Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • RSS: বাংলাদেশি হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান, পাশ প্রস্তাব আরএসএসের, রাষ্ট্রসংঘেরও হস্তক্ষেপ দাবি

    RSS: বাংলাদেশি হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান, পাশ প্রস্তাব আরএসএসের, রাষ্ট্রসংঘেরও হস্তক্ষেপ দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় পাশ হল বাংলাদেশ (Bangladesh) ইস্যুতে প্রস্তাব। এই প্রস্তাবে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ওই প্রস্তাবে সাফ বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হওয়া আক্রমণগুলিকে রাজনৈতিক হামলা বলে চালিয়ে দিলে হবে না। যদি এমনটা হয় সেক্ষেত্রে তা হামলার ধর্মীয় দিকটিকে অস্বীকার করা হয় ও সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া হয়।’’ আরএসএসের মতে, ‘‘অশান্ত বাংলাদেশে হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।’’ তাই এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলেও মনে করেছে আরএসএস। এবিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপেরও দাবিও জানিয়েছে আরএসএস।

    বাংলাদেশের হিংসা হিন্দু বিরোধী নয়, ভারত বিরোধীও বটে

    আরএসএস (RSS) নিজেদের প্রস্তাবে আরও জানিয়েছে, কেবল সরকারকে স্মারকলিপি দিলেই এক্ষেত্রে কাজ মিটবে না। সংঘ সর্বদা সমাজের শক্তিতে বিশ্বাস করে। সমাজে যখনই কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তখন সমগ্র সমাজের উচিত ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর সমাধান খুঁজে বের করা। সংঘের ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশে যে ধরনের হিংসা চলছে তা কেবল হিন্দু-বিরোধী নয় বরং ভারত-বিরোধীও বটে। বেশ কিছু আন্তর্জাতিক শক্তি বাংলাদেশে হিন্দু ও ভারতীয় সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’’

    হিন্দু মঠ-মন্দিরে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ (RSS)

    আরএসএসের (RSS) ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা বাংলাদেশে (Bangladesh) উগ্র ইসলামপন্থীদের হাতে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এই ধরনের হামলায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক মঠ, মন্দির, দুর্গাপুজো প্যান্ডেল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ, দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর, হিন্দুদের সম্পত্তি লুটপাট, নারীদের অপহরণ, শ্লীলতাহানি এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার মতো অনেক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি রাজনৈতিক হামলা বলে চালিয়ে দিলে হবে না। যদি এমনটা হয় সেক্ষেত্রে তা হামলার ধর্মীয় দিকটিকে অস্বীকার করা হয় ও সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া হয়।’’

    হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন বাংলাদেশে, বলছে পরিসংখ্যান

    সংঘের (RSS) ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতিদের উপর এমন নির্যাতন নতুন কিছু নয়।’’ এপ্রসঙ্গে সংঘের দাবি, ‘‘বাংলাদেশে ১৯৫১ সালে যেখানে ছিল ২২ শতাংশ হিন্দু, সেখানে আজ তা ৭.৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।’’ সংঘের মতে, ‘‘এই ক্রমহ্রাসমান হিন্দু জনসংখ্যাই বলে দিচ্ছে, সনাতনীরা সেদেশে অস্তিত্বের সংকটে ভুগছেন।’’

    সংঘের প্রস্তাবে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি

    সংঘের তরফ থেকে বাংলাদেশ ইস্যুতে জাতি সংঘের হস্তক্ষেপও চাওয়া হয়েছে। আরএসএসের ওই প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, ‘‘রাষ্ট্রসংঘ সমেত বিশ্বজুড়ে থাকা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির উচিত বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হওয়া অত্যাচারের ঘটনাগুলিতে গুরুত্ব সহকারে দেখা।’’ এর পাশাপাশি, হিংসা বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দেওয়া উচিত বলেও মনে করছে সংঘ। একই সঙ্গে আরএসএস বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেও আহ্বান জানিয়েছে।

    আন্তর্জাতিক চক্র অস্থির করতে চাইছে ভারতকে

    সংঘের (RSS) প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চক্র ভারতে অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য চক্রান্ত করছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে অবিশ্বাস ও সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। আরএসএস মনে করে, ভারতের সঙ্গে সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং সামাজিক বন্ধন রয়েছে প্রতিবেশী দেশের। এই কারণে যেকোনও অস্থিরতা সমগ্র অঞ্চলে উদ্বেগ তৈরি করছে।’’

    বাংলাদেশ (Bangladesh) ইস্যুতে পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার

    আরএসএসের মতে, ‘‘বাংলাদেশের হিন্দু সমাজ সাহসিকতার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ, সম্মিলিত এবং গণতান্ত্রিক উপায়ে হিংসার প্রতিবাদ করছে ও প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় ঘটনা।’’ আরএসএসের প্রস্তাবে বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদি সরকারের যে ভূমিকা, তার ভূয়সী প্রশংসাও করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভারত সরকার বাংলাদেশের হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে। ভারত সরকার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চেও বিষয়টি উত্থাপন করেছে। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা ভারত সরকারকে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা, মর্যাদা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

  • Nagpur Violence: নাগপুর হিংসায় বাংলাদেশ যোগ! পদ্মাপাড় থেকেই উস্কানি, জানাল সাইবার সেল

