Tag: Bengali news

Bengali news

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি উড়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা

    Anubrata Mondal: অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি উড়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে দিল্লির উড়ান ধরলেন ইডি আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি উড়ান সংস্থার বিমানে দিল্লি নিয়ে গেল ইডি। এর আগে বিমানবন্দরে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি দাবি করেন, তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তাঁকে ইনহেলারও নিতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যপারে কোনও মন্তব্য করেনি ইডি (ED)।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    এদিনই অনুব্রতকে আদালতে পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু যেহেতু তাঁকে নিয়ে দিল্লি যেতে রাত হবে, তাই এদিন অনুব্রতকে রাখা হবে ইডি দফতরে। বুধবার পেশ করা হবে আদালতে। তবে এদিন দিল্লি পৌঁছে ফের এক প্রস্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে অনুব্রতর। এ জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে দিল্লির সফদরজং হাসপাতাল কিংবা রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। সেখানে সুস্থতার শংসাপত্র মিললে নিয়ে যাওয়া হবে ইডি দফতরে।

    এদিন সকাল ৭টা নাগাদ গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Scam) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কন্ট্রোলার কৃশানু গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর একজন সহযোগীকে পাঠানো হয়। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এক ইন্সপেক্টর, তিনজন সাব ইন্সপেক্টর ও ১২ জন সশস্ত্র পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনীকে। সঙ্গে ছিল দুটি পাইলট কার। অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয়েছিল জেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও তাঁর একজন সহযোগীকে।

    এদিন সকালে আসানসোল জেলের সামনে কিছু মানুষ জমায়েত করেছিলেন। অনুব্রতকে লক্ষ্য করে কটাক্ষও ছুড়ে দেন কেউ কেউ। কেষ্টদা দিল্লি যাচ্ছেন নাকি? এই ধরনের টিপ্পনিও ভেসে আসতে শোনা গিয়েছে। জেলের সামনে উপস্থিত রাজা মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল যাওয়ার পর আসানসোল পবিত্র হল। আমরা শুদ্ধিকরণ করব।

    আরও পড়ুুন: কাঠফাটা গরম, কীভাবে মোকাবিলা? উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

    গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর থেকে আদালতের নির্দেশে আসানসোল জেলেই ছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সম্প্রতি তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কলকাতায় নিয়ে গিয়ে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল। সেই কারণে কলকাতা পর্যন্ত তাঁকে সুরক্ষা কে দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিন কলকাতায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় ইডির হাতে।

    এই মামলায় দিল্লিতে আগে থেকেই জেলবন্দি রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁকে এবং সায়গলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Pakistan Hindu: পাকিস্তানে হোলি পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হিন্দু ছাত্ররা, জখম অন্তত ১৫

    Pakistan Hindu: পাকিস্তানে হোলি পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হিন্দু ছাত্ররা, জখম অন্তত ১৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ম্লান হল হোলির উৎসব। পাকিস্তানে হোলি (Holi) উৎসব পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হিন্দু (Pakistan Hindu) ছাত্ররা। লাহোরের পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের (Punjab University) ঘটনা। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে হোলি উৎসব পালন করতে যান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকজন পড়ুয়া। উৎসব পালনে বাধা দেয় কট্টরবাদী ছাত্র সংগঠন। ঘটনায় জখম হন অন্তত ১৫ জন পড়ুয়া। ঘটনায় মর্মাহত সে দেশের হিন্দু সমাজ। ফের একবার বেআব্রু হয়ে পড়ল পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা।

