Tag: Bengali news

Bengali news

  • Calcutta High Court: “ক’জন ভিআইপি ভর্তি? কী কী সুবিধা পাচ্ছেন?’’ এসএসকেএমের জবাব চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: “ক’জন ভিআইপি ভর্তি? কী কী সুবিধা পাচ্ছেন?’’ এসএসকেএমের জবাব চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, ‘গায়ে নোংরা মাখলেও যম ছেড়ে কথা বলে না’! নিয়োগ কেলেঙ্কাকারিতে অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর হয়েছে সেই দশা। অভিযোগ, ইডিকে কণ্ঠস্বরের নমুনা দেবেন না বলে মাসের পর মাস পড়েছিলেন রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম হাসপাতালের বেড দখল করে। শেষমেশ বুধবার রাতে কণ্ঠস্বরের নমুনা মেলে ‘কাকু’র।

    কী বলল আদালত?

    তার পরেই বিপাকে পড়েছেন কাকু এবং এসএসকেএম। কোনও একজন কীভাবে দিনের পর দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে পারেন, প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta high court) প্রধান বিচারপতির। এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, “সংশোধনাগারের নিজেদের একটি হাসপাতাল থাকে। যখন সেই হাসপাতাল চিকিৎসা করতে ব্যর্থ হয়, তখনই তাঁকে সংশোধনাগারের অধীনে কোনও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার মানে এই নয়, ওই ব্যক্তিকে পাঁচ-ছ’ মাস হাসপাতালে ভর্তি করে রাখা হবে। সেটা অবশ্য নির্ভর করবে চিকিৎসকদের ওপর। এক্ষেত্রে আদালত কী করবে? তবে দিনের পর দিন হাসপাতালের বেড দখল করে রাখা ঠিক নয়।”

    ‘প্রভাবশালীরা কী কী সুবিধা পান?’

    এ বিষয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টরকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত (Calcutta high court)। প্রধান বিচারপতি বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি প্রভাবশালীরা কী কী সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁদের শারীরিক অবস্থা কী রকম এই সব কিছু জানাতে হবে রিপোর্টে। একই সঙ্গে বলতে হবে এঁদের তুলনায় অন্য রোগীদের কী কী সুবিধা দেওয়া হয়।” প্রধান বিচারপতি জানতে চান, কতজন প্রভাবশালী ওই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন? ১০ জন হবে? কেন তাঁদের তিন-চার মাস ধরে হাসপাতালে রাখা হয়েছে?

    এদিকে, এদিন এসএসকেএমের হৃদরোগ বিভাগের তরফে আদালতে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ‘কাকু’র তেমন কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। তবে সুস্থ থাকার জন্য তাঁকে দিনে আট রকমের ওষুধ খেতে হয়।

    আরও পড়ুুন: “অভিষেক নাদান, কুণাল ননসেন্স!” মমতার পাশে দাঁড়িয়ে আক্রমণ তৃণমূল বিধায়কের

    অন্যদিকে, জোকা ইএসআই হাসপাতালে ‘কাকু’র গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার পরেই বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর আইনজীবী। ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বেঞ্চকে (Calcutta high court) তিনি বলেন, “সুজয়কৃষ্ণকে মামলায় যুক্ত না করেই কণ্ঠস্বর পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা দেওয়া যায় না।” তাই কাকুর মামলাটি বেঞ্চ আদৌ গ্রহণ করবে কিনা, তা নিয়েই রয়েছে ধন্দ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: ঠেকাতে পারল না পুলিশ, শুভেন্দুর নেতাই যাওয়াতেও অনুমতি হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: ঠেকাতে পারল না পুলিশ, শুভেন্দুর নেতাই যাওয়াতেও অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভাকে আটকাতে পারলো না তৃণমূল সরকার। আগামী ৭ জানুয়ারি শুভেন্দুকে নেতাইয়ে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সম্প্রতি নেতাই যাওয়ার সময় তাঁকে পুলিশের বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এমনকী গত বছর পুলিশের ব্যারিকেডের কারণে ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁকে। এই বছর তাই সভা করতে যাতে পুলিশের বাঁধার সম্মুখীন না হতে যদি হয়, তাই আগে থেকেই হাইকোর্ট স্মরণ সভা করতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি। অবশেষে কোর্টের অনুমতি মিলেছে আজ বৃহস্পতি বার। ফলে পুলিশ চেষ্টা করেও ঠেকাতে পারল না শুভেন্দুকে।

    কী বললেন বিচারপতি (Suvendu Adhikari)?