    Nagpur Violence: নাগপুর হিংসায় বাংলাদেশ যোগ! পদ্মাপাড় থেকেই উস্কানি, জানাল সাইবার সেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঔরঙ্গজেবের সমাধি হঠানোকে কেন্দ্র করে হিংসা! ভাঙচুর, পাথর ছোড়া থেকে আগুন লাগানো। উত্তাল নাগপুর (Nagpur Violence)। ঘটনার তদন্তে নেমে নাগপুর পুলিশের সাইবার সেল জানতে পেরেছে, একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়ানো হয়েছিল হিংসা। বাংলাদেশের (Bangladesh Connection in Nagpur) একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টও খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পদ্মাপাড় থেকেই আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছেন চক্রান্তকারীরা, দাবি সাইবার সেলের।

    নাগপুর হিংসায় বাংলাদেশি পোস্ট

    সম্প্রতি ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছিল নাগপুরে (Nagpur Violence)। তবে সেই হিংসাই একেবারে অন্যদিকে মোড় নেয় যখন স্থানীয় পুলিশ বুঝতে পারে যে সোশ্য়াল মিডিয়ায় কিছু লিঙ্ক ঘুরছে যেটা আসল উৎপত্তিস্থল হল বাংলাদেশ। নাগপুর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট একটা ফেসবুক পোস্টকে চিহ্নিত করে। সেটা আসলে এক বাংলাদেশি পোস্ট করেছিল। যার জেরে শহরে আবার অস্থিরতা তৈরি হয়। সাইবার সেল সূত্রে খবর, সেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বাংলাদেশের এক ব্যক্তির। সেই পোস্টের মাধ্য়মে হিংসা যাতে ছড়িয়ে পড়ে তার উস্কানি দেওয়া ছিল। নাগপুর হিংসাকে ছোট ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছিল ওই অ্যাকাউন্টের আর একটি পোস্টে। ভবিষ্যতে আরও বড় হিংসার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।

    বহু পোস্টের আইপি অ্যাড্রেস বাংলাদেশের

    নাগপুর (Nagpur Violence) পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত ৯৭টি আপত্তিকর এবং ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট পাওয়া গিয়েছে। এই ধরনের বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করা হয়েছিল এমন কম্পিউটার থেকে, যেগুলির আইপি অ্যাড্রেস ছিল বাংলাদেশের (Bangladesh Connection in Nagpur)। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে নাগপুর পুলিশ চারটি এফআইআর দায়ের করেছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৯০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে দাঙ্গাকারীদের অনেকেই আত্মগোপন করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হিংসা এবং গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত প্রায় ২০০ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, আরও এক হাজার জনকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশ ১৮টি দল গঠন করেছে। এই দলগুলি তদন্তের বিভিন্ন দিকে নিযুক্ত। প্রসঙ্গত, ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিতে ১৭ মার্চ নাগপুরের মহাল এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল। সেখানে একটি ধর্মগ্রন্থের অবমাননা করা হয়েছে বলে গুজব ছড়ায়। সেই গুজবকে কেন্দ্র করে নাগপুরের বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

  • Bangladesh Crisis: সনাতন ধর্মের অবমাননা! উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিক্ষোভ হিন্দু পড়ুয়াদের

    Bangladesh Crisis: সনাতন ধর্মের অবমাননা! উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিক্ষোভ হিন্দু পড়ুয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম (Sanatan Dharma) অবমাননার অভিযোগে প্রতিবাদ করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) হিন্দু পড়ুয়ারা (Hindu students)। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় লাগোয় রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু-ছাত্রছাত্রীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সম্মিলিত সনাতন নাগরিক জোটের সদস্যরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Bangladesh Crisis) রেজিস্ট্রার পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

    বিতর্কের সূত্রপাত সোশ্যাল সাইটের পোস্ট

    বিতর্কের সূত্রপাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র আবু সায়েমের একটি ফেসবুক পোস্ট (face book post)। তাতে সে হিন্দু ধর্মকে অবমাননা (insult to Hindu dharma) করে আপত্তিজনক কথাবার্তা লেখে। জাকি আহম্মেদ নামে আর এক ছাত্র হিন্দুদের হত্যা (call for killing) করার ডাক দেয়। ওই দুই ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবিতে পথে নামে হিন্দু ছাত্ররা। তারা স্লোগান দেয়, ‘মানি না, মানব না, ধর্মের অবমাননা’। তাদের দাবি, ‘এক দুই তিন চার চাই সায়েমের বহিষ্কার’।

    ছাত্রদের ৩ দফা দাবি

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের ছাত্র সৌরভ বালাই এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমরা এ দেশের নাগরিক। আমরা চাই যেন নাগরিকের সম্মান নিয়ে বাঁচতে পারি।’ তিনি অভিযোগ করেন, সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ বন্ধ করতে সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে। এক ছাত্রী বলেন, যে ধরনের পোস্ট দেওয়া হয়েছে, তা কোনও সংখ্যালঘু দিলে অনেক আগেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়ে দিত। অভিযুক্ত সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের বলেই প্রশাসন হাত গুটিয়ে আছে। আর এক ছাত্রী বোটানি বিভাগের সুমি বিশ্বাস দাবি করেন, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। রেজিস্ট্রারের কাছে হিন্দু পড়ুয়ারা যে দাবিপত্র পেশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ম অবমাননার ঘটনা নির্মূল করতে হবে। অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে পাকাপাকিভাবে বহিষ্কারের পাশাপাশি হিন্দু ছাত্ররা শিক্ষকদের বিষয়েও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, বাংলা, সংস্কৃত বিভাগে সাহিত্য সমালোচনার ক্লাসে শিক্ষকদের অনেকেই হিন্দু ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যা, অবমাননামূলক মন্তব্য করে থাকেন। শিক্ষকদেরও সতর্ক করতে বলেছে হিন্দু ছাত্ররা।

    ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

    এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দফতর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা এবং পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ প্রদানের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সান্টু বড়ুয়া, সদস্যসচিব হিসেবে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তাক আহমেদ। এ ছাড়া বাকি তিনজন হলেন সহকারী প্রক্টর মুহা. রফিকুল ইসলাম, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশিস পাল এবং প্রাধ্যক্ষ স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন।

  • VHP Leader Arrested: বাংলাদেশে অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন, এবার গ্রেফতার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    VHP Leader Arrested: বাংলাদেশে অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন, এবার গ্রেফতার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন। মাস কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল (VHP Leader Arrested) বাংলাদেশের হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। গত নভেম্বরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। এখনও নিষ্পত্তি হয়নি সেই মামলার, আদালতে ঝুলে রয়েছে। এমনই আবহে ফের গ্রেফতার করা হল আরও এক হিন্দু নেতাকে। যার জেরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হিন্দুরা।

    ভিএইচপি নেতা গ্রেফতার (VHP Leader Arrested)

    ফেরা যাক খবরে। এবার রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহাসচিব ও অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি কপিল কৃষ্ণ মণ্ডলকে। সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয় কপিল কৃষ্ণকে। ইতিমধ্যেই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বাগেরহাটের চিতলমারি থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁকে। পুলিশের অভিযোগ, হিন্দু ওই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের প্রমাণ মিলেছে। তাঁর মোবাইলে বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে বেশ কিছু সন্দেহভাজনের বৈঠকের ছবি ও কথোপকথন মিলেছে। তার ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছে মামলা।

    বাংলাদেশ পুলিশের বক্তব্য

    চিতলমারি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, কপিলের বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী নাশকতার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তিনি জানান, থানার এসআই মোহম্মদ মাহমুদ হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। ওসি বলেন, “কপিল তাঁর গ্রামের বাড়িতে বসে রাত ৩টের দিকে ৫-৬জন সহযোগীকে নিয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা নষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টের দিকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কপিলের সহযোগীরা পালিয়ে যান। কপিলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে সন্দেহভাজন দেশি ও বিদেশি নাগরিকদের মোবাইল ফোন নম্বর, ছবি ও কথোপকথনের (VHP Leader Arrested) তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।”

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদ

    গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়েন তিনি (Bangladesh Crisis)। তার পরেই ভারতের এই পড়শি দেশে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেই সমাবেশেই ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। অভিযোগ, সেই সমাবেশেই তিনি অবমাননা করেছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার। এই অভিযোগেই চট্টগ্রামের একটি থানায় হিন্দু ওই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। ৩১ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ফিরোজ। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই ২৫ নভেম্বর ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রামে।

    চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতের বাইরে জড়ো হন বহু হিন্দু। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। ওই সংঘর্ষে খুন হন এক আইনজীবী। সেই খুনের ঘটনায় সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ২১ জন হিন্দুকে। চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে যাতে কোনও আইনজীবী মামলা না লড়েন, সেজন্য হুঁশিয়ারি দেয় বাংলাদেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের একটা (VHP Leader Arrested) বড় অংশ।

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। হাসিনা দেশ ছাড়তেই হিন্দুদের মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়ি ঘরে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র। তবে কয়েক মাস যাওয়ার পরেও সে দেশে বন্ধ হয়নি হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয় সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে (Bangladesh Crisis)। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু ও বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারে সেখানে কাঠগড়ায় খোদ বাংলাদেশ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল হয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি।

    এদিকে, বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে পথে নেমেছিল বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা। জুলাই বিপ্লবের ছাত্র নেতারাও সরব হয়েছিলেন ইসকনের বিরুদ্ধে। সারসিজ আলম চট্টগ্রামে ইসকন ও হিন্দুদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ভাষণ দেন। তার প্রতিবাদে ভারতের রাস্তায়ও প্রচুর লোক নেমেছিল। বাংলাদেশি মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে স্লোগানও ওঠে (Bangladesh Crisis)। ভারত সরকারও একাধিকবার বিবৃতি জারি করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে (VHP Leader Arrested)।

  • MHA: অবৈধ বাংলাদেশি সংক্রান্ত সব মামলাকে এক ছাতার তলায় এনে বৃহৎ তদন্তের পরিকল্পনা কেন্দ্রের

    MHA: অবৈধ বাংলাদেশি সংক্রান্ত সব মামলাকে এক ছাতার তলায় এনে বৃহৎ তদন্তের পরিকল্পনা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধভাবে বসবাসকারী সন্দেহে সারা দেশে গত কয়েক মাস ধরেই ধরপাকড় শুরু হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ভুয়ো নথিপত্র। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে (Bangladeshi Immigrants) পাকড়াও করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে এ দেশ থেকে বিতাড়নের প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে। এই আবহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (MHA) তরফে দেশব্যাপী সব মামলাকে এক ছাতার তলায় এনে বৃহৎ তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রতি একটি বৈঠকে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এমনই নির্দেশ পাঠিয়েছে অমিত শাহের দফতর।

    কাদের বিরুদ্ধে তদন্ত

    স্বারাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA) সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অসম, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, বাংলা-সহ সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবৈধভাবে বসবাসকারী বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিদের (Bangladeshi Immigrants) চিহ্নিত করেছে ভারত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সম্প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শুধু বাংলাদেশি নাগরিকদরে নয়, যারা তাদের এ দেশে আসতে সাহায্য করেছে তাদেরকেই আগে খুঁজে বের করতে হবে। সেইসব ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে বলা হয়েছে যারা অবৈধ অভিবাসীদের আধার এবং ভারতের নাগরিকত্ব সম্পর্কিত অন্যান্য নথি তৈরি করতে সহায়তা করেছেন।

