Tag: Bengali news

Bengali news

  • Anant Ambani:  ১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফের আগের চেহারায় মুকেশ-পুত্র, রহস্যটা কী ?

    Anant Ambani: ১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফের আগের চেহারায় মুকেশ-পুত্র, রহস্যটা কী ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাঁকজমক করে বিয়ের অনুষ্ঠান তো হল। আর তার কত ছবিও প্রকাশ্যে এল। কিন্তু সেইসব ছবি আর ভিডিও দেখে অনেকেরই একটা বিষয়ে ঘোর যেন কাটতে চাইছে না। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠপুত্র অনন্ত আম্বানির চেহারা তো এমন ছিল না। হ্যাঁ, এমন চেহারাই তার ছিল, তবে তা ২০১৬ সালের আগে পর্যন্ত। তারপর তো শোনা গিয়েছিল তার ওজন কমেছে এক লপ্তে ১০৮ কেজি। প্রকাশ্যেও দেখা গিয়েছিল, সেই বিশালাকার চেহারা হয়ে উঠেছে একেবারে ছিমছাম। তাহলে এরপরে কী এমন হল, যাতে তার ওজন ফের বেড়ে গেল?

    ১০৮ কেজি ওজন কমল কীভাবে?

    প্রথমে দেখা যাক,  অনন্ত আম্বানির ১০৮ কেজি ওজন মাত্র দেড় বছরে, অর্থাত ১৮ মাাসে কমেছিল কিভাবে। জানা গিএছে, এর মধ্যে প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম চলত পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা। দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার হাঁটা, ট্রেনিং, কার্ডিও ইত্যাদি নানা রকমের নিয়মকানুন তাকে মেনে চলতে হত। সঙ্গে ছিল যোগ ব্যায়ামও। আর বলার অপেক্ষা রাখে ন্‌ খাবার ছিল এরকম-জিরো সুগার, লো ফ্যাট, লো কার্ব এবং হাই প্রোটিন। জাঙ্ক ফুডের মায়া পুরোপুরি ছেড়ে দিতে হয়েছিল। পরিবর্তে ফলমূল এবং প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ছিল মূল ডায়েট। দৈনিক শরীরে ক্যালরি যেত ১২০০ থেকে ১৪০০। এসব করে যখন সে একেবারে ছিমছাম হয়ে গেল, তখন তার ছবি ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঝড় তুলে দিয়েছিল। তখন সে যেন অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। অনেকেই আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল এই ভেবে যে, এটাও সম্ভব।

    ফের ওজন বেড়ে গেল কেন?

    এই রহস্যের কিছুটা সমাধান হয়েছিল নিতা আম্বানির একটি বক্তব্যে। ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ছেলে প্রচণ্ডভাবে অ্যাজমায় ভোগে। তাই তাকে নিয়মিত স্টেরয়েড নিতে হয়। এটাই হয়তো তার আচমকা ফের ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারির জট খুলতে গুগলকে চিঠি সিবিআইয়ের

    SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারির জট খুলতে গুগলকে চিঠি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার এসএসসি (SSC Scam) মামলায় তথ্য চেয়ে গুগলকে (Google) চিঠি দিল সিবিআই (CBI)। জাল ওয়েবসাইট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে গুগলের কাছে। জানা গিয়েছে, এই জাল ওয়েবসাইটেই অযোগ্যদের টাকার বিনিময়ে পাশ করার রেজাল্ট দেখানো হত। সেই কারণেই ওই জাল ওয়েবসাইট সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, দুটি ওয়েবসাইটের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।

