Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Bangladeshi Hindus: ত্রাসের রাজত্ব বাংলাদেশে! চট্টগ্রামে হিন্দুদের ওপর হামলা সেনার, জখম ১৫০, গ্রেফতার ৮০

    Bangladeshi Hindus: ত্রাসের রাজত্ব বাংলাদেশে! চট্টগ্রামে হিন্দুদের ওপর হামলা সেনার, জখম ১৫০, গ্রেফতার ৮০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসকনের নামে এক কুৎসামূলক ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের (Bangladesh) চট্টগ্রাম নগরীর হাজারি গলিতে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা- অ্যাসিড নিক্ষেপ এবং গভীর ও রাত পর্যন্ত হাজারি গলিতে অভিযানের নামে যৌথ বাহিনী তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, চট্টগ্রাম পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে দিনকয়েক আগে ইসকন নিয়ে ফেসবুকে একটি বিতর্কিত পোস্ট করেন মহম্মদ ওসমান গনি এক ব্যক্তি। দাবি, ইসকন সম্পর্কে লেখা হয়, এটি হিন্দু জঙ্গি সংগঠন এবং ভারতের এজেন্সি ‘র’-এর হয়ে কাজ করে। এই পোস্টকে ঘিরে হিন্দুধর্মের (Hindu) মানুষের মধ্যে তুমুল ক্ষোভের সঞ্চার হয়। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, চট্টগ্রাম পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, মঙ্গলবার ওই ব্যক্তির দোকানে হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় যৌথ বাহিনী। ওই ব্যক্তিকে সরিয়ে নেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। তাতে ক্ষোভের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। ওই ব্যক্তিকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায় উন্মত্ত জনতা।

    ভীত-সন্ত্রস্ত হিন্দুরা এলাকাছাড়া…

    সেনা-পুলিশের হামলায় কমপক্ষে দেড় শতাধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বী আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় সেনা-পুলিশের যৌথ বাহিনী হামলাকারীদের তালিকা তৈরির জন্য বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু করেছে। ৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারি এড়াতে এলাকা ছাড়া বহু হিন্দু পুরুষ।স্থানীয় সূত্রের খবর, হাজারি গলি ছাড়াও চট্টগ্রাম শহরের অন্যত্রও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ভীত সন্ত্রস্ত। বিশেষ করে আওয়ামী লিগের সমর্থকেরা অনেকেই নিরাপত্তা বাহিনী এবং জামাতের হুমকির মুখে এলাকা ছেড়েছেন। 

    আরও পড়ুন: আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন হাসিনার, কৌশলী বার্তা আওয়ামী লিগের

    উচ্ছেদ করতে পূর্ব-পরকল্পিত হামলা !

    এই হাজারি গলিতে (Bangladesh) স্বর্ণকার ও চট্টগ্রামে পাইকারি ওষুধের বাজার রয়েছে, যার কমপক্ষে ৭০ ভাগ ব্যবসায়ী হিন্দু। রয়েছে কয়েকটি মন্দিরও। মূলত মহামূল্যবান এই ব্যবসা কেন্দ্র থেকে হিন্দুদের উচ্ছেদ করে তা দখল করতেই চট্টগ্রামে সনাতনীদের ওপর সুপরিকল্পিত হামলা বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন। সংখ্যালঘু হিন্দুদের অভিযোগ, সরাসরি মুসলিম ও জামাত সমর্থিত ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়েছে সেনা, পুলিশ-সহ যৌথ বাহিনী এবং ইউনূস প্রশাসনের লোকজন। তাদের আরও দাবি, মঙ্গলবারের ঘটনাকে হাতিয়ার করে তারা পুলিশ ও সেনাকে কাজে লাগায়।

    কী বলছেন হিন্দু ব্যবসায়ীরা?

    স্থানীয় হিন্দুদের দাবি, চট্টগ্রামের হাজারি গলি এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ, রাতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা হিন্দু দোকানিদের বাড়িতে ঢুকে লাঠিপেটা করে। আহতদের নব্বই ভাগই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। সংঘর্ষ চলাকালে সেনা-পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। অনেক দোকান মালিক ও কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। রাতের দিকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হলেও সকাল নাগাদ তা শিথিল করা হয়। সিল করা হয়েছে বহু দোকান। অন্যদিকে, যৌথ বাহিনীর অভিযোগ, পুলিশ ও সেনাকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়েছে। যৌথ বাহিনীর কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।

    সেনাবাহিনী কি গণহত্যা শুরু করেছে?

