Tag: Bengali news

Bengali news

  • One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ চালু হচ্ছে মোদি সরকারের এই মেয়াদেই!

    One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ চালু হচ্ছে মোদি সরকারের এই মেয়াদেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয়েছিল ৩৭০ ধারা। আর তৃতীয় মেয়াদে চালু হতে চলেছে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election)। জানা (NDA) গিয়েছে, এনডিএ সরকারের চলতি মেয়াদেই কার্যকর হয়ে যাবে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’। সূত্রের দাবি, অবশ্যই এটি চলতি মেয়াদেই কার্যকর হবে। এটি বাস্তব রূপ নেবে। এই সংস্করমূলক পদক্ষেপকে সব দলই সমর্থন জানাবে বলেও আশাবাদী ওই সূত্র।

    ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election)

    দীর্ঘদিন ধরেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর পক্ষে সওয়াল করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর যুক্তি, এতে লাভ হবে দুভাবে। এক, বারবার নির্বাচন করতে যে বিপুল খরচ হয়, তা কমবে। আর দুই, আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার কারণে বারবার যে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম থমকে থাকে, তা আর হবে না। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, বারংবার ভোট করাতে গিয়ে সরকারি কর্মী এবং প্রশাসনকে যে হ্যাপা পোহাতে হয়, তাও আর হবে না। দেশের রাজনৈতিক দলগুলিকেও ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর প্রস্তাব সমর্থন জানানোর আহ্বানও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বিরোধীদের দাবি, মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনার পরিপন্থী। তাঁদের মতে, মোদি সরকার ঘুরপথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে এ দেশে।

    আরও পড়ুন: অন্য কাশ্মীর! ৩৭ বছর পর দোরে দোরে ঘুরে প্রচার করছেন প্রার্থীরা

    কমিটির রিপোর্ট

    ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) ব্যবস্থা চালু করা কতটা বাস্তবসম্মত, তা খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল সরকার। গত মার্চ মাসেই সেই কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। সূত্রের দাবি, ওই কমিটিও মত দিয়েছে এক দেশ, এক নির্বাচনের পক্ষে। ৪৭টিরও বেশি রাজনৈতিক দল কোবিন্দ কমিটির কাছে তাদের মতামত ব্যক্ত করেছিল। এর মধ্যে ৩২টি দলই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর ধারণাকে সমর্থন করেছে। সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছিল। সেখান থেকেও প্রতিক্রিয়া এসেছে ২১ হাজার ৫৫৮টি। এর মধ্যেও ৮০ শতাংশ সায় দিয়েছে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর (One Nation One Election) পক্ষেই (NDA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: বয়স ৮০ ছুঁই ছুঁই! ঐতিহ্যকে আঁকড়ে পটচিত্র এঁকে চলেছেন কৃষ্ণনগরের রেবা পাল

    Durga Puja 2024: বয়স ৮০ ছুঁই ছুঁই! ঐতিহ্যকে আঁকড়ে পটচিত্র এঁকে চলেছেন কৃষ্ণনগরের রেবা পাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, নারী মানে অসীম ধৈর্যের এক অন্যতম নাম। মহিষাসুরকে বধ করার জন্য যেমন মা দুর্গার আবির্ভাব হয়েছিল, এখনও যুগ যুগ ধরে দেবী দুর্গা রয়েছেন বিরাজমান। হ্যাঁ, এমনই এক নারীশক্তির (Durga Puja 2024) কথা না বললেই নয়। বয়স প্রায় ৭৫ বছরের অনেক বেশি হলেও মনের শক্তি এবং অদম্য ইচ্ছেতে সূক্ষ্ম-নিপুণ কাজের সঙ্গে এখনও পটচিত্র এঁকে চলেছেন নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির বক্সিপাড়ার বাসিন্দা রেবা পাল। করেন ভাঙা ঘরে বসবাস। বয়স ৮০ ছুঁই ছুঁই,, স্বামীর কাছ থেকে পটচিত্রের কাজ শেখা, এরপর স্বামী পরলোক গমন করলে সম্পন্ন সংসারের দায়ভার তার কাঁধে এসে পড়ে। আর অন্য কোনও কাজ জানা ছিল না তাঁর। তাই স্বামীর শিল্পকেই ধরে রেখেছেন তিনি।

    হাল ছাড়তে নারাজ (Durga Puja 2024)

