Tag: Bengali news

Bengali news

  • Kali Puja 2024: রানাঘাটে চূর্ণী নদীর তীরে জঙ্গলে সিদ্ধেশ্বরী কালীর নামকরণ করেছিলেন ‘রণ ডাকাত’!

    Kali Puja 2024: রানাঘাটে চূর্ণী নদীর তীরে জঙ্গলে সিদ্ধেশ্বরী কালীর নামকরণ করেছিলেন ‘রণ ডাকাত’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাতা কালিকা দশম মহাবিদ্যার একটি বিদ্যা। তিনি ভীষণ-দর্শনা। শক্তি ও সাহসের দেবী। ডাকাতরা নাকি কোথাও ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে মা কালীর (Kali Puja 2024) আরাধনা করত, এমন গল্প তো প্রচলিত রয়েছেই। এ নিয়ে বহু গল্প, উপন্যাস সংকলিত হয়েছে। ‘ডাকাত কালী’ আজও বাঙালির কাছে একটা মিথ হয়ে রয়েছে। রণ ডাকাতের প্রতিষ্ঠিত নদিয়ার রানাঘাটে সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে মায়ের (Ranaghat Siddheswari Kali) আরাধনা করে তাঁর বাহিনী ডাকাতি করতে যেত।

    কেন সিদ্ধেশ্বরী নামকরণ? (Kali Puja 2024)

    সপ্তদশ শতকে চূর্ণী নদীর তীরের জঙ্গল। লোক বসতি একদমই নেই। এখানেই থাকতেন ডাকাত দলের সর্দার রণ এবং তাঁর বাহিনী। মায়ের আরাধনা করে তিনি ডাকাতি করতে যেতেন। এমনটাই জনশ্রুতি রয়েছে ওখানে। আরও প্রচলিত বিশ্বাস রয়েছে যে, মা কালী সমস্ত কামনা পূরণ করতেন, তাই রণ ডাকাত এই মায়ের নাম সিদ্ধেশ্বরী রাখেন। মূলত ডাকাত রণ-র নাম অনুসারে চূর্ণী নদীর এই তীর রাণাঘাট নামে পরিচিত হয় বলেও শোনা যায়।

    মন্দির তৈরির ইতিহাস

    মন্দিরের (Kali Puja 2024) দেবীমূর্তি দক্ষিণা কালিকা বিগ্রহ। জনশ্রুতি রয়েছে, সেসময় বাংলায় ইংরাজের উত্থান সবে শুরু হয়েছে। একদিন এক ইংরাজ সাহেব প্রাণভয়ে ভীত হয়ে দেবীর মন্দিরে ছুটে এসে ঢুকে পড়েছিলেন এবং আত্মত্রাণের জন্য দেবীর চরণ স্পর্শ করে প্রার্থনা জানিয়েছিলেন। তখন ছিল রাত্রিবেলা। ইংরাজটি সে রাত্রে রক্ষা পেয়েছিলেন। কিন্তু ইংরেজদের তখন ম্লেচ্ছ মানা হত। তাই ম্লেচ্ছ স্পর্শের কারণে তখনকার সংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের বিবেচনায় দেবীকে নদীগর্ভে বিসর্জন দেওয়া হয়েছিল, সেই সঙ্গে দেবীর মন্দিরটিও ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এরপর সে সময়কার সেবাইতের চেষ্টায় স্থানীয় ঘটক বংশীয় দুইজন ভক্ত ও জমিদার পাল চৌধুরীদের এক কর্তাব্যক্তির সহায়তায় দেবীর শিলাময়ী মূর্তি কাশীধাম থেকে এনে কোঠা মন্দির অর্থাৎ চাঁদনী জাতীয় মন্দির (বর্তমান মন্দিরের গর্ভগৃহ) নির্মাণ করে দেবীকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তখন থেকেই শিলাময়ী দক্ষিণা কালীর মূর্তিটিই সিদ্ধেশ্বরী নামে রানাঘাটের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবে পূজিতা হচ্ছেন। এই মূর্তিটিও প্রাচীন। বয়স দু’শ বছরের কম নয়। মন্দিরের পাশে ছোট একটি মন্দিরে মহাদেব প্রতিষ্ঠিত আছেন। নাটমন্দির অনেক পরে তৈরি হয়। এ ব্যাপারে কতিপয় স্থানীয় লোকের আর্থিক সাহায্য ছিল।

    নাটমন্দির তৈরির ইতিহাস

    জনশ্রুতি আছে, নাটমন্দির (Kali Puja 2024) তৈরি হওয়ার আগে মন্দিরের দক্ষিণপূর্ব কোণে একটি বিরাট অশ্বত্থ গাছ ছিল। ওই গাছটি নাটমন্দির নির্মাণে বা মন্দিরের অন্যবিধ কাজে বাধা সৃষ্টি করেছিল। অথচ বিপদ-আপদ ঘটে যাওয়ার ভয়ে কেউই গাছটি কাটছিল না। তখন একজন নিঃসন্তান ব্যক্তি গাছটিকে কুঠারাঘাতে কেটে ফেলে। আশ্চর্য তারপর অপুত্রক সেই লোকটির ভাগ্য ফিরে যায় এবং আর্থিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে তাঁর একাধিক সুন্দর স্বাস্থ্যবান পুত্র লাভ হয়। লোকটির প্রত্যেক পুত্রই সুপুত্র এবং তাঁরা জীবনে যথেষ্ট উন্নতি করেছিলেন। নাটমন্দিরটি দালান জাতীয় সাদামাটা আচ্ছাদিত স্থান, শিল্প- বৈশিষ্ট্য বর্জিত। সমগ্র মন্দির চত্বরটি বেশ বড়। দেবীর তত্ত্বাবধানের জন্য দেবত্র হিসেবে জায়গা দিয়েছিলেন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র। এখন তা নেই। রানাঘাটের জনসাধারণ ও অন্যান্য দূর- দূরান্তরের মানুষ দেবী সিদ্ধেশ্বরীকে অতিশয় জাগ্রত মনে করে শ্রদ্ধাভক্তি করেন। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে, মা সিদ্ধেশ্বরী তাঁদের মনস্কামনা পূর্ণ করেন। কালী পুজোর (Kali Puja 2024) সমস্ত রীতি মেনে এই পুজো সম্পন্ন হয়।

    কষ্টিপাথরের মূর্তি!

