Tag: Bengali news

Bengali news

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে পৌঁছল এনআইএ

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে পৌঁছল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে পৌঁছাল এনআইএ। সোমবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তিন সদস্যের দল এদিন রামেশ্বরপুরে গিয়ে দুই জনের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়েও বোমা বিস্ফোরণে উত্তাল হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ। রাজ্যে শাসক-বিরোধী দলের সংঘর্ষে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছিল এই জেলায়। এবার ২০২২ সালের বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত করতে এলে তীব্র শোরগোল পড়ে জেলায়।

    তল্লাশি চালনো হয় দুই ব্যক্তির বাড়িতে (Murshidabad)?

    স্থানীয় (Murshidabad) সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের এদিন রামেশ্বরপুরে দুই ব্যক্তির বাড়িতে তাল্লাশি করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এলাকার মনসুর শেখ, তাহাবুল শেখের বাড়িতে অনেক সময় ধরে তল্লাশি করে এনআইএ। তবে তদন্তের বিষয়ে বাড়ির লোকেরা কিছু মন্তব্য করতে চাননি।

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    ২০২২ সালে ১৭ জানুয়ারিতে বেলডাঙার রামেশ্বরপুরে (Murshidabad) একটি বাগানবাড়িতে চলছিল বোমা তৈরির কাজ। কিন্তু সেই দিন রাতে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। এরপর পুলিশ তাল্লাশি চালিয়ে ঘটনাস্থলে ৭৪ টি সকেট বোমা উদ্ধার করে। জেলা পুলিশের তদন্তে উঠে আসে আরও তথ্য। প্রায় পাঁচ মাস পরে ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে চাঞ্চাল্যকর তথ্য। এই ঘটনার তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আট মাস পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে এনএইএ তদন্তভার নিয়ে ফের তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও ঘটেছিল বিস্ফোরণ

    সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ১০ অক্টোবর ২০২২ সালে বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিলেন ছাদি শেখ। এদিন তাঁর বাড়িতেও যায় তদন্তকারী দল। এছাড়াও এই বছরেই ১৬ সেপ্টেম্বর ঘটা বেলডাঙা বিস্ফোরণ মামলায় এনআইএ এবার ইউপিএ ধারা যুক্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী তদন্তে জানা গিয়েছে পাইপ বোমা জাতীয় বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল এই বিস্ফোরণে। এই ঘটনায় মোট ১৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে ছিল। ধৃতরা আদালতে জামিনের আবেদন জানালেও বর্তমানে প্রত্যেকের আবেদন বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ভূতের উপদ্রব, আতঙ্কে পালাচ্ছেন গ্রামবাসীরা, ঘটনাস্থলে বিজ্ঞান মঞ্চ

    Hooghly: ভূতের উপদ্রব, আতঙ্কে পালাচ্ছেন গ্রামবাসীরা, ঘটনাস্থলে বিজ্ঞান মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার পর থেকেই বাড়িতে ভীষণ উৎপাত। রাত হলেই শব্দের উপদ্রব। শব্দের তীব্রতা এতটাই, মনে হয় কেউ যেন বাড়ির দেওয়ালে ইট, পাথর ছুড়ে মারছে। রীতিমতো বাড়িতে ঘুমানো এক প্রকার অসম্ভব হয়ে উঠেছে। অথচ ঘর থেকে বাইরে গেলে কাউকেই দেখা যায় না। এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে বাড়ির আশপাশের এলাকায়। পার্শ্ববর্তী অনেক গ্রামবাসী ভয়ে অন্যত্র পালিয়ে যাচ্ছেন। ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু হল হুগলি (Hooghly) জেলার উত্তম বিশ্বাসের বাড়ি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিজ্ঞান মঞ্চ।