    ব্যারিস্টার এবং সলিসিটর নিঝুম মজুমদার অভিযোগ করেছেন, ‘‘চট্টগ্রামের হাজারি গলিতে ঘরে-ঘরে ঢুকে সেনাবাহিনী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হেনস্থা করছে, গ্রেফতার করছে। সেনাবাহিনী কি গণহত্যা শুরু করেছে? ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সনাতনীরা জেগে উঠুন।’’ এসবের মাঝেই ইসকনের নাম জড়িয়ে তাদেক বিপাকে ফেলা এবং সংগঠনের সামাজিক ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসকন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর লাগাতার হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যে সাধু, সেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই দেশদ্রোহিতার ধারায় মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতেও হিন্দুরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন হাসিনার, কৌশলী বার্তা আওয়ামী লিগের

    Sheikh Hasina: আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন হাসিনার, কৌশলী বার্তা আওয়ামী লিগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানালেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। বুধবার, আওয়ামী লিগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।” তিনি ট্রাম্পের (Donald Trump) নেতৃত্বে বিগত সরকারের সময়ে বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সুসম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেছেন। 

    ট্রাম্পের নেতৃত্বের প্রশংসা

    ট্রাম্প এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন। ট্রাম্প (Donald Trump) জিততেই হাসিনার (Sheikh Hasina) দল, আওয়ামী লিগ নেত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল করে দিয়েছে। আওয়ামী লিগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের “অসাধারণ নেতৃত্বের গুণাবলী”র প্রশংসা করেছেন হাসিনা। তিনি আরও বলেছেন, এই রিপাবলিকান নেতার প্রতি অগাধ আস্থা রেখেছে মার্কিন জনগণ। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসও ট্রাম্পকে বুধবার বিকেলে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: আমেরিকায় নতুন সকাল! ট্রাম্পকে অভিনন্দন বার্তা সুন্দর পিচাই, ববি জিন্দালদের

    আওয়ামী লিগের সুদিন!

    রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্পের জয়ে হাসিনা (Sheikh Hasina) ও আওয়ামী লিগের সুদিন ফিরতে পারে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, হোয়াইট হাউস ফের রিপাবলিকানদের দখলে যাওয়ায় চাপে পড়লেন ইউনূস। তিনি ডেমোক্র্যাটদের ঘরের লোক বলে পরিচিত। তার উপর ভোটের মুখে ট্রাম্প (Donald Trump) বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বাইডেন। ট্রাম্প কিন্তু মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশে এখন চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা চলছে। তিনি যে ইউনুসের সরকারকে ভাল চোখে দেখছেন না, তা এই মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে, হাসিনার তরফে এই শুভেচ্ছাবার্তা। আওয়ামী লিগ জানিয়েছে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময়, তাঁর সঙ্গে একযোগে কাজ করার কথা স্মরণ করেছেন শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয়, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক স্বার্থগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ফের একযোগে কাজ করার বিষয়ে তাঁর অঙ্গীকারও প্রকাশ করেছেন হাসিনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • US President Election 2024: জয়ী হতে চলেছেন ট্রাম্প, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস

    US President Election 2024: জয়ী হতে চলেছেন ট্রাম্প, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (US President Election 2024) জয়ী হতে চলেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস জিতলে ভালো, তবে ট্রাম্প জিতলে বাংলাদেশের কপালে দুঃখ আছে। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দুই দলের পদস্থ নেতাদের সঙ্গেই মহম্মদ ইউনূসের সম্পর্ক ভালো। তাই এই নির্বাচনের ফলের কোনও প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়বে না।” 

    হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন ট্রাম্প (US President Election 2024)

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন ট্রাম্প। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, “আমি বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বর্বর হিংসার তীব্র নিন্দা করছি। তাদের আক্রমণ করেছে উন্মত্ত জনতা, লুটপাট করেছে। সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আমি ক্ষমতায় থাকলে এটা ঘটত না। কমলা (কমলা হ্যারিস) এবং জো (জো বাইডেন) সারা বিশ্বের এবং আমেরিকার হিন্দুদের উপেক্ষা করছে। ইজরায়েল থেকে ইউক্রেন, এমনকী আমাদের দক্ষিণ সীমান্তেও বিপর্যয় নেমে এসেছে। কিন্তু আমরা আমেরিকাকে আবার শক্তিশালী করব এবং শক্তির মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনব।”

    ট্রাম্প-ইউনূস সম্পর্ক

    ট্রাম্পের সঙ্গে ইউনূসের সম্পর্কও (US President Election 2024) ভালো নয়। ২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তখন প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ইউনূস বলেছিলেন, “এই জয় একটি সূর্যগ্রহণ…অন্ধকার দিন, যা আমাদের ধ্বংস করতে বা আমাদের মনোবল শুষে নিতে পারবে না।” হিন্দুদের ওপর নির্যাতন এবং ইউনূসের এই তির্ষক মন্তব্যের জেরে বঞ্চিত হতে পারে বাংলাদেশ। দেশ পুনর্গঠনের জন্য আমেরিকার কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছে ইউনূস সরকার। বাইডেন প্রশাসন তা দেবে বলে আশ্বাসও দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘আসুন জনগনের উন্নতির জন্য কাজ করি’’, ‘বন্ধু’ ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা মোদির