    শ্বেতমর্মর প্রস্তরে (Kali Puja 2024) তৈরি দুই ধাপ-বিশিষ্ট পঞ্চভুজ বা পঞ্চকোণ পঞ্চমুণ্ডের আসনোপরি দেবী-বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত। সিদ্ধেশ্বরী নাম হলেও দেবী মূর্তিটি সিদ্ধেশ্বরী বিগ্রহ নয়, এই মূর্তি উৎকৃষ্ট কষ্টিপাথর দ্বারা নির্মিত এবং শ্বেতপ্রস্তর খোদিত মহাদেব। প্রতি বৎসর দেবী মূর্তি রং দ্বারা অলঙ্কারিত করা হয়। মূর্তি উচ্চতায় তিন হাতের মতো। মন্দির গৃহ সাবেক আমলের-কড়ি বড়গার ছাদ, মর্মর দ্বারা বাঁধান মেঝে। সম্মুখদ্বারাটি যে প্রাচীনকালের তা দেখলেই বোঝা যায়। মন্দিরের সামনে বলিদানের ‘থান’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার বালুরঘাটের ‘বাহুবলী’ তৃণমূল নেতা

    Balurghat: নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার বালুরঘাটের ‘বাহুবলী’ তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক নাবালিকাকে নির্যাতনকাণ্ডে পলাতক দক্ষিণ দিনাজপুরের আইএনটিটিইউসি’র প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা বাহুবলী নেতা রাকেশ শীল। তাঁর বিরুদ্ধে নাবালিকাকে নির্যাতনের মামলায় হুলিয়া জারি করেছে আদালত। এবার ওই নাবালিকাকেই অপহরণের অভিযোগে জেলে যেতে হল বালুরঘাটের (Balurghat) তৃণমূলের আরও এক বাহুবলী নেতা লগিন দাসকে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Balurghat)

    বালুরঘাটের (Balurghat) রাজনৈতিক মহলে লগিন দাস অত্যন্ত দাপুটে নেতা হিসেবেই পরিচিত। তিনি ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সদলবলে তৃণমূলে যোগ দিয়ে তৃণমূলের (Trinamool Congress) ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন। তাঁর স্ত্রী মনোরমা দাস জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। এছাড়াও বালুরঘাট পুরসভার কাজকর্মেও তাঁর প্রভাব ছিল অনস্বীকার্য। তিনি জেলা ঠিকাদার সংস্থার দীর্ঘদিনের সম্পাদকও ছিলেন। ফলে একদিকে ব্যবসা, অন্যদিকে রাজনীতিতে প্রতিপত্তি, লগিন দাসকে বেতাজ বাদশা করে তুলেছিল। তাঁর বিরুদ্ধেে খুন, জলা জমি ভরাট ইত্যাদি নানা মামলা রয়েছে। এরই মধ্যে গত জুলাই মাসে হিলির এক নাবালিকাকে অপহরণ ও মারধরের মামলা তাঁর বিরুদ্ধে হয়েছিল। ওই নাবালিকার করা পস্কো মামলায় ইতিমধ্যেই পলাতক রয়েছে আরও এক বাহুবলী নেতা। ওই নাবালিকারই দাদা ও বউদির করা পৃথক দুটি মামলাতে অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে ওই মামলায় লগিন দাসও অভিযুক্ত। ওই মামলাতেই লগিন দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বদলে গেল সময়, ২০২৫-এর একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু কখন

    বিজয়া সম্মিলনী থেকে ফিরতেই গ্রেফতার

    বালুরঘাট (Balurghat) শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র ও রাজ্য নেত্রী জয়া দত্তের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজয়া সম্মিলনী। ওই অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হন তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান তথা বাহুবলী নেতা লগিন দাস। বিজয়া সম্মিলনী থেকে বাড়ি ফিরতেই তাঁকে গ্রেফতার করল বালুরঘাট থানার পুলিশ। রাতেই তাঁকে হিলিতে নিয়ে যাওয়া হয়। হিলি থানার দুটি মামলায় গ্রেফতার করা হয় লগিন দাসকে। তাঁকে বালুরঘাট জেলা আদালতে নিয়ে আসা হয়। আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতক তরজা

    বিজেপি (Balurghat) জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, এরা সব নেতা নন, দুষ্কৃতী। তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থেকে সমাজকে দূষিত করে চলেছে। এদের জায়গা জেলখানা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। আইন আইনের পথেই চলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Illegal Bangladeshi Migrants: তোষণের রাজনীতি! অবাধে চলছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন মমতা!

    Illegal Bangladeshi Migrants: তোষণের রাজনীতি! অবাধে চলছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন মমতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ (Illegal Bangladeshi Migrants) যখন তামাম ভারতের দুঃস্বপ্ন, তখন নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! (Mamata Banerjee) এমনই অভিযোগ বিজেপির। পদ্ম নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ দেশের শান্তি বিঘ্নিত করে। পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ বন্ধ করাই একমাত্র উপায়।” ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে একটি নতুন যাত্রী টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে।”

    বাড়ছে অনুপ্রবেশ (Illegal Bangladeshi Migrants)

    প্রবল আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশ ছেড়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পর থেকে উত্তরোত্তর বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। দেশ চালাতে একটা তদারকি সরকার গঠিত হয়েছে ঠিকই, তবে তার পরেও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বাংলাদেশিদের একটা অংশ। মূলত তাঁরাই সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসছেন ভারতে। বাংলাদেশের সংকট প্রতিদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতে অনুপ্রবেশের হারও নিত্যদিন বাড়ছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ (Illegal Bangladeshi Migrants) মাথাব্যথার কারণ অসমেরও। তবে অসম সরকার ইতিমধ্যেই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ এখনও নাকে সর্ষের তেল দিয়েই ঘুমোচ্ছে বলে অভিযোগ। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, গত দু’মাসে অসম এবং ত্রিপুরায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করা ১৩৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “গত দুমাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই আমরা আমাদের রাজ্যে কোনও ব্যক্তি বা একটি দলকে ধরছি। এই সমস্যার সমাধানে রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধন প্রয়োজন। অসম ও ত্রিপুরা এক যোগে কাজ করলেও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীরও সহযোগিতা করা দরকার।”

    কী বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট

    ২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, বাংলাদেশিরাই সর্ববৃহৎ গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এরপর পাকিস্তানিরা। ২০০৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছিল যে, বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক অবৈধ অনুপ্রবেশ হওয়ায় অসম, ত্রিপুরা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যের জনগণের জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে স্থানীয়দের মনে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। ২০০৮ সালে দিল্লি হাইকোর্ট বাংলাদেশি এক নাগরিকের বিতাড়নের বিরুদ্ধে পিটিশন খারিজ করার সময় বলেছিল, অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি-স্বরূপ (Illegal Bangladeshi Migrants)। বাংলায় মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাতে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ১৯৫১ সালের ১৯.৮৪ শতাংশ থেকে ২০১১ সালে এটি বেড়ে হয়েছে ২৭.০১ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: ‘‘দলে টানতেই পারে তৃণমূল’’, তন্ময়কাণ্ড নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন শুভেন্দু

    চোখে ঠুলি বেঁধে রয়েছে শাসক!

