রকে গত বছর ‘বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র’ হিসাবে মর্যাদা দেওয়ার জন্য ইউনেস্কোর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪৬তম অধিবেশনে সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। 

    কী এই ‘মৈদাম’? (Assam Maidams) 

    অনেকটা পিরামিডের মতই আকার। এটি আসলে অহম রাজপরিবারের সমাধিস্থল। অসমে প্রায় ৬০০ বছর শাসন করেছিল অহম রাজবংশ। আজকের অসম আগে পরিচিত ছিল অহম হিসাবে। এবার সেই অহম রাজপরিবারের ‘কবরস্থান’ বা ‘মৈদাম’ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থান (UNESCO World Heritage Site) তকমা পেল। অনেকে এটিকে আবার ‘অসমের পিরামিড’-ও বলে। বিশেষত ইট, পাথর বা মাটি দিয়ে তৈরি ফাঁপা খিলানের উপরে একটি ঢিবি তৈরি করে এই অষ্টভুজাকার সমাধিস্থলগুলি তৈরি করা হত। ভিতরে ঢোকার জন্য সুড়ঙ্গের মতো প্রবেশপথ থাকত। প্রাথমিকভাবে  অসমের ছাড়াইদেও জেলায় এই সমাধিস্থলগুলি দেখা যায়। জানা গিয়েছে, ছাড়াইদেওতে  ৯০ টিরও বেশি রাজকীয় সমাধির ঢিবির রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ছাত্রদের সংস্কৃত ‘শ্লোক’ পাঠে বাধা! প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর 

    এক দশক পরে ফলপ্রসূ হল উদ্যোগ

    উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ছাড়াইদেও জেলায়, অহম সাম্রাজ্যের ‘ঢিপি সমাধি ব্যবস্থা’ ( mound burial system) ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থানে তকমা পাওয়ার জন্য প্রথম তালিকাভুক্ত হয়। সেসময় মৈদামগুলি (Assam Moidam) ইউনেস্কো হেরিটেজ ক্ষেত্রের তালিকায় ঢোকানোর চেষ্টা শুরু করেছিল অসমের তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। শেষ পর্যন্ত এক দশক পরে ফলপ্রসূ হল সেই উদ্যোগ। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী এই পদক্ষেপের জন্য ইউনেস্কোকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এই দিনটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’’ 

    কী বললেন হেমন্ত বিশ্ব শর্মা?  

    এ প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন যে, ”মৈদাম ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক সম্পত্তি বিভাগের অধীনে, বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এটি অসমের জন্য একটি দারুণ সাফল্য। কারণ, প্রথমবারের মতো উত্তর-পূর্ব থেকে কোনও স্থাপত্য (Assam Moidam) ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থানের তকমা পেল। কাজিরাঙ্গা ও মানস জাতীয় উদ্যানের পর এটি অসমের তৃতীয় বিশ্ব ইতিহ্যবাহী স্থান”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hindu Temple Vandalized: ফের হিন্দু মন্দির ভাঙচুর! কড়া পদক্ষেপে করুক কানাডা, দাবি ভারতের

    Hindu Temple Vandalized: ফের হিন্দু মন্দির ভাঙচুর! কড়া পদক্ষেপে করুক কানাডা, দাবি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় এডমন্টের বিএপিএস স্বামীনারায়ণ মন্দিরে (BAPS Swaminarayan Mandir) ভাঙচুর চালানো এবং ভারত-বিরোধী স্লোগান লেখার কড়া ভাষায় নিন্দা করল দিল্লি। এ নিয়ে কানাডা সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে। যদিও বিষয়টি (Hindu Temple Vandalized) নিয়ে এখনও নীরব জাস্টিন ট্রুডো সরকার।

