Tag: bjp

bjp

  • BJP: ভারত চতুর্থ সর্বাধিক সমতা সম্পন্ন দেশ, জানাল ওয়ার্ল্ড ব্যাংক

    BJP: ভারত চতুর্থ সর্বাধিক সমতা সম্পন্ন দেশ, জানাল ওয়ার্ল্ড ব্যাংক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানাল বিজেপি (BJP)। ওই রিপোর্টে ভারতকে চতুর্থ সর্বাধিক সমতা সম্পন্ন দেশ হিসেবে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিশ্বব্যাংকের ওই রিপোর্ট ভুলভাবে (World Bank Report) উপস্থাপন করা হয়েছে। রাহুল গান্ধীর দলের ওই দাবিকে খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি।

    বিশ্ব ব্যাংকের গিনি সূচক (BJP)

    বিশ্ব ব্যাংকের গিনি সূচক (Gini Index) রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বিজেপির মুখপাত্র সায়েদ জাফর ইসলাম বলেন, “২০১৩–১৪ সালে “ফ্র্যাজাইল ফাইভ” (অস্থিতিশীল পাঁচটি দেশের) অংশ থেকে আজ “ফ্যাবুলাস ফোর”-এর অন্তর্ভুক্তিতে ভারতের রূপান্তর সরকারের নীতিগত সাফল্যকেই প্রতিফলিত করে।” তিনি বলেন, “এটি একদিনে হয়নি। এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদৃষ্টির ফল, যা ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মতো রিপোর্টে প্রতিফলিত হয়েছে। এই রিপোর্টে ভারতকে চতুর্থ সর্বাধিক সমতা বজায় রাখা দেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। জি৭-এর যে কোনও দেশের চেয়েও ভারত এগিয়ে।”  ইসলাম জানান, গিনি সূচকের পতন ২০১১–১২ সালে ছিল ২৮.৮ এবং ২০২২–২৩ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ২৫.৫।  এটি আয়ের বৈষম্য হ্রাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত।

    বিজেপির বক্তব্য

    প্রসঙ্গত, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের রিপোর্টে ভারতকে শুধু স্লোভাক প্রজাতন্ত্র, স্লোভেনিয়া এবং বেলারুসের নীচে রাখা হয়েছে। এটিকে মধ্যম মাত্রার কম বৈষম্যমূলক দেশ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। গিনি সূচক হল বৈষম্য মাপার একটি পদ্ধতি, যেখানে নিম্নতর স্কোর মানে আয়ের বণ্টন বেশি ন্যায়সঙ্গত। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সূচকে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৪১.৮), চিন (৩৫.৭) এবং ব্রিটেনের (৩৪.৪) মতো বড় অর্থনীতিগুলিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে (BJP)। ইসলাম পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক সমীক্ষার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, ৭৪ শতাংশ ভারতীয় তাঁদের গণতন্ত্র ও অর্থনীতি—উভয় ক্ষেত্রেই আপেক্ষিকভাবে সন্তুষ্ট এবং এই ভিত্তিতে ২৩টি দেশের মধ্যে ভারত দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।

    উল্লেখ্য, কংগ্রেস কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য বিকৃতি করার অভিযোগ এনেছিল। এই সময়ই বিজেপির মন্তব্যটি (World Bank Report) সামনে আসে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেন, সরকার বেছে বেছে তথ্য তুলে ধরছে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চোখ বন্ধ করে আছে (BJP)।

  • RSS: জন্ম শতবর্ষে দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও ঘরে পৌঁছবে সংঘ, সিদ্ধান্ত প্রান্ত প্রচারকের বৈঠকে

    RSS: জন্ম শতবর্ষে দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও ঘরে পৌঁছবে সংঘ, সিদ্ধান্ত প্রান্ত প্রচারকের বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্ম শতবর্ষে দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও ঘরে পৌঁছবে সংঘ। দেশজুড়ে ৫৮ হাজার ৯৬৪ মণ্ডল এবং ৪৪ হাজার ৫৫ বস্তিতে অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু সম্মেলন। তিনদিন ব্যাপী আরএসএসের (RSS) প্রান্ত প্রচারকের বৈঠকে (Prant Pracharak Meeting) এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৪-৬ জুলাই দিল্লির ঝান্ডেওয়ালানে কেশব কুঞ্জে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। বৈঠক শেষে অখিল ভারতীয় প্রচারক প্রধান সুনীল আম্বেকর এই তথ্য জানান। তিনি জানান, বৈঠকে সংঘের শতবর্ষের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শতবর্ষে গ্রামীণ অঞ্চলে মণ্ডল স্তরে এবং শহরাঞ্চলে বস্তি স্তরে হিন্দু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যাতে সমাজের সকল স্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারেন। বর্তমানে দেশে ৫৮ হাজার ৯৬৪টি মণ্ডল ও ৪৪ হাজার ৫৫টি বস্তি রয়েছে। এই সম্মেলনগুলিতে সামাজিক উৎসব, সামাজিক ঐক্য ও সম্প্রীতি এবং ‘পঞ্চ পরিবর্তনে’র ওপর আলোচনা হবে।

    ‘সামাজিক সদ্ভাব বৈঠক’ (RSS)

    সামাজিক সম্প্রীতি প্রচারের লক্ষ্যে ১১ হাজার ৩৬০টি ব্লক/নগরে ‘সামাজিক সদ্ভাব বৈঠক’ও হবে। সংঘের কাঠামো অনুযায়ী দেশে মোট ৯২৪টি জেলা রয়েছে। এসব জেলায় ‘প্রমুখ নাগরিক সেমিনার’ অনুষ্ঠিত হবে যেখানে “ভারতের ভাবনা”, “ভারতের গৌরব”, “ভারতের স্বা” ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সুনীল জানান, গৃহ সংস্পর্শ কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে। প্রতিটি গ্রাম ও প্রতিটি বস্তিতে সর্বাধিক ঘরে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। শতবর্ষ পালনের মূল লক্ষ্য হল, পেশা, অঞ্চল ও সম্প্রদায়ভিত্তিক সর্বসমেত যোগাযোগ ও সম্পূর্ণ সামাজিক সংহতি অর্জন করা।