    আদালতে শুভেন্দুর আবেদনের সাপেক্ষে আজ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, “রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে (Suvendu Adhikari) এক ঘণ্টার মধ্যে যেতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। প্রত্যেকের যে কোনও স্মরণ সভায় যাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই জটিলতার বৃদ্ধি যাতে না হয় সেই জন্য কাজ করুন।” এই কথার উত্তরে রাজ্যের এজি বলেন, “আগামী ৬ এবং ৭ জানুয়ায়রি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অন্য একটি দল নেতাইয়ে অনুষ্ঠান করবে বলে আগে থেকেই অনুমতি নিয়েছে।” পালটা বিচারপতি আবার বলেন, “দুই দিনের মধ্যে অন্যদের অন্তত এক ঘণ্টার জন্য সময় দেওয়া উচিত। কোনও কর্মকাণ্ড নয়। স্মরণে শুভেন্দুকে মালা দেওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হোক।” বিজপির দাবি রাজ্য সরকারের অগণতান্ত্রিকের আচরণ করলে বিচার বিভাগ গণতন্ত্র রক্ষার কাজ করে।

    নেতাই হত্যাকাণ্ড

    ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারিতে লালগড়ের নেতাইয়ে সিপিএমের দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছিল। এই ঘটনায় মারা গিয়েছিল ৯ জন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এরপর থেকে এই দিনটিকে নেতাই গণহত্যার দিবস হিসাবে স্মরণ করা হয়। উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তৃণমূলে থাকার সময়ও এই দিনে নেতাইয়ে যেতেন। গত বছরে পুলিশ প্রশাসন ইচ্ছাকৃত গোলমাল করার করার জন্য এই বছর যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী হতে না হন তাই আগাম হাইকোর্টে আবেদন করেছিল নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad:  লোকসভার আগে ধাক্কা, তৃণমূলের প্রাক্তন পুর-চেয়ারম্যানের বিজেপিতে যোগদান

    Murshidabad: লোকসভার আগে ধাক্কা, তৃণমূলের প্রাক্তন পুর-চেয়ারম্যানের বিজেপিতে যোগদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল বহরমপুর আসছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার আগের দিন আজ বৃহস্পতিবার বিজেপি জেলা পার্টি অফিসে বেলডাঙার প্রাক্তন চেয়ারম্যান দাপুটে নেতা ভরত ঝাওর এবং তাঁর অনুগামীর দলবল বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের হাত থেকে দলের পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। লোকসভা ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ধাক্কা খেল তৃণমূল এবং বিজেপি আরও শক্তিশালী বলে দাবি করল জেলা বিজেপি।

    ক্ষোভ তৃণমূলের বিরুদ্ধে (Murshidabad)

    বিগত বিধানসভা নির্বাচনে বেলডাঙা (Murshidabad) পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান ভরত ঝাওর ভেবেছিলেন যে তৃণমূলের টিকিট বিধানসভায় পাবেন। কিন্তু কার্যত তাঁকে টিকিট না দিয়ে কালীগঞ্জের বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখকে সেই টিকিট দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে ভরত ঝাওর নির্বাচন নিয়ে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করলেন। এরপর থেকে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আবার পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডেই হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রত্যেক ওয়ার্ডেও প্রার্থী দেয় তৃণমূল। পুরসভার টিকিট না পেয়ে সেবারও রুষ্ট হন ভরত ঝাওর। এমনকী তাঁর ভাই সন্তোষ ঝাওরের নাম তালিকাতে থাকলেও সেই নাম পরবর্তীকালে পরিবর্তন করা হয়। এরপরই ভরত ঝাওরের নেতৃত্বে বেলডাঙায় পাঁচটি ওয়ার্ডে মই চিহ্নে ভরতপন্থীরা নির্দল হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এর মধ্যে চারটিতে জয়লাভ করে ভরত অনুগামীরা। অনেক ডামাডোলের পর আজ বহরমপুর বিজেপি অফিসে শাখারভ সরকারের হাত থেকে বিজেপির পতাকা গ্রহণ করেন তিনি।

    যোগদানের পর কী বলেন?

