Tag: bjp

bjp

  • Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আরও এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে বিক্ষোভ

    Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আরও এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এখন সিবিআই-এর হেফাজতে। মোটামুটি একটা লম্বা সময়ের জন্য হয়তো জেলে থাকতে হবে তাঁকে। কিন্তু এই সব কিছুর মধ্যে আরও এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এবার । তিনিও সন্দেশখালিতে প্রচুর মানুষের জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি করেছেন। শুধু তাই নয়, এতটাই দৌরাত্ম্য যে খোদ স্কুলের জায়গা দখল করে নিজের ছেলের জন্য মোবাইলের দোকান করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর অত্যাচারে এলাকার মানুষ অত্যন্ত রুষ্ট। তাঁর নাম হল সিদ্দিকি মোল্লা।

    সরকারি জায়গা দখল (Sandeshkhali)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিদ্দিকি মোল্লা হলেন শেখ শাহাজানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তিনি বেড়মজুর ২ (Sandeshkhali) অঞ্চলের প্রধান। এলাকার রামপুর বাগদিপাড়া মোড় হল মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। এই এলাকার স্থানাীয় মানুষের অভিযোগ, “শেখ শাহজাহানের মতো তাঁর বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা চাই। এলাকার মানুষকে শেখ শাহজাহানের ভয় দেখিয়ে প্রচুর জমি দখল করেছেন সিদ্দিকি। সকল মানুষ তাঁকে এক বাক্যে ভয় পান। কিন্তু আজ যেহেতু শাহজাহান এলাকায় নেই, তাই অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই।”

    এলাকায় ফের উত্তেজনা

    গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল বেলা থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এলাকায়। বেড়মজুর এলাকায় নতুন করে মানুষ একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পরুষ, মহিলা এবং চাষিরা। এলাকার এক মহিলা বলেন, “সরকারি জায়গাকে কীভাবে দখল করে সিদ্দিকি নিজের ছেলের জন্য মোবাইলের দোকান তৈরি করলেন? ফলে শেখ শাহজাহান এলাকায় না থাকলেও দুর্নীতি-জবর দখলের পরিসমাপ্তি ঘটেছে না। চ্যালারা এখনও এলাকায় অশান্তির পরিবেশ গড়ে রেখেছে। ফলে মানুষের জমি কীভাবে দখল হয়ে যায় ,এটাই একটা বড় প্রশ্ন। দখলকৃত জমি অবিলম্বে ফেরত চাই।” অপর দিকে এলাকায় অশান্তি ঠেকাতে বাগদিপাড়া মোড়ে প্রচুর পরিমাণে বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    এই বিষয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা হাজি সিদ্দিকি বলেছেন, “এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন, এই জায়গাটা সরকারি খাস জায়গা। কারো কাছে কোনও কাগজপত্র নেই। সরকারি ভাবে স্কুলের অধিকার রয়েছে। যেহেতু পাট্টা নেই, তাই ওখানে মাছের ভেড়ি হয়নি। তাই এলাকার জমি শুকনো। যদি কেউ বৈধ কাগজপত্র দেখান, তাহলে আমি জমি ফিরিয়ে দেবো।” উল্লেখ্য শাহজাহান যখন পলাতক ছিল, সেই সময় এই সিদ্দিকি সংবাদ মাধ্যমকে বুক ফুলিয়ে বলেছিলেন, “এলাকাতেই শাহজাহান রয়েছে।” অবশ্য এই নিয়ে শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে ব্যাপক চাপানউতর তৈরি হয়েছিল।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: পথসভা শেষ করে ফেরার পথে হামলা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে!

