Tag: Bengali news

Bengali news

  • Amit Shah: “হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয়, অনুব্রতদের সাসপেন্ড করে দেখান”, মমতাকে চ্যালেঞ্জ অমিত শাহের

    Amit Shah: “হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয়, অনুব্রতদের সাসপেন্ড করে দেখান”, মমতাকে চ্যালেঞ্জ অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় এসে সরাসরি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ধর্মতলায় বিজেপির ভিড়ে ঠাসা সমাবেশ থেকে তিনি রাজ্যের শাসকদলকে নানা ইস্যুতে আক্রমণ শানান। তবে নিয়ো-দুর্নীতি এবং রেশনকাণ্ড নিয়ে তাঁর গলায় ছিল আক্রমণাত্মক সুর। এমনিতেই তৃণমূলের হেভিওয়েট বেশ কয়েকজন নেতা জেলের ঘানি টানছেন। তাঁদের নিয়ে দল যথেষ্ট বিব্রত। তার ওপর এদিন অমিত শাহের আক্রমণ কার্যত কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে। তিনি এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম করেন। তারপরই তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে বলেন, “মমতাকে বলছি হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করে দেখান। আপনি পারবেন না। যারা নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত, তারা এই রাজ্যকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারবে না। তৃণমূল সাংসদ সংসদকেও অপবিত্র করেছে।”

    হিসাব দিয়ে জবাব (Amit Shah)

    কেন্দ্র টাকার অঙ্কে রাজ্যকে ভরিয়ে দিলেও তা যে প্রকৃত উপভোক্তাদের কাছে যাচ্ছে না, এটা নিয়েই বাংলায় সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের সাফ কথা, মোদির দেওয়া টাকা রাজ্যে চুরি করছে শাসকদল। মানুষকে বঞ্চিত করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ফুলে-ফেঁপে উঠছেন। যাঁর হাতে দেখা যেত আধ-পোড়া বিড়ি, তিনি এখন খাচ্ছেন দামী সিগারেট। মমতা নিজের দলের এই দুর্নীতিকে ঢাকতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছেন। মোদি টাকা আটকে দিয়েছে, এই অভিযোগ তুলে সোচ্চার হচ্ছেন। অমিত শাহর (Amit Shah) ভাষণে এদিন এই প্রসঙ্গও উঠে আসে। তিনি বলেন, কান খুলে শুনুন, আপনার জন্য হিসেব এনেছি। ইউপিএ সরকার দশ বছরে ২ লক্ষ ১৪ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। মনরেগায় তিনগুণ বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। হাইওয়ের জন্য মোট ৭০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। টাকা না দেওয়ার অভিযোগ শুধু মুখে নয়, এভাবে হিসাব দিয়ে তিনি নস্যাৎ করে দিয়েছেন। শাহের দাবি, মোদি সরকার বাংলার জন্য কোটি কোটি পাঠাচ্ছে। কিন্তু তৃণমূলের জন্যই তা বাংলার গরিব মানুষ হাতে পাচ্ছে না। দুর্নীতির পাশাপাশি ভোটে সন্ত্রাস নিয়েও এদিন সোচ্চার হতে দেখা যায় শাহকে।

    রাজ্যে দারিদ্রতা কমেনি (Amit Shah)

    দুর্নীতি ইস্যুতে শাহ (Amit Shah) আরও বলেন, সব জায়গায় দারিদ্রতা কমেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কমেনি। যে বাংলা সাহিত্য, বিজ্ঞান, কলা, স্বাধীনতা, উদ্যোগের ক্ষেত্রে এক নম্বরে ছিল, সেই বাংলাকে দিদি পিছিয়ে দিয়েছেন। আজ আমি বাংলার মানুষকে বলতে এসেছি, আপনারা একবার পুরো দেশের বিকাশ দেখুন। মোদি কোটি কোটি মানুষের জীবন পরিবর্তন করেছেন। শৌচালয়, রেশন, বাড়ি, ৫ লাখের বিমা, কোভিড টিকা দিয়েছেন। কিন্তু বাংলা ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “সৌভিক, চেক-আপ করিয়েছো তো?” উদ্ধারের পর ফোনে জানতে চাইলেন আবেগপ্রবণ মা

    Hooghly: “সৌভিক, চেক-আপ করিয়েছো তো?” উদ্ধারের পর ফোনে জানতে চাইলেন আবেগপ্রবণ মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭ দিনের মাথায় উত্তরকাশীর সিল্কিয়ার সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের পর ছেলের কথা শুনে উৎকণ্ঠা কাটল মায়ের। অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছে পরিবার। হুগলির (Hooghly) বাসিন্দা সৌরভ পাখিরা এবং জয়দেব আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে ছিলেন। গতকাল উদ্ধার হওয়ার পর সৌভিকের সঙ্গে মায়ের কথা হয়। মা আবেগপ্রবণ হয়ে ফোনে জিজ্ঞেস করলেন, “সৌভিক, চেক-আপ করিয়েছো তো”? পাশাপাশি বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন আশপাশের প্রতিবেশীরা। এলাকায় খুশির আবহ।

    কী বললেন মা (Hooghly)?