    বাড়ির লোকজনের বক্তব্য

    হুগলির (Hooghly) পোলবার রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটুয়া গ্রামের নিবাসী হলেন উত্তম বিশ্বাস। বাড়িতে ভূতের উপদ্রব হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বাড়িতে উত্তমের স্ত্রী বলেন, “গভীর রাত হলেই বাড়িতে প্রচুর শব্দ হয়। মহালয়ার পর থেকে রোজ এই ঘটনা ঘটে চলছে। বাড়ির চারপাশ ভালো করে দেখেছি। কোথাও কিছু নেই। কিন্তু রাত হলেই বিভিন্ন শব্দ শুনতে পাই। এমনকী আশেপাশের প্রতিবেশীরাও সেই শব্দ শুনতে পান।” এলাকার কেউ কেউ বলছেন ভূতের দাপট বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু অপর দিকে আরও অনেকে বলছেন ঘটনার পেছনে কোনও ব্যক্তি রয়েছে। ভয় দেখাতেই এই কর্মকাণ্ড বলে দাবি করেছেন প্রতিবেশীদের একাংশ। অপর দিকে বাড়ির মালিক উত্তম বিশ্বাস বলেন, “গ্রামের অনেক মানুষ ভূতের কথা বলেছেন। আর তাই বাড়িতে ওঝা-গুণিনকে ডাকা হয়েছে। কিন্তু লাভ হচ্ছে না।”

    ঘটনাস্থলে বিজ্ঞান মঞ্চ

    অপর দিকে বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে অনেকেই বাড়িতে (Hooghly) গিয়ে খোঁজ-খবর করেছেন। বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে ভূতের তত্ত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে। বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক সন্দীপ সিংহ বলেন, “অসৎ উদ্দেশ্যে হয়তো কেউ তাঁদের বাড়ির ছাদ, দেওয়ালে আঘাত করছে। স্থানীয়রা এই জন্যই ভূতের কথা বলছেন। তবে আমরা কোনও শব্দ শুনতে পাইনি।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমরা আবারও যাবো, বাড়ির এবং এলাকার মানুষকে সাহস দিয়েছি।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা! গ্রেফতার অভিযুক্ত সরকারি কর্মী

    Fraud: স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা! গ্রেফতার অভিযুক্ত সরকারি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার (Fraud) কারণে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে এবার গ্রেফতার হলেন এক সরকারি কর্মী। পুলিস জানিয়েছে,ধৃতের নাম শুভঙ্কর চক্রবর্তী। তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক ভবনের গ্রুপ ডি পদের স্থায়ী কর্মী। মাসখানেক আগে এই মামলায় তাঁর মা গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি আবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। আইন আইনের পথে চলবে।’

     ঠিক কী অভিযোগ? (Fraud)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সরকারি কর্মী শুভঙ্কর চক্রবর্তীর বাড়ি বালুরঘাট শহরের চকভৃগু এলাকার। তিনি ও তাঁর  মা শেফালী চক্রবর্তী প্রাইমারি স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে  একাধিকজনের কাছে থেকে লক্ষাধিক টাকা তুলেছিলেন। এমনকী ভুয়ো নিয়োগপত্রও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এরপরেও কারও চাকরি হয়নি। প্রতারিতরা ২০২২ সালে অভিযোগ দায়ের করেন বালুরঘাট থানায়। সেই অভিযোগের পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন ওই শিক্ষিকা। মাসখানেক আগে ওই শিক্ষিকাকে বালুরঘাট থেকেই বালুরঘাট থানার পুলিস গ্রেফতার করে। এবারে তাঁরই ছেলেকে পুলিস গ্রেফতার করল।  সোমবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। তাঁর বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত শুভঙ্কর চক্রবর্তী আদালতে যাওয়ার সময় বলেন, ‘আমি কোনওভাবেই কারও সঙ্গে আর্থিক প্রতারণায় যুক্ত নই।’

     প্রতারিতদের কী বক্তব্য?