    উন্নয়নমূলক প্রকল্পে সাহায্যের পাশাপাশি নানা খাতে ২০ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায়ও ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছিলেন বাইডেন। বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস জিতলে মার্কিন-বাংলাদেশ সুসম্পর্ক বজায় থাকত। কিন্তু আগামী চার বছরের জন্য হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হতে চলেছেন ট্রাম্প। এই পর্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক খুব একটা ভালো হবে না বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে বাংলাদেশকে অর্থ সাহায্য দিতে আগ্রহী (Bangladesh) হবেন না বলেই আন্তর্জাতিক মহলের একটা বড় অংশের ধারণা (US President Election 2024)। সেই কারণেই প্রমাদ গুণছে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: “মুক্তিযোদ্ধারা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলেন?”, জেলহত্যা দিবসে প্রশ্ন শেখ হাসিনার

    Sheikh Hasina: “মুক্তিযোদ্ধারা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলেন?”, জেলহত্যা দিবসে প্রশ্ন শেখ হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজকের অবরুদ্ধ বাংলাদেশ কারাগারের অন্ধকারে প্রকোষ্ঠে পরিণত হয়েছে।” মাস তিনেক মুখে কুলুপ এঁটে থাকার পর কথাগুলি বললেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেশছাড়া শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। রবিবার বাংলাদেশে পালিত হয়েছে জেলহত্যা দিবস।

    কী বললেন হাসিনা (Sheikh Hasina)

    এদিন জারি করা এক বিবৃতিতে হাসিনা বলেন, “স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও দেশবিরোধী চক্র এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলার মাটি থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, প্রগতিশীল রাজনীতি ও বাংলাদেশ আওয়ামি লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস ও বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।” তাঁর মতে, কিন্তু তার পরেও সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। আরও একবার তা হবে। নভেম্বরের ৩ তারিখে গভীর রাতে মুক্তিযুদ্ধের চারজন প্রধান নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলি এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলের একটি প্রকোষ্ঠে নিয়ে এসে বাইরে থেকে এলোপাথাড়ি গুলি করে হত্যা করা হয়।

    দেশছাড়া হাসিনা

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে ৫ অগাস্ট দেশছাড়া হন হাসিনা। আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে তিনি (Sheikh Hasina) লেখেন, “দেশে বিভিন্ন সময়ে স্বাধীনতা-বিরোধীরা ক্ষমতাসীন হয়েছে। স্বাধীনতা-বিরোধী অপশক্তি দেশের গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করতে এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে বারবার হামলা করছে। কিন্তু দিনের শেষে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি এবং ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে।”

    আরও পড়ুন: গ্রেফতারির পর ‘উধাও’ অন্তর্বাসে প্রতিবাদ জানানো ইরানের তরুণী, কোথায় গেলেন তিনি?

    হাসিনা বলেন, “সময়ের পরিক্রমায় এক দিন সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের চেতনা চির জাগরূক থাকবে।” তাঁর প্রশ্ন, “মুক্তিযোদ্ধারা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলেন?” তিনি বলেন, “এখন শোক পালনের অধিকার নেই। আমি জাতির পক্ষ থেকে জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।” বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হত্যাকারীদের বিচারের বদলে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে, রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির যে কোনও (Bangladesh) ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে (Sheikh Hasina)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Adani Group: বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের জন্য ডেডলাইন বেঁধে দিল আদানি গোষ্ঠী

    Adani Group: বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের জন্য ডেডলাইন বেঁধে দিল আদানি গোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া না পেয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী (Adani Group)। এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের জন্য বাংলাদেশকে ডেডলাইন বেঁধে দিল ভারতীয় এই ব্যবসায়িক গোষ্ঠী (Bangladesh)। সংস্থার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৭ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেওয়া হবে না।

    আঁধারে ডুবতে পারে বাংলাদেশ (Adani Group)

    সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বিদ্যুতের দাম বাবদ বাংলাদেশের থেকে আদানি গোষ্ঠীর পাওনা ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সেই বকেয়া না মেটালে বন্ধ করে দেওয়া হবে বিদ্যুৎ সরবরাহ। আর যদি তা হয়, আঁধারে ডুবতে পারে বাংলাদেশ। বকেয়া না মেটানোয় সম্প্রতি বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দিয়েছে গৌতম আদানির সংস্থা। তার পরেই ব্যাপক লোডশেডিং শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিলে একেবারেই অন্ধকারে ডুবে যাবে মহম্মদ ইউনূসের দেশ।

    লেটার অফ ক্রেডিটও দিয়েছিল

    বাংলাদেশে সব চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানি গোষ্ঠী (Adani Group)। ২০২২ সাল থেকে ভারতীয় এই সংস্থা বিদ্যুৎ বিক্রি করে চলেছে পড়শি দেশকে। সেই বাবদ আদানির সংস্থার প্রাপ্য হয় ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর আগে বকেয়া মেটানোর জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন পর্ষদকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। সেই সঙ্গে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার লেটার অফ ক্রেডিটও দিয়েছিল। সেই টাকা কৃষি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে লেটার অফ ক্রেডিট দিয়ে মেটানোর কথা থাকলেও, তা দেয়নি বাংলাদেশ। তার জেরে ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দিয়েছে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড।