    আধার সেন্টারকে নির্দেশ

    স্বারাষ্ট্রমন্ত্রকের (MHA) এক আধিকারিক জানান, বাংলাদেশি অভিবাসীদের (Bangladeshi Immigrants) বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন, নথি তৈরির জন্য ব্যবহৃত ফাঁকফোকরগুলিও চিহ্নিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত সন্দেহজনক আধার কার্ড পুনঃযাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে আধার তৈরির জন্য জমা দেওয়া নথিগুলির স্ক্রুটিনি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আধার কর্তৃপক্ষের সাথে এক বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তাদের বলা হয়েছে যে, তারা যেন সমস্ত আধার সেন্টারকে নির্দেশ দেয়, যদি কোনও ব্যক্তি সন্দেহজনক নথির মাধ্যমে আধার তৈরি বা সংশোধন করার চেষ্টা করে, তারা যেন তা পুলিশকে জানায়।

    ডিটেনশন সেন্টারে রাখার নির্দেশ

    যদি কোনও ব্যক্তি অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিক হন, তাহলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর, তাকে ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হবে। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে তাদের নিরাপদ ফেরত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট ফ্রিওর অফিস (FRRO)কে জানানো হবে। দিল্লি পুলিশ সম্প্রতি একটি বিশেষ অভিযানে ২০টিরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে, যারা রাজধানীতে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং তাদের খোঁজার জন্য ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করা হয়েছে। ভারতীয় ভূখণ্ডে অবৈধ অভিবাসন কোনও নতুন ঘটনা নয়। দেশে ক্রমাগত অবৈধ অভিবাসী আসতে থাকছে। ভারতীয় সৈন্যরা সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু সৈন্যরা সীমান্তে নজরদারি করা সত্ত্বেও অবৈধ অভিবাসীরা কীভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে লুকিয়ে ঢুকছে,তারই খোঁজ চলছে।

    অবৈধ অনুপ্রবেশ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মতে, ২০২৪ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ২৬০১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করেছে । বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। কড়া নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত একীকরণের মাধ্যমে সর্বক্ষণ চলছে প্রহরা। অসমের ধুবরিতে হাবল সীমান্ত ব্যবস্থাপনা (CIBMS) সিস্টেমের একটি পরীক্ষামূলক পাইলট প্রকল্পও চালু করা হয়েছে। অবৈধ সীমান্ত অতিক্রমের বিষয়টি তদারকি করার জন্য, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BGB) এর সঙ্গে বিভিন্ন স্তরে আলোচনা করে ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (BSF)। এছাড়াও, ২০১১ সালে বিএসএফ এবং বিজিবি-র মধ্যে একটি সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (CBMP) স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার আওতায় বিএসএফ-বিজিবি নোডাল অফিসারদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

    সক্রিয় সরকার

    এখনও পর্যন্ত ৩০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি অভিবাসীকে পাকড়াও করে ভারত থেকে বার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীরা জাল নথিপত্র ব্যবহার করে এ দেশে থাকছিলেন বলে অভিযোগ। অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য নথি জাল করে দেওয়ার একটি চক্রও সক্রিয় রয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দিল্লিতে প্রায় ১৭৫ জনকে অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাঁদের খুঁজে বার করতে দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে চিরুনি তল্লাশিও শুরু হয়েছে।

    কেন ভারতে আসছে বাংলাদেশিরা

    নানা পরিসংখ্যান বলছে সারা ভারতে বর্তমানে কয়েক কোটি বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছে। যাঁরা পদ্মাপাড় থেকে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে এসে বসবাস শুরু করেছে। বাংলাদেশে দ্রুত জনসংখ্যার বৃদ্ধি, জমির অপর্যাপ্ততা, বেকারত্ব, বন্যা এবং সাইক্লোনসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশিরা ভারতে আসছে বলে অনুমান কূটনৈতিক মহলের। বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের ভালো অর্থনৈতিক অবস্থা এবং উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থাও একটি কারণ বলে দাবি করা হয়েছে।

  • India: মৌলবাদীদের রোষে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান! ওয়াকার-উজ-জামানকে কীভাবে সাহায্য করছে ভারত?

    India: মৌলবাদীদের রোষে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান! ওয়াকার-উজ-জামানকে কীভাবে সাহায্য করছে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের সেনাপ্রধান (Bangladesh Army Chief) জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের উপর বিরাগভাজন ইসলামপন্থীরা। তার কারণটা কী? ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট যখন গণভবনের দখল নেয় ইসলামপন্থীরা, সেসময় তাঁরা ভেবেছিলেন শেখ হাসিনাকে ধরে ফেলবেন। পরবর্তীকালে প্রকাশ্যে তাঁকে ফাঁসি দেবে। কিন্তু ইসলামপন্থীদের এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত হতে যিনি দেননি তাঁর নাম জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। যিনি বর্তমানে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। এই সেনাপ্রধানের উদ্যোগেই শেখ হাসিনা তাঁর বোনকে সঙ্গে নিয়ে দেশ ছাড়েন। আশ্রয় নেন ভারতে (India)। গত সপ্তাহতেই বাংলাদেশের পাকিস্তানপন্থীরা জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সরিয়ে সেদেশের ১ লাখ ৬৩ হাজার সেনার উপরে নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনাকেই ভেস্তে দিয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে এই অভ্যুত্থান নেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ করার পরেই বেশ চিন্তায় পড়েছে পাকিস্তানের আইএসআই।

