Tag: Bengali news

Bengali news

  • PM Modi: আজ দুবাইতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

    PM Modi: আজ দুবাইতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে দুবাইতে রওনা হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রসঙ্গত, আজ শুক্রবার ১ ডিসেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাজধানী দুবাইতে শুরু হচ্ছে ২৮ তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুবাইয়ের উদ্দেশে পাড়ি দেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী একটি ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) দুবাই সফরের বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলার পথ খুঁজতে পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশগুলির এই সম্মেলন এবং সেখানে যোগ দিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    জলবায়ু পরিবর্তন একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা 

    বর্তমান বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা হিসেবেই মনে করা হয় (PM Modi)। এবং প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের সাধারণ ইস্যু হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত থাকেই। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে বসেছিল জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। সেখানেও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছিল। গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়নকে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

    মোদির ট্যুইট

    জানা গিয়েছে, দুবাইতে আয়োজিত এই বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও যোগ দেবেন অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই জলবায়ু সম্মেলনে আসছেন না বলেই জানা গিয়েছে। দুবাই রওনা হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী তরফ থেকে বিবৃতি সামনে এসেছে। ট্যুইটের মাধ্যমে তিনি (PM Modi) বলেন, ‘‘প্যারিস চুক্তির অধীনে জলবায়ু পরিবর্তনে মোকাবিলার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হবে এই সম্মেলনে।’’ প্রসঙ্গত এই সম্মেলনের পোশাকি নাম ‘COP28’.

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Ahijit Ganguly: শিক্ষা দফতরের গালে ফের থাপ্পড়! এবার প্রধান শিক্ষক নিয়োগেও স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Justice Ahijit Ganguly: শিক্ষা দফতরের গালে ফের থাপ্পড়! এবার প্রধান শিক্ষক নিয়োগেও স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা দফতরের গালে ফের থাপ্পড়! এবার প্রধান শিক্ষক নিয়োগেও স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কাউন্সেলিং ছাড়াই প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি স্কুলে। চলতি বছরই বেশ কয়েকজনকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়েছে কাউন্সেলিং ছাড়াই। এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই হয়েছিল মামলা। এই মামলার শুনানিতে রায় দিতে গিয়ে স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ahijit Ganguly)। আদালতের নির্দেশ ছাড়া আপাতত এই জেলায় কোনও নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নয় বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে আদালত। আগামী ২০ ডিসেম্বর ফের শুনানি হবে এই মামলার।

    লেজেগোবরে দশা শিক্ষা দফতরের

    নিয়োগ সংক্রান্ত নানা মামলায় কার্যত লেজেগোবরে দশা শিক্ষা দফতরের। এমতাবস্থায় আদালতের এই স্থগিতাদেশে আরও একবার বেআব্রু হয়ে গেল দফতরের কেলেঙ্কারি। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অনিয়মের জেরে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের একাধিক নেতা। প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক দুর্নীতি। কাউন্সেলিং কিংবা ইন্টারভিউয়ের তোয়াক্কা না করেই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে অনেককেই। যেসব ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, সেসব ক্ষেত্রেই তদন্ত করছে সিবিআই এবং ইডি। যা নিয়ে (Justice Ahijit Ganguly) নিরন্তর চলছে শাসক-বিরোধী তরজা। এহেন আবহে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল আদালত।

    রাজ্যের বক্তব্য

    এদিন আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, কেবল বয়স ও অভিজ্ঞতার নিরিখেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। জেলা স্কুল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়ম মেনেই এই নিয়োগ হয়। রাজ্যের বক্তব্য যে আদতে ধোপে টেকেনি, আদালতের নির্দেশই তার প্রমাণ। প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারির জাল যে কতদূর বিস্তৃত, তার প্রমাণ মিলেছিল মাস দেড়েক আগেই। কৌশিক মাজি নামে বেসরকারি সংস্থার এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামে একটি সংস্থা। এই সংস্থার আর এক কর্তা পার্থ সেনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আগেই। ধৃতকে জেরা করে কৌশিকের নাগাল পান সিবিআই আধিকারিকরা (Justice Ahijit Ganguly)।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল বিধায়কের শৌচাগারেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, যন্ত্র দিয়ে চলছে গোনা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assembly Election 2023: দুই রাজ্যে এগিয়ে বিজেপি, হাড্ডাহাড্ডি অন্যত্র, ত্রিশঙ্কু হচ্ছে মিজোরাম!

