Tag: Bengali news

Bengali news

  • Lok Sabha Elections 2024:  ‘অব কি বার চারশো পার’, নয়া স্লোগান বিজেপির

    Lok Sabha Elections 2024:  ‘অব কি বার চারশো পার’, নয়া স্লোগান বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় যে নিশ্চিত, তা ধরে নিচ্ছেন পদ্ম নেতারা। তবে আরও বেশি জনসমর্থন নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরতে চাইছেন তাঁরা। কিছু দিন আগেই দিল্লিতে বিজেপির সদর (Lok Sabha Elections 2024) দফতরে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের তাঁর সেই ইচ্ছের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং।

    নয়া স্লোগান বিজেপির

    প্রধানমন্ত্রীর সেই আশা পূরণে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে পদ্ম-বাহিনী। বাঁধা হয়েছে নয়া স্লোগানও, ‘তিসরি বার মোদি সরকার, অব কি বার চারশো পার’। বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘তৃতীয়বার মোদি সরকার, এবার চারশো পার’। এপ্রিলের মাঝামাঝি লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024) হওয়ার কথা। এই নির্বাচনের রণকৌশল স্থির করতে বুধবার বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব, ভূপেন্দ্র যাদব, হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো নেতারা।

    কী নির্দেশ দিলেন নাড্ডা?

    বৈঠকে চারশো আসন পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোনোর নির্দেশ দেন নাড্ডা। এই বৈঠকেই বেঁধে দেওয়া হয় নির্বাচনী প্রচারের সুর। নির্বাচনের আগে দলে যাতে বেনোজল ঢুকে না পড়ে, তাই স্ক্রিনিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই কমিটিই স্থির করবে, নির্বাচনের আগে অন্য দল থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের হাতে গেরুয়া ঝান্ডা তুলে দেওয়া হবে কিনা। এর পাশাপাশি গঠন করা হবে ক্লাস্টার কমিটি। প্রতি তিনজন ‘সুপার ওয়ারিয়র’ পিছু থাকবে একটি ক্লাস্টার কমিটি। প্রতি বিধানসভার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে থাকবেন একজন। ইনিই ‘সুপার ওয়ারিয়র’।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা নির্বাচনের আগেই লাগু হচ্ছে সিএএ! নাগরিকত্ব পাচ্ছেন কারা?

    তিন ‘সুপার ওয়ারিয়র’কে নিয়ে যে ক্লাস্টার গঠিত হবে, সেই ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকবেন রাজ্য পর্যায়ের কোনও পদস্থ নেতা। তিন-চারটি লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে যে যৌথ ক্লাস্টার তৈরি হবে, সেখানে প্রচারে যাবেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, জেপি নাড্ডার মতো হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় নেতারা। দেশের প্রতিটি রাজ্যের সভাপতিকে তাঁর রাজ্যের সব লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে যেতে হবে। ওই লোকসভা কেন্দ্রগুলির কোনটিতে সংগঠনের হাল কেমন, সে বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে কেন্দ্রকে। এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই ওই কেন্দ্রে কীভাবে সংগঠন মজবুত করা যাবে, সে দাওয়াই দেওয়া (Lok Sabha Elections 2024) হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: কাশ্মীরকে জঙ্গি-মুক্ত করা হবে কীভাবে? জোড়া পদ্ধতিতে জোর কেন্দ্রের

    Amit Shah: কাশ্মীরকে জঙ্গি-মুক্ত করা হবে কীভাবে? জোড়া পদ্ধতিতে জোর কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া পরপর জঙ্গি-হামলার প্রেক্ষিতে উপত্যকা অঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক (J&K Security Meet) করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এবং একইসঙ্গে নাশকতা নির্মূল করার কী কী কৌশল হতে পারে, তা স্থির করতে বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা হয়। 

    দিল্লিতে শাহের দফতরে হওয়া ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা (J&K Security Meet)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে, আইবি প্রধান তপন ডেকা, জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যসচিব ও ডিজিপি, এবং কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর প্রধানরা।

