Tag: bjp

bjp

  • Ram Mandir: বিশেষ ট্রেনে সিউড়ি থেকে দেড় হাজার রামভক্ত গেলেন রাম মন্দির দর্শনে

    Ram Mandir: বিশেষ ট্রেনে সিউড়ি থেকে দেড় হাজার রামভক্ত গেলেন রাম মন্দির দর্শনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রেল। দেশজু়ড়ে ‘আস্থা’ নামে বিশেষ ট্রেন চালাচ্ছে রেল। বীরভূমের সিউড়ি বিধানসভা এলাকার বাসিন্দাদের জন্য রেলের এই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবার রেলের এই বিশেষ ট্রেনে করে রামভক্তরা অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দেন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ মার্চ রামপুরহাট থেকেও অযোধ্যাগামী একটি ট্রেন ছাড়বে।

     ‘আস্থা ট্রেন রাম মন্দির যেতে খরচ কত? (Ram Mandir)

    সোমবার দুপুর থেকে সিউড়ি স্টেশনে রামভক্ত এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ভিড় করতে শুরু করেন। বিজেপির পক্ষ থেকে কপালে তিলক কেটে সম্বর্ধিত করার পাশাপাশি তাঁদের থাকা- খাওয়ার জন্য দলের কর্মীদের প্রতিটি কোচে পাঠানো হয়েছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে রওনা হয়ে মঙ্গলবার ২৮ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যায় পৌঁছবে ট্রেন। রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শন সেরে বুধবারেই সিউড়ির উদ্দেশ্যে ফিরতি ট্রেনে রওনা হবেন বীরভূমের বাসিন্দারা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেন ভাড়া বাবদ ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে প্রত্যেককে। রামমন্দির উদ্বোধনের আগে থেকেই মন্দির নিয়ে প্রচার কর্মসূচি নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। ৫ ফেব্রুয়ারি রামমন্দির দর্শনে বীরভূম থেকে অযোধ্যায় গিয়েছিলেন করসেবক ও স্বয়ংসেবক মিলিয়ে প্রায় শ’দুয়েক জেলাবাসী।

    সাধারণ মানুষও নিজেদের খরচে রাম মন্দিরে যাচ্ছেন

    বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় নিজে ট্রেন ছাড়ার সময় স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন। রামভক্তদের তিনি স্বাগত জানান। তিনি বলেন, দেশজুড়ে আস্থা ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে রেল। এবার শুধু সিউড়ি বিধানসভার জন্যই এই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইআরসিটিসির আস্থা প্রকল্প থেকে এককালীন দেড় হাজার যাত্রীর টিকিট বুকিং করা হয়েছে অযোধ্যার জন্য। দলীয় তৎপরতায় এটা সম্ভব হয়েছে। কেবল বিজেপির সদস্যরা নন, নিজেদের খরচে সপরিবার অযোধ্যা যাচ্ছেন সাধারণ মানুষও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কেষ্টর গড়ে ধাক্কা খেল শাসক দল, তৃণমূলের যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Birbhum: কেষ্টর গড়ে ধাক্কা খেল শাসক দল, তৃণমূলের যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে অনুব্রত মণ্ডলের খাস তালুকে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাল বিজেপি। খয়রাশোলের দাপুটে যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নীলমাধব চৌধুরী এবার ভোটের মুখে যোগ দিলেন বিজেপিতে। যুব তৃণমূল নেতার সঙ্গে আরও ৩০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে তাদের দলে যোগ দিয়েছে। এমনিতেই কেষ্ট-হীন বীরভূমে (Birbhum) তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে। কাজল অনুগামীদের সঙ্গে কেষ্ট অনুগামীদের লড়াই লেগেই রয়েছে। এরই মধ্যে নতুন করে দলের দাপুটে যুব তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় শাসক শিবির বড়সড় ধাক্কা খেল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    তৃণমূলে দম বন্ধ হয়ে আসছিল (Birbhum)

