Tag: bangla news

bangla news

  • TMC Conflict: রায়নায় পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    TMC Conflict: রায়নায় পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করে আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Conflict) পূর্ব বর্ধমানের রায়নায়। দুই গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে বর্ধমান আদালতে পাঠায় রায়না থানার পুলিশ।  তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও বিধায়ক গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে। রায়না ১ ব্লকের সেহারা অঞ্চলের মোগলমারি গ্রামে আবারও ব্যাপক আকার নিল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC Conflict)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোগলমারি বাজারে অবস্থিত তৃণমূলের (TMC Conflict) দলীয় কার্যালয় কোন গোষ্ঠীর অধীনে থাকবে সেই নিয়ে  প্রবল ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন রায়না-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বামদেব মণ্ডল ও রায়না বিধানসভার বিধায়ক শম্পা ধারার গোষ্ঠীর লোকজন। জানা গিয়েছে, বিধায়ক শম্পা ধারার গোষ্ঠীর লোকজন দলীয় কার্যালয়ে বসে নিজেদের মধ্যে খোশমেজাজে গল্প করছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে ব্লক সভাপতি বামদেব মণ্ডলের লোকজন মোগলমারি বাজারে দলীয় কার্যালয়টি দখল নিতে যান। তাতে বাধা দেন বিধায়ক গোষ্ঠীর লোকজন। তখনই শুরু হয়ে যায় ঝামেলা। তার পরই শুরু হয় দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রায়না থানার পুলিশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে পুলিশ। নামে র‍্যাফ সহ আধা সামরিক বাহিনী।

    আরও পড়ুন: আজ প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

    দুই গোষ্ঠীর ১০ জনকে গ্রেফতার

    বিভিন্নভাবে অভিযান চালিয়ে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার অপরাধে দু’ই গোষ্ঠীর মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে শুক্রবার বর্ধমান আদালতে পাঠায় পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে বিধায়ক গোষ্ঠী এবং ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীর লোকজন রয়েছে। উল্লেখ্য, ব্লক সভাপতি ও বিধায়কের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব এই প্রথম নয়। এটি দীর্ঘদিনের, তবে ক্রমাগত দু’টি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চূড়ান্ত আকার নিলেও উচ্চ নেতৃত্ব কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় দুশ্চিন্তায় এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব ও কর্মীসহ সাধারণ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hinduja Family: হিন্দুজা পরিবারের চারজনকে কারাবাসের সাজা সুইৎজারল্যান্ডের আদালতের

    Hinduja Family: হিন্দুজা পরিবারের চারজনকে কারাবাসের সাজা সুইৎজারল্যান্ডের আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মী শোষণের কালি লাগল ভারতীয় বংশোদ্ভুত হিন্দুজা পরিবারের (Hinduja Family) গায়ে! ব্রিটেনের সব চেয়ে ধনী এই পরিবারকে দোষী সাব্যস্ত করেছে সুইৎজারল্যান্ডের আদালত। হিন্দুজা পরিবারের চারজনকে ৪ বছর পর্যন্ত কারাবাসের সাজাও শুনিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণার সময় আদালতে অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না হিন্দুজা পরিবারের কোনও সদস্য। মামলাগুলির মধ্যে মানব পাচারের অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে এই ধনকুবের পরিবারকে।

    কী বলছেন অজয় হিন্দুজা?

    দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন অজয় হিন্দুজাও (Hinduja Family)। তিনি বলেন, “এটি লঘু পাপে গুরুদণ্ডের শামিল। সামাজিক সুবিচার নয়, বরং ন্যায় বিচারের কথা মাথায় রেখেই মামলা পরিচালিত হওয়া দরকার।” বিশ্বের ৩৮টি দেশে তেল, গ্যাস, ব্যাঙ্কিং ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রের ব্যবসা রয়েছে হিন্দুজাদের। পরিবারের মোট সম্পত্তির মূল্য ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি। বিশ্বজুড়ে এঁদের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারির সংখ্যা লাখ দুয়েক।

    হিন্দুজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    এহেন হিন্দুজা পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারত থেকে সুইৎজারল্যান্ডে জেনেভায় কর্মচারি নিয়ে আসত তারা। পরে তাদের পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে রেখে দিত নিজেদের হেফাজতে। আরও অভিযোগ, গার্হস্থ্য কর্মীদের সামান্য মাইনের বিনিময়ে অমানবিক পরিশ্রম করানো হত। বাড়িতে কোনও ভোজসভা বা আমোদ-প্রমোদ চললে কাজ করতে হত ভোররাত পর্যন্ত। অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না ওই পরিচারক-পরিচারিকাদের। রান্নাঘরের মেঝেয় ঘুমোতে হত তাঁদের। কোনও ছুটিও দেওয়া হত না।

