Tag: Bengali news

Bengali news

  • Space Economy: মহাকাশ অর্থনীতিতে চিনকে টেক্কা দিচ্ছে মোদির ভারত, জানেন কীভাবে?

    Space Economy: মহাকাশ অর্থনীতিতে চিনকে টেক্কা দিচ্ছে মোদির ভারত, জানেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ অর্থনীতিতে (Space Economy) চিনকে (China) টেক্কা দিচ্ছে নরেন্দ্র মোদির ভারত (India)। মহাকাশের ক্রমবর্ধমান লাভজনক ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে নয়াদিল্লি। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিউস্পেশ ইন্ডিয়া লিমিটেড গত মাসে ওয়ানওয়েব লিমিটেডের জন্য দেশের পূর্ব উপকূলের দ্বীপ থেকে তিন ডজন কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করছে। মহাকাশ থেকে সরবরাহ করা উচ্চ গতির ইন্টারনেটের চাহিদা কক্ষপথে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকে সমৃদ্ধ ব্যবসায় পরিণত করেছে। আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াংয়ের মতে, ২০২৫ সালের মধ্যে মহাকাশ অর্থনীতি ২০২০ সালে ৪৪৭ বিলিয়ন থেকে ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে চলেছে।

    মহাকাশ অর্থনীতি (Space Economy)…

    এতদিন রাশিয়া ও চিন সব চেয়ে বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ (Space Economy) করত। ইউক্রেন যুদ্ধ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বেজিংয়ের সম্পর্কের অবনতির জেরে তারা এখন বহু গ্রাহকের থেকে দূরে সরে গিয়েছে। গত বছর রাশিয়া তার ৩৬টি মহাকাশযান বন্ধ করে দেয়। যার জেরে এই অর্ডার ভারতকে দেয় ওয়ানওয়েব। একই সঙ্গে নানা সমস্যার কারণে ফ্রান্সের এরিয়ান স্পেস আপাতত নয়া রকেট লঞ্চ করতে পারছে না। ব্রিটিশ বিলিয়নিয়ার রিচার্ড ব্র্যানসনের সঙ্গে যুক্ত স্যাটেলাইট লঞ্চ কোম্পানি ভার্জিন অরবিট হোল্ডিংস ইনক গত সপ্তাহেই জানিয়েছিল, জানুয়ারিতে ব্যর্থতার পরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিচ্ছে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কার্যক্রম।

    আরও পড়ুুন: ‘কেস ডায়েরিতে রয়েছে প্রভাবশালীর নাম’, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে দাবি ইডির

    হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি এবং সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট জোনাথন ম্যাকডওয়েলের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেশটির (ভারতের) সাফল্যের হার প্রায় ৭০ শতাংশ। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, রাশিয়া বা চিনের ৯০ এর দশকের রকেটের সাফল্যের হারের তুলনায় খারাপ। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতেও ভারত ভাল করছে। দেশটি সাশ্রয়ী উৎক্ষেপণের জন্য একটি জনপ্রিয় পছন্দে পরিণত হয়েছে। ২০১৩ সালে ভারত (Space Economy) একই বছর নাসা প্রোবের মূল্যের দশ ভাগের এক ভাগে মঙ্গলে অরবিটার পাঠিয়েছিল। সব মিলিয়ে বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মহাকাশ অর্থনীতিতে ভারতের উন্নতির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Humanity:  যাত্রীদের বিনামূল্যে জল ও বিস্কুট বিলোচ্ছেন অটোচালক

    Humanity: যাত্রীদের বিনামূল্যে জল ও বিস্কুট বিলোচ্ছেন অটোচালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ককলকাতার রাস্তায় অটোচালকদের একাংশের তথাকথিত দাদাগিরি নিয়ে অতিষ্ঠ বহু যাত্রী। এ নিয়ে কতই না অভাব-অভিযোগ! যাত্রী নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে অস্বীকার করা, বেপরোয়া ড্রাইভিং, যাত্রীকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে অজস্র ঘটনার খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আমরা অহরহ পেয়ে থাকি। কিন্তু সবার চোখ খুলে দিল মুম্বইয়ের একটি ঘটনা। 
    বিষয়টি প্রকাশ্যে আসত না, যদি না এক মহিলা তাঁর ট্যুইটারে ওই অটোচালকের অনন্য মানবিক (Humanity) মুখটি তুলে ধরতেন।

    কীভাবে জানা গেল ?

