Tag: Bengali news

Bengali news

  • Ramakrishna 435: ওই একটা আলো আসছে, দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু কোন দিক দিয়ে আলোটা আসছে, এখনও বুঝতে পারছি না

    Ramakrishna 435: ওই একটা আলো আসছে, দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু কোন দিক দিয়ে আলোটা আসছে, এখনও বুঝতে পারছি না

    দেখিতে দেখিতে আরও ভাবান্তর হইতেছেন। এই, আবার নরেন্দ্রের কাছে হাতজোড় করে কী বলছেন? বলছেন, “একটা গান গা, তাহলে ভালো হব, উঠতে পারব। কেমন করে? গোরা প্রেমে গরগর মাতোয়ারা, নিতাই আমার!”

    এতক্ষণ আবার অবাক চিত্রপট্টলিকার মতো চুপ করে রহিয়াছেন। আবার ভাবে মাতোয়ারা হয়ে বলছেন, “দেখিস রায়, যমুনায় যে পড়ে যাবি!” কৃষ্ণ প্রেমে উন্মাদিনী, আবার ভাবে বিভোর বলিতেছেন, “সখি, সে বন কত দূর!”

    এখন জগৎ ভুল হয়েছে, কাহাকেও মনে নাই। নরেন্দ্র সম্মুখে, কিন্তু নরেন্দ্রকে আর মনে নাই। কোথায় বসে আছেন কিছুই হুঁশ নাই। এখন যেন মন-প্রাণ ঈশ্বরে গত হয়েছে।

    গোড়া প্রেমে গরগর মাতোয়ারা — এই কথা বলিতে বলিতে হঠাৎ হুংকার দিয়া দণ্ডায়মান, আবার বসিতেছেন। বসিয়া বলিতেছেন, “ওই একটা আলো আসছে, দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু কোন দিক দিয়ে আলোটা আসছে, এখনও বুঝতে পারছি না।”

    এইবার নরেন্দ্র গান গাহিতেছেন:

    “সব দুঃখ দূর করিলে
    দর্শন দিয়ে প্রাণ
    সপ্তলোক ভুলে শখ তোমারে পাইয়ে
    কোথায় আমি প্রতিদিন হীন।”

    গান শুনিতে শুনিতে শ্রী রামকৃষ্ণের বহির্জগৎ ভুল হইয়া আসিতেছে। আবার নিমীলিত নেত্র, স্পন্দনহীন দেহ — সমাধিস্থ।

    সমাধি ভঙ্গের পর বলিতেছেন, “আমাকে কে লইয়া যাবে? বালক যেমন সঙ্গী না দেখিলে অন্ধকার দেখে, সেই রূপ। অনেক রাত হইয়াছে। ফাল্গুন কৃষ্ণ দশমী, অন্ধকার রাত্রি। ঠাকুর দক্ষিণেশ্বরে কালীবাড়ি যাইবেন। গাড়িতে উঠিবেন। ভক্তেরা গাড়ির কাছে দাঁড়াইয়া। তিনি উঠিতেছেন, অনেক সন্তর্পণে তাহাকে উঠানো হইতেছে। এখনো গরগর মাতোয়ারা। গাড়ি চলিয়া গেল। ভক্তেরা যে যার বাড়ি যাইতেছেন।”

  • Ramakrishna 434: এরই নাম বুঝি অর্ধবাহ্যদশা, যাহা শ্রীগৌরাঙ্গের হইয়াছিল

    Ramakrishna 434: এরই নাম বুঝি অর্ধবাহ্যদশা, যাহা শ্রীগৌরাঙ্গের হইয়াছিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “নিমন্ত্রণবাড়ির শব্দ কতক্ষণ শোনা যায়? যতক্ষণ লোকে খেতে না বসে যায়। লুচি-তরকারি পড়লে, ওমনি বারোয়ানা শব্দ কমে যায়, সকলের হাস্য। অন্য খাবার পড়লে আরও কমতে থাকে। দই পাতে পাতে পড়লে কেবল চুপচাপ। ক্রমে খাওয়া হয়ে গেলেই নিদ্রা। ঈশ্বরকে যতক্ষণ লাভ হবে, ততই বিচার কমবে। তাকে লাভ হলে আর শব্দ, বিচার থাকে না। তখন নিদ্রা, সমাধি।”

    এই বলিয়া নরেন্দ্রর গায়ে হাত বুলাইয়া, মুখে হাত দিয়া আদর করিতেছেন ও বলিতেছেন— “হরি ওম, হরি ওম, হরি হরি ওম…”

    কেন এই রূপ করিতেছেন, না বলিতেছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। কি নরেন্দ্রর মধ্যে সাক্ষাৎ নারায়ণ দর্শন করিতেছেন? এরই নাম কি মানুষের ঈশ্বরদর্শন?

    এরই নাম বুঝি অর্ধবাহ্যদশা, যাহা শ্রীগৌরাঙ্গের হইয়াছিল। এখনো নরেন্দ্রের পায়ের উপর হাত, যেন ছল করিয়া নারায়ণের পা টিপিতেছেন, আবার গায়ে হাত বুলাইতেছেন। এত গা-টেপা, পা-টেপা কেন? একে নারায়ণের সেবা করছেন না, শক্তি সঞ্চার করছেন?

    দেখিতে দেখিতে আরও ভাবান্তর হইতেছেন। এই, আবার নরেন্দ্রের কাছে হাতজোড় করে কী বলছেন? বলছেন, “একটা গান গা, তাহলে ভালো হব, উঠতে পারব। কেমন করে? গোরা প্রেমে গরগর মাতোয়ারা, নিতাই আমার!”

    এতক্ষণ আবার অবাক চিত্রপট্টলিকার মতো চুপ করে রহিয়াছেন। আবার ভাবে মাতোয়ারা হয়ে বলছেন, “দেখিস রায়, যমুনায় যে পড়ে যাবি!” কৃষ্ণ প্রেমে উন্মাদিনী, আবার ভাবে বিভোর বলিতেছেন, “সখি, সে বন কত দূর!”