    Nandigram: পথসভা শেষ করে ফেরার পথে হামলা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে (Nandigram)। হামলার পিছনের শাসক দলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন রয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল সামনে চলে এসেছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব এই হামলার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nandigram)

    আগামী ১০ তারিখ ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন রয়েছে। সেই জনগর্জনের প্রস্তুতি সভা চলছে জেলায় জেলায়। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের  মহেশপুরে তৃণমূলের পথসভা ছিল। সেই সভা শেষে ফেরার পথেই বৃন্দাবনচকের কাছে একদল দুষ্কৃতী তৃণমূলের কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় দু’জন তৃণমূল কর্মী জখম হন। তাঁদের উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর নাম অশোক দাস ও ভরত দাস। এঁদের মধ্যে অশোক দাস আবার এলাকার প্রাক্তন প্রধানও। এদিন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলার প্রতিবাদে নন্দীগ্রামে (Nandigram) রাস্তা অবরোধ করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। রাস্তার ওপর আগুন জ্বালিয়ে অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে নন্দীগ্রাম-তেখালি সংযোগকারী রাস্তা। ঘটনাস্থলে নন্দীগ্রাম থানা ও তেখালি ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সাহেব দাস। তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। যখনই এমন কিছু ঘটনা ঘটছে, বিজেপির নামে দায় চাপিয়ে দিচ্ছে। আর পুলিশ-প্রশাসন সব এদের। তারপরও যদি এভাবে বিক্ষোভ দেখায়, সেটা দুর্ভাগ্যের বিষয়।আসলে দলীয় কোন্দলে জর্জরিত। নিজেদের কোন্দল ঢাকতে এখন আমাদের দলের নামে দায় চাপাচ্ছে। এসব করে কোনও লাভ নেই।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: স্কুল বন্ধ করেই তৃণমূল কর্মী সম্মেলন! কটাক্ষ বিজেপির

    TMC: স্কুল বন্ধ করেই তৃণমূল কর্মী সম্মেলন! কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল বন্ধ করে তৃণমূলের (TMC) কর্মী সম্মেলন করার অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক লাভলী মৈত্রের উদ্যোগে সোনারপুরের চাঁদমারির অতুলকৃষ্ণ বিদ্যায়তন স্কুলের মাঠে আজ কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। স্কুল বন্ধ রেখেই এই সভা করার অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অরিন্দম গাঙ্গুলি তৃণমূলকে (TMC) তীব্র নিশানা করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনারপুরে বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়। আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডের আগে প্রস্তুতি সভা বলেও দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, দিলীপ মন্ডল উপস্থিত ছিলেন এই সভায়।

    বিজেপির বক্তব্য 

    যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গাঙ্গুলি বলেন, “সোনাপুর (South 24 Parganas) স্কুলের বিষয়টি দুঃখজনক এবং ধিক্কার জানাই। কিছুদিন আগেই নরেন্দ্রপুরে স্কুলে ঢুকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা শিক্ষককে মারধরের ঘটনা ঘটিয়েছিল। এই রাজ্যের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চাইছে তৃণমূল (TMC)। দাম্ভিকতা থেকেই তৃণমূলের এই ধরনের আচরণ। শেখ শাজাহানদের প্রতি যে দরদ, সেই দরদ যদি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি দেখাতেন, তাহলে এই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা আজ অন্যরকম হত।”

    তৃণমূলের বক্তব্য (TMC)

    যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী মাঠে নেমেই ভয় পেয়ে গিয়েছেন বলে পাল্টা কটাক্ষ সোনারপুর (South 24 Parganas) দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অভিনেত্রী লাভলী মৈত্রের। বিজেপির মন্তব্য ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি।

    স্কুল শিক্ষিকার বক্তব্য

    এই বিষয়ে সোনারপুর স্কুলের (South 24 Parganas) প্রধান শিক্ষিকা মনামি নাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ইলেকট্রিকের কাজের জন্য স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। আজকের মধ্যেই কাজ হয়ে যাবে এবং আগামীকাল থেকে ফের স্কুল যথা সময় খুলবে।” উল্লেখ্য নরেন্দ্রপুর স্কুলের ভিতরে ঢুকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ব্যাপক মারধরের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। স্কুলেরই প্রধান শিক্ষকের নামে স্কুলের আর্থিক প্রকল্পের টাকাকে নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয় তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধেও আক্রমণের অভিযোগ ছিল। স্কুলের এই মামলা হাইকোর্টে গড়ালে, বিচারপতি বারুইপুর এসপিকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বহরমপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিচিতি সারলেন বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা

    Murshidabad: বহরমপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিচিতি সারলেন বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে বিজেপির সাংসদ প্রার্থী ডাক্তার নির্মল সাহা আজ সকালে বহরমপুরের স্বর্ণময়ীর বিভিন্ন এলাকায় পায়ে হেঁটে ঘুরে পরিচিতি সারলেন। এদিন দলীয় কর্মসূচিতে প্রচুর কর্মী-সমর্থককে তাঁর সমর্থনে রাস্তায় নেমে ভিড় জমাতে দেখা যায়। দলীয় পতাকা নিয়ে লোকসভার ভোটের সমর্থনে প্রচার শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী। সেই সঙ্গে সন্দেশখালির সরকার আর নেই দরকার স্লোগান উঠল।

    কী বললেন প্রার্থী (Murshidabad)?

    বহরমপুর (Murshidabad) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার নির্মল সাহা বলেন, “বহরমপুরবাসীরা সকলেই আমাকে চেনেন। তবে এই যে নতুন একটা দায়িত্ব নিতে চলেছি সেই বিষয়ে সকলকে অবগত করতেই আজ আমার পথে নামা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিকশিত ভারত গঠনের লক্ষ্যে যে সংকল্প গ্রহণ করেছেন তাকে সার্থক করতে আমরা ময়দানে নেমেছি। একই সঙ্গে বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক লড়াই আমাদের চলবে। সিংহ একটা থাকলে অনেক নেকড়ে-হায়না আক্রমণ করে। কিন্তু সত্য সব সময় একটাই থাকে। দুয়ারে রেশনের নামে মানুষের রেশন লুট করা হয়েছে। রাজ্যের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ পুরো অন্ধকারের মধ্যে চলে গিয়েছে। রাজ্যে কোনও কাজ নেই, তাই আমাদের ছেলেমেয়েদের অন্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হয়। তাই এই ব্যবস্থার বদল হওয়া দরকার। দেশে একটা শক্তিশালী সরকার থাকা ভীষণ জরুরি।”

    একই সঙ্গে এই প্রচার অভিযানে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান শোনা যায়। বিজেপির কর্মীরা বলেন, “চাকরি চুরির সরকার আর নেই দরকার, চাল চোরের সরকার আর নেই দরকার, রেশন চোরের সরকার আর নেই দরকার, সন্দেশখালির সরকার আর নেই দরকার।”

    লোকসভার প্রচার শুরু (Murshidabad)

    উল্লেখ্য আসন্ন লোকসভার ভোটকে ঘিরে বিজেপি এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ২০টি আসনের প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) দুটি লোকসভা কেন্দ্রের নাম ঘোষণা হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের দুই দফায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ সফরে এসে একাধিক সরকারি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গে আরামবাগ, কৃষ্ণনগর, বারাসতে বিরাট জনসভা করেন। এই সভায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেছেন মোদি। তিনি আজ বারাসতের কাছারি ময়দান থেকে বলেন, “সন্দেশখালির জন আন্দোলন এই রাজ্যের মানুষকে মুক্তির পথ দেখাবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: মঞ্চের পিছনে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা করলেন মোদি, শুনলেন অত্যাচারের কথা

