Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Illegal Bangladeshi Migrants: তোষণের রাজনীতি! অবাধে চলছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন মমতা!

    Illegal Bangladeshi Migrants: তোষণের রাজনীতি! অবাধে চলছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন মমতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ (Illegal Bangladeshi Migrants) যখন তামাম ভারতের দুঃস্বপ্ন, তখন নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! (Mamata Banerjee) এমনই অভিযোগ বিজেপির। পদ্ম নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ দেশের শান্তি বিঘ্নিত করে। পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ বন্ধ করাই একমাত্র উপায়।” ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে একটি নতুন যাত্রী টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে।”

    বাড়ছে অনুপ্রবেশ (Illegal Bangladeshi Migrants)

    প্রবল আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশ ছেড়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পর থেকে উত্তরোত্তর বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। দেশ চালাতে একটা তদারকি সরকার গঠিত হয়েছে ঠিকই, তবে তার পরেও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বাংলাদেশিদের একটা অংশ। মূলত তাঁরাই সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসছেন ভারতে। বাংলাদেশের সংকট প্রতিদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতে অনুপ্রবেশের হারও নিত্যদিন বাড়ছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ (Illegal Bangladeshi Migrants) মাথাব্যথার কারণ অসমেরও। তবে অসম সরকার ইতিমধ্যেই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ এখনও নাকে সর্ষের তেল দিয়েই ঘুমোচ্ছে বলে অভিযোগ। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, গত দু’মাসে অসম এবং ত্রিপুরায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করা ১৩৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “গত দুমাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই আমরা আমাদের রাজ্যে কোনও ব্যক্তি বা একটি দলকে ধরছি। এই সমস্যার সমাধানে রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধন প্রয়োজন। অসম ও ত্রিপুরা এক যোগে কাজ করলেও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীরও সহযোগিতা করা দরকার।”

    কী বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট

    ২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, বাংলাদেশিরাই সর্ববৃহৎ গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এরপর পাকিস্তানিরা। ২০০৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছিল যে, বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক অবৈধ অনুপ্রবেশ হওয়ায় অসম, ত্রিপুরা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যের জনগণের জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে স্থানীয়দের মনে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। ২০০৮ সালে দিল্লি হাইকোর্ট বাংলাদেশি এক নাগরিকের বিতাড়নের বিরুদ্ধে পিটিশন খারিজ করার সময় বলেছিল, অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি-স্বরূপ (Illegal Bangladeshi Migrants)। বাংলায় মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাতে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ১৯৫১ সালের ১৯.৮৪ শতাংশ থেকে ২০১১ সালে এটি বেড়ে হয়েছে ২৭.০১ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: ‘‘দলে টানতেই পারে তৃণমূল’’, তন্ময়কাণ্ড নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন শুভেন্দু

    চোখে ঠুলি বেঁধে রয়েছে শাসক!

    রাজনৈতিক মহলের মতে, কেন্দ্র বারবার এই সমস্যাটি উত্থাপন করলেও, বাংলার শাসকরা (Mamata Banerjee) কানে তুলো এবং চোখে ঠুলি বেঁধে বসে রয়েছেন। তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে, কুর্সি নিশ্চিত করতে গিয়ে বাংলার সাড়ে সর্বনাশ করে ছেড়েছেন তাঁরা। অভিযোগ, মুসলিম এই ভোট ব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতেই রাজ্য সরকার গরু পাচার, জাল নোটের কারবার এবং মাদক ব্যবসার বিষয়ে নরম মনোভাব গ্রহণ করেছে। বর্ধমানে অনুপ্রবেশকারীদের একটি দল ১ হাজারটিরও বেশি বোমা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার পরেও কঠোর কোনও ব্যবস্থা তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

    সমস্যা যখন অনুপ্রবেশ

    প্রথমে কংগ্রেস এবং পরে বাম সরকারের আমলেও অনুপ্রবেশ (Illegal Bangladeshi Migrants) হয়েছে। তবে তা এত ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে অনুপ্রবেশ ক্রমেই বাড়ছে। এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা যেহেতু একটি ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করছে, তাই তাঁর দলের সদস্যরা অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নানাভাবে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। তৃণমূল নেতাদের কল্যাণে এই ব্যক্তিদের ভোটার আইডি কার্ড এবং আধার কার্ডও হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। পশ্চিমবঙ্গে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর তালিকার দিকে তাকালেই বিষয়টা আরও স্পষ্ট হয়ে যায়। ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে যারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং যাদের ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল অথচ এ দেশে রয়ে গিয়েছে, তাদের সংখ্যা যথাক্রমে ২৫ হাজার ৯৪২, ৪৯ হাজার ৬৪৫ এবং ৩৫ হাজার ০৫৫।

