Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Bangladesh Military: চিনের ওপর গোঁসা, তাই কি ভারতকে তিস্তা প্রকল্পের ভার দিলেন হাসিনা?

    Bangladesh Military: চিনের ওপর গোঁসা, তাই কি ভারতকে তিস্তা প্রকল্পের ভার দিলেন হাসিনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার চিন-প্রীতির খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের সেনাকে! অভিযোগ, চিন (China) থেকে বাংলাদেশ (Bangladesh Military) যেসব অস্ত্র আমদানি করেছে, তার সিংহভাগই নিম্নমানের। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণে চিন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার। জানিয়েছেন, তিস্তা প্রকল্পের কাজ করুক ভারতই।

    চিন সফরে হাসিনা (Bangladesh Military)

    সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই মাখো মাখো সম্পর্কটা ভালো চোখে দেখেনি ভারত। প্রকাশ্যে অবশ্য এনিয়ে কোনও অভিমতও ব্যক্ত করেনি নয়াদিল্লি। চিন থেকে ফিরেই হাসিনা জানিয়েছেন, তিস্তা প্রকল্প করুক ভারত। যদিও এই প্রকল্প গড়তে দীর্ঘদিন ধরে আগ্রহ দেখাচ্ছে ড্রাগনের দেশ। তিস্তার উৎপত্তি ভারতে হলেও, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে গিয়েছে সেটি। এই নদীর জল ভারত এবং বাংলাদেশ – দুই দেশের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। তিস্তায় জলাধার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Military)। সেই প্রকল্পই গড়তে দড়ি টানাটানি চলছিল চিন ও ভারতের মধ্যে। শেষমেশ প্রকল্পটি গড়তে ভারতের ওপরই ভরসা করছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

    নিম্নমানের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ!

    কারণ কী? জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই চিন থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনে আসছে বাংলাদেশ। অভিযোগ, সেই সব সরঞ্জামেই রয়েছে ‘গলতি’। বিষয়টি বেজিংকে জানানো হয়েছে বাংলাদেশের তরফেও। কেবল বাংলাদেশ নয়, চিনা সামরিক হার্ডওয়্যার কেনে মায়ানমারও। তারাও সম্মুখীন হয়েছে সামরিক সরঞ্জামের গলতির। চিনা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম যারা তৈরি করে, তাদের বক্তব্য, হাইলি সোফিসটিকেটেড মিলিটারি হার্ডওয়্যার তৈরি করার মতো দক্ষতা বেজিংয়ের নেই। তাই বেচতে হচ্ছে গলতি সামরিক সরঞ্জামই। অভিজ্ঞ মহলের মতে, চিনের এই ‘প্রতারণা’টাই মেনে নিতে পারছে না বাংলাদেশ। তাই বেজিংয়ের ওপর বেজায় খাপ্পা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। নিম্নমানের সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে কমিউনিস্ট-শাসিত দেশটি তাঁদের ঠকিয়েছে বলে মনে করেন হাসিনা। সেই কারণেই তিস্তা প্রকল্পের ভার চিনকে না দিয়ে ভারতকে দিতে চেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: “অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান, জীবন-মরণের সমস্যা”, বললেন হিমন্ত

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমের দেশগুলির তুলনায় সস্তায় মেলে চিনা সামরিক সরঞ্জাম। তাই উন্নয়নশীল দেশগুলির অনেকেই কেনে সস্তার চিনা সরঞ্জাম। তবে সেই সস্তার জিনিসেই যে এত গলদ থাকবে, তা বোধহয় প্রথমে বুঝতে পারেনি হাসিনা সরকার। যখন বুঝল, তখন অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হাসিনা বেশ (China) বুঝেছেন নরেন্দ্র মোদির ভারতই বাংলাদেশের (Bangladesh Military) সব চেয়ে বেশি ভরসার জায়গা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: অশান্ত বাংলাদেশ, দেশে ফিরছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা, বিশেষ নির্দেশ জারি হাই কমিশনের