    Narendra Modi: মঞ্চের পিছনে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা করলেন মোদি, শুনলেন অত্যাচারের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন বাসিন্দারা। বাড়ির সুন্দরী বউদের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালাতেন তৃণমূলের নেতারা। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন সন্দেশখালির মহিলারা। ঝাঁটা হাতে রুখে দাঁড়়িয়েছিলেন তাঁরা। নারী শক্তির ক্ষমতা সাংবাদ মাধ্যমের দৌলতে রাজ্য তথা দেশবাসী দেখেছেন। এবার সেই সন্দেশখালির নির্যাতিতারা বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর সভায় এসেছিলেন। তৃণমূলের বাধা, পুলিশের সমন তাঁদের আটকাতে পারেনি। নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বক্তব্য শেষ করে মঞ্চের পিছনে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেন। অনেকেই এগিয়ে যান প্রধানমন্ত্রীকে নমস্কার করার জন্য। কিন্তু, তিনি বলেন, আমারই উচিত আপনাদের নমস্কার করা। আপনারাই তো মা দুর্গা। সন্দেশখালির মহিলা প্রতিনিধিরা জানালেন, তাঁরা সব অভিযোগ খুলে বলেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। তিনিও শুনেছেন সব কথা। সন্দেশখালির মহিলারা জানিয়েছেন, এখনও সেখানে অশান্তির পরিবেশ অব্যাহত। এখনও আতঙ্কে মানুষ। সন্দেশখালির এক মহিলা জানালেন,’আমরা বলেছি স্যার, আমাদের রাজ্য পুলিশের ওপর কোনও আস্থা নেই। উনি বলেছেন, আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে দেব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে, সন্দেশখালির মহিলাদের কথা নোটও রাখেন একজন। ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন প্রধানমন্ত্রী। অভয় দেন তাঁদের।

    মোদিকে দেখতে যশোর রোডের দুধারে উপচে পড়ল ভিড় (Narendra Modi)

    এদিন এয়ারপোর্ট থেকে কনভয় করে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বারাসতে আসেন। যশোর রোডের দুধারে কাতারে কাতারে লোকজন প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। মর্জিনা খাতুন নামে এক মহিলা বলেন, আমার আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আমার বাড়ি বনগাঁ। মোদির কথা অনেক শুনেছি। কোনওদিন দেখিনি। এই রাস্তা দিয়ে যাবে বলে দুঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। আসলে এই সুযোগ আমি হাতছাড়া করতে চাইনি। মর্জিনার মতো হাজার হাজার সাধারণ মানুষ এক ঝলক মোদিকে দেখার জন্য সকাল থেকে রাস্তার ধারে ভিড় করে রয়েছেন। ফলে, সময় যত বেড়েছে, পাল্লা দিয়ে রাস্তায় ভিড় তত বেড়েছে। কনভয়ে প্রধানমন্ত্রী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মোদি মোদি….বলে অনেক উৎসাহী জনতাকে চিৎকার করতে দেখা গিয়েছে। রাস্তার দুধারে সাধারণ মানুষের ভিড় এতটাই বেশি ছিল যে তা সামাল দিতে পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। আর বারাসতের কাছারি রোডের জনসভায় তো তিল ধারণের জায়গা ছিল না। বিশেষ করে গোটা সভাস্থল মহিলা ব্রিগেডে পরিণত হয়েছিল।

    সারা দেশজুড়ে সভার সম্প্রচার

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, ‘বিজেপির মহিলা মোর্চার নেতাদের অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি বহু বছর সংগঠনে কাজ করেছি। তাই জানি, এত বড় আকারের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির পরিকল্পনা করা, দেশের সাধারণ মানুষের জীবনের অন্যতম বড় ঘটনা। এবার গ্রামে গ্রামে আমাদের মা, বোন, মেয়েরা নারী শক্তি বন্দনা কর্মসূচির জন্য দৌড়চ্ছেন। আজকের এই বিশাল জনসমাগম প্রমাণ করছে কীভাবে বিজেপি নারী শক্তিকে ভিত্তি করে দেশের উন্নয়নের পথ গড়ছে। বিজেপির শক্তি বন্দনা কর্মসূচির সময় দেশের মহিলাদের কাছে গিয়ে আমরা কথা বলেছি। প্রযুক্তির মাধ্যমে আজকের সভা দেশের প্রায় ২০ হাজার জায়গায় সম্প্রচার করা হচ্ছে। আর তাতে মা, বোনেরা অংশগ্রহণ করেছেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “ছোট বয়সে একটা ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম”, জীবন-যুদ্ধের কাহিনি শোনালেন মোদি