    এখন জগৎ ভুল হয়েছে, কাহাকেও মনে নাই। নরেন্দ্র সম্মুখে, কিন্তু নরেন্দ্রকে আর মনে নাই। কোথায় বসে আছেন কিছুই হুঁশ নাই। এখন যেন মন-প্রাণ ঈশ্বরে গত হয়েছে।

  • Udaipur Files: ‘উদয়পুর ফাইলসে’র বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিল কেন্দ্রও

    Udaipur Files: ‘উদয়পুর ফাইলসে’র বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিল কেন্দ্রও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য উদয়পুর ফাইলস’ (Udaipur Files) চলচ্চিত্রটির বিরুদ্ধে দায়ের করা পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক (Union Government)। ৬ অগাস্ট সরকারি নির্দেশে মন্ত্রক জানায়, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (CBFC) আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং ৫৫টি সংশোধন প্রয়োগ করার পর চলচ্চিত্রটিকে ছাড়পত্র দেয়। মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, প্রযোজকরা সিবিএফসি নির্দেশিত সংশোধনের বাইরেও অতিরিক্ত সম্পাদনা করেছেন। মন্ত্রক এও জানিয়েছে, যারা চলচ্চিত্রটির মুক্তির বিরোধিতা করেছেন, তাঁরা এমন কোনও যুক্তিসম্মত কারণ দেখাতে পারেননি যাতে মন্ত্রক আরও পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়।

    দ্য উদয়পুর ফাইলস’: কেন্দ্রের বক্তব্য (Udaipur Files)

    মন্ত্রকের পক্ষে আন্ডার সেক্রেটারি সন্তোষ কুমার মৌর্য বলেন, “উপরোক্ত তথ্য ও প্রাপ্ত ফলের নিরিখে, এবং ১ অগাস্ট, ২০২৫ তারিখে দিল্লি হাইকোর্ট কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনার ভিত্তিতে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ (যিনি সিনেমাটোগ্রাফ আইন, ১৯৫২-এর ধারা ৬ অনুযায়ী পুনর্বিবেচনা কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করছেন) মনে করেন যে, এই আইনের ধারা ৬(২) প্রয়োগের কোনও উপযুক্ত ভিত্তি নেই। অতএব, পুনর্বিবেচনা আবেদন ও অন্যান্য উপস্থাপনাগুলি খারিজ করা হল।”

    দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ

    এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট ‘উদয়পুর ফাইলস’ (Udaipur Files)  ছবিটি পুনরায় পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছিল, যখন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মা আদালতকে জানিয়েছিলেন যে, মন্ত্রক পূর্বের কাটছাঁট সংক্রান্ত আদেশ প্রত্যাহার করে আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসারে একটি নতুন সিদ্ধান্ত নেবে (Union Government)। আদালত কেন্দ্রের এমন সম্পাদনার নির্দেশ দেওয়ার কর্তৃত্ব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। চলচ্চিত্রটির প্রযোজকরা ৮ অগাস্ট ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা করায় আদালত মন্ত্রককে নির্দেশ দেয় যে ৭ অগাস্টের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

    প্রসঙ্গত, ‘উদয়পুর ফাইলস’ ছবিটির মুক্তির বিরোধিতায় দায়ের করা কয়েকটি মামলার শুনানি করছিল দিল্লি হাই কোর্ট। আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের সভাপতি মওলানা আরশাদ মাদানি এবং কানহাইয়া লাল হত্যা মামলার এক অভিযুক্ত। তাঁদের যুক্তি, এই চলচ্চিত্রটিতে মুসলমানদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে এবং অভিযুক্তের ন্যায্য বিচারের অধিকার ক্ষুণ্ণ হতে পারে (Udaipur Files)।

    কানহাইয়া লাল নামে উদয়পুরের এক দর্জিকে ২০২২ সালের জুন মাসে নৃশংসভাবে খুন করে দুই আততায়ী। তিনি প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার পক্ষে একটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন (Union Government)। নূপুর শর্মা পূর্বে নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিতর্কিত একটি মন্তব্য করেছিলেন। চলচ্চিত্রটি মুক্তির দিন ধার্য করা হয়েছিল ১১ জুলাই (Udaipur Files)।

  • PM Modi: “ভারত কখনওই কৃষকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না,” ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর সাফ জানালেন মোদি

    PM Modi: “ভারত কখনওই কৃষকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না,” ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর সাফ জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কৃষকদের স্বার্থ আমাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। ভারত কখনওই তার কৃষক, পশুপালক ও মৎস্যজীবীদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না।”  পর পর দু’দফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করার পর বৃহস্পতিবারই এমন প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন দিল্লিতে এমএস স্বামীনাথন জন্মশতবার্ষিকী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদির সাফ কথা (PM Modi)

    সেখানেই তিনি বলেন, “ভারত কখনওই তার কৃষক, পশুপালক এবং মৎস্যজীবী ভাই-বোনদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি যে, এর জন্য আমাকে অনেক বড় মূল্য চোকাতে হতে পারে, কিন্তু আমি তার জন্য প্রস্তুত। ভারত দৃঢ়ভাবে তার কৃষকদের পাশে আছে, এবং তাদের কল্যাণের জন্য যা কিছুই করতে হয়, আমি তা-ই করতে প্রস্তুত।” উল্লেখ্য, দেশের কৃষিক্ষেত্রে কার্যত বিপ্লব ঘটিয়েছিল সবুজ বিপ্লব। এই বিপ্লবের স্থপতি ছিলেন কৃষিবিজ্ঞানী স্বামীনাথন। তাঁর জনশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গিয়ে কৃষকদের স্বার্থরক্ষার কথা বলে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি দেশের কৃষক সমাজকেও বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যটি এসেছে এমন একটা সময়ে যখন ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখায় ভারতের ওপর এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ভারত একে অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত বলে অভিহিত করেছে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের রাশিয়া থেকে তেল আমদানিকেই টার্গেট করেছে। যদিও এই বিষয়ে নয়াদিল্লি (PM Modi) তার অবস্থান স্পষ্টভাবেই ব্যাখ্যা করে দিয়েছে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “আমাদের আমদানি বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল এবং এর প্রধান উদ্দেশ্য হল ১৪০ কোটিরও বেশি ভারতীয় নাগরিকের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।” আমেরিকার এই পদক্ষেপকে গভীরভাবে দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, অনেক দেশই তাদের জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে এখনও রাশিয়া থেকে তেল আমদানি চালিয়ে যাচ্ছে। কেবলমাত্র ভারতকে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের জন্য নিশানা করাকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে ভারত সরকার জানিয়েছে যে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও আমার সরকার গ্রামীণ জনগণের স্বার্থ রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ।”

