Tag: bangla news

bangla news

  • Haridwar: গঙ্গার ঘাটে অপূর্ব সন্ধ্যারতি, শান্ত কঙ্খল আশ্রম! হরিদ্বার যেন সত্যিই ‘মায়াপুরী’

    Haridwar: গঙ্গার ঘাটে অপূর্ব সন্ধ্যারতি, শান্ত কঙ্খল আশ্রম! হরিদ্বার যেন সত্যিই ‘মায়াপুরী’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেই নয়, ভারতের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান হল উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার (Haridwar)। পুণ্যতোয়া গঙ্গা এই হরিদ্বার থেকেই নেমে এসেছে সমতল ভূমিতে। প্রত্যেক ১২ বছর অন্তর এখানেই বসে পূর্ণকুম্ভের আসর। উপনিষদে এর নাম পাওয়া যায় ‘মায়াপুরী’ বলে। পুরাণেও উল্লেখ আছে এই স্থানের।

    পাহাড়ের শীর্ষে মনসাদেবীর মন্দির (Haridwar)

    হরিদ্বারে এলে দেখে নিন চণ্ডী পাহাড়। ছোট্ট একটা পাহাড়, পাহাড়ের শীর্ষে রয়েছে চণ্ডীদেবীর মন্দির। আদি শঙ্করাচার্যের আমলে চণ্ডী বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত হয় এই মন্দিরে। এর কাছেই রয়েছে আরও একটি ছোট্ট পাহাড় ‘মনসা পাহাড়’। এই পাহাড়ের শীর্ষে রয়েছে মনসাদেবীর মন্দির। চণ্ডী পাহাড় আর মনসা পাহাড়ে ওঠা-নামার জন্য রয়েছে রোপওয়ের ব্যবস্থা।

    সন্ধ্যারতি, কঙ্খল, হৃষিকেশ

    হরিদ্বারের (Haridwar) অন্যতম সেরা আকর্ষণ এখানকার বিখ্যাত ‘হর কি পৌড়ি’ ঘাটের সন্ধ্যারতি। পুরাণ মতে, রাজা বিক্রমাদিত্য তাঁর ভাইয়ের স্মরণে এখানে ব্রহ্মকুণ্ডে ঘাট নির্মাণ করেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় এখানে গঙ্গার বুকে আরতি দর্শনের জন্য প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড় হয। কঙ্খল হর কি পৌড়ি ঘাট থেকে প্রায় ৪-৫ কিমি দূরে। এই কঙ্খলে রয়েছে একাধিক মন্দির ও আশ্রম। এর মধ্যে রয়েছে সপ্তর্ষি আশ্রম, আনন্দময়ী মায়ের আশ্রম, ভারতমাতা মন্দির, দক্ষ প্রজাপতির মন্দির, হরিহর আশ্রম, দক্ষেশ্বর শিব মন্দিরটিও। পুরাণ মতে, এখানেই নাকি দক্ষ মহারাজ দেবাদিদেব মহাদেবকে নিমন্ত্রণ না করেই যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। কঙ্খলের শান্ত, অনাবিল, আশ্রমিক পরিবেশ মনকে শান্ত করে। হরিদ্বার থেকে অটো বা রিকশ নিয়ে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ঘুরে আসা যায় কঙ্খল থেকে। ইচ্ছে হলে বা হাতে সময় থাকলে হরিদ্বার থেকেই অটো বা গাড়ি নিয়ে ঘুরে আসা যায় মাত্র ২৪ কিমি দূরের হৃষিকেশ থেকেও।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন? (Haridwar)

    যাতায়াত, থাকা-খাওয়া-নৈনিতাল, দিল্লি, আগ্রা থেকে নিয়মিত বাস যাচ্ছে হরিদ্বার। দূরত্ব যথাক্রমে ২৪৫, ২১৪ এবং ৩৮৬ কিমি। হাওড়া থেকে সরাসরি হরিদ্বার যাচ্ছে দুন এক্সপ্রেস, উপাসনা এক্সপ্রেস, কুম্ভ এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন। এখানে থাকার জন্য রয়েছে জিএমভিএন (GMVN)-এর ট্যুরিস্ট রেস্ট হাউস রাহি মোটেল ফোন (০১৩৩৪) ২২৮৬৮৬ এবং হোটেল অলকানন্দা (০১৩৩) ২২৬৩৭৯। এছাড়াও এখানে রয়েছে বহু বিভিন্ন দাম ও মানের হোটেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, রইল তালিকা

