Tag: Bengali news

Bengali news

  • Operation Sankalp: সীমান্তপারে জঙ্গি-নিধনে ‘অপারেশন সিঁদুর’, দেশে ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী

    Operation Sankalp: সীমান্তপারে জঙ্গি-নিধনে ‘অপারেশন সিঁদুর’, দেশে ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি-ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে  ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়েছে ভারতীয় ফৌজ। সীমান্তপার সন্ত্রাস যেমন এক হাতে দমন করা হচ্ছে, ঠিক একইভাবে, দেশের ভেতর মাওবাদীদের দমন করতে চলছে  ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ (Operation Sankalp)। আর এই অভিযানে খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী গেরিলা (Maoists Killed)। ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের বিজাপুর জেলা এবং পড়শি রাজ্য তেলঙ্গানার সীমানায় পাহাড়-জঙ্গলঘেরা এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয়েছে ওই মাওবাদীরা। গত ১৮ দিন ধরে ওই এলাকায় ধারাবাহিক সংঘর্ষ চলছে। নিহত মাওবাদীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরকও উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সিআরপিএফের এক আধিকারিক বলেন, “চার মহিলা-সহ মোট ২৬ জন মাওবাদী এই অভিযানে নিহত হয়েছে। প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক, অস্ত্র তৈরির ফ্যাক্টরি ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, এই অপারেশন চালানোর জন্য ১৯ এপ্রিল থেকে সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল জিপি সিং রায়পুর ও জগদলপুরে ঘাঁটি গেড়েছিলেন।

    অপারেশন সঙ্কল্প (Operation Sankalp)

    দিন কুড়ি আগে ওই জঙ্গলে ৫০০-রও বেশি মাওবাদী জড়ো হয়েছে বলে খবর পায় যৌথবাহিনী। তার পরেই শুরু হয় ‘অপারেশন সঙ্কল্প’। জঙ্গলটি ঘিরে রেখেছে প্রায় ২৪ হাজার আধাসেনা ও পুলিশ। সিআরপিএফের জঙ্গলযুদ্ধ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনী কোবরা-র পাশাপাশি ছত্তিশগড়ের সশস্ত্র পুলিশ, বস্তার ফাইটার্স ও ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনী, মহারাষ্ট্র পুলিশের সি-৬০, তেলঙ্গানা পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনীও রয়েছে এই অভিযানে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ-র এক নম্বর ব্যাটেলিয়নের ঘাঁটি রেগুট্টা এবং দুর্গামগুট্টার ঘন জঙ্গলে ঘেরা পাহাড় ঘিরে গত ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ নামের ওই অভিযান সংহত করা হচ্ছে (Operation Sankalp)।

    বাহিনীর জাঁতাকলে আটকে ৫০০

    ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় সাড়ে চারশো কিলোমিটার দূরে বস্তার ডিভিশনের ওই দুর্গম এলাকায় মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাও বাহিনীর জাঁতাকলে আটকে পড়েছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। এই দলেই রয়েছে তেলঙ্গানা রাজ্য কমিটি ও দণ্ডকারণ্য বিশেষ জোনাল কমিটির অধিকাংশ গেরিলা কমান্ডার। এই পরিস্থিতিতে নজরদারির কাজে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে মাওবাদীদের (Maoists Killed) নিশ্চিহ্ন করার কথা ঘোষণা করেছেন। সেই লক্ষ্যেই ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ ছত্রিশগড় সরকারের (Operation Sankalp)।

  • Pakistan Army: বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ পাক সেনার, যোগ্য জবাব ভারতের

    Pakistan Army: বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ পাক সেনার, যোগ্য জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭-৮ মে মধ্যরাতের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি এবং আখনুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রেখাজুড়ে পাক সেনারা (Pakistan Army) ছোট অস্ত্র ও কামানের গোলা দিয়ে কোনও প্ররোচনা ছাড়াই গোলাবর্ষণ শুরু করেছে (LOC)। বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, পাক সেনা হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও।

    পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণ (Pakistan Army)

    এদিকে, বুধবার জম্মু-কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণের সময় এক জওয়ানও শহিদ হন। ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমার মঙ্গলবার গভীর রাতের গোলাবর্ষণে নিহত হন। হোয়াইট নাইট কোরের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে লেখা হয়েছে, “জিওসি এবং হোয়াইটনাইট কোরের সকল সদস্যরা ৫ ফিল্ড রেজিমেন্টের ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমারের সর্বোচ্চ ত্যাগকে স্যালুট জানাচ্ছেন, যিনি ৭ মে ২৫ তারিখে পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণের সময় প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। পুঞ্চ সেক্টরে নিরীহ নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলার সকল শিকার ব্যক্তির সঙ্গেও আমরা সংহতি প্রকাশ করছি।” জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৬ মে রাতে তাংধর এবং অন্যান্য সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অসামরিক এলাকাগুলিতে গোলাবর্ষণ শুরু করে এবং ৭ মে পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখে। এই গোলাবর্ষণে এখনও পর্যন্ত ১৫ জন সাধারণ কাশ্মিরীর মৃত্যু হয়েছে। বহু ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনেক স্থানীয় বাসিন্দাকে পালাতে বাধ্য করা হন।

