Tag: Bengali news

Bengali news

  • Vice President Election: উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচনকে বয়কট করল বিজেডি-বিআরএস

    Vice President Election: উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচনকে বয়কট করল বিজেডি-বিআরএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ আগামীকাল ৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার দেশের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Vice President Election) উপস্থিত না থাকার কথা জানিয়েছে ওড়িশা এবং তেলেঙ্গানার দুই রাজনৈতিক দল। ভোটের ঠিক একদিন আগে সোমবারেই এই বয়কটের কথা ঘোষণা করেছে ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক দল বিজেডি এবং তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্র শেখর রাও-এর দল বিআরএস। শারীরিক অসুস্থার কারণে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা করেছিলেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। এরপর নতুন উপরাষ্ট্রপতি (C. P. Radhakrishnan) নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

    কেন নির্বাচনে (Vice President Election) নেই বিজেডি?

    দলের পক্ষ থেকে বিজেডির অবস্থান স্পষ্ট করে দলীয় মুখপাত্র বলেন, “রাজনৈতিক কারণে বিজেডি বিজেপির এনডিএ এবং ইন্ডিজোট উভয়ের কাছ থেকেই দূরত্ব বজায় রাখছে। আমাদের সম্পূর্ণ লক্ষ্য ওড়িশার উন্নয়নের দিকেই। রাজ্যে প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ রয়েছেন। তাঁদের সুবিধা অসুবিধার কথাই আমাদের কাছে প্রধান।”

    অপর দিকে বিআরএস নেতা চন্দ্র শেখর রাও-এর পুত্র রামা রাও এদিন সাংবাদিক সম্মলেন করে বলেন, “আমাদের রাজ্যে কৃষকদের পরিস্থিতি ভীষণ খারাপ। কংগ্রেস সরকার ইউরিয়ার চাহিদা পূরণে ব্যর্থ। তাই একমাত্র কৃষকদের কথা ভেবেই আমরা ৯ সেপ্টেম্বর উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচন (Vice President Election) থেকে বিরত থাকছি।”

    এনডিএ জোট জয় নিয়ে আশাবাদী

    নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী (Vice President Election) হলেন সিপি রাধাকৃষ্ণন (C. P. Radhakrishnan)। তিনি সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। অপর দিকে ইন্ডিজোটের প্রার্থী হলেন বি সুদর্শন রেড্ডি। তিনি প্রাক্তন বিচারপতি। এই নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন রাজ্যসভা এবং লোকসভার সদস্যরাই। প্রত্যেক সদস্যকে প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রার্থীদের ভোট দিতে হয়। প্রথম পছন্দের বেশি ভোটেই নির্বাচিত হন উপরাষ্ট্রপতি। তবে রাজনীতির একাংশ মনে করছেন, সিপি রাধাকৃষ্ণনের পাল্লাই বেশি ভারি। তাই নির্বাচনে এনডিএ জোট জয় নিয়ে তাঁরা দারুণ আশাবাদী।

  • PM Narendra Modi: ১৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যে ফের মোদি, যোগ দেবেন সেনার অনুষ্ঠানে

    PM Narendra Modi: ১৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যে ফের মোদি, যোগ দেবেন সেনার অনুষ্ঠানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অপারেশন সিঁদুরের পর এই নিয়ে রাজ্যে চতুর্থবার আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তবে হ্যাঁ, এইবার কোনও রাজনৈতিক সভা বা কর্মসূচিতে নয়। ইস্টার্ন কমান্ডের সেনাবাহিনীর একটি সম্মেলন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রধান অজিত ডোভাল এবং দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রধানমন্ত্রী আসবেন ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে এবং ওই দিন রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন। পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর ফোর্ট উইলিয়মে সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের (Eastern Command) অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন এবং এরপর আবার ওই দিনই দুপুরে দিল্লি ফিরে যাবেন।

    থাকবেন তিন বাহিনীর প্রধান (PM Narendra Modi)

    অপারেশন সিঁদুরের পর পূর্ব ভারতে সেনার এবং কমান্ডারদের (Eastern Command) নিয়ে কলকাতায় বিরাট বৈঠক হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ইস্টার্ন কমান্ডের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিমাংশু তিওয়ারি জানিয়েছেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফোর্ট উইলিয়মে সম্মিলিত কমান্ড কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। আর ১৫ সেপ্টেম্বর ওই কনফারেন্সের উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি। এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন তিন বাহিনীর প্রধান ও ভারতীয় সেনার চিফ অফ ডিফেন্স অনিল চৌহান। সেইসঙ্গে থাকবেন আরও প্রমুখ সেনা আধিকারিকরা। আরও জানা গিয়েছে, আগামীদিনে দেশের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ব্যবস্থা, সীমান্ত সমস্যা এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্ত রক্ষার কৌশল কেমন হবে, তা নিয়েও আলোচনা হবে অনুষ্ঠানে।

    অস্থির পূর্ব-উত্তরপূর্ব প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি

    গত একবছরের বেশি সময় ধরে পূর্ব-উত্তরপূর্ব প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বাংলাদেশ ভীষণ ভাবে অস্থির। ওই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, কট্টর মোল্লা-মৌলবিদের ভারত বিরোধী কার্যকলাপ এবং পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্ত সমস্যা, অনুপ্রবেশ ভারতের অভ্যন্তরে প্রভাব ফেলছে। আবার বাংলাদেশ-পাকিস্তানের গোপন সামরিক চুক্তিও উদ্বেগের কারণ। এবার আরেক পরিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমার এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বড় মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতে। আর তার উপর রয়েছে চিনের আগ্রাসন নীতি। সব মিলিয়ে ভারতকে পূর্ব এবং উত্তর ভারতের সমীকরণ নিয়ে ভাবতেই হবে। সেই সঙ্গে ভারতের দেশীয় সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন এবং বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে অনুষ্ঠানে। তাই ভারতীয় সেনাকে মোদি (PM Narendra Modi) কী বিশেষ বার্তা দেন তাও দেখার বিষয়।

  • Kashi Vishwanath: কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কর্মীদের মাইনে বাড়ছে তিনগুণ!

