Tag: bjp

bjp

  • BJP: সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তাল রাজ্য, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, বারাসতে বিজেপির কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার, জলকামান

    BJP: সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তাল রাজ্য, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, বারাসতে বিজেপির কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার, জলকামান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে তৃণমূলের সন্ত্রাস এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ওপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে এসপি অফিস অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করে গেরুয়া শিবির। আর এই কর্মসূচিতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিজেপি (BJP) কর্মীরা। কোথাও পুলিশি লাঠিচার্জে বিজেপির জেলা সভাপতি আক্রান্ত হন, কোথাও বিজেপি কর্মীদের ঠেকাতে পুলিশ জলকামান চালায়। কোথাও আবার পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। সবমিলিয়ে বিজেপি-র এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় উত্তেজনা তৈরি হয়।

    বর্ধমানে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি (BJP)

    বর্ধমানে বিজেপির (BJP) পুলিশ সুপার অফিস অভিযানে ধুন্ধুমার। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় বিজেপি কর্মী জখম হন। সঙ্গে একজন পুলিশ কর্মী ও একজন সিভিক ভলান্টিয়ার আহত হন। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে জল কামান ব্যবহার করে। সন্দেশখালি সহ পশ্চিমবঙ্গে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির প্রতিবাদে জেলা পুলিশ সুপার অফিস ঘেরাও অভিযান ছিল বিজেপির। বৃহস্পতিবার বর্ধমানের টাউন হল থেকে বিজেপির মিছিল শুরু হয়। পুলিশ সুপারের অফিসের দিকে যাওয়ার আগেই কার্জন গেট চত্বরে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্ত ধস্তাধস্তি হয়। বিজেপি কর্মী সমর্থক পর পর দুটি ব্যারিকেড ভেঙে দিয়ে পুলিশ সুপারের অফিসের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ কোর্ট চত্বরের রাস্তায় নেতাজি স্ট্যাচুর সামনে ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয়। জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা-র নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী-সমর্থক রাস্তায় বসে পড়ে। শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ। এরপর ফের বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে জলকামান ব্যবহার করে।

    মুর্শিদাবাদে আক্রান্ত বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি

    এদিন মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কলেজ মোড়ে এসপি অফিসে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি (BJP) কর্মীরা। বিজেপি মহিলা মোর্চার হাতে লাঠি ও ঝাঁটা নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দেন। বিজেপি কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আন্দোলনের নেতৃত্ব ছিলেন মুর্শিদাবাদ (দক্ষিণ) বিজেপি-র জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার। বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। তাতেই মাথা ফেটে যায় বিজেপির জেলা সভাপতির। তিনি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর অক্সিজেন চলছে।

    দক্ষিণ দিনাজপুরে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ

    এদিন বালুরঘাট পুলিশ সুপার অফিস ঘেরাও করে  বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি (BJP)। এদিকে পুলিশের তরফে এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের তরফে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিক্ষোভকারী জেলা কার্যালয় থেকে মিছিল করে আসে। এরপর ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। পরে রাস্তার ওপর বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। পরে, বিজেপির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ী সহ জেলা বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব।

    বারাসতে বিজেপি কর্মীদের অবরোধ

    জানা গিয়েছে, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বিজেপির (BJP) এই কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। এদিন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে প্রথম ব্যরিকেড ভেঙে এসপি অফিসের উদ্দেশ্যে বিজেপি কর্মীরা গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে, এসপি অফিস থেকে কিছুটা দূরে জাতীয় সড়কের ওপর বসে বিক্ষোভ দেখাতে  থাকেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূলে হাতাহাতি, পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ

    Malda: সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূলে হাতাহাতি, পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরস্বতী পুজো করাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি। প্রথমে শুরু হয় বচসা এবং পরে হাতাহাতি হয় উভয় পক্ষের মধ্যে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে, পুলিশের বিরুদ্ধে মারধর, লাঠিচার্জের অভিযোগ তোলেন বিজেপি সমর্থক গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হবিবপুর থানার শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শীর্ষি এলাকায়। ের জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা।

