Tag: Bengali news

Bengali news

  • Calcutta Stock Exchange: বন্ধ হয়ে গেল শতাব্দী-প্রাচীন কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ, কারণ কি জানেন?

    Calcutta Stock Exchange: বন্ধ হয়ে গেল শতাব্দী-প্রাচীন কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ, কারণ কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে পাঙ্গা নিত কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ (Calcutta Stock Exchange)। সেখানেই এখন ঝুলল তালা। বহু বছরের আইনি ও নিয়ন্ত্রক জটিলতার পর এটি এবার শেষবারের মতো (Shut Down) কালীপুজো ও দীপাবলি উদযাপন করল। ২০ অক্টোবর স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেল ১১৭ বছর বয়সি কলকাতার এক সময়ের গর্ব এই স্টক এক্সচেঞ্জ। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (SEBI) হল ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ২০১৩ সালে নিয়ন্ত্রক মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থতার জেরে এই সেবি-ই সিএসইতে লেনদেন স্থগিত করে দিয়েছিল। গত দশ বছর ধরে লেনদেন ফের চালু করা এবং সেবির নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল করার নানা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, শেষমেশ ঝাঁপ ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এক্সচেঞ্জটি।

    সেবির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ (Calcutta Stock Exchange)

    আগে যদিও সিএসই আদালতের মাধ্যমে সেবির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করার পরিকল্পনা করেছিল, তবে গত বছর পর্যন্ত কোনও অনুকূল রায় মেলেনি। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সিএসই বোর্ড সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টে চলতে থাকা মামলাগুলি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর তারা স্বেচ্ছায় কার্যকলাপ বন্ধের আবেদন করে। সিএসইর চেয়ারম্যান দীপঙ্কর বসু বলেন, “স্টক এক্সচেঞ্জ ব্যবসা থেকে প্রস্থান সংক্রান্ত অনুমোদনটি ২৫ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের কাছে গৃহীত হয়েছে। সেই অনুযায়ী সিএসই সেবির কাছে এক্সচেঞ্জ বন্ধ সংক্রান্ত আবেদন জমা দিয়েছে। সেবি ইতিমধ্যেই একটি মূল্যায়ন সংস্থা নিয়োগ করেছে, যা বর্তমানে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল্যায়নের কাজ করছে (Closing Down)।”

    হোল্ডিং কোম্পানি

    জানা গিয়েছে, যদি সেবি প্রত্যাহারের অনুমতি দেয়, তবে সিএসই একটি হোল্ডিং কোম্পানি হিসেবেই থাকবে, যদিও তার সহযোগী সংস্থা সিএসই ক্যাপিটেল মার্কেটস প্রাইভেট লিমিটেড জাতীয় শেয়ারবাজার এবং বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন চালিয়ে যাবে (Calcutta Stock Exchange)। ইএম বাইপাসে সিএসইর তিন একর জমি সৃজন গ্রুপের কাছে ২৫৩ কোটি টাকায় বিক্রির প্রস্তাবেও অনুমোদন দিয়েছে সেবি। সেবির চূড়ান্ত অনুমোদনের পরেই সম্পন্ন হবে এই কাজ। ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ। একসময় এটি ছিল বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিদ্বন্দ্বী। এটি কলকাতার আর্থিক ইতিহাসের একটি প্রতীক। লায়ন্স রেঞ্জ এলাকার আর্থিক কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত ছিল এটি। সিএসইর সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসে ২০১৩ সালে, যখন সেবি তাদের ট্রেডিং কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এক্সচেঞ্জটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম লঙ্ঘন করেছিল। যার জেরে এই পদক্ষেপ করে সেবি (Shut Down)।

    আদালতের দ্বারস্থও হয়েছে

    এরপর সংস্থাটি একাধিকবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে আর্থিক চাপের বহর, কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সিএসইতে ঝাঁপ পড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল, প্রাসঙ্গিকতা হারানো। এই সংস্থা এঁটে উঠতে পারেনি বিএসই এবং এনএসইর সঙ্গে। ২০০০ সালের শুরুর দিকে ডট কম বুমের পর থেকে সিএসই ক্রমেই পিছিয়ে পড়তে শুরু করে। প্রযুক্তি-নির্ভর আর্থিক খাতের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে এই শেয়ার বাজারটি কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়ে।

    শেয়ার ব্রোকার কেতন পারেখ

    এই এক্সচেঞ্জ বন্ধের কফিনে শেষ পেরেকটি সম্ভবত পোঁতা হয় ২০০১ সালে, পেশায় শেয়ার ব্রোকার কেতন পারেখের হাতযশে। সংস্থার আইনি ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে কয়েকটি নির্দিষ্ট শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে দেন পারেখ। ফলে কঠোর নিয়মকানুন আরোপিত হয় এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যায়। সময়ের সঙ্গে নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়াই শেষ পর্যন্ত কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জের পতনের মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অভিজ্ঞ স্টকব্রোকার সিদ্ধার্থ থিরানি বলেন, “আমরা প্রতিদিনের লেনদেন শুরু করতাম দেবী লক্ষ্মীর প্রার্থনা করে। এভাবেই চলেছিল ২০১৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত, যখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা লেনদেন স্থগিত করে। এবারের দীপাবলি সেই ঐতিহ্যের বিদায়ের মতো মনে হচ্ছে (Calcutta Stock Exchange)।”

    ভারতের মূলধন বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

    গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সেবির কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল সংস্থা বন্ধের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব। ২৫ এপ্রিল সেই প্রস্তাব অনুমোদিত হয় শেয়ারহোল্ডারদের দ্বারা। এই প্রক্রিয়ার শেষ ধাপ সম্পূর্ণ করার জন্য সেবি নিয়োগ করে রাজবংশী অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসকে। এটি হল কোনও একটি এক্সচেঞ্জকে তালাবন্ধের অনুমোদন দেওয়ার আগে শেষ ধাপ। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রতিবেদনে সংস্থার চেয়ারম্যান বসু বলেছিলেন, “১,৭৪৯টি তালিকাভুক্ত ব্যবসা ও ৬৫০ জন নিবন্ধিত সদস্য নিয়ে এই এক্সচেঞ্জটি ভারতের মূলধন বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।” ওই অর্থবর্ষে পরিচালক হিসেবে সভায় অংশগ্রহণের জন্য (Shut Down) তিনি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ৫.৯ লাখ টাকা। কর্মীদের ভিআরএস দিয়ে এবং কিছু কর্মীকে চুক্তিভিত্তিকভাবে রেখে কোনওক্রমে চলছিল সংস্থাটি। এবার সেখানেই পড়ল ঝাঁপ। হ্যাঁ, চিরতরে (Calcutta Stock Exchange)।

  • VHP: ‘ধর্ম রক্ষা’ অভিযানে ১০ লক্ষ পরিবারে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে ভিএইচপি

