Tag: Bengali news

Bengali news

  • Maha Kumbh 2025: মাঘী পূর্ণিমার আগেই মহাকুম্ভে ভক্ত সংখ্যা ছাড়াবে ৪০ কোটি!

    Maha Kumbh 2025: মাঘী পূর্ণিমার আগেই মহাকুম্ভে ভক্ত সংখ্যা ছাড়াবে ৪০ কোটি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) ভক্ত সংখ্য ৪০ কোটিতে পৌঁছাবে। ১২ ফেব্রুয়ারি রয়েছে মাঘী পূর্ণিমার অমৃত স্নান। মনে করা হচ্ছে তার আগেই চল্লিশ কোটির গণ্ডি অতিক্রম করে যাবে মহাকুম্ভ। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভ শুরু হওয়ার পরে বিগত ২৪ দিনে পবিত্র স্নান সেরেছেন ৩৮.২৯ কোটি ভক্ত। হিসেব বলছে, ৫ ফেব্রুয়ারি, বুধবার দুপুর দুটো নাগাদ পবিত্র সঙ্গমে ভক্ত সংখ্যা ছুঁয়ে যায় ৫৯.২৪ লক্ষে। হিসেব বলছে, প্রতি দুই ঘণ্টায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ ভক্ত স্নান করছেন। এভাবেই মহাকুম্ভ একটি রেকর্ড স্থাপন করেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে। একইসঙ্গে কুম্ভমেলার যে অভূতপূর্ব্যবস্থা সেটারও প্রশংসা ঝরে পড়ছে ভক্তদের মুখে, তীর্থযাত্রীদের মুখে (Magha Purnima)। তাঁরা যোগী ও মোদি- এই দুই সরকারেরই প্রশংসা করছেন।

    লখনউ থেকে এসেছিলেন প্রমেশ্বর ত্রিপাঠী

    লখনউ থেকে এসেছিলেন প্রমেশ্বর ত্রিপাঠী। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্নানের কারণে কোনওরকমের বিঘ্ন ঘটেনি। সবকিছুই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ভক্তদেরকে প্রটোকলের নামে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। অন্যদিকে, মুম্বই থেকে আগত ভক্ত অদিতি শ্রীবাস্তব এবং তাঁর পরিবার প্রশংসায় ভরিয়ে তোলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। এর পাশাপাশি, প্রশাসনেরও ব্যাপক প্রশংসা করেন। তাঁরা জানান, কোনও ভিভিআইপি আসছেন বলে তাঁদেরকে কোথাও থামানো হয়নি। কোনও সমস্যার সম্মুখীন তাঁরা হননি (Maha Kumbh 2025)। অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সবকিছু সম্পন্ন হচ্ছে।

    মাদুরাই থেকে এসেছিলেন ভক্ত রঙ্গনাথন

    মাদুরাই থেকে এসেছিলেন ভক্ত রঙ্গনাথন। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান যে, ভুটানের রাজা এসেছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী এসেছেন, কূটনীতিক আধ্যাত্মিক সন্ন্যাসী- সকলেই এই মহাকুম্ভে স্নান করেছেন। এটা কেবলমাত্র ভারতেই ঘটছে। মোদি-যোগীর কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি পুলিশকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। তার কারণ তিনি সঙ্গে এনেছিলেন ৭২ বছর বয়সি মাকে। তিনি হাঁটতে পারছিলেন না। তাই পুলিশ ট্রাই সাইকেলের মাধ্যমে তাঁকে পবিত্র স্নান করিয়েছেন। প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025) শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি, ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রির পর্যন্ত তা চলবে।

  • Bangladesh Crisis: মধ্যরাতে তাণ্ডব বাংলাদেশে, মুজিবের বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা!

    Bangladesh Crisis: মধ্যরাতে তাণ্ডব বাংলাদেশে, মুজিবের বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির বাংলাদেশে ইতিহাস হয়ে গেল ‘ইতিহাস’! এবং সেটাও হল এমন সময় যখন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) তদারকি সরকারের মাথায় যিনি রয়েছেন, সেই মহম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন শান্তির জন্য! ফেরা যাক খবরে। বুধবার রাতে ঢাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় (Sheikh Hasina)। প্রথমে মুজিবের বাড়িতে তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত জনতা। ভাঙচুর করার পাশাপাশি লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। গভীর রাতে বুলডোজার নিয়ে এসে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয় ‘ইতিহাস’।

    বাংলাদেশে তাণ্ডব (Bangladesh Crisis)