    ওই মহিলা ট্যুইটারে লিখেছেন, মুম্বইয়ের এই অটোচালকের অটোতে তিনি দেখেছেন বেশ কিছু পানীয় জলের বোতল এবং বিস্কুটের প্যাকেট, যা ওই অটোচালক যাত্রীদের বিনামূল্যে বিতরণ করে থাকেন। সামান্য দু পয়সা ভাড়া নিয়ে যেখানে কলকাতার মতো মহানগরীতে অটোচালকদের সঙ্গে যাত্রীদের নিয়মিত বচসা লেগেই থাকে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মুম্বইয়ের এই ঘটনা ইন্টারনেট জগতকে পুরোপুরি নাড়িয়ে দিয়েছে। বহু মানুষ কমেন্ট বক্সে গিয়ে অটোচালকের এই মহানুভবতাকে (Humanity) সাধুবাদ জানিয়েছেন।

    কী বলছেন সাধারণ মানুষ ?

    ট্যুইটারে ওই ছবি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে রাত পর্যন্ত ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ তা দেখেছেন এবং লাইক পড়েছে ১১০০ টি। ওই অটোচালকের প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত কমবেশি সকলেই। কেউ লিখেছেন, মানবতার (Humanity) এই মূর্ত প্রতীককে দেখে মনটা আনন্দে ভরে উঠলো। কেউ বলেছেন, মুম্বইয়ের উষ্ণ আবহাওয়ায় এ যেন শীতল হাওয়ার স্পর্শ। আবার অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, ছোট্ট ঘটনাও যে কীভাবে সমাজকে নাড়িয়ে দেয়, তার জলজ্যান্ত উদাহরণ ওই অটোচালক। একজন সোজাসুজি লিখে জানিয়ে দিয়েছেন, এরপর তিনি ওই অটোচালকের বড় ফ্যান হয়ে উঠেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bakhtiyar khilji: অবাককাণ্ড! কাঠের তৈরি খাটে বা চৌকিতে ঘুমোন না এই গ্রামের বাসিন্দারা, কেন জানেন?

    Bakhtiyar khilji: অবাককাণ্ড! কাঠের তৈরি খাটে বা চৌকিতে ঘুমোন না এই গ্রামের বাসিন্দারা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্মান নাকি কুসংস্কার! ইতিহাসকে ঘিরে জনশ্রুতিতে বিশ্বাসী হয়ে কুসংস্কারে এখনও পর্যন্ত কাঠের তৈরি চৌকি বা খাটে কেউই ঘুমোন না দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের বেলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পীরপাল গ্রামের বাসিন্দারা। কাঠের নয় মাটিরই তৈরি ঢিপিতে বা মাটি দিয়ে খাট তৈরি করে অথবা মাটিতে ঘুমোন গ্রামবাসীরা। ইতিহাসবিদ সমিত ঘোষ বলেন, পীরপালের মাটিতে ইখতিয়ার- উদ্দিন -মহম্মদ- বিন- বখতিয়ার খিলজির (Bakhtiyar Khilji) দেহ সমাধিস্থ করা হয়। এরপর তিনি তুর্কি বীর থেকে পীরে পরিণত হন। বীর যোদ্ধাকে (Bakhtiyar Khilji) এই গ্রামের মাটিতে সমাধিস্থ করার পর থেকে গ্রামবাসীরা কাঠের তৈরি খাটে বা চৌকিতে ঘুমোন না। ঘুমোলে তাদের স্বপ্নাদেশে মেরে ফেলার ভয় দেখানো হয় বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এই ভয়ে কয়েকশো বছর থেকে পীরপালের গ্রামের মানুষ কাঠের তৈরি চৌকি বা খাটে ঘুমোন না। পাশাপাশি বখতিয়ার খিলজিকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য গ্রামবাসীরা মাটিতে ঘুমোন।