    শতবর্ষ উৎসবের সূচনা হবে বিজয়া দশমীতে

    সংঘের শতবর্ষ উৎসবের সূচনা হবে বিজয়া দশমী থেকে। এদিন সকল স্বয়ংসেবক বিজয়া দশমী উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, “দেশ (RSS) অর্থনৈতিকভাবে সমস্ত ক্ষেত্রেই অগ্রসর হচ্ছে, বিশেষত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এবং জীবনের নানা দিক থেকে অগ্রগতির জন্য একসমষ্টিগত (Prant Pracharak Meeting) প্রচেষ্টা চলছে। এই অগ্রগতি সরকারিভাবেই নয়, ব্যক্তিগত পর্যায়েও ঘটছে। তবে দেশ যতই এগিয়ে যাক, শুধুমাত্র অর্থনীতি বা প্রযুক্তির দিক থেকে অগ্রসর হওয়াই যথেষ্ট নয়। এর পাশাপাশি আমাদের সমাজ ও জাতির বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলিকেও বজায় রাখা সমান গুরুত্বপূর্ণ।”

    সুনীল জানান, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশজুড়ে মোট ১০০টি প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ৮ হাজার ৮১২টি জায়গার কার্যকর্তারা সংঘ শিক্ষা বর্গে অংশগ্রহণ করেছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে (Prant Pracharak Meeting) সুনীল বলেন, “লোভ, জোরজবরদস্তি, কারও অসুবিধার সুযোগ নেওয়া বা চক্রান্তের মাধ্যমে ধর্মান্তরণ সম্পূর্ণরূপে ভুল।” তিনি জানান, ভারতের সমস্ত ভাষাই জাতীয় ভাষা। সংঘের বিশ্বাস প্রাথমিক শিক্ষা মাতৃভাষায় হওয়া উচিত (RSS)।

  • BJP: জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন বিজেপির

    BJP: জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Shyama Prasad Mukherjee) জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করল বিজেপি। রবিবার সকালে দিল্লিতে শ্যামাপ্রসাদকে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, দিল্লি বিজেপির (BJP) সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এবং অন্যান্য দলীয় নেতারা। এদিন রেখা বলেন, এই দেশের মাটিতে যদি কেউ প্রথম জাতীয়তাবাদের বীজ বপন করে থাকেন, তাহলে তিনি হলেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি। তিনি দেশে প্রথমে রাষ্ট্র এই চেতনা জাগিয়ে তুলেছিলেন। তৎকালীন বিভিন্ন সরকার যখন দেশীয় স্বার্থের পরিপন্থী কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছিল, তখন তিনি মন্ত্রীত্ব পদে ইস্তফা দেন। ভারতের ঐক্যের জন্য লড়াইও করেছিলেন তিনি। একটি দেশের দুটি সংবিধান, দুটি প্রধান এবং দুটি পতাকা থাকতে পারে না – এ কথা বলার সাহস ছিল তাঁর।

    কী বললেন যোগী (BJP)

    শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ১২৫তম জন্ম বার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। লখনউতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগী তাঁকে একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে উল্লেখ করেন। উল্লেখ করেন শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদানের কথাও। ১৯৪৩ সালে বাংলার দুর্ভিক্ষের সময় তাঁর সেবার কথাও স্মরণ করেন যোগী। ১৯০১ সালের ৬ জুলাই জন্ম শ্যামাপ্রসাদের। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বকনিষ্ঠ উপাচার্য হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামীও। যোগী বলেন, সরকার যখন জম্মু-কাশ্মীরকে পৃথক মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করছিল, তখন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। তিনি বেলন, শ্যামাপ্রসাদের স্বপ্ন পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জম্মু-কাশ্মীরকে মূলধারায় নিয়ে এসেছিলেন (BJP)।

    জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা

    শ্যামাপ্রসাদকে এদিন শ্রদ্ধা জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপিও। বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জনসংঘের এই প্রতিষ্ঠাতাকে। কিছুদিন আগেই তাঁর বলিদান দিবস ছিল। সেদিন কেওড়াতলা মহাশ্মশানে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায়ও তিনি মাল্যদান করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদের মূর্তিতে। কেওড়াতলায় গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহাও। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি কার্যালয়ে শ্যামাপ্রসাদকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

    ভারত কেশরী শ্যামাপ্রসাদকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ত্রিপুরা সরকারও। একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি জানান, আগরতলা টাউন হলের নাম পরিবর্তন করে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির (Shyama Prasad Mukherjee) নামে করা হবে (BJP)।

  • BJP leaders Death Case: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইকে ধমক আদালতের

    BJP leaders Death Case: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইকে ধমক আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ঠিক এই প্রশ্ন তুলেই সিবিআইকে (CBI) ধমক দিল আদালত। তথ্যপ্রমাণ জোগাড় হয়ে গিয়েছে দু’বছর আগেই (BJP leaders Death Case)। তার পরেও কেন অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হল চার বছর পর? প্রশ্ন আদালতের।

    ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন (BJP leaders Death Case)

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হয়েছিলেন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। সেই মামলায় মাত্র দু’দিন আগেই অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। এই চার্জশিটে নাম রয়েছে ১৮ জনের। তার মধ্যে আবার তিনজনই হলেন তৃণমূলের নেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল এবং কলকাতা পুরসভার দুই কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার এবং পাপিয়া ঘোষ। শুক্রবার কলকাতার বিচার ভবন সেই মামলায় ১৮ জনকেই সমন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। পাঠাতে বলা হয়েছে চার্জশিটের প্রতিলিপিও। আদালত এদিন জানিয়ে দেয়, কেবল ওই ১৮ জনই নন, মূল চার্জশিটে যে ২০ জনের নাম রয়েছে, তাঁদেরও সমন পাঠাতে হবে।

