Tag: Bengali news

Bengali news

  • Supreme Court: মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে চাই নির্দেশিকা, সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে চাই নির্দেশিকা, সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও দেশে চালু রয়েছে মৃত্যুদণ্ড (Death Penalty)। কারও কারও মতে, প্রথাটি বর্বরোচিত। কেউ আবার বলেন, দোষী ব্যক্তিকে এমন সাজাই দেওয়া উচিত। তবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা তৈরির জন্য এবার পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ (Constitution Bench) গঠনের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সোমবার ওই বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে কোন মানদণ্ডে, সেটাই স্থির করবে দেশের শীর্ষ আদালতের এই বেঞ্চ। 

    কেন হঠাৎ প্রয়োজন হয়ে পড়ল এহেন বেঞ্চ গঠনের? দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই বেঞ্চ গঠনের প্রয়োজন ছিল কারণ এতদিন মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কোনও নির্দিষ্ট মাপকাঠি ছিল না। বিভিন্ন জনের নানা দোষের মাপকাঠি ছিল আলাদা। তা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে নানান সময়। সেই প্রশ্ন যাতে না ওঠে, তাই প্রয়োজন একটা সমতা। দেশের শীর্ষ আদালতের মতে, সেই মাণদণ্ড তৈরি করতেই গঠন করা হয়েছে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। 

    এদিন যে তিন বিচারপতি পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং সুধাংশু ঢুলিয়া। কোনও ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় বিরলের মধ্যে বিরলতম কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে। এদিন ললিতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ জানায়, ১৯৮৩ সালে বচ্চন সিং মামলায় আলাদা একটি বেঞ্চে শুনানি হয়েছিল। সেখানে বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞা বহাল রাখা হয়েছিল বচ্চনের। 

    আরও পড়ুন : ১৩ দিনে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি ৫ হাজারেরও বেশি মামলার!

    দেশের শীর্ষ আদালতের যুক্তি, মৃত্যু দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত কোনও অপরাধীর ক্ষেত্রে মামলার পৃথক শুনানি হওয়া প্রয়োজন। বেঞ্চ এও জানায়, ১৯৮৩ সালের বচ্চন সিং মামলার রায় পৃথক শুনানির সেফগার্ড স্বরূপ। বিশেষত মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত অপরাধীর ক্ষেত্রে। সেই সময় আদালত বলেছিল, এই সেফগার্ড একটি মূল্যবান অধিকার। এটা অপরাধীকে বুঝিয়ে দেয়, কেন এবং কোন পরিস্থিতিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Direct Tax Collection: চলতি অর্থবর্ষে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহে বিপুল বৃদ্ধি, কত জানলে চোখ কপালে উঠবে!

    Direct Tax Collection: চলতি অর্থবর্ষে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহে বিপুল বৃদ্ধি, কত জানলে চোখ কপালে উঠবে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ল প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ (Direct Tax Collection)। গত আর্থিক বর্ষের (Fiscal Year) তুলনায় এবার এক লপ্তে এই কর সংগ্রেহের পরিমাণ বেড়েছে অনেকখানি। প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ যে গতবারের তুলনায় এবার বেড়েছে তা জানিয়েছে অর্থমন্ত্রকই (Finance Ministry)। রবিবার অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, চলতি আর্থিক বর্ষে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে ৩০ শতাংশ। এই কর আদায় হয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। টাকার অংকে এই সংগ্রহের পরিমাণ ৮.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা। মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ লক্ষ ৩৬ হাজার ২২৫ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৬ লক্ষ ৪২ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। শতাংশের হিসেবে এই বৃদ্ধির পরিমাণ ৩০।

    প্রত্যক্ষ কর হল সেই কর, যা কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরাসরি সরকারকে দেয়। এজন্য ফি বছর দাখিল করতে হয় আয়কর রিটার্ন। প্রত্যক্ষ করের মধ্যে পড়ে আয়কর, রিয়েল প্রপার্টি কর, পার্সোনাল প্রপার্টি করও। অর্থ মন্ত্রকের জারি করা বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে ১৭ সেপ্টম্বর পর্যন্ত প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের নিট পরিমাণ ৭ লক্ষ ৬৬৯ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষে এই সংগ্রহের পরিমাণ ছল ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। শতাংশের হিসেবে বৃদ্ধির হার ২৩ শতাংশ।

    আরও পড়ুন : ট্যাক্স-সেভিং স্থায়ী আমানতে সবচেয়ে বেশি সুদ দিচ্ছে কোন ব্যাংক?

