Tag: bangla news

bangla news

  • NDA Meet: সর্বসম্মত নেতা মোদি-ই, “তাড়াতাড়ি সরকার গড়ুন”, এনডিএ বৈঠকে বললেন নীতীশ

    NDA Meet: সর্বসম্মত নেতা মোদি-ই, “তাড়াতাড়ি সরকার গড়ুন”, এনডিএ বৈঠকে বললেন নীতীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বার সরকার গড়ার লক্ষ্যে বুধবার বৈঠকে বসলেন এনডিএ নেতারা (NDA Meet)। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে সর্বসম্মতভাবে এনডিএর নেতা নির্বাচিত হন মোদি। তাঁর বাসভবনেই জড়ো হয়েছিলেন এনডিএর নেতারা। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জনতা দল ইউনাইটেড নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। সরকার গড়তে প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলেন তিনি। বৈঠকে নীতীশ বলেন, “দ্রুত কাজ শুরু করুন। সরকার গড়ায় দেরি করা উচিত হবে না। আমরা এটা (সরকার গঠন) যত শীঘ্র সম্ভব করব।”

    এনডিএ

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে (NDA Meet) বিজেপি একাই পেয়েছে ২৪০টি আসন। জোট শরিকদের আসন নিয়ে এনডিএর আসন সংখ্যা ২৯২। সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২টি আসন। তাই এবার সরকার গড়তে পদ্ম শিবিরের ভীষণ প্রয়োজন নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর সমর্থন। এই দুই দলের সাংসদের সংখ্যা ২৮। এদিন দিল্লিতে আয়োজিত এনডিএ-র বৈঠকের আগে চন্দ্রবাবু বলেন, “আমরা এনডিএতে রয়েছি। এনডিএর বৈঠকেই যোগ দিতে দিল্লিতে যাচ্ছি।” প্রসঙ্গত, অন্ধ্রপ্রদেশে লোকসভার আসন রয়েছে ২৫টি। এর মধ্যে চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপি জয়ী হয়েছে ১৬টি আসনে। বিহারে ৪০টি আসনের মধ্যে ১২টিতে জয়ী হয়েছে নীতীশের দল জেডিইউ।

    বৈঠকে ছিলেন কারা

    জানা গিয়েছে, সরকার গড়ার দাবিতে এদিনই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করবেন এনডিএ নেতারা। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু, নীতীশ কুমার, একনাথ শিন্ডে, এইচডি কুমারস্বামী, জিতন রাম মাঝি, চিরাগ পাশোয়ান, পবন কল্যাণ, অনুপ্রিয় প্যাটেল, জয়ন্ত চৌধুরী এবং প্রফুল্ল প্যাটেল। জনতা দল ইউনাইটেড দলের নেতা লালন সিংহ এবং সঞ্জয় ঝা-ও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। বিজেপির তরফে বৈঠকে হাজির ছিলেন জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও।

    একনাথ শিন্ডে বলেন, “মোদিজি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন। মোদিজির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার গড়বে।” উল্লেখ্য, ২০১৪ এবং ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছিল বিজেপি (NDA Meet)।

    আর পড়ুন: ‘‘সংখ্যার খেলা চলতেই থাকবে’’, দ্বিতীয় এনডিএ সরকারের শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Raiganj: কাউন্সিলর থেকে প্রার্থী হয়েই বিজেপির সাংসদ, কার্তিকের ওপর আস্থা রায়গঞ্জবাসীর

    Raiganj: কাউন্সিলর থেকে প্রার্থী হয়েই বিজেপির সাংসদ, কার্তিকের ওপর আস্থা রায়গঞ্জবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে (Raiganj) ফের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি। গতবার এই আসনে দেবশ্রী চৌধুরীকে প্রার্থী করে পদ্ম ফুটিয়েছিল বিজেপি। তবে, এবার সেখানে দেবশ্রী না দাঁড়ালেও বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের হাত ধরে আসন ধরে রাখল পদ্ম শিবির। তাঁর কাছে পরাজিত হলেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের কৃষ্ণ কল্যাণী।

    রায়গঞ্জে অনেক উন্নয়ন হবে, দাবি বিজেপি কর্মীদের (Raiganj)

    বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির হাত ধরে ছাত্র রাজনীতি করেছেন তিনি। প্রিয়রঞ্জন রাজনীতিতে থাকাকালীনই কালিয়াগঞ্জ পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। তাঁর যোগ্য শিষ্য হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে কার্তিক ও তাঁর কয়েকজন অনুগামী যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এরপর কালিয়াগঞ্জ পুরসভার তৃণমূলের বোর্ডে চেয়ারম্যান হন তিনি। প্রথম থেকেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। এরপর ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু বিজেপি-তে যোগ দিলে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে তিনিও যোগ দেন বিজেপিতে।  শেষ পুরসভা (Raiganj) নির্বাচনেও কার্তিক জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি-র টিকিটে। কাউন্সিলর হন কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের। এরপর সরাসরি সেখান থেকে তাঁকে সাংসদ পদের জন্য প্রার্থী করে বিজেপি। বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, আমাদের সাংসদ রায়গঞ্জের জন্য অনেক উন্নয়ন করবেন।

    আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি, জয়ী প্রার্থীকে দিল্লিতে তলব

    কত ভোটে জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী?