    BJP: রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, রইল তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ জুলাই রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এই উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি (BJP)। সোমবার পদ্ম-পার্টির তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, কলকাতার মানিকতলায় লড়বেন প্রাক্তন ফুটবলার তথা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশেনর সভাপতি কল্যাণ চৌবে, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় বিনয় বিশ্বাস, নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণে মনোজকুমার বিশ্বাস এবং উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে মানসকুমার ঘোষ।

    চার কেন্দ্রে ৫ ইনচার্জ বিজেপির (BJP)

    এই চার বিধানসভায় উপনির্বাচন হবে ১০ জুলাই। তার আগে রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকের পরে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছিল ১২ জনের নাম। সেই তালিকা থেকেই বেছে নেওয়া হয়েছে এই চারজনকে (BJP)। উপনির্বাচনে রাজ্যের চার আসনেই পদ্ম ফোটাতে ৫ জন ইনচার্জ নিয়োগ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রায়গঞ্জের ইনচার্জ বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে, রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের ইনচার্জ প্রবাল রাহা, মানিকতলার ইনচার্জ বিজেপির রাজ্য সম্পাদক দীপাঞ্জন কুমার গুহ। আর বাগদার জন্য ইনচার্জ রয়েছেন দুজন। একজন কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং অন্যজন অনল বিশ্বাস।

    হেরো দলবদলুদের প্রার্থী করেছে তৃণমূল

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির কৃষ্ণ কল্যাণী। রানাঘাট দক্ষিণে জিতেছিলেন পদ্ম-পার্টিরই মুকুটমণি অধিকারী। পদ্ম চিহ্নে জয়ী হয়েও তাঁরা যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। দলবদলু এই দুই বিধায়কই ইস্তফা দেন বিধানসভায়। পরে তাঁদের প্রার্থী করা হয় অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে। সেখানে মুখ থুবড়ে পড়েন ঘাসফুলের এই দুই দলবদলু প্রার্থী। বাগদায় বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। শিবির বদলান তিনিও। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁকেও বাজি ধরে তৃণমূল। বিজেপির শান্তনু ঠাকুরের কাছে পর্যুদস্ত হন তিনিও। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন বিশ্বজিৎ। মানিকতলায় জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের সাধন পাণ্ডে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াত হন তিনি। সেই কারণেই হচ্ছে উপনির্বাচন। এই কেন্দ্রে বিজেপির বাজি কল্যাণ।

    আরও পড়ুন: পোপকে ‘অপমান’, ক্ষমা চাইতে বাধ্য হল কেরল কংগ্রেস

    লোকসভা নির্বাচনে ‘হেরো’ দলবদলু দুই নেতাকে বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী করলেও, বাগদায় সেই জুতোয় পা গলায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ঠাকুরবাড়ির সেন্টিমেন্ট কুড়িয়ে ভোট-বৈতরণী পার হতে তৃণমূল এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে রাজ্যসভার সাংসদ ঠাকুরবাড়ির মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণাকে। ঠাকুরবাড়ির ‘সেন্টু’ বাগদায় তৃণমূলকে অক্সিজেন জোগায় কিনা, এখন সেটাই দেখার (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Rail Accident: “নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরলাম”, বললেন রেল দুর্ঘটনায় জখম যাত্রী বিশ্বনাথ

    Rail Accident: “নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরলাম”, বললেন রেল দুর্ঘটনায় জখম যাত্রী বিশ্বনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলাম। বেঁচে আছি বিশ্বাসই হচ্ছে না। নিজের গায়ে চিমটি কেটে দেখছি সত্যিই বেঁচে আছি তো। হাসপাতালের বেডে শুয়ে একথায় বললেন শিলিগুড়ির রাঙাপানিতে রেল দুর্ঘটনায় (Rail Accident) জখম যাত্রী বিশ্বনাথ শর্মা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। তাঁর বাড়ি নদিয়ার কৃষ্ণনগরে।  