    বাধার প্রাচীর কেবল তেল নয়, কৃষিও

    যদিও রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়টি ভারত–মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তবুও বাজারে প্রবেশাধিকারের চাহিদা, ভর্তুকি কাঠামো এবং খাদ্য নিরাপত্তার অগ্রাধিকারের মৌলিক পার্থক্যের কারণে কৃষিও দীর্ঘদিন ধরেই দুই দেশের বাণিজ্য আলোচনায় একটি বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে (PM Modi)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য ভারতীয় বাজারে আরও বড় প্রবেশাধিকার চায়। অথচ ভারত চায় তার অভ্যন্তরীণ কৃষি খাতকে সুরক্ষা দিতে। এটি একটি বিশাল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করে এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হয়।জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (GM) ফসল, স্বাস্থ্য ও উদ্ভিদ স্বাস্থ্যবিধি মানদণ্ড এবং স্থানীয় জীবিকার সম্ভাব্য বিঘ্ন নিয়েও উদ্বেগে রয়েছে আমেরিকা ও ভারত দুই দেশই। এটা আলোচনাকে আরও জটিল করে তোলে। ফলে কৃষি ক্ষেত্রটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনার সবচেয়ে সংবেদনশীল ও বিতর্কিত অংশগুলির একটি হিসেবেই রয়ে গিয়েছে। তবে কোনওরকম ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ যাতে না থাকে, তাই ভারত সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কৃষকদের স্বার্থই সর্বোচ্চ, এবং ভারত কোনও চাপের কাছেই নত হবে না (PM Modi)।

    বাণিজ্যচুক্তি আপাতত বিশ বাঁও জলে

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত বিশ বাঁও জলে। এখনও পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে পাঁচ দফায়। আরও আলোচনা হওয়ার কথা। তবে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার আগে একটি অন্তবর্তী সমঝোতা সেরে নিতে চাইছে দুই দেশ। চলতি মাসেই মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের ভারতে আসার কথা। কেন্দ্রের একটি সূত্রের খবর, আমেরিকা চায় ভারত তাদের জন্য পুরোপুরি খুলে দিক কৃষিপণ্য, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার। এতেই আপত্তি জানিয়েছে ভারত। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আমেরিকার সুবিধা হয়, এমন একপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে রাজি নয় নরেন্দ্র মোদির দেশ (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় বুধবারই ভারতীয় পণ্যের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। তার ফলে ২৭ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় কোনও পণ্য রফতানি করতে হলে সব মিলিয়ে ভারতকে দিতে হবে ৫০ শতাংশ শুল্ক। পরে ট্রাম্প বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা হলে দেশগুলির ওপর আরও অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে (PM Modi)।”

  • RICH Alliance: শিয়রে ট্রাম্পের শুল্ক বিপদ, তাই কি কাছাকাছি আসছে রাশিয়া-ভারত-চিন?

    RICH Alliance: শিয়রে ট্রাম্পের শুল্ক বিপদ, তাই কি কাছাকাছি আসছে রাশিয়া-ভারত-চিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়রে ট্রাম্পের শুল্ক বিপদ। তাই কি কাছাকাছি আসছে ভারত-চিন-রাশিয়া? গঠিত হচ্ছে নয়া জোট ‘রিচ অ্যালায়েন্স’ (RICH Alliance)? অন্তত এমনই জল্পনা ছড়িয়েছে তামাম বিশ্বে (Trumps Tariff War)। ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে এক দফা ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ান তেল কেনার জন্যই এই পরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হয়। পরে ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া যান ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তারপর ফের ভারতীয় পণ্যের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বুধবার ঘোষণা করেন ট্রাম্প। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট অবশ্য এও জানিয়েছেন, তিনি ভারতের ওপর শুল্ক বাড়াবেন বহুলাংশে। তবে ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কোনওপ্রকার চাপের কাছেই নতিস্বীকার করবে না নয়াদিল্লি। ভারতের পাশাপাশি ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়াও।

    আমেরিকার শত্রু হওয়া বিপজ্জনক! (RICH Alliance)

    প্রাক্তন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার একবার বলেছিলেন, “আমেরিকার শত্রু হওয়া বিপজ্জনক হতে পারে, কিন্তু বন্ধু হওয়া মারাত্মক।” এই কথারই প্রতিধ্বনি যেন শোনা যাচ্ছে বর্তমানে। কারণ ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পাক খাচ্ছে শুল্ক-যুদ্ধের ঘূর্ণিপাকে। সম্প্রতি রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে মুখপাত্র মারিয়া জাখালোভা বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশগুলির ওপর আধিপত্য বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে শুল্ক আরোপ করছে। যারা ওয়াশিংটনের ভিন্ন পথে চলেছে, তাদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে রাশিয়া একটি মাল্টিপোলার ও ন্যায়ভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থার পক্ষে। তাই রাশিয়া ভারতের পাশেও রয়েছে, রয়েছে চিনের সঙ্গেও, এক কথায় আমেরিকার একাধিপত্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে।”