    গতবার এই আসনে পদ্ম ফুটলেও জয় ছিনিয়ে আনতে মরিয়া ছিল তৃণমূল। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া কৃষ্ণকল্যাণীকে প্রার্থী করে তৃণমূল। প্রশ্ন ওঠে, কৃষ্ণকল্যাণীর বারবার দলবদল মেনে নেয়নি রায়গঞ্জের (Raiganj) মানুষ? কারণ একসময় তিনি যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। পরে ফের দলবদল করে আসেন তৃণমূলে। ফলে কৃষ্ণ কল্যাণীর ওপর আস্থা রাখতে না পেরেই বিজেপি প্রার্থীর ওপর আস্থা রাখলেন  রায়গঞ্জবাসী। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির কার্তিক চন্দ্র পাল পেয়েছেন ৫,৬০৮,৯৭। আর তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৪,৯২৭,০০। ৬৮ হাজার ভোটে জয়ী হন। তাঁর জয়ের খবর পাওয়ার পরই কর্মীরা উল্লাসে মেতে ওঠেন। কার্তিকবাবু বলেন, এবারও বিজেপির ওপর আস্থা রাখাই আমি সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাই। এই জয় মানুষের জয়। রায়গঞ্জবাসীর জন্য আরও অনেক বেশি করে কাজ করতে পারি, এটাই আমার লক্ষ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: তৃণমূলের ‘ভেল্কিবাজ’, ‘বেইমান’, ‘চোর’ অপবাদকে উপেক্ষা করে ভোটে জয়ী খগেন মুর্মু

    Election Result 2024: তৃণমূলের ‘ভেল্কিবাজ’, ‘বেইমান’, ‘চোর’ অপবাদকে উপেক্ষা করে ভোটে জয়ী খগেন মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে সবুজ আবির খেলার মধ্যেই গেরুয়া আবির নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য, উত্তর মালদা থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জয়ী (Election Result 2024) হয়েছেন খগেন মুর্মু। প্রথম থেকেই তাঁর রাজনৈতিক লড়াই ছিল ব্যাপক জোরদার। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে ৭৭ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে আরেকবার পদ্মফুল ফোটালেন মালদায়। উত্তরবঙ্গে বিজেপির এই জয়ে ব্যাপক উল্লাস।

    জয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস (Election Result 2024)

    লোকসভা ভোটের প্রচারে তৃণমূলের কাছ থেকে ভেল্কিবাজ, বেইমান, চোরের মতো বাক্যবাণ শুনতে হয়েছিল খগেন মুর্মুকে। তাঁকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূলের বড় বড় নেতারাও কুমন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু সকল প্রতিকূলতার মধ্যে নিজের রাজনৈতিক লড়াইকে তীব্র করে জনমতকে সঠিক ভাবে প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তিনি। উত্তর মালদার সাধারণ মানুষ, কেন্দ্রে তৃতীয় বারের জন্য বিজেপি সরকার গড়তে জনাদেশ (Election Result 2024) দিয়েছেন তাঁর পক্ষে। তাঁকে ঘিরে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই বারে তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাম-কংগ্রেসের প্রার্থী মোস্তাক আলম, আইএসএফ প্রার্থী হয়েছিলেন মহম্মদ সোহেল।

    আরও পড়ুনঃ ক্যানিংয়ে তৃণমূলের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর! দিকে দিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

    আগের বারের মার্জিন ছিল ৮০ হাজার

    ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে, মালদা উত্তর থেকে জয়ী  হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছিলেন প্রায় ৮০ হাজার ভোটে। তাঁর গত লোকসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ ৭ হাজার ৭৯৮। তৃণমূলের মৌসম পেয়েছিলেন ৪ লক্ষ ২৪ হাজার ৫১৭। ওই বছর কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করেছিলেন ইশা খান চৌধুরী। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩ লক্ষ ৪ হাজার ৯৬৪। আর সিপিএমের বিশ্বনাথ ঘোষ পেয়েছিলেন ৫০ হাজার ৩১৫ ভোট। এইবারে জয় (Election Result 2024) করে, বিজেপি আরও একবার প্রমাণ করল উত্তরবঙ্গের অন্যতম শক্তিশালী কেন্দ্র উত্তর মালাদা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘সংখ্যার খেলা চলতেই থাকবে’’, দ্বিতীয় এনডিএ সরকারের শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে মোদি

