Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Indias Overseas Port Operations: চাবাহার-সিটওয়ের পর এবার ভারতের লক্ষ্য বাংলাদেশের মংলা বন্দর, কেন জানেন?

    Indias Overseas Port Operations: চাবাহার-সিটওয়ের পর এবার ভারতের লক্ষ্য বাংলাদেশের মংলা বন্দর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বন্দর দখল যুদ্ধে’ চিনকে টেক্কা দিতে চাইছে ভারত! ইতিমধ্যেই ইরানের চাবাহার বন্দর এবং মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরের অপারেশনাল অধিকার পেয়েছে ভারত (Indias Overseas Port Operations)। এবার নয়াদিল্লির লক্ষ্য বাংলাদেশের মংলা বন্দর পরিচালনার রাশ হাতে নেওয়া। কৌশলগতভাবে অবস্থিত এই বন্দরের রাশ নিতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিনের শি জিনপিংয়ের সরকার। এই বন্দরেরই রাশ হাতে নিতে কোমর কষে নামছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    মংলা বন্দরের গুরুত্ব (Indias Overseas Port Operations)

    বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মংলা ও প্রসুর নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত মংলা বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। ২০১৬ সালে শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের সময় চিন ও বাংলাদেশ যে ২৭টি প্রকল্পে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল এই মংলা বন্দরের(Indias Overseas Port Operations) উন্নয়ন পরিকল্পনাও। বাংলাদেশের এই মংলা বন্দর সে দেশের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বন্দর। যদিও এর ট্রাফিক ও কার্গো হ্যান্ডেলিং ক্ষমতা এখনও চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় ঢের কম। তা সত্ত্বেও বন্দরটির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। কারণ বন্দরটিকে আন্তর্জাতিক শিপিং হাব হিসেবে গড়ে তোলার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণেই বর্তমানে বেজিং এবং নয়াদিল্লির শ্যেন দৃষ্টি এই বন্দরের ওপর।

    ভারতের লাভ

    মংলা বন্দরের রাশ ভারতের হাতে এলে প্রভূত উপকার হবে দুই দেশের। কারণ বন্দরটি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে হবে সহায়ক। বন্দরটির সুবিধাজনক অবস্থানও ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরটি কলকাতা বন্দরের কাছে অবস্থিত। জল-বাণিজ্যের জন্য এটি হবে একটি বিকল্প সমুদ্র পথ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেনাপোল ও পেট্রাপোলের অভ্যন্তরীণ কন্টেনার ডিপোয় যানজট এড়াতেও এই বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। কলকাতা ও মংলা বন্দরের মধ্যে জলপথে যোগাযোগ দুই দেশের মধ্যে থাকা উপকূলীয় শিপিং চুক্তি থেকেও সর্বাধিক সুবিধা পেতে সাহায্য করবে ভারতকে।

    আর পড়ুন: এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ পাকিস্তানের জিডিপির দ্বিগুণ!

    এখানেই শেষ নয়, মংলা বন্দরটিকে ভারত তার স্থলবেষ্টিত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে উন্নত বাণিজ্য ও যোগাযোগের জন্য সমুদ্রে প্রবেশাধিকার দিতে ব্যবহার করতে পারে। এতে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যের যোগাযোগ হবে অনায়াস। তখন সহজেই এড়ানো যাবে ‘চিকেনস নেক’ নামে খ্যাত শিলিগুড়ি করিডরকে (Indias Overseas Port Operations)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Terrorist Arrest: অনলাইনে গোবরা গ্রুপে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ! কীভাবে খোঁজ মিলল হাবিবুল্লার?

    Terrorist Arrest: অনলাইনে গোবরা গ্রুপে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ! কীভাবে খোঁজ মিলল হাবিবুল্লার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরের কাঁকসা থেকে শনিবার মহম্মদ হাবিবুল্লা (Terrorist Arrest) নামে এক মেধাবী পড়ুয়াকে গ্রেফতার করল পর রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ)। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। জানা গিয়েছে, মানকর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হাবিবুল্লা। বছর কুড়ির ওই যুবক মানকর কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৮০ শতাংশ নম্বরও পেয়েছে। স্কুলে মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত হাবিবুল্লা।

    কী করে খোঁজ পেল হাবিবুল্লার? (Terrorist Arrest)

