Tag: Bengali news

Bengali news

  • WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপে শীঘ্রই নয়া ফিচার, ‘মেটা এআই’ চ্যাটবটে তৈরি করা যাবে অবতার

    WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপে শীঘ্রই নয়া ফিচার, ‘মেটা এআই’ চ্যাটবটে তৈরি করা যাবে অবতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিত্য নতুন ফিচার বছরভর এনেই থাকে জুকেরবার্গের মালিকাধীন মেটা। ফিচারের ফলে ব্যবহারকারীরা নানা সুবিধা পান ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp)। এবার ‘মেটা এআই’ চ্যাটবটের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবতার তৈরির সুযোগ চালু করতে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। সম্প্রতি, মেটা এআই নামের ফিচার জুড়েছে হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে। গত বছরই চ্যাটজিপিটির সঙ্গে পরিচয় হয় বিশ্ববাসীর। যেকোনও প্রশ্নের উত্তর চটপট দিয়ে দেয় চ্যাটজিপিটি। এবার এই সুবিধা জুড়েছে হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp)। এর আগে গত বছর থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইলে নিজেদের চেহারার আদলে অবতার (চেহারার আদলে ছবি বা ইমোজি) ব্যবহার করেন অনেকে। তবে চাইলেই ইচ্ছেমতো চেহারার অবতার তৈরি করা যায় না।

    স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবতার তৈরির সুযোগ চালু করতে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)

    শুধু তাই নয়, অবতার তৈরির জন্য পোশাক, দেহের গড়ন ও রঙ, চোখের আকার, ভ্রু, নাক, ঠোঁট ইত্যাদিও নির্বাচন করে দিতে হয়। ফলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ভালোমানের অবতার তৈরি করতে পারেন না কেউ কেউ। ব্যবহারকারীদের এই সমস্যা সমাধানে ‘মেটা এআই’ (AI avatar) চ্যাটবটের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবতার তৈরির সুযোগ চালু করতে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। নতুন এই সুবিধা চালু হলে চেহারা ও শারীরিক গড়নের বর্ণনা লিখে দিলেই সে অনুযায়ী অবতার তৈরি করে দেবে চ্যাটবটটি।

    কী জানাল হোয়াটসঅ্যাপ?

    হোয়াটসঅ্যাপের বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএবেটা ইনফো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে মেটা এআই চ্যাটবটের মাধ্যমে অবতার তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন সুবিধাও যুক্ত করতে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। এতে ভবিষ্যতে চ্যাটবটটির মাধ্যমে লেখা থেকে পছন্দমতো কৃত্রিম ছবিও তৈরি করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা (AI avatar)। প্রসঙ্গত চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ও মেসেঞ্জারের সার্চ বারে নিজেদের তৈরি মেটা এআই চ্যাটবট যুক্তের ঘোষণা দেয় জুকেরবার্গের মালিকাধীন মেটা। তবে মেটার তৈরি এই চ্যাটবটটি এখনও সব দেশের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Purulia: পুরুলিয়া লোকসভায় হারের চর্চায় তৃণমূলের অন্দরে দলীয় সংঘাতের চিত্র প্রকাশ্যে!

    Purulia: পুরুলিয়া লোকসভায় হারের চর্চায় তৃণমূলের অন্দরে দলীয় সংঘাতের চিত্র প্রকাশ্যে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ায় (Purulia) লোকসভা নির্বাচনে হারের চর্চায় তৃণমূলের অন্দরে দলীয় সংঘাতের কথা উঠে আসল। তৃণমূলের শাখা সংগঠনগুলির মধ্যে কোন্দল, সমন্বয়ের অভাব, এবং বুথস্তরে জনপ্রতিনিধিদের জনসংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়াই অন্যতম বিপর্যয়ের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গত বুধবার দলের জেলা কমিটির পর্যালোচনায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। ফলে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে।

    বৈঠকে গরহাজির একাধিক তৃণমূল নেতা (Purulia)!

