Tag: Bengali news

Bengali news

  • Four Labour Codes: দেশে লাগু হয়ে গিয়েছে নয়া চার শ্রমবিধি, জেনে নিন কী কী সুবিধা মিলবে?

    Four Labour Codes: দেশে লাগু হয়ে গিয়েছে নয়া চার শ্রমবিধি, জেনে নিন কী কী সুবিধা মিলবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার থেকেই দেশে লাগু হয়ে গিয়েছে নয়া চার শ্রমবিধি (Four Labour Codes)। এই চার শ্রমবিধি সংক্রান্ত বিল সংসদে পাশ হয়েছে অনেক আগেই। একটি পাশ হয়েছিল ২০১৯ সালে। বাকি (Worker) তিনটি পাশ হয় তার পরের বছর। শুক্রবার ওই চার শ্রমবিধি চালু করে দিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই চার শ্রমবিধি কার্যকর করার মাধ্যমে একটি নতুন শ্রম যুগে প্রবেশ করল ভারত। এই চারটি বিধি হল, মজুরি সংহিতা, শিল্প সম্পর্ক সংহিতা, সামাজিক সুরক্ষা সংহিতা এবং পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশ সংহিতা। এগুলি কার্যকর হওয়ায় স্বাধীনতার পর দেশের শ্রম ক্ষেত্রে অন্যতম বিস্তৃত ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

    নয়া শ্রমবিধি (Four Labour Codes)

    নয়া চারটি শ্রমবিধি চালুকে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করে ভারত সরকার জানিয়েছে, এই পদক্ষেপে বর্তমানে চালু রয়েছে এমন ২৯টি কেন্দ্রীয় শ্রম আইনকে যুক্তিযুক্তভাবে একীভূত করা হয়েছে, সরল করা হয়েছে শতবর্ষ পুরানো নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে এবং বিস্তৃত করা হয়েছে শত শত মিলিয়ন শ্রমিকের সুরক্ষাও। ২১ নভেম্বর, শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে এই বিধি (Worker)। এদিন কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশকে আত্মনির্ভর করতে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর মধ্যে দিয়ে শ্রম সংক্রান্ত বিধির আধুনিকীকরণ করে, শ্রমিক কল্যাণ এবং কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে বর্তমান সময়ের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ করতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রের। ওই বিবৃতিতেই জানানো হয়েছে, দেশের অনেক শ্রম আইনই স্বাধীনতার আগে এবং স্বাধীনতার ঠিক পরে পরে চালু হয়েছিল। তখনকার অর্থনীতি এবং কর্মক্ষেত্রের তুলনায় এখনকার পরিস্থিতি অনেক আলাদা (Four Labour Codes)।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আজ আমাদের সরকার চারটি শ্রমবিধি কার্যকর করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে এটি সব চেয়ে ব্যাপক এবং প্রগতিশীল শ্রমভিত্তিক সংস্কারগুলির একটি। এটি দেশের শ্রমিকদের ক্ষমতা আরও বাড়াবে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রকে করে তুলবে আরও সহজতর। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও দাবি করেন, এই শ্রমবিধি দেশের শ্রম আইনের ইতিহাসে সব চেয়ে বড় সংস্কার। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চারটি শ্রমবিধি শ্রমিকদের সুরক্ষা মজবুত করে, সামাজিক সুরক্ষা বাড়ায় এবং কর্মক্ষেত্রের মানকে আধুনিক করে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রটি এবং সেক্ষেত্রে কেমন সুবিধা মিলবে।

    স্থায়ী কর্মচারীর সমান মর্যাদা

    শ্রমবিধিতে স্থায়ী-মেয়াদি কর্মচারীদের স্থায়ী কর্মচারীর সমান মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, যা স্বল্পমেয়াদি কাজের ক্ষেত্রেও স্থিতিশীলতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে। স্থায়ী কর্মীদের মতোই তাঁরা ছুটি, চিকিৎসা ও সামাজিক সুরক্ষা-সহ সব সুবিধা পাবেন। ৫ বছরের পরিবর্তে মাত্র ১ বছর কাজের পরেই মিলবে গ্র্যাচুইটি। স্থায়ী ও স্থায়ী-মেয়াদি কর্মচারীর মজুরি সমান। এটি সরাসরি নিয়োগকে উৎসাহিত করে এবং কন্ট্রাক্টর-নির্ভরতা কমায় (Worker)। এই প্রথমবারের মতো গিগ ও প্ল্যাটফর্ম কর্মী এবং অ্যাগ্রিগেটরদের আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যার ফলে লাখ লাখ কর্মী সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আসবেন। এই সংস্কারগুলি চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের সুরক্ষা বাড়ায় এবং উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে। প্রধান নিয়োগকর্তাকে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তার সুবিধা দিতে হবে। নয়া বিধি মহিলা শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে (Four Labour Codes) তাঁদের প্রাপ্য অধিকার, সুরক্ষা এবং সুযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের ওপর আইনগত নিষেধাজ্ঞা, সম কাজে সম বেতন দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

    চাকরিতে আরও বেশি সুরক্ষা

    তরুণ শ্রমিকরা প্রাথমিক পর্যায়ের চাকরিতে আরও বেশি সুরক্ষা পাবেন। সব শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে। নিয়োগপত্রের পাশাপাশি ছুটির সময় মজুরি দেওয়াও বাধ্যতামূলক। এই বিধিগুলি এমএসএমই কর্মীদের একটি ঐক্যবদ্ধ কল্যাণ কাঠামোর আওতায় আনে, যার ফলে কর্মপরিবেশ ও সুরক্ষা আরও উন্নত হয়। বিড়ি ও সিগার শ্রমিকদেরও আইনি সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এঁদের ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে। সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা কাজ করানো যাবে। বছরে ৩০ দিন কাজ করলেই বোনাস দিতে হবে। প্ল্যান্টেশন শ্রমিকদেরও আধুনিক নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষার মানদণ্ডের আওতায় আনা হয়েছে (Worker)।