    ৪১ জন ভারতীয়ের সুড়ঙ্গে আটকে থাকার খবরে নজর ছিল গোটা দেশের মানুষের। কেন্দ্র সরকার এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্য সরকারের সঙ্গে একাধিক সংস্থা যৌথভাবে অপারেশন চালিয়ে উদ্ধারকাজকে সম্পূর্ণরূপ দিয়েছে। তবে উদ্ধারের কাজ খুব একটা সহজ ছিল না। এরপর হুগলির (Hooghly) হরিণখোলার মানুষের মধ্যে স্বস্তির নিশ্বাস নেমে এলো। সৌভিকের সঙ্গে মা ফোনে কথা বলে জানান, “সুড়ঙ্গ থেকে সকলকেই উদ্ধার করা হয়েছে। জয়দেব এবং সৌভিক একসঙ্গেই রয়েছে, দুজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়দেব এবং সৌভিকের মঙ্গলকামনায় এলাকার মানুষ বাবা তারকনাথের কাছে পুজো দিয়েছেন। তবে এখনও উদ্বেগ পুরোপুরি কাটেনি। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই পুরো ভয় কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    উদ্ধার কাজে ছিল টানটান উত্তেজনা

    গত ১৭ দিন থেকেই সুড়ঙ্গে আটকে থাকার বিষয় নিয়ে উদ্বেগের একটা কারণ কাজ করছিল। আটকে থাকা হুগলির (Hooghly) শ্রমিকদের পরিবারের মানুষদের মধ্যে ছিল তীব্র আতঙ্কের ছায়া। উদ্ধার কাজেও ছিল ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা। সন্ধ্যা আটটার সময় প্রথম শ্রমিক উদ্ধারের খবর টিভির পর্দায় দেখা যায়। প্রথম উদ্ধার হন বিজয় হেরো এবং গণপতি হেরো। এরপর থেকেই সারা দেশের মানুষের মধ্যে আশার আলো সঞ্চার হয়। সময় ক্রমশ বৃদ্ধি পেলে উদ্ধার হওয়া শ্রমিকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। মাত্র ত্রিশ মিনিটে উদ্ধার হন ৪১ জন শ্রমিক। উদ্ধারের পরেই সকল শ্রমিককে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। স্বাস্থ্যের সম্পর্কে খোঁজখবরও নেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: লোকসভা ভোটে নুসরাতকে চাইছেন না বসিরহাটের তৃণমূল কর্মীরা, পোস্টার ঘিরে হইচই

    Basirhat: লোকসভা ভোটে নুসরাতকে চাইছেন না বসিরহাটের তৃণমূল কর্মীরা, পোস্টার ঘিরে হইচই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় তৃণমূলের কে প্রার্থী হবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। এর মধ্যেই বসিরহাটে (Basirhat) অভিনেতা-অভিনেত্রীকে প্রার্থী করা চলবে না বলে পোস্টার পড়ল। তৃণমূলের একটা অংশের পক্ষ থেকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বাদুড়িয়া, হাড়োয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় এমনই পোস্টার লাগানো হয়েছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পোস্টারে ঠিক কী লেখা রয়েছে? (Basirhat)

    বসিরহাটের (Basirhat) হাড়োয়ার কুলটি, বাদুড়িয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট সাদা কাগজে পোস্টার দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই পোস্টারে পরিষ্কারভাবে লেখা রয়েছে, আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে কোনও বহিরাগত বা কোনও অভিনেতা-অভিনেত্রীকে প্রার্থী করা চলবে না। এলাকার ভূমিপুত্র, কাছের মানুষ ও কাজের মানুষকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করতে হবে। একেবারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে এই পোস্টার দেখা যায়। পোস্টারের নিচে ‘আমরা তৃণমূল কর্মীবৃন্দ’ বলে উল্লেখ রয়েছে।

