Tag: bjp

bjp

  • Sandeshkhali: আজ ফের সন্দেশখালিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    Sandeshkhali: আজ ফের সন্দেশখালিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, কথা বলবেন গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে। গতকাল শুক্রবারের পর শনিবারেও সন্দেশখালিতে যাচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সম্প্রতি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। তৃণমূলের অত্যাচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে গ্রামবাসীরা রাস্তায় নেমেছেন। একাধিক বার অগ্নি সংযগের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। বিজেপি বার বার মানুষের মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে ব্যাপক ভাবে সরব হয়েছে।

    নিপীড়িতদের বক্তব্য শুনবে কমিশন (Sandeshkhali)

    গতকাল শুক্রবার মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গিয়েছিলেন। শুনেছেন নিপীড়িত মহিলাদের বক্তব্য। আজ শনিবার ফের একবার সকাল ১১ টায় একটি লঞ্চে চেপে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা। মানুষের মানবাধিকার নিয়ে কমিশন যে উদ্বিগ্ন, তা স্পষ্ট। এর আগেও সেখানে গিয়েছিল জাতীয় তফশিলি কমিশনের প্রতিনিধি দল। যদিও তাঁদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। একই ভাবে এলাকার মহিলাদের অভিযোগের কথা শুনে গিয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশন। নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান রেখা শর্মা। এই অত্যাচার, নিপীড়ন, গণধর্ষণ ও সেই সঙ্গে প্রশাসনের আইনের শাসন না থাকায় জাতীয় তফশিলি কমিশন এবং জাতীয় মাহিলা কমিশন – উভয়পক্ষ রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছে। একই ভাবে আবার রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশন এলাকা পরিদর্শনে যায়। এই দলে ছিলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস। পরামর্শদাতা ছিলেন সুদেষ্ণা রায় সহ মোট ছয়জনের প্রতিনিধি। তাঁরাও গ্রামে ঘুরে ঘুরে এলাকা পরিদর্শন করেন। ইতিমধ্যে আবার সন্দেশখালিতে জাতীয় আদিবাসী কমিশনের যাওয়ার কথা জানা গিয়েছে।

    ৫ জানুয়ারি থেকেই উত্তপ্ত সন্দেশখালি

    তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারের কারণে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। গত ৫ জানুয়ারি থেকেই উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি, রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে যায়। এরপর এলাকার দুষ্কৃতীরা তদন্তকারী অফিসারদের উপর আক্রমণ করে। আর এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক হন শেখ শাহজাহান। এরপর এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, বাড়ির বউদের পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে অত্যাচারের কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে পথে নামেন গ্রামবাসীরা। ইতিমধ্যে হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    South 24 Parganas: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যাগ বা একশো দিনের কাজ নয়, এবার অর্থ কমিশনের লক্ষ লক্ষ টাকা নয় ছয়ের অভিযোগ সামনে এলো রাজ্যে। আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতির পর এবার কেন্দ্রের বরাদ্দ পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় নয়ছয় হয়েছে। আর এই ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নামখানা ব্লকে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। যদিও বিডিও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে এই দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছে বিজেপি। অপর দিকে পালটা তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। কিন্তু ফের একবার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    মূল অভিযোগ কী (South 24 Parganas)?