    Bangladesh Protest: অশান্ত বাংলাদেশ, দেশে ফিরছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা, বিশেষ নির্দেশ জারি হাই কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষণ-বিতর্কে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশে (Bangladesh Protest)। এই অশান্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় ছাত্রদের জন্য উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। বাংলাদেশে অবস্থিত ছাত্রদের জন্য বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় হাই কমিশন (Indian High Commission)। ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে অ্যাডভাইসরি রিপোর্টে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্য এবং বাংলাদেশে পড়তে আসা পড়ুয়াদের বাইরে না বেরনোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্ব-স্ব স্থানে থাকুন। কোথাও ভ্রমণের জন্য বেরবেন না।’ 

    উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি (Bangladesh Protest)

    বাংলাদেশে (Bangladesh Protest) এই মুহূর্তে ১৫ হাজারের বেশি ভারতীয় রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পড়ুয়ার সংখ্যা ৮৫০০। অশান্ত পরিস্থিতিতে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে নয়াদিল্লির। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যে ভারতীয় পড়ুয়ারা আটকে পড়েছেন, তাঁদের ফেরানো হচ্ছে।’’ পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের চার রাজ্য— অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরামের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। এ রাজ্যের পেট্রাপোল, চ্যারাবান্ধার পাশাপাশি ত্রিপুরার আখাউড়া এবং মেঘালয়ের ডাউকির সীমান্তে অভিবাসন কেন্দ্র (ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট) দিয়েও ফেরানো হচ্ছে ভারতীয় পড়ুয়াদের। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা শনিবার জানান, বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে তাঁর রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৪০৫ জন ভারতীয় পড়ুয়া এসেছেন। তিনি বলেন, ‘‘গত ২৪ ঘণ্টায় সীমান্তবর্তী অভিবাসন কেন্দ্রে অনেক ভারতীয় পড়ুয়া পৌঁছেছেন।’’

    বিদেশি ছাত্রছাত্রীও ফিরছেন

    বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরা এবং মেঘালয় দিয়ে শুধু শুক্রবারই ভারতে ফিরেছেন ৩০০-র বেশি পড়ুয়া। তাঁদের মধ্যে  অনেক বিদেশি ছাত্রছাত্রীও ভারত হয়ে দেশে ফিরছেন। শুক্রবার কোচবিহারের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মেখলিগঞ্জ গেট দিয়ে বাংলাদেশের রংপুর মেডিক্যাল কলেজের বেশ কয়েক জন ডাক্তারি পড়ুয়া ভারতে প্রবেশ করেন। তাঁদের মধ্যে ছ’জন ভারতীয় ছাত্রছাত্রী। এ ছাড়া নেপালের ন’জন পড়ুয়া এবং ভুটানের ১৮ জন ছাত্রছাত্রী ভারতে ঢোকেন। এখান থেকে তাঁরা নিজেদের দেশে চলে যাচ্ছেন। 

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৫, কার্ফু জারি দেশজুড়ে, নামল সেনা

    কেন সংরক্ষণ, কাদের জন্য 

    সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ-বিতর্ক নিয়েই অশান্তির (Bangladesh Protest) সূত্রপাত। মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ বাতিলের দাবি জানান হয়। ১৯৭২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মুজিবর রহমান বাংলাদেশে সংরক্ষণ-ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। যেখানে  ৩০ শতাংশ সরকারি চাকরি মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য সংরক্ষিত রাখার কথা বলা হয়। কিন্তু এই সংরক্ষণের বিরুদ্ধে ডাক ওঠে। সেই ইস্যুই নিয়েই দেশের অন্দরে কার্যত যুদ্ধের চেহারা নেয়।

    আন্দোলনকারীদের দাবি (Bangladesh Protest)

    আন্দোলনকারীদের (Bangladesh Protest) দাবি, এই সংরক্ষণের জন্যই সরকারি চাকরির সুযোগ পাচ্ছে না সাধারণ মেধাবীরা। অন্যদিকে, হাসিনা সরকারের দাবি, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতেই তাঁদের পরিবারের জন্য় ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ। এদিকে সংরক্ষণ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে জাহাঙ্গির নগর এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও। পথে নামে হাজার হাজার ছাত্র। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাসে। আন্দোলনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বিভিন্ন হাইওয়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৫, কার্ফু জারি দেশজুড়ে, নামল সেনা

