Tag: Bengali news

Bengali news

  • Vizhinjam Port: ভিজিঞ্জাম বন্দরে যাওয়ার রাস্তা আটকানো যাবে না, নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের

    Vizhinjam Port: ভিজিঞ্জাম বন্দরে যাওয়ার রাস্তা আটকানো যাবে না, নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিজিঞ্জাম বন্দরে (Vizhinjam Port) যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে কষ্ট দেওয়া যাবে না রাজ্য এবং রাজ্যবাসীকে। সম্প্রতি এই মর্মে রায় দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। দ্রুত এই রায় কার্যকর করার নির্দেশও দিয়েছে কেরলের এই আদালত। বিচারপতি অনু শিবরামণ এও বলেন, এই আন্দোলন নিয়ে কাউকেই রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত, কেরল (Kerala) থিরুভানানথাপুরম জেলার মুল্লুরে একটি মাল্টি-পারপাস সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ চলছে। তার জেরেই অশান্তির সূত্রপাত। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানিই এই বন্দরটি গড়ছেন। কিন্তু অতিকায় এই মাল্টি পারপাস সমুদ্র বন্দরের প্রবেশপথই আটকে দিয়েছেন স্থানীয় খ্রিস্টান মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের মানুষ। যার জেরে মাঝপথে থমকে গিয়েছে বন্দর নির্মাণের কাজ।

    কারা বাধা দিচ্ছে?

    জানা গিয়েছে, ৯০০ মিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পটি গৌতম আদানির স্বপ্নের প্রকল্প। দেশের প্রথম কন্টেনার ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হতে চলেছে ভিজিঞ্জামের এই বন্দরটিই (Vizhinjam Port)। আদানির সেই স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের আন্দোলন। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে এখানে তৈরি হয়েছে ১২০০ বর্গফুটের একটি শেল্টার। শেল্টারের ছাদ লোহার তৈরি। সেখানেই ঝোলানো হয়েছে ব্যানার। চলছে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিবাদ আন্দোলন। লোহার এই শেডের নীচে পাতা রয়েছে শ’ খানেক প্লাস্টিকের চেয়ার। এই চেয়ারেই বসে রয়েছেন প্রতিবাদীরা। অশান্তি এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    আরও পড়ুন: ‘‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই দুর্নীতির ফল ভুগবে’’, গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য বিচারপতির

    কেরল হাইকোর্ট বারবার নির্মাণকাজ শুরু করতে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও, এখনও পর্যন্ত পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরানোর কোনও চেষ্টা করেনি। এদিকে, আগামী শুক্রবারই বন্দরে (Vizhinjam Port) ভারী যান পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে গৌতম আদানির সংস্থা। চলতি সপ্তাহেই আদালত নির্দেশ দিয়েছে, কোনওভাবেই ওই এলাকায় যান চলাচলে বাধা দেওয়া যাবে না। তার পরেই বন্দর এলাকায় যান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদানি গ্রুপ।

    আদানি গ্রুপের তরফে জানানো হয়েছে, আদালতের  একাধিক নির্দেশ সত্ত্বেও বন্দরে (Vizhinjam Port) যাওয়ার রাস্তা অবরোধমুক্ত হয়নি। পরিস্থিতিরও কোনও পরিবর্তন হয়নি। সরানো হয়নি শেল্টার শেডও। যদিও প্রতিবাদীদের দাবি, আলোচনা চলছে, পরিস্থিতিরও উন্নতি হচ্ছে। আদালত জানিয়েছে, আলোচনা চলছে ভাল কথা। তবে এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। এর পরেই আদালত বলে, বন্দরে যাওয়ার রাস্তায় অবরোধ অনুমোদন করা যায় না। রাজ্য এবং রাজ্যবাসীকে কোনওভাবেই আটকানো যায় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mangaluru: বিস্ফোরণের দায় হিন্দুদের ঘাড়ে চাপাতে অরুণ কুমার নাম ব্যবহার করত শারিক?

