Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Murshidabad Unrest: মুর্শিদাবাদকাণ্ডের নেপথ্যে বাংলাদেশিদের হাত! চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রের রিপোর্টে

    Murshidabad Unrest: মুর্শিদাবাদকাণ্ডের নেপথ্যে বাংলাদেশিদের হাত! চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে অশান্তির আগুনে জ্বলছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Unrest) বিস্তীর্ণ অংশ। এই হিংসার নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। বিস্ফোরক এই তথ্য উঠে এল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রাথমিক তদন্তে। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, হিংসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বাংলার পুলিশ। যদিও সরকারিভাবে এই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কিছু বলা হয়নি।

    উসকানিমূলক বক্তব্য (Murshidabad Unrest)

    এর আগে ৯ এপ্রিল সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইন বিরোধী সমাবেশে বেশ কিছু উসকানিমূলক বক্তব্য রাখা হয়। তার কিছু ভিডিও এসে পৌঁছায় ওই সংবাদ মাধ্যমের কাছে। জঙ্গিপুরের পিডব্লুডি মাঠে এই সমাবেশ হয়েছিল। আয়োজক ছিল ইমাম মোয়াজ্জিন অ্যাসোসিয়েশন। তাকে সমর্থন করেছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্ট অফ ইন্ডিয়া-সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।

    এসডিপিআইয়ের জড়িত থাকার ইঙ্গিত

    সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তদন্তকারীরা বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন। তাতে মুর্শিদাবাদের হিংসায় এসডিপিআইয়ের জড়িত থাকার ইঙ্গিত মিলেছে। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, এসডিপিআইয়ের সদস্যরা গত বেশ কয়েকদিন ধরে ওয়াকফের নামে এলাকার মুসলিম যুবকদের উসকানি দিচ্ছিল। এসডিপিআইয়ের সদস্যরা প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে যুবক ও কিশোরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে বলছিলেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবক ও কিশোরদের বলা হয় যে, সরকার ওয়াকফের নামে মুসলমানদের কাছ থেকে সব কিছু কেড়ে নেবে। ফলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করতে হবে। শনিবার মুর্শিদাবাদের এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় ইজাজ আহমেদের। বিক্ষোভ চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তাঁর পরিবারেরও দাবি, মুর্শিদাবাদে উসকানিমূলক প্রচার চালাচ্ছে এসডিপিআই।

    পিএফআইয়ের প্রভাব!

    পুলিশের মতে, এক সময় পশ্চিমবাংলায় সিমির ঘাঁটি ছিল এই মুর্শিদাবাদই। সিমির যোগ ছিল জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে। সিমির লোকজন অবশ্য পরে কট্টরপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ায় যোগ দেয়। তার পর বদলে যায় মুর্শিদাবাদের ছবি। বস্তুত, পিএফআইয়ের ঘাঁটিতে পরণিত হয় মুর্শিদাবাদ। ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইউএপিএর অধীনে পাঁচ বছরের জন্য পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সূত্রের খবর, এই সিমি ও পিএফআইয়ের এই লোকজনও এসডিপিআইয়ের সঙ্গে জড়িত। মুর্শিদাবাদে এসডিপিআই বেশ শক্তিশালী। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে দুস্কৃতীরা প্রাথমিকভাবে সহায়তা পেয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তারা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA) পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Unrest) ও অন্যান্য সংবেদনশীল জেলার কার্যকলাপের ওপর কড়া নজর রাখছে।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন ১২ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজির সঙ্গে কথা বলেন। সেই সময় সম্ভাব্য সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়। তিনি রাজ্য প্রশাসনকে অন্যান্য সংবেদনশীল জেলাগুলোয়ও কঠোর নজরদারি বজায় রাখার এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শও দেন। তার পর থেকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব ও পুলিশের ডিজির সঙ্গে নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এছাড়াও, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুর্শিদাবাদে বিএসএফের প্রায় ন’কোম্পানি, অর্থাৎ কমপক্ষে ৯০০ জন সদস্য মোতায়েন করেছে। এই ন’টি কোম্পানির মধ্যে ৩০০ বিএসএফ সদস্য স্থানীয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন। রাজ্য সরকারের অনুরোধে পরে অতিরিক্ত কোম্পানিগুলিও পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি আগেই জানিয়েছিলেন, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ, তবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ডিজিপি আরও উল্লেখ করেন, স্থানীয়ভাবে মোতায়েন থাকা বিএসএফের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে এবং এ পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    উত্তেজনা অব্যাহত

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে মুর্শিদাবাদের মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভের সময় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এই বিক্ষোভের জেরে মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় অগ্নিসংযোগ, পাথর ছোড়া এবং সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটে। আধিকারিকদের বক্তব্য, হিংসাকবলিত এলাকাগুলিতে উত্তেজনা অব্যাহত থাকলেও, নতুন করে কোনও ঘটনা ঘটেনি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা (Murshidabad Unrest)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুর্শিদাবাদের তিনটি সীমান্তবর্তী এলাকায় সাম্প্রতিক হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সতর্কতামূলকভাবে অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে। প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছে, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সহায়তায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার বিষয়টি, পরে যাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় ঘাসফুল নেতৃত্ব।

    এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় ব্যর্থতা, রেলওয়ে সম্পত্তিতে হামলা এবং হিংসার প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছে (Murshidabad Unrest)।

  • Hindus Under Attack: ভারত ও বিদেশে চলছে হিন্দুদের ওপর নিদারুণ আক্রমণ, এক সপ্তাহের খতিয়ান দেখলে চমকে যাবেন

    Hindus Under Attack: ভারত ও বিদেশে চলছে হিন্দুদের ওপর নিদারুণ আক্রমণ, এক সপ্তাহের খতিয়ান দেখলে চমকে যাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের ওপর ক্রমাগত নিদারুণ আক্রমণ (Hindus Under Attack) চলছে। বিশ্বের বহু অঞ্চলে এই নির্যাতন ধীরগতিতে সংঘটিত একটি গণহত্যার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে (Roundup Week)। হিন্দুবিদ্বেষী সংকীর্ণ মানসিকতার কারণে দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণের প্রকৃত গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করে এসেছে। হত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, জমি দখল, উৎসব-অনুষ্ঠানে হস্তক্ষেপ, মন্দির ও মূর্তি অপবিত্রকরণ, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত – হিন্দুরা তাঁদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান আক্রমণের পাশাপাশি অভূতপূর্ব হিন্দুবিদ্বেষের মুখোমুখি হচ্ছেন। চলতি বছরের ৬ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল এই সাতদিনে বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের ওপর সংঘটিত অপরাধগুলির দিকে আমরা একবার চোখ বুলিয়ে নিই।

    ভারত (Hindus Under Attack)

    উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার বারগুম কাচারি বাড়ি এলাকায় অগ্রদূত ক্লাব আয়োজিত বাসন্তী পুজোর প্যান্ডেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে যায় প্রতিমাগুলি। ‘প্রার্থনা সভা’ বা ‘স্বাস্থ্য উদ্ধার সভা’র অছিলায় স্থানীয় হিন্দুদের জবরদস্তিমূলক খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে এক পাদ্রি-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকান্ডা থানার বাহাতরাই অঞ্চলের ঘটনা। দাগী আসামি ওয়াজিদ শাহেনশা রামনবমী উদযাপনে বিঘ্ন ঘটাতে বিজেপির পতাকা ছিঁড়ে ফেলে। গালিগালাজও করে। আহমেদাবাদের দানিলিমদার ঘটনা। পুনের কোঠরুডে একটি ইউনিসেক্স সেলুনের বিরুদ্ধে ইসলামিক ধর্মান্তর ও লাভ জিহাদে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একটি ভিডিওয় সত্য সনাতন ধর্ম নামক সংগঠনের সদস্যদের জাভেদ ও আরমান নামে দুই মুসলমানকে এক হিন্দু মেয়েকে কালমা পড়তে বাধ্য করা হতে দেখা গিয়েছে।

    হিংসাত্মক বিক্ষোভ

    ওয়াকফ আইন ২০২৫ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ইসলামিস্টদের দ্বারা হিংসাত্মক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। মালদার নিমতিতা স্টেশন ছিল এই অশান্তির ভরকেন্দ্র। এখানে ইসলামিস্টরা “আল্লাহু আকবর” ধ্বনি দিয়ে রেল ট্র্যাক দখল করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দয়ে বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের উননাওয়ে ওয়াকফ বিল নিয়ে তর্কে জড়িয়ে এক ক্যাব ড্রাইভার ওয়াসিম ও তার সহযোগীরা এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারকে আক্রমণ করে। অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্নেলের নাম সূর্য প্রতাপ সিং। জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় আম আদমি পার্টির বিধায়ক মেহরাজ মালিকের হিন্দুদের লক্ষ্য করে আপত্তিজনক মন্তব্য করার পর হাতাহাতি হয়। বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদে সভা স্থগিত করতে বাধ্য হয়। ঠাকুরগাঁও জেলায় ইসলামিস্টরা একটি শ্মশানের জমি দখলের চেষ্টা করে। অভিযোগ, শ্মশানে প্রিয়জনের দেহ সৎকার করতে যাওয়া হিন্দুদের ওপর হামলা চালায় ইসলামিস্টরা (Hindus Under Attack)।

    নাবালিকাকে ধর্ষণ

    পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মন্তাজ হোসেন নামে এক যুবক হিন্দু নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কলকাতার নিউ টাউন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বারাণসীতে এক ছাত্রীকে টানা ছ’দিন ধরে যৌন নির্যাতন করা হয়। ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই ইসলামিস্ট। বিহারের সারণের রেওয়েলগঞ্জ এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ গির্জা ভেঙে ফেলেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, খ্রিস্টান মিশনারিরা লোভ দেখিয়ে তাঁদের জোরপূর্বক খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করছিল (Roundup Week)।

    ইউটিউবারকে হুমকি

    হিমাচলের উনা জেলার ইউটিউবার রোহিত কাটওয়ালকে খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীগুলি হুমকি দেয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ আজমগড়ের আহিরৌলা থানা এলাকার আরুশা গ্রামে একটি বাড়ির ভিতরে বড় ধরনের খ্রিস্টান ধর্মান্তরের পর্দা ফাঁস করেছে। গুজরাটের আহমেদাবাদে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুসলিম জনতা রাস্তায় নমাজ আদায় করে। তারা ‘মসজিদ কেড়ে নেওয়া হবে’ এই স্লোগান দিয়ে উত্তেজনা বাড়ায়। ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা ঘটছে। জাফরাবাদ এলাকায় দুজন হিন্দু নিহত হন। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মুসলিম জনতা সামশেরগঞ্জেই এক হিন্দু দম্পতির দোকানে হামলা চালায় (Hindus Under Attack)।

    পাকিস্তান

    পাকিস্তানের হিন্দু নাবালিকাদের অপহরণ, ধর্ষণ, জোর করে ধর্মান্তরকরণ ও বিয়ের ঘটনা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কেবল সিন্ধ প্রদেশেই প্রতি বছর কমপক্ষে ১০০০ সংখ্যালঘু মেয়ে এই ধরনের যৌন দাসত্বের শিকার হয়। হিন্দু মন্দিরে নিয়মিত হামলাও হয়। সিন্ধের উমরকোট জেলার ২০ বছরের যুবক সুরজ কুমার রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার পর হঠাৎই মুহাম্মদ আলি নামে একজন নতুন ইসলামিক পরিচয় নিয়ে আবির্ভূত হন। সরকারি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, নিখোঁজ থাকাকালে গুলজার খলিলে তিনি স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন (Roundup Week)।

    বাংলাদেশ

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিরবচ্ছিন্ন হামলা হয়েই চলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বারাকাতের গবেষণা অনুযায়ী, প্রাতিষ্ঠানিক ও পদ্ধতিগত নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে একজনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না। মন্দির অপবিত্রকরণ, জমি দখল, মিথ্যা মামলার পর জনতার দ্বারা হামলা, ধর্ষণ, জবরদস্তি ধর্মান্তরকরণ এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য হিন্দুদের বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য করছে। টাঙ্গাইল জেলায় উন্মত্ত মুসলিম জনতা জনৈক অখিল চন্দ্র মন্ডলের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ এনে তাঁকে পিটিয়ে (Hindus Under Attack) হত্যা করার চেষ্টা করে।

    কানাডা

    কানাডার অটোয়ায় ভারতীয় নাগরিক ধর্মেশ কাথিরিয়াকে খুন করেন এক শ্বেতাঙ্গ। আক্রমণকারী ধর্মেশের স্ত্রীকেও ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, আক্রমণকারী গিলস মার্টেল আগে ধর্মেশ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে (Roundup Week) জাতিগত বিদ্বেষমূলক ও ভারত-বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন (Hindus Under Attack)।

  • Bangladesh: ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে দিল্লি, ক্ষতির মুখে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প

    Bangladesh: ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে দিল্লি, ক্ষতির মুখে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছেই। সম্প্রতি ব্যাঙ্ককে পাক-ঘনিষ্ঠতা সমেত ইউনূসদের দেশে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ নিয়ে ঢাকাকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে দিল্লি। এই আবহে মোদি সরকার, সে দেশের ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধাকে বাতিল করেছে। এর ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউনূসদের বাংলাদেশ হল পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারকদের দেশ। এদের ব্যবসা হল ৪৫ বিলিয়ন ডলারের। ভারতের এমন সিদ্ধান্তে বেশ বিপাকে ঢাকা।

    পেট্রাপোল সীমান্তে আটকে বাংলাদেশের ট্রাক (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, ভারত সরকার ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায়, নেপাল, ভুটান এবং অন্যান্য দেশে দ্রুত যেভাবে পোশাক রফতানি করতে পারত বাংলাদেশ সেটা আর পারছে না তারা। এর ফলে পোশাক রফতানিকারকদের শিপমেন্ট পরিবর্তন করতে হচ্ছে। যার ফলে খরচও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বাংলাদেশের পোশাক ব্যবসায়ীদের। সেই খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এই আবহে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারীর সংস্থাগুলির মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি, ভারতের প্রশাসন বাংলাদেশের ট্রান্স শিপমেন্ট (Garment Industry of Bangladesh) সুবিধা বাতিল করার পরেই পণ্যবাহী চারটি বাংলাদেশি ট্রাককে পেট্রাপোল স্থলবন্দরের আটকে দেওয়া হয়। এই ট্রাকগুলিকে ভারতের মাটি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি। জানা গিয়েছে, এই ট্রাকগুলি যশোরের বেনাপোল থেকে এসেছিল।

    ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে বিপুল ব্যবসা করেছে বাংলাদেশ

    ২০২০ সালের ২৯ জুন একটি চুক্তির মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশকে (Bangladesh) ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা দেয়। এর ফলে ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ভারতের কাছে তৃতীয় দেশ হিসেবেই এই সুযোগ পায় বাংলাদেশ। পরবর্তীকালে ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই পনেরো মাসে ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে ব্যাপক ব্যবসা করে বাংলাদেশ (Bangladesh)। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ভারতীয় সড়ক পরিবহনকে ব্যবহার করে ৩৬টি দেশে পোশাক রফতানি করেছে। জানা যাচ্ছে, এইভাবে গত ১ বছরে ৪৬২ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করেছে ভারত।

  • Bangladesh Crisis: মৌলবাদীদের প্রবল চাপ, নাম বদলাল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ঢাকার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র

    Bangladesh Crisis: মৌলবাদীদের প্রবল চাপ, নাম বদলাল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ঢাকার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিনের এক প্রথা। প্রথার নাম ছিল ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ (Mongol Shobhayatra)। ইউনূস জমানায় মৌলবাদীদের হুমকির জেরে বদলে গেল নববর্ষের অনুষ্ঠানের সেই শোভাযাত্রার নাম (Bangladesh Crisis)। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র বদলে নয়া নাম হল ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের তরফে এই নাম পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করা হয়। অনুষদের ডিন মহম্মদ আজহারুল ইসলাম শেখের দাবি, শুরুতে বর্ষবরণের এই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। অন্যান্যবারের চেয়ে এ বছরের শোভাযাত্রা আরও বড় আকারে হবে। তিনি জানান, ‘নববর্ষের ঐক্যতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’-এই বিষয়টিকে সামনে রেখে শোভাযাত্রায় বাংলাদেশের ২৮টি জনগোষ্ঠী অংশ নেবে।

    ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে স্বীকৃতি ইউনেস্কোর (Bangladesh Crisis)

    ১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে বাংলাদেশে। এদিন লাখ লাখ বাঙালি অংশ নেন শোভাযাত্রায়। পেঁচা-সহ অশুভ নাশকারী বিভিন্ন প্রতীক দেখা যায় সেই শোভাযাত্রায়। শোভাযাত্রা শুরুর বেশ কয়েক বছর পরে বাংলাদেশে শুরু হয় স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলন। তখন এই অনুষ্ঠানের নাম হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ফি বার রমনার ছায়ানট থেকে শুরু হয় এই অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে গিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শাহবাগ থেকে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রা।

    ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের বক্তব্য

    এবার বাংলাদেশের মৌলবাদীরা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে তাদের কোনও আপত্তি না থাকলেও, ইসলাম অসমর্থিত কিছু থাকবে না। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যতম মুখ আমির মুফতি সৈয়দ মহম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, “কোনও শোভাযাত্রা করলে দেশবাসীর মঙ্গল হবে, এই বিশ্বাস বা ধারণা ইসলামের দিক থেকে গুনাহ্ (পাপ)। মূর্তি-সহ ইসলাম অসমর্থিত সবকিছু বাদ দিতে হবে। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।”

    প্রাণহীন উৎসবের প্রস্তুতি

    ডিন সকলকে নিয়ে শোভাযাত্রার কথা বললেও, বাস্তব বলছে অন্য কথা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এবার পয়লা বৈশাখের আগে আগে চারুকলার (Mongol Shobhayatra) শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং পড়ুয়া ও শিল্পীদের সেই চেনা ব্যস্ততা নেই। অন্যান্যবার মাসখানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যেত বর্ষবরণ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রার কাজ। এবার তা হয়নি। হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পীকে নিয়েই চলছে কাজ (Bangladesh Crisis)। পড়ুয়াদের একাংশের মতে, এবারের শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ কার্যত নেই। এরকম প্রাণহীন চারুকলা অনুষদ আগে দেখা যায়নি। মঙ্গল শোভাযাত্রা আদতে হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় প্রতি বছরই তাদের দেবতা শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে সাড়ম্বরে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালন করে থাকেন। সর্বজনীনতার নামে সেটা সকলের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    সাজছে বাংলাদেশ

    আয়োজকরা জানান, শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সেই সঙ্গে গত বছর জুলাই-অগাস্টের অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে যে ফ্যাসিবাদকে বিদায় জানানো হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন এই দেশে আর না হয়, সেই বার্তাও দেওয়া হবে। এবার শোভাযাত্রার মোটিফের মধ্যে থাকছে প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার স্বৈরাচারের দৈত্যাকৃতি প্রতিকৃতি, ১৬ ফুট উচ্চতার ইলিশ মাছ, সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী কাঠের বাঘ এবং শান্তির দূত পায়রাও। থাকছে হাতি, বাঘ, পেঁচা-সহ অন্যান্য পশুপাখির মুখোশও। চারুকলা প্রাঙ্গণে এখন চলছে সেসব মুখোশ ও প্রতিকৃতি তৈরির কাজ। এ ছাড়া চারুকলার সীমানা প্রাচীর সাজানো হচ্ছে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী হাঁড়ির নকশা দিয়ে। ফুল-লতাপাতা আর পাখি দিয়ে সাজানো হচ্ছে দেওয়াল (Bangladesh Crisis)।

    কী বলছে ইউনূস প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতি

    ইউনূস প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পয়লা বৈশাখ ঋতু সম্পর্কিত একটি বিষয়। এই অঞ্চলের মানুষের কৃষিকাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিয়ে-শাদি সহ অনেক কিছুই ঋতুর সঙ্গে সম্পর্কিত। সেজন্য বাদশা আকবর ইসলামি বর্ষপঞ্জীকে ভিত্তি করে সৌরবর্ষ গণনার জন্য বাংলা সন প্রবর্তন করেছিলেন। এই সন প্রবর্তনের সঙ্গে মুসলামনদের ইতিহাস ঐতিহ্য জড়িত। একই সঙ্গে এই অঞ্চলের মানুষ হাজার বছর ধরে মুসলমান হওয়ার কারণে তাদের আচার প্রথা সংস্কৃতিতে ইসলাম-বিরোধী কোনও (Mongol Shobhayatra) কিছুর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। সেজন্য বাংলা নববর্ষ উদযাপনে কোনও আয়োজনে ইসলাম অসমর্থিত কিছু থাকা যাবে না।

    বাংলাদেশে নববর্ষের এই আয়োজন বরাবরই বর্ণিল। দলে দলে মানুষ বের হন রাস্তায়। আনন্দে-উচ্ছ্বাসে, রূপে-রংয়ে বরণ করা হয় বাংলা নতুন বছরকে। হাসিনা-উত্তর জমানায় তৈরি হয়েছে নয়া বাংলাদেশে। বদলে যাওয়া সেই বাংলাদেশের শোভাযাত্রায় কার্যত ফতোয়া জারি করল ‘ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’ (Bangladesh Crisis)।

  • India Bangladesh Relation: সময়ের মধ্যে উৎপাদিত পোশাক পাঠানোর চাপ! তুলোর জন্য ভারতের ওপরই নির্ভর বাংলাদেশ