    মন্ত্রক জানিয়েছে, নিট প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ ৭ লক্ষ ৬৬৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে কর্পোরেশন ট্যাক্স ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা। পার্সোলান ইনকাম ট্যাক্স যার মধ্যে সিকিউরিটিজ ট্রানজেকশান ট্যাক্সও রয়েছে, তার পরিমাণ হল ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। ওই বিবৃতি থেকেই জানা গিয়েছে, চলতি অর্থ বর্ষের প্রথম ও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ১৭ সেপ্টম্বর পর্যন্ত ক্রমবর্ধমান অগ্রিম কর সংগ্রের পরিমাণ ছিল ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষে এই সময় সীমায় এর পরিমাণ ছিল ২ লক্ষ ৫২ হাজার ৭৭ কোটি টাকা। শতাংশের হিসেবে যা দাঁড়ায় ১৭। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিফান্ড করা হয়েছে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sensex: সপ্তাহান্তে রক্তাক্ত শেয়ার বাজার! সেনসেক্স পড়ল প্রায় ১১০০ পয়েন্ট, পতন নিফটিতেও

    Sensex: সপ্তাহান্তে রক্তাক্ত শেয়ার বাজার! সেনসেক্স পড়ল প্রায় ১১০০ পয়েন্ট, পতন নিফটিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পতন সেনসেক্সের (Sensex)। পতন হয়েছে নিফটিরও (Nifty) । আজ শুক্রবার সেনসেক্স পড়েছে ১১০০ পয়েন্টের কাছাকাছি। এই সময় সীমায় নিফটির পতন হয়েছে প্রায় ৩৫০ পয়েন্ট। এদিন বাজার বন্ধ হওয়ার সময় বম্বে স্টক এক্সচেঢঞ্জের সূচক শেষ হয় ৫৮,৮৪০ পয়েন্ট। গতকালের তুলনায় যা ১.৮২ শতাংশ নীচে। একইভাবে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক বন্ধ হয়েছে ১৭,৫৩০ পয়েন্টে। গতকালের তুলনায় ১.৯৪ শতাংশ নীচে। 

    শেয়ার বাজারের বিশ্লেষকদের মতে, পতনের ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। শুক্রবার ডোমেস্টিক মার্কেট সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছিল। ভারতের এই শেয়ার বাজারে বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাবও কম নয়। আমাদের দেশে যেমন রিজার্ভ ব্যাংক, তেমনি আমেরিকার সর্বোচ্চ ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ। এই ব্যাংক বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম মূল চালিকা শক্তি। সম্প্রতি এই ব্যাংক এত দ্রুত রেট বাড়িয়ে দিয়েছে যে, বলা হচ্ছে যে গত কয়েক দশকে এমনটা হয়নি। তার প্রভাবও পড়েছে ভারতে। ঘটনার জেরে মার্কিন অর্থনীতিও মুখোমুখি হতে পারে তীব্র আর্থিক মন্দার। 

    জানা গিয়েছে, ফেডারেল রিজার্ভ টার্মিনাল ফেড রেট বৃদ্ধি করেছে ৪.২৫ শতাংশ হারে। তার জোরালো প্রভাব পড়েছে ইক্যুইটির ওপর। শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বজনীন এই ট্রেন্ডের প্রভাব এড়াতে পারেনি ভারতীয় অর্থনীতিও। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, বিনিয়োগকারীদের এখন অপেক্ষা এবং পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা ছাড়া কিছু করার নেই। সেপ্টেম্বরের ২১ তারিখে বৈঠকে বসছেন ফেডারেল ব্যাংকের কর্তারা। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করাই শ্রেয়। ঘটনার জেরে কেবল ভারত নয়, জাপান, সিঙ্গাপুর সহ বিভিন্ন এশীয় শেয়ার বাজারে পতন দেখা দিয়েছে। 

