Tag: Bengali news

Bengali news

  • DY Chandrachud: ‘গণতন্ত্রে  কোনও প্রতিষ্ঠানই একশো শতাংশ ত্রুটিমুক্ত নয়’, বললেন প্রধান বিচারপতি  

    DY Chandrachud: ‘গণতন্ত্রে  কোনও প্রতিষ্ঠানই একশো শতাংশ ত্রুটিমুক্ত নয়’, বললেন প্রধান বিচারপতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্রে (Democracy) কোনও প্রতিষ্ঠানই একশো শতাংশ ত্রুটিমুক্ত নয়। এমন কী কলেজিয়াম সিস্টেম, যারা বিচারক নিয়োগ করে, তারাও এর বাইরে নয়। শুক্রবার একথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। আজ, শনিবার সংবিধান দিবস (Constitution Day)। এই উপলক্ষে শুক্রবার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন দেশের প্রধান বিচারপতি। সেখানেই তিনি বলেন, এই সমস্যার সমাধান হল, যে সিস্টেম রয়েছে, তার মধ্যে থেকে কাজ করাই একমাত্র পথ।

    চন্দ্রচূড় বলেন…

    সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) বলেন, আমি ভেবেছিলাম, আমি সেরাটাকে সংরক্ষণ করব। এর পরেই তিনি বলেন, গণতন্ত্রে কোনও প্রতিষ্ঠানই একশো শতাংশ ত্রুটিমুক্ত নয়। যে পরিকাঠামো রয়েছে, তার মধ্যে থেকেই কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বস্ত সৈনিক, যারা সংবিধানকে কার্যকর করব। দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা যখন অপূর্ণতার কথা বলি, তখনও আমাদের সমাধান হল, যে সিস্টেম রয়েছে, তার মধ্যে থেকেই কাজ করা। চন্দ্রচূড় আরও বলেন, কেবল কলেজিয়াম সিস্টেম সংস্কার করলে কিংবা বিচারকদের বেতন বাড়িয়ে দিলেই ভাল এবং যোগ্য মানুষ বেঞ্চে যোগ দেবেন, তা নিশ্চিত হয় না।

    দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)  বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ভাল মানুষের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এর পরেই তিনি বলেন, ভাল মানুষদের বিচার ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করা, ভাল আইনজীবী তৈরি করেই কলেজিয়াম ব্যবস্থার সংস্কার সম্ভব নয়। টাকা কিংবা বেতন দিয়ে বিচারকের মান নির্ণয় করাও সম্ভব নয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, একজন বিচারককে আপনি যতই বেতন দেন না কেন, তা একজন সফল আইনজীবীর দিনের শেষের উপার্জনের একটা ছোট অংশ হবে। তিনি বলেন, বিচারক হওয়া আসলে বিবেকের ডাক, পাবলিক সার্ভিসের প্রতি দায়বদ্ধতা।

    আরও পড়ুন: “দেশের সমস্ত নাগরিকদের রক্ষা করব…”, প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়

    প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয়েছিল ভারতীয় সংবিধান। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। তার পরের বছর থেকে ফি বছর এই দিনটিকে সংবিধান দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আগে এই দিনটি পালিত হত আইন দিবস হিসেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’! ভয় পেয়েই কি বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’! ভয় পেয়েই কি বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) চায়ের নেমতন্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)! তার পরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। বিরোধীদের প্রশ্ন, ‘ডিসেম্বর সিনড্রোমে’র ভয়েই কি বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    শুভেন্দুকে চা খেতে ডেকেছিলাম…

    বুধবার শপথ নিয়েছেন নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট ‘অপমানজনক’ হওয়ায় ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে তৃণমূলে যাওয়া দুই দলবদলু বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং কৃষ্ণকল্যাণীর সঙ্গে এক পঙক্তিতে বসতে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এর পর আজ, শুক্রবার বিধানসভায় সাক্ষাৎ হয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেন্দুর। মমতাই চায়ের নেমতন্ন করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। পরে তিনি বলেন, শুভেন্দুকে চা খেতে ডেকেছিলাম। আর শুভেন্দুর দাবি, চা খাওয়া হয়নি। এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের চা খেতে বলেছিলেন। কিন্তু বিধানসভায় অধিবেশন চলায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদেরও ব্যস্ততার কারণে চা খাওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত, এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়েছিলেন বিধায়ক বিজেপির অশোক লাহিড়ি, অগ্নিমিত্রা পল ও মনোজ টিগ্গা।