    PM Modi: ‘‘সংখ্যার খেলা চলতেই থাকবে’’, দ্বিতীয় এনডিএ সরকারের শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার পদত্যাগপত্র জমা দিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। আশা করা হচ্ছে শনিবার ৮ জুন শপথ নেবেন তিনি। পদত্যাগের আগে শেষবার মোদি ২.০ কেবিনেটের সঙ্গে বৈঠক (Modi Emotional Speech) করেন। বৈঠকে তিনি ক্যাবিনেটের মন্ত্রীদের উদ্দেশে (PM Modi) বলেন, ‘‘জয় পরাজয় রাজনীতির অঙ্গ।’’ ২০১৯-এর তুলনায় ২০২৪-এ আশাতীত ফল না হওয়ার জন্যই প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    শেষ ক্যাবিনেট বৈঠকে আবেগপ্রবণ ভাষণ মোদির

    ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, “জয় পরাজয় রাজনীতির অঙ্গ। মোট প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা কখনও বেড়েছে কখনও কমেছে। সংখ্যার খেলা চলতেই থাকবে। আমরা দশ বছরে ভালো কাজ করেছি এবং আগামী দিনেও সেই কাজ করে যাব। আপনারা সকলেই ভাল কাজ করেছেন এবং আগামী দিনেও দিশা দেখাবেন।” সূত্রের খবর ক্যাবিনেটের শেষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি ৩.০ কীভাবে কাজ করবে সে বিষয়ে মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন(Modi Emotional Speech)।

    তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হলে রেকর্ড ছোঁবেন মোদি

    প্রসঙ্গত মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বের হয়। শেষ দুবার বিজেপি একার দমে ২৭২ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতার সংখ্যা পেরিয়ে যায়। কিন্তু এবার এনডিএ জোট সরকার হিসেবে ক্ষমতায় আসার ইঙ্গিত দিয়েছে (Modi Emotional Speech) । সবচেয়ে বড় দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেও ২৭২ এর ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। অন্যদিকে এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে অনেক দূরে খিচুড়ি জোটের সংখ্যা। তা সত্ত্বেও জোটের নেতারা আস্ফালন দেখালেন। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হবেন জেনেও মোদির (PM Modi) মুখে শান্তির লেশমাত্র যেন ছিল না।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিলেন পদত্যাগপত্র, ৮ জুন প্রধানমন্ত্রী পদে তৃতীয়বার শপথ মোদির

    তবে আরেকটা রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জওহরলাল নেহেরুর পর তিনিই হবেন দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি তিনবার দেশের মসনদে বসবেন।প্রসঙ্গত বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদি। ইস্তফা দিলেও পরবর্তী সরকার গঠন না হওয়া অবধি তিনিই থাকবেন দেশের কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী। বড় অঘটনা না ঘটলে এনডিএ দেশের সরকার গড়বে আগামীতে এটাই প্রায় নিশ্চিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lucknow: ‘ভোট-প্রতিশ্রুতি’র ১ লক্ষ টাকা নিতে লখনউ কংগ্রেস দফতরে ভিড় জমালেন মুসলিম মহিলারা

    Lucknow: ‘ভোট-প্রতিশ্রুতি’র ১ লক্ষ টাকা নিতে লখনউ কংগ্রেস দফতরে ভিড় জমালেন মুসলিম মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪ লোকসভা ভোটের ফলাফল। ফলাফলে ইন্ডিয়া জোট অপ্রত্যাশিতভাবে উত্তর প্রদেশে বিজয়ী হয়েছে। আর সেই ফল প্রকাশের পরেই বুধবার লখনউ (Lucknow) এর একটি কংগ্রেস অফিসের বাইরে প্রচারের সময় প্রতিশ্রুত ‘গ্যারান্টি কার্ডের’ দাবিতে ভিড় জমায় অসংখ্য মহিলা। কারন নির্বাচনের আগে প্রচারের সময় কংগ্রেস অনেক পরিবারকে ‘গ্যারান্টি কার্ড’ বিতরণ করেছিল। একইসঙ্গে প্রতি দরিদ্র পরিবারের মহিলা প্রধানকে বার্ষিক ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। আর এদিন সেই প্রতিশ্রুতির দাবি নিয়েই কংগ্রেস অফিসের (Congress office) বাইরে ভিড় জমান অসংখ্য মহিলা। 

    প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ (Lucknow)

    সম্প্রতি একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এই গরমে রোদ মাথায় নিয়ে বেশ কিছু সংখ্যক মুসলিম মহিলা লখনউতে কংগ্রেস অফিসের (Congress office)  বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের মধ্যে কিছু মহিলা ‘গ্যারান্টি কার্ড’ দাবি করেছেন। অন্যদিকে যারা ইতিমধ্যে তাদের গ্যারান্টি কার্ড পেয়েছেন তারা তাদের অ্যাকাউন্টে প্রতিশ্রুত অর্থ জমা দেওয়ার জন্য ফর্ম জমা দিয়েছেন। কেউ কেউ দাবি করেছেন যে তারা তাদের ফর্ম জমা দেওয়ার পরে কংগ্রেস অফিস থেকে রসিদ পেয়েছেন।