    এদিন বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর ভাষণ শুরুর আগেই তাণ্ডব চালানো হয় হাসিনার বাবার বাড়িতে। এই ধানমন্ডিতেই বাড়ি রয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও। বাড়ির নাম সুধা সদন। আওয়ামি লিগ সুপ্রিমোর সেই বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এদিন রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ভোলা সদরের গাজিপুর সড়কে প্রিয় কুটির নামে একটি বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এটি আওয়ামি লিগ নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ তোফায়েল আহমেদের বাড়ি। রাত ১টা নাগাদ কুমিল্লার মুন্সেফবাড়ি এলাকায় প্রাক্তন সাংসদ বাহাউদ্দিন বাহারের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুনও।

    অগ্নিসংযোগ শেখ হাসিনার বাড়িতেও

    হাসিনা-বিরোধী জনতার রোষের আগুনের হাত থেকে রেহাই পায়নি খুলনায় শেখ বাড়িও (Bangladesh Crisis)। এই বাড়িটি হাসিনার কাকার। এদিন রাত ৯টা নাগাদ তাণ্ডব শুরু হয় এই বাড়িতে। প্রথমে বাড়িটি ভাঙচুর করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে সিটি কর্পোরেশনের দুটি বুলডোজার নিয়ে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। কুষ্টিয়ায়ও বুলডোজার চলেছে প্রাক্তন সাংসদ মাহবুব উল আম হানিফের বাড়িতে। জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও মুজিব ও হাসিনার ম্যুরালও ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি!

    বাংলাদেশের ‘ইতিহাস’ যে এদিন ধুলোয় মিশিয়ে যাবে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। এদিন বিকেল থেকেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি (এটাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাড়ি) গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে সোস্যাল মিডিয়ায়। সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহও সোস্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘আজ রাতে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।’ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল (Sheikh Hasina) সংবাদ মাধ্যমকেও। বলা হয়েছিল, কোনও সংবাদমাধ্যম হাসিনার ভাষণ প্রচার করলে, সেই গণমাধ্যম হাসিনাকে সহযোগিতা করছে বলে ধরে নেওয়া হবে।

    ধুলোয় মিশল ইতিহাস

    ধানমন্ডির এই বাড়িটিই পাঁচ দশক আগে বাংলাদেশে রক্তাক্ত পালাবদলের সাক্ষী। সেই সময় গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের দেহ। হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর তাঁর পৈত্রিক বাড়িটিকে পরিণত করেছিলেন সংগ্রহশালায়। ইতিহাসের সেই সাক্ষীই এখন মিশে গেল ধুলোয়। গত ৫ অগাস্ট আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। সেই সময়ও ভাঙচুর চালানো হয় মুজিবের ধানমন্ডির বাড়িতে। তার পর থেকে বাড়িটি ছিল পরিত্যক্ত অবস্থায়ই। এবার আগুন লাগিয়ে ভস্মীভূত করা হল সেই বাড়ি।

    কী বললেন হাসিনা

    পৈত্রিক ভবনের এই দুর্দশার প্রসঙ্গ এদিন উঠে এসেছে হাসিনার ভার্চুয়াল ভাষণেও। তিনি বলেন, “ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে জাতির পিতা (শেখ মুজিব) স্বাধীনতার (Bangladesh Crisis) কথা ঘোষণা করেছিলেন। ওই ঘটনার পর পাকিস্তানি হানাদাররা তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল। তখনও এই বাড়িটিতে তারা লুটপাট করেছিল। কিন্তু আগুন দিয়ে পোড়ায়নি, ভাঙেনি।” স্মৃতির সরণী বেয়ে হাঁটতে গিয়ে হাসিনা বলেন, “শেখ মুজিব কখনও দেশের রাষ্ট্রপতি ভবন কিংবা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে থাকেননি। তিনি ছিলেন এই ছোট্ট বাড়িটিতেই। আমার মা অনেক কষ্ট করে এই বাড়িটির প্রতিটি ইট নিজের হাতে গেঁথেছিলেন।” আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো বলেন, “এই বাড়িতে অনেক রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, বিশ্বের বড় বড় নেতারা এসেছেন। আজ এই বাড়িটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। কেন? বাড়িটির কী অপরাধ? এই বাড়িটিকে কেন এত ভয় পাচ্ছেন (Sheikh Hasina)?”

    পাকিস্তানিদের পদলেহন করাটাই পছন্দ!