    হিন্দু (Pakistan Hindu) ছাত্ররা…

    জানা গিয়েছে, লাহোরের পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ল’ কলেজে হোলি উৎসব পালন করতে জড়ো হয়েছিলেন ৩০ জন পড়ুয়া (Pakistan Hindu)। কাশিফ ব্রোহি নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী পড়ুয়া সংবাদ মাধ্যমকে জানান, শিক্ষার্থীরা ল’ কলেজের লনে জড়ো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইসলামি জমিয়ত তুলবা কর্মীরা জোর করে তাঁদের হোলি পালনে বাধা সৃষ্টি করে। যার জেরে সংঘর্ষ বাঁধে। এর জেরেই ১৫ জন হিন্দু ছাত্র জখম হন। তিনি জানান, নিরাপত্তা রক্ষীরা চার-পাঁচজন হিন্দু পড়ুয়াকে জোর করে তাদের ভ্যানে তোলে। তাদের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে দেয়নি। কাশিফের দাবি, হোলি উৎসব পালনের জন্য হিন্দু ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি নিয়ে রেখেছিলেন।

    ঘটনার প্রতিবাদে উপাচার্যের অফিসের সামনে গেলে ফের এক প্রস্ত পড়ুয়াদের (Pakistan Hindu) মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। হামলায় জখম হয়েছেন ক্ষেত কুমার নামে এক হিন্দু ছাত্র। তিনি বলেন, উপাচার্যের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের ওপর লাঠি নিয়ে চড়াও হয়। তিনি জানান, ঘটনার প্রেক্ষিতে ইসলামি জমিয়ত তুলবা ও নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র পুলিশকে জমা দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, পুলিশ কোনও এফআইআর দায়ের করেনি।

    আরও পড়ুুন: কাটল জট, অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার পথে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    ইসলামি জমিয়ত তুলবার মুখপাত্র ইব্রাহিম শাহিদ হিন্দু ছাত্রদের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর সংগঠন জড়িত নয়। পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র খুররম শাহজাদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কলেজের লনে হোলি উদযাপনের অনুমতি দেয়নি। তিনি বলেন, কোনও এক ঘরে হোলি উদযাপন করলে এই ঘটনা ঘটত না। উপাচার্য পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Summer: কাঠফাটা গরম, কীভাবে মোকাবিলা? উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

    India Summer: কাঠফাটা গরম, কীভাবে মোকাবিলা? উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাতায়-কলমে বসন্তকাল। তবে মার্চের শুরুতেই তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর। এপ্রিল-মে মাসে তাপমাত্রার পারদ কোথায় চড়বে, তা নিয়ে চিন্তিত আবহবিদরা। উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। তীব্র গরমের (India Summer) মোকাবিলা কীভাবে করা যাবে, তা নিয়ে সোমবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি সানস্ট্রোক সহ তীব্র গরমে অসুস্থদের তড়িঘড়ি চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য হাসপাতালে সব রকম ব্যবস্থা রাখা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত রাখা নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

    তীব্র গরমের (India Summer) মোকাবিলা…

    এদিনের বৈঠকে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে আগামী দু মাস কী ধরনের আবহাওয়া থাকতে পারে, তাও জানানো হয়েছে। তীব্র গরমে কী ধরনের প্রভাব রবি শস্যের ওপর পড়েছে, আগামিদিনে ফসলের ক্ষেত্রে কী ধরনের প্রভাব পড়বে, তা নিয়েও জানানো হয়েছে। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩১ মে পর্যন্ত তাপমাত্রার (India Summer) পারদ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকবে এবং তাপপ্রবাহ হবে। উষ্ণ আবহাওয়ার প্রভাব কৃষিকাজেও পড়বে। যার জেরে সাধারণ মানুষ থেকে কৃষক দুর্দশার শিকার হবেন সবাই। সমস্যা কীভাবে মেটানো যায়, তা ঠিক করতেই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সেচের জল সরবরাহ ঠিকঠাক রাখা, পশুখাদ্য ও জল সরবরাহ যাতে যথাযথ থাকে, সেটা দেখা হয়েছে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে গরমকালে হাসপাতালে কী ধরনের ব্যবস্থা করা থাকছে, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। গরমকালে কোনও দুর্যোগ হলে তার মোকাবিলায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: কাটল জট, অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার পথে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরমে (India Summer) মানুষ কী করবেন, আর কী করবেন না, তা যেন জানিয়ে দেওয়া হয়। জিঙ্গল, সিনেমা, প্রচারপত্র এসবের মাধ্যমে এ বিষয়ে মানুষের কাছে প্রচার করা দরকার। আবহাওয়া দফতরকে তিনি জানান, প্রতিদিন যাতে আবহাওয়ার পূর্বাভাস ইস্যু করা হয়। সেটা যাতে সাধারণ মানুষও জানতে পারেন, তার ব্যবস্থাও করতে হবে। টিভিতে, এফএমে অন্তত অল্প সময় যাতে আবহাওয়ার জন্য ব্যয় করা হয়, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ফুড কর্পোরেশনের হাতে যাতে পর্যাপ্ত শস্য মজুত থাকে, তাও দেখতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯০১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত এবারের ফেব্রুয়ারি মাস সব থেকে গরম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কচুরি, স্পেশাল ল্যাংচা, রাজভোগ, শক্তিগড়ে রাজকীয় প্রাতরাশ অনুব্রতর

