Tag: Bengali news

Bengali news

  • Enforcement Directorate: সন্দেশখালিতে তিন বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুনে অভিযুক্ত ছিল এই শাহজাহান

    Enforcement Directorate: সন্দেশখালিতে তিন বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুনে অভিযুক্ত ছিল এই শাহজাহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাটের সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। তাঁর ডেরায় ইডি (Enforcement Directorate) হানা দিতেই আক্রান্ত হন আধিকারিকরা। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা হতেই রাজ্য জুড়ে খবরের শিরোনামে উঠে আসে এই তৃণমূল নেতা। এর আগেও নিজের দাপট দেখিয়েছে গুণধর এই তৃণমূল নেতা। পাঁচ বছর আগে তিন বিজেপি নেতা খুন হন সন্দেশখালির ন্যাজাটে। এই খুনের নেপথ্যের নায়ক ছিলেন এই শাহজাহান।

    রোহিঙ্গাদের দিয়ে বিজেপি নেতাদের নৃশংশভাবে খুন করা হয়েছিল! (Sandeshkhali)

    ২০১৯ সালে রাজ্যে ১৮টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। সেই সময় রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা চাঙা। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বহু এলাকার পাশাপাশি ন্যাজাটেও বিজেপি কর্মীরা প্রচুর দলীয় পতাকা লাগিয়ে রেখেছিলেন। ২০১৯ সালে ৮ জুন বিকেলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শাহজানের নেতৃত্বে বৈঠক হয়। বৈঠকের পরই তৃণমূল ন্যাজাট এলাকায় মিছিল বের করে। তারপরই বিজেপি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা চালানো হয়। দলীয় পতাকা খুলে ফেলা হয়। লোকসভা ভোটে এলাকায় সক্রিয়ভাবে যাঁরা বিজেপি-র হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করে গুলি করে খুন করা হয়। মৃতদের নাম সুকান্ত মণ্ডল, তপন মণ্ডল এবং প্রদীপ মণ্ডল। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন বিজেপি স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি এবং অন্য দুজন ‘শক্তি প্রমুখ’। রোহিঙ্গাদের এই দেশে আশ্রয় দেওয়ার মূল কারিগর এই শাহজাহান। চোখ উপড়ে যে কায়দায় নৃশংসভাবে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হয়েছিল, তার পিছনে রোহিঙ্গারা রয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছিলেন।

    পুলিশ অভিযোগ নিতে টালবাহানা করেছিল!

    তিন বিজেপি কর্মী খুন হওয়ার পর পরিবারের লোকজন শাহজাহানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। এমনিতেই সেই সময় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান ছিলেন শাহজাহান। ফলে, পুলিশও তাঁকে ঘাঁটাতে সাহস পায়নি।  পরে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টি করা হয়। বিজেপি প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এই বিষয় নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। অনেক টালবাহানার পর শাহজাহানের নামে থানায় এফআইআর হয়েছিল। এহেন পরিস্থিতিতে বেশ কিছুদিনের জন্য গা ঢাকা দিয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। কিছুদিন পরই তাঁকে ফের রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা যায়। এর পরই আদালত জামিন নেন শাহজাহান। তৃণমূলের মন্ত্রী ও পুলিশের একাংশের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা থাকায় বিজেপি কর্মীদের খুন করার পর এলাকায় দাপটের সঙ্গে তিনি ঘুরে বেড়াতেন। এবারও ইডি-র উপর তাঁর বাহিনী হামলা চালিয়ে নিজের দাপট যে একটুও হারিয়ে যায়নি তা আবারও বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের এই কুখ্যাত নেতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সাহয্যের হাত বাড়ালেন সুকান্ত মজুমদার, কলকাতায় চিকিৎসা পেলেন বৃদ্ধা

    Sukanta Majumdar: সাহয্যের হাত বাড়ালেন সুকান্ত মজুমদার, কলকাতায় চিকিৎসা পেলেন বৃদ্ধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) প্রচেষ্টায় বিনামূল্যের চিকিৎসা পেলো এক বৃদ্ধা। জানা গিয়েছে, বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূষিলা এলাকার গুজুরি পাহান নামে এক বৃদ্ধা রাস্তায় পড়ে গিয়ে তাঁর পা ভেঙে যায়। তাঁকে বালুরঘাট হাসপাতাল থেকে রেফার করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিছানায় শয্যাশায় অবস্থায় রয়েছেন। পরিবারের লোকেদের বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করার সামর্থ্য না থাকায় তাঁরা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কাছে দ্বারস্থ হন। সুকান্ত মজুমদার তাঁর নিজের তহবিল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স ব্যবস্থা করে কলকাতায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করান। এই সাহয্যে খুশি পরিবারের সদস্যরা।