    অরিজিৎ দাস নামে এক প্রতারিত বলেন, ‘সরকারি কর্মী ও তাঁর মা মিলে প্রতারণা চক্র চালাতেন। চাকরি দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছিল অভিযুক্তের মা। তার নামে থানায় অভিযোগ করেছিলাম। সেই মহিলাকে গ্রেফতার আগেই করেছে। এবার তার ছেলেও গ্রেফতার হয়েছে। এখন ন্যায় বিচারের আশায় রইলাম।’ প্রতারিত দিবস বর্মন বলেন, ‘শুভঙ্কর আমার বন্ধু ছিল। সেই সূত্রে তার বাড়িতে যাতায়াত লেগে থাকত। প্রাথমিক শিক্ষকে নিয়োগের লোভ দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। বহুবার চেয়েও সেই টাকা ফেরত পাইনি। অবশেষে মা ও ছেলে দুজনের নামে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।’

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘এক বছর আগে করা এক ব্যক্তির প্রতারণার (Fraud) অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে মাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে আরেকজনের অভিযোগ পাওয়াতে সেই মামলার সঙ্গে এটা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে জেলা প্রশাসনের এক কর্মীর নাম উল্লেখ রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “ভোট চাইতে এলে বিজেপি কর্মীদের গাছে বেঁধে রাখুন” তৃণমূল নেতার হুমকিতে তীব্র বিতর্ক

    Birbhum: “ভোট চাইতে এলে বিজেপি কর্মীদের গাছে বেঁধে রাখুন” তৃণমূল নেতার হুমকিতে তীব্র বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট চাইতে এলে বিজেপি কর্মীদেরকে গাছে বেঁধে রাখার নিদান দিলেন তৃণমূলের নেতা। বীরভূমের (Birbhum) রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন হয়েছিল। আর এই সম্মেলনের সভা থেকে বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের নেতা বাবু দাস হুমকি দিয়ে বলেন, “সামনে লোকসভার ভোট। তাই এবার বিজেপি ভোট চাইলে গাছে বেঁধে রাখবেন।” এই মন্তব্যে জেলায় তীব্র শোরগোল পড়েছে। রাজ্যে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের হুমকির ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত ২০২১ সালের বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল রাজ্য জুড়ে। ফলে বিজেপিকে হুমকির ঘটনায় আরও একবার কাঠগড়ায় উঠল তৃণমূল।

    তৃণমূলের বক্তব্য (Birbhum)

    বিজেপিকে হুমকি দিয়ে তৃণমূল নেতা বাবু দাস (Birbhum) বলেন, “মাত্র হাতে গোনা কয়েকমাস পরেই লোকসভার নির্বাচন। সকল দলের নেতারা ভোট চাইতে আসবেন। বুথের সমস্ত কর্মীদের বলে দিচ্ছি, বিজেপি যদি ভোট চাইতে আসে তাহলে তাঁদের গাছে বেঁধে রাখবেন। গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে ১০০ দিনের টাকার হিসাব চাইবেন। বাংলাকে কেন বঞ্চনা করা হচ্ছে জানতে চাইবেন।”

    আর কী বলেন?

    কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলে কার্যত বিজেপি কর্মীদের আতঙ্কিত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ। তবে বোলপুর- শ্রীনিকেতন ব্লকের (Birbhum) নেতা বাবু দাস নিজের বক্তব্যে স্থির থেকে বলেন, “কে কীভাবে নিচ্ছে আমি জানিনা। বিজেপি যদি একে হুমকি হিসাবে নেয় তাহলে মন্তব্যের বিশ্লেষণ ভুল করা হবে। এলাকায় ভোট চাইতে গেলে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিতে হবে। কাজ করাবে অথচ টাকা দেবেনা এমন টা চলতে পারেনা।”

