Tag: Bengali news

Bengali news

  • Howrah: রাস্তা সংস্কারের কাজে তৃণমূলের মন্ত্রী ও পুরপ্রশাসকের দ্বৈরথ, তীব্র উত্তেজনা

    Howrah: রাস্তা সংস্কারের কাজে তৃণমূলের মন্ত্রী ও পুরপ্রশাসকের দ্বৈরথ, তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক দিন আগে হাওড়ায় (Howrah) শিবপুরের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে একটি কার্নিভাল নিয়ে রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি এবং হাওড়া পুরসভার প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী। সেই সময়ে দ্বন্দ্ব সামলাতে পৌঁছেছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এবার ফের একবার রাস্তা সংস্কারের কাজ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বে ফের শোরগোল পড়েছে। উল্লেখ্য রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূলের মধ্যে মমতা-অভিষেককে ঘিরে পুরাতন-নতুন দ্বন্দ্ব নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। শাসক দলের নবীন-প্রবীণ নেতার একে অপরের পক্ষাবলম্বন করে বক্তব্য রাখছেন তথা অবস্থান স্পষ্ট করছেন। ফলে এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতি বেশ সরগরম। 

    কোন রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্ব (Howrah)?

    শিবপুর (Howrah) বিধানসভার অন্তর্গত সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে শিবপুরে যেতে এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতু আসার এটি ঘোষ রাস্তায় দীর্ঘদিন বেশ অকেজো হয়ে পড়েছিল। গত একমাস আগে এই রাস্তার কাজ শুরু করে পুরসভা। এই রাস্তা সংস্কারের সাফল্য কার, এই নিয়ে একে অপরের মধ্যে প্রতিযোগিতার লড়াই শুরু হয়েছে। 

    রাস্তায় ফ্লেক্স ঘিরে দ্বন্দ্ব

    রাস্তার কাজ চলায় পাশের দেওয়ালে দুই নেতার ফ্লেক্সকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতার ছবির পাশে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির ছবি দিয়ে লেখা রয়েছে, “বিধায়ক মনোজ তিওয়ারির ঐকান্তিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায়, হাওড়া (Howrah) মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের সহযোগিতায় এই রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে।” পালটা পুরপ্রশাসক সুজয় চক্রবর্তীর একটি ছবির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি লাগিয়ে অপর আরেকটি ফ্লেক্সে লেখা হয়, “মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এবং হাওড়া পুরনিগমের মাননীয় প্রশাসক ডা. সুজয় চক্রবর্তী মহাশয়ের আন্তরিক উদ্যোগে নিগমের আর্থিক সহায়তায় ৪৭ নম্বরের রাস্তা মহিয়ারী রোড থেকে এটি ঘোষ ব্রিজের তলা পর্যন্ত নতুন করে সিমেন্ট-কংক্রিট রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হল।” মন্ত্রীর বিপরীতে পালটা এই পুরপ্রশাসকের ফ্লেক্সে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ফের প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনায় শাসক দল অত্যন্ত অস্বস্তির মধ্যে পড়ে গিয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    মনোজ ঘনিষ্ঠ হাওড়ার (Howrah) স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলেন, “এই রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে ছিল। এলাকার বিধায়ক হিসাবে মনোজ তিওয়ারির কাছে রাস্তা সারানোর কথা জানানো হয়েছিল। অভিযোগ পেয়ে মন্ত্রী রাস্তা পরিদর্শন করেন। এরপর হাওড়া পুরসভার কাছে রাস্তা সংস্কারের জন্য দাবি জানানো হয়। এই দাবি নিয়েই হাওড়া পুরসভা কাজ শুরু করেছে।”

    পুরসভার বক্তব্য

    হাওড়া (Howrah) পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “বেহাল রাস্তার কথা জেনেই প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী নিজের উদ্যোগে এই রাস্তার সংস্করণ করিয়েছেন। আর এই কারণেই ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে।” এই রাস্তাকে ঘিরে দ্বন্দ্বের কথা না মানতে চাইলেও এলাকার মানুষের দাবি দুই তৃণমূল গোষ্ঠীর কোন্দল আরও একবার স্পষ্ট হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “তদন্তকারীরা মার খেলে তদন্ত কীভাবে?” সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রশ্ন বিচারপতির

