Tag: Bengali news

Bengali news

  • Crude Politics: অপরিশোধিত তেল নিয়ে রাজনীতি, রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি কেনার জল গড়াবে কতদূর?

    Crude Politics: অপরিশোধিত তেল নিয়ে রাজনীতি, রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি কেনার জল গড়াবে কতদূর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত তিন বছরে ভারতের জ্বালানি কৌশলে একটি বড়সড় পরিবর্তন এসেছে, যেখানে রাশিয়াকে অপরিশোধিত তেলের (Crude Politics) আমদানির কেন্দ্রে জায়গা দেওয়া হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে রাশিয়া থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ ছিল মাত্র ০.২ শতাংশ। কিন্তু যুদ্ধকালীন-পর্বে রাশিয়ান তেল ভারতের প্রধান উৎসে পরিণত হয়েছে (Donald Trump Tariff)। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় ভারত নিরপেক্ষতার নীতি অবলম্বন করেছিল। সোভিয়েত-নেতৃত্বাধীন কমিউনিজমের বিরুদ্ধে পশ্চিমী প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতেও অস্বীকার করেছিল। এর ফলে মস্কোর সঙ্গে ভারতের এক কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাপক অস্ত্র স্থানান্তর, প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং কূটনৈতিক সহায়তা।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Crude Politics)

    ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। এরপর পশ্চিমী বিশ্বের একটি বড় অংশ মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর মধ্যে রয়েছে তেল আমদানিও। যুদ্ধের আগে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানির মধ্যে রাশিয়ার অংশ ছিল মাত্রই ০.২ শতাংশ। ২০২৩ সালের মে মাসে সেই হার লাফিয়ে হয়ে যায় ৪০ শতাংশেরও বেশি। রিয়েল-টাইম তথ্য ও বিশ্লেষণ সংস্থা কেপলারের (Kpler) মতে, ২০২৩ সালের মে মাসে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি সর্বোচ্চ ২১.৫ লাখ ব্যারেল ছুঁয়েছিল। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে রাশিয়া প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি তেল সরবরাহ করেছে, যা ভারতের মোট আমদানির ৪১ শতাংশ। সেই তুলনায় ইরাকের অংশ ছিল ২০ শতাংশ, সৌদি আরবের ১১ শতাংশ, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র ৪ শতাংশ। বর্তমানে প্রতি মাসে গড় রাশিয়ান তেল আমদানির পরিমাণ ১৭.৫ থেকে ১৭.৮ লাখ ব্যারেল। উল্টো দিকে, ইরাক এবং সৌদি আরব প্রতিদিন সরবরাহ করে যথাক্রমে প্রায় ৯ লাখ ও ৭ লাখ ব্যারেল তেল (Crude Politics)।

    তেল বিক্রির জন্য রাশিয়া ঝোঁকে ভারত ও চিনের দিকে

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর তেল বিক্রির জন্য রাশিয়া ঝোঁকে ভারত ও চিনের মতো দেশের দিকে। ডিসকাউন্টের তুঙ্গ সময়ে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল ব্রেন্ট দামের চেয়ে প্রায় ৪০ মার্কিন ডলার কমে বিক্রি হত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ছাড়ের পরিমাণ কমে এসেছে। সংবাদ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ভারত রাশিয়ান তেলের প্রতি মেট্রিক টনে গড়ে ৫২৫.৬০ মার্কিন ডলার মূল্য দিয়েছে, যা ইরাক থেকে আমদানি করা তেলের দামের চেয়ে প্রতি ব্যারেলে প্রায় ৫ মার্কিন ডলার কম। আইসিআরএর দাবি, গত দুই অর্থবর্ষে তেল আমদানিতে প্রায় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় করেছে ভারত (Donald Trump Tariff)।

    ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের রাশিয়ান তেল কৌশলকে নতুন চাপে ফেলেছেন। ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছেন। রাশিয়ান তেল কেনা অব্যাহত রাখায় ধার্য করা হয়েছে জরিমানাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লিখেছেন, “ভারতকে তাই ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে, সঙ্গে থাকবে একটি জরিমানাও।” তাঁর হুঁশিয়ারি, “মস্কো যদি ৫০ দিনের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তিচুক্তিতে না পৌঁছায়, তাহলে রাশিয়ান তেল কেনা সব দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।” উল্লেখ্য, ভারত প্রতিদিন প্রায় ৫.২ মিলিয়ন ব্যারেল তেল খরচ করে, যার প্রায় ৮৫ শতাংশই আমদানি করতে হয়। এই চাহিদা ক্রমশই বাড়ছে (Crude Politics)।

    ভারতের অবস্থান

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের সময় নয়াদিল্লি বরাবরই নিরপেক্ষ কূটনৈতিক অবস্থান বজায় রেখেছে। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি বহুবার বলেছেন, “ভারত যদি রাশিয়ার কাছ থেকে তেল না কিনত, তাহলে তেলের দর আকাশ ছুঁতো (Donald Trump Tariff)।”

    ট্রাম্পের দাবি

    এদিকে, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার দাবি করেন, তিনি শুনেছেন ভারত আর রাশিয়ার তেল কিনবে না। তিনি একে একটি ভালো পদক্ষেপ আখ্যা দেন। উল্লেখ্য, এর কয়েকদিন আগেই তিনি মস্কোর সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য ও সামরিক সম্পর্ক নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছিলেন। ট্রাম্প বলেন, “আমি শুনেছি ভারত আর রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না। আমি জানি না এটা ঠিক কি না, তবে এটি একটি ভালো পদক্ষেপ। দেখা যাক, ভবিষ্যতে কী হয়।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন মন্তব্যের আড়ালে রয়েছে একটি প্রচ্ছন্ন হুমকি। কারণ তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনা দেশগুলির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

    সাফ কথা ভারতের

    এহেন আবহে শনিবার প্রকাশিত নতুন একটি প্রতিবেদনে ভারত সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্তারা জানিয়েছেন, নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। একজন কর্তা তো বলেই দিলেন, সরকার তেল আমদানিকারী সংস্থাগুলিকে রাশিয়া থেকে আমদানি কমাতে কোনও নির্দেশই দেয়নি (Donald Trump Tariff)। পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞার জেরে তেলের দাম কমে যাওয়ায় রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনা বেড়েছে এবং এর মাধ্যমে মস্কো গুরুত্বপূর্ণ রফতানি রাজস্ব ধরে রাখতে পেরেছে। একই সঙ্গে ভারত পাচ্ছে সস্তায় জ্বালানি। যাতে পূরণ হচ্ছে তার ক্রমবর্ধমান চাহিদা।

