Tag: Bengali news

Bengali news

  • Enforcement Directorate: আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে মধ্যরাতে ইডি-র হাতে গ্রেফতার ব্যবসায়ী কৌস্তুভ রায়

    Enforcement Directorate: আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে মধ্যরাতে ইডি-র হাতে গ্রেফতার ব্যবসায়ী কৌস্তুভ রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে কলকাতার ব্যবসায়ী কৌস্তুভ রায়কে গ্রেফতার (Kolkata Businessman Arrested) করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (Enforcement Directorate)। সোমবার মধ্যরাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর সূত্রের। 

    আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ

    কৌস্তুভের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়েছিল। এই প্রেক্ষিতে অতীতে তাঁর অফিসে ও বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। দফতরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কয়েক মাস আগে কৌস্তুভের বাড়ি ও দফতরে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। সেসময়ই বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে খবর মিলেছিল। তবে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তি তৈরি করার অভিযোগ। বিদেশ সফর নিয়েও কৌস্তুভ বেশ কিছু তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ।

    দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার

    সোমবার সকালে কৌস্তুভকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছিল ইডি (Enforcement Directorate)। কিন্তু তিনি পাল্টা চিঠি দিয়ে ইডিকে জানান, এদিন সকালে হাজিরা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। বিকেলে তাঁর দেখা করার সময় হবে। তখন ওই চিঠির প্রেক্ষিতে ইডি তাঁকে বিকেল ৪টেয় হাজিরা দিতে বলেছিল। সেই মতো, গতকাল বিকেল ৪টে নাগাদ সিজি-তে হাজিরা দেন কৌস্তুভ। সেখানে তাঁকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় অবশেষে রাত দেড়টা নাগাদ কৌস্তুভকে গ্রেফতার (Kolkata Businessman Arrested) করে ইডি। সূত্রের খবর, সোমবার বেশ কিছু নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি (Enforcement Directorate)। সূত্রের খবর, যা তিনি দেখাতে পারেননি। আর যেসব নথি তিনি পেশ করেছিলেন সেগুলিতে অসঙ্গতি মিলেছে। এর পরই কৌস্তুভকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর ফোনও।

    ‘শাসক-ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন কৌস্তভ, দাবি বিরোধীদের  

    প্রসঙ্গত, কৌস্তুভ একটি টিভি চ্যানেলের কর্তা। বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কৌস্তুভ। রাজ্যের শাসক শিবিরের একাধিক কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছে কৌস্তুভকে। বিরোধীদের দাবি, প্রত্যক্ষভাবে না থাকলেও, পরোক্ষভাবে শাসক শিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কৌস্তভ। বিরোধীদের আরও দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যখন কেন্দ্রীয় সংস্থা প্রথম তলব করেছিল, তখন তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল কৌস্তুভ রায়কে। শুধু তাই নয়, আগামী ২১ জুলাই তৃণমূলের কর্মসূচির সম্প্রচার করার দায়িত্বে কৌস্তভের চ্যানেল। বিরোধীদের দাবি, এর থেকেই প্রমাণিত, তিনি শাসক-শিবিরের কতটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Athletics Championships: এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে ২৭ পদক ভারতের, অভিনন্দন-বার্তা মোদির

    Asian Athletics Championships: এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে ২৭ পদক ভারতের, অভিনন্দন-বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ তম এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে (Asian Athletics Championships) অংশগ্রহণকারী ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত, তাইল্যান্ডে চলতি মাসের ১২-১৬ তারিখ পর্যন্ত বসেছিল এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। এই প্রতিযোগিতায় ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর সেখানে রাখতে পেরেছেন। মোট ২৭টি মেডেল এনেছেন দেশের খেলোয়াড়রা। প্রসঙ্গত, বিদেশের মাটিতে আয়োজিত কোনও প্রতিযোগিতায় এটাই হল সর্বোচ্চ মেডেল প্রাপ্তি। 