    কী বলছে নিরাপত্তা সংস্থা

    দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি বারবার বলেছে যে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে সবচেয়ে বড় বিপদ। এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক খেলা খেলছে। তারা এই ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র দিচ্ছে। এটা নিয়ে তারা সারা দেশ ভ্রমণ করছে। ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও ব্যাপকভাবে বসতি স্থাপন করছে তারা ওই পরিচয়পত্র নিয়েই। কেবল তাই নয়, ঝাড়খণ্ডের মতো জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে তারা স্থানীয় মেয়েদের বিয়ে করে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের সম্পত্তি। ব্যাপক অনুপ্রবেশের জেরে বদলে যাচ্ছে এলাকার জনবিন্যাস (Mamata Banerjee)। রমরমা কারবার চলছে জাল নোটের। মাদক পাচার, গরু পাচার এসব কাজও দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে তারা (Illegal Bangladeshi Migrants) শাসকদলের নেতাদের প্রশ্রয়ে।

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে সংবিধান, প্রশাসন ইত্যাদি সংস্কারে ৬টি কমিশন ইউনূসের, নেই কোনও সংখ্যালঘু!

    Bangladesh: বাংলাদেশে সংবিধান, প্রশাসন ইত্যাদি সংস্কারে ৬টি কমিশন ইউনূসের, নেই কোনও সংখ্যালঘু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশে (Bangladesh) আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী ও অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। নতুন সরকারের আমলে সেখানে হিন্দুদের ওপর নৃশংসভাবে অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের কথা বলা হচ্ছে। কমিশন গঠনেও কি মৌলবাদীদের দাপাদাপি, প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। 

    কমিশনে নেই কোনও সংখ্যালঘু! (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণা মতো ছ’টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হল। পূর্ণাঙ্গভাবে ঘোষিত ছয়টি কমিশনের মোট সদস্য ৫০ জন। এর মধ্যে সাবেক আমলা ১৫, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ২, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ৮, বিচারপতি ও বিচারক ৫, আইনজীবী ৬, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ৬ এবং অন্যান্য পেশার (এনজিও, মানবাধিকারকর্মী, বিশেষজ্ঞ ইত্যাদি) ৮ জন। এসব পেশাজীবীর মধ্যে নারী পাঁচজন। শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ছয়জনের মধ্যে শুধু একজনের নাম জানানো হয়েছে। এর বাইরে চারটি কমিশনের শুধু প্রধানদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১০টি কমিশনের প্রধান পদে নারী স্থান পেয়েছেন মাত্র একজন। তা-ও নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনে। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, সংস্কার কমিশনগুলিতে আমলাদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় রাখা হয়েছে। তবে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষকদের প্রাধান্য বেশি (পাঁচজন)। কিন্তু তার একটিতেও রইলেন না সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খিস্ট্রান জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা! যা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। পাশাপাশি, ছ’টি সংস্কার কমিশনে মহিলাদের প্রতিনিধিত্বও ‘অনেক কম’ বলে অভিযোগ উঠল।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ‘দানা’, চরম দুর্যোগের আশঙ্কা, এই সময়ে কী করবেন আর কী করবেন না

    চাকমা সার্কেলের প্রধান সরব হয়েছেন

    সংস্কার কমিশনগুলিতে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের (Bangladesh) প্রতিনিধিত্ব না থাকায় হতাশা প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন চাকমা সার্কেলের প্রধান রাজা দেবাশিস রায়। ১৩ অক্টোবর তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘(সংস্কার কমিশনে) আদিবাসী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, নারী এবং অন্যান্য প্রান্তিক বা সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা হয় সম্পূর্ণভাবে অনুপস্থিত বা দৃশ্যমানভাবে অপর্যাপ্ত। এটা একজন নোবেলজয়ীর নেতৃত্বাধীন সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করেছে।’ রাজা দেবাশিস রায় প্রথম আলোকে বলেন, “সংস্কার কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় যাঁরা ছিলেন, তাঁরা আমাকে ওই কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এরপর কীভাবে সেই নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল হয়ে গেল, সেটি আমি বলতে পারব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বিক্ষোভকারীদের চাপের মুখে নতি স্বীকার, বাংলাদেশে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ

    Bangladesh Crisis: বিক্ষোভকারীদের চাপের মুখে নতি স্বীকার, বাংলাদেশে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনকারীদের চাপের মুখে নতি স্বীকার করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh Crisis)! প্রবল আন্দোলনের জেরে দেশছাড়া হয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার তার দল আওয়ামী লীগের ছাত্রশাখা ছাত্রলীগকে (Chhatra League) নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এবং সেটাও আন্দোলনকারীদের চাপে। বুধবার মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। লিখিত বিবৃতিতে একই কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর দফতরের সিনিয়র সচিব মহম্মদ আবদুল মোমেনও।

    কী বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে (Bangladesh Crisis)

    সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে বিশেষ করে গত ১৫ বছর ধরে স্বৈরাচারী শাসনকালে বাংলাদেশ ছাত্র লীগ খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন, হস্টেলে সিট নিয়ে ব্যবসা, টেন্ডার দুর্নীতি, ধর্ষণ, যৌন হেনস্থার মতো নানা ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। একাধিক মামলায় ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্তরা অভিযুক্ত হিসেবেও প্রমাণিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে এবং শতাধিক নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে যুক্ত থাকার তথ্যপ্রমাণ সরকারের কাছে রয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর অধীনে সরকার বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে।’’

    আরও পড়ুন: “পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি”, জিনপিংকে মোদি

    নতুন করে শুরু আন্দোলন

    প্রসঙ্গত, সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ, আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনকে জঙ্গি তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা-সহ পাঁচ দফা দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে ঢাকায় শুরু হয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন (Bangladesh Crisis)। ওই দিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির বাসভবন ‘বঙ্গভবনে’র বাইরে অবস্থানকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের একাংশের সংঘর্ষও হয়। বুধবার আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার জন্য বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। তার আগেই (Chhatra League) ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ইউনূস সরকার (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ফের উত্তপ্ত ঢাকা! এবার রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের বাইরে বিক্ষোভ 

    Bangladesh Crisis: ফের উত্তপ্ত ঢাকা! এবার রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের বাইরে বিক্ষোভ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত ঢাকা (Bangbhaban Dhaka)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ দফা দাবি নিয়ে আবারও ঢাকার রাজপথে বিক্ষোভে সামিল ছাত্ররা (Bangladesh Crisis)। সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগ, আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনকে জঙ্গি তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করাসহ ৫ দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছে ঢাকায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবন-এর বাইরে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান শুরু করে। পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে।

    পুলিশের সঙ্গে বিরোধ

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের (Bangbhaban Dhaka) সামনে শ’দুয়েক বিক্ষোভকারী শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ (Bangladesh Crisis) জানাতে শুরু করে। কিন্তু রাত বাড়ার সাথে সাথে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে সক্রিয় হয় পুলিশ। দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও সংঘর্ষ হয়। পুলিশ বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সাউন্ড গ্রেনেড ফাটায়, লাঠিচার্জ করে। এতে ৫ জন জখম হয়েছেন। মধ্যরাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লা ও সমন্বয়ক সারজিস আলম উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভে ইতি টানার ডাক দিয়ে জানান, আগামী ৩ দিনের মধ্যে তাঁরা যোগ্য রাষ্ট্রপতি বেছে ৭ দিনের মধ্যে পদে বসাবেন।

    আরও পড়ুন: বন্ধুত্বের উষ্ণতা, অনুবাদক ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী মোদির কথা বোঝেন পুতিন!

