Tag: bangla news

bangla news

  • Jamai Sasthi: রাত পোহালেই জামাই ষষ্ঠী! কীভাবে চালু হল এই প্রথা? জানুন বিশেষ দিনটির তাৎপর্য

    Jamai Sasthi: রাত পোহালেই জামাই ষষ্ঠী! কীভাবে চালু হল এই প্রথা? জানুন বিশেষ দিনটির তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালি হিন্দুর ষষ্ঠীর তালিকা নেহাত ছোট নয়। অশোক ষষ্ঠী, নীল ষষ্ঠী এসব তো রয়েছেই। তবে, ষষ্ঠীর মধ্যে জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi) বেশ জনপ্রিয়। খাওয়া-দাওয়ার রাজকীয় আয়োজন। জামাই আপ্যায়নে ত্রুটি থাকে না কোনও শ্বশুরবাড়িতেই। সকাল থেকেই লুচি সমেত নানা ব্যঞ্জনে ভরে যায় জামাইয়ের পাত। দুপুরেও এ চিত্র বদলায় না। জামাই ষষ্ঠীকে ঘিরে ভিড় দেখা যায়, ফলের স্টলে, বাজারে, পোশাকের দোকানে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জামাই ষষ্ঠীর প্রথা অনেক প্রাচীন। সেই বৈদিক আমল থেকেই।

    জামাই ষষ্ঠীর বিশেষ প্রথা…

    কন্যার সুখের জন্য জামাইয়ের মঙ্গল কামনায় জ্যৈষ্ঠ মাসের ষষ্ঠী তিথিতে ব্রত পালন করেন মা। এটাই প্রসিদ্ধ জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi) নামে।  জামাইষষ্ঠীর দিন জামাইয়ের কবজিতে হলুদ মাখানো সুতো বেঁধে দেন শাশুড়ি মা। ষষ্ঠীর ডোর বাঁধার সময় মুখে শ্বাশুড়ি ষাট-ষাট-ষাট বলেন। এরপর মঙ্গল কামনায় তেল-হলুদের ফোঁটা কপালে দিয়ে তালপাতার পাখা দিয়ে বাতাস করেন। সাবেকি ঘরানায় নতুন বস্ত্র, উপহার, ফল-ফলাদি, পান-সুপারি, ধান-দূর্বা, বাঁশের করুল, তালের পাখা, করমচা দিয়ে শাশুড়ি মায়েরা উদযাপন করেন জামাইষষ্ঠী। জামাইয়ের মাথায় ধান-দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করেন মেয়ের মা। জামাইকে আশীর্বাদ করে জামাকাপড় উপহার দেন। সেই সঙ্গে থালায় সাজিয়ে দেওয়া হয় পাঁচ রকমের গোটা ফল। পরে, দুপুরে জামাইয়ের জন্য নানা পদ সাজিয়ে দেওয়া হয়। যা নিজের হাতে রান্না করেন শাশুড়ি মা। 

    এর সঙ্গে জড়িত সংস্কার…

    বাংলার লোকায়ত দেবী মা ষষ্ঠী হলেন উর্বরতার দেবী। তাঁর আশীর্বাদে দম্পতির কোল আলো করে সন্তান আসে। সন্তান লাভ ও তাদের মঙ্গল কামনায় মা ষষ্ঠীর পুজো করে থাকেন বাংলার মায়েরা। ভারতবর্ষ তথা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে একসময় সংস্কার ছিল একটি মেয়ে যতদিন না পুত্রবতী হয়, ততদিন তার বাবা- মা কন্যা গৃহে পা রাখবেন না৷ এই ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেয়, সন্তানধারণে সমস্যা বা সন্তান মৃত্যুর (শিশুমৃত্যু) ফলে বাবা- মাকে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হত মেয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য৷ সেক্ষেত্রে বিবাহিত মেয়ের মুখ দর্শনের জন্য সমাজের বিধানদাতা জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লা ষষ্ঠীকে বেছে নেয় জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi) হিসাবে৷ যেখানে মেয়ে জামাইকে নিমন্ত্রণ করে সমাদর করা হবে ও মেয়ের মুখ দর্শন করা যাবে এবং সেই সঙ্গে মা ষষ্ঠীর পুজো করে তাঁকে খুশি করা। যাতে, মেয়ে শীঘ্র পুত্রমুখ দর্শন করাতে পারে।

    এবছর জামাই ষষ্ঠীর (Jamai Sasthi) তিথি ও ক্ষণ

    প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসে শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিকে জামাই ষষ্ঠী হিসেবে পালন করা হয়। এই বছর জামাই ষষ্ঠী পড়েছে ১২ জুন অর্থাৎ ২৯ জ্যৈষ্ঠ, বুধবার। আজ মঙ্গলবার, ১১ জুন সন্ধ্যা ৫/৫৮/৫৭ মিনিট থেকে ১২ জুন রাত ৭/২৪/৫২ মিনিট পর্যন্ত থাকবে ষষ্ঠী তিথি।

