Tag: Bengali news

Bengali news

  • Train Accident: বালাসোর যেন মৃত্যুপুরী! রেললাইনে শোয়ানো সারি সারি দেহ

    Train Accident: বালাসোর যেন মৃত্যুপুরী! রেললাইনে শোয়ানো সারি সারি দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালাসোর যেন ঠিক মৃত্যুপুরীর চেহারা নিয়েছে। শুক্রবার বিকেল অবধি যে জায়গা স্বাভাবিক ব্যস্ত জনপদ ছিল। রাত থেকেই বদলে যায় তার চিত্র। হাহাকার, রক্তমাখা দেহ। কারও হাত আছে তো পা নেই আবার পা আছে তো হাত নেই। ভোররাতে সূর্যের অস্ফুট আলো ফুটে উঠতেই বোঝা যায় দুর্ঘটনা (train accident) কতটা ভয়ঙ্কর ছিল। রেললাইন দিয়ে ট্রেন চলছেনা বদলে সারি সারি ভাবে সাদা কাপড়ে মোড়া মৃতদেহ। কামরার জানলাগুলি থেকে বেরিয়ে এসেছে হাত-পা। জানা যাচ্ছেনা তারা জীবিত না মৃত। কারণ তা জানতে কামরার ভিতরে ঢুকতে হবে। কিন্তু তালগোল পাকানো কামরার ভিতরে ঢোকার প্রশিক্ষণ তো উদ্বারকারীদের জানা নেই। ভরসা এখন গ্যাস কাটার। সময় যত পেরবে ততই বাড়বে মৃত্যুর সংখ্যা, এমনটাই জানাচ্ছেন উদ্বারকারীরা। 

    আরও পড়ুন: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ২৩৩, আহত ৯০০-র বেশি

    স্থানীয়রাই প্রথম এগিয়ে আসে উদ্বারের কাজে

    উদ্বারের কাজে ত্রুটি কিছু রাখেনি সরকার। ড্রোন, স্নিপার ডগ এমনকি হেলিরকপ্টার পর্যন্ত ব্যবহার করছে এনডিআরএফের টিম। তবে সবথেকে আগে হাত বাড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই সমানতালে তাঁরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। শনিবার দুপুর অবধি খবর পাওয়া গেছে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এবং তা ২৬০ অতিক্রম করেছে আহত ৯০০ জনেরও বেশি। এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ‘‘দুর্ঘটনার (train accident) সময় আমি কাছেই ছিলাম। প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আমরা উদ্ধার করেছি।’’ তাঁর আরও দাবি, ভিতরে চাপা পড়ে রয়েছে আরও বহু দেহ। এদিন আহতদের রক্ত দিতে বালাসোরের হাসপাতালে দেখা যায় স্থানীয়দের লম্বা লাইনও।

    ট্রেন যাত্রীর বিবরণ

    ট্রেনের এক যাত্রী তো নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে শিউরে উঠছেন। তিনি বলেন, ‘‘তখন ঘুমাচ্ছিলাম ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেগে উঠে দেখি প্রায় ১০-১৫ জন আমার উপরে পড়ে আছে। আমি হাত ও ঘাড়ে আঘাত পেয়েছি। ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যখন আমি ট্রেন থেকে নামলাম দেখি চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিচ্ছিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। একটি পা এখানে, একটি হাত সেখানে। কারও মুখ বিকৃত।’’ 

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    রেল আপৎকালীন(হাওড়া): ২২৯৩৩, ০৩৩-২৬৪১৩৬৬০
    রেল অনুসন্ধান(টোল-ফ্রি): ২২২৪৪, ২২২৫৫, ২২২৬৬
    বিএসএনএল: ২৬৪০-২২৪১, ২৬৪০-২২৪২, ২৬৪০-২২৪৩
    হাওড়া: ০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়্গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: পরিবারের একমাত্র আয় করতেন এই রাজমিস্ত্রি, মৃত্যু ট্রেন দুর্ঘটনায়