    চিকিৎসা পেয়ে বৃদ্ধার বক্তব্য (Sukanta Majumdar)

    সাহায্য পেয়ে এবিষয়ে বৃদ্ধা গুজরি পাহান বলেন, “টাকার জন্য চিকিৎসা করাতে পারিনি। দেড় মাস ধরে বিছানাগত। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আমাকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাচ্ছেন। এবার হয়তো আমার চিকিৎসা সম্ভব হবে। আমি আমার নিজের পায়ে হাঁটাচলা করতে চাই।”

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    এই বিষয়ে এক এলাকবাসী জানান, বৃদ্ধা বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ হয়ে বিছানায় ছিলেন। তাঁর চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারছিলেন না পরিবারের লোকেরা। তাঁরা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কাছে চিকিৎসার আবেদন করেছিলেন। এদিন সাংসদের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হল। আমরা এই বিষয়ে সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে কুর্নিস জানাই। তিনি সবসময় মানুষের পাশে আছেন।

    কী বললেন সুকান্ত

    এবিষয়ে বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “ওই মহিলার দুরাবস্থার কথা জানতে পেরে আমি তাঁর চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থা করেছি। তাঁকে বালুরঘাট থেকে অ্যাম্বুল্যান্স করে নিয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগামী দিনেও তাঁর পাশে সর্বদা রয়েছি।”

    এবিষয়ে বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শুভ চক্রবর্তী বলেন, “গতকাল রাতে অসহায় ওই বৃদ্ধাকে আমরা অ্যাম্বুল্যান্স করে কলকাতায় পাঠিয়েছি। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন সাংসদ নিজে। হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়ালেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shankar Adhya: ফুটপাত ব্যবসায়ী থেকে কোটিপতি! বালুর ঘনিষ্ঠ হতেই শঙ্করের উত্থান তৃণমূলে

    Shankar Adhya: ফুটপাত ব্যবসায়ী থেকে কোটিপতি! বালুর ঘনিষ্ঠ হতেই শঙ্করের উত্থান তৃণমূলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির মামলায় বালু ঘনিষ্ঠ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান  শঙ্কর আঢ্যকে (Shankar Adhya) ইডি গ্রেফতার করেছে। তাঁর বাড়ি থেকে প্রচুর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কে এই শঙ্কর? দাপুটে তৃণমূল নেতা হলেও আগে তিনি কী করতেন? কীভাবে হয়ে উঠলেন দাপুটে তৃণমূল নেতা।

    ফুটপাত ব্যবসায়ী থেকে কোটিপতি! (Shankar Adhya)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শঙ্কর আঢ্যর (Shankar Adhya) বাবা হারাধন আঢ্য একসময় ফুটপাতে কাটাকাপড়ের ব্যবসা করতেন। কোনও রকমে সংসার চলত। ফুটপাতের ওই দোকানে বাবাকে সাহায্য করতেন শঙ্কর। পরে,বনগাঁ পেট্রাপোলে একটি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় দোকানে কাজ শুরু করেন। ধীরে ধীরে নিজের নামে লাইসেন্স করে নিজেই বিদেশি মুদ্রা বিনিময় করতেন। ধীরে ধীরে ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকেন শঙ্কর। এরপর বনগাঁ-শিমুলতলা চত্বরে বিদেশি মদের দোকান খোলেন। কোটি টাকার মালিক হয়ে ওঠেন।

    কাউন্সিলর খুনে অভিযুক্ত ছিলেন শঙ্কর

    ২০০৫ সালের প্রথম দিকে জালটাকা কারবারের অভিযোগে ডিআরআই তাঁর অফিসে হানা দেয়। উদ্ধার হয় প্রচুর জাল টাকা। সেই অভিযোগে বেশ কয়েকমাস জেলেও ছিলেন তিনি। ২০০৫ সালে বনগাঁর প্রয়াত বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ শেঠের উদ্যোগে শঙ্কর প্রথম পুরসভার ভোটে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেন। ২০০৬ সালে বনগাঁ-চাকদা রোড সংস্কারের কাজ শুরু হয়। সেই সময় চাকদা রোডের পাশে প্রচুর প্রাচীন গাছ বেনামে বিক্রি হয়। সেই গাছের টাকা ও বনগাঁ পুরসভার টাকা লেনদেন নিয়ে শঙ্করের (Shankar Adhya) সঙ্গে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের বিবাদ শুরু হয়। ২০০৬ সালে ২১ জুন বনগাঁ পুরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর-সহ তাঁদের পরিবার পুরীতে বেড়াতে যান। ২২ জুন সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে খুন হয় বনগাঁর কাউন্সিলর তাপস মিত্র। সেই খুনের দুই অভিযুক্ত ছিলেন শঙ্কর আঢ্য আর বনগাঁর বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর নারায়ণ ঘোষ ওরফে নান্ত। সেই সময় প্রায় তিন বছর পুরীর জেলে ছিলেন দুই অভিযুক্ত।