    রাজনৈতিক মহলের মতে, কেন্দ্র বারবার এই সমস্যাটি উত্থাপন করলেও, বাংলার শাসকরা (Mamata Banerjee) কানে তুলো এবং চোখে ঠুলি বেঁধে বসে রয়েছেন। তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে, কুর্সি নিশ্চিত করতে গিয়ে বাংলার সাড়ে সর্বনাশ করে ছেড়েছেন তাঁরা। অভিযোগ, মুসলিম এই ভোট ব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতেই রাজ্য সরকার গরু পাচার, জাল নোটের কারবার এবং মাদক ব্যবসার বিষয়ে নরম মনোভাব গ্রহণ করেছে। বর্ধমানে অনুপ্রবেশকারীদের একটি দল ১ হাজারটিরও বেশি বোমা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার পরেও কঠোর কোনও ব্যবস্থা তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

    সমস্যা যখন অনুপ্রবেশ

    প্রথমে কংগ্রেস এবং পরে বাম সরকারের আমলেও অনুপ্রবেশ (Illegal Bangladeshi Migrants) হয়েছে। তবে তা এত ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে অনুপ্রবেশ ক্রমেই বাড়ছে। এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা যেহেতু একটি ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করছে, তাই তাঁর দলের সদস্যরা অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নানাভাবে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। তৃণমূল নেতাদের কল্যাণে এই ব্যক্তিদের ভোটার আইডি কার্ড এবং আধার কার্ডও হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। পশ্চিমবঙ্গে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর তালিকার দিকে তাকালেই বিষয়টা আরও স্পষ্ট হয়ে যায়। ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে যারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং যাদের ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল অথচ এ দেশে রয়ে গিয়েছে, তাদের সংখ্যা যথাক্রমে ২৫ হাজার ৯৪২, ৪৯ হাজার ৬৪৫ এবং ৩৫ হাজার ০৫৫।

    কী বলছে নিরাপত্তা সংস্থা

    দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি বারবার বলেছে যে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে সবচেয়ে বড় বিপদ। এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক খেলা খেলছে। তারা এই ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র দিচ্ছে। এটা নিয়ে তারা সারা দেশ ভ্রমণ করছে। ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও ব্যাপকভাবে বসতি স্থাপন করছে তারা ওই পরিচয়পত্র নিয়েই। কেবল তাই নয়, ঝাড়খণ্ডের মতো জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে তারা স্থানীয় মেয়েদের বিয়ে করে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের সম্পত্তি। ব্যাপক অনুপ্রবেশের জেরে বদলে যাচ্ছে এলাকার জনবিন্যাস (Mamata Banerjee)। রমরমা কারবার চলছে জাল নোটের। মাদক পাচার, গরু পাচার এসব কাজও দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে তারা (Illegal Bangladeshi Migrants) শাসকদলের নেতাদের প্রশ্রয়ে।

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: ঠনঠনিয়া কালীমন্দিরে ‘জাগ্রত’ দেবীমূর্তির সামনে বসে গান গাইতেন কিশোর গদাধর!

    Kali Puja 2024: ঠনঠনিয়া কালীমন্দিরে ‘জাগ্রত’ দেবীমূর্তির সামনে বসে গান গাইতেন কিশোর গদাধর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহৎ বঙ্গ হল শক্তি সাধনার প্রধান কেন্দ্র। দেবী পার্বতীর ৫১ পীঠের মধ্যে অধিকাংশ বঙ্গের ভূ-মণ্ডলে পড়েছে। শাক্তির আরাধনার সঙ্গে তন্ত্র সাধনা বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। দেবী দুর্গার আরেক রুদ্র রূপ হল মা কালী। মায়ের শাক্ত গীতিকা বাংলার ঘরে ঘরে পড়া হয় এবং গান গাওয়া হয়। দেবী কালীকথার মধ্যে নানা লৌকিক এবং অলৌকিক আধ্যাত্মিক বিশ্বাস-আস্থার প্রসঙ্গ জড়িয়ে রয়েছে এক এক জায়গায়। সাধারণত কালীপুজো সারা বছর ধরেই বিভিন্ন অমাবস্যায় অনুষ্ঠিত হয়। তবে কার্তিক মাসের অমাবস্যায় কালীপুজো (Kali Puja 2024) সবচেয়ে প্রসিদ্ধ। পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় কালী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম হল ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি (Thanthaniya Kalibari)। ভক্তদের বিশ্বাস, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির দেবী অত্যন্ত জাগ্রত। দেবীর আশীর্বাদে ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ হয় বলেও বিশ্বাস। এই কালীমন্দিরের অবস্থান উত্তর কলকাতার কলেজ স্ট্রিট থেকে একটু দূরেই বিধান সরণিতে।

    কীভাবে নাম হল ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি (Kali Puja 2024)? 

    নিশ্চয়ই পাঠকের প্রশ্ন রয়েছে, কীভাবে এই মন্দিরের নাম হল ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি? জনশ্রুতি রয়েছে, জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যখন কেউ যেতেন, তখন দূর থেকেও শোনা যেত এই কালী মন্দিরের (Kali Puja 2023) ঘণ্টাধ্বনি। ঠনঠন আওয়াজ থেকেই এলাকার নাম হয় ঠনঠনিয়া। উত্তর কলকাতার এই কালীপুজোতে (Thanthaniya Kalibari) দেবী পূজিতা হন সিদ্ধেশ্বরী রূপে। এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ইতিহাসও। কথিত আছে, কামারপুকুর থেকে যখন কিশোর গদাধর চট্টোপাধ্যায় কলকাতায় আসেন, তখন মন্দিরের কাছেই ঝামাপুকুরে থাকতেন তিনি। ঠনঠনিয়া কালীমন্দিরে দেবী মূর্তির সামনে বসে গানও গাইতেন গদাধর। দক্ষিণেশ্বেরে গিয়ে রামকৃষ্ণ পরমহংস হওয়ার পরেও বেশ কয়েকবার এখানে এসেছেন তিনি। আবার গবেষকদের মতে, সাধক রামপ্রসাদও জড়িত ছিলেন এই সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের সঙ্গে।

    কালীমন্দিরের ইতিহাস

    কথিত আছে, কলকাতার সুতানুটি গ্রাম একেবারে জঙ্গল অধ্যুষিত ছিল। নদীর পাশেই অরণ্যবেষ্টিত এক শ্মশানে তান্ত্রিক উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারী তৈরি করেন সিদ্ধেশ্বরী কালী মূর্তি, যা বর্তমানে ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির (Kali Puja 2024) অধিষ্ঠাত্রী দেবী। সেটা ছিল আনুমানিক ১৭০৩ সাল অর্থাৎ আজ থেকে ৩২০ বছর আগে। তান্ত্রিক উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারীর কালীপুজোর প্রায় ১০০ বছর পরে জনৈক শঙ্কর ঘোষ নামের এক ব্যবসায়ী সিদ্ধেশ্বরী কালীমূর্তির মন্দিরটি গড়ে তোলেন। বর্তমানে শঙ্কর ঘোষের বংশধররাই এখন এই মন্দিরের সেবায়েত রয়েছেন।