    আরও পড়ুন : ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

    ইনফোসিস, টিসিএস, এইচসিএল টেক, টেক মাহিন্দ্রা এবং উইপ্রোর মতো আইটি সংস্থার শেয়ারের দর পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই সব সংস্থার শেয়ারে যাঁরা বিনিয়োগ করেছিলেন, তাঁরা আপাতত সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। দিন কয়েক আগেও এই সংস্থাগুলির শেয়ার বাজারে দর ছিল চড়া। এখন তা একলপ্তে কমে গিয়েছে অনেকখানি। 

    ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেপো রেট (Repo Rate) রেখেছিল ৫.৯০ শতাংশ। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, যদি মুদ্রাস্ফীতি চলতে থাকে, তাহলে আমরা বিশ্বাস করি রিজার্ভ ব্যাংক ডিসেম্বরে ফের রেপো রেট বাড়াবে। তার পরেই ফের ঘুরে দাঁড়াবে শেয়ার বাজার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Vladimir Putin: ফের হত্যার চেষ্টা পুতিনকে! কীভাবে বাঁচলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট?

    Vladimir Putin: ফের হত্যার চেষ্টা পুতিনকে! কীভাবে বাঁচলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুপ্তঘাতকের হামলা এড়ালেন রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। যদিও এ ব্যাপারে রাশিয়ার কোনও সংবাদপত্রে কিছু বলা হয়নি। তবে ইউরো উইকলি (Euro Weekly) সংবাদপত্রের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি হত্যার চেষ্টা করা হয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে। যদিও অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এই ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

    পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে বারবার। তবে সেসব ছাপিয়ে এই মুহূর্তে ছড়িয়েছে তাঁর গুপ্তহত্যা এড়ানোর খবর। ২০১৭ সালে পুতিন নিজেই জনসমক্ষে জানিয়েছিলেন, অন্তত পাঁচবার তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিবারই তিনি বেঁচে গিয়েছেন। একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলের খবর অনুযায়ী, পুতিনের লিমুজিনের সামনের বাঁ দিকের চাকায় বিরাট আওয়াজ হয়। গাড়ি থেকে বেরতে থাকে ধোঁয়া। তবে গাড়িটি নিরাপদে চালিয়ে নিয়ে চলে যান চালক। ঘটনায় অক্ষত থেকে গিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ওই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই পুতিনের প্রাণনাশের আশঙ্কা ছিল। সেই মতো করা হয়েছিল কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থাও। তার পরেও এড়ানো যায়নি গুপ্তঘাতকের হামলা। ওই ঘটনায় বহিষ্কার করা হয় পুতিনের প্রধান দেহরক্ষীকে। বহিষ্কার করা হয়েছে পুতিনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একাধিক কর্মীকেও। ঘটনার পর থেকে তাঁর যাবতীয় কর্মসূচি গোপন করে রাখা হচ্ছে। অতি বিশ্বস্ত অল্প কয়েকজন ছাড়া তাঁর কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে পারছেন কেউই।

    আরও পড়ুন: ভারত-রাশিয়া বাণিজ্যে লেনদেন হবে টাকায়! প্রক্রিয়া চালু শীঘ্রই

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে। তার পর থেকে পুতিন সম্পর্কে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। তবে তিনি অল্পের জন্য গুপ্তহত্যা এড়িয়েছেন, সে ব্যাপারে কোনও খবরই প্রকাশিত হয়নি রাশিয়ার কোনও সংবাদপত্রে। একটি সংবাদ মাধ্যমের খবরে অবশ্য প্রকাশ, পুতিনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। অল্পের জন্য মৃত্যুর থাবা এড়িয়েছেন তিনি।