    Mangaluru: বিস্ফোরণের দায় হিন্দুদের ঘাড়ে চাপাতে অরুণ কুমার নাম ব্যবহার করত শারিক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে অপরাধ করেছিল, সে ধর্মে মুসলমান (Muslim)। অথচ ধরা পড়লে বিস্ফোরণের দায় যাতে হিন্দুদের (Hindu) ঘাড়ে চাপানো যায়, তার চেষ্টা করেছিল মেঙ্গালুরু (Mangaluru) বিস্ফরণের মূল চক্রী মহম্মদ শারিক। তদন্তাকারীরা জেনেছেন, সেই কারণেই শারিক লোকেদের কাছে নিজেকে হিন্দু হিসেবে পরিচয় দিত। দেশে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) এই অবস্থার জন্য শারিক কর্নাটকের প্রাক্তন কংগ্রেস সরকারকেও দায়ি করেছে। পুলিশি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, আধার কার্ড ও ভোটার কার্ডে শারিকের নামের বদলে লেখা রয়েছে অরুণ কুমার। এই অরুণ কুমার নামে সিমকার্ডও কিনেছে সে। সেজন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র জালও করেছিল শারিক।

    জালিয়াতির জাল… 

    জানা গিয়েছে, যে অরুণ কুমারের নথিপত্র হাতিয়ে নিয়েছে শারিক, তিনি বেল্লারির বাসিন্দা, কর্মসূত্রে থাকেন বেঙ্গালুরুর বাইরে। গত বছর বেঙ্গালুরুতে এসে তিনি কোনওভাবে হারিয়ে ফেলেন তাঁর নথিপত্র। পুলিশ জানিয়েছে, হারিয়ে যাওয়ার পরের দিনই তিনি তাঁর ওয়ালেটটি ফিরে পান। তবে তার আগেই জাল করে ফেলা হয়েছে তাঁর যাবতীয় নথিপত্র। সেই নথিপত্র জমা দিয়েই শারিক সিমকার্ড কেনে। পুলিশ এই আসল অরুণ কুমারকে জেরাও করে। তবে মেঙ্গালুরুতে (Mangaluru) অটোরিক্সা বিস্ফোরণে তাঁর কোনও যোগসূত্র খুঁজে পায়নি।

    শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ মেঙ্গালুরুতে (Mangaluru) বিস্ফোরণের জেরে একটি অটোরিক্সায় আগুন ধরে যায়। অটোর যাত্রী ও চালককে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জখম অটোচালক দাবি করেন, অটোর এক যাত্রীর ব্যাগে আগুন ধরে যায়। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফরেনসিক টিম। নমুনা সংগ্রহ করে তারা। পরে জানা যায়, ওই ব্যাগের ভিতরে ছিল একটি প্রেশার কুকার। যেটি ব্যাটারি ও বিস্ফোরকে ঠাসা ছিল। 

    আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণের চক্রীর সঙ্গে দেখা করেছিল মহম্মদ শারিক?

    মেঙ্গালুরুর (Mangaluru) বিজেপি (BJP) বিধায়ক বলেন, শারিক হিন্দু নাম, ছবি এবং ডিপি ব্যবহার করত। বিস্ফোরণের সময় তাকে গেরুয়া শাল গায়ে দিয়ে দেখা গিয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনার দায় যাতে হিন্দুদের ঘাড়ে চাপানো যায়, তাই সে এটা করেছিল। তাছাড়া, অবৈধ কোনও কাজে সে যে জড়িত, তাও যাতে কেউ সন্দেহ না করে তাই এসব ছল করেছিল শারিক। অরুণ কুমার নাম ব্যবহার করলেও, শেষ রক্ষে হয়নি। পুলিশ তাকে শারিক বলেই চিহ্নিত করেছে। বিস্ফোরণের পোড়া ক্ষত নিয়ে আপাতত সে রয়েছে ফাদার মুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pakistan Army Chief: পাকিস্তানের পরবর্তী সেনাপ্রধান কে? কার কার নাম গেল প্রধানমন্ত্রীর কাছে?