    ভারতীয় সেনার পাশে স্থানীয়রা

    স্থানীয়রা দৃঢ়ভাবে অটল থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন সিঁদুরের প্রতি সমর্থন জানান। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা (Pakistan Army)। তারই পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করতে উদ্যোগী হয় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। অপারেশন সিঁদুরের পরেও বুধবার পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে। এদিনও অসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় স্থানীয়দের মধ্যে। পুঞ্চ এবং রাজৌরি সেক্টরে অভিযানের পরেও গোলাবর্ষণের খবর মিলেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা এই জায়গা ছেড়ে যাব না এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সমর্থন করব। যুদ্ধবিরতি আজও লঙ্ঘন হতে পারে। এই অভিযান একটি যথোপযুক্ত জবাব। আমরা এখান থেকে মহিলা ও শিশুদের সরিয়ে নিয়েছি, কিন্তু পুরুষরা এখানেই থাকব (LOC)।”

  • Vikram Misri: ‘অপারেশন সিঁদুর’ একটি লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক অভিযান, বিশ্বকে বলল ভারত

    Vikram Misri: ‘অপারেশন সিঁদুর’ একটি লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক অভিযান, বিশ্বকে বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালিত হয়েছে, তা লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক। রাষ্ট্রসংঘের (UNSC) ১৩টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের এ কথা জানান ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)। তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যে ২৮ জন নিহত হয়েছেন গত ২২ এপ্রিল, তা আমাদের কাছে উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী ছিল।” তাঁর ইঙ্গিত, লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ এই হামলার দায় স্বীকার করলেও, পরে সুরক্ষার অজুহাতে পিছিয়ে যায়। পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতি আদায়ে জোর চেষ্টা করে চলেছে জানিয়ে মিস্রি ওই রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের জানান, এ থেকে স্পষ্ট এখানে কোনও পরিকল্পনা কাজ করছে। এর পরেই তিনি বলেন, “ভারতের প্রতিক্রিয়া কেবল জঙ্গি লক্ষ্যবস্তুতেই পরিমিত এবং অনুত্তেজক স্ট্রাইকের মধ্যেই ছিল।”

    বর্বরোচিত সন্ত্রাসী আক্রমণ (UNSC)

    এদিকে, পাকিস্তান কাশ্মীরের পুঞ্চ এলাকায় বেসরকারি পরিকাঠামোগুলিতে নিরন্তর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসী হামলাকে বর্বরোচিত আক্রমণ আখ্যা দিয়ে মিস্রি বলেন, “বিশ্ববাসী এর প্রকৃতি প্রত্যক্ষ করেছে। ভারতের পদক্ষেপ কেবল সন্ত্রাসী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করেই পরিচালিত হয়েছে।” মিস্রি বুধবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তান যদি জবাব দেয়, তাহলে ভারতও জবাব দেবে। তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর গোলাবর্ষণ চলছে। তিনি জানান, ভারত পাকিস্তানের কোনও সামরিক কাঠামোয় আঘাত করেনি, আঘাত করেছে জঙ্গি সংগঠনগুলির ৯টি ঘাঁটিতে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তান যদি অসামরিক পরিকাঠামোয় হামলা করে, তাহলে ভারতও জবাব দেবে।

    ভারতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে

    বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশে মিস্রি বলেন, “ভারতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে যে, তারা যে ৯টি জায়গায় আঘাত হেনেছে, সেগুলি ব্যবহৃত হত জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও অভিযানের ঘাঁটি হিসেবে।” জানা গিয়েছে, জঙ্গি পরিকাঠামোটি এমন একটি কমপ্লেক্সে অবস্থিত যেখানে মাদ্রাসা, মসজিদ, খেলার মাঠ, ছাত্রাবাস ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার এলাকা রয়েছে। ভারত এই কমপ্লেক্সগুলিকে আঘাত করেছে, যা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হত। মিস্রি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের মিশন সমস্ত ইউএনএসসি (UNSC) সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে। মিস্রি (Vikram Misri) বলেন, ‘‘হত্যার পদ্ধতির মাধ্যমে নিহতদের পরিবারবর্গকে ইচ্ছাকৃতভাবে মানসিক আঘাত দেওয়া হয়েছিল, সঙ্গে এই বার্তা দেওয়া হয়েছিল যে তারা যেন এই সংবাদ পৌঁছে দেয়। এই হামলার পেছনে স্পষ্ট উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরে স্বাভাবিকতা ফিরে আসাকে ব্যাহত করা।’’

    ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার প্রয়োগ’’