    সিবিআইকে ধমক আদালতের

    বিচারকের এই নির্দেশের পর সিবিআইয়ের তরফে আদালতকে জানানো হয়, সকলকে চার্জশিট পাঠাতে তাদের মাসখানেক সময় লাগবে। এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারক। বলেন, “চার বছর পর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিচ্ছেন। এটা কী ম্যাটার অফ জোক? চার বছর ধরে কী করছিলেন? চার্জশিটে তো দেখলাম তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে দু’বছর আগেই।” তিনি বলেন, “তদন্তের অধিকার দেওয়া হয়েছে মানে সেটা আপনাদের খামখেয়ালির ওপর নির্ভর করতে পারে না।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ জুলাই। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, ওই দিনই অভিযুক্তদের আদালতে হাজির থাকতে বলা হবে (BJP leaders Death Case)।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় ভোট পরবর্তী হিংসা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বিজয়ী দল তৃণমূলকে। ওই সময়ই ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিজিৎ খুন হন বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, ২ মে ফল ঘোষণার দিনই অভিজিৎকে পিটিয়ে, গলায় কেবল টিভির তার জড়িয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত অরুণ দে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন গত সপ্তাহে (BJP leaders Death Case)।

  • Shamik Bhattacharya: “তলোয়ার নয়, আমরা তাদের হাতে কলম তুলে দিতে চাই,” ‘মেইডেন স্পিচে’ বললেন শমীক

    Shamik Bhattacharya: “তলোয়ার নয়, আমরা তাদের হাতে কলম তুলে দিতে চাই,” ‘মেইডেন স্পিচে’ বললেন শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি (BJP) মুসলমান বিরোধী নয়, বরং মুসলমানদের হাত থেকে তলোয়ার কেড়ে নিয়ে কলম ধরাতে চায়।” বৃহস্পতিবার কলকাতার সায়েন্স সিটির বিশাল মঞ্চ থেকে কথাগুলি বললেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বস্তুত, এ রাজ্যে বিজেপি এখনও মুসলমানদের ‘কাছের লোক’ হয়ে উঠতে পারেনি। তৃণমূলের চটকদারির রাজনীতিতে (স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ইদের জমায়েতে গিয়ে নমাজ পড়েন) ভুলে গিয়ে ‘স্বজাতি’কেই (পড়ুন, তমান্না খাতুন)খুন করে বসে।

    মুসলিমদের প্রতি বার্তা শমীকের (Shamik Bhattacharya)

    রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের পাল্লায় পড়ে মুসলিমদের এই বিপথগামিতা থেকে সরিয়ে আনতে বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি যে আগ্রহী, এদিন সেই বার্তাই দিলেন শমীক। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে এদিন তাঁর ‘মেইডেন স্পিচে’ শমীক মুসলমানদের কাছে টানার চেষ্টা করলেন আন্তরিকভাবেই। এদিন শমীকের হাতে রাজ্য সভাপতির দায়িত্বের শংসাপত্র তুলে দেন গৈরিক শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাতে শংসাপত্র পাওয়ার পর বঙ্গ বিজেপির নয়া সারথি হিসেবে তাঁর ‘মেইডেন স্পিচে’ শমীক বলেন, “দিনের পর দিন বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বিজেপির লড়াই কোনও মুসলমানের বিরুদ্ধে নয়। যারা পাথর হাতে ঘোরে, তাদের আমরা বই ধরাতে চাই। যারা তলোয়ার নিয়ে রাস্তায় নামে, তাদের হাতে আমরা কলম তুলে দিতে চাই।”

    হিন্দু-মুসলিম সৌহার্দ্যের বার্তা

    হিন্দু-মুসলিম সৌহার্দ্যের বার্তা দিয়ে বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমরা চাই দুর্গাপুজোর বিসর্জন আর মহরমের শোভাযাত্রা একই রাস্তা দিয়ে যাক, এক সঙ্গে, সংঘর্ষ ছাড়াই। আমরা চাই সম্প্রীতির বাংলাকে (BJP) বাঁচাতে।” তিনি বলেন, “এজন্য কোনও দাঙ্গা হবে না, সংঘর্ষ হবে না। কোনও রাজনৈতিক সম্প্রীতির বিভাজন থাকবে না। পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে, বাঁচাতে হবে এর বহুত্ববাদকে। এই মাটিকে রক্ষা করতে হবে। এটাই বিজেপির (Shamik Bhattacharya) লড়াই। এটা আমরা করেও দেখাব।”

    মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতের কথা স্মরণ

    এদিনের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শমীক বলেন, “বাংলার সংখ্যালঘু ভাইবোনেরা সৈয়দ মুজতবা সিরাজ, সৈয়দ মুস্তাফা আলি, এস ওয়াজেদ আলি, নজরুলের কথা শুনবে, না কি কোনও উগ্রপন্থীর কথা শুনবে? না কি হুমায়ুন কবীরের বক্তব্যকে গ্রহণ করবে?” তিনি বলেন, “আপনাকেই চিন্তা করতে হবে, আপনার পরবর্তী প্রজন্ম তলোয়ার নিয়ে রাস্তায় বেরবে, না কি রাস্তায় পাথর ছুড়বে? মুসলমান মানেই সমাজবিরোধী! দেখুন রাজ্যের দিকে তাকিয়ে। মারছে মুসলমান, মরছেও মুসলমানই। কারা এই অবস্থা তৈরি করল?” বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, “আপনারা মনে করলে বিজেপিকে ভোট দেবেন না, কিন্তু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন, গত তিন বছরে পশ্চিমবঙ্গে যত খুন হয়েছে, তার মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা কত। ৯০ শতাংশই মুসলমান খুন হয়েছেন। যারা মারছে আর যারা মরছে, তারা সবাই মুসলমান। আর তাদের পরিবার বলছে সিবিআই তদন্ত চাই।”