    এসএসসি (SSC Scam) মামলা…

    এই দুটি ওয়েবসাইটে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেখানো হত তাঁদের নাম। টাকা নেওয়ার পরে ডিলিট করে দেওয়া হত সেই তালিকা। সেই কারণেই আইপি অ্যাড্রেস সহ যাবতীয় তথ্য পেতে গুগলকে চিঠি দিয়েছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, কিছু কর্মপ্রার্থী চাকরি পেলেও, অনেকেই পাননি। যদিও টাকা দিয়েছেন তাঁরা। যার অর্থ, প্রতারিত হয়েছেন তাঁরাও। কারা প্রতারিত হয়েছেন, কোন অযোগ্য প্রার্থী চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তা জানতেই তথ্য চাওয়া হয়েছে গুগুলের কাছে।

    সিবিআইয়ের দাবি, যাঁরা পরীক্ষায় (SSC Scam) ফেল করত, ওয়েবসাইটের দেওয়া রেজাল্টে তাঁকে পাশ দেখানো হত। সেই রেজাল্টের প্রিন্টআউটও দেওয়া হত। টাকা নেওয়ার পরে ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে যেত সেই নাম। সিবিআই সূত্রে খবর, পর্ষদের আসল ওয়েবসাইটে .ইন রয়েছে। কিন্তু ভুয়ো ওয়েবসাইটে সেটাই .কম। জানা গিয়েছে, চাকরির জন্য যারা টাকা দিত, তাদের নাম তোলা হত ভুয়ো ওয়েবসাইটে। পরে সেটা দেখিয়েই আরও টাকা দাবি করা হত। যে ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ফুলে ফেঁপে উঠেছে দালালরা।

    আরও পড়ুুন: ভরা বাজারে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ?

    এদিকে, পুরসভা নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ১২ কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন শীল। অন্তত হার্ড ডিস্কে এমনই তথ্য মিলেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের (SSC Scam) ক্ষেত্রে অয়ন প্রার্থী পিছু লক্ষ লক্ষ টাকা নিতেন বলে অভিযোগ। নামে-বেনামে অয়নের নামে ফ্ল্যাট রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। অয়ন সেই ফ্ল্যাটগুলির টাকা কোথা থেকে পেয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। অয়নের প্রায় আটটি ফ্ল্যাট রয়েছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। সেই টাকার উৎস কী তা খতিয়ে দেখছে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ভরা বাজারে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ?

    Nadia: ভরা বাজারে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত সরকার। বিরোধীরাও তেমন শক্তিশালী নন। এহেন আবহে ভরা বাজারে গুলি করে খুন করা হল তৃণমূলেরই এক নেতাকে। মৃতের নাম আমোদ আলি বিশ্বাস। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালির ছোট চুপড়ি বাজারের কাছে। প্রকাশ্য দিবালোকে তৃণমূল নেতা খুন হওয়ায় এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বেহাল দশা নিয়েও।

    নদিয়ায় (Nadia) খুন…

    স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও বাজারে যান বড় চুপড়ির (Nadia) বাসিন্দা আমোদ। বাজার করার সময় সেখানে বাইকে চড়ে আসে দুই ব্যক্তি। আমোদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে তারা। পরে হয় কথা কাটাকাটি। আচমকাই আমোদকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আমোদকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাঁকে। খবর পেয়ে দ্রুত অকুস্থলে পৌঁছায় হাঁসখালি থানার পুলিশ। কী কারণে আমোদকে খুন করা হল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তৃণমূলের হাঁসখালি ব্লক সভাপতি শিশির রায় বলেন, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে খুন বলে মনে হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করলে সত্যিটা প্রকাশ্যে আসবে।

    আরও পড়ুুন: ফের বিতর্কে প্রেসিডেন্সি! সরস্বতী পুজোয় না, অথচ ইফতারের আয়োজন জাঁকজমকপূর্ণ

    রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কে কান্নান বলেন, আমোদ আলি বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক খুন ও খুনের চেষ্টার মামলা রয়েছে। কয়েক দিন আগে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছিল বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র। দুটি গোষ্ঠীর লড়াইয়ের জেরে খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এদিনই ভোরে খুন হয়েছেন কোচবিহারের শীতলকুচির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের নীলিমা বর্মণ। খুন হয়েছেন তাঁর স্বামী বিমলচন্দ্র বর্মণ এবং এক মেয়েও। গুরুতর জখম অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন নীলিমার আরও এক মেয়ে। রাজ্যের দু প্রান্তে একই দিনে দুই তৃণমূল নেতার খুনে উদ্বেগ শাসক শিবিরেও। 

    কেবল এই দুই খুন নয়, দিন তিনেক আগে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে ল্যাংচা দোকানের (Nadia) সামনে খুন হন কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা। সাত সকালে তাঁকেও খুন করে পালিয়ে যায় খুনিরা। রাজুর খুনের আততায়ীরা এখনও অধরা। এরই মধ্যে একই দিনে পর পর দুটি খুনের ঘটনা এ রাজ্যেই। দিন দিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বলে অভিযোগ। রাজ্যের ওপর কী ক্রমেই শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাশ? উঠছে প্রশ্ন।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistan: ‘আমরা ভারতকে ভালবাসি, ভালবাসি পঞ্জাবকে’, বললেন শিখ নেতা  

    Khalistan: ‘আমরা ভারতকে ভালবাসি, ভালবাসি পঞ্জাবকে’, বললেন শিখ নেতা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মিলিয়নেরও বেশি শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন উত্তর আমেরিকায়। তার মধ্যে ভারতীয় দূতাবাসের কাছে বিক্ষোভ দেখিয়েছে জনা পঞ্চাশেক। ভারতের (India) বাইরে খালিস্থানপন্থীদের (Khalistan) হামলা নিয়ে এই ভাষায়ই প্রতিক্রিয়া জানালেন যশদীপ সিং নামে আমেরিকার এক শিখ (Sikh) নেতা।

    খালিস্থানপন্থীদের (Khalistan) হামলা…

    সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইংল্যান্ড এবং আমেরিকায় শুরু হয়েছে খালিস্তানপন্থীদের দাপাদাপি। কোথাও ভাঙা হচ্ছে মন্দির, কোথাও আবার মন্দিরের দেওয়ালের গায়ে লিখে দেওয়া হচ্ছে ভারত বিরোধী স্লোগান। আবার কোথাও পুজো করতে গিয়ে খালিস্তানপন্থীদের হুমকির মুখে পড়ছেন ভক্তরা। ভারতীয় দূতাবাসের সামনেও তাণ্ডব চালিয়েছে তারা। কোথাও দূতাবাসের সামনে থাকা ভারতের জাতীয় পতাকা টেনে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ওড়ানো হয়েছে কল্পিত খালিস্তানের (Khalistan) ঝান্ডা। তবে এ সবই যে হাতে গোণা কয়েকজনের কাজ, তা জানিয়ে দিলেন আমেরিকার শিখ নেতা যশদীপ।

    তিনি বলেন, ভারতের বাইরে কানাডা, আমেরিকায় যা দেখানো হচ্ছে, তা মিডিয়ার অতিরঞ্জিত করা খবর। তিনি বলেন, উত্তর আমেরিকায় এক মিলিয়নেরও বেশি শিখ রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেবলমাত্র ৫০ জন ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। যশদীপ বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা মিলিয়ে ২৫০-র মতো মানুষ এদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তার জেরে ভারতে এবং বিদেশে বিপদে পড়ছেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। অথচ তাঁরা ভারতকে ভালবাসেন, ভালবাসেন পঞ্জাবকে।

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও বাধ্যতামূলক আধারকার্ড, এ কোন ‘মমতা’?