    বেলডাঙার (Murshidabad) তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা ভরত ঝাওর বলেন, “আমি তৃণমূলের হয়ে একবারের চেয়ারম্যান ছিলাম এবং চার বারের কাউন্সিলর ছিলাম। তৃণমূলে বারবার অপমানিত হয়েছি। এই দল দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ। আগামী দিনে আরও অনেক তৃণমূল নেতা-কাউন্সিলর যোগদান করবে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির যোগদান পর্ব শেষ হওয়ার পর দলের জেলা (Murshidabad) সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “আমি এর আগেও বলেছিলাম যে তৃণমূলের কাউন্সিলর যোগদান করবে, আজ সেটা আপনারা দেখলেন। কিছুদিনের মধ্যে তৃণমূলের দুজন বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করবে। এতে জেলায় বিজেপি আরও শক্তিশালী হল।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: কার্জন গেট নাকি মমতা জমানার আগে ছিলই না, সায়নীর দাবি শুনে হাসাহাসি

    Burdwan: কার্জন গেট নাকি মমতা জমানার আগে ছিলই না, সায়নীর দাবি শুনে হাসাহাসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম ভারতীয় রাকেশ রোশন চাঁদে গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলায় জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল নেত্রীকে নিয়ে ব্যাপক ট্রোল করা হয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই বর্ধমানের (Burdwan) কার্জন গেট চত্বরে প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বেফাঁস মন্তব্য করলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।

    ঠিক কী বলেছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী? (Burdwan)

    যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ বর্ধমানে (Burdwan) দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বাড়়ি বাড়ি গিয়ে মানুষদের বোঝান। ১২ বছর আগে কী ছিল রাজ্যে। কার্জন গেট দেখিয়ে বলেন, ছিল এই গেট? ছিল এই আলো, ছিল এই ধপধপে রাস্তা? যদিও নেত্রী বক্তব্য রাখার সময় এক দলীয় স্থানীয় নেতা তাঁর কাছে এসে কানে কানে কিছু বলার চেষ্টা করেন। সম্ভবত, তিনি কার্জন গেট সম্পর্কে যে তথ্য দিচ্ছেন তা ঠিক নয়, সেই তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু, যুব সভানেত্রী তাঁর বক্তব্যে অনড় থাকেন। যদিও নেত্রী এই বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চে থাকা তৃণমূল নেতারা নিজেদের মধ্যে মুখ চাওয়া-চাওয়ি করেন। দলীয় কর্মী-সমর্থকরা অনেকেই হাসাহাসি শুরু করে দেন।

    কার্জন গেট তৈরির ইতিহাস কী?

