Tag: Bengali news

Bengali news

  • Madhya Pradesh: মধ্যপ্রদেশে ইদ-ই-মিলাদের মিছিল থেকে ছড়াল হিংসা, উড়ল প্যালেস্তাইনের পতাকা

    Madhya Pradesh: মধ্যপ্রদেশে ইদ-ই-মিলাদের মিছিল থেকে ছড়াল হিংসা, উড়ল প্যালেস্তাইনের পতাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) ইসলামপন্থীদের মিছিলকে কেন্দ্র করে হিংসা ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ায়। হামলা হয় বেশ কতগুলি হিন্দু মন্দিরে ও বাড়িতে। পুলিশ এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামপন্থীরা শেওপুর, বালাঘাট, মন্দসৌর, মান্ডলা এবং রাতলাম জেলায় মিছিল করেছে এবং প্রতিটি স্থানেই সাম্প্রদায়িক (Eid e Milad) অস্থিরতা বা উস্কানির মতো ঘটনা ঘটেছে।

    হিন্দু বাড়িগুলিতে তারা আতশবাজি ছোড়া হয় (Madhya Pradesh) 

    ইদ-ই-মিলাদ মিছিল মধ্যপ্রদেশের শেওপুরের সীতারাম মন্দিরের সামনে দিয়ে যখন যাচ্ছিল তখনই ইসলামপন্থীরা উস্কানিমূলক স্লোগান দিতে শুরু করে। এর পাশাপাশি হিন্দু বাড়িগুলিতে তারা আতশবাজি ছুড়তে থাকে। মান্ডলায় ইসলামপন্থীরা (Madhya Pradesh) প্যালেস্তাইনের পতাকাও ওড়াতে থাকে বলে অভিযোগ। মান্ডলার পুলিশ সুপার রজত সাকলেচা জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ফারদিন নামে এক যুবককে প্যালেস্তাইনের পতাকা ওড়ানোর জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। একই অভিযোগে অপর এক অভিযুক্ত যুবককে (Eid e Milad) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মন্দসৌরে ইসলামপন্থীদের মিছিল যখন প্রভু বালাজি মন্দিরের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল তখনই তারা উস্কানিমূলক স্লোগান দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এর পাশাপাশি তারা মন্দিরে পাথরও ছুড়তে থাকে। পাথরের আঘাতে মন্দিরের একজন পুরোহিত গুরুতর আহত হন।

    বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে (Madhya Pradesh)

    এই সমস্ত ঘটনাগুলির বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। মধ্যপ্রদেশের রাতলাম ও বালাঘাট থেকেও ইসলামপন্থীরা প্যালেস্তাইনের পতাকা উড়িয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, সাকিব নামে এক ব্যক্তিকে এই ঘটনার জন্য গ্রেফতার করেছে বালাঘাট থানার পুলিশ। রাজগড়ের পুলিশ সুপার আদিত্য মিশ্র জানান, ইদ-ই-মিলাদ মিছিল থেকে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape Murder: সুপ্রিম-নির্দেশের পরই নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআই, সন্দীপের ওপরেও ‘অন্য মাথা’?

    RG Kar Rape Murder: সুপ্রিম-নির্দেশের পরই নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআই, সন্দীপের ওপরেও ‘অন্য মাথা’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্যাতিতার বাবার লেখা চিঠিতে যে সব ‘সূত্র’ মিলেছে, তা ধরে সিবিআইকে এগনোর নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। এরপরই মঙ্গলবার রাতেই নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআইয়ের (CBI) একটি দল পৌঁছে যায় বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীরা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে প্রায় ১ ঘণ্টা কথা বলেন। অন্যদিকে, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ সামনে এনেছে সিবিআই। যা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। 

    নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআই (CBI)

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৯টার পর নির্যাতিতার বাড়িতে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (CBI) পাঁচ সদস্যের একটি দল। এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময় সেখানে ছিলেন তদন্তকারীরা। চিঠির সূত্র ধরে নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেছিলেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি ক্রাইম সিনে তাঁরা কী দেখেছিলেন, সেই বিষয় নিয়েও ফের কথা হয় তদন্তকারীদের। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মঙ্গলবার শুনানির সময় তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবার চিঠিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে গুরুত্ব সহকারে সেটি বিবেচনা করে দেখতে বলেন তিনি। এই নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্ত নিয়ে নির্যাতিতার বাবা যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তা প্রকৃত।’’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্ট দেখেছি। আমরা যে যে বিষয়গুলির উত্থাপন করেছিলাম, সেটার জবাব দিয়েছে সিবিআই। চালান দেওয়া হয়েছিল কি না, ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া কী রকম ছিল, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে কি না সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে সিবিআই। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য হাতে এখনও সময় আছে। সিবিআইকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে আমাদের। ওরা ঘুমোচ্ছে না। সত্য উদঘাটনের জন্য ওদের সময় দিতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: সব দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন, গভীর রাতে ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের

