Tag: bangla news

bangla news

  • Sealdah Division: সপ্তাহান্তে শিয়ালদা ডিভিশনে বাতিল বহু ট্রেন! আবারও যাত্রী-ভোগান্তির আশঙ্কা

    Sealdah Division: সপ্তাহান্তে শিয়ালদা ডিভিশনে বাতিল বহু ট্রেন! আবারও যাত্রী-ভোগান্তির আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটতেই আবারও যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা শিয়ালদা ডিভিশনে (Sealdah Division)। বাতিল হতে পারে বহু ট্রেন। ৭ জুন অর্থাৎ শুক্রবার থেকে তিনদিন ট্রেন বাতিলের পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব রেল। মঙ্গলবার ভোটের ফল প্রকাশ হতেই আলোচনায় বসেন রেলকর্তারা। আগামী শুক্রবার থেকে টানা তিনদিনে বেশ বহু ট্রেন বাতিলের (Local train cancelled) পাশাপাশি বহু ট্রেনের যাত্রাপথেও কাটছাঁট করা হবে।

    কী কারণে ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত? 

    শিয়ালদা মেইন এবং বনগাঁ শাখায় প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ সহ ইন্টারলকিংয়ের কাজের পরিকল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই করছিল রেল। তবে এতদিন ধরে ভোট চলার কারণে যাত্রী হয়রানির কথা ভেবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হয়নি। তবে এবার ভোট মিটতেই সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। বুধবার রেলের কর্তারা বৈঠক করেছেন। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কাজের জন্য মেগা পাওয়ার ব্লক করা হবে। সেই কারণে শিয়ালদা ডিভিশনের (Sealdah Division) বেশ কিছু শাখায় বহু ট্রেন বাতিল (Local train cancelled) থাকবে।

    পূর্ব রেল সূত্রের খবর, ১২ কোচের ট্রেন চালানোর জন্য প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ করা হবে। এর পাশাপাশি রেল চলাচলকে আরও মসৃণ করতে ইন্টারলকিংয়ের কাজ করা হবে। তার জন্য শিয়ালদা মেইন এবং বনগাঁ শাখায় পাওয়ার ব্লক করা হবে। ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এই কাজ হবে।  এই সমস্ত কারণে শিয়ালদা ডিভিশনে (Sealdah Division) প্রচুর সংখ্যক ট্রেন বাতিল (Local train cancelled) করা হবে। এছাড়া বহু ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর পর্যন্ত চলতে পারে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী পদে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিলেন পদত্যাগপত্র

    সড়ক পথে অতিরিক্ত যান চালানোর আবেদন 

    রেলের এই সিদ্ধান্তে সপ্তাহের শেষে টানা তিন দিন শিয়ালদা মেন (Sealdah Division) ও বনগাঁ শাখার যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে। তাই যাত্রী দুর্ভোগ এড়াতে সড়ক পথে অতিরিক্ত যান চালানোর জন্য সরকারের কাছে রেলের পক্ষ থেকে আবেদন করা হবে। একইসঙ্গে এ প্রসঙ্গে রেলের তরফে তরফে জানানো হয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণ কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত রেল লাইন রক্ষণাবেক্ষণ করলে বড়সড় মেরামতি এবং যন্ত্রাংশ পাল্টানোর প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। সেক্ষেত্রে যাত্রী হয়রানি কমানো সম্ভব হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tomato: স্যালাড কিংবা তরকারিতে নিয়মিত একটা টম্যাটো খেলে কমবে পাঁচ রোগের ঝুঁকি! 

    Tomato: স্যালাড কিংবা তরকারিতে নিয়মিত একটা টম্যাটো খেলে কমবে পাঁচ রোগের ঝুঁকি! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্যালাড হিসেবে, কিংবা স্যান্ডুইচে কয়েক টুকরো টম্যাটো (Tomato) ব্যবহার করা হয়। অথবা, যে কোনও নিরামিষ কিংবা আমিষ তরকারিতেও দেওয়া হয় টম্যাটো। আর নিয়মিত টম্যাটো খেলে উপকার অনেক! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত অন্তত একটি টম্যাটো খেলে কমবে একাধিক রোগের ঝুঁকি। তাই ভারী খাবারের সঙ্গে স্যালাড হিসেবে কিংবা যে কোনও তরকারিতে টম্যাটো ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। জেনে নিন, কোন কোন রোগের ঝুঁকি কমায় টম্যাটো?