    কেন ফের উত্তপ্ত ঢাকা

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ২৫ অক্টোবর সেনাপ্রধান আমেরিকা থেকে ফেরার পরেই তাঁরা এ বিষয়ে এগোবেন। রাষ্ট্রপতিকে সরানোর দাবি গত কয়েক দিন ধরেই তুলছিল কোটা-বিরোধী ছাত্ররা। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, দেশছাড়া হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনও ‘দালিলিক প্রমাণ’ নেই। এর পরেই উপদেষ্টা আসিফ নজরুল রাষ্ট্রপতিকে ‘মিথ্যাচারী’ বলে তাঁকে সরানোর দাবি তোলেন। একই দাবি তোলেন ছাত্র সমন্বয়কেরাও। এর ফলে আবারও বিশৃঙ্খলা শুরু হয় ঢাকায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Taslima Nasreen: ভারতে থাকার অনুমতি মিলল? শাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিলেন তসলিমা

    Taslima Nasreen: ভারতে থাকার অনুমতি মিলল? শাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিলেন তসলিমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়া মিলল কেন্দ্রের তরফে। বর্ধিত সময়ের জন্য ভারতে থাকার অনুমতি পেলেন বাংলাদেশের সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন। একদিন আগে শেষ চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর ভারতে বসবাসের জন্য পারমিট রিনিউ করার আবেদন নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি আর্জি জানান যে ভারতেই যেন তাঁকে থাকতে দেওয়া হয়। অবশেষে অনুমতি মিলল, বলেই অনুমান তসলিমার অনুরাগীদের। তারপরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদে ভরালেন তসলিমা।

    কী বললেন তসলিমা

    ভারতে থাকার অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়া নিয়ে লাগাতার কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়ে আসছিলেন তসলিমা। একদিন আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় শাহকে আর্জি জানান তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘‘অমিত শাহজি, আমি ভারতে থাকি কারণ এই মহান দেশকে ভালবাসি আমি। গত ২০ বছর ধরে ভারত আমার দ্বিতীয় বাড়ি। কিন্তু গত ২২ জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আমার বসবাসের অনুমতিপত্রের মেয়াদ বাড়ায়নি। আমি খুব চিন্তিত।’’

    এর পরই, মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শাহকে ধন্যবাদ জানান তসলিমা। লেখেন, ‘‘অমিত শাহ, দুনিয়ার সব ধন্যবাদ আপনাকে।’’ শাহের উদ্যোগে তাঁর ভারতে থাকার অনুমতিপত্রের মেয়াদ বর্ধিত করা হয়েছে কি না যদিও খোলসা করেননি তসলিমা। তবে, একদিন আগে জরুরি ভিত্তিতে তাঁর ওই আবেদন এবং তার পর দিনই শাহকে ধন্যবাদজ্ঞাপন, ইতিবাচক ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

    আরও পড়ুন: প্রশাসনের পদক্ষেপ সদর্থক নয়, নির্যাতিতার মা-বাবার অনুরোধে অনশন প্রত্যাহার জুনিয়র ডাক্তারদের

    বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনের লেখা বই ওপার বাংলায় ভয়ঙ্কর শোরগোল ফেলেছিল এবং যার জেরে ১৯৯৪ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ফতেয়া জারি করা হয়েছিল। বাংলাদেশ ছাড়া হয়ে তিনি ভারতে আশ্রয় নেন। দীর্ঘসময় কলকাতায় ছিলেন তিনি। এরপর রাজস্থানের জয়পুর হয়ে শেষ পর্যন্ত দিল্লিতেই বসবাস করছেন লং টার্ম রেসিডেন্সি পারমিটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফাই দেননি শেখ হাসিনা! এ কী কথা শোনালেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি?

    Sheikh Hasina: প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফাই দেননি শেখ হাসিনা! এ কী কথা শোনালেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর ছেলের দাবি, প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেননি শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিনেরও দাবি, হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, এমন কোনও প্রামাণ্য নথি তাঁর কাছে নেই। সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় সাড়ে তিন মাস। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকারউজ জামান জানিয়েছেন, হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন। যদিও হাসিনার ছেলে কিংবা রাষ্ট্রপতির দাবি ভিন্ন।

    কী বলছেন রাষ্ট্রপতি? (Sheikh Hasina)

    বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৭(ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হলে ইস্তফাপত্র পাঠাতে হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের দৈনিক ‘মানবজমিন’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শাহবুদ্দিন জানান, হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে তাঁকে কিছুই জানাননি। সেনাপ্রধান ওয়াকারকেও তিনি এ বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তিনিও সুস্পষ্টভাবে তাঁকে কিছু জানাতে পারেননি বলেই দাবি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির। শাহবুদ্দিন বলেন, “ওয়াকারও জানিয়েছিলেন, তিনি শুনেছেন হাসিনা পদত্যাগ করেছেন।” তবে সেটা হাসিনা রাষ্ট্রপতিকে জানানোর সময় পাননি বলেই অনুমান ওয়াকারের।

    শাহবুদ্দিনের দাবি

    শাহবুদ্দিন জানান, ৫ অগাস্ট (এদিনই দেশ ছেড়েছিলেন হাসিনা) সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে ফোন এসেছিল। বলা হয়েছিল, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বঙ্গভবনে আসবেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। ঘণ্টাখানেক পরেই আবারও ফোন এসেছিল। এবার তাঁকে জানানো হয় হাসিনা আর যাচ্ছেন না রাষ্ট্রপতি ভবনে (বঙ্গভবন)।

    হাসিনার (Sheikh Hasina) ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছিলেন, “আমার মা কোথাও লিখিতভাবে পদত্যাগ করেননি।” হাসিনা নিজেও এ ব্যাপারে কিছু জানাননি। এবার রাষ্ট্রপতিও জানিয়ে দিলেন, হাসিনার পদত্যাগের প্রামাণ্য কোনও নথি বঙ্গভবনে নেই। প্রসঙ্গত, ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার খবর।

    আরও পড়ুন: কেজরির শিশমহলের কড়ি-বর্গায়ও জমিদারির ছাপ, আপ নেতার হলটা কী?

    ওই সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী চলে গিয়েছেন, এটাই সত্য। এই বিষয়ে যাতে কখনও কোনও প্রশ্ন না ওঠে, সেজন্য (Bangladesh Crisis) সুপ্রিম কোর্টের মতামতও নেওয়া হয়েছে (Sheikh Hasina)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: ‘মানবতা-বিরোধী অপরাধ’! হাসিনা-সহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি বাংলাদেশে

    Sheikh Hasina: ‘মানবতা-বিরোধী অপরাধ’! হাসিনা-সহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটা সংস্কার আন্দোলন পর্বে ‘গণহত্যা এবং মানবতা বিরোধী অপরাধ’-এর অভিযোগে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (International Crimes Tribunal)।  তাঁর দল আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াবদুল কাদের-সহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে হাসিনা-সহ সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তদন্তকারী সংস্থাকে। বৃহস্পতিবার এই পদক্ষেপ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ

    বৃহস্পতিবারের শুনানি পর্বে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর আইনজীবী মহম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘এই অপরাধগুলো বিস্তৃত মাত্রায় সারা বাংলাদেশ জুড়ে সংঘটিত হয়েছে। এই অপরাধে অভিযুক্ত যাঁরা, তাঁরা অসম্ভব রকমের প্রভাবশালী, তাঁদের গ্রেফতার করা না হলে তদন্তের প্রক্রিয়া পরিচালনা করা কঠিন।’’ তাঁর সেই যুক্তি মেনে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মোর্তাজা মজুমদার এবং দুই সদস্য— বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

    কোথায় হাসিনা

    প্রসঙ্গত, গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকে ৭৭ বছরের শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) আর একবারও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। বস্তুত, তিনি বর্তমানে কোথায় রয়েছেন, তা নিয়েও নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, ছাত্র আন্দোলন ও কালক্রমে শুরু হওয়া গণ-আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। গত ৫ অগাস্ট তড়িঘড়ি নিজের বোনকে সঙ্গে নিয়ে নয়া দিল্লি চলে আসেন তিনি। হাসিনার ‘ভারতে থাকা’ নিয়ে পড়শি বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই একাধিকবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। যদিও ভারত তার প্রেক্ষিতে সরকারিভাবে কোনও সাড়া দেয়নি।

    আরও পড়ুন: বোমাতঙ্ক-ছিনতাইয়ের হুমকি! এবার বিমানেই থাকবেন কমান্ডোরা, ভাবনা এনএসজি-র