    Assembly Election 2023: দুই রাজ্যে এগিয়ে বিজেপি, হাড্ডাহাড্ডি অন্যত্র, ত্রিশঙ্কু হচ্ছে মিজোরাম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ‘ওয়ার্মআপ ম্যাচ’ হয়ে গেল চলতি মাসে। দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে এ মাসেই। আজ, বৃহস্পতিবার ছিল তেলঙ্গনা বিধানসভার নির্বাচন (Assembly Election 2023)। পাঁচ রাজ্যেরই ফল ঘোষণা হবে ৩ ডিসেম্বর। এই রাজ্যগুলির ফল থেকে কেন্দ্র কার দখলে যাবে, তার একটা আভাস মিলতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও পাঁচ রাজ্যের ফল কোনওভাবেই গোটা দেশের ছবি হতে পারে না। আসুন, দেখে নেওয়া যাক, পাঁচ রাজ্যের ফলের গতিপ্রকৃতি।

    প্রথমেই দেখা যাক ছত্তিশগড়ের সম্ভাব্য ফল। এ রাজ্যে কংগ্রেস ও বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। এ রাজ্যে বিধানসভার আসন ৯০। ম্যাজিক ফিগার ৪৬। এবিপি নিউজ-সি ভোটারের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিজেপি পেতে পারে ৩৬-৪৮টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৪১-৫৩টি আসন। ইন্ডিয়া টুডে-এক্সিস-মাই ইন্ডিয়ার এক্সিট পোলে বলা হয়েছে, বিজেপি পেতে পারে ৩৬-৪৬টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ৪০-৫০টি আসন। দৈনিক ভাস্করের সমীক্ষা বলছে, বিজেপি পাবে ৩৫-৪৫টি আসন। কংগ্রেসের দখলে যেতে পারে ৪৬-৫৫টি আসন।

    মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় আসতে পারে বিজেপি। এ রাজ্যে আসন রয়েছে ২৩০টি। সরকার গড়তে হলে পেতে হবে ১১৬টি আসন। দৈনিক ভাস্করের সমীক্ষা (Assembly Election 2023) বলছে, বিজেপি পেতে পারে ৯৫-১১৫টি আসন। কংগ্রেস ১০৫-১২০টি আসন। রিপাবলিক টিভি-মাত্রিজের সমীক্ষা অনুযায়ী, গেরুয়া ঝুলিতে যেতে পারে ১১৮-১৩০টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ৯৭-১০৭টি আসন। পোল অফ পোলের সমীক্ষায়ও এ রাজ্যে পাল্লা ভারী বিজেপির দিকেই। জন-কী-বাতের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি পেতে পারে ১০০-১২৩টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ১০২-১২৫টি আসন।

    রাজস্থান বিধানসভার আসন সংখ্যা ২০০। কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যুতে নির্বাচন হয়নি একটি কেন্দ্রে। ভোট হয়েছে ১৯৯টি আসনে। ম্যাজিক ফিগার ১০১। তবে আপাতত প্রয়োজন ১০০টি আসন। পোল অফ পোলের সমীক্ষা বলছে, বিজেপি পেতে পারে ১১১টি আসন। আর কংগ্রেস ৭৪টি। অন্যরা পেতে পারে ১৪টি। ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া বিজেপি পেতে পারে ৮০-১০০টি আসন। বিজেপি পাবে ৮০-১০০টি আসন। অন্যরা পেতে পারে ৯-১৮টি আসন। দৈনিক ভাস্করের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি পাবে ৯৮-১০৫টি আসন। কংগ্রেস ৮৫-৯৫টি আসন। অন্যরা পেতে পারে ১০-১৫।

    পোল অফ পোলসের সমীক্ষা বলছে, তেলঙ্গনায় বিআরএস পেতে পারে ৪৮টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৫৬টি। ৫-১০টি আসন পেতে পারে বিজেপি। ৬-৮টি আসন পেতে পারে অন্যান্য রাজনৈতিক দল। জন কী বাত আবার এ রাজ্যে এগিয়ে রেখেছে কংগ্রেসকে। কংগ্রেস পেতে পারে ৪৮-৬৪টি আসন। বিআরএস পেতে পারে ৪০-৫৫টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ৭-১৩টি আসন এআইএমআইএম পেতে পারে ৪-৭টি আসন।

    ত্রিশঙ্কু হতে পারে মিজোরাম বিধানসভা। এবিপি নিউজ-সি ভোটার সমীক্ষা অনুযায়ী, উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে এমএনএফ পেতে পারে ১৫-২১টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ২-৮টি আসন। জেডপিএম পেতে পারে ১২-১৮টি আসন। অন্যরা পেতে পারে ০-৫টি আসন (Assembly Election 2023)।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল বিধায়কের শৌচাগারেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, যন্ত্র দিয়ে চলছে গোনা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Tata IPO: লক্ষ্মীবারে বিপুল লক্ষ্মীলাভ! ডেবিউ-র দিনই মাল্টিব্যাগার স্টকে পরিণত টাটা টেকের শেয়ার!