    বিজেপির বক্তব্য

    এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম (Birbhum) জেলার বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “তৃণমূল দলের এটাই সংস্কৃতি। তৃণমূল কু কথা না বললে, ভোটে জয়ী হতে পারে না তাই ওঁদের কু কথা বলতেই হয়। সমানে লোকসভার ভোট তাই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই মন্তব্যকে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Titagarh: টিটাগড়ে ফের দুই কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Titagarh: টিটাগড়ে ফের দুই কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল টিটাগড়ের উড়ানপাড়া এলাকা। টিটাগড় (Titagarh) পুরসভার তৃণমূলের দুই কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে গন্ডগোল বাধে বলে অভিযোগ। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর ফলে ফের টিটাগড় পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। এক সপ্তাহ আগেই তৃণমূল কাউন্সিলার বিকাশ সিং এবং সনু সাউয়ের মধ্যে প্রকাশ্যে মারামারি হয়েছিল। সংঘর্ষের জেরে বিকাশের এক অনুগামীর মৃত্যু হয়। এনিয়ে পুলিশের ধমক খেতে হয় সনু সাউকে। যা নিয়ে জেলা জুড়ে চর্চা হয়। দলীয় নেতৃত্ব সতর্ক করার পরও ফের টিটাগড় পুরসভার অন্য দুই কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে প্রকাশ্যে গন্ডগোল বাধল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশ উড়ানপাড়া এলাকায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা টোটো, অটোতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ভাঙচুরের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Titagarh)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টিটাগড় (Titagarh) পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিষ্ণু সিং এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মহম্মদ জলিলের অনুগামীদের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। আসলে ঘটনার সূত্রপাত একটি ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। রবিবার রাতে জি সি রোড এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আর তাতে দুই কাউন্সিলারের অনুগামীরা একে অপরকে দায়ী করে বচসা শুরু করে। বচসা থেকে হাতাহাতি বাধে। দুপক্ষই হামলায় জখম হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতেই উড়ানপাড়ার দিকে সকলেই পালিয়ে যায়। পুলিশ তাদের পিছনে ধাওয়া করে। তখনই উড়ানপাড়ার রাস্তায় থাকা অটো, টোটোতে পুলিশ ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুলিশের কাজ হচ্ছে এলাকায় শান্তি বজায় রাখা। কোথাও কোন গন্ডগোল তা থামানোর কাজ পুলিশের। কিন্তু পুলিশ এসে সাধারণ মানুষের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এটা অন্যায় কাজ করেছে পুলিশ।

    পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল কাউন্সিলার তথা পুরসভার (Titagarh) ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ জলিল বলেন, এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল হয়। কী নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল আমরা জানি না। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই। গন্ডগোল থামাতে এসে পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের অটো, টোটোতে ভাঙচুর চালায়। এটা ঠিক হয়নি। এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: অপরাধ ও পাচার রুখতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ-এর অস্ত্র মৌমাছি

    BSF: অপরাধ ও পাচার রুখতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ-এর অস্ত্র মৌমাছি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অপরাধ এবং যে কোনও ধরনের পাচার রুখতে বিএসএফের (BSF) অস্ত্র মৌমাছি। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এবার তাই মৌমাছি প্রতিপালনের উদ্যোগ নিল বিএসএফ। বিএসএফ সূত্রে খবর, সীমান্তে মৌমাছি প্রতিপালনের মাধ্যমে অপরাধ যেমন কমবে, তেমনই স্থানীয়রা এখান থেকে রোজগারও পাবে। বিএসএফের ৩২তম ব্যাটেলিয়ান পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলায় এই উদ্যোগ নিয়েছে এবং এর ফলে সেখানকার স্থানীয় জনগণের মধ্যে ভালোই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএসএফের শীর্ষ আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটারের সীমানা রয়েছে, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ২,২১৭ কিলোমিটার। বিএসএফ-এর (BSF) এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে হাত বাড়িয়েছে ভারত সরকারের আয়ুষ মন্ত্রকও।

    কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভাইব্রান্ট ভিলেজ প্রোগ্রাম’