    প্রচলিত লৌকিক কাহিনী…

    কথিত আছে, কোনও এক সময়ে কোনও এক পরিবারে, একটি বাড়ির বউ খেতে ভীষণ ভালোবাসত। বাড়িতে মাছ বা অন্য কিছু ভাল রান্না হলেই নিজে সব খেয়ে ফেলে দোষ চাপাত একটি কালো বিড়ালের ওপর। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, বিড়াল হল মা ষষ্ঠীর বাহন। নিজের সম্পর্কে এই মিথ্যে অভিযোগ শুনে বিড়াল মা ষষ্ঠীর কাছে গিয়ে সব জানায়। নিজের বাহন সম্পর্কে এই মিথ্যে কথা শুনে মা ষষ্ঠী অত্যন্ত রেগে যান এবং অভিশাপ দেন (Jamai Sasthi)। এরপর মা ষষ্ঠীর অভিশাপে ওই বউ এর একটি করে সন্তান হয়, আর জন্মের কিছু পরেই তার মৃত্যু হয়। সাত পুত্র ও এক কন্যা এই ভাবে জন্মের পরেই মারা যায়। স্বামী, শাশুড়ি ও শ্বশুরবাড়ির সবাই মিলে তখন বউকে অলক্ষণা বলে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বউ এরপর মনের দুঃখে বনে চলে যায়।

    …দেখা দেন মা ষষ্ঠী

    একদিন জঙ্গলে বসে একা একা কাঁদছে, এমন সময় বৃদ্ধার ছদ্মবেশ ধারণ করে তাকে দেখা দেন মা ষষ্ঠী। কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বউ তখন সব সত্যিটা বলে ওই বৃদ্ধাকে। নিজের আগের অন্যায় আচরণের কথা স্বীকার করে মা ষষ্ঠীর কাছে ক্ষমা চায় সে। মা ষষ্ঠী তাঁকে ক্ষমা করে দেন এবং বলেন যে ঘরে ফিরে গিয়ে ভক্তিভরে তাঁর পুজো করলে নিজের মৃত সাত পুত্র ও এক কন্যার জীবন ফিরে পাবে। এরপর সংসারে ফিরে এসে মা ষষ্ঠীর পুজো করে নিজের সব পুত্র কন্যাদের ফিরে পায় বউ। এরপরেই ষষ্ঠী পুজোর মাহাত্ম্য দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই অবস্থায় মেয়ে দীর্ঘদিন বাপের বাড়ি যায়নি। তাকে দেখার জন্য ব্যাকুল মা-বাবা একবার ষষ্ঠীপুজোর দিন জামাইকে সাদরে নিমন্ত্রণ জানান। জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi) পুজোর দিনে সস্ত্রীক উপস্থিত হন। সেই থেকে শুরু হয় জামাই ষষ্ঠী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: “রটনায় নাম জড়ানো হচ্ছে আরএসএসের, এটা ঠিক নয়”, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “রটনায় নাম জড়ানো হচ্ছে আরএসএসের, এটা ঠিক নয়”, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রযুক্তির সাহায্যে মিথ্যে রটিয়ে নির্বাচনের সঙ্গে যে আরএসএসের নাম জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে, তা ঠিক নয়।” সোমবার নাগপুরে কথাগুলি বললেন আরএসএস কর্তা মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ১০ জুন, সোমবার এখানেই বসেছিল কার্যকর্তা বিকাশ বর্গের বিদায়ী অধিবেশন। প্রধান অতিথি ছিলেন গোদাবরী ধামের রামগিরি মহারাজ, আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ সর্দার ইকবাল সিং।

    কী বললেন রামগিরি মহারাজ? (Mohan Bhagwat)

    রামগিরি মহারাজ বলেন, “সঙ্ঘে আপনারা সংস্কার শেখেন, অনুকূল হোক কিংবা প্রতিকূল যে কোনও পরিস্থিতিতে কীভাবে মূল্যবোধ বজায় রাখা যায়, সেই শিক্ষাও দেওয়া হয়।” তিনি বলেন, “যখন আপনি আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত হন, তখন আপনি ডেডিকেশন শেখেন, সামাজিক ঐক্য কীভাবে বজায় রাখতে হয়, তা-ও শেখেন।” আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “আজ পঞ্চম গুরু অর্জুন দেবজি মহারাজের বলিদান দিবস। তিনি দেশের জন্য আত্মোৎসর্গ করেছিলেন।” তিনি বলেন, “গ্বালিয়র দুর্গে গুরু অর্জুন দেবকে অনেক নৃশংসতার শিকার হতে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও স্রেফ ধর্মের কারণে তিনি হাসতে হাসতে জীবন বলিদান দিয়েছিলেন।”

    ভাগবত উবাচ…

    আগের দিন মহারাণা প্রতাপের জন্মজয়ন্তী ছিল। এই দিনটিতেই আত্ম-বলিদান করেছিলেন বিরসা মুন্ডাও। এই দুই প্রসঙ্গের অবতারণা করে ভাগবত বলেন, “এই প্রশিক্ষণ শিবিরে আমরা জেনেছি কীভাবে একদল মানুষ দেশের স্বার্থে নিজেদের জীবন বলিদান দিয়েছিলেন।” লোকসভা নির্বাচনের শেষে যেভাবে আরএসএস সম্পর্কে মিথ্যে কথা রটানো হয়েছে, এদিন সে প্রসঙ্গেরও উল্লেখ করেন সরসঙ্ঘচালক। বলেন, “নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। নয়া সরকার শপথও নিয়ে নিয়েছে। তাই আর নির্বাচনের ফল নিয়ে আলোচনার কোনও প্রয়োজন নেই।”