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় (Tomato)

    হৃদ সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগের একাধিক লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। এমনকি দেশ জুড়ে বেড়েছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। টম্যাটো হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, টম্যাটোতে রয়েছে একাধিক ভিটামিন এবং টম্যাটোয় শর্করার পরিমাণ কম থাকে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত টম্যাটো খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে।

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়

    টম্যাটো রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, টম্যাটোতে (Tomato) থাকে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে‌ তোলে। তাই নিয়মিত টম্যাটো খেলে নানা ধরনের ভাইরাস ঘটিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হয়। দেহে প্রতিরোধ শক্তি বেড়ে যায়।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের বিশেষ সাহায্য করে (Tomato)

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য টম্যাটো বিশেষ উপকারী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে টম্যাটো খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাই ডায়াবেটিস রুখতে নিয়মিত টম্যাটো খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

    টম্যাটো অন্ত্রের জন্য ভালো। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত টম্যাটো (Tomato) খেলে অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিকমতো হয়। এর জেরে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর হয়। 

    তবে, শিশু ও বয়স্কদের টম্যাটো খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্ক থাকা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, টম্যাটো অনেক সময় হজম করতে সময় লাগে। বিশেষত হজমের সমস্যা থাকলে টম্যাটো নিয়মিত খাওয়া উচিত নয়। তাতে নানান সমস্যা বাড়তে পারে। তাই শিশু ও বয়স্করা নিয়মিত টম্যাটো হজম করতে পারছে কিনা, সেদিকে নজর রেখেই মেনুতে টম্যাটো (Tomato) রাখা যাবে কিনা,তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি, জয়ী প্রার্থীকে দিল্লিতে তলব

    Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি, জয়ী প্রার্থীকে দিল্লিতে তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা রাজ্যে বিজেপির বেশ কিছু আসন সংখ্যা কমলেও জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি। ভোটের ফল ঘোষণার পরই জলপাইগুড়িতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা উল্লাসে মেতে ওঠেন। লোকসভার প্রায় সবকটি বিধানসভা এলাকাতেই বিজেপি তাদের জয়ের ধারা বজায় রেখেছে।

    আবির খেলায় মেতে ওঠেন (Jalpaiguri)

    ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও এই আসন জয় লাভ করেছিল বিজেপি। এবারও সেই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মানুষ বিজেপির ওপরই ভরসা রাখলেন এবারেও। ৮৬ হাজারের ও বেশি ভোটে জয়লাভ করেছেন বিজেপির প্রার্থী জয়ন্ত রায়।  বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, “সাংসদ হিসেবে গত পাঁচ বছরে এলাকার জন্য প্রচুর কাজ করেছেন তিনি। যেমন, বেশ কিছু ট্রেনের স্টপেজের ব্যবস্থা করেছেন। পাশাপাশি সমস্ত রেলস্টেশনগুলিকে উচ্চ মানের পরিকাঠামো তৈরি এবং যাত্রীদের বিভিন্ন সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন। জলপাইগুড়ি হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজে উন্নিত হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই, জলপাইগুড়ির মানুষ এবারও জয়ন্ত রায় কে দুহাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন।” এবারও দলীয় প্রার্থী জয়লাভ করার পর কর্মীরা আবির খেলায় মেতে ওঠেন।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম-সন্দেশখালিতে বিজেপির জয়, নত মস্তকে প্রণাম জানালেন শুভেন্দু

     জয়ী প্রার্থীকে দিল্লিতে তলব

    এলাকায় নানা উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করে সাধারণ মানুষের কাছে নিজেকে প্রমাণ করেছেন জয়ন্তবাবু। আর তাতেই সাধারণ মানুষও তাঁকে আশীর্বাদ করেছেন। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। জেলার প্রতিটি প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন। পাশাপাশি প্রত্যেকটি এলাকার সমস্যা শুনে তা সমাধানে এগিয়ে এসেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে দিল্লি তলব করেছেন। বুধবারই তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। সূত্রের খবর, এবার তিনি কেন্দ্রের মন্ত্রীসভায় স্থান পেতে চলেছেন। সেই কারণেই তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। যদি তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায় জায়গা পান, তাহলে এই এলাকার আরও উন্নতি হবে বলে আশা এলাকাবাসীর।