    VHP: ‘ধর্ম রক্ষা’ অভিযানে ১০ লক্ষ পরিবারে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে ভিএইচপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের জাগরণ, ধর্ম রক্ষা (Dharma Raksha) এবং ভারতের অভ্যন্তরে হিন্দুত্বকে পুনঃ জাগরণের জন্য বিরাট কর্মসূচির ঘোষণা করেছে ভিএইচপি (VHP)। “ধর্ম রক্ষা” অভিযানে নেমেছে আরএসএস-এর এই শাখা সংগঠন। দেশজুড়ে ধর্মান্তকরণ এবং গোহত্যার বিরুদ্ধে বিরাট অভিযানে চালাতে শুরু করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। দশ লক্ষ পরিবারকে এই ধর্মজগরণ কর্মসূচিতে যোগদান করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভিএইচপি।

    ৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে অভিযান? (VHP)

    উত্তরপ্রদেশের কাশী প্রান্তের উদ্যোগে গত ৫ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বরের মধ্যে ১০ লক্ষ হিন্দু পরিবারের মধ্যে ‘ধর্ম রক্ষা’ (Dharma Raksha) এবং সচেতনতার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ধর্ম রক্ষার (VHP) জন্য যে যে বিষয়গুলির উপর জোর দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে হল- ধর্মান্তকরণ, লাভ জিহাদ, গো-হত্যা, মন্দিরের জমি দখল, অধিকৃত জমি পুনরুদ্ধার সহ একাধিক কর্মসূচি। অভিযানের অংশ হিসেবে, ভিএইচপি কর্মীরা মোট ২২টি জেলার ২০০০টিরও বেশি গ্রাম ও শহরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হিন্দু ধর্মরক্ষার জন্য হিন্দু পরিবারগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাবে। ভিএইচপির তরফে নিতিন জানিয়েছেন, এই অভিযান মূলত হিন্দুদের মধ্যে সম্মিলিত কর্তব্যবোধকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা থাকবে। হিন্দু সমাজের কাছে অস্তিত্বের জন্য যে যে বিষয়গুলি সঙ্কটের, সেগুলিকে নিয়ে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে আলোচনা করা হবে। তাই ধর্ম সংরক্ষণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পরিবারগুলির কাছ থেকে সব রকম সহযোগীতার আবেদন জানাই।”

    শেকড়ের কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে

    কাশী প্রান্তের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) রাজ্য সভাপতি কেপি সিং বলেন,  “হিন্দু সংস্কৃতি কেন্দ্র, গোশালা, বেদ বিদ্যালয়, নার্সিং সেন্টার এবং কর্মসংস্থানের নানা কেন্দ্রগুলির সকল স্থানে হিন্দু ধর্ম জাগরণের বিষয়কে পৌঁছে দেওয়া হবে। বর্তমানে, কাশী প্রদেশে ৪০টিরও বেশি ধর্মসংস্কার মূলক কেন্দ্র এবং বেশ কয়েকটি একল বিদ্যালয় কাজ শুরু করেছে। আমাদের এই কেন্দ্রগুলির প্রধান লক্ষ্য ধর্মান্তর (Dharma Raksha) হয় এমন ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলিতে সবরকম পরিষেবা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রত্যেক বর্গের মানুষকে মূল শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত করাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।

    ২০২২ সালে ২৫,০০০ হিন্দু কন্যাকে রক্ষা

    উল্লেখ্য ২০২২ সালেও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) ২১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে একই রকম ধর্মরক্ষা অভিযান পরিচালনা করেছিল। যার সাফল্যও ছিল অভূতপূর্ব। ওই সময়ে ২৩ ডিসেম্বর স্বামী শ্রদ্ধানন্দজির তিরধান দিবসের সঙ্গে ভাবনাগুলি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছিল। অভিযানের উল্লেখ্য যোগ্য সাফল্যগুলি হল, ভিএইচপি ৬২ লক্ষ হিন্দুকে ধর্মান্তরিত হওয়া থেকে রক্ষা করেছে, ৯ লক্ষ ব্যক্তিকে তাদের আসল ধর্মে ফিরিয়ে এনেছে এবং ২০ লক্ষ গরুকে নিধনের হাত থেকে উদ্ধার করেছে। একই ভাবে লাভ জিহাদের কবল থেকে ২৫,০০০ হিন্দু কন্যাকে রক্ষা করা হয়েছিল। এই উদ্যোগে দেশজুড়ে যজ্ঞ, কথকথা-প্রবচন, শোভাযাত্রা এবং ধর্মীয় সচেতনতার (Dharma Raksha) মাধ্যমে ব্যাপক অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গিয়েছিল।

  • AMU: ১০৪ বছরের ইতিহাসে প্রথম! আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হল দীপাবলি উৎসব, বিলি হল মিষ্টিও

    AMU: ১০৪ বছরের ইতিহাসে প্রথম! আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হল দীপাবলি উৎসব, বিলি হল মিষ্টিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো চার বছরের ইতিহাসে এই প্রথম দীপাবলি (Deepawali) পালিত হল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (এএমইউ) প্রাঙ্গনে (AMU)। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু পড়ুয়ারা ২ হাজার ১০০টি দীপ জ্বালান। সঙ্গে দেন ‘জয় শ্রীরাম’ এবং ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনি। ১৯ অক্টোবর দীপাবলি উদযাপিত হয় নন-রেসিডেন্ট স্টুডেন্ট সেন্টারে।

    জয় শ্রীরাম লেখা (AMU)

    জানা গিয়েছে, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু শিক্ষার্থীরা উৎসাহের সঙ্গে দীপাবলি পালন করেন। তাঁরা জ্বালান ২ হাজার ১০০টি প্রদীপ। প্রদীপগুলি এমনভাবে সাজানো হয়েছিল, যাতে এক ঝলক দেখলেই বোঝা যায়, জয় শ্রীরাম লেখা। এএমইউ লেখাও ছিল। ২ হাজার ১০০ কিলো মিষ্টিও বিলি করা হয়। অনুষ্ঠানের মহিমা বাড়িয়ে তোলে রাতের আকাশে আতশবাজির রোশনাই। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর অধ্যাপক এম ওয়াসিম আলি স্বয়ং। তিনিও মিষ্টিমুখ করেন। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দু’টি স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছিল। এদিন বাইরের কাউকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

    পড়ুয়াদের বক্তব্য

    অনুষ্ঠানের উদ্যোগের নেতৃত্ব দেন সমাজবিজ্ঞান ও গণযোগাযোগ বিভাগের ছাত্র আখিল কৌশল। বিশ্ববিদ্যালয় (AMU) প্রশাসনের কাছ থেকে আগেই অনুষ্ঠানের অনুমতি নিয়ে রেখেছিলেন তিনি। সেই মতো এদিন সকাল থেকেই শুরু হয় অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন করার প্রস্তুতি। অখিল কৌশল বলেন, “এটি আমাদের সবার জন্য এক ঐতিহাসিক দিন।” তিনি বলেন, “এর আগে হিন্দু ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে হোলি উদযাপনের অনুমতি পেয়েছিলেন। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছিল ওই অনুষ্ঠান। এটাই সুগম করে দিয়েছিল দীপাবলি উদযাপনের পথ।” তিনি বলেন, “আমরা আমাদের বিশ্বাসকে শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম, এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতার কারণেই তা সম্ভব হয়েছে (Deepawali)।”  প্রফেসর ওয়াসিম আলি এই উদযাপনকে এএমইউয়ের ইতিহাসে প্রথম বলে বর্ণনা করেন। তাঁর দাবি, শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশেই অনুষ্ঠিত হয়েছে দীপাবলির অনুষ্ঠান (AMU)।