    জানা গিয়েছে, পুতিনের দেশে ক্রমেই ক্ষোভ জমছে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে কিছু দিন আগেই সেন্ট পিটার্সবার্গের এক দল রাজনীতিবিদ স্টেট দুমায় পুতিনের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। ওই অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন সেন্ট পিটার্সবার্গের ৬৫ জন মিউনিসিপ্যাল প্রতিনিধি, মস্কো ও বিভিন্ন এলাকার রাজনীতিবিদেরা। পুতিনের পদত্যাগও দাবি করেন তাঁরা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SCO Summit 2022: মোদির মুখোমুখি শি, শেহবাজ! এবারের এসসিও সম্মেলনে ভারতের গুরুত্ব কতটা?

    SCO Summit 2022: মোদির মুখোমুখি শি, শেহবাজ! এবারের এসসিও সম্মেলনে ভারতের গুরুত্ব কতটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হল ২২তম সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সামিট, সংক্ষেপে এসসিও (SCO)। দু দিনের এই সম্মেলন শুরু হয়েছে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে। ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping), রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin), পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) যোগ দিয়েছেন এই সম্মেলনে। এই প্রথম বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা মুখোমুখি হবে এই সম্মেলনে। কারণ অতিমারির কারণে এর আগে দুবার এসসিও সামিট হয়েছিল ভার্চুয়ালি।এক মঞ্চে জিনপিং এবং পুতিনের আগমনে যেমন নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল, তেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিও নজর কাড়ছে বিশ্ববাসীর।

    আঞ্চলিক নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, মাদক পাচার, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ইস্যু সহ নানা বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করে ভারত। এসসিও ভারতকে বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে। যদিও ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি ভারতে সামাজিক ক্ষত তৈরি করতে যুবসমাজকে টার্গেট করছে বলে অভিযোগ। ভারত যখন থেকে এসসিওর সদস্য হয়েছে, তখন থেকেই শান্তি, সমৃদ্ধি এবং ইউরেশিয়ান অঞ্চলে স্থায়িত্বের ওপর জোর দিচ্ছে। এসসিও নয়াদিল্লির কাছে একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও কাজ করছে। যার মাধ্যমে পাকিস্তানকে সেন্ট্রাল এশিয়া এবং সাউথ এশিয়া সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য করে। ভারত এই সম্মেলনে ছাবাহার বন্দর প্রোজেক্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর নিয়েও আলোচনা করতে পারে। ভারত, ইরান এবং উজবেকিস্তান এই তিন দেশ ছাবাহার বন্দর ও অন্যান্য কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করেছিল ২০২০ সালে।এই সামিটের মাধ্যমে ভারত রাশিয়া, ইরান এবং সেন্ট্রাল এশিয়ান রিপাবলিক্সের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঝালিয়ে নেওয়ার একটা সুযোগ পেল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুন : শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি-পুতিন, কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে?

    এদিকে, এই সম্মলেনর ফাঁকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদির আলাদা করে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনেছে। তাই এই বৈঠকের দিকে শ্যেনদৃষ্টি রয়েছে আমেরিকারও। এদিকে, এবারের সমরখন্দ সামিটে যোগ দেওয়ার কথা শি জিনপিংয়ের। ২০২০ সালের পর অতিমারির কারণে তিনি দেশের বাইরে পা রাখেননি। তাই তিনি এই সামিটে যোগ দেওয়ায় শুরু হয়েছে নয়া গুঞ্জন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Prashant Kishor: কয়েকজন নেতার সঙ্গে বসে চা খাওয়া বিরোধী ঐক্য নয়, সাফ জানালেন পিকে