    সোমবার বিজেপির বীরভূম (Birbhum) জেলা কার্যালয়ে এই যোগদানপর্ব চলে। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন ওই যুব নেতা। বিজেপিতে যোগদানের পর যুব নেতা নীলমাধব চৌধুরীর বক্তব্য, তৃণমূলের সন্ত্রাসের রাজনীতিকে সমর্থন করি না। ওই দলে দমবন্ধ হয়ে আসছিল। পাশাপাশি মোদিজি যেভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন, তাঁর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এদিন আমার সঙ্গে আরও দুই সাধারণ তৃণমূল নেতা-কর্মী মদন মণ্ডল ও সাধন দাস বৈরাগ্যও ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে যোগ দিয়েছেন। আগামী দিনে তিন হাজার জন যোগদান করবে। যদিও এই দল বদলকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, আসলে স্বার্থ পূরণ হয়নি বলে কেউ দলবদল করেছে। তাতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। লোকসভা ভোটে কোনও প্রভাব প়ড়বে না।

    খয়রাশোলে তৃণমূল গোল্লা পাবে

    বিজেপির বীরভূম (Birbhum) জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, খয়রাশোলে আমাদের সংগঠন ভালো। আর যুব নেতা যোগদানের কারণে সামনের লোকসভা ভোটে আমাদের ভালো ফল হবে। আগামীদিনে আরও অনেকে আমাদের দলে যোগদান করবে। আর তৃণমূল কংগ্রস খয়রাশোলে গোল্লা পাবে। বিজেপির ব্যাপক জয় হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Vote: ভোটের আগে ধাক্কা কংগ্রেসে, ঝাড়খণ্ডের একমাত্র সাংসদ গীতা কোড়া গেলেন বিজেপিতে

    Lok Sabha Vote: ভোটের আগে ধাক্কা কংগ্রেসে, ঝাড়খণ্ডের একমাত্র সাংসদ গীতা কোড়া গেলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের সিংভূমের সাংসদ গীতা কোড়া সোমবার কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন। সে রাজ্যের রাজনীতিতে গত কয়েক মাস ধরেই জল্পনা চলছিল, কংগ্রেস সাংসদ গীতা কোড়া শীঘ্রই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গীতা কোড়া এলেন গেরুয়া শিবিরে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডির উপস্থিতিতে দলের সদস্যপদ গ্রহণ করেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়ার স্ত্রী হলেন গীতা। সিংভূমের হো জনজাতি গোষ্ঠীর উপর ভালোই প্রভাব রয়েছে কোড়া দম্পতির। লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Vote) বিজেপি তার সুফল পাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    কী বললেন গীতা কোড়া?

    বিজেপিতে যোগ দিয়ে গীতা কোড়া বলেন, ‘‘বর্তমানে কেবল মোদিজি দেশের উন্নতি করতে পারেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেভাবে ভারতের সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে বিশ্ব মঞ্চে প্রতিষ্ঠিত (Lok Sabha Vote) করছেন তা প্রশংসনীয়। এখন তাঁর নেতৃত্বে গোটা ভারত এগিয়ে চলেছে ৷ যার সাফল্য সারা বিশ্বও স্বীকার করে নিয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ হয়ে আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।’’ এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের অবহেলা ও বঞ্চনার অভিযোগও আনেন গীতা। তিনি আরও জানিয়েছেন, কোনও শর্তে দলে আসেননি। কর্মী হিসেবে দলের সদস্যপদ নিয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে তাই তাঁরা সততার সঙ্গে পালন করবেন।

    কী বলছেন ঝাড়খণ্ড বিজেপির সভাপতি?

    গীতা কোড়া বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে, ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি বাবুলাল মারান্ডি স্বাগত জানান তাঁকে (Lok Sabha Vote)। ঝাড়খণ্ডের বিরোধী দলের নেতা অমর বাউরিও তাঁর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বাবুলাল মারান্ডি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনকল্যাণমূলক কাজ এবং বিজেপির নীতি দ্বারা প্রভাবিত, চাইবাসার কঠোর পরিশ্রমী সাংসদ তিনি। আজ বিজেপিতে যোগ দিলেন গীতা কোড়া। বিজেপি পরিবারে আপনাকে স্বাগত ও অভিনন্দন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: মুকুল রায়ের বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা, কোন মামলার তদন্তে?