    Pakistan Army Chief: পাকিস্তানের পরবর্তী সেনাপ্রধান কে? কার কার নাম গেল প্রধানমন্ত্রীর কাছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) বর্তমান সেনা প্রধান কমার জাভেদ বাজওয়ারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ মাসেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কে বসবেন পাকিস্তানের পরবর্তী সেনা প্রধানের পদে (Pakistan Army Chief)?  জানা গিয়েছে, সেনা হেডকোয়ার্টার্সের তরফে ছ’ জনের একটি নামের তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) অফিসে পাঠানো হয়েছে। যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে, তাঁরা সবাই সিনিয়র মোস্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল। প্রধানমন্ত্রীর অফিস যে নামে সিলমোহর দেবে, তিনিই বসবেন বাজওয়ারের চেয়ারে।

    যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে…

    সেনা হেডকোয়ার্টার্সের তরফে যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য, তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসীম মুনীর, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিদ সামসাদ মির্জা, কোর কমান্ডার রাওয়ালপিন্ডি, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজাহার আব্বাস, চিফ অফ জেনারেল স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল নুমান মাহমুদ, প্রেসিডেন্ট ন্যাশনাল ডিফেন্স বিশ্ববিদ্যালয়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈয়জ হামিদ, কোর কমান্ডার বাহাওয়ালপুর এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ আমের, কোর কমান্ডার গুজরানওয়ালা।

    তালিকায় ছ’ জনের নাম থাকলেও, সূত্রের খবর, আপাতত সেনা প্রধানের (Pakistan Army Chief) দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনজন। এঁরা হলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজাহার আব্বাস, লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিদ সামসাদ মির্জা এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসীম মুনির। মির্জা এবং আব্বাসকে ভারত সংক্রান্ত পুরানো ঘোড়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার সময় পাক গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের প্রধান ছিলেন মুনির। এই মুনির সেই সময় পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে মুক্ত পাকিস্তান! ক্ষুব্ধ ভারত, জানেন তার কারণ?

    জানা গিয়েছে, সেনা প্রধান (Pakistan Army Chief) পদে নাম চূড়ান্ত করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মঙ্গলবার বর্তমান সেনা প্রধান বাজওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডি জি আএসআই-ও। পরে এদিনই আরও একটি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন খাওয়াজা আসিফ, প্রধানমন্ত্রীর স্পেশাল অ্যাসিস্টেন্ট মালিক আহমেদ খান এবং অর্থমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে। পরে শরিফ আরও একটি বৈঠক করেন পিপিপি সহকারি চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে। বৈঠকটি হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। জানা গিয়েছে, শরিফ চাইছেন আসীম মুনিরই হোন পরবর্তী সেনা প্রাধান। আর জারদারি চাইছেন বাজওয়ারের মেয়াদ বাড়ানো হোক আরও ছ মাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • West Bengal Government: আরও জোরদার ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন, গণছুটির পথে রাজ্য সরকারি কর্মীরা!

    West Bengal Government: আরও জোরদার ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন, গণছুটির পথে রাজ্য সরকারি কর্মীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) বিরুদ্ধে আরও জোরদার আন্দোলনে নামতে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। নয়া বছরের প্রথমেই কোমর বেঁধে আন্দোলনে নামছেন তাঁরা। ২৭ জানুয়ারি গণ ছুটির (Mass Holiday) ডাক দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে। কলকাতায় ডাক দেওয়া হয়েছে গণ অবস্থানের। এদিকে, বৃহস্পতিবার দিনভর সওয়াল জবাব শেষে ডিএ (DA) আন্দোলনে অংশ নেওয়া ধৃত ৪৭ জনের জামিন মিলল। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এদিন তাঁদের হয়ে সওয়াল করেন দুঁদে আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।  

    বকেয়া ডিএ-র দাবিতে বুধবার লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে বিধানসভা পর্যন্ত অভিযানের ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মীদের তিরিশটি সংগঠন। তিরিশটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের বিধানসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে। বকেয়া ডিএ চাওয়ায় পুলিশ কয়েকজনকে ঘুষিও মারে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত হন কয়েকজন। টেনে হিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে আন্দোলনকারীদের তোলা হয় গাড়িতে। পুলিশের ধাক্কাধাক্কি থেকে রেহাই পাননি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরাও। ওই ঘটনায় ৪৭জনকে গ্রেফতারও করা হয়। এদিন তাঁদেরই জামিন মেলে।