    প্রসঙ্গত, পঞ্জাব প্রদেশ নিয়ে পৃথক খালিস্তান (Khalistan) রাষ্ট্রের দাবি করে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। প্রথমে ভারতের পঞ্জাব ও পাক পঞ্জাব নিয়ে পৃথক খালিস্তান রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হলেও, আটের দশকে দাবি করা হয় হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজস্থানের কিছু অংশ। সম্প্রতি এই আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়েছে। কারণ স্বঘোষিত ধর্মগুরু অমৃতপাল সিং পৃথক খালিস্তানের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ভারতীয়দের ওপর হামলা চালাচ্ছে খালিস্তানপন্থীরা। অমৃতপালকে পাকিস্তান মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ। তার জেরেই বাড়বাড়ন্ত খালিস্তানি আন্দোলনের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: রাষ্ট্রসংঘের সর্বোচ্চ স্ট্যাটিসটিক্যাল বডিতে নির্বাচিত ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: রাষ্ট্রসংঘের সর্বোচ্চ স্ট্যাটিসটিক্যাল বডিতে নির্বাচিত ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিরাট জয় ভারতের (India)! রাষ্ট্রসংঘের (UN) সর্বোচ্চ স্ট্যাটিসটিক্যাল বডিতে চার বছরের জন্য নির্বাচিত হল ভারত। বুধবার একথা জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ট্যুইট-বার্তায় ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রসংঘের সর্বোচ্চ স্ট্যাটিসটিক্যাল বডিতে চার বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ভারত। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ওই মেয়াদ শুরু হবে। নিউইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদের ভারতীয় দলকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন জয়শঙ্কর।

    এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানান…

    বিদেশমন্ত্রী জানান, স্ট্যাটিসটিক্স এবং ডেমোগ্রাফির ক্ষেত্রে ভারতের দক্ষতার জেরে রাষ্ট্রসংঘের স্ট্যাটিসটিক্যাল কমিশনে জায়গা হয়েছে ভারতের। সব মিলিয়ে ৫৩টি ভোটের মধ্যে ভারত পেয়েছে ৪৬টি। ভারতের ঢের পিছনে রয়েছে চিন, আরব আমিরাত। সূত্রের খবর, মাত্র দুটি আসনের জন্য লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন চারজন প্রার্থী। তবে শেষ হাসি হেসেছে ভারত (S Jaishankar)। ১৯৪৭ সালে গঠিত হয় ইউনাইটেড নেশনস স্ট্যাটিসটিক্যাল কমিশন। তামাম বিশ্বের স্ট্যাটিসটিক্যাল সিস্টেমের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ। রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলির মধ্যে থেকে নির্বাচিত হন এই কমিশনের সদস্যরা। আন্তর্জাতিক স্ট্যাটিসটিক্যাল কাজকর্মের ক্ষেত্রে এরাই সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিষ্ঠান। স্ট্যাটিসটিক্যাল স্ট্যান্ডার্ডও তৈরি করে এই প্রতিষ্ঠান।

    জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এগুলিকে কার্যকরও করে এই সংস্থা। রাষ্ট্রসংঘের এই স্ট্যাটিসটিক্যাল কমিশনের সদস্য সংখ্যা ২৪। রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলির মধ্যে থেকে এই সদস্যদের নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত করে ইউনাইটেড নেশনস ইকনোমিক ও সোশ্যাল কাউন্সিল। এই কমিশনে (S Jaishankar) পাঁচজন সদস্য আফ্রিকান দেশগুলি থেকে, চারজন এশিয়া পেসিফিক দেশগুলি থেকে, ইস্টার্ন ইউরোপের দেশগুলি থেকে চারজন, লাতিন আমেরিকার দেশগুলি থেকে চারজন এবং ক্যারিবিয়ান দেশগুলি থেকে চারজন, ওয়েস্টার্ন ইউরোপীয়ান এবং অন্য দেশগুলি থেকে সাতজন সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে এশিয়া প্যাসিফিক দেশগুলির মধ্যে রয়েছে জাপান, সামোয়া, কুয়েত এবং সাউথ কোরিয়া। এই দেশগুলির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে চলতি বছরই।