    সমান সুরক্ষা

    ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, প্রযুক্তিবিদ ও পারফর্মাররা এখন আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও সমান সুরক্ষা পান (Four Labour Codes)। তাঁদের বেতন ও সুবিধা উল্লেখ করে বাধ্যতামূলক নিয়োগপত্র দিতে হবে, দিতে হবে সময় মতো মজুরিও। ডাবিং শিল্পী, স্টান্ট কর্মী ও ডিজিটাল মিডিয়া কর্মীদেরও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খনি-খাতের কর্মীরা আরও শক্তিশালী নিরাপত্তা ও কল্যাণের মানদণ্ডের সুবিধা পাবেন। উচ্চ-ঝুঁকির শিল্পে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সুরক্ষা আরও জোরদার করা হয়েছে। নয়া শ্রমবিধিগুলি অভিবাসী ও শিল্পাঞ্চলের টেক্সটাইল শ্রমিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা নিয়ে এসেছে। আইটি খাতের হোয়াইট-কলার কর্মীরা এখন আরও স্পষ্টতা, কাঠামোবদ্ধ ব্যবস্থা ও সময়মতো বেতন পাওয়ার নিশ্চয়তা পাবেন। বন্দর শ্রমিকরা এখন আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও সুরক্ষা পাচ্ছেন। ভারতের রফতানিমুখী শিল্পে এই সংস্কারগুলি শ্রমিকদের সুরক্ষা আরও শক্তিশালী করেছে (Four Labour Codes)।

  • Nitish Kumar: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাশ ছাড়লেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ, দায়িত্ব বর্তাল বিজেপির হাতে

    Nitish Kumar: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাশ ছাড়লেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ, দায়িত্ব বর্তাল বিজেপির হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাশ এবার ছাড়তেই হল বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar)। প্রায় দু’দশক ধরে এই দফতরটি নিজের হাতে রেখেছিলেন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ। এবার সেটাই তাঁকে ছেড়ে দিতে হল বিজেপিকে। এই দফতরের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর হাতে।

    মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতীশ (Nitish Kumar)

    সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হলে দেখা যায়, রাজ্যের ২৪৩টি আসনের মধ্যে নীতীশের দল জিতেছে ৮৫টিতে। জোট রাজনীতির ধর্ম মেনে তারা প্রার্থী দিয়েছিল ১০১টি আসনে। এনডিএর আর এক শরিক বিজেপিও প্রার্থী দিয়েছিল সম সংখ্যক কেন্দ্রে। তবে পদ্মঝুলিতে পড়ে ৮৯টি আসন। এর পরেই ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় নীতীশকে। উপমুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির সম্রাট এবং বিজয় সিনহা। বিজয়কে দেওয়া হয়েছে রাজস্ব ও খনি মন্ত্রকের দায়িত্ব। বিজেপির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে কৃষি (রাম কৃপাল যাদব), অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ (রামা নিশাদ), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (নারায়ণ প্রসাদ), শিল্প (দিলীপ জয়সওয়াল) এবং শ্রম (সঞ্জয় সিং টাইগার) দফতর। বিহারের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি মঙ্গল পাণ্ডেকে একই সঙ্গে দেওয়া হয়েছে দুই মন্ত্রকের দায়িত্ব – স্বাস্থ্য ও আইন।

    যেসব দফতর বিজেপির হাতে

    বিজেপিকে যে আরও কয়েকটি দফতর দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল, সড়ক ও আবাসন (নিতিন নবীন), এসসি ও এসটি কল্যাণ (লখেন্দ্র রৌশন), পর্যটন (অরুণ শঙ্কর প্রসাদ), আইটি ও ক্রীড়া (শ্রেয়সী সিং), মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ (সুরেন্দ্র মেহতা) এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন (প্রমোদ কুমার)। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের শরিক দল জেডিইউ পেয়েছে সামাজিক কল্যাণ (মদন সাহনি), গ্রামীণ কর্ম (অশোক চৌধুরি), খাদ্য ও ভোক্তা সুরক্ষা (লেশি সিং), গ্রামীণ উন্নয়ন ও পরিবহণ (শ্রবণ কুমার), জলসম্পদ (ভিকে চৌধুরি), জ্বালানি (বিজেন্দ্র যাদব) এবং শিক্ষা (সুনীল কুমার) বিভাগ। ছোট শরিকদলগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ইক্ষু শিল্প ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ (লোক জনশক্তি পার্টির হাতে), মাইনর ওয়াটার রিসোর্সেস (হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার হাতে), এবং পঞ্চায়ত রাজ (রাষ্ট্রীয় লোক মঞ্চের হাতে) (Bihar)।

    বিজেপিই ‘দাদা’

    প্রসঙ্গত, নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) প্রথমবার বিহারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব নেন ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে। এর পর থেকে প্রায় সব সময়ই এই গুরুত্বপূর্ণ দফতরটি তিনি রেখেছেন নিজের হাতে। একমাত্র ব্যতিক্রম ২০১৪ সালের মে থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জেডিইউয়ের ভরাডুবির পর পদত্যাগ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার জিতন মাঝি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই স্বরাষ্ট্র দফতর এবার বিজেপিকে দিয়ে দেওয়াটা একটি বড় বার্তা। এই বার্তায় স্পষ্ট, যে এই দল দু’টির মধ্যে আপাতত বিজেপিই ‘দাদা’। ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি এবং নীতীশের দল একসঙ্গে লড়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল পেয়েছিল ৭৪টি আসন, আরজেডির চেয়ে মাত্র একটি কম। আর ২৮টি আসন খুইয়ে তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছিল জেডিইউ। তখনই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, বিজেপি কি এই সুযোগে মুখ্যমন্ত্রীর পদটি নীতীশের হাত থেকে কেড়ে নেবে? তা হয়নি। নীতীশ মুখ্যমন্ত্রীর পদ এবং স্বরাষ্ট্র দফতর দু’টিই রাখেন নিজের হাতে। তবে দুই উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হয় বিজেপিকে (Bihar)। পাঁচ বছর পর এখন জেডিইউ ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যাশিতভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসানো হয়েছে নীতীশকে (Nitish Kumar)।

    শুরু হয়ে গেল সলতে পাকানোর কাজ!