    Kashi Vishwanath: কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কর্মীদের মাইনে বাড়ছে তিনগুণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশী বিশ্বনাথ (Kashi Vishwanath) মন্দির ট্রাস্ট নয়া নিয়মাবলীতে সবুজ সংকেত দিয়েছে। এর ফলে ট্রাস্টের কর্মচারীরা রাজ্য সরকারের কর্মচারীর মর্যাদা পাবেন। এই মর্যাদা পরিবর্তনের সঙ্গে মন্দিরের কর্মচারী ও পুরোহিতদের বেতনও তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে। সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয় চলতি মাসের ৪ সেপ্টেম্বর শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্ট কাউন্সিলের ১০৮তম সভায়।

    কর্মচারী সেবা ম্যানুয়াল অনুমোদিত (Kashi Vishwanath)

    ডিভিশনাল কমিশনার এস রাজালিংহামের সভাপতিত্বে কমিশনার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় প্রায় ২৪টি প্রস্তাব-সহ কর্মচারী সেবা ম্যানুয়াল অনুমোদিত হয়। ডিভিশনাল কমিশনার জানান, এর আগে পুরোহিতদের দেওয়া হত ৩০ হাজার টাকা করে। এখন তাঁদের বেতন হবে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে। ট্রাস্টের মতে, ম্যানুয়াল বাস্তবায়নের পর বেতনের পাশাপাশি ভাতা, পদোন্নতি, ছুটি ও অন্যান্য সুবিধাও দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, পুরোহিত, কর্মচারী ও সেবাদার নিয়োগের জন্য প্রস্তাবিত ম্যানুয়ালে চারটি ক্যাটাগরি নির্ধারিত হয়েছে। রাজ্য কর্মচারীদের মতোই পুরোহিতদের গ্রেড এবং ম্যাট্রিক্সও দেওয়া হবে।

    সাম্মানিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে

    গত অর্থবর্ষের বাজেট শ্রী কাশী বিশ্বনাথ বিশেষ ক্ষেত্র উন্নয়ন পরিষদ ও এক্সিকিউটিভ কমিটির সভায় অনুমোদিত হয়। পরিষদের অধীনে নিযুক্ত বিভিন্ন শ্রেণির কর্মচারীর সাম্মানিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে বলে তাতে বলা হয়। পূর্ণকালীন কর্মচারীদের ডিএ গত বছরের মতো বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বনাথ ধামে অত্যাধুনিক ডিজিটাল মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হবে (Kashi Vishwanath)। ব্যবসায়িক কার্যকলাপ আরও দ্রুত করার জন্য এম্পোরিয়াম-সহ অন্যান্য সম্পত্তি পরিচালনার জন্য নয়া ভাড়ার হার নির্ধারণ করা হবে। আয় বৃদ্ধির নতুন বিকল্প নিয়ে পরামর্শ দিতে পরিষদ একটি নতুন পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগ করবে।

    প্রসঙ্গত, শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ১৯৮৩ সালে রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ করে। তখন থেকে পরিষেবা ম্যানুয়াল প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে বহুবার চেষ্টা করা হলেও, কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির আইন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২০১ এর অধীনে ১৩ই অক্টোবর ১৯৮৩ সালে কার্যকর হয় (Kashi Vishwanath)।

  • UDISE Report: দেশে স্কুল শিক্ষকের সংখ্যা ছাড়াল এক কোটি, কমেছে ড্রপ আউট, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট

    UDISE Report: দেশে স্কুল শিক্ষকের সংখ্যা ছাড়াল এক কোটি, কমেছে ড্রপ আউট, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায় ভারতের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস ২০২৪-’২৫ প্রতিবেদন (UDISE Report) প্রকাশ করেছে। সেখানেই তুলে ধরা হয়েছে ভারতের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক (Dropouts) উন্নতির দিকটি। জানা গিয়েছে, ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস চালু হয়েছে ২০১৮-’১৯ শিক্ষাবর্ষে। তার পর এই প্রথম দেশে শিক্ষকের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে এক কোটির গণ্ডি। এটি ২০২২-’২৩ সালের তুলনায় ৬.৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।

    শিক্ষার্থী-শিক্ষকের আনুপাতিক হার (UDISE Report)