    অভিনন্দন বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    দেশের ক্রীড়াবিদদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী মোদি। এদিন নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানান অ্যাথলিটদের। তিনি লেখেন, দেশের অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে ২৫তম এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে (Asian Athletics Championships)। আমাদের অ্যাথলেটিকরা ২৭টি মেডেল জিতেছেন। বিদেশের মাটিতে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের জেতা এটাই সর্বোচ্চ মেডেল। এটা আমাদের গর্বের মুহূর্ত।

    ৬টি সোনা এনেছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা

    প্রসঙ্গত, এই প্রতিযোগিতায় (Asian Athletics Championships) জাপান শীর্ষে রয়েছে। তাদের সংগ্রহে রয়েছে ৩৭টি মেডেল। অন্যদিকে ভারতের ঝুলিতে আসা ২৭টি মডেলের মধ্যে রয়েছে ৬টি সোনা, ১২ টি রুপো, এবং ৯ টি ব্রোঞ্জ। এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের এই সাফল্য সারাদেশের ক্রীড়ামহলে প্রশংসিত হয়েছে। দেশে মোদি সরকারের আমলে খেলার পরিকাঠামোগত যে উন্নয়ন হয়েছে, তাতেই এমন সাফল্য মিলছে বলে মনে করছেন ক্রীড়া মহলের একাংশ। প্রসঙ্গত, দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে অ্যাথলিট তুলে আনতে মোদি সরকার গ্রহণ করে ‘খেলো ইন্ডিয়া’ প্রকল্প।

    আরও পড়ুন: ইন্টার মায়ামির হয়ে জনসমক্ষে এলেন মেসি! বার্ষিক বেতন কত জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজনৈতিক মামলার পাহাড়, উষ্মা প্রকাশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির

    Calcutta High Court: রাজনৈতিক মামলার পাহাড়, উষ্মা প্রকাশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক মামলার পাহাড় জমেছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। পরপর রাজনৈতিক মামলায় উষ্মা প্রকাশ করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, সারা দিন কি শুধু রাজনৈতিক মামলাই শুনব? অন্য মামলা কি আর শোনা যাবে না! এত এত রাজনৈতিক মামলা শোনার সময় দেওয়া যাবে না। এদিন কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচ মামলার শুনানিতে ওই কথাগুলি বলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত।

    সৌমেন্দুর রক্ষাকবচ

    প্রসঙ্গত, সৌমেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর রক্ষাকবচ ছিল ১৭ জুলাই পর্যন্ত। বেঞ্চ বদল হওয়ায় বিচারপতি মান্থার এজলাসের সমস্ত মামলা এসেছে বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাসে। সেই কারণেই সৌমেন্দুর মামলা ওঠে বিচারপতি সেনগুপ্তের (Calcutta High Court) এজলাসে। এরই কিছুক্ষণ আগে ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিধায়ক আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি। সেই মামলারও শুনানি হয়েছে বিচারপতি সেনগুপ্তর এজলাসে। তারপর সৌমেন্দুর মামলা উঠলে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি। জানা গিয়েছে, সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে ৮টি এফআইআর রয়েছে।

    ‘এত মামলা শোনার সময় দেওয়া যাবে না’

    বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, এই সব মামলা আমি রিলিজ করে দেব। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ২৭ থেকে ২৮টা মামলা রয়েছে। তার ওপর এই রকম আরও ১০টা মামলা এখনই রয়েছে। এত এত রাজনৈতিক মামলা শোনার সময় দেওয়া যাবে না।  

    আরও পড়ুুন: খুনের প্রতিবাদে ফাঁড়িতে বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, আইসি-কে ঝাঁটা দেখালেন মহিলারা