    পোস্টার নিয়ে মুখ খুললেন হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ

    বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। তিনি সাংসদ হওয়ার পর এলাকায় তেমন কোনও উন্নয়ন হয়নি। সাংসদকে এলাকার সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক, তৃণমূলের কর্মীরাও কাছে পাননি। তা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে এলাকার কর্মীদের মনে, এমনটাই দাবি দলের। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে বড় কোনও সমাবেশ ছাড়া সাংসদকে এলাকায় দেখা যায়নি। কোনও সাংগঠনিক বৈঠকে তাঁকে ডেকে কাছে পাননি তৃণমূলের কর্মীরা। সাংসদ তহবিলে তেমন কোনও উন্নয়ন এলাকায় হয়নি। হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণী কর্মাধ্যক্ষ বাহার আলি মোল্লা বলেন, ‘পোস্টারটা বড় কথা নয়। প্রতিটা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আমাদের কেন্দ্রের প্রার্থী এলাকার কর্মীদের কাউকে করা দরকার। বর্তমানে যিনি সাংসদ আছেন, তাঁকে আমরা কোনও অনুষ্ঠানে ডেকে সেভাবে কাছে পাই না। এমন কোনও ব্যক্তিকে প্রার্থী করা দরকার, তিনি আমাদের সাংগঠনিক বুদ্ধি দেবেন। তিনি আমাদের তৃণমূলের পরিবারের অভিভাবক হবেন। যাকে ডাকলে বা কোনও সমস্যায় পড়লে কাছে পাই।’

    পোস্টার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই প্রসঙ্গে মিনাখাঁ এরিয়া সিপিএম কমিটির সম্পাদক প্রদ্যুৎ রায় বলেন, ‘আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেখেছি, যিনি যত টাকা উপরের নেতাদের দিতে পেরেছেন, তিনিই টিকিট পেয়েছেন। এক্ষেত্রেও তাই হবে। কোথায় কোন তৃণমূলের কর্মীরা পোস্টার মারলেন, তা তৃণমূলের উঁচু স্তরের নেতারা দেখেন না। তাঁরা শুধু দেখেন টাকা। ‘মিনাখাঁর বিজেপি নেতা জয়ন্ত মণ্ডল বলেন, ‘এই চোরেদের দল নিয়ে আর কী বলব। যিনি প্রার্থী হবেন, তিনিই চুরি করবেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi tunnel:  ‘ঝুঁকির কাজে পাঠাবো না’ সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের পর মন্তব্য মানিকের স্ত্রীর

    Uttarkashi tunnel: ‘ঝুঁকির কাজে পাঠাবো না’ সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের পর মন্তব্য মানিকের স্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে (Uttarkashi tunnel) আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে বাংলার তিনজন শ্রমিক ছিলেন। কোচবিহারের একজন এবং হুগলির বাকি দুজন। গতকাল মঙ্গলবার সুড়ঙ্গে আটকে থাকা সকল শ্রমিককেই বের করে আনা হয়েছে। গোটা উদ্ধারকার্যকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং নজরে রেখেছিলেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ভি.কে সিং।

    আতঙ্কের প্রহর শেষ করে বাইরে বের হওয়ার পর, কোচবিহারের শ্রমিক মানিক তালুকদারের স্ত্রী সোমা তালুকদার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। ফোনে স্বামীর কণ্ঠ শুনে নিজের হাত কপালে জড়ো করে ভাগবানকে স্মরণ করলেন। ছেলে মণি বাবার সঙ্গে কথা বলতে বলতে ফোন কেটে যায়। কারণ মানিককে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল হাসপাতালে। স্ত্রী সোমা এবং ছেলে মণি এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছেন কত তাড়াতাড়ি মানিক ঘরে ফিরবেন।

    স্ত্রীর বক্তব্য (Uttarkashi tunnel)

    টানা ১৭ দিন ধরে সুড়ঙ্গে (Uttarkashi tunnel) আটকে থাকায় মানিকের স্ত্রী বাড়িতে অত্যন্ত উৎকণ্ঠায় দিনপাত করছিলেন। দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়েছিল। স্বামীর প্রতি চিন্তা ব্যক্ত করে বলেন, “ভালো আছেন মানিক, আর কোনও দিন ঝুঁকির কাজে পাঠাবো না। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। টিভিতে দেখে ঠিকই মনে হয়েছে। তবে এতো দিন আটকে থাকার পর শারীরিক সমস্যা হয়েছে কী না তাই এখন দেখার। তবে ওঁর এখন চিকিৎসা দরকার।”

    ছেলের বক্তব্য

    সুড়ঙ্গে (Uttarkashi tunnel) আটকে পড়া শ্রমিক মানিকের ছেলে মণি তালুকদার বলেন, “অনেক দিন ধরে উদ্বিগ্ন ছিলাম। বাবা কবে আসবেন সেই ভাবনাই মনে মনে কাজ করছিল। তবে কাল বাবার সঙ্গে ফোনে সরাসরি কথা বলে বেশ ভালো লেগেছে। তবে কথা বলতে বলতে ফোনটা কেটে গিয়েছে। আমি চাই বাবা খুব তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরে আসুক।”

    প্রতিবেশীদের উচ্ছ্বাস

    পরিবারের লোক অনেক দিন আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন উত্তরকাশীতে (Uttarkashi tunnel)। পারিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গে আটকে পড়ার খবর পেয়েই মানিকের দাদা বিনয় তালুদার এবং এক নিকট আত্মীয় ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এদিন সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের পর থেকেই বাড়িতে ভিড় করছেন প্রতিবেশীরা। অনেকেই উদ্ধারের খবরে খুশি হয়ে মিষ্টি মুখ করালেন স্ত্রী সোমাকে। এমনকী উচ্ছ্বাসে অনেকে বাজিও ফাটান বলে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বিজেপি জেতায় যেখানে দরকার রাস্তা হল না, হল তৃণমূল নেত্রীর বাড়ির সামনে!