    ঘাসফুল বিরোধী সব ভোটকে পদ্মঝুলিতে ফেলার চেষ্টা

    বছর ঘুরলেই রাজ্যে বাজবে বিধানসভা নির্বাচনের ডংকা। তাই তৃণমূলকে (Shamik Bhattacharya) রাজ্য থেকে উৎখাত করতে ঘাসফুল বিরোধী সব ভোটকে পদ্মঝুলিতে ফেলার চেষ্টাও এদিন করেছেন শমীক। বঙ্গ বিজেপির দণ্ডমুণ্ডের নয়া কর্তা বামেদের উদ্দেশে (BJP) বলেন, “বামদের বলছি, ভোট কাটাকাটি করবেন না। পেছনের দরজা দিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় ফেরাবেন না। ২০২৬ সালে নির্বাচন, তৃণমূলের বিসর্জন। তাই যার যা পতাকা আছে, সেগুলি সরিয়ে রেখে আসুন এক সঙ্গে লড়ুন। সমস্ত মত-পথ ভুলে যান। এগিয়ে আসুন। তৃণমূলকে সরিয়ে দিন। তারপর আবার যে যার মত-পথে চলবেন।” তিনি বলেন, “মানুষ শিল্প চায়, চাকরি চায়। অথচ রাজ্যে তা নেই। অথচ আমাদের সোনার বাংলা ছিল। আবার সোনার বাংলা বানাতে হবে।” শমীক (Shamik Bhattacharya) বলেন, “বাংলার মানুষ তৃণমূলের শাসন থেকে মুক্তি চাইছেন।”

    ছাব্বিশের ভোটে বিজেপিই জিতবে

    তবে ছাব্বিশের ভোটে যে আর তৃণমূল আর রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরবে না, এদিন সে কথাও প্রত্যয়ের সঙ্গে জানিয়ে দেন শমীক। বলেন, “তৃণমূল শেষ হয়ে গিয়েছে। আর থাকবে না। তৃণমূলের মুখ কোথায়? মানুষ সবাইকে প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করব। আগামী নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে আমরা ক্ষমতায় আসব।” তবে এ রাজ্যে বিজেপির সংগঠন বিস্তার যে অনায়াস নয়, তা বেশ বোঝেন শমীক। বলেন, “এতদিন ধরে বিজেপি এতটা রাস্তা পেরিয়েছে। সেই রাস্তা কিন্তু মসৃণ ছিল না। আমাদের কর্মীদের ওপর অনেক অত্যাচার হয়েছে, মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও কর্মীরা সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছেন।” তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “আমরা সর্বস্তরের সব নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে এক সঙ্গে লড়াই করব। কোথাও কোনও ভেদাভেদ থাকবে না।” শমীক বলেন, “আগামী নির্বাচনে বিজেপিই জিতছে। পৃথিবীর কোনও শক্তি নেই, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাবেন (BJP)।”

  • Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় প্রথম রায় ঘোষণা, ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত তৃণমূল নেতা

    Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় প্রথম রায় ঘোষণা, ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) শিকার হয়েছিল বেশ কিছু বিজেপি সমর্থক পরিবার (Malda)। দুষ্কৃতীরা রেহাই দেয়নি মালদার বছর নয়ের এক বালিকাকেও। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল, করা হয়েছিল নির্যাতনও। তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্যে এই প্রথম কোনও অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হল। অভিযোগ, চার বছর আগে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে এলাকারই প্রভাবশালী তৃণমূলের এক নেতা। তিনি আবার অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় পকসো আইনে ওই নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করে জেলা আদালত।

    রফিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত (Post Poll Violence)

    মালদা অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতের এডিজে সেকেন্ড কোর্টের বিচারক রাজীব সাহা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রফিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করেন। শুক্রবার ঘোষণা করা হবে সাজা। প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় রাজ্যে এই প্রথম কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। আদলত চত্বরে দাঁড়িয়ে রফিকুলের কঠোর শাস্তির দাবি জানায় নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার মা বলেন, “মেয়ে বাড়ির সামনে খেলা করছিল। তাকে ফুঁসলে ঘরে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি ধর্ষণ করে। বিধানসভা ভোটে বিজেপি করায় আমাদের এই শাস্তি দেওয়া হয়।”

    নির্যাতিতার পরিবার বরাবরই বিজেপি সমর্থক

    স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতার পরিবার বরাবরই বিজেপি সমর্থক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তৃণমূল নেতা রফিকুল ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই বছরই সেপ্টেম্বর মাসে জেলা সফরে আসেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগের মামলায় দায়িত্বভার নেয় সিবিআই। সব মিলিয়ে রাজ্যে সিবিআই মোট ৫৫টি মামলার দায়িত্বভার নেয়। তার মধ্যেই এবার প্রথম ধর্ষণের মামলায় কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হল।

    সিবিআইয়ের আইনজীবীর বক্তব্য

    সিবিআইয়ের আইনজীবী অমিতাভ মৈত্র বলেন, “সিবিআই হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় মোট ৫৫টি মামলার দায়িত্বভার নেয়। তার মধ্যে মালদার ধর্ষণের মামলাটিও রয়েছে। এদিন পকসো আইনে ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচারক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন (Post Poll Violence)। শুক্রবার সাজা ঘোষণা করা হবে। আমরা সর্বোচ্চ সাজার দাবি জানাব।” স্থানীয় সূত্রে খবর, আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া রফিকুল প্রথমে সিপিএম করতেন। পরে যোগ দেন (Malda) তৃণমূলে। তার পরেই “পদস্খালন”।

    পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন

    ২০২১ সালের ২ মে ফল বের হয় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের। বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল। ফল প্রকাশ হওয়ার ঠিক তিনদিন পর থেকেই রাজ্যে বিরোধীদের ওপর শুরু হয় ব্যাপক অত্যাচার। সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় জায়গা করে নেয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধীদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কাহিনি। সংবাদ মাধ্যমের রোজকার খবর হয়ে ওঠে কোথাও ধর্ষণ, কোথাও আবার ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। খুন-জখম-রাহাজানির ঘটনাও ঘটতে থাকে আকছার। এর পর কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় বেশ কয়েকটি রিট পিটিশন। নির্বাচনোত্তর হিংসা মামলায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেয় মানবাধিকার কমিশনও।

    কলকাতা হাইকোর্ট

    আদালতে দেওয়া সাক্ষ্য এবং মানবাধিকার কমিশনের জমা দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির  বেঞ্চ ওই বছরের ১৯ অগাস্ট ভোট (Malda) পরবর্তী হিংসার মামলাগুলি তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের কাছে পাঠানোর নির্দেশ জারি করে (Post Poll Violence)। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সিবিআই ভোট পরবর্তী হিংসার বেশ কয়েকটি ঘটনা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করে। এজন্য সিবিআই কর্তারা একটি তদন্তকারী দলও গঠন করেছিলেন। সেই দলই তদন্ত শুরু করে। তদন্তের পর সিংহভাগ ক্ষেত্রেই দাখিল করা হয়েছিল চার্জশিট। মামলার ফয়সলা যাতে দ্রুত হয়, তাই বিশেষ আইনজীবীও নিয়োগ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা।

    সিবিআইয়ের তদন্ত

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যেসব মামলার তদন্ত করেছিল, তার মধ্যে ছিল মালদার মানিকচকের ওই নাবালিকা ধর্ষণের মামলাটিও। তদন্তে জানা যায়, ওই বছরের ৪ জুন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রফিকুল ইসলাম ওরফে ভেলু (মালদারই একটি সরকারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক) চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ফুঁসলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নির্যাতিতা নাবালিকার খুড়তুতো বোন স্বয়ং। নির্যাতিতা ও তার বছর দশেকের খুড়তুতো বোন ধর্ষণ সম্পর্কে আদালতে জবানবন্দি দেয়। তার পরেই শুরু হয় মামলা। যে মামলায় ভেলুকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় বুধবার। সাজা ঘোষণা করা হবে শুক্রবার। পকসো আইনের ৬ এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবি ধারার অধীনে বারো বছরের (Malda) কম বয়সী নাবালিকাকে ধর্ষণে ভেলুকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত (Post Poll Violence)।

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের পাল্টা জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের পাল্টা জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশ করে তৃণমূল। যুব কংগ্রেসের ব্যানারে রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান করতে গিয়ে (Suvendu Adhikari) বাম আমলে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল কয়েকজন যুব কংগ্রেস কর্মীর। তাঁদেরই ‘শহিদ’ (যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দেন, তাঁদের শহিদ বলে। এটা তো ছিল পার্টির প্রোগ্রাম!) আখ্যা দিয়ে ফি বছর ঘটা করে ২১ জুলাই পালন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল গঠন করলেও, নিয়ম করে শহিদ দিবস পালন করে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

    উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক (Suvendu Adhikari)

    এবারও পালিত হবে ২১ জুলাই। তৃণমূল যেদিন ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করবে, সেদিনই উত্তরকন্যা অভিযানের (Uttarkanya Abhiyan) ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কসবা গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার যুব মোর্চার এক কর্মসূচিতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানালেন, ২১ জুলাই উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সদর দফতর উত্তরকন্যার উদ্দেশে অভিযান করবে বিজেপি যুব মোর্চা। পাশাপাশি ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাকও দিলেন তিনি।

    হবে নবান্ন অভিযানও

    গত বছর ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল সেই ডাক্তারি পড়ুয়ার, যিনি ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই দিনটির স্মরণেই এবার হবে নবান্ন অভিযান।  শুভেন্দু বলেন, “অভয়ার চোখ দিয়ে সেদিন জল নয়, রক্ত বেরিয়েছে। হাঁসখালি থেকে বগটুই – এই সরকার ও তার বাহিনী ধর্ষকদের রক্ষাকারী। তাই এদের ক্ষমতা থেকে সরাতেই হবে।” এদিন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির মধ্যেই ভাষণ দিচ্ছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বৃষ্টি তো দূরের কথা, এই সরকারকে সরাতে গুলি খেতেও রাজি আছি। আমাদের লড়াই চলবে। ২১ জুলাই ওরা কলকাতায় ডিম-ভাত খাবে, আর আমরা উত্তরকন্যায় যাব। কর্মীদের বলছি, নিজের খরচে যাবেন, ভালো করে লড়তে হবে (Uttarkanya Abhiyan)।”

    নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কাছে

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) জানান, নবান্ন অভিযানের আগে তাঁরা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কাছে যাবেন অনুমতি নিতে। নবান্ন অভিযানে তাঁরা যাতে যোগ দেন, সেই অনুরোধও করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা সেদিন পতাকা ছাড়াই আন্দোলনে যাব। অভয়ার স্মৃতিতেই হবে এই প্রতিবাদ। ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানে মমতার সরকারের পতন ঘটানোর ডাকও দেওয়া হবে।” বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “আগামিকালই (বৃহস্পতিবার) নতুন সভাপতিকে স্বাগত জানাব। নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে আসবে নতুন লড়াইয়ের কর্মসূচি।” তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, এটা শেষ নয়, এটা ওদের শেষের শুরু।”