    ঝাঁকুনি দিয়ে উঠল আস্ত কামরা (Rail Accident)

    সোমবার এনজেপির কাছে রাঙাপানি ও নিজবাড়ি স্টেশনের মাঝে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। রেল দুর্ঘটনায় (Rail Accident) বহু যাত্রী জখম হন। সর্বশেষ পাওয়া খবরে, আটজন জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সেই অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন বিশ্বনাথ শর্মা। তিনি বলেন, “আমি ট্রেনের পিছনের দিক থেকে দুনম্বর কোচে ছিলাম। ঘুম থেকে ভোরবেলায় উঠেছি। অসম থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। এনজেপি স্টেশন ছাড়ার পর চা-বিস্কুট খেয়ে বসেছিলাম। হঠাৎ একটা ধাক্কায় ঝাঁকুনি দিয়ে উঠল আমার বগি। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি ট্রেনের বগির দুধারে দেওয়াল, সিট আমাকে দুদিক দিয়ে চেপে ধরছে। ওপরে তাকাতেই দেখি বগির সিলিং তিন ভাগ হয়ে ত্রিশূলের মতো আকৃতি নিয়ে আমার বুকের ওপর নেমে আসছে। সঙ্গে সঙ্গে দুই হাত দিয়ে তা ঠেকানোর চেষ্টা করি। সেই চেষ্টায় একটা রড ধরতে পারি। সেই রড ধরেই এক ঝটকা মেরে পাশ কাটিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলাম। কোনওরকমে বাইরে ছিটকে পড়লাম। তারপর আর কিছু মনে নেই। জ্ঞান ফিরতেই দেখি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি।  যেভাবে সিলিং ভেঙে তিনটি ফলা ত্রিশূলের মতো হয়ে নেমে আসছিল,আমি যদি না ধরতাম তাহলে তার একটি আমার বুকে ঢুকে যেত। ঢুকলেই আমার মৃত্যু নিশ্চিত ছিল।”

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৮, জখম ৬০

      জানি না কোন শক্তি দিয়ে, ভেঙে পড়া কোচের সিলিং আটকাতে পারলাম! 

    জানা গিয়েছে, বিশ্বনাথ শর্মা পেশায় পাচক। ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জায়গায় রান্নার কাজ করেন। গুয়াহাটি থেকে অসম, ডিব্রুগড় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রান্নার কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি বলেন, “এখন হাতে কোনও কাজ ছিল না। তাই বাড়ি ফিরছিলাম। এদিন রাতে শিয়ালদা স্টেশনে নেমে লোকাল ট্রেন ধরে কৃষ্ণনগরে বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল। বাড়িতে সকলে অপেক্ষা করছে, আমি কতক্ষণে বাড়ি যাব। জানি না এখন বাড়ির লোক খবর পেয়েছে কিনা। ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ, আমার ও আমার পরিবারের কথা ভেবে আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। আমি এখনও ভেবে উঠতে পারছি না, কোন শক্তি দিয়ে, দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়া কোচের সিলিং আটকাতে পারলাম।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kerala Congress: পোপকে ‘অপমান’, ক্ষমা চাইতে বাধ্য হল কেরল কংগ্রেস

    Kerala Congress: পোপকে ‘অপমান’, ক্ষমা চাইতে বাধ্য হল কেরল কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হল কেরল কংগ্রেস (Kerala Congress)। জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে ইটালিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি সাক্ষাৎ করেন পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে। তা নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করে কেরল কংগ্রেস। তার জেরে ওঠে সমালোচনার ঝড় (BJP)। তার জেরে চাইতে হল ক্ষমা।

    কংগ্রেসের পোস্ট (Kerala Congress)

    রবিবার মোদির সঙ্গে পোপের সাক্ষাতের একটি ছবি পোস্ট করে কেরল রাজ্য কংগ্রেস লিখেছে, ‘শেষমেশ পোপ ভগবানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার একটা সুযোগ পেলেন।’ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি কথার সূত্র ধরে এই বক্রোক্তি কেরল কংগ্রেসের। এর প্রেক্ষিতেই দক্ষিণের এই রাজ্যের বিজেপির দাবি, এই পোস্টের মাধ্যমে কংগ্রেস (Kerala Congress) খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে অপমান করেছে। বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জর্জ কুরিয়েন বলেন, “কংগ্রেসের এই ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রভু যিশুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এটা পুরোপুরি অনাকাঙ্খিত এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতি অপমান। এটা লজ্জাজনক যে কংগ্রেস কোথায় নেমেছে!”