    Coromandel Express Accident: পরিবারের একমাত্র আয় করতেন এই রাজমিস্ত্রি, মৃত্যু ট্রেন দুর্ঘটনায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবারের একমাত্র রোজগার করতেন মহিউদ্দিন শেখ। তাঁর বাড়ি ছিল কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নম্বর এলাকায়। কাজ করতে যাচ্ছিলেন দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যে। গতকাল বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনা (Coromandel Express Accident) প্রাণ কেড়ে নেয় তাঁর। পরিবারে মধ্যে শোকের ছায়া বর্তমান।

    ট্রেন দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) মৃত্যু হল কাকদ্বীপ বাসিন্দার

    মূলত প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার কাকদ্বীপ নামখানা পাথরপ্রতিমা সহ বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকেরা ভিন রাজ্যে যান কাজের উদ্দেশ্যে। কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে সাত আট জনের একটি দল, ভিন রাজ্যে যাচ্ছিলেন শ্রমিকের কাজের উদ্দেশ্যে। শালিমার থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস করে যাচ্ছিলেন সকলেই। হঠাৎ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নেয়, পরিবারের একমাত্র রোজগার করা মহিউদ্দিন শেখের। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন বারে বারে ফোন করতে থাকে মহিউদ্দিনকে। কিন্তু দুর্ঘটনার পরে তৎক্ষণাৎ ফোনে পাওয়া যায়নি তাঁকে। আরও কিছুক্ষণ পর সহকর্মীদের মধ্যে থেকে একজনের ফোন আসে বাড়ির ফোনে এবং পরিবারকে জানানো হয়, মহিউদ্দিন আর নেই! ট্রেন দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) প্রাণ গেছে তাঁর! এরপর হোয়াটস্যাপে ছবি দেখে মহিউদ্দিন শেখকে শনাক্ত করে পরিবার। পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় আরও বেশ কিছুজন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ট্রেনের এই দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।

    পরিবারের বক্তব্য

    দাদা আব্দুল সালাম বলেন, গতকাল রাতে ১২ টায় আমি মহিউদ্দিনের মোবাইলে ফোন করি, কিন্তু প্রথমে কেউ ধরে নি ফোন। পরে অন্য একজন ওর ফোন থেকে ফোন করে বলে যে দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) মারা গেছে সে। পরিবারকে চালানোর জন্য মহিউদ্দিন দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেই যাচ্ছিলেন। পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী এবং পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন মহিউদ্দিন। দাদা আরও জানান, মহিউদ্দিনের বাড়িতে বর্তমানে তিন ছেলে এবং স্ত্রী বর্তমান। তাঁরই রোজগারে তাঁর পরিবারের সংসার চলত। কিন্তু এখন এই ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর শ্রমিকের পরিবারের এই সংসার, কীভাবে চলবে, তাই নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করছেন দাদা আব্দুল সালাম। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident:  ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ তপনের চন্দন রায়, উদ্বেগে পরিবার

    Train Accident: ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ তপনের চন্দন রায়, উদ্বেগে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে কাজ নেই। রোজগারও তলানিতে। মা, স্ত্রী আর পাঁচ বছরের সন্তানকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার গাঁও গঙ্গারামপুরের চন্দন রায়। ভালো রোজগারের আশায় ভগ্নিপতি নিত্যম রায়ের সঙ্গে প্রথম কেরালায় রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছিলেন তিনি। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে তাঁদের টিকিট ছিল। ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) পর থেকে চন্দনবাবুর কোনও হদিশ পাচ্ছেন না পরিবারের লোকজন। চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন সকলে।

    কী বললেন চন্দনের স্ত্রী?