    এদিন ছিল সংবিধান দিবস। সেই উপলক্ষেই বক্তৃতা দিচ্ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। কিন্তু শুভেন্দুর বক্তব্য শুরু হতে না হতেই তৃণমূল বিধায়কদের বসার জায়গা থেকে গোলমাল শুরু হয়। কানে আসতেই রুখে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেউ বাধা দেবে না। সবাই চুপ করে থাক। কোনও কোনও তৃণমূল বিধায়ক টিকা-টিপ্পনীও কাটতে শুরু করেছিলেন। মমতা তাঁদেরও কড়া ভাষায় কথা বলতে নিষেধ করেন। সঙ্গে সঙ্গেই থেমে যায় গোলমাল। নির্বিঘ্নে বক্তৃতা শেষ করেন শুভেন্দু। তার পরেই আসে চায়ের নেমতন্ন। নেমতন্ন রক্ষা করতে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যান বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুন: এনআইএ কাজ করছে দেশদ্রোহীরা সাবধান! শাসক দলকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মমতা-শুভেন্দুর এই সাক্ষাৎকার পর্ব জন্ম দিয়েছে একাধিক জল্পনার। নন্দীগ্রামে ১৯৫৬ ভোটে মমতাকে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তার পর থেকে দু জনের সম্পর্ক আক্ষরিক অর্থেই অহি-নকুলের। সম্প্রতি শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, এই ডিসেম্বরেই পড়ে যাবে তৃণমূল সরকার। তিনি এও জানিয়েছিলেন, জোর করে সরকার ফেলবেন না তাঁরা। সরকার পড়ে যাবে আপনা থেকেই। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই মোদির ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। সেই একই কারণে শুভেন্দুকে করতে হচ্ছে চায়ের নেমতন্ন। তাঁকে সম্বোধন করতে হচ্ছে ‘ভাই’ বলে!

    একেই বলে ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘কমিশনকে বলব তৃণমূলের প্রতীক প্রত্যাহার করার জন্য?’, বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Recruitment Scam: ‘কমিশনকে বলব তৃণমূলের প্রতীক প্রত্যাহার করার জন্য?’, বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রিসভাকে পার্টি করে তৃণমূলের (TMC) প্রতীক কেড়ে নিতে বলব কি? শুক্রবার এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gganguly)। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে গত কয়েক মাসে নজিরবিহীন বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন সে সবকে ছাপিয়ে গেল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য। তিনি বলেন, হয় ক্যাবিনেটকে বলতে হবে যে আমরা অযোগ্যদের পাশে নেই এবং ১৯ শে মে-র বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে। নাহলে এমন পদক্ষেপ করব যেটা গোটা দেশে কখনও হয়নি। তিনি বলেন, আমার সন্দেহ আছে যে, হয় গণতন্ত্র সঠিক হাতে নেই। আর নাহলে গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি। আমি ক্যাবিনেটকে পার্টি করে দেব। সবাইকে এসে উত্তর দিতে হবে। শোকজ করতে পারি।

    সওয়াল জবাব…

    এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং মণীশ জৈনের দীর্ঘ সওয়াল জবাব চলে আদালতে। এক প্রশ্নের উত্তরে মণীশ বলেন, অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশ এসেছিল। তিনিই আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছিলেন।

    প্রশ্ন: আপনি কি জানেন যে কমিশনের আইন অনুযায়ী কোন বেআইনি নিয়োগ করা যায় না?

    উত্তর: হ্যাঁ।

    প্রশ্ন: তাহলে অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন তৈরি করা হল?

    উত্তর: উপযুক্ত স্তর থেকে নির্দেশ এসেছিল। ব্রাত্য বসুর নির্দেশ এসেছিল। তিনি আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। আমার আইনজীবী এবং অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। আইন দফতরের সঙ্গেও কথা হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়। মুখ্যসচিবকে জানানো হয়। ক্যাবিনেটে নোট পাঠানো হয়।

    প্রশ্ন: অবৈধদের নিয়োগ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীরা?