    Narendra Modi: “ছোট বয়সে একটা ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম”, জীবন-যুদ্ধের কাহিনি শোনালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিয়ে থাকেন। কিন্তু বারাসতের সভায় নিজের পরিবার নিয়ে মুখ খুললেন, প্রকাশ করলেন আসল সত্য। সারা দেশের মানুষ তাঁর পরিবার, একথা তিনি এর আগেও একাধিকবার বলেছেন। তবে, কেন সারা দেশের ১৪০ কোটি মানুষ তাঁর পরিবার, বারাসতের সভা থেকে সেই কারণও ব্যাখ্যা করেছেন মোদি।

    গোটা দেশবাসী কেন মোদির পরিবার? (Narendra Modi)

    বারাসতের সভা থেকে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, কিছু মানুষের মনে হয়, কোনও রাজনৈতিক নেতা আমাকে গালি দিয়েছে, তাই আপনাদের সবাইকে নিজের পরিবার বলছি। আসলে আজ সত্যিটা বলছি। আমি অনেক ছোট বয়সে ঘর থেকে একটা ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম। পরিবার ছেড়ে দেশের কোণায় কোণায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। কিছু খোঁজার চেষ্টা করছিলাম। আমার পকেটে কখনও এক পয়সাও ছিল না। অনেক জায়গার ভাষাও আমি জানতাম না। কিন্তু, আপনার জেনে গর্ব হবে, আমার পকেটে পয়সা ছিল না, না কোনও মাথার ওপর ছাদ ছিল। শুধু আমার কাঁধে ঝোলা ছিল। কোনও না কোনও মা-বাবা, কোনও বোন, আমাকে প্রশ্নটা করেই ফেলত, ‘বাবা তুমি কি কিছু খেয়েছো?’ আমি আজ বলছি, সালের পর সাল আমি পরিবার ছেড়ে ছিলাম। আমার পকেটে পয়সাও ছিল না। কিন্তু আমি এক দিনও খালি পেটে থাকিনি। সেই সময় আমার কোনও পরিচয় ছিল না। কাঁধে ঝোলা নিয়ে ঘুরতে থাকা এক যুবক ছিলাম আমি। সেই সময় দেশের অনেক গরিব পরিবারও আমার চিন্তা করেছে। আর তাই আজ আমি দেশের গরিব, মা-বোনেদের জন্য কাজ করছি। কারণ, আমি সেই ঋণ শোধ করছি। তাই আমি বলি, এটাই আমার পরিবার। ১৪৪ কোটি দেশবাসী আমার পরিবার।

    ‘আমার জন্য বাংলার মা-বোনেরা দুর্গার মতো উঠে দাঁড়ায়’

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, ‘আমার জন্য বাংলার মা-বোনেরা দুর্গার মতো উঠে দাঁড়ায়। আজকে দেশের সব পরিবার নিজেদের মোদির পরিবার হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। আজকে দেশের সব গরিব বলছে, আমরা মোদির পরিবার।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘সন্দেশখালির ঝড় সারা বাংলায় আছড়ে পড়বে’, বারাসতে বললেন মোদি

    Narendra Modi: ‘সন্দেশখালির ঝড় সারা বাংলায় আছড়ে পড়বে’, বারাসতে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা-বোনেদের সঙ্গে অত্যাচার করে তৃণমূল ঘোর পাপ করেছে। সন্দেশখালিতে যা যা হয়েছে, তাতে যে কারোর মাথা লজ্জায় ডুবে যাবে। সন্দেশখালির ঝড় সারা বাংলায় আছড়ে পড়বে। বারাসতের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সন্দেশখালি ইস্যুতে তৃণমূলকে এই ভাষাতেই কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তিনি বলেন, আপনাদের দুঃখে তৃণমূলের সরকারের কিছু যায় আসে না। বাংলার তৃণমূল সরকার দোষীদের বাঁচাতে পুরো শক্তি লাগিয়েছে। কিন্তু, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য।