    আরও পড়ুন: ইরানে হিজাবের বিরুদ্ধে পোশাক খুলে অন্তর্বাস পরে বিক্ষোভ তরুণীর, শোরগোল মধ্যপ্রাচ্যে

    জানা গিয়েছে, চলতি মাসে প্রতিদিন ৭২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে আদানি গোষ্ঠীর তরফে। অথচ চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিদিন বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কথা ছিল ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় চরম বিদ্যুৎ সঙ্কটে ভুগছে বাংলাদেশ। জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই ইউনূসের দেশে দিনের অনেকটা সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ একেবারে বন্ধ করে দিলে (Bangladesh) দেশটি যে অন্ধকারে ডুবে যাবে, তা (Adani Group) বলাই বাহুল্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Adani: দেনা শোধ করেনি বাংলাদেশ, বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করল আদানি গোষ্ঠী

    Adani: দেনা শোধ করেনি বাংলাদেশ, বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করল আদানি গোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বাড়ছিল দেনার পরিমাণ। বারবার চেয়েও মেলেনি পাওনা। অগত্যা একপ্রকার বাধ্য হয়েই বাংলাদেশে (Bangladesh) বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিল আদানি (Adani) গোষ্ঠী।

    পাওনা মেলেনি (Adani)

    পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী, অক্টোবরের ৩১ তারিখের মধ্যে বকেয়া টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। সে বিষয়ে পড়শি দেশটির কর্তাদের আগাম সতর্কও করেছিল গৌতম আদানির গোষ্ঠী। তার পরেও পাওনা না মেলায় কমিয়ে দেওয়া হল বিদ্যুৎ সরবরাহ। তার জেরে পড়শি দেশটিতে ব্যাপক বিদ্যুৎ সঙ্কট হচ্ছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের আদানি পাওয়ার লিমিটেড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানি গোষ্ঠী।

    পড়শি দেশে বিদ্যুৎ সঙ্কট

    বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতি থেকে শুক্রবার মাত্র একদিনেই সে দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি তৈরি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াটের প্ল্যান্টের একটি সিঙ্গল ইউনিট থেকে মাত্র ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ডের পাওনার পরিমাণ প্রায় ৮৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। একাধিকবার চেয়েও সেই টাকার একটা অংশও না পাওয়ায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদানি (Adani) গোষ্ঠী।

    আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার রেকর্ড গড়ল জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ, কত হল জানেন?

    এর আগে বকেয়া চেয়ে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডকে চিঠি দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। সেই চিঠিতে বিদ্যুৎ সচিবকে বকেয়া মিটিয়ে দিতে বলা হয়েছিল। গত ২৭ অক্টোবর শেষ চিঠি দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। সেখানেই বলা হয়েছিল, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে। তার পরেও আদানির পাওনা নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি মহম্মদ ইউনূসের বাংলাদেশ। তার পরেই সরবরাহ অর্ধেক করার চিন্তাভাবনা করে গৌতম আদানির সংস্থা।

    সূত্রের খবর, ১৬০০ মেগাওয়াটের বদলে বৃহস্পতিবার থেকে আদানি গোষ্ঠী বাংলাদেশে বিদ্যুৎ দিচ্ছে ৭০০ মেগাওয়াট। তার জেরেই পড়শি দেশে ব্যাপক বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আদানি গোষ্ঠী সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বকেয়া (Bangladesh) না মেটালে সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে (Adani)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: গেরুয়া নিশান ওড়ানোয় দেশদ্রোহিতার অভিযোগ বাংলাদেশের ১৮ হিন্দুর বিরুদ্ধে

    Bangladesh Crisis: গেরুয়া নিশান ওড়ানোয় দেশদ্রোহিতার অভিযোগ বাংলাদেশের ১৮ হিন্দুর বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধ বলতে হিন্দুত্বের নিশান উড়িয়েছিলেন। গেরুয়া এই পতাকা ওড়ালে যে ‘সোনার বাংলা’য় (!) দেশদ্রোহিতার অভিযোগে (Sedition Case) অভিযুক্ত হতে হবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি বাংলাদেশের কয়েকজন হিন্দু। মুসলমান অধ্যুষিত দেশে হিন্দুত্বের ধ্বজা ওড়ানোয় ১৮ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা ঠুকে দেওয়া হয়েছে (Bangladesh Crisis)।

    হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে (Bangladesh Crisis)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, মহম্মদ ইউনূস জমানায় বেছে বেছে হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তথা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পও। বাংলাদেশের ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন চট্টগ্রামে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য আইন ও ট্রাইব্যুনালের দাবি জানিয়ে বিশাল সমাবেশ করেছে। তার পরে পরেই দায়ের হয়েছে দেশদ্রোহিতার মামলা। এই দাবিটি ছাড়াও আরও সাত দফা দাবি ছিল হিন্দুদের।