    আরও পড়ুন: “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতাকে জাগাতে এসেছি”, বলেন বিপ্লব দেব

    ক্ষমা প্রার্থনা

    কেরল বিজেপির (BJP) সভাপতি কে সুরেন্দ্রন বলেন, “কংগ্রেস এখন পোপকেও উপহাস করছে। এর পিছনে কি রাহুল গান্ধী এবং খাড়্গের সমর্থনও রয়েছে?” পদ্ম-পার্টির সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হয়ে সম্বিত ফেরে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির। গত রাতে ক্ষমা প্রার্থনা করে কেরল কংগ্রেস। এবং জানিয়ে দেয়, কোনও ধর্মকে অপমান করার ঐতিহ্য তাদের ছিল না। তাদের বক্তব্য, সমগ্র ভারতবাসী জানে কাউকে অপমান করাটা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ঐতিহ্য নয়। কোনও ধর্ম, ধর্মীয় প্রধান এবং বিগ্রহকে অপমান বা অশ্রদ্ধা করাও তাদের ঐতিহ্য নয়। কংগ্রেস একটা আন্দোলন। এই দল সব ধর্মকে একসূত্রে বেঁধে রাখে, সমস্ত বিশ্বাসকে মর্যাদা দেয়। বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার চেষ্টা করে। পোপ, যাঁকে খ্রিস্টানরা ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসেবে দেখেন, তাঁকে অপমান কিংবা অসম্মান করার কথা কোনও কংগ্রেস কর্মীই সহ্য করে না। এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতৃত্ব লিখেছেন, ‘এই পোস্টের জেরে যদি কোনও খ্রিস্টানের আবেগে আঘাত লাগে, তাহলে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী (Kerala Congress)।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বহরমপুরে বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি-বোমাবাজি! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Murshidabad: বহরমপুরে বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি-বোমাবাজি! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বোমাবাজিতে উত্তপ্ত বহরমপুরের (Murshidabad) গোয়ালজান এলাকা। ভোট-পরবর্তী সময়ে চাপা উত্তেজনা ছিলই, গতকাল রাত্রি বেলায় ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মী-সমর্থক এবং বাড়ির মহিলাদের ব্যাপক মারধর করে। আবার এই পঞ্চায়েত এলাকা, আগে থেকেই বিজেপির দখলে ছিল, এইবার লোকসভাতে এগিয়ে রয়েছে পদ্মশিবির। ফলে তৃণমূল রাজনৈতিক হিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় এদিন। উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি লোকসভায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল, দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি। একই ভাবে লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই কোচবিহার থেকে ডায়মন্ড হারবার সর্বত্র অশান্তির খবর উঠে আসছে।

    ঘটনা কিভাবে ঘটল (Murshidabad)?