    স্থানীয় (South 24 Parganas) সূত্রে জানা গিয়েছে, নামখানা ব্লকের পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকায় ২০২২-২৩ অর্থ বর্ষে ১৫ লক্ষ টাকার বেশি নয়ছয় হয়েছে। এই অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্লকের নামখানা পঞ্চায়েতের বাসিন্দা স্নেহাশিস গিরি। তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে ব্লকের নামখানা, বুধাখালি, হরিপুর, শিবরামপুর ও নারায়ণপুর পঞ্চায়েত অঞ্চলে ২০২২-‌২৩ অর্থবর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করেনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। অর্থ কমিশনের টাকা এলাকার রাস্তা, নিকাশি এবং পানীয় জলের প্রকল্পে খরচ হওয়ার কথা। কিন্তু কাজের টেন্ডার এবং লেনদেনে মোট ১৬৫টি বেনিয়ম হয়েছে।” এবার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এলাকার বিডিও। যদিও ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব দুর্নীতি মানতে নারাজ।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির মথুরাপুর (South 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলার জেলা সম্পাদক বিপ্লব নায়েক বলেন, “এই যোজনার টাকা সবটাই লুট হয়েছে। অবিলম্বে চোরেদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। বিডিও দুর্নীতির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে তৃণমূলেরই পক্ষ নিয়েছেন।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    নামখানার (South 24 Parganas) তৃণমূল নেতা অভিষেক দাস এই আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে বলেছেন, “পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকাকে প্রকল্পের প্রতিটি ধাপে নিয়ম মেনে কাজের জন্য খরচ করা হয়েছে। কোনও অভিযোগের বাস্তব ভিত্তি নেই। তদন্ত হলে সত্যতা প্রমাণ হবে।”     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী শাহজাহান’, কংগ্রেসের অফিসে ব্যঙ্গাত্মক পোস্টারে শোরগোল

    Sheikh Shahjahan: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী শাহজাহান’, কংগ্রেসের অফিসে ব্যঙ্গাত্মক পোস্টারে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী শাহজাহান (Sheikh Shahjahan), তোমাকে জানাই স্যালুট, সুশীল নাগরিকবৃন্দ’। এমনই পোস্টার লক্ষ্য করা গেল কংগ্রেসের কার্যালয়ে। গত বুধবার পার্টি অফিসের সামনে পাঁচিলের লোহার গ্রিলে লাগানো এই পোস্টার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার শহরের মধ্যেই। পোস্টারের এমন ব্যঙ্গাত্মক টিপ্পনী দেখে অনেকেই হাসাহাসি করছেন। যদিও কংগ্রেসের দাবি, এই বিষয়ে দলের কোনও ভূমিকা নেই। অন্যদিকে রাজ্য পুলিশের ডিজি দেড় মাস পরে সন্দেশখালিতে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করলেও এখনও গ্রেফতার হননি শাহজাহান। উল্টে আরও নটি জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। 

    কংগ্রেসের বক্তব্য

    আলিপুরদুয়ার জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি শান্তনু দত্ত বলেন, “আমাদের জেলার দলীয় দফতরটি শহরের এমন একটি স্থানে যে সেখানে অনেক মানুষ যাতায়াত করেন। তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। তবে এই পোস্টারের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আলিপুরদুয়ার শুধু নয়, গোটা বাংলার মানুষের তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। সাধারণ মানুষের মনে প্রবল অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ঘটনায় জেলার তৃণমূল নেতা মৃদুল গোস্বামী বলেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের সঙ্গে এই রাজ্যে কংগ্রেস এবং সিপিএম জোট করেছে। কিন্তু কংগ্রেসের পার্টি অফিসে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) এই ধরনের পোস্টার এবং ব্যানার অত্যন্ত অনভিপ্রেত। কংগ্রেস বিজেপির হয়ে কাজ করছে। শাসক দলকে বদনাম করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনায় আলিপুরদুয়ার বিজেপির জেলা সভাপতি বলেন, “রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলের শাসনে রয়েছে। তৃণমূল চাইলে পুলিশকে দিয়ে সন্ধান করুক এই ঘটনার পিছনে কারা রয়েছে। শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ঘিরে ব্যানার এবং পোস্টারে স্পষ্ট হয়েছে যে সাধারণ মানুষ তৃণমূলের উপর ব্যাপক ভাবে ক্ষুব্ধ। আর তাই তৃণমূল ভয় পেয়ে সব কিছুর মধ্যে বিজেপির ভূত দেখছে। ওই দুষ্কৃতীর গ্রেফতার চাই।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বিজেপি-র মহিলা মোর্চাকে বাধা! শাহজাহান অনুগামীর ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দিল জনতা