    জলপাইগুড়ির আরও বেশি উন্নয়ন করা আমার একমাত্র লক্ষ্য

    দ্বিতীয়বার জয়ী হয়ে জয়ন্ত রায় বলেন, গত পাঁচ বছর আমি জেলাবাসীর (Jalpaiguri) সঙ্গে ছিলাম। তাঁদের কথা রাখার চেষ্টা করেছি। তাঁরা ফের আমার ওপর আস্থা রাখাই আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। আগামীদিনে জলপাইগুড়ির আরও বেশি উন্নয়ন করা আমার একমাত্র লক্ষ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ক্যানিংয়ে তৃণমূলের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর! দিকে দিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

    Post Poll Violence: ক্যানিংয়ে তৃণমূলের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর! দিকে দিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল (Post Poll Violence) ঘোষণা হয়েছে। তৃণমূল ২৯টি আসনে জয়ের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ছাড়া করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দুষ্কৃতীরা লাঠি, বন্দুক, বাঁশ নিয়ে বাসিন্দাদেরকে হুমকি দিচ্ছে অনবরত। আক্রান্ত বিজেপির কর্মীদের বক্তব্য, “তৃণমূল হুমকি দিয়ে বলে গিয়েছে, এলাকায় থাকতে গেলে বিজেপি করা যাবে না।” অপর দিকে ক্যানিংয়ে বিজেপি নেত্রীর মায়ের চোখ মেরে ফাটিয়ে দিল তৃণমূল। উল্লেখ্য ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিরোধীরা, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল।

    ক্যানিংয়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা (Post Poll Violence)

    মঙ্গলবার রাতে ক্যানিং থানার দিঘিরপাড় পঞ্চায়েতের কাঠপোল এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে আক্রমণ (Post Poll Violence) করেছে। গুরুতর জখম হয়েছেন বিজেপি নেত্রীর স্বামী অসীম কুমার দাস ও মা অনিতা সিনহা। হামলার পর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। বিজেপি নেত্রী বলেন, “রাত নটার পর অস্ত্র হাতে হামলা চালায় ওরা। হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। এর আগেও হামলা হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েও রেখেছিলাম। আমি সে সময় বাড়িতে ছিলাম না, তখনই হামলা হয় আমার মা ও স্বামীর ওপর। ইতিমধ্যে পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছি।”

    মধ্যমগ্রামে বাড়ি ভাঙচুর

    ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রায় ১০-১২টি বাড়ি ভাঙচুর (Post Poll Violence) হয়েছে মধ্যমগ্রাম বিধানসভার নেতাজী পল্লী এলাকায়। গতকাল রাতে ডাক্তার কাকলি ঘোষ দস্তিদারের জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর এই এলাকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হাতে লোহার রড বাস বন্দুক নিয়ে তাণ্ডব চালায়। বিজেপির কার্যালয়ের সাটারে লাগাতার লোহার রড দিয়ে মারতে থাকে এবং সেই সঙ্গে ওই বাড়ি ভাঙচুর চালায় গুন্ডারা। কখনও মহিলাদের বন্দুকের নল ঠেকিয়ে দেওয়া হয় হুমকি। আবার কখনও বিজেপি করার অপরাধে লাগাতার কিল ঘুষি চড় মারে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে। বাহিনী চলে যাবার পরে আবার দুষ্কৃতীরা এসে তাণ্ডব চালায়, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি দত্তপুকুর থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুনঃ গণনার পর রাতভর চলল বারাকপুর-নৈহাটি-ভাটপাড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    নিউটাউনে বাড়ি ভাঙচুর

    ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) এবার নিউটানে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাংচুর হয়েছে। অভিযোগ মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে নিউটাউনের বিবেকানন্দ পল্লী এলাকায় এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় ১২ থেকে ১৪ জন পাথর, লাঠি ও মদের বোতল নিয়ে হামলা চালায়। শুধু তাই নয় ২টি বাইক ভাঙচুর করা হয়। মদের বোতল মেরে বাড়ির জানলার কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনায় বিজেপির মূল অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিলেন পদত্যাগপত্র, ৮ জুন প্রধানমন্ত্রী পদে তৃতীয়বার শপথ মোদির