    South 24 Parganas: বিজেপি জেতায় যেখানে দরকার রাস্তা হল না, হল তৃণমূল নেত্রীর বাড়ির সামনে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ গঙ্গাধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাজনা মানিক দুয়ানি এলাক। দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসতেই এলাকার মানুষ এদিন বিক্ষোভ দেখান।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ওই এলাকায় গত পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে হারিয়ে ১৭ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী অতসী পণ্ডিত এবং ১৮ নম্বর বুথে সিপিআইএম প্রার্থী গীতা বৈরাগী জয়ী হন। সেই কারণে ভোগান্তির শিকার হতে  হচ্ছে এই এলাকার মানুষদের। এই এলাকার জন্য দেড় হাজার ফুট রাস্তা তৈরির অনুমোদন হয়। লক্ষণ পণ্ডিতের ঘর থেকে নিমাই পণ্ডিতের ঘর ভায়া দুখিরাম হালদার রাস্তা তৈরির কথা ছিল। কিন্তু, এই দুটি এলাকায় বিরোধীরা জয়ী হয়েছে। তাই, এই রাস্তাটি বিরোধীদের এলাকায় না হয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অসীমা হালদারের বাড়ির সামনে তৈরি করা হয়েছে। আর দেড় হাজার ফুটের পরিবর্তে ৪০০ ফুট করা হয়েছে। সেখানে ফলক বসানো হয়েছে, যাতে লেখা রয়েছে, বর্তমান আর্থিক বর্ষে ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ৬২৯ টাকা খরচা করে লক্ষণ পণ্ডিতের ঘর হইতে নিমাই পণ্ডিতের ঘর ভায়া দুখিরাম হালদার রাস্তা নির্মিত হইল। যার ফান্ড নম্বর ১৫ এফসি/২২/২৩। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে লোকজন জানতে পেরে অবাক হয়ে যান। তাঁদের বক্তব্য, বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্য জয়ী হয়েছে বলে এলাকার রাস্তা তৈরি করা হয়নি। আর দেড় হাজার ফুটের জায়গায় ৪০০ ফুট রাস্তা হয়েছে। আমরা এই দুর্নীতির তদন্ত দাবি করছি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অসীমা হালদার বলেন, এই রাস্তাটি আগে অনুমোদন হয়েছিল। তাই, রাস্তাটি করা হচ্ছে। ভুলবশত ওই বোর্ড বসেছে। কোথাও কোনও দুর্নীতি হয়নি। যা হয়েছে নিয়ম মেনে হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Deepfake AI: গোটা পৃথিবীতে চলছে AI যুগ, ডিপফেক কত বড় বিপদ ডেকে আনতে চলেছে?

    Deepfake AI: গোটা পৃথিবীতে চলছে AI যুগ, ডিপফেক কত বড় বিপদ ডেকে আনতে চলেছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমান প্রযুক্তি (Deepfake AI) আশীর্বাদ না অভিশাপ? এই প্রশ্ন এখন সবার মনে। গোটা পৃথিবীতে এখন AI যুগ চলছে বলা যেতেই পারে। কিন্তু এই প্রযুক্তিই যখন মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়, তখন সেটিকে আশীর্বাদ না বলে কি অভিশাপ বলাটাই শ্রেয়? এক অন্য বিশেষ কারণের জন্য তৈরি কোনও প্রযুক্তিকে যখন খারাপ কাজে ব্যবহার করা হয়, তখন তা হয়ে ওঠে অতি ভয়ানক। কিছুদিন আগের ঘটনা। ‘পুষ্পা’ সিনেমা খ্যাত অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনার একটি বিকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তাঁর মুখকে অন্য কোনও অশ্লীল ভিডিও-র সাথে বসিয়ে একটি ফেক ভিডিও তৈরি করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হয়। যেটি দেখে হুবহু অভিনেত্রীকে মনে হলেও কিন্তু তিনি নন। শুধু অভিনেত্রী নয়, অন্যান্য অনেক মহিলাকে নিয়ে এভাবে আপত্তিকর ভিডিও বানিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে ব্লাকমেইলিং করা হয়। 