    Mukul Roy: মুকুল রায়ের বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা, কোন মামলার তদন্তে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিটফান্ড মামলার তদন্তে তৃণমূল বিধায়ক মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বাড়িতে যান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির আধিকারিকেরা। সোমবারই কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ মুকুলের বাড়িতে পৌঁছান আধিকারিকরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে মুকুলের সঙ্গে কথাও বলেন তদন্তকারীরা। মুকুলের পুত্র বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘তদন্তকারীদের পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়েছে। তদন্তে তাঁরা খুশি।’’

    ডিমেনশিয়া রোগে ভুগছেন বিধায়ক

    রাজনীতি থেকে অনেকটাই দূরে চলে গিয়েছেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। বর্তমানে তাঁর স্থায়ী ঠিকানা হয়ে উঠেছে কাঁচরাপাড়ার বাড়ি। জানা গিয়েছে, ডিমেনশিয়া রোগে ভুগছেন বিধায়ক। মাঝে মাঝে বাড়ির বারান্দায় দেখা যায় তাঁকে। দিন কয়েক আগেই মুকুলকে ইডি নোটিশ পাঠায়। পুরনো চিটফান্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ইডির দফতরে মুকুলকে তলব করা হয়, তাঁর বয়ান রেকর্ডের জন্য। এই আবহে ইডিকে চিঠি দেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায়। তার পরই সোমবার ইডির তিন আধিকারিক বিধায়কের বাড়িতে আসেন। এ নিয়ে মুকুল-পুত্র (Mukul Roy) শুভ্রাংশু বলেন, ‘‘আমরা প্রথম দিন থেকেই বলে এসেছি যে, সহযোগিতা করব। আমরা চিঠি দেওয়ার পর ওরা বলে বাড়িতে আসবে। আজ এসেছিল। আড়াই-তিন ঘণ্টা ছিল। পুরোপুরি সহযোগিতা করা হয়েছে।’’

    রাজনীতিতে চর্চিত নাম ছিলেন মুকুল রায়

    গত এক দশকে রাজনীতিতে চর্চিত নাম ছিল মুকুল রায় (Mukul Roy)। একদা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ২০১৭ সালে যোগ দেন বিজেপিতে। তারপর থেকে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ পদেও আসেন মুকুল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা তিনি পালন করেন রাজ্যে বিজেপির অভূতপূর্ব সাফল্যে। এরপর ২০২১ সালে প্রথমবারের জন্য রাজ্য বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মুকুল। প্রার্থী হন কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে। ২০২১ সালে ফের তৃণমূল জিতলে পুরনো দলে ফিরে যান মুকুল।

     

    আরও পড়ুুন: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, গুচ্ছ নির্দেশিকা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “ভাইদের কর্মকাণ্ডের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী মুখ দেখাতে পারছেন না”, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “ভাইদের কর্মকাণ্ডের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী মুখ দেখাতে পারছেন না”, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইদের কর্মকাণ্ডের জন্য সন্দেশখালির মহিলাদের সামনে নিজের মুখ দেখাতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই, বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী গেলেও সন্দেশখালিতে তিনি যাচ্ছেন না। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন, সন্দেশখালি আসলে তার জন্য চোরাবালি হয়ে উঠেছে। আর চোরাবালিতে গেলে তিনি ভিতরে ঢুকে যাবেন, তাই তিনি সন্দেশখালিমুখো হতে সাহস পাচ্ছেন না। ওনার ভাই শেখ শাহজাহানরা যা কাণ্ড করেছেন, তারপরে উনি কোন মুখ নিয়ে ওই সন্দেশখালির মহিলাদের সামনে দাঁড়াবেন?