    এরপর সংসারের অনেকটাই হাল ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজো আসতেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কাজের বরাত আসত। আর দিনরাত এক করে পটচিত্রর কাজ করতে হত তাঁকে। যত দিন গিয়েছে, ততই তাঁর হাতের কাজের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। এখন বার্ধক্যজনিত কারণে কমেছে দৃষ্টিশক্তি। কিন্তু হাল ছাড়তে নাড়াজ তিনি। তাঁর নিপুণ কাজের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পেয়েছেন শংসাপত্র। এখনও কলকাতা সহ জেলার (Krishnanagar) বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুজো উদ্যোক্তারা ছুটে আসেন তাঁর কাছে, পটচিত্রর জন্য। এক কথা বলা যেতেই পারে, এই বয়সেও এখনও তাঁর লড়াইটা থেমে থাকেনি।

    মন ভার রেবা দেবীর (Krishnanagar)

    শিল্পী রেবা পালের কথায়, তিনি যতদিন বাঁচবেন, এই শিল্পকে বজায় রাখবেন। কিন্তু এবছর ঠিকঠাক কাজের বরাত না পাওয়ায় অনেকটাই মন ভার রেবাদেবীর। কারণ বলে মনে করছেন, আরজি করেন ঘটনা। বলাই বাহুল্য,, নদিয়ার কৃষ্ণনগর ঘূর্ণির মোড় মাটির প্রতিমা এবং পুতুল তৈরিতে এক খ্যাতনামা জায়গা। মৃৎশিল্পীদের অতুলনীয় প্রতিভা ফুটে ওঠে সূক্ষ্ম কাজে, কম যান না রেবাদেবীও। দিনরাত এক করে পটচিত্র এঁকে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে দেশে-বিদেশে। রেবাদেবী আক্ষেপের সুরে বলেন, বয়স তো অনেক হল, কমেছে দৃষ্টিশক্তি কমছে মনবল। আর পেশির শক্তিও দিন দিন কমতে থাকছে। জানি না ভবিষ্যতে কী হবে (Durga Puja 2024)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো একজন দয়ালু, সরকারিভাবে যদি কিছু আর্থিক সহযোগিতা পেতেন তাহলে হয়তো যেমন বাঁচিয়ে রাখতে পারতেন তাঁর এই শিল্পকে, তেমনি হতে পারতেন আরও হয়তো স্বাবলম্বী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ

  • Sandip Ghosh: ‘‘ট্রান্সজেন্ডারদের সঙ্গে সম্পর্ক পাতাতেন সন্দীপ, কামড়াতেন-মারতেন’’! বিস্ফোরক দাবি

    Sandip Ghosh: ‘‘ট্রান্সজেন্ডারদের সঙ্গে সম্পর্ক পাতাতেন সন্দীপ, কামড়াতেন-মারতেন’’! বিস্ফোরক দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। আর্থিক তছরূপের ঘটনার পাশাপাশি নির্যাতিতাকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনাতেও সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই আবহের মধ্যে এবার সন্দীপের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির প্রথম সারির যোদ্ধা কাজি আলি আফতাব। তাঁর দাবি, একাধিক ট্রান্সজেন্ডারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছেন সন্দীপ। শুধু তাই নয়। তাঁরা সন্দীপের পাশবিকতারও শিকার হয়েছেন! বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ট্রান্সজেন্ডারদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে অত্যাচার (Sandip Ghosh)

    ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির প্রথম সারির যোদ্ধা কাজি আলি আফতাব বলেন, “উনি (Sandip Ghosh) ফেসবুকের মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডারদের ফোন নম্বর জোগাড় করতেন। তাঁদের ডেকে পাঠাতেন। এরপর তাঁদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতেন। তারপর তাঁদের ওপর নির্যাতন করতেন। কামড়ানো-খিমচানো-মারধর করা — এই ধরনের ব্যবহার করতেন। আমাদের কমিউনিটির তিনজনের সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা থানায় সেই সময় যেতে পারেননি। যেহেতু তিনি প্রভাবশালী তার ওপর আবার ডাক্তার ছিলেন। তারপর তিনি সমাজের স্বীকৃত মানুষ।” কাজি আলির এও দাবি, “এই নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে হয়ত বলবে আপনি স্বেচ্ছায় সম্পর্কে গিয়েছেন। তখন নির্যাতিতা বা নির্যাতিত যেই হোন না কেন দোষী হয়ে যান।”

    আরও পড়ুন: ইস্তফা দিচ্ছেন কেজরিওয়াল! দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে?

