Tag: Bengali news

Bengali news

  • Rishra: বোমাবাজি, ইটবৃষ্টি, স্তব্ধ ট্রেন চলাচল! সোমবার রাতে ফের অগ্নিগর্ভ রিষড়া, থমথমে মঙ্গলবার সকালেও

    Rishra: বোমাবাজি, ইটবৃষ্টি, স্তব্ধ ট্রেন চলাচল! সোমবার রাতে ফের অগ্নিগর্ভ রিষড়া, থমথমে মঙ্গলবার সকালেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাতের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর মঙ্গলবার সকালে থমথমে রিষড়া। সকাল থেকে এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখার ট্রেনগুলি কার্যত খালি ছিল সকালে। ট্রেন চলাচল যাতে স্বাভাবিক থাকে তার জন্য লাইনের ধারে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল আরপিএফ বাহিনী। এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা। যদিও, মানুষের মধ্যে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।

    দু’দিন আগেই রাম নবমীর শোভাযাত্রায় হামলাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রিষড়ায় (Rishra)। সোমবার রাত নামতেই ফের অশান্তি ছড়াল রিষড়া স্টেশনের আশপাশের এলাকায়। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। আর তার জেরেই সোমবার রাত থেকে হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় প্রায় তিন ঘণ্টা আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ঘটনার সময় আপ ব্যান্ডেল লোকাল রিষড়া (Rishra) স্টেশনে এসে দাঁড়িয়েছিল। ৪ নম্বর রেল গেটের কাছে অশান্তির জেরে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ট্রেনের ভিতরে তখন অফিস ফেরত নিত্যযাত্রীতে ঠাসা।

    বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে রেল লাইন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। যার জেরে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে ট্রেনের অধিকাংশ দরজা, জানলা বন্ধ করে দেন। ট্রেনের ভিতরেই তিন ঘণ্টা চরম আতঙ্কের মধ্যে তাঁরা কাটান। যাত্রীদের বক্তব্য, স্টেশনে প্রথম দিকে হাতে গোনা কয়েকজন পুলিশ কর্মী ছিলেন। ফলে, চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলাম। আর বাইরে ব্যাপক বোমবাজি, চিৎকার, আগুন দেখে কেউ ট্রেন থেকে নামার সাহস পাইনি।

    রিষড়ায় (Rishra) কেন ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়

    এমনিতেই দুদিন আগে রামনবমীর শোভাযাত্রায় গন্ডগোলের জেরে উত্তেজনা রয়েছে রিষড়া (Rishra) এলাকায়। সম্ভবত সেই ঘটনার জের আছড়ে পড়ে সোমবার রাতে। রিষড়া (Rishra) স্টেশনের আশেপাশে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। জানা গিয়েছে, স্টেশনের আশপাশে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। নতুন করে গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। এলাকায় তখন বিশাল জমায়েত ছিল। পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইট, পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে।

    পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয় যে তা সামাল দিয়ে এডিজি (সাউথ বেঙ্গল) সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, ডিআইজি (বর্ধমান রেঞ্জ) শ্যাম সিং, চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগির নেতৃত্বে প্রচুর পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। একইসঙ্গে আরপিএফের পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ এবং আরপিএফ এক যোগে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে।

    জানা গিয়েছে, হামলাকারীরা পুলিশের একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। রেল লাইন লাগোয়া একটি গুমটির দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে একাধিক কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয়। পরে, পুলিশের উপস্থিতিতে রাত ১টা ৮ মিনিট নাগাদ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পূর্ব রেলের এক আধিকারিক বলেন, বিক্ষোভকারীরা রিষড়ার (Rishra) ৪ নম্বর রেল গেট বন্ধ করতে দিচ্ছিল না। ফলে, ট্রেন চালানো সম্ভব ছিল না। আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। রেল বর্হিভূত কোনও অশান্তির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aadhaar Card: কাবাড়ির দোকানে মিলল বস্তা বস্তা আধারকার্ড, একাধিক ব্যাঙ্কের এটিএম, কোথায় জানেন?