    জ্যোতিপ্রিয় মাথায় হাত রাখতেই পুরপ্রধান হন শঙ্কর!

    ২০১০ সালে নিজের ওয়ার্ডটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় তিনি ভোটে না দাঁড়িয়ে প্রার্থী করেছিলেন স্ত্রী জ্যোৎস্নাকে। ভোটে জিতে জ্যোৎস্না পুরপ্রধান হন। রাজনৈতিক পদোন্নতি ও সামাজিক প্রভাব বাড়তে শুরু করেছিল ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই। সেসময় থেকেই জ্যোতিপ্রিয়বাবুর সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে উঠতে থাকে। ২০১৫ সালে পুর নির্বাচনে বনগাঁর ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতে তৃণমূল জয়লাভ করে। ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান হন শঙ্কর। জ্যোতিপ্রিয়র কথায়, বনগাঁর চেয়ারম্যান হন তিনি। পরবর্তী সময়ে তাঁকে বনগাঁ শহর তৃণমূলের সভাপতি করা হয়, বাগদায় দলের পর্যবেক্ষকও করা হয়েছিল। এছাড়াও দলের একাধিক পদ সামলেছেন শঙ্কর (Shankar Adhya)।

    শঙ্করের বিরুদ্ধে দলেই বিদ্রোহ শুরু হয়ছিল

    ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ পুরসভা এলাকায় বিজেপির থেকে ভোটের নিরিখে প্রায় ১৮ হাজার ভোটে পিছিয়ে যায় তৃণমূল। এরপরেই বনগাঁ পুরসভার ১৪ জন কাউন্সিলর শঙ্করের (Shankar Adhya) বিরুদ্ধে স্বৈরাচার ও স্বজনপোষণের অভিযোগ এনে অনাস্থা এনেছিল। বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূল জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে শঙ্করকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। পরে, কয়েকজন কাউন্সিলর তৃণমূলে ফিরে আসায় ধ্বনিভোটে জয়লাভ করেন শঙ্কর। সম্প্রতি শঙ্কর জানিয়েছিলেন, জ্যোতিপ্রিয়র কথায় অনেক অনৈতিক কাজ করে বনগাঁর মানুষের মন থেকে দূরে সরে গিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে বনগাঁয় তৃণমূলের পরাজয়ের পরে শঙ্করকে সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দলে কিছুটা কোণঠাসা ছিলেন!

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: তৃণমূলের মদতেই রমরমিয়ে চলছে মাটি-বালি পাচার! আটকালেন বিজেপি বিধায়ক

    Arambagh: তৃণমূলের মদতেই রমরমিয়ে চলছে মাটি-বালি পাচার! আটকালেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদী সংস্কারের নামে কোটি কোটি টাকার বালি ও মাটি তুলে তা রাতের অন্ধকারে পাচার করে দেওয়ার অভিযোগ। আরও অভিযোগ, প্রশাসনের একাংশ এবং তৃণমূলের মদতেই চলছে এই সব বেআইনি কারবার। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) হুগলির খানাকুলের হরিশচক এলাকায়।

    রাতের অন্ধকারে পাচার হয়ে যাচ্ছে বালি ও মাটি (Arambagh)

    জানা গিয়েছে, আরামবাগের (Arambagh) মুন্ডেশ্বরী নদীতে বাঁধ সংস্কারের জন্য নদী খননের কাজ শুরু করে সেচ দফতর। সেই মতো টেন্ডার দেওয়া হয় একটি বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থাকে। অভিযোগ, ওই বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা বাঁধ সংস্কার ও নদী খননের নাম করে নদী থেকে বালি তুলে তা পাচার করে দিচ্ছে। দিনের আলোয় মাটি, বালি মজুত করা হচ্ছে নদী বাঁধের পাশে। আর রাতের অন্ধকারে তা ডাম্পারে ও ট্রাক্টর ,লরি করে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    তৃণমূলের মদতেই পাচার, সরব বিজেপি বিধায়ক