    আন্দোলনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ…

    তবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে (West Bengal Government) এই আন্দোলনে যে এখানেই দাঁড়ি পড়ছে, তা নয়। নতুন বছরের শেষের দিকে জোরদার আন্দোলনে নামছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। মঞ্চের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার যদি দ্রুত বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবি না মেনে নেয়, তাহলে আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে। বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে এবং যাবতীয় শূন্যপদে স্বচ্ছভাবে নিয়োগের দাবিতে ১৯ ডিসেম্বর উত্তরকন্যা অভিযান করা হবে। ২৭ জানুয়ারি দেওয়া হয়েছে গণছুটির ডাক। কলকাতায় হবে লাগাতার অবস্থান।

    আরও পড়ুন: ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    বুধবার আন্দোলন চলাকালীন যে ৪৭জনকে গ্রেফতার করা হয়, তাঁদের হয়ে এদিন আদালতে সওয়াল করেন বিকাশরঞ্জন। সওয়াল করতে গিয়ে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা অভাবনীয়। পুলিশ ছেড়ে দেবে বলেও, ছাড়েনি। আন্দোলনকারীরা কি বোমা ছুড়েছে, নাকি অন্য কিছু করেছে? কলকাতায় ১৪৪ ধারা হামেশাই ভাঙে। কী দোষ এদের? হেফাজতে রাখার যুক্তি কী? ডিএ দেবে না আবার আন্দোলনও করতে দেবে না?  এর পরে পরে এদিন সন্ধের দিকে জামিন দেওয়া হয় ধৃতদের। এদিকে, ডিসেম্বরের ২ তারিখে সুপ্রিম কোর্টে হবে ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানি। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। তারই শুনানি হবে ওই দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mamata Banerjee: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট, তাই কি ‘সেটিং’ তত্ত্ব খারিজ করতে তৎপর মমতা?

    Mamata Banerjee: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট, তাই কি ‘সেটিং’ তত্ত্ব খারিজ করতে তৎপর মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। এ রাজ্যে তৃণমূলের (TMC) প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিই (BJP)। অথচ জি-২০ (G-20) সম্মেলন উপলক্ষে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এনিয়ে ‘দিদি-মোদি সেটিং’য়ের তত্ত্ব খাড়া করতে পারে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস সহ অন্যান্য দল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্কালে যা তৃণমূল নেত্রীর পক্ষে খুব একটা সুখকর হবে না। সেই কারণে এবার দিল্লি যাওয়ার আগেই তৃণমূল নেত্রী খোলসা করে দিলেন, কী কারণে এবার তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাইবা করবেন কেন?

    দিল্লি যাত্রার উদ্দেশ্য…

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে ডিসেম্বরের ৫ তারিখে দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। এর আগে একাধিকবার নানা অছিলায় প্রধানমন্ত্রীকে এড়িয়ে গিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)। তবে এই যে ৫ তারিখে দিল্লি যাচ্ছেন তিনি, তার আগে যেবার তিনি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছিলেন, সেবার সেটিং তত্ত্ব তুলে তাঁকে বিঁধেছিল বিজেপি সহ একাধিক দল। এবার যাতে বিরোধীরা সেই তত্ত্ব খাড়া করতে না পারে, তাই কী উদ্দেশ্যে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার তা খোলসা করলেন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিল্লিতে যাব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে যাব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কী নিয়ে আলোচনা হবে, তাও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, জি-২০ সম্মেলন নিয়েই আলোচনা হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চেয়ারপার্সনদের এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। আমিও দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে যাব।

    আরও পড়ুন: অভিষেকই ‘কয়লা ভাইপো’? মেনে নিচ্ছে তৃণমূল?

    এর আগের বার বিরোধীদের সেটিং তত্ত্বের জবাব দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী ((Mamata Banerjee))। বলেছিলেন, আমি রাজ্যের প্রাপ্য চাইতে গিয়েছিলাম। সেটাকে নাকি সেটিং বলে। ভিক্ষা চাইতে যাইনি, নিজেদের প্রাপ্য চাইতে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, আমি কারও সঙ্গে সেটিং করতে যাই না। সবাই আমার সঙ্গে সেটিং করতে আসে। রাজনৈতিক মহলের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক যাতে বিরোধীদের হাতিয়ার হয়ে উঠতে না পারে, তাই আগেভাগেই গেয়ে রাখলেন তৃণমূল নেত্রী।  বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রের তরফে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। তবে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আটকে রয়েছে একশো দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা। অথচ পঞ্চায়েত ভোটে ১০০ দিনের কাজ বড় ইস্যু। কারণ, অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে অনেকে আয় করে থাকেন। ফলে, সেই টাকা আটকে যাওযায় বিপাকে পড়েছে রাজ্য। সম্প্রতি, ওই টাকা পেতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছিল তৃণমূল প্রতিনিধি দল। কিন্তু, কোনও সুরাহা হয়নি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই টাকা পেতেই দিল্লির দরবারে ছুটছেন মমতা।  