    বাংলাদেশে এখনও ইউনূস সরকারের কাছে নতি স্বীকার সেনা (India)

    পাক গোয়েন্দাদের হতাশ হওয়ার কারণ হল জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের সেনার কোনও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাননি। কারণ তিনি মনে করতেন ১৯৭১ সালের যুদ্ধে এরাই বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল। ৫ অগাস্টের পর থেকে সারা বাংলাদেশ জুড়ে যে অবিচার ও অনাচার চলছে তার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠানই। শুধুমাত্র কোনওভাবে নতি স্বীকার করেনি বাংলাদেশের সেনা। এই কারণেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে। একইসঙ্গে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকাতে একটি সেনার অনুষ্ঠানে যোগ দেন সেনাপ্রধান। সেখানেই তিনি ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে প্রচ্ছন্ন সমালোচনা করেন। নিজের বক্তব্যে সেনা প্রধান দেশে শান্তি ও ঐক্য স্থাপনের কথা বলেন।

    জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান হলে আদতে শেখ হাসিনার আত্মীয়

    জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান হলেন আদতে শেখ হাসিনার আত্মীয়। তাঁকে সর্বদাই অরাজনৈতিক এবং পেশাদার সেনা হিসেবেই দেখা হয়। মনে করা হয় যে তিনি ভারতের (India) প্রতি অনুকুল মনোভাব পোষণ করেন। এইসবের কারণেই পাকিস্তানপন্থীদের ও বাংলাদেশের ইসলামপন্থী রাজনীতিবিদদের ক্ষোভের কারণ হয়ে উঠেছেন তিনি। গত ২১ জানুয়ারি আইএসআই প্রধান জেনারেল আশিম মালিক ঢাকা সফর করেন। মনে করা হয় জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এই সফরের বিরুদ্ধে ছিলেন। কিন্তু ইউনূস প্রশাসনের সামনে তাঁকে নতি করতে হয়। সেনাপ্রধানের আপত্তি সত্ত্বেও এই সফর হয়।

    ভারতের (India) পরামর্শেই আফ্রিকা সফর

    জানা গিয়েছে, ভারতের পরামর্শেই বাংলাদেশের জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান মধ্য আফ্রিকার প্রজাতন্ত্রের সফর করেন গত ৩ মার্চ। সেখানেই তিনি জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেন। একই সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও তাঁর একপ্রস্থ বৈঠক হয় বলে খবর। এখন দেখার বাংলাদেশের সেনার মধ্যে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকীভাবে পাকিস্তানপন্থীদের সরিয়ে রাখেন।

  • Bangladesh: ফের হিন্দু হত্যা বাংলাদেশে, স্ত্রীর সামনেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুন

    Bangladesh: ফের হিন্দু হত্যা বাংলাদেশে, স্ত্রীর সামনেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দু হত্যা বাংলাদেশে (Bangladesh)। ঢাকার অদূরে (Dhaka) সাভারের আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে দোকান বন্ধের সময় স্ত্রীর সামনেই এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হল। এরপরে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করতে ককটেলও ফাটায় হামলাকারীরা। গত অগাস্ট মাসের পর থেকেই হিন্দুদের ওপর চরম নির্যাতন চলছে বাংলাদেশে। এই আবহে ফের এক হিন্দু ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনা সামনে এল। নিহত দিলীপ দাস (৪৮) সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর দাসপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তিনি নয়ারহাট বাজারে দিলীপ স্বর্ণালয় নামের একটি সোনার দোকানের মালিক। রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর আহত ওই ব্যবসায়ীকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

    কী জানালেন পুলিশ অধিকর্তা?

    আশুলিয়া থানার (Bangladesh) পুলিশ আধিকারিক কামাল হোসেন বলেন, ‘‘সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দিলীপ যখন তালাবদ্ধ করে দোকান থেকে বের হচ্ছিলেন, তখনই চারজন লোক এসে তাঁকে পেছন থেকে আঘাত করে। পরে তিনি সামনে ঘুরলে আবারও তাঁকে আঘাত করা হয়। তাঁর হাতে একটি ব্যাগ ছিল। সেই ব্যাগ হামলাকারীরা ছিনিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ব্যাগে কী ছিল, সেটি এখনো জানা সম্ভব হয়নি। ফুটেজে ধোঁয়া দেখা গিয়েছে, সম্ভবত তারা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। অপরাধীদের ধরার চেষ্টা চলছে।’’

    কী বলছেন স্ত্রী ও ভাই?

    দিলীপ দাসের পিসতুতো ভাই খোকন সরকার বলেন (Bangladesh), ‘‘সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দোকান বন্ধ করে দিলীপ বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। পরে ওষুধ কেনার জন্য স্ত্রীকে নিয়ে আবার বাজারে আসেন। এ সময় পরিচিত একজনকে সোনার হার বিক্রি করেন। পরে দোকান বন্ধ করে শাটার নামানোর সময় তিন-চারজন দিলীপকে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ব্যাগে ১৫-২০ ভরি স্বর্ণালংকার ছিল।’’ দিলীপের স্ত্রী সরস্বতী দাস বলেন, ‘‘বাড়ি যাওয়ার জন্য দোকান বন্ধ করে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে রওনা হয়েছিলেন উনি। আমিও সঙ্গে ছিলাম। তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে সব নিয়ে যায় হামলাকারীরা।’’

    কী বলছেন ডাক্তার?