    চন্দনবাবুর ভগ্নিপতি নিত্যম রায়ের বাড়ি মালদহের বামনগোলায়। দুজনেই করমন্ডল এক্সপ্রেসে এক কামরায় ছিলেন। চন্দনবাবুর স্ত্রী চিত্রা রায় বলেন, “ট্রেনে ওঠার পর ও আমাকে ফোন করে জানায়, বিকেলের দিকে ট্রেন ছাড়ার পর ও বলে, ট্রেন ছাড়ল। পৌঁছে গিয়ে ফোন করব। সেই আশায় ছিলাম। সন্ধ্যার পর খবরে দেখি করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) ঘটেছে। আর ওরা ওই ট্রেনে ছিল, তা জানতাম। সঙ্গে ওর মোবাইলে ফোন করি। কিন্তু, মোবাইল সুইচড অফ পাই। এরপর আমার ননদাইকে ফোন করি। কিন্তু, তাঁর মোবাইল থেকে একজন ফোন তুলে আমার সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলেন। যেটুকু বুঝলাম তাতে আমার ননদাই আর বেঁচে নেই। আর আমার স্বামীর খোঁজ কেউ দিতে পারলেন না। ও এখন বেঁচে আছে না কোথায় আছে কিছুই জানি না। খুব উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটছে। আমার স্বামীকে খুঁজে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আমি আবেদন জানিয়েছি। থানাতেও গিয়েছি।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    স্থানীয় বিজেপি নেতা জুল্লুর রহমান চন্দনবাবুর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে শনিবার সকালে গিয়ে দেখা করেন। তিনি বলেন,”আমরা বিষয়টি জানার পর হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করে সব জানিয়েছি। আমাদের রাজ্যে থেকে যে উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে (Train Accident) গিয়েছে তাঁদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখেছি। আমরা থানায় জানিয়েছি। বিজেপির পক্ষ থেকে ওই পরিবারকে সবরকমভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আমরা তাঁদের পাশে সবসময় রয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: কামরার কেবল মাত্র চারজন বেঁচে ছিলাম, অনেক কষ্টে প্রাণ নিয়ে ফিরেছি

    Coromandel Express Accident: কামরার কেবল মাত্র চারজন বেঁচে ছিলাম, অনেক কষ্টে প্রাণ নিয়ে ফিরেছি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) রেল দুর্ঘটনা গাইসালের রেল দুর্ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিল। ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছেই হাওড়া থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, একটি মাল গাড়ি এবং হাওড়াগামী যশবন্তপুর এক্সপ্রেস লাইন থেকে চ্যুত হয়ে পরস্পর ধাক্কা লেগে একের পর এক কামরা উপরে উঠে গিয়ে ব্যাপক দুর্ঘটনা ঘটে। সূত্রে জানা যায়, ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের যাত্রীদের সংখ্যা ছিল সবথেকে বেশি। এই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা থেকে যাঁরা প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরেছেন, তাঁদের জীবনের অভিজ্ঞতা এক কঠিন বাস্তবতার পরিচয় বহন করে। চোখের সামনেই ছিল মৃত্যু, সেই মৃত্যুকে পাশ কাটিয়ে তাঁরা ফিরলেন বাড়িতে।

    দুর্ঘটনা (Coromandel Express) থেকে ফিরে কী বলছেন ক্যানিং-এর বাসিন্দা

    এই রেল দুর্ঘটনায়, একেবারে প্রাণ হাতে করে নিয়ে ফিরেছেন বাসন্তীর ফুল মালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের লেবুখালীর দুই বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম মোল্লা এবং পারুল মোল্লা। দুই জনেই একই পরিবারের সদস্য, একজন শ্বশুর ও অপরজন বৌমা। তাঁদের বক্তব্য, শালিমার থেকে যাত্রা করে চেন্নাইতে যেতে চেয়েছিলেন তাঁরা। পারুল মোল্লা বলেন, আমার স্বামী চেন্নাইতে কাজ করেন। আমরা তাঁর কাছেই যাচ্ছিলাম। ট্রেনে (Coromandel Express) হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনিতে সব কিছু উলট পালট হয়ে গেলে। মুহূর্তের মধ্যেই কামরার সকলে এদিকে ওদিকে ছিটকে পড়ে গেল। আমিও পড়ে গিয়ে দারুণ ভাবে কোমারে আঘাত প্রাপ্ত হই। তিনি আরও বলেন, আমাদের কামরাতে কেবল আমি, আমার শ্বশুর এবং আর দুই ব্যাক্তি বেঁচে ফিরেছি। বাকি সকল যাত্রী দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। পারুল মোল্লা আরও বলেন, মনে হচ্ছিল আর মনে হয় বেঁচে ফেরা হবে না। বিশ্বাস করতে পারছিনা এত বড় রেল দুর্ঘটনার পরও বেঁচে আছি। 