    বিজয় চাঁদ মহাতাবের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষ্যে, বর্ধমানের মহারাজা ১৯০৩ সালে জিটি রোড এবং বিসি রোডের সংযোগস্থলে এই বিশাল তোরণটি তৈরি করেছিলেন। ১৯০৪ সালে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জনের সফরের সময় তোরণটি ‘কার্জন গেট’ নামকরণ হয়। স্বাধীনতার পরবর্তী যুগে, এর নামকরণ করা হয়েছিল ‘বিজয় তোরণ’। তোরণ বানানোর দায়িত্বে ছিল ‘ম্যাকিনটশ বার্ন’ কোম্পানি। বার্ন কোম্পানিতে সেই সময় বহু বিদেশি স্থপতি, প্রযুক্তিবিদ যুক্ত ছিলেন, যারা সম্পূর্ণ ডিজাইন ও পরিকল্পনা করেন। ১৯০৩ সালে ছোটলাট লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার বোর্ডিলিয়ন সাহেবের উপস্থিতিতে বিজয় চাঁদের রাজ্যাভিষেক ঘটে। সেই বছরেই তোরণের পরিকল্পনা এবং কাজ শুরু। পরের বছর ১৯০৪-এ বর্ধমান পরিদর্শনে আসেন লর্ড কার্জন। স্টার গেট অফ ইন্ডিয়ার দ্বারোদঘাটন করে, সেই পথ দিয়েই তাঁর শহরে প্রবেশ। পরবর্তী সময়ে ইংরেজদের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য বিজয়চাঁদ গেটের নাম বদলে ‘কার্জন গেট’ রাখেন।

    বিরোধীরা কটাক্ষ করেছে?

    আগে ইতিহাস জানুন তারপর মঞ্চ থেকে বক্তব্য দেবেন, কটাক্ষ বিরোধীদের। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছিলেন সায়নী ঘোষ। কার্জন গেট যখন তৈরি হয়, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম হয়নি। সিপিএম নেতা দীপঙ্কর দে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গীতজ্ঞ, ভালো ছবি আঁকেন বলে জানতাম। তিনি কার্জন গেটের প্রতিষ্ঠাতা জানা ছিল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Election: ৭ জানুয়ারি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সেনা মোতায়েন বাংলাদেশে

    Bangladesh Election: ৭ জানুয়ারি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সেনা মোতায়েন বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭ জানুয়ারি, রবিবার সাধারণ নির্বাচন বাংলাদেশে (Bangladesh Election)। নির্বাচনী ময়দানে দেশের শাসক দল শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ হাজির থাকলেও, খালেদা জিয়ার দল ডাক দিয়েছে ভোট বয়কটের। দেশের অন্য দলগুলি অবশ্য যথারীতি রয়েছে ভোট-ময়দানে। যেহেতু জিয়ার দল বিএনপি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না, তাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না অশান্তির আশঙ্কা। এহেন প্রেক্ষিতেই অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাটাই কার্যত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সে দেশের নির্বাচন কমিশনের কাছে। সেই কারণে গুচ্ছ পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বুধবার থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।

    সেনা থাকবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত    

    নির্বাচনোত্তর (Bangladesh Election) অশান্তি এড়াতে বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই বাহিনী কীভাবে কাজ করবে, কী কী দায়িত্ব পালন করবে, তাও জানিয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য বিধান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জারি করা বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে এই সশস্ত্র বাহিনী। দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও মহানগর এলাকার নোডাল পয়েন্ট সহ বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে বাহিনীর সদস্যদের। কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করতেই মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

    কী বলছে কমিশন?

    বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গির আলম বলেন, “রিটার্নিং অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে পরামর্শ করে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে সেনা। প্রতিটি আসনের বিভিন্ন নোডাল পয়েন্টে থাকবে তারা। কোনও ধরনের অশান্তির পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে তারা যাবে ঘটনাস্থলে। কাজ করবে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ মতো।” তিনি জানান, কোন কেন্দ্রের কোথায়, কতগুলি নোডাল পয়েন্ট থাকবে, তা ঠিক করবে স্থানীয় প্রশাসন। আর সেনা কোথায় মোতায়েন করা হবে, তা ঠিক করবেন রিটার্নিং অফিসার, সহকারি রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার-সহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

    আরও পড়ুুন: “জ্যোতিপ্রিয়র জ্যোতি নিভে যাচ্ছে, রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ নেই”, কটাক্ষ সুকান্তের

    ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের ৩৮৮টি উপজেলায় ৩৫ হাজারেরও বেশি সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছিল। এবার নিয়োগ করা হয়েছে তার চেয়েও বেশি। জানা গিয়েছে, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় মহানগর এলাকা, এলাকার বাইরে ও পার্বত্য এবং দুর্গম এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৫-১৬ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৬-১৭ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। প্রয়োজনে এই সংখ্যা বাড়াতে পারবেন রিটার্নিং অফিসাররা (Bangladesh Election)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Ayodhya Ram Mandir: রাম মন্দির দর্শনে ৩০ লক্ষ মানুষ! লোকসভার আগে ‘মেগা প্ল্যান’ বিজেপির