    ভারত-বিরোধী স্লোগান

    ফের কানাডায় হিন্দু মন্দিরের ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় অভিযোগের তির খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, এডমন্টের বিএপিএস স্বামীনারায়ণ মন্দিরের (BAPS Swaminarayan Mandir) একাধিক জিনিসপত্র নষ্ট করা হয়। মন্দিরের দেওয়ালে লেখা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আর্য হিন্দু সন্ত্রাসবাদী ও কানাডার শত্রু।’ এই লেখা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে ভারত ও কানাডা দুই দেশেই। চন্দ্র আর্য হলেন কানাডার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ। এই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল। 

    ভারতের প্রতিক্রিয়া

    বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেন, “এডমন্ট এলাকায় মন্দিরের ওপর হামলার ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা করছি। দিল্লির তরফে কানাডা সরকারকে বলা হচ্ছে তাঁরা যেন এই ঘটনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেন। আমরা দেখতে চাই যে স্থানীয় প্রশাসন এই ঘটনার বিরুদ্ধে দ্রুত ও শক্তিশালী কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে। আবারও কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে এবং কোন উদ্দেশ্য নিয়ে কারা করছে তা বুঝতে কারোরই অসুবিধা হচ্ছে না। তবে সাম্প্রতিকতম এই ঘটনাগুলির বিরুদ্ধে কানাডা সরকার সেভাবে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এই উগ্রবাদীদের সমর্থন করে কানাডা সরকার নিজের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।”

    ঘটনার নিন্দা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে কানাডায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শাখা সংগঠন। দ্রুত হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে সেদেশের সরকারের কাছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সংগঠনের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘটনার সমালোচনা করে বলা হয়, ‘এডমন্টনে মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ও মন্দিরের বাইরে ভারত বিরোধী স্লোগানের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এদেশে শান্তিপ্রিয় হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাচাড়া দিয়েছে হিন্দু বিরোধী চরমপন্থী মতাদর্শ। এদেশের সরকারকে এই ধরনের কার্যকলাপ বিরোধী কঠোর পদক্ষেপের করার আর্জি জানানো হচ্ছে।’

    আরও পড়ুন: ভারতকে ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মতো মর্যাদা দেওয়ার দাবি, বিল পেশ মার্কিন সেনেটে

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদকে নিশানা

    এর আগেও একাধিকবার কানাডার মন্দিরে হিন্দু ও ভারত বিরোধী আক্রমণ করে স্লোগান লেখা হয়েছে। গত বছরেও একাধিকবার কানাডার হিন্দু মন্দির ভাঙচুর (Hindu Temple Vandalized) ও মন্দিরের বাইরে ভারত বিরোধী স্লোগান লিখে দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছিল। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির ছিল খলিস্তানিদের দিকে। শিখস ফর জাস্টিসের প্রধান পান্নুনের রোষের মুখে পড়েন কানাডার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ চন্দ্র আর্যও।

    গোটা ঘটনা নিজেই এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়ে এই সাংসদের অভিযোগ, ‘এডমন্টনের স্বামীনারায়ণ মন্দিরের বিকৃতি নিয়ে কড়া নিন্দা করেছিলেন। কানাডায় খালিস্তান সমর্থকদের ঘৃণা ও হিংসা ছড়ানোর ঘটনার বিরোধিতা করেছিলাম। এর পরই একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছে শিখস ফর জাস্টিসের প্রধান গুরুপতবন্ত সিং পান্নুন। সেখানে আমাকে এবং আমার হিন্দু-কানাডিয়ান বন্ধুদের এখনই ভারতে ফিরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কারণ আমরা নাকি কানাডার মূল্যবোধ ও সনদের বিরুদ্ধে কাজ করি। যা একদমই সত্য নয়। আমরা কানাডার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সব সময়ই ইতিবাচক অবদান রেখেছি।’  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 87: “সংসার-সমুদ্রে কামক্রোধাদি কুমির আছে, হলুদ গায়ে মেখে নামলে ভয় থাকেনা”