    ভারতের বিদেশ সচিব বলেন, “ভারতীয় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করছে এবং ভারতে আরও জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে।” তিনি বলেন, ‘‘আমাদের গোয়েন্দা তথ্যে জানা গিয়েছে যে ভারতে আরও হামলা হতে পারে। তাই, প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার জন্য বাধ্য হয়েই ভারত সীমান্তজুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করেছে।” তিনি বলেন, “আমাদের পদক্ষেপগুলি পরিমিত, উত্তেজনা না বাড়ানো, সমানুপাতিক ও দায়িত্বশীল ছিল। এগুলি কেবল জঙ্গিদের পরিকাঠামো ধ্বংসের লক্ষ্যে কেন্দ্রীভূত ছিল (UNSC)।’’

    পহেলগাঁওকাণ্ডের বদলা

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে খুন করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এর পরেই সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড দিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপারেশনের নামও ঠিক করে দেন তিনি – ‘অপারেশন সিঁদুর’। মঙ্গলবার গভীর রাতের ওই অভিযানে বেশ কয়েকজন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে সূত্রের খরব (Vikram Misri)। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করা হয় সেনার তরফে। সেখানে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানান,  মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি টার্গেট করে সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, অসামরিক মানুষ ও তাঁদের পরিকাঠামোর ক্ষতি যাতে না হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এই জায়গাগুলি বেছে নেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নিহতদের ও তাঁদের পরিবারের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়। ৯টি জঙ্গি শিবির সফলভাবে ধ্বংস করা হয়। বেসামরিক পরিকাঠামোর ক্ষতি বা প্রাণহানি এড়াতেই এই জায়গাগুলি বেছে নেওয়া হয়েছিল (UNSC)।’’ এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশিও। তিনি জঙ্গি শিবির ধ্বংসের ভিডিও চিত্র তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে সরকার জানিয়েছিল, অপরাধীদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হবে (Vikram Misri)।

  • Ramakrishna 344: “তাঁকে উপাসনা করতে একটা ভাব আশ্রয় করতে হয়, আমার তিন ভাব—সন্তান ভাব, দাসী ভাব আর সখীভাব”

    Ramakrishna 344: “তাঁকে উপাসনা করতে একটা ভাব আশ্রয় করতে হয়, আমার তিন ভাব—সন্তান ভাব, দাসী ভাব আর সখীভাব”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ প্রহ্লাদচরিত্রাভিনয় দর্শনে স্টার থিয়েটারে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৪ই ডিসেম্বর
    ঈশ্বরদর্শনের উপায় — ব্যাকুলতা

    পাপীতাপী ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ 

    গিরিশ (Ramakrishna)—এ পাপীর কি হবে?

    ঠাকুর ঊর্ধ্বদৃষ্টি করিয়া করুণস্বরে গান ধরিলেন:

    ভাব শ্রীকান্ত নরকান্তকারীরে।
    নিতান্ত কৃতান্ত ভয়ান্ত হরি ॥
    ভাবিলে ভব ভাবনা যায় রে —
    তরে তরঙ্গে ভ্রূভঙ্গে ত্রিভঙ্গে যেবা ভাবে।
    এলি কি তত্ত্বে, এ মর্তে কুচিত্ত কুবৃত্ত করিলে কি হবে রে —
    উচিত তো নয়, দাশরথিরে ডুবাবি রে —
    কর এ চিত্ত প্রাচিত্ত, সে নিত্য পদ ভেবে ॥

    (গিরিশের প্রতি)—“তবে তরঙ্গে ভ্রূভঙ্গে ত্রিভঙ্গে যেবা ভাবে (Kathamrita)।”

    আদ্যাশক্তি মহামায়ার পূজা ও আমমোক্তারি বা বকলমা

    মহামায়া দ্বার ছাড়লে তাঁর দর্শন হয়। মহামায়ার দয়া চাই। তাই শক্তির উপাসনা। দেখ না, কাছে ভগবান আছেন তবু তাঁকে জানবার জো নাই, মাঝে মহামায়া (Ramakrishna) আছেন বলে। রাম-সীতা, লক্ষ্মণ যাচ্ছেন। আগে রাম, মাঝে সীতা—সকলের পিছনে লক্ষ্মণ। রাম আড়াই হাত অন্তরে রয়েছেন, তবু লক্ষ্মণ দেখতে পাচ্ছেন (Kathamrita) না।

    “তাঁকে উপাসনা করতে একটা ভাব আশ্রয় করতে হয়। আমার তিন ভাব,—সন্তান ভাব, দাসী ভাব আর সখীভাব। দাসী ভাব, সখীভাবে অনেক-দিন ছিলাম। তখন মেয়েদের মতো কাপড়, গয়না, ওড়না পরতুম। সন্তান ভাব খুব ভাল।