    উত্তর: না।

    প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় না যে অবৈধদের বাঁচানোর জন্য এই অতিরিক্ত শূন্যপদ? অবৈধদের সরানোর কোন সিদ্ধান্ত হয়েছিল?

    উত্তর: আমরা আইন দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি।

    প্রশ্ন: আমি বিস্মিত যে কীভাবে ক্যাবিনেটে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?  যেখানে আইনে এর কোন সংস্থান নেই। আপনি কি মনে করেন যে অবৈধদের চাকরি বাঁচানো দরকার?

    উত্তর: না।

    প্রশ্ন: কোন ক্যাবিনেটে এই সিদ্ধান্ত হয়?

    উত্তর:  আমরা আইন দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি।

    প্রশ্ন: এটা কোনও রাজ্যের নীতি হতে পারে?  আবার বলা হচ্ছে, যে কারও চাকরি যাবে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর কাছে আবেদন দাখিল করার কোনও লিখিত নির্দেশিকা নেই। অতিরিক্ত প্রায় ২৬২ কোটি টাকা কেন প্রতি বছর ব্যয় করা হবে এই অযোগ্যদের জন্য?

    উত্তর: আমরা অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গেও এবিষয়ে কথা বলেছিলাম।

    প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় না যে ক্যাবিনেট তার এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সংবিধানবিরোধী কাজ করেছে? ক্যাবিনেটের সদস্যরা সই করলেন?  কেউ তাঁদের সতর্ক করলেন না?

    উত্তর: আমি সেখানে ছিলাম না।

    এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, বিধানসভায় দলনেতা মুখ্যমন্ত্রী। আর লোকসভায় দলনেতা প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি ইলেকশন কমিশনকে বলব তৃণমূল কংগ্রেসের লোগো প্রত্যাহার করার জন্য। দল হিসাবে তাদের মান্যতা প্রত্যাহার করতে বলব নির্বাচন কমিশনকে। সংবিধান নিয়ে যা ইচ্ছা করা যায় না, হুঁশিয়ারি বিচারপতির। তিনি বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীর যন্ত্রণা বুঝতে পারি। কিন্তু কিছু দালাল যারা মুখপাত্র বলে পরিচিত তারা আদালতের নামে যা ইচ্ছা বলছে। বলছে, যে নিয়োগ হলেই আদালতে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসছে। আদালত কি এগরোল নাকি যে এলেই স্থগিতাদেশ পেয়ে যাবে? প্রশ্ন বিচারপতির।

    আরও পড়ুন: অভিষেকই ‘কয়লা ভাইপো’? মেনে নিচ্ছে তৃণমূল?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Jama Masjid: মহিলাদের ‘একা’ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা! বিতর্কিত নোটিশ প্রত্যাহারে রাজি জামা মসজিদ

    Jama Masjid: মহিলাদের ‘একা’ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা! বিতর্কিত নোটিশ প্রত্যাহারে রাজি জামা মসজিদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির জামা মসজিদে (Jama Masjid) মহিলারা যেতে পারবেন না বলে নির্দেশিকা জারি করেছিলেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ। তার পরেই হইচই পড়ে যায় দেশজুড়ে। মসজিদ কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে নোটিশও পাঠায় দিল্লির (Delhi) মহিলা কমিশন। তার পরেও অবশ্য পিছু হটেননি মসজিদ কর্তৃপক্ষ। শেষমেশ জট খুলল দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার হস্তক্ষেপে। তিনি কথা বলেন জামা মসজিদের শাহি ইমামের (Shahi Imam) সঙ্গে। মহিলাদের মসজিদে ঢোকার নির্দেশিকা প্রত্যাহার করতে তাঁকে অনুরোধ করেন। তার পরেই মসজিদ কর্তৃপক্ষ ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেন। সূত্রের খবর, ইমাম বুখারিও ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। তবে সেক্ষেত্রে একটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, দর্শনার্থীদের মসজিদের পবিত্রতা বজায় রাখতে হবে।