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের দায়িত্বে থাকা ব্লক ও শহর কমিটির সভাপতি এবং জেলা তৃণমূলের প্রাথমিক পর্যালোচনা করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। দলের নির্বাচন পর্যবেক্ষক তন্ময় ঘোষ বলেছেন, “কিছু ত্রুটি আমাদের নজরে এসেছে। দলের কাছে পেশ করা রিপোর্টে সবটাই জানানো হবে। রিপোর্টের প্রেক্ষিতে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব নিশ্চই সিদ্ধান্ত নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবেন।” উল্লেখ্য এদিন পুরুলিয়ায় (Purulia) বৈঠকে গরহাজির থেকে বিতর্ক বাড়িয়েছেন লোকসভা প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো, লোকসভার নির্বাচনী কোর কমিটির চেয়ারম্যান সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, ছাত্র, যুব এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। ইচ্ছে করেই তাঁরা বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন। ফলে এই কোন্দলের কারণে দল নির্বাচনে হেরেছে বলে মনে করেছেন দলেরই একাংশ।

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    জেলার (Purulia) এক তৃণমূল (TMC) নেতার বক্তব্য, “আজকের বৈঠকে কিছু মঞ্চপ্রেমী নেতা-নেত্রী ও অনেক শাখা সংগঠনের প্রধানদের দেখতে পেলাম না। এর কারণ কী? লোকসভা নির্বাচনে হারের লজ্জা না কি গ্লানি? জেলা তৃণমূলের কর্মী হিসাবে আমি মনে করি অবিলম্বে পুরুলিয়া জেলা কমিটিতে বড় পরিবর্তন করার প্রয়োজন রয়েছে। মঞ্চে ওঠা তথাকথিত নেতাদের বাদ দিয়ে কাজের নেতাদের স্থান দিন।” একই ভাবে বৈঠকে বুথস্তরে আর্থিক সহায়তা ঠিক করে পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

    আরও পড়ুনঃ হকার উচ্ছেদে অক্ষত পার্টি অফিস! তৃণমূলের কার্যালয় বলেই কি ছাড়? শোরগোল বোলপুরে

    কী বললেন শান্তিরাম?

    বৈঠকে যোগদান না করে পুরুলিয়ার (Purulia) প্রার্থী শান্তিরাম বলেছেন, “আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত বলেই বৈঠকে যাইনি। অন্তর্ঘাতের বিষয়টি যখন উঠে এসেছে তখন বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।” আবার সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “এই দিন যে সাংগঠনিক বৈঠক বলা হচ্ছে, তা ভোটের আগেই করা উচিত ছিল। যদি ২১ জুলাইের প্রস্তুতি এবং ফলাফল পর্যালোচনার বিষয় আলোচনায় থাকত, তবে যেতাম।” আবার এই বিষয়ে তৃণমূল (TMC) জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেছেন, “সুজয় বাবু সহ একাধিক নেতাকে আমি ফোন করে মিটিং-এর কথা বলেছিলাম। তবুও কেন আসেননি আমার কাছে স্পষ্ট নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Success Story: দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, গুলির চিহ্ন সারা দেহে, ১৬ বারের চেষ্টায় রিঙ্কু সফল ইউপিএসসিতে

    Success Story: দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, গুলির চিহ্ন সারা দেহে, ১৬ বারের চেষ্টায় রিঙ্কু সফল ইউপিএসসিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের রিঙ্কু সিং রাহি। ১৬ বারের প্রচেষ্টায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ইউপিএসসি পরীক্ষা। দুষ্কৃতীরা ৬ রাউন্ড গুলি চালায় তাঁর ওপর। ভর্তি থাকেন হাসপাতালে। এরপরে সেসব বাধা টপকে তিনি কঠোর অধ্যাবসায় করেন আর তাতেই মিলল সাফল্য (Success Story)। ২০০৭ সালেই ডিস্ট্রিক্ট সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। পাশ করেছিলেন উত্তর প্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা। কর্মজীবনের প্রবেশ করার পরে একজন দায়িত্বশীল সরকারি আমলা হিসেবে তিনি যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিতে থাকেন। এই সময়ের মধ্যে একটি প্রকল্পে তিনি দুর্নীতি ধরে ফেলেন। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতরা রিঙ্কু সিংকে (Rinku Sing Rahi) ক্রমাগত জীবনহানির হুমকি দিতে থাকে। দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপরে ভয়াবহ আক্রমণ শানায়। এই সময়ে রিঙ্কু সিং রাহি গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু তারপরেই তিনি তাঁর জীবনে কাম ব্যাক করেন। নিতে থাকেন দেশের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা ইউপিএসসির প্রস্তুতি। বর্তমানে তিনি একজন ট্রেনি আইএএস অফিসার।

    বুলেটের ভাঙা অংশ থেকে যায় মাথায় (Success Story)