     

    ‘ঘর ঘর গ্যারান্টি’ কর্মসূচি  

    নির্বাচনের আগেই কংগ্রেস ২৫টি গ্যারান্টি কার্ড সহ প্রায় ৮ কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছানোর জন্য ‘ঘর ঘর গ্যারান্টি’ কর্মসূচি চালু করেছিল। এর মধ্যে ছিল মহালক্ষ্মী স্কিম, যা দারিদ্র্য সীমার নীচে (বিপিএল) পরিবারের মহিলা প্রধানদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রতি মাসে ৮,৫০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। এই প্রকল্পটি আসলে কর্ণাটকের কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন গৃহ লক্ষ্মী প্রকল্পের অনুরূপ। যদিও কর্ণাটকে দরিদ্র পরিবারের মহিলা প্রধানদের ২,০০০ টাকা প্রদান করে এই স্কিম।  

    আরও পড়ুন: সপ্তাহের শেষে শিয়ালদহ ডিভিশনে বাতিল বহু ট্রেন! আবারও ভোগান্তির আশঙ্কা নিত্য যাত্রীদের

    অন্যদিকে ইন্ডি জোট ক্ষমতায় এলে এসব সুযোগ সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে সম্প্রতি অনেক মহিলা বেঙ্গালুরুর জেনারেল পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট খুলতে ছুটে এসেছেন। কারন তাঁরা আশা করেছিলেন যদি ইন্ডি জোট কেন্দ্রে ক্ষমতা পায় তাহলে মাসিক ৮,৫০০ টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে জমা হবে। তবে ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেছে ইন্ডি জোট এক্সিট পোলকে মিথ্যে করে দিয়ে ২৩৪টি আসনে জয়ী হয়েছে। একইসঙ্গে এনডিএ পরবর্তী সরকার গঠনের জন্যও প্রস্তুত করেছে নিজেদের। কারন বিজেপির (BJP) নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৯২টি আসন লাভ করে, ২৭২টি আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অতিক্রম করেছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: মনোজের ওপর আস্থা রাখলেন আলিপুরদুয়ারবাসী, শহরাঞ্চলে বাজিমাত করল বিজেপি

    Alipurduar: মনোজের ওপর আস্থা রাখলেন আলিপুরদুয়ারবাসী, শহরাঞ্চলে বাজিমাত করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ফের বাজিমাত করল বিজেপি। ২০১৯ এ প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটের ব্যবধানে আলিপুরদুয়ারের এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থী জন বারলা। এবার জয়ের মার্জিন কমলেও এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিজ্ঞার ওপর আস্থা রেখেছেন আলিপুরদুয়ারবাসী।

    শহরাঞ্চলে বাজিমাত করেছে বিজেপি (Alipurduar)

    চা বলয়ের মধ্যে মাদারিরহাট বিধানসভা এলাকায় রয়েছে মানোজ টিগ্গার বাড়ি। গত লোকসভায় ৪৩ হাজার ৮৩৮ ভোটের ব্যবধানে  তৃণমূল প্রার্থীর থেকে এগিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। এবারে বিজেপি প্রার্থী প্রায় ৯০০০ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। তবে, তৃণমূলের ভোট আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। একইভাবে কালচিনি, ফালাকাটা বিধানসভায় গত লোকসভার তুলনায় চা বলয়ে ভোটের ব্যবধান কমিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক চা বলয়ে জোরদার টক্কর দিলেও পুরসভাসহ শহরাঞ্চলের ভোটে খারাপ ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদল সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ও ফালাকাটা পুরসভার সবকটি ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। অথচ গত প্রায় দু বছর আগে পুরসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬ টি তে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হন। ফালাকাটায় ১৮ টি ওয়ার্ডের সবকটি ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে এসেছিল। আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ও আলিপুরদুয়ার দুই পুরসভার ফল খারাপ হওয়ার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে বলে দলের আন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপির বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকে শাসকদলে যোগদান করিয়েও আলিপুরদুয়ার বিধানসভা এলাকায় বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাতে পারেনি তৃণমূল।

    আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি, জয়ী প্রার্থীকে দিল্লিতে তলব

     উন্নয়ন করা আমার একমাত্র লক্ষ্য

    বিজেপি সাংসদ (Alipurduar) মনোজ টিগ্গা বলেন, মানুষ ফের বিজেপির ওপর আস্থা রেখেছেন। সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তবে, গতবারের তুলনায় আমাদের জয়ের ব্যবধান কমেছে। চা বলয়ে মূলত আমাদের ভোট কিছুটা কমেছে। তবে, এরজন্য কাউকে দায়ী না করে চা বলয়ে কেন ভোট কমল, সেটা আমরা দলগতভাবে বসে আলোচনা করে কারণ খুঁজে বের করতে হবে। জেলার আরও উন্নয়ন করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 37: “তিনি বিভুরূপে সর্বভূতে আছেন, পিঁপড়েতে পর্যন্ত, কিন্তু শক্তিবিশেষ”

    Ramakrishna 37: “তিনি বিভুরূপে সর্বভূতে আছেন, পিঁপড়েতে পর্যন্ত, কিন্তু শক্তিবিশেষ”

    চতুর্থ অধ্যায়

    জ্ঞান ও বিজ্ঞান, অদ্বৈতবাদ, বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ ও দ্বৈতবাদ—এই তিনের সমন্বয়

    Reconciliation of Non-Dualism, Quality Non-Dualism.