  • Asrani: পঞ্চভূতে বিলীন বলিউড কমেডির অন্যতম লেজেন্ড আসরানি, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীরও

    Asrani: পঞ্চভূতে বিলীন বলিউড কমেডির অন্যতম লেজেন্ড আসরানি, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলিতে নিভল জীবন-প্রদীপ! কমেডির অন্যতম লেজেন্ডকে (Comedy Legend) হারাল বলিউড। চুরাশি বছর বয়সে পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেলেন গোবর্ধন আসরানি, স্নেহভরে যাঁকে সবাই আসরানি (Asrani) বলেই ডাকতেন। হিন্দি সিনেমায় পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি ছিলেন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। হাস্যরস, চমৎকার সংলাপ-প্রয়োগ ও নিখুঁত কমিক টাইমিংয়ের এক অমূল্য উত্তরাধিকার রেখে গিয়েছেন তিনি। আসরানির ম্যানেজার বাবু ভাই থিবা জানান, জুহুর আরোগ্য নিধি হাসপাতালে সোমবার বিকেল ৩টা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। এদিনই সন্ধ্যায় সান্তাক্রুজ শ্মশানে শেষকৃত্য হয় তাঁর।

    মধ্যবিত্ত সিন্ধি পরিবারে জন্ম (Asrani)

    ১৯৪০ সালের ১ জানুয়ারি রাজস্থানের জয়পুরে জন্ম হয় আসরানির। বেড়ে ওঠেন এক মধ্যবিত্ত সিন্ধি পরিবারে। তাঁর বাবা কার্পেট ব্যবসা করতেন। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই ব্যবসায় তেমন আগ্রহ ছিল না গোবর্ধনের। বরং অভিনয় ও শিল্পকলায় ছিল তাঁর গভীর আগ্রহ। সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের পাঠ চুকিয়ে আসরানি ভর্তি হন রাজস্থান কলেজে। সেখান থেকেই হন স্নাতক। পড়াশোনার পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের জন্য জয়পুরে ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবেও কাজ করতেন তিনি। কলেজ জীবনেই অভিনয়ের প্রতি আসরানির আকর্ষণ গভীর হতে থাকে। ১৯৬০ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত তিনি ‘সাহিত্য কলভাই ঠাক্কার’-এর অধীনে প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৬৪ সালে তিনি পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ায় ভর্তি হন। এই সিদ্ধান্তই বদলে দেয় তাঁর জীবনের গতিপথ।

    ‘হরে কাঁচ কি চুড়িয়ান’

    ১৯৬৭ সালে ‘হরে কাচ কি চুড়িয়ান’ ছবির মাধ্যমে রুপোলি পর্দার জগতে আত্মপ্রকাশ করেন আসরানি। এই ছবিতে তিনি অভিনেতা বিশ্বজিতের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। আসরানি বেশ কিছু গুজরাটি চলচ্চিত্রেও প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। প্রথম ছবিতেই দর্শকদের মন জয় করে নেন তিনি। এরপর শুরু হয় এমন এক অভিনয়জীবন, যার সমকক্ষ বলিউডের ইতিহাসে খুব কমই রয়েছে। ৩৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন আসরানি (Comedy Legend)। রুপোলি পর্দায় কখনও তিনি ছিলেন নায়ক, কখনও আবার অভিনয় করেছেন পার্শ্বচরিত্রে। নানান চরিত্রেই তিনি ছিলেন স্বচ্ছন্দ। হাস্যরসাত্মক অভিনয়ই দর্শকদের হৃদয়ে পাকা আসন করে দেয় আসরানিকে (Asrani)। সাত থেকে নয়ের দশক পর্যন্ত আসরানি ছিলেন বড় পর্দার এক পরিচিত মুখ। রাজেশ খান্নার সঙ্গে তাঁর জুটি বলিউডের অন্যতম সফল জুটি হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৯৭২ থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে তাঁরা এক সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন ২৫টিরও বেশি ছবিতে। আসরানির অসংখ্য স্মরণীয় অভিনয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘চুপকে চুপকে,’ ‘ছোটি সি বাত,’ ‘বাওয়ার্চি,’ ‘কোশিশ’ এবং ‘মেরে নিজের।’ এই ছবিগুলি আজও প্রথম মুক্তির মতোই উপভোগ্য।

    ‘ইংরেজোঁ কে জমানে কা জেলর’

    তবে যদি এমন একটি চরিত্র থাকে যা আসরানিকে অমর করে রেখেছে, তা হল রমেশ সিপ্পির শোলে’ ছবির অদ্ভুত জেলরের চরিত্র। তার চোখ, সামরিক টুপি, এবং অতিরঞ্জিত ইংরেজি উচ্চারণ “হাম ইংরেজোঁ কে জমানে কা জেলর হ্যায়ঁ!” – এই সংলাপটি ছবির চেয়েও দীর্ঘজীবী হয়ে উঠেছিল। এক সময় লোকের মুখে মুখে ফিরত আসরানির এই সংলাপ। আসরানি কখনও একটিমাত্র ধারায় নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। ‘চলা মুরারী হিরো বননে’ ছবির লেখক, পরিচালক এবং অভিনেতাও ছিলেন তিনি। ছবিটি তাঁর রসবোধ ও হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপনার জন্য সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছিল। পরে তিনি পরিচালনা করেছিলেন ‘সালাম মেমসাব’। গুজরাটি সিনেমায়ও প্রশংসিত হয়েছিল তাঁর অভিনয়। কুড়িয়েছিলেন দর্শকদের ভালোবাসা (Asrani)। দশকের পর দশক ধরে আসরানি হিন্দি সিনেমার সোনালি যুগ থেকে নতুন সহস্রাব্দ পর্যন্ত অবিচলভাবে কাজ করে গিয়েছেন। ২০০০ সাল-উত্তর তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে ছিলেন তিনি। ‘হেরা ফেরি,’ ‘ভাবাগ ভাগ,’ ‘ধামাল,’ ‘ওয়েলকাম,’ এবং ‘ভুল ভুলাইয়া’র মতো ছবির মাধ্যমে আসরানি প্রমাণ করে দেন তাঁর কমেডির টাইমিং আগের মতোই ধারালো (Comedy Legend)।

    বহু সম্মান পেয়েছেন আসরানি

    আসরানির কাজ তাঁকে বহু সম্মান এনে দিয়েছে। এর মধ্যে দুটি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতার পুরস্কার অন্যতম। আসরানি দর্শকদের এমনভাবে হাসাতে পারতেন, যেখানে কোনও বিদ্বেষ বা তাচ্ছিল্য ছিল না, যা খুব কম অভিনেতাই করতে পেরেছেন। আসরানি এমন এক প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, যাঁরা সহজেই শিল্প ও বিনোদনের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারতেন এবং যাঁদের সৃষ্টি করা চরিত্রগুলি আজও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে (Asrani)।

    শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    আসরানির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “শ্রদ্ধেয় গোবর্ধন আসরানিজির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। তিনি ছিলেন এক প্রতিভাবান বিনোদনশিল্পী এবং সত্যিকারের বহুমুখী শিল্পী, যিনি প্রজন্মের পর প্রজন্ম দর্শকদের আনন্দ দিয়েছেন।” তিনি আরও লিখেছেন, “তাঁর অবিস্মরণীয় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অসংখ্য মানুষের জীবনে আনন্দ ও হাসি এনেছেন (Comedy Legend)। ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অবদান চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয় থাকবে। তাঁর পরিবার ও ভক্তদের প্রতি আমার সমবেদনা। ওম শান্তি (Asrani)।”