    Prashant Kishor: কয়েকজন নেতার সঙ্গে বসে চা খাওয়া বিরোধী ঐক্য নয়, সাফ জানালেন পিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সঙ্গে বসে চা খাওয়া বিরোধী ঐক্য নয়। শনিবার সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানালেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। সম্প্রতি দিল্লি (Delhi) গিয়ে বিজেপি (BJP) বিরোধী কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। এদিন তাঁকেই কটাক্ষ করেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, কেবল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলাম আর চারজন নেতার সঙ্গে চা খেলাম, এতে আম জনতার কিছু আসে যায় না। তাই নির্বাচনেও এর কোনও প্রভাব পড়ে না।

    এক সময় নীতীশের দল জনতা দল ইউনাইটেডেই ছিলেন পিকে (PK)। পরে নীতীশের সঙ্গে মনান্তরের জেরে দল ছাড়েন তিনি। এদিন নীতীশকে নিশানা করে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ভোটে লড়ার ক্ষমতা কিংবা বিশ্বাসযোগ্যতা না থাকলে শুধু বৈঠক করে কী হবে? বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেস এবং আরজেডির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সরকার গড়েছেন নীতীশ। ঘটনাটি, প্রশান্ত কিশোরের মতে, রাজ্যের ঘটনা। অন্য কোনও রাজ্যে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও মহারাষ্ট্রে মহাজোট সরকার ছিল। এখন সেখানে এনডিএ সরকার চলছে। বিহারে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। জেডিইউ দলের প্রাক্তনী প্রশান্ত কিশোর বলেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি যাওয়ার কোনও প্রভাব জাতীয় রাজনীতিতে পড়েনি।

    আরও পড়ুন :আমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা নেই, রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জানালেন নীতীশ

    ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর বলেন, ২০১৫ সালে মানুষ ভোট দিয়েছিলেন মহাজোটের পক্ষে। কিন্তু ২০২০ সালের নির্বাচনে মানুষ তাদের জেতায়নি। বিহার রাজনীতির এই ধাক্কা এবং দুই ভোটের ফল দেশের সাধারণ নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলেনি। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে দিল্লি গিয়ে বিজেপি বিরোধী দশ দলের নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তাতে আদৌ কোনও লাভ হবে না বলেই মনে করেন ভোট কুশলী। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাইছেন নীতীশ। তাই শুরু করেছেন সলতে পাকানোর কাজ। তবে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন যে অধরাই থেকে যাবে, এদিন সেদিকেই ইঙ্গিত করেন প্রশান্ত কিশোর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত-কন্যার কোটি টাকার এফডি ফ্রিজ়, সিবিআই নজরে মা কালীর গয়নার উৎসও

    Anubrata Mondal: অনুব্রত-কন্যার কোটি টাকার এফডি ফ্রিজ়, সিবিআই নজরে মা কালীর গয়নার উৎসও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) নামে কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের হদিশ পেল সিবিআই (CBI)। পিতা-পুত্রীর নথিভুক্ত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ মিলেছিল আগেই। বৃহস্পতিবার মিলল নগদ টাকার হদিশ। এদিকে, ফি বছর কালীপুজোর সময় তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) যে মা কালীর বিগ্রহকে প্রচুর পরিমাণ সোনার গয়না পরাতেন, তার উৎস জানতে বোলপুরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে জেরা করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।

    গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। তাঁর নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশও মিলেছে। কেবল তিনি নন, তাঁর প্রয়াত স্ত্রী এবং কন্যা সুকন্যার নামেও পাওয়া গিয়েছে সম্পত্তির হদিশ। তবে এতদিন যা পাওয়া যাচ্ছিল না, তা হল নগদ টাকা। এবার মিলল তার খোঁজও। তবে অনুব্রতর নামে নয়, এক কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের খোঁজ মিলেছে সুকন্যার নামে। বৃহস্পতিবার বোলপুরের ইন্ডিয়ান ব্যাংকের শাখায় যান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখেন ব্যাংকের বিভিন্ন নথিপত্র। তখনই নজরে আসে সুকন্যার নামে কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের। তার পরেই ফ্রিজ করে দেওয়া হয় অ্যাকাউন্টটি।

    এদিকে, বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি গ্রেফতার হওয়ার পরেই ওই শাখার ওপর নজর ছিল সিবিআইয়ের। কারণ এই ব্যাংকেই অ্যাকাউন্ট রয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের। ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে বছরে কত টাকা লেনদেন হয়েছে, তার খোঁজও এদিন নেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।  

    আরও পড়ুন : কয়লাপাচার কাণ্ডে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা, এবার কি গ্রেফতার রাজ্যের আইনমন্ত্রী? 