    Bangladesh: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৫, কার্ফু জারি দেশজুড়ে, নামল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ (Bangladesh)। নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০৫, এখনও পর্যন্ত সেই পরিসংখ্যানই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। এই আবহে দেশজুড়ে হাসিনা সরকার জারি করল কার্ফু। শুক্রবার রাতেই এ কথা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন শেখ হাসিনার সরকারের প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান বলেন, “সরকার কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।” পাশাপাশি, আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্যের পাশাপাশি শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনা নামানো হয়েছে (Anti Reservation protest)।”

    বেড়েই চলেছে মৃত্যু সংখ্যা

    হিংসাত্মক আন্দোলনে প্রতিবাদী পড়ুয়া ও পুলিশ-সরকারপক্ষের সংঘর্ষে একের পর এক প্রাণের বলি হচ্ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে। বিভিন্ন বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই একশ পার করেছে। শেষ খবর অনুযায়ী, ১০৫ জন মারা গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার মৃতের সংখ্যা ৪০-র ঘরে ছিল। শুক্রবার সেই সংখ্যাটা একলাফে বেড়ে ১০০-র গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আহতের সংখ্যাও। এখনও পর্যন্ত যা খবর মিলেছে, তাতে ২৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন  বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) আন্দোলনকারীদের নেতা?

    অন্যদিকে, সংরক্ষণ ইস্যুতে হাসিনা সরকার (Bangladesh) আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেও তাঁরা তা খারিজ করেছেন। শীর্ষস্থানীয় আন্দোলনকারী নেতা সরোয়ার তুষার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই।” প্রসঙ্গত, আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে বন্ধ (Anti Reservation protest) রাখা হয়েছে ট্রেন চলাচল। আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে হাসিনা সরকার। বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাংলাদেশের স্তব্ধ হয়ে গেছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, গুজব রুখতেই এমন ব্যবস্থা। এর পাশাপাশি যে কোনও ধরনের মিছিল-সমাবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাসিনা সরকার। তবে এতেও পরিস্থিতি খুব একটা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।

    জেলে হামলা বিক্ষোভকারীদের

    এর মধ্যেই নরসিংডি জেলার একটি জেলে আগুন লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। সে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলির দাবি, ওই আগুন লাগানোর ফলে জেল থেকে শতাধিক কয়েদি পালিয়ে (Bangladesh) গিয়েছে। এক জেল আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা জেলে হামলা করার পরে শতাধিক কয়েদি পালিয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, তিনি নিজেই অন্তত কুড়ি জন কয়েদিকে পালাতে দেখেছেন। এদিকে যে সমস্ত ভারতীয় পড়ুয়া বাংলাদেশ ছিলেন তাঁরা দেশে ফিরছেন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের চুয়াডাঙ্গা দর্শন চেক পোস্ট হয়ে তাঁরা ফিরছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৭০জন পড়ুয়া ভারতে ফিরেছেন। এর পাশাপাশি পড়শি দেশ নেপালেও ফিরে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা।

    কেন সংরক্ষণ ইস্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ?

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সংরক্ষণের নিয়ম নিয়েই এই অশান্তির সূত্রপাত। ২০১৮ সালেও একই বিষয়ে আন্দোলন উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশটি। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে সে দেশে মোট ৫৬ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল, যার মধ্যে ৪৪ শতাংশ আসন সাধারণের জন্য নির্ধারিত ছিল। ৫৬ শতাংশ আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০%, জেলার জন্য ১০%, জনজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ ছিল। ২০১৮ সালে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ, নারীদের ১০ শতাংশ ও জেলার ১০ শতাংশ আসন বাতিল করে দেন। রাখা হয় শুধু জনজাতিদের ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষণ। এ নিয়ে মামলা গড়ায় বাংলাদেশের হাইকোর্টে। চলতি বছরের ৫ জুন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, হাসিনা সরকারের নির্দেশ অবৈধ। ফের প্রতিবাদ আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: একদিনে মৃত ১৯! সংরক্ষণ আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, মামলার শুনানি রবিতে