    Anubrata Mondal: কচুরি, স্পেশাল ল্যাংচা, রাজভোগ, শক্তিগড়ে রাজকীয় প্রাতরাশ অনুব্রতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কচুরি, ছোলার ডাল, স্পেশাল ল্যাংচা এবং রাজভোগ পুলিশ পরিবৃত হয়ে শক্তিগড়ে এভাবেই প্রাতরাশ সারলেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এদিন তাঁকে বেশ মনমরা দেখাচ্ছিল। মঙ্গলবার দোলের দিন সকালে জেল থেকে বেরনো, শক্তিগড়ে (shaktigarh) হোটেলে দোকানে জলখাবার খেতে ঢোকা পুরো পর্বটাই সংবাদ মাধ্যমের কোনও প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি অনুব্রত। বরং খাবার সময় সংবাদ মাধ্যমকে দেখে বিরক্তিই প্রকাশ পায় অনুব্রতর চোখেমুখে।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    এদিন সকালে অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। পাইলট কার সহযোগে তাঁকে নিয়ে কলকাতার পথে রওনা দেন জেল কর্তৃপক্ষ। পথে শক্তিগড়ের একটি খাওয়ার দোকানে দাঁড়িয়ে যায় অনুব্রতর গাড়ি। পুলিশি নিরাপত্তায় দোকানের ভিতরে চলে যান তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। এর পরেই অনুব্রতর টেবিলে চলে আসে চারটি কচুরি, ঘন ছোলার ডাল, ল্যাংচা এবং রাজভোগ। খাবার শেষে জল খেয়ে মুখ মুছে পুলিশের গাড়িতে গিয়ে বসেন অনুব্রত। গাড়ি রওনা দেয় কলকাতার উদ্দেশে। ওই দোকানের কর্মী শেখ আমরুল হক বলেন, অনুব্রতকে চারটি কচুরি ও ছোলার ডাল দেওয়া হয়েছিল। তার পর স্পেশাল ল্যাংচা ও রাজভোগ। তিনি বলেন, আমাদের দোকানে উনি (Anubrata Mondal) আগেও এসেছেন। ঝালমুড়ি আর লাল চা খেতে ভালবাসেন। কিন্তু আজ আর চা খাননি।

    আরও পড়ুুন: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

    চারটি কচুরি দেওয়া হলেও, অনুব্রত খেয়েছেন তিনটি। খাওয়ার সময় দুই যুবকের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে। একজনের পরনে ছিল সবুজ পাঞ্জাবি, অন্যজন পরেছিলেন গেঞ্জি। তিনটি কচুরি খাওয়ার পর একটি তুলে দেন সবুজ পাঞ্জাবি পরা যুবকের হাতে। অনুব্রতদের খাবারের মোট বিল হয়েছিল ৯৯৫ টাকা। সেই বিল কে মেটালেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সবুজ পাঞ্জাবি যুবকটিই বা কে, তা নিয়েও ঘনিয়েছে রহস্য।