    পীরপাল গ্রামে কার সমাধি আছে, জানেন?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর, তপন, হরিরামপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় নানা ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। এর মধ্যে গঙ্গারামপুর এলাকার পীরপাল অন্যতম। জেলার ইতিহাসবিদদের থেকে জানা গিয়েছে, বাংলায়  সুলতানি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে বখতিয়ার খিলজি (Bakhtiyar Khilji) সেন বংশের রাজা লক্ষ্মণ সেনকে পরাজিত করে সংগ্রামপুর, দেবীকোর্ট সহ গোটা গৌড় দখল করে নেন। লক্ষ্মণ সেন অন্যত্র পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। তাঁর সৈন্যরা পরাজিত হয়ে নদিয়া ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। এরপর বখতিয়ার খিলজি (Bakhtiyar Khilji) তিব্বত ও কামরুপ অভিযানে যান। সেখানে বিফল হয়ে তিনি দেবীকোর্টে ফিরে আসেন। তিব্বত অভিযান বিফল এবং সৈন্যবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতির কারণে মুসলিম রাজ্যের প্রজাদের মধ্যে বিদ্রোহ ও বিরোধ দেখা দিতে শুরু করে। নানাবিধ চিন্তা এবং পরাজয়ের গ্লানিতে বখতিয়ার খিলজি প্রচন্ডভাবে অসুস্থ ও শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। এর অল্প কিছুদিন বাদে তিনি শয্যাশায়ী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। কেউ কেউ অনুমান করেন যে বখতিয়ার খিলজির (Bakhtiyar Khilji) মৃত্যুর পিছনে তার প্রধান সেনাপতি আলীমর্দান খিলজির হাত ছিল। এরপর বখতিয়ারের মৃতদেহ পীরপালে সমাধিস্থ করা হয়।

    কী বললেন গ্রামের বাসিন্দারা?

    পীরপাল গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, চৌকি বা খাটে ঘুমোলে স্বপ্নাদেশে তাদের ভয় দেখানো হয়। বাপ-ঠাকুরদার সময় থেকে আমরা গল্প শুনে আসছি, রাতে চৌকি বা খাটে শুলে স্বপ্নে ঘোড়া ছোটার আওয়াজ পাওয়া যায়। কে যেন আবার খাট থেকে ফেলে দেয়। আর এরপর সেই পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই কাঠের তৈরি চৌকি বা খাটে কেউ ঘুমোয় না। অন্যদেরও ঘুমোতে দিই না। মাটি দিয়ে বা সিমেন্ট দিয়ে খাট তৈরি করে, সেখানে বিছানা পেতে আমরা ঘুমোই। এই পীর বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই প্রতি বছর বৈশাখ মাসে বড় করে মেলা বসে। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ দেখতে আসেন। এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, বর্তমানে দরগাটির করুণ দশা। সরকার থেকে পর্যটন কেন্দ্র করা হবে বললেও কোনও হেলদোল নেই। ধীরে ধীরে ভগ্নদশায় পরিণত হচ্ছে তুর্কি বীরের (Bakhtiyar Khilji) এই পীরের দরগা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘কেস ডায়েরিতে রয়েছে প্রভাবশালীর নাম’, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে দাবি ইডির

    Recruitment Scam: ‘কেস ডায়েরিতে রয়েছে প্রভাবশালীর নাম’, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই নামগুলো দেখলেই বুঝবেন, ভবিষ্যতে কী হবে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) বুধবার নিম্ন আদালতে কেস ডায়েরি পেশ করে একথা জানালেন ইডির (ED) আইনজীবীরা। যার অর্থ, প্রভাবশালীদের নির্দেশেই সব কাজ হয়েছে। ইডির জেরায় বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রভাবশালীদের নির্দেশেই সব কাজ করেছেন শান্তনু। সেই নির্দেশ পালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কুন্তল ঘোষকে। এই প্রভাবশালীদের নাম জানতে কুন্তলকে লাগাতার জেরা করছেন তদন্তকারীরা।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ড (Recruitment Scam)…