    Ayodhya Ram Mandir: রাম মন্দির দর্শনে ৩০ লক্ষ মানুষ! লোকসভার আগে ‘মেগা প্ল্যান’ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি দেশব্যাপী ৩০ লক্ষ মানুষকে অযোধ্যার রাম মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) দর্শন করাবে। এই লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামলালার মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় ৫০০ বছর ধরে রাম মন্দির আন্দোলনের সফল বাস্তবায়ন হতে চলেছে। দেশজুড়ে ব্যাপক উৎসাহ রাম ভক্তদের মধ্যে। মন্দির উদ্বোধনের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। লোকসভার আগে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এই অভিযানকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা লোকসভা ভোটের বিশেষ প্রস্তুতি হিসাবেই দেখছেন।

    কবে থেকে মন্দির দর্শনের অভিযান চলবে?

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জানিয়েছেন, ‘আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত দুই মাস ধরে সকল রাজ্য থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষকে মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) দর্শন করাবে বিজেপি। দৈনিক ৫০ হাজার করে মানুষ যাতে মন্দির পরিদর্শন করতে পারেন সেই দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।’ ইতিমধ্যে সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রাম মন্দির দর্শন করতে যাওয়ার সময় বিজেপির পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। আসন্ন লোকসভাকে ঘিরে ‘তিসরি বার মোদি সরকার’ এবং ‘আব কি বার ৪০০ পার’- দুটি স্লোগানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    বিশেষ ট্রেন থাকবে ব্যবস্থায়

    সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে গত মঙ্গলবার দলের মধ্যে একটি বিশেষ বৈঠক ডেকেছিলেন জেপি নাড্ডা। দলের তরফ থেকে বলা হয়েছে,  প্রত্যেক জেলার প্রত্যেক ব্লক স্তর থেকে কর্মী, সমর্থক, সাধারণ মানুষ এবং রামভক্তদের ধাপে ধাপে এনে মন্দির দর্শন করানো হবে। এই কাজের গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। এই মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) দর্শনের জন্য করা হবে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা।

    ভোটের আগে বিরাট প্রস্তুতি

    সামনেই লোকসভার ভোট তাই দেশে রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বিজেপি বিরাট প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উৎসাহী করতে দলের তরফ থেকে ব্যাপক অভিযান নেওয়া হয়েছে। দেশের ৪৩০টি জায়গা থেকে অযোধ্যার দিকে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দির দর্শনের জন্য যাতে প্রত্যকে দিন ৩৫টি করে ট্রেন চালানো হয় তার জন্য রেলমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে। বিজপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অযোধ্যায় যাতায়াত করার জন্য ভাড়া নিজেদের বহন করতে হবে। বিজেপি কর্মীরা শুধুমাত্র দেখাশোনার কাজ করবেন। মন্দির দর্শনের কর্মসূচিকে বিজেপির ‘মেগা প্ল্যান’ বলেছে রাজনৈতিক মহল। এই রাজ্যের তরফ থেকে বিজেপি অবশ্য আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি ‘অক্ষত চাল’ নিয়ে গিয়ে রাম মন্দির দর্শনের আমন্ত্রণের কাজ শুরু করে দিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বেনোজল রুখতে বিজেপি গড়েছে স্ক্রিনিং কমিটি, প্রথম বৈঠক শনিবার

    BJP: বেনোজল রুখতে বিজেপি গড়েছে স্ক্রিনিং কমিটি, প্রথম বৈঠক শনিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) তৃতীয়বার কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফেরা একপ্রকার নিশ্চিত। এবার প্রয়োজন অন্তত ৪০০ আসন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বেঁধে দেওয়া হয়েছে এই লক্ষ্যমাত্রা। সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে জানপ্রাণ বাজি রেখে লড়ছে পদ্ম শিবির। দেশে উন্নয়নের অনেক কাজ বাকি। সেই কাজ শেষ করতে হলে প্রয়োজন বিপুল জনসমর্থন। যাতে উন্নয়নের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে না পারেন বিরোধীরা।