    “বীরভাব ভাল না। নেড়া-নেড়ীদের, ভৈরব-ভৈরবীদের বীরভাব। অর্থাৎ প্রকৃতিকে স্ত্রীরূপে দেখা আর রমণের দ্বারা প্রসন্ন করা, এ-ভাবে প্রায়ই পতন আছে।”

    গিরিশ—আমার এক সময়ে ওই ভাব এসেছিল (Kathamrita)।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) চিন্তিত হইয়া গিরিশকে দেখিতে লাগিলেন।

    গিরিশ—ওই আড়টুকু আছে, এখন উপায় কি বলুন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (কিয়ৎক্ষণ চিন্তার পর)—তাঁকে আমমোক্তারি দাও—তিনি যা করবার করুন।

    সংসারে কি ঈশ্বরলাভ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সংসারে হবে না কেন? তবে বিবেক-বৈরাগ্য চাই। ঈশ্বর বস্তু আর সব অনিত্য, দুদিনের জন্য,—এইটি পাকা বোধ চাই। উপর উপর ভাসলে হবে না, ডুব দিতে হবে!

    এই বলিয়া ঠাকুর গান গাহিতেছেন:

    ডুব্‌ ডুব্‌ রূপসাগরে আমার মন।
    তলাতল পাতাল খুঁজলে পাবি রে প্রেম রত্নধন ॥

  • Operation Sindoor: “ভারতীয় সেনা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুরের প্রতিশোধ নিয়েছে,” বললেন গর্বিত হালিমা

    Operation Sindoor: “ভারতীয় সেনা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুরের প্রতিশোধ নিয়েছে,” বললেন গর্বিত হালিমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুরের প্রতিশোধ নিয়েছে।” কথাগুলি বললেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশির (Colonel Sofiya Qureshi) মা হালিমা কুরেশি। পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালিয়েছে ভারত। বুধবার সকালে ভারতীয় সেনার এ সংক্রান্ত সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। কীভাবে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করে করে ধ্বংস করা হয়েছে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংয়ের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সোফিয়াও। ভারতীয় সেনার গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন হালিমা (Operation Sindoor)

    মেয়ের কাজে গর্বিত হালিমা। তিনি বলেন, “সোফিয়া দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা ও জেঠুর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চেয়েছিল। তারা দুজনেই সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছে। ও (সোফিয়া) ছোট থেকেই বলত বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে। দেশের সেবা করবে।” মেয়ের সাফল্যে খুশি সোফিয়ার বাবা তাজ মহম্মদ কুরেশিও। তিনি বলেন, “আমরা অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের মেয়ে আমাদের দেশের জন্য একটি মহান কাজ করেছে। পাকিস্তানের ধ্বংস হওয়াই উচিত। আমার দাদা, আমার বাবা এবং আমি – আমরা সবাই সেনাবাহিনীতে ছিলাম। এখন আমার মেয়ে আছে।”

    ‘এমন প্রতিশোধ আশা করিনি’

    সোফিয়ার ভাই মহম্মদ সঞ্জয় কুরেশি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর থেকে গোটা দেশ অপেক্ষা করছিল, কবে প্রতিশোধ নেওয়া হবে। তবে এভাবে যে প্রতিশোধ নেওয়া হবে, তা কখনওই আশা করিনি (Operation Sindoor)।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ও (সোফিয়া) আমার আদর্শ। আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু আমরা কখনওই এমন প্রতিশোধ আশা করিনি বা প্রেস কনফারেন্সটি একটি পরিবারের সদস্য কর্তৃক পরিচালিত হবে, তাও আশা করিনি। আমাদের পরিবারকে এমন একটি বড় সুযোগ দেওয়ায় আমরা খুব খুশি।”

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এক জঙ্গির হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলমান যুবককেও। এই জঙ্গি হামলার পর সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড দিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই বুধবার ভোরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এই অপারেশনের নাম (Colonel Sofiya Qureshi) ছিল “অপারেশন সিঁদুর”। যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোফিয়ার পরিবার (Operation Sindoor)।

  • Supreme Court: “হয় পদত্যাগ করুন, নয়তো ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হোন,” বিচারপতি ভার্মাকে নির্দেশ প্রধান বিচারপতির

    Supreme Court: “হয় পদত্যাগ করুন, নয়তো ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হোন,” বিচারপতি ভার্মাকে নির্দেশ প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হয় পদত্যাগ করুন, নয়তো ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হোন।” বুধবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার (Justice Yashwant Varma) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অভ্যন্তরীণ প্যানেলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একথা বললেন ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, এলাহাবাদ হাইকোর্টের বর্তমান বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তকারী তিন সদস্যের কমিটি রবিবার ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার কাছে তাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে।

    ভার্মার বাসভবনে অগ্নিকাণ্ড (Supreme Court)