    চলতি বছরের ১৪ মে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার-আল-ইসলাম থেকে নতুন মডিউল হিসেবে উত্থান হওয়া জঙ্গি সংগঠন শাহাদাত-এর দুই সক্রিয় সদস্য মহম্মদ আসাদুজ্জামান আসিফ ও মহম্মদ আহাদকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছিল র‍্যাব। তাদের থেকেই খোঁজ মিলেছিল কাঁকসার মহম্মদ হাবিবুল্লার। ধৃত দু’জনের কাছ থেকে পাওয়া ‘গোবরা’ নামে একটি অনলাইন গ্রুপের সন্ধানও পেয়েছিল র‍্যাব। মহম্মদ হাবিবুল্লার (Terrorist Arrest) ল্যাপটপ থেকেও এই গোবরা গ্রুপের সন্ধান পেয়েছে এসটিএফ। নিয়মিত এই গ্রুপের মাধ্যমে অনলাইন মিটিংও করা হত। জানা গিয়েছে, আনসার-আল-ইসলাম অতীতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে পরিচিত ছিল। ২০১৫ সালে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে নাম বদল করে এই সংগঠনটি। এরপর ২০১৭ সালে আনসার-আল-ইসলাম সংগঠনটিকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। গোপনে তারা জাল বিস্তার করছিল। পাশাপাশি, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিনের প্রাক্তন শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন ওরফে বড়ভাই শাহাদাত-এর প্রতিষ্ঠাতা বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    হাবিবুল্লার ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল এসটিএফ

    গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি শাহাদাত- এর সদস্যদের কিছু দিনের জন্য সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ রেখে গা ঢাকা দেওয়ার নির্দেশ অডিও ক্লিপের মাধ্যমে দিয়েছিল ভারতে থাকা সালাউদ্দিন (Terrorist Arrest) । সেই বার্তা পেয়েই শাহদাত-এর সদস্যরা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, হাবিবুল্লার দিকে গত ২০-২৫ দিন ধরে নজর রেখেছিলেন এসটিএফ কর্তারা। কয়েকদিন আগে হাবিবুল্লার মোবাইল থেকে একটি সন্দেহজনক ফোন যায় দক্ষিণ ভারতের একটি রাজ্যে। সেই ফোন ট্র্যাক করে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসে যায় এসটিএফ কর্তাদের। এরপরই হাবিবুল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেরা করে বড়ভাই-এর হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

    ১৪ দিনের হেফাজত হাবিবুল্লার

    এর আগে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কাঁকসা থেকে এক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। ২০১৬-র ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ কাঁকসার গোপালপুর উত্তরপাড়া থেকে একটি বেসরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আশিক আহমেদকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআই-এর হয়ে তখন যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল আশিকের বিরুদ্ধে। এসটিএফের পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘গ্রেফতারের পর আদালতের নির্দেশে হাবিবুল্লাকে (Terrorist Arrest) ১৪ দিনের হেফাজতে নিয়েছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে। তদন্তের স্বার্থের বেশি বলা সম্ভব নয়।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: “সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আমাদের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি”, যৌথ বিবৃতিতে বললেন মোদি-হাসিনা

    India Bangladesh Relation: “সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আমাদের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি”, যৌথ বিবৃতিতে বললেন মোদি-হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নতুন নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আমাদের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি।” শনিবার যৌথ বিবৃতিতে (Modi Hasina Joint Statement) একথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (India Bangladesh Relation)।

    যৌথ বিবৃতি মোদি-হাসিনার

    তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই ইটালি সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জি৭ সম্মেলন শেষে ফিরেছেন দেশে। তাঁরই আমন্ত্রণে দুদিনের সফরে ভারতে এসেছেন হাসিনা। শুক্রবার বিকেলেই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। শনিবার পড়শি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বসেন দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে (India Bangladesh Relation)। তার আগে এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে হাসিনাকে সংবর্ধনা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দুপুর দুটো নাগাদ শেষ হয় সেই বৈঠক। তার পরেই যৌথ বিবৃতি দেন ভারত ও বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রী।

    কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে?

    প্রসঙ্গত, তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর এই প্রথমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কূটনৈতিক মহলের মতে, চিন ও পাকিস্তানের সাঁড়াশি আক্রমণ প্রতিহত করতেই ভারত, শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে ভারত। সেই কারণেই প্রথমে আমন্ত্রণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে। জানা গিয়েছে, এদিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রতিরক্ষা, নির্মাণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, উন্নয়ন ও নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে কথা হয়েছে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর। এই বৈঠকে আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় ও পারস্পরিক বৃদ্ধির ওপরও নজর করা হয়েছে। দুই রাষ্ট্রনেতাই গুচ্ছ যৌথ উদ্যোগ এবং চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন বৈঠকে।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমাদের নেবারহুড ফার্স্ট পলিসি, অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি, ভিসান সাগর এবং ইন্দো প্যাসিফিক ভিশনের সঙ্গমস্থলে রয়েছে বাংলাদেশ। গত এক বছরে জনকল্যাণে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ শেষ করেছি। দুই দেশের মধ্যে চালু হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় বাণিজ্য। গঙ্গায় বিশ্বের দীর্ঘতম ক্রুজ সফরও সম্পূর্ণ সফল হয়েছে।”