    Tata IPO: লক্ষ্মীবারে বিপুল লক্ষ্মীলাভ! ডেবিউ-র দিনই মাল্টিব্যাগার স্টকে পরিণত টাটা টেকের শেয়ার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশা ছিলই। হলও তাই। বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীবারে দুর্দান্ত রিটার্ন দিয়ে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হল টাটা গোষ্ঠীর শেয়ার (Tata IPO)। টাটা টেকনোলজিস শুরুই করল ১৪০ শতাংশ লাভ নিয়ে। স্বাভাবিকভাবই লক্ষ্মীবারে বেশ ভালই লক্ষ্মীলাভ হল বিনিয়োগকারীদের। 

    টাটার আইপিওতে সাবস্ক্রাইব ৫০০ টাকায়

    এদিন সকাল ১০টা নাগাদ টাটা গোষ্ঠীর এই শেয়ার এনএসইতে ১২০০ টাকা ও বিএসইতি ১১৯৯.৯৫ টাকায় লিস্টিং হয়। অর্থাৎ শুরুতেই শেয়ারের প্রতি স্ক্রিপ বা ইউনিটে ৭০০ টাকার মুনাফা। টাটা টেকনোলজিসের এই আইপিওতে লট সাইজের আকার ছিল ৩০। তাই এই ছ’ দিনেই বিনিয়োগকারীরা শুরুতেই মুনাফা লুটলেন ২১ হাজার টাকা। তার পর দিন যত এগিয়েছে উপরে উঠতে থেকেছে গ্রাফ। একটা সময় ১৪০০ টাকায় পৌঁছে যায় এই শেয়ারের দর। অর্থাৎ, প্রিমিয়াম বা মুনাফার পরিমাণ ১৮০ শতাংশ। সেখানে থেকে কিছুটা নেমে এদিন বাজার বন্ধের সময় এই শেয়ারের দর দাঁড়ায় ১৩১৩ টাকায়। অর্থাৎ ১৬২ শতাংশ প্রিমিয়ামে। 

    বিনিয়োগকারীরা টাটা গোষ্ঠীর এই আইপিওতে সাবস্ক্রাইব করেছিলেন ৫০০ টাকায়। আইপিও-র মাধ্যমে এই সংস্থা ২২০০ কোটি টাকার শেয়ার ছেড়েছিল। কিন্তু, বিড বা আগাম বুকিংয়ের পরিমাণ ছিল ১.৫৬ লক্ষ কোটি টাকার। অর্থাৎ, প্রায় ৭০ গুণ ওভার-বুকিং হয়েছিল। ফলত, যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের সকলে অ্যালটমেন্ট পাননি। কিন্তু, এই ওভার-বুকিং থেকেই আভাস মিলেছিল যে, এই স্টক বাজারে ধামাল করবে। আর ঠিক সেটাই হলো। 

    মাত্র ছ’দিনে এই আইপিও-র মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের অর্থ দ্বিগুণের বেশি হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার বাজার বন্ধের সময় এক-একটি স্ক্রিপে লাভের পরিমাণ ৮১৩ টাকা। টাটা টেকের এই শেয়ার যে ভালই লাভ দেবে, তা আশা করেছিলেন শেয়ারবাজারের কারবারিরা। টাটা গোষ্ঠী যে তাঁদের নিরাশ করেনি, এদিনের বাজারের ছবিই তা-ই বলে দিচ্ছে। এখনও সপ্তাহও পার হয়নি বাজারে এসেছে এই শেয়ার। তার মধ্যেই টাটা টেকের শেয়ার পরিণত হল মাল্টিব্যাগার স্টকে।

    টিসিএসের পর এবার টাটা টেক

    প্রায় দু’ দশক পরে শেয়ার বাজারে এল টাটা গোষ্ঠীর কোনও আইপিও (Tata IPO)। এর আগে এই গোষ্ঠীর স্টক এসেছিল ২০০৪ সালে। সেবার তালিকাভুক্ত হয়েছিল টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস) এর শেয়ার। সেবারও ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল টাটার ওই শেয়ার। ফুলেফেঁপে উঠেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। এবারও বাজারে পা রেখেই টাটা টেকের রেকর্ড গড়ে ফেলল রেকর্ড। এলআইসির আইপিও-র রেকর্ড ভেঙে দেশের বৃহত্তম আইপিওতে পরিণত হয়েছে টাটা টেকের শেয়ার। আইপিও খোলার প্রথম দিনই মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই ইস্যুটি সাবস্ক্রাইব হয়ে গিয়েছিল একশো শতাংশ।