    Bangladesh: একদিনে মৃত ১৯! সংরক্ষণ আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, মামলার শুনানি রবিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের জেরে অগ্নিগর্ভ গোটা বাংলাদেশ (Bangladesh)। সে দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র দাবি, বৃহস্পতিবার গোটা দেশে এমন সংঘর্ষে (Agitation in Bangladesh) মৃত্যু হয়েছে আরও ১৯ জনের। অর্থাৎ মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২। তাঁদের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়েছে গুলিতে, কারও বা ধারালো অস্ত্রের কোপে। ‘প্রথম আলো’র  আরও দাবি শুধু রাজধানী ঢাকাতেই মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এদের মধ্যে অধিকাংশই পড়ুয়া এবং প্রত্যেকেরই বয়স ৩০-এর নিচে বলে জানা গিয়েছে। মর্মান্তিকভাবে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রেরও মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার, এমনই খবর সামনে এসেছে। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ ও আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে।

     রবিবারই শুনানির দিন ধার্য করেছে বাংলাদেশের চেম্বার আদালত

    এই আবহে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও জখম হয়েছেন। ভাঙচুর, অগ্নি-সংযোগের ঘটনাও ইতিমধ্যে ঘটছে। একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হাজারেরও ওপরে পৌঁছেছে সেদেশে (Agitation in Bangladesh) জখম সংখ্যা। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের দাবির সঙ্গে তারা নীতিগতভাবে সহমত এবং তারা আলোচনাতে বসতেও প্রস্তুত। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের (Bangladesh) সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলাটির রবিবারই শুনানির দিন ধার্য করেছে বাংলাদেশের চেম্বার আদালত।

    সমাজমাধ্যমে গুজব, অপপ্রচার রুখতে ইন্টারনেটে রাশ টেনে ধরেছে বাংলাদেশ সরকার

    পড়ুয়াদের এমন বিক্ষোভ আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়েছে গত কয়েকদিন ধরেই। মাঝখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার ঢাকায় মেট্রো পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশ জুড়ে ইন্টারনেট ব্যবস্থাতে অশান্তির প্রভাব পড়েছে। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ছে সংঘর্ষের ছবি, ঠিক এই আবহে সমাজমাধ্যমে গুজব, অপপ্রচার রুখতে ইন্টারনেটে রাশ টেনে ধরেছে বাংলাদেশ (Agitation in Bangladesh) সরকার। তবে ইন্টারনেট পরিষেবা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়নি।

    কেন সংরক্ষণ ইস্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ?

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সংরক্ষণের নিয়ম নিয়েই এই অশান্তির সূত্রপাত। ২০১৮ সালেও একই বিষয়ে আন্দোলন উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশটি। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে সে দেশে মোট ৫৬ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল, যার মধ্যে ৪৪ শতাংশ আসন সাধারণের জন্য নির্ধারিত ছিল। ৫৬ শতাংশ আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০%, জেলার জন্য ১০%, জনজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ ছিল। ২০১৮ সালে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ, নারীদের ১০ শতাংশ ও জেলার ১০ শতাংশ আসন বাতিল করে দেন। রাখা হয় শুধু জনজাতিদের ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষণ। এ নিয়ে মামলা গড়ায় বাংলাদেশের হাইকোর্টে। চলতি বছরের ৫ জুন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, হাসিনা সরকারের নির্দেশ অবৈধ। ফের প্রতিবাদ আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Sheikh Hasina: কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, দিলেন বড় আশ্বাস

    PM Sheikh Hasina: কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, দিলেন বড় আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Sheikh Hasina)। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, “সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশজুড়ে যে সঙ্কট চলছে, আইনি প্রক্রিয়ায় তার সমাধানের সুযোগ রয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে ন্যায় বিচারই পাবে ছাত্রসমাজ। আদালতের রায়ে হতাশ হবেন না শিক্ষার্থীরা।” সংরক্ষণ নিয়ে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের আশ্বাসও দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

    উত্তাল বাংলাদেশ (PM Sheikh Hasina)

    সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ছাত্র-যুব আন্দোলনের জেরে উত্তাল বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকা-সহ সে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ছ’জনের। আন্দোলনের জেরে বুধবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এহেন আবহে এদিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘গণভবন’ থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন হাসিনা। বলেন, “হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আদালতে আপিল করেছে সরকার। তার ভিত্তিতে ধার্য হয়েছে শুনানির দিনও। শিক্ষার্থীদের বক্তব্য জানানোর সুযোগ করে দিয়েছে আদালত। এই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের সুযোগ রয়েছে। তা সত্ত্বেও রাস্তায় আন্দোলনে নেমে দুষ্কৃতীদের সংঘাতের সুযোগ করে দেবে না বাংলাদেশ সরকার।”

    কী বললেন হাসিনা?