    গণধর্ষণের প্রতিবাদে মিছিল

    কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে প্রথম বর্ষের (Suvendu Adhikari) ছাত্রীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে বুধবার মিছিল ও জনসভা করেন শুভেন্দু। রাসবিহারী মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মিছিল এগিয়ে গিয়েছে কসবার দিকে। মিছিলে বিজেপির মহিলা কর্মী-সমর্থকদের দেখা যায় ঝাঁটা হাতে নিয়ে হাঁটতে। ছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী-সমর্থকরাও। ‘কন্যা বাঁচাও’ স্লোগান তুলে সেই মিছিল গিয়ে শেষ হয় (Uttarkanya Abhiyan) সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের কাছে। সেখানেই হয় সমাবেশ। সেই সমাবেশেই রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে শানিত আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “বাঙালি হিসেবে অন্য রাজ্যে গিয়ে পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ হয়। এ রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অনেক অপরাধ হয়। তবে কোনও প্রতিকার হয় না।” সমাবেশ থেকে অনেক স্লোগান দেন শুভেন্দু। তার মধ্যে রয়েছে, ‘ঝাড়ু মেরে করো সাফ, মমতার সরকার’। ‘এক হাজার ঝাড়ু, এক হাজার মা মিছিল করেছেন।’ ‘কন্যা বাঁচাও, মমতা হটাও।’ ‘ধর্ষকদের ফাঁসি চাই, মমতার পতন দেখতে চাই।’ ‘বিজেপি কর্মীরা গুলি খেতেও তৈরি।’

    জোড়া কর্মসূচির কথা ঘোষণা

    এই সমাবেশেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ঘোষণা করেন জোড়া কর্মসূচির কথা। ২১ জুলাই উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, “ওই দিন চোরেরা কলকাতায় ডিম-ভাত খেতে আসে। আর আমরা উত্তরকন্যা নড়িয়ে দেব (Uttarkanya Abhiyan)।” এর পরেই তিনি জানান, ৫ অগাস্ট তিনি যাবেন অভয়ার বাবা ও মায়ের কাছে, অনুমতি নিতে। শুভেন্দু বলেন, “৫ তারিখে পানিহাটিতে উল্টো রথে যাব। ওই দিন আমি অনুমতি নিতে অভয়ার বাবা-মায়ের কাছে যাব। তাঁদের বলব, পতাকা ছাড়া ৯ অগাস্ট অভয়ার ধর্ষণ-খুনের বর্ষপূর্তিতে নবান্ন অভিযান করতে হবে।”

    মাস আটেক পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Suvendu Adhikari)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার আগে ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশের নামে তৃণমূল ফের একবার নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করিয়ে নিতে চাইছে। বিজেপিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে দেখিয়ে দিতে চাইছে (Uttarkanya Abhiyan), তাদের শক্তি কতটা।

  • BJP: হাতেখড়ি এবিভিপিতে, ’৮২ থেকে যুক্ত দলের সঙ্গে, বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য

    BJP: হাতেখড়ি এবিভিপিতে, ’৮২ থেকে যুক্ত দলের সঙ্গে, বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুকান্ত মজুমদারের উত্তরসূরি হিসেবে বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেডের দায়িত্ব পেতে চলেছেন শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। সর্বসম্মতিক্রমে দলের রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে বুধবার, মনোনয়ন দাখিল করেন শমীক। রাজ্য সভাপতি হিসেবে ঘোষণা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির (BJP) পুরনো মুখ হিসেবেই তাঁর পরিচয়।

    শমীকের নেতৃত্বেই বিধানসভা ভোটে বিজেপি (BJP)

    সম্প্রতি অপারেশন সিঁদুর-এর সাফল্য এবং পাকিস্তানের কর্তৃক ভারতের পহেলগাঁও-এ যে ভয়ংকর জঙ্গি হামলা সংগঠিত হয়, তার পরিপ্রেক্ষিতে সাংসদদের একটি দল পৃথিবীর নানা দেশে গিয়ে ভারতের অপারেশন সিঁদুর, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ, এই বিষয়গুলিকে তুলে ধরেন। সেই দলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সাংসদ হিসেবে জায়গা পান শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বিদেশে গিয়ে তিনি তুলে ধরেন অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের কথা। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদ হিসেবে তাঁর নাম যাওয়ায় অনেকেই সে সময় মনে করেছিলেন, এবার হয়তো গুরু দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে শমীক ভট্টাচার্যকে। অবশেষে মিলেও গেল সেই অনুমান। শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বেই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছে বিজেপি।

    বাগ্মী নেতা হিসেবে পরিচিত শমীক ভট্টাচার্য, প্রথম বিধায়ক হন ২০১৪ সালে

    রাজ্য বিজেপিতে অন্যতম বাগ্মী নেতা হিসেবে পরিচিত শমীক ভট্টাচার্য। তিনি নানারকম দায়িত্ব সামলেছেন। বঙ্গ বিজেপির কঠিন সময়ে তিনি দীর্ঘদিন সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেন। পরবর্তীকালে, ২০১৪ সালে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪-র এই উপনির্বাচনে তৃণমূলের নারায়ণ মুখোপাধ্যায়কে পরাস্ত করেন শমীক ভট্টাচার্য। একক ক্ষমতায় বিজেপি প্রথমবারের জন্য বিধানসভায় জয়লাভ করে। বিধায়ক হন শমীক (BJP)।