    India Bangladesh Relation: সময়ের মধ্যে উৎপাদিত পোশাক পাঠানোর চাপ! তুলোর জন্য ভারতের ওপরই নির্ভর বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ভারত (India Bangladesh Relation) বিরোধিতা ক্রমেই বাড়ছে। হাসিনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন ও ভারত-বৈরিতা নিত্যদিনের ঘটনা। তবে দুই দেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রকৃতপক্ষে পণ্য আমদানিতে ভারতের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা আরও বেড়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে ১৭.২৭ শতাংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় তুলো। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে খাদ্যশস্য। বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলের সময়সীমা (লিড টাইম) দ্রুত কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ এখন আমদানির জন্য ভারতের ওপর ক্রমেই বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠছে।

    প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চেষ্টা

    আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের অর্ডার সম্পাদনের সময়সীমা সারা পৃথিবীতে ৯০ দিন থেকে নেমে এসেছে মাত্র ৪৫ দিনে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) রফতানিকারক ও উৎপাদকরা দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য উৎস খুঁজতে গিয়ে ভারতের দিকেই ঝুঁকছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় কারণ হলো সময়। আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা বা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলো ও অন্যান্য কাঁচামাল আনতে যেখানে ৪৫ দিনের বেশি সময় লাগে, সেখানে ভারত থেকে এসব কাঁচামাল পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ২-৩ দিন। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রফতানি করা হয় তৈরি পোশাক। এটাই ঢাকার আয়ের মূল ভিত্তি। তাই কম সময়ে ভারত থেকে তুলো নিয়ে গিয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।

    ভারত নির্ভরতা বাংলাদেশের

    বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে ২.০৯ শতাংশ। যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ২.০৪ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ২.৩৬ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথম দশ মাসে দেশটি থেকে বাংলাদেশের আমদানি করা পণ্যের অর্থমূল্য ছিল ৯৩৯ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এর আগে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিল থেকে জানুয়ারি সময়ে আমদানি হয়েছে ৮৮০ কোটি ৯৯ লাখ ডলারের পণ্য। শুধু গত জানুয়ারিতেই ভারত থেকে বাংলাদেশ পণ্য আমদানি করেছে ১০৭ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার ডলারের। আর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আমদানি হয়েছিল ৯১ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের।

    কেন বাড়ছে ভারত-নির্ভরতা

    তুলো আমদানিই এই বাণিজ্যের মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের তুলো আমদানি করে, যার অর্ধেকের বেশি আসে ভারত থেকে। ২০২৩ অর্থবর্ষে ভারত থেকে বাংলাদেশ তুলো আমদানি করেছিল ১.৯২ বিলিয়ন ডলার, ২০২৪ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ২.৩৬ বিলিয়ন ডলার। তুলোর পাশাপাশি, সুতো, কাপড়, টেক্সটাইল কেমিক্যালস এবং হ্যান্ডলুম পণ্যও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভারত থেকে আমদানি করা হয়। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে রাজনৈতিক ও শ্রম অসন্তোষের কারণে বাংলাদেশের অনেক কারখানায় উৎপাদন বিঘ্নিত হয়। এতে দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য আমদানি উৎসের প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে যায়। সীমান্ত নিরাপত্তা ও অবকাঠামোর উন্নতির ফলে এখন ২৪টি স্থলবন্দর এবং তিনটি রেলবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন হচ্ছে।এছাড়া, ডলার সংকটের কারণে দূরবর্তী দেশের সঙ্গে লেটার অব ক্রেডিট (LC) খোলা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভারতীয় ব্যবসার সঙ্গে নিকটতা, তুলনামূলক সহজ আর্থিক ব্যবস্থা এবং ভাষা ও বাণিজ্য সংস্কৃতির পরিচিতিও বাণিজ্যে সুবিধা দিচ্ছে।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা রাজ্যের’’, চাঁপদানী-আমতলা-সুতির ঘটনায় শঙ্কিত শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা রাজ্যের’’, চাঁপদানী-আমতলা-সুতির ঘটনায় শঙ্কিত শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের। মুর্শিদাবাদের সুতিতে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতার নামে তাণ্ডবের নিন্দা করে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন তিনি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি।

    ব্যর্থ মমতার সরকার, আক্রান্ত পুলিশও

    সাংবাদিক বৈঠক করে শুক্রবার শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, ‘‘দুপুর আড়াইটের পর থেকেই রাজ্যে বেশিরভাগ জায়গায় জঙ্গিপুর কায়দায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে হুগলি, আমতলা সব জায়গায় একই রকম ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন মানুষ। পুলিশও আক্রান্ত। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের ব্যর্থতা।’’ শুভেন্দুর দাবি, বেছে বেছে হিন্দুদের ওপরই আক্রমণ করা হয়েছে। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায় ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতে। কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহতও হয়েছে।

    বিক্ষোভের নামে তাণ্ডব

    গত কয়েকদিনের মতো এদিনও ওয়াকফ সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত হয় মুর্শিদাবাদ। তার জেরে বিভিন্ন রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক ট্রেন। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। ফলে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটাতে বাধ্য হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জঙ্গিপুর মহকুমার বিভিন্ন রেল স্টেশনে আরপিএফ মোতায়েন করা হয়। শুক্রবার তাণ্ডবের ছবি দেখা গিয়েছে মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায়। মুর্শিদাবাদের সুতি, সামসেরগঞ্জে পরপর বোমার শব্দ শোনা যায় শুক্রবার বিকেলে। তাণ্ডবের মাঝেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে এক কিশোর সহ দুজন। এদিকে, আমতলায় রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায় শুক্রবার দুপুরের পর থেকে। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের ডাকবাংলো মোড় অবরোধ করে সংখ্য়ালঘুরা। পুলিশ সরাতে এলে, শুরু হয়, ইটবৃষ্টি। পুলিশকে লক্ষ্য় করে ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। শুধু সামসেরগঞ্জই নয়। একই কারণে বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, সুতির সাজুর মোড়। ভেঙে দেওয়া হয় পুলিশ কিয়স্ক। একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীবাহী বাসে।

    পরিস্থিতি বাংলাদেশের থেকেও খারাপ 

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা এই রাজ্যের (Mamata Govt)। কড়েয়া থানা এলাকায় জলযাত্রীদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। চাঁপদানিতে পুলিশ ফাঁড়ির পাশে হিন্দুদের পতাকা নামানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দুর্গামণ্ডপ ও রাধাকৃষ্ণ মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। ওই এলাকায় বসবাসকারী হিন্দুদের বাড়ি ও দোকান তছনছ করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ধূলিয়ান লাগোয়া সামসেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র এলাকার ডাকবাংলো মোড়, কাঞ্চনতলাতে ৩০টা হিন্দু দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। ঠিক একই ভাবে ১৯ সালে ঔরঙ্গাবাদ, উমরপুর, নিমতিতাতে ৬৮টা দোকান ভাঙা হয়েছিল, লুঠ করা হয়েছিল। ধূলিয়ান শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে একটি মন্দির ভাঙা হয়েছে।’’