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (PM Sheikh Hasina) বলেন, “সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।” তিনি বলেন, “আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করছি, যারা হত্যাকাণ্ড, লুটপাট ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, এরা যেই হোক না কেন, তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়, সেই ব্যবস্থা করা হবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংরক্ষণ আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে দেশে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যা ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল। তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: প্যারিস অলিম্পিক্সের সুরক্ষায় ভারতের সারমেয়কুল, কেন জানেন?

    এদিকে, বুধবারও অশান্তির খবর এসেছে রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি বরিশাল, সিলেট এবং কুমিল্লা থেকেও। সংঘর্ষ রুখতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস খালি করতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের বাধার (Bangladesh) মুখে পড়ে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি আনা হয় (PM Sheikh Hasina) নিয়ন্ত্রণে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sheikh Hasina: তিস্তা প্রকল্প রূপায়ণ করুক ভারত, চাইছেন হাসিনা, জানালেন কারণও

    Sheikh Hasina: তিস্তা প্রকল্প রূপায়ণ করুক ভারত, চাইছেন হাসিনা, জানালেন কারণও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিস্তা প্রজেক্ট (Teesta Project) করুক ভারত। চান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। এই প্রকল্পটি করতে চেয়েছিল চিনও। এগিয়েছিল ভারতও। এহেন আবহে দিন কয়েক আগে চিন সফরে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তার আগেই ভারত সফর সেরে গিয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী? (Sheikh Hasina)

    কমিউনিস্ট শাসিত শি জিনপিংয়ের দেশ থেকে ফিরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি চান তিস্তা প্রকল্পটি করুক ভারত। কী জন্য এই প্রকল্প রূপায়ণে তিনি ভারতকে চান, তাও ব্যাখ্যা করেছেন আওয়ামি লিগের সর্বময় কর্ত্রী। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে হাসিনা বলেন, “ভারতের পাশাপাশি এই প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চিন-ও। তবে সব দিক বিবেচনা করে আমি চাই তিস্তা প্রকল্পটি রূপায়ণ করুক ভারত।” তিনি বলেন, “তিস্তার জল ভারতের নিয়ন্ত্রণে। তাই তারা এই প্রজেক্ট করুক। তারা যদি এই প্রকল্পটি রূপায়ণ করতে চায়, তাহলে সর্বোতভাবে সাহায্য করা হবে।”

    তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি

    তিস্তার জলবণ্টন চুক্তিকে ঘিরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভারত থেকে নদীটি গিয়ে ঢুকেছে বাংলাদেশে। তাই তিস্তার জলের ন্যায্য দাবিদার বাংলাদেশও। তবে বাংলাদেশকে দেওয়ার মতো যথেষ্ট পরিমাণ জল নেই বলে তিস্তা চুক্তিতে সায় দেননি পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে নিশানা করেছিলেন (Sheikh Hasina) তিনি। বলেছিলেন, “ওরা কীভাবে তিস্তার জল দিতে পারে? সিকিম ১৪টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করেছে। সিকিমের প্রজেক্ট তৈরির সময় খেয়াল রাখা উচিত ছিল কেন্দ্রের। সব জল সিকিম নিয়ে যাচ্ছে…।” মমতার দাবি, বাংলাদেশকে তিস্তার জল দিলে সমস্যায় পড়বেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর প্রান্তের বাসিন্দারা।

    আরও পড়ুন: নিশানায় ছিল অমরনাথ! সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, খতম তিন জঙ্গি