    জামা মসজিদের নোটিশ…

    দিল্লির জামা মসজিদ (Jama Masjid) কর্তৃপক্ষ মসজিদের প্রধান ফটকের বাইরে একটি নোটিশ টাঙায়। তাতে মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়। কোনও মহিলা একাই আসুন কিংবা দলবদ্ধভাবে আসুন, তাঁরা কেউই প্রবেশ করতে পারবেন না মসজিদে। তার পরেই দেশজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। প্রবল বিতর্কের মুখে পড়ে মসজিদের শাহি ইমাম বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেন, যাঁরা প্রার্থনার জন্য মসজিদে আসবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য নয়।

    মসজিদের (Jama Masjid) মূল গেটের সামনে মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যে নোটিশ টাঙানো হয়েছিল, তাতে নোটিশ ইস্যুর কোনও তারিখ দেওয়া ছিল না। দিন কয়েক আগে তিনটি ফটকের সামনে ওই নোটিশ ঝুলতে দেখা যায়। তার পরেই শুরু হয় বিতর্ক। মসজিদ কমিটির তরফে জারি করা নোটিশে বলা হয়েছে, কোনও মহিলা যদি একা আসেন কিংবা দলবদ্ধভাবেও আসেন, তাহলেও তাঁরা মসজিদে ঢুকতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, দিল্লির জামা মসজিদ তৈরি হয়েছি মুঘল আমলে, সপ্তদশ শতাব্দীতে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসেন মসজিদ দর্শনে।

    আরও পড়ুন: জামা মসজিদে মেয়েদের ‘একা’ ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা! ‘‘এটা ইরান নাকি?’’ তোপ মহিলা কমিশনের

    মসজিদ (Jama Masjid) কমিটির ওই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করা হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফেও। মসজিদ কমিটির ওই সিদ্ধান্তকে ‘মহিলা বিরোধী’ বলেও দাবি করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এই বিষয়ে তারা দাবি করে মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক এবং জাতীয় মহিলা কমিশনের হস্তক্ষেপ। পরে মসজিদ কমিটিকে নোটিশ পাঠায় দিল্লির মহিলা কমিশনও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Chief Election Commissioner: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে হস্তক্ষেপ অনভিপ্রেত, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    Chief Election Commissioner: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে হস্তক্ষেপ অনভিপ্রেত, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে হস্তক্ষেপ অনভিপ্রেত, সুপ্রিম কোর্টে সাফ জানাল কেন্দ্র। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের (Chief Election Commissioner) ‘ভঙ্গুর ঘাড়ে’র ওপর সংবিধান প্রচুর ক্ষমতা চাপিয়েছে। তাই এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাতে হবে শক্ত চরিত্রের কাউকে। মঙ্গলবার একথা জানিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মতে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এবং তাই প্রয়াত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টিএন শেষনের (T N Seshan) মতো একজন কাউকে প্রয়োজন। এদিন এই প্রসঙ্গেই তার অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র।

    ‘সংবিধানের নীরবতা’

    প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আসীন ছিলেন শেষন। তাঁর আমলে নির্বাচনী নানা সংস্কার হয়। এদিন সেই প্রসঙ্গই টেনেছে দেশের শীর্ষ আদালত। আদালত এও জানায়, কোনও দৃঢ় চরিত্রের ব্যক্তির এই পদে থাকা উচিত, যিনি নিজেকে বুলডোজ হতে দেবেন না। এর পরেই শেষনের প্রসঙ্গ টেনে দেশের শীর্ষ আদালত বলে, অনেক মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এসেছেন, কিন্তু টিএন শেষন একবারই এসেছেন। এই মামলার শুনানির সময়ই কমিশনার নিয়োগের পদ্ধতি, যোগ্যতা ইত্যাদি বিষয়ে ‘সংবিধানের নীরবতা’র উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে বুধবার কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দেয়, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের অধিকার রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। এও বলেছে, ‘সাংবিধানিক নীরবতা’ পূরণ করতে পারে না বিচারবিভাগ। বিচারবিভাগের উচিত নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থেকেই এক্সিকিউটিভের স্বাধীনতাকে সম্মান করা।

    আরও পড়ুন: রাজীব হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র, কেন জানেন?

    নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে দায়ের করা পিটিশনের শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে। সম্প্রতি কেন্দ্র ওই পদে বসিয়েছে অরুণ গোয়েলকে। ১৯৮৫ সালের ব্যাচের আএএস অফিসার তিনি। এদিন দেশের শীর্ষ আদালত অরুণ গোয়েলের নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল খতিয়ে দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। এই মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। এই বেঞ্চের মাথায় রয়েছেন বিচারপতি কে এম জোসেফ। শুনানি চলাকালীন তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কাট্রামনিকে অরুণ গোয়েলের নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল পেশ করার নির্দেশ দেয়। এর পরেই অরুণ কুমারের আইনজীবী বলেন, অরুণ কুমার শুক্রবার ভিআরএস নিয়েছেন। তার পরের দিনই তাঁকে ইলেকশন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mangaluru: তামিলনাড়ুতে কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণের চক্রীর সঙ্গে দেখা করেছিল মহম্মদ শারিক?

    Mangaluru: তামিলনাড়ুতে কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণের চক্রীর সঙ্গে দেখা করেছিল মহম্মদ শারিক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকের মেঙ্গালুরুতে (Mangaluru) অটোরিক্সা বিস্ফোরণের মূল চক্রী মহম্মদ শারিক। তার সঙ্গে তামিলনাড়ুর যোগ ছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, শারিক নিজে কোয়েম্বাতুর গাড়ি বিস্ফোরণে (Coimbatore Blast) অভিযুক্ত জামেসা মুবিনের সঙ্গে গত সেপ্টেম্বরে দেখা করেছিলেন বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) সিরিঙ্গানেল্লুরে তারা দুজনে সাক্ষাৎ করেছিল।  

    মেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরণ…

    শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ মেঙ্গালুরুতে (Mangaluru) বিস্ফোরণের জেরে একটি অটোরিক্সায় আগুন ধরে যায়। অটোর যাত্রী ও চালককে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জখম অটোচালক দাবি করেন, অটোর এক যাত্রীর ব্যাগে আগুন ধরে যায়। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফরেনসিক টিম। নমুনা সংগ্রহ করে তারা। পরে জানা যায়, ওই ব্যাগের ভিতরে ছিল একটি প্রেশার কুকার। যেটি ব্যাটারি ও বিস্ফোরকে ঠাসা ছিল। 

    আরও জানা গিয়েছে, শারিক কোয়েম্বাতুরে একটি ডর্মেটরিতে থাকত। সেখানকারই সুরেন্দ্রন নামে একজনের নামে কেনা সিমকার্ডও ব্যবহার করত। সেই সুরেন্দ্রন অবশ্য এখন পুলিশি হেফাজতে। সুরেন্দ্রন ছাড়া শারিক কোয়েম্বাতুরে আর কার কার সঙ্গে সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সুরেন্দ্রন কেন তাকে সিম কার্ড ব্যবহার করতে দিল, তাও জানতে চাইছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: আইএস আদর্শে অনুপ্রাণিত মেঙ্গালুরু অটো বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত

    দীপাবলির ঠিক আগের দিন বিস্ফোরণ ঘটে কোয়েম্বাতুরে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল জামেসা মুবিনের। ওই বিস্ফোরণে শারিকের কোনও হাত রয়েছে কিনা, তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। মুবিনের ছয় সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলা দায়ের হয়েছে ইউএপিএ ধারায়। ঘটনার মূলে পৌঁছতে এনআইএ এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করে শারিকের ব্যাপারে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছে।

    এদিকে, সইদ ইয়াসিন, মাজ মুনির আহমেদ এবং শারিক এই তিনজনে মেঙ্গালুরু (Mangaluru) বিস্ফোরণের রিহার্সাল দিয়েছিল বলেও জেনেছেন তদন্তকারীরা। শিবামোগ্গা জেলার তুঙ্গা নদীর তীরে মহড়া দিয়েছিল তারা। সেখানে বিস্ফোরণ সফলও হয়েছিল বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। মূল অভিযুক্ত শারিক ইসলামিক স্টেটের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে সে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান তদন্তকারীদের। আইসিসের কয়েকজনের সঙ্গে সইদ ইয়াসিন ও মুনির আহমেদের যোগাযোগও শারিক করে দিয়েছিল বলেই জেনেছেন গোয়েন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর গাড়িতে লালবাতি কেন? প্রশ্নের মুখে রাজ্য