    স্থানীয়দের বক্তব্য (Malda)

    এলাকায় (Malda) সরস্বতী পুজোকে ঘিরে মারধরের প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি সমর্থক উত্তম মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, “আমরা এলাকায় পুজো করছিলাম। আচমকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমাদের পুজোর সামগ্রী ফেলে দেয় তারা। এরপর আমাদেরকে মারধর করে। ঘটনায় পুলিশে খবর দিলে হবিবপুর থানার পুলিশ এসে উলটে আমাদের উপর লাঠিচার্জ করে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যক্ষ মদতে পুলিশ এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। ইতিমধ্যে ১১ জন আহত হয়েছেন। তাঁদেরকে মালদা (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত। তিনি বলেন, “পুলিশ দোষীদের না ধরে বিজেপি সমর্থক গ্রামবাসীদের ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। পুলিশ অফিসার বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী স্থানীয় তৃণমূল নেতার নির্দেশে এই কাজ করেছেন। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।” পরে অবশ্য গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে হবিবপুর থানা ও জেলার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় সরস্বতী পুজো হয়ে থাকে একটি জমিতে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী দেব মন্ডল দাবি করেন ওই জমিটি তাঁর। আর এই নিয়ে শুরু হয় বিবাদ। ঘটনায় বিবাদ থামাতে হবিবপুর (Malda) থানার পুলিশ পৌঁছে সামাল দেয় গ্রামবাসীদের। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিপ্লব মন্ডল বলেন, “সরস্বতী পুজো করে গায়ের জোরে অশান্তি তৈরি করেছে বিজেপি।” আবার জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বলেন, “সারা বাংলায় তৃণমূলের উন্নয়নের কাজে বিজেপি উস্কানি দিয়ে চলেছে। সরস্বতী পুজোর দিনে এই সংঘর্ষ কাম্য নয়। পুলিশকে আরও সংযত হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধা, অসুস্থ সুকান্ত, ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে

    Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধা, অসুস্থ সুকান্ত, ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে টাকিতে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা হয়। পরে, তিনি আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। অচৈতন্য হয়ে মাটিতে পড়়ে যান। বেশ কিছুক্ষণ ধরে তিনি মাটিতে পড়ে থাকেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর তাঁকে কলকাতায় বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গিয়েছে, পালস রেট কমছে। অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

    বসিরহাট থেকে সন্দেশখালির পথে সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানে যোগ দিতে সড়কপথের পরিবর্তে লোকাল ট্রেনে যান সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। সন্দেশখালিকাণ্ডে মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানে নেতৃত্ব দেন তিনি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিজেপির সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মুক্তির দাবিতে রাতভর ধর্না দেন সুকান্ত। গভীর রাতে তাঁকে আটক করার কিছুক্ষণ পর ছেড়েও দেয় পুলিশ। বুধবার সকাল হতেই আবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বুধবার সকালে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সুকান্ত সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন। পুলিশ মাঝপথে তাঁদের আটকে দিলে, যেখানে আটকানো হবে, সেখানেই সরস্বতী পুজো শুরু করবেন তাঁরা। এমনই বলেছিলেন সুকান্ত। কিন্তু, ঘটনাচক্রে দেখা গেল, সেই পরিকল্পনাও বদলে ফেললেন সুকান্ত।

    টাকিতে পুলিশি বাধা, অচৈতন্য হয়ে পড়েন সুকান্ত

    বুধবার দুপুরে টাকির হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে একটি সরস্বতী প্রতিমা কোলে নিয়ে বেরিয়ে আসেন সুকান্ত। ইছামতীর ঘাটে প্রতিমা বসিয়ে পুজো শুরু হয়। পরে সন্দেশখালি যাওয়ার উদ্যোগ নিতে টাকিতে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তিনি। পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় সুকান্তের (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, তিনি সন্দেশখালি যাবেনই। অন্য দিকে, পুলিশ জানায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই অনুমতি মিলবে না। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির মধ্যে পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে পড়েন সুকান্ত। কিছুক্ষণের মধ্যেই পড়ে যান। দেখা যায়, মুখ ঢাকা এক মহিলা হাত ধরে গাড়ির বনেট থেকে সুকান্তকে নামানোর চেষ্টা করেন। তার মধ্যেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি। খানিকক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। অসুস্থ সুকান্তকে তড়িঘড়ি গাড়িতে তোলা হয়। তাঁকে বসিরহাটের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: জোর করে তোলা হল বিজেপি-র অবস্থান! সুকান্তসহ কর্মীদের আটকে রাখা হল স্টেডিয়ামে