    হতাশার গর্ভে জন্ম রাশিয়ার এই প্রতিক্রিয়া

    তাঁর দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিক্রিয়ার জন্ম হতাশা থেকেই। কারণ তারা নতুন বৈশ্বিক ব্যবস্থায় নিজেদের ক্রমহ্রাসমান প্রভাব মেনে নিতে পারছে না। তাঁর মতে, শুল্ক আর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিশ্বব্যবস্থার বদল রোখা যাবে না (Trumps Tariff War)। জাখারোভার কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয়া শুল্ক ঘোষণার পর এক নতুন জোট গঠনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। রাশিয়া, ভারত এবং চিনের মধ্যে যে এই ঘনিষ্ঠতা তৈরি হচ্ছে, তা বিশ্বে শক্তির ভারসাম্য নতুনভাবে গড়ে তুলতে পারে (RICH Alliance)।

    অমোঘ প্রশ্ন

    এখানেই উঠছে সেই অমোঘ প্রশ্নটি, ট্রাম্পের আগ্রাসী বাণিজ্যনীতি কি একটি শক্তিশালী ‘রিচ’ (Russia-India-China) জোটের উত্থান ডেকে এনেছে? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রিচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ব্রিকসের (BRICS) চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। কারণ রাশিয়া-ভারত-চিনের (রিচ) এই সংক্ষিপ্ত রূপটিই ধন ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে এক শক্তিশালী জোটের ইঙ্গিত দেয়।

    আমেরিকার শিয়রে বিপদ!

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘রিচ’ (RICH Alliance) গঠিত হলে বিপাকে পড়বে আমেরিকা। সে দেশের জিডিপি হল প্রায় ২৩ লাখ কোটি টাকা। অন্যদিকে, রাশিয়া, ভারত ও চিনের সম্মিলিত জিডিপি প্রায় ২১ লাখ কোটি টাকা। ভারত, চিন ও রাশিয়ার সম্মিলিত জনসংখ্যা প্রায় ৩০০ কোটি, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৭ শতাংশ। উল্টো দিকে, আমেরিকার জনসংখ্যা মাত্র ৩৩ কোটি, বিশ্ব জনসংখ্যার মাত্র ৪ শতাংশ। ত্রিদেশীয় এই সম্ভাব্য জোটের সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৪৮ লাখ, সেখানে আমেরিকার মাত্র ১৩ লাখ। ন্যাটো মিত্রদের যুক্ত করলেও, সেনা সংখ্যায় এগিয়ে ‘রিচ’-ই। পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের দিক থেকেও এগিয়ে ‘রিচ’। এই সম্ভাব্য জোটের দেশগুলির কাছে আনুমানিক ৬,৩০০টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। আর আমেরিকার রয়েছে প্রায় ৫,২০০টি (Trumps Tariff War)।

    কে এগিয়ে, পিছিয়েই বা কে

    যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিশ্বের সর্ববৃহৎ অস্ত্র উৎপাদনকারী দেশ, তবুও রাশিয়া এবং চিনও শীর্ষ অস্ত্র নির্মাতা দেশগুলির মধ্যেই রয়েছে। ভারতও প্রতিরক্ষা উৎপাদনে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে দ্রুত এগোচ্ছে। এই ত্রিদেশীয় জোট গঠিত হলে স্থল, জল ও আকাশে ন্যাটোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে (RICH Alliance)। ‘রিচে’র সদস্য দেশগুলি প্রাকৃতিক সম্পদেও সমৃদ্ধ। রাশিয়ার রয়েছে তেল, গ্যাস ও কয়লার বিশাল ভাণ্ডার। এটি জীবাশ্ম জ্বালানির প্রধান রপ্তানিকারক। ভারত পারমাণবিক ও সৌরশক্তিতে ব্যাপক এগিয়েছে। আর চিন সৌর প্যানেল ও উইন্ড টারবাইনের শীর্ষ উৎপাদক।

    প্রাকৃতিক সম্পদেও ঋদ্ধ এই তিন দেশ। রাশিয়ার রয়েছে টাইটানিয়াম, নিকেল, কোবাল্ট ও ইউরেনিয়ামের বিপুল ভাণ্ডার। চিন বিশ্বব্যাপী বিরল খনিজের ৬০ শতাংশেরও বেশি উৎপাদন করে। আর ভারত সমৃদ্ধ বক্সাইট, লোহা আকরিক, গ্রাফাইট ও ম্যাঙ্গানিজে। কৃষিতেও এগিয়ে ‘রিচ’। ভারত দুধ ও ডালের বিশ্বের সর্ববৃহৎ উৎপাদক। রাশিয়া গম রফতানিতে রয়েছে শীর্ষে। আর চিন দক্ষ কৃষিযন্ত্র ও খাদ্য উৎপাদনে। চুম্বকে, এই তিন দেশের জোট গঠিত হলে জ্বালানি, খাদ্য বা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বাইরের সাহায্যের কোনও প্রয়োজনই প্রায় থাকবে না (Trumps Tariff War)।

    ‘রিচ’ নামের ত্রিদেশীয় এই জোট দিনের আলো দেখে কিনা, এখন সেটাই দেখার (RICH Alliance)।

  • PM Modi: ট্রাম্পের শুল্ক-যুদ্ধে বদলাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ, ঘনিষ্ঠ হচ্ছে চিন ও ভারত!