    প্রসঙ্গত, আগামী বছর ভারতেই হবে জি-২০ সম্মেলন। এই সম্মেলন সফল করতে কোমর কষে নেমেছে মোদি সরকার। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে কথা বলে ওই সম্মেলন কীভাবে সফল করা যায়, তার রূপরেখা চূড়ান্ত করতেই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

  • Visva Bharati University: মাঝরাতে রণক্ষেত্র বিশ্বভারতী, ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার উপাচার্যকে

    Visva Bharati University: মাঝরাতে রণক্ষেত্র বিশ্বভারতী, ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার উপাচার্যকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্র বিক্ষোভের জেরে মাঝরাতে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University)। পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের (Vice Chancellor)। উপচার্যের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রছাত্রীরা। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পাল্টা অভিযোগ, তাঁর গায়ে হাত তুলেছেন প্রতিবাদীরা। পড়ুয়া বিক্ষোভের জেরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বুধবার ঘণ্টা দশেক পরে ঘেরাও মুক্ত হন উপাচার্য।

    ঘটনার নেপথ্যে…

    এদিন উপাচার্যের কাছে কয়েকটি দাবিদাওয়া নিয়ে গিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। অভিযোগ, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। উপাচার্য তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঘেরাও করে শুরু হয় বিক্ষোভ। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পড়ুয়াদের। ঘটনার জেরে অল্পবিস্তর আহত হন উভয়পক্ষেরই কয়েকজন। বিক্ষোভকারীরা দাবি তোলেন, উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ঘেরাও চলবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্র বলেন, উনি যদি এখান থেকে চলে যান, তাহলেই বিশ্বভারতীর মঙ্গল হবে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva Bharati University) নানা অনিয়ম হচ্ছে। বিক্ষোভরত অন্য এক পড়ুয়ার দাবি, ওঁর (উপাচার্যের) যে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী, তাঁকে বলছেন গুলি চালাও। পিস্তল বের করে গুলি চালানোর নির্দেশ দিচ্ছেন। বিক্ষোভকারী অন্য এক ছাত্রের দাবি, পড়ুয়ারা যখন তাঁর সামনে এসে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে দাবি দাওয়ার কথা বলছেন, তখন তিনি তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের প্রহার করান।

    আরও পড়ুন: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    উপাচার্যের ঘরে অশান্তির খবর পেয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান কয়েকজন অধ্যাপক অধ্যাপিকা। তাঁদেরও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিশ্বভারতী (Visva Bharati University) সূত্রে খবর, রাত দুটো পর্যন্ত নিজের অফিসেই ছিলেন উপাচার্য। অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীরা পড়ুয়াদের মারধর করে সরিয়ে দিয়ে উপাচার্যকে বের করেন। নিরাপত্তারক্ষীরা শাবল, গাঁইতি নিয়ে ঘরে ঢুকেছিলেন বলেও বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের অভিযোগ। ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University) চত্বর ও উপাচার্যের বাসভবনের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে আরও বেশি করে নিরাপত্তা রক্ষী। পরিস্থিতি যাতে নতুন করে উত্তপ্ত না হয়, সেজন্য নজর রেখেছে অতিরিক্ত বাহিনী। পুরো ঘটনাটি সম্পর্কে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • T N Seshan: ‘যোগ্য লোককেই খুঁজে বের করতে হবে’, শেষনের তুলনা টেনে বলল সুপ্রিম কোর্ট