    আর্থ মুভার দিয়ে কখনও রাতের অন্ধকারে আবার কখনও প্রকাশ্য দিবালোকে নদী থেকে কোটি কোটি টাকার বালি ও মাটি তোলার পর তা গোপনে অন্যত্র পাচার হয়ে যাচ্ছে, এবার এমনই অভিযোগ তুলে সরব হন খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। আটকে দেওয়া হয় বালি বোঝাই ট্রাক্টর ও লরি। ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিধায়ক সহ বিজেপি কর্মী সমর্থক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের অভিযোগ, নিয়ম মানা হচ্ছে না এই ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে। বালি দিয়ে বাঁধ মেরামত হচ্ছে না। তাহলে ট্রাক্টরের পর ট্রাক্টর ও লরি লরি বালি যাচ্ছে কোথায়? লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এই বালি। প্রশাসনের সমস্ত স্তরে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কোনও সঠিক উত্তর মেলেনি। আসলে প্রশাসনের একাংশ ও তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মদতেই এসব হয়েছে।

    ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গাড়ি ও মেশিনের আওয়াজে রাতে ঘুমোতে পারা যায় না। তবে, এলাকার সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, যদি বৈধ কোনও কাজই হয় তাহলে তা দিনের আলোয় হয় না কেন? রাতের অন্ধকারে সাধারণ মানুষের অসুবিধা করে কেন বালি তোলার কাজ হবে?

    মহকুমা শাসক কী বললেন?

    আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা শাসক সুভাষিনী বলেন, নদী বাঁধের কাজের জন্য কয়েক জায়গায় খননের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নদী থেকে তোলা ওই বালি বিক্রি হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: অনুব্রতের খাসতালুকে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে উধাও! জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য

    Birbhum: অনুব্রতের খাসতালুকে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে উধাও! জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৩২ কিলোমিটার সেচ খাল সংস্কারের নামে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে সাফ করে দেওয়ার অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক বীরভূমের (Birbhum) বোলপুরে। বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই সেচ খালের দুদিকে হাজার হাজার বড় বড় গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ। সরকারের কোন দফতর বিপুল পরিমাণে গাছ কাটল? কোন খাতে গেল সেই টাকা? তার কোন সদূত্তর নেই। শাসক দলের নেতাদের মদতেই এই দুর্নীতি হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। ঘটনার তদন্তের দাবি করা হয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন? (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর থেকে কীর্ণাহার যাওয়ার রাস্তার ধারে প্রায় ৩২ কিলোমিটার একটি সেচ খাল রয়েছে। কমপক্ষে ৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে সেচ খালটি। অর্থাৎ, এই খাল থেকে কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত সহ বিপ্রটিকুরি, কীর্ণাহার ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত, দাসকলগ্রাম ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ চাষের জল পেয়ে উপকৃত হন। এই খাল সংস্কার শুরু হয়েছে। আর দেখা যাচ্ছে সেচ খাল সংস্কার করতে গিয়ে দুদিকে থাকা হাজার হাজার গাছ কেটে সাফ করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে চলছে অপ্রয়োজনীয় ভাবে বৃক্ষ নিধন যজ্ঞ। বন দফরের কাছ থেকে কোনওরূপ অনুমতি না নিয়েই কীভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে ফেলা হল? সরকারের কোনও দফতর এই গাছগুলি কাটল? তা এখনও কেউ কিছু বলতে পারছে না। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পথ চলতি মানুষজন জানাচ্ছেন, সেচ খালের দুদিকেই প্রচুর গাছ ছিল। ছোট-বড় গাছের জঙ্গল ছিল। সব কেটে সাফ করে দেওয়া হয়েছে। আর এই বিপুল পরিমাণে গাছ কেটে নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ স্থানীয়দের। তাঁরা বলেন, ‘চোখের সামনে প্রচুর কাছ কেটে নেওয়া হল। এত গাছ কাটার দরকার ছিল না।’

    বন বিভাগের আধিকারিক কী বললেন?