    শিক্ষকের এই বৃদ্ধির জেরে উন্নত হয়েছে শিক্ষার্থী-শিক্ষকের আনুপাতিক হার। ২০২৪–’২৫ সালের হিসেবে প্রাথমিক স্তরে প্রতি শিক্ষক ১০ জন শিক্ষার্থী, প্রিপারেটরি স্তরে ১৩ জন, মিডিল লেভেলে ১৭ জন এবং মাধ্যমিক স্তরে ২১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এটি জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP) ২০২০-এর সুপারিশ করা সর্বোচ্চ ৩০ শিক্ষার্থী প্রতি শিক্ষক সীমার অনেক নীচে। সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষার মান উন্নত হওয়ায় এবং ছাত্র অনুপাতে শিক্ষকের হার বেড়ে যাওয়ায় ২০২২–’২৩ সালের তুলনায় ড্রপআউটের হারও কমেছে। প্রিপারেটরি স্তরে ড্রপআউটের হার ২০২২–’২৩ সালের ৩.৭ শতাংশ থেকে ২০২৪–’২৫ সালে ২.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। মধ্য স্তরে এই হার ৫.২ শতাংশ থেকে ৩.৫ শতাংশে আর মাধ্যমিক স্তরে ১০.৯ শতাংশ থেকে ৮.২ শতাংশে নেমে এসেছে। এর ফলে শিক্ষার্থী ধরে রাখার হার বেড়েছে।

    গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও

    গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও (GER) বা মোট ভর্তি অনুপাতও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪–’২৫ সালে মধ্য স্তরের গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও দাঁড়িয়েছে ৯০.৩ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরের গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও পৌঁছেছে ৬৮.৫ শতাংশে, যা শিক্ষায় প্রবেশাধিকারের উন্নতির দিক নির্দেশ করে। এছাড়া প্রাথমিক থেকে প্রিপারেটরি, প্রিপারেটরি থেকে মধ্য এবং মধ্য থেকে মাধ্যমিক স্তরে উত্তরণের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা শিক্ষা ব্যবস্থার ভেতর শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির শক্তিশালী ধারা নির্দেশ করে (Dropouts)। রিপোর্টে এক শিক্ষক বিশিষ্ট বিদ্যালয় এবং ছাত্র শূন্য বিদ্যালয়ের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এক শিক্ষক বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২০২২–’২৩ সালে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৭১ থেকে ২০২৪–’২৫ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ০৪ হাজার ১২৫-এ। পড়ুয়া শূন্য বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২ হাজার ৯৫৪ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৯৯৩-এ (UDISE Report)।

    ডিজিটাল সুবিধা বেড়েছে

    পরিকাঠামোগত উন্নতিও ছিল উল্লেখযোগ্য। ডিজিটাল সুবিধা বেড়েছে। বিদ্যালয়ের ৬৪.৭ শতাংশে কম্পিউটার এবং ৬৩.৫ শতাংশে ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছেছে ৯৩.৬ শতাংশে, বিশুদ্ধ পানীয় জলের প্রাপ্যতা বেড়ে হয়েছে ৯৯.৩ শতাংশ, এবং হাত ধোয়ার সুবিধা ৯৫.৯ শতাংশে। র‌্যাম্প ও হাতল-সহ সহজ প্রবেশাধিকারের ব্যবস্থা বেড়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যালয়ের ৫৪.৯ শতাংশে। শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা উন্নতির দিকেও অগ্রগতি হয়েছে। নারী শিক্ষকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪.২ শতাংশে, আর মেয়েদের ভর্তি সামান্য বেড়ে ২০২৪–’২৫ সালে হয়েছে ৪৮.৩ শতাংশে। ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস ২০২৪–’২৫ রিপোর্ট ভারতে বিদ্যালয় শিক্ষায় প্রবেশাধিকার, মান ও অন্তর্ভুক্তির উন্নতিকেও তুলে ধরেছে, যা সম্ভব হয়েছে লক্ষ্যভিত্তিক উদ্যোগ এবং পরিকাঠামো ও মানবসম্পদে বিনিয়োগের মাধ্যমে।

    ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস

    ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস প্রতিটি অনবোর্ডেড স্কুলকে একটি অনন্য ১১-সংখ্যার ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন কোড এবং লগইন শংসাপত্র প্রদান করা হয় যাতে রিয়েল-টাইমে ডেটা এন্ট্রি এবং এর পরিবর্তন সম্পন্ন করা যায় (Dropouts)। স্কুল ব্যবহারকারী ডিরেক্টরি মডিউল স্কুলগুলিকে অনবোর্ডিং এবং ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাসে ডেটা জমা দিতে পারে এমন মনোনীত ব্যবহারকারীদের পরিচালনা করে। এই মডিউলটি ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাসের (UDISE Report) ব্লক, জেলা, রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের ব্যবহারকারীদের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করে। স্কুল প্রোফাইল, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের তথ্য তিনটি স্বতন্ত্র কিন্তু সমন্বিত মডিউলে রিপোর্ট করা হয়েছে।

    স্কুল প্রোফাইল এবং সুযোগ-সুবিধা, এই মডিউলে স্কুলগুলিতে উপলব্ধ পরিকাঠামোগত বিবরণ এবং পরিষেবা এবং সুযোগ-সুবিধা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থী মডিউল প্রতিটি শিক্ষার্থীর সাধারণ এবং অ্যাকাডেমিক প্রোফাইল, পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপ-সহ এই মডিউলে স্থায়ী শিক্ষা নম্বর (Dropouts) ব্যবহার করে রেকর্ড এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। শিক্ষকের প্রোফাইল, এই মডিউলে সকল শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের সাধারণ, অ্যাকাডেমিক এবং নিয়োগের বিবরণ পৃথকভাবে রেকর্ড এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় (UDISE Report)।