    কেস ডায়েরি হল সেই গোপন গুরুত্বপূর্ণ নথি, যাতে তদন্তের যাবতীয় অগ্রগতি লিপিবদ্ধ করা হয়। এবং যেটা শুধু তদন্তকারী সংস্থা এবং বিচারকই দেখতে পান। এদিন বিচারকের উদ্দেশে ইডির আইনজীবীরা বলেন, হুজুর, কেস ডায়েরিটা ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। তাতে উল্লিখিত প্রভাবশালীদের নামগুলো দেখুন। প্রকাশ্য আদালতে সেই নামগুলো দেখুন। প্রকাশ্য আদালতে সেই নামগুলো (Recruitment Scam) বলতে পারছি না। দেখলেই বুঝবেন, ভবিষ্যতে কী ঘটতে চলেছে। এদিন আদালতে শান্তনুর আইনজীবীরা বলেন, তদন্তকারী সংস্থা আমাদের মক্কেলের যেসব বিষয় সম্পত্তির কথা উল্লেখ করেছে, তা ঋণ নিয়ে কেনা হয়েছে। আমাদের মক্কেল প্রতিষ্ঠিত পরিবারের ছেলে। তিনি এত বোকা নন যে, তাঁর বাড়িতে তিনশোটি ওএমআর শিট সাজিয়ে রাখবেন।

    বাবার মৃত্যুর পরে উনি তাঁর চাকরিটি পেয়েছিলেন। গ্রেফতারের পর সেই চাকরি চলে গিয়েছে। বিচারক শান্তনুর পেশা সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁর আইনজীবী বলেন, ওঁর হোটেল ব্যবসা, অতিথিশালা ও মোবাইলের দোকান রয়েছে। বিচারক শান্তনুর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চাইলে শান্তনু বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। মাল্টিমিডিয়ায় ডিপ্লোমা রয়েছে। এদিন শান্তনুর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে ইডির আইনজীবীরা বলেন, এই অভিযুক্ত সরকারি কর্মী। উনি তো ব্যবসা করতে পারেন না। ওঁর বার্ষিক বেতন ছ লক্ষ টাকা, কিন্তু সম্পত্তি ২০ কোটি টাকার।

    আরও পড়ুুন: ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর লক্ষ্যে কাজ করে যান! বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে বার্তা মোদির

    ইডির আইনজীবীর দাবি, ড্যামি ডিরেক্টরদের নামে বেনামি সম্পত্তি (Recruitment Scam) কেনা হয়েছিল। সম্পত্তি কেনা হত নগদ টাকায়। শান্তনুর ছেলের নামে তৈরি করা হয়েছিল কোম্পানি। জানা গিয়েছে, অধস্তন কর্মীদের মাধ্যমে স্ত্রী প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে কোম্পানি খুলেছিলেন শান্তনু। খাতায় কলমে ডিরেক্টর বানানো হয়েছিল তাঁদের। ইডির দাবি, শান্তনুর মোবাইল ফোন থেকে যতদূর জানা গিয়েছে, তাতে প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে বিপুল টাকা নিতেন শান্তনু। শান্তনু সরকারি কর্মী ছিলেন। বার্ষিক আয় ৬ লক্ষ টাকা। আদালতের কাছে সাবমিশন লেটারে ইডির দাবি, নির্দিষ্ট বেতনের চাকরি করেও প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছিলেন শান্তনু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • DA: ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যকে আলোচনায় বসার নির্দেশ হাইকোর্টের

    DA: ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যকে আলোচনায় বসার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ (DA) সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কেন্দ্রীয় হারে ও বকেয়া ডিএর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ব্যানারে শহিদ মিনার চত্বরে চলছে আন্দোলন। প্রাপ্য ডিএ না পাওয়ায় কর্মবিরতি পালনও করেছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার ফের ডাক দেওয়া হয়েছে কর্মবিরতির। পালন করেছেন ধর্মঘটও। এসব কারণে একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে বলে অভিযোগ।

    ডিএ (DA) মামলা…

    এরই প্রতিবাদে হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। বৃহস্পতিবার এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের নির্দেশ, ১৭ এপ্রিল কর্মী সংগঠনের তিন সদস্যের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে রাজ্যকে। আলোচনা (DA) যাতে ফলপ্রসূ হয়, সে দিকেও নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, ডিএ সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। এদিন শুনানি চলাকালীন জরুরি পরিষেবা সচল রয়েছে কিনা, জানতে চান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। হাসপাতালগুলির অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন করেন। বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, জরুরি পরিষেবা সব চলছে। সব দফতরে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা গ্রহণের ব্যবস্থা নেই বলেও জানান তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর লক্ষ্যে কাজ করে যান! বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে বার্তা মোদির