    এর পরেই আদালত (Calcutta High Court) জানায়, দু সপ্তাহ পরে এই মামলার শুনানি হবে। ততদিন পর্যন্ত সৌমেন্দুর রক্ষাকবচ বহাল থাকবে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, কেন রক্ষাকবচের বিরোধিতা করছে তারা। রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি সেনগুপ্তর প্রশ্ন, আগে কেন বিরোধিতা করা হয়নি রক্ষাকবচের? উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কংগ্রেস, বিজেপি, আইএসএফ, সিপিএম সহ বিভিন্ন দলের প্রার্থী ও তাঁদের পরিবার রক্ষাকবচ পায় হাইকোর্ট থেকে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার রক্ষাকবচের নির্দেশে বলা হয়, আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sensex: চাঙা বাজার, ফের বাড়ল সেনসেক্স, ঊর্ধ্বমুখী নিফটির সূচকও

    Sensex: চাঙা বাজার, ফের বাড়ল সেনসেক্স, ঊর্ধ্বমুখী নিফটির সূচকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চড়চড়িয়ে বাড়ছে শেয়ার বাজার। শুক্রবারের তুলনায় ৫২৯.০৩ পয়েন্ট বেড়ে সেনসেক্সের (Sensex) সূচক থামল ৬৬,৫৮৯.৯৩ পয়েন্টে। সোমবার সেনসেক্সের সূচক ছিল ৬৬ হাজার। সোমবার সেনসেক্সের সর্বোচ্চ সূচক ছিল ৬৬,৬৫৬.২১ পয়েন্ট। প্রত্যাশিতভাবেই বেড়েছে নিফটির পয়েন্টও। সোমবার নিফটি থেমেছে ১৯,৭১১.৪৫ পয়েন্টে। শুক্রবারের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪৬.৯৫ পয়েন্ট।

    লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী

    জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই সেনসেক্স ও নিফটির লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। ৩০ জুন শুক্রবার ৬৪ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে রেকর্ড গড়েছিল সেনসেক্স। নিফটিও পেরিয়ে গিয়েছিল ১৯ হাজারের চৌকাঠ। তার পর থেকে বেশিরভাগ দিনই ওপরের দিকে থেকেছে সেনসেক্স ও নিফটির সূচকের অভিমুখ। শেষমেশ গড়ল সর্বকালীন (Sensex) রেকর্ড। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে এদিন সর্বোচ্চ লাভের তালিকায় ছিল ব্যাঙ্কেক্স, ফিন্যান্স ও স্মলক্যাপ। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে সর্বোচ্চ লাভের তালিকায় রয়েছে মিডিয়া, সরকারি ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক, বেসরকারি ব্যাঙ্ক এবং ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস।

    ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ

    ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে লাভের তালিকায় শীর্ষে থাকা মিডিয়া সেক্টরের লাভের পরিমাণ ৩.১৫ শতাংশ, সরকারি ব্যাঙ্কের সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ২.২৫ শতাংশ এবং ব্যাঙ্কের ১.৪১ শতাংশ। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে এক শতাংশের ওপর লাভ করেছে ব্যাঙ্কেক্স ও ফিনান্স সেক্টর। এদিন ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ ও বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অটো এবং রিয়্যালিটি। সেনসেক্স প্যাক থেকে, এসবিআই, উইপ্রো, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক ও ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক লাভবান অবস্থায় ছিল।

    আরও পড়ুুন: ‘চুরিতে নোবেল পেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    জুন ত্রৈমাসিকে ১২,৩৭০ কোটির নিট মুনাফায় ২৯.১৩ শতাংশ লাফ দেওয়ার পরে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক ২ শতাংশ বেড়েছে। পিছিয়ে ছিল টাইটান, ভারতী এয়ারটেল, টাটা মোটর্স এবং জেএসডব্লিউ স্টিল। এর মধ্যে টাটা মোটর্স ছাড়া বাকি সবকটি সংস্থারই বাজারদর (Sensex) পড়েছে এক শতাংশের কম। নীচের দিকে শেষ হয়েছে এশিয়ান বাজার, সিউল ও সাংহাই। শুক্রবার মার্কিন বাজারগুলি মিশ্র ফল দিয়েছে। গ্লোবাল অয়েল বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড ১.৬২ শতাংশ কমে হয়েছে ৭৮.৫৮ মার্কিন ডলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu & Kashmir: ভারত সরকারের মাইনে নিয়েও রেখেছিলেন জঙ্গি-যোগ, ভূস্বর্গে বরখাস্ত তিন কর্মী