    জ্ঞানীর পথও পথ। জ্ঞান-ভক্তির পথও পথ। আবার ভক্তির পথও পথ। জ্ঞানযোগও সত্য, ভক্তিপথও সত্য—সব পথ দিয়ে তাঁর কাছে যাওয়া যায়। তিনি যতক্ষণ আমি রেখে দেন, ততক্ষণ ভক্তিপথই সোজা।

    বিজ্ঞানী দেখে ব্রহ্ম অটল, নিস্ক্রিয়, সুমেরুবৎ। এই জগৎসংসার তাঁর সত্ত্ব রজঃ তমঃ তিন গুণে রয়েছে। তিনি নির্লিপ্ত (Ramakrishna)।

    বিজ্ঞানী দেখে যিনিই ব্রহ্ম তিনিই ভগবান, যিনিই গুণাতীত, তিনিই ষড়ৈশ্বর্যপূর্ণ ভগবান। এই জীবজগৎ মন-বুদ্ধি, ভক্তি-বৈরাগ্য-জ্ঞান—এ-সব তাঁর ঐশ্বর্য। (সহাস্য) যে বাবুর ঘর-দ্বার নাই, হয়তো বিকিয়ে গেল সে বাবু কিসের বাবু। (সকলের হাস্য) ঈশ্বর (Ramakrishna) ষড়ৈশ্বর্যপূর্ণ। সে ব্যক্তির যদি ঐশ্বর্য না থাকত তাহলে কে মানত! (সকলের হাস্য)

    বিভুরূপে এক—কিন্তু শক্তিবিশেষ

    দেখ না, এই জগৎ কি চমৎকার। কতরকম জিনিস—চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র। কতরকম জীব। বড়, ছোট, ভাল, মন্দ, কারু বেশি শক্তি, কারু কম শক্তি।

    বিদ্যাসাগর—তিনি কি কারুকে বেশি শক্তি, কারুকে কম শক্তি দিয়েছেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তিনি বিভুরূপে সর্বভূতে আছেন, পিঁপড়েতে পর্যন্ত, কিন্তু শক্তিবিশেষ। তা না হলে একজন লোকে দশজনকে হারিয়ে দেয়, আবার কেউ একজনের কাছ থেকে পালায়, আর তা না হলে তোমাকেই বা সবাই মানে কেন? তোমার কি শিং বেরিয়েছে দুটো? (হাস্য) তোমার দয়া, তোমার বিদ্যা আছে—অন্যের চেয়ে, তাই তোমাকে লোকে মানে, দেখতে আসে। তুমি এ-কথা মানো কি না? (বিদ্যাসাগর মৃদু মৃদু হাসিতেছেন)।

    আরও পড়ুনঃ “ছাদ যে জিনিসে তৈয়ারি—সেই ইঁট, চুন, সুরকিতেই সিঁড়িও তৈয়ারি”

    আরও পড়ুনঃ “সাপের ভিতরে বিষ আছে, অন্যকে কামড়ালে মরে যায়, সাপের কিন্তু কিছু হয় না।

    আরও পড়ুনঃ “বিদ্যাসাগরের অনেক গুণ…দয়া সর্বজীবে, বিদ্যাসাগর দয়ার সাগর”

    আরও পড়ুনঃ “দক্ষিণেশ্বরের পরমহংস সামান্য নহেন, এক্ষণে পৃথিবীর মধ্যে এত বড় লোক কেহ নাই”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Love Jihad: প্রেমের ফাঁদ পাতা বাংলাদেশে! হিন্দুদের নিয়ে গিয়ে চলছে ইসলামে দীক্ষিতকরণ

    Love Jihad: প্রেমের ফাঁদ পাতা বাংলাদেশে! হিন্দুদের নিয়ে গিয়ে চলছে ইসলামে দীক্ষিতকরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অপহরণ করে বাংলাদেশে নিয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে হিন্দু নারী-পুরুষ-শিশুদের। পরে জোর করে তাঁদের করা হচ্ছে মুসলমান ধর্মে ধর্মান্তকরণ (Love Jihad)। জানা গিয়েছে, পাচারকারীরা নানা অছিলায় হিন্দু তরুণীদের নিয়ে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশে। সেখানেই চলছে জোর করে ধর্মান্তকরণ। সম্প্রতি এমনই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় তাজ্জব প্রশাসন।