    আর পড়ুন: নিজেদেরই মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে চুলের মুঠি ধরে পেটাল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা

    তিনি বলেন, “মানুষ তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তার ফলও বেরিয়ে গিয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্ঘের কোনও যোগ নেই।” বলেন, “প্রতিটি নির্বাচনে সঙ্ঘ জনমত পরিশুদ্ধ করে, যেমন এই নির্বাচনেও করেছিল। যদিও ফলের কোনও বিশ্লেষণ সঙ্ঘ করেনি।” ভাগবত বলেন, “সঙ্ঘ সব সময় মর্যাদা রক্ষা করে চলে। কখনও তার সীমা ছাড়িয়ে যায় না (Mohan Bhagwat)।”

     

    শের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • T20 World Cup 2024: কম রানের পুঁজি নিয়ে জয়ের রেকর্ড, বাংলাদেশকে ৪ রানে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা

    T20 World Cup 2024: কম রানের পুঁজি নিয়ে জয়ের রেকর্ড, বাংলাদেশকে ৪ রানে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তানের পর, বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভারে নাটকীয় পরিস্থিতিতে ৪ রানে বাংলাদেশকে হারাল প্রোটিয়াসরা। সোমবার এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১১৩ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ১০৯ রান তোলে বাংলাদেশ। এত কম রানের পুঁজি নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে (T20 World Cup 2024) যে জয় সম্ভব তা বারাবার দেখাচ্ছে চলতি বিশ্বকাপ। আগের দিনই ১২০ রান করে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পায় ভারত।

    লো-স্কোরিং ম্যাচ

    চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) শুরু থেকেই চর্চায় নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইশগজ। পিচ যে বিশ্বকাপের মানের নয়, সেটা প্রকারান্তরে মেনে নিয়েছে আইসিসিও। হতে পারে বোলিং সহায়ক বাইশগজে বিস্তর রান উঠছে না, যেমনটা দেখতে অভ্যস্ত ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে লো-স্কোরিং ম্যাচ কত উত্তেজক রূপ নিতে পারে, সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে পরপর ২ দিনেই। রবিবার মাত্র ১১৯ রান করেও শেষ ওভারের থ্রিলারে পাকিস্তানকে হারায় ভারত। সোমবার আরও কম রান তুলে ম্যাচ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়ারা মাত্র ১১৩ রান তুলেও শেষ ওভারে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।

    দুরন্ত বোলিং-ফিল্ডিং

    এদিন দক্ষিণ আফ্রিকা টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। বাংলাদেশের হয়ে ভাল বল করলেন তানজিম হাসান। চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রেখে ব্যাট করেন ক্লাসেন ও মিলার। ৪৪ বলে ৪৬ রান করেন ক্লাসেন, মিলার করেন ২৯ রান। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ব্যাটারাও বেকায়দায় পড়েন। শেষ পর্যন্ত হাল ধরেন তৌহিদ হৃদয় এবং মাহমুদুল্লাহ। দু’জনে মিলে পঞ্চম উইকেটে ৪৪ রানে জুটি গড়েন। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে তৌহিদ ফেরার পর চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তখনও উইকেটে ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। শেষ ওভারে মাত্র ১১ রান দরকার ছিল জেতার জন্য। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ সে ভাবে ব্যাট করার সুযোগই পেলেন না। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে এক রান নেন। তার পর পঞ্চম বলে আউট।  কেশব মহারাজের ফুলটস বল সপাটে মেরেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটে-বলে সংযোগ ঠিক মতো হয়নি। লং অন বাউন্ডারির একদম ধার থেকে দু’হাত বাড়িয়ে ছোঁ মেরে সেই বল ধরে নেন এডেন মার্করাম। সেখানেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের (Bangladesh) জয়ের স্বপ্ন। 

    আম্পায়ারিং নিয়ে অসন্তুষ্ট

    একসময়ে ২৪ বলে ২৭ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। হাতে তখনও ছয় উইকেট। ক্রিজে জমে গিয়েছিলেন তৌহিদ হৃদয় ও মাহমুদুল্লাহ। ১৭ তম ওভারে বার্টমানের বল আছড়ে পড়ে মাহমুদুল্লাহের প্যাডে। আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। যদিও সেই বল পায়ে লেগে বাউন্ডারি লাইন পার হয়ে যায়। ডিআরএস (DRS) নিলে দেখা যায় আউট ছিলেন না বাংলাদেশি ব্যাটার। আম্পায়ারও সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেন। কিন্তু তার আগে আউট দেওয়ায় নিয়মমতো বল ‘ডেড’ হয়ে যায়। ফলে অতিরিক্ত চার রান জোড়েনি বাংলাদেশের খাতায়। আর শেষ পর্যন্ত ৪ রানেই হারেন হৃদয়রা। ওই চার রান দিলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত। এই ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ওয়াসিম জাফর।