    এর পরেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, তাহলে নির্দিষ্ট করে কীভাবে জানবেন কতজন কর্মী দফতরে এসেছেন, আর কাজ করছেন?  বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা বিচারাধীন। কর্মচারি সংগঠনগুলি তার জন্য অপেক্ষা করতে পারছে না? এখনই কেন কর্মবিরতির মতো পদক্ষেপ? মামলাকারীর দাবি, কর্মবিরতির ফলে ৪৩৬ কোটি টাকার ক্ষতি হবে। এটা তো ভাবার বিষয়। এর জন্য অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন। ১৫ দিন পর আবার এমন পদক্ষেপ করলে তখন কী হবে? কর্মচারি (DA) সংগঠনের তরফে আইনজীবী জানান, এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পরেই বেঞ্চ আলোচনায় বসার নির্দেশ দেয় রাজ্যকে। বেঞ্চের মন্তব্য, ডিএ সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ত্রিফলা নিয়ে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ, উত্তাল পুরুলিয়া

    TMC: মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ত্রিফলা নিয়ে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ, উত্তাল পুরুলিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেই দুর্নীতি, সেই স্বজনপোষণের অভিযোগ। এবার বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ত্রিফলা। অকেজো হয়ে পড়া ত্রিফলার নিলাম ঘিরেই শুরু হয়েছে জলঘোলা। লোকদেখানো নিলাম ডেকে বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে থাকা কাউন্সিলারের ছেলেকে অকেজো ত্রিফলা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত পুরুলিয়া পুরসভা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শাসকদলেরই একাধিক কাউন্সিলার এনিয়ে সরব হয়েছেন। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, আইন মেনেই নিলাম হয়েছে। কাউকে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রসঙ্গত, অকেজো ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের কেটে ফেলা অংশ নিলাম করা নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। গত শনিবার ওই ত্রিফলা বাতিস্তম্ভগুলির নিলাম হয়। নিলামে এই সমস্ত সামগ্রী পান বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে থাকা তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার আনোয়ারি বিবির ছেলে শেখ সাহিদ।

    দলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ, কী বলছে তৃণমূল ?

    পুরুলিয়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার রবিশঙ্কর দাস বলেন, ওই ত্রিফলা মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। ত্রিফলা আলো কেটে দেওয়ার সময়ই আপত্তি করেছিলাম। কারণ কিছু ত্রিফলা খারাপ হয়ে থাকলে তা সারানো যেত। তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার আনোয়ারি বিবির ছেলেই নিলামে ওই ত্রিফলা বাতিস্তম্ভগুলি পেয়েছে। আর এর ফলেই উঠেছে প্রশ্ন। কাউন্সিলারের ছেলেকে এই নিলাম পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগে সরব হয়েছেন।

    এ বিষয়ে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সমীরণ রায় বলেন, নিলাম নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই, প্রশ্ন উঠেছে আমাদের দলেরই কাউন্সিলার তথা বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তের ছেলেই নিলামে সব জিনিস পাচ্ছেন বলে। এই কারণেই সবাই দল এবং পুরসভার বিরুদ্ধে আঙুল তুলছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সুনয় কবিরাজ বলেন, নিলাম হয়তো নিয়ম মেনে হয়েছে। কিন্তু বাইরে কে কী সেটিং করেছে, সেটা বলা সম্ভব নয়। কিন্তু আমি থাকলে নৈতিকভাবে এরকম নিলামে অংশগ্রহণ করতাম না।

    কী বলছেন পুরুলিয়া পুরসভার বিরোধী দলনেতা ?