    এদিন বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের উদ্দেশে হাসিনার ৫২ মিনিটের অডিও বার্তায় বাংলাদেশবাসীর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করেন হাসিনা। তিনি বলেন, “আমরা দুই বোন যে স্মৃতিটুকু নিয়ে বেঁচেছিলাম, আজ সেই স্মৃতিটুকুও ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এর আগে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। আজ ভেঙে ফেলা হল।” গলা ধরে এল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। হাসিনা বলেন, “লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে সংবিধান, স্বাধীনতা, পতাকা পেয়েছি – তা কয়েকজন বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে পারবে না। এ শক্তি তাঁদের এখনও হয়নি। এটি তাঁদের দুর্বলতার প্রকাশ। তাঁরা দালান ভাঙতে পারে, কিন্তু ইতিহাসকে ধ্বংস করতে পারেন না। ইতিহাস যে প্রতিশোধ নেয়। এ কথা তাঁদের মনে রাখতে হবে। যাঁরা এ সব করছেন, তাঁরা হীনন্মন্যতার পরিচয় দিচ্ছেন। তাঁদের হয়তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা পছন্দ নয়। পাকিস্তানিদের অধীনে থাকা ও পদলেহন করাটাই হয়তো তাঁদের পছন্দ।”

    বাংলাদেশকে ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে

    মুজিব কন্যা বলেন, “বাংলাদেশকে নিয়ে ধ্বংসের খেলা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল ছিল, উন্নয়নের বিস্ময় ছিল। সেই বাংলাদেশকে চরমভাবে ধ্বংস করে জঙ্গি, সন্ত্রাসীদের দেশ হিসেবে পরিণত করা হয়েছে। এটিই হল সব চেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়।” বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। হাসিনা বলেন, “কেউ রেহাই পাচ্ছেন না। এদের ধ্বংসের খেলা, রক্তের খেলা বাংলাদেশকে ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে।” তাঁর ধারণা, বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনও আসলে একটি ষড়যন্ত্র।

    ইউনূসকে নিশানা হাসিনার

    এদিন ইউনূসকেও নিশানা করেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “১৯৯০ সালে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের পদে ৬ হাজার টাকা বেতনের চাকরি পেয়েছিলেন। আমি ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পরে এই গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিই। গ্রামীণ ফোনের ব্যবসাও ইউনূসকে দিয়েছিলাম। আমার কাছে বারবার ধর্না দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সেখান থেকে লাভের অংশ গ্রামীণ ব্যাঙ্কে যাবে। কিন্তু তা যায়নি। তিনি আর্থিক দুর্নীতি করেছেন। তাঁর ক্ষমতার লোভ আজ বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে এসেছে (Bangladesh Crisis)।” তিনি বলেন, “কয়েকজন বুলডোজার দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ভেঙে ফেলবে, এই শক্তি তাদের হয়নি। তারা একটা দালান ভেঙে ফেলতে পারবে, কিন্তু ইতিহাস মুছতে পারবে না।” এদিন রাজশাহী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, শিলেট, বরিশাল এবং রংপুরেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। হামলা চালানো হয়েছে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতেও।

    মধ্যরাতে মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত যে বাড়িতে ভাঙচুর চালানো শুরু হয়েছিল, তা চলেছে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্তও। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ বাড়িটির সিংহভাগ অংশই ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাড়িটির সামনে জড়ো হওয়া লোকজনের বক্তব্য, স্বৈরাচারের কোনও চিহ্ন তাঁরা রাখতে চান না। ভবনের বড় অংশ ভাঙার পর উল্লাসও করতে দেখা গিয়েছে তাদের।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বাংলাদেশ থেকে আওয়ামি লিগকে মুছে ফেলতে চায় ইউনূস প্রশাসন। তার জেরে ‘ইতিহাস’ ভাঙচুর শুরু (Sheikh Hasina) হলেও, গদি বাঁচাতে হাত গুটিয়ে বসে থাকেন অন্তর্বর্তী সরকারের নোবেল জয়ী প্রধান (Bangladesh Crisis)!

  • PM Modi: ‘‘সনাতন ধর্মের প্রসারে আন্তরিক প্রধানমন্ত্রী মোদি’’, মত মহাকুম্ভের সন্ন্যাসীর

    PM Modi: ‘‘সনাতন ধর্মের প্রসারে আন্তরিক প্রধানমন্ত্রী মোদি’’, মত মহাকুম্ভের সন্ন্যাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম প্রচার ও পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভূয়সী প্রশংসা করলেন গীতা মণিষী মহামণ্ডলেশ্বরের স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ। প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) পবিত্র স্নান করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ নিয়ে এই স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ জানিয়েছেন, এভাবেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি সনাতন ধর্মের প্রচার এবং পালন করছেন। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ প্রয়াগরাজের পবিত্র কুম্ভে প্রধানমন্ত্রীর স্নান (Modi Kumbh Holy Dip) ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘‘এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মহাকুম্ভে প্রধানমন্ত্রীর পবিত্র স্নানে (MahaKumbh Holy Dip) সনাতন ধর্ম ধর্মাবলম্বীরা গর্বিত হয়েছেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বার্তাও দিয়েছেন যে সনাতন ধর্মের প্রচারে এবং প্রসারে তিনি ঠিক কতটা আন্তরিক। পবিত্র স্নান করতে তিনি আলাদা কোনও সুযোগ নেননি। তাঁর এই পবিত্র স্নানে প্রতিফলন দেখা গিয়েছে হয়ে প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের।’’