    T N Seshan: ‘যোগ্য লোককেই খুঁজে বের করতে হবে’, শেষনের তুলনা টেনে বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের (CEC) ‘ভঙ্গুর ঘাড়ে’র ওপর সংবিধান প্রচুর ক্ষমতা চাপিয়েছে। তাই এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাতে হবে শক্ত চরিত্রের কাউকে। মঙ্গলবার একথা জানাল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মতে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এবং তাই প্রয়াত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টিএন শেষনের (T N Seshan) মতো একজন কাউকে প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আসীন ছিলেন শেষন। তাঁর আমলে নির্বাচনী নানা সংস্কার হয়। এদিন সেই প্রসঙ্গই টেনেছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    সাংবিধানিক বেঞ্চ…

    পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের মাথায় রয়েছেন বিচারপতি কে এম জোসেফ। এই বেঞ্চেই এদিন শুনানি হচ্ছিল একটি পিটিশনের। এই পিটিশনে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পদ্ধতির সংস্কার সাধনের কথা বলা হয়েছিল। জোসেফ ছাড়াও এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস, বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি সিটি রবিকুমার। পাঁচ বিচারপতির এই সাংবিধানিক বেঞ্চের প্রশ্ন, কেন ২০০৭ সাল থেকে সমস্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ কমানো হয়েছে। দেশের শীর্ষ আদালত বলেছে, আমরা এই প্রবণতা ইউপিএ এবং বর্তমান সরকারের আমলেও লক্ষ্য করেছি।

    এই মামলার শুনানিতে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে, গণতন্ত্র সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। এ নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। আমরা সংসদকে কিছু করতে বলতে পারি না। এবং আমরা তা করবও না। দেশের শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের সদস্য নিয়োগে সংসদকেই সংস্কার সাধন করতে হবে। কারণ এর প্রভাব পড়ে নির্বাচন কমিশনের কর্যক্রমে।

    আরও পড়ুন: রাজীব হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র, কেন জানেন?

    দেশের শীর্ষ আদালতের বলে, এটি নির্বাচন কমিশনারের স্বাধীনতাকেও প্রভাবিত করে। আদালতের প্রশ্ন, ১৯৯১ সালের আইনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কার্যকাল ছিল ছ’ বছর। তাহলে কোন যুক্তিতে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ কমানো হচ্ছে? এর পরেই আদালতে বলে, সংবিধান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং দুই নির্বাচন কমিশনারের কাঁধে অনেক দায়িত্ব অর্পণ করেছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে টিএন শেষনের (T N Seshan) মতো শক্তশালী চরিত্রের এক ব্যক্তির প্রয়োজন। আদালত বলে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আমাদের যোগ্য লোককেই খুঁজে বের করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mallikarjun Kharge: রাবণের সঙ্গে তুলনা মোদিকে! বিতর্কিত মন্তব্য মল্লিকার্জুন খাড়গের, প্রতিবাদ বিজেপির

    Mallikarjun Kharge: রাবণের সঙ্গে তুলনা মোদিকে! বিতর্কিত মন্তব্য মল্লিকার্জুন খাড়গের, প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ‘রাবণে’র সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কে কংগ্রেস (Congress) প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। কংগ্রেসের নয়া সভাপতির এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের দাবি, সভাপতির মন্তব্যেই স্পষ্ট কংগ্রেসের মানসিকতা। কংগ্রেস গুজরাটিদের অপমান করেছে। তাই ভোটের মাধ্যমে কংগ্রেসকে শিক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিজেপি।

    খাড়গের বাক্যবাণ…

    সদ্যই ভোটে জিতে  কংগ্রেসের দায়িত্ব নিয়েছেন অশীতিপর নেতা খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। তার পর হয়েছে হিমাচল প্রদেশের ভোট। এবার হচ্ছে গুজরাট বিধানসভার নির্বাচন। গুজরাটে ১৮২টি আসনে ভোট হবে ডিসেম্বরে। সেই উপলক্ষে গুজরাটের এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে রাবণ শব্দ প্রয়োগ করেন খাড়গে। কংগ্রেস সভাপতি বলেন, আমরা পুর নির্বাচন, বিধানসভা নির্বাচন, লোকসভা নির্বাচন সর্বত্রই আপনার (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) মুখ দেখি। এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, আপনার কি রাবণের মতো ১০০টি মস্তক আছে? খাড়গে বলেন, আমি দেখেছি, মোদিজির নামে ভোট চাওয়া হচ্ছে, সে পুরভোট হোক কিংবা বিধানসভা ভোট। মোদি কি পুরসভায় এসে কাজ করবেন? প্রয়োজনের সময় তিনি কি আপনাকে সাহায্য করবেন?