    প্রসঙ্গত, তিস্তার অববাহিকায় বিরাট জলাধার নির্মাণ করে বৃষ্টির জল ধরে রাখার পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ। এই প্রকল্পই রূপায়ণ করতে চায় শি জিনপিংয়ের দেশ। আগ্রহী নরেন্দ্র মোদির ভারতও। টানটান করা (Teesta Project) স্নায়ুর লড়াইয়ে যে শেষ হাসি হাসল ভারতই, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর (Sheikh Hasina) কথায়ই তা স্পষ্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    Bangladesh: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপরে ফের একটি আক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। ইসলামিক উগ্র মৌলবাদীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। হামলায় নেতৃত্ব দেন স্থানীয় এক আওয়ামী লিগ নেতা। বুধবার হিন্দুদের ওপর এমন আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে রাজধানী ঢাকার মিরানজিল্লা কলোনিতে। ঘটনায় ৬০ জন হিন্দু গুরুতর জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের ঢাকা (Hindus in Dhaka) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হিন্দুদের ওপর এমন হামলার ঘটনা ফের একবার প্রশ্নের মুখের দাঁড় করাল বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিরাপত্তাকে।

    কীভাবে শুরু গণ্ডগোল (Bangladesh)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গন্ডগোলের সূত্রপাত হয় বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ। যখন ঢাকার (Bangladesh) স্থানীয় এক প্রশাসনিক আধিকারিক মিরানজিল্লা কলোনি পরিদর্শনে আসেন। ওই কলোনিতে একটি নবনির্মিত কেন্দ্রে সংখ্যালঘু হিন্দুদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা তিনি খতিয়ে দেখতে থাকেন। কিন্তু সংখ্যালঘু হিন্দুদের এমন পুনর্বাসন কেন্দ্র নিয়ে আপত্তি জানান স্থানীয় আওয়ামি লিগের নেতারা, (Bangladesh) সেটাই পরবর্তীকালে রূপ নেয় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে। জানা গিয়েছে, উত্তেজিত উগ্রবাদী মুসলিম জনতা এরপরেই ইট, পাথর ছুড়তে থাকে। বহু হিন্দু বাড়িতে (Hindus in Dhaka) লুট চালানো হয়, ভাঙচুর করা হয়।

    মূলচক্রী মহম্মদ আওয়াল হোসেন  

    ঘটনার মূলচক্রী হিসেবে নাম উঠে আসছে আওয়ামি লিগ নেতা মহম্মদ আওয়াল হোসেনের। তবে এটাই নতুন বা প্রথম কিছু নয়। এমন ঘটনা বাংলাদেশে (Bangladesh) ঘটেই থাকে। গত জুন মাসের ১৯ তারিখ মাদারিপুর জেলাতেও একই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছিল যেখানে স্থানীয় একটি হিন্দু মন্দিরের ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Organ Transplant Racket: অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস! দিল্লি পুলিশের জালে অভিযুক্তরা

    Organ Transplant Racket: অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস! দিল্লি পুলিশের জালে অভিযুক্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়সড় সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। প্রতিবছরই ভারতে চিকিৎসা করাতে আসেন প্রচুর বাংলাদেশি নাগরিক। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই দিনের পর দিন ধরে চলছে কিডনি পাচার চক্র (Organ Transplant Racket)। এবার সেই অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস করেই সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে অভিযুক্তরা।   

    বাংলাদেশ থেকে চলত এই চক্র পরিচালনা (Organ Transplant Racket)

    এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তার মধ্যে আবার একজন ডাক্তারও রয়েছেন। ৫০ বছর বয়সী ওই ডাক্তার উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় একটি হাসপাতালে ১৬টিরও বেশি অপারেশন করেছেন। মূলত বাংলাদেশ থেকে এই চক্র পরিচালনা করা হত বলে জানা গিয়েছে। কারণ মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এই র‍্যাকেটের সঙ্গে জড়িতদের বাংলাদেশ যোগ রয়েছে। প্রতি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য তারা ২৫-৩০ লক্ষ টাকা নিত। ২০১৯ সাল থেকে তারা এই অঙ্গ প্রতিস্থাপন চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। 

    কীভাবে চলত এই পাচার চক্র?  