    বেসরকারি এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Bangladesh) জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মেরাজুর রেহান বলেন, ‘‘রাত ১০টার দিকে মারাত্মক আহত অবস্থায় দিলীপ দাসকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর বুকে বড় ক্ষত ছিল। গালের ডান পাশে ও পিঠে ক্ষত ছিল। চিকিৎসা শুরুর পরপরই তিনি মারা যান। মনে করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা গেছেন। তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়, লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়, অপারেশন থিয়েটারেও নেওয়া হয়। তবে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’’

  • Indian Defence Ministry: রাশিয়ার সঙ্গে ২১,১৬১ কোটির প্রতিরক্ষা চুক্তি ভারতের! ক্ষমতা বাড়বে টি-৭২ ট্যাঙ্কের

    Indian Defence Ministry: রাশিয়ার সঙ্গে ২১,১৬১ কোটির প্রতিরক্ষা চুক্তি ভারতের! ক্ষমতা বাড়বে টি-৭২ ট্যাঙ্কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার (Russian Company) অস্ত্র রফতানিকারক সংস্থা রোসোবারোন এক্সপোর্টের সঙ্গে ২,১৬১ কোটি টাকার চুক্তি নয়াদিল্লির। গতকাল শুক্রবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Indian Defence Ministry) এক বিবৃতিতে এমনই তথ্য জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৭০-এর দশকে ভারতে প্রথম চালু হয়েছিল টি-৭২ ট্যাঙ্ক, যা ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্যতম প্রধান যুদ্ধ সরঞ্জাম। জানা গিয়েছে, বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ৭৮০ হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিনযুক্ত প্রায় ২ হাজার ৫০০ টি-৭২ ট্যাঙ্ক সক্রিয় রয়েছে। নতুন করে কেনা ১ হাজার হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন দিয়ে বর্তমান ট্যাঙ্কগুলির ইঞ্জিনকে প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Indian Defence Ministry) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এতে ভারতীয় সেনার শক্তি আরও বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এরফলে উদ্বেগ বাড়ল চিন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের।

    ইঞ্জিন তৈরি হবে চেন্নাইয়ে(Indian Defence Ministry)

    এই চুক্তির আওতায় রাশিয়ান সংস্থ রোসোবারোনএক্সপোর্ট থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হবে ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আর্মার্ড ভেহিক্যালস নিগম লিমিটেডকে। এরফলে চেন্নাইয়ের আভাদিতে অবস্থিত হেভি ভেহিক্যাল কারখানাতে দেশীয়ভাবে এই ইঞ্জিনগুলি তৈরি হবে। মোদি সরকারের এমন উদ্যোগের ফলে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি আরও গতি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে রাশিয়া ভারতের শীর্ষ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহকারী দেশ। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার সরবরাহ ক্ষমতা বেশ খানিকটা কমেছে।

    সম্প্রতি কী বলেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন যে, যুদ্ধ সরঞ্জামের স্বনির্ভরতার (Indian Defence Ministry) ক্ষেত্রে ভারত ক্রমশই এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারত যুদ্ধ সরঞ্জামের রফতানির দিক থেকেও ক্রমশই এগিয়ে চলেছে। দশ বছর আগে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত রফতানি করত ৬০০ কোটি টাকার যুদ্ধ সরঞ্জাম। কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। ২০২৯ ও ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত রফতানি করতে পারবে ৫০,০০০ কোটি টাকার যুদ্ধ সরঞ্জাম।’’ অন্যদিকে তথ্য বলছে ২০২৪ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে ভারতের প্রতিরক্ষা খাত প্রতিবছর কুড়ি শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন অস্ত্র, গোলাবারুদ, মহাকাশ সরঞ্জাম, ইলেকট্রনিক্স ও নৌ প্রযুক্তিতে ব্যাপক উন্নতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Bangladesh: পাকিস্তানকে বিশ্বাস করার আগে বাংলাদেশের উচিত একাত্তরের গণহত্যার ঘটনার কথা মনে রাখা

    Bangladesh: পাকিস্তানকে বিশ্বাস করার আগে বাংলাদেশের উচিত একাত্তরের গণহত্যার ঘটনার কথা মনে রাখা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবর্তনের মুখে বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক পরিস্থিতি। শেখ হাসিনার অপসারণ এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এটি হল পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার একটি ইঙ্গিত। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সেটি হল, বাংলাদেশের নেতারা কি ১৯৭১ সালের রক্তাক্ত ইতিহাস ভুলে যেতে চাইছেন? দীর্ঘদিন ভারতের অকৃত্রিম বন্ধু ছিল বাংলাদেশ। হাসিনা-উত্তর জমানায় বদলাতে চলেছে সেই পরিস্থিতি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের এই পরিবর্তন শুধুমাত্র আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির জন্য নয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্যও গভীর উদ্বেগের।

    শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ গণহত্যা (Bangladesh)

    ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পূর্ব পাকিস্তানের (অধুনা বাংলাদেশ) জনগণের ওপর পাকিস্তানের নৃশংস সামরিক দমন-পীড়ন ছিল বিংশ শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ গণহত্যা। ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বাধীন সামরিক জুন্টা, শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামি লিগকে দেওয়া গণতান্ত্রিক রায় মেনে নিতে রাজি হয়নি। এর পরেই “অপারেশন সার্চলাইট” নামের একটি অভিযান শুরু করে। এই অভিযান চলাকালীন ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ এবং জোরপূর্বক গুম হয়। এই অভিযানে অকালে প্রাণ খোয়ান প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি। বাস্তুহারা হন লাখ লাখ মানুষ। পাক সামরিক বাহিনী, জামাত-ই-ইসলামির মতো স্থানীয় সহযোগীদের সহায়তায়, পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী, ছাত্র এবং হিন্দু সংখ্যালঘুদের নিশানা করেছিল অত্যাচারীরা। এই অভিযানের উদ্দেশ্যই ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দমন করা।