    Sukanta Majumdar: জোর করে তোলা হল বিজেপি-র অবস্থান! সুকান্তসহ কর্মীদের আটকে রাখা হল স্টেডিয়ামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি কাণ্ডে বিজেপি-র এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল বসিরহাট। পুলিশের নির্বিচারে লাঠিচার্জ এবং দলীয় কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে পুলিশ সুপারের অফিসের কাছে অস্থায়ী মঞ্চ করে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। গভীর রাতে জোর করে অবস্থান তুলে দেয় মমতার পুলিশ। এমনই অভিযোগ অবস্থানে বসা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের।

    জোর করে অবস্থান তুলে দেয় পুলিশ

    অস্থায়ী মঞ্চ করে শতাধিক কর্মী-সমর্থক নিয়ে মঙ্গলবার বিকাল থেকে অবস্থান শুরু করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। সেখানে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিল। রাত ১২ টা নাগাদ পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীরা অবস্থানে অনড় থাকে। রাত ১টা নাগাদ বিশাল পুলিশ বাহিনী একরকম জোর করে অবস্থান তুলে দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের গভীর রাতে ধস্তাধস্তি হয়।  পরে, বসিরহাট স্টেডিয়ামের ভিতরে আনা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা আটকে রাখার পর রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ বন্ডে সই করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হল সুকান্ত এবং বিজেপি কর্মীদের।

    সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ঘোষণা সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    ছাড়া পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “আমাদের দলীয় কর্মীদের আটক করতে পুলিশ যে তৎপরতা দেখালো, শাহজাহান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের ধরতে এ রকম তৎপরতা দেখালে পুলিশকে আজ এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হত না।” তিনি আরও জানান, রাতটা তিনি জেলাতেই কাটাবেন। বুধবার সকালে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেবেন।

    এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে রণক্ষেত্র

    সড়ক পথে বাধা দিতে পারে আশঙ্কা করেই বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এদিন লোকাল ট্রেনে দাঁড়িয়ে বসিরহাটে যান। মূল রাস্তা ধরে গেলে বাধার মুখে পড়তে পারেন জেনে সুকান্ত বাইকে চড়ে অলি-গলি ধরে বসিরহাট এসপি অফিসের উদ্দেশে রওনা দেন। আগে থেকে বিজেপি কর্মীরা জমায়েত ছিলেন। এমনিতেই বিজেপির কর্মসূচিকে বানচাল করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। মিছিল করে এসপি অফিসের দিকে রওনা দিতেই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। এরপরই পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। মহিলা কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়। এমনকী কাঁদানে গ্যাসের একাধিক সেল ফাটানো হয়। গোটা এলাকা কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিশের নির্বিচারে লাঠিচার্জের প্রতিবাদে সুকান্তর নেতৃত্বে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করা হয়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, দুহাজার কর্মী জমায়েত করে ওরা। পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশে ইট, পাথর ছোড়া হয়। তাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হন। এরপরই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করা হয়। বহু কর্মী জখম হয়েছেন। অনেকের পা ভেঙে গিয়েছে। মহিলারা জখম হয়েছে। মমতার পুলিশ এলাকায় সন্ত্রাস চালিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তর এসপি অফিস অভিযান ঘিরে অগ্নিগর্ভ বসিরহাট, লাঠিচার্জ-কাঁদানে গ্যাস