    বিহারে এনডিএ জোটের বৃহত্তর দল হল বিজেপি। তাই নীতীশের মন্ত্রিসভার প্রথম পদ্ম-প্রার্থী রয়েছেন ১৪ জন। আর জেডিইউয়ের আছে মাত্র ন’জন। বিহারের রাজনীতি সম্পর্কে যাঁরা সম্যক অবগত, তাঁরা জানেন, নীতীশ-উত্তর বিহার রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বিজেপি প্রস্তুত করছে সম্রাটকে। বছর সাতান্নর এই বিজেপি নেতা বর্তমানে উপমুখ্যমন্ত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাঁকে প্রস্তুত করতেই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের রাশ। বর্তমানে নীতীশের বয়স কমবেশি ৭৪। তাই নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা নিয়ে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। সেই কারণেই শুরু হয়েছে সলতে পাকানোর কাজ, যার জেরে সম্রাটের হাতে তুলে দেওয়া হল স্বরাষ্ট্র দফতরের রাশ।

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই পাটনার ঐতিহাসিক গান্ধী ময়দানে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নীতীশ। তিনি যদি তাঁর এই () মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেন, তাহলে আরও একটি রেকর্ড গড়বেন জেডিইউ সুপ্রিমো। তখন তিনিই হবেন ভারতের দীর্ঘতম-মেয়াদি মুখ্যমন্ত্রী, ভেঙে ফেলবেন সিকিমের পবন চামলিংয়ের রেকর্ডও (Nitish Kumar)।

  • Kerala Mother: কিশোর ছেলেকে উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করতে উদ্যোগী হয়েছিল কেরলের মা!

    Kerala Mother: কিশোর ছেলেকে উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করতে উদ্যোগী হয়েছিল কেরলের মা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর পনেরোর এক কিশোরকে আইএসআইএসের মতাদর্শে দীক্ষিত করতে অনুপ্রাণিত করছে কেরলের (Kerala Mother) এক মা! ব্রিটেন-ভিত্তিক এক আইএসআইএস সমর্থকের সঙ্গে যোগাযোগ করে (UK) ওই মা ওই কিশোরকে উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করতে চেয়েছিল। অন্তত কেরল পুলিশের এফআইআরে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে। ওই কিশোরের মগজ ধোলাই করতে তাকে আইএসআইএসের বিভিন্ন প্রচারের ভিডিও দেখানো হয়েছিল। শেখানো হয়েছিল অন্যান্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা করতে। উৎসাহিত করা হয়েছিল জঙ্গি গোষ্ঠীটির মতবাদ গ্রহণে।

    ইউএপিএ আইনে দায়ের এফআইআর (Kerala Mother)

    ইউএপিএ আইনের আওতায় দায়ের করা এই এফআইআরে এই দু’জনকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমজন, আনজার নামে পরিচিত, নথিতে তাকে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বর্তমানে সে বসবাস করছে ব্রিটেনের লেস্টারে। তদন্তকারীদের মতে, সে-ই কিশোরটিকে তার ল্যাপটপে আইএসআইএসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ভিডিও দেখাত এবং সংগঠনের আদর্শকে ইসলামের শ্রেষ্ঠ পথ হিসেবে তুলে ধরত। এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, আনজার কিশোরটিকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে আইএসআইএস-ই ইসলামের প্রকৃত পথ এবং তাকে অন্যান্য ধর্মের প্রতি শত্রুতা গড়ে তুলতে উৎসাহিত করেছিল। আর দ্বিতীয় অভিযুক্ত হল ওই কিশোরের মা, ফিধা মহম্মদ আলি। তদন্তকারীদের মতে, সে এই র‍্যাডিকালাইজেশনের চেষ্টা সমর্থন করত, সাহায্যও করত। এফআইআরে বলা হয়েছে, সে আনজারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করত। পুলিশ সূত্রের খবর, এ থেকেই অনুমান এরা দু’জনে মিলেই কিশোরটিকে প্রভাবিত, পরিচালনা এবং মতাদর্শগতভাবে দীক্ষিত করার চেষ্টা করছিল।

    তদন্তে এনআইএ

    কেরল পুলিশের মতে, এই ঘটনাটি একটি বড় নেটওয়ার্কের অংশ হতে পারে। প্রাথমিক তথ্যে ইঙ্গিত মিলেছে যে জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত স্লিপিং সেলের সদস্যরা হয়তো রাজ্যের কিছু এলাকায় সক্রিয় থাকতে পারে। এনআইএ ইতিমধ্যেই প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে এবং পুরো তদন্তভার গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে (Kerala Mother)। প্রসঙ্গত, এই আনজারের ভাই সিদ্দিকল ২০১৬ সালের কানাকামালা আইএসআইএস ষড়যন্ত্র মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। ওই মামলায় কেরল ও তামিলনাড়ুতে হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আটজনের বিরুদ্ধে (UK) চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, ওই তদন্ত চলাকালীন আনজার নজরদারিতে থাকলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি, কারণ সেই সময় সে ইউক্রেনে থাকত (Kerala Mother)।

  • INDI Block: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরতেই অশান্তি শুরু ‘ইন্ডি’ জোটের অন্দরে

    INDI Block: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরতেই অশান্তি শুরু ‘ইন্ডি’ জোটের অন্দরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল (Bihar Assembly Polls Result) বেরনোর পর অশান্তি শুরু হয়েছিল ‘ইন্ডি’ জোটের (INDI Alliance) অন্দরে। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই চওড়া হচ্ছে জোটের ফাটল। বিহারে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’র। তারপরেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে দলীয় কোন্দল। ‘ইন্ডি’র একাধিক শরিক দল এবং আঞ্চলিক সহযোগীরা প্রকাশ্যে কংগ্রেস নেতৃত্বের কৌশল, নেতৃত্ব ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। যার জেরে অচিরেই এই জোট ছেড়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দল বেরিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

     ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল (INDI Alliance)