    স্পর্শকাতর অঞ্চলে বেশি বাহিনী মোতায়েন

    সূত্রের দাবি, জঙ্গিদমন অভিযানে আরও জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শাহ (Amit Shah)। একইসঙ্গে, জম্মু-কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসকে সমূলে উৎখাত করার ডাক দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রের মুখপাত্র জানান, স্পর্শকাতর অঞ্চলে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করতে নিরাপত্তা বাহিনীগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি মনে করিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে আপসহীন নীতি বজায় রাখবে (J&K Security Meet)।

    বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধিতে জোর

    সূত্রের দাবি, সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে আরও সমন্বয় বাড়ানোর ডাকও দিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এই প্রেক্ষিতে বৈঠকে এরিয়া ডমিনেশন-এর উপর আরও জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উপত্যকায় পুলিশ, সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় আরও ভালো করার জন্যও বলেছেন তিনি। তিনি মনে করিয়ে দেন, সাফল্য পেতে হতে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে (J&K Security Meet)।

    স্থানীয় গোয়েন্দা নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করার ডাক

    একইসঙ্গে, জম্মু-কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসকে সমূলে উৎখাত করতে হলে স্থানীয় গোয়েন্দা তথ্যের নেটওয়ার্ককে যে আরও শক্তিশালী ও বিস্তৃত করতে হবে, তাও বৈঠকে মনে করিয়ে দেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এর জন্য স্থানীয়দের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতাকে বাড়ানোর পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি মনে করিয়ে দেন, কাশ্মীরকে জঙ্গি-মুক্ত করতে হলে স্থানীয়দের পাশে পেতেই হবে। 

    ২০২৩ সালে একাধিক সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি ও বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রতিকতম ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ ডিসেম্বর। পুঞ্চ জেলার ডেরা কি গলি সেক্টরের অন্তর্গত থানামন্ডিতে এলাকায় ভারতীয় সেনার দুটি গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। এরপর শুরু হয় গুলির লড়াই। জঙ্গিদমন অভিযান চলাকালীন চার সেনা জওয়ান শহিদ হন। আহত হন আরও ২ জন। এর আগে, নভেম্বরে রাজৌরির কালকোটে জঙ্গিদমন অপারেশন চলাকালীন দু’জন ক্যাপ্টেন-সহ পাঁচ সেনাকর্মী শহিদ হয়েছিলেন। তারও আগে, মে মাসে এক মেজর পদমর্যাদার অফিসার সহ পাঁচ সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন চারমের জঙ্গলে। এক জঙ্গিও খতম হয়েছিল।

    সরকারি তথ্য বলছে, গত বছর রাজৌরি, পুঞ্চ ও রেয়াসি সেক্টরে চলা জঙ্গিদমন অভিযানে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই তালিকায়, ২৮ জন জঙ্গি ও ১৯ জন নিরাপত্তাকর্মী রয়েছে। এই ৫৪ জনের মধ্যে, ১০ জঙ্গি ও ১৪ নিরাপত্তা কর্মী সহ ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজৌরিতে। পুঞ্চে ১৫ জঙ্গি ও ৫ নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে এবং রেয়াসিতে ৩ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সীমান্ত পার করে অনুপ্রবেশ করার সময় সেনা-জঙ্গির এনকাউন্টার হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: লোকসভা নির্বাচনের আগেই লাগু হচ্ছে সিএএ! নাগরিকত্ব পাচ্ছেন কারা?

    CAA: লোকসভা নির্বাচনের আগেই লাগু হচ্ছে সিএএ! নাগরিকত্ব পাচ্ছেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেজে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের দামামা। তার আগেই লাগু হয়ে যেতে পারে সিএএ (CAA)। কিছু দিন আগেই বঙ্গ সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তখনই তিনি বলেছিলেন, “আজ আমি আপনাদের সামনে বলে যাচ্ছি, সিএএ হচ্ছে এই দেশের আইন। একে কেউ আটকাতে পারবে না।”

    কী বলছেন অমিত শাহ?

    শাহ এও বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার তৈরি হওয়া মানে শরাণার্থীদের সিএএর মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়া। আর দিদি, শরাণার্থী ভাইদের বিভ্রান্ত করেন যে সিএএ হবে, হবে না। আইন বানিয়ে কেন্দ্র আটকে গিয়েছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি আপনাদের সামনে বলে যাচ্ছি, সিএএ হবেই।” তার পর থেকেই চলছিল জল্পনা। শেষমেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিকের দাবি, শীঘ্রই আইনটি কার্যকর করা হতে পারে। তার পরেই যোগ্যদের দেওয়া হতে পারে ভারতীয় নাগরিকত্ব (CAA)।

    কী বলছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিক?