    ফি বার দ্বীপান্বিতা অমাবস্যায় ঘটা করে কালী পুজো করেন অনুব্রত। প্রতিবার বিগ্রহকে সাজানো হয় ৫৭০ ভরি সোনার গয়নায়। এই পরিমাণ সোনার গয়নার বর্তমান বাজারমূল্য তিন কোটি টাকার কাছাকাছি। মা কালীর এই গয়না যিনি গড়িয়েছিলেন, সেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকেও জেরা করেছে সিবিআই। দেখতে চাওয়া হয় এই বিপুল পরিমাণ সোনার গয়নার রসিদও। সব গয়নাই তাঁর কাছে গড়ানো হয়েছিল কিনা, নাকি অন্য আরও কোনও স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও বিগ্রহের গয়না কেনা হয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোয় বোধনের অনুষ্ঠান হয় কেন জানেন?

    Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোয় বোধনের অনুষ্ঠান হয় কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ষষ্ঠী (Durga Shasthi)। এই সময়টা দেবতাদের রাত্রি। তাই তাঁরা ঘুমোন। সেই কারণেই  এই সময়ে দেবীকে জাগ্রত করতে হয়। হিন্দু রীতি অনুযায়ী সেই উৎসবকে বলে বোধন। যেহেতু এই সময়টা স্বয়ং মহামায়ারও (Goddess Durga) বিশ্রামের সময়, তাই তাঁকে জাগিয়ে তোলা প্রয়োজন। সেই কারণে একে বলা হয় অকাল বোধন (Akal Bodhon)।

    রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে জয়লাভের জন্য এই সময় দুর্গাপুজো করেছিলেন দশরথ পুত্র রামচন্দ্র স্বয়ং। তিনি পুজো করেছিলেন অকালে। তাই একে অকাল বোধন বলা হয়। রামচন্দ্রের আগে দুর্গাপুজো করার চল ছিল চৈত্র মাসে। যাকে আমরা বাসন্তী পুজো বলেই জানি। এজন্য বাসন্তী পুজোয় দেবীকে জাগিয়ে তোলার প্রয়োজন নেই। তাই ওই পুজোয় আমন্ত্রণ এবং অধিবাস থাকলেও বোধন থাকে না। কারণ তখন দেবতারা জেগেই থাকেন। রামচন্দ্র যে দুর্গার পুজো করেছিলেন, তিনি ছিলেন মহিষমর্দিনী। সিংহারূঢ়া দেবী দশভুজা ত্রিশূল দিয়ে বধ করছেন মহিষাসুরকে। পরবর্তীকালে সিংহবাহিনী দুর্গার সঙ্গে পুজো শুরু হল লক্ষ্মী-সরস্বতী-কার্তিক ও গণেশের। কারণ এই চার দেবদেবী হলেন চতুবর্গের প্রতীক। চতুবর্গ হল ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ। প্রতিটি মানুষ এই চারটি বর্গই কামনা করেন। তবে এই চতুবর্গ কামনা করেন গৃহীরা, সন্ন্যাসীরা নন।