    সোনারপুরের সুকান্ত কী বললেন

    চেন্নাই মেট্রোতে কাজের জন্য শালিমার থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Coromandel Express) উঠেছিলেন সোনারপুরের সুকান্ত হালদার। রেলের দুর্ঘটনার পর কোনওক্রমে জীবন হাতে করে বালেশ্বরে থেকে বাসে কলকাতায় ফিরে আসেন। তিনি বলেন, ট্রেন ঠিক সময়েই চলছিল, বিকাল ঠিক ৬ টা নাগাদ ট্রেনের মধ্যে তীব্র ঝাঁকুনি হয়, আর তারপর কিছুই বুঝতে পারলাম না। জ্ঞান ফিরতে দেখি, কামরার বাকি যাত্রীরা আর্তনাদ করছে। কামরার চারপাশ অন্ধকার, কামরার আশে পাশে অনেক রক্ত। অনেকেই যে চাপা পড়ে আছেন, তা তিনি দেখতে পান। সিটের সঙ্গে লাগানো একটি লোহার স্ক্রুপ লেগে পায়ে দারুণ আগাত পেয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে বাম হাত এবং পীঠের ডান দিকের অংশে অনেকটা করে কেটে গেছে বলে জানান। প্রায় চল্লিশ মিনিট পর অনেক কষ্ট করে ট্রেনের কামরা থেকে বের হতে পেরেছিলেন সুকান্ত হালদার। তিনি বলেন, কামরা থেকে বের হয়ে বুঝতেই পারছিলাম না কী হল? সুকান্ত আরও বলেন, লাইনচ্যুত হয়ে একটা রেলের কামরা আরেকটা কামরার উপর উঠে গিয়েছিল। এতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি আগে কখনও দেখিনি। অত্যন্ত হতাশায় বলেন, জানিনা কামরার বাকি যাত্রীদের কী হয়েছে!

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Derailment: আহতদের দেখতে বালাসোর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, আগে করলেন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও

    Odisha Train Derailment: আহতদের দেখতে বালাসোর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, আগে করলেন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালাসোরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। হাসপাতালে দেখা করবেন আহতদের সঙ্গে। পরিদর্শন করবেন দুর্ঘটনাস্থল (Odisha Train Derailment)। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সূত্রের খবর রেল দুর্ঘটনার উদ্ধার কাজ, আহতদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সেখানে গিয়ে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। 

    দুপুর আড়াইটায় ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে নামার কথা প্রধানমন্ত্রীর

    রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৬১ এবং আহত ৯০০ এর বেশি মানুষ। সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কীভাবে ঘটল এই রেল দুর্ঘটনা তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় রেল। সূত্রের খবর, আজ দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে (Odisha Train Derailment) যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। জানা গেছে প্রথমে তিনি বালাসোরে যাবেন। দুপুর আড়াইটা নাগাদ ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে সোজা রওনা হবেন দুর্ঘটনাস্থলে। সেখান থেকে তিনি যাবেন কটক হাসপাতালে। রেল দুর্ঘটনায় আহত শতাধিক যাত্রী ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    কারা ছিলেন বৈঠকে

    আজ সকালেই প্রধানমন্ত্রী উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। দুর্ঘটনাস্থলের উদ্ধারকাজ, আহত রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং বাকি আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। ভারতীয় রেল এনডিআরএফ-এর আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে। দুর্ঘটনা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  সেই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। 

    রেলের পর প্রধানমন্ত্রীও দুর্গতদের জন্য আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করলেন

    নিহতদের পরিবার কিছু দশ লক্ষ টাকা, গুরুতর জখমদের জন্য দু’লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল ভারতীয় রেল। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এদিন ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের পরিবার পিছু ২ লাখ টাকা, আহতদের ৫০ হাজার করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

    আরও পড়ুন: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ২৩৩, আহত ৯০০-র বেশি

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    রেল আপৎকালীন(হাওড়া): ২২৯৩৩, ০৩৩-২৬৪১৩৬৬০
    রেল অনুসন্ধান(টোল-ফ্রি): ২২২৪৪, ২২২৫৫, ২২২৬৬
    বিএসএনএল: ২৬৪০-২২৪১, ২৬৪০-২২৪২, ২৬৪০-২২৪৩
    হাওড়া: ০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়্গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: “বিকট আওয়াজ, মালগাড়ির উপর উঠে পড়ল আমাদের কামরা”, বললেন ভাতারের পটু