    Jammu & Kashmir: ভারত সরকারের মাইনে নিয়েও রেখেছিলেন জঙ্গি-যোগ, ভূস্বর্গে বরখাস্ত তিন কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি করছেন ভারত সরকারের। ফি মাসে মাইনে বাবদ নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকাও। অথচ নিয়মিত পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) তিন সরকারি কর্মী। জঙ্গি-যোগের কথা প্রকাশ্যে আসতেই বরখাস্ত করা হয়েছে ওই তিন কর্মীকে। যে তিনজনকে বরখাস্ত করার কথা জানা গিয়েছে সোমবার, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক ফাহিন আসলাম, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কনস্টেবল আরশিদ আহমেদ থোকের এবং রাজস্ব দফতরের আধিকারিক মুরুয়া হুসেন মির।

    বরখাস্তের কারণ

    জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা তাঁদের বরখাস্ত করেন। সংবিধানের ৩১১ (২)(সি) ধারায় বরখাস্ত করা হয়েছে ওই তিনজনকে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছিলেন ওই তিনজন। শুধু তাই নয়, জঙ্গিদের রসদ সরবরাহ, জঙ্গিদের মতাদর্শ প্রচার এবং জঙ্গিদের জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজও করছিলেন তাঁরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁদের।

    কে এই ফাহিম?

    জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jammu & Kashmir) ফাহিমকে যে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, সেজন্য তাঁর কোনও ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি, হয়নি পুলিশ ভেরিফিকেশনও। কোনও বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়নি। এহেন ফাহিমই উপত্যকায় জঙ্গিবাদের মূল প্রচারক। ২০০৮ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ করা হয় ফাহিমকে। তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। প্রথমে তাঁকে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। গিলানি ঘনিষ্ঠ ফাহিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কাশ্মীরি আর এক বিচ্ছিন্নতাবাদী ইয়াসিন মালিকের। এই ইয়াসিনকে এনআইএর স্পেশাল কোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্যে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাঁকে।  

    আরও পড়ুুন: বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    উপত্যকায় ফাহিম জঙ্গিদের (Jammu & Kashmir) হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করতেন বলে অভিযোগ। ২০০৮, ২০১০ ও ২০১৬ সালে যে হিংসাত্মক আন্দোলন হয় উপত্যকায়, তার আয়োজক ছিলেন ফাহিমই। কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হত, তারও মূল মাথা ছিলেন তিনিই। কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহিত হয়েছে ৩৭০ ধারা। তারপর থেকে একটু একটু করে শান্তি ফিরছে ভূস্বর্গে। এমতাবস্থায়ও ফাহিম পড়ুয়াদের মধ্যে বপন করে যাচ্ছিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদী মানসিকতার বীজ। জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে তাঁর কার্যকলাপ বিপজ্জনক বলেও দাবি প্রশাসনের।

    এদিকে, নিয়ন্ত্রণ রেখায় ফের ব্যর্থ করে দেওয়া হল অনুপ্রবেশ। রবিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত পুঞ্চে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে জঙ্গিরা। নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি চালালে মৃত্যু হয় দুই অনুপ্রবেশকারীর। প্রসঙ্গত, ১০ জুলাইও রাজৌরি সেক্টরে নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি করে মারে এক অনুপ্রবেশকারীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালত (Calcutta High Court) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের করা সেই মন্তব্যের জন্য মামলাকারীকে বৃহত্তর বেঞ্চে আবেদন করার পরামর্শ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। বিচারপতিকে নিয়ে অভিষেকের পৃথক একটি মন্তব্যের মামলা চলছে বৃহত্তর বেঞ্চে। সোমবার সেই বেঞ্চেই আবেদনের পরামর্শ দিলেন প্রধান বিচারপতি।