    বিজেপি-র জন্য ১৪৪ ধারা! (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, যেভাবে সন্দেশখালিতে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া হয়েছিল, তার প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। তাই অজিত মাইতির মতো নেতাদের সাধারণ মানুষ তাড়া করছেন। মানুষ কোনও বাধা মানতে চাইছে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব শাহজাহান ও তাঁর সঙ্গীসাথীদের গ্রেফতার করা উচিত। এদিকে এদিন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে আটকানোর সমালোচনা করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। শাসক দলের নেতা ও বাম নেতাদের সেখানে ঢুকতে গেলে কোনও সমস্যা হচ্ছে না, কিন্তু বিজেপি বা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে।  শুধু তাই নয়,  মিডিয়াকেও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। গ্রেফতার করা, মারধর করা, বের করে দেওয়া চলছেই। আসলে সন্দেশখালির  ঘটনা লুকাতে চাইছে শাসক দল। তাই যা যা করার, সব করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সব বুঝছে।

    এইমস নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    এদিকে কল্যাণীতে এইমস উদ্বোধনের পর উত্তরবঙ্গের এইমস নিয়েও সরব হলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কল্যাণী এইমস উদ্বোধনের আগে কল্যাণী জুড়ে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে ভরিয়ে তোলা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র না দেওয়াকে কটাক্ষ করেছেন সুকান্তবাবু। তিনি বলেন, এইমস তৈরিতে মুখ্যমন্ত্রীর এক পয়সা কোনও দান নেই। রাজ্য শুধু জমি দিয়েছে, তাও ভূতুড়ে বাড়ির মতো জমি দেওয়া হয়েছিল। এখন এইমস তৈরি হওয়ায় জায়গাটা সেজেগুজে উঠেছে। আবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা কোনও বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এমনিতেই আসেন না। তবুও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিয়ে ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ  ছাড়পত্র না দিয়ে আসলে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। মানুষের স্বার্থে, উন্নত পরিষেবার স্বার্থে এইমস তৈরি হচ্ছে। তাতে বাধা দিতে এলে মানুষেরই কাজে বাধা দেওয়া। তাই এমন হাসপাতালের সংখ্যা আরও বেশি বেশি করে হওয়া উচিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘জেলায় জেলায় শাহজাহান বসিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘জেলায় জেলায় শাহজাহান বসিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু সন্দেশখালি নয়, জেলায় জেলায় একজন করে শেখ শাহজাহান বসিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তারা  করে কম্মে খাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হয়েও সন্দেশখালির ঘটনায় নীরব রয়েছেন। মূল অভিযুক্তকে আড়াল করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মহিলাদের সঙ্গে ছলনা করছেন। রবিবার দিল্লি থেকে বালুরঘাট যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

      শাহজাহান গ্রেফতার না হওয়া নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    সন্দেশখালি ইস্যুতে এদিন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় সরব হন। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, সন্দেশখালিতে জমি দখল, মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরও পুলিশ মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে এখনও গ্রেফতার করেনি। পুলিশ শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করবে না। কেননা শেখ শাহজাহানের হয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফাই গেয়েছেন। তিনি হোম মিনিস্টার। তার অধীনে রয়েছে পুলিশ। তাই পুলিশ কীভাবে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করবে? তবে, তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিজেপি আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করাতে বাধ্য করাবে।

    পুলিশ দেখলে ক্ষেপে যাচ্ছে সন্দেশখালিবাসী

    রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে নয়, তাঁর সাম্রাজ্য সামলাতে গিয়েছিলেন। শাহজাহান তাজমহল বানাচ্ছেন। তাই ডিজি গিয়েও শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারেননি।  বরং পুলিশ দেখলে সন্দেশখালির মানুষ এখন  ক্ষেপে যাচ্ছেন। কেননা এই পুলিশই দিনের পর দিন শাহজাহানদের নিয়ে রেইকি করেছে কবে কোন সুন্দরী মহিলাকে কীভাবে রাতে তুলে আনতে হবে। পুলিশের ওপর এলাকার মানুষের কোনও ভরসা নেই। পুলিশ দেখলেই তারা ক্ষেপে উঠছে। সন্দেশখালির মতো রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই নারীদের ওপর নির্যাতন ও জমি দখল চলছে বলে অভিযোগ করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, শিলিগুড়িতেও তৃণমূলের মদতে জমি দখল চলছে। তৃণমূল নেতাদের এই কাজে সহযোগিতা করে বিএলআরও, ডিএম’রা পয়সা পাচ্ছেন। তাই তারা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। আমরা রাজ্যে ক্ষমতায় এলে বিএলআরও ডিএম’দের জেলে ভরবো।