    ৩২তম বিএসএফের ব্যাটেলিয়নের শীর্ষ আধিকারিক সুজিত কুমারের মস্তিষ্কপ্রসূত এই মৌমাছি প্রতিপালন বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভাইব্রান্ট ভিলেজ প্রোগ্রাম’-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ঔষধি গাছ লাগানো হচ্ছে। যার ফলে সেই গাছগুলিতে ফুল ধরলে মৌমাছিরা সহজেই আকৃষ্ট হবে। গত ২ নভেম্বর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মৌমাছি প্রতিপালনের জন্য কাঠের বাক্স বসানো হয় বিএসএফ-এর (BSF) তরফ থেকে। জানানো হয়েছে, এই মৌচাকগুলিতে স্থানীয় মানুষরা সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন এবং এক্ষেত্রে তাঁদের এপিকালচারের মাধ্যমে রোজগারও হবে।

    অপরাধপ্রবণ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত

    প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত যে কোনও ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে খবরে শিরোনামে আসে। গরু, সোনা, রুপো সমেত নেশাদ্রব্য সহ একাধিক বস্তু পাচারের অভিযোগ পাওয়া যায় ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে। বিএসএফ জানাচ্ছে, যখনও কোনও অপরাধ ওখানে সংঘটিত করার জন্য কেউ প্রয়াস চালাবে, তখনই তাকে মৌমাছির আক্রমণের মুখে পড়তে হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত কত সংখ্যায় মৌমাছি প্রতিপালন সেখানে করা হবে তা জানানো হয়নি। কাঠের বাক্সের মাধ্যমে এই মৌমাছি প্রতিপালন চলছে। আয়ুষ মন্ত্রকের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত সৎমূলী, তুলসী, একাঙ্গী, অশ্বগন্ধা, অ্যালোভেরা এই সমস্ত কিছু গাছও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসএফ। স্থানীয়দের সহায়তায় বিএসএফ (BSF) সেগুলিকে রোপনও করতে শুরু করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: কালী প্রতিমার বুকে পা দিয়ে পুজো করেন পূজারী! কোথায় জানেন?

    Kali Puja 2023: কালী প্রতিমার বুকে পা দিয়ে পুজো করেন পূজারী! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্র ছাড়াই শুধুমাত্র রীতি মেনে ৬১ বছর ধরে মা কালীর আরাধনা (Kali Puja 2023) চলছে আরামবাগের রতনপুরে। পুজোর প্রতিষ্ঠাতা তথা পূজারী কালীশঙ্কর সাঁতরা। তিনি দাবি করেন, এখানে মন্ত্রপাঠ ছাড়াই পুজো হয়। ৯ বছর বয়স থেকে কালী মূর্তি তৈরি করে পুজো করছেন। দেবীকে স্মরণ করে মুখে যে কথা বা গান আসে, সেটাই মন্ত্র। কালী প্রতিমার বুকে পা দিয়ে পুজো করেন পূজারী। দেবীর কাছে ভক্তের মনোবাঞ্ছা পৌঁছে দিতে কাচের উপরে মাথা ঠোকেন। আরামবাগ-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু ভক্ত এখানে পুজো দেখতে আসেন। ভিড় সামলাতে রাখতে হয় পুলিশি ব্যবস্থা।

    কী এই পুজোর ইতিহাস? (Kali Puja 2023)

    পুজোর প্রতিষ্ঠাতা তথা পূজারী কালীশঙ্কর সাঁতরা জানান, পুজোর সমস্ত আচারই দৈব আদেশে পাওয়া। তিনি জানান, ৯ বছর থেকে কালী মূর্তি তৈরি করে পুজো করছেন। বর্গক্ষত্রিয় পরিবারের হওয়ায় তিনি কোনও মন্ত্রও জানেন না। মাকে স্মরণ করে মুখে যা আসবে, সেটাই মন্ত্র। যুবক বয়সে তিনি এক বার ১২ ফুট উচ্চতার কালীমূর্তি তৈরি করেন। রং করার সময় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। অজ্ঞাত মহিলা কণ্ঠ তাঁকে জাগিয়ে রঙের কাজ শেষ করতে বলে। কিন্তু চক্ষুদানের সময়ে মূর্তির মুখের নাগাল পাচ্ছিলেন না। তখন দুঃখে মাথা ঠুকছিলেন। ফের সেই মহিলা কণ্ঠ তাঁকে চৌকিতে উঠে মূর্তির বুকে পা দিয়ে কাজ করতে নির্দেশ দেয়। সেই থেকেই তিনি প্রতিমার বুকে পা দিয়েই পুজো করেন। পুজোর মন্ত্র এবং ভক্তের আকুতি দেবীর কাছে পৌঁছাতে কাচের উপর মাথা ঠোকা, নাচও মায়ের আদেশেই বলে তিনি জানান। বছর কুড়ি হয়ে গেল কালীশঙ্কর আর মাটির প্রতিমা (Kali Puja 2023) গড়েন না। আরামবাগ শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে রতনপুরের মন্দিরে এখন স্থাপিত হয়েছে ৬ ফুট উচ্চতার পাথরের দক্ষিণাকালী মূর্তি। তবে মূর্তির বুকে পা দিয়ে পুজো করার প্রথা বদলায়নি।