    অন্যদিকে পুরুলিয়া পুরসভার বিরোধী দলনেতা প্রদীপ মুখার্জি বলেন, কাউন্সিলারের ছেলে ছাড়া আর কি কোনও ব্যবসায়ী নেই শহরে? গোটা নিলাম প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে পড়ছে। একই সুর বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখার্জির গলাতেও। এবিষয়ে পুরুলিয়া পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ও তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর আনোয়ারি বিবির কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ছেলে ও বরাত পাওয়া ঠিকাদার শেখ সাহিদের ভাই সেখ সাব্বির বলেন, সমস্ত আইন মেনেই ভাই নিলামে অংশগ্রহণ করে সবচেয়ে বেশি দাম দিয়ে ওই সামগ্রী পেয়েছে। কাউন্সিলারের ছেলে বলে নিলামে অংশ নিতে পারবে না, এমন কোনও আইন নেই। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। 

    অভিযোগ সঠিক নয়, দাবি করে কী যুক্তি দিলেন পুরপ্রধান ?

    পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি বলেন, বিরোধীদের অভিযোগ সঠিক নয়। সমস্ত আইন মেনেই নিলাম করা হয়েছে। নিলামে পাঁচজন অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রত্যেককে নিলামের আগে ৩ লক্ষ টাকা জমাও করতে হয়েছিল। ওপেন নিলামে যে কেউ অংশ নিতেই পারেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ভাই ও তাঁর স্ত্রীর রহস্যমৃত্যু! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে কী দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক?

    Jalpaiguri: ভাই ও তাঁর স্ত্রীর রহস্যমৃত্যু! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে কী দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  ভাই ও তাঁর স্ত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে পাঁচদিন আগেই  জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের পান্ডাপাড়া রোড এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবী সুবোধ ভট্টাচার্য এবং জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অপর্ণা ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। এই ঘটনা নিয়ে সুবোধবাবুর দিদি তথা বিজেপি বিধায়ক জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায় কয়েকজনের নামে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু, পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বুধবার বিকেলে তিনি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায় ফের যান। থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ দায়ের করার পরেও কেন অভিযুক্তরা গ্রেফতার হল না, তা তিনি জানতে চান। পরে, এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি দেন। বিজেপি বিধায়ক বলেন, “এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি। তাই তিনি ওই পদে যতক্ষণ বসে থাকবেন ততক্ষণ পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করবে না। তাই পুলিশের তদন্তের উপর আমাদের কোনও ভরসা নেই। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সকলের, তাই তাঁর কাছে চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ জানালাম সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ যাঁরা অভিযুক্ত রয়েছেন, তাঁদের সরকারি এবং দলীয় পদ থেকে সরিয়ে পুলিশকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিন। অনুরোধ, মুখ্যমন্ত্রী যেন নিজেই এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চান।” পাশাপাশি জেলা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে আদালতের নজরদারিতে ঘটনার তদন্তের দাবি জানানো হয়। 

    সুইসাইড নোটে কোন নেতার নাম লেখা রয়েছে?

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সন অপর্ণা ভটাচার্য এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী সুবোধ ভট্টাচার্যের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সুইসাইড নোট উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই তা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, সুইসাইড নোটে তাঁদের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা যুব সভাপতি তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও আরও তিন জনের নাম পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, অপর্ণা ভট্টাচার্য ২০০০ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকের কাউন্সিলর হিসেবে জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি জলপাইগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের চাইল্ডলাইনে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্বামী সুবোধবাবুও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির প্রাক্তন সদস্য। কয়েক বছর আগে তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে শিশু পাচার কাণ্ডের পর্দা ফাঁস হয়েছিল। 

    এনিয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কী বললেন?