    জন্ম ১৯৬৩ সালে, সংগঠনের হাতেখড়ি এবিভিপি-তে, বিজেপিতে যোগদান ১৯৮২ সালে

    শমীক ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৬৩ সালের ৫ নভেম্বর। বর্তমানে তাঁর বয়স ৬২ বছর। শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি বিএ পাশ, পড়াশোনা করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। চলতি বছরের ৩ এপ্রিল তিনি রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। শমীক ভট্টাচার্য নিজেই জানিয়েছেন যে ১৯৮২ সাল থেকে তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত, অর্থাৎ আজ থেকে ৪৩ বছর আগে। প্রসঙ্গত, বিজেপি (BJP) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮০ সালে। বিজেপিতে যুক্ত হওয়ার আগে তাঁর সংগঠনের হাতেখড়ি হয় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ-এর মাধ্যমে। ছাত্র সংগঠনের মধ্য দিয়েই তিনি রাজনীতির পাঠ প্রথম শেখেন। দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ তিনি সামলেছেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর বক্তব্য মুগ্ধ করেছে মানুষকে। এ হেন শমীক ভট্টাচার্যের হাতেই এবার ব্যাটন তুলে দিল বিজেপি। তাঁর নেতৃত্বেই বঙ্গ বিজেপি লড়বে ‘২৬-এর মহারণ।

    সোমবারই বৈঠক হয় নাড্ডার সঙ্গে

    সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, শমীক ভট্টাচার্য ও রবিশঙ্কর প্রসাদকে সঙ্গে নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। এই বৈঠকের পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি পদে শমীকের নাম ঘিরে জল্পনা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে দিলীপ ঘোষের উত্তরসূরি হিসেবে এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। ইতিমধ্যে তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর পদেও রয়েছেন। তবে বিজেপির ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির ফলে রাজ্য সভাপতি পদের পরিবর্তন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।

    বুধবারই মনোনয়ন জমা দেন শমীক

    এর মধ্যেই, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশও চলে আসে কলকাতায়। রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকেই রাজ্য সভাপতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বললেন দিল্লির নেতৃত্ব। এর পরেই, দুপুর ২টা নাগাদ সল্টলেকের রাজ্য বিজেপি দফতরে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। আর কোনও প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেননি। এরফলে তিনি সুকান্ত মজুমদারের উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত হলেন। উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালেই তিনি দিল্লি রওনা দেন। সেখানে গিয়ে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে অংশ নেন।

    ব্যক্তিগত জীবনে পড়াশোনা করতে ভালোবাসেন

    বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের ব্যক্তিগত জীবনটা কীরকম? তা নিয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠরা বলেন, পড়াশোনা করতে তিনি খুব ভালোবাসেন। শমীক ভট্টাচার্য প্রচুর পড়াশোনা করেন। লেখেন কবিতাও। একের পর এক কবিতার বই তিনি নিমেষে শেষ করে ফেলেন। যে কোনও বিষয় নিয়েই তিনি অধ্যবসায় করতে ভালোবাসেন। শমীক ভট্টাচার্য আজও পর্যন্ত যে কোনও বড় রাজনৈতিক বিতর্কসভায় বিজেপির তরফ থেকে প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীও এই মন্তব্য করেন যে, দেশের পাঁচ জন সাংসদের মধ্যে শমীক ভট্টাচার্য একজন। রাজ্যসভায় তাঁর বাগ্মিতা মুগ্ধ করেছে সকলকে। নারী নির্যাতন, দুর্নীতি, রাজনৈতিক সন্ত্রাস প্রভৃতি ইস্য়ুতে বেশ ব্যাকফুটে তৃণমূল। এই রাজনৈতিক আবহে বিজেপি তেড়েফুঁড়ে মাঠে নেমেছে। গেরুয়া শিবির ঝাঁপিয়ে পড়েছে ২০২৬-এর মহারণে, রাজ্যের মসনদ দখলের লক্ষ্যে। রাজ্য জুড়ে গেরুয়া শিবিরের ঝাঁজ বাড়াচ্ছে শাসকবিরোধী আন্দোলনে। তারই মধ্যে বিজেপির নতুন সভাপতির দায়িত্ব পাচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য।

  • BJP: সুকান্তকে বারবার হেনস্তা! ব্যাখ্যা তলব লোকসভার, একই অভিযোগে হাইকোর্টে বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    BJP: সুকান্তকে বারবার হেনস্তা! ব্যাখ্যা তলব লোকসভার, একই অভিযোগে হাইকোর্টে বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপর হামলার ঘটনায় এবার সক্রিয় হল লোকসভার সচিবালয়। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে ব্যাখ্যা তলব করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, তাঁকে একাধিকবার ‘হেনস্থা’ করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে এদিনই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, পুলিশ তাঁকে বার বার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেনস্থা করেছে। পুলিশের ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে মামলা দায়েরের আবেদন জানানো হয় এদিন। আদালত থেকে মামলা দায়েরের অনুমতিও মিলেছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিলেই সুকান্তকে বার বার পুলিশ হয়রানি করছে

    এর আগে, কখনও বজবজে, আবার কখনও খাস কলকাতার বুকে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। এমনকি, তিনি একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছেন পুলিশের হাতে। পরে অবশ্য ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন সুকান্ত। বিজেপির (BJP) অভিযোগ, প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিলেই সুকান্তকে বার বার পুলিশি হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। গেরুয়া শিবির মনে করছে, এর সবটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

    ১৯ জুন বজবজে আক্রান্ত হন সুকান্ত, ভিডিও পাঠানো হয় ওম বিড়লাকে

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৯ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে এক আক্রান্ত বিজেপি কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। সেই সময় তাঁর কনভয় প্রথমে আটকে দেওয়া হয়, এরপর তিনি রাস্তায় নামতেই ইট-পাটকেল, এমনকি জুতো ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। গোটা ঘটনার ভিডিও ফুটেজ-সহ বিবরণ পাঠানো হয় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে। সেই সঙ্গে ‘স্বাধিকারভঙ্গ’-এর অভিযোগও তোলা হয় এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে (BJP) চিঠি দেয় লোকসভার সচিবালয়। ওই চিঠিতে ১৫ দিনের মধ্যে ঘটনার প্রকৃত বিবরণ (ফ্যাকচুয়াল নোট) জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নোট তৈরির জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে ব্যাখ্যা তলব করার কথা বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিবেদন হাতে এলেই তা স্পিকারের কাছে পেশ করবে লোকসভার সচিবালয়।

    কী বলছেন সুকান্তর আইনজীবী?