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “তদন্তকারীরা মার খেলে তদন্ত কীভাবে?” সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রশ্ন বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যদি তদন্তকারীরা মার খান, তাহলে তদন্ত কীভাবে হবে?” শুক্রবার ভরা এজলাসে এই প্রশ্নই ছুড়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)।

    কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    সন্দেশখালির মামলার শুনানি পর্বে তাঁর প্রশ্ন, “রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না যে এ রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?” সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “তোমরা কী করছ? তোমাদের সঙ্গে গুলি-বন্দুক থাকে না? চালাতে পার না? দু’জন অফিসারকে মেরেছে, ২০০ জনকে পাঠাও।” রাজ্যে একাধিক কেলেঙ্কারির জট খুলতে তদন্ত করছে ইডি-সিবিআই। তদন্তের স্বার্থে তারা হানা দিয়েছে রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বাড়িতে। এই তালিকায় রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরাও। এহেন হেভিওয়েটদের বাড়ি কিংবা অফিসে নির্বিঘ্নে তদন্ত চালালেও, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের ওপর হামলা চালালেন তৃণমূলের এক ‘পেটি’ নেতার অনুগামীরা!

    শাহজাহানের দাপট!

    রাজনৈতিক মহলের মতে, শাহজাহান মোটেই ছোটখাট দরের কোনও নেতা নন। বাম আমলেই মাথা তুলেছিলেন তিনি। তৃণমূল জমানায় ঘাসফুল শিবিরে ঢুকে পড়ায় প্রত্যাশিতভাবেই বাড়তে (Justice Abhijit Gangopadhyay) থাকে শাহজাহানের দাপট। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ঢুকে পড়ায় কার্যত সাপের পাঁচ পা দেখেন শাহজাহান। তাঁর নামে একাধিক অভিযোগ থাকলেও, গায়ে আঁচড়টি পর্যন্ত লাগেনি। স্বাভাবিকভাবেই আড়ে-বহরে বেড়েছে শাহজাহানের প্রতিপত্তি। এহেন শাহজাহানের অনুগামীরাই এদিন হামলা চালিয়েছে ইডির আধিকারিকদের ওপর। যার প্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে হয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে।

    আরও পড়ুুন: “বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর”, সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে ফোন শুভেন্দুর

    গত এপ্রিলেই যাঁকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “রাজনৈতিক নায়ক হওয়ার জন্য এক্তিয়ার-বহির্ভুত কাজ করছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।” বলেছিলেন, “বিরোধী দল কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপির মদতে ঠান্ডা মাথায় অভিষেকের চরিত্রহনন করছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।” তার পরেই তৃণমূলের মুখপাত্র বলেছিলেন, “চেয়ার ছেড়ে সরাসরি রাজনীতিতে আসুন।” ট্যুইট-বার্তায় তৃণমূলের এই নেতা লিখেছিলেন, “যেভাবে কোনও ক্ষেত্রে বিচারপতির আসনের অপব্যবহার করে রাজনীতি করা হচ্ছে, বিরোধীদের অক্সিজেন দিতে নিজের উইশ লিস্ট বলা হচ্ছে, নিজেকে ব্যক্তি প্রচারে হিরো সাজানোর চেষ্টা চলছে, তাতে বিচারব্যবস্থার সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। ওই চেয়ারটা ছেড়ে সরাসরি রাজনীতিতে আসুন।”

    এহেন কুণালের দলের এক নেতার অনুগামীদের হামলায় জখম হয়েছেন ইডি কর্তারা। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই তদন্ত কীভাবে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। এহেন আবহে ফের তৃণমূল কী প্রতিক্রিয়া দেয়, তা-ই দেখার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shahjahan sheikh: ইডির ওপর হামলা! সন্দেশখালির তৃণমূলের ‘বাহুবলী’ কে এই শাহজাহান?