    Aadhaar Card: কাবাড়ির দোকানে মিলল বস্তা বস্তা আধারকার্ড, একাধিক ব্যাঙ্কের এটিএম, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বস্তার মধ্যে থরে থরে সাজানো রয়েছে আধার কার্ড (Aadhaar Card)। একটি বা দুটি নয়, এক সঙ্গে ১৪টি বস্তা রয়েছে। একই সঙ্গে রয়েছে ব্যাঙ্কের একাধিক এটিএম। এই চিত্র কোনও সরকারি অফিসে বা ব্যাঙ্কের মধ্যে নয়, পুরুলিয়া শহরের ১৫নম্বর ওয়ার্ডের ভগতসিং মোড়ে একটি কাবাড়ি দোকানের। সেখানে ডাক বিভাগের ছাপ দেওয়া প্রায় ১৪টি বস্তায় আধার কার্ড (Aadhaar Card), ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড ও ব্যাঙ্কের কাগজ সহ সরকারি চিঠি উদ্ধার হয়েছে। সোমবার এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কী ভাবে এই আধার কার্ড (Aadhaar Card) আবেদনকারীর কাছে না পৌঁছে কাবাড়ির দোকানে পৌঁছে গেল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    কী বললেন ডাক বিভাগের আধিকারিক? Aadhaar Card

    সরকারি নিয়ম অনুসারে আধার কার্ড (Aadhaar Card) আবেদন করার পর, সেই কার্ড তৈরি হয়ে গেলে কার্ডগুলি ডাক বিভাগের কর্মীরা গ্রাহকদের ঠিকানায় পৌঁছে দেন। ‌কিন্তু, এই ক্ষেত্রে আবেদনকারীর ঠিকানার পরিবর্তে কাবাড়ির দোকানে পৌঁছে যাওয়ায় ডাক বিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয়ে ডাক বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট নিমাইচন্দ্র সরেন বলেন, এটিএম তো স্পিড পোস্টে আসে। সেটা যার নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার কাছে যাবে, না হলে ফিরে যাবে। কাবাড়ির দোকানে যাওয়ার কথা নয়। আর অত আধার কার্ড (Aadhaar Card) ওই দোকানে কী করে গেল তা তদন্ত করে দেখা হবে।

    কী বললেন কাবা়ড়ি দোকানের মালিক? Aadhaar Card

    দোকানে বস্তার মধ্যে ডাঁই হয়ে আধার কার্ড (Aadhaar Card) পড়ে রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই দোকানের মালিক চাপে পড়ে যান। কাবাড়ি দোকানের মালিক মূকাররাম আলি বলেন, আমার পুরানো জিনিস কেনার লাইসেন্স রয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে বই, খাতা কেনা হয়। বস্তার মধ্যেই আধার কার্ডগুলি (Aadhaar Card) রাখা ছিল। আমরা তা দেখিনি। দোকানের একপাশে ডাঁই করে বস্তাগুলি রাখা ছিল। বস্তার মুখ খোলার পরই বিষয়টি সামনে আসে। আমরা বিষয়টি জানতাম না।

    কী পদক্ষেপ নিল ডাক বিভাগ? Aadhaar Card

    জানা গিয়েছে, ডাক বিভাগের আধিকারিকরা বিষয়টি জানার পরই ডাক বিভাগের দুই আধিকারিক ওই কাবাড়ি দোকানে হানা দেন। উদ্ধার করা হয়েছে ১৪ বস্তা আধার কার্ড (Aadhaar Card) সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র। এই ঘটনায় ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে বস্তাসহ দোকানের দুই কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর থানায় নিয়ে আসে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রাম নবমীর মিছিলে হামলা, শুভেন্দুর মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

    Ram Navami: রাম নবমীর মিছিলে হামলা, শুভেন্দুর মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) মিছিলে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা রাজ্যে ঘটেই চলেছে। সেসব ঘিরে অশান্তিও কম হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হাওড়ার ঘটনার পরই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সেই আবেদনের জেরেই কড়া পদক্ষেপ করল হাইকোর্ট। হাওড়া, হুগলি ও উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় অশান্তির ব্যাপারে ৫ এপ্রিল, বুধবারের মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

    সিসিটিভি এবং অন্যান্য সমস্ত ভিডিও ফুটেজও জমা করতে হবে বলে হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে। তবে শুধু রিপোর্ট তলব করেই আদালত থেমে থাকেনি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এদিনও মামলাকারী অবশ্য ঘটনার এনআইএ তদন্ত এবং অশান্ত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছেন। আগামী ৬ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি।

    রামনবমীর (Ram Navami) মিছিল নিয়ে আবেদনকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার কী বললেন?