    সিবিআইয়ের রিপোর্ট পেশ

    মঙ্গলবার শিয়ালদা আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা(CBI)। সেই রিপোর্টেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্ফোরক অভিযোগ। উল্লেখিত রিপোর্টে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে’ যুক্ত থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে সিবিআই। এদিকে আদালতে সিবিআই (CBI) জানিয়েছে, ৯ অগাস্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই সেমিনার রুমে যাননি আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। যদিও সেখানে তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকজনকেই দেখা গিয়েছে। এদিকে শিয়ালদা আদালতে সিবিআই যে রিপোর্ট জমা করেছে, তাতে পুলিশের কর্মপদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এমনকী পুলিশ যেভাবে বয়ান রেকর্ড করেছে, তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে সিবিআই রিপোর্টে।

     অন্য কারও নির্দেশ!

    জানা গিয়েছে, গত ৯ অগাস্ট জেনারেল ডায়েরি করা হয়েছিল দুপুর ২টো ৫৫ মিনিটে। টালা থানার সেই ৫৪২ নম্বর জিডিতে লেখা হয়, আরজি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সেমিনার রুমে সেখানকারই এক পড়ুয়া চিকিৎসকের অচেতন দেহ পাওয়া গিয়েছে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। দুপুরের মধ্যে এই খুনের ঘটনা সর্বত্র রাষ্ট্র হয়ে গিয়েছিল। তাহলে কেন ‘অচেতন অবস্থায় দেহ মিলেছে’ বলে উল্লেখ করা হয় জিডি-তে? সিবিআই (CBI) প্রশ্ন তুলেছে, ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল তথ্য দিয়ে তদন্তকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করতেই কি সেই জিডি? এদিকে সিবিআই বলছে, সন্দীপের উচিত ছিল, ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করা। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে যত শীঘ্র সম্ভব পুলিশে এফআইআর দায়ের করা। কিন্তু তিনি তা করেননি। এই আবহে সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে সিবিআইয়ের বক্তব্য, অন্য কারও নির্দেশে, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশীদার হিসেবে সন্দীপ ঘোষ এফআইআর করা থেকে বিরত থেকেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    সন্দীপের নির্দেশে দেরিতে এফআইআর!

    সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবী বলেন, সম্ভবত সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই টালা থানার ওসি দেরিতে এফআইআর দায়ের করেছিলেন। এদিকে, সেই ৯ অগাস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ মৃতার পরিবার খুনের অভিযোগ করে ছিল। তবে, এরপরও এফআইআর হতে হতে পৌনে ১২টা বেজেছিল। অভিযোগ, এর পরেই পুলিশের তৎপরতায় তড়িঘড়ি দাহ করে ফেলা হয় দেহ। এদিকে সন্দীপ ঘোষের ফোন রেকর্ড ঘেঁটে দেখা হচ্ছে তিনি সেদিন কার কার সঙ্গে কতক্ষণ কথা বলেছিলেন। ধৃত দু’জনেরই কল-লিস্টে বেশ কয়েকটি ‘সন্দেহভাজন’ নম্বর রয়েছে বলে দাবি করল সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোতে মনসা পুজোয় মেতে ওঠে গোটা গ্রাম!

    Durga Puja 2024: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোতে মনসা পুজোয় মেতে ওঠে গোটা গ্রাম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোতে যখন গোটা জেলা মেতে ওঠে, তখন অন্য চিত্র দেখা যায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলঘরা গ্রামে। কারণ এই গ্রামের মানুষ দুর্গাপুজোর সময় মনসা পুজোয় মেতে ওঠেন। তাঁরা দেবী দুর্গার আসনে মা মনসাকে বসিয়েই দীর্ঘদিন পুজো করে আসছেন। দুর্গাপুজোর নিয়ম মেনেই এখানে মা মনসা পূজিতা হন। মূলত এখানে মনসা রূপেই দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয়। পুজোর (Durga Puja 2024) কয়েকটা দিন গ্রামে সকলে মিলে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন। মিলন কেন্দ্র হয়ে ওঠে ফুলঘরা গ্রাম।

    একপাশে দেবী লক্ষ্মী, অপর পাশে দেবী সরস্বতী (Durga Puja 2024)