    উত্তরপ্রদেশের ডিস্ট্রিক্ট সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার হিসেবে প্রায় ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি তিনি সামনে আনেন। ২০০৯ সালের ৬ মার্চ তিনি জখম ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন তাঁর ওপরে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। পরপর ৬ রাউন্ড গুলি করে তারা। গুরুতর জখম হন (Success Story) রিঙ্কু সিং। এতটাই গুরুতর ছিল আঘাত, যে হাসপাতালে চারমাস ভর্তি থাকতে হয়েছিল রিঙ্কুকে। তাঁর চোখে এবং চোয়ালে ব্যাপক আঘাত লাগে। একটি বুলেটের ভাঙা অংশ তাঁর মাথাতেও থেকে যায়। পরে অপারেশন করতে হয়। এই সমস্ত কিছু সত্ত্বেও হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে তিনি (Rinku Sing Rahi) কাজে যোগ দেন।

    ইউপিএসসি পরীক্ষায় দিব্যাঙ্গ ক্যাটাগরিতে ১৬তম প্রচেষ্টায় ৬৮৩ র‌্যাঙ্ক করেন সারাদেশে

    দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সদা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকতেন রিঙ্কু সিং। ২০১২ সালে আন্না হাজারের দুর্নীতি বিরোধী (Success Story) যে আন্দোলন ইউপিএস সরকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত করেছিলেন, সেখানেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। বারবার পুলিশি বাধার মুখে তাঁকে পড়তে হয়েছে। কিন্তু এসব সত্বেও তিনি দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার পিছনে সর্বদাই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন। ২০১৮ সালে তাঁকে কাজ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে কাজে যোগদানের পরে তিনি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের কোচিং সেন্টারের দায়িত্ব নেন হাপুরে। তাঁর গাইডেন্সে প্রচুর অ্যাসপিরেন্ট সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় (Success Story)। জানা যায়, দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই তিনি স্নাতক হন টাটা ইনস্টিটিউট থেকে। রিঙ্কু সিং ২০২১ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় দিব্যাঙ্গ ক্যাটাগরিতে ১৬ তম প্রচেষ্টায় ৬৮৩ র‌্যাঙ্ক  করেন সারাদেশে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladeshi Infiltrators: সাঁওতাল মেয়েদের ধর্মান্তরণ! অবৈধ বাংলাদেশিদের তাড়ানোর নির্দেশ ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের

    Bangladeshi Infiltrators: সাঁওতাল মেয়েদের ধর্মান্তরণ! অবৈধ বাংলাদেশিদের তাড়ানোর নির্দেশ ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিল ঝাড়খণ্ড আদালত। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট (Jharkhand Highcourt) রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, যে বাংলাদেশিরা (Bangladeshi Infiltrators) অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে, যত দ্রুত সম্ভব তাদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠাতে হবে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি সুজিত নারায়ণ প্রসাদ ও বিচারপতি এ কে রাইয়ের বেঞ্চ ড্যানিয়েল ড্যানিশের আবেদনের শুনানির পর ৩ জুলাই এই রায় দেন, যেখানে আদালতকে বলা হয়েছিল যে, বাংলাদেশ সংলগ্ন সাঁওতাল পরগনা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিবেশী দেশের নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো এসটি (তফসিলি উপজাতি)-দের ধর্মান্তরিত করছে। রাজ্যের মেয়েদের ইসলামের নামে বিয়ে করে নিজেদের ধর্মে রূপান্তরিত করছে। এরম ঘটনা একটা নয় একাধিক। ঘটনাগুলো পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে তাই যত দ্রুত সম্ভব এগুলির অবসান ঘটানো জরুরি।    

    ঠিক কী জানিয়েছে আদালত? (Bangladeshi Infiltrators)

    আদালত তরফে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনার জেলাগুলিতে হঠাৎ করেই উল্লেখযোগ্যভাবে মাদ্রাসার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন করে সেখানে ৪৬টি মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে। আর নবনির্মিত সেই মাদ্রাসাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য। এছাড়াও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা স্থানীয় নারীদের শোষণের পাশাপাশি জমিও দখল করছে। তাই এবার পরিস্থিতি এর থেকে খারাপ হওয়ার আগে আদালত (Jharkhand Highcourt) সরকারকে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে একটি চার্জশিট জমা দিতে বলেছে, যেখানে বাংলাদেশের কতজন অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে, তাদের কতজনকে আটকানো হয়েছে এবং কতজনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তা উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছে।  

    একইসঙ্গে এর পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি (Bangladeshi Infiltrators) নিষিদ্ধ সংগঠনটি সাঁওতাল পরগনার অনেক অংশে স্থানীয় আদিবাসী মেয়েদের ফাঁদে ফেলে ‘লাভ-জিহাদ’-এর অধীনে বিয়ে করছে। বিয়ের পরে, তারা মেয়েদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়ে তাদের মাধ্যমে সরকারী তহবিল বন্ধ করে দেশবিরোধী কার্যকলাপ প্রচার করে।