    সিভিকের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন

    সিভিক ভলান্টিয়রের সঙ্গে কি সম্পর্ক ছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের? ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির প্রথম শ্রেণির যোদ্ধা কাজি আলি আফতাব তেমনই আশঙ্কা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, “নির্যাতিতার ঘটনায় যে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে, হয়ত তাঁর সঙ্গে সন্দীপের (Sandip Ghosh) কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে। নয়ত অভিযুক্ত সব দোষ নিজের মাথায় নিয়ে নিচ্ছে! এমনি-এমনি তো কেউ নিজের মাথায় দোষ নেবে না। আর ওঁর যেমন স্বভাব, উনি এমন সম্পর্কে লিপ্ত থাকবেন না এর কোনও গ্যারান্টি নেই।”

    সিভিকের ফোনে বিপুল পরিমাণে নীল-ছবি!

    প্রসঙ্গত, ‘তিলোত্তমা’র দেহ উদ্ধার পর যখন কলকাতা পুলিশের হাতে অভিযুক্ত সিভিক গ্রেফতার হয়েছিলেন, সেই সময় ও তিনি পুলিশের কাছে ফাঁসির আবেদন করেছিলেন। দোষ করে বলেছিলেন, “আমায় ফাঁসি দিন।” এ দিন হয়ত সেই বিষয়টিই বোঝাতে চেয়েছেন কাজি আলি আফতাব। বস্তুত, আরজি করের ঘটনার তদন্তে নামার পর অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের ফোন ঘেঁটে একাধিক নীলছবি খুঁজে পেয়েছিলেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। কার্যত চমকে ওঠেন তাঁরা। গোয়েন্দা আধিকারিকদের দাবি ছিল, অভিযুক্ত এমন ধরনের নীলছবি দেখতেন যা সুস্থ মস্তিস্কের মানুষ দেখেন না।

    ছাত্রের শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত সন্দীপ!

    এর আগে, ২০১৭ সালে হংকং এক নার্সিং ছাত্রের শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তিনি ওই ছাত্রের গোপনাঙ্গ ছোঁয়ার চেষ্টা করেন। হংকং এর কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে এই ঘটনার ঘটার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, সন্দীপ ঘোষের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া এক গোপন ল্যাপটপ নিয়েও বেশ কিছু বিস্ফোরক বিষয় উদ্ধার হয়েছে বলে বহু মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করেছে। এই ল্যাপটপ উদ্ধার করে ইডি। নথির পাশাপাশি সেই ল্যাপটপ থেকে বহু ছবি উদ্ধার হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সন্দীপের ওই ল্যাপটপে মিলেছে বহু নগ্ন পুরুষের ছবি। তবে সেই ছবি নিয়ে সেভাবে এখনও ভাবনা চিন্তা শুরু করেননি তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বৃষ্টিতে নাজেহাল রাজ্যবাসী! কবে থেকে কমবে দুর্যোগ?

    Weather Update: বৃষ্টিতে নাজেহাল রাজ্যবাসী! কবে থেকে কমবে দুর্যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটানা বৃষ্টিতে নাজেহাল রাজ্যবাসী। রবিবারও দিনভর বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর বর্তমানে গভীর নিম্নচাপ (Deep Depression) অবস্থান করছে। তবে আজ সোমবার থেকেই শক্তি হারাবে এই গভীর নিম্নচাপ এবং তা পরিণত হবে শুধু নিম্নচাপে। হাওয়া অফিসে তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে নিম্নচাপটি। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় সেটি পশ্চিমমুখী হয়ে ঝাড়খণ্ড এবং উত্তর ছত্তিশগড়ের দিকে এগোতে পারে।

    সোমবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি

    আজ সোমবার থেকে আবহাওয়ার (Weather Update) উন্নতি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা কমবে উত্তরবঙ্গেও। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। ইতিমধ্যে নিম্নচাপের (Deep Depression) জেরে উত্তাল বঙ্গোপসাগর। আজ সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যাত্রা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। 