    এই ঘটনার সময় বাংলাদেশের (Bangladesh) অধিনায়ক শান্তকেও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতে দেখা যায়। পরে অবশ্য তিনি বলেন, “আমাদের এই ম্যাচ জেতা উচিত ছিল। শেষ কয়েক ওভার ওরা খুব ভালো বল করেছে। কিন্তু ক্রিকেটে এটা হতেই পারে।” তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন হৃদয়। তাঁর মতে, “নিয়ম আমাদের হাতে নেই। কিন্তু ওই সময়ে চার রান আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার মতে, আম্পায়ারের আউট সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া মুশকিল। ওই চার রান ম্যাচের ছবি বদলে দিতে পারত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: নিজেদেরই মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে চুলের মুঠি ধরে পেটাল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা

    TMC Conflict: নিজেদেরই মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে চুলের মুঠি ধরে পেটাল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Conflict) একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে প্রধানের ওপর হামলা! (TMC Conflict)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দ্রকোণার বান্দিপুর-১  নং গ্রাম  পঞ্চায়েত অফিসে বসে কাজ করছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান পিঙ্কি দলুই। আচমকাই অফিসের ভিতর ঢুকে পড়েন বেশ কয়েকজন মহিলা। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রধানের চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। এখানেই শেষ নয়, টানতে টানতে বাইরে নিয়ে গিয়ে মাটিতে ফেলে পঞ্চায়েত প্রধানকে লাথি-ঘুষি মারারও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Conflict) প্রকাশ্যে এসেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। থানায় অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: মন্ত্রক বদলাল না শান্তনুর, মোদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েই জোড়া দায়িত্ব সুকান্তর

    ব্লক সভাপতির মদতেই হামলা

    পঞ্চায়েত প্রধান পিঙ্কি দলুই বলেন, “তৃণমূলের ব্লক সভাপতির মদতেই আমার ওপর হামলা হয়েছে। আমাকে প্রধানের পদ থেকে সরানোর চেষ্টা চলছে অনেকদিন ধরেই। এদিন দুপুরে আমি কাজ করছিলাম। আচমকাই বেশ কয়েকজন মহিলা আমার ওপর হামলা চালায়। চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে লাথি-ঘুষি মারল তৃণমূল কর্মীরা। হাতে চোট লেগেছে। পায়ে চোট লেগে রক্ত বেরিয়েছে। আমাকে বারবার তোলাবাজি এবং চুরি করতে বলেছিল। তাতে সায় না দেওয়ায় আমার ওপর এই হামলা।”

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কী সাফাই দিলেন?

    অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হীরালাল ঘোষ। তিনি বলেন, “পুরো অভিযোগটাই ভিত্তিহীন। আমিও বলতে পারি, আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। তথ্যপ্রমাণ চাই।” এই ঘটনায় স্তম্ভিত গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরা। অনেকেই এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।

    সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কুশারি বলেন, মহিলাকে মারধরের ঘটনায় নিন্দা জানাচ্ছি । তবে, তৃণমূলের কোন্দল (TMC Conflict) নিয়ে কোনওরকম আগ্রহ নেই। বরং, এই অবস্থায় এলাকার উন্নয়ন আদৌ হবে তো!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Success Story: সুপার মডেল থেকে আইএফএস, জানুন ঐশ্বর্য শেওরানের চমকপ্রদ কাহিনি

    Success Story: সুপার মডেল থেকে আইএফএস, জানুন ঐশ্বর্য শেওরানের চমকপ্রদ কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিএসসি দেশের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে অন্যতম। এই পরীক্ষা পাস করার জন্য পরীক্ষার্থীদের ১৪ থেকে ১৫ ঘন্টা কঠিন পরিশ্রম করতে হয়। আবার কিছু মেধাবী পরীক্ষার্থী চাকরি করার সঙ্গে সঙ্গে ইউপিএসসির চেষ্টা করে থাকে। অনেকে আছে যারা পরীক্ষার জন্য চাকরি ছেড়ে দেয়। এরই মাঝে এমন এক পরীক্ষার্থীর খবর সামনে এসেছে যে নিজের মায়ের স্বপ্ন পূরণ করার প্রথমে মডেলিং কেরিয়ার বেছে নিলেও পরে নিজের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য মডেলিং ছেড়ে প্রথম চেষ্টাতেই (Success Story) ইউপিএসসি পরীক্ষা পাস করে। তবে মডেলিং ছেড়ে দিলেও সে এখনও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। তাঁর ইস্টাগ্রামে ফলোয়ার সংখ্যা দু লক্ষের বেশি।

    প্রথম চেষ্টাতেই ইউপিএসসি পাস (Success Story)

    ২০১৮ সালে প্রথম চেষ্টাতেই ইউপিএসসি পাস করে আইএএস হন ঐশ্বর্য শেওরান। তিনি এর আগে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ফাইনালিস্ট হয়েছিলেন। দিল্লি শ্রীরাম কলেজ অফ কমার্স থেকে গ্র্যাজুয়েশন করার পর নিজের মায়ের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য মডেলিংয়ে কেরিয়ার তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। ছোটবেলায় পড়াশোনায় খুব ভালো ছিলেন ঐশ্বর্য।