    ২৪৩টি আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় বিজেপি একাই ১০১টি আসনে প্রার্থী দিয়ে পেয়েছে ৮৯টি আসন। এনডিএর আর এক শরিক জেডি(ইউ)-ও ১০১টি আসনে প্রার্থী দিয়ে পেয়েছে ৮৫টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ৩৫টি কেন্দ্রের রাশ। তার পরে পরেই কংগ্রেসকে তুলোধনা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল। ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল দেখা গিয়েছিল ভোটের আগেই। বিহারে আসন বিলি নিয়ে জোট থেকে সরে এসেছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। তাদের অভিযোগ, আলোচনায় তাদের উপেক্ষা করা হয়েছে এবং আগের বৈঠকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলিও মানা হয়নি। জেএমএম নেতাদের মতে, বিহারের ঘটনা একটি বড় সমস্যার প্রতিফলন, আঞ্চলিক মিত্রদের ছোট অংশীদার হিসেবে দেখা হচ্ছে, সমান অংশীদার হিসেবে নয়। এখন দলটি ভবিষ্যতে যৌথ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে অংশগ্রহণ পুনর্বিবেচনা করছে। কারণ এর মধ্যে ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিও অন্তর্ভুক্ত (Bihar Assembly Polls Result)।

    ‘ইন্ডি’ জোট পরাস্ত

    বিহারে ‘ইন্ডি’ জোট পরাস্ত হওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীও। তারা একে বিরোধী শিবিরের জন্য একটি সতর্কবার্তা বলে উল্লেখ করেছে। দলের শীর্ষ নেতারা শুধু নির্বাচনী কৌশল নয়, ‘ইন্ডি’ জোটের অভ্যন্তরীণ সমন্বয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন (INDI Alliance)।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্যস্তরের কংগ্রেস ইউনিটগুলির একতরফা সিদ্ধান্ত,  যার মধ্যে বেশ কিছু আসনে একা লড়াই করা, যৌথ কৌশলকে দুর্বল করেছে। ইউবিটি নেতৃত্বের মতে, বড় দলগুলি যদি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের আগে মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা না করে, তাহলে ‘ইন্ডি’ জোট মসৃণভাবে চলতে পারবে না।

    সমাজবাদী পার্টির সাফ কথা

    এদিকে, সমাজবাদী পার্টি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, জোটের জন্য এখনই বড় ধরনের সংশোধন জরুরি। এসপি প্রধান অখিলেশ যাদব বিহারে প্রক্রিয়াগত অনিয়মের কথা তুলে ধরে জোটকে এই মর্মে সতর্ক করেছেন যে, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও ভবিষ্যতের লড়াইকে ব্যাহত করতে দেওয়া যাবে না। ‘ইন্ডি’ জোটের অনেক শরিকই এখন বিকেন্দ্রীকৃত নেতৃত্ব মডেলের সপক্ষে কথা বলতে শুরু করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, যেখানে আঞ্চলিক দলগুলি, বিশেষ করে যাদের রাজ্যে শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে, তারা জাতীয় কৌশলে আরও বেশি গুরুত্ব পাবে। এই আলোচনায় এসপি একটি প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে উঠছে (INDI Alliance)।

    আপ-থিওরি

    এরই পাশাপাশি আম আদমি পার্টির একক লড়াইয়ের সিদ্ধান্তকেও সমর্থন করছেন অনেকে। আম আদমি পার্টি ‘ইন্ডি’ জোটেই ছিল। তবে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আলাদাভাবে লড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একে জোটের কাঠামোগত দুর্বলতা বলেই ধরে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আপ নেতাদের মতে, রাজ্যস্তরের বিস্তার কোনওভাবেই একটি ঢিলেঢালা জাতীয় প্ল্যাটফর্মের স্বার্থে বিসর্জন দেওয়া যায় না। দলের স্বশাসনের ওপর জোর এখন এমন একটি রূপরেখা হয়ে উঠছে, যা ‘ইন্ডি’ জোট যদি সমন্বয় ও আসন-সমঝোতা নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগগুলির সমাধান না করে, তবে অন্যান্য আঞ্চলিক মিত্ররাও তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারে (Bihar Assembly Polls Result)।

    কংগ্রেসের লড়াই

    বস্তুত, বিহারে কংগ্রেসের লড়াই ছিল ভাবমূর্তির। তাই ওই নির্বাচনে কংগ্রেস গোহারা হারতেই অস্বস্তিকর প্রশ্ন উঠেছে জোটের ভেতরেই। দলীয় শীর্ষ নেতৃত্ব ব্যক্তিগতভাবে স্বীকার করছেন যে একটি বড় হিন্দিভাষী রাজ্যে দুর্বল পারফরম্যান্স আসন-বিন্যাস নিয়ে আগাম সমঝোতায় তাদের দরকষাকষির শক্তি কমিয়ে দিচ্ছে। অনেক শরিক দল আবার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জোট টিকিয়ে রাখতে হলে কংগ্রেসকে সংগঠনিক পদ্ধতি, নির্বাচন পরিচালনা ও প্রার্থী নির্বাচনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে। অন্যদের মতে, স্বচ্ছ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ছাড়া জাতীয় জোট কোনওভাবেই সফল হতে পারে না (INDI Alliance)।

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ‘ইন্ডি’ জোট এখন একটি বড় সমস্যার মুখোমুখি। এই পরিস্থিতি সামলাতে দ্রুত যোগাযোগ, আস্থাবর্ধক উদ্যোগ এবং আসন-বিলি নিয়ে সুস্পষ্ট একটা নীতির ভীষণ প্রয়োজন। দীর্ঘ মেয়াদে জোটকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আঞ্চলিক দলগুলির শক্তিকে প্রতিফলিত করে নিজেদের কাঠামো পুনর্গঠন করতে তারা প্রস্তুত কি না (Bihar Assembly Polls Result)।

  • Ramakrishna 514: “জল স্থির থাকলেও জল,—হেললে দুললেও জল…হেলা দোলা থেমে গেলেও সেই জল”

    Ramakrishna 514: “জল স্থির থাকলেও জল,—হেললে দুললেও জল…হেলা দোলা থেমে গেলেও সেই জল”

    ৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৪ই জুলাই

    শ্রীশ্রীরথযাত্রা দিবসে বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    মাস্টার—আমাদের সব নিচে যাওয়া উচিত ছিল।

    পূর্বকথা—আশ্বিনের ঝড়ে শ্রীরামকৃষ্ণ—৫ই অক্টোবর, ১৮৬৪ খ্রী:

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যে ঘরে বাস, তারই এই দশা! এতে আবার লোকে অহংকার। (মাস্টারকে) তোমার আশ্বিনের ঝড় মনে আছে?