    Sandeshkhali: বিজেপি-র মহিলা মোর্চাকে বাধা! শাহজাহান অনুগামীর ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দিল জনতা

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার বার বাধা দেওয়ার পর আদালতের নির্দেশে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালি (Sandeshkhali) গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। শুক্রবার সন্দেশখালি পথে রওনা দেন বিজেপি-র মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরা। লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতৃত্ব সন্দেশখালির পথে এদিন রওনা দেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভোজেরহাট এলাকায় দিয়ে তাঁদের সন্দেশখালি যাওয়ার কথা। ভোজেরহাট এলাকায় পুলিশ তাঁদে বাধা দেয়। আর মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরা সন্দেশখালি যেতে পারেননি। বিজেপি-র প্রতিনিধিদের যখন ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তখন সন্দেশখালি জ্বলছে। পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালি গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথাও বলেন।

    শাহজাহান অনুগামীর ভেড়ির আলাঘরে আগুন (Sandeshkhali)

    বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজুদ্দিনের মাছের ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার  কাছাড়ি এলাকায় শাহজাহানের অনুগামী বলে পরিচিত তৈয়েব খানের মাছের ভেড়ির আলাঘর পুড়ে খাক। স্থানীয়দের বক্তব্য, তৈয়েব এলাকার মানুষের জমি দখল করে মাছের ভেড়ি করেছিলেন। কাউকে কোনও টাকাপয়সা দেননি। চাইতে গেলে হুমকি দিতেন। ফলে, বহুদিন ধরেই শাহজাহানের এই অনুগামীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ বা়ড়ছিল। শুক্রবার কার্যত বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, শাহজাহানের পাশাপাশি তাঁর অনুগামীরাও এলাকায় তাণ্ডব চালাত। ভয়ে আমরা কেউ কথা বলতে পারতাম না। নিজেদের স্বার্থের তারা জমি দখল করে রাখত। ইডি-র ওপর হামলার পর শাহজাহান ফেরার হয়ে যায়। তাঁর অনুগামীরাও সব বেপাত্তা হয়ে যান। এর আগে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন মহিলারা। শাহজাহানের ভাইয়ের ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার পর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এতদিন অসহায় গ্রামবাসীরা যে  অত্যাচার চালিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন এলাকাবাসী। আলঘর পুড়িয়ে দিয়ে শাহজাহান অনুগামীকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন এলাকার মানুষ। যদিও পরে, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: ‘শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে’, স্লোগান সামনে রেখে কলকাতায় ধর্নায় বসবে বিজেপি

    Howrah: ‘শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে’, স্লোগান সামনে রেখে কলকাতায় ধর্নায় বসবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচলায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের দেখতে হাওড়া (Howrah) হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার তিনি চিকিৎসাধীন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “পাঁচলায় জমি মাফিয়াদের রাজ চলছে। সেখানে জমি চুরি হচ্ছে, লুট চলছে। তার প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা। সেই কারণে তাঁদের মারধর করা হয়, শ্লীলতাহানি করা হয়। তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে যায় বিজেপি। মঙ্গলবার থানার সামনে বিজেপি কার্যকর্তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।” এ প্রসঙ্গে তিনি পুলিশের মনোভাব ও ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। এক পুলিশ অফিসারকে খালিস্তানি বলে মন্তব্য করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “আসলে সন্দেশখালি থেকে মানুষের চোখ ঘোরানো যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর রিয়্যালিটি শো-এর শ্যুটিংয়ে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সুকান্তর কটাক্ষ ‘বিনাশ কালে বুদ্ধি নাশ’।”

    পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর (Howrah)