    PM Modi: ট্রাম্পের শুল্ক-যুদ্ধে বদলাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ, ঘনিষ্ঠ হচ্ছে চিন ও ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ! অন্তত এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে এক দফা ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ান তেল কেনার জন্যই এই পরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হয়। ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া গিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তিনি ফিরে এলেই, চলতি মাসের মাঝামাঝি মস্কো সফরে যাবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এরই মধ্যে, ফের ভারতীয় পণ্যের ওপর (SCO Summit) আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বুধবার ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের এই কড়া শুল্ক-পদক্ষেপের আবহে চলতি মাসেই চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে অংশ নিতেই চিন যাত্রা করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকায় প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর এটাই হতে চলেছে তাঁর প্রথম চিন সফর।

    এসসিও সম্মেলন (PM Modi)

    তিয়ানজিনের উত্তরের বন্দর শহরে আগামী ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে এসসিও সম্মেলন। সেই কারণেই চিন সফরে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর চিন সফরটি এমন একটা সময়ে হতে যাচ্ছে যখন ভারত একদিকে যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত কঠোর নতুন বাণিজ্য শুল্কের প্রভাবের মোকাবিলা করছে, তেমনি অন্যদিকে রাশিয়া থেকে তেলের আমদানির কারণে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের মুখোমুখিও হয়েছে। এসসিও সম্মেলনে মোদির উপস্থিতিকে অনেকেই ভারতের কৌশলগত অবস্থান পুনর্বিবেচনার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন, বিশেষ করে যখন পশ্চিমী বিশ্বের সঙ্গে উত্তেজনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বেজিংয়ের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

    চিন সফরে মোদি

    ২০১৯ সালে শেষবারের মতো চিন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর লাদাখের গালওয়ানে ভারত ও চিন সংঘর্ষের পর থেকে দু’দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে। অবশ্য গত বছরে রাশিয়ার কাজানে আন্তর্জাতিক জোট ব্রিকসের পার্শ্ববৈঠকে সাক্ষাৎ করেন মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তারপর থেকে ফের স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ভারত-চিনের সম্পর্ক (SCO Summit)।

    ট্রাম্পের শুল্ক-হুমকি

    সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক-হুমকির জেরে কাছাকাছি আসতে শুরু করেছে পড়শি এই দুই (PM Modi) দেশ। বেজিংও আপ্রাণ চেষ্টা করছে নয়াদিল্লির সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও নিবিড় করতে। ভারত ও চিনের শক্তির কথা বলতে গিয়ে তারা ব্যবহার করছে যথাক্রমে ‘হাতি’ ও ‘ড্রাগনে’র উপমা। চিনের সাফ কথা, ‘ড্রাগন ও হাতির মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ড্রাগন আর হাতিকে একসঙ্গে নাচিয়ে দিতে হবে। একে অপরের বিরুদ্ধে কথা না বলে পরস্পরকে সাহায্য করতে হবে। তাতেই লাভ হবে দুই দেশের। যদি এশিয়ার বৃহত্তম দুই অর্থনীতি একজোট হয়, তবে তা লাভজনক হবে সমগ্র বিশ্বের পক্ষেই।’ এহেন আবহে মোদির চিন সফরের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে তামাম বিশ্ব।

    চিন ঘুরে এসেছেন রাজনাথ-জয়শঙ্কর

    মোদির চিন সফরের আগে এসসিওর প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের আলাদা সম্মেলন হয়ে গিয়েছে। প্রথমে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং পরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উভয়েই সেই উপলক্ষে চিন সফরে গিয়েছিলেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের নাম না (SCO Summit) নিয়েই তাকে আক্রমণ করেন রাজনাথ। সাফ জানিয়ে দেন (PM Modi), সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত কোনও দু’মুখো আচরণ বরদাস্ত করবে না। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ মুহম্মদ। তাঁর সামনেই ভারতের এই অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এবার চিনে হবে এসসিওর শীর্ষ সম্মেলন। সেই সম্মলেন উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধানরা। থাকার কথা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফেরও। তাই শরিফের উপস্থিতিতে ভারত কী বলে, তা শুনতেও মুখিয়ে রয়েছেন বিশ্ববাসী।

    চিনের বিবৃতি

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। সেই সময় পাকিস্তানের দিকে যারা ঝুঁকেছিল, তাদের মধ্যে ছিল চিনও। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে চিনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আজ ভোরে ভারত যে সেনা অভিযান চালিয়েছে, তা দুঃখজনক (PM Modi)। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। ভারত ও পাকিস্তান চিরকাল পরস্পরের প্রতিবেশী হিসেবেই বিরাজ করবে। তারাও চিনের প্রতিবেশী। চিন সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরোধী। দুপক্ষের কাছেই আবেদন, বৃহত্তর স্বার্থে, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সংযত থাকুন। এমন কিছু করবেন না, যাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে (SCO Summit)।’

    পরে অবশ্য আর একটি বিবৃতিতে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “চিন সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের কঠোর বিরোধিতা করে এবং ২২ এপ্রিল সংঘটিত জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে। চিন আঞ্চলিক দেশগুলিকে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা জোরদার করার এবং যৌথভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার আহ্বান জানায় (PM Modi)।”

  • Ramakrishna 433: নিমন্ত্রণবাড়ির শব্দ কতক্ষণ শোনা যায়? যতক্ষণ লোকে খেতে না বসে যায়

    Ramakrishna 433: নিমন্ত্রণবাড়ির শব্দ কতক্ষণ শোনা যায়? যতক্ষণ লোকে খেতে না বসে যায়

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “না, এদিক-ওদিক—দুই দিক রাখতে হবে। জনক রাজা এদিক-ওদিক দু’দিন দেখে খেয়েছিল দুধের বাটি। সকলের হাস্য।”

    গিরিশ: “থিয়েটারগুলো ছেলেদেরই ছেড়ে দিই, মনে করছি।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “নানা, ও বেশ আছে। অনেকের উপকার হচ্ছে।”

    নরেন্দ্র (মৃদুস্বরে): “এই তো ঈশ্বর বলছে, অবতার বলছে, আবার থিয়েটার টানে!”