    অন্যদিকে, এদিন হাইকোর্টে মামলা দায়েরের সময় সুকান্ত মজুমদারের আইনজীবীও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর বক্তব্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিজেপি (BJP) নেতাকে টার্গেট করা হচ্ছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে এই বিষয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। তবে, কোনও জবাব না পাওয়ায় আইনি পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে খবর বিজেপি সূত্রে।

    ১৯ জুনের ঘটনার জেরে তিন পুলিশ আধিকারিকের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে

    এছাড়া ১৯ জুনের ঘটনার জেরে তিন পুলিশ আধিকারিকের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। তাঁরা হলেন ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), এবং স্থানীয় এসডিপিও। সুকান্ত যে চিঠিটি ২০ জুন স্পিকারকে পাঠিয়েছিলেন, তাতে এই তিন জনের বিরুদ্ধেই নির্দিষ্ট অভিযোগ তোলা হয়েছে। সুকান্তর দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর কনভয় ঘিরে হামলা চালায়, ইট-পাটকেল ছোড়ে, গাড়ি ভাঙচুর করে। তাঁর অনেক অনুগামী এতে আহত হন বলে জানিয়েছেন সুকান্ত। পুলিশ সুপার উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কোনওরকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও এসডিপিও ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। লোকসভার সচিবালয় এবার ওই তিন অফিসারের ভূমিকাতেই বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে। ওই চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছেও।

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার

    অন্যদিকে, কসকাকাণ্ডের প্রতিবাদে গত শনিবারই গড়িয়াহাট মোড়ে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি সংগঠিত করে বিজেপি। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি সেদিন দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে গড়িয়াহাট মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন। কিন্তু বিক্ষোভের সময় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অভিযোগ, পুলিশ জোর করে বিজেপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ভাঙার চেষ্টা করে। তখনই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ সুকান্ত মজুমদারকে আটক করে। তাঁকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হয়। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে বিজেপি। তাদের দাবি, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতেই বারবার রাজ্য পুলিশকে ব্যবহার করছে শাসকদল। সুকান্ত নিজেও এই ঘটনার পরে একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করে বলেন, “এক মাসে চারবার আমাকে রাস্তায় আটক করে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে। কোনও অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও আমাকে লালবাজারে এনে বসিয়ে রাখছে।” এই সমস্ত অভিযোগ নিয়েই এবার তিনি (Sukanta Majumdar) দ্বারস্থ হলেন হাইকোর্টে।

  • BJP: রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া, জুলাইতেই ঘোষণা নাড্ডার উত্তরসূরি?

    BJP: রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া, জুলাইতেই ঘোষণা নাড্ডার উত্তরসূরি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিজেপির (BJP) সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মাধ্যমে ত্বরান্বিত হচ্ছে বিজেপির জাতীয় সভাপতির নাম ঘোষণার সম্ভাবনা। নিয়ম অনুযায়ী বা বিজেপির সংবিধান অনুসারে জাতীয় সভাপতির (JP Nadda) নির্বাচন করতে সারা দেশের যে ৩৭টি সাংগঠনিক রাজ্য রয়েছে, তার মধ্যে অন্ততপক্ষে ১৯ সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন করতেই হবে।

    মঙ্গলবারই ১৯টি রাজ্যে সভাপতি নির্বাচন সম্পূর্ণ হতে চলেছে

    মঙ্গলবার ১৯টি রাজ্যে সভাপতি (BJP) নির্বাচন সম্পূর্ণ হতে চলেছে। এই দিনই আবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচন সংক্রান্ত নোটিশ প্রকাশিত হয়েছে। ওই নোটিশ অনুযায়ী, আগামী ৩ জুলাই দুপুরের পর রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। সোমবারই পুদুচেরি ও মিজোরামে বিজেপির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। পুদুচেরিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ভিপি রামালিঙ্গম, অন্যদিকে মিজোরামে দলের দায়িত্বে এসেছেন কে বেইচুয়া।

    কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে শীঘ্রই

    যে রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে অনেকেই পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতি নাম ঘোষণা করা হবে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গেছে। তেলেঙ্গানায় বিজেপি নতুন সভাপতি হিসেবে বেছে নিয়েছে রামচন্দ্র রাউকে এবং অন্ধ্রপ্রদেশে নির্বাচিত হয়েছেন পি.ভি.এন. মাধব। জনগণের মাঝে দুজনের পরিচিতি কিছুটা কম হলেও, তাঁরা দক্ষ সংগঠক বলে দাবি করেছে গেরুয়া শিবির (BJP) ।

    জুলাই মাসেই জেপি নাড্ডার উত্তরসূরির নাম ঘোষণা?

    অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেখানকার বর্তমান কার্যকরী সভাপতি ও চারবারের বিধায়ক রবীন্দ্র চৌহানের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে। উত্তরাখণ্ডে আবার সভাপতি হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পেয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ মহেন্দ্র সিং ঘাটি। এটি তাঁর দ্বিতীয় দফার কার্যকাল। একের পর এক রাজ্যে বিজেপির সভাপতি (BJP) পদের নাম ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহল মনে করছে, চলতি জুলাই মাসেই জেপি নাড্ডার (JP Nadda) উত্তরসূরির নাম ঘোষণাও শুধু সময়ের অপেক্ষা।

LinkedIn
Share