    মাস্টার—আজ্ঞা (Kathamrita), হাঁ। তখন খুব কম বয়স—নয়-দশ বছর বয়স—একঘরে একলা ঠাকুরদের ডাকছিলাম!

    মাস্টার বিস্মিত হইয়া ভাবিতেছেন—ঠাকুর হঠাৎ আশ্বিনের ঝড়ের দিনের কথা জিজ্ঞাসা করিলেন কেন? আমি যে ব্যাকুল হয়ে কেঁদে একাকী একঘরে বসে ঈশ্বরকে প্রার্থনা করেছিলাম, ঠাকুর কি সব জানেন ও আমাকে মনে করাইয়া দিতেছেন? উনি কি জন্মাবধি আমাকে গুরুরূপে রক্ষা করিতেছেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—দক্ষিণেশ্বরে অনেক বেলায়—তবে কি কি রান্না হল। গাছ সব উলটে পড়েছিল! দেখ যে ঘরে বাস, তারই এ-দশা!

    “তবে পূর্ণজ্ঞান হলে মরা মারা একবোধ হয়। মলেও কিছু মরে না — মেরে ফেল্লেও কিছু মরে না যাঁরই লীলা তাঁরই নিত্য। সেই একরূপে নিত্য, একরুপে লীলা। লীলারূপ ভেঙে গেলেও নিত্য আছেই। জল স্থির থাকলেও জল,—হেললে দুললেও জল। হেলা দোলা থেমে গেলেও সেই জল।”

    ঠাকুর (Ramakrishna) বৈঠকখানা ঘরে ভক্তসঙ্গে আবার বসিয়াছেন। মহেন্দ্র মুখুজ্জে, হরিবাবু, ছোট নরেন ও অন্যান্য অনেকগুলি ছোকরা ভক্ত বসিয়া আছেন। হরিবাবু একলা একলা থাকেন ও বেদান্তচর্চা করেন। বয়স ২৩।২৮ হবে। বিবাহ করেন নাই। ঠাকুর তাহাকে বড় ভালবাসেন। সর্বদা তাঁহার কাছে যাইতে বলেন। তিনি একলা একলা থাকতে চান বলিয়া হরিবাবু ঠাকুরের কাছে অধিক যাইতে পারেন না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হরিবাবুকে) — কি গো, তুমি অনেকদিন আস নাই।

    হরিবাবুকে উপদেশ—অদ্বৈতবাদ ও বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ—বিজ্ঞান

    “তিনি একরূপে নিত্য, একরূপে লীলা। বেদান্তে কি আছে?—ব্রহ্ম সত্য জগৎ মিথ্যা। কিন্তু যতক্ষণ ‘ভক্তের আমি’ রেখে দিয়েছে, ততক্ষণ লীলাও সত্য। ‘আমি’ যখন তিনি পুছে ফেলবেন, তখন যা আছে তাই আছে। মুখে বলা (Kathamrita) যায় না। যতক্ষণ ‘আমি’ রেখে দিয়েছেন, ততক্ষণ সবই নিতে হবে। কলাগাছের খোল ছাড়িয়া ছাড়িয়া মাজ পাওয়া যায়। কিন্তু খোল থাকলেই মাজ আছে। মাজ থাকলেই খোল আছে। খোলেরই মাজ, মাজেরই খোল। নিত্য বললেই লীলা আছে বুঝায়। লীলা বললেই নিত্য আছে বুঝায়।

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যসচিবের ফোন থেকে রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে রোজ কথা মমতার! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মুখ্যসচিবের ফোন থেকে রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে রোজ কথা মমতার! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যসচিবের ফোন ব্যবহার করে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক এই অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের কাছে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যে ইতিমধ্যে এসআইআর-এর (SIR) কাজ চলছে আর তৃণমূলনেত্রী প্রথম থেকেই এসআইআর-এর বিরোধিতা করতে সব রকম প্রচার এবং চেষ্টা চালাচ্ছেন। কেন মনোজ পন্থের ফোন থেকে প্রতিদিন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরুণ প্রসাদকে ফোন করেন মমতা? উদ্দেশ্য কী? রীতিমতো তথ্যপ্রমাণ দিয়ে নির্বাচনী কমিশনে নালিশ শুভেন্দুর।

    ২০ মিনিট কথা অরুণ- মমতার (Suvendu Adhikari)!

    শুক্রবার শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি কমিশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে উপযুক্ত প্রমাণ এবং তথ্য দিয়েছেন। শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের ফোন ব্যবহার করে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরুণ প্রসাদের সঙ্গে প্রায় প্রায়ই কথা বলেন। শেষ যে দিন বিজেপির প্রতিনিধিদল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল, সেই দিনও অরুণ ২০ মিনিট মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন। মমতা কোন নির্দেশ দিচ্ছেন? এর আগে এসআইআরে কর্মরত ৬৭ জন বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। কেন কমিশন কড়া পদেক্ষপ নিচ্ছে না।” শুক্রবার কমিশনের কাছে এই মর্মে প্রশ্নও তোলেন শুভেন্দু অধিকারী।

    হিন্দু শরণার্থীদের ভোটার তালিকায় তুলতে হবে

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আরও বলেন, “রাজ্যের জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে। প্রশাসনের একাংশ শাসকদলের নির্দেশে অনুপ্রবেশকারীদের সবরকম সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয় অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ভোটার তালিকায় নিজেদের সুরক্ষিত রেখে ভোট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থার জন্য কাজ করে যাচ্ছে তৃণমূল। হিন্দু শরণার্থীদের নাম তোলার (SIR) বিষয়ে কমিশনকে ভাবতে হবে। সমস্ত অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ দিতে হবে।”

    তবে শুভেন্দুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন দফতরের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সূত্রের খবর রাজ্য নির্বাচন দফতর অফিসিয়ালি কিছু জানাবে না। এই সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে যা বলার নির্বাচন কমিশনই বলবে।

  • Assembly Election 2026: ছাব্বিশের নির্বাচনে ইভিএমের একাধিক নিয়মে বদল আনতে চলেছে কমিশন