    রুল জারির দাবি

    এদিন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য ও শাক্য সেন প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেকের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন। তাঁদের দাবি, ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করুক। রুল জারি করুক। এদিন অভিষেকের নাম না করে আইনজীবীরা বলেন, “ওঁর বক্তব্য হাইকোর্ট খুনিদের রক্ষাকবচ দিচ্ছে। হাইকোর্টের জন্যই নির্বাচনে এত রক্তারক্তি। তিনি কার্যত বিচার ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছেন। এর আগেও তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।”

    বেলাগাম অভিষেক! 

    আদালত (Calcutta High Court) অবশ্য স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করার দাবি মানেনি। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের বিশেষ বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে খবর। শুক্রবার এসএসকেএমে জখম তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানে নির্বাচনোত্তর হিংসা নিয়ে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করান বিজেপিকে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি ক্ষোভ উগরে দিতেও দেখা যায় তাঁকে। অভিষেককে বলতে শোনা যায়, “আমি বারবার বলছি বিচার ব্যবস্থার একাংশ বিজেপিকে মদত দিচ্ছে। …সমাজবিরোধীদের মদত দেওয়া হচ্ছে, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক।”

    আরও পড়ুুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকে এও বলতে শোনা যায়, “কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) একজন বিচারপতির জন্য গোটা বিচার ব্যবস্থা কলুষিত হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি সাধারণ মানুষকে চাপা দিয়ে চলে যাচ্ছে, তবু পদক্ষেপ করা যাচ্ছে না। ওই বিচারপতি শুভেন্দুকে এমন রক্ষাকবচ দিয়েছেন যে আগামী দিনেও ওঁর কোনও অপরাধের জন্য পুলিশ পদক্ষেপ করতে পারবে না।” বিচার ব্যবস্থার প্রতি একজন সাংসদের এহেন মন্তব্য কতটা সমীচিন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে রাজ্যজুড়ে। এদিন আদালতে বিকাশ বলেন, “ওই বিচারপতির বাড়িতে আগেও পোস্টার সাঁটা হয়েছে। তা নিয়ে হাইকোর্ট বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছিল। শাসক দলের নেতাদের এই ধরনের মন্তব্য বন্ধ না হলে মর্যাদা হানি হবে হাইকোর্টের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘দেশের সর্বকালের সেরা কূটনীতিক ভগবান হনুমান’’, তাইল্যান্ডে বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘‘দেশের সর্বকালের সেরা কূটনীতিক ভগবান হনুমান’’, তাইল্যান্ডে বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘দেশের সর্বকালের সেরা কূটনীতিক ভগবান হনুমান।’’ সম্প্রতি ব্যাংকক সফরে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। জানা গিয়েছে, প্রবাসী ভারতীয়দের একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সেখানেই এমন মন্তব্য করেন তিনি। তবে এটাই প্রথম নয়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পুনেতে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানেও একই মন্তব্য করেছিলেন জয়শঙ্কর। মোদি মন্ত্রিসভায় অন্যতম দুঁদে এই প্রাক্তন আমলা দিন কয়েক আগেই গুজরাট থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। নিজের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন ব্যাখ্যাও দিয়েছেন জয়শঙ্কর।

    ঠিক কী বলেছেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)?