    আর পড়ুন: পরীক্ষায় অনিয়ম রুখতে কড়া দাওয়াই কেন্দ্রের, ধরা পড়লেই জেল-জরিমানা

    এই গার্হস্থ্য কর্মীদের শোষণ, মানসিক নির্যাতন ও নিপীড়নের অপরাধে সাজা দেওয়া হয়েছে হিন্দুজাদের। আইনজীবী ইয়েভস বার্তোস্সা বলেন, “হিন্দুজারা একজন পরিচারক কিংবা পরিচারিকার থেকে একটি পোষ্য কুকুরের জন্য বেশি খরচ করেন। একজন মহিলা পরিচারিকাকে বেতন হিসেবে দিনপ্রতি দেওয়া হয় মাত্র ৬৫৬.৭০ টাকা। সপ্তাহে সাতদিন ১৮ ঘণ্টা করে কাজ করতে হয় ওই গার্হস্থ্য কর্মীকে।” হিন্দুজা পরিবারের যাঁদের শাস্তি দিয়েছে আদালত, তাঁরা হলেন প্রকাশ হিন্দুজা, তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও পুত্রবধূ। হিন্দুজা পরিবারের আইনজীবী বলেন, “এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানানো হবে উচ্চ আদালতে (Hinduja Family)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব, চরম সিদ্ধান্ত নিলেন দুর্গাপুরের বধূ

    Durgapur: তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব, চরম সিদ্ধান্ত নিলেন দুর্গাপুরের বধূ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ছায়া এবার দুর্গাপুরে (Durgapur)। স্বামীর কাজ ফিরে পেতে হলে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে স্ত্রীকে রাত্রিবাস করতে দিতে হবে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার নবীন পল্লি এলাকায়। তৃণমূল নেতাদের চাপ সহ্য করতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন গৃহবধূ।

    তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে বধূকে রাত কাটানোর প্রস্তাব (Durgapur)

    তৃণমূল নেতাদের মদের দোকান বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। ভোটের পরই ওই বধূর স্বামীকে ঠিকাদারের কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফের কাজে ফেরানোর দাবি জানিয়েছিলেন ওই যুবকের স্ত্রী। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে রাত্রিবাস করলেই স্বামীর কাজ ফিরবে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই কুপ্রস্তাবে সম্মতি না দেওয়াই লাগাতার হুমকি দেয় তৃণমূলের লোকজন। ভয়ে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতীর চেষ্টা করেন ওই বধূ। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের (Durgapur) ইন্দো-আমেরিকান মোড়ের একটি বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানার ঠিকাদার ছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী নবীন পল্লি এলাকায় সুকুমার বাউরি, বিল্লি এবং বিশু নামে এলাকার তিন তৃণমূল নেতার অবৈধ মদের দোকান বন্ধ করার দাবি জানান। তারপরই ওই বধূর স্বামীকে ঠিকাদারি কাজ থেকে সরিয়ে দেয় ২৩নং ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্ব। স্বামীর কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন তাঁর স্ত্রী। তৃণমূলের তিন নেতা মিলে রিঙ্কুকে রাত্রিবাসের প্রস্তাব দেন। সেই কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লাগাতার হুমকি দেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। হুমকির ভয়েই সুইসাইট নোট লিখে আত্মঘাতীর চেষ্টা করেন ওই গৃহবধূ। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