    সারা বাংলায় আছড়ে পড়বে সন্দেশখালির ঝড় (Narendra Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, গরিব, দলিত আদিবাসী মহিলাদের তৃণমূলের নেতারা জায়গায় জায়গায় অত্যাচার করছে। কিন্ত, তৃণমূল সরকারের ভরসা রয়েছে অত্যাচারী নেতার ওপর, বাংলার মা-বোনেদের ওপর এই সরকারের কোনও ভরসা নেই। এই কারণেই বাংলার মেয়েরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। মহিলাদের সেই আক্রোশ শুধু সন্দেশখালি পর্যন্তই সীমিত নেই, সারা বাংলাতেই সন্দেশখালির ঝড় আছড়ে পড়বে। আমি দেখছি তৃণমূলের মাফিয়ারাজ ধ্বংস করতে বাংলার নারীশক্তি জেগে উঠবে। তুষ্টিকরণ আর তোলাবাজদের জন্য রয়েছে তৃণমূল সরকার। এই সরকার মা-বোনেদের রক্ষা করবে না। সন্দেশখালির মহিলারাই দেখিয়েছেন, তাঁদের আওয়াজ শুনবে কেবল বিজেপি। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে সন্দেশখালির মানুষ বারাসতের সভায় এসেছিলেন। সন্দেশখালি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কড়া বক্তব্য শুনে তাঁরা খুশি। সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের হয়ে মোদি তৃণমূলকে আক্রমণ করায় বেজায় খুশি হয়েছেন নির্যাতিতারা।

    মহিলাদের জন্য হেল্পলাইন রাজ্যে চালু হতে দিচ্ছে না তৃণমূল সরকার

    তৃণমূলকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, তোলাবাজদের হয়ে কাজ করা তৃণমূল সরকার মেয়েদের কথা শুনবে না। কেন্দ্রীয় সরকার ধর্ষণের মতো অভিযোগের জন্য ফাঁসির সাজার ব্যবস্থা করেছে। মহিলারা যাতে অভিযোগ জানাতে পারে, তাই মহিলা হেল্পলাইন বানিয়েছে। কিন্তু এখানে এই সুবিধা লাগু হতে দিচ্ছে না। তৃণমূল সরকার মহিলা বিরোধী। মহিলাদের ভালো করতে পারে না এই সরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barasat PM Modi Meeting: বারাসতে মোদির জনসভায় বিজেপি কর্মীদের জন্য থাকছে নিরামিষ থালি

    Barasat PM Modi Meeting: বারাসতে মোদির জনসভায় বিজেপি কর্মীদের জন্য থাকছে নিরামিষ থালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সভায় ডিম ভাত নয়, থাকছে নিরামিষ থালি। বিজেপি কর্মীদের বারাসতের (Barasat) সভায় থাকছে এই খাবারের মেনু। আজ সকাল থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাকে ঘিরে জেলার নানা প্রান্ত থেকে বিজেপি কর্মীদের আসার ঢল নেমেছে। সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মোদি তোপ দাগবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    তালিকায় থাকছে ডাল, ভাত ও সবজি (Barasat)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজকের প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) জনসভায় কর্মীদের জন্য থাকবে নিরামিষ থালি। মধ্যাহ্ন ভোজনের তালিকায় থাকছে ডাল, ভাত এবং সবজি। রাজ্যে যেকোনও বড় রাজনৈতিক জনসভায় নানা খাবারের তালিকা লক্ষ্য করা যায়। তৃণমূলের রাজনৈতিক সভা মানেই ডিম ভাত, আবার বামেদের সভায় থাকে রুটি আলুর দম। এই ক্ষেত্রে বিজেপির তালিকা একটু অন্যরকম।

    লোকসভার আগেই ভোটের প্রস্তুতি

    এদিকে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) ইতিমধ্যে একাধিক সরকারি প্রকল্পের ঘোষণা, শিলান্যাস এবং বড় বড় জনসভা করছেন। এই রাজ্যে গত ১ এবং ২ মার্চ আরামবাগ-কৃষ্ণনগরে রাজনৈতিক সভা করেছিলেন তিনি। তিনি ঘোষণা করেছেন রাজ্যের জন্য একাধিক বড় প্রকল্প। আবার আজ বুধবার ইষ্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে এসপ্লেনেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রো রেলের সূচনা করেছেন। ইতিমধ্যে রাজ্যের ২০ টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে বিজেপির। প্রার্থীরা নিজের নিজের কেন্দ্রে দেওয়াল লিখন, মন্দিরে পুজো দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিয়েছেন।