    ভোগান্তির শিকার অসংখ্য রেলযাত্রী

    স্থানীয় সূত্রের খবর, ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে এদিন রাজ্যের নানা প্রান্তে মিছিল করছিল একটি গোষ্ঠী। নিরাপত্তা দেখভালের জন্য রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন পুলিশের কর্মীরাও। অভিযোগ, মিছিল থেকে আচমকা পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ চালানো হয়। শুভেন্দুর খোঁচা, ‘‘ডায়মন্ড হারবার মডেল, যিনি ৭ লক্ষ ভোটে জিতেছেন, তাঁর এলাকায় পুলিশ আক্রান্ত।’’ হুগলির চাঁপদানীতেও পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীরা রেললাইনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তার জেরে নিউ ফরাক্কা, জঙ্গিপুর, সাগরদিঘি ও নিমতিতা স্টেশনে আপ ও ডাউনের বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকে পড়ে। আন্দোলনের নামে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে রেলের সম্পত্তিতে। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মুর্শিবাবাদের ধুলিয়ান গঙ্গা এবং নিমতিতা স্টেশনের মাঝে যে ৪৩ নম্বর রেলগেট রয়েছে, সেটাকে সম্পূর্ণ ভেঙে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর চালানো হয় রেলের রিলে রুমে। বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, লিফটিং ব্যারিয়ার সহ একাধিক সম্পত্তি। ভোগান্তির শিকার হন অসংখ্য রেলযাত্রী। রেল জানিয়েছে, দু’টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দু’টি ট্রেনকে গন্তব্যের আগেই থামিয়ে দিতে হয়েছে। পাঁচটি ট্রেন চালাতে হয়েছে ঘুরপথে।

    একজোট হন, প্রতিরোধ গড়ুন

    প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘‘মুখ্যসচিব ও জেলাশাসককে বারবার বলেছি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতা নিন। মোথাবাড়িতে ৮৬ জন নিরীহ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। একই ভাবে সামসেরগঞ্জ ও ধূলিয়ানে যা করেছেন বর্বরোচিত। রাজীব কুমারের তৈরি ফর্মুলা আছে। প্রথমে যা হওয়ার হয়ে যাবে। তার পর ফোন – ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে। জেলাশাসকের তরফে ১৬৩ ধারা জারি করা হবে। সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া বন্ধ হবে। এই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Govt) শাসনে বারবার নিশানা করা হচ্ছে হিন্দু ধ্বজকে। যা রাজনৈতিক পতাকা নয়। হিন্দু মন্দিরকেও নিশানা করা হচ্ছে। আমি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন করছি। সম্ভব হলে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি। আর নিজেদের সুরক্ষিত রাখুন। আর কোনও উপায় নেই। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আত্মরক্ষার অধিকার সবার আছে। সবাইকে অনুরোধ করছি, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হিন্দুরা একজোট হয়ে নিরাপদে থাকুন। ভাঙচুর যা হয়েছে তার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা আমরা করব।’’

  • Bangladesh Crisis: ‘‘এসব বলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না’’, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশকে ফের সতর্ক করল ভারত

    Bangladesh Crisis: ‘‘এসব বলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না’’, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশকে ফের সতর্ক করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাংককে বিমস্টেকের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের। সেই বৈঠকে পড়শি দেশে লাগাতার হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় ভারত (New Delhi) যে উদ্বিগ্ন, ইউনূসকে তা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার বিকেলে এ ব্যাপারে ফের একবার ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে আগেও বাংলাদেশের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা কথা হয়েছে ভারতের। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করা হয়, তাঁদের ওপর যে নির্মমতার অভিযোগ উঠে আসে, তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে বাংলাদেশকে।

    বাংলাদেশ পুলিশের দাবি (Bangladesh Crisis)

    গত জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছিল, সে দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের সিংহভাগ ঘটনাই রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে। পরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছিল, গত ৫ অগাস্ট থেকে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ২ হাজার ৩৭৪টি। তার মধ্যে ১ হাজার ২৫৪টি অভিযোগ যাচাই করে দেখেছে পুলিশ। যাচাই করা অভিযোগগুলির ৯৮ শতাংশই রাজনৈতিক কারণে বলে দাবি করেছিল বাংলাদেশ সরকার। তবে এদিন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে দেখিয়ে বা সংবাদমাধ্যমের অতিরঞ্জিত বলে ঘটনাগুলিকে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।

    কী বললেন রণধীর জয়সওয়াল

    রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনাগুলিকে কখনও রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে বা সংবাদ মাধ্যমের অতিরঞ্জিত, এসব বলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এই ধরনের নৃশংসতায় যারা অভিযুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পদক্ষেপ করবে বলে আমরা আশা করি।” প্রসঙ্গত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে ভারতের প্রতিবেশী এই দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারকে আগেও বিভিন্ন সময়ে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছে ভারত। যদিও ইউনূস প্রশাসন বিভিন্ন সময় জানিয়ে দিয়েছে, সে দেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদেই রয়েছেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভিন দেশের মন্তব্য (New Delhi) যে তাদের না-পসন্দ, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিল ইউনূস সরকার (Bangladesh Crisis)।

  • India Bangladesh Relations: ভারত-বিরোধিতার মাশুল! বাংলাদেশকে মোক্ষম শিক্ষা দিল দিল্লি, মাথায় হাত ইউনূসের

    India Bangladesh Relations: ভারত-বিরোধিতার মাশুল! বাংলাদেশকে মোক্ষম শিক্ষা দিল দিল্লি, মাথায় হাত ইউনূসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব মজবুত করতে তৎপর ইউনূসের বাংলাদেশ। ভারত-বিরোধিতা (India Bangladesh Relations) এখন পদ্মাপাড়ের মূলমন্ত্র। যে মানচিত্র ভারতের হাত ধরে সৃষ্টি হয়েছিল, সেই মানচিত্রের গ্রাফটাই এখন বদলে গিয়েছে। হাসিনা পরবর্তী যুগে সোনার বাংলাদেশ এখন ছারখার। জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চল। তাই চুপ করে কতদিন থাকা যায়! কয়েকদিন আগেই চিনে গিয়ে ভারতের নিন্দা করে এসেছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। বলেছিলেন, ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি ‘ল্যান্ড লকড’। তাদের সমুদ্রপথের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। ওই এলাকার সমুদ্রপথের একমাত্র অভিভাবক বাংলাদেশ। ইউনূসের ওই মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ভারত। এবার সহজে বাংলাদেশের বাণিজ্যের রাস্তা বন্ধ করে দিল দিল্লি। তৃতীয় কোনও দেশে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি করতে ব্যবহার করা যাবে না ভারতের কোনও বন্দর বা বিমানবন্দরের শুল্ককেন্দ্র। সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। তবে, ছাড় দেওয়া হয়েছে ভুটান ও নেপালের ক্ষেত্রে। ভারতের ভূখণ্ড হয়ে ভুটান ও নেপালে বাংলাদেশি পণ্য পরিবহণে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে দিল্লি। অর্থাৎ, ভারত দিয়ে এই দুই দেশে আগের মতোই রফতানি করতে পারবে বাংলাদেশ। কিন্তু, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা, ইউরোপ বা অন্য বাকি দেশে পণ্য পাঠাতে পারবে না ঢাকা।