    তিনশো বছরেরও বেশি সময় ধরে দুর্গার আসনে মা মনসার পুজো হয়ে আসছে ফুলঘরা গ্রামে। পুরনো নিয়ম-রীতি-রেওয়াজ কিছুই বদলায়নি আজও। জনশ্রুতি রয়েছে, বহুকাল আগে ফুলঘরা গ্রামের বহু ব্যক্তি সর্পাঘাতে মারা গিয়েছিলেন। শুধুমাত্র মানুষ নয়, সর্পাঘাতে অনেক পশুও মারা গিয়েছিল। বহু কিছু করেও সর্পাঘাতে মৃত্যু প্রতিরোধ করতে পারছিলেন না গ্রামবাসীরা। সেই সময় গ্রামের এক ব্যক্তি গুদর মণ্ডল স্বপ্নাদেশ পান, গ্রামে মনসা পুজো করলেই কেউ আর সর্পাঘাতে মারা যাবে না। এরপর আত্রেয়ী নদীতে একদিন স্নান করতে গেলে মা মনসার কাঠামো ভেসে যেতে দেখেন তিনি। গ্রামবাসীরা সেই কাঠামো তুলে নিয়ে এসে মন্দিরে স্থাপন করে মা মনসার পুজো (Mansa Puja) শুরু করেন। প্রথমে শ্রাবণ মাসে এই পুজো শুরু হয়। গোটা এলাকায় কোনও দুর্গাপুজো না হওয়ায় সেই পুজোর সময়টা বদলে শারদোৎসবে মা মনসার পুজো শুরু হয়। সেই থেকে দুর্গার আসনে মা মনসার পুজো করে আসছে ফুলঘরা বারোয়ারি মনসা পুজো কমিটি। পুজোর কয়েকটা দিন চণ্ডী ও মনসামঙ্গল গান হয়। সকলের আত্মীয়রা গ্রামে আসেন। এখানে মা মানসার একপাশে থাকেন দেবী লক্ষ্মী। অপর পাশে থাকেন দেবী সরস্বতী। পুজোর চার দিন নিয়ম মেনে গ্রামের সকলে নিরামিষ খাবার খান।

    নাটক থেকে শুরু করে যাত্রাগান (Durga Puja 2024)

    আজও এই পুজোকে ঘিরে মেতে ওঠেন গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই। বহিরাগত শিল্পী ও স্থানীয় শিল্পীদের দ্বারা পুজো প্রাঙ্গণে নাটক থেকে শুরু করে যাত্রাগান অনুষ্ঠিত হয়। পুজোর কয়েকটা দিন মেলা বসে ফুলঘরা গ্রামে। এতদিন ছোট মণ্ডপেই পুজো হত মা মনসার৷ তাই ছোট মন্দিরটি ভেঙে বড় করা হচ্ছে বর্তমানে। মন্দির তৈরির কাজ চলছে। এবিষয়ে ভজন মণ্ডল জানান, তাঁদের পূর্বসূরি গুদর মণ্ডল এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁদের জায়গাতেই পুজোটা হয়। তবে এখন বারোয়ারি হিসেবেই পুজোটা হয়। বংশ পরম্পরায় পুরোহিত ও মৃৎশিল্পীর কাজ করে আসছে নির্দিষ্ট পরিবার। পুজোর বায়না দিতেও হয় না বা ডাকতে হয় না। সময়মতো চলে আসেন সকলেই। এখনও পুজোতে (Durga Puja 2024) আগের কাঠামোর বাঁশ দিতে হয়। এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা বিভোর সরকার বলেন, ‘‘পুজোর কয়েকদিন আগে গ্রামে ফিরে আসে সব বাড়ির ছেলেমেয়েরা। দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন। মানত করেন তাঁরা। মানত পূরণ হলে মাকে বিভিন্ন অলংকার দেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • US Press Club: বাংলাদেশে হিন্দু-নির্যাতন নিয়ে প্রশ্ন, আমেরিকায় সাংবাদিককে নিগ্রহ কং সমর্থকদের

    US Press Club: বাংলাদেশে হিন্দু-নির্যাতন নিয়ে প্রশ্ন, আমেরিকায় সাংবাদিককে নিগ্রহ কং সমর্থকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন সফরে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। প্রত্যাশিতভাবেই ভিড় করেছিলেন সাংবাদিকরা। সেই অনুষ্ঠানেই এক সাংবাদিককে আক্রমণ করে বসেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। আক্রান্ত সাংবাদিকটি হলেন ‘ইন্ডিয়া টুডে’র রোহিত শর্মা। তিনি ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবের সদস্য। তাঁর ‘অপরাধ’, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন স্যাম পিত্রোদাকে তিনি বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। এর পরেই কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে আক্রমণ করেন। এভাবে সাংবাদিককে হেনস্থার তীব্র নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    মার্কিন প্রেস ক্লাবের বিবৃতি (US Press Club)

    এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে বিবৃতি দিল আমেরিকার প্রেস ক্লাব (US Press Club)। বিবৃতিতে ডালাস এলাকার এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এনপিসি-র প্রেসিডেন্ট এমিলি উইলকিন্স জানান, ঘটনাটি যখন ঘটেছিল, তখন শর্মা ডালাস এয়ারপোর্টের কাছাকাছি একটি হোটেলে পিত্রোদার সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ইন্ডিয়া টুডে’র ওই সাংবাদিক কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর আগমনের অপেক্ষায় ছিলেন।