    কাছারি ময়দান সংলগ্ন এলাকায় খাওয়া-থাকার ব্যবস্থা (Barasat)

    মোদির (Narendra Modi) সভাকে ঘিরে বারাসতের (Barasat) সভায় প্রচুর মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। দলের তরফ থেকে আগত কর্মী-সমর্থকদের জন্য খাওয়া এবং থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাছারি ময়দান সংলগ্ন এলাকায় সব কিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সভাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যানজটের সম্ভাবনাও তৈরী হয়েছে। দলের তরফ থেকে গতকাল দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বারাসতে গিয়েছিলেন সভাস্থল পরিদর্শন করতে। সেখানে গিয়ে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে যে দেশের রাজনীতিতে মোদিই একমাত্র ভরসা। আগামী দিনে মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে মোদির গ্যারান্টি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। সারা দেশে মোদিই একমাত্র বিকল্প।       

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nirmal Kumar Saha: ‘নির্মলবাবু অত্যন্ত ভালো মানুষ’, বিজেপি প্রার্থীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তৃণমূল বিধায়ক

    Nirmal Kumar Saha: ‘নির্মলবাবু অত্যন্ত ভালো মানুষ’, বিজেপি প্রার্থীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত মুখ নির্মলকুমার সাহাকে (Nirmal Kumar Saha) এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে রীতিমতো চমক দিয়েছে বিজেপি । আর বিজেপি-র প্রার্থী তথা জনপ্রিয় চিকিৎসকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। যা নিয়ে জেলা রাজনীতিতে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে।

    কে এই নির্মল সাহা? (Nirmal Kumar Saha)

    প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে এত দিন না থাকলেও সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ পারিবারিক সম্পর্ক নির্মল সাহার (Nirmal Kumar Saha) । কাকা মণিগোপাল সাহা সঙ্ঘের দীর্ঘ দিনের কর্মী ছিলেন। মুর্শিদাবাদ জেলায় আরএসএসের সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নির্মলের বড় দাদা কল্যাণকুমার সাহা মুর্শিদাবাদ চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি। সেই সঙ্গে জেলায় আরএসএস পরিচালিত একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বও রয়েছে তাঁর কাঁধে। তবে, বিজেপি প্রার্থী নির্মলকে কোনওদিনই রাজনীতির আঙিনায় সেভাবে দেখা যায়নি। শল্যচিকিৎসক হিসেবে জেলা জুড়ে খ্যাতি তাঁর। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার রোগীদের বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার করেন তিনি। লোকমুখে এসব কথা মুর্শিদাবাদ জেলায় শোনা যায়। তাই, হিন্দু-মুসলিম, সকলের কাছেই তিনি ডাক্তারবাবু। এ বার রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় মেরুকরণের ঊর্ধ্বে ব্যক্তি নির্মলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে ব্যবহার করেই বৈতরণী পেরোতে চাইছে বিজেপি।

    বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    মঙ্গলবার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, নির্মলবাবুকে (Nirmal Kumar Saha) ব্যক্তিগতভাবে আমি যতটা চিনি তাতে তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়র, অধ্যাপকদের রাজনীতিতে দরকার রয়েছে। সেদিক দিয়ে তাঁর মতো মানুষকে রাজনীতিতে স্বাগত। বিজেপি তাঁকে হেভিওয়েট হিসেবে প্রচার করছেন। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা, চিকিৎসক হিসেবে তিনি হয়তো হেভিওয়েট। তবে, রাজনীতি ময়দানে তিনি সমস্ত এলাকা চেনেন কি না সেটা তিনি ভালো বলতে পারবেন।