  • Suvendu Adhikari: ধর্ষকদের শেষ করতে মা কালীর খড়গটা লাগবে, তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ধর্ষকদের শেষ করতে মা কালীর খড়গটা লাগবে, তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লাগাতার ধর্ষণের ঘটনায় তৃণমূলের বিরদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রাজ্যেরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গতবছর ৯ অগাস্ট ঘটেছিল আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীর গণধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ড। ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন রাজ্য রাজনীতি থেকে সারা দেশে ব্যাপক তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। এই বছর দুর্গাপুরে ফের আরও এক চিকিৎসক তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্য প্রশাসন এবং তৃণমূল সরকারের নারী সুরক্ষানীতি সত্যই প্রশ্নের মুখে। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, সেই রাজ্যের নারীরা যদি সুরক্ষিত না থাকেন তাহলে প্রশ্ন তো উঠবেই। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে কালীপুজোর উদ্বোধন করতে এসে রাজ্যের মেয়েরা সুরক্ষিত নয় বলে মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী। একইভাবে এসআইআর নিয়ে তৃণমূলকে আয়নাও দেখালেন।

    ধর্ষকদের শেষ করতে হবে (Suvendu Adhikari)

    কালীপুজোর দিনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রাজ্যের প্রত্যকে নারীর সুরক্ষার জন্য তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপিকে আনার বার্তা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে লাগাতার ধর্ষণকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের। তাই শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাংলায় তৃণমূলের রাজত্বে প্রচুর ধর্ষকদের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। কোনও বোন, কন্যা এবং মায়েরা এই মমতার রাজ্যে সুরক্ষিত নন। এই ধর্ষকদের শেষ করতে মা কালীর খড়গটা লাগবে। মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করেছিলাম এবার মা তোমার ত্রিশূলটা লাগবেই। অভয়া থেকে দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজ আমাদের কোনও বোন কোনও মেয়ে বাংলায় সুরক্ষিত নয়। মা দুর্গার ত্রিশূল আর মা কালীর খড়গটা দিয়ে ধর্ষকদের শেষ করতে হবে। পুজোর দিনে মায়ের কাছে এই প্রার্থনা করি।”

    সরকার ব্যবস্থাই বা আছে কী করতে?

    লাগাতার তৃণমূলের দ্বারা সংগঠিত নারী নির্যাতনের ঘটনা রাজ্যের জন্য অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “মা আমাদের শক্তি দিক, যাতে আমরা সুরক্ষা দিতে পারি। কন্যাদের সুরক্ষা দিতে পারি। মেয়েদের সুরক্ষার দায়িত্ব যদি নিজেরাই নেন তাহলে আমরা আছি কি করতে। সরকার ব্যবস্থাই বা আছে কী করতে? ভারতকে আমরা মাতা বলি, তাই এই রাজ্যের প্রত্যেক নারীর সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের। প্রত্যেক কন্যা আমাদের রত্ন। তাদের সুরক্ষিত রাখাই আমার কর্তব্য। আর মাত্র কয়েকমাস পর আসছে সেই সুযোগ। বিধানসভা নির্বাচনে এই সরকারকে বিদায় দিতে পারলেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মতো আমরাও বাংলায় মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পারব।”

    আমাদের রেশন কেন ওঁরা খাবে?

    পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা যে মাটি শক্ত করছে তা নিয়ে বিজেপি বারবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। রাজ্য সরকার অনুপ্রবেশকারীদের ভোটে আরও একবার ক্ষমতায় আসতে চাইছে। সেই আশাতে জল ঢেলে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটে কেন জয়ী হবেন? ভোটার তালিকা সংশোধনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশন বুঝে নেবে। আমাদের শুধু নজরদাড়ি আর চৌকিদারি চালাতে হবে। আমরা তো ভারতীয় মুসলিমদের নিয়ে বলছি না। নন্দীগ্রামে বাংলাদেশের মহিলা ধরা পড়েছে। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ভোটার তালিকায় বাংলাদেশ থেকে মেয়েদের পটিয়ে নিয়ে এসে এখানে দ্বিতীয় বিয়ে এবং তৃতীয় বিয়ে করে রেখেছে। এখানেও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে দিয়েছে। ভারতীয় সম্পত্তি এবং জমিতে অধিকার বসাচ্ছে বহিরাগতরা। নন্দীগ্রামের সীমান্ত তো আর বাংলাদেশের সীমান্ত নয়। কতটা বিপদজনক পরিস্থিতি বোঝাই যাচ্ছে। বাংলাদেশি ভোটারা এই রাজ্যে এসে তৃণমূলের মদতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। তাই আমরা কেন অভারতীয়দের নিয়ে চলব। আমাদের রেশন কেন ওঁরা খাবে? আমার ভোট কেন ওঁরা দেবে? বিদেশি লোকের ভোটে কেন আমরা বিধায়ক হব? বিদেশি ভোটে কেন মমতা মুখ্যমন্ত্রী হবেন? বিদেশি ভোটে কেন মোদিজি প্রধানমন্ত্রী হবেন? এই লড়াইটা ভারতীয়দের সঙ্গে অভারতীয়দের। সকল হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং রাষ্ট্রবাদী মুসলমানদের এক সঙ্গে নিতে হবে।”

  • RTI: আরটিআই নিয়ে অভিযোগ, কংগ্রেসের ‘মিথ্যের মুখোশ’ খুলে দিল মোদি সরকার, কীভাবে জানেন?

    RTI: আরটিআই নিয়ে অভিযোগ, কংগ্রেসের ‘মিথ্যের মুখোশ’ খুলে দিল মোদি সরকার, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় গণতন্ত্রের মেরুদণ্ড হল তথ্য জানার অধিকার আইন, সংক্ষেপে আরটিআই (RTI)। চলতি মাসে ২০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করছে এই আইন। এই সময়ই আইনটিকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। কংগ্রেসের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার আরটিআইকে দুর্বল করে দিচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে এবং স্বচ্ছতাকে ফেলছে হুমকির মুখে। রাহুলের এহেন মন্তব্যের জোরালো জবাব দিয়েছে সরকার। বিভিন্ন সরকারি প্রতিবেদন তুলে ধরে তারা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, আরটিআই এখন আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে আরও শক্তিশালী, দ্রুত ও স্বচ্ছ হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৯৫ শতাংশ মামলারই নিষ্পত্তি হচ্ছে। এটি একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।

    কংগ্রেসের অভিযোগ (RTI)

    কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “মোদি সরকার ধীরে ধীরে আরটিআই আইনকে ফাঁপা করে দিচ্ছে।” তাঁর অভিযোগ, নয়া আইনগুলি, যেমন ডেটা প্রোটেকশন আইন, সাধারণ মানুষের কাছে তথ্য প্রকাশে বাধা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, সরকার আরটিআইয়ের মাধ্যমে স্বচ্ছতা এড়িয়ে যাচ্ছে। এই মামলাগুলির মধ্যে রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির বিস্তারিত তথ্যের দাবি, ভুয়ো রেশন কার্ড সংক্রান্ত অভিযোগ, রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তি, নোটবন্দি নীতি এবং বাতিল হওয়া ইলেক্টোরাল বন্ড প্রকল্প। তাঁর বক্তব্য, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য গোপন করছে এবং আরটিআই ব্যবস্থাকে দুর্বল করছে। কংগ্রেসের বক্তব্য হল, সরকার এই বিষয়গুলিতে কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে ভয় পেয়ে ২০১৯ সালে আরটিআইয়ে একটি সংশোধনী পাশ করে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনকে দুর্বল করা হয়েছে। কারণ এতে সরকারকে কমিশনারদের বেতন ও মেয়াদের ওপর বেশি নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয়েছে, যা কমিশনের স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

    ‘মিথ্যের মুখোশ’ খুলল কেন্দ্র

    কংগ্রেসের এহেন ‘মিথ্যের মুখোশ’ খুলে দিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের প্রতিবেদন এবং সংসদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংয়ের দেওয়া তথ্য কংগ্রেসের দাবির উল্টো ছবিই তুলে ধরেছে। এই সংখ্যাগুলি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে আরটিআই ব্যবস্থার কার্যকারিতায় নাটকীয় উন্নতি নির্দেশ করছে। উদাহরণস্বরূপ, মামলার নিষ্পত্তির হার আগের ইউপিএ সরকারের সময় ছিল ৮১ শতাংশ। সেটা এখন হয়েছে ৯৪ শতাংশেরও বেশি। এই উচ্চ হার বজায় ছিল কোভিড-১৯ অতিমারির কঠিন সময়েও (RTI)।

    চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল মোদি সরকার

    এহ বাহ্য। আবেদনকারীদের জন্য সবচেয়ে বড় হতাশার কারণ হিসেবে বিবেচিত হয় মুলতবি মামলার জট। বর্তমানে এই জট উল্লেখযোগ্যভাবে কমে প্রায় অর্ধেক (PM Modi) হয়েছে। ২০২০-২১ সালে সিআইসিতে মুলতবি মামলার সংখ্যা ছিল ৩৮ হাজার ১১৬টি। ২০২৩-২৪ সালে এটাই কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৯ হাজার ২৩৩টিতে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ব্যবস্থাটির প্রতি জনসাধারণের আস্থা এখন পৌঁছেছে সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। জানা গিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১৭.৫ লাখেরও বেশি আরটিআই আবেদন দাখিল করা হয়েছে। এটি এক দশক আগের সংখ্যার দ্বিগুণ। এ থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, আরও বেশি নাগরিক এখন মনে করছেন আরটিআই একটি কার্যকরী হাতিয়ার এবং তাঁরা আত্মবিশ্বাসী যে এর মাধ্যমে তাঁরা সঠিক উত্তর পাবেন (RTI)।

    চোখধাঁধানো সাফল্যের সূত্র

    প্রশ্ন হল, কীভাবে মিলল এহেন চোখধাঁধানো সাফল্য? সরকারি সূত্রে খবর, সব চেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে একটি নির্দিষ্ট অনলাইন পোর্টাল চালুর মাধ্যমে। এখন দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে নাগরিকরা ২৪ ঘণ্টা আরটিআই আবেদন জমা দিতে পারেন। এতে একদিকে যেমন কাগজপত্রের ঝামেলা দূর হয়েছে, তেমনি অন্যদিকে প্রক্রিয়াটি হয়েছে অত্যন্ত সহজ। অনলাইন ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী যে, অতিমারির সময় দেশজুড়ে পূর্ণ লকডাউন থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাজ একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। দ্বিতীয়ত, সিআইসি চালু করেছে হাইব্রিড শুনানির ব্যবস্থা (PM Modi)। এর মাধ্যমে আবেদনকারী ও সরকারি আধিকারিকরা অডিও এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারেন (RTI)। ফলে কমিশন প্রতিদিন আগের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে পারছে। তৃতীয়ত, সরকার আরটিআই প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে কঠোর সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। প্রথম আপিলের জন্য ৩০ দিনের এবং দ্বিতীয় আপিলের জন্য ৪৫ দিনের সীমা নির্ধারিত রয়েছে। কোনও আধিকারিক তথ্য দিতে দেরি করলে তাঁর জরিমানা হতে পারে।

    সর্বোপরি রয়েছে সিআইসির বাজেট বৃদ্ধি। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এটি পৌঁছেছে ১২০ কোটি টাকায়। সরকার সময় মতো কমিশনারদের শূন্যপদ পূরণের দিকেও সচেষ্ট রয়েছে, যাতে প্রতিষ্ঠানটি সর্বদা পূর্ণ শক্তি নিয়ে দ্রুত কাজ করতে পারে। আরটিআইয়ের ধরন বিশ্লেষণ করতে এবং ভুয়ো বা পুনরাবৃত্তি হওয়া আবেদন (PM Modi) দ্রুত বাছাই করতে সিআইসি এখন এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারও শুরু করেছে। সব মিলিয়েই এসেছে সাফল্য (RTI)।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ ব্রিটেনের সংসদে, পেশ হল নিন্দা-প্রস্তাব

    Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ ব্রিটেনের সংসদে, পেশ হল নিন্দা-প্রস্তাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ব্রিটিশ সরকার (United Kingdom MP)। দীপান্বিতা কালী পুজো এবং দীপাবলি আলোর উৎসবে সারা বিশ্বের হিন্দুরা যেখানে মেতে উঠেছে, সেখানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের সমস্ত অনুষ্ঠান যেন মাটিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের ছবিটা সম্পূর্ণ ভাবে ভিন্ন। গত বৃহস্পতিবার ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্ম সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের বাস্তব চিত্র নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্রিটেনের বিরোধী দলের সাংসদ। শুধু তাই নয় হাউজ অফ কমন্স-এ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হিংসার নিন্দায় একটি বিবৃতিও পেশ করা হয়। গত ৫ অগাস্ট ২০২৪ সালে হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর থেকেই বাংলাদেশে লাগাতার ধর্মীয় নিপীড়ন চলছে। অথচ প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস এইসব অত্যাচারের ঘটনাকে সংবাদ মাধ্যমের ভুয়ো তথ্য বলে উল্লেখ করেছেন।

    হিন্দুদের কোন অধিকার নেই (United Kingdom MP)!