    সমাধি মন্দিরে – গড়গড় মাতোয়ারা শ্রীরামকৃষ্ণ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্রকে কাছে বসাইয়া একদৃষ্টে দেখিতেছেন। হঠাৎ তাহার সন্নিকটে আরো শরিয়া গিয়া বসিলেন।
    নরেন্দ্র অবতার মানেন না, তা কী এসে যায়? ঠাকুরের ভালবাসা যেন আরও উথলিয়া পড়িল।
    “আছে আছে”— গায়ে হাত দিয়া, নরেন্দ্রের প্রতি কহিতেছেন—
    “আমরাও তোর মানে আছি।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “বিচারলাভ পর্যন্ত নরেন্দ্রর প্রতি যতক্ষণ বিচার, ততক্ষণ তাকে পাই নাই।
    তোমরা বিচার করছিলে, আমার ভালো লাগে নাই।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “নিমন্ত্রণবাড়ির শব্দ কতক্ষণ শোনা যায়? যতক্ষণ লোকে খেতে না বসে যায়।
    লুচি-তরকারি পড়লে, ওমনি বারোয়ানা শব্দ কমে যায়, সকলের হাস্য।
    অন্য খাবার পড়লে আরও কমতে থাকে।
    দই পাতে পাতে পড়লে কেবল চুপচাপ।
    ক্রমে খাওয়া হয়ে গেলেই নিদ্রা।
    ঈশ্বরকে যতক্ষণ লাভ হবে, ততই বিচার কমবে।
    তাকে লাভ হলে আর শব্দ, বিচার থাকে না। তখন নিদ্রা, সমাধি।”

    এই বলিয়া নরেন্দ্রর গায়ে হাত বুলাইয়া, মুখে হাত দিয়া আদর করিতেছেন ও বলিতেছেন—
    “হরি ওম, হরি ওম, হরি হরি ওম…”

    কেন এই রূপ করিতেছেন, না বলিতেছেন শ্রীরামকৃষ্ণ।
    কি নরেন্দ্রর মধ্যে সাক্ষাৎ নারায়ণ দর্শন করিতেছেন?
    এরই নাম কি মানুষের ঈশ্বরদর্শন?

    কি আশ্চর্য!
    দেখিতে দেখিতে ঠাকুরের সংজ্ঞা যাইতেছে।
    ওই দেখো, বহির্জগতের ইয়া যাইতেছে…

  • World War 3: পুতিন-ট্রাম্পের অস্ত্র মোতায়েনের জেরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ, দুয়ারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?

    World War 3: পুতিন-ট্রাম্পের অস্ত্র মোতায়েনের জেরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ, দুয়ারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার উপকূলের কাছে পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার পরেই পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। জানা গিয়েছে, রাশিয়া ইউরোপের কাছাকাছি (World War 3) চারটি পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে। দুই উন্নত দেশের এই অস্ত্রের ঝনঝনানিতে বিশ্বের ঈশান কোণে ঘনাচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মেঘ। এই বিমানগুলি অতীতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে। পশ্চিমি মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে এগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা রয়েছে।

    কৌশলগত বোমারু বিমানগুলির অবস্থান বদল (World War 3)

    ট্রাম্পের এই নির্দেশের আগে রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দিমিত্রি মেদভেদেভ একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। এর পরপরই রাশিয়া দ্রুত তাদের কৌশলগত বোমারু বিমানগুলির অবস্থান বদলে ফেলে। ট্রাম্প সম্প্রতি বলেন, “মার্কিন সাবমেরিনগুলি এখন সেখানেই রয়েছে, যেখানে থাকা দরকার।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি মস্কোর প্রতি একটি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি। উল্লেখ্য, রুশ বোমারু বিমানগুলি আর্কটিক অঞ্চলের মুরমানস্ক এলাকার ওলেনিয়া এয়ারবেসে মোতায়েন করা হয়েছিল। ১ জুন ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ার পর এবার সেগুলিকে ফের সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কিছু বিমান সারাতভ অঞ্চল থেকেও সরানো হয়েছে। কারণ রাশিয়ান সামরিক ভবনে ইউক্রেনীয় হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই ব্যবস্থা।

    রাশিয়ার পারমাণবিক প্রতিরোধ বাহিনীর অংশ

    এই বোমারু বিমানগুলি রাশিয়ার পারমাণবিক প্রতিরোধ বাহিনীর অংশ। তবে ইউক্রেনে বোমাবর্ষণ মিশনেও ব্যবহার করা হয়েছে এগুলি (World War 3)।এদিকে, ইউক্রেন একটি বড় সামরিক সাফল্যের দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে, তারা একটি রুশ জেট ফাইটার গুলি করে নামিয়েছে এবং রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়ায় চালানো এক হামলায় চারটি সামরিক বিমানের ক্ষতি করেছে। এই হামলাটি ঘটেছে মাত্র এক দিন আগেই।

    প্রসঙ্গত, মেদভেদেভ, যিনি বর্তমানে রাশিয়ান ফেডারেশনের নিরাপত্তা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এর আগে ট্রাম্পকে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সতর্ক করেছিলেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছিলেন, “রাশিয়া ইজরায়েল বা ইরান নয়, এবং সতর্ক করেন যে ট্রাম্পের প্রতিটি হুমকি বিশ্বকে একটি (Putin) পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে আরও কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে।” এই সতর্কতার কিছুক্ষণ পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। যা উত্তেজনার পারদ আরও চড়িয়ে দিয়েছে (World War 3)।

  • Ajit Doval: রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই মস্কোয় ডোভাল

    Ajit Doval: রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই মস্কোয় ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে জ্বালানি কেনা নিয়ে ভারতকে ফের একবার শুল্কবৃদ্ধির হুঁশিয়ারি (Tariff Threat) দিয়েছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের ওপর আরও শুল্ক বৃদ্ধি করা হবে।” এর আগে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। পরে তিনি যে শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তার পরিমাণ কত, তা বলেননি। ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারির পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়ায় পৌঁছে গেলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। তবে ঠিক কী কারণে তিনি তড়িঘড়ি করে মস্কোয় গেলেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

    রাশিয়ায় পৌঁছে গেলেন ডোভাল (Ajit Doval)