    নিগ্রহের শিকার সাংবাদিক

    সাক্ষাৎকারের সময় আইওসি-র বেশ কয়েকজন সদস্য ও কংগ্রেস কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। শর্মা যখন তাঁর শেষ প্রশ্ন করেন, তখন উপস্থিত কয়েকজন আপত্তি জানান। তাঁকে বাধা দিয়ে চিৎকার করতে শুরু করেন। ধাক্কাধাক্কিও করা হয় তাঁকে। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর ফোন। অভিযোগ, ওই দলে থাকা রাহুল গান্ধীর কর্মীরা শর্মার ফোন থেকে কিছু ফাইল মুছে দিয়েছিলেন। তার পরেই ফেরত দেওয়া হয়েছিল ফোনটি।’

    আরও পড়ুন: দশ বছর পর বিধানসভা নির্বাচন জম্মু-কাশ্মীরে, ভোটগ্রহণ শুরু ২৪ আসনে

    পরে অবশ্য পিত্রোদাকে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি পরে শর্মার কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। উইলকিন্স বলেছিলেন, “নিরাপত্তা কর্মীদের অবশ্যই স্বীকৃতি দিতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করা সাংবাদিকরা তিনি যে দেশেরই হোন না কেন, তিনি প্রথম সংশোধনী দ্বারা সুরক্ষিত। শর্মার ফোন বাজেয়াপ্ত করা, বিষয়বস্তু মুছে ফেল ঠিক হয়নি। এটা একটা অননুমোদিত একটি (US Press Club) কাজ।”

    ঘটনায় কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেন, “তারা (কংগ্রেস) মহব্বত কি দুকান চালাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশের এক সাংবাদিকক আমেরিকায় কংগ্রেসের নিষ্ঠুরতার শিকার হতে হচ্ছে। ভারতের এক সন্তানকে আমেরিকায় অপমান করা হয়েছে (Rahul Gandhi)। যারা মত প্রকাশের দাবিদার, তারা বর্বরতায় লিপ্ত হয়েছে (US Press Club)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Alzheimer’s Disease: মধ্য চল্লিশেই স্পষ্ট লক্ষণ? অ্যালজাইমার্স রোগের জানান দেবে কোন উপসর্গ?

    Alzheimer’s Disease: মধ্য চল্লিশেই স্পষ্ট লক্ষণ? অ্যালজাইমার্স রোগের জানান দেবে কোন উপসর্গ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিচ্ছে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলার সমস্যা। বিশ্ব জুড়ে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক অ্যালজাইমার্সে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর জেরে জীবনযাপনের মান কমছে। স্বাভাবিক জীবন নষ্ট হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ভারতেও অ্যালজাইমারের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, এই রোগের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, রোগ নির্ণয় না হওয়া। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগী অ্যালজাইমার (Alzheimer’s Disease) আক্রান্ত কিনা, তা বুঝতেই অনেক দেরি হয়ে যায়। পাশপাশি এই রোগ নিরাময়ে নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। তাই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। তাই প্রথম পর্যায়েই রোগ নির্ণয় করতে পারলে, নানান থেরাপির মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয় বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী বলছে নয়া গবেষণা? (Alzheimer’s Disease)

    বিশ্ব জুড়ে অ্যালজাইমার নিয়ে একাধিক গবেষণা চলছে। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ান-এর একদল চিকিৎসক-গবেষক জানিয়েছেন, অ্যালজাইমারের মতো রোগের কিছু উপসর্গ চল্লিশ বছরের পরেই স্পষ্ট হয়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এই ধরনের উপসর্গকে অবহেলা করেন। কিন্তু সেই উপসর্গ দেখা দিলে পরিবারকে সচেতন হতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঘরোয়া কিছু সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যেতে পারে ওই ব্যক্তির অ্যালজাইমারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ কতখানি! তাহলে নানান থেরাপির মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করা সহজ হয়। ওই চিকিৎসক-গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা না বাড়ালে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে পারে।

    অ্যালজাইমার্স কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, অ্যালজাইমার (Alzheimer’s Disease) হল মস্তিষ্কের স্নায়ুঘটিত এক ধরনের সমস্যা। এই রোগে আক্রান্ত হলে মস্তিষ্কের একাধিক স্নায়ু কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ফলে, ব্যক্তির স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। নিজের পরিচয়, নাম এগুলোও আক্রান্ত ভুলে যান। আস্তে আস্তে শরীরের ক্ষমতাও হারিয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্পূর্ণ নষ্ট হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, ষাট বছরের পরে অধিকাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক ওই আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চল্লিশের পরে এই রোগের কিছু লক্ষণ স্পষ্ট হয়। কিন্তু কোন লক্ষণকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে গবেষণা?

    দিনের সাধারণ ঘটনা মনে থাকছে তো!