    Shahjahan sheikh: ইডির ওপর হামলা! সন্দেশখালির তৃণমূলের ‘বাহুবলী’ কে এই শাহজাহান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কে এই শাহজাহান শেখ (Shahjahan Sheikh)? তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা। তিনি জেলা পরিষদের একজন কর্মাধ্যক্ষ। গতবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন। তবে তৃণমূলে আসার আগে সিপিএম করতেন। আজ শুক্রবার সাত সকালে তাঁর বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি তল্লাশি করতে হলে তাঁর অনুগামীরা আক্রমণ করে। গাড়িচালকদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। মারের চোটে রক্তাক্ত হন অফিসাররা। একই ভাবে আক্রান্ত হয় সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাও।

    সন্দেশখালির একটা পাতাও নড়ে না তাঁর কথা ছাড়া (Shahjahan Sheikh)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) কথা ছাড়া সন্দেশখালির একটি পাতাও নাকি নড়ে না। এর আগেও তাঁর বাড়িতে পুলিশ গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল। তাঁর এলাকায় তিনি একপ্রকার অলিখিত বেতাজ বাদশা। তিনি প্রশাসনের শাসন নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন। দল সব কিছু জেনেও তাঁকে কখনই সতর্ক করেনি। বরং তাঁকে দলের নানান পদে রাখা হয়েছে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দলের নিয়মকানুনকে তোয়াক্কা করেন না তিনি। একটা সময় হেরোইন এবং অবৈধ পাচারকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকার ভোটব্যাঙ্ককে নিয়ন্ত্রণ করেন। একপ্রকার ‘বাহুবলী’ থেকে কম কিছু নন তিনি।

    বালু ঘনিষ্ঠ শাহজাহান

    রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ ছিলেন শাহজাহান (Shahjahan Sheikh)। সন্দেশখালির একাধিক ভেড়ি, ইটভাটার মালিক তিনি। গতবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁর সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাস্তবে যত সম্পত্তির মালিক, তার হিসাব হলফনামায় সঠিকভাবে দেখাননি। পার্ক সার্কাসে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্দেশখালি, মিনাখাঁয় শাসক বিরোধীরা মনোনয়ন জমা করতে পারেনি। পরে মামলা হাইকোর্টে গেলে পুলিশকে সুরক্ষা দিয়ে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা করাতে নির্দেশ দিলেও, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ফের আক্রমণের কারণে মনোনয়ন জমা করতে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় শাহজাহানের হাত ছিল বলে বিজেপি বার বার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল।

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) সন্দেশখালির বাড়িতে যান ইডির আধিকারিকেরা। বাড়ি তালাবন্ধ থাকায় ইডির আধিকারিকেরা তালা ভাঙতে গেলে শাহজাহানের অনুগামীরা বাড়ি ঘিরে ফেলে তদন্তকারী অফিসারদের ঘেরাও করে ব্যাপক মারধর করে। এক আফিসারের মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর উত্তেজিত তাঁর অনুগামীরা হামলা করে। এরপর নিজেদের প্রাণ হাতে কোনও রকমে পালিয়ে রক্ষা পান সবাই। সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি, ক্যামেরা ভাঙচুর এবং কর্মীদের ব্যাপক মারধর করা হয়।

    উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের সব রকম প্রতিরোধ করার কথা বলেছিলেন। ফলে সেই কারণেই ইডির উপর আক্রমণ হল না তো? এমনটাই বিরোধীদের প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর”, সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে ফোন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর”, সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে ফোন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের শাসক দলের নেতা। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষও। এহেন তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত ইডি আধিকারিক এবং সিআরপিএফ জওয়ানরা। ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যের শিক্ষিত সমাজ। ঘটনার পরে পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ফোন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।

    শুভেন্দুর আবেদন

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আবেদন, নৈরাজ্য ধ্বংস করতে ব্যবস্থা নিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান এই মন্ত্রীরই ঘনিষ্ঠ বলে রাজনৈতিক মহলে পরিচিত। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির শেকড়ে পৌঁছতেই শুক্রবার সাত সকালে শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। তার পরেই তাণ্ডব শুরু করেন তাঁর অনুগামী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।

    কী লিখলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে টেলিফোনে বিষয়টি জানানোর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ভয়ঙ্কর, পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিপর্যস্ত। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে টিএমসি নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় ইডি আধিকারিক ও সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর নৃশংস হামলা। আমার সন্দেহ যে, দেশবিরোধী হামলাকারীদের মধ্যে রোহিঙ্গারা রয়েছে।”