    বন বিভাগের বোলপুর রেঞ্জের রেঞ্জার প্রদীপ হালদার বলেন, ‘গাছ কেটে নেওয়ার কোনও তথ্য আমরা পাইনি। এখন শুনলাম গুঁড়ি পরে আছে শুধু। আমাদের কাছে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: “গোয়া নয়, মানুষজন ঘুরতে আসছেন অযোধ্যায়”, উচ্ছ্বসিত রামনগরীর হোটেল ব্যবসায়ী

    Ram Mandir: “গোয়া নয়, মানুষজন ঘুরতে আসছেন অযোধ্যায়”, উচ্ছ্বসিত রামনগরীর হোটেল ব্যবসায়ী

    রামনগরী অযোধ্যা-চার

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: বড়দিনের দুপুর নাগাদ পা পড়ল অযোধ্যায় (Ram Mandir)। তবে কলকাতার মতো বড়দিন ঘিরে কোনও অনুষ্ঠানই নজরে পড়ল না। রাস্তার দোকানগুলিতে নেই সান্তার টুপিও। বদলে হনুমানের গদা, জয় শ্রীরাম লেখা পতাকা বিক্রি হচ্ছে। রাম মন্দির থেকে সরযূ নদী পর্যন্ত রাস্তার নাম রামপথ। আগে সংকীর্ণ রাস্তা থাকলেও বর্তমানে তা বেশ চওড়া করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। রামপথের পাশেই নজরে পড়ল বিরাট পার্ক। শিশুদের খেলাধূলা ও বড়দের শরীরচর্চার জন্য নির্মিত ওই পার্কের গেট থেকে দেওয়াল, ভিতরে বসার জায়গাতেও রয়েছে সনাতন সংস্কৃতির ছোঁয়া। পার্কের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে মন্দিরের মতো একটি নির্মাণ। সেখানেই বসানো হয়েছে ধ্যানরত এক মুনির মূর্তি। পার্কের পিছনেই ছিল আমাদের হোটেল ‘প্রেমসি গেস্ট হাউস’। আমাদের থাকার ব্যবস্থা ছিল গেস্ট হাউসের দ্বিতীয় তলে। রাম মন্দির থেকে দূরত্ব ১ কিমির মধ্যেই। হোটেল মালিক ধর্মেন্দ্র মিশ্র। পেশায় দিল্লিতে ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন বলে জানা গেল। ৩৬ বছর বয়সী ধর্মেন্দ্র মিশ্র জানালেন, অযোধ্যায় ভিড় আগের থেকে অনেক বেড়েছে। রাম ভক্তদের পা পড়ছে তাঁর হোটেলেও।

    রমরমিয়ে চলছে হোটেল ব্যবসা (Ram Mandir)

    প্রসঙ্গত, অযোধ্যায় রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে হোটেল ব্যবসায়ীদের যে বিপুল লক্ষ্মীলাভ হতে চলেছে, তা বোঝাই যায়। ইতিমধ্য়ে অযোধ্যার স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, মন্দির উদ্বোধনের পর গড়ে ৩ লাখ মানুষের পা পড়তে চলেছে অযোধ্যায় (Ram Mandir)। হোটেল ব্যবসা যে রমরমিয়ে চলবে, তা বোঝা যায় ধর্মেন্দ্র মিশ্রদের দেখেই। যাঁরা ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ছেড়ে এসে হোটেল ব্যবসায় মনোনিবেশ করেছেন। ধর্মেন্দ্র মিশ্রর সঙ্গে কথোপথনের সময় জানা গেল, রাম মন্দির উদ্বোধনের সময় তাঁর গেস্ট হাউসে এসে থাকবেন দূরদর্শনের মহাভারত সিরিয়ালের যুধিষ্ঠির গজেন্দ্র চৌহান। অযোধ্যার বিপুল উন্নয়নের জন্য মোদি-যোগীর ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল ধর্মেন্দ্র মিশ্রর গলায়।

    কী বলছেন ধর্মেন্দ্র মিশ্র? (Ram Mandir)