    ভারতের সিদ্ধান্ত

    কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৮ এপ্রিলের পর থেকে ভারতের উপর দিয়ে ভুটান ও নেপাল বাদ দিয়ে আর কোনও দেশে পণ্য রফতানির জন্য ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন (LCS) বা শুল্ক কেন্দ্র ব্যবহার করতে পারবে না বাংলাদেশ (India Bangladesh Relations)। এতদিন এই সুবিধার মাধ্যমে বাংলাদেশ নিজস্ব পণ্য ভারতে নিয়ে এসে এখানকার বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পাঠাতে পারত। এটি দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। বাংলাদেশের সামগ্রী বিশ্বের অন্যান্য দেশে রফতানির জন্য এই ‘‘ট্রান্স-শিপমেন্ট’’ সুবিধা প্রত্যাহার করা হল। এর জন্য কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড (সিবিআইসি) ২০২০ সালের জুন মাসের একটি নিয়ম বাতিল করল, যা বাংলাদেশের পণ্য ভিনদেশে রফতানির জন্য ভারতীয় বন্দর ও বিমানবন্দরের ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন ব্যবহার করতে দিত। এতে বিভিন্ন দেশে পণ্য পাঠাতে ভারতের পরিকাঠামোকে ব্যবহার করে এক ছাদের নিচে সব সুযোগ সুবিধা পেত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। ফলে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের এবার থেকে ওই সব দেশে পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা বাড়বে। সময়ও বেশি লাগবে। খরচও বেশি হবে।

    কেন এই নির্দেশ

    পড়শি দেশকে (India Bangladesh Relations) এই সুবিধা দেওয়া বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছিল ভারতীয় রফতানিকারক সংস্থাগুলি। বিশেষ করে বস্ত্র রফতানি সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে এই অনুরোধ করা হয়েছিল। ২০২০ সালের জুন মাস থেকে বাংলাদেশকে এই সুবিধা দিয়ে আসছিল ভারত। ভিন দেশে পণ্য রফতানির জন্য এই সুবিধা ব্যবহার করত বাংলাদেশ। ৮ এপ্রিলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সংক্রান্ত পূর্ববর্তী নির্দেশিকা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তবে যে সব পণ্য ইতিমধ্যে ভারতে প্রবেশ করেছে, সেগুলিকে পূর্বের নির্দেশিকা অনুসারে ভারত থেকে বেরোতে দেওয়া হবে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে ওই সুবিধা দেওয়ার ফলে এ দেশের বন্দর এবং বিমানবন্দরগুলিতে ভিড় বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এর ফলে ভারতীয় সংস্থাগুলির রফতানিতে সমস্যা হচ্ছিল। সেই কারণে বাংলাদেশকে ওই সুবিধা দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। তবে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, নেপাল এবং ভুটানে পণ্য রফতানি করতে বাংলাদেশের কোনও সমস্যা হবে না।

    ভারতের সুবিধা

    সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতীয় বিমানবন্দর এবং বন্দরগুলির এলসিএস-গুলিতে বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক-শিপমেন্ট এসে ভিড় জমাত। এতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত সময় ও টাকা খরচ হচ্ছিল। অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের (AEPC) চেয়ারম্যান সুধীর শেখরি বলেছেন, “ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগের নিষ্পত্তি হল। প্রতিদিন ২০-৩০ বাংলাদেশি পণ্য বোঝাই ট্রাক দিল্লিতে এসে অপেক্ষা করত ভিনদেশে যাওয়ার জন্য। এতে আমাদের এক্সপোর্টাররা সমস্যার পড়ছিলেন। কার্গোতে আমাদের পণ্যের পর্যাপ্ত জায়গা হচ্ছিল না।” এই সিদ্ধান্তের ফলে বস্ত্র, জুতো, মূল্যবান পাথর এবং গয়নার ক্ষেত্রে ভারতীয় রফতানিকারক সংস্থাগুলির সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বস্তুত, বস্ত্র রফতানি ক্ষেত্রে ভারতের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হল বাংলাদেশ। ভারতীয় রফতানি সংস্থাগুলির সংগঠন ‘ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশন’ (এফআইইও)-এর মহাপরিচালক অজয় সহায় বলেন, “এর ফলে ভারতীয় রফতানি পণ্যের জন্য বিমানে আরও বেশি জায়গা পাওয়া যাবে। অতীতে রফতানিকারক সংস্থাগুলি প্রায়শই অভিযোগ করত, বাংলাদেশি পণ্যের জন্য তারা কম জায়গা পাচ্ছে।”

    কূটনীতিকদের অভিমত

    সম্প্রতি চিনে গিয়ে নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মেরে এসেছিলেন ইউনূস। নিজেদের সমুদ্রের অভিভাবক বলে চিনকে বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, বাংলাদেশে (India Bangladesh Relations) এসে ব্যবসার জন্য, প্রচুর জিনিস বানাতে। বিক্রির জন্য বাংলাদেশের বাজার উন্মুক্ত। চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের এই বন্ধুত্ব ভারত ভালো চোখে দেখেনি। তার ওপর যখন শিলিগুড়ির চিকেনস্ নেকের কাছে বাংলাদেশের মাটিতে চিনকে বিমানঘাঁটি তৈরির আহ্বান জানিয়ে বসেন ইউনূস, তখন ভারত আর চুপ করে বসে থাকেনি, বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। চিন সফরে গিয়ে ইউনূসকে বলতে শোনা যায়, “ভারতের পূর্ব প্রান্তের সাতটি রাজ্য, যাদের সেভেন সিস্টার্স বলা হয়। ওই বিরাট অঞ্চল কিন্তু পাহাড় আর স্থলভাগে ঘেরা। সমুদ্রপথে যোগাযোগ করার উপায়ই নেই তাদের। বাংলাদেশই হল সমুদ্রপথের রাজা। তাই ওই এলাকায় চিনা অর্থনীতির বিস্তার ঘটতেই পারে।” এই মন্তব্যের ইঙ্গিত অত্যন্ত স্পষ্ট যে, ভারতের ৭ রাজ্য (সেভেন সিস্টার)কে ভেঙে ফেলতে চায় বাংলাদেশ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এই একই ইচ্ছা চিনের। যদিও সেই চৈনিক চাল বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এবার বাংলাদেশের মুখে এমন মন্তব্যে দুয়ে দুয়ে চার করতে খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না ভারতের। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের কফিনের অন্যতম পেরেক ইউনূসের এই মন্তব্য। তাই এবার ব্যবসার রাস্তা বন্ধ করে ঢাকাকে বার্তা দিল দিল্লি।

    বিপদে বাংলাদেশ

    ব্যবসায়ীদের মতে, ভারতের এই এক সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি ও ব্যবসায় ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে। বিশেষত ঢাকার বস্ত্র রফতানি এতে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত হবে। এতদিন ধরে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর পণ্য পাঠাত বাংলাদেশ, বিশেষত জামাকাপড়। ভারতের মাটি, বায়ুপথ ও বন্দরের শুল্ককেন্দ্র ব্যবহার করে অনেক কম খরচ ও কম সময়ে ভিনদেশে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ-আমেরিকায় পণ্য পাঠাত বাংলাদেশ। কিন্তু এবার সেই সুযোগ বন্ধ হল। এখন থেকে বাংলাদেশকে সমুদ্রপথ বা আকাশপথে রফতানির বিকল্প ভাবতে হবে, যা তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল। লজিস্টিক সমস্যা ও সময়ে পণ্য পৌঁছতে দেরি হবে। ফলে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে ঢাকা। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলছেন, “বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের রফতানি এবার মার খাবে। এতদিন ভারত যে সুবিধা দিত তাতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের শুধু অনেক টাকাই বাঁচত না, সময়ও বাঁচত।” তিনি আরও জানান, গত ২০ বছর ধরে বাংলাদেশকে সন্তানসুলভ প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে ভারত। পণ্যের উপর শূন্য শুল্ক থেকে অগ্রাধিকার— কী না দেওয়া হয়নি। মদ ও সিগারেট ছাড়া নেপাল, ভুটানের মতো দেশে বাংলাদেশ সব পণ্য বিনা শুল্কে এতদিন পাঠিয়ে এসেছে। তাও ভারত-বিরোধিতা (India Bangladesh Relations) করতে পিছপা হননি ইউনূস। তাই পরিবর্তিত বাংলাদেশকে শিক্ষা দিতেই এই পদক্ষেপ ভারতের।