    আরও পড়ুন: প্রকাশিত হল ২০২৫ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষার তারিখ, জেনে নিন সূচি

    দিল্লির চাণক্যপুরী সংস্কৃতি স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৭.৫ শতাংশ নম্বর সহ স্কুলের টপার হয়েছিলেন তিনি। ২০১৪ সাল থেকেই মডেলিংয়ের দুনিয়ায় ঐশ্বর্যর প্রবেশ। সে বছর দিল্লিতে ক্লিন এন্ড ক্লিয়ার ফ্রেশ ফেস হয়েছিলেন। এরপর ২০১৬ সালের ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় ফাইনালিস্ট ছিলেন। ২০১৮ সালে মডেলিংয়ের কেরিয়ার ছেড়ে ইউপিএসসির জন্য চেষ্টা শুরু করেন ঐশ্বর্য। কলেজ ছাড়ার পর ক্যাট পরীক্ষাও দিয়েছিলেন সেখানে তিনি। সিলেক্ট হন। কিন্তু তা সত্বেও অ্যাডমিশন নেন নি।

    ঐশ্বর্যর ইউপিএসি র‍্যাংক ছিল ৯৩

    ঐশ্বর্য শেরন বলেন, “আমার মা বলিউডের অভিনেত্রী ঐশ্বর্যর নামেই আমার নাম রেখেছিলেন। মা চাইতেন ছোটবেলা থেকেই অভিনয় করি। ঐশ্বর্যর মত বলিউডে এবং মডেলিংয়ে নাম করি। এর জন্য মডেলিংয়ে এসেছিলাম। কাজ করেছি চুটিয়ে। কিন্তু মনে হল দেশের জন্য কিছু করা দরকার। মডেলিং ছেড়ে ইউপিএসসি এর জন্য ১০ মাস বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করি। কোনও কোচিং ছাড়াই শুধুমাত্র নিজের চেষ্টাতেই প্রথমবারেই ইউপিএসসি পরীক্ষা পাশ করেছি। আমার সর্বভারতীয় র‍্যাঙ্ক ছিল ৯৩। এখনও আমি (Success Story) ইন্সটা স্টার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 45: “আমরা জেলেডিঙি, খাল বিল আবার বড় নদীতেও যেতে পারি, কিন্তু আপনি জাহাজ!”

    Ramakrishna 45: “আমরা জেলেডিঙি, খাল বিল আবার বড় নদীতেও যেতে পারি, কিন্তু আপনি জাহাজ!”

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ঠাকুর অহেতুক কৃপাসিন্ধু

    বিদ্যাসাগর (সহাস্যে)—তা আপনি বলতে পারেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (সহাস্যে)—হাঁ গো, অনেক বাবু জানে না চাকর-বাকরের নাম (সকলের হাস্য)—বা বাড়ির কোথায় কি দামী জিনিস আছে।

    কথাবার্তা শুনিয়া সকলে আনন্দিত। সকলে একটু চুপ করিয়াছেন। ঠাকুর আবার বিদ্যাসগারকে সম্বোধন করিয়া কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—একবার বাগান দেখতে যাবেন, রাসমণির বাগান। ভারী চমৎকার জায়গা।

    বিদ্যাসাগর-যাব বই কি। আপনি এলেন আর আমি যাব না!

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আমার কাছে? ছি! ছি!

    বিদ্যাসাগর—সে কি! এমন কথা বললেন কেন? আমায় বুঝিয়ে দিন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (সহাস্যে)—আমরা জেলেডিঙি। (সকলের হাস্য) খাল বিল আবার বড় নদীতেও যেতে পারি। কিন্তু আপনি জাহাজ, কি জানি যেতে গিয়ে চড়ায় পাছে লেগে যায়। (সকলের হাস্য)

    বিদ্যাসাগর সহাস্যবদন, চুপ করিয়া আছেন। ঠাকুর হাসিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্য)—তার মধ্যে এ-সময় জাহাজও যেতে পারে।

    বিদ্যাসাগর (সহাস্য)—হাঁ, এটি বর্ষাকাল বটে! (সকলের হাস্য)

    মাস্টার (স্বগতঃ)—নবানুরাগের বর্ষা, নবানুরাগের সময় মান-অপমান বোধ থাকে না বটে!

    ঠাকুর গাত্রোত্থান করিলেন ভক্তসঙ্গে। বিদ্যাসাগর আত্মীয়গণসঙ্গে দাঁড়াইয়াছেন। ঠাকুরকে গাড়িতে তুলিয়া দিবেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) এখনও দাঁড়াইয়া রহিয়াছেন কেন? মূলমন্ত্র করে জপিতেছেন; জপিতে জপিতে ভাববিষ্ট হইয়াছেন। অহেতুক কৃপাসিন্ধু! বুঝি যাইবার সময় মহাত্মা বিদ্যাসাগরের আধ্যাত্মিক মঙ্গলের জন্য মার কাছে প্রার্থনা করিতেছেন।

    ঠাকুর ভক্তসঙ্গে সিঁড়ি দিয়া নামিতেছেন। একজন ভক্তের হাত ধরিয়া আছেন। বিদ্যাসাগর স্বজনসঙ্গে আগে আগে যাইতেছেন—হাতে বাতি, পথ দেখাইয়া আগে আগে যাইতেছেন। শ্রাবণ কৃষ্ণষষ্ঠী, এখনও চাঁদ উঠে নাই। তমসাবৃত উদ্যানভূমির মধ্য দিয়া সকলে বাতির ক্ষীনালোকে লক্ষ্য করিয়া ফটকের দিকে আসিতেছেন।

     আরও পড়ুনঃ “মৃত্যুকে সর্বদা মনে রাখা উচিত, মরবার পর কিছুই থাকবে না।”

    আরও পড়ুনঃ“গীতা গীতা দশবার বলতে গেলে, ত্যাগী ত্যাগী হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “পাপ করলে তার ফল পেতে হবে! লঙ্কা খেলে তার ঝাল লাগবে না?”