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর গাড়িতে লালবাতি কেন? প্রশ্নের মুখে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের মন্ত্রী নন। হোমরাচোমরাও কেউ নন। তিনি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনু্ব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তৃণমূল (TMC) নেত্রীর আদরের কেষ্ট। এহেন এক তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করতেন। বীরভূম থেকে তিনি যখন কলকাতায় আসতেন, কিংবা কলকাতারই এক স্থান থেকে অন্যত্র যেতেন তাঁর গাড়ির মাথায় শোভা পেত লালবাতি। বাজত হুটার। এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। তার পরেই নবান্নের কাছে হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে, লাল-নীল কত বাতি, কতজনকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তার অপব্যবহারের জন্য সরকার কি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে?

    মামলার নেপথ্যে…

    গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) গাড়িতে লালবাতির ব্যবহার নিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। মামলাটি করেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তাঁর যুক্তি ছিল, অনুব্রত মণ্ডল এমন কোনও পদে নেই, যাতে লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করা যায়। তাহলে তিনি লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করেন কীভাবে? কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতি লালবাতি লাগানো গাড়িতে পুলিশের নজর এড়িয়ে বীরভূম থেকে কলকাতায় আসেন সেই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করেন ওই আইনজীবী। মঙ্গলবার হচ্ছিল ওই মামলার শুনানি। এদিন ওই মামলার শুনানিতেই আদালতের গুচ্ছ প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। প্রধান বিচারপতি রাকেশ শ্রীবাস্তবের প্রশ্ন, রাজ্যজুড়ে লালবাতি, নীলবাতির গাড়ি যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে কেন? সবই কি বৈধ? প্রধান বিচারপতি এদিন শুনানির সময় বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করে পদক্ষেপ নেওয়া যায়। এমন কত মামলা হয়েছে রাজ্যে? তাঁর এও প্রশ্ন, রাজ্যে মাল্টি কালার বাতির প্রচলন রয়েছে কি? এ ব্যাপারে সোমবারের মধ্যে জবাব চেয়েছে হাইকোর্ট। নবান্ন সূত্রে খবর, জেলাস্তরের বহু নেতা বিভিন্ন কমিশন বা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে গাড়িতে বিকন লাইট লাগানোর অনুমতি পেয়েছিলেন। অনুব্রতও (Anubrata Mondal) সেভাবে অনুমতি পেয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: জেলেই অনুব্রত! গরু পাচার মামলায় জামিনের আর্জি খারিজ, পরবর্তী শুনানি ২৫ নভেম্বর

    প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে লালবাতি লাগানো গাড়িতে চড়ে বর্ধমানের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। তখন তিনি এসেছিলেন স্টেট রুরাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির বোর্ড লাগানো একটি গাড়িতে চড়ে। এই গাড়ির মাথায় লাগানো ছিল লালবাতি। তবে সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী, ওই পদে থেকে গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করা যায় না। তা সত্ত্বেও কীভাবে লালবাতি লাগানো গাড়িতে ঘুরেছিলেন অনুব্রত? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Personal Income Tax: অর্থমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আয়করের হার কমানোর আবেদন বণিক মহলের

    Personal Income Tax: অর্থমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আয়করের হার কমানোর আবেদন বণিক মহলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে পার্সোনাল ইনকাম ট্যাক্স (Personal Income Tax) বা ব্যক্তিগত আয়করের হার কমানোর অনুরোধ জানাল কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ, সংক্ষেপে সিআইআই (CII)। এর পাশাপাশি জিএসটির (GST) অপরাধীকরণ এবং ক্যাপিটেল ট্যাক্স রেট খতিয়ে দেখার আবেদনও করা হয়েছে এই বণিক মহলের তরফে। সোমবার বাজেট নিয়ে আলোচনা শুরু করার কথা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের (Nirmala Sitharaman)। তার ঠিক আগেই তাঁর কাছে এই অনুরোধ করল সিআইআই।