    সোমবার শুভেন্দুবাবুর আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে। আবেদনকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদারের সাফ কথা, ৩০ মার্চ হাওড়া এবং ডালখোলায় রামনবমীর (Ram Navami) যে মিছিল করা হয়েছিল, তাতে পুলিশের অনুমতি আগেভাগেই নেওয়া ছিল। তাহলে সেইসব মিছিলে হামলা হল কী করে? রাজ্য সরকারের উদাসীনতার পাশাপাশি  রাজভবন এবং কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে এগিয়ে এসেছে, সে কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এতকিছুর পরেও রবিবার হুগলির রিষড়াতেও যে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, জানিয়ে দেন সেকথাও। তাঁর অভিযোগ, ওই সব এলাকার পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়। 

    রামনবমীর (Ram Navami) মিছিল নিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের জবাব—

    হাইকোর্টের একের পর এক প্রশ্নবাণের মুখে পড়ে আদালতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, শিবপুরে শান্তিপূর্ণ মিছিল করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু মিছিল শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যেই মিছিলকারীরা পুলিশের সেই নির্দেশ মানেনি। তারা হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। হাওড়ার পরিস্থিতি আপাতত পুলিসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করে তিনি জানান, ঘটনায় ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আদালত এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্যও পদক্ষেপ নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Priyank Kanoongo: ‘হাওড়ায় শিশুদের দিয়ে হিংসা ছড়ানো হয়’, বিস্ফোরক অভিযোগ এনসিপিসিআর কর্তার

    Priyank Kanoongo: ‘হাওড়ায় শিশুদের দিয়ে হিংসা ছড়ানো হয়’, বিস্ফোরক অভিযোগ এনসিপিসিআর কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ায় (Howrah) শিশুদের দিয়ে হিংসা ছড়ানো হয়, পাথর ছোড়ায় ব্যবহার করা হয় শিশুদের। হাওড়ায় অশান্তির ঘটনায় এই অভিযোগই করেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন (NCPCR)। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠীকে। নির্দেশ দেন এনসিপিসিআরের চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো (Priyank Kanoongo)। ওই ঘটনায় কী পদক্ষেপ নিল পুলিশ, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার রিপোর্ট তলবও করেছে এনসিপিসিআর। 

    প্রিয়ঙ্ক কানুনগোর (Priyank Kanoongo) অভিযোগ…

    শুক্রবার রামনবমী উপলক্ষে হাওড়ায় শোভাযাত্রা বের করে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। শোভাযাত্রা কাজিপাড়ার কাছে গেলেই হয় হামলা। দুষ্কৃতীরা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। ছোড়া হয় বোমাও। অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা হয়েছে হাওড়ারই শিবপুরেও। রবিবার রামনবমীর শোভাযাত্রা বের হয় হুগলির রিষড়ায়। সেখানেও হামলা হয়েছে শোভাযাত্রায়। সোমবার হাওড়ার সিপি প্রবীণ ত্রিপাঠিকে লেখা চিঠিতে প্রিয়ঙ্ক (Priyank Kanoongo) লিখেছেন, দিন দুয়েক আগে হাওড়ার শিবপুরে যে হিংসার ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তাতে শিশুদেরও অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। ইটপাটকেল ছুড়তে দেখা গিয়েছে তাদেরও। প্রমাণ হিসেবে প্রিয়ঙ্ক ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজের ট্যুইটার লিঙ্কও দিয়েছেন চিঠিতে। তলব করা হয়েছে রিপোর্টও।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ন্যায় বিচারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’’! সিবিআইকে দরাজ সার্টিফিকেট প্রধানমন্ত্রীর

    তিলজলায় বছর সাতেকের এক শিশুকন্যাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার তদন্তে কলকাতায় এসে প্রিয়ঙ্ক তিলজলা থানার ওসি বিশ্বক মুখোপাধ্যায়ের হাতে প্রহৃত হন বলে অভিযোগ। রাজ্যের শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়ের সঙ্গে বচসায়ও জড়িয়ে পড়েন এনসিপিসিআর চেয়ারম্যান। পুলিশি তদন্তে ঢিলেঢালা ভাব দেখে তিনি বলেওছিলেন, কলকাতার পুলিশ মনে হয় না খুনিকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারবে। ফরেন্সিক তথ্যপ্রমাণ জোগাড়েও ওরা তৎপর নয়।