    সোমবারও মেঘলা আকাশ

    হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবারও আকাশ মেঘলা থাকবে। কলকাতা-সহ বাকি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এদিন, কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা (Weather Update) করবে। অন্যদিকে, সোমবারই পুরুলিয়া ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে হলুদ সর্তকতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।

    গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২২.২ মিলিমিটার 

    রবিবার কলকাতা এবং পাশ্বর্বতী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৬.৬ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের (Weather Update) চেয়ে ১.৩ ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল সর্বোচ্চ ৯৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৯৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২২.২ মিলিমিটার, এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    আরও পড়ুন: বছরের প্রথম ছ’মাসে ১১ কোটি পর্যটক! বারাণসীকে পিছনে ফেলে শীর্ষে রাম জন্মভূমি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: অষ্টমীতে ইলিশ, দশমীতে পান্তা ভোগ খেয়ে মা কৈলাশের উদ্দেশে রওনা দেন

    Durga Puja 2024: অষ্টমীতে ইলিশ, দশমীতে পান্তা ভোগ খেয়ে মা কৈলাশের উদ্দেশে রওনা দেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঐতিহ্য এবং নিষ্ঠার অন্যতম নিদর্শন নদিয়ার শান্তিপুরের বনেদি বাড়িগুলির মধ্যে অন্যতম জজ পণ্ডিত বাড়ি (Durga Puja 2024)। আনুমানিক ৬০০ বছরেরও বেশি আগে থেকে এখানে পূজিত হন দেবী দুর্গা। আগে গয়ায় ছিল এই পরিবারের পিতম্বর চ্যাটার্জির জমিদারি। তারপর সেখান থেকে নদিয়ার শান্তিপুর। এখানে আসার পর আবারও পুজোর প্রচলন হয়। যদিও তাঁদের এই জমিদারি পরবর্তীতে আর বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। জমিদারি না থাকলে কী হবে, আজও রীতিনীতি মেনে এবং নিষ্ঠার সঙ্গেই পূজিত হন দেবী দুর্গা।

    নবমীতে কচু শাক, কলার বড়া (Durga Puja 2024)

    দেবী এখানে পূজিত হন তন্ত্র মতে। তবে এই পুজোর বিশেষত্ব হল, দেবী একাই পূজিত হন। আগে পুজোয় ১০৮টি মহিষ বলি দেওয়া হত। তবে বর্তমানে মহিষ বলি আর দেওয়া হয় না, পরিবর্তে আখ, চালকুমড়ো, কলা ইত্যদি ফল বলি দেওয়া হয় দেবীর চরণে। ভোগেও রয়েছে বিশেষ নিয়ম। সপ্তমী থেকে শুরু হয় দেবীর ভোগ। অষ্টমীতে দেবীকে দেওয়া হয় ইলিশ মাছের ভোগ, নবমীতে কচু শাক, কলার বড়া। তবে নবমীর ভোগ, দশমীতে পান্তা হিসেবে দিয়ে মায়ের আরাধনা করা হয়। এই পান্তা ভোগ খেয়েই মা কৈলাশের উদ্দেশে রওনা দেন।

    বেলজিয়াম ফানুসের আলোয় পুজো

    বাড়ির সদস্যা সঞ্চারী শাস্ত্রী জানান, আগে পুজোয় বেলজিয়াম ফানুসের আলোয় দেবী মূর্তি পূজিত হত (Durga Puja 2024)। পরবর্তীকালে সেই ফানুস চুরি হওয়ার পর বর্তমানে ইলেকট্রিক আলো ব্যবহার করা হয় পুজোয়। যদিও বাড়ির মাতৃমূর্তি যে বেদিতে পূজিত হয়, সেটি পঞ্চমুন্ডির আসন। কালের নিয়মে সেই বেদি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, সেটি ঠিক করার জন্য একজনকে বরাত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি মাটি খুঁড়তে গিয়েই মৃত্যু হয়। দেবী এই বাড়িতে খুবই জাগ্রত, এমনটাই জানা যায়। সঞ্চারী দেবী জানান, বাড়ির সকলে এই পুজোর কদিন একত্রিত হয়। শান্তিপুরের জজ পণ্ডিত বাড়িতে মহা আনন্দে, রীতি মেনে নিষ্ঠা সহ পূজিত হন মা (Nadia)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mpox: মাঙ্কি পক্স রুখতে কোন নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক? কেন করোনার মতোই তৎপরতা?