    আরও পড়ুুন: মহাকাশ অর্থনীতিতে চিনকে টেক্কা দিচ্ছে মোদির ভারত, জানেন কীভাবে?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: টেটে নম্বর বাড়ানোর জন্যও ছিল আলাদা আলাদা দর, দাবি সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: টেটে নম্বর বাড়ানোর জন্যও ছিল আলাদা আলাদা দর, দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবল চাকরি বা পছন্দ মতো জায়গায় পোস্টিং নয়, টেটে (Recruitment Scam) প্রাপ্ত নম্বর বাড়ানোর জন্যও ছিল আলাদা আলাদা দর। বৃহস্পতিবার আদালতে এমনই দাবি করেছে সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টাকা তোলার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা দর ছিল। কার নম্বর কত শতাংশ বাড়াতে হবে, সেই অনুযায়ী ঠিক হত দর। সিবিআইয়ের দাবি, কেউ যদি ৭০ শতাংশ নম্বর পেয়ে থাকেন, তবে সেই নম্বরকে ৭২ শতাংশ করার জন্য আলাদা দর।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam)… 

    আবার ৬৫ শতাংশকে ৭২ শতাংশ করার আলাদা দাম এবং অপেক্ষাকৃত বেশি দাম দিতে হত। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এভাবেই প্রার্থীদের প্রাপ্য নম্বরের শতাংশের বিচারে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। দালাল (Recruitment Scam) মারফত সেই টাকা যেত অন্যত্র। এদিন কেস ডায়েরি দেখে বিচারক প্রশ্ন করেন, সময় সময় অভিযোগগুলো বদলে যাচ্ছে…আপনার কেসের মূল অভিযোগগুলো কী।এরই উত্তর দিতে গিয়ে সিবিআই আলাদা আলাদা দরের কথা বলে।

    আরও পড়ুুন: রিষড়ায় অশান্তি, পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েও পাননি বিচারকের পরিবার!

    এদিকে, বিস্ফোরক দাবি করলেন নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে অভিযুক্ত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। আদালত চত্বরে তাঁর দাবি, তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে আদালতে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। এদিন আলিপুরের নগর দায়রা আদালতে শুনানি ছিল প্রাথমিকের নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার। আদালত চত্বরে নিয়ে আসা হয়েছিল দুই অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডলকে।

    অন্যদিকে, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) নাম জড়িয়েছে জনৈক পার্থ সরকারের। সিবিআইয়ের দাবি, মন্ত্রী থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে কেলেঙ্কারির টাকা পৌঁছে দিতেন এই পার্থ। জানা গিয়েছে, জেরায় প্রাক্তন তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ দাবি করেন, দুর্নীতির কালো টাকা প্রথমে সংগ্রহ করতেন পার্থ। পরে তা পৌঁছে দেওয়া হত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। যদিও সংবাদ মাধ্যমের কাছে পার্থ সরকার দাবি করেছেন, কুন্তল ঘোষকে চেনেন না তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal People: অবরোধের জেরে ৮৪টি ট্রেন বাতিল, যাত্রী ভোগান্তি অব্যাহত, আন্দোলন জোরদার করার পথে আদিবাসীরা

    Tribal People: অবরোধের জেরে ৮৪টি ট্রেন বাতিল, যাত্রী ভোগান্তি অব্যাহত, আন্দোলন জোরদার করার পথে আদিবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সকাল থেকে রেল অবরোধের ডাক দিয়েছিল কুড়মি সমাজ। পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু করা হয়। বৃহস্পতিবারও কুস্তাউর রেল স্টেশন সংগঠনের সদস্যরা (Tribal People) ঘিরে রাখেন। একইসঙ্গে ঝাড়গ্রামেও সংগঠনের পক্ষ থেকে রেল অবরোধ করা হয়। ফলে, এদিন সাধারণ মানুষ চরম নাকাল হন। হাজার হাজার যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফলে, বুধবারের মতো এদিনও দক্ষিণ পূর্ব রেলে বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। অনেক ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রেলে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, হাওড়া-পুনে, হাওড়া-জগদ্দলপুর, হাওড়া-আহমেদাবাদ, লোকমান্য তিলক-শালিমার, ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসসহ ৮৪টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হয়েছে। ৭টি ট্রেনের যাত্রাপথ আদ্রা পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। ঘুর পথে ট্রেন চললেও যাত্রী দুর্ভোগ রয়েছে। অনেকেই না জেনে ভিন রাজ্যে কাজে যাবেন বলে বেরিয়ে ট্রেন বাতিলের কথা জানতে পেরে ফিরে আসছেন।

    জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কুড়মি নেতাদের (Tribal People) বৈঠক, কী হল?

    ঝাড়গ্রামের খেমাশুলিতে সড়ক এবং রেল অবরোধে জনজীবন বিপর্যস্ত। বুধবার দিনভর নজরদারি করার পর বৃহস্পতিবার প্রশাসনের কর্তারা বিড়ম্বনায় পড়েন। খেমাশুলির কাছে কলাইকুণ্ডা পুলিশ ফাঁড়িতে বৈঠক হয়। বৈঠকে জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার যান এবং কুড়মি সংগঠনের রাজ্য নেতা (Tribal People) রাজেশ মাহাত, সংগঠনের জেলা সভাপতি কমলেশ মাহাতরা ছিলেন। সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য বার বার আবেদন করা হয়। কিন্তু, সংগঠনের নেতারা জানিয়ে দেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত রাজ্য পরিমার্জিত সিআরআই রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে পাঠাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত অবরোধ চলবে। অন্যদিকে, পুরুলিয়ার আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাত এদিন ঝাড়গ্রামে সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করতে যান। সেখানে আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে কী বললেন কুড়মি সমাজের নেতা?

    আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে এই আন্দোলন করা হয়েছে। বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাত বলেন, আমাদের আন্দোলনকে রাজ্য সরকার কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না। আমরা এবার নতুন করে কোটশিলা স্টেশনে অবরোধ করব। আর সড়ক পথে লালপুর-হুড়া এবং শিমুলিয়ায় রাস্তা অবরোধ করব। আমরা এই আন্দোলন আরও জোরদার করব। প্রয়োজনে জঙ্গলমহল স্তব্ধ করে দেব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rishra: রিষড়ায় অশান্তি, পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েও পাননি বিচারকের পরিবার!

    Rishra: রিষড়ায় অশান্তি, পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েও পাননি বিচারকের পরিবার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে সোমবার সন্ধ্যায় ব্যাপক অশান্তি হয়েছিল রিষড়ায় (Rishra)। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি অশান্তির ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী ডায়মন্ড হারবারের নিম্ন আদালতের এক বিচারকের পরিবারও। রিষড়াকাণ্ডের প্রেক্ষিতে এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন, ডায়মন্ড হারবারের একজন বিচারক রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি দিয়েছেন। দুই ছেলে এবং মেয়েকে নিয়ে তাঁর পরিবার শ্রীরামপুরে থাকেন। তিনি থানা ও পুলিশ কর্তাদের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েও পাননি। হাইকোর্টের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন তিনি।

    রিষড়ায় (Rishra) অশান্তি…

    রিষড়ায় (Rishra) জিটি রোড সংলগ্ন পিকে দাস লেনের খটিরবাজার এলাকায় বাড়ি ডায়মন্ড হারবার আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ জয়প্রকাশ সিংহের। কর্মসূত্রে তিনি থাকেন ডায়মন্ড হারবারে। রিষড়ার বাড়িতে তিন সন্তানকে নিয়ে থাকেন তাঁর স্ত্রী। বিচারকের পরিবারের সদস্যরা জানান, বাড়ির সামনে অশান্তির খবর পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন বিচারক। তিনি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিষয়টি জানান ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিওকেও। কিন্তু কোনওরকম পুলিশি সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, সমস্ত বিচারকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