    সারা বিশ্বে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি সমাজের মানুষ দীপাবলি পালন করেন। কিন্তু বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু হিন্দুদের জন্য এই উৎসব অন্ধকারে পরিণত হয়েছে। হিন্দুদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালনে বাংলাদেশে কোনও অধিকার নেই। ব্রিটেনের সংসদের নিম্নকক্ষ হাউজ অফ কমন্স-এ এই বিষয়টি উত্থাপন করেছেন বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান। তিনি ব্রিটিশ হিন্দুদের ‘অলপার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ’-এর প্রধান। এই সাংসদ বাংলাদেশে হিন্দু-সহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন৷ ‘ইনসাইট ইউকে’ নামের একটি ব্রিটিশ সংস্থার (United Kingdom MP) এই সাম্প্রতিক রিপোর্টে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর কীভাবে অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে তা প্রকাশ করেছে ৷

    ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

    সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান (United Kingdom MP) বলেন, “দীপাবলি পালনের সময় যেখানে অন্ধকারকে ছাপিয়ে আলোর জয় হয় সেখানে বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুরা এই উৎসব থেকে বঞ্চিত। তাঁরা এই উৎসব উদযাপন করতে পারবেন না৷ তাঁদের উপর নিপীড়ন চলছে ৷ হিন্দুদের সঙ্গে হিংসার ঘটনা ঘটছে ৷ মন্দির থেকে বাড়িঘর সবকিছু ধ্বংস করা হচ্ছে ৷ আমি এই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”

    হিংসার ঘটনার তীব্র ধিক্কার

    আবার লেবার পার্টি সরকারের তরফে হাউজ অফ কমন্স-এর নেতা স্যার অ্যালান ক্যাম্পবেল (United Kingdom MP) বলেন, “আমরা সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপর এই ধরনের হিংসার ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাই ৷ বাংলাদেশের মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে সক্রিয় ভাবে কাজ করছি ৷ একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক সরকার গড়ার জন্য আমরা অন্তর্বর্তী প্রশাসনকে সমর্থন জানাই ৷ বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার্থে আমরা গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷” একই ভাবে বিজনেস অফ দ্য হাউজ-এর সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান বলেন, “আগামী সপ্তাহে, হিন্দু, শিখ, জৈন ও বৌদ্ধরা দীপাবলি উদযাপন করবেন ৷ হিন্দুদের নতুন বছরের সূচনা হবে ৷ এটা একটা উৎসবের সময় ৷ সবাই আনন্দ করবে ৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশে তা হবে না ৷ বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হিংসার ঘটনার কথা বলা হয়েছে ৷ তাদের মেরে ফেলা হচ্ছে ৷ মন্দিরগুলি ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের সম্পত্তি জ্বালিয়ে দিচ্ছে ৷”

    মাতৃশক্তি আরাধনার ক্ষেত্র বাংলাদেশ

    সম্প্রতি ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সুপ্রাচীন কালীপুজো। দুর্গাপুজো যেমন হিন্দু বাঙালির সবচেয়ে বড় পুজো ঠিক তেমনি গোটা হিন্দু সমাজের কাছে সারা বিশ্বে দীপাবলি আলোর উৎসব হল আন্তর্জাতিক ভাবে বড় উৎসব। বাঙালিরা এই সময় ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালান, গ্রাম বাংলায় চলে মা কালীর সাধনা। রক্ষাকালী, শ্মাশান কালী, শ্যাম কালীর পুজোতে মেতে ওঠে গ্রামবাংলা। এই পুজোর মধ্যে রয়েছে সুপ্রাচীন কাল হতে চলে আসা তন্ত্রের প্রভাব। অমাবস্যার জাগ্রতপীঠে সাধকরা সম্মিলিত হন চলে যজ্ঞ, বলি এবং তান্ত্রিক সাধনা। উত্তরপূর্ব ভারত এবং পূর্ব ভারতের অংশ হিসেবে বাংলার আদি সংস্কৃতি ও কৃষ্টির পরিচয় হল মাতৃশক্তি কালী মাতার সাধনা। বাংলাদেশও (Bangladesh) গত কয়েক হাজার বছর ধরে হিন্দু সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা বিরাট ভাবে ছিল। কিন্তু ইসলাম ধর্মপ্রধান দেশ বাংলাদেশ হওয়ায় গত ৭০ বছরে সেই সনাতনী প্রবাহে বিরাট নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে সবটাই ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ঘটছে বলে মনে করছেন সমাজতাত্ত্বিকেরা।

  • Ramakrishna 485: “নদে টলমল টলমল করে গৌরপ্রেমের হিল্লোলে রে”

    Ramakrishna 485: “নদে টলমল টলমল করে গৌরপ্রেমের হিল্লোলে রে”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল
    সংকীর্তনানন্দে ভক্তসঙ্গে

    ঠাকুর ঘরের মধ্যে ফিরিয়া আসিয়া ত্রৈলোক্যকে বলিতেছেন,—একটু আনন্দময়ীর গান,—ত্রৈলোক্য গাইতেছেন:

       কত ভালবাস গো মা মানব সন্তানে,
    মনে হলে প্রেমধারা বহে দুনয়নে (গো মা)।
    তব পদে অপরাধী, আছি আমি জন্মাবধি,
    তবু চেয়ে মুখপানে প্রেমনয়নে, ডাকিছ মধুর বচনে,
    মনে হলে প্রেমধারা বহে দুনয়নে।
    তোমার প্রেমের ভার, বহিতে পারি না গো আর,
    প্রাণ উঠিছে কাঁদিয়া, হৃদয় ভেদিয়া, তব স্নেহ দরশনে,
    লইনু শরণ মা গো তব শ্রীচরণে (গো মা) ॥

    গান শুনিতে শুনিতে ছোট নরেন গভীর ধ্যানে নিমগ্ন হইয়াছেন, যেন কাষ্ঠবৎ! ঠাকুর মাস্টারকে বলিতেছেন, “দেখ, দেখ, কি গভীর ধ্যান! একেবারে বাহ্যশূন্য! (Kathamrita)”

    গান সমাপ্ত হইল। ঠাকুর (Ramakrishna) ত্রৈলোক্যকে এই গানটি গাইতে বলিলেন—‘দে মা পাগল করে, আর কাজ নাই জ্ঞান বিচারে।’

    রাম বলিতেছেন, কিছু হরিনাম হোক! ত্রৈলোক্য গাইতেছেন:

    মন একবার হরি বল হরি বল হরি বল।
    হরি হরি হরি বলে, ভবসিন্ধু পারে চল।

    মাস্টার আস্তে আস্তে বলিতেছেন, ‘গৌর-নিতাই তোমরা দুভাই।’

    ঠাকুরও (Ramakrishna) ওই গানটি গাইতে বলিতেছেন। ত্রৈলোক্য ও ভক্তেরা সকলে মিলিয়া গাইতেছেন:

    গৌর নিতাই তোমরা দুভাই পরম দয়াল হে প্রভু!

    ঠাকুরও যোগদান করিলেন। সমাপ্ত হইলে আর একটি ধরিলেন:

    যাদের হরি বলতে নয়ন ঝরে তারা দুভাই এসেছে রে।
    যারা মার খেয়ে প্রেম যাচে তারা তারা দুভাই এসেছে রে।
    যারা ব্রজের কানাই বলাই তারা তারা দুভাই এসেছে রে।
    যারা আচণ্ডালে কোল দেয় তারা তারা দুভাই এসেছে রে।

    ওই গানের সঙ্গে ঠাকুর আর একটা গান গাহিতেছেন:

    নদে টলমল টলমল করে গৌরপ্রেমের হিল্লোলে রে।

    ঠাকুর আবার ধরিলেন (Kathamrita):

    কে হরিবোল হরিবোল বলিয়ে যায়?
    যা রে মাধাই জেনে আয়।
    বুঝি গৌর যায় আর নিতাই যায় রে।
    যাদের সোনার নূপুর রাঙা পায়।
    যাদের নেড়া মাথা ছেঁড়া কাঁথা রে।
    যেন দেখি পাগলেরই প্রায়।

    ছোট নরেন বিদায় লইতেছেন —

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তুই বাপ-মাকে খুব ভক্তি করবি।—কিন্তু ঈশ্বরের পথে বাধা দিলে মানবিনি। খুব রোখ আনবি—শালার বাপ!