    তিনি বলেন, “আমরা শীঘ্রই সিএএ নিয়ম জারি করতে যাচ্ছি। আইনটি চার বছরেরও বেশি সময় বিলম্বিত হয়েছে এবং আইনটি বাস্তবায়নের জন্য বিধি প্রয়োজন।” ওই আধিকারিক বলেন, “বিধি প্রস্তুত। অনলাইন পোর্টালও প্রস্তুত। পুরো প্রক্রিয়াটি হবে অনলাইনে।” তিনি জানান, আবেদনকারীদের অবশ্যই ঘোষণা করতে হবে যে তারা ভ্রমণ সংক্রান্ত কোনও নথি ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছে। আবেদনকারীদের কাছ থেকে কোনও নথি চাওয়া হবে না।

    উনিশের ডিসেম্বর মাসে লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হয় সিএএ বিল। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনও মেলে। তার পরেও ওই আইন লাগু করা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির সম্মতি পাওয়ার ছ’মাসের মধ্যে কোনও আইনের রুল জারি করতে হবে। অথবা লোকসভা ও রাজ্যসভার কাছ থেকে তা বাড়ানোর অনুরোধ করতে হবে। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর প্রতি ছ’ মাস অন্তর ওই আইনের ধারা তৈরির জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।  

    আরও পড়ুুন: ইজরায়েলের নিঁখুত ড্রোন নিশানা, খতম হামাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা আল-অরৌরি

    প্রসঙ্গত, সিএএ আন্দোলনের জেরে এ পর্যন্ত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিএএর (CAA) সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে একাধিক পিটিশন। এই আইন অনুযায়ী, ২০১৫ সালের আগে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। নাগরিকত্ব পাবেন হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lt General RC Tiwari: সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের দায়িত্ব নিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি

    Lt General RC Tiwari: সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের দায়িত্ব নিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরে সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের (Army Eastern Command) দায়িত্বে নতুন মুখ। ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ (জিওসি-ইন-সি) হিসেবে দায়িত্ব তুলে নিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল রামচন্দ্র তিওয়ারি (Lt General RC Tiwari)। সদ্য অবসর গ্রহণ করা লেফটেন্যান্ট জেনারেল  আরপি কলিতার স্থলাভিষিক্ত হলেন তিওয়ারি। কলকাতা স্থিত সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর ফোর্ট উইলিয়ামের দফতরে এই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। বিজয় স্মারকে বীর শহিদ সেনানীদের উদ্দেশে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার পদে আসীন হন তিওয়ারি। তাঁকে গার্ড অফ অনার দিয়ে স্বাগত জানানো হয় ফোর্ট উইলিয়ামে। 

    কাউন্টার ইনসারজেন্সি যুদ্ধ-কৌশলে পারদর্শী

    কাউন্টার ইনসারজেন্সি যুদ্ধ-কৌশলে পারদর্শী হিসেবে সেনায় বিশেষভাবে পরিচিতি পাওয়া আরসি তিওয়ারি (Lt General RC Tiwari) এর আগে উত্তরপ্রদেশের বরেলি অঞ্চলের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ছিলেন। অত্যন্ত পোড়খাওয়া সামরিক অফিসার তিওয়ারি ভারতীয় সেনায় প্রায় চার দশক কাটিয়ে ফেলেছেন। ১৯৮৭ সালে কুমাওন রেজিমেন্টের চতুর্থ ব্যাটালিয়নে কমিশন্ড হন তিওয়ারি। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে শুরু করে উত্তর-পূর্বেও দীর্ঘদিন পোস্টিংয়ে ছিলেন। এর পাশাপাশি, ভারতীয় সেনার শান্তি বাহিনীর অঙ্গ হিসেবে কঙ্গোতেও বেশ কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছিলেন তিওয়ারি। 

    আরও পড়ুন: ‘‘চিন সীমান্ত এখন শান্ত হলেও অনিশ্চয়তায় ভরা’’, সতর্ক করলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার

    উত্তর-পূর্ব সীমান্তে প্রভূত নেতৃত্বদানের অভিজ্ঞতা

    উত্তর-পূর্ব সীমান্তে তিওয়ারির (Lt General RC Tiwari) প্রভূত নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অসমে কাউন্টার ইনসারজেন্সি অভিযানের সময় তিনি কুমাওন রেজিমেন্টের চতুর্থ ব্যাটালিয়নের নেতৃত্বে ছিলেন। এছাড়া, সিকিমে মাউন্টেন ব্রিগেড ও মাউন্টেন ডিভিশনের পাশাপাশি, উত্তর-পূর্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ কোরের দায়িত্বও সামলেছেন কমান্ডার হিসেবে। দীর্ঘ কেরিয়ারে তিনি একাধিক উচ্চ সামরিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। এহেন অভিজ্ঞ অফিসারের ওপরই পূর্ব দিকে চিন সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছে ভারতীয় সেনা (Army Eastern Command)। গত বছরের শেষদিন পর্যন্ত এই দায়িত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরপি কলিতা। ৩১ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • UPI ATM: কোড স্ক্যান করেই টাকা তোলা যাবে এটিএম থেকে! ভাবনা আরবিআইয়ের

    UPI ATM: কোড স্ক্যান করেই টাকা তোলা যাবে এটিএম থেকে! ভাবনা আরবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন ফুরোচ্ছে এটিএম কার্ডের! কারণ ইউপিআই স্ক্যান (UPI ATM) করেই টাকা তোলা যাচ্ছে এটিএম থেকে। পয়লা জানুয়ারি থেকেই এই ব্যবস্থা চালু করেছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ক্ষমতায় এসেই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লেনদেনের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইউপিআই সিস্টেম।

    ইউপিআই সিস্টেম

    এই সিস্টেমের মাধ্যমে বিকি-কিনি হয় পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকানেও। পাঁচতারা হোটেল কিংবা মোটেল সর্বত্রই কদর রয়েছে এই ব্যবস্থার। তবে এখনও নগদ টাকার প্রয়োজনে দাঁড়াতে হয় এটিএমের সামনে। সেখানে আবার ঝক্কি অনেক। কার্ড ছাড়াই টাকা তোলার এই ব্যবস্থায় এড়ানো যায় এসব ঝামেলা। যেহেতু ইদানিং লোকজনের সঙ্গেই স্মার্ট ফোন থাকে, তাই কোনওরকম ঝক্কি পোহাতে হবে না। অথচ টাকাও তোলা যাবে। স্মার্টফোনে ইউপিআই (UPI ATM) চালু থাকলেই তোলা যাবে টাকা। শীর্ষ ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, নয়া এই ব্যবস্থা সহজলভ্য করতে খোলা হবে ইউপিআই এটিএম কাউন্টার।

    কিউআর কোড স্ক্যান করলেই মিলবে টাকা!

    এই কাউন্টারে গিয়ে স্মার্ট ফোন থেকে কিউআর কোড স্ক্যান করলেই মিলবে টাকা। টাকা তোলা যাবে যে কোনও ব্যাঙ্কের এটিএম থেকেই। জাপানের একটি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়েই এ দেশে চালু হচ্ছে ইউপিআই এটিএম পরিষেবা। এদিকে, ইউপিআই কোড স্ক্যান করে টাকা তোলার ক্ষেত্রে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই ইউপিআই পেমেন্টের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে চলেছে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ১ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়ে গিয়েছে এই নিয়ম।

    আরও পড়ুুন: কেরলে ২ লক্ষেরও বেশি মহিলার সভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    জেনে নিন নিয়মগুলি।

    প্রথমত, এক বছর বা তার বেশি সময় ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা ইউপিআই আইডিগুলি ব্লক করে দেওয়া হবে। তাই পুরানো আইডি দিয়ে আর লেনদেন করা যাবে না। দ্বিতীয়ত, ইউপিআইয়ের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ১ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। যদিও ডিসেম্বর মাসেই স্বাস্থ্য ও পড়াশোনা খাতে ইউপিআই ব্যবহার করে টাকা লেনদেনের ঊর্ধ্বসীমা ১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