    PM Modi: রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিলেন পদত্যাগপত্র, ৮ জুন প্রধানমন্ত্রী পদে তৃতীয়বার শপথ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জানা গিয়েছে আগামী শনিবার, ৮ জুন রাত ৮টা নাগাদ শপথ নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ (Lok Sabha Election Results) হয়েছে। কেন্দ্রে এবারও ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। তাই এবার সরকার গঠনের পালা। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরুর পর মোদি তৃতীয় মেয়াদে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। 

    বর্তমান পদ থেকে ইস্তফা মোদির (PM Modi)

    সরকার গঠন নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে বুধবার দুপুরে নরেন্দ্র মোদি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করতে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছন। রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতির হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন তিনি। রাষ্ট্রপতি তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত এই পদের দায়িত্ব সামলাতে মোদিকে (PM Modi) অনুরোধ করেছেন মুর্মু। 
    প্রসঙ্গত, এবারের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election Results) বিজেপি ২৪০টি আসনে জয়ী হয়েছে, যা ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সরকার গড়ার পক্ষে যথেষ্ট নয়। লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন। কিন্তু সবমিলিয়ে এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯২টি আসন। ফলে সরকার গঠনে ৩২টি আসনের জন্য শরিক দলগুলির উপর নির্ভর করতে হচ্ছে বিজেপি-কে। এই প্রথম বার সহযোগীদের সমর্থনের উপর নির্ভর করে সরকার গড়তে হবে বিজেপিকে (BJP)। যেখানে শরিকদলগুলির বড় ভূমিকা থাকবে। 

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে ৯০ শতাংশের বেশি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

    বুধেই বৈঠক এনডিএ দলগুলির   

    বুধবার বিজেপির শরিকদলগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটা বৈঠক রয়েছে। যেখানে চন্দ্রবাবু নাইডু, নীতীশ কুমার সহ একাধিক এনডিএ শরিক উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে এই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার ফলাফল প্রকাশের (Lok Sabha Election Results) পরেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে যান শাহ। সেখানে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়। আর সেই বৈঠকের পরেই আজ বুধবার বৈঠক হতে চলেছে এনডিএ (NDA) দলগুলির মধ্যে। যেখানে আগামী কৌশল এবং মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Honey: নিয়মিত মধু খান? জানেন, শরীরে কী প্রভাব পড়ছে? শিশুদের বিপদ বাড়াচ্ছে না তো? 

    Honey: নিয়মিত মধু খান? জানেন, শরীরে কী প্রভাব পড়ছে? শিশুদের বিপদ বাড়াচ্ছে না তো? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে গরম জলে মিশিয়ে, কিংবা‌‌ জলখাবারে এক চামচ, অথবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে অনেকেই নিয়মিত মধু (Honey) খান। দিনের যে কোনও সময় এক চামচ মধু নিয়মিত খেলে একাধিক উপকার পাওয়া যায় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিশেষত বাড়ির ছোটদের নিয়মিত মধু খাওয়ালে দীর্ঘ জীবনে নানা উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশের সতর্কবার্তা, এক বছরের কম বয়সি শিশুদের একেবারেই মধু খাওয়ানো উচিত নয়। মধুর কিছু উপাদান সদ্যোজাতদের শরীরে সহ্য হয় না। এর জেরে পেটে নানান সংক্রমণ শুরু হয়।  আবার মধু মিষ্টিজাতীয় খাবার, তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা নিয়মিত মধু খেলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে‌। তবে ডায়াবেটিসের সমস্যা না থাকলে কিংবা বয়স এক বছরের বেশি হলে নিয়মিত মধু খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী।

    নিয়মিত মধু খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে? (Honey)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত মধু খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। পাশপাশি যে কোনও সংক্রামক রোগের ঝুঁকিও কমে। কারণ, মধুতে একাধিক প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে‌, যার পুষ্টিগুণ অপরিসীম। পাশপাশি মধুতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি ভাইরাল বৈশিষ্ট্য। এই কারণে ঋতু পরিবর্তনের সময়ে নিয়মিত মধু খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যায়। শরীরে ভাইরাস ঘটিত রোগের প্রকোপ কমে। গলাব্যথা, কাশি কিংবা আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশনের মতো রোগের ঝুঁকিও কমায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত মধু খান, তাঁদের ভাইরাস ঘটিত রোগের প্রকোপ কমে।