    আরও পড়ুন: আজ প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

    তৃণমূল নেতাদের শাস্তির দাবি

    স্থানীয় বাসিন্দা অপর্ণা বাউরি বলেন,”গোটা এলাকায় মদ আর জুয়ার দোকান বাড়ছে। বিল্লি,সুকুমার,বদল এবং সুনীল নামে তৃণমূলের (Trinamool Congress) নেতারা এই অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত। সেই মদের দোকান বন্ধ করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন ওই বধূ। নির্বাচনে জিতে যেতেই এলাকায় মারধর এবং অত্যাচার শুরু করে ওরা। ওই গৃহবধূর স্বামীকে ঠিকাদারি কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুললে তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই বধূ।  দ্রুত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    দুর্গাপুরের ২৩নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর দেবব্রত সাঁই বলেন,”একটা ঝামেলা হয়েছিল শুনেছিলাম। দুই পাড়ার মধ্যে মদের দোকান নিয়ে বা অন্য কিছু নিয়ে। আমি উভয়পক্ষকে নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও এক পক্ষ আসেননি। তারপর এতকিছু হয়েছে এই জানলাম। পুলিশ কড়া ব্যাবস্থা নেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahesh Snan Yatra: ২২ ঘড়া জল, দেড়মণ দুধ ঢেলে স্নান করানো হল প্রভু জগন্নাথকে, মাহেশে ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    Mahesh Snan Yatra: ২২ ঘড়া জল, দেড়মণ দুধ ঢেলে স্নান করানো হল প্রভু জগন্নাথকে, মাহেশে ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির মাহেশে জগন্নাথ স্নানযাত্রা (Mahesh Snan Yatra) পড়ল ৬২৮ বছরে। বাংলার পুরাতন রথযাত্রা মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এই রথযাত্রা। আজ জগন্নাথের স্নানযাত্রায় প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়েছে। মূলত প্রতিবছরই জগন্নাথদেবের এই আবির্ভাব দিবস তিথিতে প্রভুকে স্নান করিয়ে অভিষেক করানো হয়। বিভিন্ন নিয়ম এবং পুজাচারের মধ্য দিয়ে এই মহা উৎসব পালন করা হয়। জগন্নাথদেবকে স্নান করানোর পর তিনি আবার অন্তরালে চলে যান। পরবর্তীকালে রথযাত্রার (Rath Yatra 2024) দিন তাঁকে আবার রাজপথে দেখতে পাওয়া যায়। আবার মায়াপুর ইসকনের শাখা রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে স্নানযাত্রা (Snan Yatra 2024)। ভোরবেলা থেকেই শুরু হয়েছে এই স্নানযাত্রার অনুষ্ঠান। দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্তের সমন্বয়ে এদিন জগন্নাথদেবের অভিষেক ঘটানো হয়।

    দেড়মণ দুধ ঢেলে স্নানযাত্রা জগন্নাথের (Mahesh Snan Yatra)

    আষাঢ় মাস মানেই দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে। গ্রীষ্মের প্রবল গরমের পর প্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রাকে স্নান (Snan Yatra 2024) করানো হয়। হুগলির মাহেশে ২২ ঘড়া জল এবং দেড়মণ দুধ ঢেলে স্নান করানো হয়েছে প্রভু জগন্নাথকে। এই মাহেশের স্নানযাত্রা ছয়শ বছরের বেশি প্রাচীন, ফলে দূরদূরান্ত থেকে আসেন প্রচুর ভক্ত। সকালে গর্ভগৃহ থেকে বের করে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে মন্দিরের বারান্দায় রাখা হয়। তারপর বিগ্রহকে নিয়ে যাওয়া হয় মন্দির সংলগ্ন মাঠের স্নানমঞ্চে। এরপর করানো হয় স্নান। তবে পুরীতে জগন্নাথের কলেবর পরিবর্তিত হলেও মাহেশে একই বিগ্রহে পুজো করে আসা হচ্ছে। স্নানের পর ঠাকুরের খুব জ্বর আসে, প্রভু জগন্নাথ লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেবন। এরপর রথযাত্রার ঠিক ২দিন আগে মন্দির আবার খোলা হয়। জ্বর সারলে মাসির বাড়িতে যান জগন্নাথ দেব। মাহেশের রথের স্নানযাত্রায় ব্যাপক ভক্তের সমাগম হয়।

    ইসকন জনসংযোগ আধিকারিকের বক্তব্য (Snan Yatra 2024)