    কী এই ডিপফেক পদ্ধতি? (Deepfake AI)

    ডিপফেক পদ্ধতি এমন এক আধুনিক প্রযুক্তি, যেখানে AI কে কাজে লাগিয়ে যে কোনও অডিও বা ভিডিওতে কারচুপি করা সম্ভব। আরও সহজ ভাবে বলতে গেলে, এই ডিপফেক-এর সাহায্যে এমন ভুয়ো ভিডিও তৈরি করা যায়, যেটি দেখতে একদম আসলের মতো। এই ডিপফেক-এর সাহায্যে কোনও অশ্লীল ভিডিওতে উপস্থিত মানুষের চেহারা বদল করে মানুষকে ব্লাকমেইলিংয়ের  মতো ঘটনা বরাবর ঘটে চলেছে। 

    এই ডিপফেক কোথায় ব্যবহৃত হয়?

    এই ডিপফেক পদ্ধতি (Deepfake AI) তৈরি করা হয়েছিল সাধারণত বিনোদনের জন্য। যার উদ্দেশ্য ছিল মানুষের কাছে এমন কিছু তুলে ধরা, যা বাস্তবে ঘটেনি, কিন্তু সেটিকে এই পদ্ধতির মাধ্যমে করে দেখানো। বর্তমানে চলচ্চিত্র শিল্পে এই পদ্ধতি অনেক জায়গায় ব্যাবহার করা হয়। মৃত ব্যক্তি বা পূর্বপুরুষদের জীবন্ত ভিডিও তৈরিতেও এই পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু ২০১৯ এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী অনলাইনে পাওয়া ডিপফেক ভিডিওর ৯৭ শতাংশই অশ্লীল ভিডিও। বিশেষ করে পর্নোগ্রাফিতে এই ডিপফেক পদ্ধতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মুখমণ্ডল ও চেহারা পাল্টে অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ইন্টারনেটে পোস্ট করা হয়েছে। শুধু এখানেই থেমে নেই, এই ডিপফেক এখন রাজনীতিতেও ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনও বিরোধী পার্টিকে আক্রমণ করার জন্য সেই পার্টির কোনও ভিডিওকে এই পদ্ধতির মাধ্যমে বিকৃত করে ইন্টারনেটে পোস্ট করা হচ্ছে। এই ধরনের বহু ভিডিও আজ সোশ্যাল মিডিয়াতে পাওয়া যায়।

    ডিপফেক শনাক্ত করার উপায় কী?

    এই ডিপফেককে শনাক্ত করার জন্য বিশেষ কিছু দিকে নজর দিতে হয়। বেশিরভাগ ডিপফেক (Deepfake AI) পুরোপুরি কোনও বিষয়কে নকল করতে পারে না। যার মধ্যে কিছু জিনিস হল মানুষের চুল, নাক, কান। আবার কোনও সময় দেখা যায় অনেকক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পরও চোখের পলক পড়ছে না। তাছাড়াও কনটেন্ট কালারিং বিষয়টি ভালোভাবে নজর করলে দেখা যায় সেটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আরও অনেক পদ্ধতি আছে যার সাহায্যে এই ডিপফেককে শনাক্ত করা যায়। বর্তমানে ডিপফেকের কিছু আপত্তিকর জিনিস থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন সাইবার সুরক্ষার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rozgar Mela: আজ রোজগার মেলার মাধ্যমে ৫১ হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মোদি

    Rozgar Mela: আজ রোজগার মেলার মাধ্যমে ৫১ হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার ৫১ হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। বছরের বিভিন্ন সময়ই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ‘রোজগার  মেলা’র (Rozgar Mela) আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানগুলির মাধ্যমে দেশের হাজার হাজার যোগ্য চাকরি প্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। একদিকে বাংলায় শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী চাকরি দুর্নীতিতে রয়েছেন জেলে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের এমন স্বচ্ছ নিয়োগ নীতিতে (Rozgar Mela) খুশি চাকরিপ্রার্থীরাও।

    দেশের ৩৭টি স্থানে আয়োজিত হবে রোজগার মেলা

    জানা গিয়েছে, যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কেন্দ্রীয় সরকার, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল, বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে নিয়োগ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান হবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে, এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। বৃহস্পতিবারের রোজগার মেলা (Rozgar Mela) দেশের ৩৭টি বিভিন্ন স্থান থেকে সম্প্রচারিত হবে। জানা গিয়েছে, রাজস্ব বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, উচ্চ শিক্ষা দফতর, স্কুল শিক্ষা দফতর, অর্থ বিভাগ, প্রতিরক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার বিভাগ, শ্রম বিভাগ ইত্যাদি জায়গায় এই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে। প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দেশের যুবদের রোজগারকে অগ্রাধিকার দেন। দেশের যুব সমাজের জন্য রয়েছে স্কিল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামও।

    ‘কর্মযোগী প্রারম্ভ পোর্টাল’ কী?