    পোস্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাজ্যপাল, ইডির ডিরেক্টর ও সিআরপিএফকে ট্যাগ করে এই গুরুতর পরিস্থিতি বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিষয়টি এনআইএ-র তদন্ত করা উচিত বলেও সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক লিখেছেন, “এই গুরুতর পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলার নৈরাজ্য দমনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।”

    আরও পড়ুুন: রেশন দুর্নীতির অভিযানে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত ইডি

    কেন হঠাৎ ইডি আধিকারিকদের আক্রমণ করে বসলেন শাহজাহানের অনুগামীরা? রাজনৈতিক মহলের মতে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে গিয়ে গারদে রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। লোকসভা নির্বাচনের মুখে যা নিয়ে স্বস্তিতে নেই তৃণমূল নেতৃত্ব। এই নির্বাচনের আগে তিনি যে ছাড়া পাচ্ছেন না, তা হয়তো আঁচ করে ফেলেছেন ঘাসফুল শিবিরের ভোট ম্যানেজাররা। এমতাবস্থায় শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালালে যদি কোনও নথি মেলে এবং তার জেরে যদি তাঁকে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে কেঁদে কূল পাবেন না তাঁরা। কারণ মাইনাস জ্যোতিপ্রিয়-শাহজাহান, এই এলাকার ভোট তৃণমূল বিরোধী শিবিরে ভাগ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। সেক্ষেত্রে মুসলিম অধ্যুষিত এই এলাকায় মুখ থুবড়ে পড়বে তৃণমূল। সেই কারণেই হামলা ইডির আধিকারিকদের ওপর। তবে অভিজ্ঞমহলের মতে, ইডির ওপর হামলার বড়সড় মাশুল গুণতে হতে (Suvendu Adhikari) পারে ‘শাহজাহান অ্যান্ড কোং’-কে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনে সমাধান সূত্র খুঁজছে ভারত-চিন, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    India China Relation: সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনে সমাধান সূত্র খুঁজছে ভারত-চিন, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারত যে বরাবরই সুসম্পর্ক চায়, তা নানা সময় বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে চিনের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছে ভারত (India China Relation)।

    কী বলল বিদেশমন্ত্রক?

    বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রাজিন্দর জয়সওয়াল বলেন, “পড়শি দেশ চিনের ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান সুবিদিত। এটা এমন একটা সম্পর্ক, যেটা স্বাভাবিক নয়। কিন্তু আমরা দুই দেশই আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। মিলিটারির পাশাপাশি কূটনৈতিক আলোচনাও হয়েছে গত অক্টোবর ও নভেম্বরে। আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে কোনও সমাধান সূত্রে পৌঁছানো যায়।” জয়সওয়াল বলেন (India China Relation), “অক্টোবর মাসে দুই দেশের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। আলাপ-আলোচনা এবং নেগোসিয়েশন নিয়ে মিলিটারি ও কূনৈতিক মেকানিজম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে তারা যাবতীয় যা করার, তা করবে বলে প্রতিশ্রুত হয়েছে।”

    শান্তি বজায় রাখতে চায় দুই দেশই

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “ভারত ও চিনের মধ্যে ২০তম ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসাল্টেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন অন ইন্ডিয়া-চায়না বর্ডার অ্যাফেয়ার্স বৈঠকটি হয়েছে। এটা কূটনৈতিক স্তরের বৈঠক। আমাদের ইস্ট এশিয়ার জয়েন্ট সেক্রেটারিও অংশ নিয়েছিলেন ওই বৈঠকে। তাঁদের মধ্যে ভালো আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে গঠনমূলক, মুক্তভাবে। সীমান্তে যা সমস্যা আছে, তা মেটাতে দু পক্ষই যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেগুলির বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুই দেশই যে সীমান্তে উত্তেজনা কমিয়ে শান্তি বজায় রাখতে চায়, সে বিষয়ে সহমত পোষণ করেছে। সীমান্তে একটা স্থিতাবস্থা বজায় রাখতেও সম্মত হয়েছে দুই দেশ। কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনাও যাতে না ঘটে, সেই বিষয়েও একমত হয়েছে ভারত এবং চিন।”

    আরও পড়ুুন: বাম মুখে ‘রাম’ নাম! প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিনের সরকারি দৈনিক