    Mpox: মাঙ্কি পক্স রুখতে কোন নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক? কেন করোনার মতোই তৎপরতা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে দাপট। আর তাই উদ্বেগও বাড়ছে। কয়েক বছর আগের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা এখনও তাজা। ফের কেউ সেই একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চাইছেন না। তাই আগাম আটঘাট বেঁধে রাখতে চাইছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। দেশ জুড়ে তারা বাড়াচ্ছে সতর্কতা। গত বছরে মাঙ্কি পক্স (Mpox) বেশ কিছু দেশে প্রকোপ বাড়িয়েছিল। চলতি বছরেও এই ভাইরাস ফের সক্রিয় হয়েছে। তাই সজাগ স্বাস্থ্য প্রশাসন।

    কোন দিকে বাড়তি নজর দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক? (Mpox)

    করোনা-কালে অন্য দেশ থেকে আসা মানুষদের থেকেই ভারতে এই মহামারি ছড়িয়েছিল। তাই মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নিতে চাইছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের সবকটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিশেষত বেঙ্গালুরু এবং মুম্বই বিমানবন্দরে এই ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। কারণ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে এই সব বিমানবন্দরে বেশি যাতায়াত হয়। তবে বাদ নেই কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই সহ অন্যান্য বিমানবন্দরও। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বিদেশ থেকে কেউ ভারতে আসলেই তার নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক পরীক্ষা করানো হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরেই সেই ব্যক্তির অবাধ যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হবে। যদি মাঙ্কি পক্সের নমুনা কোনও ব্যক্তির দেহে পাওয়া যায়, তাহলে ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ দেওয়া হবে। একদম করোনার পথেই মাঙ্কি পক্সের দাপট রুখতে চাইছে কেন্দ্র।

    কেন উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক?

    গ্রীষ্মপ্রধান দেশে মাঙ্কি পক্সের দাপট বেশি। রেইন ফরেস্ট এলাকা থেকেই এই রোগের (Mpox) প্রকোপ শুরু হয়েছিল। কিন্তু তার পরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বিভিন্ন দেশে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে চলতি বছরে মাঙ্কি পক্সের দাপট বেড়েছে। মূলত আফ্রিকার দেশগুলোতে এই বছরে এই ভাইরাসের দাপট বেড়েছে। আফ্রিকার দেশ থেকে বহু মানুষ ভারতে আসেন। পর্যটক হিসেবে যাতায়াতের পাশপাশি বিভিন্ন বাণিজ্যিক কারণেও বিভিন্ন দেশের মানুষ ভারতে আসেন। ফলে যোগাযোগ যথেষ্ট নিবিড়। তাই বাড়তি সতর্ক না থাকলে ভারতেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসনের একাংশ।

    মাঙ্কি পক্স কতখানি ভয়াবহ? (Mpox)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, মাঙ্কি পক্স নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। চিকেন পক্সের মতোই এই রোগে জ্বর হয়। গোটা শরীরে লাল চাকা দাগ বা ফুসকুড়ি দেখা দেয়। কিন্তু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে রক্তনালীর ভিতরে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনে নানান জটিলতা তৈরি হয়। মাঙ্কি পক্স থেকে মৃত্যুও হতে পারে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, মূলত পশুর দেহ থেকেই এই রোগ মানুষের শরীরে আসে। কিন্তু এই রোগের সংক্রমণ ক্ষমতা মারাত্মক। আক্রান্তের নাক, চোখ, মুখের লালা রস থেকে এই রোগ ছড়াতে পারে।‌ এমনকী আক্রান্তের ব্যবহার করা পোশাক থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে বলে জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তাই সংক্রমণ রুখতে মরিয়া চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে এই রোগ সম্পর্কে জন সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, যে কোনও সংক্রামক রোগ রুখতে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার জন সচেতনতা। জ্বর, কাশি কিংবা শরীরের বিভিন্ন জায়গা হঠাৎ লাল ফুসকুড়ি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। যাতে এই রোগের (Monkey Pox) দাপট বাড়ার আগেই মোকাবিলা সম্ভব হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: মঙ্গলবার সুপ্রিম-শুনানি, জুনিয়র ডাক্তাররা নিয়োগ করলেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংকে

    RG Kar: মঙ্গলবার সুপ্রিম-শুনানি, জুনিয়র ডাক্তাররা নিয়োগ করলেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রয়েছে আরজি কর (RG Kar) মামলার শুনানি। তার আগেই বিরাট পদক্ষেপ জুনিয়র ডাক্তারদের। আন্দোলনকারী জিনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার তাঁদের হয়ে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করবেন বিশিষ্ট আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে শীর্ষ আদালতে হওয়া আগের শুনানিতে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের’ হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী গীতা লুথরা। তাঁর পরিবর্তে এবার সওয়াল করবেন ইন্দিরা। জানা গিয়েছে, চিকিৎসকদের সংগঠন, ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর হয়ে সওয়াল করবেন করুণা নন্দী এবং সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের প্রতিবাদে এই সংগঠনও ওই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল রবিবারই জানা যায়, ইন্দিরা জয়সিংকে নিজেদের আইনজীবী হিসাবে নিয়োগ করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এনিয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে অনিকেত মাহাতো বলেন, “আমরা আইনজীবী হিসাবে ইন্দিরা জয়সিংকে নিয়োগ করেছি। আগামী মঙ্গলবার তিনি আমাদের হয়ে সওয়াল করবেন।”

    সুপ্রিম কোর্টে ‘লাইভ স্ট্রিমিংয়ের’ আর্জি জানিয়েছিলেন 

    প্রসঙ্গত, ইন্দিরা জয়সিং সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবীদের মধ্যে অন্যতম। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তিনি সওয়াল করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের শুনানি যাতে ‘লাইভ স্ট্রিমিংয়ের’ মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে যায় তার জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন ইন্দিরা। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমহা এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ ‘লাইভ স্ট্রিমিংয়ের’ আর্জিকে মান্যতা দেওয়ার কথা জানায়।

    জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের ‘লাইভ স্ট্রিমিং’-এ কীসের আপত্তি মমতার?

    বর্তমানে ‘লাইভ স্ট্রিমিংয়ের’ মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মামলার শুনানি ঘরে বসেই দেখা যায়। আরজি করের (RG Kar) ঘটনা নিয়ে শীর্ষ আদালতের শুনানিও সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে। এদিকে ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ বিতর্কেই বার বার ভেস্তে যাচ্ছে রাজ্যের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক। অনেকেই বলছেন, লোকসভা অধিবেশন, রাজ্যসভার অধিবেশন, সুপ্রিম শুনানি যদি ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ হয়, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে ‘লাইভ স্ট্রিমিং’-এ আলোচনা করছেন না? প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকে (RG Kar) বসার আগে জুনিয়র ডাক্তারেরা ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ বা সরাসরি সম্প্রচারের দাবি তোলেন। কিন্তু তারপরেও মমতা সরকার চিকিৎসক পড়ুয়াদের দাবি না মানায় ভেস্তে যায় বৈঠক। বাড়ি ডেকে কার্যত তাঁদের ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তেলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: ইস্তফা দিচ্ছেন কেজরিওয়াল! দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে?

    Arvind Kejriwal: ইস্তফা দিচ্ছেন কেজরিওয়াল! দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে কী ইস্তফা দিচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)? মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং জানিয়েছেন, পদত্যাগ করবেন তিনি। আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় জেলমুক্তির পরেই দিল্লির জনসভা থেকে তিনি ঘোষণা করেন, “দুদিন বাদেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ব। জনতার রায়ে জিতে আসার আগে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না।”

    কী বললেন কেজরিওয়াল? (Arvind Kejriwal)

    তিনি বলেন, “আমি প্রতিটি মানুষের বাড়িতে যাব। রাস্তায় যাব। কিন্তু মানুষের রায় না পাওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসব না।” রবিবার দিল্লির জনসভায় তিনি বলেন, “ওরা (বিজেপি) ভেবেছিল, আমাকে জেলে পাঠিয়ে আমাদের দল ভেঙে দেবে। কিন্তু সেটা ওরা পারেনি। আমি সংবিধান বাঁচাতে চেয়েছিলাম, সেই জন্যই জেল থেকে ইস্তফা দিইনি। সুপ্রিম কোর্টই প্রমাণ করে দিয়েছে জেল থেকেই সরকার চালানো যায়।”

    পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে?