    আরও পড়ুন: গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য! ভারতের বড় শহরগুলিতে ৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণ বায়ু দূষণ

    ভারতীয়দের ধর্মান্তরণ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত

    যদিও এর আগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ধর্মান্তরের বিষয়ে মতামত প্রকাশ করে সতর্ক করেছিল যে, এইভাবে ধর্মান্তরিত হলে জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা শেষ পর্যন্ত সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের বেঞ্চ তাৎপর্যপূর্ণ বিবৃতি দিতে জানিয়েছিল যে, ‘ভারতীয়দের ধর্মান্তরণ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • East Burdwan: সালিশি সভায় না যাওয়ায় মারধর, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ প্রৌঢ় দম্পতির

    East Burdwan: সালিশি সভায় না যাওয়ায় মারধর, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ প্রৌঢ় দম্পতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়াকাণ্ডের জের মিটতে না মিটতেই এবার ফের একই ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) জামালপুর থানা এলাকার কুবাজপুর গ্রামে। সালিশি সভা ডাকার পর সেখানে না যাওয়ার জন্য বাড়িতে গিয়ে এক প্রৌঢ় দম্পতি ও তাঁদের ছেলেকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার শাগরেদদের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (East Burdwan)

    জামালপুর (East Burdwan) ব্লকের চকদিঘি পঞ্চায়েতের কুবাজপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রৌঢ় দম্পতি শেখ বোরহান আলি এবং সাহানারা বিবি। তাঁদের সঙ্গেই থাকেন তাঁদের বড় ছেলে বসির আলিও। মূলত কৃষিকাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করে পরিবারটি। অভিযোগ, বসিরের বিবাহ সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে একটি বিচারাধীন মামলার বিচার করতে সালিশি সভা ডেকেছিলেন এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শেখ আজাদ রহমান। গত ১৪ জুন চকদিঘির তৃণমূল পার্টি অফিসে ডাকা ওই সালিশি সভায় উপস্থিত থাকতে বলা হয় ওই দম্পতি ও তাঁদের পুত্র বসিরকে। তৃণমূল নেতার শাগরেদরা এ-ও জানিয়ে যায় যে, যদি আজাদ রহমানের বিচার সভায় হাজিরা না দেয়,তবে ওরা বাড়িঘর ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেবে। এমনকী, প্রাণে মেরে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেয় ওরা।

    আরও পড়ুন: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    লাঠি-ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা

    সালিশি সভায় না যাওয়ায় তৃণমূল নেতার শাগরেদরা লাঠিসোঁটা এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়। এর পরেই ওই দম্পতির পুত্র বসিরকে মারধর করতে থাকে তারা। বাধা দিতে গিয়ে মার খান প্রৌঢ় দম্পতিও। পরে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে জামালপুর (East Burdwan) ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। আর বসিরকে বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই ঘটনার পরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানা কোনও পদক্ষেপ না করায় আতঙ্কে ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন তিন জনেই। জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।

    মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন প্রৌঢ় দম্পতি

    অসহায় অবস্থায় ওই দম্পতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তাঁদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা জানিয়েছেন। তাঁরা লিখেছেন, “এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ডাকা সালিশি সভায় না যাওয়ায় তাঁর শাগরেদরা বাড়িতে এসে মারধর করেছেন আমাদের। খুনের হুমকিও দিয়ে গিয়েছেন। প্রাণের ভয়ে গবাদি পশু, ক্ষেত-খামার ফেলে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি।”  একই চিঠি ‘লিখিত অভিযোগ’ হিসাবে তাঁরা পাঠিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি, জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককে। দম্পতির ছেলে বসির বলেন, এমনিভাবে চলতে থাকলে আমাদের সপরিবারে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের (Trinamool Congress) চকদিঘির অঞ্চল সভাপতি আজাদ রহমান বলেন, “বসির আলির পরিবারকে আমি চিনি। তাঁদের যে মামলার বিচার আদালতে চলছে, তার বিচারের জন্য আমি কোনও বিচার সভা বা সালিশি সভা ডাকিনি। তবে, খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, বসিরের পরিবারের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটছে, তা গ্রাম্য বিবাদ জনিত ঘটনা। ওই ঘটনার সঙ্গে ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার নাম জড়ানো হয়েছে।” জেলা তৃণমূলের (Trinamool Congress) সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, “এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। তবে, আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখব। অভিযোগ সত্য হলে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bolpur: হকার উচ্ছেদে অক্ষত পার্টি অফিস! তৃণমূলের কার্যালয় বলেই কি ছাড়? শোরগোল বোলপুরে