    আরও পড়ুনঃ “ব্যাকুলতা না এলে কিছুই হয় না, সাধুসঙ্গ করতে করতে ঈশ্বরের জন্য প্রাণ ব্যাকুল হয়”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 44: “নিষ্কামকর্ম করতে পারলে ঈশ্বরে ভালবাসা হয়, ক্রমে তাঁর কৃপায় তাঁকে পাওয়া যায়”

    Ramakrishna 44: “নিষ্কামকর্ম করতে পারলে ঈশ্বরে ভালবাসা হয়, ক্রমে তাঁর কৃপায় তাঁকে পাওয়া যায়”

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ঈশ্বরকে ভালবাসা জীবনের উদ্দেশ্য—The End of life

                                                                                                                    নিষ্কামকর্মের উদ্দেশ্যে-ঈশ্বরদর্শন

    অন্তরে সোনা আছে, এখনও খবর পাও নাই। একটু মাটি চাপা আছে। যদি একবার সন্ধান পাও, অন্য কাজ কমে যাবে। গৃহস্থের বউ-এর ছেলে হলে ছেলেটিকেই নিয়ে থাকে, ওইটিকে নিয়েই নাড়াচাড়া; আর সংসারের কাজ শাশুড়ী করতে দেয় না। (সকলের হাস্য)

    আরও এগিয়ে যাও। কাঠুরে কাঠ কাটতে গিছিল; ব্রহ্মচারী বললে, এগিয়ে যাও। এগিয়ে গিয়ে দেখে চন্দনগাছ। আবার কিছুদিন পরে ভাবলে, তিনি এগিয়ে যেতে বলেছিলেন, চন্দনগাছ পর্যন্ত তো যেতে বলেন নাই। এগিয়ে গিয়ে দেখে রূপার খনি। আবার কিছুদিন পরে এগিয়ে গিয়ে দেখে, সোনার খনি। তারপর কেবল হীরা মাণিক। এই সব লয়ে একেবারে আণ্ডিল হয়ে গেল।

    নিষ্কামকর্ম করতে পারলে ঈশ্বরে Ramakrishna) ভালবাসা হয়, ক্রমে তাঁর কৃপায় তাঁকে পাওয়া যায়। ঈশ্বরকে দেখা যায়, তাঁর সঙ্গে কথা কওয়া যায়, যেমন আমি তোমার সঙ্গে কথা কচ্ছি। (সকলে নিঃশব্দ)   

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ঠাকুর অহেতুক কৃপাসিন্ধু

    সকলে অবাক ও নিস্তব্ধ হইয়া এই সকল কথা শুনতেছেন। যেমন সাক্ষাৎ বাগ্বাদিনী শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) জিহ্বাতে অবতীর্ণ হইয়া বিদ্যাসাগরকে উপলক্ষ করিয়া জীবের মঙ্গলের জন্য কথা বলিতেছেন। রাত্রি হইতেছে; নয়টা বাজে। ঠাকুর এইবার বিদায় গ্রহণ করিবেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বিদ্যাসাগরের প্রতি সহাস্যে)—এ-যা বললুম, বলা বাহুল্য আপনি সব জানেন—তবে খপর নাই! (সকলের হাস্য) বরুণের ভাণ্ডারে কত কি রত্ন আছে! বরুণ রাজার খপর নাই!

    আরও পড়ুনঃ “মহাকাল জেনেছেন কালীর মর্ম, অন্য কেবা জানে তেমন”

    আরও পড়ুনঃ“এই স্থানে নরেন্দ্রের গান ঠাকুর প্রথমে শুনেন ও তাঁহাকে দক্ষিণেশ্বরে যাইতে বলেন”

    আরও পড়ুনঃ “দক্ষিণেশ্বরের পরমহংস সামান্য নহেন, এক্ষণে পৃথিবীর মধ্যে এত বড় লোক কেহ নাই”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 43: “যদি দক্ষিণে হাওয়া আপনি আসে, পাখা রেখে দেওয়া যায়, আর পাখার কি দরকার?”

    Ramakrishna 43: “যদি দক্ষিণে হাওয়া আপনি আসে, পাখা রেখে দেওয়া যায়, আর পাখার কি দরকার?”