    Assembly Election 2026: ছাব্বিশের নির্বাচনে ইভিএমের একাধিক নিয়মে বদল আনতে চলেছে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এসআইআর আবহের মধ্যেই ২০২৬ সালের ভোট প্রস্তুতি (Assembly Election 2026) শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন। ইভিএম সংক্রান্ত একাধিক নিয়মে বদল আনতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ইভিএম মেশিনে এবার থেকে নির্বাচনী প্রার্থীদের নামের সঙ্গে ছবিও সংযুক্ত করা হবে। ফলে বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গ সহ অসম, তামিলনাড়ু এবং পণ্ডিচেরিতে বিধানসভা নির্বাচন, তাই আগেভাগেই একাধিক নিয়ম বদলের কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের জন্য সবরকম প্রস্তুতিকে খতিয়ে দেখছে কমিশন এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপও গ্রহণ করবে।

    প্রার্থীর নামের পাশে ছবি (Assembly Election 2026)

    সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, “ইভিএমে প্রত্যেক প্রার্থীর নামের পাশে ছবি থাকবে। মেশিনে এতোদিন কেবলমাত্র নাম থাকত। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ইভিএমে নামের সঙ্গে প্রার্থীদের ছবিও থাকবে। প্রায় সময়েই দেখা যায় বিধানসভা ক্ষেত্রে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে একই নামের প্রার্থী থাকেন অনেকজন। ফলে এইরকম পরিস্থিতিতে একাধিক প্রার্থী তালিকায় নামের সঙ্গে ছবি থাকলে ভোটদাতাদের প্রার্থী নির্বাচন (Assembly Election 2026) করতে সুবিধা হবে। আর তাই নামের পাশে মেশিনে প্রার্থীদের ছবি থাকবে। প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় সেই ছবি দেখিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।”

    ১.৩ লক্ষের মতো ইভিএম প্রস্তুত

    কমিশন জানিয়েছে, ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election 2026) রাজ্যে বুথ সংখ্যা প্রায় ১৫০০০ বৃদ্ধি পাবে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বচানে পশ্চিমবঙ্গে বুথের সংখ্যা ছিল ৮০৬৮১। এবারে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৯৫০০০। ফলে আরও বেশি পরিমাণে ইভিএম মেশিন লাগবে। তবে এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত মেশিন আছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে বাংলায় কত ইভিএম? এই প্রশ্নের উত্তরে কমিশন জানায়, ব্যালট কন্ট্রোল ইউনিট, রিজার্ভ মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জন্য তাদের হাতে আপাতত ১.৩ লক্ষের মতো ইভিএম আছে। আর ভিভিপ্যাট মেশিন আছে ১.৩৫ লক্ষআপাত ভাবে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনায় কোনওরকম সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)

    এদিকে এসআইআর প্রসঙ্গে রাজ্যে তৃণমূল-বিজেপি তরজা তুঙ্গে। বাংলাদেশিদের ব্যাঙ্কের খাতায় ঢুকেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। তা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। অপর দিকে এসআইআর-এ নথি দেখানোর ভয়ে বসিরহাটের হাকিমপুরে হাজার হাজার বাংলাদেশি বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে ভিড় জামাচ্ছে। কেউ ১ বছর কেউ বা ১০ বছর অবৈধ ভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন। ফলে রাজ্যে অনুপ্রবেশদের ভোট কমার আশঙ্কায় তৃণমূল এখন চরম চাপে।

  • Shivraj Singh Chouhan: মোদি জমানায় ভারতের খাদ্যশস্য উৎপাদনে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি, জানালেন শিবরাজ সিং

    Shivraj Singh Chouhan: মোদি জমানায় ভারতের খাদ্যশস্য উৎপাদনে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি, জানালেন শিবরাজ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় গত ১০ বছরে খাদ্যশস্য উৎপাদনে (Foodgrain Production) সর্বোচ্চ বৃদ্ধির সীমাকে অতিক্রম করেছে ভারত। সর্বশেষ সরকারি তথ্য অনুসারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং জানিয়েছেন, ২০১৫-১৬ সালে ২৫১.৫৪ মিলিয়ন টন থেকে উৎপাদন ১০৬ মিলিয়ন টন বৃদ্ধি ঘটিয়ে ২০২৪-২৫ সালে ৩৫৭.৭৩ মিলিয়ন টনে পৌঁছে গিয়েছে খাদ্যশস্য উৎপাদন। ২০১৪ থেকে কেন্দ্রের মোদি সরকারের স্বদেশী উৎপাদননীতি এবং আত্মনির্ভর নীতির ফলেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশ এখন একটি বিশেষ জায়গা দখল করেছে। এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

    চাল-গম-মুগের উৎপাদন বৃদ্ধি

    কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan) বলেছেন, “চাল উৎপাদনও ১,৫০১.৮৪ লক্ষ টনের রেকর্ড স্তরে পৌঁছেছে ভারত। এই সাফল্য গত বছরের ১,৩৭৮.২৫ লক্ষ টনের তুলনায় ১২৩.৫৯ লক্ষ টন বেশি। পাশাপাশি গমের উৎপাদনও (Foodgrain Production) রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি করেছে ভারত। ২০২৪-২৫ সালে গমের উৎপাদন মাত্রা হয়েছে ১,১৭৯.৪৫ লক্ষ টন। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১,১৩২.৯২ লক্ষ টন উৎপাদনের তুলনায় যা ৪৬.৫৩ লক্ষ টন বেশি। একই ভাবে উৎপাদনে বৃদ্ধি পেয়েছে মুগ ডাল, সয়াবিন এবং চিনাবাদামও। মুগ ডালের ক্ষেত্রে উৎপাদন বেড়ে ৪২.৪৪ লক্ষ টন, সয়াবিনের ক্ষেত্রে বেড়েছে ১৫২.৬৮ লক্ষ টন এবং চীনাবাদামের ক্ষেত্রে বেড়ে হয়েছে ১১৯.৪২ লক্ষ টন।”

    কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, “ভুট্টা এবং বাজরা উৎপাদন যথাক্রমে ৪৩৪.০৯ লক্ষ টন এবং ১৮৫.৯২ লক্ষ টন বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুই খাদ্যশস্যের উৎপাদন গত বছর ছিল ৩৭৬.৬৫ লক্ষ টন এবং ১৭৫.৭২ লক্ষ টন। সবটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কৃষিক্ষেত্রের দ্রুত পরিবর্তনের প্রতিফলন। ২০২৩-২৪ সালে তৈলবীজ উৎপাদন ছিল ৩৯৬.৬৯ লক্ষ টন। এইবার ২০২৪-২৫ সালে মোট তৈলবীজ উৎপাদন রেকর্ড হয়েছে ৪২৯.৮৯ লক্ষ টন। মোট উৎপাদন বৃদ্ধির পরিমাণ ৩৩.২০ লক্ষ টন।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বেই উন্নয়ন