    তৃতীয়ত, ২ হাজার বা তার বেশি অঙ্কের টাকা লেনদেনে ১.১ শতাংশ কর দেওয়ার কথা আগেই জানানো হয়েছিল। প্রিপেড পেমেন্ট ইনস্ট্রুমেন্ট বা অনলাইন ওয়ালেটে টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে (UPI ATM) এই ফি চালু হয়েছে নতুন বছরেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • PM Modi: কেরলে ২ লক্ষেরও বেশি মহিলার সভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    PM Modi: কেরলে ২ লক্ষেরও বেশি মহিলার সভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝ-এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচন। তার ঢের আগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। তবে অফিসিয়ালি বিজেপির প্রথম নির্বাচনী প্রচার সভা শুরু হবে রাত পোহালেই। বুধবার কেরলের একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ত্রিশূরের এই সভায় যোগ দেবেন দু লক্ষেরও বেশি মহিলা। সভার নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্ত্রী শক্তি মোদিক ওপ্পাম’।

    কারা উপস্থিত থাকবেন সভায়?

    বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে স্ত্রী সশক্তিকরণ’। সভার আয়োজক বিজেপির কেরালা ইউনিট। সংসদের উভয় কক্ষেই পাশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। তাই বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে সংবর্ধনা। সেই কারণেই এই মহিলা সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রীর এই সভায় যোগ দেবেন সমাজের বিভিন্ন অংশের মহিলারা। এঁদের মধ্যে যেমন থাকবেন অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষিকা, আশাকর্মী, মহিলা উদ্যোগপতি, শিল্পী, তেমনি থাকবেন একশো দিনের কর্মী এবং নেবারহুড নেটওয়ার্ক ওয়ার্কারস এবং সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যক্টিভিস্টসরা।

    কেরলে বিজেপির পরিকল্পনা

    কেরলে রাজ করছে সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ এবং কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। এখানেই পা রাখতে চাইছে বিজেপি (PM Modi)। কেরলে লোকসভার আসন একটি। সেই অর্থে ভোটের নিরিখে রাজ্যটির গুরুত্ব তুলনায় কম। তবে যেহেতু কংগ্রেস ও সিপিএম অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে, তাই কেরলে পায়ের নীচের মাটি শক্ত করতে চাইছে বিজেপি। কেরল বিজেপি সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে দক্ষিণের এই রাজ্যে ঘন ঘন আসবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তাঁরা শুনবেন কেরলবাসীর অভাব-অভিযোগের কথা। কংগ্রেসের বেলাগাম দুর্নীতি এবং শাসক সিপিএমের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া, এই দুয়ের জেরে কেরলে ভালো ফলের আশা করছে রাজ্য বিজেপি। সেই কারণেই শান দেওয়া হচ্ছে ‘স্ত্রী-শক্তি’তে।

    আরও পড়ুুন: ‘কালীঘাটের কাকু’ এতদিন এসএসকেএমে কেন? হাইকোর্টে বিজেপি

    কেরল বিজেপির সভাপতি কে সুরেন্দ্রন বলেন, “সমাজের বিভিন্ন অংশের মহিলা, বিশেষত সমাজের নানা ক্ষেত্রে যাঁরা প্রতিষ্ঠিত কিংবা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন, তাঁরা ত্রিশূরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সভায় যোগ দেবেন।” তিনি বলেন, “অভিনেত্রী তথা নৃত্যশিল্পী শোভনা, ক্রিকেটার মিন্নু মানি, উদ্যোগপতি বীণা কান্নান, গায়িকা বৈকম বিজয়লক্ষ্মী এবং মারিয়াকুট্টি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এই সভায়। এঁরা প্রত্যেকেই সুর চড়িয়েছেন দুর্নীতি এবং লালফিতের ফাঁসের বিরুদ্ধে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Howrah: মদ খেয়ে জলসার আসরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক! জামা খুলে তরুণীর সঙ্গে নাচ