    ছোট নরেন—কে জানে, আমার কিছু ভয় হয় না।

    গিরিশ বাড়ি হইতে আবার আসিয়া উপস্থিত। ঠাকুর ত্রৈলোক্যের সহিত আলাপ করিয়া দিতেছেন; আর বলিতেছেন, ‘একটু আলাপ তোমরা কর।’ একটু আলাপের পর ত্রৈলোক্যকে বলিতেছেন, ‘সেই গানটি আর একবার,’—ত্রৈলোক্য গাইতেছেন (Kathamrita):

    ঝিঁঝিট খাম্বাজ—ঠুংরী

       জয় শচীনন্দন, গৌর গুণাকার, প্রেম-পরশমণি, ভাব-রস-সাগর।
    কিবা সুন্দর মুরতিমোহন আঁখিরঞ্জন কনকবরণ

  • IDF: ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির বেলুন ফুটো! ফের সংঘর্ষ শুরু ইজরায়েল-হামাসের

    IDF: ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির বেলুন ফুটো! ফের সংঘর্ষ শুরু ইজরায়েল-হামাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল ইজরায়েল ও হামাসের সঙ্গে। সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রচার করেছিলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক অগ্রগতি। তাঁর সেই অগ্রগতির বেলুন ফেঁসে গেল চুক্তির সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র জঙ্গিরা (Hamas) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর (IDF) ওপর হামলা চালায়। আইডিএফ এই ঘটনাকে চুক্তি লঙ্ঘন হিসেবে বর্ণনা করেছে। হামলায় আরপিজি ও স্নাইপার গুলি ব্যবহার করা হয়। এগুলি চালানো হয় তথাকথিত ইয়েলো লাইনের পূর্ব দিকে মোতায়েন করা সেনাদের লক্ষ্য করে। জানা গিয়েছে, শান্তি চুক্তি অনুযায়ী এই এলাকাটি ইজরায়েলের নিয়ন্ত্রণেই রয়ে গিয়েছে।

    জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ব্যাপক হামলা আইডিএফের (IDF)

    জঙ্গি হামলার পর অবশ্য হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি ইজরায়েল। জঙ্গিদের জবাব দিতে দক্ষিণ গাজায় হামাসের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ব্যাপক বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ করে আইডিএফ। ২০টিরও বেশি জায়গায় হামলা হয়। এর মধ্যে সুড়ঙ্গপথ ও জঙ্গিদের ডেরাগুলিও ছিল। এই সংঘর্ষ এমন একটা সময়ে হল যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজার অসামরিক নাগরিকদের ওপর হামাসের আসন্ন আক্রমণের বিষয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছিল। জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে যখন এই হামলার ঘটনা ঘটে, তখন জঙ্গিরা পূর্ব রাফাহ অঞ্চলে থাকা আইডিএফ সেনাদের লক্ষ্য করে আরপিজি এবং স্নাইপার গুলি চালায়। আইডিএফ জানিয়েছে, যে সব সেনা হামলার শিকার হয়েছেন, তাঁরা ইয়োলো লাইনের পূর্ব পাশে হামাসের সঙ্গে সমঝোতা অনুযায়ী ওই এলাকায় জঙ্গি পরিকাঠামো ধ্বংসের অভিযান চালাচ্ছিলেন।

    আইডিএফের উপযুক্ত জবাব

    ইজরায়েলি পক্ষে হতাহতের কোনও (IDF) খবর মেলেনি। তবে এই ঘটনা শুক্রবারের হামলার মতোই। সেদিনও রাফাহর একটি টানেল থেকে গুলিবর্ষণ এবং খান ইউনিস এলাকায় জঙ্গিদের এগিয়ে আসার ঘটনা ঘটেছিল। দুটি ক্ষেত্রেই বিমান হামলা চালিয়ে জবাব দেয় আইডিএফ।যদিও এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে হামাস। প্যালেস্তাইনের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর দাবি, ঘটনাটি ইজরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ঘটেছে। ওই অঞ্চলে কয়েক মাস ধরে আটকে থাকা তাদের সদস্যদের সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগই নেই (Hamas)। হামাসের প্রবীণ কর্তা ইজ্জাত আল-রিশেক ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাঁর জোটের চাপের মুখে পড়ে প্রতিশ্রুতি এড়িয়ে যাচ্ছেন। হামাস-ঘনিষ্ঠ কিছু গণমাধ্যমের দাবি, এই হামলার লক্ষ্য ছিলেন ইয়াসির আবু শাবাব — যিনি কথিতভাবে ইজরায়েল-সমর্থিত একটি মিলিশিয়ার নেতা এবং নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ছিলেন।

    সিভিল ডিফেন্স সংস্থার দাবি

    দক্ষিণ কমান্ডের নেতৃত্বে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ গাজায় হামাসের ঘাঁটিগুলিতে পাল্টা বিমান হামলা চালায়। রাফাহ অঞ্চলে হুমকি দূরীকরণে ফোকাস করে এই অভিযান পরিচালিত হয় এবং তা দেইর আল-বালাহ সংলগ্ন এলাকায়ও সম্প্রসারিত হয়। অভিযানের সময় বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ ও জঙ্গি তৎপরতায় ব্যবহৃত ভবন শনাক্ত করে ধ্বংস করা হয়। ইজরায়েল ২০টিরও বেশি টার্গেটে আঘাত হানে (IDF)। গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানিয়েছে, রবিবার সারা দিনে ইজরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে, এর মধ্যে ছ’জন উত্তরাঞ্চলে। নেতানিয়াহু জঙ্গি টার্গেটের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাটজ সতর্ক করে বলেন, “হামাস কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করলে তাদের কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে এবং প্রয়োজনে এর জবাবে ধাপে ধাপে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে (Hamas)।”

    ইয়েলো লাইন চিহ্নিতকরণ শুরু

    একই সময়ে কাটজের নির্দেশ, আইডিএফ ইয়েলো লাইন চিহ্নিত করা শুরু করেছে, হলুদ কংক্রিটের ব্লক ও সাইনবোর্ড স্থাপন করে, যাতে সীমানা স্পষ্টভাবে নির্ধারিত থাকে এবং কেউ যেন সীমা অতিক্রম না করে সেই সতর্কবার্তা দেওয়া যায়। গত কয়েক দিনে আইডিএফ বাহিনী এই রেখা অতিক্রম করে হুমকি সৃষ্টির অভিযোগে বেশ কয়েকজন প্যালেস্তাইনিকে হত্যা করে (IDF)। সাম্প্রতিক এই উত্তেজনা ইঙ্গিত দেয়, যদিও হামাস শান্তিচুক্তির পর বন্দিদের ফিরিয়ে দিয়েছে, তবুও এ অঞ্চলে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ এখনও অনেক দূর (Hamas)। হামাস ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি ফর্মুলার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ধারা, যেমন, সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ ও গাজায় রাজনৈতিক ক্ষমতা থেকে দূরে থাকা প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে, ইজরায়েল সাফ জানিয়েছে, হামাস যদি চুক্তির সব ধারা মেনে না চলে, তবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাবে (IDF)।