    ১৪ মার্চ হোলির সন্ধ্যায় দিল্লিতে দুর্ঘটনাক্রমে অগ্নিকাণ্ডের সময় বিচারপতি ভার্মার বাসভবনে প্রচুর পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধারের অভিযোগ ওঠায় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। চলতি বছরের ২২ মার্চ গঠিত তিন সদস্যের এই কমিটির দায়িত্ব ছিল ভার্মার সরকারি বাসভবনে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত করা। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শীল নাগু, হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জিএস সন্ধাওয়ালিয়া এবং কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি অণু শিবরামের সমন্বয়ে গঠিত ওই কমিটি ২৫ মার্চ তদন্ত শুরু করে। ৪ মে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। সূত্রের খবর, কমিটি বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে অসদাচরণের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে এবং উক্ত নগদ টাকার উৎস ও উপস্থিতি সম্পর্কে তিনি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

    তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে

    বিচারপতি ভার্মার দাবি, আগুন লাগার সময় তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ভোপালে ছিলেন। তাই নগদ টাকার বিষয়ে তাঁর জানা নেই। পুরো ঘটনাটিকে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ফ্রেম করার ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন (Supreme Court)। বার অ্যান্ড বেঞ্চের একটি সূত্রের খবর, “প্রতিবেদনে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। প্রক্রিয়া অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তাঁকে তলব করেছেন (Justice Yashwant Varma)। তাঁকে প্রথম যে বিকল্প দেওয়া হয়েছে তা হল পদত্যাগ করতে হবে। যদি তিনি পদত্যাগ করেন, তাহলে ভালো। যদি না করেন, তাহলে ইমপিচমেন্টের সুপারিশ করে রিপোর্ট পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।” এজন্য বিচারপতি ভার্মাকে ৯ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে (Supreme Court)।

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ উত্তর ভারতের বহু বিমানবন্দর, জারি সতর্কতা

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ উত্তর ভারতের বহু বিমানবন্দর, জারি সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জেরে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাক ভূমে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের থেকে কোনও প্ররোচনামূলক বা প্রতিহিংসাস্বরূপ হামলার সম্ভাবনা থাকায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বুধবার সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে উত্তর ভারতের বহু বিমান চলাচল। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি বিমানবন্দরও (Airport Shut)। ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমানও। যাত্রীদের সুবিধার্থে বিবৃতি জারি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইসজেট, ইন্ডিগোর মতো ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১৮টি বিমানবন্দর।

    ফ্লাইট অপারেশন স্থগিত (Operation Sindoor)

    প্রধান কয়েকটি বিমানবন্দর যার মধ্যে ধর্মশালা, লেহ, জম্মু, শ্রীনগর এবং অমৃতসর রয়েছে, এই বিমানবন্দরগুলিতে ফ্লাইট অপারেশন স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার সারাদিনের জন্য বন্ধ করে রাখা হয়েছে পাঠানকোট, জয়শলমীর, সিমলা, পাঠানকোট এবং জামনগর বিমানবন্দর। তবে বৃহস্পতিবার থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে কিনা, বুধবার দুপুর পর্যন্ত তা জানা যায়নি। এদিন সব মিলিয়ে বাতিল হয়েছে ২০০-র বেশি বিমান।

    কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই বিমানবন্দরগুলির মাধ্যমে সমস্ত ডিপার্চার এবং অ্যারাইভাল ও কানেক্টিং ফ্লাইট প্রভাবিত হতে পারে। নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসার আগে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। যাত্রীদের তাঁদের ফ্লাইটের সর্বশেষ অবস্থা জানতে এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাত্রা পরিকল্পনা করার অনুরোধ করা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির ওপর ভিত্তি করে আরও নতুন নতুন তথ্য দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। শ্রীনগর বিমানবন্দর বুধবার বন্ধ থাকায় সেখান থেকে কোনও বেসামরিক ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে না।

    কী বলছে এয়ার ইন্ডিয়া 

    এক্স হ্যান্ডেলে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে বলা হয়েছে, “সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে জম্মু, শ্রীনগর, লেহ, জোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় এবং রাজকোট থেকে বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত সমস্ত বিমান বাতিল করা হয়েছে। এই বিমানবন্দরগুলিতে যেসব বিমানের নামার কথা ছিল, সেগুলিও (Operation Sindoor) আপাতত বাতিল করা হয়েছে। অমৃতসরগামী দু’টি আন্তর্জাতিক বিমান অবতরণ করানো হবে দিল্লিতে। যাত্রীদের সমস্যার জন্য আমরা দুঃখিত।” সূত্রের খবর, বিমানবন্দরের কর্তারা জানিয়েছেন, এটি জাতীয় জরুরি পরিস্থিতি, যাত্রী সুরক্ষাই সর্বাগ্রে। ডিজিসিএ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