    ১৭০৩ খ্রিষ্টাব্দে মূর্তি নির্মাণ হয়

    জনশ্রুতি অনুসারে আরও জানা গিয়েছে, ১৭০৩ খ্রিষ্টাব্দে উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারী নামে জনৈক তান্ত্রিক মাটি দিয়ে সিদ্ধেশ্বরী কালীমূর্তি গড়েন। ১৮০৬ খ্রিষ্টাব্দে শঙ্কর ঘোষ নামে জনৈক ধনাঢ্য ব্যক্তি বর্তমান কালীমন্দির (Kali Puja 2024) ও পুষ্পেশ্বর শিবের আটচালা মন্দির নির্মাণ করেন। নিত্যপূজার ব্যয়ভার গ্রহণ করেন। এখানে মায়ের মূর্তি মাটির, প্রতি বছর মূর্তি সংস্কার করা হয়। ঠনঠনিয়া কালীবাড়িতে (Thanthaniya Kalibari) জ্যৈষ্ঠ মাসে ফলহারিণীর পুজো, কার্তিক অমবস্যায় আদিকালীর পুজো ও মাঘ মাসে রটন্তী কালীর পুজো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Flight: নাগপুর থেকে গ্রেফতার বিমানে বোমাতঙ্কের ষড়যন্ত্রী, লিখেছেন সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বই!

    Flight: নাগপুর থেকে গ্রেফতার বিমানে বোমাতঙ্কের ষড়যন্ত্রী, লিখেছেন সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমানে (Flight) বোমা থাকার ভুয়ো তথ্যের অভিযোগের তদন্তে নতুন মোড়। বিভিন্ন উড়ান সংস্থাকে একের পর এক হুমকি ইমেল পাঠানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালেই নাগপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ধৃতের নাম জগদীশ উকি। তাঁর বাড়ি মহারাষ্ট্রের গোন্ডিয়া এলাকায়। তিনি বোমাতঙ্কের অন্যতম ষড়যন্ত্রী! বছর পঁয়ত্রিশের জগদীশ সন্ত্রাসবাদের ওপর একটি বইও লিখেছেন। কেন এই কাজ করেছেন তিনি? জানতে নাগপুর পুলিশের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ তাঁকে গ্রেফতার করে জেরা শুরু করেছে।

    ৫০০-র বেশি উড়ানে বোমাতঙ্ক! (Flight)

    ১৩ থেকে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে দেশের ৫০০টিরও বেশি উড়ানে (Flight) বোমাতঙ্কের (Bomb Threat) ঘটনা ঘটে। এই হুমকিগুলির বেশিরভাগই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল। শুধুমাত্র ২২ অক্টোবরেই ইন্ডিগো এবং এয়ার ইন্ডিয়ার ৫০টি ফ্লাইট বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটে। এই ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ধৃত উকিকে এর আগেও এক বার গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০২১ সালে। এবারের ঘটনাবলিতে ইমেলে হুমকি পাঠানোর পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন উকি। তাঁর খোঁজ শুরু করেছিল পুলিশ। নাগপুর পুলিশের এক সিনিয়র আধিকারিককে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, বোমা সংক্রান্ত হুমকি ইমেলগুলিতে লেখকের নাম উঠে আসার পর থেকেই তিনি পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। নাগপুর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শ্বেতা খেড়করের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, হুমকি ইমেলগুলির সঙ্গে লেখকের যোগ সংক্রান্ত বিশদ তথ্য এসেছে তদন্তকারী দলের হাতে।

    আরও পড়ুন: বদলে গেল সময়, ২০২৫-এর একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু কখন?

    প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও হুমকি মেল

    শুধু উড়ান (Flight) সংস্থাকেই নয়, বিভিন্ন সরকারি দফতরেও হুমকি ইমেল পাঠিয়েছিলেন তিনি। তালিকায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, রেলমন্ত্রীর দফতর, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর দফতরও। এ ছাড়া আরপিএফের কাছেও হুমকি ইমেল পাঠিয়েছিলেন তিনি। অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার পর মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের বাসভবনের সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তকারী দলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উকিকে গ্রেফতারের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছিল। পিটিআই জানাচ্ছে, ওই লেখকের দাবি, তাঁর কাছে সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত একটি গোপন তথ্য (টেরর কোড) রয়েছে। সেটি নিয়ে তাঁকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া না হলে, তিনি বিক্ষোভ দেখাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গে তাঁর ‘জ্ঞানের পরিধি’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠকের জন্য আর্জি জানিয়েছেন উকি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘দলে টানতেই পারে তৃণমূল’’, তন্ময়কাণ্ড নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘দলে টানতেই পারে তৃণমূল’’, তন্ময়কাণ্ড নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্রেফ একটা অভিযোগ। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। অভিযোগের স্বপক্ষে লালপার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জোরালো (Tanmoy Bhattacharya) কোনও প্রমাণও এখনও অব্দি নেই। অথচ, সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তড়িঘড়ি সিপিএম সাসপেন্ড করে দিল প্রবীণ বামপন্থী নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যকে। আর এই গোটা কাণ্ড নিয়ে কার্যত হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    তন্ময় তৃণমূলে!

    রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তন্ময় তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে চাউর হয়ে গিয়েছিল। আলিমুদ্দিনের কর্তাদের কাছেও হয়তো তেমনই একটা বার্তা গিয়েছিল। তার জেরেই তন্ময়কে সাসপেন্ড করে দিল ক্ষয়িষ্ণু সিপিএম। যে দলের ঠাঁই হতে চলেছে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির তালিকায়, সেই দলেরই এক প্রবীণ নেতাকে সাসপেন্ড করায় ক্ষোভ দানা বাঁধছে সিপিএমের অন্দরেও। তবে তন্ময় (Tanmoy Bhattacharya) যে তৃণমূলের দিকে ঝুঁকেছিলেন, সে দাবি করেছে বিজেপি (BJP)। বিধানসভা নির্বাচনে বরানগর কেন্দ্রে বাম প্রার্থী ছিলেন তন্ময়। এই কেন্দ্রে বিজেপির জয়ের প্রবল সম্ভাবনা ছিল। পদ্মের বরানগর জয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ান তন্ময়। ভোট কেটে তৃণমূল প্রার্থীকে বিধানসভায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “বরানগরে তন্ময় ভট্টাচার্য ভোট কেটেই তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতার পথ তৈরি করে দিয়েছিলেন। এলাকায় তাঁর প্রভাব-প্রতিপত্তিও রয়েছে।” তিনি বলেন, কেবল বরানগর নয়, তন্ময়ের প্রভাব রয়েছে সুদূর দমদম পর্যন্ত। তাই তন্ময়কে দলে টানতেই পারে তৃণমূল কংগ্রেস।” রাজনীতি সচেতন মানুষের একাংশের দাবি, তন্ময়ের মতো প্রবীণ রাজনীতিককে দলে টেনে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট বৈতরণী উতরোতে চাইছে তৃণমূল।