  • Ramakrishna 461: ঠাকুর আনন্দে গাড়িতে যাচ্ছেন

    Ramakrishna 461: ঠাকুর আনন্দে গাড়িতে যাচ্ছেন

    মেয়েভক্তগণ অনেকেই আসিয়াছেন। তাহারা চিত্রের আড়ালে বসিয়া ঠাকুরের দর্শন করিতেছেন।
    মোহিনীর পরিবারও আসিয়াছেন — পূর্বশ্রেষ্ঠ উৎপাদনে ব্যয় — তিনি ও তাহার নাম্য সঙ্গিনী অনেকেই আসিয়াছেন, এই বিশ্বাস যে ঠাকুরের কাছে নিঃসন্দেহে শান্তিলাভ হইবে।

    আজ ১লা বৈশাখ, চৈত্র কৃষ্ণ একাদশী, ১২ই এপ্রিল, ১৮৮৫, শুক্রবার, বেলা ৩টা হইবে।

    মাস্টার আসিয়া দেখিলেন, ঠাকুর ভক্তের মজলিস করিয়া বসিয়া আছেন ও নিজের সাম্প্রতিক বিবরণ ও নানাবিধ আধ্যাত্মিক অবস্থার বর্ণনা করিতেছেন।
    মাস্টার আসিয়া ঠাকুরকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন ও তাহার কাছে আসিয়া বসিলেন।

    ঠাকুর আনন্দে গাড়িতে যাচ্ছেন।

    ১। শ্রীউপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, ঠাকুরের ভক্ত ও “বসুমতী’র” সম্পাদক।

    ২। শ্রীঅমরকুমার সেন, ঠাকুরের ভক্ত ও কবি। ইনি “শ্রীরামকৃষ্ণ পদ্য” লিখিয়া চিরস্মরণীয় হইয়াছেন। বাঁকুড়া জেলার অন্তঃপাড়া ময়নাপুর গ্রাম ইহার জন্মভূমি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি) সে সময়ে ধ্যানে দেখতে পেতাম সত্যি সত্যি—একজনের কাছে ফুল হাতে বসে আছি, ভয় দেখাচ্ছে, যদি ঈশ্বরের পাদপথে মন না রাখি, চুল পর্যন্ত আমার বাড়ি মারবে। ঠিক মন না হলে বুকেও আঘাত হবে।

    নিত্য, লীলা, যোগ, পুরুষ, প্রকৃতি, বিবেক—এই সব ভাবনা চলত।

    কখনো মা এমন অবস্থা দেখাতেন যে নিত্য থেকে মন নেমে নেমে নীলায় চলে যেত, আবার কখনো লীলার মাধ্যমে নিত্যর মন উঠত। যখন লীলায় মন নেমে আসত, তখন কখনো সীতারামকে রাতদিন চিন্তা করতাম, আর সীতারামের রূপ দর্শন হতো। রামলালকে নিয়ে সর্বদা বেড়াতাম, কখনো খাওয়াইতাম, আবার কখনো রাধা-কৃষ্ণের ভাবনায় থাকতাম। ঐরূপে সর্বদা দর্শন হতো। আবার কখনো গৌরাঙ্গের ভাবনায় থাকতাম। দুই ভাবের মিলন এবং প্রকৃতিভাবের মিলন—ঐরূপে সর্বদা দর্শন হতো।

     

     

  • Cancer Vaccine: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাবে রাশিয়ার তৈরি এন্টেরোমিক্স টিকা!

    Cancer Vaccine: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাবে রাশিয়ার তৈরি এন্টেরোমিক্স টিকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র একটি টিকা। তাতেই কমবে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি। ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এমনটাই দাবি করেছে রাশিয়া (Russian Scientists)। মানুষের শরীরেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের পরে রাশিয়ার দাবি, তাদের তৈরি এন্টেরোমিক্স টিকা ক্যান্সারের (Cancer Vaccine) ঝুঁকি কমাতে পারবে। টিকাটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফল ১০০ শতাংশ সফল বলে দাবি রাশিয়ার।

    এন্টেরোমিক্স টিকা (Cancer Vaccine)

    চার ধরনের ভাইরাসের নমুনা নিয়ে এন্টেরোমিক্স টিকা তৈরি করেছে রাশিয়া। এই ভাইরাসগুলি কম ক্ষতিকারক, তবে শরীরে ঢুকলে ক্যান্সার কোষের বারোটা বাজাতে পারবে। রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, টিকাটি ত্বকের সব চেয়ে বিপজ্জনক ক্যান্সার মেলানোমার ঝুঁকি কমাতে পারবে। অগ্যাশয়, কিডনি ও ফুসফুসের ক্যান্সার থেকেও সুরক্ষা দিতে পারবে এই টিকা। টিকার কাজই হল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া। শরীরে যদি কোনও বিজাতীয় প্রোটিন ঢোকে, তা হলে শরীর তার নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা দিয়ে তা আটকানোর চেষ্টা করা। ক্যান্সারের সময় শরীরের নিজস্ব কোষগুলি শত্রুর মতো আচরণ করে। সেগুলির অনিয়ন্ত্রিত বিভাজন শুরু হয়ে যায়। ফলে টক্সিন তৈরি হতে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে রোধ করতে হলে প্রয়োজন অ্যান্টিবডি ও ইমিউনোসাইট।