    ট্রাম্পের এক্সিকিউটিভ অর্ডার

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প একটি এক্সিকিউটিভ অর্ডারের মাধ্যমে প্রায় ৭০টি দেশের রফতানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, যার মধ্যে ভারতও রয়েছে। যদিও ওই অর্ডারে রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি কেনার কারণে অতিরিক্ত শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপের হুমকির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল না, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও সেই ব্যবস্থা নিতেই পারে (Crude Politics)। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারতের জ্বালানির প্রয়োজনীয়তা পূরণের ক্ষেত্রে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য এবং সেই সময়কার বৈশ্বিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।”

    তেল কেনা অব্যাহত রইবে

    শনিবার প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের শাস্তির হুমকি সত্ত্বেও ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে। কারণ এগুলি দীর্ঘমেয়াদি তেলের চুক্তি। রাতারাতি কেনা বন্ধ করে দেওয়া সহজ নয়। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ভারত রাশিয়া থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৭.৫ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি।

    রাশিয়ান তেল আমদানির ব্যাখ্যা

    ভারতের পক্ষ থেকে রাশিয়ান তেল আমদানির ব্যাখ্যায় আর এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ান গ্রেডের তেল আমদানির ফলে বিশ্ববাজারে তেলের দামে ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি এড়ানো গিয়েছে। যদিও পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাশিয়ার তেলের দাম তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রিতই রয়েছে। ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ইরান ও ভেনেজুয়েলার তেলের মতো রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল সরাসরি নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে না। তাই ভারত সেটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্ধারিত দামের সীমার নীচে কিনছে। অবশ্য সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, জুলাই মাসে ডিসকাউন্টের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল পরিশোধন সংস্থাগুলি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে (Donald Trump Tariff)। ছাড়ের পরিমাণ ২০২২ সালের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছিল তখন, যখন মস্কোর ওপর প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেড তাদের কত রাশিয়ান তেলের প্রয়োজন, গত এক সপ্তাহে তা জানায়নি তারা (Crude Politics)।

  • Ashwini Vaishnaw: সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধসের আতঙ্ক, তাই কি পার্ক সার্কাস উচ্ছেদ অভিযানে রেলকে অসহযোগিতা রাজ্যের?

    Ashwini Vaishnaw: সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধসের আতঙ্ক, তাই কি পার্ক সার্কাস উচ্ছেদ অভিযানে রেলকে অসহযোগিতা রাজ্যের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধস নামলে খোয়াতে হতে পারে গদি। তাই কি কলকাতার পার্ক সার্কাস রেলওয়ে স্টেশন থেকে দখলদারদের হঠাতে (Eviction Drive) একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও, রেলকে সাহায্য করেনি তৃণমূল পরিচালিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার? আপাতত এই প্রশ্নটাই ঘোরাফেরা করছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnaw) একটি দাবির পর। ভনিতা ছেড়ে ফেরা যাক খবরে।

    রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ (Ashwini Vaishnaw)

    পার্ক সার্কাস এলাকাটি মুসলিম অধ্যুষিত। এই এলাকায় রেললাইন দখল করেও দিব্যিই ব্যবসা করে চলেছেন কিছু মানুষ। তার ফলে নিত্য বিস্তর অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় রেলযাত্রীদের। সেই কারণেই রেলস্টেশনের ধার থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে বারংবার অভিযান চালিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রাজ্য সরকার তাতে সহযোগিতা না করায় উচ্ছেদ অভিযান সফল হয়নি বলে জানালেন রেলমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য রেলমন্ত্রকের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন, পার্ক সার্কাস স্টেশনকে দখলদার মুক্ত করতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যসভায় এক লিখিত উত্তরে অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কথা। লিখিত উত্তরে রেলমন্ত্রী বলেন, “দখলদারদের উচ্ছেদ করতে পার্ক সার্কাস রেলস্টেশনে সময়ে সময়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় রেল। কিন্তু রাজ্য সরকার এই কাজে সাহায্য করেনি। তাই অভিযান সফল হয়নি।”

    কী বললেন রেলমন্ত্রী?

    ট্রেনে যাত্রীদের সুরক্ষা প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, “যাত্রীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত অভিযোগে ভারতীয় রেল সব সময় সাড়া দেয়। স্টেশনগুলিতে রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মী থাকেন। সিসিটিভির নজরদারির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে সময়, স্থান ও কী ধরনের হুমকি রয়েছে, তা দেখেশুনে সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।” তিনি (Ashwini Vaishnaw) জানান, আরপিএফ মোতায়েনের বিষয়টি নিয়মিত পর্যালোচনা করা হয়। সরকারের রেল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা হয়। অপরাধ দমনে যথাযথ পদক্ষেপ করে রেল। স্টেশন চত্বরে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সম্পর্কে রেলমন্ত্রী জানান, এটা নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। স্টেশন চত্বরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে রেলমন্ত্রক একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে পরিষ্কার করা হচ্ছে, বর্জ্য পদার্থ ফেলার আলাদা আলাদা ডাস্টবিন রাখা হয়েছে, জল নিকাশি ব্যবস্থা আরও উন্নত হয়েছে এবং ঘন ঘন স্টেশন পরিষ্কার (Eviction Drive) রাখার কাজ চলছে। পে অ্যান্ড ইউজ প্রকল্পের মাধ্যমে শৌচালয়গুলিকে পরিচ্ছন্ন রাখার কাজও হচ্ছে (Ashwini Vaishnaw) নিয়মিত।

  • Ramakrishna 429: শংকর যা বুঝিয়েছেন তাও আছে, আবার রামানুজের বিশিষ্ট দ্বৈতবাদও আছে

    Ramakrishna 429: শংকর যা বুঝিয়েছেন তাও আছে, আবার রামানুজের বিশিষ্ট দ্বৈতবাদও আছে