    Sukanta Majumdar: সুকান্তর এসপি অফিস অভিযান ঘিরে অগ্নিগর্ভ বসিরহাট, লাঠিচার্জ-কাঁদানে গ্যাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি কাণ্ডে বিজেপি-র এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বসিরহাট। এমনিতেই বিজেপির কর্মসূচিকে বানচাল করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। পুলিশ মোতায়েন করা হয় এলাকায়। এসপি অফিস যাওয়ার অনেক আগে থেকেই ব্যারিকেড দিয়ে এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়। এদিন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে দলীয় কর্মীরা এসপি অফিসের উদ্দেশে রওনা দিতেই পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়।

    ট্রেনে করে বসিরহাটে, বাইকে অলিতে-গলিতে এসপি অফিস (Sukanta Majumdar)

    সড়ক পথে বাধা দিতে পারে আশঙ্কা করেই বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এদিন লোকাল ট্রেনে দাঁড়িয়ে বসিরহাটে যান। মূল রাস্তা ধরে গেলে বাধার মুখে পড়তে পারেন জেনে সুকান্ত বাইকে চড়ে অলি-গলি ধরে বসিরহাট এসপি অফিসের উদ্দেশে রওনা দেন। আগে থেকে বিজেপি কর্মীরা জমায়েত ছিলেন। মিছিল করে এসপি অফিসের দিকে রওনা দিতেই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। এরপরই পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। মহিলা কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়। এমনকী কাঁদানে গ্যাসের একাধিক সেল ফাটানো হয়। গোটা এলাকা কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিশের নির্বিচারে লাঠিচার্জের প্রতিবাদে সুকান্তর নেতৃত্বে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করা হয়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, দুহাজার কর্মী জমায়েত করে ওরা। পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশে ইট, পাথর ছোড়া হয়। তাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হন। এরপরই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করা হয়। বহু কর্মী জখম হয়েছেন। অনেকের পা ভেঙে গিয়েছে। মহিলারা জখম হয়েছে। মমতার পুলিশ এলাকায় সন্ত্রাস চালিয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। শাহজাহানের কথায় পুলিশ এসব করছে। শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায় মমতার পুলিশ। আমাদের কর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে আমিও জখম হয়েছি। পুলিশের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করার পর বহু কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এসবের প্রতিবাদে আমরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেছি। দলীয় কর্মীদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত অবস্থান চলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ট্রেনে করে বসিরহাট, বাইকে চেপে অলি-গলি দিয়ে এসপি অফিসে সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ট্রেনে করে বসিরহাট, বাইকে চেপে অলি-গলি দিয়ে এসপি অফিসে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাটের পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। সেই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। যদিও কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সুপারের অফিসের আশপাশে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। বসিরহাট জেলা পুলিশের অফিস চত্বর অর্থাৎ সংগ্রামপুর এলাকার ৫০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। সকাল থেকে এলাকায় মাইকিং করে অবৈধ জমায়েত করলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। সড়কপথে গেলে পুলিশ আগেই আটকে দিতে পারে। তাই হৃদয়পুর স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে চেপে বসিরহাটের উদ্দেশে তিনি রওনা দেন। মোট ৩০ জনের টিকিট কাটা হয়েছে। সুকান্ত বলেন, আইনভঙ্গ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু, পুলিশের হাত এড়িয়ে আমরা যে করে হোক বসিরহাট পৌঁছাব। তাই গাড়ির বদলে লোকাল ট্রেন। এদিন দুপুরে বসিরহাট স্টেশন পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। স্টেশন থেকে বাইক মিছিল করে এসপি অফিসের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সঙ্গে বিজেপি কর্মী, সমর্থকেরা। পুলিশের চোখ এড়াতে বড় রাস্তা নয়, বসিরহাট স্টেশন থেকে গলি দিয়ে এসপি অফিসের দিকে রওনা দেন সুকান্ত। 

    সন্দেশখালিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বসিরহাট যাওয়ার পাশাপাশি এদিন সন্দেশখালিতে পৌঁছলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেখানে গ্রামে ঘুরে ঘুরে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলছেন কমিশনের দুই প্রতিনিধি। মহিলারাও শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের কথা কমিশনের সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন।