    স্থানীয় সূত্র খবর, বেশ কিছুদিন আগে এই এলাকায় এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু গতকাল রবিবার রাতে তাকে ঘিরে সামজিক মাধ্যমে পোস্ট করা হয়। পোস্টে দেখা যায় সেখানে অভিযুক্তকে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের হাতে। এরপরেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা রাতে গোয়ালজান (Murshidabad) এলাকার জলকালী ক্লাব পাড়ায় বিজেপির কর্মীদের উপর আক্রমণ করে। চলে ইটবৃষ্টি ও বোমাবাজি। একই সঙ্গে একাধিক বাড়ি ও বেশ কিছু বাইক ভাঙচুর করা হয়। পুলিশকে খবর দিলে গাড়িকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। রাস্তায় এখনও লেগে রয়েছে বোমার দাগ। আবার পরের দিন সোমবার এই এলাকায় গঙ্গাপুজো ছিল। তাকে ঘিরে মন্দিরের আশেপাশে চালানো হয় ব্যাপক ভাঙচুর। যদিও ভোটের আগে থেকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিচ্ছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    অন্যদিকে বিজেপি সমর্থকদের বক্তব্য, “এই এলাকায় গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিপুল পরিমাণের লিড পেয়েছে। আর তাই তৃণমূল দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। গঙ্গাপুজো উপলক্ষে রিফিউজি ফেরিঘাটের (Murshidabad) পাশে প্রতিবছর একটি বড় পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই পুজোকে বানচাল করতে তৃণমূলের গুন্ডারা বিভিন্ন রকমভাবে আক্রমণ করে। জলকালী ক্লাবের সামনে বিজেপি সমর্থকরা যেতেই তৃণমূলের লোকেরা বোমাবাজি করে। পুলিশকে খবর দিলে উল্টে তৃণমূলের হয়ে বিজেপি কর্মীদেরই ব্যাপক মারধর করে।”

    আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালিতে তৃণমূলের হিংসা অব্যাহত, বিজেপি কর্মীদের টোটো ও দোকান বন্ধের অভিযোগ

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিজেপির অভিযোগকে অস্বীকার করে জেলা (Murshidabad) তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয় বিজেপি তৃণমূলকে বদনাম করতে এই ধরনের কথা বলছে। তৃণমূলের কোনও কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। বিজেপির অন্দরে নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: রাজভবনের সুরক্ষায় আর প্রয়োজন নেই কলকাতা পুলিশের! অবিলম্বে খালি করার নির্দেশ বোসের

    CV Ananda Bose: রাজভবনের সুরক্ষায় আর প্রয়োজন নেই কলকাতা পুলিশের! অবিলম্বে খালি করার নির্দেশ বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালবাজারের নিরাপত্তায় সুরক্ষিত নন রাজ্যপাল। অবিলম্বে রাজভবন খালি করুন। সোমবার সকালে রাজভবনে মোতায়েন কলকাতা পুলিশের কর্মীদের এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। ইতিমধ্যেই রাজভবন চত্বরে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সরানোর নির্দেশ দিয়ে নবান্নে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। এ প্রসঙ্গে রাজভবনের (Raj Bhavan) ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যপাল রাজভবনের ভিতরে মোতায়েন পুলিশ কর্মীদের অবিলম্বে প্রাঙ্গন খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন।  

    কী জানিয়েছেন রাজ্যপাল? (CV Ananda Bose)

    চিঠিতে রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে, রাজভবনের (Raj Bhavan) নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীরা তাঁর নির্দেশনা মানছে না। ফলে রাজভবন চত্বরে থাকা কলকাতা পুলিশের নিরাপত্তায় তিনি একেবারেই সুরক্ষিত বোধ করছেন না। তাই অবিলম্বে রাজভবনের (Raj Bhavan) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের সরিয়ে ফেলা হোক। যদিও রাজ্যপালের এই চিঠির প্রেক্ষিতে নবান্নের তরফে এখনও কোনও বক্তব্য মেলেনি।

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৮, জখম ৬০

    আগে কী ঘটেছিল?  

    গত বৃহস্পতিবার রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসায় ‘আক্রান্তদের’ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু সে সময় তাঁকে রাজভবনের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি কর্তব্যরত কলকাতা পুলিশ। রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে শুভেন্দু সহ শো দুয়েক লোককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) অনুমতি থাকা সত্ত্বেও রাজভবনে প্রবেশ করতে না পেরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিরোধী দলনেতা। শুনানিতে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যপাল কি গৃহবন্দী নাকি। তাঁর অনুমতি সত্ত্বেও কেন দেখা করার অনুমতি দেওয়া হল না। আর বিচারপতির এই মন্তব্যের পরেই এবার রাজভবন (Raj Bhavan) চত্বর থেকে লালবাজারের নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়ার জন্যে নবান্নকে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল।