    এদিন সকাল ৬টা বেজে ৪০ মিনিটে কড়া পুলিশি প্রহরায় আসানসোল জেল থেকে বের করা হয় অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)। তাঁকে নিয়ে ছটি গাড়ির কনভয় রওনা দেয় কলকাতার দিকে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে জোকায় ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে ফিটনেস সার্টিফিকেট মিললে, দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন অনুব্রত। আসানসোল জেল থেকে অনুব্রতকে এসকর্ট করছে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। জোকার ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে। সেখানে ফিট সার্টিফিকেট মিললে তাঁকে ইডির হাতে তুলে দেবেন জেল কর্তৃপক্ষ। তার পরেই বিমানে করে অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কাটল জট, অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার পথে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    Anubrata Mondal: কাটল জট, অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার পথে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Scam) অভিযুক্ত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হলেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ তাঁকে আসানসোল জেল থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোল জেলা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কন্ট্রোলার কৃশানু গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর একজন সহযোগীকে পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এক ইন্সপেক্টর, তিনজন সাব ইন্সপেক্টর ও ১২ জন সশস্ত্র পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী। সঙ্গে রয়েছে দুটি পাইলট কার। পাইলট কারের একটি কনভয়ের সামনে ও অন্যটি পিছনে রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয়েছে জেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও তাঁর একজন সহযোগীকে।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    এদিন আসানসোল জেলের সামনে কিছু মানুষ জমায়েত করেছিলেন। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাঁদের। অনেকে আবার কটাক্ষও ছুড়ে দেয়। কেষ্টদা দিল্লি যাচ্ছেন নাকি? এই ধরনের টিপ্পনিও ভেসে আসতে শোনা গিয়েছে। জেলের সামনে উপস্থিত রাজা মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল যাওয়ার পর আসানসোল পবিত্র হল। আমরা শুদ্ধিকরণ করব।

    গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর থেকে আদালতের নির্দেশে আসানসোল জেলেই ছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সম্প্রতি তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কলকাতায় নিয়ে গিয়ে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল। সে কারণে কলকাতা পর্যন্ত তাঁকে সুরক্ষা কে দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

    আরও পড়ুুন: লাল পাহাড়ির দেশে শ্বেত পলাশেই মজেছে পর্যটকরা, একটি গাছের দাম জানেন?

    প্রথমে আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের তরফে সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সাড়া না পাওয়ায় ফের আসানসোল বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয় জেল কর্তৃপক্ষ। সেখানেই পুলিশকে সুরক্ষা দিয়ে অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) কলকাতায় নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই মতো তাঁকে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর অনুব্রতকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    এই মামলায় দিল্লিতে আগে থেকেই জেলবন্দি রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সহগল হোসেন এবং গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁকে এবং সহগলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Manik Bhattacharya: জামিনের আবেদন খারিজ, ফের জেল হেফাজতে মানিকের স্ত্রী-পুত্র

    Manik Bhattacharya: জামিনের আবেদন খারিজ, ফের জেল হেফাজতে মানিকের স্ত্রী-পুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও ছেলে শৌভিকের। এদিন বিচারক তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। আদালতের নির্দেশে ফের পাঠানো (Primary TET Scam) হয় জেল হেফাজতে। হেফাজতের মেয়াদ শেষে সোমবার শতরূপা ও শৌভিককে তোলা হয় আদালতে। তাঁদের জামিনের বিরোধিতা করেন ইডির (ED) আইনজীবী।

    মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)…

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে আইনজীবী বলেন, মানিক ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে হাওয়ালা চক্রের যোগ রয়েছে। ২০১২ সাল থেকে নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন মানিকের পরিবার। ইডি জানিয়েছে, ২০১২ সাল থেকে মানিকের হাতে আসতে থাকে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির টাকা। এর পরেই স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে যেতে শুরু করেন মানিক। বিশ্বের অন্তত ১২টি দেশ ভ্রমণ করেছেন মানিকের পরিবার। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, আমেরিকা, চিন, সাউথ আফ্রিকা, মালয়েশিয়া ও মালদ্বীপের মতো দেশও ঘুরেছেন মানিকের পরিবার। ইডির হিসেব অনুযায়ী, বছর দশেক ধরে মানিকের পরিবার কেবল বিদেশ ভ্রমণের জন্যই অন্তত ৫ কোটি টাকা খরচ করেছেন।

    মানিকের (Manik Bhattacharya) পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত নথিপত্র দেখে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে বিদেশ ভ্রমণের তথ্য গোপন রাখতে চেষ্টার কসুর করেননি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি। ইডি জানিয়েছে, প্রত্যেকবার মানিকের পরিবারের বেড়ানোর খরচ আসত যে দেশ যেতেন, সেই দেশের হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে। সে ক্ষেত্রে কলকাতায় হাওয়ালা চক্রকে আগাম টাকা দিয়ে দিতেন মানিক। সেই হাওয়ালা চক্রের চাঁইরা মানিককে জানিয়ে দিতেন, কোন শহরে হাওয়ালা চক্রের নেটওয়ার্কে কে রয়েছেন। তাঁদের ঠিকানাও জানিয়ে দেওয়া হত। সেই মতো বিদেশে গিয়ে হাওয়ালা অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন মানিক। আগাম দিয়ে দেওয়া কোড নম্বর জানালেই হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে টাকা চলে যেত মানিকদের হাতে।

    আরও পড়ুুন: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

    তদন্তকারীরা মানিকের (Manik Bhattacharya) পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট অনুযায়ী ভ্রমণের তারিখ খতিয়ে দেখেন। সেই তারিখগুলিতে মানিকদের ব্যাঙ্ক লেনদেনের তথ্যও খতিয়ে দেখা হয়। তখনই স্পষ্ট হয় হাওয়ালার বিষয়টি। দেখা যায়, বিদেশ ভ্রমণ চলাকালীন এটিএম কার্ড দিয়ে কোনও টাকা মানিকরা তোলেননি। আবার প্রচুর নগদ টাকা নিয়ে তাঁরা বেড়াতে গিয়েছিলেন, এমন প্রমাণও মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থবিল নিয়ে আলোচনার আগে ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করলেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা। বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। স্পিকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা নিয়ে আলোচনা করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে হই হট্টগোল শুরু করে বিজেপি। পরে বিধানসভা কক্ষে কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ দেখানোর পর ওয়াকআউট করেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। 

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)… 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, ১৬টি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলাম। স্পিকার জানালেন, ওঁর পক্ষে প্রস্তাব জমা পড়েছে। কিন্তু এটা নিয়মবিরুদ্ধ। আমরা আইন মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ যা নেওয়ার আমরা নেব। বিধানসভায় বেআইনি কার্যকলাপের প্রতিবাদ করেছি আমরা।    

    কেন স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র নিয়ে কোনও আলোচনা নয়?

    এদিন অধিবেশনের শুরুতে অধিবেশন কক্ষে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর প্রশ্ন, কেন স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র নিয়ে কোনও আলোচনা নয়? এটা কি গণতন্ত্র? এর পাশাপাশি তাঁরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য দফতরের বাজেট নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলির বাজেট নিয়ে ১২ বছর কোনও আলোচনা হয়নি। বাজেট আলোচনায় এই দফতরগুলোকেও রাখতে হবে বলে জানান তিনি।

    প্রসঙ্গত, ৬ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব চলবে। সেখানে মোট ৬টি দফতরের বাজেট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। এদিন বিধানসভা থেকে হেঁটে শহিদ মিনারে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু সহ বিজেপি বিধায়করা। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারী ও অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।

    বিধানসভায় পুলিশবাহিনী কেন?