    ‘সনাতন জাগরণ মঞ্চে’র ব্যানারে সমাবেশ

    সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল ‘সনাতন জাগরণ মঞ্চে’র ব্যানারে। প্রথমে সমাবেশে বাধা দেয় পুলিশ। পরে অবশ্য সফলভাবেই শেষ হয় সমাবেশ। এর পরেই ১৮ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা ঠুকে দেওয়া হয়। যদিও সনাতন জাগরণ মঞ্চের দাবি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বুধবার মামলা রুজু হওয়ার পর মঞ্চের পক্ষ থেকে চেরাগি পাহাড় মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। সেই সঙ্গে শুক্রবার, ১ নভেম্বর দেশের ৬৪টি জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাকও দেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: “ছেলে কাঁদে কতক্ষণ? যতক্ষণ না স্তন পান করতে পায়, তারপরই কান্না বন্ধ হয়ে যায়”

    দেশদ্রোহিতার অভিযোগ

    দেশদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযু্ক্ত পুণ্ডরীক ধামের সভাপতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের একটি অংশ আট দফা দাবি তুলে ধরে এটিকে আওয়ামি লীগ ও ভারত সরকারের সমর্থনপুষ্ট হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে (Bangladesh Crisis)।” তিনি বলেন, “এই প্রতিবাদগুলি রাজনৈতিক নয়, বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধেও নয়।” কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী জানান, প্রশাসনের ওপর সংখ্যালঘু অধিকার সংরক্ষণের কাজে চাপ সৃষ্টি করতেই এই প্রতিবাদ আন্দোলন। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক মনোভাব চিরকালই প্রবল। ১৯৫১ সালে, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ। এখন সেটাই নেমে এসেছে ৮ শতাংশের নীচে। হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে ১ কোটি ১০ লাখের বেশি হিন্দু বাংলাদেশ (Sedition Case) ছেড়ে চলে গিয়েছে।

    যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে

    যে ১৮ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তোলা হয়েছে, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় সেই মামলা দায়ের করেন জনৈক ফিরোজ খান। বাংলাদেশের ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি অনুযায়ী, রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, মাথায় গেরুয়া ফেট্টি বাঁধা একদল লোক চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট এলাকায় জিরো পেয়েন্টে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার পাশে একটি গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করছে। তার জেরেই দায়ের হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেন, “ওই গেরুয়া পতাকা তোলার সঙ্গে সনাতনী সংগঠনগুলির কোনও সম্পর্ক ছিল না। ঘটনাটি লালদিঘির প্রতিবাদস্থল থেকে ২ কিমি দূরে ঘটেছিল।” তিনি বলেন, “আমি কোনওভাবেই ওই মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। ঘটনাটার সময় আমি স্থানীয় বিএনপি অফিসে ছিলাম।”

    মামলা প্রত্যাহারের দাবি

    চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধাম বাংলাদেশে হিন্দুদের দুটি পবিত্র তীর্থস্থানের একটি। কৃষ্ণ দাস সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রও। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ৩১ অক্টোবর রাতে দায়ের করেন বিএনপি-র এক স্থানীয় নেতা। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না। আমি শুনেছি যে আমায় গ্রেফতার করা হবে। তবে সারা বাংলাদেশে প্রতিবাদ আন্দোলন চলায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হচ্ছে। তাই গ্রেফতারিটা বিলম্বিত হতে পারে (Bangladesh Crisis)।”

    ত্রুটিপূর্ণ মামলা

    বাংলাদেশের এই হিন্দু নেতার মতে, মামলাটি অনেক দিক থেকেই ত্রুটিপূর্ণ। তিনি বলেন, “প্রথমত, যে পতাকাটিকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বলা হচ্ছে, তাতে চার কোণায় চারটি চাঁদ ও তারা আঁকা রয়েছে। এটি একটি ইসলামপন্থী পতাকা। দ্বিতীয়ত, যেটিকে জাতীয় পতাকা বলা হচ্ছে, তা পতাকা উত্তোলন সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘন করেই ওড়ানো হয়েছিল। তৃতীয়ত, গেরুয়া পতাকাগুলি আলাদা খুঁটিতে উত্তোলন করা হয়েছিল।” বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনগুলির অভিযোগ, সমাবেশে ব্যাপক ভিড় দেখেই প্রশাসনের একাংশ ও উগ্র ইসলামপন্থী দলগুলি অপপ্রচার শুরু করে। কৃষ্ণ দাস বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু সংগঠনগুলি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে।”

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে সরব হয়েছেন ট্রাম্পও। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য (Sedition Case) সংখ্যালঘুদের ওপর গণহিংসা ও লুটপাটের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। পুরো দেশটি এক ধরনের বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Hindus: বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস! অস্তিত্বের সঙ্কটে হিমাচলি হিন্দুরা, পালটা প্রতিরোধের ডাক