    Howrah: মদ খেয়ে জলসার আসরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক! জামা খুলে তরুণীর সঙ্গে নাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের রাতে এলাকায় বসেছিল নাচের জলসা। এই জলসায় চলছিল চটুল গানের তালে তালে নাচ। সেই সঙ্গে চলছিল বিকৃতি অঙ্গভঙ্গ এবং অশ্লীল আচরণ। মঞ্চে দেখা গিয়েছে এক বয়স্ক ব্যক্তি জামা খুলে কোমরে বেঁধে নাচ করছে। শুধু তাই নয় মদ্যপ অবস্থায় তরুণীর সঙ্গে ধামাকা নাচ চলছিল। প্রথমে এলাকার লোক বুঝতে না পারলেও পরে বুঝতে পারেন তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই হাওড়ায় (Howrah) উলুবেড়িয়ায় তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কে এই শিক্ষক (Howrah)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উলুবেড়িয়ার (Howrah) শ্যামপুর ১ নম্বর ব্লকের বিনোদচক তপশিলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার নাম চন্দন দে। তিনি অসুস্থ তাই তার মেয়ে হয়ে স্কুলে যায়। মঙ্গলবার ছিল স্কুলে ‘বুক ডে’, ছাত্রদের বই দেওয়ার কাজ চলছিল। স্কুলে প্রধান শিক্ষক ছিল না, অবশ্য মেয়েকে বাবার কথা জিজ্ঞেস করলে অত্যন্ত রেগে যায়।

    মেয়ের বক্তব্য

    স্কুলের (Howrah) প্রধান শিক্ষকের মেয়ে রিয়া দে বলে, “বাবা অনুমতি নিয়ে আমাকে স্কুলে আসতে বলেছেন। বাবা অসুস্থ তাই আমি স্কুলে আসি। আমিই তাঁর হয়ে পড়াচ্ছি ক্লাসে। এই বিষয় গ্রামের সকলেই জানেন। তাত ক্ষতি কী? বাবার স্কুল কামাইকে আমি মেকআপ দিচ্ছি।” সাংবাদিকরা প্রধান শিক্ষকের আসনে বসা মেয়ের ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা ম্যানকে ধাক্কা মারেন। সূত্রের খবর, প্রধান শিক্ষক অসুস্থার ভান করে মদ খায়। স্কুলে আসেনা। নিজের দায়িত্ব এবং কর্তব্যকে মেয়ের হাতে ছেড়ে দিয়ে অসামাজিক কাজ করে থাকে। ফলে এলাকার মানুষের মধ্যে এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা গিয়েছে।

    অভিভাবকদের বক্তব্য

    স্কুলের (Howrah) প্রধান শিক্ষকের এই আচরণের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করছেন। তাঁরা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই প্রধান শিক্ষক চন্দন দে স্কুল আসে না। তার পরিবর্তে মেয়ে রিয়া দে স্কুল চালায়। কিছু জিজ্ঞেস করলে কটূক্তি করে। এরপর ভয়ে আর কেউ কিছু বলে না।” এছাড়াও অভিভাবক পরিতোষ পাত্র বলেন, “অসুস্থ হলে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট কোথায়, তা নেই বরং জলাসায় নাচ করতে দেখা যাচ্ছে। ফলে তিনি অসুস্থ কীভাবে? অপর দিকে বিদ্যালয় পরিদর্শক নীলাঞ্জন দির্ঘাঙ্গী বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনুমতি ছাড়া কোনও কথা বলব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: পাহাড়ে হোটেল-হোমস্টেগুলি হাউসফুল! বিনামূল্যে ঘর দিয়ে মানবিক দার্জিলিংবাসী

    Darjeeling: পাহাড়ে হোটেল-হোমস্টেগুলি হাউসফুল! বিনামূল্যে ঘর দিয়ে মানবিক দার্জিলিংবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই শীতে তিলধরার জায়গা নেই। হোটেল, হোমস্টেগুলিতে পর্যটকদের রীতিমতো মাথা গোজার ঠাঁই নেই। তুষারপাত দেখার জন্য পাহাড়ে পর্যটকদের রেকর্ড ভিড়ে ঠাসা। এই অবস্থায় এগিয়ে এসেছেন সাধারণ পাহাড়বাসী। বিনামূল্যেই পর্যটকদের জন্য ঘরের দরজা খুলে দিয়েছেন দার্জিলিংবাসীরা (Darjeeling)। এই মানবিকগুণে পর্যটকরা ভীষণ খুশি।

    পর্যটন ব্যবসায়ীরা কী বলছেন (Darjeeling)?

    পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) এবার মাত্রা ছাড়া ভিড়। কালিম্পং, সিকিম-সহ উত্তরের হিমালয়ে ব্যাপক ভাবে পর্যটকদের সমাগম ঘটেছে। গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে এই ভিড়ের যাত্রা শুরু হয়েছে। কার্যত অনেক আগেই হোটেল বুকিং বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যে সব হোমস্টেগুলি ছিল তা সব এখন হাউসফুল। পর্যটকদের যাতে বিপাকে পড়তে না হয় তাই সাধারণ নাগরিকরা নিজেদের ঘরের দরজা খুলে দিয়েছেন বিনামূল্যে।

    ঘর দিয়ে সাহায্য পর্যটকদের

    দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) এবার শীতে পড়তে শুরু করবে তুষারপাত। ফলে পাহাড়ে ফাঁকা জায়গা নেই। প্রচুর পর্যটকের ভিড় যে হবে তা অবশ্য আগেই বলা জানানো হয়েছিল। বাড়তি পর্যটকেরা রাতের ঠান্ডায় কীভাবে রাত কাটাবেন তাই নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে। প্রবল শীতে খোলা আকাশের রাত অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই অবস্থায় পাহাড়ের দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা নীলিমা তামাং, কারশিয়াঙের বাসিন্দা অলোক প্রধান, কালিম্পংয়ের বাসিন্দা ইয়েলবং -সহ প্রমুখ এলাকার মানুষেরা মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কোনও রকম টাকা না নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে মানবিক দৃষ্টান্তের নজির গড়লেন তাঁরা।

    ইকো ট্যুরিজম দফতরের বক্তব্য

    ইকো ট্যুরিজম দফতরের চেয়ারম্যান রাজা বসু বলেন, “পাহাড়ে (Darjeeling) মানুষ এখন গিজগিজ করছে। হোটেলগুলি কার্যত পর্যটকে পরিপূর্ণ। থাকার সমস্যায় দার্জিলিংয়ের মানুষেরা এগিয়ে এসেছেন। গ্রামেরবাসীরা বিনামূল্যের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।’ আবার হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “আগেও পাহাড়ে ভিড় দেখেছি। কিন্তু করোনার পর এই প্রথম এতো ভিড়। আগাত পর্যটকদের জন্য পাহাড়ের সাধারণ মানুষ অত্যন্ত মানবিক পরিচয় দেখিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়, আদালতে কী বলল সিবিআই?

    Calcutta High Court: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়, আদালতে কী বলল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নয়া মোড়। ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’ বলে যা বলা হচ্ছে, তা আদতে একটি স্ট্যাম্প। এর আড়ালেই হত অবৈধ নিয়োগ। মঙ্গলবার এই মামলায় মুখবন্ধ খামে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মর্মে রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই এবং ইডি। তার পরেই খুলেছে নিয়োগ কেলেঙ্কারির একের পর এক পরত।

    কী জানাল সিবিআই?

    আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির কোনও অনুমোদন ছিল না। রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে অনলাইন পোর্টাল করা হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। এমনকী সংস্থায় কোনও কর্মীই নেই। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার যাবতীয় নথি নষ্ট করা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ওএমআর শিট দেখার পর নম্বর দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এই এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকেই। এই কোম্পানির দুই কর্মী কৌশিক মাজি ও পার্থ সেনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল।

    ‘সিঙ্গল রোল নম্বরে মাল্টি রেজিস্ট্রেশন’

    আদালতে (Calcutta High Court) জমা দেওয়া সিবিআই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ‘সিঙ্গল রোল নম্বরে মাল্টি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল যাতে আসল পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা না যায়। অয়ন শীল ওএমআর কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত। তিনি এখন জেলে রয়েছেন। তাঁকে গিয়ে জেরা করেছে সিবিআই। ১৭টি পুরসভায় দুর্নীতি করে নিয়োগ করেছে অয়ন।’ আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, ‘২০২২ সাল পর্যন্ত চাটার্ড অ্যাকাউন্ট ফার্ম হিসেবে নথিভুক্ত ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। তার পরেই বেশ কিছু বিষয় এই কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়। এই কোম্পানিকে সামনে রেখেই চলছিল দুর্নীতি। বোর্ডের কর্মীরাও যুক্ত ছিল এই দুর্নীতির সঙ্গে। কার ওএমআর শিট, সেটা যাতে কেউ বলতে না পারে, সেভাবেই করা হয়েছিল দুর্নীতির পরিকল্পনা।’