    তাইল্যান্ডের ওই অনুষ্ঠানে এদিন উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আপনারা যদি আমার কাছে জানতে চান যে কাকে আমি সেরা কূটনীতিবিদ হিসাবে গণ্য করি, আমার উত্তর একটাই হবে, ভগবান হনুমান।’’ 

    এই মন্তব্যের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে রামায়ণের প্রসঙ্গও টেনে আনেন বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)। তিনি বলেন, ‘‘অজানা এক জায়গায় গিয়ে মা সীতাকে খুঁজে বার করা, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা, তাঁর মানসিক জোর বাড়ানো এবং একটি জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া। পুরো বিষয়টি সম্পন্ন করে সফলভাবে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন তিনি।’’

    মোদিকে পাওয়া দেশের ভাগ্যের বিষয়

    তাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী মোদির ভূয়সী প্রশংসা করতে শোনা যায় জয়শঙ্করকে (S Jaishankar)। তিনি বলেন, ‘‘আমার মতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকে পাওয়া দেশের জন্য ভাগ্যের বিষয়। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং আমি তাঁর মন্ত্রিসভার একজন সদস্য। সেই কারণে আমি এই মন্তব্য করছি না।’’ কোভিড পরিস্থিতিতে মোদি সরকার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যেভাবে কাজ করেছে সেকথাও উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। প্রসঙ্গত, কোভিড সময়ে মোদি সরকার প্রত্যেক মহিলার অ্যাকাউন্টে নগদ টাকা পাঠানো থেকে শুরু করে ৮০ কোটি মানুষকে ফ্রিতে রেশন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। দেশের প্রতিটি নাগরিককে শক্তিশালী কোভিড ভ্যাকসিনও দেয় মোদি সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Attack on Pak Hindu Temple: পাকিস্তানে পরপর ভাঙা হল দুই মন্দির! বুলডোজারের পর রকেট হামলা

    Attack on Pak Hindu Temple: পাকিস্তানে পরপর ভাঙা হল দুই মন্দির! বুলডোজারের পর রকেট হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে ফের আক্রান্ত হিন্দু মন্দির (Attack on Pak Hindu Temple)। গত ২৪ ঘণ্টায় সিন্ধ প্রদেশে দু’টি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর ও লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতেই পাকিস্তানের করাচিতে একরকম নিঃশব্দে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একটি হিন্দু মন্দির। মারি মাতার সেই ১৫০ বছর পুরনো মন্দিরটি ভেঙে শপিং কমপ্লেক্স উঠবে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার ফের পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের কাশমোড় এলাকায় ধ্বংস করা হল আরও একটি হিন্দু মন্দির! এবার রীতিমতো রকেট হামলা চালিয়ে ভাঙা হয়েছে মন্দিরটি (2 Hindu Temples)।

    মন্দিরে রকেট হামলা

    সিন্ধ প্রদেশের কাশমোড় অঞ্চলে রবিবার সকালে একদল দুষ্কৃতী রকেট লঞ্চার নিয়ে আক্রমণ শানায় একটি হিন্দু মন্দিরে (Attack on Pak Hindu Temple)। ওই  এলাকায় বহু সংখ্যক হিন্দু পরিবারের বাস। যে মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে বছরে একবার করে পুজো দেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, রবিবার দুষ্কৃতীরা একেবারে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে মন্দির চত্বরে এবং রকেট হামলায় মন্দির ধ্বংস করে। ঘটনাচক্রে সে সময়ে মন্দিরটি বন্ধ ছিল বলে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে। মন্দির সংলগ্ন হিন্দু জনবসতির উপরও নির্মম অত্যাচার ও লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক’, মোদির সঙ্গে সেলফি পোস্ট আপ্লুত মাক্রঁর

    সিন্ধের ঘটনায় (Attack on Pak Hindu Temple) এখনও কাউকে ধরা যায়নি। মোট ৯ জন বন্দুকবাজ জড়িত ছিল বলে অনুমান করছে পুলিশ। স্থানীয় হিন্দুদের বাগরি সম্প্রদায়ের সদস্যরা জানিয়েছেন, কারও ক্ষতি না হলেও, এই হামলার জেরে স্থানীয় সংখ্যালঘু হিন্দুরা আতঙ্কিত। পুলিশের কাছে স্থানীয়দের সুরক্ষারও আবেদন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী তথা বাগরি সম্প্রদায়ের সদস্য ডাঃ সুরেশ জানান, ‘ডাকাত দলের প্রত্যেকের হাতে ছিল বন্দুক। রকেট লঞ্চারের মাধ্যমে মন্দির ধ্বংস করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। কিন্তু তাতে ওই ডাকাতদল সফল হয়নি। কারণ, রকেট লঞ্চারটি কাজ করেনি। তার ফলে বড় কোনও বিপদ ঘটেনি।’