    অ্যান্টিবডি তৈরি করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি

    এই ইমিউনোসাইট হল সেই সব কোষ, যারা অ্যান্টিবডি তৈরি করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে (Cancer Vaccine)। এই ইমিউনোসাইট কোষগুলিকে সক্রিয় করে তুলতেই টিকা তৈরি হয়। রাশিয়ার দাবি, তাদের তৈরি টিকা ইমিউনোসাইটকে বেশি মাত্রায় এবং দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করবে। ফলে ক্যান্সার কোষ আর তৈরিই হবে না। যদিও রাশিয়ার তৈরি ক্যান্সারের টিকা নিয়ে নিশ্চিত তথ্য এখনও মেলেনি। টিকাটির আরও কয়েক পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলের জন্যই অপেক্ষা চলছে। উল্লেখ্য, টিকা তৈরি ও তার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনেকগুলি ধাপ থাকে। প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পশুর শরীরে পরীক্ষা চলে। তার পর তিন ধাপে মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালিয়ে টিকার কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা হয়। রাশিয়ার তৈরি টিকাটি এখনও প্রাথমিক ধাপেই রয়েছে বলে খবর। রাশিয়ার (Russian Scientists) দাবি, এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও খুব সামান্যই হয়েছে (Cancer Vaccine)।

  • Asia Cup: এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টের শেষ সুপার ৪ ম্যাচে চিনকে গো-হারান হারিয়ে ফাইনালে ভারত

    Asia Cup: এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টের শেষ সুপার ৪ ম্যাচে চিনকে গো-হারান হারিয়ে ফাইনালে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপ (Asia Cup) (পুরুষ) হকি টুর্নামেন্টের শেষ সুপার ৪ ম্যাচে চিনকে ৭-০ গোলে গো-হারান হারিয়ে ফাইনালে (Hockey Final) উঠল ভারত। ভারতের খেলোয়াড়রা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। গোল করেছেন শিলানন্দ লাকড়া, দিলপ্রীত সিং, মানদীপ সিং, রাজ কুমার পাল, সুখজিৎ সিং, এবং অভিষেক। এই জয়ে ভারত সুপার ৪ পর্যায়ের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে সাত পয়েন্ট নিয়ে। এবার তাকে খেলতে হবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কোরিয়ার সঙ্গে। চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কোরিয়াও।

    কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে ভারত (Asia Cup)

    ভারত আগামী বছর বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডস যৌথভাবে আয়োজিত বিশ্বকাপে খেলার স্থান নিশ্চিত করতে রবিবার ফাইনালে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে। চিন ও মালয়েশিয়া তৃতীয়-চতুর্থ স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও রবিবার মুখোমুখি হবে। কোরিয়া আগেই গুরুত্বপূর্ণ সুপার ৪ ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকে ৪-৩ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। শনিবার চিনের বিরুদ্ধে পুরো ম্যাচ জুড়ে ভারতীয়দের আধিপত্য ছিল দেখার মতো। ভারতীয়রা তাদের আধিপত্য প্রমাণ করতে শুরু থেকেই জোরালোভাবে খেলে গিয়েছিল। তাদের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয় চতুর্থ মিনিটের মাথায়, যখন শিলানন্দ গোলটি করেন। এটি ছিল অধিনায়ক হারমনপ্রীত সিংয়ের সুনিপুণ বল, যা হাফলাইন থেকে জারমনপ্রীত সিংয়ের পায়ে পৌঁছয় ডান ফ্ল্যাঙ্কে, যাঁর পাসটি নিখুঁতভাবে শিলানন্দ থামিয়ে গোল করেন (Asia Cup)।

    চিনকে পর্যুদস্ত করল ভারত

    গোল করার পরেও ভারতীয়রা থেমে (Hockey Final) থাকেনি। বরং কয়েক মিনিটের মধ্যে শিলানন্দ তাঁর দলের পক্ষে একটি পেনাল্টি কর্নার করেন। হরমনপ্রীতের প্রাথমিক শট চিনা গোলরক্ষক ওয়েইহাও ওয়াং রক্ষা করেছিলেন। কিন্তু দিলপ্রীত সঠিক স্থান থেকে পুনরুদ্ধার করে গোল করে ভারতের লিড দ্বিগুণ করেন। ভারত ১৮তম মিনিটে তাদের দ্বিতীয় পেনাল্টি কর্নার পেয়েছিল। ভারতীয় আক্রমণকারীরা চিনা সার্কেলে একেবারে আধিপত্য বিস্তার করছিলেন। ম্যাচের সাইড পরিবর্তনের পর ভারত একই ধরনের আক্রমণ চালিয়ে গেল (Hockey Final) এবং গোলের খুব কাছে গিয়ে দিলপ্রীতের শক্তিশালী উচ্চ শট চিনা গোলরক্ষকের প্রসারিত হাত দ্বারা আক্রোব্যাটিকভাবে রক্ষা করা হয়। তার পরের গোলগুলি করে চিনকে কার্যত পর্যুদস্ত করে ভারত (Asia Cup)।

  • Hindus: দেশে-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু-হিন্দু ধর্মের ওপর হামলা

    Hindus: দেশে-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু-হিন্দু ধর্মের ওপর হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু (Hindus) ও হিন্দু ধর্মের ওপর হামলা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই এই নির্যাতন পরিণত হচ্ছে গণহত্যায়। দশকের (Roundup Week) পর দশক ধরে বিশ্ব এই হামলাগুলির প্রকৃত গভীরতা ও বিস্তৃতি উপেক্ষা করে এসেছে। হত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, উৎসবে হামলা, মন্দির ও মূর্তির অবমাননা, হিংসাত্মক বক্তব্য, যৌন নির্যাতন থেকে শুরু করে সংবিধানগত ও আইনি বৈষম্য এসব হামলার মাধ্যমে হিন্দুরা তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় ক্রমশ কঠোর প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এ সপ্তাহে বিশ্বের ছবিটা।

    ভারত (Hindus)