    মধু হৃদপিণ্ডের জন্য খুবই উপকারী

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মধু (Honey) নিয়মিত খেলে রক্তে পলিফোনিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাড়ে। এর জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। তাছাড়া, মধু কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়মিত দারুচিনি গুঁড়ো মধু দিয়ে খেলে ১০ শতাংশ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি, বিশেষত হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে। মধু ডায়রিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থুলতা কমাতে মধু বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, মধুতে রয়েছে একাধিক প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান। এর জেরে মধু নিয়মিত গরম জলে খেলে দেহের অতিরিক্ত মেদ সহজেই কমে যায়।

    মধু হজম শক্তি বাড়ায় (Honey)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মধু নিয়মিত খেলে অন্ত্র ভালো থাকে। তাই মধু হজমশক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাছাড়া, মধু ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মধু দেহের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে‌। মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। তাই মধু নিয়মিত খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। ত্বকের শুষ্কভাব কমে যায়। তাই যাঁরা নিয়মিত মধু খান, তাঁদের ত্বকের সমস্যা কম থাকে (Honey)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court on Promotion: পদোন্নতি সাংবিধানিক অধিকার নয়, স্পষ্ট জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court on Promotion: পদোন্নতি সাংবিধানিক অধিকার নয়, স্পষ্ট জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদোন্নতি সাংবিধানিক অধিকার নয়। সম্প্রতি একটি মামলায়, (Supreme Court on Promotion) ভারতের সুপ্রিম কোর্ট (SC) বলেছে, যে সরকারি কর্মচারীরা তাঁদের অধিকার হিসাবে পদোন্নতি  দাবি করতে পারে না। ভারতের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ জানিয়েছে, “ভারতে, কোনও সরকারি কর্মচারী পদোন্নতিকে তাঁদের অধিকার হিসাবে দাবি করতে পারে না। কর্মসংস্থানের প্রকৃতি অনুযায়ী কর্মচারী যে কাজগুলি পালন করবেন বলে আশা করা হবে তার উপর ভিত্তি করে সংস্থা বা দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা পদোন্নতিমূলক পদে শূন্যপদ পূরণের পদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারে। পদোন্নতির জন্য গৃহীত নীতি ‘সেরা প্রার্থী’ নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত কিনা তা সিদ্ধান্ত নিতে আদালত পর্যালোচনায় বসতে পারে না। এটি সংবিধানের ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে সমান সুযোগের নীতি লঙ্ঘন করে।

    সিভিল বিচারকদের পদোন্নতি সংক্রান্ত মামলা

    দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিষয়টি উঠেছিল গুজরাটের জেলা বিচারকদের ক্যাডারে সিভিল জজদের (সিনিয়র ডিভিশন) পদোন্নতি প্রক্রিয়াকে ঘিরে। এক্ষেত্রে, গুজরাট স্টেট জুডিশিয়াল সার্ভিস রুলস, ২০০৫ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সিভিল জজ পদমর্যাদার দুই বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের অধীনে শীর্ষ আদালতের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। গুজরাট হাইকোর্টের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ ছিল যে, ২০২২ সালে সিভিল জজদের (সিনিয়র বিভাগ) বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য গৃহীত নিয়োগে ‘মেরিট-কাম-সিনিয়রিটি’নীতিটি ভুলভাবে প্রয়োগ করেছে। ২০০৫ সালের বিধি নং ৫(১) নিয়মে বলা হয়েছে যে পদোন্নতি ‘মেরিট-কাম-সিনিয়রিটি’ নীতির ভিত্তিতে হওয়া উচিত।

    সর্বোচ্চ আদালতের রায় (Supreme Court on Promotion)

    শীর্ষ আদালতের সাফ কথা, ভারতে কোনও সরকারি কর্মীই পদোন্নতিকে নিজেদের অধিকার বলে দাবি করতে পারে না। কারণ সরকার সংবিধানে এই ধরনের কোনও বিধান নেই। এটা সম্পূর্ণ আইনসভা ও নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিষয়। সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতির অধিকারের বিষয় আইনসভা, কেন্দ্রের ক্ষেত্রে সংসদ এবং রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে বিধানসভার এক্তিয়ারে পড়তে পারে। সংসদ ও বিধানসভাই এ সংক্রান্ত আইন পাশ করার অধিকারী।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে ৯০ শতাংশের বেশি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত!