    সনাতন ধর্মের সকল গুণ রয়েছে মোদির (PM Modi) মধ্যে

    স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ, এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) আন্তরিকতা, মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভক্তিরও প্রশংসা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সেই সমস্ত গুণগুলি আছে যেগুলি একজন সনাতনীর মধ্যে থাকা প্রয়োজন। স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী পবিত্র স্নান (Mahakumbh 2025) করতে হাজির হয়েছেন, অন্তরের গভীর ভক্তির সঙ্গে। সাধারণ তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে তিনি স্নান করেছেন। এত বড় উচ্চপদে অধিষ্ট যিনি, তাঁর মধ্যেও সনাতন ধর্মের প্রতি এমন গভীর আস্থা লক্ষ্য করা গিয়েছে।’’

    দেশের প্রয়োজন মোদির (PM Modi) মতো নেতা

    তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের এখন সত্যিই প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো নেতা। যাঁর মধ্যে এমন মানবতা দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে। তার সঙ্গে সঙ্গে যার মধ্যে থাকবে আধ্যাত্মিকতা এবং বিশেষত ভারতবর্ষের সনাতন ঐতিহ্য-পরম্পরার প্রতি আস্থা (Mahakumbh 2025)। এর পাশাপাশি জয়া বচ্চনের বিতর্কিত মন্তব্যেরও উত্তর দিয়েছেন জ্ঞাননন্দজি মহারাজ। জয়া বচ্চন সম্প্রীতি মন্তব্য করেন যে কুম্ভে পদপৃষ্টের ঘটনায় বহু দেহকে গঙ্গা জলে ফেলে গায়েব করা হয়েছে। এ নিয়ে জ্ঞাননন্দজি মহারাজ বলেন, ‘‘পদপিষ্টের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা সত্যিই গভীর দুঃখ পেয়েছি। যে সমস্ত ভক্তরা নিহত হয়েছেন তাঁদের জন্য। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।’’

  • Daily Horoscope 06 February 2025: কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কাটতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 06 February 2025: কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কাটতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কর্মদক্ষতায় চাকরির স্থানে সুনাম অর্জন করতে পারবেন।

    ২) বিষয়সম্পত্তি নিয়ে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও ভয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে।

    ২) স্ত্রীর জন্য বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ৩) দিনটিতে বিবাদে জড়াবেন না।

    মিথুন

    ১) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ২) সঙ্গীতচর্চায় নতুন রাস্তা খুলতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ২) বন্ধুদের দিক থেকে ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    সিংহ

    ১) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ২) প্রতিযোগিতায় জেতার আশা রাখতে পারেন।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে বেশি।

    কন্যা

    ১) মাত্রাছাড়া আবেগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কাটতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    তুলা

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে ঝামেলা বাধতে পারে।

    ২) শরীরের সমস্যায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ২) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    ধনু

    ১) শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

    ২) ঘরের পরিবেশ অনুকূল থাকলেও বাইরে পরিবেশ খুব একটা উপযুক্ত হবে না।

    ৩) সংযমী হতে হবে।

    মকর

    ১) চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো।

    ২) সন্তানদের বিষয়ে উদ্বেগ থাকবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ।

    কুম্ভ

    ১) কর্মক্ষেত্রে কেউ আপনাকে ঠকাতে পারে।

    ২) সাংসারিক সমস্যার সমাধান হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মীন

    ১) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনায় সফল হবেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 262: “নাচে সংকীর্তনে শ্রীবাস-অঙ্গনে ভক্তগণসঙ্গে, গৌর আপনার পায় আপনি ধরে, যার অন্তঃ কৃষ্ণ বহিঃ গৌর”

    Ramakrishna 262: “নাচে সংকীর্তনে শ্রীবাস-অঙ্গনে ভক্তগণসঙ্গে, গৌর আপনার পায় আপনি ধরে, যার অন্তঃ কৃষ্ণ বহিঃ গৌর”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৪ই সেপ্টেম্বর