    মাহেশের স্নানযাত্রার (Mahesh Snan Yatra) পাশাপাশি মায়াপুর ইসকন মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেছেন, “ভগবান জগন্নাথদেবের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে মায়াপুর ইসকনের শাখা রাজাপুরের জগন্নাথ মন্দিরে তাঁকে স্নান (Snan Yatra 2024) করিয়ে অভিষেক করানো হয়। সকল ভক্তরাই এদিন সুযোগ পান জগন্নাথদেবকে স্নান করানোর। শুধুমাত্র দেশের ভক্তরাই নয় বিদেশেরও হাজার হাজার ভক্তরা এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে রাজাপুরে এসে উপস্থিত হন। ভোর বেলা থেকেই এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। তবে জগন্নাথদেবের স্নান করানোর পর তিনি জগদেশ রূপে আবার সকলের অন্তরালে চলে যান। পরবর্তীকালে রথযাত্রার দিন (Rath Yatra 2024) তাঁকে আবার রাজপথে দেখা মেলে। সেদিন তিনি রাজাপুর থেকে তাঁর মামার বাড়ি ইসকন মন্দিরের প্রাণকেন্দ্রে চলে আসেন। আজকের এই দিনটি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়ে থাকে। একই সঙ্গে হাজার হাজার ভক্তদের জন্য থাকে প্রসাদের ব্যবস্থা।”

    আরও পড়ুনঃ আজ প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

    নবদ্বীপে পোড়ামাতলায় স্নানযাত্রা

    তীর্থ নগরী নদিয়ার নবদ্বীপ শহরের প্রাণকেন্দ্র পোড়ামাতলায় অবস্থিত মা পোড়ামা মন্দির। এই মন্দিরকে ঘিরে সারা বছর দেশ-বিদেশ থেকে বহু তীর্থযাত্রী এবং নবদ্বীপ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের আনাগোনা চলে। জানা যায়, প্রায় পাঁচশো বছরের পুরানো এই মা পোড়ামা মন্দির। এই মন্দিরে প্রতি বছর জগন্নাথের স্নানযাত্রার (Snan Yatra 2024) দিনে পরম্পরা মেনে মা পোড়ামার বার্ষিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার ভোরবেলায় নবদ্বীপের সুরধনীগঙ্গা থেকে ১০৮ ঘড়া গঙ্গাজল নিয়ে আসা হয় এবং মাকে স্নান করিয়ে অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে মায়ের ভোগারতির পর বিকেলে ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। মায়ের মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য এদিন সকাল থেকে দেখা গেল পোড়ামা মন্দির প্রাঙ্গনে অসংক্ষ্য ভক্তদের ভিড়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Monsoon Update: অবশেষে অপেক্ষার অবসান! দক্ষিণবঙ্গে আগমন বর্ষার, ভারী বৃষ্টি কবে থেকে?

    Monsoon Update: অবশেষে অপেক্ষার অবসান! দক্ষিণবঙ্গে আগমন বর্ষার, ভারী বৃষ্টি কবে থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে স্বস্তি। উত্তরবঙ্গে বর্ষা (Monsoon Update) প্রবেশ করেছিল গত ৩১ মে৷ কিন্তু এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য চাতকের মতো চেয়ে ছিল দক্ষিণবঙ্গবাসী৷ এবার সেই অপেক্ষার অবসান ঘটল। ২১ জুন দক্ষিণবঙ্গেও (West Bengal Weather Update) প্রবেশ করল বর্ষা। সম্প্রতি এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে দুই বঙ্গে বর্ষা প্রবেশের এই ফারাক গত পাঁচ বছরে দেখা যায়নি ৷

    দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ বর্ষার (Monsoon Update) 

    আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গাঙ্গেয় বঙ্গের মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতার বেশিরভাগ অংশে ইতিমধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। একইসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম জেলার কিছু অংশেরও দখল নিয়েছে মৌসুমী বায়ু। তবে বর্ষা এলেও ভারী বৃষ্টি এখনই হবে না সেখানে। বরং রবিবারের পর বৃষ্টি কমতে পারে ৷ 

    আবহাওয়ার পূর্বাভাস 

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে ওড়িশা, দক্ষিণবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহারের আরও কিছু অংশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর অগ্রগতির জন্য পরিস্থিতি অনুকূল থাকবে। আবহবিদদের মতে, খুব বেশি বৃষ্টি (Monsoon Update) না হলেও দিনের তাপমাত্রা কম থাকবে। কলকাতা-সহ আশেপাশের জেলাগুলিতে আকাশ মেঘাছন্ন থাকবে। রাতের তাপমাত্রাও যে খুব বাড়বে তা না। পাশাপাশি, আর্দ্রতা ও অস্বস্তিজনক আবহাওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া (West Bengal Weather Update) 

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝিরঝিরে হালকা বৃষ্টি (Monsoon Update) চললেও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে এখনই ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং আগামী রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির দাপট বেশ কমে যাবে। সেই সঙ্গে বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। কাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রাও কিছুটা বাড়তে পারে। তবে আগামী সপ্তাহের বুধবারের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ফের বৃষ্টি বাড়বে। 

    আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করল এমবাপে-হীন ফ্রান্স

    কলকাতার আবহাওয়া 

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার কলকাতা শহরে হালকা বৃষ্টি (Monsoon Update) হতে পারে। বৃষ্টির হাত ধরে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থেকে মুক্তি মিলবে। শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। তবে এরপর আগামী দিন চারেক শহর কলকাতার আবহাওয়ায় বিশেষ বদল নেই। 

    ফের বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গে 

    অন্যদিকে, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের যে অংশে বর্ষার (Monsoon Update) প্রবেশের বাকি ছিল, সেই অংশেও ছড়িয়েছে মৌসুমী বায়ু। ফলে উত্তরবঙ্গে এখন বৃষ্টি কিছুটা কমলেও সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলায় বৃষ্টি চলবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • T20 World Cup 2024: সেমির দোরগোড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা, শেষ ওভারে হেরে কঠিন লড়াই ইংল্যান্ডের

    T20 World Cup 2024: সেমির দোরগোড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা, শেষ ওভারে হেরে কঠিন লড়াই ইংল্যান্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমে উঠেছে সুপার এইটের লড়াই। গ্রুপ বি থেকে সেমিফাইনাল (T20 World Cup 2024) কার্যত নিশ্চিত দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রথম দুটো ম্যাচে জিতে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে তাঁরা। আর প্রথম ২টো ম্যাচ হেরে এই গ্রুপ থেকে কার্যত বিদায় আয়োজক আমেরিকার। এখন লড়াই ওয়েস্ট ইন্জিজ আর ইংল্যান্ডের। শেষ ম্যাচে আমেরিকার বিপক্ষে জিততেই হবে ফিল সল্টদের। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শেষ ম্যাচে হারিয়ে দিলে সেমিফাইনালেও দেখা যাবে ক্যালিপসোর মূর্ছনা। এই গ্রুপে একটি করে ম্যাচ জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (West Indies) ও ইংল্যান্ড উভয়েরই পয়েন্ট ২। 

    দক্ষিণ আফ্রিকার দাপট

    দক্ষিণ আফ্রিকার (T20 World Cup 2024) বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুটা ভালো করেছিল। তাদের ওপেনিং জুটি ৮৬ রান করে। কিন্তু ভালো শুরু করেও সেটা ধরে রাখতে পারেনি তারা। কুইন্টন ডি কক ৬৫ রান করেন ওপেন করতে নেমে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ১৬৩ রান। জোফ্রা আর্চার নেন তিনটে উইকেট। বিশ্বজয়ীদের সামনে ১৬৪ রানের টার্গেট বড় ছিল না। কিন্তু ফিল সল্ট ফ্লপ হতেই ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্সও আশানুরূপ হল না। রান তাড়া করতে নেমে ফিল সল্ট ও জস বাটলারের জুটি ১৫ রান করে। ফিল সল্ট এদিন মাত্র ১১ রান করেন। বাটলার ১৭ রান করে ফেরেন। জনি বেয়ারস্টো ব্যর্থ হন। তিনি করেন ১৬ রান। একটা সময় ১০ ওভারে ৬১ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে দলকে টানেন হ্যারি ব্রুক। বিরতির পর জাতীয় দলে ফিরে তিনি দলকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যান। ৫৩ রানে আউট হন তিনি। তাঁর সঙ্গে পার্টনারশিপ তৈরি করেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তিনি করেন ৩৩ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান করে ইংল্যান্ড। ৭ রানে জিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের হয়ে দুটো করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাডা ও কেশব মহারাজ। এই জয়ের ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) সেমিফাইনাল কার্যত নিশ্চিত দক্ষিণ আফ্রিকার।

    হোপের ব্যাটে ক্যালিপসোর সুর

    সুপার এইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (West Indies) ৯ উইকেটে হারাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে (USA)। প্রথমে ব্যাট করে আমেরিকা করে ১২৮ রান। জবাবে  রান তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ উইকেট হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে ফেলে। মাত্র ৩৯ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত থেকে যান শাই হোপ। ওপেন করতে নেমে একাই মারলেন ৮টি ছক্কা। নিকোলাস পুরান মাত্র ১২ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থেকে যান। তিনিও হাঁকান ৩টি ছক্কা। এই জয়ের ফলে শেষ চারে ওঠার দৌড়ে টিকে রইল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর টানা দুটো ম্যাচ হেরে আমেরিকার বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়েই গেল। 