    করাচিতে ধ্বংস ১৫০ বছরের পুরনো মন্দির

    অন্যদিকে, করাচির সোলজার বাজারে অবস্থিত ১৫০ বছরের মারি মাতার মন্দিরের (Attack on Pak Hindu Temple) জমি শপিং প্লাজার এক প্রোমোটারকে চড়া দামে বেচে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাক সরকারের বিরুদ্ধে। সেই মতোই শুক্রবার মধ্যরাতে বুলডোজার এনে মন্দির ভাঙা শুরু হয়ে যায়। পুলিশ ছিল ঘটনাস্থলেই। তবে অভিযোগ, বাধা দেওয়া দূরের কথা, দাঁড়িয়ে দেখেছে তারা। এই মন্দিরে আগেও ঝামেলা হয়েছে। গত বছরের জুনেই এই মন্দিরে দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুরের খবর মিলেছিল। ওই মন্দিরের পুরোহিত রাম নাথ মিশ্র জানান, ‘প্রথমে স্থানীয় কর্তপক্ষ বলেছিল মন্দিরের মূল দ্বার ও একটি দেওয়াল ভাঙা হবে। কিন্তু লোডশেডিং করে পুরো মন্দির গুঁড়িয়ে দিল ওরা। ১৫০ বছর ধরে এই মন্দির রয়েছে। বহু ভক্ত সমাগম হয়। আসলে অনেকটা অংশ জুড়ে এই মন্দির। যা ভুয়ো কাগজ বের করে বানিজ্যিক সংস্থাকে বেচে দেওয়া হয়েছে। মন্দির পুরানো হয়ে গিয়েছে, বিপজ্জনক বলে এভাবে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া অনুচিত। আশা করব প্রশাসন প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেবে।’ উল্লখ্য, পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের কাছে হিন্দু সংগঠনগুলি সুবিচারের দাবি জানিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির আগেই বহু বিবাহ রোধে বিল আনছে অসম সরকার!

    UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির আগেই বহু বিবাহ রোধে বিল আনছে অসম সরকার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (UCC) পক্ষে সওয়াল করেছেন খোদ প্রাধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিজেপির অ্যাজেন্ডায়ও রয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করার কথা। আসন্ন বাদল অধিবেশনেই এ সংক্রান্ত বিল পেশ হতে পারে বলে কিছু দিন আগেই দাবি করেছিলেন দিল্লির এক বিজেপি নেতা। তবে দেশে কবে লাগু হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, তার অপেক্ষায় থাকছেন না অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

    বহু বিবাহ রোধে রাজ্য বিল

    তিনি জানান, বহু বিবাহ রোধে রাজ্য বিল পাশ করবে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধির ব্যাপারে যতক্ষণ না চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ততদিন এই আইন লাগু থাকবে রাজ্যে। এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর সিদ্ধান্তের বিষয়ে কেন্দ্রের প্রতি আমাদের রাজ্যের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। বহু বিবাহ রোধে অসম সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (UCC) বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে পার্লামেন্টে।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    তবে রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্যের। ল’ কমিশন এবং পার্লামেন্টারি কমিটি বর্তমানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্য ও সংগঠনের মত জানতে চেয়েছে। অসম সরকার এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছে। তিনি জানান, বহু বিবাহ রোধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি বর্তমানে ঝুলে রয়েছে অসমে। এর কারণ হল, এটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিলের একটা অংশ মাত্র। তিনি বলেন, তাই আমরা ভাবছি অসমে দ্রুত বহু বিবাহ রোধে বিল আনা যায় কিনা।