    অপহৃত হিন্দু কিশোরী (Love Jihad)

    কিছু দিন আগেই বাংলাদেশের সিপাহিজেলা থেকে অপহৃত হয় বছর পনেরোর এক হিন্দু কিশোরী। জনৈক সাব্বির আহমেদ ও তার বাবা তাকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। এর পরেই বাংলাদেশ প্রশাসন বর্ডার গার্ডকে (বিবিজি) এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়। ভারত থেকে অপহৃত মহিলা কিংবা তরুণীকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার সময় পাকড়াও করার নির্দেশও দেওয়া হয়। বিবিজিকে এই নির্দেশ দেওয়া হলেও, স্থানীয় ম্যারেজ রেজিস্ট্রার এবং আদালতকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়নি। তার জেরেই বন্ধ হয়নি তরুণী অপহরণ কিংবা জোর করে ধর্মান্তকরণ (Love Jihad)। ফলশ্রুতি হিসেবে বাংলাদেশে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে লভ জিহাদ ও হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তকরণ।

    অপহৃত ১১ জন গ্রেফতার

    এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে বলে ২০২০ সালে বাংলাদেশের কিছু মিডিয়া খবর করে। সেই সংবাদ প্রতিবেদনের লিঙ্ক শেয়ার করা নিষিদ্ধ করে দেয় ফেসবুক, কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘনের অজুহাতে। বাংলাদের নামী দৈনিক ‘যুগান্তর’ ও নিউজ পোর্টাল ‘জাগো নিউজ’ একটি প্রতিবেদনে জানায়, রামগঞ্জ উপজিলার লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে স্থানীয় পুলিশ গ্রেফতার করেছে ১১ জন ভারতীয় নাগরিককে। এদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে অপহরণ করে নিয়ে আসা হয়েছিল, করা হয়েছিল ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তকরণও। মৌলবাদী ঘৃণা প্রচারক মিজানুর রহমান আজহারি স্বয়ং ধর্মান্তকরণের অনুষ্ঠান করেছিল। এই প্রতিবেদন থেকেই জানা গিয়েছিল, ২০০৬ সালে মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে নিখোঁজ হয়ে যায় স্থানীয় কাউন্সিল সদস্য ফতেমা বেগম ও মোজিবল হকের ছেলে মনির হোসেন।

    ওপার বাংলার মনির এপারে এসে শঙ্কর!

    পশ্চিমবঙ্গে এসে সে যোগ দিয়েছিল তবলিঘি জামাতে। শঙ্কর অধিকারী নাম নিয়ে দিব্যি সে বাস করছিল এপার বাংলায়। এখানেই সে এক হিন্দু তরুণীকে বিয়ে করে। এক দশকেরও বেশি সময় এ দেশে বসবাস করার পর মনির ও তাঁর স্ত্রী ফাঁদে পড়ে তবলিঘি জামাতের। ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। জামাতের তরফে মনির ওরফে শঙ্করের সঙ্গে বাংলাদেশের এক ব্যক্তির পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশি এই নাগরিক মনিরকে হিন্দু তরুণী ও মহিলাদের বাংলাদেশের পাচারের অফার দেয়। তাঁদের ইসলামে দীক্ষিত করাতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। তার বিনিময়ে মনিরকে ওই বাংলাদেশি মোটা টাকা মিলবে বলেও টোপ দেয়। টোপ গেলে মনির। জানা গিয়েছে, এ রাজ্যের ছ’জন মহিলা, যাঁদের অধিকাংশই তার স্ত্রীর (যিনি আদতে হিন্দু) আত্মীয়, তাঁদের ভিসা দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশে। মনিরের স্ত্রী ও দুই সন্তানকেও পাঠানো হয় তাঁদের সঙ্গে। সেখানে তাঁদের প্রত্যেককেই জোর করে মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত করা হয়।

    লভ জিহাদের ফাঁদ

    ‘যুগান্তরে’র অন্য এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচাং উপজিলার হিন্দু মহিলা করফুল সরকারকে লভ জিহাদের ফাঁদে ফেলে জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হয়। সে পড়েছিল কাজল মিঞার খপ্পরে। প্রেমের জালে (Love Jihad) জড়িয়ে তাঁকে মুসলমান করার পর ফের হিন্দু ধর্মে ফিরে আসেন করফুল। এতেই খেপে যান স্থানীয় মুসলমান নেতারা। তাঁকে তাঁর বাবার বাড়ির বাইরে বসবাস করতে বাধ্য করেন। শর্ত দেওয়া হয়, তাঁর বাবা-সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের হিন্দু ধর্ম ছেড়ে মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত হলে, তবেই মিলবে এক সঙ্গে বসবাসের অনুমতি।

    হিন্দু পরিবারকে মুসলমান হতে চিঠি!