    Bolpur: হকার উচ্ছেদে অক্ষত পার্টি অফিস! তৃণমূলের কার্যালয় বলেই কি ছাড়? শোরগোল বোলপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি জমিতে অবৈধ দখল বিষয়ে কড়া অবস্থান নিয়ে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর থেকে কলকাতা সহ জেলায় জেলায় পুরসভা এবং পুলিশ প্রশাসন হকার উচ্ছেদ অভিযানে নেমে পড়েছে, কিন্তু এই উচ্ছেদ অভিযানে তৃণমূল কার্যালয় এখনও অক্ষত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বোলপুরে (Bolpur) উচ্ছেদ অভিযানে ফুটপাত থেকে সরকারি জায়গা উদ্ধার করতে গেলে, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়কে উচ্ছেদ না করার অভিযোগ করে সরব হয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের কার্যালয় বলেই কি ছাড়? এই প্রশ্ন উঠেছে এলাকায়।

    অবৈধ নির্মাণ ছিল তৃণমূল কার্যালয় (Bolpur)!

    বৃহস্পতিবার বোলপুর শহর জুড়ে চলেছে বেআইনি উচ্ছেদ অভিযান। দখল করা রাস্তার জমি পুনরুদ্ধার কাজে নেমেছে পুরসভা। শান্তিনিকেতনের ভুবনডাঙায় পে-লোডার নামিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বহু দোকান। কিন্তু রাস্তার উপরে নির্মাণ করা তৃণমূলের পার্টি অফিসকে ভাঙা হয়নি। বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, সরকারি জমি দখল করে এই অবৈধ নির্মাণ হয়েছিল। সমস্ত দোকান ভাঙা হলেও এই তৃণমূল কার্যালয়ে হাত দেওয়া হয়নি!

    প্রশাসনকে ধিক্কার বিজেপির

    বিজেপির বোলপুর (Bolpur) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেছেন, “এই কাজ অত্যন্ত বেআইনি। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় (Tmc party office) রেখে দিয়ে বাকি সমস্ত কিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল, এই ঘটনা অত্যন্ত অন্যায়। ভাঙলে এক সঙ্গে সব ভেঙে দেওয়া উচিত। পুরসভার ওয়ার্ডগুলিতে তৃণমূলের ফল খারাপ হওয়ায় এই ভাবে মানুষের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আমি বোলপুর পুরসভা ও প্রশাসনকে ধিক্কার জানাই।”

    আরও পড়ুনঃকুলপিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির মধ্যে প্রকাশ্যে কাজিয়া!

    পুর-প্রতিনিধির বক্তব্য

    বোলপুর (Bolpur) পুরসভার পুর-প্রতিনিধি এবং দলীয় কার্যালয়ের (Tmc party office) দায়িত্বে থাকা সুকান্ত হাজরা বলেছেন, “ইতিমধ্যেই আমরা দলীয় কার্যালয়ের উপর টিনের ছাউনি থেকে শুরু করে ভিতরের জিনিসপত্র সরাতে শুরু করে দিয়েছি। দোকান যখন ভাঙা পড়েছে, ঠিক এই পার্টি অফিসও ভাঙা পড়বে। বিরোধীদের উচিত রাজনীতি না করে অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে আমাদের পাশে দাঁড়ানো।” আবার বোলপুরের পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ বলেছেন, “দলীয় পার্টি অফিস হোক বা অন্য নির্মাণ, যা কিছুই সরকারি জায়গা দখল করে থাকবে, সেটাই ভাঙা পড়বে। এখানে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Artificial sweeteners: ডায়াবেটিস রোগীদের চিনির সঙ্গে বাদ থাকুক ‘কৃত্রিম চিনি’ও! কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?