    পদোন্নতির বিষয়টিতে আদালত যে হস্তক্ষেপ করতে পারে না, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সুপ্রিম কোর্ট নির্দিষ্ট করে জানিয়েছে, সংবিধানে কোনও বিধি লিপিবদ্ধ নেই সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতি নিয়ে। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ভারতে সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতির অধিকার নিয়ে কোনও সাংবিধানিক অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া নেই। কার পদোন্নতি হবে বা হবে না এ নিয়ে পর্যালোচনাও করবে না সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court on Promotion)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himachal Pradesh: বিজেপি ফের চারে-চার! হিমাচল প্রদেশে দাগ কাটতে পারল না কংগ্রেস 

    Himachal Pradesh: বিজেপি ফের চারে-চার! হিমাচল প্রদেশে দাগ কাটতে পারল না কংগ্রেস 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারে-চার! হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) চারটি আসনেই জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা। হিমালয়ের রঙ শুধুই গেরুয়া। দাগ কাটতে পারল না কংগ্রেস। জেতা আসনও হাত থেকে বেরিয়ে গেল! নেপথ্যে বিজেপির বহু চর্চিত তারকা প্রার্থী তথা বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। মাণ্ডী আসনটিতে ৭৪ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন বলিউড কুইন। যা পাল্টে দিয়েছে হিমাচলের অঙ্ক। রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতাসীন থাকলেও ২০১৪ সালের পর থেকে হিমাচলের চারটি লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্রে সে ভাবে তারা দাগ কাটতে পারেনি।

    হিমাচলের হাওয়া

    হিমাচলের (Himachal Pradesh) চারটি কেন্দ্রেই ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে একতরফা জয় পেয়েছিল বিজেপি। দু’বারই ভোটের ফল ছিল চারে চার। তবে এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে সমীকরণটা ছিল অন্যরম। বিজেপির দখলে ছিল তিনটি আসন— হামিরপুর, কাংড়া এবং শিমলা। মাণ্ডী আসনটি কংগ্রেসের দখলে। ২০২১ সালে মাণ্ডীর সাংসদ রামস্বরূপ শর্মার মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে জিতেছিলেন কংগ্রেসের প্রতিভা সিং। তবে এ বার তিনি প্রার্থী হননি। বদলে কংগ্রেস টিকিট দিয়েছিল প্রতিভার পুত্র বিক্রমাদিত্যকে। তাঁকে হারিয়ে দিয়েছেন কঙ্গনা। এই প্রথম বার ভোটে লড়লেন বলিউড কুইন।

    বিজেপির দাপট

    মাণ্ডী ছাড়া হামিরপুর, শিমলা এবং কাংড়া নিয়ে বিশেষ সংশয় ছিল না বিজেপির। হামিরপুরে বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ১ লক্ষ ৮২ হাজার ভোটে জিতেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী করেছিল সৎপাল রায়জাদাকে। কাংড়ায় বিজেপির টিকিটে এবার লড়েছিলেন রাজীব ভরদ্বাজ। তিনি কংগ্রেসের আনন্দ শর্মাকে আড়াই লক্ষ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন। শিমলায় বিজেপির সুরেশ কুমার কাশ্যপও প্রায় ৯০ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন।

    আরও পড়ুন: পর পর তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদে মোদি, বিশ্ব নেতাদের শুভেচ্ছা বার্তা

    অনুরাগে অনুগামী

    হিমাচলে (Himachal Pradesh) গত দুই লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) ফলাফল দেখলে বোঝা যাচ্ছে, হামিরপুরে ২০১৪ সালে ৫৩.৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। কংগ্রেস প্রার্থী রাজেন্দ্র সিং রানাকে হারিয়ে বিজেপির অনুরাগ জিতেছিলেন ৯৮ হাজারেরও বেশি ভোটে। পরের বার ব্যবধান চোখে পড়ার মতো বাড়িয়ে ফেলেন অনুরাগ। ২০১৯ সালে হামিরপুরে প্রায় ৪ লক্ষ ভোটে জেতে বিজেপি। অনুরাগের বিরুদ্ধে সে বার কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন রামলাল ঠাকুর। ভোট পড়েছিল ৭০.৮৩ শতাংশ।