    আরও পড়ুুন: “তুঙ্গে মোদির জনপ্রিয়তা, তাই কলেবরে বাড়ছে এনডিএ”, বললেন রাজনাথ

    গত মে মাসেই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ঘোষণা করেছিলেন, বহু বিবাহ রোধে বিল পাশ করাবে অসম সরকার। এজন্য গুয়াহাটি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রুমি ফুকানের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গড়া হয়েছিল। রিপোর্ট দেওয়ার জন্য কমিটিকে ৬০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। যদি এই সময়সীমার মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটি রিপোর্ট দিতে পারে, তাহলে সেপ্টেম্বরে বিধানসভার অধিবেশনেই পেশ করা হবে বিলটি (UCC)। তা নিতান্তই সম্ভব না হলে বিলটি পেশ করা হবে জানুয়ারিতে, শীতকালীন অধিবেশনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “তুঙ্গে মোদির জনপ্রিয়তা, তাই কলেবরে বাড়ছে এনডিএ”, বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: “তুঙ্গে মোদির জনপ্রিয়তা, তাই কলেবরে বাড়ছে এনডিএ”, বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতে মোদিজির (PM Modi) জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তিনি ক্রমেই বিশ্ব নেতা হয়ে উঠছেন। তিনি বিদেশেও ভারতকে গর্বিত করছেন।” কথাগুলি বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। রবিবার লখনউয়ের এক জনসভায় তিনি বলেন, “আগে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনা হত না। আজ যখন ভারত কথা বলে, তখন সমগ্র বিশ্ব তা শোনে।”

    ভারতের সম্মান বৃদ্ধি

    রাজনাথ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলিতে ভারতের কথায় গুরুত্ব দেওয়া হত না। আজ যখন ভারত কথা বলে, গোটা বিশ্ব মনযোগ দিয়ে সেই কথা শোনে। যখন আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী অন্য দেশ সফরে যান, তাঁকে কীভাবে স্বাগত জানানো হয়, তা আপনারা টিভিতে দেখেছেন।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ওঁকে ‘বস’ বলে সম্বোধন করেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট মোদিজিকে বলেন যে আপনি বিশ্বের শক্তিশালী নেতা। তাঁর স্বাক্ষর নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। মুসলিম দেশগুলিও তাঁকে সর্বোচ্চ সম্মান দিচ্ছে। পাপুয়া গিনির প্রধানমন্ত্রী পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছেন। এটা অত্যন্ত সম্মানের। শুধু ওঁর কাছে নয়, সব ভারতবাসীর কাছেই।”

    ভারতের উন্নতি

    তিনি বলেন, “ভারত বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া অর্থনীতির দেশ। ২০১৩-১৪ সালে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারত ছিল ১১ নম্বরে। বর্তমানে তা পঞ্চম স্থানে এসে পৌঁছেছে। লখনউয়ে দেশের ইঞ্জিনিয়ররা ব্রাহ্মোস মিশাইল তৈরি করছেন। এই মিশাইল বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ রেলপথ তৈরি হবে। তার জেরে হবে প্রচুর কর্মসংস্থানও।”

    আরও পড়ুুন: ভারতের ‘নুন’ খেয়ে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ধৃত উত্তর প্রদেশের যুবক

    এদিনই এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, “গোটা ভারতে মোদিজিকে চ্যালেঞ্জ করার মতো কেউ নেই। মোদির নেতৃত্বে পূর্ণ আস্থা রয়েছে তামাম ভারতবাসীর। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব নেতা হয়ে উঠছেন। সেই কারণে অনেক রাজনৈতিক দলই আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এবং রাজনৈতিক দলগুলি জানে একটি শক্তিশালী জোটে শামিল হলে তবেই ভবিষ্যৎ নিরাপদ।” তিনি বলেন, “এনডিএ যা ছিল, তা আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হতে চলেছে।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধেয় দিল্লির অশোকা হোটেলে বসছে এনডিএর বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবে ৩০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share