    ঋতব্রত-কাণ্ড মনে করালেন শুভেন্দু

    স্বমত প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) সিপিএমের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও টানেন। বলেন, ঋতব্রতও মহিলা হেনস্থাকাণ্ডে অভিযুক্ত ছিলেন। সেই ঘটনার ছবিও ছিল। সিপিএম বহিষ্কারও করে। তারপর তৃণমূল ঋতব্রতকে বড় পদ দিয়ে দলে টেনে নিয়েছিল। তন্ময় ভট্টাচার্যের ঘটনাও তেমন হতে পারে।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুরে ঋতব্রতর মহিলাঘটিত যে ঘটনা প্রকাশ্যে আসে, সেই ছবি ভাইরাল হয়েছিল। ঘটনার প্রমাণও ছিল। কিন্তু দেখা গেল, তৃণমূলের উন্নত ওয়াশিং মেশিনে ঋতব্রতকে দলে নিয়ে আরও বড় নেতা করা হল। ওরা হয়ত তন্ময়কেও (Tanmoy Bhattacharya) তাই করতে চায়।”

    আরও পড়ুন: রোজগার প্রকল্পে ৫১ হাজার যুবক-যুবতীকে নিয়োগপত্র দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    সজলের পথের কাঁটা

    বরানগরে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন সজল ঘোষ। ভোট কাটাকুটির খেলা না হলে সজলের জেতার সম্ভাবনাও ছিল। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বরানগরে সজল ঘোষ গত বিধানসভা নির্বাচনে যে লড়াইটা করেছিল, সেই লড়াই তৃণমূলকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। তন্ময় ভট্টাচার্য ভোট কেটে তৃণমূলকে জিততে সাহায্য করেছিল।” তিনি বলেন, “স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল প্রথমে বাজার গরম করবে। তারপর আউট অফ সাইট, আউট অফ মাইন্ড হবে। তারপর একদিন দেখা যাবে, তৃণমূলের আরও উন্নতমানের ওয়াশিং মেশিন, যেটা ভাইপো আমেরিকা বা দুবাই থেকে নিয়ে এসেছে, তাতে তন্ময় ভট্টাচার্যের (Tanmoy Bhattacharya) ধোলাই হবে, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরবে। তারপর বরানগর, পানিহাটি, কামারহাটি, রাজারহাট-গোপালপুর, দমদম সাউথ ও দমদমের আসনগুলি বাঁচানোর চেষ্টা করবে।”

    বিজেপি বিরোধিতা তন্ময়ের 

    বিধানসভা কিংবা লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের প্রচারের মূল সুরই ছিল, ‘নো ভোট টু বিজেপি’, ‘নো ভোট টু মোদিজি’। সে প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক । শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “সিপিএম বিরোধী কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ওরা ‘নো ভোট টু বিজেপি’, ‘নো ভোট টু মোদিজি’ প্রচার করে সিপিএম আদতে তৃণমূলেরই জয়ের পথ প্রশস্ত করেছে।” সিপিএম হিন্দুদের ভোট কাটছে বলেও অভিযোগ করেন পোড়খাওয়া এই রাজনীতিক (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ সত্য না মিথ্যে, তা বলবে সময়। তবে একটা কথা ঠিক, তন্ময় ভট্টাচার্যের (Tanmoy Bhattacharya) ক্ষেত্রে সিপিএমের পক্ককেশ নেতৃত্ব যেভাবে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিলেন, তাতে মনে হতেই পারে, প্লট সাজানোই ছিল। তন্ময়কে সরানোর শুধু একটা ছুতোর প্রয়োজন ছিল। এক মহিলা সাংবাদিকের করা অভিযোগই সেই ছুতোর কাজ করে। যার জেরে দ্রুত সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় তন্ময়কে।

    কলঙ্ক মোচন

    প্রসঙ্গত, সিপিএমের এই প্রবীণ নেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন এক মহিলা সাংবাদিক। জামিন অযোগ্য ধারায় দায়ের হয়েছে মামলা। তন্ময়কে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ। এখন দেখার, তন্ময় (Tanmoy Bhattacharya) গ্রেফতার হন কিনা, নাকি তৃণমূলকে বরানগর পাইয়ে দেওয়ার পুরস্কারের টোপ গিলে ডুব দেন তৃণমূল-গঙ্গায়! যে গঙ্গায় ডুব দিলেই কলঙ্ক মোচন হয়! যেমন হয়েছে ঋতব্রতর, যেমনটা হয়েছে আরও অনেকের ক্ষেত্রেই। সব ক্ষেত্রেই যে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে, তা নয়। কারও বিরুদ্ধে উঠেছে বালি পাচারের অভিযোগ, কেউ আবার গরু পাচারে অভিযুক্ত। কারও গায়ে লেগে রয়েছে কয়লা পাচারের মলিন দাগ। কেউ আবার রেশন-কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে দিন কাটাচ্ছেন গারদের আড়ালে। ‘দিদিবাদী’ হওয়ায় এঁরা অবশ্য এখনও রয়েছেন তৃণমূলেই। সিপিএমের মতো (Tanmoy Bhattacharya) এঁদের সাসপেন্ড করার দুঃসাহস দেখায়নি (Suvendu Adhikari) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    ঠক বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাওয়ার ভয়ে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 178: “সংসারী জীব, এরা যেমন গুটিপোকা, মনে করলে কেটে বেরিয়ে আসতে পারে”

    Ramakrishna 178: “সংসারী জীব, এরা যেমন গুটিপোকা, মনে করলে কেটে বেরিয়ে আসতে পারে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    সপ্তদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    শ্রীরামলাল প্রভৃতির গান ও শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি

    “বদ্ধজীব—সংসারী জীব, এরা যেমন গুটিপোকা। মনে করলে কেটে বেরিয়ে আসতে পারে; কিন্তু নিজে ঘর বানিয়েছে, ছেড়ে আসতে মায়া হয়। শেষে মৃত্যু (Kathamrita)।

    “যারা মুক্তজীব (Ramakrishna), তারা কামিনী-কাঞ্চনের বশ নয়। কোন কোন গুটিপোকা অত যত্নের গুটি কেটে বেরিয়ে আসে। সে কিন্তু দু-একটা।

    “মায়াতে ভুলিয়ে রাখে। দু-একজনের জ্ঞান হয়; তারা মায়ার ভেলকিতে ভোলে না; কামিনী-কাঞ্চনের বশ হয় না। আঁতুড়ঘরের ধূলহাঁড়ির খোলা যে পায়ে পরে, তার বাজিকরের ড্যাম্‌ ড্যাম্‌ শব্দের ভেলকি লাগে না। বাজিকর কি করছে সে ঠিক দেখতে (Kathamrita) পায়।