    এক আক্রান্ত মহিলার গোপন জবানবন্দির প্রসঙ্গ প্রকাশ্যে নিয়ে আসার ব্যাপারে পুলিশের পেশাগত বিষয়কে কটাক্ষ করেন তিনি (Howrah)। এদিকে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শেখ শাহজাহান যতদিন না গ্রেফতার হবে, ততদিন চলবে আন্দোলন। ‘শেখ শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২৬ থেকে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতায় ধর্না চলবে বিজেপির।” এছাড়াও তিনি সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব) প্রসঙ্গেও বলেন, “সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে নরকবাস।”

    মমতাকে আক্রমণ প্রিয়াঙ্কার (Howrah)

    বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, “সন্দেশখালিতে দিদির কেউ নেই। তাই তিনি সেখানে যাওয়ার সময় পাননি। তিনি হাওড়ার ডুমুরজলায় একটি রিয়্যালিটি শো-এ এসেছেন। যদি কালীঘাটে দিদির পরিবারের কারোর সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটত, তাহলে কি তিনি চুপ থাকতেন। তিনি বলেন, সন্দেশখালিতে রাতের বেলায় মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দিদির কেউ নয় ওরা। দিদির কালীঘাটে পরিবার আছে, অভিষেক আছে, অভিষেকের স্ত্রী আছে। তাদের সঙ্গে যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটত, তখন দিদি কি চুপ থাকতে পারতেন।” প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল আরও বলেন, “গত বিধানসভা ভোটে সবাই বিজেপিকে চেয়েছিল। সবাই বলছে বিজেপিকে ভোট দিয়েছি। কিন্তু সরকার তৃণমূলের। কারণ বুথে বুথে দিদির গুন্ডাবাহিনী ছিল।” বুধবার হাওড়া হাসপাতালে হাওড়ার পাঁচলাকাণ্ডে (Howrah) আহত মানুষদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই কথাগুলি বলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: উদয়নের এলাকাতেও রাত ১২ টায় তৃণমূল পার্টি অফিসে ডাক পড়ত মহিলাদের

    Cooch Behar: উদয়নের এলাকাতেও রাত ১২ টায় তৃণমূল পার্টি অফিসে ডাক পড়ত মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির পর এবার জানা গেল, রাতে পার্টি অফিসে মহিলাদের ডাক পড়ত কোচবিহারেও (Cooch Behar)। পিঠে বানানোর নামে রাত ১২ টায় তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত, আর না গেলেই বাড়ি ভাঙচুর করা হত বলে অভিযোগ মহিলাদের। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর এলাকা দিনহাটায় এই অভিযোগে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। পাল্টা মন্ত্রী বলেছেন, “বিজেপি নতুন কাহিনি নির্মাণ করছে।”

    মূল অভিযোগ কী (Cooch Behar)?

    দিনহাটা (Cooch Behar) বুড়িরহাট অঞ্চলের স্থানীয় নিপীড়িত এক মহিলা অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূল নেতা বিশু ধর, দিলীপ ভট্টাচার্যের গুন্ডাবাহিনী আমাকে রাত ১২ টার সময় পার্টি অফিসে ডাকত। আমি প্রতিবাদ করে বলি, রাত ১২ টায় কেন যাবো? আমি রাজি হইনি। আমার কি কোনও সম্মান নেই। আমাকে কি বাঁচতে দেওয়া হবে না! বাড়িতে বিকেল ৪ টের সময় তৃণমূল বুথ সভাপতি আসেন এবং আমার উপর ফরমান জারি করেন। আমি হাত জোড় করে না বলে দিই, সমাজে আমার একটা সম্মান রয়েছে নষ্ট করবেন না। আমি ওই ধরনের মহিলা নই। কিন্তু পার্টি অফিসে না যাওয়ার জন্য রাতে গুন্ডারা এসে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়িঘর ভাঙচুর করে।” তবে এই রকম ঘটনার শিকার এই মহিলা নন, আরও অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

    মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি

    এই গ্রামের (Cooch Behar) আরও এক মহিলা তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “পার্টির গুন্ডারা রাতবিরেতে আমাদের পার্টি অফিসে যেতে বলে। পার্টি অফিসে পিঠে বানানোর নামে আমাদের ভোগ করতে চায়। ওদের মতলব অত্যন্ত খারাপ। আমি ঘটনা অস্বীকার হলে রাত ৯ টার সময় আমাদের বাড়িতে এসে আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আক্রমণ করে এবং তারপর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।” ঠিক এমনই অভিযোগের কথা বলে আরও এক মহিলা বলেন, “ভোটের গণনার পর দিন আমাদের বাড়ির দরজা ভাঙে। এরপর আমার স্বামীকে না পেয়ে আমাকে ধরে।” গত কয়েক মাসের এই অভিযোগে ব্যাপকভাবে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কিন্তু তৃণমূল নেতাদের ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি। সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলাদের সাহসে দিনহাটায়ও প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে এদিন।

    উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর বক্তব্য

    ঘটনায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ (Cooch Behar) বলেন, “সন্দেশখালির প্রসঙ্গে বিজেপি নতুন পিঠেকাহিনি নির্মাণ করেছে। পিঠে খাওয়ার বয়স এখন নেই। কোনও নেতা ১০ টার পর বাড়ির বাইরে থাকেন না। যদি মনে হয় আমি করতে পারি, তাহলে আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “কোচবিহারের (Cooch Behar) অভ্যন্তরে অনেক জায়গায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। উদয়নবাবু প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেন। অভিযোগ খতিয়ে না দেখে অভিযোগ করছেন। নিজেরাই সর্বত্র সন্দেশখালি মডেল তৈরি করেছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম তৈরির জন্য রেলমন্ত্রীর দরবারে সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম তৈরির জন্য রেলমন্ত্রীর দরবারে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে রেলের জমিতে উত্তরবঙ্গের খেলাধুলোর প্রসারে আন্তর্জাতিক মানের কেন্দ্রীয় স্টেডিয়াম গড়ার উদ্যোগ নিলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ক্রীড়া মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই এই স্টেডিয়াম গড়ার বিষয়ে ছাড়পত্র মিলেছে। তবে, জমি পাওয়ার ক্ষেত্রে রেলের ছাড়পত্র না মেলায় এই প্রকল্প এখনও বাস্তবায়ন করা যায়নি। তাই ওই ছাড়পত্র দ্রুত দেওয়ার আর্জি নিয়ে দিল্লিতে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত মজুমদার। বুনিয়াদপুরে রেলের যে জমি রয়েছে, সেখানে জাতীয় উৎকর্ষ কেন্দ্র বা স্টেডিয়াম তৈরির বিষয়ে তাঁর হাতে চিঠি তুলে দেন তিনি।

    রেলের জমিতেই স্টেডিয়াম! (Sukanta Majumdar)

    শিল্পবিহীন সীমান্ত জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১২ সালের ৩০ অগাস্ট বুনিয়াদপুরে রেলের ওয়াগন কারখানার শিলান্যাস করেছিলেন। দ্বিতীয় ইউপিএ আমলে রেলমন্ত্রী হয়ে মমতা যে ১৭টি বড় মাপের রেল কারখানা ঘোষণা করেছিলেন, তার মধ্যে ছিল বুনিয়াদপুরের কারখানাটি। জানা গেছে, ২০১০-১১ সালে ঘোষিত ওই প্রকল্পটি গড়ে তুলতে ১৩২.৮২ কোটি টাকা খরচ ধরেছিল রেল। শুধু প্রতিশ্রুতিই ছিল। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শিলান্যাসের পর থেকেই নানা কারণে প্রকল্পটি ঠান্ডা ঘরে চলে যায়। আদৌ কোনওদিন ওই জমিতে ফ্যাক্টরি গড়া হবে কিনা, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। তাই ওই রেলের জমিকেই কাজে লাগাতে এবার উদ্যোগী হলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আর পরিকল্পনা মতো এই এলাকায় আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম গড়ার কাজ সম্পূর্ণ হলে এলাকার হাল বদলে যাবে বলে আশা সুকান্তবাবুর।