    নরেন্দ্রের ভক্তি—যদু মল্লিকের বাগানে ভক্তসঙ্গে শ্রীগৌরাঙ্গের ভাব

    চৈতন্যলীলা ও অধরের কর্মের কথা যদু মল্লিকের সঙ্গে 

    ঠাকুর (Ramakrishna) যদু মল্লিকের বৈঠকখানায় আসিয়াছেন (Kathamrita)। সুসজ্জিত বৈঠকখানা। ঘর বারান্দায় দ্যালগিরি জ্বলিতেছে। শ্রীযুক্ত যদুলাল ছোট ছোট ছেলেদের লইয়া আনন্দে দু-একটি বন্ধুসঙ্গে বসিয়া আছেন। খানসামারা কেহ অপেক্ষা করিতেছে, কেহ হাতপাখা লইয়া পাখা করিতেছে। যদু হাসিতে হাসিতে বসিয়া বসিয়া ঠাকুরকে সম্ভাষণ করিলেন ও অনেকদিনের পরিচিতের ন্যায় ব্যবহার করিতে লাগিলেন।

    যদু গৌরাঙ্গভক্ত। তিনি স্টার থিয়েটারে চৈতন্যলীলা দেখিয়া আসিয়াছেন। ঠাকুরের কাছে গল্প করিতেছেন। বলিলেন, চৈতন্যলীলা নূতন অভিনয় হইতেছে। বড় চমৎকার হইয়াছে।

    ঠাকুর আনন্দের সহিত চৈতন্যলীলা-কথা শুনিতেছেন। মাঝে মাঝে যদুর একটি ছোট ছেলের হাত লইয়া খেলা করিতেছেন। মাস্টার ও মুখুজ্জে-ভ্রাতারা তাঁহার কাছে বসিয়া আছেন।

    শ্রীযুক্ত অধর সেন কলিকাতা মিউনিসিপ্যালিটির ভাইস-চেয়ারম্যান-এর কর্মের জন্যে চেষ্টা করিয়াছিলেন। সে কর্মের মাহিনা হাজার টাকা। অধর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট—তিনশ টাকা মাইনে পান। অধরের বয়স ত্রিশ বৎসর।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna যদুর প্রতি)—কই অধরের কর্ম হল না?

    যদু ও তাঁহার বন্ধুরা বলিলেন(Kathamrita), অধরের কর্মের বয়স যায় নাই।

    কিয়ৎক্ষণ পরে যদু বলিতেছেন—“তুমি একটু তাঁর নাম করো।”

    ঠাকুর গৌরাঙ্গের ভাব গানের ছলে বলিতেছেন (Kathamrita):

    গান   —   আমার গৌর নাচে।
    নাচে সংকীর্তনে, শ্রীবাস-অঙ্গনে, ভক্তগণসঙ্গে ॥

    গান   —   আমার গৌর রতন।

    গান   —   গৌর চাহে বৃন্দাবনপানে, আর ধারা বহে দুনয়নে।
    (ভাব হবে বইকি রে) (ভাবনিধি শ্রীগৌরাঙ্গের)
    (ভাবে হাসে কাঁদে নাচে গায়) (বন দেখে বৃন্দাবন ভাবে)
    (সমুদ্র দেখে শ্রীযমুনা ভাবে) (গৌর আপনার পায় আপনি ধরে)
    (যার অন্তঃ কৃষ্ণ বহিঃ গৌর)

    গান   —   আমার অঙ্গ কেন গৌর (Ramakrishna), (ও গৌর হল রে!)

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের ঐতিহাসিক সফর! বদলে যাবে বঙ্গ রাজনীতি?

    Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের ঐতিহাসিক সফর! বদলে যাবে বঙ্গ রাজনীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বেশ কিছু সমাধানসূত্র বের করা বাকি গেরুয়া শিবিরে। বিজেপির পরবর্তী সভাপতি কে হবেন তা ঠিক করতে হবে। ২০২১ এর পর যে প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তার জেরে আরএসএসেরও (RSS) সেভাবে শ্রী বৃদ্ধি হয়নি। তার ওপর সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পর পর বাধা। বাংলায় দুয়ারে হিন্দুদের অস্তিত্ব সংকট। এই পরিস্থিতিতেই বঙ্গে দশ দিনের জন্য সফরে আসছেন সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সংঘের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে বলা না হলেও অনুগামীদের আশা সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত।

    মোহন ভাগবতের কর্মসূচি

    সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গে আসছেন মোহন ভাগবত। ৭ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় সংঘের কার্যকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের সাংগঠনিক বিষয়ে বৈঠক করবেন। সূত্রের খবর সেখানে আরএসএস এবং শাখা সংগঠনগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ১১ এবং ১২  ফেব্রুয়ারি সংঘের অখিল ভারতীয় টোলি অর্থাৎ জাতীয় স্তরের ৬ জন গুরুত্বপূর্ণ সর্বভারতীয় কর্তার সঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানে সংঘের নতুন প্রান্ত কার্যালয়ের উদ্বোধন হবে এবং ১৬ই ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের সাই কমপ্লেক্সে মধ্য বঙ্গ প্রান্ত কর্তাদের প্রকাশ্য সম্মেলন হবে।