    তাঁর নিজের ভাষায়, ‘‘রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন এগিয়ে আসছে। ভগবান রামচন্দ্র আমাদের আদর্শ। তাঁর মন্দিরে ফেরার দিনক্ষণ স্থির হয়েছে। এতে আমি একদিকে খুশি এবং তার সঙ্গে গর্বিত। মোদিজি ও যোগীজির নেতৃত্বে উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে অযোধ্যা। অযোধ্যা বর্তমানে আগের থেকে অনেক বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়েছে। আগে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থাও ছিল না। এখন উন্নত গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থার কারণে যানজট হয় না। রাস্তাও চওড়া হয়েছে।’’ ধর্মেন্দ্র মিশ্রর আরও সংযোজন, ‘‘আগে মানুষজন ছুটি কাটাতে গোয়া যেত। সমুদ্র সৈকতে সময় কাটাত। এখন মানুষজন অযোধ্যায় আসছেন। সন্তানরা সংস্কার পাচ্ছেন অযোধ্যায় এসে।’’ তাঁর কাছ থেকেই জানা গেল ২২ জানুয়ারি কতটা আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের। ধর্মেন্দ্র মিশ্র জানালেন, আমাদের ‘‘আমাদের মতো হোটেল ব্যবসায়ীদের নিয়ে ইতিমধ্যে অযোধ্যার প্রশাসন একটি বৈঠক সম্পন্ন করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে ১৮ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত হোটেলের ঘর দিতে হবে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট অথবা প্রধানমন্ত্রীর দফতরের চিঠি সঙ্গে থাকলে তবেই মিলবে হোটেলের ঘর।’’ ধর্মেন্দ্র মিশ্রদের মতো আরও হাজারো হোটেল ব্যবসায়ী লক্ষ্মীলাভের আশায়  মন্দির উদ্বোধনের জন্য দিন গুনছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shankar Auddy: তৃণমূল নেতা শঙ্করের বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা, নথি উদ্ধার করল ইডি

    Shankar Auddy: তৃণমূল নেতা শঙ্করের বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা, নথি উদ্ধার করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল শক্রবার টানা ১৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির হাতে গ্রেফতার বালু ঘনিষ্ঠ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য (Shankar Auddy)। রাতেই নিয়ে আসা হয়েছে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। উল্লেখ্য বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বের করার সময়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তদন্তকারী অফিসারদের উপর ব্যাপক চড়াও হয়। 

    আবার, একই ভাবে গতকাল শুক্রবার সন্দেশখালিতে ইডি, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তদন্ত করতে গেলে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে অফিসারদের মাথা ফাটানোর ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় রাজ্যজুড়ে। প্রশাসনের জঙ্গলরাজ বলে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্য রাজনীতি এখন ব্যাপক সরগরম।

    ইডির দাবি (Shankar Auddy)

    তৃণমূল নেতা শঙ্করকে (Shankar Auddy) উদ্দেশ্য করে গতকাল সকাল ৭ টা থেকে বনগাঁর শিমুলতলায় শ্বশুর বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর তাঁর বাড়িতে চলে অভিযান। মোট সাতজন তদন্তকারী অফিসার গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া চালান। এরপর ফের আরেকবার তাঁর শ্বশুরের বাড়ি যান অফিসারেরা। সেখানে চলে রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত তাল্লাশি। ইডি দাবি করে, সেই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সাড়ে আট লক্ষ টাকা। সেই সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সন্দেহ জনক নথি। এরপর আবার তাঁকে নিজের বাড়িতে এনে রাত সাড়ে ১২ টায় গ্রেফতার করে ইডি। আজ তাঁকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    গ্রেফতারের পর বিক্ষোভ

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা শঙ্করকে (Shankar Auddy) রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি গ্রেফতার করে বাড়ি থেকে বের হলে তাঁর অনুগামী এবং দুষ্কৃতীরা তদন্তকারী অফিসারদের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। একেবারে মহিলারা সামনে গিয়ে, তাঁকে নিয়ে যেতে বাধা প্রদান করতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে ইডিকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট। চলে লাগাতার গালিবর্ষণ, পালাটা নিরাপত্তা বাহিনী লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    পরিবারের বক্তব্য

    তৃণমূলের নেতা শঙ্করের (Shankar Auddy) স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলার সভাপতি ছিলেন। দলের কাজে আমরা যেতাম। তিনিও আসতেন, তাই বলে গ্রেফতার করতে হবে? তদন্তকারী অফিসারেরা ব্যবসার কাগজপত্র দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এরপর একটা কাগজ দেখিয়ে বলে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিঠি এটা আর তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করেছে ওঁকে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মারধরের পাশাপাশি চুরি করা হয়েছে ফোন, ল্যাপটপ, অভিযোগ ইডির

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মারধরের পাশাপাশি চুরি করা হয়েছে ফোন, ল্যাপটপ, অভিযোগ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকরা। সেখানেই তাঁদেরকে ব্যাপক মারধর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। পরবর্তীকালে হাসপাতালে ভর্তি হন তাঁরা। তবে শুধু মারধর করাই নয় সেখানে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা ইডি আধিকারিকদের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এ সমস্ত কিছু চুরি করেছেন বলে খবর। পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাগও চুরি করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। সেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিল বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, মোট চার থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন খোয়া গেছে ইডি আধিকারিকদের। এই জিনিসগুলি যে কখন বেহাত হল তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অনুমান, যখন মারধরের ঘটনা ঘটে তখনই ওই তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের (Sandeshkhali) মধ্যে কেউ ল্যাপটপ, মোবাইল, ব্যাগ সরিয়ে রাখতে শুরু করে।