    ইন্ডিয়া জোট নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    কোনও জোট করে কংগ্রেস সুবিধা করতে পারবে না বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস এখন ডুবন্ত জাহাজ। বেঁচে থাকার  জন্য খড়কুটোর মতো কখনও কংগ্রেস কখনও  সিপিএমকে আঁকড়ে ধরতে চাইছে। কখনও সাপের কখনও ব্যাঙের গালে চুমু খেয়ে কংগ্রেসের লাভ হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: সন্দেশখালির আন্দোলনকে সমর্থন নন্দীগ্রামের নির্যাতিতাদের

    Nandigram: সন্দেশখালির আন্দোলনকে সমর্থন নন্দীগ্রামের নির্যাতিতাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন নির্যাতিতারা। এই নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়ালেন নন্দীগ্রামের (Nandigram) নির্যাতিতারা। এই লড়াই চেনা ঠেকছে নন্দীগ্রামের রাধারানি আড়ি, কল্পনা মুনিয়ান, হৈমবতী দাসদের। দেড় দশকের ব্যবধানে রাজ্যের দুই প্রান্তের নির্যাতিতাদের স্বর মিলে যাচ্ছে।

    সন্দেশখালির অত্যাচার নিয়ে সরব নন্দীগ্রামের নির্যাতিতারা (Nandigram)

    ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে (Nandigram) গুলি চালনার পরে রাধারানিকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল সিপিএমের ‘হার্মাদ বাহিনী’র বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। পরে ফিরেছেন গোকুলনগরের বাড়িতে। ৬৬ বছরের রাধারানি বলেন, বাড়িতে টিভি নেই। লোকজনের মুখে শুনছি, সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। তবে তারাও আমাদের মতো আন্দোলন করছে জেনে ভাল লাগছে। তবে, কেউ আর আমাদের খোঁজ রাখে না। যা বুঝলাম, যে যখন শাসক,দুর্বৃত্তরা তার ছত্রছায়াতেই থাকে। ২০০৭ সালের নভেম্বরে সোনাচূড়ার কল্পনা মুনিয়ান এবং হৈমবতী দাসকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল। নিশানায় ছিল সেই ‘হার্মাদ বাহিনী’। পরে স্থানীয়রাই তাঁদের এগরার কাছে উদ্ধার করে। কল্পনাও বলছেন, “এই অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে সন্দেশখালির শাহজাহানদের গ্রেফতার করা উচিত।” কল্পনার বাড়ির কাছেই থাকেন হৈমবতী। তিনি বলেন, “বরাবর শাসকদের লক্ষ্য মহিলারা। বয়স হয়ে গিয়েছে। তবু সন্দেশখালিতে গিয়ে অত্যাচারিত মা- বোনেদের পাশে দাঁড়াতে ইচ্ছে করছে।”

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দু’দিন আগেই দাবি করেছেন, “দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম হতে চলেছে সন্দেশখালি।” একই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের গলাতেও।  নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, এসবের পিছনে রাজনীতি আছে। সন্দেশখালি আর নন্দীগ্রাম এক নয়।  বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন,  “নন্দীগ্রামের শহিদ পরিবার থেকে অত্যাচারিত মায়েরাও তৃণমূলের দ্বিচারিতা বুঝে এখন তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাই তাঁদের গায়ের রাজনীতির রং লাগাতে চাইছে তৃণমূল।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখল, ছাত্রীর পড়াশোনা বন্ধ শাহজাহানের অত্যাচারে!

    Sandeshkhali: বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখল, ছাত্রীর পড়াশোনা বন্ধ শাহজাহানের অত্যাচারে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে শেখ শাহজাহান, শিবু হাজার, উত্তম সর্দার ও সিরাজের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে বিস্ফোরক হয়েছেন গ্রামবাসীরা। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ৬ বিঘা জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বোসের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার এক গ্রামবাসী। অপর দিকে জানা গেল, শাহজাহান-সিরাজের অত্যাচারে স্নাতক হয়ে উঠতে পারেননি বেড়মজুর এলাকার প্রতিবাদী মৌ কোয়েলি সর্দার।

    গত শুক্রবারের পর শনিবার ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের দেখে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন। এরপর দুইজন গ্রামবাসীকে আটক করে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে এডিজি সুপ্রতিম সরকার টহল দেন। যদিও রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক স্পষ্ট করে জানান, “শাহজাহানের নামে নির্দিষ্ট করে কোনও অভিযোগ নেই।” আর এই মন্তব্যে ব্যাপক চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।

    বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখল!