    যদিও রবিবার বিরোধী দলনেতা একশোর বেশি ঘরছাড়াকে নিয়ে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) সঙ্গে দেখা করেন। সেই সময় রাজ্যপাল শুভেন্দু অধিকারীকে বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে তিনি হিংসা মুক্ত করবেন। তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু এসবের মাঝেই এবার বিচারপতির ওই মন্তব্যের পর সোমবার সকালে রাজ্যপাল এই নির্দেশ দেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kanchenjunga Express: দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন রেলমন্ত্রী, হেল্পলাইন নম্বর চালু রেলের

    Kanchenjunga Express: দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন রেলমন্ত্রী, হেল্পলাইন নম্বর চালু রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchenjunga Express) ও মালগাড়ির সংঘর্ষে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত ৪১ জন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মালগাড়ির লোকো পাইলট। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই চলছে উদ্ধারকাজ। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchanjungha Derailed) দুর্ঘটনার পরই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ফাঁসিদেওয়ায় দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন রেলমন্ত্রী। তিনি দার্জিলিঙের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন। দুর্ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন। 

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    এই দুর্ঘটনার জেরে কাঞ্চনজঙ্ঘার (Kanchenjunga Express) পেছনের দিকে তিনটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়।  বেসরকারি মতে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৬০ জন। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গে রেল পরিষেবায়। মালদা টাউন স্টেশনে আটকে পড়েছে কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। রেলের তরফে মালদায় হেল্প লাইন নম্বর চালু হয়েছে। যাত্রীদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য পরিজনদের সাহায্য করার জন্য হাওড়া,শিয়ালদহ-সহ কাটিহার, ডালখোলা, কিষাণগঞ্জ, সামসি, বারসোই, নিউ জলপাইগুড়ি-সহ বিভিন্ন স্টেশনে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। 

    আরও হেল্পলাইন নম্বর

    শিয়ালদা, দক্ষিণেশ্বর ও নৈহাটি স্টেশনেও হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। সেগুলি হল—

    শিয়ালদহ স্টেশন
    ১) ০৩৩২৩৫০৮৭৯৪
    ২) ০৩৩২৩৮৩৩৩২৬
    ৩) রেলওয়ে টেলিফোন: ৩৩৩২৬

    শিয়ালদহ কন্ট্রোল রুম:
    ১) ১০৭২৫
    ২) ০৩৩২৩৫১৬৯৬৭
    ৩) ০৩৩২৩৮৩২৫৯৪
    ৪) রেলওয়ে টেলিফোন: ৩২৫৯৪

    নৈহাটি স্টেশন
    ১) ০৩৩২৫৮১২১২৮
    ২) রেলওয়ে টেলিফোন: ৩৯৩০০
    ৩) ০৩৩২৫৮০৫২৪৪

    দক্ষিণেশ্বর স্টেশন
    ১) ০৩৩২৩৮৩২৫৯০
    ২) রেলওয়ে টেলিফোন: ৩২৫৯০
    ৩) ০৩৩২৩৮৩২৫৯০

    রেলমন্ত্রীর বার্তা

    এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছেন, “এনএফআর জোনে দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা ঘটেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। রেলওয়ে, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ মিলিতভাবে কাজ করছেন। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।”

    কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchenjunga Express) আগরতলা থেকে শিয়ালদার মধ্যে চলাচল করার ফলে একাধিক রাজ্যের মানুষ সেই ট্রেনে যাতায়াত করেন। ত্রিপুরা, অসম, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গ ছুঁয়ে যায় সেই ট্রেন। এই গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন দুর্ঘটনার (Kanchanjungha Derailed) কবলে পড়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন রেল প্রতিমন্ত্রীও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: বৈঠক শেষ করে দিলীপ ঘোষ যেতেই পাটি অফিসে হামলা, কর্মীদের মার, বাইক ভাঙচুর

    Dilip Ghosh: বৈঠক শেষ করে দিলীপ ঘোষ যেতেই পাটি অফিসে হামলা, কর্মীদের মার, বাইক ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বৈঠক শেষ করে এলাকা ছাড়তেই হামলা চালাল তৃণমূল। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বি-জোন এলাকায়। দলীয় কার্যালয়ে থাকা বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dilip Ghosh)

    লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রবিবার দুর্গাপুরে যান বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। রাতে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বি-জোন এলাকায় বিজেপি’র কার্যালয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) সহ প্রায় সব নেতা-কর্মীরা চলে যান। অভিযোগ, কার্যালয়ে উপস্থিত থাকা কয়েকজন কর্মীর ওপর চড়াও হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। কার্যালয়ে সামনে থাকা দু থেকে তিনটি বাইক ভাঙচুর করে। জখম এক বিজেপি কর্মী বলেন, দিলীপদা বৈঠক শেষ করে চলে যাওয়ার পর আমরা কয়েকজন কার্যালয়ে বসেছিলাম। আচমকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে এসে হামলা চালায়। আমাকে বেধড়ক মেরেছে। বুকে, পেটে গুরুতর চোট লেগেছে। কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ওরা আমাদের বাইকগুলি ভাঙচুর করে। আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি। হামলার বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৫, জখম বহু যাত্রী

    হামলা নিয়ে দিলীপ ঘোষ কী বললেন?

    সোমবার সকালে সিটিসেন্টারের চতুরঙ্গ ময়দানে প্রাতঃভ্রমণে বের হন বিজেপি (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষ। এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। পরে, দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, নির্বাচনের প্রচারে প্রথম এই চতুরঙ্গ ময়দানে এসেছিলাম। আবার এখানকার সিনিয়র সিটিজেনদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। রবিবার রাতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে আসার পরই দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করে। আমরা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিস প্রশাসনকে  সব কিছু বলা হয়েছে। আস্তে আস্তে এই সব বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, মানুষ এই সব চায়না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তৃণমূলের হিংসা অব্যাহত, বিজেপি কর্মীদের টোটো ও দোকান বন্ধের অভিযোগ

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তৃণমূলের হিংসা অব্যাহত, বিজেপি কর্মীদের টোটো ও দোকান বন্ধের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল একক ভাবে ২৯টি আসনে জয়লাভ করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যে ফল প্রকাশের পর থেকেই জেলায় জেলায় ভোট-পরবর্তী হিংসার কথা উঠে আসছে। বিজেপির অভিযোগ মূলত তৃণমূলের দিকেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা হিংসায় সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ১ নম্বর ব্লকের বয়ারমারী অঞ্চলের বেশ কিছু সক্রিয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের টোটো ও দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    বিজেপি ফল ভালো করায় কি আক্রমণ (Sandeshkhali)?

    বয়ারমারী (Sandeshkhali) এক নম্বর অঞ্চলের বেশ কিছু বুথে বিজেপি ভালো ফলাফল করেছে। যে সমস্ত বুথে বিজেপি ভালো ফলাফল করেছে সেই সমস্ত বুথের সক্রিয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বেছে বেছে টোটো চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তৃণমূল। একই ভাবে বিজেপিকর্মীদের দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। গত এক সপ্তাহ ধরে দোকান ও টোটো চলাচল বন্ধ থাকার ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ। এই এলাকার মানুষের জীবন-জীবীকার প্রধান আশ্রয় এই দোকান এবং টোটো। অসহায় গরীব মানুষগুলি কোনও রকমে দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা রোজগার দিয়ে সংসার চালান। গত কয়েকদিন ধরে এই রোজগার বন্ধ থাকায় তাঁরা প্রায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন বলে দাবি বিজেপি কর্মীদের। তাই দোকান ও টোটো চালানোর দাবিতে রবিবার ন্যাজাট থানার অন্তর্গত রাজবাড়ী আউটপোস্টে এসে বিজেপির পক্ষ থেকে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুনঃ ‘ঘরছাড়া’ দলীয় কর্মীদের দেখতে বারুইপুর গেলেন সুকান্ত, দিলেন ঘরে ফেরানোর আশ্বাস

    বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য

    স্থানীয় (Sandeshkhali) বিজেপি কর্মী জয়দেব মণ্ডল বলেছেন, “সকালে উঠে দোকান খুলতে গেলে তৃণমূল প্রধানের অনুগামীরা বলেন, দোকান খোলা যাবেনা। কারণ জানতে চাইলে হুমকি দিয়ে বলেন, তোরা সবাই বিজেপিকে ভোট দিয়েছিস, তাই দোকান বন্ধ থাকবে। তোদের ছেলেপেলেদের নিয়ে পার্টি অফিসে দেখা কর। ক্ষমা চাইতে হবে, এলাকায় বিজেপি করা যাবে না। সেই সঙ্গে দোকান বন্ধ করে তালা মেরে দেয় তৃণমূলের লোকজন।” আরেক টোটো চালক উৎপল দত্ত বলেছেন, “তৃণমূল প্রধান আমাদের বেশকিছু টোটো বন্ধ করে দিয়েছে। পার্টি অফিসে দেখা করার নিদান দিয়েছেন। এলাকায় বিজেপি ভালো ফল করার আমাদের জীবন-জীবীকার উপর সঙ্কট তৈরি করেছে তৃণমূল। আমরা সব কিছু স্বাভাবিক চাই। তাই, আজ থানায় ডেপুটেশন দিলাম।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: পিএলআই প্রকল্প-এমএসএমইতে কর্মসংস্থানের দিশা থাকবে মোদি সরকারের বাজেটে?

    PM Modi: পিএলআই প্রকল্প-এমএসএমইতে কর্মসংস্থানের দিশা থাকবে মোদি সরকারের বাজেটে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে কিছুদিন আগেই। নির্বাচনের কারণে পেশ হয়েছিল ভোট অন অ্যাকাউন্ট। ইতিমধ্যেই শপথ নিয়েছে নয়া সরকার। বাদল অধিবেশনে পেশ হবে পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তারই প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। এটি মোদি সরকারের (PM Modi)  তৃতীয় টার্ম।

    বাজেটে দিশা (PM Modi)

    দেশবাসীর আশা অনেক। এই বাজেটে খেলনা, আসবাবপত্র, জুতো তৈরি, টেক্সটাইলের বিভিন্ন ক্ষেত্রের পাশাপাশি এমএসএমই-র ওপর জোর দেওয়া হবে বলে আশা। উদ্দেশ্য হল, মহিলাদের রোজগার বাড়ানো এবং পরিকাঠামোর উন্নয়ন। নির্বাচন চলাকালীনই গত মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে সরকার গড়ার পর প্রথম একশো দিনে কী কী কাজ করা হবে, তার রোডম্যাপও তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০৩০ সালের মধ্যে মোদি সরকার যাতে লক্ষ্য পূরণ করতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। এবার বাজেটে এসবেরই দিশা থাকতে পারে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের (PM Modi)।

    মধ্যবিত্তদের সুবিধা!

    মধ্যবিত্তদের কীভাবে আরও সুবিধা দেওয়া যায়, সেদিকেও দৃষ্টি রয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের। কেবল ট্যাক্সে ছাড়ই নয়, হাউজিং লোন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সুদের হার কীভাবে কমানো যায়, সেই বিষয়টি নিয়েও ভাবছেন তিনি। এই বিষয়গুলিতে প্রাথমিকভাবে জোর দেওয়া হবে। যদিও এ ব্যাপারে ডিটেইলড কোনও তথ্য মেলেনি। বর্তমানে বিদেশ সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ফিরে কী নির্দেশ দেন, আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে অর্থমন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: “যত বড়ই আধিকারিক হন, ছাড়া পাবেন না”, নিট বিতর্কে বার্তা শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের

    জানা গিয়েছে, প্রাক-বাজেট পরামর্শ-পর্ব শুরু হবে চলতি সপ্তাহেই। তবে আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই কিছু গ্রাউন্ড ওয়ার্ক সেরে নিয়েছেন। এই আধিকারিকদেরই প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন নয়া সরকার গঠিত হওয়ার পর প্রথম একশো দিনে কী কী কাজ হবে। বুধবার এবং জুনের ২৫ তারিখের মধ্যে অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে মিলিত হতে পারেন সীতারামণ। শনিবার তিনি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন, জানতে চাইবেন বাজেট নিয়ে তাঁদের আশা-আকাঙ্খার কথা। ছোটখাট ব্যবসায়ীদের উন্নতিকল্পে এমএসএমই প্যাকেজ তৈরি হতে পারে। কর্মসংস্থানের পরিমাণ এবং গুণমান কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, এবারের বাজেটে থাকতে পারে সেই হদিশও (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share