    স্পাইসজেট-ইন্ডিগোর পোস্ট

    স্পাইসজেট জানিয়েছে, ‘সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে ধর্মশালা, লেহ, শ্রীনগর, অমৃতসর-সহ উত্তর ভারতের একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওই বিমানবন্দরগুলিতে বিমানের ওঠানামা প্রভাবিত হতে পারে। এই পরিস্থিতি মাথায় রেখে সকলকে যাত্রার পরিকল্পনা করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।’ ইন্ডিগোর পোস্টে বলা হয়েছে, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে শ্রীনগর, জম্মু, অমৃতসর, লেহ, চণ্ডীগড়, ধর্মাশালা থেকে আমাদের সমস্ত বিমান বাতিল করা হয়েছে। এই বিমানবন্দরগুলিতে আমাদের কোনও বিমান নামবেও না। বিমানবন্দরে পৌঁছনোর আগে আপনারা বিমান সংক্রান্ত তথ্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে জেনে নিন।’ ইন্ডিগো এও জানিয়েছে, জোধপুর এবং বিকানেরের বিমান পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে (Operation Sindoor)। ভারতের বন্ধ থাকায় কাতার এয়ারওয়েজ সাময়িকভাবে পাকিস্তানের সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে। এয়ারলাইনটি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও জানিয়েছে।

    হিন্দু পর্যটককে হত্যা

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে জঙ্গিরা। এই বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার বদলা হিসেবে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। এই অভিযানের নামই দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। অপারেশনের নাম দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং (Airport Shut)।

    জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

    এই অপারেশনে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটির ২১টি টার্গেট ধ্বংস করতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এগুলির মধ্যে রয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের শক্তঘাঁটি বাহাওয়ালপুরও। বাহওয়ালপুরের মর্কাজ সুভান আল্লায় নামক জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, মুরিদকে-র মর্কাজ তৈবায় লস্কর-ই-তৈবার ২০০ একর জায়গার উপর স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারত। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, ‘আমাদের পদক্ষেপ ছিল মাপা, নির্দিষ্ট এবং কোনওভাবেই উস্কানিমূলক নয়। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কোনও ব্যবস্থাকেই নিশানা করা হয়নি। লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন এবং হামলা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ভারত যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে।’

  • RSS: “অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে জঙ্গি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায় বিচারের সূচনা হয়েছে,” বলছে আরএসএস

    RSS: “অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে জঙ্গি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায় বিচারের সূচনা হয়েছে,” বলছে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায় বিচারের সূচনা হয়েছে। পাকভূমে ভারতের প্রত্যাঘাতের জবাব দিতে গিয়ে একথাই বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান সুনীল আম্বেকর।

    আরএসএসের বক্তব্য (RSS)

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “পহেলগাঁওয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়ের সূচনা — ‘অপারেশন সিঁদুর’, ন্যায় প্রতিষ্ঠিত। জাতি সমর্থন জানায়।” তিনি আরও লেখেন, “জয় হিন্দ। মাতৃভূমি ভারত দীর্ঘজীবী হোক।” দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এগুলির মধ্যে রয়েছে বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের ডেরা এবং মুরিদেকতে লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি।

    অপারেশন সিঁদুর

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহলেগাঁওয়ে বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। পহেলগাঁওয়ের ওই ঘটনার দু’সপ্তাহ পরে অপারেশন সিঁদুরের অধীনে এই সামরিক হামলা হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই অপারেশন চালানো হয়। তার পরেই সেনার এক কর্তা জানান, অপারেশন সিঁদুরের অধীনে আঘাত করা হয়েছে ৯টি লক্ষ্যস্থলে। এর মধ্যে চারটি পাকিস্তানে এবং পাঁচটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। এই সব জায়গায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ছদ্মবেশে জঙ্গি শিবির পরিচালনার গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনী লক্ষ্যগুলি বেছে নেয়। এগুলিকে শনাক্ত করা থেকে এড়াতে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি এই কৌশল নিয়েছিল বলে জানানো হযেছে।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর আরএসএসের (RSS) সরসংঘচালক মোহন ভাগবত বলেছিলেন, “এটি ধর্ম ও অধর্মের লড়াই। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের প্রথমে তাঁদের ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। একজন হিন্দু কখনও এটি করবে না। কারণ সে ধৈর্যশীল।” এর পরেই তিনি দেশবাসীর কাছে আবেদন করেছিলেন, ভারতকে শক্তিশালী করতে হবে যাতে এটি এই ধরনের রাক্ষসদের ধ্বংস করতে পারে। তিনি বলেছিলেন, “দেশকে শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের আট-বাহু শক্তি দ্বারা রাক্ষসদের ধ্বংস করতে হবে।” পহেলগাঁওকাণ্ডের পরে পরে আম্বেকরও বলেছিলেন, “এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা (Operation Sindoor)। আমি নিশ্চিত যে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে (RSS)।”