    প্রসঙ্গত, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী হামাস জীবিত সব বন্দিকে মুক্তি দেয় এবং নিহত বন্দিদের দেহাবশেষ ফেরত দিতে শুরু করে। এর বিনিময়ে ইজরায়েল প্রায় ২ হাজার প্যালেস্তাইন বন্দি ও আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেয়। এর মধ্যে ২৫০ জন সন্ত্রাসবাদ-সংক্রান্ত অপরাধে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছিল। শনিবার ১৮ অক্টোবরের (Hamas) শেষ নাগাদ ২৮ জন নিহত বন্দির মধ্যে ১০ জনের দেহাবশেষ ফেরত এসেছে। ওই দিন আরও দু’জনের দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছে, যেগুলির আনুষ্ঠানিক শনাক্তকরণ বাকি ছিল (IDF)।

  • Brahmos Missile Latest: ঘুম উড়বে পাকিস্তানের! ৮০০ কিমি পাল্লার ব্রহ্মস মিসাইলের পরীক্ষা চালাচ্ছে ভারত

    Brahmos Missile Latest: ঘুম উড়বে পাকিস্তানের! ৮০০ কিমি পাল্লার ব্রহ্মস মিসাইলের পরীক্ষা চালাচ্ছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আরও দূরে আঘাত হানতে পারবে ভারতের সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ব্রহ্মস (Brahmos Missile Latest)। পাকিস্তান সহ শত্রুদেশগুলির ঘুম উড়বে অচিরেই। ব্রহ্মস মিসাইলের নতুন সংস্করণ আসতে চলেছে। নতুন ব্রহ্মসের পাল্লা বাড়িয়ে ৮০০ কিলোমিটার করা হচ্ছে। যা এখন পরীক্ষাধীন রয়েছে। এই মিসাইলে একটি নতুন ইঞ্জিন থাকবে। সেই সঙ্গে আরও একাধিক ধরনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি আগামী ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত হয়ে যাবে। উল্লেখ্য পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের সীমাকে অতিক্রম করে মোট ৯টি জঙ্গি শিবিরে আঘাত হেনেছিল ভারত। সেই সময় দেশীয় ব্রহ্মস দারুণ কার্যকর আঘাত হেনেছিল। এবার এই  ক্ষেপণাস্ত্রকে আরও উন্নীত করা হচ্ছে।

    সুখোই-৩০ বিমান থেকে পাকিস্তানে হয়েছিল আক্রমণ (Brahmos Missile Latest)

    দুই বছরের মধ্যেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে চলে আসবে আরও উন্নত এবং আধুনিক ব্রহ্মস (Brahmos Missile Latest)। সেই সঙ্গে ২০০ কিমির বেশি পাল্লার ‘অস্ত্র’ ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন ২০২৬-২৭ থেকে শুরু হবে। বর্তমানে ব্রহ্মস ক্ষেপাস্ত্রগুলি ৪৫০ কিমি রেঞ্জের। খুব উচ্চগতি সম্পন্ন এবং দ্রুত লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত হানতে পারে এই ব্রহ্মস। কয়েকমাস আগে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) সময় সুখোই-৩০ বিমান থেকে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে ব্যবহার হয়েছিল এই ব্রহ্মস। এবার এই মিসাইলের সফটওয়্যারকে আরও উন্নত করা হয়েছে। একইসঙ্গে, কিছু কিছু প্রযুক্তিগত উন্নতির জন্য গতিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের স্থল ও নৌ সংস্করণটি প্রথমে তৈরি হবে। বায়ুসেনার জন্য এয়ার-লঞ্চ ক্ষেপনাস্ত্রটি প্রস্তুত হতে আরও কিছু সময় লাগবে।

    ১৬০ কিমি থেকে ২০০ কিমির বেশি

    ‘অস্ত্র মার্ক-২’ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়িয়ে ১৬০ কিমি থেকে ২০০ কিমি করা হচ্ছে। ভারতীয় বিমান বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে ২৮০টির বেশি অস্ত্র মার্ক-১ ক্ষেপণাস্ত্রকে (Brahmos Missile Latest) যুক্ত করেছে। বর্তমানে এই মিসাইলগুলি ১০০ কিমি পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। ‘অস্ত্র মার্ক-২’ মিসাইলগুলির পরীক্ষা সফল হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে মিসাইলের উৎপাদন শুরু হতে পারে। ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-৩০ এবং তেজস বিমানের জন্য ৭০০টি ‘অস্ত্র’ মার্ক-২ ক্ষেপনাস্ত্র কেনার পরিকল্পনা করা হেয়েছে। সেই সঙ্গে ৩৫০ কিমি পাল্লার মার্ক-৩ সংস্করণ নির্মাণের কাজ করছে যা আগামী বছর তিনেকের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

    অপারেশন সিঁদুর ট্রেলার ছিল

    দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গত ১৮ অক্টোবর আত্মনির্ভর ভারত মিশন প্রকল্পের প্রথম ব্যাচ ব্রহ্মস মিসাইলের উদ্বোধন করেছেন উত্তরপ্রদেশে। এখানে ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস প্রোডাকশন ইউনিটে তৈরি হবে জানিয়েছেন তিনি। একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে রাজনাথ সিং বলেছেন, “দেশ আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের প্রতিপক্ষরা আর কোনও ভাবেই ব্রহ্মসের আঘাত থেকে পালাতে পারবে না। অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) যা হেয়েছে তা কবেল মাত্র একটি ট্রেলার ছিল। সেই ট্রেলার বুঝেছে পাকিস্তান। ভারত যদি পাকিস্তানের জন্ম দিতে পারে তাহলে আগামীদিনে ভারত আর কী কী করতে পারে তাও বুঝে নেওয়া উচিত।” শুধু তাই নয় ভারতীয় অস্ত্রের গুরুত্ব এবং উৎপাদন ক্ষমতা ইতিমধ্যে বিশ্বের বাজারে বিরাট চাহিদা বৃদ্ধি করেছে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা এবং আঘাতহানার ক্ষমতা কতটা মজবুত তাও গোটা বিশ্বের মানুষ বুঝতে সক্ষম হয়েছে। ব্রহ্মসের (Brahmos Missile Latest) আধুনিক ক্ষমতা আরও কতটা শক্তিশালী হবে তা খুব সহজেই অনুমেয়।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বিশেষ অনুদান

    বেসরকারি সংবাদ সংস্থার একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ভারত-রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেসের চুক্তি ৫৮০০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে গিয়েছে। গত বছরের মার্চে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নৌবাহিনীর জন্য ২২০ টির বেশি ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্র কেনার জন্য ১৯৫১৯ কোটি টাকার বৃহত্তম চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। সর্বশেষ ডেস্টায়ার এবং ফ্রিগেট সহপ্রায় ২০টি যুদ্ধজাহাজ ইতিমধ্যে এই অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের জন্য রাজনাথ সিং ভারতীয় বায়ু সেনার জন্য ১০৮০০ কোটি টাকায় ১১০টি এয়ার লঞ্চ করা ব্রহ্মস (Brahmos Missile Latest) ক্ষেপনাস্ত্রের জন্য অনুমোদন করেছে।

LinkedIn
Share