    তারপর শুরু হলো ঘোর তর্ক। “ইনফিনিটি”-এর কী অংশ হয়? হ্যামিল্টন কী বলেন, হার্বার্ট স্পেনসার কী বলেন, টিন্ডেল, হাক্সলে, বাকিরা কী বলেছেন—এই সব নিয়ে আলোচনা চলতে লাগল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি): দেখো, এগুলো আমার ভালো লাগছে না। আমি সব কিছু দেখছি, বিচার করছি—আর করব কী? দেখছি, তিনিই সব। তিনিই সব হয়েছেন।

    “তাও বটে… আবার তাও বটে।” এক অবস্থায় মন, বুদ্ধি—সব লীন হয়ে যায়, অখণ্ডে বিলীন হয়। নরেন্দ্রকে দেখে আমার মনও সেই অখণ্ডে লীন হয়ে যায়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি) তাঁর কী করলে বল দেখি।
    গিরিশ ( হাসিতে হাসিতে) ওইটা ছাড়া প্রায় সব বুঝেছে কিনা, সকলের হাস্য।

    রামানুজ ও বিশিষ্ট দ্বৈতবাদ

    শ্রীরামকৃষ্ণ- আবার “দুই থাক না নামলে কথা কইতে পারি না”।
    বেদান্ত, শংকর যা বুঝিয়েছেন তাও আছে, আবার রামানুজের বিশিষ্ট দ্বৈতবাদও আছে।
    নরেন্দ্র—বিশিষ্ট দ্বৈতবাদ! কী, শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্রর প্রতি বিশিষ্ট দ্বৈতবাদ দেখিয়েছেন? রামানুজের মতো?

    জীবজগৎ বিশিষ্ট ব্রহ্ম।
    সব জড়িয়ে একটি বেল—খোলা আলাদা, বিচি আলাদা আর শাঁস আলাদা।
    একজন করেছিল। বেলটি কতজনের জানবার দরকার হয়েছিল?

    এখন শুধু শাঁস ওজন করলে কি বেলের ওজন পাওয়া যায়?
    খোলা, বিচি সব একসঙ্গে ওজন করতে হবে।
    প্রথমে খোলা নয়, বিচি নয়—সার পদার্থ বলে বোধ হয়।
    তারপর বিচার করে দেখা যায় সেই বস্তুর।
    সেই বস্তুর খোলা, বিচি করে যেতে হয়।
    জীবনীতি, জগৎনীতি—এরও বিচার করতে হয়।
    বস্তু আর সব অবস্তু। তারপর অনুভব হয়,
    যার শাঁস তারই খোলা, বিচি।
    যা থেকে ব্রহ্ম বলছো, তাই থেকে জীবজগৎ।
    যারই নিত্য, তারই লীলা।
    তাই রামানুজ বলতেন—
    জীবজগৎ বিশিষ্ট ব্রহ্ম।
    এরই নাম বিশিষ্ট দ্বৈতবাদ।

  • PM Modi: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-যুদ্ধে’র জবাব দিতেই কি মোদির মুখে ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র ডাক?

    PM Modi: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-যুদ্ধে’র জবাব দিতেই কি মোদির মুখে ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র ডাক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা কেবল সেই জিনিসগুলিই কিনব, যা ভারতীয়দের তৈরি। স্থানীয়দের জন্য আওয়াজ তুলতে হবে আমাদের।” শুক্রবার বারাণসীর সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দিন কয়েক আগেই ‘শুল্ক-যুদ্ধে’র প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ভারতকে ‘মৃত অর্থনীতির দেশ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও মস্কো থেকে জ্বালানি কিনে চলেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পর থেকে ভারতকে একাধিকবার রক্তচক্ষু দেখিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা (PM Modi)

    তাকে কার্যত উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনে চলেছে ভারত। তার জেরেই ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন, রাশিয়া এবং ভারতের ব্যাপারে ভাবতেই চান না তিনি। মৃত অর্থনীতি নিয়ে ডুবে যেতে পারে দুই দেশই। এই আবহেই প্রধানমন্ত্রীর মুখে এল ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র কথা। তিনি বলেন, “ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই সরকার দেশের সব চেয়ে ভালো করার স্বার্থে যা কিছু প্রয়োজনীয়, সব করছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “তামাম বিশ্বে অস্থিরতার পরিবেশ বিরাজ করছে। সব দেশ তাদের নিজস্ব স্বার্থের দিকে মনোনিবেশ করছে। ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে। তাই ভারতকে তার অর্থনৈতিক স্বার্থের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।” তিনি বলেন, “আমাদের সরকার দেশের সর্বোত্তম স্বার্থে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। যারা দেশের জন্য সব থেকে ভালোটা চান এবং ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে দেখতে চান, তা সে যে কোনও রাজনৈতিক দলই হোক না কেন, তাদের উচিত মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে স্বদেশি পণ্যের জন্য একটি সংকল্প তৈরি করা।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমরা কেবল সেই জিনিসগুলিই কিনব, যা ভারতীয়দের তৈরি (PM Modi)। স্থানীয়দের জন্য আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে (Donald Trump)।”

  • One Nation One Application: পূরণ হতে চলেছে মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন, আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া কাগজবিহীন করতে আপগ্রেড করা হচ্ছে ‘নেভা’

    One Nation One Application: পূরণ হতে চলেছে মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন, আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া কাগজবিহীন করতে আপগ্রেড করা হচ্ছে ‘নেভা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্রুত ডিজিটালাইজেশনের পথে এগিয়ে চলেছে ভারত (One Nation One Application)। ভারতীয় সংসদ ও বিভিন্ন রাজ্য বিধানসভাগুলিও ন্যাশনাল ই-বিধান অ্যাপ্লিকেশন (নেভা) (NeVA)-এর মাধ্যমে যাচ্ছে এক ডিজিটাল বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে। এই উদ্যোগের লক্ষ্যই হল, আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়াকে কাগজবিহীন, স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক করে তোলা। যখন প্রশাসন ডিজিটাল পরিকাঠামো বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করছে, তখন নেভা ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষার এক রূপান্তরকারী প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে, যা আইন প্রণয়ন ব্যবস্থার জন্য “এক দেশ, এক অ্যাপ্লিকেশন” প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে।