    Ramakrishna 87: “সংসার-সমুদ্রে কামক্রোধাদি কুমির আছে, হলুদ গায়ে মেখে নামলে ভয় থাকেনা”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ ও কথোপকথন

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    সর্বধর্মান পরিত্যাজ্য মামেকং শরণং ব্রজ।

    অহং ত্বাং সর্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ।।

    গীতা—১৮৬৬

    ব্রাহ্মসমাজ ও জনক রাজা-গৃহস্থের উপায়—নির্জনে বাস ও বিবেক 

    কিন্তু ফস করে জনক রাজা হওয়া যায় না। জনক রাজা নির্জনে অনেক তপস্যা করেছিলেন। সংসারে থেকেও এক-বার নির্জনে বাস করতে হয়। সংসারের বাহিরে একলা গিয়ে যদি ভগবানের (Ramakrishna) জন্য তিনদিনও কাঁদা যায় সেও ভাল। এমনকি অবসর পেয়ে একদিনও নির্জনে তাঁর চিন্তা যদি করা যায়, সেও ভাল। লোক মাগছাগলের জন্য একঘটি কাঁদে, ঈশ্বরের জন্যে কে কাঁদছে বল? নির্জনে থেকে মাঝে মাঝে ভগবানের জন্যে সাধন করতে হয়! সংসারের ভিতর কর্মের মধ্যে থেকে, প্রথমাবস্থায় মন স্থির করতে অনেক ব্যাঘাত হয়। ফুটপাতের গাছ, যখন চারা থাকে, বেড়া না দিলে ছাগল-গরুতে খেয়ে ফেলে। প্রথমাবস্থায় বেড়া, গুঁড়ি হলে আর বেড়ার দরকার থাকে না। গুঁড়িতে হাতি বেঁধে দিলেও কিছু হয় না।

    রোগটি(Kathamrita) হচ্ছে বিকার। আবার যে-ঘরে বিকারের রোগী, সেই ঘরে জলের জালা আর আচার তেঁতুল। যদি বিকারের রোগী আরাম করতে চাও, ঘর থেকে ঠাই নাড়া করতে হবে। সংসারী জীব বিকারের রোগী; বিষয়—জলের জালা; বিষয়ভোগতৃষ্ণা-জলতৃষ্ণা। আচার তেঁতুল মনে করলেই মুখে জল সরে, কাছে আনতে হয় না; এরূপ জিনিসও ঘরে রয়েছে; যোষিৎসঙ্গ। তাই নির্জনে চিকিৎসা দরকার।

    বীবেক-বৈরাগ্য লাভ করে সংসার করতে হয়। সংসার-সমুদ্রে কামক্রোধাদি কুমির আছে। হলুদ গায়ে মেখে জলে নামলে কুমিরের ভয় থাকেনা। বিবেক-বৈরাগ্য—হলুদ। সদসৎ বিচারের নাম বিবেক। ঈশ্বরই সৎ, নিত্যবস্তু। আর সব অসৎ, অনিত্য; দুদিনের জন্য। এই বোধ আর ঈশ্বরে অনুরাগ। তাঁর উপর টান—ভালবাসা। গোপীদের কৃষ্ণের (Ramakrishna) উপর যেরূপ টান ছিল। একটা গান শোন;

    আর উপায়—ঈশ্বর অনুরাগ—গোপীদের মতো টান বা স্নেহ

    বংশী বাজিল ওই বিপিনে।

    (আমার তো না গেলে নয়) (শ্যাম পথে দাঁড়ায় আছে)

    তোরা যাবি কি না যাবি বল গো।।

    তোদের শ্যাম কথার কথা।

    আমার শ্যাম অন্তরের ব্যাথা (সই)