    কী করবে ভারত

    হাসিনাকে বিপাকে ফেলতে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে। তথ্য বলছে, ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা রুজু হলে ঢাকার তরফে নয়াদিল্লির কাছে হাসিনাকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে স্বদেশে ফিরে আইনি কার্যাবলী ও ফৌজদারি শুনানির মুখে পড়তে হবে। তবে, কূটনৈতিক মহলের দাবি, বাংলাদেশ বললেই যে ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে প্রত্যার্পণ করতে বাধ্য থাকবে, ব্যাপারটা মোটেও তেমন নয়। হাসিনা যেহেতু এক ‘বর্ণময় রাজনৈতিক চরিত্র’ তাই ভারত সেই আবেদন বাতিলও করতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 6A Of The Citizenship Act: নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট

    6A Of The Citizenship Act: নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারার (6A Of The Citizenship Act) সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বৃহস্পতিবার এই রায় দিল শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও এই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশ, বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা।

    সাংবিধানিক বেঞ্চে দ্বিমত (6A Of The Citizenship Act)

    প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়-সহ চার বিচারপতি এই ধারার সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিলেও, দ্বিমত পোষণ করেন সাংবিধানিক বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি পারদিওয়ালা। ৬-এ ধারাকে তিনি ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দেন। এদিন রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, অসম চুক্তি মেনে অবৈধ অভিবাসনের সমস্যার এটি একটি রাজনৈতিক সমাধান। বেআইনি অনুপ্রবেশ সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানসূত্র অসম চুক্তি। সেই চুক্তি সূত্রে নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারার যৌক্তিকতা রয়েছে বলে রায় আদালতের। স্থানীয় জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে ও ভারসাম্য বজায় রাখতে এমন ধারা তৈরি করার আইনি ক্ষমতা সংসদীয় ব্যবস্থার রয়েছে।

    ৬-এ ধারা

    ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে ভিত্তি করে প্রয়োগ করা হয় ৬-এ ধারাটির। ওই দিনই শেষ হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ। তাই ওই ধারাটিকে বাংলাদেশ যুদ্ধের প্রেক্ষিতেই দেখতে হবে। সেই কারণে ওই তারিখটিকে ভিত্তি করে ধারাটির প্রয়োগ যথাযথ বলে অভিমত শীর্ষ আদালতের। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারির আগে যারা অসমে এসেছে, তাদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে ধরতে হবে। ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মধ্যে যারা এসেছে, তারা অন্যান্য যোগ্যতা পূরণ করতে পারলে ভারতীয় নাগরিকত্ব চাইতে পারেন। কিন্তু ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পরে আসা সবাইকেই বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করে আটক করে ফেরত পাঠাতে হবে বাংলাদেশে।

    আরও পড়ুন: যত নষ্টের গোড়া ট্রুডো! নিজ্জর খুনে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধনা ভারতের

    অসমের জন্যই ৬-এ ধারা

    কেবলমাত্র অসম রাজ্যের জন্যই নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারাটি তৈরি করা হয়েছিল। অসমে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পরে ১৯৮৫ সালে ভারত সরকার ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে হওয়া অসম চুক্তির অঙ্গ হিসেবে নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারা তৈরি করা হয়েছিল। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর যেসব বাংলাদেশি অসমে অনুপ্রবেশ করেছে, তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশে রূপান্তরিত হওয়ার পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ঘোষণা করেছিলেন, ১৯৭১ এর পর দেশ ছেড়ে যাওয়া সবাইকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। সেই জন্যই ৬-এ ধারায় ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে বেছে নেওয়া হয়েছে (Supreme Court)। কারণ (6A Of The Citizenship Act) বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ।

    সুপ্রিম কোর্টে আবেদন

    অসমে অবৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত ওই ধারা অসাংবিধানিক বলে দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে মোট ১৭টি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। সেগুলিই একত্রিত করে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শুরুতে। আবেদনকারীদের বক্তব্য, অসম চুক্তিকে ২৫৩ ধারার অধীনে বৈধতা দিতে কোনও পদক্ষেপ করেনি সংসদ। তাই অসম চুক্তিরই বৈধতা নেই। কিন্তু এদিন কেন্দ্রের আবেদন মেনে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ সায় দিয়েছে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে সময়সীমা ধার্য করার ব্যবস্থাকেই।