    নেভা একটি মিশন মোড প্রকল্প (One Nation One Application)

    জানা গিয়েছে, নেভা একটি মিশন মোড প্রকল্প। এটি ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক চালু করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল, দেশের সমস্ত আইনসভাকে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করা। অর্থাৎ সেগুলিকে একটি “ডিজিটাল হাউসে” রূপান্তরিত করা।  ই ব্যবস্থার মাধ্যমে আইনসভার কার্যকলাপ হবে পুরোপুরি কাগজবিহীন (paperless), যেখানে বিধানসভার সদস্য ও সাংসদরা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে সমস্ত সংসদীয় কাজকর্ম করতে পারবেন। নথিপত্র দেখা, প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করা, বক্তৃতা দেওয়া এবং ভোট দেওয়া – এ সবই করা যাবে এই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে। ভারতীয় আইনসভাগুলিতে ঐতিহ্যগতভাবে বিল, বিধি, কার্যবিবরণী, প্রশ্নোত্তর, কমিটি রিপোর্ট ইত্যাদি সবক্ষেত্রেই বিপুল পরিমাণ কাগজ ব্যবহার করা হয়। সংসদীয় কার্যকলাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর লজিস্টিকাল ও পরিবেশগত চাপও (NeVA) বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আইনসভা প্রক্রিয়াকে আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে ভারত সরকার নেভার পরিকল্পনা করেছে।

    নেভার যাত্রা শুরু

    নেভার যাত্রা শুরু হয় ‘ই-বিধান’ প্রকল্প দিয়ে, যা ২০১৪ সালে হিমাচল প্রদেশে একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসেবে চালু হয়েছিল। পরে এটি প্রথম রাজ্য বিধানসভা হয়ে সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল রূপ নেয়। এই ডিজিটাল উদ্যোগ সাফল্যের মুখ দেখায় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক ২০১৯ সালে একটি কেন্দ্রীয় অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে ন্যাশনাল ই-বিধান অ্যাপ্লিকেশন চালু করে, যাতে এটি সারা দেশে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা যায় (One Nation One Application)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৮২তম অল ইন্ডিয়া প্রিসাইডিং অফিসার্স কনফারেন্সে নেভা নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সকল সংসদের কার্যক্রমের রিয়েল-টাইম তথ্য সাধারণ নাগরিক ও দেশের অন্য সংসদগুলির জন্য সহজলভ্য হওয়া উচিত। এর জন্য একটি আধুনিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে, যার নাম ন্যাশনাল ই-বিধান অ্যাপ্লিকেশন (NeVA)।”

    নেভা কি

    নেভা কেবল কাগজের নথির একটি ডিজিটাল বিকল্প নয়। এটি একটি বিস্তৃত ক্লাউড-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম, যা আইনসভাগুলির জটিল চাহিদা পূরণের জন্য শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে। ‘ভাষিণী’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে টেক্সট-টু-টেক্সট মেশিন অনুবাদ হল নেভার একটি নয়া সংযোজন, যা জাতীয় ভাষা অনুবাদ মিশনের অধীন একটি প্রকল্প। এটি নেভার পাবলিক পোর্টাল (এবং রাজ্য বিধানসভার হোমপেজগুলি)-কে সংবিধান স্বীকৃত ২২টি ভারতীয় ভাষা ও ইংরেজিতে অনুবাদ করতে সাহায্য করে, যার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে ভাষাগত অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হয়।

    নাগাল্যান্ডে প্রথম নেভা চালু

    নাগাল্যান্ড উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম রাজ্য যারা নেভা চালু করে। পরে এতে যুক্ত হয় ত্রিপুরাও। এই উদ্যোগ নেওয়ার ফলে উত্তর-পূর্বের অন্য রাজ্যগুলিও এটি বাস্তবায়নে আগ্রহী হয়। কারণ এটি ৯০:১০ অনুপাতে অনুদান-ভিত্তিক মডেলে (NeVA) দেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ২০২৩ সালে নেভা ইকোসিস্টেমে যুক্ত হয় এবং ২০২৪ সালে প্রথম সম্পূর্ণ কাগজবিহীন অধিবেশন করে। এই পরিবর্তনের ফলে মুদ্রণ খরচ কমে যায় এবং সাধারণ জনগণের জন্য আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত তথ্য আরও সহজলভ্য হয়। এটি আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত তথ্যকে ডিজিটালি গণতান্ত্রিক করে তোলে, ভোটার ও তাঁদের প্রতিনিধিদের মধ্যে দূরত্ব ঘুঁচিয়ে দেয় (One Nation One Application)।

    নেভা প্রয়োগে সমস্যা

    যদিও নেভা সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে, তবুও কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে। ডিজিটাল শিক্ষার অভাব এখনও একটি বড় বাধা। কারণ সব সাংসদ এবং বিধায়ক ডিজিটাল সরঞ্জাম ব্যবহারে অভ্যস্ত নন। প্রশিক্ষণ মডিউল চালু করা হয়েছে। তাই বাস্তবায়নে সময় লাগবে। যেসব রাজ্যে ইন্টারনেট সংযোগ দুর্বল, সেখানে পরিকাঠামোগত ঘাটতি রয়েছে। যার ফলে রিয়েল-টাইম তথ্য প্রবাহ ও অবিরাম কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে। আর একটি জরুরি সমস্যা হল তথ্য নিরাপত্তা। তথ্য চুরি এবং গোপনীয়তা রক্ষায় শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রক ২০২৬ সালের মধ্যে সমস্ত সংসদীয় কক্ষকে নেভা প্ল্যাটফর্মে একশোভাগ যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে (NeVA)। নিয়মিত আপডেট করা হচ্ছে যাতে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হয়, এআই-চালিত অনুবাদ এবং স্বয়ংক্রিয় নথি সংরক্ষণ কার্যকর হয় (One Nation One Application)।

  • EC: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ‘বিস্ফোরক’ অভিযোগ রাহুলের, কী বললেন আধিকারিকরা?