    ভোট কাটাকাটির অঙ্কে বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি

    বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে সাতটি বিধানসভা- বড়ঞা, কান্দি, ভরতপুর, রানিনগর, বেলডাঙা, নওদা এবং বহরমপুর। গত লোকসভা ভোটে তৃণমূল ও কংগ্রেসের দ্বিমুখী লড়াই হয়েছিল। আরএসপি প্রার্থী দিলেও বামফ্রন্টগতভাবে লড়াইয়ে নামতে দেখা যায়নি। কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীই জেতেন। যদিও গত বিধানসভা ভোটে উল্টে যায় অঙ্ক। ভোট প্রাপ্তির নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি, তৃতীয় স্থানে নেমে যায় কংগ্রেস। বহরমপুর বিধানসভায় জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী। একাধিক বিধানসভায় বিজেপি-র প্রাপ্ত ভোটও অনেকটাই বেড়ে যায়। এ বার সেই আসনেই ভোট কাটাকাটির অঙ্কে বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি। বহরমপুর বিধানসভা-সহ সংখ্যালঘু কম এমন বিধানসভা এলাকাগুলিতে নিজেদের ভোট ধরে রেখে, চিকিৎসক নির্মলের ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাতেও বাজিমাত করতে চায় বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী তথা চিকিৎসক নির্মল সাহা বলেন, সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলে কিছু হয় না। প্রত্যেকেই মানুষ। মানুষই ঠিক করে দেবেন তাঁদের প্রতিনিধি কে হবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Sarkar: প্রচারে বেরিয়ে চুটিয়ে জনসংযোগ, দেওয়াল লিখলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

    Jagannath Sarkar: প্রচারে বেরিয়ে চুটিয়ে জনসংযোগ, দেওয়াল লিখলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম ঘোষণা হতেই প্রচারে নেমে পড়েছেন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar)। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পুরোদমে চলছে দেওয়াল লিখনের কাজ। মঙ্গলবার নদিয়ার চাকদা বিধানসভা এলাকায় চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী।

    দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেওয়াল লিখলেন প্রার্থী (Jagannath Sarkar)

    নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর (Jagannath Sarkar) নাম ঘোষণা না করলেও দিল্লি থেকে দিন কয়েক আগে রানাঘাট কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৯ সালে সমতলে সবথেকে বেশি ব্যবধানে জেতা প্রার্থী তথা বর্তমান সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে পুনরায় প্রার্থী করেছে বিজেপি। দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকে পুরোদমে ভোট প্রচারে নেমে পড়েছেন বিজেপি কর্মীরা। সেইমতো পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রতিটি জায়গায় প্রচারে যাচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই চলছে বিজেপি প্রার্থীর প্রচার। প্রথমে চাকদা বিধানসভার বিজেপি মণ্ডল পাঁচ এর উদ্যোগে একটি রক্তদান শিবিরে যোগদান করেন তিনি। এরপরই একাধিক জায়গায় দেওয়াল লিখন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। জগন্নাথ সরকার নিজের হাতেই একাধিক দেওয়াল লিখে দলীয় কর্মীদের উৎসাহিত করেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ সহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

    আরও পড়ুন: অপুর ‘পয়া’ টোটো চালিয়ে বাজিমাত করেছিলেন, এবারও সেই টোটোতে প্রচার সুভাষের

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar) বলেন, গতবারও মন্দিরে পুজো দিয়ে আমি প্রচার শুরু করেছিলাম। এবার নাম ঘোষণা হওয়ার পরই মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছি। সমস্ত বিধানসভায় দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষের যা সমর্থন পেয়েছিলাম, এবারের লোকসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষের উন্মাদনা আরও বেশি। প্রচুর মানুষ আমাকে আশীর্বাদ করছেন। গত পাঁচ বছরে মানুষের কাছে যে উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছি,আগামীদিনে আরও যাতে উন্নয়ন পৌঁছে দিতে পারি সেই লক্ষ্য নিয়েই ভোট প্রচার করছি। নরেন্দ্র মোদির হাত শক্ত করতে আগামী পাঁচ বছর আরও বেশি ভোটের ব্যবধানে সাধারণ মানুষ আমাকে জয়ী করবেন বলে আমি আশাবাদী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share