    ভাত, খিচুড়ি, লুচি ভোগের ব্যবস্থা (Kali Puja 2023)

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বহু আগে একটি তালপাতার ছাউনি করে এই কালীপুজো শুরু হয়েছিল। ভক্তদের দানের অর্থে এখন সেই জায়গায় প্রায় চার বিঘা জমির উপরে তৈরি হয়েছে মন্দির। নিত্য পুজো হয়। প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার এবং শনিবার ভক্তদের ভিড় বেশি হয়। তবে বিশেষ পুজো (Kali Puja 2023) ধূমধাম হয় কার্তিক মাসে। এখানে পাঁঠা বলি হয়। ভাত, খিচুড়ি, লুচি ভোগের ব্যবস্থা থাকে ভক্তদের জন্য। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি-র ডাকে ফের সিজিওতে কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল

    ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি-র ডাকে ফের সিজিওতে কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের একাধিক পুরসভার পাশাপাশি কামারহাটি পুরসভাতেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে এই পুরসভায় শতাধিক কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। আর এই নিয়োগের সময় চেয়ারম্যান ছিলেন গোপাল সাহা। তিনি এখনও পুরসভার চেয়ারম্যান রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নামও জড়িয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের গোপাল সাহাকে তলব করে ইডি (ED)। সোমবার সকালেই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন গোপালবাবু। বেশ কিছু নথি নিয়ে ইডি দফতরে ঢোকেন তিনি। তাঁর হাতে একটি ফাইল ছিল। কিছু নথি জমা দিতেই তিনি গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    এর আগেও পুর চেয়ারম্যানকে তলব করেছিল ইডি (ED)

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বারাকপুর মহকুমায় বরানগর, হালিশহর, টিটাগড় পুরসভার সঙ্গে কামারহাটি পুরসভার নাম জড়ায়। দু দফায় কামারহাটি পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার হাত ধরে নিয়োগ হয়েছিল। অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীও চাকরি পেয়েছিলেন ‘বিতর্কিত’ প্যানেলে। সেপ্টেম্বর মাসে কামারহাটি পুরসভার কাছ থেকে বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (ED)। পুরসভার ৩৪ জন কর্মীকেও তলব করা হয়েছিল। তাদের কাছে তথ্য পাওয়ার পর পরই কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহার বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছিল। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। সেই জের কাটতে না কাটতেই কয়েকদিন আগেই ইডি তলব করেছিল গোপাল সাহাকে। সেখানে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। এবার ফের তাঁকে ইডি তলব করল। তবে, কামারহাটি বিধানসভার বিধায়ক মদন মিত্রের দক্ষিণেশ্বর এবং ভবানীপুরের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি হয়েছিল। এবার কামারহাটির পুরসভার চেয়ারম্যানকে ইডি ফের তলব করায় মহকুমা জুড়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের কী বক্তব্য?