    খাড়গের (Mallikarjun Kharge) এই মন্তব্যের পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বিজেপি। বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্য ট্যুইট বার্তায় বলেন, গুজরাট নির্বাচনের উত্তাপ সহ্য করতে না পেরে চাপের মুখে কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে তাঁর কথার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তিনি ‘রাবণ’ বলেছেন। ‘মওত কা সওদাগর’ থেকে রাবণ…, কংগ্রেস গুজরাট ও তার পুত্রকে অপমান করেই চলেছে।

    কংগ্রেসকে উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের গর্ব। তিনি সকল নাগরিকের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন। এই কথাগুলো মল্লিকার্জুন খাড়গের হলেও, মতবাদ হল সোনিয়া গান্ধী-রাহুল গান্ধীর। তিনি বলেন, মনে আছে নরেন্দ্র মোদিকে মওত কা সওদাগর বলেছিলেন? মধুসূদন মিস্ত্রি বলেছেন, নরেন্দ্র মোদিকে তাঁর অওকাত দেখাবেন। কোন অওকাত আপনি দেখাবেন সোনিয়াজি? গুজরাটের গর্বের বিরুদ্ধে যারা এই রকম শব্দ প্রয়োগ করে, সেই কংগ্রেস দলকে প্রত্যেক গুজরাটির ভোট দিয়ে শিক্ষা দেওয়া উচিত।

    আরও পড়ুন: গুজরাতসহ গোটা দেশকে ধ্বংস করেছে কংগ্রেস, প্রচার মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • BSF: ফের পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদক

    BSF: ফের পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পাকিস্তানি (Pakistan) ড্রোনকে (Drone) গুলি করে নামাল বিএসএফ (BSF)। সোমবার রাতে সীমান্তে টহল দিচ্ছিল বিএসএফের একটি দল। আচমকাই কানে আসে শব্দ। শূন্য থেকে ভেসে আসা ওই শব্দের উৎস লক্ষ্য করেই গুলি চালায় বিএসএফ। তখনই দেখা যায় আকাশ থেকে খসে পড়েছে একটা অতিকায় ড্রোন। পাঞ্জাবের অমৃতসরের কাছে ভারত-পাক আন্তর্জাতিক সীমান্তের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দিন দুই আগেও ওই এলাকায় একটি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছিল বিএসএফ। আটচল্লিশ ঘণ্টা পরে ফের সেই একই ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ওই ড্রোনের মাধ্যমেই পাচার করার চেষ্টা চলছিল মাদক।

    বিএসএফের বিবৃতি…

    ঘটনার পরে পরে বিএসএফের (BSF) তরফে জারি করা হয় বিবৃতি। তাতে বলা হয়, ২৮ নভেম্বর রাত ১০টা ৪৭ মিনিট নাগাদ সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফ আধিকারিকরা অদ্ভুত আওয়াজ পেয়েছিলেন। তখনই খেয়াল করেন, পাকিস্তানের দিক থেকে একটি সন্দেহজনক ড্রোন ভারতীয় ভূখণ্ডের ভিতর অমৃতসর গ্রামীণ ডেলার ছহরপুর গ্রামের কাছে আসছে। নিয়ম অনুযায়ী, ড্রোনটিকে গুলি ছুঁড়ে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। গুলি লেগেই সেটি মাটিতে আছড়ে পড়ে। সূত্রের খবর, পরে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় একটি হেক্সাকপ্টার উদ্ধার করে বিএসএফ। এর সঙ্গে সঙ্গে সাদা পলিথিনে মোড়া সন্দেহজনক কিছু বস্তুরও হদিশ মেলে ছহরপুর গ্রামের একটি খেতে।

    জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয়েছে ৩৭০ ধারা। তার পর থেকেই আরও বেশি করে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে মদত দেওয়ার পাশাপাশি পাঞ্জাবের খালিস্তান জঙ্গিদেরও নানাভাবে সাহায্য করছে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটি। এসব কারণেই চিনের তৈরি ড্রোনের মাধ্যমে তারা কখনও অস্ত্র, কখনও বা মাদক পাচার করছে ভারতে। দিন কয়েক আগে একটি ড্রোনের মাধ্যমে পাঞ্জাবের মাটিতে অস্ত্র ফেলেছিল পাকিস্তান।

    আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা এক পাকিস্তানির! গুলি করে মারল বিএসএফ, ধৃত আরও ১

    প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগে লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছিলেন, সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে দুরন্ত ভূমিকা নিয়েছে ভারতীয় সেনা। তিনি এও বলেছিলেন, ওরা এখন পিস্তল গ্রেনেড এবং মাদক ঢুকিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। আমরা তা সফল হতে দেব না। তিনি জানিয়েছিলেন, লঞ্চপ্যাডগুলিতে এই মুহূর্তে অন্তত ১৬০ জন সন্ত্রাসবাদী ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে। এর মধ্যে ১৩০জন পিরপাঞ্জালের উত্তর দিকে লুকিয়ে, আর বাকি ৩০ জন দক্ষিণ দিকে। পুরো এলাকা ধরলে ৮২জন পাকিস্তানি ও ৫৩ জন স্থানীয় সন্ত্রাসবাদী স্রেফ সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Imran Khan: ‘দলের সব বিধায়ককে সরিয়ে নেব’, জনসভায় ঘোষণা ইমরানের

    Imran Khan: ‘দলের সব বিধায়ককে সরিয়ে নেব’, জনসভায় ঘোষণা ইমরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাদেশিক আইনসভা থেকে দলের সব বিধায়ককে সরিয়ে নেব। শনিবার এক জনসভায় এমনই ঘোষণা করলেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। সপ্তাহ তিনেক আগে লং মার্চ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন ইমরান ও তাঁর দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় ইমরানকেও। সুস্থ হয়ে এদিন তিনি যোগ দেন সমাবেশে। সেখানেই জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের সমস্ত প্রাদেশিক আইনসভা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে দলের বিধায়কদের।

    লং মার্চ…

    এদিন রাওয়ালপিন্ডি শহরে জনসভার আয়োজন করেছিল ইমরানের (Imran Khan) দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (PTI)। ওই সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন বছর সত্তরের ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান। তিনি বলেন, ইসলামাবাদ পর্যন্ত যে লং মার্চের ডাক দেওয়া হয়েছিল, তাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে।

    ইমরানের (Imran Khan) দলের তরফে এদিন ট্যুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। তাতে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, আমরা এই সরকারের অংশ হতে চাই না। আমি আমার দলের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। সংসদীয় দলের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলব। তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা সমস্ত প্রাদেশিক বিধানসভা থেকে আমাদের বিধায়কদের সরিয়ে নেব। দেশে অশান্তি এবং হিংসা এড়াতে এই সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়াই বরং ভাল।

    আরও পড়ুন: নতুন জীবন পেলাম! বললেন ইমরান, সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ফুঁসছে করাচি থেকে পেশোয়ার

    প্রসঙ্গত, সপ্তাহ তিনেক আগে পাক পঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে ‘স্বাধীনতা’ পদযাত্রার সময় জাফর আলি চকের কাছে অজ্ঞাতপরিচয় এক আততায়ী ইমরানকে (Imran Khan) লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতালে ইমরান বলেছিলেন, আল্লাহ আমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন। আমি মানুষের জন্য, পাকিস্তানের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। সেই ঘটনার পর এদিন প্রথম জনসভায় অংশ নেন ইমরান।

    এদিনের সভায় দলীয় কর্মীদের উদীপ্ত করতে ইমরান বলেন, ভয় একটা জাতিকে দাসে পরিণত করে। ওই সভায় তিনি এও স্বীকার করেন প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি দুর্নীতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারেননি। তার পরেই ইমরান বলেন, আমরা ইসলামাবাদ পর্যন্ত আর লং মার্চ করব না। তিনি বলেন, দেশে নৈরাজ্য হোক, তা আমি চাই না। আমি এই দেশের কোনও ক্ষতি হোক, চাই না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share