    Coromandel Express Accident: “বিকট আওয়াজ, মালগাড়ির উপর উঠে পড়ল আমাদের কামরা”, বললেন ভাতারের পটু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Coromandel Express Accident) ভয়াবহ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে  পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বামাশোল গ্রামে বাড়়ি ফিরলেন ৯ জন যাত্রী। তাঁরা শুক্রবারই কেরালা যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। একসঙ্গে তাঁরা একটি কামরায় ছিলেন। ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। শনিবার একটি গাড়ি ভাড়়া করে তাঁরা কোনওরকমে বাড়ি ফিরে আসেন। মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা ৯ জনকে দেখতে এদিন গ্রামে ভিড় উপচে পড়ে।

    দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বললেন যাত্রীরা

    পটু সেখ নামে এক যাত্রী বলেন,” ৩.২০ মিনিট নাগাদ হাওড়া থেকে আমাদের ট্রেন (Coromandel Express Accident) ছাড়ে। আমাদের গন্তব্য ছিল কেরালা। রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছিলাম। প্রত্যেকের কনফার্ম টিকিট ছিল। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আমাদের ট্রেনটি বালেশ্বর স্টেশনে ঢোকে। তারপরও আরও ৪০ কিলোমিটার যায় আমাদের ট্রেন। ট্রেনের গতি ভালই ছিল। আমরা কামরার মধ্যে খোশ মেজাজে গল্প করছিলাম। আচমকাই বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। আমাদের কামরাটি কেঁপে ওঠে। তখনই বুঝে গিয়েছি, মৃত্যু অবধারিত। একের পর এক কামরা লাইন থেকে ছিটকে পড়ছে। আমাদের কামরাটি মালগাড়ির উপর উঠে পড়ে। আমরা জানলার কাচ ভেঙে কোনওরকমে বেরিয়ে আসি। বাইরে বেরিয়ে দেখি, মৃত্যু মিছিল। চারিদিকে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। কেউ বাঁচানোর জন্য চিত্কার করছে। কামরা থেকে বেরিয়ে মৃতদেহের উপর দিয়ে হেঁটে কোনওরকমে লাইনের ধারে এসে বসি। পরে, অন্যদের খোঁজ নিই। ৯ জনই বেঁচে ফিরেছি। আমার হাতে খুব চোট লেগেছিল। ঘটনাস্থলে খেলনার মতো ট্রেনের কামরাগুলি পড়েছিল। আমরা এতটাই আতঙ্কে ছিলাম যে সেখানে বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছিল না। আমরা কোনওরকমে সেখান থেকে হাইওয়ে চলে আসি।”

    কীভাবে ঘটনাস্থল থেকে বাড়়ি ফিরলেন?

    শেখ নজরুল বলেন,”ভাবতে পারিনি বেঁচে ফিরব। আমাদের ৯ জনের মধ্যে দুজনের চোট গুরুতর। বাকিরা সকলেই জখম হয়েছেন। এই ধরনের ঘটনা আমি কোনওদিন দেখিনি। কত মানুষ মারা গিয়েছে তার হিসেব নেই। চোখের সামনে এসব হতে দেখেছি। আমাদের ট্রেনের (Coromandel Express Accident) একের পর এক কামরা অন্য ট্রেনের উপরে চেপে রয়েছে। গোটা এলাকা মৃত্যুপুরী হয়ে রয়েছে। হাইওয়ের ধারে সারারাত কাটিয়েছি। গ্রামে সুরজ নামে একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। সে আমাদের গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়। সেই গাড়িতে করে আমরা কোনওরকমে বাড়ি ফিরি। এভাবে বাড়ি ফিরতে পারব তা ভাবতে পারিনি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Derailment: আহতদের দেখতে বালাসোরে সুকান্ত! শুভেন্দু পাঠালেন ১৫ অ্যাম্বুল্যান্স