    তিনি বলেন, “সেই কারণেই দুই দেশই কথাবার্তা চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছে। মিলিটারি এবং কূটনৈতিক দুই চ্যানেলেই আলোচনা চলবে। কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে সিনিয়র কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকও হবে।” ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত-চিন সীমান্তের পশ্চিমাঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে দুই দেশই (India China Relation)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pro Khalistan Movement: আবারও ক্যালিফোর্নিয়ায় মন্দিরের গায়ে লেখা হল খালিস্তানপন্থী স্লোগান

    Pro Khalistan Movement: আবারও ক্যালিফোর্নিয়ায় মন্দিরের গায়ে লেখা হল খালিস্তানপন্থী স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও হিন্দু মন্দিরে হামলা খালিস্তানপন্থীদের (Pro Khalistan Movement)। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় মন্দিরের গায়ে লিখে দেওয়া হল খালিস্তানপন্থী স্লোগান। এই ক্যালিফোর্নিয়ায়ই গত সপ্তাহে স্বামী নারায়ণ মন্দিরের গায়ে লেখা হয়েছিল ভারত-বিরোধী স্লোগান। দেওয়ালে লিখে দেওয়া হয়েছিল খালিস্তানপন্থী স্লোগান। সেই ঘটনায় সোচ্চার হয়েছিলেন আমেরিকায় বসবাসকারী হিন্দুরা। তার তদন্তও শুরু করেছে সে দেশের প্রশাসন। তার ঠিক এক সপ্তাহ পরেই আবারও হিন্দু মন্দিরে তাণ্ডব খালিস্তানপন্থীদের। খালিস্তানপন্থীদের এহেন তাণ্ডবে শঙ্কিত সে বসবাসকারী হিন্দুরা।

    মা শেরওয়ালির মন্দির

    শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের তরফে যে পোস্ট করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে এবার খালিস্তানপন্থীদের (Pro Khalistan Movement) নজর ছিল মা শেরওয়ালির মন্দিরের ওপর। এই মন্দিরের দেওয়ালেই লেখা হয়েছে ভারত-বিরোধী স্লোগান। স্লোগান লেখা হয়েছে খালিস্তানের পক্ষেও। ফাউন্ডেশনের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে পুলিশেরও যোগ রয়েছে। ফাউন্ডেশনের তরফে হিন্দু মন্দিরগুলিতে সিকিউরিটি ক্যামেরা লাগাতে বলা হয়েছে। ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে অ্যালার্মেরও। দেশে যাতে হিন্দু বিরোধী কার্যকলাপ প্রশ্রয় না পায় এবং খালিস্তানপন্থীদের হুমকিতে যাতে হিন্দুরা দমে না যায়, তাই এসব ব্যবস্থা করতে হবে।

    ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু মন্দির

    ক্যালিফোর্নিয়ার নিউইয়র্কে ২৩ ডিসেম্বর খালিস্তানপন্থী স্লোগান লিখে দেওয়া হয়েছিল হিন্দু মন্দিরে। সেবারও হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের তরফে মন্দিরের ছবি শেয়ার করা হয়েছিল এক্স হ্যান্ডেলে। সেদিন বিকৃত করা হয়েছিল স্বামী নারায়ণ মন্দিরের দেওয়াল। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ছবিতে দেখা গিয়েছিল, মন্দির গাত্রে লেখা হয়েছে ভারত-বিরোধী স্লোগান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেও স্লোগান লেখা হয়েছিল মন্দিরের দেওয়ালে।

    আরও পড়ুুন: বাম মুখে ‘রাম’ নাম! প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিনের সরকারি দৈনিক

    ওই ঘটনার পরে পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং জঙ্গিদের পা রাখার জায়গা দেওয়া উচিত নয়। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, “আমি এটি (মন্দির বিকৃতির ছবি) দেখেছি। জঙ্গি, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং এই জাতীয় কোনও শক্তিকে কখনওই পা রাখার জায়গা দেওয়া উচিত নয়। আমাদের দূতাবাসের তরফে সরকারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। বিষয়টি পুলিশকেও জানানো (Pro Khalistan Movement) হয়েছে। প্রশাসনের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জেনেছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: বাম মুখে ‘রাম’ নাম! প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিনের সরকারি দৈনিক