    আমরা জানি, মা লক্ষ্মী দেন অর্থ। সিদ্ধিদাতা গণেশ দেন ধর্ম। কার্তিক দেন কাম। তাই সন্তান কামনায় এদেশে কার্তিক পুজো এবং কার্তিক ব্রত পালন করেন গৃহী মানুষ। আর সরস্বতী বিদ্যার দেবী। তিনি দেন মোক্ষ। বিদ্যালাভ হলে জ্ঞান অর্জন হয়। জ্ঞান লাভ হলে বহুতে অভেদ দর্শন হয়। এই অভেদ জ্ঞান লাভ হলে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ হয়। কারণ শঙ্করাচার্য স্বয়ং বলেছিলেন, ব্রহ্ম সত্য জগন্মিথ্যা, জীব ব্রহ্মৈব না পর। ব্রহ্মই এক মাত্র সত্য, এ জগৎ মিথ্যা। জীবই ব্রহ্ম স্বরূপ। এই জ্ঞান লাভের জন্য সরস্বতী পুজোর প্রয়োজন। সেই কারণেই এখন মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গার সঙ্গে এঁদেরও পুজো হয়। তবে এঁদের পুজো হয় সপ্তমীর দিন। ষষ্ঠীতে কেবলই পুজো হয় জগন্মাতার। তিনি যে মহামায়া স্বরূপ।   

     

  • PM Modi: যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি বললেন, ‘দাসত্বের প্রতীক চিরতরে মুছল…’

    PM Modi: যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি বললেন, ‘দাসত্বের প্রতীক চিরতরে মুছল…’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তব্যপথের (Kartavya Path) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ওই পথের উদ্বোধন করেন তিনি। বলেন, এক সময় যেটি পরিচিত ছিল কিংসওয়ে (King’s Way) নামে, পরে হল রাজপথ, যেটা এতদিন দসত্বের (Slavery) প্রতীক হিসেবে ছিল, এবার তার ঠাঁই হল ইতিহাসে। এদিন ইন্ডিয়া গেটের (India Gate) সামনে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর একটি ২৮ ফুট উঁচু মূর্তির আবরণও উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

    এদিন রাষ্ট্রপতিভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত বিস্তৃত এই কর্তব্যপথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। খরচ হয়েছে ৪৭৭ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্তব্যপথের মধ্যে দিয়ে জন্ম নিল এক নয়া ইতিহাস। আর এই যে দেখছেন নেতাজির মূর্তি, তিনি আমাদের পথ দেখাবেন, প্রেরণা জোগাবেন দেশকে।

    মোদি বলেন, একদা রাজপথ থেকে কর্তব্যপথে উত্তরণ একটি প্রতীকী বিষয়। জনগণের সম্পত্তি ও ক্ষমতায়নের এটি একটি উদাহরণ। এই সময় চলছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। তাই জাতি এদিন থেকে একটি নতুন প্রেরণা পাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা নতুন রঙে ভবিষ্যতের ছবি রাঙিয়ে তুলছি। অতীতকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছি। আজ সর্বত্রই এক নয়া আলোকছটা দেখা যাচ্ছে। এই আলোকছটা নিউ ইন্ডিয়ার আত্মবিশ্বাসের। তিনি বলেন, কিংসওয়ে অথবা রাজপথ দাসত্বের প্রতীক। আজ থেকে চিরতরে মুছে গেল। এদিন কর্তব্যপথ থেকে সূচনা হল এক নয়া ইতিহাসের। স্বাধীনতার এই অমৃত কালে আরও একটি দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাওয়ায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই। জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ দেশের মহিমার প্রতিনিধিত্ব করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। কর্তব্যপথ তৈরি করেছেন যেসব শ্রমিক এদিন তাঁদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, তাঁরা কেবল এটা তৈরি করেননি, তাঁরা কর্তব্যের নয়া পথ বাতলেছেন। আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে তাঁরা যে তাঁর অতিথি হতে চলেছেন, এদিন সে খবরও জানান প্রধানমন্ত্রী। দেশবাসীকে কর্তব্যপথ দেখার আহ্বানও জানান মোদি। বলেন, এই রাস্তার উন্নয়নে আপনি ভবিষ্যতের ভারতকে দেখতে পাবেন। এখানে এলে যে শক্তি পাবেন, তা আপনার জীবনে জন্ম দেবে এক নতুন বিশ্বাসের।