    Odisha Train Derailment: আহতদের দেখতে বালাসোরে সুকান্ত! শুভেন্দু পাঠালেন ১৫ অ্যাম্বুল্যান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালাসোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় (Odisha Train Derailment) শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩৩ পৌঁছেছে। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯০০। তাঁদের চিকিৎসা চলছে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে। শুক্রবার ভোররাতেই ফকির মোহন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির ২ সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এবং জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে আহতেদের সঙ্গে কথাও বলেন বালুরঘাটের সাংসদ। অন্যদিকে এই বিপর্যয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠালেন দুর্ঘটনাস্থলে। নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একথা জানান শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: রেল দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    নিজের স্যোশাল মিডিয়াতে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘করমন্ডল এক্সপ্রেস এর দুর্ঘটনার (Odisha Train Derailment) খবরে আমি উদ্বিগ্ন। রেল দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সমস্ত রকমের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস তাঁরা দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কুড়িজনের মেডিকেল টিম দুর্ঘটনা স্থলে সাহায্যের জন্য রয়েছেন।’’ প্রথমে তিনি ১০টি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠান পরে আরও ৫টি।

    বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিবৃতি

    শুক্রবার ভোররাতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বালাসোরে হাসপাতালে পৌঁছান রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে জগন্নাথ লেখেন, ‘‘করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার (Odisha Train Derailment) খবর পেয়ে মাঝরাতে কলকাতা থেকে রওনা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শ্রী সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গী হই আমরাও। ভোরবেলা আমরা পৌঁছায় বালাসোর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি। করমণ্ডল ছিল অ্যাম্বুলেন্স এক্সপ্রেস। বালেশ্বর হাসপাতালে হাত-পা ভাঙা, মাথায় চোট, থেঁতলে যাওয়া রোগীদের অধিকাংশই বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে দক্ষিণ ভারতে গায়ে গতরে খাটার কাজ করতে যাচ্ছিলেন। বেশিরভাগই সংখ্যালঘু। হতভাগ্য আমরা। অ্যাম্বুলেন্স এক্সপ্রেস এখন পরিযায়ী এক্সপ্রেসে পরিণত হয়েছে। মর্গের কথা আর বলছি না। কাজের খোঁজে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ হারানো স্বজনদের জন্য কিছু বলার ভাষা নেই। ভগবান তাঁদের সহায় হোন।’’

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    হাওড়া স্টেশনের জন্য:০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়গপুর স্টেশনের জন্য: ৮৯৭২০৭৩৯২৫,৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর স্টেশনের জন্য: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯,৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার স্টেশনের জন্য: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: মণিপুর হিংসার কারণ খুঁজবে বিশেষ তদন্ত কমিটি, ঘোষণা অমিত শাহের

    Amit Shah: মণিপুর হিংসার কারণ খুঁজবে বিশেষ তদন্ত কমিটি, ঘোষণা অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে হিংসার কারণ খুঁজে বের করতে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। রাজধানী ইম্ফলে এই ঘোষণা করলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। কমিটির শীর্ষে রয়েছেন হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি৷

    গত এক মাস ধরে জনজাতি হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। যার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮০ জন। আহত শতাধিক। পরিস্থিতি সামাল দিতে চারদিন ধরে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে পড়ে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ঘোষণা করেন বিশেষ সহায়তা প্যাকেজেরও। বৃহস্পতিবার, তার চারদিনের সফরের শেষ দিনে মণিপুর হিংসার তদন্ত নিয়ে বিশেষ ঘোষণা করলেন অমিত শাহ।

    হিংসা তদন্তে বহুমুখী পদক্ষেপ

    এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা, হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন প্যানেল গোটা ঘটনার তদন্ত করবে। এছাড়া, হিংসার সঙ্গে জড়িত ৬টি মামলার তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি, রাজ্য ও জেলাস্তরে সরকারের উদ্যোগে শান্তি কমিটিও গঠন করা হবে, জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাতে সব সম্প্রদায়ের স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা ছাড়াও সরকারি পদাধিকারীরা থাকবেন। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “মণিপুরে হিংসাত্মক ঘটনার তদন্তে বেশ কয়েকটি সংস্থা কাজ করছে। ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে এমন ৬টি হিংসাত্মক ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের সিবিআই তদন্ত হবে। কেন্দ্রের নজরদারিতেই তদন্ত প্রক্রিয়া এগোবে৷ আমি সকলকে আশ্বাস দিচ্ছি যে, হিংসার শিকড় সন্ধানে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভাবে এই তদন্ত করা হবে৷’’