    প্রধামন্ত্রীর রোজগার মেলার আয়োজন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হচ্ছে যে এই রোজগার মেলায় (Rozgar Mela) যাঁদেরকে নিয়োগ করা হবে, তাঁরা দেশের শিল্পক্ষেত্র, অর্থনৈতিক ক্ষেত্র এবং সামাজিক উন্নয়নের দিক থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। যাঁদেরকে রোজগার মেলার মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে, তাঁদের কাছে সুযোগ রয়েছে ‘কর্মযোগী প্রারম্ভ পোর্টাল’এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেওয়ার। ‘কর্মযোগী প্রারম্ভ পোর্টাল’ হল একটি অনলাইন মডিউল। যেখানে ৮০০-রও বেশি অনলাইন কোর্সের বিষয়ে রয়েছে।

     

    আরও পড়ুন: স্বামীর আধার তথ্যের নাগাল পেতে পারেন না স্ত্রী, পর্যবেক্ষণ কর্নাটক হাইকোর্টের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: ই-শ্রমকার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার ছক! কীভাবে ফাঁদ পাতা হত জানেন?

    Fraud: ই-শ্রমকার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার ছক! কীভাবে ফাঁদ পাতা হত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম মন্ত্রকের ই-শ্রমকার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার (Fraud) ফাঁদ পাতা হয়েছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে দুষ্কৃতীরা বাঁকুড়া জেলার ছাতনা এলাকায় কাজ চালাচ্ছিল। সূত্র মারফত খবর পেয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে ছাতনা থানার পুলিশ ঝাঁটিপাহাড়ি এলাকার একটি বেসরকারি লজে হানা দিয়ে এই চক্রের মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে।

    যাবতীয় নথি হাতিয়ে নিচ্ছিল প্রতারকরা (Fraud)

    ছাতনা থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাতনার ঝাঁটিপাহাড়ির ব্যাঙ্ক মোড় সংলগ্ন একটি বেসরকারি লজ ভাড়া নিয়ে সেখানেই প্রতারণার (Fraud) ফাঁদ পেতেছিল চক্রটি। কেন্দ্রীয় সরকারের ই=শ্রম কার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে প্রতারকেরা আধারকার্ড, প্যানকার্ড, ভোটারকার্ড, এমনকী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় নথিপত্র জমা নিচ্ছিল। গত তিনদিন ধরে এখানে ঘাঁটি গেড়েছিল চক্রটি। স্থানীয় কয়েকজনের বিষয়টি সন্দেহজনক লাগে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপর প্রতারকদের ধরতে উদ্যোগী হয় পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই লজে অভিযান চালায়। এই চক্রের জনা দশেক লোক তখন ঘুমোচ্ছিল। ঘুম থেকে উঠিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। তাদের কাছে ই-শ্রমকার্ড করার কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে পুলিশকে তারা তা দেখাতে পারেনি। এরপর তাদের কথাবার্তাতেও অসংলগ্নতা ধরা পড়ায় পুলিশ ওই ১০ জনকে গ্রেফতার করে এবং ধৃতদের কাছ  থেকে ২ টি ল্যাপটপ, পাঁচটি রেজিস্টার খাতা এবং প্রচুর ফর্ম বাজেয়াপ্ত করেছে ছাতনা থানার পুলিশ। গত দুই থেকে তিন দিন ধরে তারা ওই এলাকায় এই কার্যকলাপ চালাচ্ছিল। এর আগে জেলার আর কোথায় কোথায় এরা এমন কাজ চালিয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়া এই চক্রের সঙ্গে আন্তরাজ্য কোনও চক্রের যোগ আছে কিনা তার খোঁজখবরও নিচ্ছে পুলিশ।

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক কী বললেন?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ই-শ্রমকার্ডের নামে যাবতীয় নথি নিয়ে এই চক্রটি আর্থিক প্রতারণা (Fraud) বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে জালিয়াতির কারবার চালাবার ফন্দি এঁটেছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজ ধৃত ১০ জনকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের কিংপিনকে ধরার চেষ্টা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • China Dam: ব্রহ্মপুত্রে বাঁধ, নেপাল-ভারত-বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জল-যুদ্ধ ঘোষণা চিনের?