    সাম্প্রতিক ওই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, দিনের খুব সাধারণ ঘটনা মনে থাকছে কিনা সেদিকে খেয়াল করা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, চল্লিশের পরে অনেকেই খুব সাধারণ জিনিস ভুলে যান। অনেক সময়েই কাজের চাপে মনে রাখার ক্ষমতা কমে। কিন্তু অ্যালজাইমারের মতো রোগের অন্যতম উপসর্গ এই ভুলে যাওয়া। তাই খেয়াল রাখা জরুরি চল্লিশোর্ধ ব্যক্তি নিয়মিত সাধারণ জিনিস ভুলে যাচ্ছেন কিনা। ওই গবেষকদের একাংশ জানাচ্ছে, দশ মিনিট আগে ঘটনা কোনও ঘটনা, হয়তো কাঁচের গ্লাস ভেঙে যাওয়া কিংবা পরিবারের কোনও সদস্যের বাইরে যাওয়ার মতো কথা একেবারেই মনে করতে না পারলে, নিয়মিত এই ধরনের ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়লে সতর্ক হতে হবে। এটা অ্যালজাইমারের লক্ষণ।

    বারবার মেজাজ বদল বিপজ্জনক! (Alzheimer’s Disease)

    পরিবারের চল্লিশোর্ধ্ব সদস্যের বারবার মেজাজ বদল হলে সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, হঠাৎ করেই রেগে যাওয়া, অকারণে উত্তেজিত হয়ে থাকা, সামান্য বিষয়েও বিরক্তি বা মারাত্মক উদ্বিগ্ন হয়ে থাকা ব্যক্তিকে নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। মস্তিষ্ক নানান আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত দ্রুত এই মেজাজ বদল ইঙ্গিত দিচ্ছে মস্তিষ্ক আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাই এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

    ঘরের জিনিস রাখা মনে থাকছে কি?

    গবেষকদের একাংশ জানাচ্ছে, ঘরে কোথায় কোন জিনিস রাখা হয়, সেটা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে (Problems in Mid-forties) মনে থাকছে কিনা সেটা খেয়াল করা দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, রান্নাঘরে চা তৈরির সামগ্রী কোথায় থাকে কিংবা ব্যাঙ্কের ডকুমেন্ট আলমারির কোথায় রাখা হয়, সেটা মনে রাখতে পারছেন কিনা সে নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। অনেক সময়েই দেখা যাচ্ছে, বয়স পঞ্চাশের চৌকাঠে পা দেওয়ার আগেই অনেকে এই সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মনে রাখতে পারছেন না। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, বেশ কিছু নির্দিষ্ট থেরাপি রয়েছে, যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই দ্রুত রোগ (Alzheimer’s Disease) নির্ণয় হলে মোকাবিলা সহজ হবে। দরকার সচেতনতা। তবেই অ্যালজাইমারের মতো রোগের দাপট রুখতে পারবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আরজি কর ইস্যুতে দোষীদের শাস্তি ও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, ফের পথে নামছেন সুকান্ত-শুভেন্দুরা

    BJP: আরজি কর ইস্যুতে দোষীদের শাস্তি ও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, ফের পথে নামছেন সুকান্ত-শুভেন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় ধর্না অবস্থানের শেষ দিনের মঞ্চ থেকেই আগামীদিনে রাজ্যজুড়ে বিজেপির (BJP) একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার থেকে টানা দু’সপ্তাহ ব্যাপী রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পথসভা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করছে পদ্ম শিবির। এদিন দমদম নাগেরবাজারে আরজি করের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি ও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্ব বিক্ষোভ মিছিল হবে। একই দাবিতে এদিন নিজের খাসতালুক কাঁথিতে পথে নামতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরজি কর ইস্যুকে হাতিয়ার করে শুধুমাত্র আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোই নয়, আরজি করের ঘটনায় আন্দোলন জিইয়ে রাখতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি।

    বুধবার থেকে লাগাতার আন্দোলনে বিজেপি (BJP)

    জানা গিয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর পথসভা দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করবে বিজেপি। চলবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিটি ওয়ার্ডে পথসভা করবেন বিজেপির (BJP) নেতা-কর্মীরা। পঞ্চায়েত এলাকায় দু’ থেকে তিনটি করে পথসভা করবে বিজেপি। এক কোটি সই সংগ্রহ করে তা বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে সাংসদ ও বিধায়করা তুলে দেবেন রাজ্যপালের হাতে। ২৫ সেপ্টেম্বর ‘হাজরা চলো’ কর্মসূচি বিজেপির। ‘থানা সাফাই’ অভিযানেরও ডাক দিয়েছে। ঝাঁটা আর গঙ্গাজল দিয়ে ২৩ তারিখ এই অভিযান করবে বিজেপির মহিলা মোর্চা। এছাড়া ২৩ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রতিটি রেল স্টেশনে সভা করার ঘোষণা করা হয়েছে। ২৫ তারিখ কালীঘাট চলোর ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই দিন হাজরা মোড়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার কর্মসূচির প্রথম দিন বিকেলে কাঁথির ভবতারিণী মন্দির থেকে মহামিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। যে কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। মিছিল শেষে পথসভাতেও বক্তব্য রাখবেন শুভেন্দু। অন্যদিকে, এদিন বিকেলেই দমদমের নাগেরবাজার থেকে সেন্ট মেরি স্কুল পর্যন্ত বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন সুকান্ত।