    অসম চুক্তি

    অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন শুরু হয় অসমে। আন্দোলনে ইতি টানতে ১৯৮৫ সালে হয় অসম চুক্তি। চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় আন্দোলনকারী ও ভারত সরকারের মধ্যে। এই অসম চুক্তিরই অঙ্গ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারা। এই ধারা অনুযায়ীই ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত অসমে অনুপ্রবেশ করা বাংলাদেশিদের ভারতীয় নাগরিকত্বের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলাদেশের সঙ্গে অসমের সীমান্তের দৈর্ঘ্য অনেক বেশি। অন্যান্য সীমান্তবর্তী রাজ্যের তুলনায় অসমে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা স্থানীয় জনগণের চেয়ে বেশি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অসমে মোট জমির পরিমাণ পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে কম। তাই পশ্চিমবঙ্গে ৫৭ লাখ অনুপ্রবেশকারী থাকলেও, অসমে ৪০ লাখ অনুপ্রবেশকারীর জন্য ওই ধারার প্রয়োগ যথাযথ, অভিমত আদালতের।

    আবেদনকারীদের অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, আবেদনকারীদের অভিযোগ, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারা ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘন করছে। ওই ধারা অনুযায়ী, অসমে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিকেই প্রমাণ করতে হয় তিনি ভারতীয় নাগরিক। ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারায় সাম্যের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এই ধারা অনুয়ায়ী, দেশি, বিদেশি কিংবা অ-নাগরিক হয়েও যদি কেউ ভারতে বাস করেন, তিনিও সংবিধানে বর্ণিত সাম্যের অধিকার ভোগ করবেন। সুপ্রিম কোর্টের সাফ কথা, শরণার্থীদের আশ্রয়ের প্রসঙ্গ নয়, এ ক্ষেত্রে বিচার করা হয়েছে (Supreme Court) নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টির সাংবিধানিক বৈধতা (6A Of The Citizenship Act)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: হাসিনার পরিবারের সঙ্গে যুক্ত আটটি জাতীয় দিবস বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশে

    Bangladesh: হাসিনার পরিবারের সঙ্গে যুক্ত আটটি জাতীয় দিবস বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা এসেছিল মুক্তিযুদ্ধের পর। আর তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভারত তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। অতীতের সেই স্মৃতি এবার অতল গহ্বরে চলে যেতে চলেছে। কারণ, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ঘোষিত হওয়া আটটি জাতীয় দিবসকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এগুলি জাতীয় দিবস হিসেবে ওপার বাংলায় পরিচিত ছিল। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবার এই সব ছুটি ও জাতীয় দিবসগুলি বাতিল করতে চলেছে বলে খবর।

    বাতিলের তালিকায় কোন কোন তারিখ রয়েছে? (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রতি এক বৈঠকে আটটি দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শীঘ্রই এই দিনগুলি জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জাতীয় দিবসের তকমা হারানোর তালিকায় রয়েছে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস। ১৫ অগাস্ট মুজিবরের মৃত্যুবার্ষিকী, ৮ অগাস্ট হাসিনার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন, ৫ অক্টোবর হাসিনার ভাই শেখ কামালের জন্মদিন এবং ১৮ অক্টোবর হাসিনার অপর ভাই শেখ রাসেলের জন্মদিনকেও জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রমনায় মুজিবরের ভাষণকে স্মরণীয় করে রাখতে ওই দিনটিকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিল হাসিনার সরকার। সেটিকেও বাতিল করা হচ্ছে। এ ছাড়া ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস এবং ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিল হাসিনার আওয়ামী লিগ শাসিত সরকার। ওই দু’টি দিনকেও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

    আরও পড়ুন: ঘুচল অন্ধত্ব, হাতে তরোয়ালের জায়গায় সংবিধান, নব কলেবরে ‘লেডি অফ জাস্টিস’