    Hindus: বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস! অস্তিত্বের সঙ্কটে হিমাচলি হিন্দুরা, পালটা প্রতিরোধের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্তিত্বের সঙ্কটে হিমাচলপ্রদেশের (Himachal Pradesh) হিন্দুরা (Hindus)! দ্রুত ঝাড়েবংশে বাড়ছে সে রাজ্যের মুসলমানরা। বদলে যাচ্ছে হিমাচলপ্রদেশের জনবিন্যাস। স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগে সে রাজ্যের হিন্দুরা। অগত্যা এক প্রকার বাধ্য হয়েই তাঁরা গড়ে তুলেছেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। সম্প্রতি হিন্দু ধর্ম জাগরণ যাত্রাও করেছিলেন হিমাচলপ্রদেশের হিন্দুরা। তাঁরা সরব হয়েছিলেন রাজ্যে গজিয়ে ওঠা অবৈধ মসজিদ-মাজারের সংখ্যা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে। এলাকায় অবৈধভাবে বসবাসকারী মুসলমানের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ায় উদ্বিগ্ন সে রাজ্যের হিন্দুরা। তাঁরা শুরু করেছেন ‘সেভ হিমাচল’ আন্দোলন। স্থানীয়দের দাবি, তাঁদের এই প্রতিবাদ শুধু অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা মসজিদ-মাজারের বিরুদ্ধে নয়, এটা তাঁদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষার লড়াই, যা তাঁদের পূর্বপুরুষরা সহস্রাব্দ ধরে সুরক্ষিত করেছেন।

    ইসলামিকরণের চেষ্টার প্রতিবাদ (Hindus)

    হিমাচলপ্রদেশে, বিশেষত সিমলায়, হিমাচলি হিন্দু সম্প্রদায় রাজ্যটিকে ইসলামিকরণের চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। এই অশান্তি শুরু হয় তখন, যখন দেখা যায় ৮৮ জন মুসলিম বিক্রেতার মধ্যে ৪৬ জনেরই আধার কার্ডে একই জন্মতারিখ রয়েছে। এর পরেই পরিচয় জালিয়াতির সন্দেহ জোরালো হয়। পরে জানা যায়, সমস্ত বিক্রেতাই বহিরাগত। ব্যবসা শুরু করার উদ্দেশ্যে এই অঞ্চলে এসেছিলেন। এ খবর চাউর হতেই ব্যাপকভাবে প্রতিবাদ শুরু করেন হিমাচলিরা (Hindus)। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যে তাঁদের নিরাপত্তার ঝুঁকি এবং জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের ভয়ে বিক্রেতাদের পরিচয়ের তদন্ত দাবি করেন তাঁরা। কীভাবে তারা এ রাজ্যে প্রবেশ করল, তাও জানতে চান তাঁরা।

    মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধি

    বছরের পর বছর ধরে হিমাচলিরা অবৈধ নির্মাণ, বিশেষত মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তাঁদের মতে, এটা সাংস্কৃতিক অবক্ষয় এবং জনসংখ্যাগত পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে। উত্তেজনা চরমে ওঠে ৩০ অগাস্ট, মালিয়ানা অঞ্চলে একটি হিংসাত্মক ঘটনা ঘটার পর। এখানে  মুসলিম যুবকদের একটি দল হিন্দু ব্যবসায়ীদের আক্রমণ করে। মুসলমানদের হামলায় গুরুতর জখম হন বিক্রম সিং নামে এক ব্যবসায়ী। এই ঘটনার পরেই এলাকায় গজিয়ে ওঠা একটি অবৈধ মসজিদের বিরুদ্ধে চড়া হয় প্রতিবাদের সুর।

    ওয়াকফ বোর্ডের দাবি

    মসজিদটির মালিকানা দাবি করে ওয়াকফ বোর্ড। তাদের দাবি, বিরোধের সূত্রপাত মূলত মসজিদ ভবন সম্প্রসারণ নিয়ে। তবে স্থানীয় হিন্দুদের অভিযোগ, মসজিদের তিনতলা বর্ধিত অংশ-সহ কিছু অবৈধ নির্মাণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। মান্ডি এবং কুল্লু-সহ রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও এই ধরনের অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়েছে (Hindus)। কুল্লুতে, খাদি ও গ্রাম শিল্প বোর্ডের জমিতে নির্মিত একটি অবৈধ জামা মসজিদ ২০১৭ সালে সম্প্রসারিত হওয়ার পর থেকেই রয়েছে বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে। 

    হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি

    রাজ্যের হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, এই ধরনের অবৈধ নির্মাণগুলি বহিরাগতদের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ, যাদের মধ্যে অনেকেই সামাজিক নানা অস্থিরতার সঙ্গে জড়িত। এরা রাজ্যের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। প্রতিবাদকারীদের মতে, সমস্যার মূল হল এই অবৈধ নির্মাণ এবং রাজ্যের জনসংখ্যাগত ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্ট অস্তিত্বের হুমকি। কেবল শিমলা নয়, রাজ্যের অন্যান্য জায়গার হিমাচলি (Himachal Pradesh) হিন্দুরাও অবৈধ মসজিদের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন। সেপ্টেম্বর মাসের শেষেও কুল্লুতে অবৈধ মসজিদ ভেঙে ফেলার দাবিতে গর্জে উঠেছিল হিন্দু সংগঠনগুলি।