    স্ক্রিনিং কমিটি

    প্রতিবার নির্বাচনের আগে দলবদলের ঘটনাও ঘটে। যেহেতু বিভিন্ন সমীক্ষায় বিজেপির জয়ের ইঙ্গিত মিলেছে, তাই নির্বাচনের আগে আগে পদ্ম শিবিরে ভিড়বে হাওয়া মোরগের দল। এই দলের সঙ্গেই যাতে বেনোজলও ঢুকে না পড়ে, সেজন্য স্ক্রিনিং কমিটি গড়েছে বিজেপি। এই কমিটিরই প্রথম বৈঠক হবে ৬ জানুয়ারি, শনিবার। যাঁরা অন্য দল ছেড়ে পদ্ম-খাতায় নাম লেখাতে চান, তাঁদের প্রথমে বাছাই করবে স্ক্রিনিং কমিটি। যাঁদের ছাড়পত্র দেবে এই কমিটি, তাঁদের নাম পাঠানো হবে ওপরতলার নেতাদের কাছে। সেখান থেকে গ্রিন সিগন্যাল মিললে তবেই গেরুয়া ঝান্ডা ধরতে পারবেন বিজেপিতে যোগদানেচ্ছু নেতা-কর্মীরা।

    পরিশ্রুত হওয়ার পরেই যোগ ‘শাহি’ দলে

    নির্বাচনের আগে স্বদলে প্রতীক না পেয়ে অনেকেই ভিড় করেন যে দলের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা বেশি, সেই দলে। যেহেতু এবারও বিজেপির (BJP) জয় একপ্রকার নিশ্চিত, তাই ক্ষমতালোভীরা ভিড় করবেন বিজেপিতে। স্ক্রিনিং কমিটির ফিল্টারে পরিশ্রুত হওয়ার পরেই তাঁরা যোগ দিতে পারবেন ‘শাহি’ দলে। লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল স্থির করতে মঙ্গলবারই বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। এঁদের মধ্যে যেমন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ছিলেন, তেমনি ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব এবং অশ্বিনী বৈষ্ণবও। ছিলেন মনসুখ মাণ্ডব্য, হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো নেতারাও। এই বৈঠকেই স্ক্রিনিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যে কমিটির প্রথম বৈঠকটি হবে ৬ জানুয়ারি।

    আরও পড়ুুন: খুলবে রহস্যের জাল! ‘কালীঘাটের কাকু’-র কণ্ঠস্বর কেন ইডি-র কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল?

    ইতিমধ্যেই জনসভা শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজেপির (BJP) রাজ্য নেতাদের। প্রচারের অভিমুখ হবে দুটি। একটি মুখে ফিরিস্তি দেওয়া হবে গত দশ বছরে বিজেপি সরকার কী কী জনকল্যাণমূলক কাজ করেছে। আর অন্য মুখে বলা হবে কী কী কাজের শিলান্যাস করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দু’ লক্ষের বেশি মহিলার সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী, রোড-শোয়ে ঠাঁই নাই রব  

    PM Modi: দু’ লক্ষের বেশি মহিলার সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী, রোড-শোয়ে ঠাঁই নাই রব  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঠের যতদূর চোখ যায়, কেবলই কালো মাথার সারি। যাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে এক ঝলক দেখবেন বলে এসেছেন, তাঁদের অনেকেরই খোঁপায় জড়ানো ফুলের মালা। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) যখন এই ললনা সম্মেলনে যোগ দিতে মঞ্চে উঠলেন, তখন সেই মাথার সারিই সমস্বরে চিৎকার করে উঠল, মো-ও-দি, মো-ও-দি। বুধবার দু’ লক্ষেরও বেশি মহিলা যোগ দিয়েছিলেন কেরলের ত্রিশূরের এই সম্মেলনে।