    China Dam: ব্রহ্মপুত্রে বাঁধ, নেপাল-ভারত-বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জল-যুদ্ধ ঘোষণা চিনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মপুত্রে চিনের বাঁধ (China Dam) বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি ও কৃষির বিপর্যয় ডেকে আনবে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কেন তাঁরা বলছেন এমন কথা? এটা বুঝতে হলে আমাদের যেতে হবে ব্রহ্মপুত্রের উৎস-সন্ধানে। জানতে হবে রুট। অনেকেই জানেন, ব্রহ্মপুত্র একটি আন্তঃসীমান্ত নদ, অর্থাৎ একাধিক দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত এর ধারা। চিন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র। শুধু এশিয়া নয়, বিশ্বের নদীগুলির সঙ্গে তুলনাতেও ব্রহ্মপুত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দৈর্ঘ্যে বিশ্বের ১৫ তম নদটি জল বহনে বিশ্বের নবম। হিমালয়ের উত্তরাংশে কৈলাস পর্বতের কাছে মানস সরোবরে উৎস ব্রহ্মপুত্রের। এরপর এটি ইয়ার-লুং জাংবো নামে প্রবাহিত হচ্ছে চিন-তিব্বতের পূর্বাঞ্চল দিয়ে। এরপর ভারতের অরুণাচল প্রদেশে শিয়াং নামে এটি বহমান। সেখান থেকে অসমে যখন ঢুকছে, সেখানে তার নাম দিহাং। এই অসমেই সে পাচ্ছে নতুন জলের স্রোত। দিবং ও লোহিত-দুটি বড় নদী এসে মিশছে সেই ধারায়। আর ব্রহ্মপুত্র নামে নেমে আসছে সমতলে। অসম অববাহিকাকে অতিক্রম করে ব্রহ্মপুত্র যখন বাংলাদেশে ঢুকছে, তখন পুরানো নামে কিছুটা প্রবাহিত হওয়ার পর সে নাম নিচ্ছে যমুনা। এই যমুনা মিশছে বঙ্গোপসাগরে। এই গোটা পথ আসতে ব্রহ্মপুত্রকে পার হতে হয়েছে ২ হাজার ৮৫০ কিলোমিটার পথ।

    ব্রহ্মপুত্র নদের গুরুত্ব

    বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। সব মিলিয়ে মোট ৩১০টি নদী রয়েছে। এর মধ্যে আন্তঃসীমান্ত বা আন্তর্জাতিক নদীর সংখ্যা ৫৭টি। যার ৫৪টি ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত। বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি ও কৃষিপ্রধান অর্থনীতি-সব দিক দিয়ে আন্তর্জাতিক নদীগুলির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদ তথা যমুনা নদীর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।

    এটাই প্রথম নয়

    বিশ্বব্যপী জ্বালানি সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এখন প্রায় সব দেশই বিকল্প জ্বালানি, বিশেষ করে জলবিদ্যুতের দিকে ঝুঁকছে। একই পথে এগোচ্ছে এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী দেশ চিন। ব্রহ্মপুত্র নদের নিজেদের অংশে ইয়ার-লুং জাংবোর ওপর আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে চিন (China Dam)। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগে বেজিং অন্তত আটটি বাঁধ দিয়ে বেঁধে ফেলেছে ইয়ার-লুং জাংবোকে। যার মধ্যে কয়েকটি এরই মধ্যে চালু হয়ে গেছে। বাকিগুলির কাজ চলছে। বেজিং-এর পরিকল্পনা, ইয়ার-লুং জাংবোর ওপরে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলবে। যা ৭০ গিগাবাইট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম এবং ওই দেশের বর্তমান তিনটি বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পেরও তিনগুণ বড়। প্রশ্ন হল, তাহলে কি নেপাল-ভারত-বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জল-যুদ্ধ ঘোষণা করল চিন?

    জলে চিনের আধিপত্য অর্জনের লক্ষ্য (China Dam)

    এর আগে, চিন মেকং নদীর উপর এগারোটি মেগা-ড্যাম নির্মাণ করেছে। যার ফলে মিয়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামে কোনও পূর্ব সংকেত ছাড়াই জলের স্তর ব্যাপক ভাবে ওঠানামা করছে। একেবারে নিম্নভাটির অঞ্চল বাংলাদেশের অবস্থাও সঙ্কটে। কৃষিনির্ভর দেশ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এর প্রভাব পড়তে চলেছে। খুবই রক্ষণশীল একটা হিসেব জানাচ্ছে, হিমালয়ের হিমবাহগুলিতে, যেগুলি আসলে হিমবাহ থেকে সৃষ্ট নদীগুলির জলের উৎস, সেখানে কম বেশি ১০০টি বাঁধ ও জলবিদ্যুত প্রকল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে চিন। সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র এবং মেকং নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে চিন প্রচুর সংখ্যক বাঁধ (China Dam) এবং ডাইক নির্মাণ করেছে। তিব্বত দখল করে, চীন ১৮টি দেশে প্রবাহিত নদীগুলির সূচনা পয়েন্টগুলি দখল করেছে। চিন কয়েক হাজার বাঁধ তৈরি করেছে, যা হঠাৎ করে জল ছেড়ে দিয়ে বন্যার সৃষ্টি করতে পারে বা কল বন্ধ করে খরা সৃষ্টি করতে পারে। এইভাবে নদীর বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করে এবং স্বাভাবিক মানবজীবনকে ব্যাহত করে চিন ব্রহ্মপুত্র নদে আরও চারটি বাঁধ তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে, যা নদীর প্রবাহকে প্রভাবিত করবে। চিন্তা শুধু বাংলাদেশ-নেপাল বা ভারত, এই তিন দেশের নয়। পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূগোলটাকেই বদলে দিতে পারে চিনের এই পরিকল্পনা আর জলে আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা।