    হিন্দু ধর্ম জাগরণ যাত্রা

    জানা গিয়েছে, কুল্লুতে হিন্দু ধর্ম জাগরণ যাত্রার সময় হিন্দু প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে পুলিশের সামান্য সংঘর্ষও হয়েছিল। বহু মহিলা গেরুয়া পতাকা ও ট্র্যাডিশনাল বাদ্যযন্ত্র সহযোগে হনুমান মন্দির থেকে আখড়া মসজিদ পর্যন্ত মিছিল করেন (Hindus)। আন্দোলনকারীরা কুল্লুর অবৈধ মসজিদ ভাঙার দাবি জানিয়েছেন। যদিও রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের দাবি, রাজ্যের কোনও মসজিদই অবৈধ নয়। ২৯ সেপ্টেম্বর কুল্লু জেলা কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেয়, আখাড়া বাজার মসজিদটি অবৈধ নয়, তবে মসজিদের রেকর্ডকৃত এলাকা ও প্রকৃত এলাকার মধ্যে প্রায় ১৫০ বর্গমিটারের পার্থক্য রয়েছে। ১৯৯০-১৯৯১ সালে একতলা মসজিদটি নির্মাণের পর ২০১৭ সালে তা চারতলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়, যা অনুমোদিত ম্যাপের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলেও দাবি হিন্দু সংগঠনগুলির।

    হিন্দুদের প্রতিবাদ

    সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে সিমলার একটি মসজিদের অংশ সরানোর দাবিতেও হয় আন্দোলন। একই ধরনের প্রতিবাদ হয় মান্ডিতেও। আন্দোলনকারীদের হঠাতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।হিমাচলপ্রদেশের হিন্দুরা তাঁদের জমি অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে উদ্যোগী হয়েছেন। জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে চাপ দিতে তারা রাস্তা অবরোধের মতো আন্দোলনের পথও অবলম্বন করেছেন। প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন বিভিন্ন বয়সের হিন্দুরা।

    আরও পড়ুন: ইজরায়েলে রকেট হামলা লেবাননের, নিহত ৭, ‘হিজবুল্লা যেন প্রস্তুত থাকে’, হুঁশিয়ারি ইহুদি দেশের

    এই মিছিলেই ছিলেন এক বয়স্ক ব্যক্তিও। তিনি বলেন, “ওয়াক্‌ফ বোর্ড দীর্ঘদিন ধরে হিন্দুদের জমি অধিগ্রহণ করছে।” তাঁর প্রশ্ন, “কেন হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে হিন্দু স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে না?” হিমাচলপ্রদেশের হিন্দুদের প্রতি তাঁর আহ্বান, তাঁরা যেন হিন্দু স্বার্থকে সর্বাগ্রে রাখেন। বাংলাদেশে কীভাবে মুসলমানরা সংখ্যালঘু হিন্দুদের লক্ষ্যবস্তু করছে, তারও উল্লেখ করেন তিনি। এই ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের সমর্থন এবং সুরক্ষাও যে তারা পাচ্ছে, তাও জানান তিনি।

    ‘দেবভূমি সংগ্রাম কমিটি’

    এদিকে, সম্প্রতি ‘দেবভূমি সংগ্রাম কমিটি’ একটি অবৈধভাবে নির্মিত ও সম্প্রসারিত সোলান মাজার চিহ্নিত করেছে। এই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার দাবিতে গভর্নরকে পিটিশনও জমা দিয়েছে তারা।হিমাচলপ্রদেশের সমাজকর্মী কামাল গৌতম অবৈধ দখল থেকে পাহাড়ি রাজ্যকে মুক্ত করার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেই কারণে মুসলমান জঙ্গিরা তাঁকে টার্গেটও করেছিল। তা সত্ত্বেও হিমাচলপ্রদেশের হিন্দুরা তাঁদের অবস্থানে অটল। অন্যদিকে, হিমাচলি প্রতিবেশীদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে উত্তরাখণ্ডের হিন্দুরা একটি মিছিল বের করেন। তাঁরাও অবৈধ মসজিদ ধ্বংসের দাবি জানান। মিছিলের আয়োজন করেছিল উত্তরাখণ্ডের হিন্দু সংগঠনগুলো। এই মিছিলেও যোগ দিয়েছিলেন কয়েক হাজার হিন্দু।

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে এবং গদি আঁকড়ে থাকতে গিয়ে বছরের পর বছর ধরে মুসলমানদের তোল্লাই দিয়ে গিয়েছে বিজেপি বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তারই বিষময় ফল ফলতে শুরু করেছে। ভারতে যে হারে মুসলমান জনসংখ্যা বাড়ছে, তাতে হয়তো অচিরেও এ দেশে বাংলাদেশের মতোই হিন্দুরা হয়ে পড়বেন সংখ্যালঘু। সেদিন যে এ দেশেও (Himachal Pradesh) বাংলাদেশের মতো ঘটবে না, হলফ করে তা বলতে পারে (Hindus) কে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: “আমি ক্ষমতায় থাকলে…’’, বাংলাদেশে হিন্দু নিধন নিয়ে সরব ট্রাম্প, দিলেন ‘বন্ধু’ মোদিকে বিশেষ বার্তা