    মানুষ আর মানুষ

    দু’ দিনের দক্ষিণ ভারত সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার, দ্বিতীয় দিনে তিনি গিয়েছিলেন ত্রিশূরে। সেখানে ফুলেল শুভেচ্ছায় ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই শুরু হল প্রধানমন্ত্রীর রোড-শো। এই সময় প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে রাস্তার দু’ ধারে ভিড় করেছিলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। রোড শো শেষে প্রধানমন্ত্রী চলে যান ত্রিশূরের জনসভার মাঠে। এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন দু’ লক্ষেরও ঢের বেশি মানুষ। এঁরা সবাই সমাজের সর্বস্তর থেকে উঠে আসা। এঁদের মধ্যে যেমন ছিলেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, তেমনি ছিলেন স্কুল-কলেজের শিক্ষিকারাও। ছিলেন প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পীর পাশাপাশি মহিলা উদ্যোগপতিও। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই হয়ে যায় এক প্রস্ত হাততালি। তার পরেই দক্ষিণের এই রাজ্যে মহিলাদের কর্মোদ্যাগ এবং সাহসিকতার প্রশস্তি গাইতে শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘স্ত্রী শক্তি সমাগম’

    সভার নাম ছিল ‘স্ত্রী শক্তি সমাগম’। ঠিক ছিল সমাজের সর্বস্তরের লাখ দুয়েক মহিলা যোগ দেবেন সভায়। যদিও সভা শুরুর পর দেখা গেল, মাঠটির সর্বত্র ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই রব। গত দশ বছরে তাঁর সরকার মহিলাদের সম্মান দিতে যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন, এদিন তার ফিরিস্তি দেন প্রধানমন্ত্রী। মুসলমান মহিলাদের তিন তালাকের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়ার কথাও তিনি বলেন। দরিদ্র, কৃষক এবং মহিলাদের ক্ষমতায়নই যে তাঁর সরকারের পাখির চোখ, তাও জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। কেরলের এই সভায়ও প্রধানমন্ত্রীর মুখে অবধারিতভাবে উঠে আসে ইন্ডি জোটের প্রসঙ্গও। তিনি (PM Modi) বলেন, “ইন্ডি জোট কেবল একটা জিনিসই জানে। তারা কেবল আমাদের বিশ্বাসে আঘাত হানে। তারা আমাদের মন্দির এবং উৎসবগুলিকে লুঠ করবে বলেই যেন তৈরি হয়েছিল। ‘ত্রিশূর পুরম’ নিয়ে রাজনীতি করাটা দুর্ভাগ্যজনক। শবরীমালা মন্দিরে দেবভক্তরা যে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তার জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। এটা রাজ্য সরকারেরই ব্যর্থতা।”

    আরও পড়ুুন: মধ্যরাতে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’, কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেল ইডি

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • PM Modi: ২৪ জানুয়ারি নতুন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলবেন মোদি, বিজেপিতে তুঙ্গে তৎপরতা

    PM Modi: ২৪ জানুয়ারি নতুন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলবেন মোদি, বিজেপিতে তুঙ্গে তৎপরতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার ঢের আগেই আস্তিন গুটিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়ছে বিজেপি। এবার পদ্মশিবিরের লক্ষ্য অন্তত ৪০০টি কেন্দ্রের রাশ হাতে নেওয়া। তাই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা। নেওয়া হচ্ছে নতুন নতুন কর্মসূচিও। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে চলতি মাসেই নতুন ভোটারদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    নয়া ভোটারদের সঙ্গে আলাপচারিতা

    আগামী ২৪ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কয়েকজন নতুন ভোটারের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। শুনবেন, বিজেপি সরকারের কাছে তাঁদের প্রত্যাশা ঠিক কী। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, ২৪ জানুয়ারি দেশজুড়ে নতুন ভোটারদের নিয়ে জাতীয়স্তরের একটি ভার্চুয়াল সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই নয়া ভোটারদের বেছে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যুব মোর্চার সদস্যদের। এর পাশাপাশি নতুন ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ ও মোদি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচার করার জন্য বিশেষ দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে যুব মোর্চাকে।

    বাংলার কারা?