    বসিরহাটে পুলিশের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের মিছিল

    বসিরহাট মহকুমা আদালতের আইনজীবীদের পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল। সোমবার বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহকে যখন পুলিশ আদালতের বাইরে থেকে গ্রেফতার করে তখন সেখানে উপস্থিত আইনজীবীদেরও ধাক্কাধাক্কি করা হয় এবং মহিলা আইনজীবীকে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন আইনজীবীরা। এখনও পর্যন্ত যা সিদ্ধান্ত যে, এই কর্মবিরতি লাগাতার চলবে।

    আটকানো হল কংগ্রেসকে

    উত্তর ২৪ পরগনার ধামাখালির রামপুরে যুব কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলকে আটকে  দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন যুব কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকেরা। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে যুব কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। তার পরে বিক্ষোভকারীদের বাসে তুলে নিয়ে চলে যায় পুলিশ।

    বসিরহাট আদালতে তোলা হল বিকাশ, উত্তমকে

    বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহ এবং তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারকে বসিরহাট আদালতে তোলা হয়। আদালতে ঢোকার সময় বিজেপি নেতা বিকাশ বলেন, ‘‘সন্দেশখালিকে বাঁচান, সন্দেশখালির মহিলাদের বাঁচান, আমাকে আবার ফাঁসানো হয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: গলা কেটে কচু পাতা দিয়ে ঢাকা বিজেপি কর্মীর মায়ের দেহ, থানা ঘেরাও লকেটের

    Hooghly: গলা কেটে কচু পাতা দিয়ে ঢাকা বিজেপি কর্মীর মায়ের দেহ, থানা ঘেরাও লকেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) পোলবায় এক বিজেপি কর্মীর মায়ের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জ্যোৎস্না জানা। তাঁর বয়স ৫৫ বছর। তাঁর ছেলে রাজকুমার জানা বিজেপির সক্রিয় কর্মী। সুগন্ধায় ছেলের কাছে এসেছিলেন মা। সোমবার দুপুর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে, একটি ইটভাটার কাছে থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার থানা ঘেরাও করল বিজেপি। সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে থানায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। লকেট বলেন, মৃতার স্বামীকে চাপ দিয়ে ভুল বয়ান টিপ সই দিয়ে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা নতুন করে বয়ান লিখি। ওখানে দুজন ছিল, যারা এখন পলাতক। ওই দুজনই কিছু করছিল, সেটা দেখে ফেলাতেই গলা কেটে খুন করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Hooghly)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির (Hooghly) পোলবার সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের জগন্নাথবাটি গ্রামে জ্যোৎস্না জানার দুই ছেলে রাজকুমার ও রবি জানার বাড়ি। ছেলেরা গয়নার কাজ করেন। এদিকে জ্যোৎস্নার স্বামী একটি ইটভাটা চালাতেন। জ্যোৎস্না স্বামী পূর্ণচন্দ্রের শরীর ভালো নেই। স্বামী-স্ত্রী সেখানেই থাকতেন। তবে প্রায় ছেলেদের বাড়িতে আসতেন মা। জ্যোৎস্না জানার ছেলের বউ পারমিতা জানা বলেন, সোমবার দুপুর থেকে শাশুড়িকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপর ইটভাটা লাগোয়া একটি পরিত্যক্ত কেমিক্যাল কারখানার ঝোপে মৃতদেহ পরে থাকতে দেখা যায়। আমাদের আশঙ্কা, শাশুড়িকে খুন করা হয়েছে। খুন করে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত দাবি করছি। খুনিদের অবিলম্বের গ্রেফতার করতে হবে। খবর পেয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব সোমবার রাতেই জ্যোৎস্নার বাড়িতে যায়। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    মৃতদেহ উদ্ধার প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহ বলেন, “আমাদের এক কর্মীর মাকে খুন করা হয়েছে। তাঁর ছেলে আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। ছেলেই ফোন করে জানায় এই ঘটনা। আমরা খবর পেয়ে এসেছি। বলা হচ্ছে গলা কাটা, কচু পাতা দিয়ে ঢাকা ছিল। বিষয়টি জানার পরই তড়িঘড়ি পুলিশও ঘটনাস্থলে এসে দেহ নিয়ে চলে গেল। সন্দেহ হচ্ছে আমাদের। তাঁকে খুন করা হয়েছে। আমরা চাই, খুনের ঘটনা সঠিক তদন্ত হোক।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সন্দেশখালির পথে শুভেন্দুদের বাস বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়েতে আটকাল পুলিশ