    কী বলছেন ক্ষেত্রীয় সহ প্রচার প্রমুখ

    প্রসঙ্গত, এর আগে বঙ্গে কোনওদিন কোনও সংঘপ্রধান ১০ দিনের জন্য আসেননি। স্বাভাবিকভাবেই এর একটা সাংগঠনিক এবং রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, যেভাবে রাজ্যে অনুপ্রবেশ, সীমান্ত সমস্যা, জন্যবিন্যাসে বদল এসেছে, তা ভালোভাবে নেয়নি আরএসএস। তাই সমাজের কঠিন সমস্যা মোকাবিলা করতে নির্দেশ আসার ইঙ্গিত রয়েছে সংঘ প্রধানের তরফে (Mohan Bhagwat)। সেই বার্তা এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে দিয়েছেন ক্ষেত্রীয় সহ প্রচার প্রমুখ জিষ্ণু বসু।

    ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন এ রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের জন্য নির্ণায়ক লড়াই হতে চলেছে। তার জন্য এখন থেকেই সর্বশক্তিতে ঝাঁপানো প্রয়োজন। মনে করা হচ্ছে সেই দিশা দেখাতেই বঙ্গে আসছেন আরএসএস (RSS) প্রধান। তাঁর দেখানো পথেই বঙ্গ জয়ের রণকৌশলের প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি হতে চলেছে। শাখা সংগঠনগুলিতেও সাংগঠনিক রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে (Mohan Bhagwat)।

  • Delhi Election: দিল্লি বিধানসভার কুর্সিতে এবার পদ্ম, বলছে জনমত সমীক্ষা

    Delhi Election: দিল্লি বিধানসভার কুর্সিতে এবার পদ্ম, বলছে জনমত সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দল আপকে নির্বাসনে পাঠাচ্ছেন দিল্লিবাসী (Delhi Election)! অন্তত একাধিক জনমত সমীক্ষায় (Exit Poll) উঠে এসেছে এমনই তথ্য। ৫ ফেব্রুয়ারি এক দফায় হয়েছে দিল্লির ৭০ আসনে নির্বাচন। নির্বাচনের ফল বের হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। তার আগে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় প্রকাশ, দিল্লিতে এবার ফুটছে পদ্ম।

    জনমত সমীক্ষার ফল (Delhi Election)

    জেভিসির এক্সিট পোল বলছে, বিজেপি পেতে পারে ৩৯ থেকে ৪৫টি আসন। আপের ঝুলিতে যেতে পারে ২২ থেকে ৩১টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ০ থেকে ২টি আসন। পি মার্কের জনমত সমীক্ষা বলছে দিল্লিতে বিজেপি পেতে পারে ৩৯ থেকে ৪৯টি আসন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আপ পেতে পারে ২১ থেকে ৩১টি আসন। কংগ্রেসের অবস্থা শোচনীয়। সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর দল পেতে পারে ০ থেকে ১টি আসন।

    দিল্লি পদ্মময়

    পিপলস ইনসাইটের এক্সিট পোলের (Delhi Election) রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজেপি পেতে পারে ৪০ থেকে ৪৪টি আসন। আপ পেতে পারে ২৫ থেকে ২৯টি আসন। আর কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ০ থেকে ১টি আসন। পিপলস প্লাসের জনমত সমীক্ষা বলছে, বিজেপি পেতে পারে ৫১ থেকে ৬০টি আসন। কেজরিওয়ালের দল পেতে পারে ১০ থেকে ১৯টি আসন।

    চাণক্যস স্ট্র্যাটেজি বলছে, পদ্ম পার্টির ঝুলিতে যেতে পারে ৩৯ থেকে ৪৪টি আসন। আপ পেতে পারে ২৫ থেকে ২৮টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ২ থেকে ৩টি আসন। ম্যাট্রিজের জনমত সমীক্ষা বলছে, দিল্লিতে বিজেপি পেতে পারে ৩৫ থেকে ৪০টি আসন। আপের ঝুলিতে যেতে পারে ৩২ থেকে ৩৭টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে মাত্র ১টি আসন।

    জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত বাস্তবায়িত হলে এবার দিল্লি হবে পদ্মময়। অবসান হবে আপ জমানার। তবে সাতটি জনমত সমীক্ষার ফল বলছে, খাস দিল্লিতেই কংগ্রেসের অবস্থা করুণ। তারা বড়জোর পাবে ১ থেকে ৩টি আসন। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত দিল্লিতে (Exit Poll) ভোট পড়েছে ৫৭.৭০ শতাংশ (Delhi Election)।

  • Afghanistan: মেয়েদের পড়াশোনার পক্ষে সওয়াল, আফগানিস্তান ছাড়তে বাধ্য হলেন মন্ত্রী!