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে যাঁরা জমি মাফিয়া বলছে, আমি তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “মনোময় সরকারের কাছ থেকে শিখা চট্টোপাধ্যায় ২১ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে কোতোয়ালিতে অভিযোগ জমা পরেছে। ৪ এপ্রিল তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে শিখা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি চাই এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে’, রাজ্যপালকে চিঠি বুদ্ধিজীবী সেলের

    BJP: ‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে’, রাজ্যপালকে চিঠি বুদ্ধিজীবী সেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় হামলা প্রসঙ্গে এই মর্মে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখল বিজেপির (BJP) বুদ্ধিজীবী সেল (Intellectual Cell)। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ২৬ জন বুদ্ধিজীবী। বিজেপির বুদ্ধিজীবী সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক পুলক নারায়ণ ধর বলেন, রাজ্যে যে অশান্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, সে ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নিন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচ্ছন্ন মদত ছাড়া পুলিশ এতটা নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না। পুলিশ দুর্নীতি ইস্যুতে চোখ বন্ধ করে রয়েছে। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে সময় চেয়েছেন তাঁরা।

    বিজেপির (BJP) বুদ্ধিজীবী সেল…

    রাজ্যপালকে লেখা ওই চিঠিতে (BJP) যাঁরা স্বাক্ষর করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী রুবি মুখোপাধ্যায়, ডঃ গোপালচন্দ্র মিশ্র, প্রাক্তন আইএএস দীপক ঘোষ, লেখক দীপ্তিমান বসু, চলচ্চিত্র নির্মাতা কৌশিক অধিকারী, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষও। চিঠিতে আহ্বায়ক হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক পুলকনারায়ণ ধরের। চিঠির প্রথমেই বলা হয়েছে, হাওড়া ও পরে রিষড়ায় একটি ধার্মিক বিশ্বাসের মানুষের রামনবমীর শোভাযাত্রায় আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছি আমরা। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আপনার (রাজ্যপাল) আশ্বাসবাণী ছিল যে অপরাধীদের লৌহমুষ্ঠিতে দমন করা হবে, তা সত্ত্বেও এই ঘটনা ঘটে চলেছে। আইন ভঙ্গকারীরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর রাজ্যের পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে চোখ বন্ধ করে রয়েছে। এই জন্যই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা।

    আরও পড়ুুন: ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগে বিরোধীদের করা আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    এ থেকেই বোঝা যায়, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। নির্দ্বিধায় বলা যায়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই চোখ বন্ধ করে রয়েছে পুলিশ। বুদ্ধিজীবী (BJP) সেলের মতে, পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। অন্যত্রও অশান্তি ছড়াতে পারে। চিঠিতে বলা হয়েছে, আমাদের ধারণা, দুর্নীতিতে জর্জরিত রাজ্য সরকার নজর ঘোরাতেই রাজ্যজুড়ে সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি। সব ধর্মের মানুষের ধর্মাচরণের স্বাধীনতার রক্ষার পক্ষে দাবি জানাচ্ছি। পুলক নারায়ণ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দিষ্ট কোনও সম্প্রদায়ের দোষ ত্রুটি ঢেকে রাখছেন। রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলার ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক ও নেতিবাচক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগে বিরোধীদের করা আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Supreme Court: ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগে বিরোধীদের করা আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মুখ পুড়ল বিরোধীদের। ইডি (ED) ও সিবিআইকে (CBI) হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই দুই সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করেছিল দেশের ১৪টি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল। বুধবার বিরোধীদের সেই পিটিশন খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেছে, কোনও নির্দিষ্ট উদাহরণ নিয়ে শুনানি চলতে পারে। কিন্তু সার্বিকভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে মামলার শুনানি ও রায়দান সম্ভব নয়। আবেদনকারী (Supreme Court) পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিকে প্রধান বিচারপতি বলেন, যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে পারবেন, তখন আবার আসবেন।

    সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন…

    প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ দেশের শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছিল দেশের ১৪টি বিরোধী দল। কংগ্রেসের পাশাপাশি তাতে ছিল তৃণমূল, আপ, বাম, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি এবং বিআরএস-ও। এদিন আদালতে (Supreme Court) বিরোধীদের তরফে আইনজীবী মনু সিংভি জানান, বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত শুরু করেছে, তাদের মধ্যে মাত্র ২৩ শতাংশ ক্ষেত্রে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। ২০০৫ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ইডি তদন্তাধীন ৯৩ শতাংশ রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল। ২০১৪ সালের পর থেকে সিবিআই ও ইডি যে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে, তাঁদের ৯৫ শতাংশই বিরোধী দলের নেতা। অথচ ইউপিএ সরকারের সময় যে ৭২ জন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল সিবিআই, তাদের মধ্যে ৪৩ জন বিরোধী দলের।