    খাদ্যশস্য উৎপাদনের (Foodgrain Production) এই বৃদ্ধিতে রয়েছে চিনাবাদাম এবং সয়াবিনের রেকর্ড উৎপাদন। যার পরিমাণ যথাক্রমে ১১৯.৪২ লক্ষ টন এবং ১৫২.৬৮ লক্ষ টন। এটি গত বছরের ১০১.৮০ লক্ষ টন এবং ১৩০.৬২ লক্ষ টন থেকে ১৭.৬২ লক্ষ টন এবং ২২.০৬ লক্ষ টন বৃদ্ধি। রেপসিড এবং সরিষা উৎপাদন হয়েছে আনুমানিক ১২৬.৬৭ লক্ষ টন।

    কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ (Shivraj Singh Chouhan) ভবিষ্যতের আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তর আলোচনা করেছেন। তিনি বর্তমান ভারতের উৎপাদন নিয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। তাঁর সাফ কথা, “প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে চালু হওয়া ডালে আত্মনির্ভরশীলতা মিশন-ই ডাল উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।” সরকারের বিভিন্ন কৃষি কল্যাণ কর্মসূচি খাদ্যশস্য উৎপাদনে একই রকম ইতিবাচক ফলাফলকে আরও সুদূরপ্রসারী করবে। তুর, উড়াদ, ছানা এবং মুগের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ক্রয়ের নিশ্চয়তার কথাও তুলে ধরেছেন তিনি। কেন্দ্রের সুশাসন এবং সুপ্রকল্পিত নীতি সারা দেশের বিপুল সংখ্যক কৃষককে উপকৃত করেছে বলে উল্লেখ করেছেন শিবরাজ সিং।

  • RSS: “আরএসএসের মতো সংগঠন আর দ্বিতীয়টি নেই”, মণিপুরে দাঁড়িয়ে বললেন ভাগবত

    RSS: “আরএসএসের মতো সংগঠন আর দ্বিতীয়টি নেই”, মণিপুরে দাঁড়িয়ে বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আরএসএসের (RSS) মতো সংগঠন আর দ্বিতীয়টি নেই। যেমন সমুদ্র, আকাশ, মহাসাগরের তুলনা নেই, তেমনি সংঘেরও নেই।” মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। মণিপুর সফরের প্রথম দিনে ইম্ফলে বিশিষ্টজনেদের এক সমাবেশে ভাষণ দেন তিনি। নিজের বক্তব্যে ভাগবত সংঘের সভ্যতাগত ভূমিকা, জাতীয় দায়িত্ব এবং শান্তিপূর্ণ ও দৃঢ় মণিপুর গঠনের জন্য যেসব চেষ্টা চলছে, সে কথাও তুলে ধরেন। ভাগবত বলেন, “সংঘ প্রতিদিনই দেশব্যাপী আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। এর অনেকটাই ধারণা ও প্রচারের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।”

    আরএসএস (RSS)

    এর পরেই সরসংঘচালক বলেন, “আরএসএসের মতো সংগঠন আর নেই। যেমন সমুদ্র, আকাশ, মহাসাগরের তুলনা নেই, তেমনি সংঘেরও নেই। সংঘ স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠেছে এবং প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পরে এর কর্মপদ্ধতি দৃঢ়ভাবে স্থির করা হয়। সংঘকে বোঝার জন্য শাখায় যেতে হয়। সংঘের লক্ষ্য সমাজে কোনও ক্ষমতার কেন্দ্র তৈরি করা নয়, বরং বিরোধীদেরও অন্তর্ভুক্ত করে সমগ্র হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করা।” তিনি জানান, ১৯৩২–৩৩ সাল থেকেই আরএসএসকে (RSS) নিয়ে ভ্রান্ত তথ্য প্রচার করা শুরু হয়, বিশেষত ভারতের বাইরে থেকে, যেখানে ভারতের সভ্যতাগত চরিত্র সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না। তিনি সত্যের ভিত্তিতে সংঘকে বোঝার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারকে স্মরণ করে তিনি বলেন, “হেডগেওয়ার ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র, জন্মগত দেশপ্রেমিক এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের সকল ধারায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।”

    সংঘ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা

    তিনি বলেন, “সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ও গুণগতভাবে উন্নত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই হেডগেওয়ার সংঘ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সংঘ মানুষ গড়ার একটি পদ্ধতি।” মানুষকে শাখা ব্যবস্থার মাধ্যমে সংঘকে বোঝার আহ্বান জানান তিনি। ভাবগত বলেন, “হিন্দু শব্দটি কোনও ধর্মীয় পরিচয় নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত (RSS) শব্দ। হিন্দু একটি বিশেষণ, বিশেষ্য নয়।” তিনি বলেন, “একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রের জন্য গুণমান ও ঐক্য অত্যন্ত জরুরি। রাষ্ট্রের উন্নতি কেবল নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করে না। এর জন্য দরকার শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ একটা সমাজের (Mohan Bhagwat)।” হিন্দু ভাবনার অন্তর্ভুক্তির উদাহরণ হিসেবে ভাগবত শাস্ত্রের একটি বচন উদ্ধৃত করে বলেন, “একং সদ্‌ বিপ্রাঃ বহুধা বদন্তি। সত্য, করুণা, পবিত্রতা ও তপস্যাই ধর্মের সারসত্তা।” তিনি বলেন, “বৈচিত্র্য কোনও মিথ নয়। বৈচিত্র্য সমাজের অভ্যন্তরীণ ঐক্যের প্রকাশ (RSS)।”