    Afghanistan: মেয়েদের পড়াশোনার পক্ষে সওয়াল, আফগানিস্তান ছাড়তে বাধ্য হলেন মন্ত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপরাধ’ বলতে তিনি মেয়েদের পড়াশোনার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তার জেরে তালিবান (Taliban) সরকারের মন্ত্রী মহম্মদ স্তানিকজাইকে বাধ্য করা হল আফগানিস্তান (Afghanistan) ছাড়তে। তালিবানরা যখন আফগানিস্তান দখল করে, তখন এই স্তানিকজাই হয়ে উঠেছিলেন তাদের মুখ। এখন দেশছাড়া হওয়ার পর তিনি দুবাইতে রয়েছেন বলে খবর।

     কী বললেন তালিবান সরকারের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী? (Afghanistan)

    ঘটনার সূত্রপাত গত ২০ জানুয়ারি। ওই দিন আফগানিস্তান-পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী খোস্ত প্রদেশে ‘গ্র্যাজুয়েশন’ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তালিবান সরকারের ওই মন্ত্রী। সেই সময় তিনি মেয়েদের পড়াশোনার ওপর তালিবানি নিষেধাজ্ঞার কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তালিবান সরকারের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী স্তানিকজাই বলেছিলেন, “মেয়েদের শিক্ষার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে কোনও অজুহাত দেওয়া যায় না। বর্তমানেও না এবং ভবিষ্যতেও না। আমরা দু’কোটি মানুষের প্রতি অন্যায় করছি। হজরত মহম্মদের সময়ও ছেলে-মেয়ে সবার জন্য খোলা ছিল জ্ঞানের দরজা। এমন কিছু অসাধারণ মহিলা ছিলেন, যাদের অবদান আমি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করলে তা যথেষ্ট সময় নেবে।”

    মহিলাদের জন্য শিক্ষা বন্ধ করেছিল তালিবান সরকার 

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তালিবান সরকার মহিলাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকে নিষিদ্ধ করেছিল। আফগানিস্তানে তালিবান রাজত্বে মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশাধিকার স্থগিত রয়েছে। আফগানিস্তানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াউল্লাহ হাশিমি কর্তৃক জারি করা একটি চিঠিতে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহিলা শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার স্থগিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল (Afghanistan)।

    ওই দিনই বক্তৃতার সময় স্তানিকজাই তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদারও সমালোচনা করেছিলেন বলে অভিযোগ। শিক্ষানীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে এই তালিবান নেতা সরাসরি আখুন্দজাদার কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছিলেন, “আমরা নেতৃত্বকে আবার শিক্ষার দরজা খোলার আহ্বান জানাচ্ছি।” এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর। এর পরেই আফগানিস্তান ছাড়েন তিনি। যদিও স্তানিকজাইয়ের দাবি, শারীরিক সমস্যার কারণেই দেশ ছেড়েছেন তিনি।

    জানা গিয়েছে, ভারতের দেরাদূনের ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমির ১৯৮২ ব্যাচ ছিলেন স্তানিকজাই (Taliban)। ব্যাচমেটদের কাছে ‘শেরু’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন স্তানিকজাই (Afghanistan)।

  • US Military Aircraft: ১০৪ অবৈধ অভিবাসী নিয়ে অমৃতসরে এল মার্কিন সামরিক বিমান, এরপর কী?

    US Military Aircraft: ১০৪ অবৈধ অভিবাসী নিয়ে অমৃতসরে এল মার্কিন সামরিক বিমান, এরপর কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০৪ জন অবৈধ অভিবাসী নিয়ে অমৃতসরের (Amritsar) শ্রী গুরু রামদাসজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করল একটি মার্কিন সামরিক বিমান (US Military Aircraft)।

    অবতরণ করল মার্কিন সামরিক বিমান (US Military Aircraft)

    বুধবার ১.৫৫ মিনিটে বিমানটি অবতরণ করেছে। এদিন যাদের ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৩০ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার ও গুজরাটের। মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে তিনজন করেও রয়েছেন। রয়েছেন চণ্ডীগড়ের দুজনও। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রশাসন তাদের পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় নিজেদের বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছে। এদিন যাঁদের ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাঁদের পরিবারের কেউই তাঁদের নিতে বিমানবন্দরে আসেননি।

    ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগ

    প্রসঙ্গত, মার্কিন সামরিক বিমান সি-১৭-তে করে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতে ফেরত পাঠাল প্রথম দফার অবৈধ অভিবাসীদের। ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেন ট্রাম্প। তার পরেই দেশটির আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা শুরু করে। অনেক পাঞ্জাবি, যারা লাখ লাখ টাকা খরচ করে “ডাঙ্কি রুট” বা অন্যান্য অবৈধ উপায়ে আমেরিকায় প্রবেশ করেছিলেন, মূলত তাঁদেরই তাড়াচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    অপরাধের রেকর্ড থাকলে পাঠানো হচ্ছে ডিটেনশন সেন্টারে