    আর পড়ুন: হিন্দুজা পরিবারের চারজনকে কারাবাসের সাজা সুইৎজারল্যান্ডের আদালতের

    এদিনের বৈঠক শেষে ভারতকে ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ বলেও সম্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের যাওয়ার আমন্ত্রণও জানান তিনি। হাসিনা বলেন, “গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যখন যুদ্ধের আবহ, তখন নজির গড়েছে ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম ক্রস বর্ডাল পাইপলাইনের কাজ শুরু হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ (Modi Hasina Joint Statement) ফ্রেন্ডশিপ স্যাটেলাইট দুই দেশের সম্পর্ককে নয়া উচ্চতা দেবে।” তিনি জানান, ভারত ও বাংলাদেশকে যুক্ত করেছে ৫৪টি অভিন্ন নদী (India Bangladesh Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • T20 World Cup 2024: বাংলাদেশ জেতায় ছিটকে গেল শ্রীলঙ্কা, আফগানদের জয়ে নিউজিল্যান্ডের বিদায়

    T20 World Cup 2024: বাংলাদেশ জেতায় ছিটকে গেল শ্রীলঙ্কা, আফগানদের জয়ে নিউজিল্যান্ডের বিদায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ জুন থেকে শুরু হচ্ছে এ বারের টি-২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) সুপার এইট পর্ব। আর তার আগেই জোড়া আনন্দের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। সেন্ট ভিনসেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ২৫ রানে হারাল বাংলাদেশ। ফলে এক দিকে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের (Super 8 of T20 World Cup) পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল তারা, অন্য দিকে বাংলাদেশের জয়ের ফলে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের এই জয়ের ফলে বিশ্বকাপের সুপার এইটের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন নাজমুল হাসান শান্তরা। এবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে নেপালকে হারাতে পারলেই সুপার এইটে পাকা হয়ে যাবে তাঁদের জায়গা।  

    সুপার এইটে যাওয়ার সুযোগ সবচেয়ে বেশি কার? (T20 World Cup 2024) 

    শ্রীলঙ্কার এখনও একটি ম্যাচ বাকি। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ জিতলে তাদের সর্বোচ্চ পয়েন্ট হবে ৩। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের পয়েন্ট ৪। অর্থাৎ, বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে হারলেও শ্রীলঙ্কার পক্ষে সুপার এইটে (Super 8 of T20 World Cup) যাওয়া সম্ভব নয়। অর্থাৎ, শেষ ম্যাচ খেলার আগেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় হয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ যদি তাদের শেষ ম্যাচে নেপালকে হারাতে পারে তা হলেই সুপার ৮-এ উঠে যাবে। আর যদি তারা নেপালের কাছে হারে, সে ক্ষেত্রে সুযোগ থাকবে নেদারল্যান্ডসের। তবে শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারলে নেট রানরেটের বিচারে সুপার ৮-এ যেতে পারে তারা। অর্থাৎ, পরিস্থিতি বিচার করলে দ্বিতীয় দল হিসাবে এই গ্রুপ থেকে শেষ আটে যাওয়ার সুযোগ সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশের।

    আরও পড়ুন: বৃষ্টি-ধসে বিপর্যস্ত সিকিম, বিপর্যস্ত লাচুং-লাচেন, আটকে ১৫০০ পর্যটক, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ

    সুপার এইটে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলল আফগানিস্তান 

    শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) থেকে ছিটকে গেল নিউজিল্যান্ডও। শুক্রবার আফগানিস্তান জেতার সঙ্গে সঙ্গেই বিদায় হয়ে গেল কিউইদের। পাপুয়া নিউ গিনিকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিল আফগানিস্তান। সেই সঙ্গে সুপার এইটে (Super 8 of T20 World Cup) নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেললেন রশিদ খানেরা। এই দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবে ২০ জুন। অর্থাৎ ভারতের গ্রুপের তিনটি দল নিশ্চিত হয়ে গেল। আগেই ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া নিজেদের জায়গা পাকা করে নিয়েছিল। এ বার আফগানিস্তানও ঢুকে পড়ল ওই গ্রুপে। বাকি রইল একটি দল। এবার গ্রুপ ডি থেকে কোন দল এই গ্রুপে জায়গা পায় সে দিকেই নজর রয়েছে সবার। তবে বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে দেওয়ায় কিছুটা ভাল জায়গায় রয়েছে বাংলাদেশ। 
    তবে উল্লেখ্য, গ্রুপ সি থেকে আফগানিস্তান ছাড়াও যোগ্যতা অর্জন করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওই গ্রুপ থেকে নিউজিল্যান্ড ছাড়াও ছিটকে গিয়েছে উগান্ডা এবং পাপুয়া নিউ গিনি। যদিও কিউইদের এখনও দুটি ম্যাচ (T20 World Cup 2024) বাকি। উগান্ডা এবং পাপুয়া নিউ গিনির বাকি একটি করে ম্যাচ। তবে সেই সব ম্যাচ জিতলেও এই তিন দলের পক্ষে সুপার এইটে জায়গা করে নেওয়া সম্ভব হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • T20 World Cup 2024: কম রানের পুঁজি নিয়ে জয়ের রেকর্ড, বাংলাদেশকে ৪ রানে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা

    T20 World Cup 2024: কম রানের পুঁজি নিয়ে জয়ের রেকর্ড, বাংলাদেশকে ৪ রানে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তানের পর, বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভারে নাটকীয় পরিস্থিতিতে ৪ রানে বাংলাদেশকে হারাল প্রোটিয়াসরা। সোমবার এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১১৩ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ১০৯ রান তোলে বাংলাদেশ। এত কম রানের পুঁজি নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে (T20 World Cup 2024) যে জয় সম্ভব তা বারাবার দেখাচ্ছে চলতি বিশ্বকাপ। আগের দিনই ১২০ রান করে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পায় ভারত।

    লো-স্কোরিং ম্যাচ

    চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) শুরু থেকেই চর্চায় নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইশগজ। পিচ যে বিশ্বকাপের মানের নয়, সেটা প্রকারান্তরে মেনে নিয়েছে আইসিসিও। হতে পারে বোলিং সহায়ক বাইশগজে বিস্তর রান উঠছে না, যেমনটা দেখতে অভ্যস্ত ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে লো-স্কোরিং ম্যাচ কত উত্তেজক রূপ নিতে পারে, সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে পরপর ২ দিনেই। রবিবার মাত্র ১১৯ রান করেও শেষ ওভারের থ্রিলারে পাকিস্তানকে হারায় ভারত। সোমবার আরও কম রান তুলে ম্যাচ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়ারা মাত্র ১১৩ রান তুলেও শেষ ওভারে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।

    দুরন্ত বোলিং-ফিল্ডিং

    এদিন দক্ষিণ আফ্রিকা টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। বাংলাদেশের হয়ে ভাল বল করলেন তানজিম হাসান। চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রেখে ব্যাট করেন ক্লাসেন ও মিলার। ৪৪ বলে ৪৬ রান করেন ক্লাসেন, মিলার করেন ২৯ রান। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ব্যাটারাও বেকায়দায় পড়েন। শেষ পর্যন্ত হাল ধরেন তৌহিদ হৃদয় এবং মাহমুদুল্লাহ। দু’জনে মিলে পঞ্চম উইকেটে ৪৪ রানে জুটি গড়েন। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে তৌহিদ ফেরার পর চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তখনও উইকেটে ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। শেষ ওভারে মাত্র ১১ রান দরকার ছিল জেতার জন্য। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ সে ভাবে ব্যাট করার সুযোগই পেলেন না। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে এক রান নেন। তার পর পঞ্চম বলে আউট।  কেশব মহারাজের ফুলটস বল সপাটে মেরেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটে-বলে সংযোগ ঠিক মতো হয়নি। লং অন বাউন্ডারির একদম ধার থেকে দু’হাত বাড়িয়ে ছোঁ মেরে সেই বল ধরে নেন এডেন মার্করাম। সেখানেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের (Bangladesh) জয়ের স্বপ্ন। 

    আম্পায়ারিং নিয়ে অসন্তুষ্ট

    একসময়ে ২৪ বলে ২৭ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। হাতে তখনও ছয় উইকেট। ক্রিজে জমে গিয়েছিলেন তৌহিদ হৃদয় ও মাহমুদুল্লাহ। ১৭ তম ওভারে বার্টমানের বল আছড়ে পড়ে মাহমুদুল্লাহের প্যাডে। আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। যদিও সেই বল পায়ে লেগে বাউন্ডারি লাইন পার হয়ে যায়। ডিআরএস (DRS) নিলে দেখা যায় আউট ছিলেন না বাংলাদেশি ব্যাটার। আম্পায়ারও সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেন। কিন্তু তার আগে আউট দেওয়ায় নিয়মমতো বল ‘ডেড’ হয়ে যায়। ফলে অতিরিক্ত চার রান জোড়েনি বাংলাদেশের খাতায়। আর শেষ পর্যন্ত ৪ রানেই হারেন হৃদয়রা। ওই চার রান দিলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত। এই ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ওয়াসিম জাফর।


    এই ঘটনার সময় বাংলাদেশের (Bangladesh) অধিনায়ক শান্তকেও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতে দেখা যায়। পরে অবশ্য তিনি বলেন, “আমাদের এই ম্যাচ জেতা উচিত ছিল। শেষ কয়েক ওভার ওরা খুব ভালো বল করেছে। কিন্তু ক্রিকেটে এটা হতেই পারে।” তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন হৃদয়। তাঁর মতে, “নিয়ম আমাদের হাতে নেই। কিন্তু ওই সময়ে চার রান আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার মতে, আম্পায়ারের আউট সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া মুশকিল। ওই চার রান ম্যাচের ছবি বদলে দিতে পারত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh MP Murder Case: বাগজোলা খাল থেকে উদ্ধার হাড়গোড়! বাংলাদেশের সাংসদ খুনে নয়া মোড়?