    “সাধনসিদ্ধ আর কৃপাসিদ্ধ। কেউ কেউ অনেক কষ্টে ক্ষেত্রে জল ছেঁচে আনে; আনতে পারলে ফসল হয়। কারু জল ছেঁচতে হল না, বৃষ্টির জলে ভেসে গেল। কষ্ট করে জল আনতে হল না। এই মায়ার হাত থেকে এড়াতে গেলে কষ্ট করে সাধন করতে হয়। কৃপাসিদ্ধের কষ্ট করতে হয় না। সে কিন্তু দু-এক জনা।

    “আর নিত্যসিদ্ধ, এদের জন্মে জন্মে জ্ঞানচৈতন্য হয়ে আছে। যেমন ফোয়ারা বুজে আছে। মিস্ত্রী এটা খুলতে ফোয়ারাটাও খুলে দিলে, আর ফরফর করে জল বেরুতে লাগল! নিত্যসিদ্ধের প্রথম অনুরাগ যখন লোকে দেখে, তখন অবাক্‌ হয়। বলে এত ভক্তি-বৈরাগ্য-প্রেম কোথায় ছিল?”

    ঠাকুর (Ramakrishna) অনুরাগের কথা বলিতেছেন। গোপীদের অনুরাগের কথা। আবার গান হইতে লাগিল। রামলাল গাহিতেছেন:

    নাথ! তিমি সর্বস্ব আমার। প্রাণাধার সারাৎসার;
    নাহি তোমা বিনে কেহ ত্রিভুবনে, বলিবার আপনার ॥
    তুমি সুখ শান্তি, সহায় সম্বল, সম্পদ ঐশ্বর্য, জ্ঞান বুদ্ধি বল,
    তুমি বাসগৃহ, আরামের স্থল, আত্মীয় বন্ধু পরিবার ॥
    তুমি ইহকাল, তুমি পরিত্রাণ, তুমি পরকাল, তুমি স্বর্গধাম,
    তুমি শাস্ত্রবিধি গুরুকল্পতরু, অনন্ত সুখের আধার ॥
    তুমি হে উপায়, তুমি হে উদ্দেশ্য, তুমি স্রষ্টা পাতা তুমি হে উপাস্য,
    দণ্ডদাতা পিতা, স্নেহময়ী মাতা, ভবার্ণবে কর্ণধার (তুমি) ॥

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: স্বাস্থ্য পরিষেবায় ১২,৮৫০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মোদি

    PM Modi: স্বাস্থ্য পরিষেবায় ১২,৮৫০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৯ অক্টোবর, আয়ুর্বেদ দিবস। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) স্বাস্থ্য পরিষেবায় একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন। মোট ১২,৮৫০ কোটি টাকার বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব আয়ুর্বেদে এদিন ধন্বন্তরি জয়ন্তী (Ayurveda day) পালনের মধ্য দিয়ে এই প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, আয়ুষ্মান যোজনা প্রত্যাখ্যান করেছে মমতা সরকার। এ কারণে ‘প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা’র সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের মানুষ। নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এনিয়ে বলেন, ‘‘দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গের প্রবীণদের নাগরিকদের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি আপনাদের সেবা করতে পারব না। কারণ, দিল্লিতে যে সরকার আছে, আর বাংলার সরকার এই আয়ুষ্মান প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে না। এরা রাজনীতি করছে নিজের রাজ্যেরই অসুস্থ মানুষদের সঙ্গে। এটাকে মানবতা বলে না। এর জন্য আমার কষ্ট হয়। দিল্লি ও বাংলার প্রবীণ নাগরিকরা আমার কথা নিশ্চয়ই শুনছেন।’’

    অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব আয়ুর্বেদের দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্বোধন

    মঙ্গলবার ‘প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা’র প্রকল্পকে আরও বিস্তৃত করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সি ভারতীয় নাগরিকরা স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব আয়ুর্বেদের দ্বিতীয় পর্যায়েরও উদ্বোধন করেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব আয়ুর্বেদে জুড়ল একটি অত্যাধুনিক পঞ্চকর্ম হাসপাতাল, আয়ুর্বেদিক ফার্মেসি, স্পোর্টস মেডিসিন ইউনিট, একটি গ্রন্থাগার ও ৫০০ আসন বিশিষ্ট একটি অডিটোরিয়াম। আয়ুর্বেদিক (Ayurveda day) গবেষণা, শিক্ষা এবং চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হবে এই প্রতিষ্ঠানকে।

    অন্যান্য উদ্বোধন (PM Modi) 

    প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) চিকিৎসা পরিকাঠামোকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌর, নিমুচ ও সিওনিতে তিনটি নতুন মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন করেন এদিন। এর পাশাপাশি, বিলাসপুর, কল্যাণী, পাটনা, গুয়াহাটি, নয়াদিল্লি, গোরখপুর ও ভোপাল এইমসে নতুন বেশ কিছু পরিকাঠামোরও উদ্বোধন এদিন প্রধানমন্ত্রী করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর মেডিক্যাল কলেজে একটি সুপার স্পেশালিটি ব্লক এবং ওড়িশার বরাগড় হাসপাতালের একটি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লকের উদ্বোধন করেন। মধ্যপ্রদেশে পাঁচটি নতুন নার্সিং কলেজেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এদিন মোদি। প্রধানমন্ত্রী এমপ্লয়িজ স্টেট ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন (ইএসআইসি)-এর আওতায় থাকা মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, কর্নাটকে বেশ কতকগুলি হাসপাতালের উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে ৫৫ লক্ষ বিমাকৃত কর্মী নিজেদের পরিবারের চিকিৎসা করাতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: সম্প্রীতির মেলবন্ধন! কাঁটাতারের বিভাজন কাটিয়ে কালীপুজোয় হিন্দু-মুসলিম একাকার

    Kali Puja 2024: সম্প্রীতির মেলবন্ধন! কাঁটাতারের বিভাজন কাটিয়ে কালীপুজোয় হিন্দু-মুসলিম একাকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হাড়িপুকুর গ্রাম। একেবারে বাংলাদেশের শূন্যরেখা লাগোয়া মন্দিরে কালীপুজো করেন হিলির মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। এই কালীপুজো (Kali Puja 2024) ঘিরে সাজো সাজো রব গ্রামে। শুধু গ্রামবাসীরাই নয়, এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সামিল হন সীমান্তে প্রহরারত বিএসএফ জওয়ানরাও। শুধুমাত্র ভারতীয় বা বিএসএফ’রা নয়, সীমান্ত লাগোয়া এই পুজোয় মাতেন বাংলাদেশের মানুষও। এমনকী মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণও করেন তাঁরাই। তবে প্রথম থেকেই রীতি মেনে এই পুজো করেন হিন্দু পুরোহিত। কালীপুজোকে ঘিরে সেজে উঠেছে কাঁটাতারের পাশের গ্রাম হাড়িপুকুর। উৎসবের রেশ হাড়িপুকুর সংলগ্ন বাংলাদেশের গ্রামগুলিতেও। দীপাবলির আলোর এই উৎসবে কার্যত মনের আঁধার দূরে সরিয়ে মিলন উৎসবে মেতে ওঠেন দুই বাংলার মানুষ। দেশভাগের পর থেকেই হাড়িপুকুরের সীমান্তের শূন্যরেখার পিলারের পাশেই দেবী দীর্ঘদিন থেকে পূজিত হয়ে আসছেন। তবে এখানে কালীর থানে ঘটপুজোর প্রচলন আজও অব্যাহত।