    কেজরিওয়াল পদত্যাগ করছেন খবর ছড়িয়ে পড়তেই উঠছে প্রশ্ন, কে হবেন দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী? এই পদে উঠে আসছে অতীশির নাম। যদিও এ ব্যাপারে অতীশি কিছু বলেননি। তিনি শুধু বলেন, “দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Arvind Kejriwal) কে হবেন, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল পদত্যাগ করলেও, সাধারণ মানুষের সরকার এক সপ্তাহ বা এক মাস স্থায়ী হবে। তবে এই সরকার দিল্লির জনগণের জন্য কাজ করতে থাকবে।” তিনি বলেন, “পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা বিধানসভা দলের বৈঠকেই ঠিক হবে। দিল্লিবাসী শুধু আপ সরকারকেই চায়।

    আরও পড়ুন: অন্য কাশ্মীর! ৩৭ বছর পর দোরে দোরে ঘুরে প্রচার করছেন প্রার্থীরা

    মার্চ মাসে গ্রেফতার হন কেজরিওয়াল। আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। জেলে থেকেই সরকার চালিয়েছেন তিনি। কেজরিওয়াল যখন জেলে, তখনই তার পদত্যাগ দাবি করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। পদ্ম শিবিরের প্রবল চাপেও ইস্তফা দেননি তিনি। জেল থেকেই অতীশি এবং কয়েকজন মন্ত্রীকে দিয়ে সরকার চালিয়েছিলেন তিনি। সেই তিনিই ঘোষণা করলেন ইস্তফার কথা।

    কেজরিওয়ালের পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “যখন আপনি জেলে ছিলেন তখন পদত্যাগ করলেন না। আর এখন বলছেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করবেন। রহস্যটা কী (Arvind Kejriwal)?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indias Workforce: ভারতে কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যায় যুক্ত হবে ১৭৯ মিলিয়ন মানুষ

    Indias Workforce: ভারতে কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যায় যুক্ত হবে ১৭৯ মিলিয়ন মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৪৭ সালে হবে স্বাধীনতার শতবর্ষপূর্তি। তার ঠিক দুবছর আগে ভারতে কর্মক্ষম বয়সের (Working Age Population) জনসংখ্যায় অন্তত ১৭৯ মিলিয়ন মানুষ যুক্ত হবেন (Indias Workforce)। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টেই এ খবর মিলেছে।

    কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যা (Indias Workforce)

    বর্তমানে ভারতের কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যা ৯৬১ মিলিয়ন। গত পাঁচ বছরের মধ্যে বেকারত্বের হার রয়েছে সর্বনিম্ন। বিনিয়োগ সংস্থা জেফারিজের মতে, ভারতের কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যা (এঁদের বয়স ২৫ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে) মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ হিসেবে বাড়ছে, যা সঞ্চয় ও বিনিয়োগের জন্যও ইতিবাচক হতে পারে। এই সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে, ভারতে নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হারও বেড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রমশক্তি সম্প্রসারণের অন্যতম চালিকা শক্তি হবে এই নারী শ্রমশক্তি।

    কী বলছে জেফারিস?

    জেফারিসের সাম্প্রতিক নোট থেকে জানা গিয়েছে (Indias Workforce), ২০৩০ সালের মধ্যে শ্রমশক্তির জোগান কমে হতে পারে ৬ মিলিয়ন। এই ফাঁক পূরণ হতে পারে কৃষি কর্মসংস্থান থেকে পরিবর্তনের মাধ্যমে। অগাস্টেই একটি তথ্য প্রকাশ করেছে পরিসংখ্যান মন্ত্রক। সেই তথ্য থেকেই জানা গিয়েছে, ভারতের শহরাঞ্চলে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এলএফপিআর ২০২৩ সালের এপ্রিল-জুন মাসে ছিল ৪৮.৮ শতাংশ। চলতি বছরের এপ্রিল-জুন মাসে সেটাই বেড়ে হয়েছে ৫০.১ শতাংশ। এই তথ্য দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিকে প্রতিফলিত করে।