    রামনবমীর (Rishra) শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার অশান্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়ার কাজিপাড়া এলাকা। শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। শুক্রবারের পর অশান্তির আঁচ ছিল শনিবারেও। রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তি হয়েছে হাওড়ার শিবপুরেও। শিবপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কনভয়। পরে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পর অবশ্য যেতে দেওয়া হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ব্যাপক হয়রানি, শিবিরে ভাঙচুর চালাল ক্ষুব্ধ জনতা

    হাওড়ার অশান্তি থিতু হওয়ার আগেই রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তি হয় হুগলির রিষড়ায়। এখানেও শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। রাতের বেলা রেললাইনে করা হয় বোমাবাজিও। চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর। ঘটনার জেরে বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য ওই রুটে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। মধ্যরাত পেরিয়ে নেভে অশান্তির আঁচ। স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ শুভেন্দুর আর্জি, পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে?

    Suvendu Adhikari: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ শুভেন্দুর আর্জি, পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) খারিজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আর্জি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) সংরক্ষণ তালিকার প্রক্রিয়াগত ত্রুটি নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর সেই আবেদনই খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে কলকাতা হাইকোর্ট যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রেখেছিল, সুপ্রিম কোর্টও তাই বহাল রাখল।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আর্জি…

    পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত এই মামলা দ্রুততার সঙ্গে শোনা হোক বলে বুধবার শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেই মতো ঠিক হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে ৪৪ নম্বর আইটেম হিসেবে এই মামলা শোনা হবে। বৃহস্পতিবার আদালতে যখন লাঞ্চের বিরতি হয়, তখন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ৪৪ নম্বর আইটেমে যে মামলা ছিল, তা খারিজ করে দেওয়া হল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা আটকাতে পারি না।

    আরও পড়ুুন: ‘কেস ডায়েরিতে রয়েছে প্রভাবশালীর নাম’, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে দাবি ইডির

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। দায়ের করেছিলেন জনস্বার্থ মামলা। তাঁর দাবি, রাজ্যের ওবিসি আসন সংরক্ষণের কাজ ঠিকভাবে হয়নি। সংরক্ষণের কাজে সমীক্ষা ঠিকভাবে হয়নি বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। এসব ব্যাপারেই আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, আইনে ওবিসি আসন সংরক্ষণের কাজ হয়েছে নিয়ম মেনেই। তার পরেই হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ তারা করবে না। আদালত এও জানিয়েছিল, নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজ করা হয়ে গিয়েছে। তাই আদালত ভোটে কোনও বাধা দেবে না। কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। সেখানে খারিজ হয়ে গেল তাঁর আর্জি।

    প্রসঙ্গত, হাইকোর্ট আগেই জানিয়েছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে। হাইকোর্ট এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, শুভেন্দুর মামলার বিষয়টি এই মুহূর্তে কমিশনের ওপরই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কোনও বক্তব্য থাকলে তা কমিশনে জানাতে পারেন। কমিশন আইন অনুযায়ী সে বিষয়ে পদক্ষেপ করবে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের জেরে জট কাটল পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে খুন করে গোপনাঙ্গ কেটে নিল স্ত্রী, অবশেষে গ্রেফতার প্রেমিক যুগল