    বাংলাদেশের এক প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামিম আহমেদ। সে-ও এক হিন্দু তরুণীকে অপহরণ করে বিয়ে করে জোর করে দীক্ষিত করে মুসলমান ধর্মে। পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করায় গ্রেফতার করা হয় শামিমকে। ২০২৩ সালের অগাস্টে কয়েকজন মুসলমান ঐশী বণিক নামে এক হিন্দু তরুণীকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতে বাধ্য করে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নামকরা বাংলা দৈনিক ‘ইত্তেফাকে’র একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ, সে দেশের কয়েকজন মুসলমান মাগুরা জেলার ৫০টি হিন্দু পরিবারকে মুসলিম ধর্মে দীক্ষিত হতে হবে বলে চিঠি দেয়। ওই ঘটনায় চারজন মুসলমানকে গ্রেফতার করেছিল বাংলাদেশের প্রশাসন। যদিও তারা প্রত্যেকেই জামিন পেয়ে যায়।

    অন্য একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সৌদি আরবে ৩ লাখ ৪৭ হাজার হিন্দুকে ইসলামি গ্রুপের তরফে মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার টোপ দেওয়া হয়। ৩ লাখ ৪৭ হাজার হিন্দু ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন বলে ভুয়ো খবরও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তান এবং আরও কয়েকটি দেশেও রমরমিয়ে চলছে জোর করে ধর্মান্তকরণের ব্যবসা।

    আর পড়ুন: রেকর্ড গড়ল বিজেপি, বিরোধীশূন্য মধ্যপ্রদেশ পদ্মময়

    বাংলাদেশেরই আর একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ক্রমাগত চাপের কাছে নতি স্বীকার করে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের মাদারিপুরের হিন্দু দম্পতি অশোক মিত্র ও তাঁর স্ত্রী পার্বতী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এই মাসেই জনৈক সাগরিকা দাস লভ জিহাদের খপ্পরে পড়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতে বাধ্য হন। চেন্নাই পুলিশ কীভাবে আন্তর্জাতিক লভ জিহাদের একটি ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে দিয়েছিল, সে খবর ফাঁস করে বাংলাদেশের নিউজ পোর্টাল ‘বাংলা ট্রিবিউন’।

    ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যখন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ হিসেবে, তখন জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিল অনেক হিন্দু পরিবার। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৪ বছর আগে। যদিও আজও সেই ট্র্যাডিশন সমানে (Love Jihad) চলছে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Delhi Liquor Scam: আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির চার্জশিটে বিপদ বাড়ল বিআরএস নেত্রী কে কবিতার

    Delhi Liquor Scam: আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির চার্জশিটে বিপদ বাড়ল বিআরএস নেত্রী কে কবিতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে উঠে এলে মারাত্মক অভিযোগ। বিআরএস (BRS) নেত্রী কে কবিতা ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার (Delhi Liquor Scam) নয়ছয়ে যুক্ত বলে চার্জশিটে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ। ইডির আইনজীবীর তরফে বিচারক কাবেরী বেওয়েজার কাছে এই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়, যিনি সোমবার কবিতার বিচারবিভাগীয় হেফাজত ৩ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছিলেন।

    সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে মারাত্মক অভিযোগ (Delhi Liquor Scam)

    তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)-এর কন্যা কে কবিতার বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করার আদেশের অনুসরণে আদালতে হাজির করার পর বিচারক তাঁর জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন। ২৯ মে এই মামলায় বিআরএস নেত্রীর (K Kavitha) বিরুদ্ধে চার্জশিট আসার পর আদালত এই জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করে। আদালত তিন সহ-অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রিন্স, দামোদর এবং অরবিন্দ সিংকেও ইতিমধ্যে জামিন দিয়েছে। ইডি (Delhi Liquor Scam) তদন্তের সময় গ্রেপ্তার না করেই ওই তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল। “এখন পর্যন্ত তদন্ত অনুসারে, চিহ্নিত অপরাধের ১,১০০ কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে যার মধ্যে , যার মধ্যে ২৯২.৮ কোটির সরাসরি নয়ছয়ের সঙ্গে যুক্ত কবিতা। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কার্যকলাপের মাধ্যমে যেমন কবিতা, চমপ্রীত সিং, প্রিন্স কুমার, দামোদর শর্মা এবং অরবিন্দ সিং, অপরাধের বিপুল অর্থ উপার্জন করা হয়েছে, “চার্জশিটে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে যে কবিতা ২৯২.৮ কোটির নয়ছয়েতে জড়িত ছিল। যার মধ্যে কতিপয় নেতাদের ১০০ কোটির কিকব্যাক দেওয়া হয়েছিল। “কবিতা সাউথ গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে এবং কতিপয় নেতাদের সাথে মিলে অভিযুক্ত বিজয় নায়ারের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা কিকব্যাক দিতে এবং অযাচিত সুবিধা পাওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল,” চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে।

    তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও সাক্ষীদের প্রভাবিত করার অভিযোগ কবিতার বিরুদ্ধে