    তোদের বাজে বাঁশী কানের কাছে।

    বাঁশী আমার বাজে হৃদয়মাঝে।

    শ্যামে বাঁশী বাজে, বেরাও রাই।

    তোমা বিনা কুঞ্জের শোভা নাই।

    ঠাকুর (Ramakrishna) অশ্রুপূর্ণ নয়নে এই গান গাইতে গাইতে (Kathamrita) কেশবাদি ভক্তেদের বললেন, রাধাকৃষ্ণ মনো আর নাই মানো, এই টানটুকু নাও, ভগবানের জন্য কিসের এইরূপ ব্যাকুলতা হয়, চেষ্টা কর। ব্যাকুলতা থাকলেই তাঁকে লাভ করা যায়।

    আরও পড়ুনঃ “মা এই নাও তোমার পাপ, এই নাও তোমার পুণ্য, আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chinese Mariner Rescue: ঝড় উপেক্ষা করে চিনা নাবিককে উদ্ধার ভারতীয় নৌসেনার, প্রশংসা বেজিংয়ের

    Chinese Mariner Rescue: ঝড় উপেক্ষা করে চিনা নাবিককে উদ্ধার ভারতীয় নৌসেনার, প্রশংসা বেজিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক চিনা নাবিককে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌ-বাহিনী (Indian Navy)। গুরুতর আহত ওই চিনা নাবিকের চিকিৎসা চলছে। মুম্বই মেরিটাইম রেসকিউ কো-অর্ডিনেশন সেন্টার মঙ্গলবার ‘ঝিং শান মেন’ নামে একটি চিনা বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে ওই নাবিককে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার (Chinese Mariner Rescue) করে ভারতীয় নৌসেনা। এই নৌযানের অবস্থান মুম্বই উপকূল থেকে ২০০ (৩৭০ কিলোমিটার) নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল।

    বিষম পরিস্থিতে নাবিককে উদ্ধার (Chinese Mariner Rescue)

    জানা গিয়েছে, নৌ-বাহিনীর মেরিটাইম রেসকিউ কো-অর্ডিনেশন সেন্টার এর কাছে একটি জরুরি বার্তা (এসওএস) আসে। তাতে জানানো হয়, ৫১ বছর বয়সি ওই নাবিক আহত হয়েছেন। তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁকে বাঁচানো প্রয়োজন। এরপর ভারতীয় (Indian Navy) নৌবাহিনীর ‘সি কিং’ হেলিকপ্টারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। আইএনএস শিখরা থেকে হেলিকপ্টার উড়ে গিয়ে ওই নাবিককে উদ্ধার (Chinese Mariner Rescue) করে।  যদিও উদ্ধারের সময় খুব জোরালো ঝড় বইছিল সমুদ্রের উপর দিয়ে। জানা গিয়েছে, ৪৫ নট (৮৩.৩৪ কিমি/ঘণ্টা) গতি ছিল ওই ঝোড়ো হাওয়ার। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ওই নাবিককে এয়ার লিফট করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ইতিহাস থেকে শেখেনি…’’, কার্গিল বিজয় দিবসে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    নাবিককে উদ্ধারের প্রশংসা করলেন চিনা রাষ্ট্রদূত (Indian Navy)

    নাবিককে (Chinese Mariner Rescue) উদ্ধারের ঘটনায় ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) প্রশংসা করেছেন ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “একজন চিনা ক্রু সদস্যকে ভারতীয় নৌ-বাহিনী যেভাবে জরুরি পরিষেবা এবং অন্যান্য সাহায্য করেছে আমরা তার প্রশংসা করি। এখন চিনা নাগরিকের ফলো আপ চিকিৎসা চলছে। চিন ও ভারতে মানুষ প্রথম এবং জীবন প্রথম, এটাই দর্শন।

    ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

    অন্যদিকে, আসিয়ান বৈঠকের ফাঁকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা এবং অতীত চুক্তিগুলির প্রতি সম্মান নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রীর জোর দিয়ে বলেন, “সম্পর্কের স্থিতিশীলতা উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা করবে। স্থিতিশীলতায় বিঘ্ন হলে দুই দেশের ক্ষতি হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share