    হামিরপুরে এখন মোট ভোটার ১৪.১১ লক্ষ। অনুরাগ বর্তমানে কেন্দ্রীয় তথ্য এবং সম্প্রচারমন্ত্রী। ক্রীড়া এবং যুব বিষয়ক মন্ত্রকও সামলান তিনি। ২০০৮ সালে এই কেন্দ্র থেকে প্রথম বার উপনির্বাচনে লড়ে জয় পেয়েছিলেন অনুরাগ। পরে ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালেও জেতেন তিনি। হামিরপুরকে বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত করে ফেলেছিলেন অনুরাগ। এবারও তাঁর ব্যতিক্রম হল না। একই কেন্দ্র থেকে পাঁচবার সাংসদ হলেন অনুরাগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Post Poll Violence: গণনার পর রাতভর চলল বারাকপুর-নৈহাটি-ভাটপাড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Post Poll Violence: গণনার পর রাতভর চলল বারাকপুর-নৈহাটি-ভাটপাড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত (Post Poll Violence) ভাটপাড়া সহ গোটা বারাকপুর। ফলাফল ঘোষণার পর গভীর রাত পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ওপর চলে অত্যাচার। যথেষ্টই আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এই ঘটনার পর এলাকায় মোতায়েন হয়েছে পুলিশ।

    নৈহাটিতে ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)

    গতকাল মঙ্গলবার লোকসভার ভোটের ফলাফলে এক তরফা জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর বারাকপুরের বাবুনগরে সারারাত বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ (Post Poll Violence) চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বিজেপি কর্মীদের বাড়ির দরজা, জানালা ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। কাচের জিনিস থেকে শুরু করে চেয়ার, টেবিল এবং দরকারি জিনিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। আবার নৈহাটিতে বিজেপির মহিলা কর্মী অনিন্দিতার বাড়িতে তৃণমূলের গুন্ডারা হামলা চালিয়েছে। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। বিজেপি কর্মী রাজু শ্রীবাস্তবের গাড়ি টিএমসির গুন্ডারা ভেঙে দিয়েছে। বিজেপি কর্মী শুভেন্দু চ্যাটার্জির বাবা এবং জেঠি মাকে তৃণমূলের আশ্রিত গুন্ডারা যেমন ছোটন দাস, আশিস শাউ এবং অন্যান্যরা পিটিয়েছে৷

    ভাটপাড়ায় হিংসা

    আবার ভাটপাড়ার তালা কলোনির এক সাধারণ ভোটারের বাড়িতে চারটি বোমা মারা (Post Poll Violence) হয়। বাড়ির মা বলেছেন, “বড় ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডারা। ভয়ে ছেলেকে মাসির বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। ছোট ছেলে বাড়িতে রয়েছে কিন্তু তাঁকেও মারবে বলে সংবাদ মাধ্যমের সামনে হুমকি দিয়ে গিয়েছে। অত্যন্ত আতঙ্কের মধ্যে আমরা রয়েছি।”

    অর্জুনের বক্তব্য

    বিজেপি নেতা অর্জুন সিং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন, “আমি নির্বাচন কমিশন এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহজিকে এই আক্রমণগুলি (Post Poll Violence) বন্ধ করতে এবং বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের জীবন, সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।”

    আরও পড়ুনঃ পুনর্গণনা ধোপে টিকল না, বালুরঘাটে জয়ী হলেন সুকান্ত

    হিংসার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন পার্থ

    ভোট-পরবর্তী (Post Poll Violence) হিংসা আবার শুরু হয়েছে বারাকপুর জুড়ে। বিজেপির দাবি, জাতীয় হিউম্যান রাইটস কমিশন-এর রিপোর্টে ২০২১ সালের ভোট-পরবর্তী হিংসার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তৃণমূল নেতা পার্থ ভৌমিক, তিনি আবার সক্রিয়। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর নির্দেশে আবার বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raju Bista: দার্জিলিংয়ে বিজয়রথ বিজেপির, প্রায় দুলক্ষ ভোটে জয়ী হলেন রাজু বিস্তা