    বিধানসভায় বিনা অনুমতিতে পুলিশবাহিনী কেন? এ প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন দাবি মঞ্চ থেকে হেঁটেই বিধানসভায় ফেরেন শুভেন্দু। বিধানসভায় প্রবেশের পরেই দেখতে পান কয়েকজন উর্দিহীন পুলিশ কর্মীকে। হাতে লাঠি থাকা ওই পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দু প্রশ্ন করেন, আপনারা কারা? তৃণমূলের ক্যাডার বাহিনী? বিধানসভায় ঢোকার অনুমতি কে দিয়েছে আপনাদের? যদিও তার সঙ্গে কথা না বাড়িয়ে ওই পুলিশকর্মীরা বিধানসভা চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যান। শুভেন্দুর অভিযোগ, এভাবে কোনওরকম পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ বিধানসভায় প্রবেশ করতে পারে না। অথচ ওখানে যাঁরা দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁদের কাছে কোনওরকম পরিচয়পত্র ছিল না। আর গুন্ডাদের পেটানোর লাঠি ছিল তাদের হাতে।

    আরও পড়ুুন: সারদাকাণ্ডে মমতাকে ডাকতে ‘অনীহা’ সিবিআইয়ের! মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Poster: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে সামাজিক বয়কট! কারা দিল পোস্টার?

    Poster: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে সামাজিক বয়কট! কারা দিল পোস্টার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিকর মন্তব্য করে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি। রাতারাতি রাজ্যবাসীর কাছে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন কৌস্তভবাবু। জামিনে বাড়ি ফিরে আসার পর তাঁর ব্যারাকপুরের বাড়িতে বিজেপি, সিপিএম নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষদের শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ব্যারাকপুর শহরে বেশ কয়েকটি এলাকায় রাস্তার ধারে একটি পোস্টার (Poster) ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হওয়া এই কংগ্রেস নেতাকে সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।

    কৌস্তভ বাগচিকে কারা সামাজিক বয়কটের ডাক দিল? Poster

    গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়ে নিজের মস্তক মুণ্ডন করে তৃণমূল সরকারকে উত্খাত করার তিনি শপথ নেন। তাঁর এই জেদ দেখে স্বাভাবিকভাবে কংগ্রেসের নীচুতলার কর্মীরা চাঙা হয়ে ওঠেন। সঙ্গে বিরোধীরাও তাঁর বাড়়ি বয়ে এসে প্রশংসা করে যান। একদিকে তাঁর নামে সর্বত্র জয়জয়কার করছে বিরোধীরা, সেই অবস্থা রবিবার তাঁর ব্যারাকপুরে বাড়়ির আশপাশের এলাকায় রাস্তার ধারে তাঁকে সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়ার পোস্টার (Poster) দেওয়া হয়েছে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিকর মন্তব্য করে আমাদের এলাকার সাংস্কৃতিকে সারা বাংলার কাছে হেয় প্রতিপন্ন করেছে কৌস্তভ বাগচি, তাকে সামাজিক বয়কট করা হোক। পোস্টারের (Poster) নীচে কোনও রাজনৈতিক দলের নাম নেই। শুধু লেখা রয়েছে বারাকপুরবাসীর পক্ষ থেকে। তবে, কে বা কারা এই পোস্টার (Poster)   দিয়েছে তা পরিষ্কার নয়। তবে, কংগ্রেস নেতা মাথা ন্যাড়া নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। কামারহাটির পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মলা রায় কংগ্রেস নেতাকে কটাক্ষ করে বলেন, ওই নেতার মাথায় উকুন ছিল। তাই, তিনি মাথা ন্যাড়া হয়েছেন। আর দলীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করছেন। এরপর নিজের ওয়ার্ডে এক মাথা ন্যাড়া যুবকের মাথায় গোল ঢেলে কৌস্তভ বাগচিকে ওই কাউন্সিলর কটাক্ষ করেন।