    সমস্ত অভিযোগ এক করে দায়ের হবে এফআইআর

    তবে যেভাবে ইডি আধিকারিকদের হেনস্থা (Sandeshkhali) করা হয়েছে, তা খুব সহজে ছেড়ে দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গুয়াহাটির অফিসার রাজকুমার রামের মাথায় চোট লেগেছে। করা হয়েছে তাঁর স্ক্যান। বাকি ২ আধিকারিক অঙ্কুর দত্ত এবং সোমনাথ দত্ত তাঁদেরও আঘাতে সেলাই করতে হয়েছে। জানা গিয়েছে সন্দেশখালিতে যে ধরনের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, এরপরেই অভিযোগ জানাতে চলেছে ইডি। সূত্রের খবর যে সমস্ত রকমের অভিযোগ কে একত্রীভূত করে একসঙ্গে দায়ের করা হবে এফআইআর।

    এনআইএ তদন্তের আর্জি

    উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। এদিন ইডি, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সংবাদমাধ্যমের উপর হামলার ঘটনায় কারা কারা জড়িত ছিল, নাম উল্লেখ করে এনআইএ-র দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘দেশবিরোধী শক্তি’র বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র কাছে আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু। শুক্রবার সকালেই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিজের এক্স হ্যান্ডলের একটি পোস্টে ট্যাগ করেন শুভেন্দু। সেই এক্স বার্তায় কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের আর্জি জানানোর পাশাপাশি তিনি জুড়ে দেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল, ইডির অধিকর্তা এবং সিআরপিএফকেও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনে নিমন্ত্রণ পেলেন বাবরি মসজিদ পক্ষের আইনজীবী ইকবাল আনসারি

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনে নিমন্ত্রণ পেলেন বাবরি মসজিদ পক্ষের আইনজীবী ইকবাল আনসারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলায় মুসলিম পক্ষের আইনজীবী ইকবাল আনসারিকে আমন্ত্রণ জানানো হল তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে। ইকবাল আনসারি জানিয়েছেন যে তিনি ঐদিন মন্দির উদ্বোধনে হাজির থাকবেন। প্রসঙ্গত, রামলালার মূর্তিতে (Ram Mandir) প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২২ জানুয়ারি হবে অনুষ্ঠান। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে আনসারির বাড়িতে শুক্রবারই যায় এক প্রতিনিধি দল। প্রসঙ্গত, ইকবাল আনসারির বাড়ি অযোধ্যার রামপথের পাশেই কোটি তলাতে। সেখানেই এদিন আনসারির হাতে নিমন্ত্রণপত্র তুলে দেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পদাধিকারীরা। শুক্রবার নামাজের পরেই এই নিমন্ত্রণ পত্র গ্রহণ করেন আনসারি। প্রসঙ্গত, গত ৫ অগাস্ট ২০২০ সালে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) ভূমি পূজনের সময়ও হাজির ছিলেন ইকবাল আনসারি।

    ইকবাল আনসারির বাবা ছিলেন এই মামলার পুরনো আইনজীবী

    ইকবাল আনসারির বাবা হাসিম আনসারি ছিলেন রাম জন্মভূমি বাবরি মসজিদ বিতর্কের সব থেকে পুরনো আইনজীবী। ২০১৬ সালে ৯৫ বছর বয়সে হাসিম আনসারির মৃত্যু হলে ইকবাল আনসারী ঐ মামলা লড়তে শুরু করেন। রাম জন্মভূমি (Ram Mandir) তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পরেই সাংবাদিকরা ইকবাল আনসারিকে ঘিরে ধরেন। তখন তিনি বলেন, ‘‘আমি খুবই খুশি যে অযোধ্যায় প্রভুর রামের মূর্তি বসতে চলেছে। আমরা মুসলিমরা রামকে আমাদের ইমাম-এ-হিন্দ হিসাবে গ্রহণ করেছি। আমরা খুবই খুশি, আমাদের হিন্দু ভাইদের খুশি দেখে।’’

    ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর রোড শো’তে ফুলও ছুড়তেও দেখা যায় তাঁকে

    এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘‘অযোধ্যাতে (Ram Mandir) হিন্দু মুসলমান একসাথে বসবাস করার রীতি রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট যা রায় দিয়েছে তা সারা দেশের মুসলিমরা মেনে নিয়েছেন। কোথাও কোনও রকমের বিক্ষোভ দেখা যায়নি। অযোধ্যার মানুষজন খুশি এবং আমিও খুব খুশি।’’ প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যা বিমানবন্দরের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেও হাজির ছিলেন ইকবাল আনসারি। প্রধানমন্ত্রীর রোড শো’তে তাঁকে ফুলও ছুড়তে দেখা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pravasi Bharatiya: বিগত দশ বছরে ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছেন, কেন জানেন?