    মালদহে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। স্কুলের মধ্যেই গণধর্ষণ করা হয় ওই নাবালিকাকে। ওই ঘটনার তদন্তে গিয়েও সুদেষ্ণার সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন প্রিয়ঙ্ক (Priyank Kanoongo)। বাংলা সফরের অভিজ্ঞতা যে প্রিয়ঙ্কর খুব একটা সুখের হয়নি, দিল্লি যাওয়ার আগেই তা জানিয়েছিলেন এনসিপিসিআর চেয়ারম্যান। তার পরেই রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে শিবপুরে অশান্তির ঘটনায় হাওড়ার সিপিকে চিঠি দিলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রিষড়াকাণ্ডে রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভে বিজেপির রাজ্য সভাপতি! কেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: রিষড়াকাণ্ডে রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভে বিজেপির রাজ্য সভাপতি! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রিষড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সোমবার নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হল কোন্নগরের বিশালাক্ষী মোড় এলাকায়। পুলিশ ব্যারিকেড করে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের আটকায়। এমনকী বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রিষড়ায় যেতে চাইলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ গাড়ি থেকে নামতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, রাম নবমীর শোভাযাত্রায় মিছিলে হাঁটার সময় পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ জখম হন। তিনি হিন্দমোটরে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন। এদিন সকালে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সেখানে দলীয় বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে যান। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) চলে যাওয়ার পরই সেই বেসরকারি  হাসপাতালে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরপর সুকান্তের গন্তব্য হয় রিষড়া। কিন্তু, সেখানে ঢোকার আগেই পুলিশের পক্ষ থেকে কোন্নগরে গাড়ি থেকে নামতে বাধা দেওয়া হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে আটকানো হয়। পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকায় সুকান্তের গাড়ি। সঙ্গে ছিলেন সাংসদ জ্যোর্তিময় সিং মাহাত। এরপর বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কার্যত ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে বিজেপি কর্মীরা। ওঠে স্লোগান। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়ে বিজেপি সমর্থকরা। পুলিশের দাবি, ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই তাঁকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। পুলিশি বাধার প্রতিবাদে বিজেপির রাজ্য সভাপতি, বিজেপির সাংসদ জ্যোর্তিময় সিং মাহাত রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ করেন।

    গন্ডগোলের পরই কেমন আছে আজ রিষড়া ? Suvendu Adhikari

    রাম নবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তির পর সোমবার থমথমে ছিল রিষড়া। এদিন সকালে রিষড়ায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হল। জটলা হঠাতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ। সরানো হয় জমায়েত। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিন এলাকায় অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রিষড়ার বিভিন্ন এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি। সকালে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগির নেতৃত্বে এলাকায় রুট মার্চ করা হয়। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোনোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার করা হয়। এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। আজ রাত ১০টা পর্যন্ত রিষড়া ও মাহেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকালের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিন তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারক ৩ জনের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজত এবং ৯ জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    রিষড়াকাণ্ড নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী? Suvendu Adhikari

    রিষাড়াকাণ্ডে আক্রান্ত দলীয় বিধায়ক বিমান ঘোষকে দেখার পর রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, হাওড়ার শিবপুরকাণ্ডে তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামী সামিম আহমেদ। তিনি তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি। আর রিষড়ার ঘটনায় জড়িত রয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর সাকির আলি এবং পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান খান। রাম নবমীর শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায় ওরা।

    পুলিশি বাধা নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? Suvendu Adhikari

    কোন্নগরে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ১১৪ ধারা জারি রয়েছে বলে আমাকে যেতে দেওয়া হল না। অথচ সেখানে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য পালের সঙ্গে কথা বলেছি। রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আমরা যাব।

    কী বললেন তৃণমূল সাংসদ? Suvendu Adhikari

    তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাম নবমীর মিছিলে বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে আসা হয়েছিল। মিছিল থেকে এই ঘটনার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে।

    রবিবার রিষড়ার বাঙুর পার্ক থেকে রাম নবমীর মিছিলে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক বিজেপি নেতা। মিছিল ওয়েলিংটন জুটমিলের কাছে পৌঁছতেই অশান্তি শুরু হয়। ইটবৃষ্টি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।              

  • Rahul Gandhi: মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, রাহুলের মাথায় ঝুলেই রইল শাস্তির খাঁড়া

    Rahul Gandhi: মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, রাহুলের মাথায় ঝুলেই রইল শাস্তির খাঁড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি (Modi) পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার দায়ে কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) দু বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল গুজরাটের সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাহুল। তাঁকে জামিন দিল ওই আদালত। আদালতের এই রায়ের পরে পরবর্তী শুনানির দিন ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত রাহুলের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ করা যাবে না। রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি। সেই পূর্ণেশকেও এদিন আদালত তাঁর বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে ১০ এপ্রিলের মধ্যে।

    রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)…

    কংগ্রেস সূত্রে খবর, এদিন রাহুলের (Rahul Gandhi) পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী আরএস চিমা। আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাহুল, তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, কংগ্রেস শাসিত তিন রাজ্য রাজস্থান, ছত্তীসগঢ় ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা। রাহুলের আদালতে উপস্থিত থাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু ট্যুইট-বার্তায় লেখেন, একজন অভিযুক্ত উচ্চ আদালতে আবেদন জানানোর জন্য নিজে যান না, যাওয়ার প্রয়োজনও পড়ে না। কিন্তু রাহুল গান্ধী দলবল নিয়ে ওখানে নাটক করতে গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, কেন কংগ্রেস বিচারবিভাগের ওপর এই ধরনের অবাঞ্ছিত চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে? আইনি বিষয়গুলি মোকাবিলা করার পদ্ধতি ও উপায় রয়েছে। কিন্তু এমনভাবে কেন? তিনি বলেন, কংগ্রেসের কাছে দেশের চেয়েও একটি পরিবার বড়।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ন্যায় বিচারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’’! সিবিআইকে দরাজ সার্টিফিকেট প্রধানমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, কর্নাটকের একটি জনসভায় মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন রাহুল (Rahul Gandhi)। এই মন্তব্যের দায়ে তাঁকে দু বছরের কারাদণ্ড দেয় সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। তার জেরে ২৪ মার্চ রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সোমবার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুরাটেরই দায়রা আদালতে আবেদন জানান রাহুল। বিচারক তা গ্রহণ করে জামিন বহাল রাখার নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী, দেশের আইনসভার কোনও সদস্য দুই বা ততোধিক বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হলে ৬ বছরের জন্য তাঁর সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে। ওই সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনও নির্বাচনেও দাঁড়াতে পারবেন না। তবে উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দিলে বা পুরনো রায় খারিজ করে দিলে অভিযুক্তকে আইনসভার সদস্যপদ ফিরিয়ে দিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: এবার গরু পাচারকাণ্ডে শুল্ক দফতরের ৪ আধিকারিককে তলব সিবিআইয়ের

    CBI: এবার গরু পাচারকাণ্ডে শুল্ক দফতরের ৪ আধিকারিককে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) শুল্ক দফতরের (Customs Department) চার আধিকারিককে তলব করল সিবিআই (CBI)। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথিপত্র নিয়ে কলকাতায় নিজাম প্যালেসে দেখা করতে বলা হয়েছে তাঁদের। শুল্ক দফতরের এই চার আধিকারিকের বাড়িতে শনিবার তল্লাশি চালায় সিবিআই। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নথি। সোমবার তাঁদের তলব করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই দেখা করতে বলা হয়েছে তাঁদের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই চার আধিকারিকের বাড়ি নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁদের প্রত্যেককে ১০ বছরের ব্যাঙ্কের নথিপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে।

    সিবিআইয়ের (CBI) দাবি…

    সিবিআইয়ের চার্জশিটে বলা হয়েছে, এনামুল-আবদুল লতিফের সঙ্গে যোগসাজশে ছিলেন শুল্ক দফতরের ওই চার আধিকারিক। শুল্ক আধিকারিক মারফত ঘুরপথে গরু কিনে পাচার করা হত বাংলাদেশে। আদালতে পেশ করা চার্জশিটে সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, গরু পাচারের কিংপিন শেখ আবদুল লতিফ ও গরু ব্যবসায়ী এনামুল হকের সঙ্গে শুল্ক দফতরের কয়েকজন আধিকারিকের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। শুল্ক দফতরের এই আধিকারিকদের যোগসাজশেই ঘুরপথে গরু কিনে পাচার করা হত বাংলাদেশে।

    এর আগে গরু পাচার মামলায় বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এবার তলব করা হল শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের। গরু পাচার মামলার তদন্ত চলাকালীন সিবিআই নানা সময় দাবি করেছে, রাজনৈতিক প্রভাবশালী, পুলিশ, কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরের কর্তাদের নিবিড় বোঝাপড়া ছাড়া দিনের পর দিন এই কারবার চালানো সম্ভব ছিল না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এই শুল্ক আধিকারিকদের ডেকে জানার চেষ্টা করা হবে শুধু কলকাতার আধিকারিকরাই যুক্ত নাকি দিল্লিরও কেউ কেউ এর মধ্যে রয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: ‘মমতা সকালে এক রকম কথা বলেন, সন্ধ্যায় অন্য রকম’, অভিযোগ সম্বিতের