    মঙ্গলবার সকালেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। আর এদিনই রাতে রাশিয়ায় পৌঁছে গেলেন ডোভাল। সূত্রের খবর, রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যেই রাশিয়া গিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। চলতি সফরে ডোভাল রুদ্ধদ্বার বৈঠক করবেন রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কর্তাদের সঙ্গে। বৈঠকে আলোচনা হতে পারে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, সন্ত্রাসবাদ দমনের মতো বিষয়েও। এ মাসেরই শেষের দিকে রাশিয়ায় যাওয়ার কথা রয়েছে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করেরও। সংবাদ সংস্থা ‘তাস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জয়শঙ্করের এই রাশিয়া সফর পূর্বনির্ধারিত সূচির অংশ। ফোকাস থাকবে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনাও আলোচনার বিষয় হবে। এর পাশাপাশি রাশিয়া থেকে ভারতের জন্য তেল সরবরাহের মতো জরুরি বিষয়গুলিও আলোচনায় আসবে।”

    ট্রাম্পের অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের অভিযোগ, ভারত মস্কো থেকে জ্বালানি কিনে আদতে সাহায্য করছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে। তাই ভারতের উচিত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা বন্ধ করা। তা না হলে ভারতীয় পণ্যের ওপর ফের একপ্রস্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। ভারতকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি ট্রাম্প রাশিয়াকে ইউক্রনে যুদ্ধে দ্রুত বিরতি ঘোষণা করতে বলেছেন। তিনি বলেন, “রাশিয়া যদি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করে, তাহলে আমেরিকা কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।” এহেন উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশেই ডোভালের মস্কো যাত্রা।

    ভারতের প্রত্যুত্তর

    রাশিয়া (Ajit Doval) থেকে তেল কেনায় ট্রাম্পের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারত আমেরিকাকে পাল্টা জানিয়ে দিয়েছে, আমেরিকা নিজেই রাশিয়ার সঙ্গে প্রচুর ব্যবসা করছে (Tariff Threat)। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে কোনও প্রধান অর্থনীতির মতো, ভারতও তার জাতীয় স্বার্থ এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা নেবে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২২ সালে যখন রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল, তখন আমেরিকাই চেয়েছিল যে ভারত সস্তায় রাশিয়ান তেল কিনুক, যাতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম স্থিতিশীল থাকে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাশিয়া ও ইউরোপের বাণিজ্য তালিকায় শুধু তেল বা গ্যাস নয়, সার, খনিজ, রাসায়নিক, লৌহ-ইস্পাত-সহ আরও বহু পণ্য আমদানি করে। এই তালিকায় শুধু ইউরোপ কেন, খোদ আমেরিকাও বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করে। তারা নিজেদের পারমাণবিক কার্যকলাপের জন্য রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড কেনে। বৈদ্যুতিন গাড়ি শিল্পের জন্য আমদানি করে প্যালাডিয়াম, সার ও রাসায়নিক।

    জ্বালানি আমদানি নিয়ে বড় চুক্তি!

    সূত্রের খবর, ডোভালের (Ajit Doval) চলতি সফরে রাশিয়ার সঙ্গে অপরিশোধিত জ্বালানি আমদানি নিয়ে বড় চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে রাশিয়া ভারতকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে আরও বেশি পরিমাণে ছাড় দিতে পারে। ভারতের ওপর শুল্ক ঘোষণার পর রাশিয়া ট্রাম্পকে বিশ্বে কোণঠাসা করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। রাশিয়ার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও দেশের হস্তক্ষেপে দুর্বল হবে না ভারত-রুশ সম্পর্ক। এহেন পরিস্থিতিতে ডোভালের রাশিয়া সফরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে তামাম বিশ্ব।

    ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জেরেই সমস্যা

    এর একটা অন্যতম বড় কারণ হল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাম্প্রতিক একটি মন্তব্য। তিনি বলেছিলেন, “বাণিজ্যের জন্য ভারত ভালো অংশীদার নয়। তারা আমাদের সঙ্গে যথেষ্ট বাণিজ্য করে। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে বাণিজ্য করি না। তাই ভারতের ওপর আমরা ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলাম। কিন্তু আগামী (মঙ্গলবার বলেছিলেন) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা বৃদ্ধি করা হবে। কারণ, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনছে এবং তারা ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করছে।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন প্রতিক্রিয়ায় ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে (Tariff Threat), ভারতকে (Ajit Doval) নীতি ধর্ম শেখাতে আসা আমেরিকা নিজেই বিপুল পণ্য আমদানি করে রাশিয়া থেকে।

  • Canada: কার্নি জমানায় কানাডাভূমে আস্ত দূতাবাস খুলে ফেলল খালিস্তানপন্থীরা!

    Canada: কার্নি জমানায় কানাডাভূমে আস্ত দূতাবাস খুলে ফেলল খালিস্তানপন্থীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলেছে জমানা। বদলায়নি কানাডা (Canada)। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর শাসনে সে দেশে বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল খালিস্তানপন্থীদের (Khalistan Board)। ট্রুডোর পরে কাডানার কুর্সিতে বসেছেন মার্ক কার্নি। তার পরেও একটুও বদলায়নি কানাডায় খালিস্তানপন্থীদের হম্বিতম্বির ছবিটা।

    রিপাবলিক অফ খালিস্তান’ (Canada)