    আরও পড়ুুন: “জ্যোতিপ্রিয় জেলে, তাঁকে কেন বরখাস্ত করছেন না?” প্রশ্ন তুলে ওয়াক আউট বিজেপির

    বিডিংয়ের ক্ষেত্রেও চমক দিয়েছিল টাটা টেক। খুচরো বিনিয়োগকারীদের বিভাগে ১৬ বার এবং কোয়ালিফায়েড ইনস্টিটিউশনাল বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে ২০৩ বার ও নন ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টরদের বিভাগে ৬২ গুণ সাবস্ক্রিপশন দেখা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই কোম্পানির মোট আয়ের পরিমাণ প্রায় ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। কর বাদে সংস্থাটির মুনাফা ৩৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫২ কোটি টাকায় (Tata IPO)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET: ১৮ মাসের প্রশিক্ষিতরা বসতে পারবেন না প্রাথমিক টেটে, নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    TET: ১৮ মাসের প্রশিক্ষিতরা বসতে পারবেন না প্রাথমিক টেটে, নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণভাবে ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ হয় দু’বছরের। তবে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুল’ থেকে ‘ওপেন এন্ড ডিসট্যান্স লার্নিং মোড’-এ এই কোর্স ১৮ মাসের হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যে জানিয়েছে যে, ১৮ মাসের ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ যারা নিয়েছেন তাঁরা নতুনভাবে কোনও রকমের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (TET) অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র যাঁরা পূর্ণসময়ের এই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁরাই যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। সুপ্রিম নির্দেশ মেনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এবার সিদ্ধান্ত নিতে বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, ১৮ মাসের ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ নিয়ে পরীক্ষায় বসতে চান এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার।

    বিচারপতি কী নির্দেশ দিলেন এদিন?

    বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় এদিন নির্দেশ দেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কোর্টে জানাতে হবে। প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের টেট (TET) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। সেটাই ছিল শেষ টেট পরীক্ষা যেখানে অপ্রশিক্ষিতরাও বসার সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ ছাড়া নিয়োগ প্রসঙ্গে তখন রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল যে নিয়োগ হওয়ার পরে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ করিয়ে দেওয়া হবে। সেইমতো ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুল’ থেকে প্রচুর চাকরিরত শিক্ষক ডিএলএড-এর  ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ নেন। সমস্যা দেখা দেয় যখন তাঁরাই আবার প্রাথমিক টেটে ১৮ মাসের ডিএলএড-কে যোগ্যতা দেখিয়ে আবেদন করতে থাকেন।

    মামলার জল গড়ায় কোর্টে

    এরপরেই ২ বছরের পূর্ণ সময়ের ডিএলএড প্রার্থীদের একাংশ দ্বারস্থ হয় আদালতে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম নির্দেশকে পালন করার কথা এদিন বলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে শিক্ষক (TET) নিয়োগ নিয়ে ভুরি ভুরি অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়েই চলেছে কোর্টে, কখনও প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ, কখনও বা আবার অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ। এসবের মাঝে নতুন করে এবার প্রশিক্ষণ (TET) নিয়ে নয়া নির্দেশিকা দিল কোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assembly Winter Session: “জ্যোতিপ্রিয় জেলে, তাঁকে কেন বরখাস্ত করছেন না?” প্রশ্ন তুলে ওয়াক আউট বিজেপির  

    Assembly Winter Session: “জ্যোতিপ্রিয় জেলে, তাঁকে কেন বরখাস্ত করছেন না?” প্রশ্ন তুলে ওয়াক আউট বিজেপির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের বারবেলায়ও উত্তপ্ত হল বিধানসভা। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাওয়ায় জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মাসখানেক ধরে তিনি জেলে রইলেও, মন্ত্রিত্ব খোয়া যায়নি তাঁর। বৃহস্পতিবার এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক বিজেপির (Assembly Winter Session) শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, “জেলে থাকা অবস্থায় কীভাবে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক?” এনিয়ে শাসক-বিরোধী ব্যাপক হট্টগোল হয় সভায়। জ্যোতিপ্রিয়কে বরখাস্ত করার দাবি জানাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। এই দাবিতেই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন তাঁরা।