    শনিবার শুল্ক দফতরের ওই চার আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় শুল্ক দফতরের যে সব অফিস রয়েছে, সেগুলিতেও তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই (CBI)। তার পরেই সিবিআইয়ের স্ক্যানারে আসেন এই চার আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাঁদের রেকর্ডও বয়ান করতে চান তদন্তকারীরা। গরু পাচারকাণ্ডে তাঁদের কী ভূমিকা ছিল, তাও জানতে চান। সিবিআইয়ের অভিযোগ, গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুল হক ও শেখ আবদুল লতিফের সঙ্গে একটা যোগসূত্র ছিল শুল্ক দফতরের কয়েকজন আধিকারিকের। তাই রাজ্যের যেখানে যেখানে গরু নিলাম হত সেখানে লতিফ ও এনামুলকে দামি গরুগুলি অনেক কম দাম দেখিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দিতেন অভিযুক্ত শুল্ক আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Lover: বিয়েতে আপত্তি পরিবারের! প্রেমিকাকে নিয়ে গঙ্গায় মরণঝাঁপ প্রেমিকের, কোথায় জানেন?

    Lover: বিয়েতে আপত্তি পরিবারের! প্রেমিকাকে নিয়ে গঙ্গায় মরণঝাঁপ প্রেমিকের, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়েতে মত দেয়নি পরিবার। তাই প্রেমিকাকে (Lover) সঙ্গে নিয়ে গঙ্গায় মরণ ঝাঁপ দিল প্রেমিক। নৈহাটির জুবিলি ব্রিজে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমিকার নাম স্নেহা খাতুন (১৯) এবং প্রেমিক মহম্মদ মোক্তার। স্নেহাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। আর মোক্তারের হদিশ মেলেনি। যদিও পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মোক্তারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।

    কী করে দুজনের মধ্যে আলাপ হয়েছিল?

    চলতি বছরের শুরুতে ফেসবুকের মাধ্যমে দুজনের আলাপ। তারপর ফোন নম্বর আদান প্রদান হয়। জগদ্দলের বহড়াপাড়ায় বাড়ি স্নেহা খাতুনের। আর জগদ্দলের বাঁকাড় মোড়ে বাড়ি মহম্মদ মোক্তারের। প্রথমে বন্ধুত্ব। পরে, প্রেমের (Lover) সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে। স্নেহা মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে। আর মোক্তার ইলেকট্রিকের কাজ করতেন। স্নেহার বাবার খুব বেশি রোজগার ছিল না। দুজনের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারার পর পরই মোক্তারের পরিবারের লোকজন আপত্তি জানান। ফলে, মেয়ের বাড়ির লোকের মত থাকলেও তাঁরা পিছিয়ে আসেন। দুই পরিবারের নির্দেশে দুজনের মেলামেশা বন্ধ করে দেয়। এরপরই তাঁরা দুজনেই গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্নেহার এক বান্ধবী সাবিনা খাতুন বলেন, পরিবারের লোকজন মেলামেশা বন্ধ করে দেওয়ায় তারা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমরা স্নেহাকে অনেকটাই বোঝাতে পেরেছিলাম বলে তাঁরা আত্মহত্যা সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসে। তবে, এবারও যে ওরা এরকম সিদ্ধান্ত নেবে তা ভাবতে পারিনি।

    জগদ্দল থেকে জুবিলি ব্রিজ কী করে গেল?

    পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফোনে যোগাযোগ করে প্রেমিক (Lover) যুগল জগদ্দল থেকে ট্রেনে চেপে নৈহাটি আসে। সেখান থেকে ব্যান্ডেল লোকাল ধরে হুগলিঘাট স্টেশনে নামে। এরপর লাইন ধরে তারা জুবিলি ব্রিজে আসে। সেখান থেকে মরন ঝাঁপ দেয়। লাফ দেওয়ার পর প্রেমিকা সোজা গঙ্গায় পড়লেও প্রেমিক ব্রিজে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে। এরপর মেয়েটি চুঁচুড়ার তেলেনিপাড়া গঙ্গাঘাট এলাকায় পৌঁছাই। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ওই মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এরপর পুলিশ দুজনের পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Russia: ‘বেলারুশের কাছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে রাশিয়া’, জানালেন রাষ্ট্রদূত