  • Ramakrishna 54: “প্রদীপের শিখার দিকে যদি একদৃষ্টে চেয়ে থাক, তবে খানিকক্ষণ পরে চারিদিক শিখাময় দেখা যায়”

    Ramakrishna 54: “প্রদীপের শিখার দিকে যদি একদৃষ্টে চেয়ে থাক, তবে খানিকক্ষণ পরে চারিদিক শিখাময় দেখা যায়”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ ও অন্যান্য ভক্তসঙ্গে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    গুরুশিষ্য-সংবাদ—গুহ্য কথা

    তখন আবার তিনিই আমি এইটি বোধ হয়। মাতালের নেশা বেশি হলে বলে, আমিই কালী।

    গোপীরা প্রেমোন্মত্ত হয়ে বলতে লাগল আমিই কৃষ্ণ।

    তাঁকে রাতদিন চিন্তা করলে তাঁকে চারিদিকে দেখা যায়, যেমন—প্রদীপের শিখার দিকে যদি একদৃষ্টে চেয়ে থাক, তবে খানিকক্ষণ পরে চারিদিক শিখাময় দেখা যায়।

    ঈশ্বরদর্শন কি মস্তিস্কের ভুল? সংশয়াত্মা বিনশ্যতি

    মাণি ভাবিতেছেন যে, সে শিখা তো সত্যকার শিখা নয়।

    ঠাকুর (Ramakrishna) অন্তর্যামী, বলিতেছেন চৈতন্যকে চিন্তা করলে অচৈতন্য হয় না। শিবনাথ বলেছিল, ঈশ্বরকে একশোবার ভাবলে বেহেড হয়ে যায়। আমি তাকে বললাম, চৈতন্যকে চিন্তা করলে কি অচৈতন্য হয়?

    মণি—আজ্ঞা বুঝেছি। এ-তো অনিত্য কোন বিষয় চিন্তা করা নয়?—যিনি নিত্যচৈতন্যস্বরূপ তাঁতে মন লাগিয়ে দিলে মানুষ কেন অচৈতন্য কেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (প্রসন্ন হইয়া)—এইটি তাঁর কৃপা—তাঁর কৃপা—না হলে সন্দেহ ভঞ্জন হয় না।

    আত্মার সাক্ষাৎকার না হলে সন্দেহ ভঞ্জন হয় না।

    তাঁর কৃপা হলে আর ভয় নাই। বাপের হাত ধরে গেলেও ছেলে পড়তে পারে। কিন্তু ছেলের হাত যদি বাপ ধরে, আর ভয় নাই। তিনি কৃপা করে যদি সন্দেহ ভঞ্জন করেন, আর দেখা দেন আর কষ্ট নাই।–তবে তাঁকে পাবার জন্য খুব ব্যাকুল হয়ে ডাকতে ডাকতে—সাধনা করতে করতে তবে কৃপা হয়। ছেলে অনেক দৌড়াদৌড়ি কচ্ছে, দেখে মার দয়া হয়। মা লুকিয়ে ছিল, এসে দেখা দেয়।

    মণি ভাবিতেছেন, তিনি দৌড়াদৌড়ি কেন করান।–ঠাকুর অমনি বলিতেছেন, তাঁর ইচ্ছা যে খানি দৌড়াদৌড়ি হয়; তবে আমোদ হয়। তিনি লীলায় এই সংসার রচনা করেছেন। এরি নাম মহামায়া। তাই সেই শক্তিরূপিণী মার শরণাগত হতে হয়। মায়াপাশে বেঁধে ফলেছে, এই পাশ ছেদন করতে পারলে তবেই ঈশ্বরদর্শন (Ramakrishna) হতে পারে।

    আরও পড়ুনঃ “ছেলেটি পেট ভরে খেলে তবেই মা সন্তুষ্ট, যাশোদা কৃষ্ণ খাবে বলে ননী হাতে করে বেড়াতেন”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

    আরও পড়ুনঃ “পাপ করলে তার ফল পেতে হবে! লঙ্কা খেলে তার ঝাল লাগবে না?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anti Paper Leak Law: পরীক্ষায় অনিয়ম রুখতে কড়া দাওয়াই কেন্দ্রের, ধরা পড়লেই জেল-জরিমানা