    Artificial sweeteners: ডায়াবেটিস রোগীদের চিনির সঙ্গে বাদ থাকুক ‘কৃত্রিম চিনি’ও! কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। পাশপাশি বিপত্তি বাড়াচ্ছে ওজন। তরুণ প্রজন্মের একাংশ, এই দুই শারীরিক সমস্যার জেরে নাজেহাল। তাই সহজ পথে অনেকেই হাঁটতে চাইছেন। নিত্যদিনের খাবারের তালিকা থেকেই সহজেই বাদ পড়ছে চিনি। কিন্তু অনেকেই আবার মিষ্টিবিহীন খাদ্যতালিকার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। তাই চিনি বাদ দিলেও, তার জায়গায় আসছে কৃত্রিম চিনি। অনেকেই মনে করছেন, চিনির থেকে ঢের ভালো এই ‘কৃত্রিম চিনি’ (Artificial sweeteners)। নিশ্চিন্তে চা-কফি কিংবা সরবতে দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, একেবারেই নিশ্চিন্ত থাকা যাবে না। এই অভ্যাস (Sugar Substitutes) অজান্তেই শরীরের বিপদ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

    কেন উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা? (Artificial sweeteners)

    সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কৃত্রিম চিনির একেবারেই পুষ্টিগুণ নেই। বরং এই চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। সংস্থার নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সেফটি-র তরফে জানানো হয়েছে, কৃত্রিম চিনি বা আর্টিফিশিয়াল সুইটনার রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে কোনও ভূমিকা পালন করে না। এমনকী ওজন নিয়ন্ত্রণে ও কোনো উপকার দেয় না। বরং, এই কৃত্রিম চিনির কিছু রাসায়নিক উপাদান শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, অ্যাসপার্টেম, সুক্রোজ, স্টিভিয়া, স্যাকারিনের মতো উপাদান কৃত্রিম চিনিতে অতিরিক্ত পরিমাণ থাকে। এগুলো শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।

    কী ক্ষতি করছে কৃত্রিম চিনি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যাসপার্টেমের মতো রাসায়নিক কৃত্রিম চিনিতে থাকে। চিনির থেকেও বেশি পরিমাণ থাকে। আর এই রাসায়নিক শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই উপাদান ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কৃত্রিম চিনিতে (Artificial sweeteners) নানান রাসায়নিক থাকে, যেগুলো প্রসেসড খাবারে থাকে। এর জেরে দেহে অতিরিক্ত মেদ জমার ঝুঁকিও তৈরি হয়। অর্থাৎ, ওজন তো কমেই না, বরং কৃত্রিম চিনি অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কৃত্রিম চিনি সহজলভ্য করতে অনেক সময়েই সিলিকা সহ একাধিক রাসায়নিক এর সঙ্গে মেশানো হয়। এই সব রাসায়নিক লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। 
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন যাঁরা নিয়মিত কৃত্রিম চিনি খান, তাঁদের স্নায়ুর রোগের ঝুঁকি বাড়ে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কৃত্রিম চিনি খেলে মাথার যন্ত্রণা, হাত-পায়ে খিঁচুনি সহ নানান রোগের প্রকোপ বাড়ে। এমনকী দেহে হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট হয়। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে হৃদরোগের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ এই কৃত্রিম চিনি। নিয়মিত কৃত্রিম চিনি খেলে, তা হৃদপিণ্ডের জন্য একেবারেই ভালো না। খুবই ক্ষতিকারক। এতে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা কমে‌। 
    সাধারণ চিনির তুলনায় এই কৃত্রিম চিনির মিষ্টত্ব প্রায় তিনশো গুণ বেশি। তাই পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, এই কৃত্রিম চিনি একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। সুস্থ ভাবে বাঁচতে হলে এড়িয়ে চলতে হবে চিনি। তা যে কোনও ধরনের চিনিই হোক না কেন (Sugar Substitutes)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ২৪ ঘণ্টায় ৭ জন শিশুর মৃত্যু! ফের প্রশ্নের মুখে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

    Murshidabad: ২৪ ঘণ্টায় ৭ জন শিশুর মৃত্যু! ফের প্রশ্নের মুখে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একের পর এক শিশু মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কয়েকমাস আগে একদিনে ১০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনা সামনে আসার পর নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য থেকে জেলায় স্বাস্থ্য দফতরের টিমও গিয়েছিল। পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়। কিন্তু, ফের একদিনে একাধিক শিশু মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ বাড়িয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন পরিবারের লোকজন।

    ২৪ ঘণ্টায় ৭ জন শিশুর মৃত্যু! (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় বাড়ছে উদ্বেগ। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই হাসপাতালে। অসুস্থ বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে আসতেও ভয় পাচ্ছেন পরিবারের লোকেরা। রেজিনগরের হাসিবুল শেখের নাতিও মারা গিয়েছে। তিনি বলেন, “আমি তো দেখলাম তিনটে বাচ্চা মারা গিয়েছে। আর আমার নাতিকে বহরমপুর নার্সিংহোম থেকে এখানে নিয়ে আসি। তারপর এখানেই নাতির মৃত্যু হয়েছে। শরদিন্দু মণ্ডল নামে এক রোগীর পরিবারের সদস্য বলেন, হাসপাতালে ১০ জন শিশুর মৃত্যুর পরও কর্তৃপক্ষের হুঁশ ফেরেনি। ফলে, পরিকাঠামো ঠিক করা হয়নি। তারজন্যই এই ঘটনা ঘটল। কার গাফিলতি তার তদন্ত হওয়া দরকার। রোগীর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, এমনও অভিযোগ ওঠে শিশু মারা গেলেও দেহ ফেলে রাখা হয়, যাতে সংখ্যাটা না বাড়ে। পরে, খাতায় এন্ট্রি করা হয় বিস্তারিত। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা মানতে চায়নি।