    ফেরা যাক খবরে। এবার কানাডার সারে শহরে ‘শিখস ফর জাস্টিস’(SFJ) নামক খালিস্তানপন্থী সংগঠন এবং গুরু নানক শিখ গুরুদ্বারের সহযোগিতায় স্থাপন করা হয়েছে ‘খালিস্তানের দূতাবাস’। এজন্য ‘রিপাবলিক অফ খালিস্তান’ লেখা একটি সাইনবোর্ড-সহ এই তথাকথিত দূতাবাসটি গুরুদ্বার চত্বরে একটি ভবনের ভিতরে খোলা হয়েছে। এই ভবনটি আবার ব্যবহৃত হয় কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের স্থানীয়রা জানান, যে ভবনে দূতাবাসটি স্থাপন করা হয়েছে, সেটি ব্রিটিশ কলাম্বিয়া সরকারের অর্থে নির্মিত। তাঁরা এও বলেন, সম্প্রতি ব্রিটিশ কলাম্বিয়া সরকার ওই ভবনে লিফট বসানোর জন্য ১,৫০,০০০ মার্কিন ডলার দিয়েছে।

    কী বলেছিল কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা

    চলতি বছরের জুন মাসে কানাডার শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (CSIS) প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে যে খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা এখনও কানাডার মাটি ব্যবহার করছে তাদের প্রচার, অর্থ সংগ্রহ এবং হিংসার পরিকল্পনা করার ঘাঁটি হিসেবে, যার প্রধান টার্গেট ভারত। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ, “খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা এখনও কানাডাকে একটি ঘাঁটি হিসেবেই ব্যবহার করছে—প্রচার, অর্থ সংগ্রহ এবং মূলত ভারতে হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালানোর জন্য।” সংবাদ মাধ্যমের এই প্রতিবেদনের আগেই (Khalistan Board) কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস তাদের সর্বশেষ বাৎসরিক প্রতিবেদনের একটি অংশে বলেছিল, কানাডার অভ্যন্তরে বিদেশি হস্তক্ষেপ এবং চরমপন্থী কার্যকলাপ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষত ভারতের সঙ্গে তাদের সংবেদনশীল কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে (Canada)।

    খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীদের কার্যকলাপে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই ভারত কানাডার মাটি থেকে পরিচালিত খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীদের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। আটের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে কানাডায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংস চরমপন্থার হুমকি মূলত প্রকাশ পেয়েছে কানাডাভিত্তিক খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীদের মাধ্যমে। এরাই ভারতের পাঞ্জাবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ‘খালিস্তান’ গঠনের লক্ষ্যে সহিংস পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল। ইন্ধন জোগাচ্ছিল ওই আন্দোলনে। পাঞ্জাবের শিখ তরুণদের মগজধোলাইও করা হচ্ছিল। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংস চরমপন্থা এমন একটি মতবাদ, যা নয়া রাজনৈতিক ব্যবস্থা বা বিদ্যমান ব্যবস্থার মধ্যে নতুন কাঠামো বা নিয়ম কায়েমের জন্য হিংসায় উৎসাহ দেয়। এই মতবাদে বিশ্বাসীরা বিশ্বজুড়ে হামলার পরিকল্পনা করে। জোগাড় করে অর্থ। কাজ করে নয়া রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে (Canada)।

    ট্রুডোর আমল বনাম কার্নির জমানা

    ট্রুডোর আমলে মাথাচাড়া দিলেও, কানাডার কার্নি সরকারের আমলেই ‘দূতাবাস’ খুলে বসেছে খালিস্তানপন্থীরা। নাম দেওয়া হয়েছে ‘রিপাবলিক অফ খালিস্তান’। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন গোয়েন্দা স্থংস্থা এই দূতাবাসের ওপর কড়া নজর রাখছে। কারণ এটি যারা খুলেছে, তারা ভারতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন শিখস ফর জাস্টিসের সদস্য। এই প্রতীকী ‘দূতাবাস’ আবার হরদীপ সিং নিজ্জরকে প্রকাশ্যে সমর্থন করছে। কিছুদিন আগেই শিখ গণভোট আয়োজনের কথা জানিয়েছিল শিখস ফর জাস্টিস। তার আগেই কানাডাভূমে তৈরি হয়ে গেল আস্ত একটা ‘দূতাবাস’ (Khalistan Board), এবং তাও আবার কোনও অজ গাঁয়ে নয়, কানাডা প্রশাসনের নাকের ডগায়। খালিস্তানপন্থীদের এহেন কার্যকলাপের ওপর কড়া নজর রাখছে স্থানীয় ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি।

    ভারতবিরোধী কাজকর্ম খালিস্তানপন্থীদের

    কার্নির আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ট্রুডো। তাঁর জমানায় খালিস্তানপন্থীরা সে দেশে ব্যাপকভাবে ভারতবিরোধী কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যে ছিল বিতর্কিত কুচকাওয়াজ, হিন্দুদের মন্দিরে তাণ্ডব চালানো, মন্দিরের গায়ে ভারত এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর বিভিন্ন স্লোগানও লেখা হচ্ছিল। করা হয়েছিল ভারতীয় জাতীয় পতাকার অবমাননাও। আর কার্নি জমানায় খুলে ফেলা হল আস্ত একটা ‘দূতাবাস’। প্রকাশ্যে আসা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, খালিস্তানপন্থীরা গুরুদ্বারে ঢোকার ঠিক পাশেই টাঙিয়েছে ‘রিপাবলিক অফ খালিস্তান’ লেখা বোর্ড (Canada)।

    ২০২৩ সালের ১৮ জুন ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের এই সারে শহরেই (Khalistan Board) খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে খুন করে অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীরা। বছর পঁয়তাল্লিশের নিজ্জর কানাডায় শিখস ফর জাস্টিসের প্রধান ছিলেন। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। সংসদে দাঁড়িয়ে ওই ঘটনায় ভারতকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন ট্রুডো স্বয়ং। অভিযোগ অস্বীকার করেছিল নয়াদিল্লি। এদিকে, ২০২৪ সালের মে মাসে কানাডা পুলিশ নিজ্জর খুন এবং তাকে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার করে তিন ভারতীয়কে। সেই মামলার শুনানি এখনও চলছে কানাডার আদালতে। এই আবহেই তৈরি হয়ে গেল ‘দূতাবাস’ (Canada)।

LinkedIn
Share