  • Ajit Doval: পাক-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি! ব্যাংককে ইউনূসের প্রতিনিধিকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    Ajit Doval: পাক-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি! ব্যাংককে ইউনূসের প্রতিনিধিকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের শেষের দিকে ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ৩৮ মিনিটের কথা হয়। তবে মোদি-ইউনূসের এই বৈঠক ছিল এককথায় সৌজন্যমূলক। তবে ওই সম্মেলনেই অন্য বৈঠকে অজিত ডোভাল তুলোধনা করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিকে। ডোভাল (Ajit Doval) কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘেঁষাঘেঁষি ভারত ভালো চোখে দেখছে না। কোনও কূটনৈতিক সৌহার্দ্য নয় বরং সোজা কড়া সত্য কথা বলে বাংলাদেশকে তুলোধনা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

    ঢাকাকে সীমারেখা টেনে দেন ডোভাল (Ajit Doval)

    প্রসঙ্গত, অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি খলিলুর রহমানের সঙ্গে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নৈশভোজের সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জানা গিয়েছে, এখানেই নয়াদিল্লি ঢাকাকে একেবারে সতর্ক করে দিয়েছে যে, ভারতের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন যে কোনও পদক্ষেপে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে যা বাংলাদেশের জন্য মোটেও সুখকর হবে না। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশকে বেশ কতগুলো সীমারেখাও টেনে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ইউনূসদের দেশকে সতর্ক করা হয়েছে, এই রেখা যদি অতিক্রম করা হয় তাহলে ভারত ছেড়ে কথা বলবে না।

    ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে

    স্বরাজ্য পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ট অজিত ডোভাল খলিলুর রহমানের সঙ্গে একেবারে খোলামেলা স্তরে আলোচনা করেছেন। এই বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বাংলাদেশকে সতর্ক করেছেন। বিদেশ মন্ত্রকের ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে বাংলাদেশে হওয়া ভারতবিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কেও খলিলুর রহমানকে সতর্ক করেন অজিত ডোভাল। এর পাশাপাশি ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কাজ বাংলাদেশ করা হচ্ছে বলে রহমানকে সতর্ক করেন ডোভাল।

    পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন ডোভাল

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উঠে আসে ওই আলোচনাতে। অজিত ডোভাল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ভারতের স্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে যে কোনও কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। রহমানের উদ্দেশ্যে ডোভাল বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা হচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টায় তা ভারতের জন্য বিশেষ উদ্বেগের কারণ।’’ জানা যাচ্ছে, এই সময়ই খলিলুর রহমান অজিত ডোভালকে আশ্বস্ত করতে যান। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ভারতের কোনও স্বার্থহানি ঘটাবে না। অজিত ডোভাল বলেন, ‘‘পাকিস্তানের আইএসআই অতীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মিলিত হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির খুলেছে এমন রিপোর্ট রয়েছে।’’

    ভারতে অশান্তি পাকানোর ব্যবস্থা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

    এই সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে নয়া দিল্লির তরফ থেকে ঢাকাকে বলা হয়, ‘‘ভারতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য কোনও সংগঠন যদি দায়ী থাকে তাহলে সেই সংগঠন এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর এবং শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’ জানা গিয়েছে, এরপরেই খলিলুর রহমান ডোভালের কথায় সম্মতি জানান। তিনি বলেন, ‘‘ঢাকা সর্বদাই ভারতের কথা মনে রাখবে এবং কখনও বাংলাদেশের মাটিকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’’

    উগ্র মৌলবাদীদের উৎসাহিত করছে ইউনূস সরকার, বৈঠকে বলেন ডোভাল

    এই বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের নতুন সরকার উগ্র মৌলবাদী সংগঠনগুলিকে উৎসাহিত করছে। সরকার স্বাধীনতা প্রদান করেছে ইসলামিক সংগঠনগুলিকে। এই সংগঠনগুলি ভারত-বিরোধী। তারা ভারতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দেখা যায় যে সে দেশের মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনের একাধিক নেতাকে ইউনূস সরকার মুক্তি দিয়েছে এবং তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশে।

    ভারত বিরোধী কার্যকলাপ, ঢাকা যেন দিল্লির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আশা না করে

    খলিলুর রহমানের সঙ্গে এই বৈঠকে অজিত ডোভাল একাধিক উদাহরণ তুলে ধরেন যে বাংলাদেশে কীভাবে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চলছে। এই কাজে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের উৎসাহ দিচ্ছে বলেও জানান ডোভাল। এ প্রসঙ্গে অজিত ডোভাল জামায়াতে ইসলাম, ইসলামি ঐক্য জোট এবং হেফাজতে ইসলামের মতো সংগঠনগুলির ভারত-বিরোধী কার্যকলাপকে তুলে ধরেন। খলিলুর রহমানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অজিত ডোভাল আরও বলেন, ‘‘উগ্র মৌলবাদীদের এমন ভারত-বিরোধী বক্তব্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। যদি দেখা যায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি বা সংস্থাগুলি এই ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করছে, তাহলে বাংলাদেশ যেন ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আশা না করে।’’

    হিন্দু নির্যাতন নিয়েও সরব হন ডোভাল

    খলিলুর রহমানের সঙ্গে এই বৈঠকে অজিত ডোভাল বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের কথাও তুলে ধরেন। তবে ডোভালের বক্তব্যকে রহমান খণ্ডন করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু নির্যাতন নিয়ে যে ধরনের খবর রটছে তা অতিরঞ্জিত।’’ রহমানের মুখে এমন কথা শুনে অজিত ডোভাল হিন্দুদের আক্রমণের একাধিক ঘটনাকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে উগ্র মৌলবাদীরা খুবই শক্তিশালী। তাদের লাগাম টেনে ধরা উচিত। উগ্র মৌলবাদীরা যদি এদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চালায় এবং ভারত-বিরোধী প্ররোচনা দেয়, তাহলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকতে পারে না।

    কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, হুঁশিয়ারি দিল্লির

    ভারতের সঙ্গে সীমানা নিয়েও অজিত ডোভাল এবং খলিলুর রহমানের মধ্যে কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশি চোরাকারবারি, পাচারকারী এবং অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিএসএফের পদক্ষেপকে তুলে ধরেন অজিত ডোভাল। বাংলাদেশকে ডোভাল জানান, কেউ যদি এভাবে সীমান্ত লঙ্ঘন করতে চায়, তাহলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। বিএসএফ কেবল আত্মরক্ষার জন্যই অনুপ্রবেশকারীদের উপর গুলি চালায়। একইসঙ্গে অজিত ডোভাল খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সংস্থাগুলি যেন এটা নিশ্চিত করে যে তাদের দেশের কেউ যেন অবৈধভাবে ভারতের সীমানা অতিক্রম করার চেষ্টা না করে।