    কর্ণখালির (Sandeshkhali) বাসিন্দা হরেকৃষ্ণ দাস অভিযোগ তুলে বলেন, “শাহজাহান বাহিনী আমার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে জমি জোর করে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বন্দুকের সামনে বাবা একদম ভয় পাননি। প্রতিবাদ করেছিলেন। এরপর আমাকে মেরে পা ভেঙে দিয়েছিল। আমাদের পরিবার এই চাষের উপর নির্ভর করে চলে। সমস্ত জমি দখল করে জল ঢুকিয়ে দিয়েছিল ওরা। প্রতিবাদ করেছিলাম বলে ৪ দিন জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৬ বিঘা জমি দখল করে নিয়েছিল ওরা।” এদিন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সন্দেশখালিতে গেলে এই ভাবেই এলাকার দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামের মানুষ। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীরা আরও বলেন, “মন্ত্রীরা নিয়ম করে আগে এসে নিপীড়িত মানুষের কথা শুনলে আজকের মতো পরিস্থিতি হত না।”

    সিরাজের অত্যাচারে বন্ধ হয়েছে পড়াশুনা

    ২০২১ সালের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে (Sandeshkhali) ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল সিরাজের বাহিনী। এই সময় কোয়েলির মোবাইল লুট করে নেয় দুষ্কৃতীরা। অপরদিকে সেই সময় করোনাকালে পড়াশুনার একমাত্র মাধ্যম ছিল এই মোবাইল এবং অনলাইন। মোবাইল না থাকায় আর পড়াশুনা করা হয়ে ওঠেনি তার পক্ষে। কোয়েলি জানিয়েছেন, “শেখ শাহজাহান এবং সিরাজ সেই সময় আমাদের উপর ব্যাপক অত্যাচার করে। কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিলাম। তখন আমাদের অনলাইনে পড়াশুনা এবং পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপার ছিল। ফোনটা লুট করে নিয়েছিল তাই আর পরীক্ষা দিতে পারিনি। যারা পড়াশুনা করছিল তাদের সকলের নামে মিথ্যা কেস দেওয়া হয়েছিল। এমনকি অধ্যাপকদেরও নামে কেস দেওয়া হয়েছিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে

    Sandeshkhali: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে। শুধু জোর করে দখল নয়, বর্গা রেকর্ড পর্যন্ত করেছে পলাতক তৃণমূল নেতা শাহজাহানের ভাই সিরাজ। একের পর এক জমি দখল করে এলাকার জমির চরিত্রটাই বদল করে দিয়েছে এই নেতারা। সাধারণ মানুষের জমি কেড়ে ভেড়ির সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তাঁরা। ঠিক এই ভাবেই বিস্ফোরক অভিযোগ করে সরব হয়েছেন সন্দেশখালির মহিলারা।

    জমিহারা মহিলার বক্তব্য

    তৃণমূল নেতার কাছে জামিহারা বেড়মজুর গ্রামের বাসিন্দা মৌসুমী হালদার বলেন, “সিরাজুদ্দিন এলাকায় (Sandeshkhali) সিরাজ ডাক্তার নামে পরিচিত। শেখ শাহজাহানের ভাই। এই বাহিনী আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এক বিঘা কৃষিজমি দখল করে নিয়েছে। আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে, শ্বশুরকে ব্যাপক মারধর করেছে। সেই সঙ্গে আমার বাচ্চাদেরকে প্রাণনাশ করতে পারে, এই ভয়ে আমি কিছু বলতে পারিনি।”

    আর কী অভিযোগ?

    শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মৌসুমী হালদার আরও বলেন, “আড়াই লাখ টাকা দিয়ে আমার কেনা জমি ছিল। কিন্তু সন্তানের দিকে তাকিয়ে, প্রাণের ভয়ে সিরাজের হাতে তুলে দিতে হয়েছিল জমি। রেজেস্ট্রি অফিসেই জোর করে আমাকে দিয়ে সই করিয়ে নেওয়া হয়। সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ সিরাজের কাছে যাওয়ার কথা বলে। থানার মধ্যেই সিরাজের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হুমকির মধ্যে পড়তে হয়। এলাকায় বিজেপি সমর্থক সন্দেহে আমাদের উপর অত্যাচার করা হয়। বাড়িতে এসে সিরাজের নির্দেশে অমিত হালদার, বিনয় সর্দার, পঙ্কজ গায়েন, লিয়াকতরা হামলা করে। জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায় ওরা। এমনকি লাথি মেরে ভাতের হাড়ি পর্যন্ত উলটে দেয়। সেই সঙ্গে আমাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়।”

    ঘটনায় এলাকার বাসিন্দা গোপাল হালদার বলেন, “শাহজাহান-সিরাজকে গ্রেফতার না করলে এলাকায় শান্তি ফিরবে না।” আবার স্থানীয় প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “পুলিশ ক্যাম্প হওয়ায় মার খাওয়ার ভয় নেই। কিন্তু জমি ফেরত পাওয়া যাবেনা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মৃত বৃদ্ধার বার্ধক্যভাতার টাকা মাসের পর মাস তুলে নেওয়া হচ্ছে! কাঠগড়়ায় তৃণমূল

    South 24 Parganas: মৃত বৃদ্ধার বার্ধক্যভাতার টাকা মাসের পর মাস তুলে নেওয়া হচ্ছে! কাঠগড়়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মাসের পর মাস উঠে যাচ্ছে বার্ধক্য ভাতার টাকা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মন্দির বাজার বিধানসভার কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। তৃণমূলের পঞ্চায়েত হাতছাড়়া হতেই এই দুর্নীতি সামনে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,  মৃত বৃদ্ধার নাম অনুমতি হালদার। তাঁর বয়স ৭৫ বছর। ২০২০ সালের ৪ঠা জুন তাঁর মৃত্যু হয়। সেই মর্মে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সেই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর কয়েক মাস পরেও তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে  প্রতিমাসেই বার্ধক্য ভাতার টাকা তুলে নেওয়া হয়। আর যা দেখে চক্ষু চরক গাছ তার পরিবারের লোকেদের। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলিতে দুর্নীতির আঁতুরঘর, এমনটাই অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। জানা গিয়েছে, এতদিন গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল বোর্ড ছিল। গত পঞ্চায়েতে বিরোধী জোট পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসে। স্থানীয় এক ব্যক্তি আরটিআই করেন। আর তাতেই পরিষ্কার হয়ে যায় সমস্ত বিষয়টি। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    অনুমতি হালদার হালদারের নামে শুধুমাত্র একটি বার্ধক্য ভাতার অ্যাকাউন্ট নয়। রয়েছে দু দুটি বার্ধক্য ভাতার অ্যাকাউন্ট। একটিতে তাঁর নামের সঙ্গে তাঁর অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া থাকলেও অন্যটিতে তাঁর নামের পাশে অ্যাকাউন্ট নম্বরটি অন্যজনের। কিন্তু সেই নম্বরটি কার তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। মৃতের ছেলে সঞ্জীবন হালদার বলেন, এই বিষয় নিয়ে সঠিক তদন্ত হোক। কে বা কারা আমার মায়ের নাম করে দুটি  অ্যাকাউন্ট থেকে দিনের পর দিন টাকা তুলছে তার অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতা মোহন হালদার বলেন, এই সমস্ত কিছুই হয়েছে তৃণমূলের বোর্ডে। সেই সময়ে পঞ্চায়েতের দায়িত্ব থাকা প্রধান ও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির মদতে এসব দুর্নীতি হয়েছে। আমরা দোষীদের শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় পাইক বলেন, এখনও আমাদের কাছে এই ধরনের কোনও অভিযোগ আসেনি। এমন যদি হয়ে থাকে তার সঠিক তদন্ত করা হোক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share