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ঈশ্বরকে ভালবাসা জীবনের উদ্দেশ্য—The End of life

    চিত্ত তদগত হওয়া, তাঁকে খুব ভালবাসা। সুধাহ্রদ কিনা অমৃতের হ্রদ। ওতে ডুবলে মানুষ মরে না। অমর হয়। কেউ কেউ মনে করে, বেশি ঈশ্বর ঈশ্বর (Ramakrishna) করলে মাথা খারাপ হয়ে যায়। তা নয়। এ-যে সুধার হ্রদ! অমৃতের সাগর। বেদে তাঁকে অমৃত বলেছে, এতে ডুবে গেলে মরে না—অমর হয়।

    নিষ্কামকর্ম বা কর্মযোগ ও জগতের উপকার

    পূজা, হোম, যাগ কিছুই কিছু নয়। যদি তাঁর উপর ভালবাসা আসে, তাহলে আর এ-সব কর্মের বেশি দরকার নাই। যতক্ষণ হাওয়া পাওয়া না যায়, ততক্ষণই পাখার দরকার, যদি দক্ষিণে হাওয়া আপনি আসে, পাখা রেখে দেওয়া যায়। আর পাখার কি দরকার?

    তুমি যে-সব কর্ম করছ, এ-সব সৎকর্ম। যদি আমি কর্তা এই অহংকার ত্যাগ করে নিস্কামভাবে করতে পার, তাহলে খুব ভাল। এই নিস্কামকর্ম করতে করতে ঈশ্বরেতে (Ramakrishna) ভক্তি ভালবাসা আসে। এইরূপ নিস্কামকর্ম করতে করতে ঈশ্বরলাভ হয়।

    কিন্তু যত তাঁর উপর ভক্তি ভালবাসা আসবে, ততই তোমার কর্ম কমে যাবে। গৃহস্থের বউ, পেটে যখন ছেলে হয়—শাশুড়ী তার কর্ম কমিয়ে দেয়। যত মাস বাড়ে, শাশুড়ী কর্ম কমায়। দশমাস হলে আপদে কর্ম করতে দেয় না, পাছে ছেলের কোন হানি হয়, প্রসবের কোন ব্যাঘাত হয়। (হাস্য) তুমি যে-সব কর্ম করছ এতে তোমার নিজের উপকার। নিস্কামভাবে কর্ম করতে পারলে চিত্তশুদ্ধি হবে। ঈশ্বরের (Ramakrishna) উপর তোমার ভালবাসা আসবে। ভালবাসা এলেই তাঁকে লাভ করতে পারবে। জগতের উপকার মানুষ করে না, তিনিই করেছেন, যিনি চন্দ্র-সূর্য করেছেন, যিনি মা-বাপের স্নেহ, যিনি মহতের ভিতর দিয়া, যিনি সাধু-ভক্তের ভিতর ভক্তি দিয়েছেন। যে-লোক কামনাশূন্য হয়ে কর্ম করবে সে নিজেরই মঙ্গল করবে।

    আরও পড়ুন:“ঠাকুর প্রকৃতিস্থ হইলেন, দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া আবার সহাস্যে কথা কহিতেছেন”

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

    আরও পড়ুনঃ“বেঙাচির ল্যাজ খসলে জলেও থাকতে পারে, আবার ডাঙাতেও থাকতে পারে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্ত জোড়া মন্ত্রক পেতেই মিষ্টি বিলিয়ে বাজি ফাটিয়ে খুশিতে মাতলেন বালুরঘাটবাসী

    Sukanta Majumdar: সুকান্ত জোড়া মন্ত্রক পেতেই মিষ্টি বিলিয়ে বাজি ফাটিয়ে খুশিতে মাতলেন বালুরঘাটবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শপথ নিয়েছিলেন রবিবারই। আর সোমবার জোড়া মন্ত্রক পেলেন দুবারের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । মন্ত্রক ঘোষণা হতেই বিজেপির নেতা-কর্মীরা পৌঁছে গেলেন সুকান্ত মজুমদারের বাড়ি। মিষ্টিমুখ করালেন সুকান্তর সহধর্মিনী ও তাঁর মাকে। পরিবারের সকলের সঙ্গে আনন্দের দিনকে আরও আনন্দময় করে তুললেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।

    মিষ্টি বিলিয়ে বাজি ফাটিয়ে খুশিতে মাতলেন বালুরঘাটবাসী (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে প্রথমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন রবিবার। তারপর থেকেই উচ্ছ্বাসে মাতেন বিজেপির কর্মী -সমর্থকরা। সোমবার দিনভর উৎকণ্ঠায় ছিলেন কর্মীরা। সুকান্ত মজুমদার কোন দফতর পাচ্ছেন তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। সন্ধ্যায় মন্ত্রক বন্টনের খবর পৌঁছাতেই খুশিতে মাতেন সকলে। বাজিও ফাটানো হয়। মিষ্টি বিলি করেন বিজেপি কর্মীরা। প্রসঙ্গত,এই প্রথম বালুরঘাট থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয়বারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হওয়া সুকান্তকে নিয়ে আগেই চর্চা চলছিল। অবশেষে রবিবার দুপুরে এনিয়ে বার্তা পৌঁছায় সুকান্তর পরিবার এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্বদের কাছে। খবর মুহূর্তে ছড়িয়ে পরে জেলায়। এরপরেই বাজি ও শহরবাসীকে মিষ্টি মুখ করিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন দলের নেতা -কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: মন্ত্রক বদলাল না শান্তনুর, মোদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েই জোড়া দায়িত্ব সুকান্তর

    কী বললেন সুকান্ত?