    Russia: ‘বেলারুশের কাছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে রাশিয়া’, জানালেন রাষ্ট্রদূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেলারুশে (Belarus) ন্যাটোভুক্ত (NATO) দেশগুলির সীমান্তের কাছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে রাশিয়া (Russia)। রবিবার রাতে এ কথা বলেন মিনস্কে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বরিশ গ্রিজলভ। তিনি জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুরক্ষিত করতেই দেশের পশ্চিম অংশে ওই অস্ত্র মোতায়েন করা হবে। বেলারুশিয়ান স্টেট টেলিভিশনকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ইউরোপ ও আমেরিকা হইচই করা সত্ত্বেও সীমান্তের কাছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করা হবে। তবে ঠিক কোথায় সেটি মোতায়েন করা হবে, তা জানাননি ওই রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত।

    রাশিয়ার (Russia) সঙ্গী…

    তিনি জানান, ১ জুলাইয়ের মধ্যেই অস্ত্রাগার নির্মাণের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। গত মাসেই রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেলারুশ সীমান্তে কৌশলগত পারমানবিক অস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার পরেই বেলারুশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের মুখেও শোনা গেল একই কথা। বেলারুশের সঙ্গে লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া ও পোল্যান্ডের সীমান্ত রয়েছে। এর প্রতিটি দেশই ন্যাটোর সদস্য। গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তার পরে পরেই এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ডে ন্যাটো তাদের সৈন্য সংখ্যা প্রায় দশগুণ বাড়িয়েছে। পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের মধ্যে রয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোও।

    আরও পড়ুুন: ‘অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলানোর বদভ্যাস রয়েছে’, পশ্চিমকে নিশানা জয়শঙ্করের

    তিনি বলেন, বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মজুতের পাশাপাশি কিছু পারমাণবিক অস্ত্রও তাঁর দেশে মোতায়েন করতে পারে রাশিয়া। প্রসঙ্গত, কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের পাল্লা তুলনায় ছোট। স্ট্র্যাটেজিক পারমাণবিক অস্ত্রের তুলনায় এর ক্ষমতাও কম। যুদ্ধক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্রে আঘাতের ক্ষমতা রয়েছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর পার হয়ে গিয়েছে এক বছরেরও বেশি সময়। তার পরেও থামেনি যুদ্ধ। রাশিয়ার (Russia) পাশাপাশি অস্ত্র সম্ভার বাড়িয়ে চলেছে ইউক্রেনও। রাশিয়াকে যুদ্ধ বন্ধের আবেদন করেছে বিশ্বের বহু দেশ। তার পরেও বন্ধ হয়নি যুদ্ধ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। তার পরেও চলছে যুদ্ধ।

    রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে আগ্রাসনের অভিযোগ তুলে রাশিয়া থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পশ্চিমি বিশ্বের কয়েকটি দেশ। তার পরেও অবশ্য দমানো যায়নি পুতিনের দেশকে। এখনও বিরাম নেই যুদ্ধের। এহেন পরিস্থিতিতে ন্যাটো সীমান্তের কাছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের জেরে যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াবে, তা বলাই বাহুল্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Attack: কয়লাকাণ্ডে সিবিআই হাজিরার আগেই খুন রাজু ঝা! তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাতেই কি হত্যা?

    Attack: কয়লাকাণ্ডে সিবিআই হাজিরার আগেই খুন রাজু ঝা! তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাতেই কি হত্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়লাকাণ্ডে সিবিআইকে বড় কারও নাম বলে দেবেন বলেই কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাকে খুন করা হয়েছে। এমনই দাবি করেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ইতিমধ্যেই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহে সিবিআই তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল। সোমবারই তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই তাঁকে খুন করতে ফিল্মি কায়দায় হামলার (Attack) ঘটনা ঘটেছে। তিনি একসময় শিল্পাঞ্চলে কয়লাপাচারের কিংপিন ছিলেন। বেআইনি কোন রুট ধরে এই পাচার হত তা তার মুখস্থ ছিল। কোন পুলিশ অফিসার, প্রশাসনিক কর্তা এবং রাজনৈতিক নেতার কাছে কত নজরানা যেত তা তাঁর নখদর্পণে ছিল। কয়েকদিন আগেই তাঁর ওপর হামলার (Attack) ঘটনা ঘটেছিল। যদিও সে যাত্রায় তিনি প্রাণে রক্ষা পেয়ে যান। তবে, এবার কেন্দ্রীয় সংস্থা ডাকার ঠিক আগেই তাঁকে খুন করা হল। স্বাভাবিকভাবে কয়লাপাচারকাণ্ডে তিনি অনেকের জড়িত থাকার নাম বলে দিতে পারতেন। আর তাই পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে ওয়াকিবহল মনে করছে।

    শুটআউটের আগে লতিফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন?

    কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বেতাজ বাদশা। তাঁর সঙ্গে গরুপাচারকাণ্ডে অন্যতম মাথা আব্দুল লতিফের ভালো সম্পর্ক ছিল। বহু বছর ধরেই তাঁরা বন্ধু হিসেবেই পরিচিত ছিল। লতিফের বাড়ি ইলামবাজার। তাঁর সঙ্গে এনামূল হকের ভাল সম্পর্ক ছিল। অন্ধকার জগতে সকলেই লতিফকে এনামূলের ভাই হিসেবেই জানত। জানা গিয়েছে, এই লতিফের দুধ সাদা গাড়িতে করেই রাজু ঝা কলকাতায় যাচ্ছিলেন। গাড়ির পিছনের সিটে বসেছিলেন লতিফ আর ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। আর নুরুল হোসেন নামে একজন গাড়ি চালাচ্ছিলেন। শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে তাঁদের গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। শুটআউটের আগেই গাড়ির চালক নুরুল নেমে গিয়েছিলেন। হামলার (Attack) সময় রহস্যজনকভাবে লতিফ নিজের গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলেন। নীল রংয়ের গাড়ি থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। শক্তিগড় স্টেশনের কাছ থেকে গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। ঘটনার আগেই লতিফ কেন গাড়ি থেকে নেমে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কে এই রাজু ঝা?

    রাজু ঝা-র আদি বাড়ি বিহারের দ্বারভাঙা। এলাকার তার আসল নাম রাজেশ ঝা। তিনি দুর্গাপুরে রাজু ঝা নামেই পরিচিত। রাজুর উত্থান রানিগঞ্জ থেকে। রানিগঞ্জের মাড়োয়ারি সনাতন বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন। পরে, সরজু উপাধ্যায় নামে এক কয়লা কারবারের দলে সে নাম লেখায়। পরবর্তী সময়ে কয়লার ট্রাকের খালাসি হয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া তাঁর কাজ ছিল। সরজুকে খুন করা হয়। নয়ের দশকে কয়লা মাফিয়া হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ। বাম জমানা থেকে কয়লা-মাফিয়া হিসেবে দাপিয়ে রাজত্ব করেছেন তিনি। ২০১১ সালের আগে, খনি অঞ্চলে প্রায় দেড় দশক ধরে অবৈধ কয়লার কারবারে রাজুর নাম ছিল প্রথম সারিতে। অণ্ডাল থেকে ডানকুনির আগে পর্যন্ত তাঁর অবৈধ কয়লার কারবার চলত। তবে ২০১১ সালে সরকার বদলের পাশাপাশি তাঁর সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়।

    বীরভূমের বিভিন্ন থানাতে বেআইনি কয়লা কারবারের অভিযোগ রয়েছে তার নামে। কয়লা কারবারের রাজত্ব হাতছাড়া হতে তিনি ধীরে ধীরে দুর্গাপুরে বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করেন। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে রয়েছে তাঁর একাধিক বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ, পার্কিং প্লাজ়া, শাড়ির দোকান। দুর্গাপুরের বিধাননগরে তাঁর আভিজাত্যপূর্ণ বিলাসবহুল একটি বাড়িও করেন। এরপর রাজু ঝা ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে দুর্গাপুরের একটি সভায় বিজেপিতে যোগ দেন। বিধানসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। বেশ কিছুদিন এলাকার বাইরে ছিলেন তিনি। এখন এলাকায় ফিরে দাদাগিরি ট্যাক্স জারি করেছিল। তাতে শিল্পাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা চটে গিয়েছিলেন। অন্ডালের এক মাফিয়ার রাজত্বে তিনি থাবা বসাচ্ছিলেন। ফলে, তাঁর সঙ্গে একটা শত্রুতা তৈরি হয়েছিল। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থা কয়লাপাচার কাণ্ডে ডেকে পাঠানোর আগেই তাঁর এই খুনের ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share