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বুনিয়াদপুরে রেলের জমিতে একটি স্টেডিয়াম তৈরি করার বিষয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ক্রীড়ামন্ত্রক স্টেডিয়াম করার ছাড়পত্র দিয়েছে। কিন্তু, জমির জন্য ইতিমধ্যেই ক্রীড়া দফতর রেল দফতরকে চিঠি দিয়েছে। রেলের জমির এনওসি পাওয়ার পর সেখানে একটি স্টেডিয়াম গড়ে তোলা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidbad: শহিদ বরকতের জন্মভিটায় পালিত হল একুশে ফেব্রুয়ারি

    Murshidbad: শহিদ বরকতের জন্মভিটায় পালিত হল একুশে ফেব্রুয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের আজকের দিনেই এই বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন রফিক, জাব্বার, সালাম, বরকাত এবং নাম না জানা আরও অনেকে। এইসব শহিদদের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য একুশে ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় মর্যাদায় পালন করা হয় শহিদ দিবস হিসেবে। বাংলা ভাষার উপর উর্দু চাপানোর অপচেষ্টা করা হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানে। তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রতিবাদে এর বিরুদ্ধে পাক সরকার গুলি করলে নিহত হন এই ভাষাবীরেরা। উল্লেখ্য এই ভাষাবীরদের মধ্যে ছিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidbad) পুত্র বরকত।

    মুর্শিদাবাদে জন্ম বরকতের (Murshidbad)

    মুর্শিদাবাদ (Murshidbad) জেলায় সালারের বাবলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাংলা ভাষার সৈনিক বরকত। আজ তাঁর জন্মভিটেতে প্রচুর মানুষ উপস্থিত হন। তাঁর স্মৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য আয়োজন হয় বিরাট অনুষ্ঠানের। জেলাবাসী তাঁর ত্যাগে গর্বিত। এলাকার মানুষের বক্তব্য, বাংলাকে ভালোবেসেছিলেন বলেই ওঁরা জীবন দিয়ে আমাদের ভাষাকে রক্ষা করেছেন। আমাদের জীবনে অমৃত রসের স্পর্শ দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের এই আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলা স্বীকৃতি পেয়েছে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কোর সাধারণ পরিষদ এই একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছে।