    দিল্লি থেকে এক ভিডিও বার্তায় সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘আমার মতো একজন সাধারণ কর্মীকে যেভাবে এত বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। আমার নিজের যত সামর্থ্য রয়েছে, সবটুকু দিয়ে মোদিজি লক্ষ্যকে সামনে এদিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা তো শেষ। সেটাকে কেন্দ্রের তরফে যতটা করা যায়, সেই চেষ্টা করব।’ সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রী কোয়েল চক্রবর্তী বলেন, আমরা খুব খুশি। আশা করি তিনি ভালো করে কাজ করবেন ও জেলার উন্নয়ন করবেন। এই বিষয়ে  এক শহরবাসী বলেন, আমরা আশাবাদী এবার আমাদের জেলা ও শহরের উন্নয়ন হবে।

    পূর্ণমন্ত্রী হলে আরও বেশি খুশি হতাম

    সুকান্ত মজুমদারের মা নিবেদিতা মজুমদার বলেন, ‘খুবই আনন্দ হচ্ছে। ছেলেটা বাড়িতে থাকলে আরও ভাল লাগত। শুনলাম প্রতিমন্ত্রী হচ্ছে। ও যদি পূর্ণমন্ত্রী হত, আরও বেশি খুশি হতাম। ছোটবেলা থেকেও যে কাজটা করে, খুব মন দিয়ে কাজ করে। রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর একটা দিনও বিশ্রাম পায়নি।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ethical Hacker: পেয়েছেন নাসার ‘হল অফ ফেম’ স্বীকৃতি, এথিক্যাল হ্যাকিংকেই পেশা করেছেন কাশ্মীরের মুনীব

    Ethical Hacker: পেয়েছেন নাসার ‘হল অফ ফেম’ স্বীকৃতি, এথিক্যাল হ্যাকিংকেই পেশা করেছেন কাশ্মীরের মুনীব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সফটওয়্যার ডেভেলপার নয়, বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে সব চেয়ে বেশি চাহিদা হ্যাকারদের। কিন্তু এই হ্যাকারদের অপরাধী নয়, বরং গোয়েন্দা বলা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হ্যাকিং শব্দটির সঙ্গে সাইবার অপরাধীরা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। কিন্তু হ্যাকারদের শায়েস্তা করতেও হ্যাকিং জানতে হয়। সেই কৌশলকে বলে ‘এথিক্যাল হ্যাকিং’ (Ethical Hacker) অর্থাৎ যেখানে নৈতিকতা থাকে। আর এই এথিক্যাল হ্যাকিং-এর দুনিয়ায় নয়া পালক যোগ করল দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার জুঙ্গালপোরা গ্রামের বাসিন্দা মুনীব আমিন।

    কে এই মুনীব?  

    মুনীব হলেন একজন কাশ্মীরি প্রযুক্তিবিদ, যিনি সম্প্রতি এথিক্যাল হ্যাকিং-এর দুনিয়ায় তার কাজের ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি লাভ করেছে। একজন এথিক্যাল হ্যাকার হিসেবে ’ (Ethical Hacker) কাজের ক্ষেত্রে তার উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA)-এর ‘হল অফ ফেম’-এ বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। মুনীবের কৃতিত্ব সাইবার নিরাপত্তা জগতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং আজকের ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপে সংবেদনশীল তথ্য রক্ষায় তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে তিনি ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি (IGNOU) থেকে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে স্নাতক (BCA) ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করছেন। 
    আসলে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে যে ভাবে তথ্য চুরি ও সাইবার হানা বাড়ছে তা ঠেকাতেও এই এথিক্যাল হ্যাকারদের ’ (Ethical Hacker)  প্রয়োজন। তাই সাইবার জগতে মুনীবের এই কৃতিত্ব একটি অনুপ্রেরণা হিসাবে রয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে মুনীব বলেছিল, “আজকের ডিজিটাল যুগে, কিছুই সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। একটি সংস্থা যত বড়ই হোক না কেন, যদি এটি কোনও নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত থাকে তবে এটি হ্যাক হওয়ার সম্ভবনা থেকেই যায়।”  

    আরও পড়ুন: মন্ত্রক বদলাল না শান্তনুর, মোদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েই জোড়া দায়িত্ব সুকান্তর

    এথিক্যাল হ্যাকিং এর ভবিষ্যৎ ’ (Ethical Hacker)  

    আর ঠিক এই কারণেই সাইবার সিকিউরিটি (Cybersecurity Expert) এবং এথিক্যাল হ্যাকিং বর্তমান সময়ে একটি ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্র হিসেবে অগ্রসর হচ্ছে, যেখানে ভারত এবং বিদেশে এই কাজের জন্য একাধিক চাকরির পরিসর রয়েছে। আর এই এথিক্যাল হ্যাকিং দুনিয়ায় প্রবেশ করতে সাধারন ডিগ্রির চেয়েও বেশি প্রয়োজন হার্ডওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম এবং নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে স্ব-শিক্ষা এবং জ্ঞান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share