    জানা গিয়েছে, পাঞ্জাব পুলিশ ও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো যৌথভাবে পরীক্ষা চালাচ্ছে। যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক অতীত বা রেকর্ড নেই, তাঁদেরকে সঙ্গে সঙ্গেই চলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে (US Military Aircraft)। তবে, যাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে, পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে ডিটেনশন সেন্টারে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের যাচাই প্রক্রিয়া চলছে। আমেরিকা থেকে যাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাঁদের অফিসিয়াল নিশ্চিতকরণের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এর আগে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, মার্কিন সামরিক বিমানে করে ভারতে পাঠানো হচ্ছে ২০৫ জন অবৈধ অভিবাসী। আমেরিকা থেকে ভারতে এই প্রথম পাঠানো হল অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ব্যাচ।

    প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর থেকেই মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছেন ট্রাম্প। এই অভিবাসীদের চিহ্নিত করে ধরপাকড়ও শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় (Amritsar) বসবাসকারী বেশ কয়েকটি দেশের অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে আমেরিকা। তার মধ্যে রয়েছে ভারতও (US Military Aircraft)।

  • Gyan Bharatam Mission: পান্ডুলিপি সংরক্ষণে ‘জ্ঞান ভারতম মিশন’ চালুর কথা কেন্দ্রীয় বাজেটে, কেন তাৎপর্যপূর্ণ

    Gyan Bharatam Mission: পান্ডুলিপি সংরক্ষণে ‘জ্ঞান ভারতম মিশন’ চালুর কথা কেন্দ্রীয় বাজেটে, কেন তাৎপর্যপূর্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে ‘জ্ঞান ভারতম মিশন’ চালুর কথা। ২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই মিশন চালুর কথা ঘোষণা করেন (Indias Ancient Knowledge)। এই মিশনে এক কোটি পান্ডুলিপি সংরক্ষণ ও নথিভুক্ত করা হবে (Gyan Bharatam Mission)। এই উদ্যোগটি ভারতের বিশাল বৌদ্ধিক ঐতিহ্যকে রক্ষা ও সমৃদ্ধ করার উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়েছে। এটি প্রাচীন জ্ঞানকে আধুনিক শিক্ষা ও প্রযুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত করার মোদি সরকারের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

     কী বললেন সীতারামন? (Gyan Bharatam Mission)

    শনিবার বাজেট বক্তৃতায় সীতারামন বলেন, “আমাদের পান্ডুলিপি ঐতিহ্যের সমীক্ষা, নথিভুক্তকরণ এবং সংরক্ষণের জন্য জ্ঞান ভারতম মিশন চালু করা হবে। এটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জাদুঘর, গ্রন্থাগার এবং ব্যক্তিগত সংগ্রাহকদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে এক কোটি পান্ডুলিপি অন্তর্ভুক্ত করবে।”  সীতারামন এও ঘোষণা করেন, ভারতীয় জ্ঞানতন্ত্রের জন্য একটি জাতীয় ডিজিটাল ভান্ডার স্থাপন করা হবে, যা জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ করে দেবে। নয়া এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, “২০২৫ সালের বাজেট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সভ্যতাগত উত্তরাধিকারের সংরক্ষণ ও প্রচারের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”

    শেখাওয়াতের বক্তব্য

    তিনি (Gyan Bharatam Mission) বলেন, “একটি নতুন কেন্দ্রীয় খাত প্রকল্প, ‘জাতীয় পান্ডুলিপি মিশন’ বা ‘জ্ঞান ভারতম মিশন’, আমাদের পান্ডুলিপি ঐতিহ্যের সমীক্ষা, দলিলীকরণ ও সংরক্ষণের জন্য চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ কোটিরও বেশি পান্ডুলিপি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থার একটি জাতীয় ডিজিটাল সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে আমাদের সরকার আমাদের ‘বিরাসত’ রক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে আমরা ‘বিকশিত ভারত’-এর পথে এগিয়ে যেতে পারি।”

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুনর্গঠনের জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। এই প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ২০২০ সালে চালু হওয়া ‘জাতীয় শিক্ষা নীতি’, এটি ভারতীয় সংস্কৃতির মূল্যবোধ ও জ্ঞানকে শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বিত করার লক্ষ্য নিয়েছে (Indias Ancient Knowledge)। এই নীতির সমর্থনে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ‘ভারতীয় জ্ঞান পরম্পরা বিভাগ’ প্রতিষ্ঠা করে (Gyan Bharatam Mission)।

LinkedIn
Share