    বারাকপুর শহরে সামাজিক বয়কটের পোস্টার নিয়ে কৌস্তভবাবু বলেন, এই ধরনের পোস্টার দেওয়ার কাজ তৃণমূলের। নিজেরা সামনে নাম দিতে ভয় পাচ্ছে। কিন্তু, পোস্টার (Poster) দিয়ে সামাজিক বয়কটের ডাক দিলেই তো হল না। আমাকে এলাকার মানুষ ভালোবাসেন। বাড়ির বাইরে বের হলেই প্রচুর মানুষ এসে কথা বলে যাচ্ছে। বারাকপুর পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান উত্তম দাস বলেন, বাংলার একটি নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। তিনি একজন আইনজীবী হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যে অশালীন মন্তব্য করেছেন তা নিন্দার ভাষা নেই। তবে, সামাজিক বয়কটের পোস্টার (Poster) দেওয়ারও আমরা তীব্র নিন্দা করছি। এসব তৃণমূলের কাজ নয়। ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kashi Vishwanath: কাশী বিশ্বনাথ ধামে এবার থেকে মিলবে বিশেষ লাড্ডু, কী দিয়ে তৈরি জানেন?

    Kashi Vishwanath: কাশী বিশ্বনাথ ধামে এবার থেকে মিলবে বিশেষ লাড্ডু, কী দিয়ে তৈরি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ (Kashi Vishwanath) ধামে এবার বিশ্বনাথের প্রসাদ হিসেবে মিলবে মিলেটের লাড্ডু। মন্দির চত্বরে যেখানে পুজো দেওয়ার দোকানগুলো রয়েছে, সেখানেই কিনতে পাওয়া যাবে এই কোর্স গ্রেইনের লাড্ডু (Laddu)। ভক্তরা সেগুলি কিনে ভগবান বিশ্বনাথকে নিবেদন করে প্রসাদ (Prasadam) হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ স্বয়ং। তার পরেই চালু হতে চলেছে এই ব্যবস্থা।

    কাশী বিশ্বনাথ (Kashi Vishwanath)…

    খাদ্য শস্য হিসেবে মিলেটের পুষ্টিগুণ প্রচুর। অথচ সিংহভাগ মানুষ একে রাখেন না দৈনন্দিন খাবারের তালিকায়। এর পুষ্টিগুণের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীর কাছে আবেদন করেছিলেন, মিলেটকে যেন খাবারের তালিকায় রাখা হয়। তিনি এর নাম দেন শ্রী-অন্ন। প্রধানমন্ত্রীর এই ইচ্ছেকে মর্যাদা দিয়ে চলতি বছর বাজেটে একে গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো বিশ্বনাথের প্রসাদ হিসেবে মিলেটের লাড্ডুর কথা ভাবা হয়। সরকারের কথা মেনে ইতিমধ্যেই কাশীধামে বিক্রি হচ্ছে শ্রী-অন্নের লাড্ডু। এদিকে, ২০২৩ সালকে রাষ্ট্রসংঘ কোর্স সেরেয়ালস ডে হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছে।

    আরও পড়ুুন: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা, বললেন মোহন ভাগবত