    চিন সফরে ইউনূসের বক্তব্য নিয়েও আপত্তি জানান ডোভাল

    একইসঙ্গে ডোভাল খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন যে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে যে সমস্ত ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলি বাংলাদেশের পালন করা উচিত। সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। সেখানেই তাঁর একটি বিবৃতি নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। নিজের বক্তব্যে ইউনূস উত্তর-পূর্ব ভারতকে একটি স্থলবেষ্টিত আলাদা দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। খলিলুরে সামনে এই বক্তব্যেরও বিরোধিতা করেন অজিত ডোভাল।

  • Bangladesh Crisis: সোনার বাংলা ছারখার! “আসতেছি আমি”, দেশে ফিরছেন জানিয়ে ইউনূসকে হুঁশিয়ারি হাসিনার

    Bangladesh Crisis: সোনার বাংলা ছারখার! “আসতেছি আমি”, দেশে ফিরছেন জানিয়ে ইউনূসকে হুঁশিয়ারি হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন, দেশছাড়া হয়েছেন, তবুও তিনি আত্মবিশ্বাসী। তাঁর প্রতি কথায় লড়াইয়ের সুর। তিনি বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। লড়াই তাঁর রক্তে। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ফিরে ফের লড়বেন তিনি। আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা এবং অত্যাচারের অভিযোগের বিচার করবেন, বলে জানালেন শেখ হাসিনা। সোমবার রাতে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় দলীয় কর্মীদের সেই আশ্বাসই দিলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগের নেত্রী হাসিনা (Sheikh Hasina)।

    ইউনূসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ

    বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে (Chief Advisor Md Yunus) ফের তীব্র আক্রমণ শানালেন হাসিনা (Sheikh Hasina)। প্রধান উপদেষ্টাকে সুদখোর (Usurer), জঙ্গি (terrorist), সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত আসামি (Convicted) বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লিগ নেত্রী। দলের সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘দায়মুক্তি’-তে আওয়ামি লিগের নিহত কর্মী-সমর্থকদের পরিবার এবং আহতদের সঙ্গে কথা বলেছেন হাসিনা। দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে তৈরি হোয়াট্সঅ্যাপ (WhatsApp) এবং টেলিগ্রাম (Telegram) গ্রুপগুলিতেও নিয়মিত নীচুতলার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সোমবার বিকালে বাংলাদেশের উত্তরপ্রান্তের জেলা লালমণিরহাটের (Lalmonirhat) কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘসময় কথা হয় তাঁর।

    সবকিছুর বিচার একদিন হবে

    গত বছরের অগাস্টে আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছাড়েন হাসিনা। তার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ করেন তিনি। আওয়ামি লিগের সমাজমাধ্যমের পাতায় তা সরাসরি সম্প্রচারও করা হয়। সোমবার রাতেও সে রকম একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সমাজমাধ্যমের পাতায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ওই আলোচনাপর্বে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সমস্যার কথা শোনেন আওয়ামি লিগের নেত্রী। কর্মী-সমর্থকেরা দাবি করেন, তাঁদের পরিবারের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার চলেছে। তাঁদের আশ্বস্ত করে হাসিনা জানান, তিনি এই সব ঘটনার বিচার করবেন। বললেন, “আল্লাহ্ সেই জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছেন। চিন্তা করবেন না। আসতেছি আমি।” ওই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ‘অল ইউরোপিয়ান আওয়ামি লিগ’-এর সভাপতি মহম্মদ নজরুল ইসলামও। তাঁরও দাবি, “বিচার একদিন হবেই। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই।”

    শান্তির দেশ থেকে জঙ্গিদের দেশ

    তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশটাকে যখন উন্নয়নশীল দেশে তুলে ধরলাম। তখনই এমন গভীর চক্রান্ত হয়ে গেল। বাংলাদেশকে জঙ্গিদের দেশে পরিণত করা হল। আর দিনশেষে এমন ব্যক্তি ক্ষমতা দখল করল, যার মানুষের প্রতি কোনও দয়া মায়া নেই আর ছিলও না।’ এরপরই ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাঙ্কের দিকে নিশানা করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, ‘মানুষকে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে মোটা অঙ্কের সুদ নিত। সেই টাকায় উনি বিদেশে পাঠিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। আমরা ভাবতাম গরীব মানুষের ভাল করছে। তাই একসময় অনেক সহযোগিতা করেছিলাম। পরে সেই মানুষের টাকা নিয়ে তছরুপ করেছে। ওনার ক্ষমতার লোভেই আজ বাংলাদেশ জ্বলছে।’

    পড়ুয়ার লাশ চেয়েছিল ওরা

    এদিনের এই ১ ঘণ্টা ১১ মিনিটের ভাষণপর্বে আন্দোলন চলাকালীন বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) পুলিশের চালানো ‘রাবার গুলিতে’ নিহত পড়ুয়া আবু সায়েদের কথাও তুলে ধরেন হাসিনা। তাঁর অভিযোগ, ‘ওরা আসলে ওই পড়ুয়ার লাশটাই চেয়েছিল। শুনেছিলাম, মাথায় আঘাত লেগেছিল। কিন্তু ওকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিতে দেয়নি। তার আগেই বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি করে।’ সম্প্রতি যেভাবে আওয়ামি লিগ নেতানেত্রী এবং সর্বোপরি হাসিনার দলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করে জেলবন্দির ‘ছক’ কষছে ইউনুস সরকার, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগে দল। সোমবারও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা, ভাঙচুর ও খুনের চেষ্টার মামলায় হাসিনাপন্থী ৮৪ জন আইনজীবীর জামিন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    মিথ্যা প্রচার ইউনূস সরকারের

    গত শুক্রবার ব্যাংককে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Indian Prime Minister Narendra Modi) সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) প্রসঙ্গ উঠেছিল। হাসিনা ভারতে বসে ভাষণ দিয়ে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ করেন ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম (Shafiqul Alam, press secretary to Chief Advisor Md Yunus) সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেননি। যদিও প্রেস সচিবের ওই দাবি নসাৎ করে দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, হাসিনার প্রত্যপর্ণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতিক্রিয়াকে সেভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই জাতীয় কোনও কথা ব্যাংককের বৈঠকে হয়নি।

    কী ভাবছে ভারত

    সোমবার রাতে দলের অনুষ্ঠানে হাসিনার বক্তব্যেও স্পষ্ট প্রধান উপদেষ্টা সম্পর্কে তাঁর বক্তব্যে ভারত সরকার হস্তক্ষেপ করেনি। নয়াদিল্লি ইতিপূর্বে শুধু জানিয়েছে, হাসিনার বক্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত। তার সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক নেই। তবে বিদেশ মন্ত্রকের একাংশের মতে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হাসিনা যে কথা বলছেন তার সঙ্গে ভারত সরকার দ্বিমত পোষণ করে না। সে দেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধিতে ভারতও চিন্তিত। আর মহম্মদ ইউনূসকে আক্রমণ রাজনৈতিক। একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে হাসিনা তাঁর কথা বলছেন।

LinkedIn
Share