    বিধানসভা ভিত্তিক ‘নব মতদাতা সম্মেলন’ নামের (PM Modi) এই কর্মসূচিও অবিলম্বে শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে নতুন ভোটারদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের চিহ্নিত করা ও তাঁদের কাছে পৌঁছানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বাংলার কয়েকজন নতুন ভোটারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে তাঁরাও মুখিয়ে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ওই সম্মেলনের দু’দিন আগে রয়েছে অযোধ্যায় রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। এই মেগা অনুষ্ঠানের দু’দিন পরেই হবে ‘নয়া মতদাতা সম্মেলন’।

    আরও পড়ুুন: মধ্যরাতে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’, কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেল ইডি

    গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে গেরুয়া ঝুলিতে পড়েছিল ১৮টি। এবার এটাকে বাড়িয়েই অন্তত ৩৫টি করতে চাইছে বিজেপি। এই জন্য সংগঠন মজবুত করার পাশাপাশি হাতে নেওয়া হচ্ছে নানা কর্মসূচি। নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাওয়ায় বর্তমানে তৃণমূল রয়েছে খাদের কিনারে। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে শুরু হয়েছে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব। তৃণমূলের এই দুর্বল জায়গাগুলিকেই ‘ক্যাশ’ করতে চাইছে পদ্ম শিবির। তাদের আশা, এই সব কারণে আসন্ন নির্বাচনে ভোট বাড়বে বিজেপির। ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে বিশেষ কসরতও করতে হবে না দলকে (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: প্রাথমিকের ৪২ হাজার প্রার্থীর প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: প্রাথমিকের ৪২ হাজার প্রার্থীর প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিকের ৪২ হাজার ৯৪৯ প্রার্থীর প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে প্রাথমিকে টেট সংক্রান্ত মামলায় এই নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হয় এই মামলার শুনানি।

    প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ 

    তখনই এমন নির্দেশ দেন তিনি। যদি আগেই প্যানেল প্রকাশ হয়ে থাকে, তাহলে সেই প্যানেলের হার্ড ও সফ্ট কপি আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের ওই টেটে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ১ লক্ষ ২৫ হাজারের মতো চাকরিপ্রার্থী। দু’ বছর পরে শুরু হয় নিয়োগ। উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে নিয়োগ (Calcutta High Court) করা হয়েছিল ৪২ হাজার ৯৪৯জনকে। নিয়োগে ত্রুটি রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। অভিযোগ, যাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৩২ হাজারই ‘প্রশিক্ষিত’ নন। ঠিকঠাক ইন্টারভিউ এবং অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট না নিয়েই অনেককে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ মামলাকারীদের।

    চাকরি খোয়া যায় ৩২ হাজার শিক্ষকের

    ওই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী ও পরীক্ষকের বয়ান রেকর্ড করেন। মামলাকারীদের অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলে মেনে নিয়ে ১২ মে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক অসঙ্গতির উল্লেখ করে রায় দেন তিনি। চাকরি খোয়া যায় ৩২ হাজার শিক্ষকের। পরের চার মাস ওই শিক্ষকরা প্যারাটিটারের মতো বেতন পাবেন বলেও জানিয়ে দেন। তিন মাসের মধ্যে পর্ষদকে নতুন করে সম্পন্ন করতে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন ওই ৩২ হাজার শিক্ষকও।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, নবীন-প্রবীণ কারা, ছবি এঁকে বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, কেবল প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি নয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশও অতীতে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরিও গিয়েছিল তাঁর রায়ে। চাকরির সময় বেতন বাবদ তিনি যে অর্থ নিয়েছিলেন, তাও ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁর জায়গায় প্রথমে চাকরি দেওয়া হয় ববিতা সরকারকে। পরে অবশ্য তাঁরও চাকরি যায় (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share