    আরও পড়ুন: সব দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন, গভীর রাতে ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

    এমনিতেই আরজি কর ইস্যুতেই প্রতিদিনই রাস্তায় নামছেন সাধারণ মানুষ। এই ইস্যুকে সামনে রেখে বিজেপির (BJP) নেতা-কর্মীরাও পথে থাকতে চাইছেন। এই আন্দোলন প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের এখন দফা এক দাবি এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। যতদিন না পর্যন্ত এই ঘটনায় যারা জড়িত তারা কঠোর শাস্তি পাচ্ছে এবং মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করছেন ততদিন পর্যন্ত বিজেপি রাস্তায় থাকবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: অষ্টম শ্রেণির বইয়ে আরএসএস নিয়ে ‘মিথ্যা’ তথ্য! প্রকাশকের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে সঙ্ঘ

    RSS: অষ্টম শ্রেণির বইয়ে আরএসএস নিয়ে ‘মিথ্যা’ তথ্য! প্রকাশকের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে সঙ্ঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে অষ্টম শ্রেণির বইয়ে ‘ইতিহাস বিকৃত’ করার অভিযোগ তুলল বিজেপি। একটি প্রকাশক সংস্থার ইতিহাস বই নিয়েই এই বিতর্ক সামনে এসেছে। অভিযোগ, আরএসএস এবং সঙ্ঘের দ্বিতীয় সর-সঙ্ঘচালক গোলওয়ালকারের সম্পর্কে ‘ভুল’ তথ্য দেওয়া হয়েছে ওই বইতে। এনিয়ে রবিবারই নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য ওই প্রকাশনা সংস্থার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ এনে পোস্ট করেন। ‘বিকৃত ইতিহাস’ বদল না করলে মামলা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। অন্যদিকে, আরএসএস সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাচ্ছে। একথা জানিয়েছেন সঙ্ঘ নেতা (RSS) জিষ্ণু বসু। সঙ্ঘের পক্ষে জিষ্ণু বসু বলেন, ‘‘আমরা যে বইটি পেয়েছি, সেই প্রকাশনা সংস্থার বিরুদ্ধেই আইনি পথে যাচ্ছি। আর কোন কোন বইয়ে এ সব রয়েছে, সেটা বরং তাঁরা আদালতে গিয়ে বলবেন!’’

    মূল অভিযোগ

    প্রকাশনা সংস্থার অষ্টম শ্রেণির ইতিহাসের সহায়িকা বইয়ের একটি অধ্যায় রয়েছে ‘সাম্প্রদায়িকতা ও দেশভাগ’। সেখানে লেখা হয়েছে ‘‘হিন্দু মহাসভার মতো হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনের শক্তি বাড়তে থাকে। তা ছাড়া কংগ্রেসে মদনমোহন মালব্যের মত গোঁড়া হিন্দুত্ববাদী নেতাদের (RSS) কার্যকলাপ বৃদ্ধি পায়। ফলে কংগ্রেসের সঙ্গে অনেক মুসলিম নেতার দূরত্ব বৃদ্ধি পায়।’’ এর পাশাপাশি ওই বইয়েই ভারতে ‘সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বৈশিষ্ট্য ও উত্তরের পটভূমি’ শীর্ষক অংশে ‘হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা’ নিয়ে একটি আলোচনায় লেখা হয়েছে, ‘‘হিন্দু সংগঠনগুলিও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করায় সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পটভূমি রচিত হয়েছিল। আর্য সমাজ, হিন্দু মহাসভা, আরএসএস প্রভৃতি সংগঠনগুলি হিন্দুধর্ম বিপন্ন বলে প্রচার করে মুসলমানদের প্রতি ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করেছিল।’’ এর সঙ্গে আরও সংযোজন করা হয়েছে, ‘‘বিনায়ক দামোদর সাভারকর, এসএস গোলওয়ালকর (এমএস গোলওয়ালকর) প্রমুখ নেতৃবৃন্দ মুসলমানদের বিরুদ্ধে নানান তথ্য প্রচার (Hindu Nationalism) করে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করেছিলেন।’’

    কী বললেন শমীক ভট্টাচার্য?