    EC: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ‘বিস্ফোরক’ অভিযোগ রাহুলের, কী বললেন আধিকারিকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের (EC) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা লোকসভার সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। শুক্রবার বিরোধী দলের নেতার করা সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রীতিমতো বিবৃতি প্রকাশ করে কমিশন ‘উল্টোপাল্টা’ অভিযোগ করায় তাঁর ব্যাপক সমালোচনা করেছে। তাঁর অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেও মন্তব্য করেছে কমিশন।

    কমিশনের চিঠির উত্তর দেননি রাহুল! (EC)

    এও জানিয়ে দিয়েছে, বহুবার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও তিনি কমিশনের সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনা করতে অস্বীকার করেন। বিবৃতিতে কমিশন জানিয়েছে, ভারতীয় নির্বাচন কমিশন তাঁকে ১২ জুন ২০২৫-এ একটি ইমেল পাঠায়। তিনি আসেননি। ওই দিনই তাঁকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়। যদিও তিনি তারও কোনও উত্তর দেননি। তিনি কখনও কোনও বিষয়েই ভারতীয় নির্বাচন কমিশনকে কোনও চিঠি পাঠাননি। এটা অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় যে তিনি এখন বেপরোয়া সব অভিযোগ করছেন। এমনকি এখন তিনি নির্বাচন কমিশন ও তার কর্মীদের হুমকিও দিচ্ছেন। নিন্দনীয়! কমিশন এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি উপেক্ষা করে। কর্মীদের নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছে কমিশন।

    কী বলছে নির্বাচন কমিশন

    নির্বাচন কমিশন (EC) বলেছে, “প্রতিদিন যে ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন তা উপেক্ষা করে এবং প্রতিদিন যে ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তার পরেও সব নির্বাচন আধিকারিককে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে কাজ করার সময় এসব দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি উপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।”

    বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধী সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচন কমিশন ভোট চুরিতে সাহায্য করছে এবং বিজেপির পক্ষে কাজ করছে।আমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে নির্বাচন কমিশন ভোট চুরিতে জড়িত। আমি ১০০ শতাংশ প্রমাণ-সহ বলছি।” কংগ্রেসের এই নেতা আরও বলেন, “আমার দলের ছ’মাসের একটি তদন্ত রিপোর্ট শীঘ্রই একটি “পারমাণবিক বোমা” প্রকাশ করবে। আমরা যে মুহূর্তে এটি প্রকাশ করব, পুরো দেশ জেনে যাবে যে নির্বাচন কমিশন বিজেপির হয়ে ভোট চুরিতে সাহায্য করছে।”

    মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং লোকসভা নির্বাচনে সন্দেহজনক ঘটনার কথা উল্লেখ করে রাহুল অভিযোগ করেন, কমিশনের ভেতরে ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন (EC)। তিনি বলেন, “আমরা ওঁদের ছেড়ে দেব না। কারণ ওঁরা ভারতের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। এটা রাষ্ট্রদ্রোহ। এর চেয়ে কম কিছু নয় (Rahul Gandhi)।”

  • Donald Trump: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-চাপ’, ভারতের অর্থনীতিতে এর কতটা প্রভাব পড়বে?

    Donald Trump: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-চাপ’, ভারতের অর্থনীতিতে এর কতটা প্রভাব পড়বে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের (Indian Goods) ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারতকে চাপে রাখতে চেয়েছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে তাতে যে ভারতের খুব একটা বড়সড় সমস্যা হবে না, তা জানিয়ে দিল সরকারি বিভিন্ন সূত্র। তাদের বক্তব্য, দেশের অর্থনীতির ওপর এর ‘অত্যন্ত সামান্য’ প্রভাব পড়বে। সূত্রের খবর, জিডিপিতে এর প্রভাব ০.২ শতাংশের বেশি হবে না।

    অর্থনীতিবিদের বক্তব্য (Donald Trump)

    উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে ভারতীয় এক অর্থনীতিবিদও বলেছিলেন, জিডিপি হয়তো ০.৩ শতাংশ পর্যন্ত স্লো হবে। ওই সূত্র এও জানিয়ে দিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে সরকার দামের দিক থেকে সংবেদনশীল কৃষি ও দুগ্ধ বাজার খুলে দেবে না। গোমাংস বা ‘নন-ভেজ মিল্ক’ (অর্থাৎ যেসব গরুকে পশু-ভিত্তিক খাবার যেমন হাড়গুঁড়া খাওয়ানো হয়, সেই গরুর দুধ) আমদানি করার অনুমতিও দেবে না। এগুলো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে। সরকার জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় পদক্ষেপ করবে এবং কৃষক, উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গোষ্ঠীর কল্যাণেও দায়বদ্ধ থাকবে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সরকার কৃষকদের স্বার্থে কোনও আপস করবে না। আর তাই জিএম ফসল আমদানি করার অনুমতিও দেয়নি।

    কী চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

    প্রসঙ্গত, ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে এমন একটা সময়ে যখন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা স্থগিত হয়ে রয়েছে। এই আলোচনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় তাদের কৃষক ও দুগ্ধ উৎপাদকরা যেন ভারতে পণ্য বিক্রি করতে পারে। ভারত বারবার বলেছে, এই বাজার খুলে দেওয়া সম্ভব নয়। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলি ভারতের জিডিপিতে ২০ শতাংশেরও কম অবদান রাখে। তবে দেশের ১৪৪ কোটির প্রায় অর্ধেক জনগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই খাতে নিয়োজিত (Donald Trump)।

    কী বলেছিলেন ট্রাম্প

    এটি এত বড় ভোট ব্যাংক যে, কোনও সরকারই তাদের বিরুদ্ধাচরণ করার ঝুঁকি নিতে পারে না। এই বাস্তব বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে ২০২১ সালে যখন তীব্র প্রতিবাদের মুখে বিজেপি সরকারকে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়। এই বিষয়ে মতপার্থক্য ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ করেছে বলে খবর। ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্রাম্প সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, “ভারত আমাদের ভালো বন্ধু। কিন্তু ওরা প্রায় সব দেশের চেয়ে বেশি শুল্ক ধার্য করেছে। এটা আর চলতে পারে না (Indian Goods)।”

    ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার আমেরিকা

    সামগ্রিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার, এবং গত চার বছর ধরেই এমনটি রয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৩২ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রফতানি ১১.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮৬.৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছিল। তার আগের বছরে (২০২২-২৩) এর পরিমাণ ছিল ৭৭.৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এদিকে, আমদানি বেড়ে হয়েছে ৪৫.৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ছিল ৪২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (Donald Trump)।

    দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা

    সূত্রের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা সঠিক পথেই রয়েছে এবং ইতিবাচকভাবেই এগোচ্ছে। এই আলোচনার সূচনা হয়েছিল গত বছরের নভেম্বর মাসে। এই আলোচনাই এখনও চলছে। ওই সূত্রেরই খবর, চূড়ান্ত চুক্তির পর ২৫ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা পুনর্বিবেচনা ও তা কমানোর বিষয়ে আলোচনা হবে। গত সপ্তাহে ভারতের একটি সংবাদ সংস্থাকে জানানো হয়, ভারত একটি অন্তর্বর্তী চুক্তি চূড়ান্ত করার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই চুক্তি সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে ঘোষণা করা হতে পারে। এর আগে অনুমান করা হয়েছিল, ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার (আগামী ৭ আগস্ট) আগেই বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। কিন্তু এখনই সেটি সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না (Donald Trump)।

    জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই আলোচনার জন্য ভারত সফরে আসতে পারেন মার্কিন কর্তারা। তাই দিল্লি তার আস্তিনে রেখে দিয়েছে তুরুপের তাসটি। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটন সফরের পর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, উভয় পক্ষ ভারতে অপরিশোধিত তেল, পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের শীর্ষস্থানীয় (Indian Goods) সরবরাহকারী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য মার্কিন বাণিজ্য চুক্তিতে জ্বালানি কেনার বিষয়টি স্থান পেয়েছে। তাই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দর কষাকষি হতে পারে (Donald Trump)।

  • Ramakrishna 428: তিনি শুদ্ধ বুদ্ধির গোচর, তিনি শুদ্ধ বুদ্ধির শুদ্ধ আত্মা

    Ramakrishna 428: তিনি শুদ্ধ বুদ্ধির গোচর, তিনি শুদ্ধ বুদ্ধির শুদ্ধ আত্মা

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি), “একটু ইংরেজিতে দু’জনে বিচার করো, আমি দেখব।”

    বিচার আরম্ভ হল। ইংরেজিতে তেমন হল না, বাংলা ভাষাতেই আলোচনা চলল—মাঝে মাঝে দু’একটা ইংরেজি শব্দ। নরেন্দ্র বললেন, “ঈশ্বর অনন্ত। তাঁকে সম্পূর্ণরূপে ধারণ করা আমাদের সাধ্য নয়। তিনি সকলের মধ্যেই আছেন, কেবল একজনের মধ্যে নন।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ সস্নেহে বললেন, “ওর যা মত—আমারও তাই মত। তিনি সর্বত্রই আছেন। তবে একটা কথা আছে—শক্তির বিশেষ প্রকাশ। কোথাও অবিদ্যা-শক্তির প্রকাশ, কোথাও বিদ্যা-শক্তির। কোনও আঁধারে শক্তি বেশি, কোনও আঁধারে শক্তি কম। তাই সব মানুষ সমান নয়।”

    রাম- এসব মিছে তর্কে কী হবে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ- না না, ওর একটা মানে আছে।

    গিরিশ (নরেন্দ্রর প্রতি): তুমি কেমন করে জানলে, তিনি (ঈশ্বর) দেহ ধারণ করে আসেন না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ: না, তিনি শুদ্ধ বুদ্ধির গোচর। তিনি শুদ্ধ বুদ্ধির শুদ্ধ আত্মা। যাঁরা শুদ্ধ আত্মা, তাঁরা তাঁকেই সাক্ষাৎ করেন।

    গিরিশ: কিন্তু মানুষের অবতার না হলে কে মানুষকে বুঝিয়ে দেবে? মানুষকে জ্ঞান, ভক্তি দেবার জন্যই তো তিনি দেহ ধারণ করেন। না হলে কে শিক্ষা দেবে?

    নরেন্দ্র- হ্যাঁ, তিনি অন্তর থেকে বুঝিয়ে দেবেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- হ্যাঁ হ্যাঁ, অন্তর্যামী রূপে তিনি বুঝিয়ে দেন।

    তারপর শুরু হলো ঘোর তর্ক। “ইনফিনিটি”-এর কী অংশ হয়? হ্যামিল্টন কী বলেন, হার্বার্ট স্পেনসার কী বলেন, টিন্ডেল, হাক্সলে, বাকিরা কী বলেছেন—এই সব নিয়ে আলোচনা চলতে লাগল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি): দেখো, এগুলো আমার ভালো লাগছে না। আমি সব কিছু দেখছি, বিচার করছি—আর করব কী? দেখছি, তিনিই সব। তিনিই সব হয়েছেন।

    “তাও বটে… আবার তাও বটে।”
    এক অবস্থায় মন, বুদ্ধি—সব লীন হয়ে যায়, অখণ্ডে বিলীন হয়।
    নরেন্দ্রকে দেখে আমার মনও সেই অখণ্ডে লীন হয়ে যায়।

  • Digital Fraud: সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ভারত খুইয়েছে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা!

    Digital Fraud: সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ভারত খুইয়েছে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর সাইবার প্রতারকদের (Digital Fraud) খপ্পরে পড়ে ভারত খুইয়েছে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা। সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দিল্লিভিত্তিক মিডিয়া ও প্রযুক্তি সংস্থা ডেটালিডস। সেখানেই দেশে ব্যাপক ডিজিটাল আর্থিক প্রতারণা (Cybercriminals) নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য। ভারতের কেন্দ্রীয় সাইবার অপরাধ সমন্বয় কেন্দ্রের অনুমান, চলতি বছরে এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ভারতীয়রা খোয়াবেন ১.২ লাখ কোটিরও বেশি টাকা।

    ডেটালিডসের প্রতিবেদন (Digital Fraud)