    সাধারণ বাজেট…

    ২০২৩-২৪ সালের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ২০২৩ সালে ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট করবেন তিনি। ২০২৪ সালে দেশজুড়ে হবে সাধারণ নির্বাচন। তার আগে এটাই মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। পরের বছর যেহেতু সাধারণ নির্বাচন, তাই পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে পারবে না মোদি সরকার। তাদের পেশ করতে হবে ভোট অন অ্যাকাউন্ট। নির্বাচনের বছরে ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করাই রীতি। সিআইআই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে এই প্রস্তাবও দিয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ওপর ২৮ শতাংশ হারে জিএসটি হ্রাস করা। বণিক মহলের বক্তব্য, ব্যক্তিগত আয়করের হার কমানো হলে উপকৃত হবেন প্রায় ৫ কোটি ৮৩ লক্ষ মানুষ। এঁরা আয়করের আওতায় পড়েন।

    আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি ৫জি প্রযুক্তি ভবিষ্যতে অন্য দেশকেও দেওয়া হবে! অভিমত নির্মলা সীতারমনের

    ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এঁরা আইটি রিটার্ন দাখিল করেছেন। সিআইআই প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব বাজাজ বলেন, পার্সোনাল ইনকাম ট্যাক্স (Personal Income Tax) কমানোর ওপর সরকারের ধ্যান দেওয়া উচিত। তাতে বাড়বে চাহিদা। আদতে লাভ হবে বাজারের। নির্দিষ্ট কিছু ভোগ্যপণ্যের ওপর ২৮ শতাংশ হারে জিএসটি ছাড়ের অনুরোধও জানান তিনি। গ্রামাঞ্চলের পরিকাঠামো উন্নয়নমূলক প্রজেক্টও হাতে নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। সঞ্জীব বলেন, সিভিল কেসে গ্রেফতারি কিংবা আটকের প্রয়োজন নেই। যতক্ষণ না পর্যন্ত ব্যবসায় অপরাধ প্রমাণিত হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রি ক্যাপটেনদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি সীতারামন কথা বলবেন পরিকাঠামো বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে। জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি। কৃষি এবং অ্যাগ্রো-প্রোসেসিং সেক্টরের মানুষদের সঙ্গেও কথা বলবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Primary TET: প্রাথমিক টেটে সুযোগ পাবেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও, জানাল হাইকোর্ট

    Primary TET: প্রাথমিক টেটে সুযোগ পাবেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকের প্যারাটিচারদের সঙ্গে এবার উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচারদেরও টেট (Primary TET) পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে। সোমবার এই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhya)। টেটে বসার সুযোগের আর্জি জানিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় বিচারপতি এই নির্দেশ দেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবারই ছিল টেট পরীক্ষার আবেদনের শেষ দিন। তাই এই নির্দেশ কতটা কার্যকর হবে, তা স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের ১১ তারিখে টেট পরীক্ষা হওয়ার কথা। পাঁচ বছর পরে এবারই হচ্ছে এই পরীক্ষা। পরীক্ষায় বসবেন কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী।

    যোগ্যতার মাপকাঠি…

    টেট  (Primary TET) নিয়ে আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল পর্ষদ। তাতে প্রথমে যে যোগ্যতার মাপকাঠি স্থির করা হয়েছিল, পরে তাতে অনেক বদল আনা হয়। প্রথমে বলা হয়েছিল, প্রাথমিকে কর্মরত প্যারাটিচারদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাতে এই ১০ শতাংশের মধ্যেই যুক্ত হচ্ছেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও। প্রত্যাশিতভাবেই বাড়ল প্রতিযোগিতা।

    আরও পড়ুন: টেট উত্তীর্ণদের তালিকায় মমতা-অভিষেক-শুভেন্দুর নাম! কী বললেন পর্ষদ সভাপতি?