    আরও পড়ুন : ‘নেতাজির আদর্শ অনুসরণ করলে আজ ভারত কোথায় পৌঁছে যেত…’, বললেন মোদি

    প্রসঙ্গত, এই কর্তব্যপথ মোদি সরকারে সেন্ট্রাল ভিস্তা রিডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্টের অংশ। এই প্রোজেক্টে হবে ত্রিকোণাকার পার্লামেন্ট বিল্ডিং, সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট, প্রধানমন্ত্রীর নয়া বাসভবন ও অফিস এবং উপরাষ্ট্রপতির নয়া এনক্লেভ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • F-16 Support To Pak: পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভারত  

    F-16 Support To Pak: পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভারত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে (Pakistan) সাড়ে চারশো কোটি মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানের (F-16 Fighter) যন্ত্রাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকার (US) জো বাইডেন প্রশাসন। বিষয়টিকে ভালভাবে নিচ্ছে না ভারত (India)। যদিও আমেরিকা কোয়াড সদস্যভুক্ত দেশ এবং ভারতের ঘনিষ্ঠ, তা সত্ত্বেও বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে ভালভাবে নিচ্ছে না নয়াদিল্লি। সাউথ ব্লকের এহেন মনোভাব কূটনৈতিক মহলের মাধ্যমে ওয়াশিংটনকে জানিয়েও দিয়েছে মোদি প্রশাসন।

    সন্ত্রাসবাদ নির্মূলকরণের লক্ষ্যে পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দিতে রাজি হয়েছে আমেরিকা। তবে আসল কারণ অন্য। তা হল, পাকিস্তানকে যুদ্ধ বিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে আমেরিকা ভারতকে এই বার্তা পৌঁছে দিতে চায়, যে এই অস্ত্র সাহায্যের কোনও প্রভাব ভারতের ওপর পড়বে না। তাছাড়া ভারতীয় উপমহাদেশে বজায় থাকবে মিলিটারি ব্যালেন্সও।

    ঘটনার জেরে যারপরনাই ক্ষুব্ধ মোদি সরকার। বাইডেন প্রসাসনকে তারা জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই মহম্মদরে ডেরায় হানা দেয়। তার ঠিক আগের দিন ওই যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করেছিল পাকিস্তান। সেরকম ঘটনা ফের ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করে ভারত।

    আরও পড়ুন : তিন দশকে প্রথম কোনও লস্কর জঙ্গির দেহ গ্রহণ করল পাকিস্তান! কীভাবে হল হস্তান্তর?

    পাকিস্তান এবং মার্কিন পর্যবেক্ষকদের বিশ্বাস, বেশ কয়েকটি কারণে রাওয়ালপিন্ডিকে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান দিতে রাজি হয়েছে আমেরিকা। এগুলি হল, রাশিয়ার বিরুদ্ধে গিয়ে ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্য করেছে পাক সেনা প্রধান জেনারেল বাজওয়া। দ্বিতীয়ত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যখন প্রধানমন্ত্রিত্বের পদ থেকে সরে যান, তখন নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েছিল বাজওয়ার নেতৃত্বাধীন পাক সেনা। এটা তার পুরস্কার। তৃতীয়ত, লাইন অফ কন্ট্রোলে উত্তেজনা কমাতে বাজওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। এটা তার স্বীকৃতিও হতে পারে।

    তবে যুদ্ধ বিমান দিয়ে আমেরিকা পাকিস্তানকে সাহায্য করছে না, তারা দিচ্ছে এফ-১৬ মেরামতের সরঞ্জাম। পাক সেনার মিলিটারি আপগ্রেডেশন কিংবা নতুন কোনও অস্ত্রশস্ত্রও দিচ্ছে না বাইডেনের দেশ। আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে ভারতকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে একথা। পাক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, পাকিস্তানকে এফএটিএফের ধূসর তালিকা থেকে বের করার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আমেরিকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share