    Bangladesh MP Murder Case: বাগজোলা খাল থেকে উদ্ধার হাড়গোড়! বাংলাদেশের সাংসদ খুনে নয়া মোড়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম খুনের (Bangladesh MP Murder Case) তদন্তে এবার চাঞ্চল্যকর মোড়। এই খুনের ঘটনায় ধৃত মহম্মদ সিয়াম হোসেনকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এবার বাগজোলা খাল (Bagjola Canal) থেকে হাড়গোড় উদ্ধার করল সিআইডি। নিউটাউনে বাংলাদেশের সাংসদ খুনে ধৃত সিয়ামকে নিয়ে সিআইডি ভাঙড়ের সাতুলিয়া এলাকায় বাগজোলা খালে তল্লাশি শুরু করে সিআইডি। সঙ্গে ছিল নৌসেনা এবং কলকাতা পুলিশের ডিএমজি টিম। ডুবুরি নামিয়ে চলছিল তল্লাশি। সেখানেই উদ্ধার হয় বেশ কিছু হাড়। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Bangladesh MP Murder Case) 

    রবিবার সকালে সিয়ামকে নিয়ে ভাঙড় এলাকায় পৌঁছে বাগজোলা খালের (Bagjola Canal) কাছে আসেন সিআইডি আধিকারিকেরা। এলাকা শনাক্তকরণের পরেই ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, তল্লাশির পর একটি ঝোপের পাশ থেকে হাড়গোড়গুলি উদ্ধার করা হয়। হাড়গুলি প্রাথমিক ভাবে দেখে অনুমান, সেগুলি মানুষেরই। তবে, সেই হাড় বাংলাদেশের সাংসদেরই কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফরেন্সিক পরীক্ষার পরেই  তা জানা যাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের সাংসদ খুনে এবার আরও এক বড় সূত্র পেতে চলেছে সিআইডি।
    এর আগে এই ঘটনার (Bangladesh MP Murder Case) তদন্তে নেমে কিছু মাংসের টুকরো উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। এবার উদ্ধার হল কিছু হাড়। এই হাড় এবং মাংসপিণ্ড বাংলাদেশের সাংসদের কিনা তা জানার জন্য তলব করা হয়েছে তাঁর মেয়েকে। তিনি এসে ডিএনএ স্যাম্পেল দিলে তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেলেন কার্তিক মহারাজ! ভারত সেবাশ্রমের সন্ন্যাসীর নিরাপত্তায় ৪ জওয়ান

    কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে গত ১৩ মে বাংলাদেশের সাংসদ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। এরপর তদন্তে নেমে একের পর এক তথ্য সামনে উঠে আসে। এখনও পর্যন্ত সিআইডি সূত্রে যা জানা গিয়েছে, তাতে ঝিনাইদহের সাংসদকে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে খুনের (Bangladesh MP Murder Case) পর হাড়-মাংস আলাদা করা হয়। তারপর প্যাকেটবন্দি করে সেগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভাঙড়ের উত্তর কাশীপুর থানা এলাকায়। পরে, প্যাকেট থেকে বের করে হাড়-মাংস ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বাগজোলা খালে (Bagjola Canal)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ৮ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান, কারা কারা উপস্থিত থাকবেন জানেন?

    PM Modi: ৮ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান, কারা কারা উপস্থিত থাকবেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮ তারিখে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকে। সরকারি সূত্রেই এ খবর মিলেছে। বুধবারই বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের নেতারা। লোকসভার ৫৪৩টি আসনে নির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যে এনডিএ জিতেছে ২৯২টি আসনে। সূত্রটি জানিয়েছে, মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপাল এবং মরিশাসের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

    কী বলছে শ্রীলঙ্কা? (PM Modi)

    শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের অফিসের তরফে জানানো (PM Modi) হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিক্রমসিংহে আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন। মোদির জয়ে তাঁকে ফোনে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। এই সময়ই বিক্রমসিংহকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট সেই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন।

    আসছেন কারা?

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও ফোনে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেই সময়ই হাসিনাকেও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানান তিনি। জানা গিয়েছে, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জুগানাউথকেও। প্রচণ্ডের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আলাদা করেও কথা হয়েছে। ফোনে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের অফিসিয়ালি নিমন্ত্রণ জানানো হবে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে। ২০১৪ সালে যখন প্রথমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদি, সেই সময় উপস্থিত ছিলেন সার্কের (SAARC) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পর যখন দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন মোদি, তখন উপস্থিত ছিলেন বিমস্টেক (BIMSTEC) দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা।

    আর পড়ুন: সরকার গড়ার সংখ্যা নেই, ‘ইন্ডি’ জোট বসবে বিরোধী আসনেই

    প্রসঙ্গত, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই পেয়েছে ২৪০টি আসন। এনডিএ পেয়েছে ২৯২টি কেন্দ্রের রাশ। সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২টি আসন। এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার জন্যই রাষ্ট্রপতির কাছে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে এনডিএ (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: প্রেমের ফাঁদ পাতা বাংলাদেশে! হিন্দুদের নিয়ে গিয়ে চলছে ইসলামে দীক্ষিতকরণ