    আরও পড়ুন: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কী সাফাই দিলেন?

    হাসপাতাল (Hospital) সূত্রের জানা গিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৪ জন শিশুর মৃত্যু হয়। সাত জন শিশুর মৃত্যু প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Hospital) অধ্যক্ষ অমিত দাঁ বলেন, “আমাদের কাছে একটা শিশু এলেও তাকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠানোই লক্ষ্য থাকে। আমাদের কাছে এরকম অফিশিয়াল কোনও তথ্য নেই, যেখানে বলতে পারব ৭-৮ জন শিশু মারা গিয়েছে। তবে, এটুকু বলতে পারি, মুর্শিদাবাদ অনেক বড় জেলা। একটাই মেডিক্যাল কলেজ। প্রচুর শিশু আছে। আমাদের ডাক্তারবাবুরা সাধ্যমত চেষ্টা করেন। তারপরও কী হয়েছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: কুলপিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির মধ্যে প্রকাশ্যে কাজিয়া!

    South 24 Parganas: কুলপিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির মধ্যে প্রকাশ্যে কাজিয়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) একটি সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে এসেছে। কুলপিতে প্রকাশ্য সংবর্ধনা সভায় বিধায়ক ও ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির কাজিয়া প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকায়। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনের আগেও একাধিক বার মাদার বনাম যুব তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

    দলের শৃঙ্খলা নিয়ে দ্বন্দ্ব (South 24 Parganas)!

    কুলপিতে মথুরাপুর (South 24 Parganas) লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদের সংবর্ধনা সভায় তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। বৃহস্পতিবার দিন কুলপির পথের সাথী গেস্ট হাউসে নবনির্বাচিত সাংসদ বাপি হালদারের সংবর্ধনা সভা আয়োজন করা হয়। একদিকে যখন বিধায়ক দলের শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে ব্লক সভাপতির নাম না করেই একাধিক বক্তব্য রাখলেন, ঠিক উল্টোদিকে ব্লক সভাপতিও বিধায়কের নাম না করে দলের শৃঙ্খলা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুললেন। ফলে উভয়ের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে।

    তৃণমূল বিধায়কর বক্তব্য

    কুলপি (South 24 Parganas) বিধানসভার বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার বলেছেন, “দলের মধ্যে থেকে কেউ কেউ আমার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার তকমা লাগাচ্ছে। আমি যদি সাম্প্রদায়িক হতাম তাহলে চারবারের বিধায়ক হতে পারতাম না। মানুষ সব জানে আমি তাঁদের জন্য কী করেছি। দল থাকলে তবেই কর্মীরা থাকবে, দলের মধ্যে থাকলে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে সকলকে।” কিন্তু সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে বিধায়ক বলেন, “এখানে তৃণমূলের কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ নেই, তবে সম্প্রদায়িকতার বিষয়ে কেউ কেউ অপপ্রচার করে করছেন।”

    তৃণমূল ব্লক সভাপতির বক্তব্য

    অন্যদিকে কুলপি (South 24 Parganas) বিধানসভার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি সুপ্রিয় হালদার, বিধায়কের নাম না করে দলের সাংসদের সামনেই বলেন, “দলের মধ্যে থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচন, বিধানসভা নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনকে কেউ যদি আলাদা আলাদা করে গুরুত্ব দিয়ে দেখেন, তা হলে মানা হবে না। কোনও ব্যক্তির জন্য যদি অপর কোনও ব্যক্তির সম্মানহানি হয়, সেই বিষয়টিও বিধায়ক ও সাংসদকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গঠন করা একান্ত প্রয়োজন।” দ্বন্দ্ব নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি আরও বলেন, “যাঁরা দলের মধ্যে থেকে ভুল কাজ করছে সেই বিষয়টি আমি বিধায়কের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছি। অন্যদিকে দল যাঁকেই টিকিট দিক না কেন, দলের মধ্যে থেকে শৃঙ্খলা পরায়ণ হয়ে কাজ করা উচিত তাঁর।”

    তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য

    তবে এই বিষয়ে মথুরাপুর (South 24 Parganas) লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদার বলেছেন, “দল বড় হলে তার মধ্যে সমস্যা থাকতে পারে, তবে তা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিতে হবে। অন্যদিকে যাঁরা দলের মধ্যে থেকে বিজেপির হয়ে ভোট করিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে দল।”

    আরও পড়ুনঃ চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    বিজেপির বক্তব্য

    তবে এই বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। কুলপি (South 24 Parganas) ব্লকের শ্রমিক ইউনিয়নের বিজেপি সভাপতি স্বপন হালদার বলেছেন, “বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির মধ্যে লেনদেনের ভাগ-বাটোয়ারা ঠিকঠাক না হওয়ার জন্যই এই ঘটনা ঘটছে। তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সর্বোচ্চ তোলাবাজের দল। আর সেখানে বিধায়ক বেশি খাবে, নাকি ব্লক সভাপতি বেশি খাবে তা নিয়েই এই দ্বন্দ্ব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Air Pollution: ভারতের বড় শহরগুলিতে ৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণ বায়ুদূষণ! গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য

    Air Pollution: ভারতের বড় শহরগুলিতে ৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণ বায়ুদূষণ! গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য। দূষণের (Air Pollution) কারণে প্রতি বছর ভারতে মৃত্যু হচ্ছে ৩৩ হাজার মানুষের। সম্প্রতি ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নাল’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দূষণ সংক্রান্ত সমীক্ষার রিপোর্টে এমনই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, কলকাতা সহ ভারতের বড় বড় ১০টি শহরে (Indian Cities) প্রতি বছর বায়ুদূষণের বলি হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। তাই দূষিত বায়ুর (Air Pollution) বিপদ থেকে নাগরিকদের বাঁচানোর জন্য অবশ্যই হু-র দেওয়া নির্দেশিকা মেনে চলা উচিত ভারতের, এমনটাই জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। গবেষণাটি সাসটেইনেবল ফিউচার কোলাবোরেটিভ, অশোকা ইউনিভার্সিটি, সেন্টার ফর ক্রনিক ডিজিজ কন্ট্রোল, সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট, হার্ভার্ড এবং বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।

    ঠিক কী জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে? 

    সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ভারতের বড় বড় ১০টি শহরে বায়ুদূষণের (Air Pollution) কারণে প্রতিবছর ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ওই ১০টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে বায়ুদূষণের কারণে দৈনিক মৃত্যুর হার ৭ শতাংশেরও বেশি। এই শহরগুলির (Indian Cities) তালিকায় রয়েছে কলকাতা, আমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বই, পুণে, সিমলা, এবং বারাণসী। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে রয়েছে ভারতের রাজধানী শহর দিল্লি, যেখানে প্রতি বছর ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মুম্বই। এখানে মৃত্যু সংখ্যা ৫ হাজার ১০০। আর কলকাতায় সেই সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০। অন্যদিকে,  চেন্নাইয়ে বায়ুদূষণের কারণে বছরে ২ হাজার ৯০০ জন মানুষ মারা যান। বেঙ্গালুরুতে সেই সংখ্যা ২ হাজার ১০০ এবং বারাণসীতে ৮৩০। মৃত্যুর নিরিখে তালিকায় সবচেয়ে নিচে রয়েছে সিমলা, যেখানে বছরে বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে কম, মাত্র ৫৯।  

    আরও পড়ুন: শিবের মাথায় জল দেবেন ভক্তরা, কানওয়ার যাত্রার রাস্তায় মাংস বিক্রি বন্ধ করলেন যোগী

    এর থেকে বাঁচার উপায় কী? (Air Pollution) 

    এ প্রসঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সহ-লেখক জোয়েল শোয়ার্টজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ”এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ভারতের যা পরিস্থিতি সেখানে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণই একমাত্র পথ। একমাত্র বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই প্রতি বছর কয়েক হাজার জীবন বাঁচাতে পারে। অন্যান্য দেশে যেভাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ হয়, সে সব পদ্ধতিগুলি ভারতে জরুরীভাবে প্রয়োগ করা প্রয়োজন।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ জানিয়েছে যে, পৃথিবীতে প্রায় সকলেই বায়ুদূষণের (Air Pollution) প্রস্তাবিত পরিমাণের চেয়ে বেশি পরিমাণে দূষিত বায়ু গ্রহণ করে, যা স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর এর ফলেই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর হার। 
      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share