    কোলাপুরে ২২ অগাস্ট রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জখম হয়েছেন ১০ জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি যানবাহন। কোলাপুরের এই হিংসা কেবল দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ নয়, এটি একটি পরিকল্পিত আক্রমণ। এখানে ইসলামি উগ্রপন্থীরা এসসি সম্প্রদায়ের সদস্যদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। সাঙ্গলির মিরাজ থানা পুলিশ বৈভব রাজারাম অবলের বিরুদ্ধে বরাহ জয়ন্তী মিছিল আয়োজনের অভিযোগে মামলা করেছে। যদিও বৈভবের কাছে মিছিলের জন্য পুলিশের অনুমতি ছিল। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বরেলি থানা একটি আন্তঃরাজ্য ধর্মান্তর চক্র ভেঙে দিয়েছে। এই চক্রের মূল লক্ষ্য কন্যা নয়, যুবক। তদন্তকারীরা একে লাভ জিহাদ ২.০ বলে উল্লেখ করেছেন। এই চক্র হিন্দু পুরুষদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করত বিবাহ, মনস্তাত্ত্বিক প্রলোভন এবং এমনকি মাদকাসক্তির মাধ্যমে।

    লাভ জিহাদ

    সাধ্বী প্রাচী জানান, মুসলিম বিউটি পার্লার, স্কুল, কলেজ, সেলাইয়ের দোকান এবং দরগাগুলি এখন লাভ জিহাদ কার্যক্রমের আখড়া হয়ে উঠেছে। তাঁর মতে, যতক্ষণ না ধর্মান্তর ও লাভ জিহাদে উৎসাহদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর সরকারি পদক্ষেপ করা হচ্ছে, ততক্ষণ এই কার্যকলাপ চলতেই থাকবে (Hindus)। এদিকে, ইসলামি জোরপূর্বক ধর্মান্তরের পরে নিখোঁজ এসসি পরিবারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যার জেরে মহাপঞ্চায়েত ডাকা হয়েছে হরিয়ানার নুহে। উত্তরপ্রদেশের দেউরিয়া থেকে ধর্মীয় প্রতারণা ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের একটি উদ্বেগজনক ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। অভিযুক্ত গহ্বর আনসারি জনৈক লক্ষ্মী সিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গহ্বর মেয়েটিকে প্রলোভিত করে একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে করে (Roundup Week)।

    মুসলমানদের ওপর হামলা

    মহারাষ্ট্রের কোলাপুর জেলার কানওয়াদ গ্রামে অক্ষয় কোলি ও তাঁর পরিবারের ওপর প্রায় ১৫ জন মুসলমান হামলা চালায়। এক দম্পতিকে কানওয়াদ থেকে পালাতে সাহায্য করায় অক্ষয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এই অভিযোগ তুলে মুসলিমদের একটি দল অক্ষয়ের বাড়িতে হামলা চালায়। মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূট জেলার মউ থানার আহিরি গ্রামে খ্রিস্টান ধর্মান্তরিতকরণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ, ফুলচন্দ্র নামে এক অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে খ্রিস্টান ধর্মান্তর কার্যকলাপ চলছিল। পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেফতার করে। আগ্রার শাহগঞ্জ থানা একটি বড় ধর্মান্তকরণ চক্রের চাঁই রাজকুমার লালওয়ানির বাড়িতে অভিযান চালায়। লালওয়ানি নিয়মিত রবিবার প্রার্থনা সভার আয়োজন করত। সেখানে লোকদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হতে উদ্বুদ্ধ করা হত (Hindus)।

    হিন্দু কিশোরীকে বোরখা পরতে বাধ্য করা

    উত্তরপ্রদেশের বাগপতে এক হিন্দু কিশোরীকে বোরখা পরতে বাধ্য করা, ধর্ষণ করা এবং তাকে বিয়ে করতে ব্ল্যাকমেল করার ঘটনা সামনে এসেছে। প্রতিবেশী হাসিম কিশোরীটিকে ধর্মান্তরিত করার জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশেরই মৈনপুরিতে উবেশ খান নামে এক মুসলিম যুবক এক হিন্দু কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফাঁসিয়ে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। কিশোরীটি তার ঘর থেকে লক্ষাধিক টাকার গয়না ও নগদ অর্থ নিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, কর্ণাটকের ডেপুটি চিফ মিনিস্টার ডিকে শিবকুমার ঘোষণা করেছেন, চামুন্ডি পাহাড় শুধু হিন্দুদের (Roundup Week) সম্পত্তি নয়। দক্ষিণ ভারতের অন্যতম পবিত্র শক্তি পীঠের মর্যাদা হানি হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। মন্দিরে চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেঙ্গালুরু পুলিশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করেছে মহম্মদ রাব্বি, মহম্মদ ইউসুফ ও মহম্মদ বাবুকে। উদ্ধার করা হয়েছে ২২টি মূর্তি, মন্দিরের জিনিসপত্র এবং প্রায় ৬.৫ লক্ষ টাকার একটি অটোরিকশা।

    বাংলাদেশ

    গাইবান্ধা জেলায় দুর্গা মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, মূর্তি ভাঙচুর। সদরুলপুর উপজেলার হামিন্দপুর গ্রামের একটি সংখ্যালঘু হিন্দু ব্যক্তি দুর্গা মন্দিরের মধ্যে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। স্থানীয়রা ছুটে আসার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় মূর্তিগুলি। যশোর জেলার সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিচিত মুখ ছিলেন বিজন কুমার দে। দিন দুয়েক আগে একটি ভেড়িতে মেলে তাঁর মৃতদেহ (Hindus)।

    বিশ্বের ছবি

    নেপালের মধেশ প্রদেশের রাজধানী জনকপুরধাম শহরে গণেশের মূর্তি বিসর্জনের সময় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের (Roundup Week) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমেরিকার পিটার নাভারো সম্প্রতি ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক প্রণয়নের জন্য ভারতকে ‘ক্রেমলিনের লন্ড্রম্যাট’ আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ব্রাহ্মণরা ভারতীয় জনগণের শোষণে মুনাফা অর্জন করছে (Hindus)।

  • Uttarakhands Minority Education Bill: সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিল ২০২৫ পাশ করল উত্তরাখণ্ড বিধানসভা, কী আছে এতে?