    Love Jihad: প্রেমের ফাঁদ পাতা বাংলাদেশে! হিন্দুদের নিয়ে গিয়ে চলছে ইসলামে দীক্ষিতকরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অপহরণ করে বাংলাদেশে নিয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে হিন্দু নারী-পুরুষ-শিশুদের। পরে জোর করে তাঁদের করা হচ্ছে মুসলমান ধর্মে ধর্মান্তকরণ (Love Jihad)। জানা গিয়েছে, পাচারকারীরা নানা অছিলায় হিন্দু তরুণীদের নিয়ে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশে। সেখানেই চলছে জোর করে ধর্মান্তকরণ। সম্প্রতি এমনই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় তাজ্জব প্রশাসন।

    অপহৃত হিন্দু কিশোরী (Love Jihad)

    কিছু দিন আগেই বাংলাদেশের সিপাহিজেলা থেকে অপহৃত হয় বছর পনেরোর এক হিন্দু কিশোরী। জনৈক সাব্বির আহমেদ ও তার বাবা তাকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। এর পরেই বাংলাদেশ প্রশাসন বর্ডার গার্ডকে (বিবিজি) এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়। ভারত থেকে অপহৃত মহিলা কিংবা তরুণীকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার সময় পাকড়াও করার নির্দেশও দেওয়া হয়। বিবিজিকে এই নির্দেশ দেওয়া হলেও, স্থানীয় ম্যারেজ রেজিস্ট্রার এবং আদালতকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়নি। তার জেরেই বন্ধ হয়নি তরুণী অপহরণ কিংবা জোর করে ধর্মান্তকরণ (Love Jihad)। ফলশ্রুতি হিসেবে বাংলাদেশে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে লভ জিহাদ ও হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তকরণ।

    অপহৃত ১১ জন গ্রেফতার

    এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে বলে ২০২০ সালে বাংলাদেশের কিছু মিডিয়া খবর করে। সেই সংবাদ প্রতিবেদনের লিঙ্ক শেয়ার করা নিষিদ্ধ করে দেয় ফেসবুক, কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘনের অজুহাতে। বাংলাদের নামী দৈনিক ‘যুগান্তর’ ও নিউজ পোর্টাল ‘জাগো নিউজ’ একটি প্রতিবেদনে জানায়, রামগঞ্জ উপজিলার লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে স্থানীয় পুলিশ গ্রেফতার করেছে ১১ জন ভারতীয় নাগরিককে। এদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে অপহরণ করে নিয়ে আসা হয়েছিল, করা হয়েছিল ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তকরণও। মৌলবাদী ঘৃণা প্রচারক মিজানুর রহমান আজহারি স্বয়ং ধর্মান্তকরণের অনুষ্ঠান করেছিল। এই প্রতিবেদন থেকেই জানা গিয়েছিল, ২০০৬ সালে মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে নিখোঁজ হয়ে যায় স্থানীয় কাউন্সিল সদস্য ফতেমা বেগম ও মোজিবল হকের ছেলে মনির হোসেন।

    ওপার বাংলার মনির এপারে এসে শঙ্কর!

    পশ্চিমবঙ্গে এসে সে যোগ দিয়েছিল তবলিঘি জামাতে। শঙ্কর অধিকারী নাম নিয়ে দিব্যি সে বাস করছিল এপার বাংলায়। এখানেই সে এক হিন্দু তরুণীকে বিয়ে করে। এক দশকেরও বেশি সময় এ দেশে বসবাস করার পর মনির ও তাঁর স্ত্রী ফাঁদে পড়ে তবলিঘি জামাতের। ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। জামাতের তরফে মনির ওরফে শঙ্করের সঙ্গে বাংলাদেশের এক ব্যক্তির পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশি এই নাগরিক মনিরকে হিন্দু তরুণী ও মহিলাদের বাংলাদেশের পাচারের অফার দেয়। তাঁদের ইসলামে দীক্ষিত করাতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। তার বিনিময়ে মনিরকে ওই বাংলাদেশি মোটা টাকা মিলবে বলেও টোপ দেয়। টোপ গেলে মনির। জানা গিয়েছে, এ রাজ্যের ছ’জন মহিলা, যাঁদের অধিকাংশই তার স্ত্রীর (যিনি আদতে হিন্দু) আত্মীয়, তাঁদের ভিসা দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশে। মনিরের স্ত্রী ও দুই সন্তানকেও পাঠানো হয় তাঁদের সঙ্গে। সেখানে তাঁদের প্রত্যেককেই জোর করে মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত করা হয়।

    লভ জিহাদের ফাঁদ

    ‘যুগান্তরে’র অন্য এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচাং উপজিলার হিন্দু মহিলা করফুল সরকারকে লভ জিহাদের ফাঁদে ফেলে জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হয়। সে পড়েছিল কাজল মিঞার খপ্পরে। প্রেমের জালে (Love Jihad) জড়িয়ে তাঁকে মুসলমান করার পর ফের হিন্দু ধর্মে ফিরে আসেন করফুল। এতেই খেপে যান স্থানীয় মুসলমান নেতারা। তাঁকে তাঁর বাবার বাড়ির বাইরে বসবাস করতে বাধ্য করেন। শর্ত দেওয়া হয়, তাঁর বাবা-সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের হিন্দু ধর্ম ছেড়ে মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত হলে, তবেই মিলবে এক সঙ্গে বসবাসের অনুমতি।

    হিন্দু পরিবারকে মুসলমান হতে চিঠি!