  • FTA: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করল ভারত-ব্রিটেন

    FTA: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করল ভারত-ব্রিটেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) সই করল ভারত ও ব্রিটেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের মধ্যে টেলিফোনে কথোপকথনের পরেই এই পদক্ষেপ। ইংল্যান্ডের সঙ্গে এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “এই চুক্তি আমাদের কৌশলগত সম্পর্ককে আরও গভীর করবে এবং আমাদের উভয় অর্থনীতিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উদ্ভাবনকে অনুঘটক করবে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (FTA)

    তিনি আরও লেখেন, “আমি আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আনন্দিত। এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। ভারত এবং ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এতে দু’দেশের অবদান অনস্বীকার্য। এই যুগান্তকারী চুক্তি আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও মজবুত করবে এবং উভয় দেশের অর্থনীতিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান বাড়াবে। আমি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তাঁকে স্বাগত জানাতে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।”

    খুশির খবর

    সংবাদ সংস্থা আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া অ্যাট ২০৪৭’ সম্মেলনের মঞ্চে যোগ দিয়ে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ ভারতের জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন। এখানে আসার কিছু আগেই আমার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এটা আপনাদের জানাতে পেরে আমি খুশি হচ্ছি যে, ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবার চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বিশ্বের দুটি বড় এবং খোলা বাজারের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য ও আর্থিক সহযোগিতার এই সমঝোতা দুই দেশের বিকাশে নতুন অধ্যায় জুড়বে। এটা আমাদের দেশের যুবকদের জন্য খুব বড় একটা খুশির খবর। এতে ভারতের আর্থিক কার্যকলাপ উজ্জীবিত হবে (PM Modi)।”

    সরকারের তরফে বিবৃতি

    সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার বলেন, বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির সঙ্গে জোট জোরদার করা এবং বাণিজ্য বাধা হ্রাস করা তাদের পরিকল্পনার অংশ, যাতে একটি শক্তিশালী ও আরও নিরাপদ অর্থনীতি দেওয়া যায়। একটি সুষম, ন্যায়সঙ্গত ও উচ্চাভিলাষী মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, যা পণ্য ও পরিষেবার বাণিজ্যকে অন্তর্ভুক্ত করবে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে, কর্মসংস্থানের নয়া সুযোগ তৈরি করবে, জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে এবং দুই দেশের নাগরিকদের সামগ্রিক কল্যাণ উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি বিশ্ব বাজারের জন্য যৌথভাবে পণ্য ও পরিষেবার উন্নয়নে দুই দেশে নয়া সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে।’ প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের (FTA) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আমল থেকেই দুই দেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চালু করতে কাজ করে আসছে।

    চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু

    ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথমবার এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। গত শুক্রবার লন্ডনে এ বিষয়ে বৈঠক করেন দুই দেশের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীরা। কয়েকদিনের মধ্যেই বাস্তবে পরিণত হল এই চুক্তি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পর এটাই ব্রিটেনের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য (PM Modi)। ব্রিটেনে বসবাস করেন কমপক্ষে ১৯ লাখ ভারতীয়। বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় দুই গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও উন্নত হবে। বস্ত্র, সমুদ্রজাত পণ্য, লেদার, জুতো, রত্ন ও অলঙ্কার, খেলার সরঞ্জাম ও খেলনা রফতানিতে সুবিধা পাবে ভারত। আইটি, শিক্ষা ও আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রগুলিও এই চুক্তিতে উপকৃত হবে।

    ভারতের বাজারে বাড়তি সুবিধা

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জেরে ভারতের বাজারে বাড়তি সুবিধা পাবে ব্রিটিশ বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি। অটোমোবাইল, অ্যালকোহল-সহ বহু পণ্যে শুল্ক কমবে। হিসেব বলছে, চুক্তি চালু হলে শুল্ক বাবদ ৪০ কোটি পাউন্ড ছাড় দেবে ভারত। একই সঙ্গে ব্রিটেনে বসবাসকারী অস্থায়ী ভারতীয় কর্মীদের তিন বছর সামাজিক সুরক্ষার জন্য (FTA) কোনও টাকা দিতে হবে না। দুই দেশের মধ্যে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সিআইআই প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব পুরী। তিনি বলেন, “এই ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য দুই দেশকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। প্রত্যেক অংশীদারের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করব।” তিনি বলেন, “২০৩০ রোডম্যাপের নির্দেশনায় এই সময়োপযোগী চুক্তি ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার দিকে পরিচালিত করবে।” ভারতীয় বাণিজ্য ও শিল্প মণ্ডলী (ফিকি)র দাবি, শ্রম-নিবিড় খাতসমূহ যেমন টেক্সটাইল, সমুদ্রজাত পণ্য, চামড়া, ফুটওয়্যার, ক্রীড়া সামগ্রী, খেলনা এবং রত্ন ও অলঙ্কারের জন্য বৃহৎ রফতানি সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে।