    বেদনাবিধুর গল্প

    এই সময়ের ক্ষত এখনও (Bangladesh) দগদগে বাংলাদেশের পরিচয়ের সঙ্গে। ঢাকার গণকবর, ধর্ষণ, জীবিতদের সাক্ষ্য এবং পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর নৃশংসতায় বিচ্ছিন্ন হওয়া অসংখ্য পরিবারের বেদনাবিধুর গল্প কেবল ইতিহাসের পাতার ফুটনোট নয়, বরং মনে করিয়ে দেয় কেন বাংলাদেশ পাকিস্তানের (Pakistan) দমনমূলক শাসন থেকে মুক্তির জন্য লড়াই করেছিল। প্রশ্ন হল, ঢাকার নয়া সরকার কি ১৯৭১ সালে লাখ লাখ বাংলাদেশির আত্মত্যাগকে উপেক্ষা করে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করবে? যে দেশ এক সময় বাংলাদেশের অস্তিত্বটাকেই মুছে ফেলতে চেয়েছিল, তাদের সঙ্গে ফের গড়বে সখ্যতা?

    ক্ষমা চায়নি বাংলাদেশ

    বাংলাদেশে এই গণহত্যার পর পার হয়ে গিয়েছে অর্ধশতকেরও বেশি সময়। তার পরেও পাকিস্তান আজও তাদের নৃশংসতার জন্য ক্ষমা চায়নি। ঐতিহাসিক অপরাধ স্বীকার করার কোনও সদিচ্ছাও তারা দেখায়নি। জার্মানি যেমন তাদের নাৎসি অতীতের মুখোমুখি হয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে পুনর্মিলনের চেষ্টা করেছিল, পাকিস্তান তার বদলে বেছে নিয়েছে অস্বীকারের পথ। একের পর এক পাকিস্তানি সরকার ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে একটি সাজানো গল্প হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছে, যা বাংলাদেশ-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আরও উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

    বিদ্বেষের দৃষ্টি

    বাংলাদেশ অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে (Bangladesh) পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চেয়েছিল। তবে তখনও পাকিস্তানের নেতারা দায় এড়িয়ে গিয়েছিলেন। বরং তারা ১৯৭১ সালের হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সামরিক কর্মকর্তাদের গৌরবান্বিত করেছিল। অতীতের এই অপরাধ স্বীকার করতে অস্বীকার করাটা শুধু ইতিহাসের প্রতি অবমাননাই নয়, বরং পাকিস্তানের অপরিবর্তিত মানসিকতার প্রতিফলন। এই (Pakistan) মানসিকতা থেকে এখনও পাকিস্তান বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে নয়, বরং বিদ্বেষের দৃষ্টিতে দেখে।

    পাকিস্তান-প্রীতির বিপদ

    এর পরেও ইউনূস নেতৃত্বাধীন প্রশাসন ইসলামাবাদের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, পাকিস্তান যদি কখনও তার অপরাধের জন্য অনুতাপ প্রকাশ না করে, তবে আজ বাংলাদেশ কীভাবে আশা করতে পারে যে তারা একটি বিশ্বাসযোগ্য অংশীদার হবে? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ (Bangladesh) একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিকশিত হয়েছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলির একটি হিসাবে তার জায়গা সুসংহত করেছে। তার সরকারের ভারতের সঙ্গে কৌশলগত জোট বাংলাদেশকে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিয়েছে। তবে নয়া প্রশাসনের পাকিস্তান-প্রীতির কারণে এসবই এবার ভেস্তে যেতে পারে।

    ভারতের প্রভাব খর্ব করার চেষ্টা

    পাকিস্তানের বাংলাদেশকে কাছে টানার প্রয়াস নিঃস্বার্থ নয়। দীর্ঘদিন ধরে তারা দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব খর্ব করার চেষ্টা করে আসছে। এটা একমাত্র সম্ভব হতে পারে এই অঞ্চলের অসন্তোষকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে (Pakistan)। যদি বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে নিজেকে একীভূত করে, তবে এটি নিজের নিরাপত্তা কাঠামোকে অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি নেবে। কারণ ইসলামাবাদ ঐতিহাসিকভাবে প্রক্সি গ্রুপ ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ অশান্তি সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে জামাত-এ-ইসলামির মতো চরমপন্থী গোষ্ঠীর পুনরুত্থান বিপদ সংকেত দেয়। এরাই ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর পক্ষে ছিল। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের নয়া সম্পর্ক ভারতের পক্ষে বিপদ সংকেত বই কি!

    বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তান (Bangladesh) বরাবর বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে আসছে। বাংলাদেশের জন্মলগ্নের সময় থেকেই তারা ঢাকার রাজনীতিতে মাথা গলানোর চেষ্টা করেছে। হাসিনা জমানায় পাত্তা না পেয়ে বাংলাদেশের কাছে তারা আদতে হয়েছিল ফেউ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরেও, পাকিস্তান সক্রিয়ভাবে ঢাকার স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ধ্বংসযজ্ঞ স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন স্বাধীনতার পরে তারা বাংলাদেশের ন্যায্য আর্থিক সম্পদের অংশ হস্তান্তর করতে অস্বীকার করে। এটি একটি সদ্যোজাত রাষ্ট্রের কাছে বড় অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছিল (Pakistan)।

    পাকিস্তান কি আদৌ আন্তরিক

    পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি নেটওয়ার্কও সমানভাবে উদ্বেগজনক। পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স সংস্থা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য জঙ্গি ইসলামি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিল। বিশেষ করে, পাকিস্তানি গোয়েন্দারা হরকাত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামি নামক জঙ্গি সংগঠনকে সমর্থন করেছে। এটি দেশে অশান্তি সৃষ্টির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, পাকিস্তান বারবার কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, বহুপাক্ষিক ফোরামে ঢাকার সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে। এই প্রতারণার ইতিহাসের প্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ কেন বিশ্বাস করবে যে পাকিস্তানের “ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের” নতুন আগ্রহটি আদতে আন্তরিক?