    প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, শহরাঞ্চলে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মহিলাদের জন্য এলপিএফআরও গত বছরের এপ্রিল-জুন মাসে ছিল ২৩.২ শতাংশ। চলতি বছরের এপ্রিল-জুন মাসে সেটাই বেড়ে হয়েছে ২৫.২ শতাংশ। আর একটি কর্মসংস্থান সূচক হল শ্রমিক জনসংখ্যার অনুপাত। ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তির মধ্যে শহরাঞ্চলে গত বছর এপ্রিল-জুন মাসে এই হার ছিল ৪৫.৫ শতাংশ। চলতি (Working Age Population) বছর এটাও বেড়েছে। হয়েছে ৪৬.৮ শতাংশ (Indias Workforce)।

    আরও পড়ুন: সন্দীপ-অভিজিতের পর কি বিনীত গোয়েল? সিবিআই এবার এগচ্ছে মাথার দিকে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: বাংলাদেশের ছায়া পশ্চিমবঙ্গে! পুজোর আগেই দুর্গার মূর্তি ভাঙল দুষ্কৃতীরা!

    Durga Puja: বাংলাদেশের ছায়া পশ্চিমবঙ্গে! পুজোর আগেই দুর্গার মূর্তি ভাঙল দুষ্কৃতীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গা পুজোর (Durga Puja) আগেই দেবী দুর্গা এবং অন্যান্য হিন্দু দেবতার মূর্তি ভাঙচুর (Broke idol) করেছে দুষ্কৃতীরা। মা দুর্গার মূর্তির সঙ্গে লক্ষ্মী এবং সরস্বতীর মূর্তিও ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি। এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিও শেয়ার করে অমিত মালব্য বলেন, “মা দুর্গা, লক্ষ্মী এবং সরস্বতীর মূর্তিগুলিকে অত্যন্ত নিম্নরুচির পরিচয় দিয়ে পুজোর আগেই ভাঙচুর করা হয়েছে। বাংলায় হিন্দুরা সঙ্কটে রয়েছেন।” ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    ঘটনা কোথায় ঘটেছে (Durga Puja)?

    বাংলায় সবথেকে বড় উৎসব হল দুর্গা পুজো (Durga Puja)। কিন্তু হিন্দুদের এই উৎসবের আগেই হুগলি জেলার ঝরিয়া গ্রামে নির্মীয়মাণ দুর্গা মূর্তিগুলিকে ভাঙচুর করা হয়েছে। মুসলমান রাষ্ট্র বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানে এই ধরনের ঘটনা প্রায় প্রায় ঘটে থাকে। এবার পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের দেবদেবীর উপর আঘাত নেমে এল। শনিবার, বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডলে এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “হুগলির গোঘাট থানা এলাকায় মা দুর্গা, লক্ষ্মী এবং সরস্বতীর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনার কথা জানার পরেও গোঘাট পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করেনি। তবে পুলিশকে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের সামনে মিথ্যা আশ্বাস দিলেও অপরাধীদের ধরা এবং শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে কোনও সদর্থক ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। এই মামলাটিও অন্যান্য অগণিত মামলার মতো ধামাচাপা দেওয়া হবে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা সব সময় তোষণের রাজনীতি করেন। যদি আমাদের দেবদেবীরাও নিরাপদ না থাকেন, তবে বাংলার নারীরা কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন।”

    আরও পড়ুনঃ দেহ উদ্ধারের সকালে সন্দীপ-অভিজিৎ ফোনে কথা, মোক্ষম অস্ত্র সিবিআইয়ের হাতে

    ধুপগুড়িতে আগেও হামলা হয়েছিল

    পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতিমা ভাঙচুরের (Broke idol) ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এই বছরের মে মাসের শুরুতেই জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়িতে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা তিনটি হিন্দু মন্দিরে ঢুকে ব্যাপক ভাবে মূর্তি ভাঙচুর করেছিল। ঘটনার পর স্থানীয় হিন্দুরা বিরাট প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছিল। একই ভাবে গত বছর আবার বহরমপুরে সরস্বতী মূর্তি ভাঙা হয়। ২০২২ সালে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে রাধাকৃষ্ণ, কালী মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কাউকেই আটক করতে দেখা যায়নি। উল্লেখ্য, রামনবমী, হনুমান জয়ন্তী, দুর্গা (Durga Puja) পুজোর ভাসান, শিব ভক্তদের শোভা যাত্রা-সহ নানা সময়ে দুষ্কৃতীদের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। সব ক্ষেত্রেই প্রশাসন নির্বিকার বলে অভিযোগ বিজেপির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share