    এনিয়ে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘হিন্দুদের ইতিহাস এবং সংস্কৃতিকে (RSS) বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। অপমান করা হয়েছে পণ্ডিত মদনমোহন মালব্য, বীর সাভারকারের মত ব্যক্তিত্বদের। হিন্দু মহাসভা, আর্য সমাজ, আরএসএসের মতো সংগঠনকে দায়ী করা হয়েছে। বাংলাদেশের মতো এখানেও মগজধোলাই শুরু হয়েছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘করোনাকালে বসিরহাট থেকে অন্ধ্রপ্রদেশে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা আরএসএস দফতরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বিভিন্ন সময়ে সেবামূলক কাজে যোগ দেন সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকরা (RSS)। দেশভাগের বিরোধিতাও করেছিল সঙ্ঘ। সেই সঙ্ঘ সম্পর্কে এই ধরনের ভুল ধারণা স্কুলপড়ুয়াদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত (Hindu Nationalism) মানা যায় না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: সব দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন, গভীর রাতে ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar: সব দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন, গভীর রাতে ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল মঙ্গলবারই ছিল সুপ্রিম কোর্টের শুনানি। এই দিনই বিকাল চারটে থেকে জেনারেল বডির বৈঠক শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বৈঠক চলে গভীর রাত পর্যন্ত। একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে এবং এরপরেই তাঁদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়। আন্দোলন (RG Kar) চালিয়ে যাওয়ার কথাই এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের অভিযোগ সব দাবি পূরণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলনকারীদের দাবি মতো স্বাস্থ্য সচিব, ডিসি সেন্ট্রাল – এই দুজনকে সরানো হয়নি। একই সঙ্গে নিরাপত্তা জোরদার করার বদলে রাজ্য মহিলা ডাক্তার-নার্সদের রাতে ডিউটি দেবেনা বলেছে, এরফলে নারী-পুরুষ বৈষম্য তৈরি হবে বলে মনে করছেন ডাক্তাররা (Junior Doctor)।

    জুনিয়র চিকিৎসকদের পাঁচটি দাবি (RG Kar)

    প্রসঙ্গত জুনিয়র চিকিৎসকদের পাঁচটি দাবি। তাঁদের প্রথম দাবি, আরজি কর কাণ্ডের বিচার। দ্বিতীয় দাবি, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ, যদিও তিনি এখন জেলে, (রাজ্য অবশ্য সন্দীপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে তাঁকে প্রাইজ পোস্টিং দিয়েছিল)। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তার অপসারণ। মঙ্গলবার, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তার বদলি হলেও, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে সরায়নি রাজ্য।

    জুনিয়র ডাক্তারদের তৃতীয় দাবি ছিল, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ, এর পাশাপাশি ডিসি নর্থ ও ডিসি সেন্ট্রালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ। মঙ্গলবার বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে এসটিএফের এডিজি করা হয়। ডিসি নর্থ থেকে সরিয়ে অভিষেক গুপ্তকে ইএফআর-এ পাঠানো হয়। কিন্তু, ডিসি সেন্ট্রাস ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে সরানো হয়নি।

    চতুর্থ দাবি, হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা ব্য়বস্থা জোরদার করা। যা এখনও সম্পন্ন হয়নি। এই নিয়ে মঙ্গলবারের সুপ্রিম-শুনানিতেও ভর্ৎসিত হয়েছে রাজ্য। পঞ্চম দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর ভীতি প্রদর্শনের সংস্কৃতি বন্ধ করা। সূত্রের খবর, জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, তিনি নাকি থ্রেট কালচার সম্পর্কে জানতেন না। 

    কী বলছেন আন্দোলনকারীরা?

    আন্দোলনকারীদের (Junior Doctor) কথায়, ‘‘মহিলা চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্য কর্মীদের রাতের পরিবর্তে দিনের ডিউটি দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য তার আমরা বিরোধিতা করছি। এর ফলে নারী-পুরুষ বৈষম্য তৈরি হবে। পরিকাঠামো উন্নয়ন না করে শুধু নিরাপত্তা কর্মী দিয়ে হাসপাতালের সুরক্ষা সম্ভব নয়। বহু হাসপাতালে জীবনদায়ী ওষুধ থাকে না। ফলে কাজ করতে গিয়ে রোগীর পরিজনদের হাতে আক্রান্ত হতে হয়। তাই নিরাপত্তা-সহ এই দাবিগুলি যাতে দ্রুত পূরণ হয়, তা নিয়ে আরও আলোচনা জরুরি।’’ আন্দোলনকারীদের কথায়, ‘‘সরকারি হাসপাতালগুলিতে এখনও পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি কিংবা নিরাপত্তারক্ষী এখনও মোতায়েন হয়নি। বহু জায়গায় নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। কাজে ফেরার আগে এগুলো পূরণ হওয়া জরুরি।’’

    কী বলছেন আন্দোলনের অন্যতম মুখ ডাক্তার অনিকেত

    ডাক্তার অনিকেত মাহাতো বলেন, ‘‘হাসপাতালগুলিতে একাধিক সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য আমরা কলেজ ভিত্তিক টাস্ক ফোর্স গঠনের দাবি করেছিলাম। সেই দাবি অনুযায়ী, একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু সেটা কীভাবে কাজ করবে, তা আমাদের কাছে এখনও অস্পষ্ট। এছাড়াও, রোগীকল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশের কপি এখনও পাননি তাঁরা। এই সমস্ত দাবি নিয়েই বুধবার মুখ্যসচিবকে চিঠি দিচ্ছেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা (RG Kar)। চিঠিতে ফের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 18 September 2024: কোনও আশা ভঙ্গ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 18 September 2024: কোনও আশা ভঙ্গ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) মনের মতো পরিবেশ পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য জীবন খুব ভালো কাটতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    বৃষ