    Purulia: ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে খুন করে গোপনাঙ্গ কেটে নিল স্ত্রী, অবশেষে গ্রেফতার প্রেমিক যুগল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসতের মনুয়াকাণ্ডের ছায়া ধরা পড়ল পুরুলিয়ার (Purulia) জয়পুরে। ২০১৭ সালে বারাসতের মনুয়া (Monua) মজুমদার তার প্রেমিক অজিত রায়কে দিয়ে স্বামী অনুপম সিংকে খুন করিয়েছিল। আর সমস্ত ঘটনাটি বাপের বাড়িতে বসে সে ফোনে লাইভ শুনেছিল। পুরুলিয়ার (Purulia) জয়পুরের রাঙ্গুনিটাড় গ্রামের ঘটনাটি অনেকটাই সেরকম। গ্রামের বাড়িতে বসে প্রেমিককে ফোন করে স্বামীকে খুন করে দেহ লোপাট করার লাইভ আপডেট দেয় স্ত্রী। পরে, প্রেমিকের পরামর্শে নিজের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে দেহ পুঁতে দেয়। মৃতদেহে পচন ধরাতে সেখানে লবনও ঢেলে দেয় সে। গোয়ায় বসেই প্রেমিক ফোনে তার প্রেমিকাকে সমস্ত কিছু নির্দেশ দিয়েছিল। ২০ মার্চ রহস্যজনকভাবে জুড়ন মাহাত নামে এক ব্যক্তির রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের সামনে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে আসে। ইতিমধ্যে পুলিশ জুড়নের স্ত্রী উত্তরা মাহাতকে গ্রেফতার করেছে। আর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর প্রেমিক ক্ষেত্রপাল মাহাতকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

    প্রেমিকের সঙ্গে কীভাবে আলাপ হয়েছিল বধূর?

    উত্তরার দুই সন্তান রয়েছে। আর প্রেমিক ক্ষেত্রপালও চার সন্তানের বাবা। সে সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ করে। বছর পাঁচেক আগে উত্তরাদের বাড়িতে সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ করার সময় তার সঙ্গে ক্ষেত্রপালের আলাপ হয়। পরে, ফোন দেওয়া-নেওয়া হয় দুজনের মধ্যে। সময় সুযোগ পেলেই ফোনেই তাদের দুজনের মধ্যে কথাবার্তা চলত। পরে, দুজনের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে। পাঁচ বছর ধরে তাদের মধ্যে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে। বছর দুয়েক আগে উত্তরার স্বামী সমস্ত বিষয়টি জেনে যান। আর এই নিয়ে বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকত। তাই, প্রেমের মধুর এই সম্পর্কের মাঝে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় স্বামী। প্রেমিকের সঙ্গে ছক কষেই স্বামীকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় উত্তরা।

    কী করে খুন করা হল?

    ২০ মার্চ রাতে জুড়নকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে তার স্ত্রী উত্তরা। সেদিন রাতে স্বামীকে ডিমের তরকারি দিয়ে ভাত খেতে দেয়। আর তরকারির মধ্যে সে ২৫টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। ফলে, খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই জুড়ন বেহুঁশ হয়ে পড়েন। এরপরই উত্তরা আসল খেলা শুরু করে। প্রথমে নিজেদের দোকানের বাটখারা করে স্বামীর মাথায় আঘাত করে। পরে, ঘরে তরকারি কাটার ছুরি দিয়ে তাঁর গোপনাঙ্গ কেটে নেয়। আর এই কাজ করার সময় মোবাইলের অন্যপ্রান্তে গোয়ায় বসেই শুনছিল ক্ষেত্রপাল। পরে, স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত জানার পর উত্তরা একাই তাকে টানতে টানতে সেপটিক ট্যাঙ্কে নিয়ে গিয়ে পুঁতে দেয়।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    পুরুলিয়া (Purulia) জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “২০ ই মার্চ বছর ৪৫ এর জুড়ন মাহাত নিখোঁজ হন। ২২ ই মার্চ তার স্ত্রী উত্তরা মাহাত ও বড় ছেলে অপূর্ব মাহাত থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপর ২৫ তারিখ জুড়নের ছেলে জানায়, তাদের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে পচা গন্ধ বের হচ্ছে। এরপরই তদন্তে নেমে জুড়ন মাহাতোর বাড়ির বাইরে থাকা সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পরের দিন উত্তরা মাহাতকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তার প্রেমিক ক্ষেত্রপাল মাহাতকে গ্রেফতার করা হয়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share