    ভারতের প্রাচীন রাষ্ট্রভাবনা

    ভারতের প্রাচীন রাষ্ট্রভাবনা সম্পর্কে সরসংঘচালক বলেন, “ভারত পশ্চিমী রাষ্ট্রব্যবস্থার অনুসরণে গঠিত হয়নি। এটি আবির্ভূত হয়েছে মানবকল্যাণের জন্য প্রাচীন ঋষিদের তপস্যার ফল হিসেবে। বসুধৈব কুটুম্বকম প্রাচীন হিন্দু দর্শনের বিশ্বজনীন মানবিকতার প্রতিফলন (Mohan Bhagwat)।” এদিনের সভায় সরসংঘচালক একজোট হওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, “আমাদের সমাজ যত শক্তিশালী হবে, বিশ্ব আমাদের কথা তত শুনবে। দুর্বলদের কথা কেউ শোনে না। সংঘের লক্ষ্য হল শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল হিন্দু সমাজ গঠনের জন্য সক্ষম ব্যক্তিদের প্রস্তুত করা (RSS)।” ভাগবত বলেন, “আরএসএস নিজের মাহাত্ম্য প্রচারের জন্য কাজ করে না। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, তেরা বৈভব অমর রহে মা, হম দিন চার রহে না রহে। একথা আমাদের গুরুরাই বলেছেন।”

    পঞ্চ পরিবর্তন

    আরএসএসের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে যে পঞ্চ পরিবর্তন চলছে, এদিন সেই উদ্যোগগুলির কথাও উল্লেখ করেন ভাগবত। তিনি বলেন, “এই পঞ্চ পরিবর্তন (Mohan Bhagwat) হল, সামাজিক সমরসতা (সামাজিক ঐক্য), কুটুম্ব প্রবর্তন (পারিবারিক জাগরণ), প্রয়াভরণ সংরক্ষণ (পরিবেশ রক্ষা), স্ববোধ (স্বদেশি ভাবনা ও আত্মপরিচয় শক্তিশালী করা) এবং নাগরিক কর্তব্য। আরএসএস প্রধান মণিপুরের শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রশংসা করেন, বিশেষত উৎসব-অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা ও মাতৃভাষা ব্যবহারের। এগুলিকে আরও সুদৃঢ় করার পরামর্শও দেন তিনি (RSS)।

    ভাগবতের বক্তব্য

    মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ভাগবত বলেন, “সমাজ ও সম্প্রদায়স্তরে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ধ্বংস কয়েক মিনিটে হয়, কিন্তু নির্মাণে লাগে বহু বছর, বিশেষত সেটি যদি আবার সকলকে সঙ্গে নিয়ে এবং কাউকে আঘাত না দিয়ে করতে হয়। শান্তি স্থাপনে ধৈর্য, সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সামাজিক শৃঙ্খলা প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব কিছু সরকারের ওপর ছেড়ে দিলে হবে না, সমাজের দায়িত্বও বিশাল। স্বনির্ভর সমাজ গড়তে হবে, তবেই স্বনির্ভর ভারত সম্ভব। সংঘ সবসময় শক্তিশালী সামাজিক ভিত্তির ওপর জোর দেয়।” দক্ষতা উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন ভাগবত। তিনি বলেন, “একটি অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী সমাজ গঠনের জন্য দক্ষতা (Mohan Bhagwat) উন্নয়ন ভীষণ প্রয়োজন। ভাবগত বলেন, “সজ্জন শক্তির দ্বারা সম্পূর্ণ সমাজ গঠন করাও প্রয়োজন (RSS)।”

  • SIR: এসআইআর-এ তথ্যের গোলমাল! ৭ বিএলওকে শোকজ নির্বাচন কমিশনের

    SIR: এসআইআর-এ তথ্যের গোলমাল! ৭ বিএলওকে শোকজ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিবিড় তালিকা সংশোধনে তথ্যের হেরফের এবং গোলমালের অভিযোগ! এবার ৭ বিএলওকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিএলওরা ডিজিটাইজেশন নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এই প্রকিয়ার কাজ সম্পন্ন করতে টেকনিক্যাল নানা সমস্যা হচ্ছে। ঠিক এই সময় পর্বেই বেশ কিছু তালিকার তথ্যের হেরফের দেখা গিয়েছে। আর এই ব্যাপারে উপযুক্ত জবাব চাওয়া হয়েছে কমিশনের (Election Commission) তরফে । তবে উপযুক্ত জবাব না পেলে হতে পারে কড়া ব্যবস্থা। রাজ্য এসআইআর (SIR) আবহে উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে।

    বিএলওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে (SIR)

    কমিশন (Election Commission) সূত্রে জানা গিয়েছে, “কলকাতার বেলেঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের সাতজন বিএলও-কে শোকজ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। মূলত ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়ার কাজকে কেন্দ্র করেই এই অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি পালন করে ডিজিটাইজেশন করা হয়নি বলে অভিযোগ। শুক্রবার দুপুরের মধ্যে কেন ঠিকমতো কাজ করতে পারেননি? এই বিষয়ে বিশদে জানতে চাওয়া হয়েছে ওই বিএলওদের কাছে। তবে এসআইআর (SIR) সংক্রান্ত  সন্তোষজনক উত্তর না পেলে ওই নির্দিষ্ট বিএলওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।”

    সামান্যতম অনিয়ম মানতে চায়না কমিশন

    নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সাফ নির্দেশ ছিল, সংগ্রহ করা ফর্মের ৩০ শতাংশ ডিজিটাইজ করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে নির্ধারিত সময়ে মাত্র ৪ থেকে ৮ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজ করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন এলাকার বিএলওরা নানা ভাবে অসুবিধার মধ্যে পড়ছেন বলে অভিযোগও করা হয়েছে। কিন্তু এই কাজে আবার একাধিক জায়গায় বেশ কিছু তথ্যের গোলমাল ধরা পড়েছে। কাজের ক্ষেত্রে সামান্যতম অনিয়ম মানতে চায় না কমিশন। তাই জবাবে সন্তোষ না হলে কমিশন শাস্তি দেওয়ার কথা বলেও আগাম ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে। আবার হুগলির কোন্নগরে ফর্ম বিলি (SIR) করতে গিয়ে মাথা ঘুরিয়ে পরে গিয়েছেন বিএলও তপতী বিশ্বাস। তাঁকে হাসপাতালে পর্যন্ত নিতে হয়েছে। ঠিক একই রকম ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জেও।

LinkedIn
Share