    কেবল উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাই নন, এই টেটে (Primary TET) অংশ নিতে পারবেন ২০১৪ ও ২০১৭র টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরাও। যাঁরা ইতিমধ্যেই বিএড পাশ করেছেন, তাঁরাও বসার সুযোগ পাচ্ছেন এই টেটে। প্রথমে বলা হয়েছিল, বিএডে পঞ্চাশ শতাংশ নম্বর থাকলে তবেই পরীক্ষায় বসার সুযোগ মিলবে। সম্প্রতি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যাঁরাই বিএড পাশ করবেন, তাঁরাই বসতে পারবেন এই পরীক্ষায়। সোমবার হাইকোর্টের নির্দেশের জের এঁদের সঙ্গে যুক্ত হলেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও। তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ঘোষণা অনুযায়ী যেহেতু সোমবারই টেট পরীক্ষার আবেদনের শেষ দিন, তাই হাইকোর্টের এই নির্দেশ কতটা কার্যকর হবে, তা স্পষ্ট নয়।

    প্রসঙ্গত, এবার যে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে মোট শূন্যপদের সংখ্যা ১১ হাজার ৭৬৫টি। প্রার্থীদের একাংশের দাবি, এসসি, এসটি, এক্সম্পটেড ক্যাটাগরি এবং সংরক্ষণ বাদ দিলে শূন্যপদ থাকছে মাত্রই ৫ হাজার। প্রত্যাশিতভাবেই চাকরি প্রার্থীদের কাছে প্রতিযোগিতাটা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Zakir Naik: কাতারে হাজির সেই জাকির নায়েক, কেন জানেন?

    Zakir Naik: কাতারে হাজির সেই জাকির নায়েক, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাতারে (Qatar) পৌঁছলেন বিতর্কিত ইসলামিক (Islamic) ধর্মশিক্ষাদাতা জাকির নায়েক (Zakir Naik)। ভারতে (India) তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ এবং ঘৃণা ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই কাতারেই চলছে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ (FIFA World Cup 2022)। সেখানে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই কাতারে হাজির জাকির নায়েক। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে, বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে তিনি ধর্মীয় বক্তৃতা দিয়ে বেড়াবেন।

    তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’…

    ইসলাম সম্পর্কিত নানা বিষয়ে বিভিন্ন সময় ভাষণ দিতে দেখা গিয়েছে জাকিরকে। ১৯৯৪ সালে তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’ গ্রন্থ নিয়ে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রথম নজরে আসেন তিনি। নতুন সহস্রাব্দের গোড়া থেকেই তুমুল জনপ্রিয়তা পায় জাকিরের ভিডিও। নানা সময় তাঁর নানা কথায় দেশে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের।

    ২০১৬ সালের শেষের দিকে জাকির নায়েকের ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই ফাউন্ডশনের সদস্যদের বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে ঘৃণা এবং বিদ্বেষ ছড়াতে উৎসাহিত করতেন তিনি। এর পর ভারত ছাড়েন জাকির। আশ্রয় নেন মালয়েশিয়ায়। বছর সাতান্নর জাকির ২০১৭ সাল থেকে রয়েছেন মালয়েশিয়ায়। ২০২০ সাল থেকে ভারতে তাঁর ভাষণ দেওয়া নিষিদ্ধ হয়। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছিল। এর ঠিক দু বছর আগে জাকির নায়েকের পাশপোর্ট বাতিল করে দেওয়া হয়। তার পর থেকে তিনি নিজেকে প্রবাসী ভারতীয় বলে দাবি করতে থাকেন। ট্যুইট বার্তায় ফিল্মমেকার জাইন খান লেখেন, আমাদের সময়কার একজন বিখ্যাত ইসলামিক স্কলার কাতার এসে পৌঁছেছেন ফিফা বিশ্বকাপ উপলক্ষে। 

    আরও পড়ুন: আজ শুরু কাতার বিশ্বকাপ, ভারত থেকে কখন খেলা দেখা যাবে জানেন?

    এই জাকির একবার তাঁর বক্তৃতায় আত্মঘাতী হামলাকে সমর্থন করেছিলেন। ইসলাম ধর্মগুরু সলমান ওয়ুধকে তিনি ইসলামের একজন বিরাট পণ্ডিত বলেও উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, চরমপন্থা হিসেবে ইসলামে এরকম হামলা অনুমোদিত। এর পর তিনি প্যলেস্তাইনের উদাহরণ দেন। পাকিস্তানে বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল একটি হিন্দু মন্দির। তখনও জাকির যুক্তি দেখিয়েছিলেন, ইসলামিক দেশে মন্দির বানাতে নিষেধ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share