    চলতি বছরের হাসিনা সরকারের পতন

    চলতি বছরেই বাংলাদেশে (Bangladesh) হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে। শুরুটা হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে। যা পরবর্তী পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রূপ নেয়। প্রায় দু’মাস ধরে চলা আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিতে হয় হাসিনাকে। বাধ্য হন দেশ ছাড়তে। আপাতত অর্থনীতিবিদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে রয়েছে বাংলাদেশের শাসনভার। নতুন করে নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারই বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: বাংলাদেশে হামলার মুখেও হিন্দুদের ঐক্য শিক্ষনীয়, বার্তা ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: বাংলাদেশে হামলার মুখেও হিন্দুদের ঐক্য শিক্ষনীয়, বার্তা ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের হিন্দুদের দেখে সমগ্র হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) । প্রতিবেশী রাষ্ট্রে তাদের ওপর অত্যাচার রুখতে এই প্রথম এক হয়েছেন সে দেশের হিন্দুরা। শনিবার  বিজয়া দশমীর প্রাক্কালে দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর লাগাতার হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। শনিবার নিজের বক্তব্যে বাংলাদেশিদের একাংশের মধ্যে পাকিস্তান প্রেমকেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।

    সমগ্র হিন্দু সমাজের কাছে এটা শিক্ষণীয় (Mohan Bhagwat)

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী বাংলাদেশে কী হচ্ছে তা আমরা দেখছি। এই প্রথম হিন্দুরা নিজেদের রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। যত দিন পর্যন্ত এই চরমপন্থী হিংসা জারি থাকবে, ততদিন পর্যন্ত সব সংখ্যালঘুরাই বিপদের মধ্যে রয়েছেন। সারা বিশ্বের হিন্দুদের তাঁদের সমর্থন করা উচিত। ভারত সরকারেরও পদক্ষেপ করা উচিত।” হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়াকে জোর দিয়ে তিনি আরও বলেন, “আমরা দুর্বল হয়ে পড়লে অত্যাচারের ঘটনাগুলিকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমরা যেখানেই থাকি না কেন, আমাদের সবাইকে এক হতে হবে। বাংলাদেশে হিন্দুরা রাস্তায় বেরিয়ে প্রতিবাদ করছেন। সমগ্র হিন্দু সমাজের কাছে এটা শিক্ষণীয়। এমনই মনে করেন।” পাশাপাশি গোটা বিশ্বের তাঁদের পাশে দাঁড়ানো উচিত বলেও মনে করেন সঙ্ঘ প্রধান।

    আরও পড়ুন: কলকাতার রাজপথে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’! ঘরে ঘরে অরন্ধনের ডাক

    অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে মুখ খুললেন মোহন

    শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করার পর বাংলাদেশে বিপুল রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই প্রসঙ্গে মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) বক্তব্য, “বাংলাদেশে আলোচনা হচ্ছে, ভারত নাকি তাদের হুমকি দিয়েছে। তারা বলছে, ভারতের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে তারা জোট বাঁধার কথা ভাবছে। মনে করছে, তাহলেই ভারতকে থামাতে পারবে।” এই প্রসঙ্গে তিনি কোনও দেশের নামোল্লেখ না করে আরও বলেন, “আমরা জানি, কোন দেশগুলি এই ধরনের আলোচনায় মদত জোগাচ্ছে। তাদের নাম নেওয়ার দরকার নেই। তারা ভারতেও একই রকম অবস্থা তৈরি করতে চায়। তারা ভারতের প্রগতির গতি রুখতে চায়।”

    পাকিস্তান প্রেমকেও কটাক্ষ

    মোহন বলেন,  “ওরা প্রথমে দেশের সংস্কৃতি ধ্বংস করবে। তার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দখল করবে। তার পর তারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করবে যে মানুষ নিজের সভ্যতা সংস্কৃতিকেই ঘৃণা করতে শুরু করে। তারা অসন্তোষ ছড়াবে। সমাজে প্রত্যক্ষ সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করবে। ব্যবস্থা, আইন, প্রশাসনের ওপর অনাস্থা তৈরি করতে একটা অরাজকতা ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করবে তারা। এতে তাদের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে সুবিধা হবে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশে যা ঘটছে তা থেকে ভারতের হিন্দুদের শিক্ষা নেওয়া উচিত যে আমরা একজোট না হলে অত্যাচারকে আমন্ত্রণ জানাব।’ ভগবৎ বলেন, “হাসিনা দেশ ছাড়তেই সেখানকার কিছু মানুষের মধ্যে পাকিস্তান প্রেম জেগে উঠেছে। তারা বলছে, পাকিস্তানের কাছে পরমাণু বোমা আছে। যা দিয়ে হিন্দুদের চাপে রাখা যাবে। যারা এই ধরণের প্রচার করছে তারা ভারতের ক্ষতি চায়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share