    ‘কনট্যুরস অফ সাইবারক্রাইম: পার্সিস্টেন্ট অ্যান্ড এমার্জিং রিস্ক অফ অনলাইন ফিনান্সিয়াল ফ্রডস অ্যান্ড ডিপফেকস ইন ইন্ডিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ডেটালিডস জানিয়েছে, ডিজিটাল প্রতারকরা ২০২৪ সালে যে পরিমাণ টাকা চুরি করেছে, তা ২০২৩ সালের ৭,৪৬৫ কোটিরও তিনগুণ বেশি। ২০২২ সালে প্রতারকরা লুটেছিল ২,৩০৬ কোটিরও বেশি টাকা। সে বারের চেয়ে ২০২৪ সালে তারা লুট করে নিয়েছে প্রায় দশগুণ কোটি টাকা। প্রতারণার পাশাপাশি বেড়েছে সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যাও। ২০২৪ সালে প্রায় ২০ লক্ষ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৫.৬ লাখ বেশি এবং ২০১৯ সালের তুলনায় দশ গুণ বেশি। সাইবার অপরাধের অভিযোগ ও আর্থিক ক্ষতির এই লাফ যে বাস্তব ছবিটা তুলে ধরে, তা হল ভারতের ডিজিটাল অপরাধীরা ক্রমেই আরও বেশি স্মার্ট এবং দক্ষ হয়ে উঠছে। একটি দেশে যেখানে প্রায় ২৯০ লাখ মানুষ বেকার, সেখানে এই অপরাধীদের সংখ্যার লেখচিত্র ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী।

    প্রশ্ন যেখানে

    প্রশ্ন হল, গত তিন বছরে এই সংখ্যাগুলি এত বেড়ে গেল কেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর প্রধান কারণ হল ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার ব্যবহার বাড়তে থাকা। স্মার্টফোন-নির্ভর পরিষেবা যেমন পেটিএম এবং ফোন-পে এবং আর্থিক তথ্য অনলাইনে শেয়ার ও প্রক্রিয়াকরণের প্রবণতা বেড়ে যাওয়া। এই কাজগুলি সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মতো মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হয়, যেগুলিকে অনেকেই নিরাপদ ও এনক্রিপটেড মনে করেন। ফেডারেল তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন মাসেই ১৯০ লাখেরও বেশি ইউপিআই (ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস) লেনদেন হয়েছে, যার মোট মূল্য ২৪.০৩ লাখ কোটি টাকা। আসলে ডিজিটাল পেমেন্টের মোট মূল্য ২০১৩ সালে প্রায় ১৬২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দাঁড়িয়েছে ১৮,১২০.৮২ কোটি টাকায়। বিশ্বব্যাপী এই ধরনের পেমেন্টের প্রায় অর্ধেকই এখন ভারতেই হয় (Digital Fraud)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই (Cybercriminals) বৃদ্ধির বেশিরভাগ অংশই অতিমারি ও তৎপরবর্তী কালে লকডাউনের কারণে হয়েছে। কোভিডের সময় সরকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মুদ্রার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানো রোধে পেটিএমের মতো ইউপিআই অ্যাপ ব্যবহারে উৎসাহিত করেছিল। সরকার এও বলেছিল, ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার প্রসার গ্রামীণ এলাকা-সহ আর্থিক পরিষেবাগুলির ব্যাপকতর প্রবেশ নিশ্চিত করবে। ২০১৯ সালের মধ্যেই ভারতে ৪৪ কোটি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ছিল এবং ডেটার দাম ছিল বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা — ১ জিবির দাম ছিল প্রায় ২০০ টাকা বা তিন ডলারেরও কম।

    ডিজিটাল লেনদেন

    এর ফলে ছোট শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষরাও সহজেই ফোনে আর্থিক পরিষেবাগুলি ব্যবহার করতে পেরেছেন। তবে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা যতই বেড়েছে, ততই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাইবার অপরাধী ও প্রতারক গোষ্ঠীর সংখ্যা। যারা প্রতারণার কৌশল শিখে তা নিখুঁত করে আরও বিস্তৃত পরিসরে ‘কারবার’ চালিয়ে যাচ্ছে। আজকের দিনে ভারতে অনলাইন আর্থিক প্রতারণা পুরো সেক্টরকে লক্ষ্য করছে – ব্যাংকিং থেকে শুরু করে বিমা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে খুচরো ব্যবসা পর্যন্ত বহুস্তরীয় জালিয়াতির মাধ্যমে, যাতে জটিল কাজের ধারা থাকে এবং প্রতারকদের শনাক্তকরণ এড়ানো যায় (Cybercriminals)। আধুনিক ডিজিটাল প্রতারকরা এখন প্রযুক্তির সঙ্গেও ভালোভাবে পরিচিত। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই তাদের করায়ত্ত। আজকাল মানুষের আস্থা অর্জন করতে সেলিব্রিটি বা ব্যবসায়িক নেতাদের মুখের মতো দেখতে ডিপফেক ভিডিও বানিয়ে ব্যবহারও করছে। তারপরেই চলছে প্রতারণার ‘বেওসা’। কীভাবে হয় প্রতারণা (Digital Fraud)?

    ফিশিং মেসেজ: এসএমএস বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো বার্তা, যেখানে বলা হয় আপনি কোনও ‘পুরস্কার জিতেছেন’ বা আমাজন এবং ফ্লিপকার্টের মতো পরিচিত ই-কমার্স সাইট থেকে ‘রিফান্ড’ পাবেন। এসব বার্তায় প্রতারিত হন মানুষ।

    ভুয়ো পণ্যের তালিকা: জনপ্রিয় জিনিসপত্র অনলাইনে খুবই কম দামে তালিকাভুক্ত করা হয়। ক্রেতা অগ্রিম টাকা দেন। তারপরেই হাওয়া হয়ে যান বিক্রেতা (Cybercriminals)।

    পেমেন্ট কনফার্মেশন প্রতারণা: প্রতারকরা ভুয়ো বার্তা বা ইমেইল পাঠায়, যাতে ‘পেমেন্ট যাচাই’য়ের অনুরোধ থাকে। এই লিংকে ক্লিক করলে আপনার ফোন থেকে আর্থিক তথ্য চুরি হতে পারে অথবা ম্যালওয়্যার ইনস্টল হয়ে যেতে পারে (Digital Fraud)।