    আরও পড়ুুন: “মুষল পর্ব চলছিলই, সেটা প্রকাশ্যে এল”, তৃণমূলকে নিশানা দিলীপের

    সিবিআইয়ের পাশাপাশি নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত-রিপোর্ট জমা দিল ইডিও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা জানিয়েছে, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সাড়ে ৭ কোটির ৮টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বুধবার ইডির যুগ্ম অধিকর্তাকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি সিনহার নির্দেশ, “চিকিৎসকদের নিয়ে একটি টিম গঠন করবে ইডি, যাঁরা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা টেস্ট করতে পারবেন।” এর পরেই কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসককেও বুধবার আদালতে (Calcutta High Court) উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • Malda: ৮০০ কিমি সাইকেল চালিয়ে রামনগরীতে পৌঁছাবেন বঙ্গের দুই যুবক

    Malda: ৮০০ কিমি সাইকেল চালিয়ে রামনগরীতে পৌঁছাবেন বঙ্গের দুই যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনস্কামনা মন্দিরে পুজো দিয়ে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় ঐতিহাসিক রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সামিল হতে সাইকেল নিয়ে যাত্রা শুরু করে দিলেন মালদা (Malda) শহরের দুই যুবক। আগামী ২২ জানুয়ারিতে প্রভু রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতি মধ্যে মন্দির উদ্বোধনের প্রস্তুতি চরম তুঙ্গে। সারা ভারতবর্ষ তথা পৃথিবীর সকল হিন্দুদের নজর এখন এই রাম মন্দিরের দিকেই।

    মালদা থেকে ৮০০ কিমি অযোধ্যা (Malda)

    মালদা থেকে অযোধ্যার দূরত্ব প্রায় ৮০০ কিমি। মালদার (Malda) দুই যুবক হলেন রবি বিশ্বকর্মা (৩০) এবং অভিজিৎ বাসফোর(২২)। তাঁরা আজ স্থানীয় মনস্কামনা কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে রওনা হলেন অযোধ্যার উদ্দেশ্যে। দীর্ঘ এই পথ অতিক্রম করে আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে অযোধ্যায় পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন তাঁরা। প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত সাইকেল চালানোর কথা জানিয়েছেন তাঁরা। যাত্রা শুরুর সময় তাঁদের শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হন প্রচুর রামভক্ত এবং সাধারণ মানুষ।

    কেমন হবে সাইকেলের রুট?

    জানা গিয়েছে মালাদা (Malda) থেকে অযোধ্যায় যাওয়ার পথের রুটটি হবে মালদহ থেকে প্রথমে ডালখোলা। এরপর বিহারের পূর্ণিয়া, দ্বারভাঙ্গা হয়ে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর দিয়ে তাঁরা দু’জনে পৌঁছবেন অযোধ্যায়। যাত্রায় তাঁদের সাইকেলের মধ্যে থাকবে প্রভু শ্রীরামের আঁকা ছবি। সনাতন ধর্মীয় পতাকার পাশাপাশি সাইকেল যাত্রায় সামিল করা হয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকাও। এলাকায় রীতিমতো উচ্ছ্বাস নিয়ে তাঁরা যাত্রার শুভ সূচনা করলেন। 

    যুবকদের বক্তব্য

    মালদার (Malda) এই দুই যুবকের বক্তব্য, “আগে দেশ পরে ধর্ম”। এই প্রসঙ্গে রবি বিশ্বকর্মা বলেন, “হিন্দু সমাজের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা হবে। এবার সেই স্বপ্ন প্রতিষ্ঠা পাবে।” আবার অভিজিৎ বাসফোর বলেন, “এই রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা পর্বের ঐতিহাসিক সাক্ষী হতেই আমরা সাইকেলে যাত্রার পরিকল্পনা করেছি। শ্রীরাম আমাদের ধর্মীয় সংস্কৃতির পরিচয়। পাশপাশি সমাজে যাতে নেশা কম হয় সেই উদ্দেশ্যে আমরা এই যাত্রায় সচেতনতার বিষয়কেও রেখেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share