    Uttarakhands Minority Education Bill: সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিল ২০২৫ পাশ করল উত্তরাখণ্ড বিধানসভা, কী আছে এতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদল অধিবেশনে সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিল, ২০২৫ পাশ করল উত্তরাখণ্ড বিধানসভা (Madrasa)। এই বিলটি পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারের নীতিগত কাঠামো সংস্কারের একটি প্রচেষ্টা,  যেটি মূলত মাদ্রাসাগুলির ওপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছিল এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকে অগ্রাহ্য করেছিল (Uttarakhands Minority Education Bill)।

    মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন (Uttarakhands Minority Education Bill)

    ১ জুলাই ২০২৬ থেকে এই বিল কার্যকর হয়ে উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৬ এবং উত্তরাখণ্ড বেসরকারি আরবি ও ফার্সি মাদ্রাসা স্বীকৃতি বিধিমালা, ২০১৯ বাতিল করবে। যা এই বিলটিকে পূর্ববর্তী আইনগুলির থেকে আলাদা করে তা হল এর অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সংশোধনাত্মক চরিত্র। উত্তরাখণ্ড বিল মুসলিমদের পাশাপাশি অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকেও স্বীকৃতি দেয় এবং সংখ্যালঘু মর্যাদার সুবিধা দেয়। এখানে শিখ, জৈন, খ্রিস্টান, পার্শি এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কংগ্রেস সরকারের শাসনকালে এগুলিকেই পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিলটির মূল লক্ষ্য হল, উত্তরাখণ্ডের সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে বজায় থাকা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা। পূর্ববর্তী আইনগুলি মাদ্রাসার জন্য একটি নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা তৈরি করেছিল, যা বিদ্যালয় ব্যবস্থার অনুরূপ হলেও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকে আইনগত স্বীকৃতি ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে রেখেছিল।

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    মাদ্রাসার ঘাটতি এবং অ-মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবহেলার মূল কারণ উত্তরাখণ্ডের পূর্বতন কংগ্রেস সরকার তুষ্টিকরণের রাজনীতি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি সংস্কার করার পরিবর্তে কংগ্রেস সরকার ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির স্বার্থে কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে অনিয়ম ও অপূর্ণ সম্ভাবনায় ভরপুর একটি ব্যবস্থা তৈরি করেছিল। ইসলামি মৌলবাদীদের ক্ষোভের ভয়ে কংগ্রেস সরকার শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং সমতা প্রতিষ্ঠার প্রতি নজর দেয়নি (Uttarakhands Minority Education Bill)। এরই ফলস্বরূপ মাদ্রাসায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এই সমস্যাগুলির মধ্যে ছিল বৃত্তি বিতরণে অনিয়ম, মিড-ডে মিল কর্মসূচিতে অসঙ্গতি এবং মাদ্রাসা পরিচালনায় স্বচ্ছতার অভাব। এই কারণে সংস্কার অনিবার্য হয়ে উঠেছিল (Madrasa)।

    মাদ্রাসার সংখ্যাবৃদ্ধি জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগ

    সংবেদনশীল সীমান্ত এলাকায় বেআইনি মাদ্রাসার সংখ্যাবৃদ্ধি জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগ তৈরি করেছে। অনেক মাদ্রাসা অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে, অননুমোদিত নির্মাণ হচ্ছে অথবা শিক্ষার আড়ালে উগ্রপন্থী মতবাদ প্রচার করা হচ্ছে বলে সন্দেহ। এনসিপিসিআর প্রকাশিত একটি রিপোর্টে মাদ্রাসার কার্যক্রমের মূল সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে। এগুলি হল, ইসলাম ধর্মের উচ্চতা প্রচারে অতিরিক্ত জোর, শুধুমাত্র প্রতীকীভাবে এনসিইআরটির বই অন্তর্ভুক্তি, প্রায়ই অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষার অভাবে পুরনো শিক্ষাদান পদ্ধতি, এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, যা ছাত্রছাত্রীদের মূলধারার সুযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে (Uttarakhands Minority Education Bill)।

    উগ্রবাদ প্রতিরোধে বহুবিধ পদক্ষেপ

    নয়া এই বিলটি শিক্ষার আড়ালে ছড়িয়ে পড়া উগ্রবাদ প্রতিরোধে বহু দিক থেকে পদক্ষেপ করেছে। প্রথমত, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা প্রচারের জন্য গুরুমুখী ও পালি ভাষা পড়াশোনার বিধান রাখা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, সব সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান পরিচালনার তদারকির জন্য উত্তরাখণ্ড স্টেট অথরিটি ফর মাইনরিটি এডুকেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এই বিলে ইউএসএমইএ নামে একটি নতুন ১২ সদস্যের সংস্থা গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতিটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে ছ’জন করে শিক্ষাবিদ এবং একজন সমাজকর্মীকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা (Madrasa)।