    আন্দোলনের ইতিহাস

    ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের করাচিতে প্রথম গণপরিষদের অধিবেশন শুরু হয়, সেখানে ভাষা হিসেবে গৃহীত হয়েছিল উর্দু এবং ইংরেজি। এরপর বাংলাকে গণপরিষদের ভাষা হিসাবে গ্রহণ করার জন্য দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সহ মুসলিম লিগের নেতারা এই বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দেননি। যার ফলে ২ মার্চ ঢাকার ফজলুল হক মুসলিম হলে এই বাংলা ভাষার পক্ষে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন হয়। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ সাধারণ ধর্মঘটের আহ্বান করেন এবং ছাত্ররা শোভাযাত্রা নিয়ে রাজপথে নামেন। এই শোভাযাত্রায় তৎকালীন পুলিশ নির্বিচারে লাঠি চালায়। ফলে বহু ছাত্র আহত হন। ঘটনার প্রতিবাদে ১৩ থেকে ১৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    পরবর্তী সময়ে ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ আলি জিন্নাহ ঢাকায় আসেন এবং তিনি রেসকোর্স ময়দানে একুশে মার্চ একটি জনসভায় উর্দুকে জাতীয় ভাষা হিসাবে স্বীকৃতির কথা বলেন। প্রতিবাদে ২৬ মার্চ ঢাকায় ধর্মঘট পালন করা হয়। ১৯৪৮ সালের ১৭ নভেম্বর রাষ্ট্রভাষা কর্ম পরিষদ ঢাকায় গঠিত হয়। ১৯৫০ সালে গণপরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে লিয়াকাত আলি খান জিন্নাহকে অনুসরণ করে আবার বলেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। এর প্রতিবাদে রাজপথ উত্তাল হয়ে ওঠে, ৩০ জানুয়ারি পালিত হয় ধর্মঘট। আরও পরে ১৯৫২ সালেই সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষার সংগ্রাম পরিষদ একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস পালন এবং হরতালের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু তৎকালীন পাক সরকার ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। কিন্তু ছাত্র সমাজ তাকে ভঙ্গ করে রাজপথে শামিল হন। পালটা পাক পুলিশ ছাত্রদের উপর নির্মমভাবে গুলিবর্ষণ করে। সেই গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন রফিক, জাব্বার, সালাম, বরকত এবং অনেক নাম না জানা মানুষ। আজকের দিনকে মনে রেখে মুর্শিদাবাদে (Murshidbad) পালিত হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বিজেপি কর্মীর চোখের মণিতে গুলি! অভিযুক্ত শাহজাহানের ফাঁসি চান স্ত্রী

    Sandeshkhali: বিজেপি কর্মীর চোখের মণিতে গুলি! অভিযুক্ত শাহজাহানের ফাঁসি চান স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali), ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। জমিজমা, বাড়ি-ঘর, চাষের জমি থেকে শুরু করে মাছের ভেড়ি লুট করে অত্যাচার চালিয়েছে তৃণমূলের নেতা শেখ শাহজাহান-শিবু-উত্তমরা। শুধু তাই নয়, নিজেদের শারীরিক চাহিদা মেটাতে বাড়ির সুন্দরী বউদের রাতবিরেতে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে দিনের পর দিন যৌননিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে সোচ্চার হয়েছেন গ্রামের মহিলারা। ঠিক একই অত্যাচারের কথা মনে করিয়ে দেয় ২০১৯ সালে এক বিজেপি কর্মীর নির্মম হত্যার ঘটনা। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব হলেন এবার বিজেপির নির্যাতিত পরিবার। চোখের মণিকে লক্ষ্য করে পরপর ৮টি গুলি চালিয়ে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডলকে। এখন নিহত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী কঠোর শাস্তি চান এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

    জামাইষষ্ঠীর দিনেই নৃশংস হত্যাকাণ্ড (Sandeshkhali)

    নৃশংসতার বর্ণনা দিয়ে স্বামীহারা পত্নী এদিন বলেন, “দিনটি ছিল ২০১৯ সালের জামাইষষ্ঠী। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ৫৬ নম্বর বুথের হাটগাছি অঞ্চলের ঘটনা। শেখ শাহজাহান প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার লোক নিয়ে আক্রমণ করে আমাদের বাড়িতে। চারজন পুলিশ অন ডিউটি ছিল। আমার স্বামী প্রদীপকে লক্ষ্য করে চোখের মণিতে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। শরীরের সব জায়গায় অজস্র ভোজালির কোপ। আমার স্বামী এই ভয়ানক অত্যাচারের শিকার হন। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হলেন শেখ শাহজাহান, কাদের মোল্লা, আখের আলি গাইন, জিয়াউদ্দিন মোল্লা, আইফুল মোল্লা সহ আরও অনেকে।” কিন্তু পরে মামলার চার্জশিট হলে নিহত প্রদীপবাবুর স্ত্রী বলেন, “সিআইডি মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছে, এফআইআর-এ এক নম্বরে নাম ছিল শাহজাহানের। কিন্তু এই নাম বাদ দেওয়া হয়েছে ষড়যন্ত্র করে। খুব নগণ্য দুই ব্যক্তির নাম দেওয়া হয়েছে। আর তাই সিআইডি-কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।”