    কী বলছেন দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা

    বহু প্রতীক্ষিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় খুশি দুই দেশই। ব্রিটেনের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী জনাথন রেনল্ডস বলেন, “অনিশ্চয়তার এই সময়ে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য নিয়ে এমন বাস্তববাদী পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “দুই বৃহত্তর অর্থনীতির মধ্যে সম পরিমাণ বাণিজ্যের ভিত তৈরি করবে এই চুক্তি।”

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেন সরকার জানিয়েছে, ভারত এখন ব্রিটেনের আমদানিকৃত পণ্যের ৯০ শতাংশের ওপর শুল্ক হ্রাস করবে, যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ পণ্য পরবর্তী এক দশকের মধ্যে সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত হয়ে যাবে। আর ভারত ব্রিটেন থেকে আমদানিকৃত হুইস্কি এবং জিনের শুল্ক অর্ধেক কমিয়ে ৭৫ শতাংশে নামিয়ে আনবে (PM Modi) এবং কোটা ব্যবস্থার অধীনে গাড়ি শুল্ক ১০ শতাংশে হ্রাস করবে (FTA)।

     

  • Ramakrishna 343: “হনুমান বলেছিল, রাম! কখনও দেখি তুমি পূর্ণ, আমি অংশ; কখনও দেখি তুমি প্রভু, আমি দাস”

    Ramakrishna 343: “হনুমান বলেছিল, রাম! কখনও দেখি তুমি পূর্ণ, আমি অংশ; কখনও দেখি তুমি প্রভু, আমি দাস”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ প্রহ্লাদচরিত্রাভিনয় দর্শনে স্টার থিয়েটারে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৪ই ডিসেম্বর
    ঈশ্বরদর্শনের উপায়—ব্যাকুলতা

    “জ্ঞানযোগ কি? যে পথে দিয়ে স্ব-স্বরূপকে জানা যায়। ব্রহ্মই (Ramakrishna) আমার স্বরূপ, এই বোধ।

    “প্রহ্লাদ কখনও স্ব-স্বরূপে থাকতেন। কখনও দেখতেন, আমি একটি, তুমি একটি; তখন ভক্তিভাবে থাকতেন (Kathamrita)।

    “হনুমান বলেছিল, রাম! কখনও দেখি তুমি পূর্ণ, আমি অংশ; কখনও দেখি তুমি প্রভু, আমি দাস; আর রাম, যখন তত্ত্বজ্ঞান হয়—তখন দেখি তুমিই আমি, আমিই তুমি।”

    গিরিশ—আহা!

    সংসারে কি ঈশ্বরলাভ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সংসারে হবে না কেন? তবে বিবেক-বৈরাগ্য চাই। ঈশ্বর বস্তু আর সব অনিত্য, দুদিনের জন্য,—এইটি পাকা বোধ চাই। উপর উপর ভাসলে হবে না, ডুব দিতে হবে!

    এই বলিয়া ঠাকুর গান গাহিতেছেন:

    ডুব্‌ ডুব্‌ রূপসাগরে আমার মন।
    তলাতল পাতাল খুঁজলে পাবি রে প্রেম রত্নধন ॥

    “আর-একটি কথা। কামাদি কুমিরের ভয় আছে।”

    গিরিশ—যমের ভয় কিন্তু আমার (Kathamrita) নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—না, কামাদি কুমিরের ভয় আছে, তাই হলুদ মেখে ডুব দিতে হয়। বিবেক-বৈরাগ্যরূপ হলুদ!

    “সংসারে জ্ঞান কারু কারু হয় তাই দুই যোগীর কথা আছে, গুপ্তযোগী ও ব্যাক্তযোগী। যারা সংসারত্যাগ করেছে তারা ব্যাক্তযোগী, তাদের সকলে চেনে। গুপ্তযোগীর প্রকাশ নাই। যেমন দাসী সব কর্ম করছে, কিন্তু দেশের ছেলেপুলেদের দিকে মন পড়ে আছে। আর যেমন তোমায় বলেছি, নষ্ট মেয়ে সংসারের সব কাজ উৎসাহের সহিত করে, কিন্তু সর্বদাই উপপতির দিকে মন পড়ে থাকে। বিবেক-বৈরাগ্য হওয়া বড় কঠিন। আমি কর্তা, আর এ-সব জিনিস আমার — এ বোধ সহজে যায় না। একজন ডিপুটিকে দেখলুম ৮০০‌ টাকা মাইনে, ঈশ্বরীয় কথা হচ্ছে, সেদিকে মন একটুও দিলে না। একটা ছেলে সঙ্গে করে এনেছে, তাকে একবার এখানে বসায়, একবার সেখানে বসায়। আর-একজনকে আমি জানি, নাম করব না; জপ করত খুব, কিন্তু দশ হাজার টাকার জন্য মিথ্যা সাক্ষি দিচ্ছিল (Kathamrita)। তাই বলছি, বিবেক-বৈরাগ্য হলে সংসারেতেও হয়।

LinkedIn
Share