    Donald Trump: “আমি ক্ষমতায় থাকলে…’’, বাংলাদেশে হিন্দু নিধন নিয়ে সরব ট্রাম্প, দিলেন ‘বন্ধু’ মোদিকে বিশেষ বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে যে নৃশংস অত্য়াচার হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ঢাকায় শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই পদ্মাপাড়ে চলছে অরাজকতা। হিন্দুদের উপর অত্যাচার যেন প্রতিদিনের ঘটনা। এবার এ নিয়ে সরব হলেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) ও ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সুসম্পর্ককে আরও মজবুত করার কথাও বললেন তিনি।

    শক্তির মাধ্যমেই শান্তি

    দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “অশান্ত বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুরা দুষ্কৃতীদের হাতে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশে প্রতিদিন লুটপাট চলছে। এর তীব্র নিন্দা করি।” ট্রাম্প লেখেন, “আমি ক্ষমতায় থাকলে, এমন কখনও হত না। কমলা হ্যারিস ও জো বাইডেন আমেরিকায় এবং বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের গুরুত্ব দেননি। ইজরায়েল থেকে ইউক্রেন, এমনকী আমাদের নিজেদের দক্ষিণ সীমান্তেও বিপর্যয় ঘটিয়েছে। তবে আমরা ফের আমেরিকাকে শক্তিশালী করব এবং শক্তির মাধ্যমেই শান্তি ফিরিয়ে আনব।”

    হিন্দু ধর্মীয় স্থানের উপরে হামলা

    সম্প্রতি বিদেশের মাটিতে হিন্দু ধর্মীয় স্থানের উপরে হামলার প্রসঙ্গও তুলে আনেন ট্রাম্প (Donald Trump)। লেখেন, “আমরা হিন্দু-আমেরিকানদেরও কট্টর বামপন্থীদের ধর্ম-বিরোধী অ্যাজেন্ডা থেকে রক্ষা করব। আমরা আপনাদের স্বাধীনতার জন্য লড়ব। আমার প্রশাসনের অধীনে ভারত ও আমার ভাল বন্ধু নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গেও সুসম্পর্ক আরও মজবুত করব।” প্রসঙ্গত, ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন একাধিকবার ভারত সফরে এসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রধানমন্ত্রী মোদিও ২০১৯ সালে আমেরিকার টেক্সাসে “হাউডি মোদি” অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তার পরের বছর, ২০২০ সালে আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য “নমস্তে ট্রাম্প” অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: শুরু হয়ে গেল ভোটের তোড়জোড়, নয়া নির্বাচন কমিশন গড়তে সার্চ কমিটি বাংলাদেশে

    Bangladesh: শুরু হয়ে গেল ভোটের তোড়জোড়, নয়া নির্বাচন কমিশন গড়তে সার্চ কমিটি বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া নির্বাচন কমিশন গড়ছে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার। সেজন্য মঙ্গলবার ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গড়ল ইউনূস সরকার। হাসিনা-উত্তর জমানায় (New Election Commission) দায়িত্ব নিয়েই ইউনূস জানিয়েছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করবেন। সেই মতো এদিন সার্চ কমিটি গড়ল ইউনূস সরকার।

    আইনি উপদেষ্টার বক্তব্য (Bangladesh)

    ইউনূস সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। দিন কয়েক আগে তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব হতে পারে। তাঁর ওই মন্তব্যের পর সরকারের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল জানিয়েছিলেন, সংস্কার নিয়ে তাঁদের মাথাব্যথা কম। বিএনপি চায় যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। এই আবহে মঙ্গলবার সার্চ কমিটি গড়ল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

    সার্চ কমিটি

    ইউনূস সরকারের (Bangladesh) তরফে জানানো হয়েছে, ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি নয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রতিটি পদে দুজন করে ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে। তাঁদের মধ্যে থেকেই প্রতিটি পদের জন্য বেছে নেওয়া হবে একজন করে। সার্চ কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকছেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুই বিশিষ্ট নাগরিক।

    আরও পড়ুন: ‘‘শেষের শুরু’’! হিজবুল্লার নতুন প্রধান কাশেমকে হুঁশিয়ারি ইজরায়েলের, বার্তা ইরানকেও

    এঁদের মধ্যে একজন পিএসসির প্রাক্তন চেয়ারপার্সন জিন্নাতুননেসা তাহমিদা বেগম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সিআর আরবার। পদাধিকারবলে সার্চ কমিটিতে থাকছেন বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মহম্মদ নূরুল ইসলাম ও পিএসসি চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে আসিফ বলেন, “ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যাত্রা শুরু হল। নির্বাচন কমিশন গড়ার উদ্দেশ্যে সার্চ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। দ্রুত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।”

    এদিকে, শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে উঠেপড়ে লেগেছিল ইউনূস সরকার। মঙ্গলবার সেই মামলা থেকে সরে আসেন (New Election Commission) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা (Bangladesh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share