    কবিতা, তাদের মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে সরকারী কর্মকর্তাদের কিকব্যাক প্রদান করে, ১০০ কোটি টাকার প্রুফ অফ কন্সেপ্ট তৈরিতে অংশ নিয়েছে, চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে যে তিনি তারপরে সরকারী কর্মকর্তাদের কাছে এই পিওসি স্থানান্তরে অংশ নিয়েছিলেন। কবিতার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি তাঁর মোবাইল ফোনের সমস্ত প্রমাণ মুছে ফেলেছেন। তিনি পরীক্ষার জন্য নয়টি ফোন উপস্থাপন করেছিলেন, যেগুলি ফরম্যাট করা হয়েছিল এবং ফোনে কিছু ছিল না। তিনি ফোন কেন ফর্ম্যাট করা হয়েছিল তাঁর কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

    আরও পড়ুন: বিজেপি ফের চারে-চার! হিমাচল প্রদেশে দাগ কাটতে পারল না কংগ্রেস

    ইডি আরও অভিযোগ করেছে যে, কবিতা সাক্ষীদের প্রভাবিত করার কাজেও জড়িত ছিল। কথিত (Delhi Liquor Scam) কেলেঙ্কারিতে ইডি এবং সিবিআই দায়ের করা দুটি মামলায় ৪৬ বছর বয়সি বিআরএস নেত্রী বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। “কেলেঙ্কারি” ২০২১-২২ এর জন্য দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে কথিত দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের সাথে সম্পর্কিত যা পরে বাতিল করা হয়েছিল। ১৫ মার্চ কবিতাকে হায়দরাবাদের বানজারা হিলসের বাড়ি থেকে ইডি গ্রেফতার করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Adhir Chowdhury: হারের পর কি রাজনীতি ছাড়ছেন অধীর? কী বললেন সাংবাদিক সম্মেলনে?

    Adhir Chowdhury: হারের পর কি রাজনীতি ছাড়ছেন অধীর? কী বললেন সাংবাদিক সম্মেলনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুর লোকসভার পাঁচ বারের সাংসদ ছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। টানা ২৫ বছর ধরে দিল্লি, বহরমপুরে রাজনৈতিক জীবন কাটিয়েছেন। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে নিজের কেন্দ্রে তৃণমূলের কাছে পারাজিত হয়েছেন তিনি। যদিও নির্বাচনের আগে ঘোষণা করেছিলেন যে, হেরে গেলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। একইভাবে, ইন্ডি জোট নিয়ে এই রাজ্যে মমতাকে সমর্থন করার বিষয়ে দলের সঙ্গে মতান্তর হয়েছিল তাঁর। পাল্টা দলের জাতীয় সভাপতির কাছ থেকে দল ছেড়ে গেলে কিছুই যাবে আসবে না এমন মন্তব্য শুনতে হয়েছিল। কিন্তু অধীর নিজের ভাবনায় স্থির ছিলেন।

    পরাজয়ের পর কী বললেন অধীর (Adhir Chowdhury)?

    নিজের পরাজয়ের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে অধীর (Adhir Chowdhury) বলেন, “হেরে যাওয়া মানে হেরেই যাওয়া। আমার কোনও অভিযোগ নেই। আমি আমার কথা থেকে সরে আসিনি। আমার সিদ্ধান্ত আমি স্পষ্ট করে জানাব। আপনারা জানেন এখানে কোনও ভোট হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে সমীকরণ বদলে গিয়েছে। ইন্দিরা গান্ধী, রাহুল গান্ধীকেও নির্বাচনে হারতে হয়েছিল। আমিও ভোটে হেরেছি। মানুষ আমাকে ভোট দেননি এটাই সত্য। আমিও মানুষের রায় মেনে নিলাম।”

    আরও পড়ুনঃ ক্যানিংয়ে তৃণমূলের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর! দিকে দিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

    আর কী বললেন?

    সাংবাদিক সম্মেলন করে অধীর (Adhir Chowdhury) আরও বলেন, “আমরা এই নির্বাচনে এটা কখনই বলিনি সারা পশ্চিমবঙ্গে জয়ী হব। কিন্তু আমাদের যেখানে যেখানে সম্ভব ছিল আমরা চেষ্টা করেছি। আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে লড়াই করেছি। তবে হ্যাঁ, এখন পরাজয় স্বীকার করছি। ইউসুফ পাঠানকে আমি অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। বঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষের উপর চরম আঘাত আসতে চলেছে। মোদি কখনই ৪০০ সিট পাবেন না বলে আমরা আগেই জানিয়ে দিয়েছি। কিন্তু কিছু সংবাদ মাধ্যম মোদির হয়ে প্রচার করেছে। রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা আমাদের আরও শক্তিশালী করেছে। কঠোর পরিশ্রম এবং মানুষের বিশ্বাস আমাদের বড় জয়ের দিকে নিয়ে গিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share