    পুজো সারা বছরই করেন হিন্দু পুরোহিত (Kali Puja 2024)

    মূর্তি তুলে পুজো হলেও গ্রামবাসীরা এই কালীর থানকে জাগ্রত বলে মানেন। হাড়িপুকুর গ্রামটি মুসলিম অধ্যুষিত গ্রাম বলে পরিচিত এবং ওপারে বাংলাদেশের গ্রামগুলিও মুসলিম অধ্যুষিত। হিন্দুদের প্রচলিত রীতি মেনে হাড়িপুকুর গ্রামের এই কালীমাতার থানে পুজো সারা বছরই করেন হিন্দু পুরোহিত। কিন্তু কালীর থান এবং যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণ করেন ওই গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ (Hindu-Muslim)। সারা বছরই কাঁটাতারের বেড়ায় বন্দি এই গ্রামবাসীরা। বাইরের পুজোয় আনন্দ না করতে পারলেও গ্রামের মধ্যে আলোর এই উৎসবে মেতে ওঠেন। কালীপুজোকে ঘিরে আলোর ঝর্ণাধারায় সেজে ওঠে এপারের হাড়িপুকুর গ্রাম এবং ওপারের বাংলাদেশের বাঘমারা গ্রাম। কালীপুজোর পরদিন পুরনো রীতি অনুযায়ী খিচুড়ি ভোগেরও আয়োজন করা হয়। যে ভোগে অংশগ্রহণ করে সবাই।

    খিচুড়ি বিতরণ অনুষ্ঠান

    হাড়িপুকুর গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকেই হয়ে আসা এই কালীপুজোর (Kali Puja 2024) কয়েকটি দিন এলাকায় জমজমাট পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিদ্যুতের অভাবে প্রথমে মোমবাতি ও প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজোর প্রচলন ছিল। কিন্তু বর্তমানে গ্রামে বিদ্যুৎ এসে যাওয়ায় পুজোর কয়েকটি দিনে ছোট ছোট টুনি বাল্বের আলোতে সেজে ওঠে দুই দেশের শূন্যরেখা এলাকা। পুরানো রীতি মেনেই হিন্দুদের দ্বারা এই পুজো চললেও সেখানে অংশ নেন হাড়িপুকুর গ্রামের সমস্ত মুসলিম মানুষ। জাত ভেদাভেদ ও দেশ ভাগাভাগি ভুলে পুজোর দিন ও পুজোর পরের দিন খিচুড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে সামিল হন বাংলাদেশের গ্রামের প্রচুর হিন্দু ও মুসলিম মানুষ।

    সাজো সাজো রব হিলির হাড়িপুকুর গ্রামে (Kali Puja 2024)

    দেশজুড়ে যেখানে অসহিষ্ণুতার পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ, এরই মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়ছে হাড়িপুকুর গ্রাম। এ যেন দেশজুড়ে অসহিষ্ণুতার পরিবেশেও অক্ষুন্ন সেখানকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন। গ্রামের হিন্দু কালীমন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। এখানে এসেই মনে হয় বিদ্রোহী কবি নজরুলের লাইন ‘মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান’। আর মাত্র কয়েকদিন তাই এই কালীপুজো ঘিরে সাজো সাজো রব হিলির হাড়িপুকুর গ্রামে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Green Hydrogen Plant: লেহ্তে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুতে গ্রিন হাইড্রোজেন প্ল্যান্ট নির্মাণ এনটিপিসি-র, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    Green Hydrogen Plant: লেহ্তে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুতে গ্রিন হাইড্রোজেন প্ল্যান্ট নির্মাণ এনটিপিসি-র, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখের লেহ্তে বিশ্বের সব থেকে উঁচুতে সবুজ হাইড্রোজেন প্ল্যান্ট (Green Hydrogen Plant) স্থাপন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এনটিপিসি (NTPC)। ভারতই এখন বিশ্বের একমাত্র দেশ, যে শুধুমাত্র মিষ্টি জল থেকে হাইড্রোজেন জ্বালানি শক্তির উৎপাদন নিখুঁতভাবে করতে সক্ষম। এই জ্বালানিটি ইতিমধ্যেই ভারতের রকেট উৎক্ষেপণে ব্যবহৃত হয়েছে। এবার দুর্গম লে-লাদাখ থেকে শুরু করে প্রবলভাবে দূষিত রাজধানী দিল্লির অঞ্চলে (এনসিআর) গণ-পরিবহণের চালিকা শক্তি হিসেবে গ্রিন হাইড্রোজেন বেশি করে ব্যবহার করা হবে। দূষণরোধক এবং অধিক শক্তি উৎপাদনী জ্বালানি হিসেবে সবুজ হাইড্রোজেনের গুরুত্ব অপরিসীম। ভারতে ব্যাপক ভাবে জ্বালানি শক্তির চাহিদা রয়েছে এবং সেই জন্য সরকার অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে স্থানীয় শক্তির সমাধান খুঁজছে। দেশের গতিকে আরও বৃদ্ধি করতে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে গ্রিন হাইড্রোজেনের কথা বারবার তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন মোদি (Green Hydrogen Plant)

    হাইড্রোজেন বিশেষ ভাবে আকর্ষণীয় কারণ, এটি জলকে বিভক্ত করে উৎপাদিত হয়। আবার অপর দিকে এই হাইড্রোজেন মৌলের একমাত্র নির্গমন হয় জল থেকেই। এনটিপিসির (NTPC) গ্রিন হাইড্রোজেন প্ল্যান্টটি লাদাখের লেহ্-তে বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত একটি অত্যাধুনিক প্রকল্প। ২০২২ সালের ১ অগাস্ট, প্রধানমন্ত্রী মোদি এই অনন্য প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। সবচেয়ে হালকা এবং প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন (Green Hydrogen Plant) উপাদান ভবিষ্যতের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য জ্বালানি হবে। সরকারও তেল এবং গ্যাসের বিকল্প জ্বালানির সম্ভাবনাকে অন্বেষণ করছে। ফলে দূষণজনিত জ্বালানির বিকল্প হল এই সবুজ হাইড্রোজেন। অপরে জৈব জ্বালানির জলও থেকে ব্যাপকভাবে হাইড্রোজেন উৎপন্ন করা যায়।

    সবুজ হাইড্রোজেন কী?