    উত্তরাখণ্ড স্কুল শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত

    শিক্ষার গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ হিসেবে এই বিলটি অবশ্যই উত্তরাখণ্ড স্কুল শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিধান দিয়েছে, যাতে প্রতিষ্ঠানগুলির পরিচালনা পদ্ধতি এবং পাঠ্যক্রমের মান একরকমভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। এটি সরাসরি এনসিপিসিআর রিপোর্টে উল্লিখিত উদ্বেগগুলি মোকাবিলা করে। নয়া কাঠামোর আওতায় ইউএসএমইএ এবং ইউবিএসই দ্বারা প্রণীত নিয়মাবলী সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলির সমস্ত শিক্ষাগত, প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রমে প্রযোজ্য হবে। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, সামঞ্জস্য ও গুণগত মান উন্নত হবে (Uttarakhands Minority Education Bill)।

    বিলটিতে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা

    বিজেপি সরকারের আনা এই বিলটি ধর্মীয় স্বাধীনতার সংরক্ষণ ও সমন্বিত শিক্ষাগত মান বজায় রাখার মধ্যে একটি ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৫ ও ২৬ ধর্ম বিশ্বাস প্রকাশ এবং পালন করার অধিকার সুরক্ষিত করেছে। তবে দুটিই যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধের আওতায় থাকে। আনজুম কাদারি বনাম ভারত সংঘ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য করেছে। এটি হল, একদিকে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলিতে ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানের অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় নির্দেশনা ও প্রবর্তন অনুচ্ছেদ ২৮-এর কারণে সীমিত (Madrasa)।

    উত্তরাখণ্ডের এই বিলটি এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং এটি ধর্মীয় শিক্ষা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করছে না, বরং এনসিইআরটি এবং রাজ্য বোর্ডের মানদণ্ড মেনে চলার শর্ত দিয়ে তার ক্ষেত্র নির্ধারণ করছে। বিলটি সংখ্যালঘু অধিকার হরণ করছে এমন দাবি থেকে বহু দূরে, বরং এটি (Madrasa) নিশ্চিত করে যে প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় স্বাধীনতা শিক্ষাগত মানের সঙ্গে সুসঙ্গতভাবে বজায় থাকবে (Uttarakhands Minority Education Bill)।

  • Chhattisgarh: বর্ষার পরে ফের ছত্তিশগড়ে জোর দেওয়া হবে মাও দমনে

    Chhattisgarh: বর্ষার পরে ফের ছত্তিশগড়ে জোর দেওয়া হবে মাও দমনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার পরে ফের ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) জোর দেওয়া হবে মাও দমনে (Maoist)। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশ থেকে নকশাল দমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্ষার আগে জোর কদমে চলেছিল মাও দমন অভিযান। আপাতত তাতে ঢিলে দেওয়া হলেও, বর্ষার পরে ফের জোরদার করা হবে মাও দমন অভিযান। সরকারি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ৪৩ জন শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডারের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বর্ষার মরশুম শেষ হলে তাদের লক্ষ্য করে জোরদার অভিযান চালানো হবে।

    শীর্ষ নকশাল নেতা (Chhattisgarh)

    ওই তালিকায় রয়েছে ২৫ জন ছত্তিশগড়ভিত্তিক শীর্ষ নকশাল নেতা, যার মধ্যে রয়েছে মাদাভি হিদমা, নিষিদ্ধ কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ৪৩ জন ওয়ান্টেডের মধ্যে ৫ জন নকশাল অন্ধ্রপ্রদেশের, আর ৪ জন করে ঝাড়খণ্ড ও তেলঙ্গনার। ওই তালিকায় রয়েছে, মুপাল্লা লক্ষ্মণ রাও এবং মিশির বেসরাও। মিশির ঝাড়খণ্ডের ওয়েস্ট সিংভূম-কোলহান অঞ্চলে সক্রিয় বলে মনে করা হচ্ছে। মাওবাদীদের শীর্ষ ক্যাডারদের লক্ষ্য করে অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর সিনিয়র আধিকারিকদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে। কর্তৃপক্ষের মতে, নজরদারির অধীন রাজ্যগুলির মধ্যে রিয়েল টাইম তথ্য বিনিময় এবং গোয়েন্দা সংগ্রহ ব্যবস্থায় সমন্বয় বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানগুলি আরও গোয়েন্দা নির্ভর করা হবে এবং বাহিনীগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)  প্রযুক্তিও ব্যবহার করবে (Chhattisgarh)।

    মাওবাদীকে নিরস্ত্র

    ছত্তিশগড়ে নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে বাহিনী তাদের অভিযান জোরদার করেছে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৪০০-এরও বেশি মাওবাদীকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে পরিচালিত এক অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল মাওবাদী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও বা বসবরাজুকে গুলি করে হত্যা করেছে। প্রসঙ্গত, সরকার গত কয়েক বছরে তীব্র অভিযান ছাড়াও নকশাল বিদ্রোহে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শয়ে শয়ে নিরাপত্তা শিবির স্থাপন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আবুজমাড অঞ্চলের অন্তর্গত এলাকা, যা নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর প্রাক্তন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত (Maoist) ছিল। ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা-সহ অন্যান্য প্রতিবেশী রাজ্যেও একই ধরনের অভিযান বিশেষ সাফল্য এনে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীকে (Chhattisgarh)।

LinkedIn
Share