    ঐতিহাসিক প্রতিপক্ষ

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইউনূস প্রশাসন (Bangladesh) পাকিস্তানের সঙ্গে ফের সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী বলে মনে হলেও, তারা তাদের ঐতিহাসিক প্রতিপক্ষ। তাদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার ভারত। বাংলাদেশ প্রশাসনের এই পাকিস্তান প্রেমের জেরে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক। অথচ বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ভারতই প্রথম দেশ যে তাদের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় সাহায্য করেছিল সামরিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে (Pakistan)। তার পর থেকে বছরের পর বছর ধরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ক্রমেই পোক্ত হয়েছিল। ভারত বাংলাদেশের উন্নয়নে পরিকাঠামোগত নানা সাহায্য করেছিল। দিয়েছিল নিরাপত্তাও। সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা থেকে শুরু করে জ্বালানি বাণিজ্য পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশ পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের এই ‘মাখামাখি’ আদতে হয়ে দাঁড়াবে আরও একটি আত্মঘাতী পদক্ষেপ। আর যদি তা হয়, তবে তা দুর্বল করে দেবে বাংলাদেশের আঞ্চলিক অবস্থানকে।

    সাধু সাবধান!

    পাকিস্তান তার ইসলামপন্থী এজেন্ট ও গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে আসছে। ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে সদ্য উষ্ণ সম্পর্ক হয়তো পাকিস্তানের জন্য সেই সুযোগ এনে দিতে পারে, যার মাধ্যমে তারা পূর্বের হারানো প্রভাব ফিরে পেতে পারে (Pakistan)। বাংলাদেশ এ ব্যাপারে সতর্ক না হলে দক্ষিণ এশিয়ার একটি উদীয়মান শক্তি হিসেবে যে কয়েক দশকের অগ্রগতি অর্জন করেছে, তা পড়তে পারে (Bangladesh) কুমিরের মুখে।

    অতএব, সাধু সাবধান!

  • India Bangladesh Border: পাকিস্তানের হাত ধরে তুরস্কের ড্রোন বাংলাদেশে! ভারত সীমান্তে মোতায়েন কেন?

    India Bangladesh Border: পাকিস্তানের হাত ধরে তুরস্কের ড্রোন বাংলাদেশে! ভারত সীমান্তে মোতায়েন কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) মাধ্যমে তুরস্ক (Turkey) থেকে বিপজ্জনক ড্রোন কিনছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। ভারতীয় সীমান্তে সেগুলি মোতায়েন করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তুরস্কের ‘টিবি-২ বায়রাক্টার’ ড্রোন আমদানি করেছে এবং নজরদারি অভিযানের জন্য ভারত সীমান্তের (India Bangladesh Border) কাছে সেগুলো মোতায়েন করছে। ভারত এই এলাকাগুলিতে তাদের কার্যকলাপের উপর সতর্ক নজর রাখার জন্য রেডার স্থাপন সহ সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে সেনা সূত্রে খবর।

    পাক সহায়তাতেই ড্রোন আমদানি!

    মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশ ক্রমশ পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। পাক যোগসূত্রে তুরস্কের সঙ্গেও সম্পর্ক গাঢ় হচ্ছে বাংলাদেশের। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছে। ইতিমধ্যে তুরস্ক থেকে বায়রাক্টার টিবি ২ ড্রোন কিনেছে বাংলাদেশ। ভারতের সীমান্তে তা মোতায়েনও করা হয়েছে। পাকিস্তানও তুরস্ক থেকে ওই ড্রোন কিনেছে। মনে করা হচ্ছে পাকিস্তানের পথ দিয়েই তুরস্ক-বাংলাদেশ এই যোগসূত্র গড়ে উঠছে। রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ইস্যুতে তুরস্ক পাকিস্তানের পক্ষই নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারত বিরোধী শক্তির দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ।

    সতর্ক ভারতীয় সেনা

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের মোতায়েন করা তুরস্কের এই ড্রোন একটানা ২৭ ঘণ্টা পর্যন্ত উড়তে পারে। ৮ হাজার ২৩০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে পারে। এমনও দাবি করা হচ্ছে যে এই ড্রোন ফাইটার জেটকেও পাল্লা দিতে পারে। বায়রাক্টার টিবি-২ হল মাঝারি উচ্চতায় হাই অল্টিটিউড লং এন্ডুরেন্স ড্রোন এবং এটি তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের অন্যতম বৃহৎ সাফল্য। মানবহীন বিমানটিতে আকাশ-থেকে-ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা সম্ভব। সাম্প্রতিক সময়ে, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ প্রশাসন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশ বাড়াচ্ছে এবং এমনকি পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির চিকেন নেক করিডরের মতো সংবেদনশীল অঞ্চলে ভারত সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা পরিদর্শন করতে তাদের কর্মকর্তাদের স্বাগত জানিয়েছে। এই আবহে ভারতের সীমান্ত তুরস্কের ড্রোন মোতায়েনকে কেন্দ্র করে সতর্ক দিল্লি।

LinkedIn
Share