    Anti Paper Leak Law: পরীক্ষায় অনিয়ম রুখতে কড়া দাওয়াই কেন্দ্রের, ধরা পড়লেই জেল-জরিমানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও থিতু হয়নি নিট ইউজি ২০২৪ বিতর্ক। এমতাবস্থায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে (Anti Paper Leak Law) কড়া দাওয়াইয়ের পথে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। সাফ জানিয়ে দিল, দেশের বিভিন্ন প্রবেশিকা ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অনিয়ম ও প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে নয়া আইন কার্যকর করবে সরকার।

    কী বলা হয়েছে নয়া আইনে? (Anti Paper Leak Law)

    গত ফেব্রুয়ারি মাসেই সংসদে পাশ হয়েছিল পাবলিক এগজামিনেশন (প্রিভেনশন অফ আনফেয়ার মিনস) অ্যাক্ট, ২০২৪। পরে তা আইনেও পরিণত হয়। নিট ইউজি এবং নেট নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই শুক্রবার রাতে এই আইন কার্যকর করতে কেন্দ্রের তরফে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। আইনটি ২১ জুন থেকে বলবৎ হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়। কেন্দ্রের তৈরি এই আইন (Anti Paper Leak Law) অনুযায়ী, যদি কোনও ব্যক্তি প্রশ্নপত্র ফাঁস বা উত্তরপত্রে অনিয়ম করতে গিয়ে ধরা পড়েন, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হবে।

    সাজা শুনলে চমকে যাবেন

    দোষী সাব্যস্ত হলে ন্যূনতম তিন বছরের জেল হবে। সর্বাধিক পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডও হতে পারে। সঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানাও হতে পারে। এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে সেই সব নিয়ামক বা আয়োজক সংস্থার, যারা পরীক্ষায় অনিয়ম হচ্ছে জেনেও চুপ থাকবে। পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থার কোনও পদস্থ আধিকারিক যদি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকেন বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে সাজা ভোগ করতে হবে তাঁকেও। ন্যূনতম তিন বছরের সাজা হবে তাঁর। নিয়ামক কর্তৃপক্ষ বা আয়োজক সংস্থার তরফে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে, তাহলে ন্যূনতম পাঁচ বছর এবং সর্বাধিক দশ বছরের সাজা হতে পারে। গুণতে হবে এক কোটি টাকা জরিমানাও।

    আর পড়ুন: “মঙ্গলবারের মধ্যে সকল ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরুক”, ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় কড়া বার্তা হাইকোর্টের

    নয়া এই আইনের লক্ষ্যই হল বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষাগুলোয় দুর্নীতিতে লাগাম টানা। এই পরীক্ষাগুলির মধ্যে রয়েছে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন, স্টাফ সিলেকশন কমিশন, রেলওয়েজ, ব্যাঙ্কিং রিক্রুটমেন্ট এবং ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। প্রসঙ্গত, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নপত্র বিক্রি করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কয়েকটি সংস্থা এবং কোচিং সেন্টার। সেইসব সংস্থা এবং কোচিং সেন্টারের মূলোৎপাটন করতেই নয়া আইন লাগু করল কেন্দ্র (Anti Paper Leak Law)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, বোমাবাজি, রণক্ষেত্র সামশেরগঞ্জ

    Murshidabad: তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, বোমাবাজি, রণক্ষেত্র সামশেরগঞ্জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারখানার সামনে বিক্ষোভ দেখানোকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ থানার মহব্বতপুর গ্রামে। ব্যাপকভাবে গুলি আর বোমাবাজিতে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন নূর ইসলাম নামে এক তৃণমূল কর্মী। পাশাপাশি জখম হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীদের পিছনেও তৃণমূলের একাংশের মদত রয়েছে। ফলে, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জ (Murshidabad) থানার মহব্বতপুর গ্রামে একটি কারখানা থেকে লাগাতার বিষাক্ত গ্যাস ছড়ানোর জন্য রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে। বারবার জানানো সত্ত্বেও সমস্যার কোনও সমাধান না মেলায় গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। শুক্রবার তাঁরা কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নেন। যদিও বিষয়টি আগাম জানতে পেরে কারখানায় মজুদ রাখা হয়েছিল বেশকিছু বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রচুর সংখ্যক বোমা। এমনই দাবি গ্রামবাসীদের। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী নূর ইসলামের নেতৃত্বে গ্রামবাসীরা কারখানার সামনে হাজির হলে তাঁদের লক্ষ্য করে চালানো হয় এলোপাথাড়ি গুলি ও বোমা। ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতরভাবে আহত হন নূর ইসলাম নামে ওই এলাকার একজন তৃণমূল কর্মীসহ আরও বেশ কয়েকজন। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি একাধিক বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: শিক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে রবিবার ফের পরীক্ষা ১,৫৬৩ জন নিট প্রার্থীর