    ক্রাইম ব্রাঞ্চের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, অভিযুক্তরা হাসপাতাল থেকে একজন ডাক্তারকে টাকার লোভ দেখিয়ে তাঁকে দিয়ে কাজ চালাত। এ প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানিয়েছে যে, দুটি হাসপাতাল মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৫টি ট্রান্সপ্লান্ট (Organ Transplant Racket) করা হয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নথিগুলো সঠিকভাবে যাচাই করেছে কিনা তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। কর্মকর্তাদের মতে, অভিযুক্তরা বাংলাদেশের হাসপাতাল থেকে জাল লেটারহেড তৈরি করে শুধুমাত্র ইমেল পরিবর্তন করত। এই অভিযুক্তরা ভালো করেই জানে যে তাদের ইমেল আইডি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হবে। তাই নতুন ইমেল আইডি তৈরি করা হত, যাতে কোনোভাবেই ইমেল আইডি হ্যাক হয়ে তাদের কারসাজি ধরা না পড়ে যায়।  

    আরও পড়ুন: কর্ণাটকের নেহা হত্যাকাণ্ডে ৪৮৩ পৃষ্ঠার চার্জশিটে উল্লেখ নেই লাভ জিহাদের

    অপরাধ দমন শাখার ডিসিপির মন্তব্য (Delhi Police)

    এ প্রসঙ্গে অপরাধ দমন শাখার ডিসিপি অমিত গোয়েল বলেছেন, “ গত ৯ জুলাই আন্তর্জাতিক অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের (Organ Transplant Racket) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই র‍্যাকেটের মূল মাস্টারমাইন্ড একজন বাংলাদেশি। দাতা এবং গ্রহণকারী উভয়ই বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা রাসেল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছি, যে রোগী ও দাতাদের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দিত। এছাড়াও ট্রান্সপ্লান্টের সঙ্গে যুক্ত এক মহিলা ডাক্তারকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Infiltrators: সাঁওতাল মেয়েদের ধর্মান্তরণ! অবৈধ বাংলাদেশিদের তাড়ানোর নির্দেশ ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের

    Bangladeshi Infiltrators: সাঁওতাল মেয়েদের ধর্মান্তরণ! অবৈধ বাংলাদেশিদের তাড়ানোর নির্দেশ ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিল ঝাড়খণ্ড আদালত। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট (Jharkhand Highcourt) রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, যে বাংলাদেশিরা (Bangladeshi Infiltrators) অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে, যত দ্রুত সম্ভব তাদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠাতে হবে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি সুজিত নারায়ণ প্রসাদ ও বিচারপতি এ কে রাইয়ের বেঞ্চ ড্যানিয়েল ড্যানিশের আবেদনের শুনানির পর ৩ জুলাই এই রায় দেন, যেখানে আদালতকে বলা হয়েছিল যে, বাংলাদেশ সংলগ্ন সাঁওতাল পরগনা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিবেশী দেশের নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো এসটি (তফসিলি উপজাতি)-দের ধর্মান্তরিত করছে। রাজ্যের মেয়েদের ইসলামের নামে বিয়ে করে নিজেদের ধর্মে রূপান্তরিত করছে। এরম ঘটনা একটা নয় একাধিক। ঘটনাগুলো পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে তাই যত দ্রুত সম্ভব এগুলির অবসান ঘটানো জরুরি।    

    ঠিক কী জানিয়েছে আদালত? (Bangladeshi Infiltrators)

    আদালত তরফে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনার জেলাগুলিতে হঠাৎ করেই উল্লেখযোগ্যভাবে মাদ্রাসার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন করে সেখানে ৪৬টি মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে। আর নবনির্মিত সেই মাদ্রাসাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য। এছাড়াও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা স্থানীয় নারীদের শোষণের পাশাপাশি জমিও দখল করছে। তাই এবার পরিস্থিতি এর থেকে খারাপ হওয়ার আগে আদালত (Jharkhand Highcourt) সরকারকে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে একটি চার্জশিট জমা দিতে বলেছে, যেখানে বাংলাদেশের কতজন অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে, তাদের কতজনকে আটকানো হয়েছে এবং কতজনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তা উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছে।  

    একইসঙ্গে এর পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি (Bangladeshi Infiltrators) নিষিদ্ধ সংগঠনটি সাঁওতাল পরগনার অনেক অংশে স্থানীয় আদিবাসী মেয়েদের ফাঁদে ফেলে ‘লাভ-জিহাদ’-এর অধীনে বিয়ে করছে। বিয়ের পরে, তারা মেয়েদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়ে তাদের মাধ্যমে সরকারী তহবিল বন্ধ করে দেশবিরোধী কার্যকলাপ প্রচার করে।