    আরও পড়ুুন: রাত পোহালেই হনুমান জয়ন্তী, অশান্তি রুখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    শীর্ষ আদালত জানায়, মামলার আবেদনে লেখা হয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে সামগ্রিক রাজনৈতিক বিরোধিতা ও অন্যান্য সরব কণ্ঠস্বরকে ধ্বংস করা, দীর্ঘ দিনের জন্য তাদের জেলে বন্দি করার একটি স্পষ্ট নকশা দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি, মাঝেমধ্যেই ভয়াবহ আইন তৈরি করা হচ্ছে যাতে জামিন পাওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, সিবিআই এবং ইডির অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী সহ ৮টি বিরোধী দলের ৯ জন  নেতা। ওই চিঠিতে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মতো নেতারা স্বাক্ষর করলেও, কংগ্রেসের কারও সই ছিল না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rishra: ছন্দে ফিরছে রিষড়া, পুলিশ কমিশনারেটে ডেপুটেশন দিলেন লকেট

    Rishra: ছন্দে ফিরছে রিষড়া, পুলিশ কমিশনারেটে ডেপুটেশন দিলেন লকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বুধবার থেকে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে রিষড়া (Rishra)। রিষড়ার ৪ নম্বর রেলগেটের কাছে হাতেগোনা দু-একটি মুদিখানা, সব্জির দোকান খুলেছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্ক কাটিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে কেনাকাটাও করেছেন। তবে, রাস্তায় এদিন কোনও জটলা করতে দেয়নি পুলিশ। গোটা রিষড়া (Rishra) জুড়ে প্রায় ৭০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছে। এদিন এলাকায় দিনভর পুলিশি টহল রয়েছে। রিষড়া, শ্রীরামপুর দুজায়গায় এদিনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। চন্দননগর ও হুগলি গ্রামীণ পুলিশের পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে পাঠানো হয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। রিষড়ার (Rishra) ৪ নম্বর রেল গেট এলাকায় অশান্তির জেরে সোমবার রাতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মঙ্গলবারও আতঙ্কে বিস্তীর্ণ এলাকা একেবারে থমথমে ছিল। এমনকী ব্যান্ডেল-হাওড়া লাইনে মঙ্গলবার লোকাল ট্রেনও খাঁ খাঁ করেছিল। তবে, বুধবার ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় ছিল।

    পুলিশ কমিশনারেটে ডেপুটেশন দিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়?

    মঙ্গলবার বালি থেকে ট্রেন রুটে রিষড়ায় (Rishra) গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ট্রেন থেকে নামার পর ব্যাপক পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তিনি। পূর্ব ঘোষণা মতো রিষড়াকাণ্ড ইস্যুতে  বুধবার হুগলির চুঁচুড়ার ঘড়ি মোড়ে বিজেপি কর্মীরা জমায়েত হন। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ সেখানে হাজির হন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি পুলিশ কমিশনারেট অফিসের দিকে যান। বিজেপি-র ডেপুটেশন কর্মসূচির জন্য আগে থেকেই পুলিশ কমিশনারেটের অফিসের সামনে গার্ডরেল দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। সেখানে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিল। ফলে, বিজেপি কর্মীরা কমিশনারেটের অফিসের সামনে আসতেই পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। পরে, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পুলিশ কমিশনারের অফিসে যান। তবে, পুলিশ কমিশনার না থাকায় ডিসি (সদর) মিসেস নিধিরানির কাছে তাঁরা ডেপুটেশন জমা দেন। ডেপুটেশন দিয়ে বেরিয়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, খেলনা পিস্তল নিয়ে একজনকে রিষড়া থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আর যারা ট্রেনে পাথর ছুঁড়ল, এলাকায় হামলা চালাল পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিল না। সাগরদিঘিতে ভরাডুবি হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী পরিকল্পিতভাবে এসব করছে। যারজন্য হনুমান জয়ন্তীতে গন্ডগোল হবে তা তিনি আগাম বলে দিচ্ছেন। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে রিষড়া (Rishra) নিয়ে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য বলেছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share