    কারখানা কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    কারখানা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নিয়ম মেনেই কারখানা চলছে। গায়ের জোরে ওই কারখানা বন্ধ করে দিতে চাইছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও হামলার বিষয়ে তারা মুখ খুলতে চায়নি। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রয়েছে তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন। সব মিলিয়ে তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা বলে অনুমান করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Snan Yatra 2024: আজ প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

    Snan Yatra 2024: আজ প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার, প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা (Snan Yatra 2024)। প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে স্নানযাত্রা হয়। যে কারণে, এই পূর্ণিমাকে দেবস্নান পূর্ণিমা বা স্নান পূর্ণিমা বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। এদিন বাংলা, ওড়িশা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা মহাসমারোহে পালিত হয়। তবে, সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান হয় পুরী ধামে। ফলে, সারা বিশ্বের চোখ এখন পুরীতে। এছাড়া, এ রাজ্যের মাহেশেও বড় করে হয় এই উৎসব। এদিনের এই শুভ তিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শুভ বা পুণ্য কাজ সারেন। 

    রথযাত্রার (Rath Yatra) ঢাকে কাঠি…

    জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা (Snan Yatra 2024) থেকেই ঢাকে কাঠি পড়ে গেল রথযাত্রার। প্রস্তুতি-পর্ব যদিও আরও সপ্তাহ তিনেক আগে প্রভুর চন্দন-যাত্রার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। দীর্ঘগরমে ভক্তদের মতোই কষ্ট পান জগন্নাথ। সঙ্গে মাথা ধরে। তাই গ্রীষ্মকালে তাঁর কপালে চন্দনের প্রলেপ দেওয়া হয়, যাকে বলে চন্দন উৎসব। বর্ষার আগমনে হয় স্নানযাত্রা। যা থেকেই কার্যত রথযাত্রার কাউন্টডাউন শুরু হয় বলে ধরে নেওয়া হয়। এদিন জগন্নাথ ধাম মন্দিরের স্নান কক্ষে (Snan Yatra 2024) রীতি মেনে ঐতিহ্যবাহী আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০৮ কলসে সুগন্ধি জল দিয়ে স্নান করানোর পালা চলে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা ত্রয়ীকে। প্রথমে জগন্নাথ, তারপর বলরাম এবং শেষে সুভদ্রার পুজো করে নিয়ে যাওয়া হয় স্নানের জন্য৷ অনুষ্ঠানের পর গজাননের পোশাকে সজ্জিত হন প্রভু জগন্নাথ।

    জ্বর আসবে জগন্নাথদেবের…

    সাধারণত বছরে একবার মহাপ্রভু শ্রীজগন্নাথ তার ভাই বোনদের সঙ্গে স্নান করেন (Snan Yatra 2024)। এই দিনটি জগন্নাথের জন্মদিন হিসেবেও পালিত হয়। যার ফলে, এদিন ধুম জ্বর আসে জগন্নাথদেবের। ফলে, ১৫ দিন ধরে তাঁর চিকিৎসা চলে। এই সময়ে শ্রীমন্দিরের দ্বার বন্ধ থাকে। ভক্তরা প্রভুর দর্শন করতে পারেন না। অন্তরালেই রাখা হয়ে এই তিন দেবদেবীকে। বিশ্বাস, রাজবৈদ্যের আয়ুর্বৈদিক পাঁচন খেয়ে ১৫ পর সুস্থ হয়ে ওঠেন জগন্নাথদেব। চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করে দরজা খোলা হয়। সুস্থ হয়ে উঠেই জগন্নাথদেব নতুন বেশভূষায় সুসজ্জিত হয়ে দর্শন দেন। তখন জগন্নাথধামে পালিত হয় নেত্রোৎসব বা নবযৌবন উৎসব। এরপর, তিন ভাই-বোন মাসির বাড়ি যাওয়ার তোড়জোড় করেন। রাজবেশে সজ্জিত হয়ে, মহাসমারোহে রথে চেপে তাঁদের মাসির বাড়ি যান। তাই স্নানযাত্রার সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে রথযাত্রা(Rath Yatra)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share