    ‘সরকার পুরোটাই দুর্নীতিগ্রস্ত’

    শঙ্কর বলেন, “একজন অভিযুক্ত মন্ত্রী কতখানি প্রভাবশালী যে জেলের ভেতরে থেকেও মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। এ নিয়ে বিধানসভার অন্দরে প্রশ্ন করতে গেলে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে। এ থেকেই তো স্পষ্ট, এই সরকার পুরোটাই দুর্নীতিগ্রস্ত।” বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, জ্যোতিপ্রিয় জেলবন্দি। এর পরেও তাঁকে মন্ত্রী বলা হবে? তিনি কীভাবে বিধানসভায় উপস্থিত থাকবেন? এসব প্রশ্ন তুলে এদিন পয়েন্ট অফ অর্ডার দাখিল করতে চান বিরোধীরা। এনিয়ে সভায় (Assembly Winter Session) শুরু হয় হট্টগোল। সেই সময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পয়েন্ট অফ অর্ডার আনতে হলে, তা আনতে হবে নির্দিষ্ট বিধি মেনে। এর পরেই স্লোগান দিতে দিতে ওয়াক আউট করেন পদ্ম-বিধায়করা।

    জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

    বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য, জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাই তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এই বিষয়টি নিয়ে বিধানসভার অন্দরে আলোচনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। শঙ্কর বলেন, “যদি এমনটাই ধরে নেওয়া যায় যে তিনি এখনও পর্যন্ত আদালতে দোষী সাব্যস্ত হননি, কেবল অভিযুক্ত রয়েছেন, তাহলেও স্পিকার এই বক্তব্যের বিরুদ্ধাচরণ না করে বলতেই পারতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। তাই তাঁকে এখনই রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হবে না। তা না করে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য বন্ধ করে দেন।” প্রসঙ্গত, এদিন পয়েন্ট অফ অর্ডারে জ্যোতিপ্রিয়কে বরখাস্ত করার বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন শঙ্করই।

    আরও পড়ুুন: জেল খাটা থেকে দলবদল! জানুন অদিতি মুন্সীর স্বামী, অভিষেক-ঘনিষ্ঠ দেবরাজের উত্থান

    প্রসঙ্গত, বুধবার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির জনসভায় খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রশ্ন তুলেছিলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস যদি দুর্নীতিমুক্ত হয়, তাহলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের সাসপেন্ড করে দেখাক।” তার ঠিক চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই জ্যোতিপ্রিয়কে বরখাস্ত করার দাবিতে ওয়াক আউট করলেন বিজেপি বিধায়করা (Assembly Winter Session)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘তৃণমূল তো ভয়ে বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না…”! কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘তৃণমূল তো ভয়ে বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না…”! কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই অমিত শাহের হাইভোল্টেজ জনসভার সাক্ষী থেকেছে তিলোত্তমা। সভায় উপচে পড়া ভিড় ভেঙে দিয়েছে অতীতের সমস্ত রেকর্ড। অমিত শাহের কলকাতা আসার দিনেই বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল পরিষদীয় দল। সেই মতো বিধানসভাতে গতকাল কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখান শাসক দলের বিধায়করা। তৃণমূল নেত্রীর নেতৃত্বে চলতে থাকে বিক্ষোভ। যানিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বৃহস্পতিবারই সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে বের হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল তো বিধানসভার বাইরে বের হতেই পারছে না। বিজেপি এবং মানুষের ভয়ে তাদেরকে বিধানসভায় ঢুকে যেতে হয়েছে। দিদিমণি এখন ওখান থেকেই ভাষণ দিচ্ছেন। বাইরে বেরিয়ে সভা করুক না একটা। তৃণমূল সারা বছর ধরে অর্থ এবং প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে একটা সভা করে (২১ জুলাই)। দুমাস আগে থেকে জেলায় জেলায় গেট করে, ফ্রি বাস, ট্রেনে করে লোক আনে। তারা ব্রিগেডে কেন করে না সভা? কত বছর আগে শেষবারের মতো ব্রিগেডে সভা করেছে! একটা করে দেখাক। আমরা তো বাৎসরিক ব্রিগেড করি।’’