    Pravasi Bharatiya: বিগত দশ বছরে ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছেন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দর পিচাই, গীতা গোপীনাথ, সত্য নাদেলা কিংবা ঋষি সুনক। এই নামগুলো শুনলেই বোঝা যায় যে বিশ্ব নেতৃত্বে ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা (Pravasi Bharatiya) কত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছেন। ব্রিটিশ সংসদের ১৯ জন সাংসদ বর্তমানে ভারতীয় বংশোদ্ভুতরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বিজনেস স্কুলের মধ্যে দুটির ডিনই ভারতীয় বংশদ্ভূতরা। বিশ্বব্যাপী আজ যেন সব কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের।

    ১০ বছরে ভারতীয় বংশোদ্ভুতরা হয়েছেন ৫০০ কোম্পানির সিইও

    যদি আমরা বিশ্ব বাণিজ্যের দিকে তাকিয়ে দেখি, তাহলে সেখানে দেখব যে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব সেখানে রয়েছে। এডোব বলুন গুগলের প্যারেন্ট সংস্থা অ্যালফাবেট বলুন, আইবিএম কিংবা মাইক্রোসফট। এই সবগুলিই চলছে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার মাধ্যমে। রয়েছে। বর্তমান বহিঃবিশ্বের ৫০০ নামকরা কোম্পানির সিইও হলেন ভারতীয়রা। তবে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের এমন সাফল্য বিগত ১০ বছর ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২০১৪ সালের আগে এমনটা দেখা যায়নি। ২০১৪ সালের আগে বিশ্বের ১১টি কোম্পানির সিইও ছিলেন ভারতীয়রা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিকর্ন খোলার ক্ষেত্রেও ভারতীয়রা উল্লেখযোগ্য জায়গা রয়েছে।

    ভারতীয় সংস্কৃতির শিক্ষাই এই সাফল্যের কারণ

    ভারতীয় সংস্কৃতি বলে সম্প্রীতির কথা, গ্রহণ করার কথা, সহানুভূতির কথা। আমাদের সংস্কৃতি আমাদের শিক্ষা দিয়েছে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবান হতে। কঠোর পরিশ্রম করতে এবং সাফল্য পেতে। বিগত কয়েক বছর ধরেই রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, ক্রীড়া জগতে অথবা বাণিজ্যক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য পাচ্ছে আমাদের দেশ। বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত এখন একাদশ স্থানে উঠে এসেছে। সাফল্যের মুখ দেখছে প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, লজিস্টিক সমেত অন্যান্য ক্ষেত্র। এর মাধ্যমেই সংযোগ স্থাপিত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাষা এবং উৎসবকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের অবদান নজরে পড়ছে।

    কী বলছেন হাভার্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক?

    গুগলের নেতৃত্বে রয়েছে বর্তমানে সুন্দর পিচাই, মাইক্রোসফটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সত্য নাদেলিয়া। বুদ্ধিমত্তার জগতে ভারত সবথেকে শীর্ষে পৃথিবীতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী ভারতীয়দের রোজগার সব থেকে বেশি। সেখানে একটি মধ্যবিত্ত ভারতীয় পরিবার বছরে রোজগার করছেন এক লাখ পঞ্চাশ হাজার মার্কিন ডলার। এটা হল চিন দেশের মানুষের গড় আয়ের দ্বিগুণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী ভারতীয়দের ৮০ শতাংশই স্নাতক ডিগ্রিধারী। একটি সমীক্ষাতে তা প্রকাশ পেয়েছে। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে চিনা প্রবাসীদের মধ্যে মাত্র ৫০ শতাংশই স্নাতক। জোসেফ ন্যাই হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় একজন অধ্য়াপক এ নিয়ে বলছেন, ‘‘ কোন দেশ কত সংখ্যা পাঠাল সেটা নয়, কে কোন বংশোদ্ভূত হয়ে আসছেন, সেটাই সাফল্যের ফারাকা গড়ে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share