    হাইড্রোজেন এতটাই শক্তি-সমৃদ্ধ যে তা তরল আকারে তরল অক্সিজেনের সঙ্গে মিলিত হয়ে আরও শক্তিশালী হয়। আর তাই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর (ISRO) সবচেয়ে ভারী রকেটকে উৎক্ষেপণ করতে এই শক্তিকেই ব্যবহার করা হয়েছিল। ভারতের স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩ তার ৬৪০-টন রকেটে তরলীকৃত হাইড্রোজেন ব্যবহার করেছিল। উল্লেখ্য চন্দ্রযান ৩-এর ঐতিহাসিক মিশনে এই শক্তিকে ব্যবহার করা হয়েছিল। হাইড্রোজেন একদিকে যেমন অত্যন্ত দাহ্য, অপর দিকে চরম সতর্কতা নিয়ে ব্যবহার করতে হয়। তাহলে সবুজ হাইড্রোজেন (Green Hydrogen Plant) আসলে কী? হাইড্রোজেনকে যখন পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি হিসেবে উৎপাদন করা হয়, তখন এটি সবুজ হাইড্রোজেন হিসাবে বিবেচিত হয়। আবার অন্যান্য নানা ধরণের হাইড্রোজেনও হয়। যেমন-ধূসর বা বাদামী হাইড্রোজেন, যা আরও  শক্তিশালী জ্বালানি। তবে এগুলিও জীবাশ্ম জ্বালানি।

    দৈনিক ৮০ কেজি হাইড্রোজেন উৎপাদন হবে

    লাদাখের লেহ্-র কাছে চোগলামসার গ্রামে, এনটিপিসি (NTPC) সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনের জন্য একটি পরীক্ষামূলক প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুতে স্থাপিত সবুজ হাইড্রোজেন (Green Hydrogen Plant) ফুয়েলিং স্টেশন। লাদাখ একটি ঠান্ডা মরুভূমি অঞ্চল, সূর্যের আলো দ্বারা অত্যন্ত সমৃদ্ধ, বছরে ৩০০ দিনের বেশি মেঘমুক্ত থাকে। এখানে, এনটিপিসি একটি ১.৭ মেগাওয়াট সোলার ফটোভোলটাইক প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। সেখান থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ একটি ইলেক্ট্রোলাইজারকে শক্তি দেয়, যা জলকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনে বিভক্ত করে। এই প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য শক্তির জোগান মেলে। এতে হাইড্রোজেনকে জ্বালানি হিসাবে গ্রহণ করা হয় এবং অপর দিকে অক্সিজেন নির্গত হয়। এনটিপিসি জানিয়েছে, এই প্ল্যান্টটি দৈনিক ৮০ কেজি হাইড্রোজেন উৎপাদন করতে সক্ষম। ফলে লেহ্ এলাকার আশেপাশে পাঁচটি ইন্ট্রা-সিটি ফুয়েল-সেল ইলেকট্রিক বাস চালানো যাবে। মোটামুটি ভাবে প্রতিদিন সব মিলিয়ে ১১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যানবাহনের জ্বালানি মিলবে।

    বার্ষিক ২৩০ মেট্রিক টন বিশুদ্ধ অক্সিজেন ছাড়বে

    এনটিপিসি-র (NTPC) সূত্রে জানা গিয়েছে, লেহ্-স্টেশনটি অত্যন্ত দূষণকারী জীবাশ্ম-জ্বালানি যানবাহনের বিকল্প শক্তিকেন্দ্র হয়ে উঠবে। একইভাবে দূষণরোধে বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করবে। এখানে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎসগুলিকে একত্রীকরণ করা হবে। এমনকী, সঙ্কটের পরিস্থিতিতেও জ্বালানির নির্ভরযোগ্যতা বাড়াবে। এতে কার্বন নির্গমন হ্রাস হয়ে একটি স্বচ্ছ জ্বালানি ইকোসিস্টেমকে প্রতিস্থাপন করবে। এনটিপিসি-র এই স্টেশনটি প্রতি বছর আনুমানিক ৩৫০ মেট্রিক টন কার্বন নির্গমন কমাবে এবং বার্ষিক ২৩০ মেট্রিক টন বিশুদ্ধ অক্সিজেন ছাড়বে, যা প্রায় ১৩,০০০ গাছ লাগানোর সমতুল্য বলে বিবেচিত হবে। লাদাখে উচ্চ সৌরতাপ বিকিরণ এবং ঠান্ডা তাপমাত্রার কারণে এই অঞ্চলটি সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত আদর্শ। স্থানীয়ভাবে গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন ও ব্যবহার জ্বালানি সরবরাহের চাহিদা দূর করবে। একইসঙ্গে এই এলাকাগুলিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং সড়ক যোগাযোগে বাধাগুলিকে দ্রুত নিরসন করবে। তবে, একটা চ্যালেঞ্জ রয়ে যাচ্ছে। তা হল, জলকে হাইড্রোজেন (Green Hydrogen Plant) এবং অক্সিজেনে বিভক্ত করা বা  বৈদ্যুতিক বাসগুলিতে ব্যবহৃত জ্বালানি কোষগুলিকে চালনার জন্য যে যে ইলেক্ট্রোলাইজার ব্যবহার করতে হয়, সেগুলিকে বর্তমানে আমদানি করা হয়। যে কারণে, বর্তমানে প্রচলিত জীবাশ্ম-জ্বালানি চালিত বাস বা যানবাহনের তুলনায় হাইড্রোজেন-চালিত যানবাহন ব্যয় বহুল। এক্ষেত্রে,  স্থানীয়ভাবে এই প্রযুক্তির বিকাশ হলে ভবিষ্যতে এই উদ্যোগ ব্যাপকভাবে এগিয়ে যেতে পারে।

    অর্থনীতিতেও, গ্রীন হাইড্রোজেন প্রভাব ফেলবে

    এনটিপিসি-র (NTPC) চিফ জেনারেল ম্যানেজার ডিএমআর পান্ডা বলেছেন, “গ্রিন হাইড্রোজেন (Green Hydrogen Plant) উৎপাদন করা ভারতের শক্তি নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। শক্তির স্বাধীনতা এবং স্বয়ং উৎপাদনে স্বনির্ভরতা বাড়বে৷ সর্বোপরি, আমাদের প্রচুর সৌর রশ্মি এবং জল রয়েছে৷ ভারত এই শক্তির কার্বনাইজেশন করছে৷ অর্থনীতিতেও, গ্রিন হাইড্রোজেন প্রভাব ফেলবে। জল থেকে উৎপন্ন শক্তি এবং নিঃসরণ হিসাবে সৌর শক্তি, প্রকৃতপক্ষে লেহ্ এবং দিল্লি এনসিআর গ্রিন হাইড্রোজেন প্রকল্পগুলি বেশ ফলপ্রসূ হবে। ২০৭০ সালের মধ্যে জ্বালানিতে এই উপাদানের ব্যবহার সর্বাত্মক করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  দেশের প্রধানমন্ত্রীও আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share