    ওয়ার্ম আপ ম্যাচ

    অন্যদিকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ গতকালের বিজেপির সমাবেশকে কটাক্ষ করেন। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘ধর্মতলার এদিনের সভা ওয়ার্ম আপ ম্যাচ ছিল।’’ তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশই প্রকাশ্যে চলে আসছে। এ নিয়েও কটাক্ষ করতে শোনা যায় মেদিনীপুরের সাংসদকে। তাঁর (Dilip Ghosh) কথায়, ‘‘আমি জানি না কে কি করেছে? কে চোর? সেটা পাবলিক ঠিক করবে। চোরের মায়ের বড় গলা! নেতাদের মধ্যে হিম্মত নেই জনসভা করার। মুখ্যমন্ত্রীর সভা করার হিম্মত নেই। খোকাবাবু তো হারিয়ে গিয়েছেন। ছন্নছাড়া অবস্থা আজকে। তারাই আবার পার্টির মধ্যে আওয়াজ তুলছে বুড়োদের সরিয়ে যুবকদের আনো। আগে নিজেদের পার্টির ভিতরের ব্যাপারটা তারা ঠিক করে নিক। পার্টি থাকবে কিনা সেটাও আগামী দিনে বোঝা যাবে।’’

    প্রসঙ্গ নাগরিকত্ব আইন

    গতকালই অমিত শাহের বক্তব্যে উঠে আসে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় থেকে গোপাল মুখোপাধ্যায়ের (যিনি গোপাল পাঁঠা নামেই প্রসিদ্ধ) কথা। প্রসঙ্গত, জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ১৯৫১ সালে দেশের সাধারণ নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতা আসনটি থেকে জয়লাভও করেন তিনি। অন্যদিকে, ১৯৪৬ সালের গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর সময় কলকাতার রক্ষাকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন গোপাল মুখোপাধ্যায়। এই দুজনকে সম্মান জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘বাঙালি জাত্যাভিমান কি তুলে ধরবেন! শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কে ছিলেন? বাঙালি ছিলেন। বাঙালির হাতেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠা হয়েছে, জনসঙ্ঘের। এটা ঠিক যে মানুষকে মনে করাতে হয়। বাঙালি খুব ভুলে যায়। দেশ ভাগ হয়েছে, বাঙালি নির্যাতিত হয়েছে। মা বোনেদের সম্মান গেছে। কোটি কোটি লোক উদ্বাস্তু হয়েছে। আজকের যুব সমাজ যদি এগুলো ভুলে যায় তাহলে আবার উদ্বাস্তু হতে হবে। তাই উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ তৈরি করা হয়েছে। সেটাই উনি মনে করিয়ে দিয়েছেন। আমরাই সিএএ ইম্প্লিমেন্ট করব। সবই সময়ে হয়।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Henry Kissinger: শতবর্ষে প্রয়াত প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচবি হেনরি কিসিঞ্জার

    Henry Kissinger: শতবর্ষে প্রয়াত প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচবি হেনরি কিসিঞ্জার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শতবর্ষে প্রয়াত হলেন প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচবি হেনরি কিসিঞ্জার (Henry Kissinger)। কানেকটিকাটে নিজ বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত কয়েক বছর ধরে কিসিঞ্জার ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায়। ১৯৭৩ সালে বিশ্বশান্তিতে অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া মার্কিন কূটনৈতিক মহলে।

    মার্কিন নাগরিকত্ব পান কিসিঞ্জার

    কিসিঞ্জারের জন্ম ১৯২৩ সালে, জার্মানিতে। নাৎসি শাসনের ভয়ে তাঁর পরিবার চলে আসেন আমেরিকায়, ১৯৩৮ সালে। ১৯৪৩ সালে কিসিঞ্জার মার্কিন নাগরিকত্ব পান। এর তিন বছর পরে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। পরে যোগ দিয়েছিলেন গোয়েন্দা শাখায়ও। এই সময় তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর পিএইচডি করেন। পরে অধ্যাপনা করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৬৯ সালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন কিসিঞ্জার (Henry Kissinger Died)। সেই সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন নিক্সন।

    উগ্র ভারত-বিরোধী ছিলেন!

    ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের সময় নিক্সনের দূত হয়ে ভারতে এসেছিলেন তিনি। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ইন্দিরা-কিসিঞ্জার বৈঠকও হয়। যদিও সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। কারণ তখন আমেরিকা ছিল পাকিস্তানের বন্ধু দেশ। কিসিঞ্জারের উগ্র ভারত-বিরোধিতা চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় সেই সময়। পরে অবশ্য তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর এই বিরোধিতা নানা মহলের চাপের পরিণতি। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পর বেশ কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে শেষমেশ কিসিঞ্জার হন মার্কিন বিদেশ সচিব।

    আরও পড়ুুন: জেল খাটা থেকে দলবদল! জানুন অদিতি মুন্সীর স্বামী, অভিষেক-ঘনিষ্ঠ দেবরাজের উত্থান

    দুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও জেরাল্ড ফোর্ডের জমানায় বিদেশ সচিব হিসেবে কাজ করেছেন কিসিঞ্জার। বিদেশ সচিব হিসেবে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে হওয়া ইয়ম কিপ্পুরের যুদ্ধ থামাতে ১৯৭৩ সালে তাঁর ভূমিকার উল্লেখও করেন অনেকে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর প্যারিস শান্তি চুক্তিতেও তাঁর অবদান গুরুত্বপূর্ণ। মানবাধিকার প্রশ্নে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে দ্বন্দ্বের পরিবেশ বজায় রাখা, চিলির মতো বেশ কিছু দেশে স্বৈরাচারী শাসকদের মদত দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ১৯৬৯ সালে কম্বোডিয়ায় সিক্রেট বম্বিং ও পরবর্তী বছর মার্কিন অভ্যুত্থানের নেপথ্যে ছিলেন তিনিই। ইজরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলি সম্পর্ক গঠনেও তাঁর অবদান স্বীকার করেন কেউ কেউ (Henry Kissinger Died)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • IPC Bill 2023: সংসদের আসন্ন অধিবেশনেই পেশ হবে ন্যায় সংহিতা বিল ২০২৩! ইঙ্গিত কেন্দ্রের

    IPC Bill 2023: সংসদের আসন্ন অধিবেশনেই পেশ হবে ন্যায় সংহিতা বিল ২০২৩! ইঙ্গিত কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। এই অধিবেশনেই আইপিসি বিল ২০২৩ (IPC Bill 2023) পেশ করতে পারে নরেন্দ্র মোদির সরকার। বুধবার কেন্দ্রের তরফে ১৮টি বিল নিয়ে আলোচনার জন্য তালিকাভুক্তির নোটিশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তার মধ্যেই রয়েছে আইপিসি বিলটিও। এই বিল নিয়ে বিস্তর আপত্তি তুলেছে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ বিভিন্ন বিরোধী দল। তবে মোদি সরকার যে সে সবে বিশেষ আমল দিচ্ছে না, এই নোটিশ জারিই তার প্রমাণ।

    কী বলেছিলেন অমিত শাহ?

    সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিন ১১ অগাস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় জানিয়েছিলেন, ১৮৬০ সালে তৈরি আইপিসি প্রতিস্থাপিত হবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা দিয়ে (IPC Bill 2023)। ১৮৯৮ সালের ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট প্রতিস্থাপিত হবে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা বিল দিয়ে। আর ১৮৭২ সালের ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট প্রতিস্থাপিত হবে ভারতীয় সাক্ষ্য বিল দ্বারা। সেই সময়ই বিল তিনটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এনিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার প্রেক্ষিতেই আপত্তি জানান বিজেপি-বিরোধী কয়েকটি দল।

    পেশ হবে ১৮টি বিল

    এ ছাড়াও (IPC Bill 2023) আরও বেশ কয়েকটি বিল এই অধিবেশনেই আনতে চলেছে মোদি সরকার। বকেয়া ১১টি বিলও রয়েছে এর মধ্যে। নতুন বিল পেশ হবে ৭টি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল ২০২৩ পেশ হতে পারে। পোস্ট অফিস বিলটি আটকে রয়েছে রাজ্য সভায়। সেটিও পাশ করাবে সরকার। সচরাচর শীতকালীন অধিবেশন বসে নভেম্বরের মাঝামাঝি। এ বছর এই সময়টায় হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ অন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন বিরোধীরাও। সেই কারণেই ঠিক হয়, অধিবেশন বসবে ওই রাজ্যগুলির নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে।

    আরও পড়ুুন: শ্রমিক হয়ে উত্তরকাশীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সৌভিক! বেআব্রু বাংলার হা-শিল্প দশা

    সেই মতো অধিবেশন শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর। চলবে ২২ তারিখ পর্যন্ত। সব মিলিয়ে অধিবেশন হবে ১৫ দিন। আসন্ন অধিবেশন সরগরম হতে পারে কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে। ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে তাঁকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে সংসদের এথিক্স কমিটি। সেই সুপারিশ পেশ করতে পারেন অধ্যক্ষ। প্রথা মেনে অধিবেশন বসার আগে এবারও হবে সর্বদলীয় বৈঠক। ২ ডিসেম্বর হবে ওই বৈঠক। বৈঠকে যোগ দিতে সব দলকেই আবেদন করেছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand Tunnel Rescue: শ্রমিক হয়ে উত্তরকাশীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সৌভিক! বেআব্রু বাংলার হা-শিল্প দশা