    চিফ ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিমাংশু নাগপাল বলেন, শ্রী কাশী বিশ্বনাথ ধামের (Kashi Vishwanath) জন্য মিলেটের লাড্ডু বানিয়েছেন স্বয়ং সাহাত্য গোষ্ঠী। এর নাম দেওয়া হয়েছে শ্রী-অন্ন প্রসাদম। মিলেটের তৈরি এই লাড্ডু প্রসাদের বিক্রি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সেল্ফ এমপ্লয়মেন্ট ডেপুটি কমিশনার দিলীপ সোনকর বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা যাঁরা ন্যাশনাল রুরাল লিভলিহুড মিশনের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা ইতিমধ্যেই কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের জন্য লাড্ডু তৈরি করছেন। তাঁরা বর্তমানে শ্রী-অন্ন প্রসাদম বানাচ্ছেন। যে প্রসাদ আগে বিক্রি হত, সেই প্রসাদের দরেই বিক্রি হচ্ছে মিলেটের তৈরি এই লাড্ডু। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রেসিডেন্ট সুনীতা জয়সওয়াল বলেন, মিলেট, গুড়, তিল, কাজু বাদাম, আমন্ড, খাঁটি ঘি এবং খোয়া দিয়ে বানানো হচ্ছে শ্রী-অন্ন প্রসাদম। তিনি জানান, বর্তমানে ১০০ ও ২০০ গ্রাম লাড্ডুর প্যাকেট প্রসাদ (Kashi Vishwanath) হিসেবে বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Central Vigilance Commission: রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    Central Vigilance Commission: রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব। অভিযোগ, অনৈতিকভাবে তিনি বাড়িভাড়া ভাতা নিয়েছেন। হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর (Hari Krishna Dwivedi) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের (Central Vigilance Commission) কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। চিঠি পাঠানো হয়েছিল ৩১ জানুয়ারি। ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু জানান, সেই অভিযোগ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন। কমিশনের তরফে তাঁকে পাঠানো ই-মেইলও প্রকাশ্যে এনেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাতে বলা হয়েছে, তাঁর করা অভিযোগ খতিয়ে দেখে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন (Central Vigilance Commission)…

    শুভেন্দুর দাবি যে নিছক অমূলক নয়, তার প্রমাণ মিলেছে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের (Central Vigilance Commission) পোর্টালেও। এমন কোনও অভিযোগ গ্রহণ করা হলে, অভিযোগকারীকে সেই বার্তা ই-মেইল করে জানানো হয়। শুভেন্দুকেও তেমনই বার্তা মেইল করে পাঠানো হয়েছে। ওই মেইলে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী শুভেন্দুর অভিযোগপত্র খতিয়ে দেখে নথিবদ্ধ করা হয়েছে। তবে তারা তদন্ত শুরু করবে নাকি রাজ্য সরকারকে সুপারিশ করবে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।

    শুভেন্দুর উদ্দেশে পাঠানো মেইল-বার্তায় বলা হয়েছে, আপনার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেই বার্তা প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, আমার অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর বিরুদ্ধে আমি অভিযোগ করেছিলাম। যিনি রাজ্য সরকারের বাংলোয় থেকেও নিয়ম ভেঙে ১৬.৪ লক্ষ টাকা হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স নিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা, বললেন মোহন ভাগবত

    ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মুখ্যসচিবের দায়িত্ব নেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। আলিপুরের আট কামরার সরকারি বাংলোয় থাকেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, তার পরেও তিনি বেআইনিভাবে বাড়িভাড়া ভাতা বাবদ টাকা নিয়েছেন। এর ফলে ইল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুল ভেঙেছেন দ্বিবেদী। শুভেন্দুর দাবি, এটা ক্ষমতার অপব্যবহার। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, দ্বিবেদী এখন আর বাড়িভাড়া বাবদ ভাতা নিচ্ছেন না।

    প্রসঙ্গত, আইএএস কিংবা আইপিএস আধিকারিকদের নিয়োগপত্র কেন্দ্র দিলেও, তাঁরা যখন কোনও রাজ্যে কর্মরত থাকেন, তখন তাঁদের কারও বিরুদ্ধে সার্ভিস রুল লঙ্ঘনের (Central Vigilance Commission) অভিযোগ উঠলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখায় লিখিতভাবে জানাতে হয়। তাই শুভেন্দুর অভিযোগ কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন খতিয়ে দেখলেও, এই অভিযোগের তদন্তের এক্তিয়ার রয়েছে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখার হাতেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share