    Raju Bista: দার্জিলিংয়ে বিজয়রথ বিজেপির, প্রায় দুলক্ষ ভোটে জয়ী হলেন রাজু বিস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিং বিজেপিকে চায়। এবারের লোকসভা নির্বাচনের রেজাল্টে সেটাই প্রমাণ করল। পরপর চারবার দার্জিলিং আসনে জিতল বিজেপি। পরপর দু’বার জিতলেন রাজু বিস্তা (Raju Bista) । এবার রাজু বিস্তা ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৫২৫ ভোট জয়ী হয়েছেন। আর তার এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গে আর একটি দিক উঠে এল, যে পাহাড়ের রাজনীতিতে বিমল গুরুঙ্গ এখনও প্রাসঙ্গিক।

    উন্নয়নের জয় (Raju Bista)

    এই জয় দার্জিলিং কেন্দ্রের পাহাড় ও  সমতল মানুষের জয়,  উন্নয়নের জয় বলে জানিয়েছেন রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ উন্নয়ন চায়। সে কারণেই এখানে মানুষ বিজেপিকে জিতিয়েছে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো সামান্য ভাতার ওপর ভরসা করেনি। এখানকার মানুষ সচেতন বলেই তাঁরা এই সাহস দেখিয়েছেন। তাঁদের শ্রদ্ধা করি। এতে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। গত লোকসভা নির্বাচনে চার লাখেরও বেশি ভোটেন ব্যবধানে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। এবার তার লড়াই কঠিন ছিল। ব্যবধান কমবে জানতেন রাজু বিস্তা (Raju Bista)। পাহাড়ের শাসকদল অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতন্ত্রের মোর্চার সঙ্গে জোট করে লড়েছিল তৃণমূল। অনিত থাপার কাঁধে ভর দিয়ে পাহাড়ের বিপুল ভোটে লিড পাওয়ার আশায় ছিল তৃণমূল। এর পাশাপাশি কংগ্রেস প্রার্থী মুণিশ তামাংকে পাহাড়ে অজয় এডওয়ার্ডের দল হামরো পার্টি সমর্থন করোছিল। তার থেকেও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কার্শিয়াং বিজেপির বিধায়ক বিষ্ণু প্রসাদ শর্মার নির্দল প্রার্থী হওয়া। এতে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে এবার পাহাড়ের ভোট ভাগাভাগি হবে। তাতে রাজু বিস্তার ব্যবধান কমবে। এতকিছুর পরেও রাজু বিস্তা পাহাড় থেকে প্রায় এক লক্ষ ভোটে লিড পেয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে পাহাড়ে বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেসকে তারা চায় না। পাহাড়ের মানুষ উন্নয়নের জন্য বিজেপিকেই ভরসা করে। 

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম-সন্দেশখালিতে বিজেপির জয়, নত মস্তকে প্রণাম জানালেন শুভেন্দু

    অনিতের চাপ বাড়াল বিমল গুরুঙ্গ

    অনিত থাপা জিটিএর দায়িত্বে রয়েছেন। দার্জিলিং পুরসভাও তাঁর দখলে। পাহাড়ের পঞ্চায়েতও অনিত থাপার দলের দখলে। সব মিলিয়ে পাহাড়ে অনিত থাপাই শেষ কথা হয়ে উঠেছিলেন। বিমল গুরুঙ্গ পাহাড়ের রাজনীতি থেকে হারিয়ে গিয়েছে, সেই প্রচারও ছিল। কিন্তু, এবারের লোকসভা ভোটে কালিম্পংয়ে রাজু (Raju Bista) ২৩৬৩২ ভোটে  লিড পেয়েছেন। দার্জিলিঙে ৩১৩৪৫, কার্শিয়াংয়ে ৩৮৫০৮ ভোটে লিড পেয়েছেন। এবার রাজু বিস্তাকে সমর্থন করেছিলেন বিমল গুরুঙ্গ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, পাহাড়ে অনিত থাপাকে পিছনে ফেলে রাজু বিস্তার লিড পাওয়ার ক্ষেত্রে বিমল গুরুংয়ের সমর্থন একটা ফ্যাক্টর। কার্যত বিমলের কাছে হেরে গেলেন অনিত থাপা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share