    আরও পড়ুন: গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য! ভারতের বড় শহরগুলিতে ৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণ বায়ু দূষণ

    ভারতীয়দের ধর্মান্তরণ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত

    যদিও এর আগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ধর্মান্তরের বিষয়ে মতামত প্রকাশ করে সতর্ক করেছিল যে, এইভাবে ধর্মান্তরিত হলে জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা শেষ পর্যন্ত সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের বেঞ্চ তাৎপর্যপূর্ণ বিবৃতি দিতে জানিয়েছিল যে, ‘ভারতীয়দের ধর্মান্তরণ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Arrest: শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মগজধোলাই করে নিয়োগ করার ছক ছিল হাবিবুল্লার

    Terrorist Arrest: শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মগজধোলাই করে নিয়োগ করার ছক ছিল হাবিবুল্লার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদ্রাসার ছাত্রদের পাশাপাশি শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মগজধোলাই করা কাজ ছিল কাঁকসার ধৃত জঙ্গি মহম্মদ হাবিবুল্লার। একজন উগ্রবাদ লেখকের বই তার কাছে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মূলত, বিভিন্ন মাদ্রাসায় গিয়ে অনেক ছাত্রকে মগজধোলাই সে করেছে বলে গোয়ান্দারা জানতে পেরেছেন। বাংলা জুড়ে জালবিস্তার করাই কাজ ছিল হাবিবুল্লার (Terrorist Arrest)।

    খোঁজ মিলেছে হাবিবুল্লার এক আত্মীয়র (Terrorist Arrest)

    গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, বিআইপি, টেলিগ্রাম ব্যবহার করেই হাবিবুল্লা এই মডিউল চালাত। সে অনেক সময় বক্তব্য রেখে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তা বিভিন্ন গ্রুপে পাঠিয়ে দিত। একাধিক গ্রুপের সঙ্গে তার যোগ মিলেছে। মগজধোলাই করার সময় মাদ্রাসার ছাত্রদের পাশাপাশি সে তার আত্মীয়কে মগজধোলাই করতে ছাড়েনি। তদন্তে নেমে হাবিবুল্লার এক আত্মীয়ের যোগসূত্র জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবিবুল্লার (Terrorist Arrest) থেকে ল্যাপটপ, পেন ড্রাইভ, মেমোরি কার্ড ও দু’টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে, তার থেকে তেমন তথ্য মেলেনি। প্রাথমিকভাবে জেরায় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, হাবিবুল্লা বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সে দেশে ওই সংগঠনের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার হওয়ার পরেই সে নিজের ল্যাপটপ, মেমোরি কার্ড, মোবাইল ফোনের সব তথ্য মুছে দেয়। ওই তথ্য উদ্ধারে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    যুবক-যুবতীদের মগজধোলাই করে সংগঠনে নিয়োগের ছক

    প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা জেনেছেন, আল কায়দার মতাদর্শে বিশ্বাসী বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার কঠোর পদক্ষেপ করতেই ‘শাহদাত’ মডিউল খুলেছিল আনসার। এই মডিউলের সূত্রে আনসারের সঙ্গে আর এক বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর যোগ হয়। অনেক জেএমবি সদস্য ‘শাহদাত’ মডিউলে যোগ দেয়। এ রাজ্যে ওই মডিউলের মূল চাঁই ছিল হাবিবুল্লা (Terrorist Arrest)। এই মডিউলে মূলত অনলাইনে সদস্য সংগ্রহ করা হত। পুলিশের খবর, ভারত এবং বাংলাদেশে ‘জিহাদের’ মাধ্যমে ইসলামি ধর্মীয় রাষ্ট্রের পত্তন করাই মূল লক্ষ্য ছিল বলে জেরায় হাবিবুল্লা দাবি করেছে। তাই সমমনোভাবাপন্ন যুবক- যুবতীদের মগজধোলাই করে সংগঠনে নিয়োগ করার ছক কষা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share