    Uttarakhand Tunnel Rescue: শ্রমিক হয়ে উত্তরকাশীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সৌভিক! বেআব্রু বাংলার হা-শিল্প দশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য শেষ হয়েছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। ফি বার ঘটা করে জনগণের টাকায় হচ্ছে মোচ্ছব। রাজ্যবাসীর আইওয়াশ করতে সই হয় মউ-ও। সেসবই যে আসলে ধোঁকা, তা বেআব্রু করে দিলেন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে (Uttarakhand Tunnel Rescue) আটকে পড়া বাংলার এক শ্রমিকের পরিবার। বিষয়টি তাহলে খোলসা করেই বলা যাক।

    ‘বাংলায়ই কাজ করুক ছেলে’

    স্কুলের পাঠ চুকিয়ে ইলেকট্রিকেলে ডিপ্লোমা করেছিলেন সৌভিক পাখিরা। হুগলির পুরশুড়ার এই তরুণ তার পরেও চাকরি পাননি। চাষবাস করতেন। শেষমেশ কাজ পান উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে, সুড়ঙ্গ শ্রমিক হিসেবে। সেখানেই আরও ৪০ জন শ্রমিকের সঙ্গে টানা সতের দিন সুড়ঙ্গ-বাস করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়েছেন সৌভিক। তবে বাড়িতে ফেরেননি। সৌভিকের মায়ের অভিযোগ, বাংলায় কাজ নেই বলেই বাধ্য হয়ে বাইরে যেতে হয়েছে তাঁর ছেলেকে। তবে আর পাঁচজন বাঙালি মায়ের মতোই তিনিও চান, বাংলায়ই কাজ করুক লেখাপড়া জানা ছেলে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জের মানিক তালুকদারও টানা সতের দিন আঁধার-বাস (Uttarakhand Tunnel Rescue) করেছেন সুড়ঙ্গে। তাঁর পরিবারেরও আক্ষেপ, রাজ্যে কাজ থাকলে বাইরে যেতে হত না মানিককে।

    রাজ্যের শিল্প-চিত্রকে আক্রমণ তথাগতর

    রাজ্যের দু’ প্রান্তের এই দুই তরুণের করুণ কাহিনিটাই বস্তুত এ রাজ্যের শিল্প-চিত্র। ২০১১ সালে বাম-শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের কুর্সি দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। তার পর থেকে শিল্প-শিল্প করে ধুয়ো তোলা হয়েছে বারংবার। তার পরেও শিল্প হয়নি বলে অভিযোগ। শিল্প হবে বলে জনগণের করের টাকায় ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর নিয়ম করে হয়েছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। লক্ষ্মী ধরতে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্ষদদের (বিরোধীদের ভাষায় স্তাবক) নিয়ে ১২ দিন কাটিয়ে এসেছেন বিদেশে। তার পরেও লক্ষ্মীলাভ হয়নি রাজ্যের। অগত্যা রাজ্যের হা-শিল্প দশা ঘোঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী চপকেও (নিন্দুকরা বলছেন ঢপের চপ) শিল্পের মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি একবারও ভেবে দেখলেন না, প্রতি ঘরেই যদি তরুণরা তেলেভাজার দোকান দেন, তাহলে কিনবে কে?

    নিতান্তই নিরুপায় হয়ে তাই বাংলার তরুণদের খাটতে যেতে হচ্ছে তামাম ভারতে। পেটভর্তি বিদ্যে নিয়ে কেউ খাটছেন জন, কেউ বা সুড়ঙ্গ শ্রমিক। বিপদে পড়ে সেখান থেকে যাঁরা রাজ্যে ফিরছেন, তাঁরা কী করবেন? অতি কঠোর বাস্তব এই প্রশ্নটাই তুলে দিয়েছেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “সুড়ঙ্গ শ্রমিকরা তো অক্লান্ত চেষ্টার ফলে মুক্তি পেলেন। প্রশ্ন, এখন তাঁরা কী করবেন? তাঁদের পরিবারবর্গ বলছেন, তাঁদের আর রাজ্যের বাইরে যেতে দেবেন না। তাহলে কি তাঁরা মাননীয়ার ‘ডবল ডবল চাকরি’র ভরসায় বসে থাকবেন? নিউটাউনে বিনিয়োগ টেনে আনার যে কু-নাট্য অভিনীত হল, তার ওপর (Uttarakhand Tunnel Rescue) ভরসা করবেন?

    প্রাক্তন রাজ্যপালের এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন কে?

    আরও পড়ুুন: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share