    প্রতারকরা কোথায় আঘাত হানে? প্রতারকরা সব চেয়ে বেশি আঘাত হানে হোয়াটসঅ্যাপে। ১৪সি-এর তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেই হোয়াটসঅ্যাপে ১৫,০০০-এর বেশি অর্থনৈতিক সাইবার অপরাধের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে দায়ের হয়েছে ১৪,০০০ এবং মার্চে আরও ১৫,০০০ অভিযোগ (Digital Fraud)।

  • Indus Waters Treaty: পাক আপত্তি উড়িয়ে চন্দ্রভাগা নদীর ওপর জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে টেন্ডার ডাকল ভারত

    Indus Waters Treaty: পাক আপত্তি উড়িয়ে চন্দ্রভাগা নদীর ওপর জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে টেন্ডার ডাকল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে হাতের পাশাপাশি পাকিস্তানকে (Pakistan) ভাতেও (Indus Waters Treaty) মারতে উদ্যোগী হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। পাকিস্তান হাতে-পায়ে ধরায় আপাতত চলছে যুদ্ধবিরতি। তবে পাক প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফের দেশকে ভাতে মারতে আরও একধাপ এগোল নয়াদিল্লি। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে যে প্রকল্প, শেষমেশ সেই প্রকল্পই শুরুর উদ্যোগ নিল ভারত। জম্মু-কাশ্মীরের চন্দ্রভাগা নদীর ওপর সাওয়ালকোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের জন্য ডাকা হল টেন্ডার।

    পাক আপত্তি উড়িয়েই হবে প্রকল্প (Indus Waters Treaty)

    এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছিল আটের দশকে। তার পর থেকে বার বার আপত্তি জানিয়ে এসেছে পাকিস্তান। এতদিন পর এবার তাদের আপত্তি উড়িয়ে দিয়েই শুরু হচ্ছে প্রকল্পের কাজ। ন্যাশনাল হাইড্রোলিক্টক পাওয়ার কর্পোরেশন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক বিডিংয়ের ভিত্তিতে সাওয়ালকোট প্রকল্পের টেন্ডার ডাকা হয়েছে। টেন্ডার জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর। কাজ শুরু হচ্ছে এনএইচপিসি এবং জম্মু-কাশ্মীর পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে। সাওয়ালকোট ভারতের সবচেয়ে বড় রান-অফ-দ্য-রিভার জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। একে দেখা হচ্ছে সিন্ধু অববাহিকার জলস্রোত ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে, বিশেষত যখন স্থগিত রয়েছে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি।

    সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি

    বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি। এই চুক্তির মাধ্যমে সিন্ধু ও তার পাঁচটি উপনদীর জল বণ্টিত হয়ে থাকে দুই দেশের মধ্যে। সিন্ধু, চন্দ্রভাগা এবং বিতস্তা – এই তিন পশ্চিমমুখী নদী পাকিস্তানের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে। সেই দেশের ৮০ শতাংশ কৃষি এই তিন নদীর ওপর নির্ভরশীল। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। অভিযোগ, ঘটনার নেপথ্যে ছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী। তারাই এই হত্যালীলা চালিয়েছিল। ওই ঘটনার পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে হামলা চালায় ভারত। শুরু হয় দুই পড়শি দেশের সংঘাত। তার আগেই অবশ্য ভারত বাতিল করে দিয়েছিল সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি। এখনও সেই সিদ্ধান্তই বহাল রয়েছে। তাই চুক্তির শর্ত মেনে চন্দ্রভাগার ওপরে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য পাকিস্তানের সম্মতির আর প্রয়োজন নেই। সাওয়ালকোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে সেই সম্মতি ছাড়াই কাজ শুরু (Pakistan) করতে চলেছে ভারত।

    ডিপিআর জমা দেওয়া হয় ২০১৮ সালে

    সাওয়ালকোট প্রকল্পটি জম্মু-কাশ্মীরের রামবান ও উধমপুর জেলাজুড়ে (Indus Waters Treaty) বিস্তৃত। জম্মু থেকে ওই এলাকার দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার, আর শ্রীনগর থেকে ১৩০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। এই প্রকল্পের কথা ভাবা হয়েছিল সেই ১৯৬০ সালে। তবে ডিপিআর জমা দেওয়া হয় ২০১৮ সালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায়। সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার পর এখন এই প্রকল্পের কাজই দ্রুত শেষ করতে চাইছে নয়াদিল্লি। চন্দ্রভাগা নদীর ওপর যে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হতে চলেছে, তা থেকে মেলার কথা ১ হাজার ৮৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এটিই হবে কাশ্মীরের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে জম্মু ও কাশ্মীরের বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই মিটবে বলে আশা ভূস্বর্গ প্রশাসনের। ভারত চন্দ্রভাগার ওপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করলে বিপাকে পড়বে পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই তারা এ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে (Pakistan)। তাদের বক্তব্য, ভারতের এই পদক্ষেপের জেরে প্রভাবিত হবে চন্দ্রভাগার জলপ্রবাহ।

    কাজ হবে দু’টি ধাপে

    জানা গিয়েছে, চন্দ্রভাগার ওপর ভারতের এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ হওয়ার কথা দু’টি ধাপে। কারণ প্রক্রিয়াগত নানা অসুবিধার কারণে বার বার পিছিয়ে গিয়েছে এই প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পে খরচ হওয়ার কথা ২২ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা (Indus Waters Treaty)। সাওয়ালকোট প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে চন্দ্রভাগার তীরের একাধিক গ্রাম। সেই সব গ্রামের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং তাঁদের অন্যত্র থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়াও প্রকল্পের অংশ।

    কী বলছেন ওমর আবদুল্লা

    জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা রয়েছেন বিদ্যুৎ দফতরের দায়িত্বেও। এই প্রকল্প শুরুর উদ্যোগকে তিনি বহু প্রতীক্ষিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন (Indus Waters Treaty)। রামবানের বিধায়ক অর্জুন সিং রাজু বলেন, “এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে জম্মু-কাশ্মীরের পাশাপাশি উপকৃত হবে পুরো দেশ (Pakistan)।” প্রসঙ্গত, সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করা নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে পাকিস্তান। তাদের বক্তব্য, এই জলের ওপর নির্ভরশীল পাকিস্তানের বহু মানুষ। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছে তারা (Indus Waters Treaty)।

LinkedIn
Share