    কী হতে চলেছে ফলাফল? (China Dam)

    প্রথমত, এর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব হতে পারে মারাত্মক, যার ফলে মধ্য ও নিম্ন অববাহিকায় বন্যা-খরা ঘটিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা হাতে পেয়ে যেতে পারে চিন। দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাবও কম নয়। এটি একাধারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয় দেশগুলির ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার নীতি। তৃতীয়ত, বাণিজ্যিক প্রভাব কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। দক্ষিণ পূর্ব এশিয় দেশগুলির বাজারগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা এতে অনেকটাই সহজ হবে চিনের পক্ষে । চতুর্থত, ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক প্রভাব, যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নিজস্ব ভূগোল-প্রকৃতি-আবহাওয়া-জলবায়ুর বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Landmark Judgement: স্বামীর আধার তথ্যের নাগাল পেতে পারেন না স্ত্রী, পর্যবেক্ষণ কর্নাটক হাইকোর্টের

    Landmark Judgement: স্বামীর আধার তথ্যের নাগাল পেতে পারেন না স্ত্রী, পর্যবেক্ষণ কর্নাটক হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রীর আধার কার্ডের তথ্যের নাগাল পেতে পারেন না সাত পাকে বাঁধা পড়া স্ত্রীও। তাৎপর্যপূর্ণ এই রায় দিল কর্নাটক হাইকোর্ট (Landmark Judgement)। সে রাজ্যের একটি মামলায় বিবাহ-বিচ্ছিন্ন স্বামীর আধারের নম্বর এবং ফোন নম্বর সমেত অন্যান্য ডিটেইলস চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন স্ত্রী। তথ্য জানার অধিকার আইনে (২০০৫) স্বামীর আধার নম্বর চান তিনি। কারণ হিসেবে স্ত্রী জানান যে আধার তথ্য ছাড়া নিম্ন কোর্টে তাঁর (স্বামীর) বিরুদ্ধে ভরণপোষণের মামলা (Landmark Judgement) লড়তে অসুবিধা হচ্ছে।

    ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখার অধিকার, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী মৌলিক অধিকার

    প্রাক্তন স্ত্রীর করা এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কর্নাটক হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে ‘রাইট টু প্রাইভেসি’-এর। ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখা, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। আবার তথ্য জানার অধিকার আইনেও (২০০৫) ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া যায় না। আরটিআই অ্যাক্ট-এর ৮ নম্বর ধারায় তা উল্লেখ রয়েছে। কর্নাটকের উচ্চ আদালতের (Landmark Judgement) স্পষ্ট বক্তব্য যে বৈবাহিক অধিকারের ভিত্তিতেই কোনও স্ত্রী তাঁর স্বামীর আধার তথ্য পেতে পারেন না।

    ফ্যামিলি কোর্টে চলছে ডিভোর্সের মামলা

    জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল ২০০৫ সালে। বিবাহ বিচ্ছিন্ন দম্পতির একটি মেয়েও রয়েছে। সংসারে বনিবনা না হওয়াতেই স্ত্রী বিচ্ছেদের মামলা করেন। ফ্যামিলি কোর্টে বর্তমানে মামলা চলছে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্ত্রী ভরণপোষণের জন্য দশ হাজার টাকা দাবি করেন এবং কন্যাসন্তানের জন্য আরও পাঁচ হাজার টাকা। মোট পনেরো হাজার টাকা ভরণপোষণ বাবদ চাওয়া হয়। কিন্তু স্বামী কী করছেন বর্তমানে? কোথায় রয়েছেন? এসব কিছু জানতে না পারার জন্য ফ্যামিলি কোর্টের (Landmark Judgement) নাকি নির্দেশ দিতে অসুবিধা হচ্ছে! এরপরেই স্বামীর আধার নম্বর পেতে ‘আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’র দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। তবে সেই আবেদন খারিজ করে ইউআইডিএআই। এরপরই মামলা গড়ায় হাইকোর্টে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share