    এর আগেও ইডি-র (ED) ডাকে সিজিওতে গিয়েছিলেন গোপালবাবু। জেরার পর তিনি বলেছিলেন, ‘ওরা একটা তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তের প্রয়োজনে আমাকে ডাকতেই পারে। আমাকে যখনই ডাকছে, যাচ্ছি। যা প্রশ্ন করছে, উত্তর দিচ্ছি। তাতে সময় লাগছে ঠিকই, কিন্তু ওরা ওদের কাজ করছে। আমরা সবরকমভাবে সহযোগিতা করছি।’

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: উলুবেড়িয়ার খলিসানিতে বুড়িমার পুজোর পরে শুরু হয় দীপান্বিতা কালীপুজো

    Kali Puja 2023: উলুবেড়িয়ার খলিসানিতে বুড়িমার পুজোর পরে শুরু হয় দীপান্বিতা কালীপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ বলেন অন্তত সাড়ে তিনশো, কেউ বলেন চারশো পার হয়ে গেছে। উলুবেড়িয়ার খলিসানির বুড়িমার কালীপুজোর প্রতিষ্ঠা কবে, তার লিখিত কোনও নথি নেই। কেউ বলেন কালীপ্রসন্ন ভট্টাচার্য আবার কেউ বলেন কালীকুমার নামে স্থানীয় এক ব্রাহ্মণ এখানে প্রথম ঘটে ও পরে মূর্তিতে পুজো শুরু করেন। সেই ঘট আর মূর্তি কালের নিয়মে হারিয়ে গেছে। রয়ে গেছে পুজোর রীতি, মানে অনাড়ম্বর উপাসনা (Kali Puja 2023)।

    বুড়িমা আদতে কালী (Kali Puja 2023)

    কথিত আছে, দেবীকে স্বপ্নে দেখেন আমতার বাসিন্দা কালীপ্রসন্ন। সেইমতো তিনি খলিসানিতে এসে শ্মশানের মধ্যে বেলগাছের নিচে মাটির ঘট দেখতে পান। স্বপ্নে তেমনই দেখেছিলেন। ওই ঘটের জায়গাতেই পুজো শুরু করেন তিনি। মূর্তি থাকলেও মূল পুজো তাই ঘটেই হয়। এখানে বলির প্রথা এখনও রয়েছে, তবে কখনও নরবলি হয়েছে কিনা, সেকথা জানা যায় না।
    কালীপ্রসন্ন যখন এখানে ঘট প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু করেন, তখন এটি ছিল শ্মশান। চারদিকে গাছ। ডাকাতের আস্তানা। তাই কালীপ্রসন্ন প্রতিষ্ঠিত দেবীর পুজো এক সময় ডাকাতদের পুজো হয়ে ওঠে। সময়ের সঙ্গে বন পাতলা হতে থাকে। ডাকাতরাও আর ডাকাত থাকে না। শুধু রয়ে যান দেবী। তাঁর মাহাত্ম্য গ্রাম ছাড়িয়ে দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী জাগ্রত। এখানে পুজো দিলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। রোগ-ব্যাধি সেরে যায়। মূল পুজো হয় কার্তিক ও পৌষ মাসে (Kali Puja 2023), আর নিত্যপুজো তো হয়ই।

    অনেকে আসেন মানত করতে (Kali Puja 2023)

    দীপান্বিতা অমাবস্যায় এই মন্দিরে সবচেয়ে বেশি ভক্ত সমাগম ঘটে। অনেকে আসেন মানত করতে। মনস্কামনা পূর্ণ হলে আবার আসেন পুজো দিতে। খলিসানির আশেপাশে এখন অনেক জায়গাতেই কালীপুজো হয়। তবে অন্য কোথাও পুজো দেওয়ার আগে ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন পুজো দিতে। দেবী এখানে দক্ষিণাকালী। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ১২ বছর অন্তর দেবীর বিগ্রহ পরিবর্তন করা হয়। নিরঞ্জন হয় মন্দির সংলগ্ন পুকুরে। তারপর মহালয়ায় তাতে নতুন করে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরে এই প্রথম দীপান্বিতা অমাবস্যা, তাই এবারে অন্যবারের তুলনায় ভিড় (Kali Puja 2023) আরও বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Winter Diseases: শ্বাসনালীর সংক্রমণে ভুগছে শিশুরা, হাসপাতালে শয্যাসঙ্কটে বাড়ছে উদ্বেগ 