    একাধিক সহায়তার ঘোষণা

    এর আগে, হিংসায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, প্রতিটি পরিবারকে কেন্দ্র এবং রাজ্যের তরফে ৫ লক্ষ টাকা করে মোট ১০ লক্ষ টাকা অর্থনৈতিক সাহায্য করা হবে৷ এছাড়া, মৃতদের পরিবারের একজনকে চাকরিও দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এদিন অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘রাজ্যের উদ্ভূত খাদ্য সঙ্কটের মোকাবিলা করতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন চাল পাঠানো হবে কেন্দ্রের তরফে৷ রাজ্যে আরও চিকিৎসক পাঠানো হবে৷ ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনলাইনে পঠনপাঠন এবং পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে৷’’

    আরও পড়ুন: শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ! মণিপুরে ১৫ দিনের হিংসা বিরতির প্রস্তাব অমিত শাহের

    ভুয়ো খবর থেকে দূরে থাকতে অনুরোধ

    একইসঙ্গে, ভুয়ো খবরে কান না দেওয়ার জন্য জনসাধারণকে পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “ভুয়ো খবরে কান না দেওয়ার জন্য আমি মণিপুরের নাগরিকদের কাছে অনুরোধ করছি। যদি কেউ সাসপেনশন অফ অপারেশনস চুক্তি লঙ্ঘন করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অস্ত্র বহনকারীদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আগামিকাল থেকে চিরুনি তল্লাশি শুরু হবে এবং কারও কাছে অস্ত্র পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Brij Bhushan: ব্রিজভূষণ ইস্যুতে প্রথমবার বিবৃতি দিল কেন্দ্র, কী বললেন ক্রীড়ামন্ত্রী?

    Brij Bhushan: ব্রিজভূষণ ইস্যুতে প্রথমবার বিবৃতি দিল কেন্দ্র, কী বললেন ক্রীড়ামন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি সাংসদ এবং ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে (Brij Bhushan) গ্রেফতার করার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ তাদের কাছে নেই। এমনটাই জানাল দিল্লি পুলিশ। প্রসঙ্গত, ব্রিজভূষণ (Brij Bhushan) শরণ সিংকে গ্রেফতারের দাবিতে দিল্লিতে ধর্না দিচ্ছে কুস্তিগীরদের একাংশ। মুখে তারা অরাজনৈতিক বললেও ধর্না মঞ্চে ভিড় দেখা যাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ক্রীড়ামন্ত্রীর মতে, ‘‘আন্দোলনকারীদের এমন কিছু করা উচিত নয়, যা খেলা এবং অ্যাথলেটিকদের ক্ষতি করে। দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে এবং এফআইআরও করেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি অ্যাথলেটিকদের বলব, দিল্লি পুলিশের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’’ সামনে এশিয়ান গেমস রয়েছে, সেদিকে অ্যাথলেটিকদের মনোনিবেশও করতে বলেন তিনি।

    কী বলছে দিল্লি পুলিশ?

    দিল্লি পুলিশ এনিয়ে জানাচ্ছে, তাদের কাছে এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই যা দিয়ে তাঁকে (ব্রিজভূষণ) গ্রেফতার করা যেতে পারে। ১৫ দিনের মধ্যে দিল্লি পুলিশ আদালতে রিপোর্ট দাখিল করতে চলেছে বলেও জানা গেছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, পস্কো আইনের যে ধারাগুলো এফআইআর-এ রয়েছে, তাতে ৭ বছরের কম কারাদণ্ড হয়। কাজেই তদন্তকারী অফিসার গ্রেফতার করতে পারেন না। ব্রিজভূষণ (Brij Bhushan) শরণের বিরুদ্ধে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার অভিযোগও নেই।

    কী বলছেন ব্রিজভূষণ (Brij Bhushan)?