    Suvendu Adhikari: সন্দেশখালির পথে শুভেন্দুদের বাস বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়েতে আটকাল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে পদে পদে তৃণমূলীদের বাধা পেয়ে সন্দেশখালি পৌঁচ্ছাতে হয়। সেখানে গিয়ে তিনি মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনেছেন। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দলের সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ছিল। বসে করেই তাঁরা রওনা দেন। সায়েন্স সিটির কাছে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের মুখে তাঁদের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চা়ঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    পুলিশি বাধা নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি বিধায়করা? (Suvendu Adhikari)

    এদিন তিনটি বাসে করে বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়করা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে সন্দেশখালির পথে রওনা দেন। কিন্তু, পুলিশ সায়েন্স সিটির কাছে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের মুখে ব্যারিকেড করে বিজেপি বিধায়কদের বাধা দেয়। সেখানে বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি, অগ্নিমিত্রা পল বলেন, সন্দেশখালিতে ৬০ কিলোমিটার দূরে আমাদের আটকে দেওয়া হল। এখানে ১৪৪ ধারা নেই। তারপরও তৃণমূলের দলদাস পুলিশ এটা করল। আমাদের কেন ভয় পাচ্ছে তৃণমূল? মহিলা বিধায়কদের তো যেতে দিতে পারে, সেটাও তারা দিচ্ছে না। আসলে শাহজাহানদের এই সরকার মদত দিচ্ছে। মহিলাদের ওপর যে অত্যাচার হত তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সেখানকার মানুষদের কথা শুনতেই আমরা সন্দেশখালি যেতাম। সেটাও পুলিশ করতে দিল না। শাহজাহানকে ধরতে পারছে না পুলিশ। আর আমাদের আটকানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।

    শাহজাহান নিয়ে কী বললেন অগ্নিমিত্রা?

    ইডি ওপর হামলার পর থেকে শাহজাহান ফেরার। এখনও পুলিশ তার টিকি ছুঁতে পারেনি। তবে, তাঁর এক শাগদের উত্তম সর্দারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এরই মধ্যে শাহজাহানের হদিশ দিলেন অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেন, রবিবার হেমনগর এলাকায় শাহজাহানকে দেখা গিয়েছে। ৬জন সঙ্গে নিয়ে স্পিড বোটে তাঁদের দেখা গিয়েছিল। তাঁরা জঙ্গলের দিকে তিনি চলে যান। আমরা সব জানতে পারছি, অথচ মমতার পুলিশ কিছুই জানতে পারছে না। আসলে শাহজাহানকে পুলিশ বাঁচাতে চাইছে। আর এসবই হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি যাচ্ছেন শুভেন্দু, বাধা পেলে পথেই অবস্থান-বিক্ষোভ

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি যাচ্ছেন শুভেন্দু, বাধা পেলে পথেই অবস্থান-বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা গত শনিবারই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শান্তি ফেরাতে ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। অন্যথায় সোমবার তিনি বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা হবেন বলেও জানিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, আজ সোমবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাবেন শুভেন্দু অধিকারী। পথে পুলিশ যেখানেই বাধা দেবে সেখানেই তিনি অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়বেন বলে জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। রবিবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের মদতেই বাংলার মহিলাদের উপর এই ধরনের বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে চলেছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে সন্দেশখালির দোষীদের চিহ্নিত করে কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

    সন্দেশখালির উদ্দেশে রাজ্যপাল

    অন্যদিকে, সোমবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) দলীয় নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সিপিএম ১২ ঘণ্টা বন‍্ধের ডাক দিয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই থমথমে পরিবেশ গোটা সন্দেশখালিজুড়ে। সকালে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। রওনা হওয়ার আগে রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে তিনি বাইরে থাকার জন্য যেতে পারেননি সেখানে। সন্দেশখালির পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ-এই খবর পেয়ে তিনি রাজ্যে ফিরেছেন।

    অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন ইডির আধিকারিকরা। তাঁদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। গাড়ি ভাঙচুর করে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তৃণমূল নেতাদের একাধিক দুর্নীতি এবং অপকর্মের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে সন্দেশখালিবাসীর। সেখানকার শাহজাহানের দুই শাগরেদ শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন মহিলারা। সন্দেশখালির আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বিধানসভা থেকে রাজভবন অভিযান করে বিজেপির বিধায়ক দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবারে রাজ্যের সমস্ত থানায় ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। যুব মোর্চার তরফ থেকেও আন্দোলনে নামা হয়।

    আরও পড়ুন: হলদোয়ানির হিংসায় ধৃত ৩০, “দেবভূমির পবিত্রতা নষ্ট করা যাবে না”, বললেন ধামি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha Election: রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৪ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির, জায়গা পেলেন কারা?

    Rajya Sabha Election: রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৪ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির, জায়গা পেলেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির তরফ থেকে রবিবার প্রকাশ করা হয়েছে রাজ্যসভায় ১৪ জন দলীয় প্রার্থীর নাম। প্রসঙ্গত রাজ্যসভায় ভোট রয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারি। সারা দেশের ১৫ রাজ্যের ৫৬টি আসনে এই ভোট হবে বলে জানা গিয়েছে।

    সব থেকে বেশি আসন উত্তরপ্রদেশে

    পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় (Rajya Sabha Election) বিজেপির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রার্থী হয়েছেন ২০২২ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসা আরপিএন সিং। যোগী রাজ্যে অন্যান্যদের মধ্যে নাম রয়েছে সুধাংশু ত্রিবেদী, চৌধুরী তেজবীর সিং, সাধনা সিং, অমর পাল মৌর্য, সঙ্গীতা বলবন্ত, নবীন জৈনের। প্রসঙ্গত, ২৭ ফেব্রুয়ারি হতে চলা রাজ্যসভার নির্বাচনে সব থেকে বেশি আসন রয়েছে উত্তরপ্রদেশে, তা হল দশটি। উত্তরপ্রদেশের প্রার্থী বাছাইয়ে দারুণ ভারসাম্যতা দেখা গিয়েছে। যেখানে কুর্মি, ব্রাহ্মণ, নিশাদ, জৈন, রাজপুত মৌর্য এই সমস্ত বর্ণের ভারসাম্য রক্ষা করা হয়েছে। প্রার্থী তালিকায় এক্ষেত্রে কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে রাখা হয়নি। জানা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে যাঁরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রয়েছেন তাঁরা লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

    কোথায় কে প্রার্থী

    বিহারের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সেখানে ছ’টি আসন রয়েছে। বিহারে বিজেপির সঙ্গে পুনরায় নীতীশের দলের জোট হয়েছে। এখান থেকে নাম পাঠানো হয়েছে ধর্মশিলা গুপ্তা এবং ভীম সিং-কে। বাদ পড়েছে সুশীলকুমার মোদির নাম। ছত্তিসগড় থেকে বিজেপি রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে রাজা দেবেন্দ্র প্রতাপ সিংকে। গন্ড রাজ পরিবারের সদস্য তিনি এবং রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ থাকা সরোজ পান্ডের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তিনি। হরিয়ানা থেকে বিজেপির (Rajya Sabha Election) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুভাষ বারালার নাম যাচ্ছে। যিনি একজন জাঠ নেতা বলে পরিচিত। কর্নাটক থেকে রাজ্যসভার মনোনীত করা হচ্ছে নারায়ণ কৃষ্ণাসা ভান্ডাকেকে। উত্তরাখণ্ড থেকে রাজ্যসভায় বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন মহেন্দ্র ভট্ট। গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এখনও নাম সামনে আসেনি। চলতি বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহতেই ৫৮ জন রাজ্যসভার সাংসদ অবসর নেবেন। যাঁর মধ্যে আটজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রয়েছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও। বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডাও অবসর গ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share