    Winter Diseases: শ্বাসনালীর সংক্রমণে ভুগছে শিশুরা, হাসপাতালে শয্যাসঙ্কটে বাড়ছে উদ্বেগ 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উত্তুরে হাওয়ার রেশ সবে শুরু হয়েছে। আর এর মধ্যেই দেখা দিচ্ছে বিপদ (Winter Diseases)। বিশেষত শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। আর চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি যথেষ্ট বিপজ্জনক। সাবধানতা বজায় না রাখলে বড় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে? (Winter Diseases)

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শহরে আট থেকে আশি, সব বয়সীদের মধ্যেই কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দুর্গাপুজোর পর অনেকেই কাশি-সর্দিতে ভুগছেন। অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে জ্বর-সর্দিকে কাবু করলেও, কাশি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। অনেকের কয়েক সপ্তাহ ধরে কাশি হচ্ছে। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে বেশ জটিল সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 
    শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সময় অধিকাংশ শিশু কাশির সমস্যায় ভুগছে। দেখা যাচ্ছে, শ্বাসনালীতে সংক্রমণের জেরেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাশির সমস্যা হচ্ছে। দু’বছরের কম বয়সীদের জন্য এই সংক্রমণ বাড়তি বিপদ ডেকে আনছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, শ্বাসনালীতে সংক্রমণের জেরে শুধু কাশির সমস্যা হচ্ছে না। দেখা দিচ্ছে, শ্বাসকষ্ট। তাই দু’বছরের কম বয়সী শিশুদের একাধিক শারীরিক জটিলতা (Winter Diseases) তৈরি হচ্ছে।

    কেন পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বছরের এই সময় ঋতু পরিবর্তন হয়। আবহাওয়া হঠাৎ করেই বদলে যায়। গরম অনেকটাই কমে। তবে পুরোপুরি ঠান্ডা নয়। এর জেরে একাধিক ভাইরাস এই সময় অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে (Winter Diseases)। শিশুদের ভাইরাসঘটিত সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই এই সময় শিশুদের মধ্যে জ্বর-সর্দি বেশি হচ্ছে। আর এই ভাইরাসের হাত ধরেই আসছে কাশি। তবে, শ্বাসনালীর সংক্রমণের জটিলতা তৈরির আরেক কারণ বায়ুদূষণ। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ার পরিবর্তনের পাশপাশি বাতাসে দূষণের মাত্রাবৃদ্ধি শ্বাসনালীর সংক্রমণের অন্যতম কারণ। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং কার্বন-মনো-অক্সাইডের পরিমাণ বাতাসে বাড়তে থাকার জেরেই শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। 
    তবে, কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় শ্বাসনালীর সংক্রমণে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ার জেরে হাসপাতালে শয্যাসঙ্কট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, পেডিয়াট্রিক বিভাগে ভর্তি থাকা অধিকাংশ শিশু শ্বাসনালীর সংক্রমণ নিয়ে আসছে। তাদের শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। কৃত্রিম অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। শয্যাসঙ্কট দেখা দিচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে পরিস্থিতি মোকাবিলা কঠিন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা বিপদ কমাতে পারে। তাঁদের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় শিশুদের একেবারেই এসি ঘরে রাখা যাবে না। আইসক্রিম কিংবা ঠান্ডা পানীয় দেওয়া চলবে না। আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে যাতে কোনও সংক্রমণ না হয়, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। সর্দি-কাশির সামান্য উপসর্গ দেখা দিলে বিশেষ সতর্কতা রাখতে হবে। প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। দু’বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে এই সময়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। পরিবারের কেউ সর্দি-কাশিতে ভুগলে, তার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। যাতে শিশু সংক্রমিত (Winter Diseases) না হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share