    ১) সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলুন।

    ২) ব্যবসায় ভালো লাভের সময়।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মিথুন

    ১) জেদের কারণে কোনও ক্ষতি হতে পারে।

    ২) সম্পত্তির ব্যাপারে কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাদ বাধতে পারে।

    ৩) ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন।

    কর্কট

    ১) অভিনয়ের প্রতি অনুরাগ বাড়তে পারে।

    ২) অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতার যোগ।

    ৩) ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    সিংহ

    ১) কোনও ভালো কাজ না হওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) নতুন চাকরির চেষ্টা করতে পারেন।

    ৩) ধৈর্য্য রেখে কাজ করুন।

    কন্যা

    ১) রাজনীতির লোকেদের জন্য ভালো খবর আসতে পারে।

    ২) সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হবে।

    ৩) কোনও বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়বেন না আজ।

    তুলা

    ১) কাজ নিয়ে ক্ষোভ বাড়তে পারে।

    ২) পাওনা আদায় নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) কীটপতঙ্গ থেকে একটু সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে ব্যয় কমানোর আলোচনা।

    ৩) নিজের বাণীতে সংযম রাখুন।

    ধনু

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) সতর্কভাবে চলাফেরা করুন।

    মকর

    ১) কোনও আশা ভঙ্গ হতে পারে।

    ২) দূরে কোথাও ভ্রমণের আলোচনা হতে পারে।

    ৩) ব্যবসায় লোকসানের সম্ভাবনা।

    কুম্ভ

    ১) অতিরিক্ত কথায় বাড়িতে বিবাদের যোগ।

    ২) শরীরে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) শরীরে যন্ত্রণা হতে পারে।

    ২) প্রেমে বিরহ দেখা দিতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে খুশিতে কাটান দিনটি।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগে কানাডার সাংসদ

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগে কানাডার সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় (Bangladesh Crisis)  উদ্বেগে কানাডার সাংসদ চন্দ্র আর্য। সে দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা কী কী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তাও জানান তিনি (Chandra Arya)। কেবল হিন্দুরা নন, বাংলাদেশে থাকা বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানরাও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ তাঁর। বাংলাদেশে অশান্তি-পর্বে এই সব ধর্মীয় গোষ্ঠী, বিশেষত হিন্দুরা সব চেয়ে বেশি সাফার করেছে।

    কী বললেন কানাডার সাংসদ?

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডার এই সাংসদ বলেন, “বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে ১৯৭১ সালে। তার পর থেকে সে দেশে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনসংখ্যার হার।” তিনি বলেন, “কানাডিয়ান হিন্দুদের যেসব আত্মীয়-স্বজন বাংলাদেশে রয়েছেন, তাঁরা তাঁদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।” আর্য বলেন (Bangladesh Crisis), “২৩ সেপ্টেম্বর কানাডিয়ান পার্লামেন্টের সামনে একটি সমাবেশের পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। এই সমাবেশে যোগ দেবেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কানাডিয়ান বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের পরিবারও।”

    কে এই চন্দ্র আর্য?

    চন্দ্র ভারতের কর্নাটকের বাসিন্দা। বছর দুই আগে কানাডার পার্লামেন্টে মাতৃভাষা কন্নড়ে বক্তৃতা দিয়ে তামাম বিশ্বের নজর কাড়েন তিনি। কানাডার হাউস অফ কমন্সে অন্টারিওতে নেপিয়ানের নির্বাচনী জেলার প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। প্রসঙ্গত, সংরক্ষণের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্র আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। আন্দোলনের তীব্রতায় ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। বস্তুত, তার পর থেকেই হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চরমে ওঠে।

    আরও পড়ুন: জুনিয়র ডাক্তারদের লাগাতার আন্দোলনের ফল, সরানো হল স্বাস্থ্য দফতরের দুই মাথাকে

    হাসিনা জমানায় যে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হত না, তা নয়। তবে তা নেহাতই সামান্য। কিন্তু হাসিনা-উত্তর জমানায় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার পৌছয় চূড়ান্ত পর্যায়ে। হিন্দুদের বাড়িঘর ধ্বংস করা হয়। হামলা চালানো হয় মন্দিরে। ভাঙচুর করা হয় বিগ্রহ। খুন করা হয় বহু হিন্দুকে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তাদের বাড়িঘর মায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও। নির্বিচারে চলতে থাকে লুটতরাজ। অশান্ত বাংলাদেশের রাশ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। নেতৃত্বে দেশের এক মাত্র নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূস। এই ইউনূস জমানায়ও হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বেড়েছে বই কমেনি (Chandra Arya)। হিন্দুদের ওপর এই নিদারুণ নির্যাতন (Bangladesh Crisis) নিয়েই মুখ খুললেন কানাডার সাংসদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share