    শাহজাহানের ফাঁসি চাই

    কিন্তু কেন স্বামীকে এইভাবে খুন হতে হল? প্রশ্ন প্রদীপের স্ত্রীর। প্রদীপ মণ্ডল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভায় হাটগাছি অঞ্চলে বুথে বিজেপি জয়ী হয়েছিল। এই নির্বাচনের ফলাফলের পরই শাহজাহান বাহিনী আক্রমণ করে। স্বামীর এই নৃশংস হত্যার পর নিহত প্রদীপের স্ত্রী আতঙ্কে ছিলেন। ২০২১ সাল পর্যন্ত শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন প্রদীপের স্ত্রী। সেখানে মাছের ভেড়িতে ফিশারি চালাতেন। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভার নির্বাচনের ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে তাঁদের ফিশারিতে ব্যাপক লুটপাট চালায় তৃণমূলের গুন্ডারা। এরপর বাড়িছাড়া হন তাঁরা। দুই সন্তান নিয়ে অন্যত্র আত্মগোপন করে আছেন তাঁরা। শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চান নিহত বিজেপি কর্মী প্রদীপবাবুর পত্নী।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: রক্ষকই ভক্ষক! আদিবাসী তরুণীর শ্লীলতাহানি, কাঠগড়ায় পুলিশ

    Purulia: রক্ষকই ভক্ষক! আদিবাসী তরুণীর শ্লীলতাহানি, কাঠগড়ায় পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ায় (Purulia) আদিবাসী তরুণীকে শ্লীতাহানির করার অভিযোগ পুলিশেরই বিরুদ্ধে। বাড়িতে ঢুকে মারধর এবং টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার জেরে ক্লোজ করা হয়েছে কোটশিলা থানার এক পুলিশ আধিকারিককে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত প্রক্রিয়া। অপর দিকে তরুণীর সঙ্গে দেখা করেছেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত এবং সেই সঙ্গে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। ঘটনায় জেলায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    মূল অভিযোগ কী (Purulia)?

    অভিযোগ জানিয়ে তরুণী বলেন, “রাত সাড়ে দশটা নাগাদ কোটশিলা থানার (Purulia) এক আধিকারিক এবং আরও দুজন আমাদের বাড়িতে ঢোকেন। এরপর ঘরে মদ রয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে মারধর করা হয়। আমাদের ঘরে রাখা টাকাও তুলে নিয়েছেন তাঁরা। আমরা বিচার চাই।” সেই সঙ্গে অভিযোগপত্রে তরুণী আরও বলেন, “আমার সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করা হয়। সেই সঙ্গে আমার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। থানার বড়বাবু আমাকে বলেন, “নিচু জাতির মেয়ে, তোরা অনেক বেড়ে গিয়েছিস। এই ভাবে তোদের জব্দ করব। থানায় গিয়ে জানালে আবার এই ভাবে এসে মারবো।”

    বিজেপির অভিযোগ

    এই ঘটনায় পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, “গত রবিবার রাতে তরুণীর বাড়িতে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ। বাড়ি থেকে চল্লিশ হাজার টাকা ছিনতাই করেছে পুলিশ। বাড়িতে মদ রাখার মিথ্যা অভিযোগ তুলে এই ধরনের অভব্য আচরণ করা হয়। আমরা অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের শাস্তি চাই। রক্ষকই ভক্ষের ভূমিকা পালন করছে।”

    পুলিশের বক্তব্য

    মঙ্গলবার থেকে ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের চাপ তৈরি হওয়ায় তদন্ত শুরু হয়। জেলার পুলিশ সুপার (Purulia) অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার কথা জানতে পেরেই আমরা অ্যাডিশনাল এসপিকে তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই অভিযুক্ত পুলিশকে ক্লোজ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ইতিমধ্যে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।” যদিও ঘটনায় তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share