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ব্রিজভূষণ ৬ বারের সাংসদ। এদিন কুস্তিগীরদের একাংশ গঙ্গায় পদক বিসর্জন দেওয়ার কর্মসূচি নেয়। কিন্তু শেষমেশ কৃষক আন্দোলনের নেতা নরেশ টিকাইত হরিদ্বারে এসে তাঁদের আটকান। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ব্রিজভূষণ। তিনি বলেন, ‘‘আজ ওরা গঙ্গায় পদক ভাসাতে গিয়েছিল। পরে সেসব টিকাইতের হাতে তুলে দেয়। এটা ওদের অবস্থান। আমরা কী করতে পারি?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার বিষয়টি নিয়ে দিল্লি পুলিশ তদন্ত করছে। অভিযোগের যদি কোনও সত্যতা থাকে, তাহলে গ্রেফতার করুক।’’

    আরও পড়ুন: বন্ধ হয়েছে তিন তালাক, মোদি সরকারের আমলে মহিলাদের জন্য অজস্র প্রকল্প

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: গ্রেফতারের আগে ‘কালীঘাটের কাকু’-র ওপর ৭ মাস নজর রাখেন গোয়েন্দারা!

    Kalighater Kaku: গ্রেফতারের আগে ‘কালীঘাটের কাকু’-র ওপর ৭ মাস নজর রাখেন গোয়েন্দারা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগকাণ্ডে ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে বুধবার ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। শুনানিতে সুজয়কে নিজেদের হেফাজতে চাওয়ার সময় ইডি আদালতকে জানায়, গ্রেফতার এখন করা হলেও, ‘কালীঘাটের কাকু’-র ওপর দীর্ঘদিন নজর রাখা হচ্ছিল। ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি দাবি করেন, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে নিয়োগের বিষয়ে নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট করতেন ‘কালীঘাটের কাকু’। তিনিই ঠিক করে দিতেন কে চাকরি পাবেন, কে পাবেন না, তাও।

    ইডি-র অভিযোগ, তাপস মণ্ডলের মুখে এই সুজয়ের নাম প্রথম শোনা গিয়েছিল। গোপাল দলপতিও ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku) নাম করেছিলেন। নিয়োগকাণ্ডে অপর ধৃত কুন্তল ঘোষ থেকে শুরু করে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ও কালীঘাটের কাকু-র নাম করেছিলেন। তদন্তকারীদের দাবি, এদের দাবি ও পেশ করা তথ্যের ভিত্তিতে সুজয়কৃষ্ণকে জেরা করা হলে, তিনি যাবতীয় প্রমাণ অস্বীকার করেন। প্রতি ক্ষেত্রেই তিনি জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: সুজয়কৃষ্ণ গ্রেফতারের পর কোন বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনলেন শুভেন্দু?

    ইডি-র দাবি, বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল দাবি করেছিলেন, ২০১৪ সালের টেটে কয়েকজন অবৈধ প্রার্থীর চাকরির জন্য তিনি সুজয়কে ৭০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তাঁর কথাতেই আরও ১০ লক্ষ টাকা দেন পার্থকেও। আরেক ধৃত তাপস মণ্ডলও দাবি করেছেন, ৩২৩ জন টেট প্রার্থীর তালিকা সুজয়কে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর কাছ থেকে সেই তালিকা পাঠানো হয় মানিকের কাছে। এখন সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করছেন সুজয় ওরফে কাকু (Kalighater Kaku)।

    ইডি-র আরও অভিযোগ, সুজয় একাধিক তথ্য গোপন করার চেষ্টা করছেন। সুজয় তাঁর বয়ানে দাবি করেছেন, তিনি মানিককে ২০২১ সালের আগে চিনতেন না। কিন্তু তদন্তে ইডির হাতে এসেছে অন্য তথ্য। মানিকের হোয়াটস্‌অ্যাপ কথোপকথন ঘেঁটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা দেখেছেন, তাঁর সঙ্গে সুজয়ের যোগাযোগ রয়েছে অন্তত ২০১৮ সাল থেকে। ইডি-র দাবি, গ্রেফতার এখন করা হলেও, ৭ মাস ধরে সুজয়ের (Kalighater Kaku) ওপর নজর রাখছিলেন গোয়েন্দারা। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছিল ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share