    বাংলাদেশের এক প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামিম আহমেদ। সে-ও এক হিন্দু তরুণীকে অপহরণ করে বিয়ে করে জোর করে দীক্ষিত করে মুসলমান ধর্মে। পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করায় গ্রেফতার করা হয় শামিমকে। ২০২৩ সালের অগাস্টে কয়েকজন মুসলমান ঐশী বণিক নামে এক হিন্দু তরুণীকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতে বাধ্য করে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নামকরা বাংলা দৈনিক ‘ইত্তেফাকে’র একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ, সে দেশের কয়েকজন মুসলমান মাগুরা জেলার ৫০টি হিন্দু পরিবারকে মুসলিম ধর্মে দীক্ষিত হতে হবে বলে চিঠি দেয়। ওই ঘটনায় চারজন মুসলমানকে গ্রেফতার করেছিল বাংলাদেশের প্রশাসন। যদিও তারা প্রত্যেকেই জামিন পেয়ে যায়।

    অন্য একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সৌদি আরবে ৩ লাখ ৪৭ হাজার হিন্দুকে ইসলামি গ্রুপের তরফে মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার টোপ দেওয়া হয়। ৩ লাখ ৪৭ হাজার হিন্দু ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন বলে ভুয়ো খবরও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তান এবং আরও কয়েকটি দেশেও রমরমিয়ে চলছে জোর করে ধর্মান্তকরণের ব্যবসা।

    আর পড়ুন: রেকর্ড গড়ল বিজেপি, বিরোধীশূন্য মধ্যপ্রদেশ পদ্মময়

    বাংলাদেশেরই আর একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ক্রমাগত চাপের কাছে নতি স্বীকার করে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের মাদারিপুরের হিন্দু দম্পতি অশোক মিত্র ও তাঁর স্ত্রী পার্বতী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এই মাসেই জনৈক সাগরিকা দাস লভ জিহাদের খপ্পরে পড়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতে বাধ্য হন। চেন্নাই পুলিশ কীভাবে আন্তর্জাতিক লভ জিহাদের একটি ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে দিয়েছিল, সে খবর ফাঁস করে বাংলাদেশের নিউজ পোর্টাল ‘বাংলা ট্রিবিউন’।

    ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যখন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ হিসেবে, তখন জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিল অনেক হিন্দু পরিবার। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৪ বছর আগে। যদিও আজও সেই ট্র্যাডিশন সমানে (Love Jihad) চলছে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh MP Murder: মাংসপিণ্ড কার? জানতে ডিএনএ টেস্ট, বাংলাদেশের সাংসদ খুনে নেপাল রওনা সিআইডি-র

    Bangladesh MP Murder: মাংসপিণ্ড কার? জানতে ডিএনএ টেস্ট, বাংলাদেশের সাংসদ খুনে নেপাল রওনা সিআইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউটাউনের ফ্ল্যাট থাকা সঞ্জীবা আবাসনের ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের দলা ও চুল সংসদ আনোয়ারুল আজিম আনোয়ারের কি না তা নিশ্চিত করতে ডিএনএ টেস্ট (DNA Test) করা হবে। এর জন্য সংসদের মেয়ে ও ভাই আসছেন কলকাতায় এমনটাই গোয়েন্দা সূত্রে খবর। বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনোয়ারের দেহের খোঁজ করছে পুলিশ। টুকরো করা যে মাংস উদ্ধার হয়েছে তা সাংসদের (Bangladesh MP Murder Case) হলেও দেহের বাকি অংশ কোথায় তা জানতে চান গোয়েন্দারা।

    নেপালে রওনা দিচ্ছে সিআইডি

    এদিকে বাংলাদেশের সাংসদ খুনের ঘটনায় এবার নেপালে রওনা দিচ্ছে সিআইডির একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল। চলতি সপ্তাহেই ওই দল নেপালের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে বলে ভবানী ভবন সূত্রের খবর। এই খুনের ঘটনায় সিয়াম নামে এক ব্যক্তির খোঁজ চালাচ্ছে গোয়েন্দারা।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় বাংলাদেশি সাংসদ হত্যাকাণ্ডে নেওয়া হবে ইন্টারপোলের সাহায্য

    বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের হাত থেকে ইতিমধ্যেই আধিকারিকভাবে সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগও এই ঘটনায় তদন্ত চালাচ্ছে। জানা গিয়েছে খুনের ঘটনায় জিহাদকে সাহায্য করেছিল সিয়াম নামে ওই অভিযুক্ত। ঘটনার পর থেকে সেই নেপালে গা ঢাকা দিয়েছে বলে সিআইডির অনুমান।

    মাংসপিণ্ডের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে

    সাংসদ খুনের ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশের ডিবি প্রধান হারুন ওর রশিদের নেতৃত্বে সে দেশের গোয়েন্দারা এ শহরে এসেছেন। অভিযুক্তকে জেরা করে তদন্তকারীরা (Bangladesh MP Murder Case) জানতে পেরেছেন নিউটাউনের ফ্ল্যাট সংলগ্ন সেপটিক ট্যাংকে কিছু দেহাংশ থাকলেও থাকতে পারে।  এর পরেই সেই রাতে সেখানে তদন্ত চালিয়ে প্রায় চার কেজি মাংস এবং সঙ্গে কিছু চুল উদ্ধার হয়। সেগুলি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে সিআইডি। পরীক্ষা সম্পন্ন হলে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে সেই অংশের। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট মেলানোর জন্য সাংসদদের কন্যা ও তাঁর ভাই আসছেন কলকাতায়। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট সামনে এলেই জানা যাবে উদ্ধার হওয়া মাংস সাংসদের দেহের কি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: “নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে, মাথা উঁচু করে বাঁচব”, বললেন নদিয়ার বিকাশ

    CAA: “নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে, মাথা উঁচু করে বাঁচব”, বললেন নদিয়ার বিকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেলেন বিকাশ মণ্ডল নামে নদিয়ার এক যুবক। লোকসভা ভোটের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিল পাশ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সভায় বাংলায় সিএএ (CAA) হতে দেব না বলে বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সব কিছুকে ফুৎকারে উড়়িয়ে দিয়ে অবশেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে নির্দেশ মতো বুধবার থেকেই বাংলায় সিএএ চালু হয়ে গেল। রাজ্যের ৮ জন নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পেয়েছেন।

    মোদিজিকে কুর্ণিশ জানান মণ্ডল পরিবার (CAA)

    বেশ কিছুদিন আগে নদিয়ার বিকাশ মণ্ডল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। বুধবারই নাগরিকত্বের শংসাপত্র তিনি হাতে পেয়েছেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ থেকে নদিয়া কৃষ্ণনগরের ভীমপুর আশাননগর এলাকায় পরিবার নিয়ে চলে আসেন বিকাশবাবু। এরপরে যখন নাগরিকত্ব আইন পাস হল তারপর থেকেই তিনি চেষ্টায় ছিলেন এ দেশের নাগরিকত্বের শংসাপত্র পাওয়ার জন্য। এরপর তিনি এপ্রিল মাসে অনলাইনে আবেদন করেন। ২৭ মে তাঁকে ভেরিফিকেশনের জন্য কৃষ্ণনগর পোস্টাল সুপারিনটেনডেন্ট অফিসে তাঁকে ডাকা হয়। এরপর তিনি সমস্ত কাগজপত্র জমা করার পর বৃহস্পতিবার নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পান। মোদিজিকে কুর্ণিশ জানান মণ্ডল পরিবারের সদস্যরা।

    রাতের অন্ধকারে পরিবার নিয়ে চোরা পথে ভারতে চলে আসি

    এই বিষয়ে বিকাশ মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশে সাইবার ক্যাফে ছিল আমার। সেখানে হিন্দুদের কোনও গুরুত্ব নেই। ওরা অত্যাচার করত। অল্প জমি ছিল। জলের দরে জমি বিক্রি করি দিই। মুসলিমদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে রাতের অন্ধকারে পরিবার নিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে চোরা পথে আমরা এই দেশে চলে আসি। নাগরিকত্ব কাগজ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। মাথা উঁচু করে বাঁচব। আর এটুকু বলতে পারি, সিএএ (CAA) নিয়ে ভয়ের কিছু নেই, আবেদন করলে সবাই নাগরিকত্ব পাবে। আর কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের ভারতবর্ষে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে। তাই, মোদিজিকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

    হিন্দু মেয়েরা মন খুলে ঘুরতে পারে না, বসবাস করা যায় না বাংলাদেশে

    বিকাশবাবুর স্ত্রী সাথী বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশ মুসলিমরা হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করে। সেখানে হিন্দু মেয়েরা মন খুলে ঘুরতে পারে না, সেখানে বসবাস করা যায় না। বাইরে বের হলে অভিভাবকদের সঙ্গে যেতে হত। সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম। আর অত্যাচার তো ছিলই। সেই অত্যাচার থেকে বাঁচতেই ২০১২ সালে সপরিবারে আমরা নদিয়ায় চলে আসি। এই দেশে আসার পর নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে অধীর আগ্রহে ছিলাম। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করে সার্টিফিকেট পেয়ে খুশি আমরা। মোদিজির প্রতি ভরসা আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share