    PM Modi: বাম মুখে ‘রাম’ নাম! প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিনের সরকারি দৈনিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ঘোরতর দক্ষিণপন্থী। আর তাঁর প্রশস্তি গাওয়া হয়েছে যে দেশে, সেই দেশটি কট্টর বামপন্থী। আসলে উন্নয়নের বোধহয় কোনও পন্থা নেই! কেবল তাই নয়, ভারতের প্রতিবেশী এই দেশটি সদা সর্বদা ব্যস্ত ভারতেরই ক্ষতি করতে। ফেরা যাক আসল কথায়।

    চিনের প্রতিবেদনে মোদি-স্তুতি

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রশংসা করে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে চিনের পত্রিকা ‘গ্লোবাল টাইমসে’ (Global Times)। প্রতিবেদনটিতে মোদির অর্থনৈতিক, সামাজিক শাসন ও বিদেশনীতির ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায় অর্থনৈতিক, সামাজিক শাসন ও বিদেশনীতির ক্ষেত্রে ভারতের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারত কৌশলগতভাবে আরও আত্মবিশ্বাসী ও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ভারত তাদের নিজস্ব একটি ব্যাখ্যাও তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

    মোদির সাফল্য

    লাল পার্টির দেশ চিনে সংবাদপত্রও রয়েছে রাষ্ট্রের অধীনে। প্রতিবেদনটি যিনি লিখেছেন, তিনি সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের ডিরেক্টর ঝাং জিয়াডং। প্রতিবেদনটিতে (Global Times) গত চার বছরে ভারতের উল্লেযোগ্য সাফল্যগুলি তুলে ধরা হয়েছে। ভারতের শক্তপোক্ত অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, শাসন ব্যবস্থার উন্নতি এবং চিন-সহ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রতি মনোভাবের পরিবর্তনেরও ভূসয়ী প্রশংসা করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনটিতে। প্রতিবেদক লিখেছেন (PM Modi), “চিন ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা নিয়ে আলোচনা করার সময় ভারতীয় প্রতিনিধিরা আগে প্রাথমিকভাবে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা কমাতে চিনের পদক্ষেপের ওপর দৃষ্টি দিতেন। কিন্তু এখন তারা ভারতের রফতানি সম্ভাবনার ওপর বেশি জোর দিচ্ছেন।”

    আরও পড়ুুন: “ক’জন ভিআইপি রয়েছেন? কী কী সুবিধা পাচ্ছেন?’’ এসএসকেএমের জবাব তলব হাইকোর্টের

    ঝাং জিয়াডং লিখেছেন, “রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভারতীয় বৈশিষ্ট্য তুলে ধরার জন্য পশ্চিমের সঙ্গে তার গণতান্ত্রিক ঐক্যমত্যের ওপর জোর দেওয়া থেকে সরে এসেছে ভারত। বর্তমানে গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভারতীয় উৎসের ওপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।” প্রতিবেদক লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, রাশিয়া ও অন্যান্য দেশ এবং আঞ্চলিক সংস্থাগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে উন্নীত করে বহু সংখ্যাবদ্ধ কৌশলের পক্ষে সওয়াল করছেন তিনি (PM Modi)। ভারতের বহু ভারসাম্য থেকে বহু সারিবদ্ধতায় স্থানান্তরিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে মাত্র ১০ বছরেরও কম সময়ে। (এই সময়টাই মোদির আমল।) আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ইতিহাসে এমন পরিবর্তনের গতি খুব কমই দেখা যায়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: হরিকৃষ্ণকে সরকারি বাংলোয় রাখতে ঘরছাড়া ৩ মন্ত্রী, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: হরিকৃষ্ণকে সরকারি বাংলোয় রাখতে ঘরছাড়া ৩ মন্ত্রী, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি বাংলো নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একটি সরকারি বাংলোতে রাজ্য়ের নয়া অর্থ উপদেষ্টা ও প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে রাখার জন্য় তা কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সাজানো হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি, ওই বাংলোয় বর্তমানে রাজ্য়ের যে তিন মন্ত্রী থাকতেন, তাঁদেরকে সরানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু।

    কী অভিযোগ শুভেন্দুর?

    শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলের মাধ্যমে জানিয়েছেন, কলকাতায় কোয়েস্ট মলের কাছেই, প্রাসাদোপম সরকারি বাংলোতে প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে রাখার বন্দোবস্ত করছে রাজ্য। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, যে বাংলোতে বিদ্যুৎ দফতরের প্রতিমন্ত্রী জনাব আখরুজ্জামান, বিধায়ক জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লা এবং সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন থাকতেন সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে একজন অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিককে রাখা হচ্ছে।

    শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘‘এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল প্রকৃতি। মুসলিম নেতারা নিছক মুখ, টিএমসি পার্টির ধর্মনিরপেক্ষ চেহারাকে উজ্জ্বল করতে এবং মুসলিম ভোটকে আকর্ষণ করার জন্য প্রয়োজন। ক্যামেরা বন্ধ থাকলে তাঁদের সঙ্গে অসম্মান করা হয়।’’

    বাংলো সাজানোয় বিপুল খরচ

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আরও অভিযোগ, সরকারি বাংলোটি রক্ষণাবেক্ষণ ও সুসজ্জিত করে তোলার জন্য বিপুল অর্থ খরচ করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, ৭০০০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে থাকা এই বাংলো সাজাতে প্রায় ২ কোটি টাকা মতো খরচ করা হচ্ছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কেন শুধুমাত্র একজন কলঙ্কিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বসানোর জন্য এই মুসলিম মন্ত্রী ও বিধায়কদের  বের করে দেওয়া হবে?’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jeffrey Epstein: ‘নাবালিকা’ পছন্দ ছিল ক্লিন্টনের! যৌনদাসী কেনাবেচা মামলায় জড়িয় বহু প্রভাবশালী

    Jeffrey Epstein: ‘নাবালিকা’ পছন্দ ছিল ক্লিন্টনের! যৌনদাসী কেনাবেচা মামলায় জড়িয় বহু প্রভাবশালী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যৌন অপরাধ মামলায় উঠে এল বিশ্বের তাবড় তাবড় প্রভাবশালীর নাম। মার্কিন আদালতে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাতে নাম রয়েছে ১৭০ জনের। এই তালিকায় যেমন রয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন, ডোনাল্ড ট্রাম্প, তেমনি রয়েছেন ব্রিটেনের যুবরাজ প্রিন্স অ্যান্ড্রু, প্রয়াত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংও। এতদিন রিপোর্টটি গোপন রাখা হলেও, জেলা আদালতের বিচারক লরেটা এ প্রেস্কার নির্দেশে প্রকাশ করা হয়েছে সেটি (Jeffrey Epstein)। তার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে প্রভাবশালীদের নাম।

    দোষী সাব্যস্ত হন জেফ্রি

    যৌনদাসী বেচাকেনা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন জেফ্রি এপস্টিন। ২০১৫ সালে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলারই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে ‘কেচ্ছা’। জেফ্রির নিজস্ব একটি দ্বীপ রয়েছে। এই দ্বীপে ফূর্তি করতে আসতেন প্রভাবশালীরা। জেফ্রির এই দ্বীপে গিয়েছিলেন ক্লিন্টনও। অভিযোগকারিনী ভার্জিনিয়া জিওফ্রের দাবি, জেফ্রির দ্বীপে দুই মহিলার সঙ্গে সময় কাটিয়েছিলেন ক্লিন্টন। ক্লিন্টনের পছন্দ বাচ্চা মেয়েরা। প্রাক্তন আর এক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়েছিল জেফ্রির।

    কারা রয়েছেন তালিকায়

    জোয়ানা সোবার্গ নামে আর এক অভিযোগকারিনী জানান, ম্যানহাটনে জেফ্রির বাড়িতে তাঁর অনুমতি না নিয়েই তাঁকে স্পর্শ করেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু। প্রিন্সের সঙ্গে তাঁর তিনবার যৌন সম্পর্ক হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ভার্জিনিয়া  নামে আর এক অভিযোগকারিনী। আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে (Jeffrey Epstein) রয়েছেন প্রয়াত পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসন, জাদুকর ডেভিড কপারফিল্ডও। তবে পপ সম্রাট তাঁর কাছে ‘ম্যাসাজ’ নেননি বলেও জানিয়েছেন জোয়ানা। জেফ্রির দ্বীপে গিয়েছিলেন মাইক্রোসফ্টের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসও। গুগলের প্রতিষ্ঠাতা সেরগেই ব্রিন, জনপ্রিয় মডেল নেওমি ক্যাম্পবেলের নামও রয়েছে ওই রিপোর্টে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালের প্রাক্তন অধ্যাপক একাধিক মেয়ের ধর্ষণ দেখতেও অংশ নিতেন।

    আরও পড়ুুন: সিঙ্গুর মামলায় রাজ্যের কৈফিয়ত তলব কলকাতা হাইকোর্টের, কেন জানেন?

    বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং সহ প্রায় ২০ জন বিজ্ঞানীও গিয়েছিলেন ওই দ্বীপে। তিনি শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন নাবালিকাদের সঙ্গে। এক নাবালিকার সঙ্গে মিলে হকিংয়ের সঙ্গে তাঁকে জেফ্রি সঙ্গমে লিপ্ত হতে বাধ্য করেছিলেন বলে দাবি (Jeffrey Epstein) অভিযোগকারিণীর ভার্জিনিয়ার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: সিঙ্গুর মামলায় রাজ্যের কৈফিয়ত তলব কলকাতা হাইকোর্টের, কেন জানেন?

    Calcutta High Court: সিঙ্গুর মামলায় রাজ্যের কৈফিয়ত তলব কলকাতা হাইকোর্টের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাততাড়ি গুটিয়ে সিঙ্গুর ছেড়ে চলে গিয়েছে টাটারা। যে সিঙ্গুর আন্দোলনের জেরে রাজ্যে বাম সরকারের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল, সেখানেও জমেছে সময়ের শ্যাওলা। সিঙ্গুরের জমিহারাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেও ক্ষতিপূরণ পাননি তাঁরা। এরপর তাঁরা দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় রাজ্যের কাছে কৈফিয়ত তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞনমের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এ ব্যাপারে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে নিজেদের অবস্থান।

    ট্রাইবুনালে টাটারা

    সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা না হওয়ায় রাজ্যকে দায়ী করে ক্ষতিপূরণ চেয়ে ট্রাইবুনালে মামলা করে টাটারা। ট্রাইবুনাল জানিয়ে দেয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাটাকে দিতে হবে ৭৬৬ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই টাকার ওপর ১১ শতাংশ হারে সুদও দিতে হবে। রাজ্য সরকার যতক্ষণ না ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত গুনে যেতে হবে সুদ। ২০০৬ সালে সিঙ্গুরে (Calcutta High Court) ন্যানো কারখানা গড়তে টাটাদের হাজার একর কৃষি জমি দিয়েছিল তৎকালীন বাম সরকার। কৃষি জমিতে শিল্প স্থাপনের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলন হয় ‘জমিরক্ষা কমিটি’র ব্যানারে। আন্দোলনের ধাক্কায় ২০১১ সালে পতন ঘটে বাম সরকারের। ক্ষমতায় আসে মমতার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার।

    ‘সুপ্রিম’ নির্দেশেও মেলেনি ক্ষতিপূরণ

    সিঙ্গুর থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে গুজরাটের সানন্দে চলে যায় টাটারা। সেখানেই গড়ে ওঠে ন্যানো কারখানা। ক্ষতিপূরণের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন চাষিরা। অবিলম্বে চাষিদের ক্ষতিপূরণ ও জমি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। তার পরেও মেলেনি ক্ষতিপূরণ। কারখানা না হওয়ায় চাকরিও হয়নি। কংক্রিটের চাঙড় সরিয়ে জমি ফেরানো হলেও, ততদিনে উর্বরতা শক্তি হারিয়েছে সিঙ্গুরের উর্বর কৃষি জমি। যদিও ক্ষমতায় আসার পরে পরে ওই অনুর্বর জমিতেই সর্ষের বীজ ছড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেখিয়েছিলেন, সিঙ্গুরের জমি উর্বরই রয়েছে। তবে উর্বরতা হারানো জমিতে আক্ষরিক অর্থেই সেদিন সর্ষেফুল দেখেছিলেন চাষিরা, সর্ষে ঘরে তুলতে পারেননি। তার পরেই জোরালো হয়েছে ক্ষতিপূরণের দাবি। আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন চাষিরা।

     

    আরও পড়ুুন: “অভিষেক নাদান, কুণাল ননসেন্স!” মমতার পাশে দাঁড়িয়ে আক্রমণ তৃণমূল বিধায়কের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share